Blog

  • Meghalaya: ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    Meghalaya: ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার (West Bengal) মতো মেঘালয়েও (Meghalaya) ভোট ‘কেনা’র পথে হাঁটল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)! লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ধাঁচে ক্ষমতায় এলে এখানেও মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিল বাংলার শাসক দল। মঙ্গলবার তৃণমূলের তরফে শিলং থেকে ইস্তেহার প্রকাশ করেন দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ক্ষমতায় এলে খাসো এবং গারো ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।

    তৃণমূল…

    বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর গোটা দেশে সংগঠন বিস্তারে উদ্যোগী হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এজন্য বড় রাজ্যগুলির পরিবর্তে তারা পাখির চোখ করে ছোট ছোট রাজ্যগুলিকে। সেই মতো গোয়ায় প্রার্থী দেয় তৃণমূল। সেখানে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বিজেপির কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে মমতার দল। তার আগে আক্ষরিক অর্থেই ‘রাম’ধাক্কা খেয়েছিল উত্তর-পূর্বের বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরায়। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ত্রিপুরায় প্রার্থী দেয় তৃণমূল। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে সেখানে প্রচারে যান দলের হেভিওয়েট নেতারা। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত বার পাঁচেক প্রচারে যান ত্রিপুরায়। তার পরেও আদতে কোনও লাভ হয়নি। বিজেপির কাছে গোহারা হারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। একটি মাত্র আসনে যিনি তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন, তিনিও পরে যোগ দেন বিজেপিতে।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    উত্তর পূর্বের আরও একটি রাজ্যকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। সেটি মেঘালয় (Meghalaya)। মেঘের রাজ্যে পায়ের নীচে মাটি পেতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ভাঙিয়ে দল ভারী করেছে তৃণমূল। চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বিজেপিকে। এ রাজ্যে বিজেপি বেশ শক্তশালী। তাই বিজেপিকে গদিচ্যুত করতে নগদ অর্থের ‘টোপ’ দিয়েছে তৃণমূল। বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মতো এখানেও ফি মাসে মহিলাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ইস্তেহারে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।  

    একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলা দখল করতে মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তৃণমূল। ভোটে জয়ী হওয়ার পরে সে টাকা দেওয়াও হয়। তবে সেজন্য আগে থেকে কোনও ফান্ডের ব্যবস্থা করা হয়নি। অভিযোগ, মিড-ডে মিল সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা ‘সরিয়ে’ দেওয়া হচ্ছে ‘ভাণ্ডারে’। এনিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রকে নালিশ জানিয়েছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। তার পরেও শিক্ষা হয়নি এ রাজ্যের শাসক দলের। যার জেরে ফের টাকার টোপ। রাজ্যটা অবশ্য বাংলা নয়, উপজাতি অধ্যুষিত মেঘালয়!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Adi Shaurya:Parv Parakram Ka: শুরু সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান ‘আদি শৌর্য-পর্ব পরাক্রম কা’

    Adi Shaurya:Parv Parakram Ka: শুরু সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান ‘আদি শৌর্য-পর্ব পরাক্রম কা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজধানীতে শুরু হয়ে গেল সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। সোমবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে মিলিটারি ট্যাটু ও ‘আদি শৌর্য-পর্ব পরাক্রম কা’ নামে একটি আদিবাসী নৃত্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গতকাল, ২৩ জানুয়ারি ও আজ, ২৪ জানুয়ারি দুই দিন ধরে এই অনুষ্ঠান উদযাপিত হবে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে।

     এই অনুষ্ঠান নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পালন করা হচ্ছে। রয়েছে নৃত্যকলার আয়োজন- আদিবাসী নৃত্যের যে আয়োজন করা হয়েছে, তাতে জায়গা করে নিয়েছে গৌর মারিয়া, সিদ্ধি ধামাল.বৈগ পারধনি, বাগরুম্বা, ঘুসাড়ি, রথওয়া, গাড্ডিনাটি সমেত একাধিক ধরণের নৃত্য।  

    বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান

     গত বছরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নির্দেশে নেতাজির জন্মবার্ষিকীকে সাধারণতন্ত্র দিবস (Republic Day) উদযাপনের অংশ করা হয়। কেন্দ্রের তরফে নেতাজির জন্মবার্ষিকীকে ‘পরাক্রম দিবস’ (Parakram Divas) হিসাবে পালনের ঘোষণাও করা হয়। সেই মতোই এদিন থেকেই দিল্লিতে শুরু হয়ে গেল সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান।

    আরও পড়ুন: প্রযুক্তি বিশ্বে এগিয়ে চলেছে দেশ! ‘টেকনোলজি হাব’-এর জন্য প্রস্তুত গ্রামীণ ভারতও

    এদিন সকাল থেকেই রাজধানীর কর্তব্য পথে সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ বা প্যারেডের রিহার্সাল শুরু হয়। সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের তরফে ট্রাফিক সংক্রান্ত নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।

    ‘আদি শৌর্য-পর্ব পরাক্রম কা’ নামে এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন লোকসভার স্পিকার শ্রী ওম বিড়লা। ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, অজয় ভাট। অনুষ্ঠানে আদিবাসী নৃত্য, সেনা কৌশল ছাড়াও সঙ্গীত পরিবেশন করেন পদ্মশ্রী প্রাপক গায়ক কৈলাস খের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ayush: পর্যটন মন্ত্রকের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর আয়ুষের, জানুন কারণ

    Ayush: পর্যটন মন্ত্রকের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর আয়ুষের, জানুন কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়া ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন, পর্যটন মন্ত্রক, ভারত (India) সরকারের সঙ্গে মউ (MOU) স্বাক্ষর করল আয়ুষ মন্ত্রক (Ayush)। আয়ুর্বেদে মেডিক্যাল ভ্যালু ট্রাভেল প্রোমোশন এবং ওষুধের ঐতিহ্যশালী সিস্টেমগুলিকে কাজে লাগাতেই ইন্ডিয়া ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের সঙ্গে মউ সই করল আয়ুষ মন্ত্রক। আয়ুষ মন্ত্রকের ডিরেক্টর শশী রঞ্জন বিদ্যার্থী এবং ইন্ডিয়া ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ডিরেক্টর (কমার্সিয়াল ও মার্কেটিং) ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

    মউ…

    চুক্তি সই হয় এ প্রমোদকুমার পাঠকের উপস্থিতিতে। প্রমোদকুমার আয়ুষ মন্ত্রকের স্পেশাল সেক্রেটারি। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় দু তরফেই আরও কয়েকজন করে পদস্থ আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। এদিন যে মউ স্বাক্ষর হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, আয়ুষ মন্ত্রক ইন্ডিয়া ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দেবে। আয়ুর্বেদে মেডিক্যাল ভ্যালু ট্রাভেল এবং ওষুধের ঐতিহ্যশালী সিস্টেমগুলির সঙ্গে তাঁদের পরিচয় ঘটাবেন। ট্যুরিস্ট সার্কিটের মধ্যেই এটা করা হবে। কারণ এই ক্ষেত্রেই আয়ুর্বেদে মেডিক্যাল ভ্যালু ট্রাভেল প্রোমোশন এবং ওষুধের ঐতিহ্যশালী সিস্টেমগুলির সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়া যাবে। এ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল বিষয়গুলিও বোঝানো হবে। জারি করা বিবৃতিতে আয়ুষ (Ayush) মন্ত্রক জানিয়েছে, ট্যুরিস্ট গন্তব্যগুলিতে নলেজ ট্যুরিজম ও ফিল্মের ডেভেলপমেন্ট কিংবা সাহিত্য ট্যুরিস্টদের কাছে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে।

    আরও পড়ুুন: ‘স্বাধীনতার পর নেতাজিকে ভোলানোর চেষ্টা করা হয়েছে’, অনুযোগ প্রধানমন্ত্রীর

    ইন্ডিয়া ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন পরিচালিত হোটেলগুলিতে যে আয়ুর্বেদ চর্চা হয় এবং যোগ সেন্টার চলে সেগুলিও ঘুরে দেখতে পারবেন পর্যটকেরা। আয়ুষ মন্ত্রকের সঙ্গে যৌথভাবে যে কর্মশালার আয়োজন করা হবে, তাতেও অংশ গ্রহণ করতে পারবেন তাঁরা। মউ কতদূর এগোল, কীভাবেই বা কাজ করবে, তা মনিটরিং করবে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ। আষূষ মন্ত্রক ও ইন্ডিয়া ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরাও নজরদারি চালাবেন। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যরা মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন অঞ্চল খুঁজে বেড়াবে, যে জায়গাগুলিতে আয়ুর্বেদ নিয়ে সব থেকে বেশি চর্চা হয়। ওই জায়গাগুলি মেডিক্যাল ভ্যালু ট্রাভেল ট্যুরিজমের গন্তব্য হতে পারে কিনা, তাও খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। ভারতে ইদানিং বেড়ে গিয়েছে আয়ুর্বেদের (Ayush) চর্চা। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে আয়ুষ ভিত্তিক হেল্থ কেয়ার এবং ওয়েলনেস ইকোনমি ২০২৫ সালের মধ্যে ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Sonam Wangchuk: “অল ইজ নট ওয়েল ইন লাদাখ”, ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রীকে ওয়াংচুক

    Sonam Wangchuk: “অল ইজ নট ওয়েল ইন লাদাখ”, ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রীকে ওয়াংচুক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমির খানের সিনেমা ‘থ্রি ইডিয়টস’- এর মাধ্যমে গোটা বিশ্ব চিনেছিল সোনাম ওয়াংচুককে (Sonam Wangchuk)। ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমা বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। ছবিটির মুখ্য চরিত্রে র‍্যাঞ্চোর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন আমির খান। ছবিটি মূলত এক ভারতীয় বিজ্ঞানীর জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি। লাদাখের ওই বিজ্ঞানীর নাম সোনাম ওয়াংচুক। ছবিটি মুক্তির পরই রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এবার সেই ওয়াংচুকই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভিডিও বার্তা পাঠালেন। ছবিটির সংলাপ ধার করে ভিডিও-তে ওয়াংচুক বলেন, ‘অল ইজ নট ওয়েল ইন লাদাখ’!

    আরও পড়ুন: ‘স্বাধীনতার পর নেতাজিকে ভোলানোর চেষ্টা করা হয়েছে’, অনুযোগ প্রধানমন্ত্রীর  

    কেন এমন বললেন ওয়াংচুক? 

    ভিডিওতে লাদাখের বর্তমান পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেছেন তিনি। তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে বিপর্যস্ত হচ্ছে লাদাখ (Sonam Wangchuk)। তাই তাঁর প্রাণের লাদাখকে বাঁচাতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে মোদিকে বার্তা পাঠিয়েছেন ওয়াংচুক। এমনকী ভিডিওতে চিনা দ্রব্য বয়কট করারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।    

    ওয়াংচুকের অভিযোগ, লাদাখের ৯৫ শতাংশ (Sonam Wangchuk) বাসিন্দাই জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত, কিন্তু তারপরও এই অঞ্চলকে ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত হয়নি। তিনি বলেন, “এই ব্যাপারে কেন্দ্র সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।” শুধু ভিডিও বার্তা নয়, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

     

    প্রসঙ্গত, লাদাখের খারদুংলা পাসে ১৮ হাজার ফিট উচ্চতায় অনশনে বসবেন ওয়াংচুক (Sonam Wangchuk)। পাঁচ দিনের এই প্রতীকী অনশন কর্মসূচির নাম দিয়েছেন, ‘ক্লাইমেট ফাস্ট’। এই কর্মসূচির কথাও তিনি তাঁর ভিডিওতে জানিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • BBC: মোদিকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘ভীষণভাবে একপেশে’, বিবিসিকে চিঠি দিলেন ব্রিটেনের সাংসদ

    BBC: মোদিকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘ভীষণভাবে একপেশে’, বিবিসিকে চিঠি দিলেন ব্রিটেনের সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করেছে বিখ্যাত সংবাদ সংস্থা বিবিসি (BBC)। ওই তথ্যচিত্রের দুটি অংশ। প্রথম অংশটি ইতিমধ্যেই সম্প্রচারিত হয়েছে। এবার বিবিসি যাতে দ্বিতীয় অংশ সম্প্রচার না করে, তাই কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেন ব্রিটেনের উচ্চকক্ষের এক সদস্য।

    মোদি…

    মঙ্গলবার মুক্তি পায় মোদিকে নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র- ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চান। তথ্যচিত্রটিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির ক্ষমতায় আসার যাত্রাপথ তুলে ধরা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে গুজরাট (Gujarat) হিংসার কথাও। ওই তথ্যচিত্রের সমালোচনায় ইতিমধ্যেই মুখর হয়েছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অফ লর্ডসের সদস্য লর্ড রামি রাংগার। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, এই তথ্যচিত্রটি কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মোদি, ভারতের পুলিশ ও ভারতের বিচার ব্যবস্থাকে এর মাধ্যমে অপমান করা হয়েছে। হিংসায় জীবনহানি হয়। হিংসা কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়।

    আরও পড়ুুন: ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    তবে বিবিসি (BBC) যেভাবে তথ্যচিত্র তৈরি করেছে, তার কড়া নিন্দা করছি। তথ্যচিত্রটির দ্বিতীয় অংশটি যাতে সম্প্রচারিত না হয় তাই বিবিসির ডিরেক্টর জেনারেল ব্রডকাস্টিং হাউস টিম দাভেইকে চিঠি লিখেছেন হাউস অফ লর্ডসের সদস্য ডলার অমর্ষি পপাট। তিনি জানিয়েছেন, ব্রিটিশ হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তাই এখনই সম্প্রচার বন্ধ করা হোক। কেবল তাই নয়, বিবিসি কর্তৃপক্ষকে তিনি এই উপদেশও দিয়েছেন যে যা সম্প্রচার করা হচ্ছে, তার সত্যাসত্য যাচাই নিশ্চিত হতে হবে। বিবিসিকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, বিবিসির (BBC) তথ্যচিত্রটি দেখে তিনি আঘাত পেয়েছেন।

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২০০২ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময়ের হিংসার ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি তথ্যচিত্রটি সম্প্রচারিত হয়েছে। তিনি লিখেছেন, তথ্যচিত্রটি ভীষণভাবে একপেশে হয়েছে গিয়েছে। হিংসার ঘটনার পরের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা এবং সংসদে প্রধানমন্ত্রী মোদি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। সেই কারণেই ভারতবাসীর আস্থা অর্জন করে তিনি ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এর পরেই তিনি বিবিসি কর্তৃপক্ষকে ঘটনার সত্যাসত্য যাচাই করার পরামর্শ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Kiren Rijiju: গোপনীয়তা ভঙ্গ করেছে কলেজিয়াম! শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রিজিজু

    Kiren Rijiju: গোপনীয়তা ভঙ্গ করেছে কলেজিয়াম! শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রিজিজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারকদের নিয়োগে আপত্তি জানিয়ে পাঠানো গোপন রিপোর্ট, প্রকাশ করে গর্হিত কাজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট, বললেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু। বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কলেজিয়াম পদ্ধতির স্বচ্ছতা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন আইনমন্ত্রী। এবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেন রিজিজু। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন কলেজিয়ামের বিরুদ্ধে গোপন সরকারি তথ্য ফাঁসের অভিযোগ তুললেন তিনি। 

    রিজিজুর যুক্তি

    সরকারের আপত্তির কথা জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে রিজিজু বলেন, ‘‘জনসমক্ষে ‘র’ (ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা) এবং আইবি (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ)-র রিপোর্ট চলে আসা আমাদের কাছে গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।’’ এর ফলে বাহিনীর কর্মক্ষমতায় আঘাত আসতে পারে জানিয়ে রিজিজুর মন্তব্য, ‘‘যদি কোনও গোয়েন্দা আধিকারিক আগে থেকে আঁচ পান, তাঁর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসবে, তবে তিনি দু’বার ভাববেন।’’কেন্দ্রের এই আপত্তির কথা তিনি প্রধান বিচারপতিকে জানাবেন কি না, জানতে চাওয়া হলে রিজিজু বলেন, ‘‘আমি সব সময়ই ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। উনি বিচার বিভাগের প্রধান, আমি সরকার এবং বিচার বিভাগের মধ্যে সেতুর কাজ করি। আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা বিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করতে পারি না। এটি একটি বড় সমস্যা।’’

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    সম্প্রতি, কলেজিয়াম সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে একটি তালিকা আপলোড করে। সেই তালিকায় তিনজের পদোন্নতির কথা বলা হয়। সরকারের তরফ থেকে এই নিয়োগে তীব্র আপত্তি প্রকাশ করা হয়। এই তিনজনের ব্যাপারে আইবি, এবং ‘র’ কি রিপোর্ট দিয়েছে,সেটা সুপ্রিম কোর্টকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোন তিন বিচারপতির পদোন্নাতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলেজিয়াম,আর তাদের সম্পর্কে  সরকারের গোয়েন্দা রিপোর্ট কী, তা-ও সর্বোচ্চ আদালতের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়। এরপরই দেশের শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগ আনেন রিজিজু। , সুপ্রিম কোর্টকে সরকারের তরফ থেকে যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, সেটা অত্যন্ত গোপন। সেই রিপোর্টে প্রকাশ করে সর্বোচ্চ আদালত অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছে। সঠিক সময়ে পদক্ষেপ করা হবে, বলে জানান কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Shradhha Walkar: রাগের মাথায় খুন! শ্রদ্ধা ওয়ালকার কাণ্ডে চার্জশিট জমা দিল দিল্লি পুলিশ

    Shradhha Walkar: রাগের মাথায় খুন! শ্রদ্ধা ওয়ালকার কাণ্ডে চার্জশিট জমা দিল দিল্লি পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের মামলায় প্রায় ৬ হাজার ৬২৯ পাতার চার্জশিট জমা দিল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। মঙ্গলবার আদালতে জমা দেওয়া ওই চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। ঘটনার দিন শ্রদ্ধা তাঁর এক বন্ধুর সাতে দেখা করতে বের হয়েছিল। এটা ভালো মনে মেনে নিতে পারেনি আফতাব। শ্রদ্ধা ফেরার পর তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযুক্ত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বচসার জেরেই শ্রদ্ধাকে খুন করা হয়। চার্জশিটে এ কথাই উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মীনু চৌধুরি।

    আদালতে আফতাব

    দিল্লিতে গত বছর মে মাসে লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুনের দায়ে বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি অভিযুক্ত আফতাব পুনেওয়ালা। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দেয় আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। শুনানি শেষে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে জেল হেফাজতে থাকতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।  এদিন আদালতে শ্রদ্ধা খুনে দিল্লি পুলিশ যে চার্জশিট পেশ করে, সেখানে ফরেন্সিক এবং ইলেকট্রনিক্স তথ্য রয়েছে। ওই দুই তথ্যের উপর নির্ভর করে দিল্লি পুলিশ এই মামলার চার্জশিট পেশ করে বলে খবর।

    চার্জশিটে যা রয়েছে

    পুলিশের দাবি, গত বছরের ১৮ মে প্রথমে শ্বাসরোধ করে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। তারপর প্রমাণ লোপাট করতে দেহ ৩৫ টুকরো করে ফেলে সে। কী ভাবে শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর দেহ খণ্ড খণ্ড করে ফেলা হয়েছিল, তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে চার্জশিটে। ঘটনার তদন্তে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) নয়টি দলকে কাজে লাগানো হয়েছিল। তদন্তের স্বার্থে হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, মহারাষ্ট্রে তদন্তকারীদের পাঠানো হয়। প্রায় দেড়শো জনের জবানবন্দি নেওয়ার পরেই চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার। 

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিট দিল্লি পুলিশের, রয়েছে শতাধিক সাক্ষীর বয়ান

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শ্রদ্ধার শরীরের যে হাড় উদ্ধার করা হয়েছিল, তা প্রমাণ বিশ্লেষণে কাজে লেগেছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, শ্রদ্ধার দেহ কাটার জন্য পাঁচ ধরনের ছুরি এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করেছিল আফতাব। তার স্বীকারোক্তিও চার্জশিটে দেওয়া হয়েছে।  চার্জশিটে সমস্ত DNA রিপোর্টের উল্লেখ থাকছে বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মীনু চৌধুরি। দক্ষিণ দিল্লির মেহরৌলি এলাকা থেকে চুল এবং হাড় উদ্ধার করা হয়েছিল। DNA পরীক্ষায় সেগুলি শ্রদ্ধার বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার প্রায় ৭৫ দিনের মাথায় চার্জশিট দাখিল করল দিল্লি পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pakistan Economic Crisis: পাক অর্থনীতির হাঁড়ির হাল, কী জন্য জানেন কি?

    Pakistan Economic Crisis: পাক অর্থনীতির হাঁড়ির হাল, কী জন্য জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে ভারতের (India) এক প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। গত বছর মার্চের দিকে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে দ্বীপরাষ্ট্র। তার পর থেকে এ পর্যন্ত ছন্দে ফিরতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার পর এবার প্রায় একই হাল হতে চলেছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানেরও (Pakistan Economic Crisis)। ইতিমধ্যেই সাহায্যের জন্য বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে আবেদন করেছে ইসলামাবাদ। এখনও সাহায্য মেলেনি। তাই ক্রমেই হাঁড়ির হাল হচ্ছে পাক অর্থনীতির।

    হাইব্রিড সিস্টেম…

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, পাকিস্তানের এই আর্থিক দুরাবস্থার জন্য দায়ী হাইব্রিড সিস্টেম। যে সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আইএসআইয়ের (ISI) ডিরেক্টর জেনারেল সুজা পাশা। ২০১০ সালে তিনি এই সিস্টেম চালু করেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির মধ্যে অশান্তি জিইয়ে রাখতে। যদিও পাকিস্তানের (Pakistan Economic Crisis) সিংহভাগ বিশেষজ্ঞ, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদদের মতে, ২০১৮ সালের অগাস্টে এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছিল হাইব্রিড সিস্টেম প্রজেক্ট ইমরান। সেজন্য ব্যবহার করা হয়েছিল সমস্ত অবৈধ সম্পদ। তার জেরে ব্যর্থ হয়েছিল বিলিয়ন বিলিয়ন লগ্নি। এসবের প্রভাবও পড়েছিল ইমরান সরকারের জমানায়। পাক অর্থনীতিবিদ খুররম হুসেনের মতে, পাকিস্তানের এই সংকট কাটাতে প্রয়োজন বিশ্বব্যাঙ্কের সাহায্য। এজন্য রাজনৈতিক মূল্য চোকাতে হতে পারে। তিনি মনে করিয়ে দেন ক্ষমতায় আসার আগে শাহবাজ শরিফ একাধিকবার দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মিফতা ইসমাইলের সঙ্গে। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের শর্ত মেনে শাহবাজ যখন অর্থনৈতিক সংস্কার করতে শুরু করলেন, তখন দলেই শুরু হয় অশান্তি। দলীয় নেতাদের অনেকেই লন্ডনে নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দরবার করতে শুরু করেন।

    আরও পড়ুুন: ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    পাকিস্তানের (Pakistan Economic Crisis) বর্তমান অর্থমন্ত্রী ইশাক দার লন্ডনে শরিফকে জানান অর্থমন্ত্রী মতিফ ইসমাইল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারছেন না। এর পরেই মতিফকে সরিয়ে অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয় দারকে। তার পরেও বদলায়নি পাক অর্থনীতির হাল। পাকিস্তানের অর্থনীতিবিদদের সিংহভাগের মতে, ভুল সিদ্ধান্তের জন্যই ভেঙে পড়েছে পাক অর্থনীতি। কী ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, কী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ কেউই সংস্কারের রাস্তায় হাঁটেননি। সেই কারণেই লাগামছাড়া হয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। সরকারের ভুল নীতির জন্যই দেশে বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারও তলানিতে। মড়ার ওপর ঘাঁড়ার ঘায়ের মতো রয়েছে চিনা ঋণের ফাঁদ। সব মিলিয়ে আক্ষরিক অর্থেই গাড্ডায় পাক অর্থনীতির রথের চাকা। পাক সরকার এই ক্রাইসিস কীভাবে সামাল দেয়, এখন তাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: “টাকার বিনিময়ে চাকরি, ইয়ার্কি হচ্ছে?”, গ্রুপ ডি-এর ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    SSC Scam: “টাকার বিনিময়ে চাকরি, ইয়ার্কি হচ্ছে?”, গ্রুপ ডি-এর ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে এসএসসি গ্রুপ ডি মামলায় কড়া বার্তা দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)। এই মামলার শুনানিতে ফের একবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই। বিচারপতি বসুর মন্তব্য, “ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের সরাসরি জিজ্ঞাসা করুন, কাকে টাকা দিয়েছে? কাদের টাকা দিয়েছে জানতেই হবে সিবিআইকে।” এ ব্যাপারে এসএসসিকে ৭ দিন সময় দিয়ে বিচারপতি বসু বলেছেন, “গাজিয়াবাদ থেকে পরীক্ষার্থীদের যে উত্তরপত্র  বা ওএমআর শিট উদ্ধার করা হয়েছে, তা ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এসএসসিকে নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে।” আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। অন্যদিকে ঘুষ দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন এদিন তাদেরও চরম ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি।

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে সিবিআই ও বেআইনি চাকরিপ্রার্থী

    এসএসসি গ্রুপ ডি মামলার শুনানিতে এদিন একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সিবিআইকে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলা হয়েছিল। এদিন বিচারপতি বসু বলেন, “কাকে টাকা দেওয়া হয়েছে সেই তথ্য জানতেই হবে সিবিআইকে। ঘুষ দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের জিজ্ঞাসা করুন টাকা তারা দিয়েছেন কাকে?”

    এদিন বেআইনি চাকরীপ্রার্থীদেরও তিরস্কার করা হয়। “পড়ুয়াদের কথা না ভেবে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। আবার আদালতে এসে কথা বলছে, ইয়ার্কি হচ্ছে?” অবৈধ চাকরিপ্রাপকদের উদ্দেশে মন্তব্য বিচারপতি বসুর।

    আরও পড়ুন: ইস্তফা প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করা ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ

    এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অন্তত ৪৪৮৭টি উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটের সন্ধান গাজিয়াবাদে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই উত্তরপত্রই এসএসসির ওয়েবসাইটে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও গ্রুপ ডি সংক্রান্ত মামলায় ওএমআর প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবারে বিচারপতি বসুও তাই করলেন। তবে তিনি এবারে সময় বেঁধে দিলেন।

    এসএসসি-র উদ্দেশে কী বললেন বিচারপতি বসু?

    এদিন এসএসসি-কে ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন করেন, যদি এই সব কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেখানে দ্রুত নিয়োগের জন্য কতটা প্রস্তুত এসএসসি? কর্মী না থাকলে যে স্কুল চালানো সমস্যা হবে, সে কথাও উল্লেখ করেন বিচারপতি। এর পর তিনি নতুন নিয়োগের কথাও উল্লেখ করে বলেন। আর এসএসসির কাছে নতুন নিয়োগ নিয়ে প্রস্তুতির কথাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতি বসুর মন্তব্য, “দুর্নীতি যেখানে পরিষ্কার, সেখানে কেন এই ব্যক্তিদের এখনও সরিয়ে দিতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। কিসের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে?” পরবর্তী শুনানির দিন বিচারপতির প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে তার আগে বিচারপতির নির্দেশে ওএমআর শিট প্রকাশের অপেক্ষায় চাকরিপ্রার্থীরা।

  • Recruitment: যখন বিশ্বজুড়ে চলছে ছাঁটাই, তখনই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জোম্যাটোর

    Recruitment: যখন বিশ্বজুড়ে চলছে ছাঁটাই, তখনই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জোম্যাটোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা বিশ্বজুড়েই ব্যাপকহারী চাকরি খোয়াচ্ছেন (Recruitment) মানুষ। বিশেষ করে পশ্চিমের দেশগুলিতে বড় বড় সংস্থাগুলি থেকে মাঝে মাঝেই কর্মী ছাটাই- এর খবর সামনে আসছে। মাইক্রোসফট, অ্যামাজন, গুগল, মেটা এবং টুইটারের মতো টেক জায়ান্টরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই করছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন বছরের শুরুতেই প্রতিদিন ১৬০০ কর্মীর চাকরি যাচ্ছে। চাকরির বাজারে এমন দোলাচলে সারা বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা তো বটেই, চাকরি প্রত্যাশী সমগ্র যুব সম্প্রদায়ই অস্থির। সম্প্রতি স্পটিফাইও ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছে। কর্মী সংখ্যা ৬ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা করেছে এই সংস্থা।   

    এরই মাঝে স্রোতের বিপরীতে হাঁটল ফুড ডেলিভারি সংস্থা (Recruitment) জোম্যাটো। সংস্থাটির সিইও দীপিন্দর গোয়েল লিঙ্কডইন-এ নিয়োগ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেছেন। দীপিন্দরের পোস্ট অনুযায়ী ৮০০ পদে কর্মী নেবে জোম্যাটো। 

    দীপিন্দর গোয়েল তাঁর লিঙ্কডইন অ্যাকাউন্টে পাঁচটি পদের জন্য বিজ্ঞাপন পোস্ট (Recruitment) করেছেন। পদগুলি হলো- সিইওর চিফ অব স্টাফ, জেনারেলিস্ট, গ্রোথ ম্যানেজার, প্রোডাক্ট ওনার এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার।

    কী লিখেছেন জোম্যাটো সিইও? 

    দীপিন্দর লিঙ্কডইন-এ লিখেছেন, “জোম্যাটোতে এই ৫টি পদে আমাদের প্রায় ৮০০টি শূন্যপদ রয়েছে৷ আপনি যদি এই পদগুলির জন্য (Recruitment) সত্যিই উপযুক্ত এবং যোগ্য কাউকে চেনেন, অনুগ্রহ করে তাদের এই থ্রেডে ট্যাগ করুন৷ এই পদগুলির সম্পর্কে আরও জানার আগ্রহ থাকলে, অনুগ্রহ করে আমাকে deepinder@zomato.com-এ ইমেল করুন।”

    সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, জোম্যাটোর কিছু ডেলিভারি এজেন্ট চেষ্টা করছিলেন যাতে, কোম্পানির পরিবর্তে গ্রাহক এই এজেন্টদের নিজেদের অর্ডারের জন্য ২০০ টাকা বা ৩০০ টাকা দেন। একজন লিঙ্কডইন ব্যবহারকারী এই কেলেঙ্কারির কথা তুলে ধরেন এবং সিইও দীপিন্দর গোয়ালকে ট্যাগ করে এই বিষয়ে জানান।

    আরও পড়ুন: মুড়ি গঙ্গায় বিলাসবহুল ক্রুজ থেকে চুরি টাকা-গয়না, প্রশ্নের মুখে পর্যটক সুরক্ষা  

    তিনি জানিয়েছিলেন, অর্ডার করার মিনিট ৩০-৪০ বাদে ডেলিভারি কর্মী (Recruitment) এসে জানান, পরের বার অনলাইনে টাকা না দিতে। কারণ জিজ্ঞাসা করাতে ওই কর্মী জানান, পরেরবার সিওডি বা ক্যাশ অন ডেলিভারির মাধ্যমে ৭০০-৮০০ টাকা মূল্যের খাবার অর্ডার করলে এর জন্য মাত্র ২০০ টাকা দিতে হবে। ওই কর্মী জোমাটোকে দেখাবেন যে ক্রেতা খাবার নেননি কিন্তু আসলে অর্ডার করা খাবার দিয়ে দেবেন। অর্থাৎ এই ২০০ বা ৩০০ টাকা সম্পূর্ণ তাঁর লাভ, সংস্থার এতে কোনও লাভ হচ্ছে না। ক্রেতাও ৮০০ টাকার বদলে ৩০০ টাকাতেই খাবারও পাচ্ছেন, সাশ্রয়ও হচ্ছে! দীপিন্দর গোয়েল জানিয়েছিলেন, এই বিষয়টি সম্পর্কে তিনি সচেতন এবং সমাধান করার উপায়ও খুঁজে বের করছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

LinkedIn
Share