Blog

  • Aadhaar Card: ১০ বছরে অন্তত একবার আপডেট করতে হবে আধার কার্ডের তথ্য, নয়া গাইডলাইন কেন্দ্রের

    Aadhaar Card: ১০ বছরে অন্তত একবার আপডেট করতে হবে আধার কার্ডের তথ্য, নয়া গাইডলাইন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার কার্ড (Aadhaar) নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। এবার থেকে আধার কার্ড করা থাকলেই দায়িত্ব ফুরিয়ে যাবে না। এতদিন সদ্যোজাত শিশু কিংবা নাবালকদের কয়েক বছর অন্তর আধারের তথ‌্য ও বায়োমেট্রিক তথ‌্য আপডেট করতে হত। কিন্তু এখন থেকে প্রাপ্তবয়স্কদেরও ১০ বছর অন্তর আপডেট করতে হবে আধার কার্ডের তথ্য। 

    আরও পড়ুন: কোভিড না ডেঙ্গি, বুঝবেন কী করে?

    প্রতি দশ বছরে তথ্যে কোনও বদল না থাকলেও, আধারের তথ‌্য আপডেট করা বাধ্যতামূলক। আধার কার্ডের তথ্যের সত‌্যতা ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই এই পদক্ষেপ বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ‌্যপ্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি দশ বছরে অন্তত একবার ব্যক্তিগত নথি এবং বাসস্থানের প্রামাণ‌্য নথি জমা করে সেন্ট্রাল আইডেন্টিটিজ ডেটা রিপোজিটরি বা সিআইডিআর-এর কাছে নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে হবে। গত মাসে কেন্দ্রের আধার বিষয়ক বিভাগ ইউআইডিএআই-এর তরফে জানানো হয়, যাঁদের আধার কার্ড দশ বা তার বেশি সময় আগে ইস্যু করা হয়েছে তাঁদের আধারের ঠিকানা ও অ‌ন‌্যান‌্য নথির প্রমাণ জমা দিয়ে আধার আপডেট করতে হবে।

    কী করে করবেন আধার আপডেট?

    এর জন‌্য মাই আধার ইউআইডিএআই-এর পোর্টালে ‘আপডেট ডকুমেন্ট’ নামে নতুন একটি ট‌্যাব যোগ করা হয়েছে। সেখানে সমস্ত নথি দিয়ে আধার আপডেট করতে হবে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আধার এনরোলমেন্ট সেন্টারে নথি জমা দিয়েও আধার আপডেট করা যাবে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবারই কেন্দ্রের তরফে নিয়মে পরিবর্তন এনে প্রতি দশ বছর অন্তর আধার আপডেট করার বিষয়টি বাধ‌্যতামূলক করা হয়েছে। যদিও নিয়ম পরিবর্তনের বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি কেন্দ্র।

    অক্টোবরে ইউআইডিএআই-এর তরফে বেশ কিছু আধার নম্বর জানিয়ে বলা হয়েছিল, সেইসব আধার নম্বরধারীরা তাদের শনাক্তকরণ এবং বসবাসের প্রমাণের নথিগুলি যেন আপডেট করেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধও করা হয়েছিল। কেননা সেইসব আধার নম্বরগুলি দশ বছরের আগে ইস্যু করা হয়েছিল, যেগুলির গত ১০ বছরের বেশি সময়ে কোনও আপডেট করা হয়নি। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অন্তত হাজার সরকারি প্রকল্পে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে সনাক্তকরণে আধার ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে ৬৫০ টি প্রকল্প রাজ্য সরকারগুলির এবং ৩১৫ টি প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের। এসবগুলির ক্ষেত্রেই ইকোসিস্টেম এবং বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণ ব্যবহার করা হয়।

    ইউআইডিএআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৩৪ কোটি আধার নম্বর দেওয়া হয়েছে। তবে ‘আপডেট ডকুমেন্ট’ বৈশিষ্টটি যুক্ত করার পরে ঠিক কতজনকে আধার আপডেট করতে হবে, তা জানা যায়নি। তবে গত বছরে দেশের প্রায় ১৬ কোটি মানুষ তাঁদের আধার ডকুমেন্ট আপডেট করেছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
  • Calcutta High Court: ৩৯২৯টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ৩৯২৯টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ফের ধাক্কা খেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বড় জয় পেল ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণরা। বকেয়া ৩ হাজার ৯২৯টি শূন্যপদেই নিয়োগ করতে হবে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের। এই শূন্যপদে অন্য কোনও প্রার্থীর নিয়োগের অধিকার নেই। এমনটাই নির্দেশে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ এই সংক্রান্ত মামলার রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ নিয়োগ নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকেই বহাল রাখল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ।

    ডিভিশন বেঞ্চে কী বলা হল?

    আজ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জানানো হয়েছে, ২০১৪-এর টেট পরীক্ষায় যে ৩৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগ হয়নি, সেই শূন্যপদে ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণদেরই মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। এই শূন্যপদে অন্য কোনও টেট উত্তীর্ণদের অধিকার নেই। গত সেপ্টেম্বরে প্রাথমিকের ৩৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর তাঁর রায় বহাল রেখেই আজকের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। আবার, সেসময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ ২৫২ জনকে সরাসরি নিয়োগের নির্দেশও দিয়েছিল। কিন্তু আজ তা খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে, একমাত্র যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ৩২৫ জনের নিয়োগ করতে টাকা নিয়েছিলেন মানিক! ইডির হাতে নতুন তথ্য

    এরপরেই সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নিয়োগ-নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court) যায় পর্ষদ। দাবি করে তারা ২০২২ সালে প্রায় সাড়ে এগারো হাজার শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সেই মামলায় আজ ডিভিশন বেঞ্চ সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে যে, পর্ষদ যদি ওই ৩৯২৯টি শূন্যপদ ধরে ২০২২ সালে সাড়ে ১১ হাজার শূন্যপদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে থাকে, তাহলে প্রথমেই ওই ৩৯২৯টি পদ হিসেব থেকে বাদ দিতে হবে। কারণ ওই পদগুলিতে ২০১৪-র টেটের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। এ বাদে যে পদগুলি বাকি থাকবে তার নিয়োগে অংশ নিতে পারেন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা।

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট-র ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’বার নিয়োগ হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সব পদ পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। ২০২০ সালের নিয়োগে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু পরে জানা যায়, সেই সময় সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ হয়েছিল। অর্থাৎ ৩৯২৯টি পদ বাকি থেকে যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) শূন্যপদে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের নির্দেশ দেন। প্রশ্ন ভুল থাকায় পরে মামলাকারীদেরও চাকরি দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরেই আজ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকেই মান্যতা দিল ডিভিশন বেঞ্চ। শুধুমাত্র সরাসরি ২৫২ জন প্রার্থীর নিয়োগের নির্দেশকেই মানা হয়নি।

  • Tushar Mehta: দেশবিরোধী কাজে যুক্ত থাকলেই পদক্ষেপ! আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পরিষদের সভায় ভারত

    Tushar Mehta: দেশবিরোধী কাজে যুক্ত থাকলেই পদক্ষেপ! আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পরিষদের সভায় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে ভারত সরকার কেন কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে তা স্পষ্ট করলেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। জেনেভায় হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সভায় বেশ কিছু সদস্য দেশ ভারত সরকারের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ আনে। যদিও সেই অভিযোগ তথ্যভিত্তিক যুক্তির পেরিপ্রেক্ষিতে উড়িয়ে দেন তুষার মেহতা। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদান রয়েছে। কিন্তু কেউ যদি আইন না মানে, অনৈতিক ও দেশদ্রোহী কার্যকলাপ চালায় তাহলে যে কোনও সরকারের কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার রয়েছে। ভারত সরকার সেই পথেই হেঁটেছে। কারণ যেসব সংখ্যালঘু এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাঁরা নানা অভিযোগে অভিযুক্ত। কেউ দেশের আইন লঙ্ঘন করেছেন। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত প্রমাণ রয়েছে। তার ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

    আয়ারল্যান্ডের অভিযোগ

    উল্লেখ্য, আয়ারল্যান্ড সহ বেশ কয়েকটি দেশ অভিযোগ করে, ভারতে নাকি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বেছে বেছে সংখ্যালঘু নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে সরকার। বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ভুয়ো মামলায় ফাঁসানোর মতো অভিযোগ তোলা হয়েছে জেনেভার সভায়। এমনকি ভারতে বাক স্বাধীনতা নেই বলেও দাবি করা হচ্ছে। আরও একদম এগিয়ে, জার্মানির প্রতিনিধি অভিযোগ করেন, ভারতে দলিতরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ইতালির প্রতিনিধি প্রস্তাব রাখেন, সংখ্যালঘুদের উপর যাতে নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ হয় সে ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিক ভারত সরকার। ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে সওয়াল করেন বেলজিয়ামের প্রতিনিধি।

    ভারতের উত্তর

    সমস্ত প্রশ্নের উপযুক্ত উত্তর দিয়েছেন সলিসিটার জেনারেল। তিনি বুঝিয়ে দেন, ভারত সরকার সঠিক পদক্ষেপ করেছে। যে কোনও দেশ তার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। কেউ যদি পর্দার আড়ালে দেশ বিরোধী কাজ করে তাকে ছেড়ে দেওয়া যায় না। তবে শুধুই যে সমালোচিত হয়েছে ভারত তা নয় অনেকেই মোদি সরকারের প্রশংসাও করেছেন। কোভিডের সময় পাশে থাকার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মালদ্বীপ। মোরবি ব্রিজ দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান দ্যা মার্শাল আইল্যাণ্ডের প্রতিনিধি।

  • Manik Bhattacharya: প্রাথমিকে ৩২৫ জনের নিয়োগ করতে টাকা নিয়েছিলেন মানিক! ইডির হাতে নতুন তথ্য

    Manik Bhattacharya: প্রাথমিকে ৩২৫ জনের নিয়োগ করতে টাকা নিয়েছিলেন মানিক! ইডির হাতে নতুন তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন যত এগোচ্ছে তত নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক চাঞ্ল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এবারে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকার বিনিময়ে ৩২৫ জনের নিয়োগ হয়েছিল প্রাথমিকে (Primary Recruitment), আর এর নেপথ্যেও ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। গতকাল আদালতে চাঞ্চল্যকর এই দাবি করল ইডি (ED)। আবার এই মামলায় এখন শুধুমাত্র প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক নেই, ইডির স্ক্যানারে রয়েছে তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্যও।

    জামিনের আবেদন খারিজ

    অন্যদিকে ফের জামিনের আবেদন করেছিল মানিকের আইনজীবী (Manik Bhattacharya)। কিন্তু গতকাল দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক মানিকের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে ফের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন। আাগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ইডির বিশেষ আদালত। ফলে তিনি আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলেই থাকবেন।

    আরও পড়ুন: “যা বলার সব ইডিকে বলেছি…”, কী বললেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল?

    ইডির কী দাবি?

    বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) আদালতে পেশ করে ইডি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে যে, টাকার বিনিময়ে ৩২৫ জনকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের, যার পেছনে হাত রয়েছে মানিকের। ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি এদিন আদালতে জানান, এই ৩২৫ জন ২০১৪ সালে টেট দেন। তদন্তে উঠে এসেছে যে, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ওই চাকরিপ্রার্থীদের পাশ করাতে সাহায্য করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেই মধ্যস্থতাকারীদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে।

    ইডির স্ক্যানারে মানিকের পরিবারের সদস্যও

    নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই নাম উঠে এসেছিল মানিকের (Manik Bhattacharya) ছেলে সৌভিকের। এবারে নাম উঠে এসেছে মানিকের ভাই, জামাই ও জামাইয়ের বাবারও। শুনানিতে ইডি দাবি করে, মানিকের জামাই ও ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন হওয়ার পাশাপাশি আরও একাধিক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ে। তাই এ নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।

    কিন্তু অন্যদিকে আদালতে মানিকের আইনজীবী দাবি করেন, মানিককে নিয়ে ইডি যে তদন্ত করছে তা সব বেআইনি। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই যে চার্জশিট দিয়েছে বা এফআইআরে মানিকের (Manik Bhattacharya) নাম নেই। আর এসব শোনার পর গতকাল তাঁর জামিনের আবেদন ফের খারিজ করে দেয় ও ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

     

  • BSF: বিএসএফের গুলিতে খতম দুই বাংলাদেশি পাচারকারী

    BSF: বিএসএফের গুলিতে খতম দুই বাংলাদেশি পাচারকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারের কৈমারী (Kaimari in Coochbehar) সীমান্তে বিএসএফের (BSF) গুলিতে মৃত্যু হল দুই বাংলাদেশী পাচারকারীর। বুধবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ বিএসএফের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, গতকাল গভীর রাতে সংশ্লিষ্ট সীমান্তে ১৫ থেকে ২০ জনের ভারত ও বাংলাদেশী যৌথ একটি পাচারকারী দল সীমান্তে গরু পাচার করছিল। সেই সময় বিএসএফের ৭৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা তাদের বাধা দিলে পাল্টা পাচারকারীরা আক্রমণের চেষ্টা করে। এরপর পাচারকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বিএসএফ জওয়ান দুটি স্ট্যান্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এরপরেও বাংলাদেশী পাচারকারীরা ভারতীয় পাচারকারীদের সহযোগিতায় বিএসএফদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এর পাশপাশি ধারালো অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র এবং বাঁশের লাঠি নিয়ে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানকে ঘিরে ফেলে।  

    গুলি চালাতে বাধ্য হন বিএসএফ জওয়ানরা

    জীবনের ঝুঁকিতে আত্মরক্ষায় বিএসএফ জওয়ানরা পাচারকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। সেই ঘটনায় দুজন বাংলাদেশী গুলিতে প্রথমে আহত হন এবং তাদের পাচারকারীরা বাংলাদেশে নিয়ে যায় সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়। এমনটাই বিএসএফ সূত্রে খবর। এবং বাকি পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরে বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরেই ওই দুজন মারা গেছেন বলেও জানতে পেরেছেন বিএসএফ জওয়ানরা।   
     
     
     
    এই ঘটনায় এক বিএসএফ জওয়ানও আহত হয়েছেন বলে বিএসএফ ৭৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ান সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। এই ঘটনার পরে বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে সীমান্তে পাচারকারীদের পাচার রুখতে আগামী দিনে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বিএসএফ। পাচারকারীরা বেশিরভাগ সময়েই সঙ্ঘবদ্ধ হয়। সংখ্যাতেও অনেক বেশি থাকে। অন্যদিকে সীমান্ত রক্ষী মোতায়েন করা হয় বেশ কিছুটা দূরে দূরে, একেকজন করে। তাই সঙ্ঘবদ্ধ আক্রমণের শিকারও হন বিএসএফ সদস্যরা। এধরণের ঘটনায় বিএসএফ সদস্যরাও আহত হন এবং মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। 
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
     
     
     

         

  • Foreign Trade Policy: বড় ঘোষণা! বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে সংশোধনী আনল কেন্দ্র

    Foreign Trade Policy: বড় ঘোষণা! বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে সংশোধনী আনল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো ভারতীয় (Indian) অর্থনীতিতেও বৈদেশিক বাণিজ্য নীতির (Foreign Trade Policy) গুরত্ব অপরিসীম। এই বৈদেশিক বাণিজ্য যাতে মসৃণ হয়, সেজন্য বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে সংশোধনী আনল কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রের তরফে নয়া বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি ঘোষণা করা হয়। ভারতীয় মুদ্রায় (Rupee) যাতে আন্তর্জাতিক ট্রেড সেটলমেন্ট করা যায় সেজন্য হ্যান্ডবুক অফ প্রসিডিওরসও ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় যাতে আমদানি কিংবা রফতানি করা যায়, সে ব্যাপারেও এদিন ঘোষণা করা হয়েছে।

    কী বলা হয়েছে বিবৃতিতে?

    ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত সরকার বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে (Foreign Trade Policy) প্রয়োজনীয় সংশোধনী নিয়ে এসেছে। ভারতীয় মুদ্রায় যাতে আন্তর্জাতিক ট্রেড সেটলমেন্ট করা যায়, সেজন্য হ্যান্ডবুক অফ প্রসিডিওরসও ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে ভারতীয় মুদ্রায় করা যাবে ইনভয়েসিং, পেমেন্ট এবং আমদানি রফতানি সেটেলমেন্ট। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সার্কুলারকে মান্যতা দিয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় টাকায় ইনভয়েস, লেনদেন ও আমদানি-রফতানি সেটেলমেন্ট করার অনুমতি দিয়েছিল ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড।

    আরও পড়ুন: যেভাবে ঋণ নিচ্ছে রাজ্য, তাতে ভেঙে পড়তে পারে অর্থনৈতিক কাঠামো! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

    এর আগে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছিল ভারত এবং রাশিয়া দুই দেশই। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখে শুরু হয় রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। তার পর থেকে গোটা বিশ্ব ভাগ হয়ে যায় দুটি ভাগে। একদল সমর্থন করে রাশিয়াকে। ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায় বিশ্বের বাকি অংশ। ওই সময় রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পশ্চিমের কয়েকটি দেশ। এর মধ্যে ছিল আমেরিকাও। তার জেরে রাশিয়ার মুদ্রা রুবেলের সঙ্গে ভারতীয় মুদ্রা রুপির বিনিময়ও সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। অথচ বিশ্বের একটা বড় অংশ রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য না করায় পড়ে যায় সে দেশের জীবাশ্ম জ্বালানির দাম। এই সুযোগে রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে আগ্রহী হয় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। রাশিয়ার বন্ধু দেশ ভারতও দেশের চাহিদা মেটাতে রাশিয়া থেকে সংগ্রহ করে জীবাশ্ম জ্বালানি। সেই সময় সমস্যা দেখা দেয় রুপি-রুবেল বিনিময়ে। পরে দুই দেশই সিদ্ধান্ত নেয় আর্থিক লেনদেন হবে দুই দেশের নিজস্ব মুদ্রায়। এবার নয়া বৈদেশিক বাণিজ্য নীতির (Foreign Trade Policy) জেরে ভারত অনায়াসেই বাণিজ্য করতে পারবে ভারতীয় মুদ্রায়।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • T20 WORLD CUP: লজ্জার হার ভারতের! ১০ উইকেটে জিতে ফাইনালে ইংল্যান্ড

    T20 WORLD CUP: লজ্জার হার ভারতের! ১০ উইকেটে জিতে ফাইনালে ইংল্যান্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ! ভারত-পাকিস্তান মহারণ তো দূর খেলাটা যে সেমি ফাইনাল তাই বোঝা গেল না। আলেক্স হেলস, জস বাটলার, দুজনেই শেষ করে দিলেন ভারতের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন। হেভিওয়েট সেমিফাইনালের (T20 World Cup) আগেই শোয়েব আখতার বলে দিয়েছিলেন যে দল রান চেজ করবে, তাঁদের হাতেই জয়ের চাবিকাঠি। সেই ভবিষ্যৎবাণীই যে অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল। তবে এরকম লজ্জার হার বোধহয় ভাবতে পারেননি কেউ। হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটিং বিক্রমে ভর করে অ্যাডিলেডের স্লো পিচে ভারত ১৬৮ তুলেছিল কোনওরকমে। স্কোরবোর্ডে এই রান  যে যথেষ্ট নয় তা বোঝাই গিয়েছিল। কিন্তু ১০ উইকেটে হার যেন মেনে নিতে পারছেন না কেউই। বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড ১৬৯ তুলল কোনও উইকেট না হারিয়েই। চার ওভার বাকি থাকতে। হাতে ১০ উইকেট নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করে ফাইনালে উঠল ব্রিটিশরা।

    নক আউট খরা

    নক আউট অভিশাপ কাটল না ভারতের। বারবার মরণ বাঁচন ম্যাচে গিয়ে পরাজিত হতে হচ্ছে রোহিত বাহিনীকে। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। বিশ্বকাপের সুপার ১২ পর্যায়ে দুরন্ত খেলার পরেও কেন নক আউট থেকেই বিদায় নিতে হল রোহিতদের। সেমিফাইনাল বা ফাইনাল ট্রফি জয় অধরাই থেকে গেল ভারতের। শেষ ২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত। তারপর থেকে আর কোনও আইসিসি ট্রফি নেই বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যতম পাওয়ার হাউসের। 

    আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তান

    ভারতের ব্যাটিং

    ভারতীয় ব্য়াটিং লাইন আপের টপ অর্ডার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পুরোপুরি ব্যর্থ। লোকেশ রাহুল শেষ দুই ম্যাচে রান করেছেন। প্রথম তিন ম্যাচে ব্যর্থ। সেমিফাইনালেও ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি। অধিনায়ক রোহিত শর্মা শুরুটা ভাল করলেও বড় রান এল না তাঁর ব্যাটে। টুর্নামেন্টে একমাত্র নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে রান পেয়েছিলেন তিনি। ইনিংসের শুরু ভাল না হলে মিডল অর্ডারে চাপ বাড়তে বাধ্য। বড় ম্যাচের চাপ নিতে না পেরে ফিরে গেলেন সূর্যক কুমারও। বিরাট কোহলি অ্যাডিলেডে প্রথম বার আউট হলেন। তার আগে অনবদ্য একটা ইনিংস খেলেন। ৪০ বলে ৫০ রানের ইনিংস। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৪ হাজার রানের মাইলফলক পেরোলেন বিরাট। ১৫ ওভারে ভারতের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১০০। এখান থেকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৮-৬ সম্ভব হল হার্দিক পান্ডিয়ার জন্য। মাত্র ৩৩ বলে ৬৩ রানের ইনিংস হার্দিকের।

    ভারতের বোলিং

    অ্যাডিলেডের স্কোয়ার বাউন্ডারি ছোট। বোর্ডে রানও কম। তবু একবার লড়াইয়ের চেষ্টা করা যেত। কিন্তু শুরু থেকেই যেন হেরে গেলেন বোলাররা। ভুবির প্রথম ওভারেই এল ১৩ রান। পুরো টুর্নামেন্টে অক্ষর ব্যর্থ। তবু পাওয়ার প্লে-তে অক্ষর প্যাটেলকে বোলিং করিয়ে গেলেন রোহিত। জস বাটলার-অ্যালেক্স হেলস ওপেনিং জুটিতে পাওয়ার প্লে-তে ৬৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। সেখানেই ম্যাচ হেরে যায় ভারত। বাকিটা শুধু ছিল সময়ের অপেক্ষা। 

    সংক্ষিপ্ত স্কোর : ভারত ১৬৮-৬, ২০ ওভার (হার্দিক পান্ডিয়া ৬৩, বিরাট কোহলি ৫০)। ইংল্যান্ড ১৭০-০, ১৬ ওভার (অ্যালেক্স হেলস ৮৬*, জস বাটলার ৮০*)। ইংল্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী।

     

     

  • Tiger 3: ‘টাইগার ৩’-তে ফের একসঙ্গে ‘করণ-অর্জুন’! কবে শ্যুটিং শুরু করবেন বাদশা?

    Tiger 3: ‘টাইগার ৩’-তে ফের একসঙ্গে ‘করণ-অর্জুন’! কবে শ্যুটিং শুরু করবেন বাদশা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় পর্দায় ফের একসঙ্গে দেখা যাবে করণ-অর্জুনকে! অর্থাৎ একই ছবিতে বলিউডের কিং খানভাইজানকে দেখা যাবে, এমনটাই জানা গিয়েছে। এমনিতেই শাহরুখ-সলমনের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে বলিপাড়ায় চর্চার শেষ নেই। তার মধ্যে এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই শাহরুখ-সলমনপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছে। বড় পর্দায় হেভিওয়েট দুই খানকে একসঙ্গে দেখতে মুখিয়ে আছেন ভক্তরা।

    প্রায় অনেক দিন থেকেই গুঞ্জন রটেছিল যে, তাঁদের একসঙ্গে বড় পর্দায় দেখা যাবে কোনও এক ছবিতে। আর সেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন তাঁদের অনুরাগীরাও। আর এবারে সেই আশাই সত্যি হল বলে! তবে কোন ছবিতে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যাবে, এই নিয়েও কৌতুহলের শেষ ছিল না। এরপরেই জানা গেল, দুজনেই দুজনের ছবিতে ক্যামিও রোলে দর্শকদের নজর কাড়তে চলেছেন। অর্থাৎ সলমন খানকে ক্যামিও রোলে শাহরুখের ছবি ‘পাঠান’-এ দেখা যাবে ও শাহরুখকে ভাইজানের ‘টাইগার ৩’-তে দেখা যাবে। আরও জানা গিয়েছে, ‘পাঠান’-এ জাসুস টাইগার চরিত্রে দেখা যাবে সলমন খানকে। আবার ‘টাইগার ৩’-তে পাঠানের চরিত্রে দেখা যাবে শাহরুখকে।

    আরও পড়ুন: অ্যাকশনে ভরপুর সিনেমা দিয়ে প্রত্যাবর্তন বলিউড বাদশার, মুক্তি পেল ‘পাঠান’- এর টিজার

    ‘টাইগার ৩’-এর শ্যুটিং কবে শুরু করবেন শাহরুখ ?

    সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ‘পাঠান’ ছবি মুক্তি পাওয়ার পরেই ‘টাইগার ৩’ -এর শ্যুটিং শুরু করবেন কিং খান। একদিকে অ্যাটলি কুমারের ছবি জওয়ান, অন্যদিকে রাজকুমার হিরানি পরিচালিত ডাঙ্কি, দুটি ছবির শ্যুটিংয়েই দারুণ ব্যস্ত রয়েছেন শাহরুখ। অন্যদিকে চলছে বহু প্রতীক্ষিত ছবি পাঠান-এর প্রোমোশন। ফলে বাদশার ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, ‘পাঠান’ মুক্তি পাওয়ার পরপরই ‘টাইগার ৩’তে নিজের ক্যামিও রোলের শ্যুটিং সেরে ফেলবেন শাহরুখ। অন্যদিকে বহুদিন আগেই ‘পাঠান’-এর শ্যুটিং সেরে ফেলেছেন সলমন।

    কবে মুক্তি পাবে ‘পাঠান’ ও ‘টাইগার ৩’ ?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, শাহরুখের ‘পাঠান’ ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে। এতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন দীপিকা পাডুকোন ও জন আব্রাহাম। সদ্য মুক্তি পেয়েছে পাঠানের টিজারও। ছবি নিয়ে বেড়েছে দর্শকের প্রত্যাশা। অন্যদিকে ‘টাইগার ৩’ ২০২৩-এর দিওয়ালিতে রিলিজ হবে। সলমন খান ছাড়াও ‘টাইগার ৩’-তে মুখ্য চরিত্রে থাকছেন ক্যাটরিনা কইফ এবং ইমরান হাশমি। প্রথমে ঠিক ছিল, ঈদেই এই ছবি মুক্তি পাবে। কিন্তু শাহরুখের জন্য অপেক্ষা করেই এই ছবির মুক্তির দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে বেশ ভালো অ্যাকশন সিন রয়েছে বাদশার। যা শ্যুট করতে সময় লাগবে খানিকটা। তবে খুব শীঘ্রই বাদশা শ্যুটিং শুরু করতে চলেছেন। তাই এবার শুধু পর্দায় এক সঙ্গে শাহরুখ-সলমনকে দেখার অপেক্ষা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Exam: ‘আইন না মানলে বন্ধ টেট’, পর্ষদকে কড়া হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET Exam: ‘আইন না মানলে বন্ধ টেট’, পর্ষদকে কড়া হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার টেট পরীক্ষা (TET Exam) বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। আইন মেনে পরীক্ষা না হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে পরীক্ষা, সাফ জানিয়ে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদ বন্ধুর মতো আচরণ করছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    কবে টেট পরীক্ষা?

    টেট কেলেঙ্কারির জেরে বিব্রত রাজ্য সরকার (State Govt.)। শেষমেশ শিক্ষক সমস্যার সমাধান করতে চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা (TET Exam) নেওয়ার কথা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি ছিল টেট সংক্রান্ত একটি মামলার। ২০১৭ সালে টেটের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলেও, ২০১৪র ফল বের করেনি পর্ষদ। তা নিয়েই মামলা হয়। চলছিল শুনানিও। কেবল এটিই নয়, টেট নিয়ে বুধবার একাধিক মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে পর্ষদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে থাকে। তার জেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চমক, কে কে লড়ছেন জানেন?

    এদিন টেট নিয়ে মামলার শুনানি চলাকালীনই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে আরও একবার অসন্তোষ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন আদালতে তিনি বলেন, পর্ষদ বন্ধুর মতো আচরণ করছে না। আমি আমার আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করছি, যেখানে বলেছি নিয়োগে বাধা দেব না। এখন যদি দেখি আইন মানা হচ্ছে না, তাহলে পরীক্ষা (TET Exam) বন্ধ করে দেব। নভেম্বর মাসের তিন তারিখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ২০১৪ এবং ২০১৭র টেটে সংরক্ষিত বিভাগের যে প্রার্থীরা ৮২ পেয়েছেন, তাঁদের টেট উত্তীর্ণ বলে গণ্য করতে হবে। ২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদের অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। এর জেরে পর্ষদ কর্তৃক ঘোষিত লক্ষাধিক টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থী ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, শুক্রবারের মধ্যে ২০১৪ সালের সংরক্ষিত বিভাগের ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হবে। প্রকাশ করা হবে মেধা তালিকাও। আপাতত তারই প্রতীক্ষায় কর্মপ্রার্থীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue New Variant: রাজ্যে ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্টের জোড়া হানা! এর উপসর্গ কী কী?

    Dengue New Variant: রাজ্যে ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্টের জোড়া হানা! এর উপসর্গ কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমশ ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ বেড়েই চলেছে। তবে এবারে আরও উদ্বেগজনক তথ্য নাইসেডের (National Institute of Cholera and Enteric Diseases/NICED) রিপোর্টে উঠে এসেছে। রাজ্যে ডেঙ্গির দুরকম ভ্যারিয়েন্ট দেখা গিয়েছে (Dengue New Variant)। যা সাধারণ ডেঙ্গির থেকে বেশি বিপজ্জনক বলে জানা গিয়েছে। নাইসেডের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যে হানা দিয়েছে ডেঙ্গির নতুন দুটি প্রজাতি, ‘ডেঙ্গি-২’ বা ‘ডেঙ্গ-২’ (DENG-2) এবং ‘ডেঙ্গি ৩’-এর (DENG-3) সেরো টাইপ।

    নাইসেড সূত্রে খবর, প্রত্যেক মাসে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে ৪০০টি করে রক্তের নমুনা পাঠানো হয়। সেই নমুনা বিশ্লেষণ করেই দেখা গিয়েছে, অক্টোবরে ৬০ শতাংশ রক্তের নমুনাতে ডেঙ্গি ৩-এর সেরো টাইপ পাওয়া গিয়েছে। আর ডেঙ্গি-২-এর সেরো টাইপ ধরা পড়েছে ৪০ শতাংশ। আবার গত সেপ্টেম্বর মাসে, যে রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে, তাতে ডেঙ্গি-৩-এর সেরো টাইপ দেখা গিয়েছে ৩৭ শতাংশ। পাশাপাশি ডেঙ্গি ২-এর সেরো টাইপ ছিল ২৭ শতাংশ। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ডেঙ্গির দুই ভ্যারিয়েন্ট ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে (Dengue New Variant)। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গি টাইপ ৩-এর তুলনায় ডেঙ্গি টাইপ ২ মানুষের দেহের পক্ষে আরও বেশি ক্ষতিকর।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি ভয়াবহ, এর থেকে রেহাই পেতে কী করবেন ও কী করবেন না?

    আর এই প্রজাতির ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গও (Dengue New Variant) সাধারণ ডেঙ্গির তুলনায় আলাদা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই দুই ডেঙ্গির ভ্যারিয়েন্টে সুস্থ হয়ে ওঠার পরও, ফের হঠাৎ কমে যাচ্ছে প্লেটলেটের সংখ্যা। মূলত উত্তর প্রদেশ ও দিল্লিতে কিছু সংখ্যক রোগীর মধ্যে বর্তমানে ডেঙ্গ-২-এর উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, ডেঙ্গির এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে রোগীদের প্রথম দুই দিন জ্বর থাকছে। তৃতীয় দিন থেকে কমতে শুরু করছে জ্বর। এরপর রোগী যখন সম্পূর্ণ সুস্থ বোধ করছেন, সেই সময়ই হঠাৎ প্লেটলেটের সংখ্যা কমতে শুরু করছে। ফলে প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্ট।

    সাধারণ ডেঙ্গি ও ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেঙ্গ-২-এর উপসর্গের মধ্যে পার্থক্য কী?

    সাধারণ ডেঙ্গি হলে জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, মাথা ব্যথা, চোখের পিছনে, পেশি, হাঁটুতে ব্যথা, দুর্বল বোধ করা ও খিদে কমে যাওয়া, মাথাঘোরা, গলা ব্যথা, শরীরে র‌্যাশ বেরোনো ইত্যাদির মত উপসর্গ দেখা যায়। তবে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডি-২ বা ডেঙ্গ-২-এর ক্ষেত্রে নাক ও মাড়ি থেকে রক্তপাত, বমির সঙ্গে রক্তপাত, গায়ে গাঢ় নীল বা কালো দাগ-এমন উপসর্গ দেখা যায়।

LinkedIn
Share