Blog

  • G20 Summit: মোদিকে দেখে এগিয়ে এলেন বাইডেন! আলিঙ্গন বন্ধু মাক্রঁর, শুরু জি-২০ বৈঠক

    G20 Summit: মোদিকে দেখে এগিয়ে এলেন বাইডেন! আলিঙ্গন বন্ধু মাক্রঁর, শুরু জি-২০ বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার বালিতে শুরু হল জি-২০ বৈঠক। গতকালই জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে বালিতে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো তাঁকে সম্মেলন স্থলে আমন্ত্রণ জানান। সম্মেলনের ফাঁকেই তাঁকে দেখে এগিয়ে যান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গলা মেলান বন্ধু ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ।

    মোদি-বাইডেন মুখোমুখি

    বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেখে এগিয়ে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁদের দুজনের মধ্যে ক্ষণিক আলাপচারিতা হয়। সৌহার্দ্য বিনিময় করেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। এর আগে গতকালই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেখা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে। দুজনের মধ্যে তাইওয়ান প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয় বলে খবর।

    মাক্রঁ-মোদি সাক্ষাত

    জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সঙ্গে দেখা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। দুজনের মধ্যেই কিছুক্ষণ কথা হয়। তবে কী নিয়ে কথা হয়েছে তা বিস্তারিত জানা যায়নি।  বালিতে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে চিনের রাষ্ট্রনেতা শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন মাক্রঁ। প্যারিস ও বেজিংকে ইউক্রেনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ম্যাক্রঁ।

    বৈঠকে কী বললেন মোদি

    এদিন বৈঠকে মোদি বলেন, “ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনৈতিক শক্তি। আমরা অবশ্যই জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ  করব না। আমাদের জ্বালানির বাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। ভারত পরিচ্ছন্ন শক্তি এবং পরিবেশের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” যুদ্ধ- হিংসার পথ ত্যাগ করে শান্তিই শ্রেয় বলে দাবি করেন মোদি।

    তিনি বলেন, ” দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিশ্বের সর্বনাশ হয়েছিল। এরপর ওই সময়ের নেতারা শান্তির পথে চলার প্রাণপণ চেষ্টা চালান। এবার আমাদের পালা। কোভিড পরবর্তী সময়ের জন্য একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থা তৈরির দায়িত্ব আমাদের কাঁধে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Dengue Treatment at Home: বাড়িতেই করা যাবে ডেঙ্গির চিকিৎসা? ট্রিটমেন্ট সম্ভব কীভাবে?

    Dengue Treatment at Home: বাড়িতেই করা যাবে ডেঙ্গির চিকিৎসা? ট্রিটমেন্ট সম্ভব কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ মারাত্মক বাড়ছে। জ্বর হলেই এখন রক্ত পরীক্ষা আবশ্যক। ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ হলেই যে হাসপাতালে ভর্তি হতেই হবে, এমন কিন্তু মানে নেই! বাড়িতেই করা যেতে পারে ডেঙ্গির চিকিৎসা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্লেটলেট না কমলে বাড়িতে থেকেই ডেঙ্গি চিকিৎসা সম্ভব। তবে, কয়েক দিকে নজর দিতে হবে। ডেঙ্গির চিকিৎসার কয়েক বিষয়ে বাড়ির লোক সতর্ক থাকলেই বড় বিপদ এড়ানো যাবে (Dengue Treatment at Home)। 

    ডেঙ্গি চিকিৎসায় কী কী নজরে থাকবে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তকে সব সময় মশারির মধ্যে রাখতে হবে। কারণ, তার থেকে অন্যদের রোগ ছড়াতে পারে। মশাবাহিত এই রোগ থেকে পরিজনদের বাঁচাতে ও রোগীকেও দ্রুত সুস্থ করতে মশারি টাঙানো জরুরি।  ডেঙ্গি রোগী বাড়িতে থাকলে, ডেঙ্গি চিকিৎসায় আরেকটি বিষয় অত্যন্ত জরুরি (Dengue Treatment at Home)। দেখতে হবে, রোগীর দেহ থেকে কোনও ভাবে রক্তপাত হচ্ছে কিনা! যদি কোনও ক্ষত না থাকা সত্ত্বেও ডেঙ্গি রোগীর রক্তপাত হয়, তাহলে কিন্তু রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তখন ডেঙ্গি ট্রিটমেন্টের জন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

    বাড়িতে রেখে ডেঙ্গি চিকিৎসা করলে রোগীর খাবারে বিশেষ নজরদারি জরুরি (Dengue Treatment at Home)। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি চিকিৎসায় বিশেষ কোনও ওষুধ নেই। মূলত নজরদারি করা হয়। তাই বাড়িতেও সেই একরকম নজরদারি করলে ডেঙ্গি চিকিৎসায় দ্রুত সাড়া পাওয়া যাবে। ডেঙ্গি রোগী শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই ডেঙ্গি চিকিৎসায় রোগী কী খাচ্ছে, সেটা দেখা দরকার। 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গিতে ভুগছেন? রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ বাড়াতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি রোগীর দেহে জলের পরিমাণ কমে গেলে প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হতে পারে (Dengue Treatment at Home)। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ডেঙ্গি চিকিৎসায় জল অত্যন্ত জরুরি। রোগীর দেহে যাতে কোনও ভাবেই জলের পরিমাণ না কমে, তা দেখতে হবে। তাই বারবার জল খাওয়ানো দরকার। তাছাড়া ফলের রস, দুধ এই রকম তরল জাতীয় খাবার বারবার খেতে হবে। কারণ, এগুলো যেমন দেহে তরলের পরিমাণ ঠিক রাখবে, তেমনি প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলবে। বিশেষত লেবুর রস ডেঙ্গি রোগীকে নিয়মিত খাওয়ানো জরুরি। কারণ, লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। 

    ডেঙ্গি রোগীর মেনুতে নিয়মিত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার রাখতেই হবে। অর্থাৎ, ভাত কিংবা রুটি খেতে হবে। কারণ, কার্বোহাইড্রেট দেহে এনার্জি জোগায়। ডেঙ্গি আক্রান্তেরা খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই আক্রান্তের দ্রুত সুস্থ হতে স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য এনার্জি জরুরি (Dengue Treatment at Home)। 

    ডেঙ্গি চিকিৎসায় পেঁপে আর আমলকি বিশেষ সাহায্য করে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ডেঙ্গি আক্রান্ত পেঁপে পাতার রস খেলে প্লেটলেট কমে না। তবে, অনেকের আবার পেঁপে পাতার রস খেয়ে কলেরার উপসর্গ দেখা দেয়। তাই যদি সেই রকম কিছু উপসর্গ হয়, তাহলে পেঁপে পাতার রস না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তবে, খাবারের তালিকায় পেঁপে রাখা ভালো বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ, ডেঙ্গি রোগীর এমন সবজি খাওয়া দরকার, যা সহজপাচ্য অথচ পুষ্টিগুণ অনেক। তাতে একদিকে যেমন শরীরে অন্য কোনও রোগ বাসা বাঁধবে না। আরেক দিকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। তাই পেঁপে, পটল, কাঁচকলার মতো সবজি ডেঙ্গি চিকিৎসায় বিশেষ উপকারী (Dengue Treatment at Home)। 

    ডেঙ্গি রোগী খাওয়ার পরে নিয়ম করে আমলকি খেলে বিশেষ উপকার পাবে। আমলকি হজম করাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই ডেঙ্গি চিকিৎসায় আমলকিকেও খাবারের তালিকায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 
    তবে, দুধ, ফল, সবজির সঙ্গে প্রত্যেক দিন প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ডিম, মাছ মাংস নিয়ম করে খেলে রোগী দ্রুত সুস্থ হবে। ডেঙ্গি চিকিৎসায় বিশেষ ফল পাওয়া যাবে (Dengue Treatment at Home)।

  • WhatsApp New Feature: হোয়াটসঅ্যাপে আসতে চলেছে ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ মোড, মিস হবে না একটি কলও

    WhatsApp New Feature: হোয়াটসঅ্যাপে আসতে চলেছে ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ মোড, মিস হবে না একটি কলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ তাদের ব্যবহারকারীদের কাছে অ্যাপটি আরও সহজ ও আকর্ষণীয় করার জন্য প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করে চলেছে (WhatsApp New Feature)। ফলে সম্প্রতি আরও একটি ফিচার নিয়ে হাজির মেটা কর্তৃপক্ষ। হোয়াটসঅ্যাপের এই নতুন আপডেটের নাম ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ (Do Not Disturb)। আর কিছুদিন পর থেকেই ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সহ মিসড কল অ্যালার্টের সুবিধা পাওয়া যাবে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপে। এর ফলে কোনও ইউজার যদি হোয়াটসঅ্যাপে ডু নট ডিস্টার্ব মোড (Do Not Disturb Mode) বেছে নিয়ে থাকেন এবং তখন তার কাছে কোনও হোয়াটসঅ্যাপ কল (Whatsapp Call) আসে, তাহলে সেটা তিনি পরে বুঝতে পারবেন।

    ‘ডু নট ডিসটার্ব’ মোডের সুবিধা

    ইউজারদের সুবিধার্থে সবসময় কিছু না কিছু প্রয়োজনীয় ফিচার নিয়ে আসে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp New Feature)। এই ফিচারটি খুবই প্রয়োজনীয় ছিল ব্যবহারকারীদের জন্য। কারণ কেউ যদি হোয়াটসঅ্যাপের ডু নট ডিস্টার্ব মোড ফিচার বেছে নিয়ে থাকেন, তখন যদি কোনও ফোন আসে, তবে সে সেটি পরে বুঝতে পারবেন। সাধারণত ডু নট ডিস্টার্ব মোডে এই ফোন আসার নোটিফিকেশন না আসলে অনেককেই অসুবিধায় পড়তে হত। ফলে হোয়াটসঅ্যাপ এই কথা ভেবেই নতুন ফিচারটি অ্যাড করেছে। এই ফিচার চালু হয়ে গেলে ইউজাররা বোঝাতে পারবেন যে তাঁরা ইচ্ছে করে ফোনকল মিস করেননি। বরং এই মোডের জন্যই মিস হয়েছে কল।

    Android Police- এর তরফে জানানো হয়েছে ইউজাররা মিসড কল হিস্ট্রি অর্থাৎ যেখানে সমস্ত মিসড কল দেখা যায়, সেখানে তার নীচেই একটি ট্যাগলাইন দেখতে পাবেন। সেখানে দেখা যাবে যে, ডু নট ডিস্টার্ব মোডের জন্য কোন কোন কল মিস হয়েছে।  

    আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার! এবার লুকনো যাবে অনলাইন স্ট্যাটাসও

    আপাতত বিটা টেস্টারদের জন্য এই ফিচার উপলব্ধ হয়েছে। গুগল প্লে বিটা প্রোগ্রামের মাধ্যমে কিছু বিটা টেস্টারদের জন্য ইতিমধ্যেই এই ফিচারের পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে অনুমান করা হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি সব হোয়াটসঅ্যাপ ইউজার এই ফিচার এবং আপডেট ব্যবহার করতে পারবেন (WhatsApp New Feature)।

    একাধিক নতুন ফিচার আসছে হোয়াটসঅ্যাপে

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি, হোয়াটসঅ্যাপে ইউজারদের সুবিধার জন্য অনেক ফিচারই চালু হয়েছে। তার মধ্যে একটি হল হোয়াটসঅ্যাপ কমিউনিটি। আবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। এরপর আরও একাধিক আপডেটের ওপর কাজ করে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। আগামী সময়ে যে নতুন ফিচারগুলি পাওয়া যাবে, তার মধ্যে পোল, এডিট, ভয়েজ স্ট্যাটাস আপডেট, হোয়াটসঅ্যাপ অবতার ফিচারের মতো বৈশিষ্ট্যও রয়েছে (WhatsApp New Feature)। 

    আরও পড়ুন: ভিডিও কলে একসঙ্গে ৩২ জন, গ্রুপে হাজারের বেশি লোক দেখুন হোয়াইসঅ্যাপের নতুন ফিচার

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • AAP: দিল্লি পুরভোটের টিকিট মেলেনি, বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে আত্মহত্যার হুমকি আপ নেতার

    AAP: দিল্লি পুরভোটের টিকিট মেলেনি, বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে আত্মহত্যার হুমকি আপ নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত সকালে এক প্রস্ত নাটক দিল্লির (Delhi) বুকে! পুরভোটের টিকিট না পেয়ে রবিবার হাই টেনশন বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে পড়লেন আম আদমি পার্টির (AAP) এক প্রাক্তন কাউন্সিলর। টিকিট না পেলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার হুমকিও দিলেন প্রাক্তন ওই আপ কাউন্সিলর। হাই টেনশন বিদ্যুতের খুঁটি থেকে তাঁকে নামাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় প্রশাসনের লোকজনকে।  

    ক্ষোভের কারণ…

    দিল্লি পুরসভার নির্বাচন হবে ৪ ডিসেম্বর। ইতিমধ্যেই প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে আম আদমি পার্টি (AAP)। ওই প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে ১৩৪ জনের। এর মধ্যে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ৭০। দিল্লি পুরসভার প্রবীণ কাউন্সিলর মুকেশ গোয়াল কংগ্রেস ছেড়ে কিছুদিন আগে যোগ দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলে। তাঁকে টিকিট দিয়েছে আপ। আদর্শ নগর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। কংগ্রেস ছেড়ে আপে ভিড়েছেন জনৈক গুড্ডি দেবী। তাঁকেও প্রার্থী করেছে কেজরিওয়ালের দল। তিনি প্রার্থী হয়েছেন টিমরপুরের মালকানগঞ্জে। ভিন দল থেকে আসা লোকজন টিকিট পেয়ে যাওয়ায় অসন্তোষের আগুন ক্রমেই ধূমায়িত হচ্ছে আপের (AAP) অন্দরে। এই দলের একাংশের অভিযোগ, অন্য দল থেকে এলেই প্রার্থী করা হচ্ছে। শনিবার আপ দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। ওই তালিকায় নাম রয়েছে ১১৭ জনের। প্রথম দফা ও দ্বিতীয় দফা কোনও প্রার্থী তালিকায়ই নাম নেই আপের প্রাক্তন কাউন্সিলর হাসিবউল হাসানের।

    আরও পড়ুন: অমিত শাহের সঙ্গে করমর্দনের ছবি ভাইরাল, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ধোনি?

    জানা গিয়েছে, সেই ক্ষোভ থেকেই এদিন প্রাক্তন ওই আপ (AAP) কাউন্সিলর দিল্লির শাস্ত্রী পার্ক মেট্রো স্টেশনের কাছে হাই টেনশন বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে পড়েন। যতক্ষণ না প্রার্থী হওয়ার আশ্বাস পাচ্ছেন, ততক্ষণ নামবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। দেন আত্মহত্যা করার হুমকিও। ঘটনায় হকচকিয়ে যান পথ চলতি মানুষজন। তাঁরা তাঁকে নীচে নেমে আসতে অনুরোধ করেন। তাতে অবশ্য কান দেননি তিনি। তাঁর অভিযোগ, দল ভুল পথে চলছে। তিনি জানান, আপ (AAP) নেতারা ঠকিয়েছেন তাঁকে। পূর্ব দিল্লির গান্ধীনগর এলাকার কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, দলের তরফে কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তার পরেও দেওয়া হয়নি টিকিট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mukesh Ambani: বিক্রি হচ্ছে লিভারপুল, কিনতে চলেছেন ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি?

    Mukesh Ambani: বিক্রি হচ্ছে লিভারপুল, কিনতে চলেছেন ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে কি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (English Premier League) বিখ্যাত ক্লাব লিভারপুর (Liverpool) ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) হাতে যেতে চলেছে? কারণ আজ থেকে বিদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবরই শোনা যাচ্ছে। আর এই খবর ভারতে ছড়িয়ে পড়তেও জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, জনপ্রিয় ইংলিশ ফুটবল ক্লাব লিভারপুল কেনার দৌড়ে সামিল হলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। অর্থাৎ সব ঠিক থাকলে তিনিই কিনতে চলেছেন লিভারপুল!

    কত টাকায় বিক্রি হবে লিভারপুল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, লিভারপুলের বর্তমান মালিক ফেনওয়ে স্পোর্টস গ্রুপ (এফএসজি) এই ক্লাব বিক্রির কথা ঘোষণা করেছে। ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে লিভারপুল কিনেছিল এই এফএসজি গ্রুপ। তবে শোনা গিয়েছে, ক্লাব চালানোর খরচ এবং লাভ থেকে তাঁরা সন্তুষ্ট নন এবং বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁরা ক্লাবের মালিকানা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এফএসজি ক্লাবটিকে ৪ বিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি করতে প্রস্তুত।

    সম্প্রতি ফোর্বস আম্বানিকে বিশ্বের অষ্টম ধনী ব্যক্তি হিসেবে মনোনীত করেছে। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৯৪ বিলিয়ন পাউন্ড যা ভারতীয় মুদ্রায় ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। ফলে এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে, মুকেশ আম্বানি লিভারপুল খুব সহজেই কিনে নিতে পারবেন। আর এটি কিনতে খুব সামান্য ব্যয়ই হবে তাঁর (Mukesh Ambani)।

    এফএসজি (FSG) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এফএসজি লিভারপুলের শেয়ারহোল্ডার হওয়ার জন্য তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকেও আগ্রহ পেয়েছে। এফএসজি ইতিমধ্যে বলেছে যে সঠিক শর্তে, আমরা নতুন শেয়ার হোল্ডারদের বিবেচনা করব এটি লিভারপুলের স্বার্থে যায় কিনা।’ উল্লেখ্য, জার্গন ক্লপের দল FSG-এর অধীনে থাকাকালীন অনেক সাফল্য পেয়েছে। যার মধ্যে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এফএ কাপ, কারাবাও কাপ এবং ইউরোপিয়ান সুপার কাপ জয় রয়েছে। ফলে সবদিক বিবেচনা করে এই ক্লাবের মালিকানা অন্যের হাতে দেওয়ার কথা ভেবেছে এফএসজি।

    ক্রীড়াপ্রেমী মুকেশ আম্বানি

    এছাড়াও আম্বানি একজন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। আম্বানির কোম্পানি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেট দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মালিক এবং অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের বাণিজ্যিক অংশীদার হওয়ার পাশাপাশি ইন্ডিয়ান সুপার লিগ ফুটবল ইভেন্টও পরিচালনা করে। তাছাড়া আইএসএলের সঙ্গেও যুক্ত তাঁর পরিবার। ফলে লিভারপুল কেনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। যদি লিভারপুলের মালিকানা আম্বানির হাতে আসে, তবে কি করে ফ্র্যাঞ্চাইজি চালাতে হয়, তা ভাল করেই জানা আছে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তির। তবে অবশেষে আম্বানির হাতেই এর মালিকানা আসে কিনা সেটাই এখন দেখার।

  • Assam Minor Rape: নাবালিকার ধর্ষণ-খুনকে আত্মহত্যা! আসামে গ্রেফতার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, সরকারি চিকিৎসক!

    Assam Minor Rape: নাবালিকার ধর্ষণ-খুনকে আত্মহত্যা! আসামে গ্রেফতার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, সরকারি চিকিৎসক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসামে ১৩ বছরের নাবালিকা পরিচারিকা ধর্ষণ এবং খুনের (Assam Minor Rape) মামলায় কর্তব্য পালন না করার অভিযোগে গ্রেফতার দরং জেলার জেলাশাসক। এমনটাই জানালেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

    কী অভিযোগ? 

    ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আসাম পুলিশের দুর্নীতির বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পরিচারিকা হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে একথা জানিয়েছে সিআইডি। হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যার রূপ দিতে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। এই ঘটনায় ভুয়ো পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তৈরির দায়ে মঙ্গলবার তিন চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। সোমবার দরং জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে গ্রেফতার হয়েছেন। এর এক দিন পরেই গ্রেফতার হয়েছেন ধুলা থানার ওসি। দরং জেলার পুলিশ সুপার এখনও নিখোঁজ।

    আরও পড়ুন: ১০-১৫ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত, বললেন অর্থমন্ত্রী

    কী ঘটেছিল?

    চলতি বছর জুন মাসে আসামের দরং জেলার ধুলা থানার ঢেকিয়াজুলি এলাকার এসএসবি জওয়ান কৃষ্ণকমল বরুয়ার বাড়িতে তেরো বছরের কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন নাবালিকা। তাঁর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে স্থানীয় পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও আত্মহত্যার কথাই বলা হয়। কিন্তু কিশোরীর মা-বাবার অভিযোগ করেন, তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। কারণ,মৃতদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গোপনাঙ্গে রক্তের দাগ ছিল। ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। সঠিক তদন্তের আশ্বাস দেয় রাজ্য সরকার। আন্দোলনের চাপে ফের ময়নাতদন্ত করতে বাধ্য হয় পুলিশ।

    এরপর রাজ্য সরকারের নির্দেশে ফের ময়নাতদন্ত করা হয়। এবং তাতে ধর্ষণের করার প্রমাণ মেলে। ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায়, বাড়ির মালিক কৃষ্ণকমল বরুয়া ধর্ষণ করেছে। ময়নাতদন্তের এই রিপোর্ট আসার পর আসাম  পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন ওঠে। ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। সেদিন তিনি এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব সিআইডিকে দেন। সিআইডির বিশেষ টিম গত ১২ অগাস্ট  তদন্ত নামে। সিআইডির তদন্তে দেখা যায় মৃতদেহ উদ্ধারের সময় ভিডিওগ্রাফি করেনি পুলিশ। এমনকি ফুটপ্রিন্টও নেওয়া হয়নি। এরপর এক এক করে দুর্নীতির তথ্য সামনে আসতে শুরু করে।        

    হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, এক সাংবাদিক এই মামলার বিষয়ে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ জানান এবং দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। তারপরেই এই মামলার তদন্ত ভার তিনি দেন সিআইডিকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BJP: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    BJP: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ জেস্ক: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)। তার প্রতিবাদে পথে নামল বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের প্রতিবাদ আন্দোলনে উত্তাল গোটা রাজ্য। শনিবার অখিলের গ্রেফতারি ও মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের দাবিতে কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউয়ে মিছিল করেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা। অখিলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে নন্দীগ্রাম (Nandigram) থানায়। কোথাও কোথাও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অখিলের বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ।  

    অখিলের বেফাঁস মন্তব্য…

    নভেম্বরের ১০ তারিখে নন্দীগ্রামের গোকুলনগর শহিদ মঞ্চে শহিদ দিবস পালনের আয়োজন করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ওই মঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে বিজেপির (BJP) দিকে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় সভার আয়োজন করে তৃণমূল। ওই সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অখিল বলেন, আমরা রূপ বিচার করি না। রাষ্ট্রপতির পদকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার (শুভেন্দু অধিকারী) রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা? অখিলের এই মন্তব্যের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় রাজ্যজুড়ে। পথে নামে বিজেপি। অখিলের গ্রেফতারি ও মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের দাবিতে তামাম রাজ্যে আন্দোলন শুরু করেছে পদ্ম শিবির। নন্দীগ্রাম থানায় অখিলের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টেন্ডার দুর্নীতি! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর

    এদিকে, অখিলের বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি (BJP) নেতা সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতিকে অপমান করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্য গণতন্ত্রের অপমান। ১৪০ কোটি জনগণকে অপমান করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী। এই জঘন্য মন্তব্যের জন্য অবিলম্বে অখিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। বিধায়ক পদ থেকে অপসারিত করতে সুপারিশ করুন। অখিলের গ্রেফতারির দাবিও জানান তিনি।

    অখিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউয়ে মিছিল করেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা। জেলায় জেলায় বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকরা। পোড়ানো হয় কুশপুত্তলিকা। অখিলের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন সে কারণে মন্ত্রীকে অবিলম্বে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে গ্রেফতার করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাজ না করেন, তাহলে মন্ত্রী অখিল গিরিকে গ্রেফতার করাবে বিজেপি। তিনি বলেন, জেলায় জেলায় প্রতিবাদ আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছি। আদিবাসীরাও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে। এফআইআর করবে। সুকান্ত বলেন, তৃণমূল এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বেশ কিছু নেতা পচা ডিমের মতো দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছেন। যতদিন এই তৃণমূল সরকারে থাকবে, ততদিন পচা ডিমের দুর্গন্ধ ছড়াবে। মানুষ ভুল থেকে শিক্ষা নেয়, কিন্তু তৃণমূল তা করে না। এদিকে, অখিলকে অপসারণ এবং সাক্ষাতের সময় চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Akhil Giri: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য অখিল গিরির, তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    Akhil Giri: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য অখিল গিরির, তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের মন্ত্রী। যাঁকে আক্রমণ করে বসলেন তিনি দেশের প্রথম নাগরিক। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। যিনি তাঁর দিকে ছুঁড়ে দিলেন কুকথার ছররা, তিনি আর কেউ নন, রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)। দেশের রাষ্ট্রপতিকে অপমান করায় বেজায় চটেছে রাজ্যের বাসিন্দাদের সিংহভাগ অংশ। তৃণমূল নেতার বেফাঁস মন্তব্যে হতবাক রাজ্যের শিক্ষিত সমাজ। আর কাঁথির এই তৃণমূল নেতার পদত্যাগের দাবিতে পথে নামছে বিজেপি।   

    জানা গিয়েছে, নভেম্বরের ১০ তারিখে নন্দীগ্রামের গোকুলনগর শহিদ মঞ্চে শহিদ দিবস পালনের আয়োজন করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ওই মঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে বিজেপির দিকে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় সভার আয়োজন করে তৃণমূল (TMC)। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, অখিল গিরি, সৌমেন মহাপাত্র সহ তৃণমূলের অন্য নেতারা।

    কী বললেন অখিল?

    এদিনের সভা মঞ্চে উঠেই রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri) নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেন মন্ত্রী মশাই। এর পরেই অখিলকে বলতে শোনা যায়, আমরা রূপ বিচার করি না। রাষ্ট্রপতির পদকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার (শুভেন্দু অধিকারী) রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা? অখিলের এই মন্তব্যের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় রাজ্যজুড়ে। বিজেপির দাবি, রূপ নিয়ে কটাক্ষ করে দেশের প্রথম নাগরিককে অপমান করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি।

    রাজ্য বিজেপির তরফে ট্যুইট করে বলা হয়েছে, অখিল (Akhil Giri) রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার সামনে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। আমাদের রাষ্ট্রপতি একজন আদিবাসী। এখান থেকেই বোঝা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল আদিবাসী বিরোধী। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই আদিবাসী বিরোধী। তাঁর মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্য সেটাই প্রমাণ। রাষ্ট্রপতিকে অপমান করেন মমতার মন্ত্রী। কেন তিনি এবং তাঁর সরকার আদিবাসীদের এত ঘৃণা করেন?

    আরও পড়ুন: বিধানসভা উপনির্বাচনে ৪ আসনে জয়ী বিজেপি, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর চিঠি! রাতারাতি ৬টি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন বাতিল রাজ্যের

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর চিঠি! রাতারাতি ৬টি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন বাতিল রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর চিঠির পরই রাতারাতি জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-সহ রাজ্যের ছ’টি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করল রাজ্য সরকার। শুভেন্দুর অভিযোগ, কেন্দ্রের টাকায় রাজ্যে তৈরি হওয়া ছয়টি নতুন মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে একাই করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা সম্পূর্ণ একতরফা সিদ্ধান্ত।

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানেও ছিলেন টেট-চাকরিপ্রার্থীকে কামড় দেওয়া পুলিশকর্মী! কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    কেন্দ্রের টাকায় তৈরি রাজ্যে ৬টি মেডিক্যাল কলেজ উদ্বোধন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট বার্তায় সে কথা জানান তিনি। চিঠিতে নতুন মেডিক্যাল কলেজগুলি মূলত কেন্দ্রের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া অর্থে তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি। রাজ্য সরকার ‘চক্রান্ত’ করে আগে সেগুলির উদ্বোধন করছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন,”এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর মতো সৌজন্যবোধও দেখাননি মুখ্যমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতি তাঁর কোনও সম্মান নেই।” ট্যুইটে এই সংক্রান্ত একটি প্রচার বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু।

    প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি

    রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল, ১৪ নভেম্বর বেলা ১টায় কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মমতা জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ-সহ রাজ্যের ছ’টি নতুন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পঠনপাঠনের শুভারম্ভ করবেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছিল, এই ছ’টি নতুন মেডিক্যাল কলেজের প্রতিটিতে ১০০ জন ছাত্রছাত্রী এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পাবেন। এর ফলে রাজ্যে আরও ৬০০টি এমবিবিএস আসন বাড়বে। এই প্রকল্পের নির্মাণে খরচ হয়েছিল  ১৫৫৬.৫৭ কোটি টাকা। মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন-সহ তাতে মোট তিনটি নতুন প্রকল্পের সূচনা করারও উল্লেখ ছিল। অন্য দু’টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে টেলি মেন্টাল হেল্‌থ পরিষেবা ও পার্বত্য অঞ্চলে ১৬ স্লাইসের সিটি স্ক্যান মেশিনের উদ্বোধন। তবে এই দুই প্রকল্পের সঙ্গে জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি কলেজ-কর্তৃপক্ষের।  কিন্তু আচমকাই ওই কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে বলে কলেজ সূত্রের খবর। তবে কর্মসূচি বাতিল হল কেন, কলেজ-কর্তৃপক্ষ তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের নতুন মেডিক্যাল কলেজগুলি উদ্বোধন করবেন বলে আগে থেকেই কর্মসূচি নির্দিষ্ট আছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India At UN: সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়! রাষ্ট্রপুঞ্জে সওয়াল ভারতের

    India At UN: সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়! রাষ্ট্রপুঞ্জে সওয়াল ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেনেভায় হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সভায় নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ওঠা প্রশ্নের কড়া জবাব দিল ভারত। জেনেভায় শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের বৈঠক। সেখানে আলোচনায় উঠেছে ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন  (CAA Issue in United Nation Human Right Council Meeting) এবং ঘৃণা ভাষণ প্রসঙ্গ।

    ভারত যা বলল

    জেনেভায় হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সভায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। ওই অধিবেশনে কয়েকটি দেশ ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আই নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এর উত্তরে সলিসিটার জেনারেল বলেন, সিএএ (CAA) কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য করা হয়নি। ওই আইনের প্রকৃত উদ্দেশ্য, প্রতিবেশী দেশে বসবাসকারী নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের ভারতে (India) বসবাসের সুযোগ দেওয়া। সেই উদ্দেশে তাদের নাগরিকত্ব প্রদানে এই আইন তৈরি করা হয়েছে। আর বাক স্বাধীনতা নিয়ে তিনি জানান,  ভারতের সংবিধানের মৌলিক ভিত্তিই হল কথা বলার অধিকার। কিন্তু অধিকার প্রয়োগে নাগরিকদেরও কিছু কর্তব্যসাধন জরুরি। ঘৃণা ভাষণ প্রতিরোধে ভারতে আইনি বিধান রয়েছে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে সুপ্রিম কোর্ট ঘৃণা ভাষণ নিয়ে সরব হয়। সাম্প্রতিককালে ঘৃণা ভাষণের বেশ কিছু ঘটনায় উদ্বেগ ছড়ায় দেশ জুড়ে।

    আরও পড়ুন: দেশবিরোধী কাজে যুক্ত থাকলেই পদক্ষেপ! আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পরিষদের সভায় ভারত

    সিএএ কী

    ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে CAA-র কোনও সম্পর্ক নেই। এদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের উল্লেখ রয়েছে ভারতীয় সংবিধানে। CAA বা এই সম্পর্কিত কোনও আইন তা খর্ব করতে পারে না। এই সম্পর্কিত ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। মুসলিম-সহ ভারতীয় নাগরিকদের উপর CAA-র কোনও প্রভাব পড়বে না। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর ধর্মীয় কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্য CAA। ওই তিন দেশ বা অন্য কোনও দেশ থেকে আসা মুসলিম-সহ অন্য কোনও বিদেশি শরণার্থীদের জন্য CAA লাগু হবে না।  তবে, এর মানে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের মুসলিমরা কখনই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবে না, তা নয়। এমন কোনও লক্ষ্যে CAA গঠন করা হয়নি। বিগত বছরগুলিতে ওই দেশগুলি থেকে শতাধিক মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও যোগ্যতার বিচারে নাগরকিত্ব পাবেন তাঁরা। ধর্মের বিচারে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। 

     

LinkedIn
Share