Blog

  • Jorasanko: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে নির্মাণে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Jorasanko: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে নির্মাণে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো (Jorasanko) ক্যাম্পাসে (Rabindra Bharati University) হেরিটেজ তকমা পাওয়া ভবনে নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই ভবনের একাংশ ভেঙে নির্মাণ হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই নির্মাণে স্থগিতাদেশ দিল আদালত। আদালতের নির্দেশ, হেরিটেজ ভাঙার যাবে না। ভবনে নির্মাণ সংক্রান্ত কোনও কাজ হলে রাজ্যকে জবাবদিহি করতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত। বিষয়টিতে নজরদারির জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।   

    অভিযোগ উঠেছিল, কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত হেরিটেজ ভবন ভেঙে তৃণমূল শিক্ষাকর্মী সংগঠনের অফিস তৈরি করা হচ্ছিল। আর এই বিস্ফোরক অভিযোগের পরেই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে কলকাতা হাইকোর্ট। অবিলম্বে হেরিটেজ ভবন ভাঙার কাজ বন্ধের নির্দেশ দিল আদালত। 

    আরও পড়ুন: এবার তাপস মণ্ডলের দুই হিসাব রক্ষককে তলব ইডির

    গত ৩ নভেম্বর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের হেরিটেজ ভবনের অব্যবহৃত ঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন স্বদেশ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি। মামলাকারীর অভিযোগ, ইতিমধ্যেই এই হেরিটেজ ভবনের দুটি ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। যে ঘরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথমবার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, ঐতিহাসিক সেই ঘর তৃণমূলের শিক্ষাকর্মী সংগঠন শিক্ষা বন্ধু সমিতির অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সেখানে কবিগুরুর ছবি সরিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের ছবি টাঙানো হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। 

    ‘গ্রেড ওয়ান’ হেরিটেজ তকমা পেয়েছে জোড়াসাঁকোর কবিগুরুর বাড়ি। মামলাকারী স্বদেশ মজুমদারের আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তীর জানান, রবীন্দ্রনাথের একটিও ছবি নেই সেই ঘরে। অথচ রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছবি রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ও রাজ্যকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে রাজ্যকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও নিজেদের বক্তব্য আদালতকে জানাবে।

    সোমবার,  প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে হেরিটেজ ভবন আর ভাঙা যাবে না। এই নির্দেশের পরেও যদি কাজ চলে, জবাবদিহি করতে  হবে রাজ্য সরকারকেই। কার নির্দেশে হেরিটেজ ভবন ভাঙা হচ্ছিল ? কোনও আগাম অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না? এই রিপোর্ট ২১ নভেম্বর দিতে হবে রাজ্য সরকার ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Twitter Layoffs: ভারতের প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করল ট্যুইটার

    Twitter Layoffs: ভারতের প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করল ট্যুইটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেসলার মালিক ইলন মাস্ক ট্যুইটার কেনার পর থেকেই শুরু করেছে গণছাঁটাই (Twitter Layoffs)। ক্ষমতা হাতে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে একের পর এক কর্মী ছাঁটাই। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩,৭০০ জন কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে। আর এবারে এই কর্মী ছাঁটাইয়ের আঁচ এসে পড়ল ভারতেও। কারণ একটি রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ভারতে কর্মরত কর্মচারীদের মধ্যে ৯০ শতাংশকে সরিয়ে ফেলেছে ইলন মাস্কের নিয়ন্ত্রণাধীন ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। কর্মী ছাঁটাই-এর প্রভাব ভারতে পড়ায় পুরো দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ব বিখ্যাত সংস্থা ব্লুমবার্গের (Bloomberg) তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, ট্যুইটারে প্রায় ২০০ কর্মী ভারতে কাজ করছিলেন, যার মধ্যে ৯০ শতাংশ কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে (Twitter Layoffs)। এই ছাঁটাইয়ের পরে, ভারতে মাত্র কিছু কর্মচারীই অবশিষ্ট রয়েছে। ভারতে ট্যুইটার যে কর্মচারীদের বরখাস্ত করেছে তাঁদের প্রায় ৭০ শতাংশ প্রোডাক্ট ও বাকিরা ইঞ্জিনিয়ারিং টিমে ছিলেন। এছাড়াও মার্কেটিং, পাবলিক পলিসি ও কর্পোরেট কমিউনিকেশন টিম থেকেও অনেককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ট্যুইটারের পথে মেটা! বড় কর্মী-ছাঁটাইয়ের পথে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা?

    সম্প্রতি ৪৪ বিলিয়ন ডলারে ট্যুইটার কেনেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। কোম্পানির সিইও পরাগ আগরওয়াল সহ আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন তিনি (Twitter Layoffs)। এদের মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূতও ছিলেন। ট্যুইটার অধিগ্রহণ করতেই প্রথমে সরিয়ে ফেলা হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ট্যুইটারের শীর্ষ কর্তাদের, আর এবারে ভারতে কর্মীদের সরিয়ে ফেলা হল।

    কোম্পানি কেনার আগে থেকেই গুঞ্জন রটেছিল যে, ইলন ট্যুইটারে কর্মরত প্রায় অর্ধেক কর্মীদের ছাঁটাই করবে (Twitter Layoffs)। আর এটাই এখন সত্যি হল। ক্ষমতা পেতেই বিশ্বব্যাপী কর্মীদের ছাঁটাই করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন ট্যুইটারের নতুন মালিক। এমনকি যাদের বরখাস্ত করা হয়েছে, তাদের ইমেলের মাধ্যমেই জানিয়ে দেওয়া হয়। আবার কিছু কর্মীদের অফিসে ফিরে আসার ইমেলও পাঠানো হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ভুলবশত কিছু কর্মীদের সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। ফলে এই কর্মী ছাঁটাই নিয়ে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, কোম্পানি চালাতে ঠিক কত কর্মীর প্রয়োজন, সে বিষয়ে হিসেব করেই বিশ্বব্যাপী কর্মী সংখ্যা কমানোর কঠিন প্রক্রিয়াকে বেছে নিয়েছে তারা।

  • Brazil 2022 World Cup Team: কাতার বিশ্বকাপে নেই ফিলিপে কুটিনহো! ব্রাজিলের ২৬ জনের দল ঘোষিত

    Brazil 2022 World Cup Team: কাতার বিশ্বকাপে নেই ফিলিপে কুটিনহো! ব্রাজিলের ২৬ জনের দল ঘোষিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কাই সত্যি হলো। চোটের কারণে কাতার বিশ্বকাপে নেই ব্রাজিলের ফিলিপে কুটিনহো। সোমবার ব্রাজিলের কোচ তিতে ২৬ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেন। যা নিয়ে ফুটবল মহলের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেতে আক্রমণ ভাগকে আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছেন ব্রাজিলের কোচ। নজন ফরওয়ার্ড রেখে দল সাজিয়েছেন তিনি। যা থেকে স্পষ্ট মরুভূমির দেশ কাতারে আক্রমণের ঢেউ তুলবেন নেইমাররা।

    আরও পড়ুন: বোলারের মন বুঝে ব্যাট করার চেষ্টা করি! নিজের সাফল্যের রসায়ন সম্পর্কে কী বললেন সূর্য?

    ব্রাজিল বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি ফির্মিনহর। বড় চমক ৩৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডার ড্যানি আলভেসের অন্তর্ভুক্তি। এত বয়সে অতীতে আর কোনও ফুটবলার ব্রাজিলের জার্সি গায়ে বিশ্বকাপ খেলেননি। সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপ খেলার নজির ছিল ৩৭ বছরে বিশ্বকাপ খেলা দলমা সেন্টজের। তাঁকে পিছনে ফেললেন ড্যানি আলভেজ। আসলে তারুণ্যের পাশাপাশি অভিজ্ঞতার ওপর জোর দিয়েছেন কোচ তিতে। কারণ তিনি জানেন বিশ্বকাপ জিততে গেলে শুধু গোল করলেই চলবে না রক্ষণকেও মজবুত করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তাই আলভেজের পাশাপাশি আর এক বর্ষীয়ান ডিফেন্ডার থিয়েগো সিলভার ওপরও ভরসা রেখেছেন তিনি। সিলভার এটি চতুর্থ বিশ্বকাপ হতে চলেছে।

    আরও পড়ুন: দলীয় সংহতির প্রমাণ! শামিদের বিমানের বিজনেস ক্লাসের টিকিট ছেড়ে দিলেন কোহলি-রোহিতরা

    কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচ ২৪ শে নভেম্বর সার্বিয়ার বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় ম্যাচে নেইমাররা খেলবেন সুইজারল্যান্ড এর বিপক্ষে খেলাটি হবে ২৮শে নভেম্বর। গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের শেষ ম্যাচ ২ ডিসেম্বর। তিতের ছেলেদের লড়তে হবে ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে।

    ব্রাজিল দল—

    গোলরক্ষক: অ্যালিসন বেকার, এদেরসন সান্তানা, ওয়েভারটন পেরেরা।

    ডিফেন্ডার: দানি আলভেজ, দানিলো, আলেক্স সান্দ্রো, আলেক্স তেলেস, ব্রেমের, এদের মিলিতাও, মার্কুইনোস, থিয়াগো সিলভা।

    মিডফিল্ডার: ব্রুনো গুইমারেস, কাসেমিরো, এভার্টন রিবেইরো, ফাবিয়ানহো, ফ্রেড, লুকাস পাকেতা।

    ফরোয়ার্ড: নেইমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র, রিচার্লিসন, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, পেদ্রো, রাফিনহা, রদ্রিগো, অ্যান্টনি ডস স্যান্টোস ও ভিনিসিয়াস জুনিয়র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CJI of India: ‘১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে…’, শেষ দিনে আর কী বললেন প্রধান বিচারপতি  

    CJI of India: ‘১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে…’, শেষ দিনে আর কী বললেন প্রধান বিচারপতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার অবসর নিলেন দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি (CJI of India) ইউইউ ললিত (UU Lalit)। আগামিকাল অফিস ছেড়ে দেবেন তিনি। এদিন ললিতের অবসর গ্রহণ উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আয়োজন করা হয় ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানের। এই অনুষ্ঠানে বিদায়ী ভাষণ দেন ললিত। জানান, প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নেওয়ার দিন যে শপথ নিয়েছিলেন, তার অনেকটাই পূরণ করতে পেরেছেন।

    চলতি বছরের ২৭ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে শপথ নিয়েছিলেন ললিত। এই পদে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ মাত্র ৭৪ দিনের। এদিন তাই বিদায়ী ভাষণ দিতে গিয়ে খানিকটা আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন ললিত। বলেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম রোজকার বিষয়গুলির দ্রুত শুনানি ও নিয়ম মাফিক করার। আমার ধারণা, আমি আমার দেওয়া প্রতিশ্রুতির কিছুটা পূরণ করতে পেরেছি। আমরা ১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তি করেছি। ক্লিয়ার করেছি আরও ১৩ হাজার মামলা, যেগুলিতে ডিফেক্ট ছিল।

    সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি (CJI of India)  জানান, তিনি সুপ্রিম কোর্টে কাটিয়েছেন ৩৭ বছর। আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করেছিলেন ২৯ বছর। শেষ আট বছর সুপ্রিম কোর্টের জাজ ছিলেন। এদিন তিনি প্রবীণ আইনজীবী প্রয়াত সোলি সোরাবজিকেও ধন্যবাদ জানান। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় তিনি তাঁর অধীনে কাজ করেছিলেন, তাই। ললিত বলেন, আমি এই আদালতে প্রায় ৩৭ বছর কাটিয়েছি। এই আদালত থেকে আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমি মুম্বইয়ে আইন প্র্যাকটিস করছিলাম। এখানে এসেছিলাম তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ের সামনে একটি মামলা উপস্থাপন করতে। ললিত বলেন, আমার যাত্রা এই আদালত থেকে শুরু হয়ে আজ এই আদালতেই শেষ হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    ললিতের পরে দেশের প্রধান বিচারপতির পদ অলঙ্কৃত করবেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি প্রাক্তন বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ের ছেলে। এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে আপনার কার্যকালে বিচারবিভাগে বেশ কিছু সংস্কার হয়েছে। এবং আমি আপনাকে এই বলে আশ্বস্ত করতে পারি যে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। তিনি বলেন, আমি প্রধান বিচারপতিকে বহু বছর ধরে চিনি। একটি বিষয়ে মাত্র একবারই তাঁর বিরোধিতা করেছিলাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Himachal Pradesh Polls: ভোটের মুখে রামধাক্কা, কুপোকাত কংগ্রেস! হিমাচলে ‘হাত’ ছেড়ে ‘পদ্মে’ ২৬ নেতা

    Himachal Pradesh Polls: ভোটের মুখে রামধাক্কা, কুপোকাত কংগ্রেস! হিমাচলে ‘হাত’ ছেড়ে ‘পদ্মে’ ২৬ নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম রাউন্ডেই কুপোকাত কংগ্রেস (Congress)! অ্যাডভান্টেজ বিজেপি (BJP)। ভোটের মুখে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে ভিড়লেন ২৬ জন নেতা। ঘটনায় হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের (Himachal Pradesh Polls) আগে বেজায় বিপাকে পড়ল কংগ্রেস। এক সঙ্গে বিপক্ষের ২৬ জন নেতাকে পেয়ে যারপরনাই খুশি পদ্ম শিবির। প্রত্যাশিতভাবেই মুষড়ে পড়েছে কংগ্রেস।

    হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার নির্বাচন (Himachal Pradesh Polls) হবে নভেম্বরের ১২ তারিখে। ৬৮ আসনের ওই বিধানসভার রশি রয়েছে বিজেপির হাতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবারও ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। এমতাবস্থায় নিজেদের শিবিরে এই ভাঙনে বিব্রত কংগ্রেস। সোমবার যে ২৬ জন কংগ্রেস নেতা হাতে তুলে নিয়েছেন গেরুয়া ঝান্ডা, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ধরমপাল ঠাকুর খাণ্দও।

    এদিনের দলবদলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর এবং বিজেপির রাজ্য নির্বাচনের ইনচার্জ সুধান সিং। উপস্থিত ছিলেন সিমলার বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় সুদও। ধরমপাল ছাড়াও এদিন যাঁরা বিজেপির ঝান্ডা হাতে তুলে নিয়েছেন, তাঁরা হলেন, প্রাক্তন সম্পাদক আকাশ সাইনি, প্রাক্তন কাউন্সিলর রাজন ঠাকুর, প্রাক্তন জেলা সভাপতি অমিত মেহতা, মেহের সিং কানওয়ার, যুব কংগ্রেসের রাহুল নেগি, জয় মা শক্তি সোশ্যাল সংস্থান সভাপতি যোগিন্দর ঠাকুর, নরেশ ভার্মা, ছাম্বায়ানা ওয়ার্ড সদস্য যোগেন্দ্র সিং, ট্যাক্সি ইউনিয়ন সদস্য রাকেশ চৌহান, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজের সিমলা প্রেসিডেন্ট ধর্মেন্দ্র কুমার, বীরেন্দ্র শর্মা, রাহুল রাওয়াত, সোনু শর্মা, অরুণ কুমার, শিবম কুমার এবং গোপাল ঠাকুর।

    আরও পড়ুন: ‘হিন্দু’ পার্সিয়ান শব্দ! কংগ্রেস নেতার ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    এঁরা ছাড়াও এদিন পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছেন চমন লাল, জেলা কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক দেবেন্দ্র সিং, মহেন্দ্র সিং, যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সম্পাদক মুনিশ মান্দলা, বালকৃষ্ণণ ববি, সুনীল শর্মা, সুরেন্দ্র ঠাকুর, সন্দীপ সামতা এবং রবি। হিমাচল প্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর তাঁদের স্বাগত জানান। বলেন, দলের ঐতিহাসিক জয়ের লক্ষ্যে এবার জোট বেঁধে কাজ করা যাক। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Medical College: জেলার মেডিক্যাল কলেজ কী শুধুই বিজ্ঞাপন? এসএসকেএমের নতুন রেকর্ডে নয়া বিতর্ক

    Medical College: জেলার মেডিক্যাল কলেজ কী শুধুই বিজ্ঞাপন? এসএসকেএমের নতুন রেকর্ডে নয়া বিতর্ক

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: হাসপাতালের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরকারি ওয়েবসাইট, সর্বত্র নয়া রেকর্ডের বিজ্ঞাপনে ব্যস্ত রাজ্য সরকার। আর নিজেদের দেওয়া বিজ্ঞাপনেই তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। রাজ্যের চিকিৎসক মহল জানাচ্ছে, এই নয়া রেকর্ড বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবার রুগ্ন হাল ছাড়া আর কিছুই নয়। জেলা সফরে গেলেই নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কোচবিহার, হুগলি, কিংবা মেদিনীপুর, যেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যান, একটা নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কথা ঘোষণা করেন। আপাতত রাজ্যের প্রত্যেক জেলাতেই বেশ কয়েকটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল আর মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। কিন্তু রাজ্যের প্রথম সারির সরকারি হাসপাতালের নয়া রেকর্ড, সেই সমস্ত জেলা হাসপাতালের অস্তিত্বকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

    সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে একদিনে আউটডোরে রোগী হয়েছিল ১৭ হাজার। স্বাধীনতার পরে এ এক রেকর্ড। এমনি দাবি করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য ভবনও এই দাবির স্বীকৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রোগী পরিষেবায় নয়া নজির গড়েছে এসএসকেএম (SSKM)। কিন্তু, এসএসকেএমের এই রেকর্ড আসলে এ রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার ভগ্ন দশাকেই সামনে নিয়ে এলো বলে মনে করছেন রাজ্যের চিকিৎসক মহল। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এসএসকেএমের মতো সুপার স্পেশ্যালিটি মেডিক্যাল কলেজ, আসলে তৃতীয় স্তরের হাসপাতাল। অত্যন্ত জটিল রোগ ছাড়া এই হাসপাতালে রোগী আসার প্রয়োজন হওয়া উচিত নয়। এটাই আদর্শ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার লক্ষ্য হওয়া উচিত। কিন্তু এ রাজ্যের পরিস্থিতি উল্টো।

    আরও পড়ুন: এবার ভারতীয় মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারির মালিকও আম্বানি? জানুন কত টাকায় হচ্ছে হস্তান্তর 

    কেন এমন বলছেন? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যে কোনও রোগী তাঁর সমস্যা নিয়ে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাবেন। যা গ্রামে গ্রামে থাকা উচিত। তারপরে সদর হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল। সেখানেও রোগ নিরাময় না হলে, জেলার মেডিক্যাল কলেজে রোগীকে পাঠানো হবে। যদি রোগ অত্যন্ত জটিল হয়, তখন সেই রোগীকে এসএসকেএমের মতো হাসপাতালে রেফার করা হবে। যেমন, স্নায়ুর অত্যন্ত জটিল অস্ত্রোপচার কিংবা হৃদরোগ, কিডনি প্রতিস্থাপন বা লিভারের জটিল অস্ত্রোপচারের মতো সমস্যার সমাধান ছাড়া এই ধরনের হাসপাতালে আসার প্রয়োজন নেই। যখন রাজ্যের জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে, তখন জ্বর, হাঁপানি, স্ত্রীরোগের চিকিৎসার জন্য গ্রাম থেকে বা মফস্বল থেকে সাধারণ মানুষকে কেন কলকাতার হাসপাতালে আসতে হচ্ছে? এখানেই বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, তাহলে কি জেলার মেডিক্যাল কলেজে বা জেলার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না?

    এসএসকেএম হাসপাতালের কর্মরত ইন্টার্নদের একাংশ জানাচ্ছেন, আউটডোরে যে রোগীরা দেখান, তাদের তিন বার লাইন দিতে হয়। সাধারণত ভোর তিনটে থেকে লাইন হয়। প্রথমে আউটডোরের টিকিট কাটার লাইন, তারপরে চিকিৎসককে দেখানোর আলাদা লাইন। তারপরে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে আরেকটি লাইন। অর্থাৎ, পরিষেবা পাওয়ার জন্য কার্যত রোগীর হয়রানির শেষ থাকে না। জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রশ্ন, এত রোগীকে একদিনে দেখতে হলে চিকিৎসকেরাও কতখানি মনোযোগ দিয়ে দেখতে পারেন, সে নিয়েও প্রশ্ন থাকছে।

    হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের এক অধ্যাপক-চিকিৎসক বলেন, “হিসাব করে দেখেছি ১৩ সেকেন্ডের বেশি সময় একজন রোগীকে দিতে পারছি না। তার সব কথা শোনার সময় হচ্ছে না। এতে রেকর্ড হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু রোগী পরিষেবার মান তলানিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলার হাসপাতালে ঠিকমতো পরিকাঠামো থাকলে এই ভিড় কখনওই হবে না। রোগী পরিষেবাও ভালো হবে। ” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যে সমস্ত সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল উদ্বোধন করেছিলেন, দীর্ঘদিন অভিযোগ, সেখানে পরিকাঠামো নেই। পরিকাঠামোর অভাবে একাধিক বিভাগ বন্ধ হয়ে আছে। ফলে, জেলা থেকে মানুষ বাধ্য হয়ে কলকাতার হাসপাতালে যান। এমনকি আরামবাগ, কোচবিহার, পূর্ব মেদিনীপুরে সম্প্রতি যে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেছেন, সেখানেও কোনও পরিকাঠামো নেই বলে অভিযোগ। রেডিওথেরাপি বিভাগের এক অধ্যাপক-চিকিৎসক জানান, গত ১২ বছর তিনি কলেজে পড়াতে পারেননি। কারণ, তাঁকে যে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে বদলি করা হয়েছে, সেখানে রেডিও থেরাপির ক্লাস নেওয়ার মতো উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। এদিকে ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে দীর্ঘ লাইন থাকে কলকাতার সরকারি হাসপাতালে। অনেকে চিকিৎসার সুযোগও পান না।

    রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় কোনও রকম পরিকল্পনা নেই। বিজ্ঞাপনের জৌলুসে হারিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির খবর। তাই জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ উদ্বোধন হলেও সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। দিনের পর দিন সামান্য অসুখেও চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এদিকে ঝাঁ চকচকে বিল্ডিং গড়ে উঠছে। কিন্তু রোগী পরিষেবা তলানিতে গিয়ে ঠেকছে।

  • Cooperative Federalism: আজ না হয় কাল, জম্মু ও কাশ্মীর ফের রাজ্যের তকমা পাবে! ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর

    Cooperative Federalism: আজ না হয় কাল, জম্মু ও কাশ্মীর ফের রাজ্যের তকমা পাবে! ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফিরে পেতে চলেছে জম্মু ও কাশ্মীর। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কেরলের তিরুবনন্তপুরমে ‘কো অপারেটিভ ফেডেরালিজম’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন তিনি। সেখানে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে করের বণ্টন নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, “আজ না হয় কাল, জম্মু ও কাশ্মীর ফের রাজ্যের তকমা পাবে।” কবে হবে, তা অবশ্য নির্দিষ্ট করে বলেননি নির্মলা।

    আরও পড়ুন: অতীতের সব রেকর্ড ভাঙতে চান, গুজরাটের জন্য নয়া স্লোগানও বাঁধলেন মোদি

    প্রসঙ্গত, ২০১৯-এ মোদি সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরেই কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করা হয়। জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি হয়। তার পরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের তকমা ফিরে পাবে। তিন বছর কেটে গেলেও তা হয়নি। জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা ভোটও হয়নি। গত বছর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, প্রথমে আসন পুনর্বিন্যাস হবে। তার পর বিধানসভা ভোট হবে। তার পরে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে। আপাতত শীত পড়ে যাওয়ায় জম্মু-কাশ্মীরের রাজনীতিকরা মনে করছেন, আগামী বছর মার্চ-এপ্রিলের আগে ভোট সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতি’, ‘বিভাজনকারী শক্তি’কে হুঁশিয়ারি মোদি-শাহের

    এদিন নির্মলা জানান, ২০১৪ সালে অর্থ কমিশন কেন্দ্রকে একটি প্রস্তাব দিয়েছিল। তাতে তারা জানায়, সামগ্রিক কর আদায়ের ৩২ শতাংশ সমস্ত রাজ্যকে দেওয়া হয়।  অবিলম্বে তা ৪২ শতাংশ করা দরকার। এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার অর্থ, কেন্দ্রের হাতে কম টাকা থাকবে। তা সত্ত্বেও কোনও সময় নষ্ট না করে প্রধানমন্ত্রী সেই প্রস্তাব মেনে নেন। নির্মলা আরও জানান, ওই সিদ্ধান্তের জন্য রাজ্যগুলি মোট কর আদায়ের ৪২ শতাংশ পাচ্ছিল। কিন্তু, জম্মু ও কাশ্মীর পূর্ণ রাজ্যের তকমা হারানোয় তা কমিয়ে ৪১ শতাংশ করা হয়েছে। এরপরই তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিনি জানান, আজ না হয় কাল, কাশ্মীর আবার পূর্ণরাজ্যে পরিণত হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Al Qaeda: রাজ্যে ফের আল কায়দার জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার যুবক

    Al Qaeda: রাজ্যে ফের আল কায়দার জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমশ জঙ্গিদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। কারণ ফের জঙ্গি সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল এসটিএফ। ধৃতের নাম মনিরুদ্দিন খান (২০)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। সূত্রের খবর অনুযায়ী ধৃত জঙ্গি আল কায়দা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এর আগেও ফয়জল নামে এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর কাছে থেকেই মেলে একটি পেন ড্রাইভ। আর সেই পেন ড্রাইভের সূত্রেই আরও কয়েকজনের হদিশ মেলে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মনিরুদ্দিনকে নিয়ে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করল এসটিএফ।

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মনিরুদ্দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারাসাতের ধ্রবচাঁদ হালদার কলেজের, ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। অভিযোগ উঠেছে, সে আল কায়দার শাখা সংগঠন ‘আলকায়দা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট’ (একিউআইএস)-এর সঙ্গে যুক্ত। এসটিএফ সূত্রের মাধ্যমে আরও জানা গিয়েছে, মনিরুদ্দিন আল কায়দা, এবিটি (ABT), একিউআইএস (AQIS) সহ একাধিক জঙ্গি সংগঠনের হয়ে লজিস্টিকের কাজ করত। জঙ্গিদের জাল ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে তা ব্যবহার করে একাধিক সিম কার্ড জোগাড় করা এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে ওস্তাদ এই যুবক। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় আল কায়দার স্লিপার সেল তৈরি করা এবং সংগঠনটির হয়ে প্রচার করার কাজে জঙ্গি নেতাদের সে সাহায্য করত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

    পুলিশরা তদন্ত শুরু করেছে যে, কীভাবে মনিরুদ্দিনের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ হল, কীভাবে সে বাংলাদেশ থেকে আসা জঙ্গিদের সাহায্য করছে, সবকিছু বিশদে জানতে তার মোবাইলও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত শুক্রবার মথুরাপুর থানার পুলিশের সহযোগিতায় মনিরুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর ধৃতকে কলকাতা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করানো হয়।বিচারক ওই যুবককে আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশের ব্লগার খুনের সঙ্গে জড়িত ফয়জল নামে এক যুবককে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর গত শনিবার মথুরাপুরেরই বাসিন্দা আজিজুল হক নামে এক যুবককে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত অগাস্টেই গ্রেফতার করা হয় ২ সন্দেহভাজন আল কায়দা জঙ্গি। সেপ্টেম্বরেও রাজ্যে ৪ আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ডায়মন্ডহারবার থেকে গ্রেফতার করা হয় আল কায়দা জঙ্গি সমীর হোসেন খানকে। মুম্বই থেকেও সাদ্দাম হোসেন শেখ নামে এক জঙ্গি গ্রেফতার হয়। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় মালদার হাসনাত শেখকে। ফলে একের পর এক জঙ্গি গ্রেফতারি থেকে বোঝাই যাচ্ছে, রাজ্যে আল কায়দা জঙ্গি সংগঠন পায়ের তলার মাটি শক্ত করে চলেছে। তবে কি বাংলাকে নিরাপদ মনে করছে জঙ্গিরা? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। 

  • Fighting Nazism: ফের মস্কোর পাশে নয়াদিল্লি, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রস্তাবে সায় ভারতের

    Fighting Nazism: ফের মস্কোর পাশে নয়াদিল্লি, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রস্তাবে সায় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে (UN) ফের রাশিয়ার (Russia) পাশে দাঁড়াল ভারত (India)। মস্কোর আনা প্রস্তাবে সায় দিল নয়াদিল্লি। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ‘নাৎসিবাদ (Nazism) মহিমান্বিত করার বিরুদ্ধে লড়াই’ শীর্ষক ওই প্রস্তাবের খসড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে ভারত। এই খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১০৫টি। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৫২টি দেশের প্রতিনিধিরা। ভোটদানে বিরত থেকেছেন ১৫টি দেশের প্রতিনিধি। এদিন ভারতের প্রতিনিধি বলেন, আদিবাসী জনগণের ধারণাটি দেশের প্রেক্ষাপটে প্রযোজ্য নয়। কমিটি আটটি খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আদিবাসীদের অধিকার, ডিজিটাল যুগে গোপনীয়তা রক্ষা, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই। এই খসডা প্রস্তাবে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাক্ষরতার অধিকার, যৌন হেনস্থা থেকে শিশুদের রক্ষা এবং ক্রিমিনাল জাস্টিসও। এর সঙ্গেই রয়েছে নাৎসিবাদ মহিমান্বিত করার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচেষ্টাও।   

    খসড়া প্রস্তাবে নাৎসি আন্দোলন (Fighting Nazism), নব্য নাৎসিবাদ, নাৎসিদের অতীত মহিমাকীর্তন করতে গণ প্রদর্শনীর মতো বিষয়গুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্ণবাদী এবং জেনোফোবিক রেটোরিক, ইসলামফোবিয়া, অ্যাফ্রোফোবিয়া এবং ইহুদি বিদ্বেষের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতিনিধি।

    এদিন অধিবেশনে উপস্থিত বেশ কয়েকজন প্রতিনিধির দাবি, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হামলার যৌক্তিকতা বোঝাতে মরিয়া মস্কো। তাই তোলা হচ্ছে নব্য নাৎসিবাদের ঢেঁকুর। আবার ইউক্রেনের প্রতিনিধির দাবি, এই খড়সা প্রস্তাবের সঙ্গে নাৎসিবাদ ও নব্য নাৎসিবাদের প্রকৃত লড়াইয়ের কোনও সম্পর্কই নেই। একই সুর শোনা গিয়েছে ব্রিটেন, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের গলায়ও। খসড়া প্রস্তাবটিকে মস্কোর ‘সিনিক্যাল অ্যাটেম্পট’ বলে দেগে দিয়েছেন আমেরিকার প্রতিনিধি।

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    এই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। অক্টোবর মাসে গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের চারটি এলাকা দখল করার রাশিয়ার প্রক্রিয়াকে বেআইনি ঘোষণা করে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘে। সেবার ভোটদানে বিরত ছিল ভারত। ভোট দেয়নি আরও ৩৪টি দেশও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jhalda: ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Jhalda: ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ হচ্ছে না ঝালদা পুরসভার (Jhalda Municipality) আস্থা ভোট। ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিনই আস্থা ভোট গ্রহণের কথা ছিল। আজকের পরিবর্তে ২১ নভেম্বর আস্থা ভোট হবে বলে জানা গিয়েছে। ৪ নভেম্বর তিন কংগ্রেস কাউন্সিলরের জারি করা নোটিসও এদিন খারিজ করে দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

    বিরোধী কাউন্সিলরদের জারি করা নোটিস খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ঝালদা পুরসভার উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকার। উপপুরপ্রধানের দাবি, ১৩ অক্টোবর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। ১৫ দিনের মধ্যেই এ নিয়ে পদক্ষেপ নিতে হয় চেয়ারম্যানকে। এটাই নিয়ম। কিন্তু তিনি তা না করায় ২৮ অক্টোবর উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকারের কাছে তলবি সভা ডাকার আবেদন জানান বিরোধী কাউন্সিলররা। নিয়ম  অনুযায়ী, ৭ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হয় উপপুরপ্রধানকে। ৩ নভেম্বর উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকার জানান, আস্থা ভোট হবে ২১ নভেম্বর। এরই মাঝে ৪ঠা নভেম্বর তিন বিরোধী কাউন্সিলর আস্থা ভোটের জন্য নোটিশ জারি করেন। আজই আস্থা ভোটের দিন ধার্য হয়েছিল।   

    উপপুরপ্রধানের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ৭ নভেম্বর, অর্থাৎ সোমবার তলবি সভা ডেকেছিলেন বিরোধী কাউন্সিলররা। কাউন্সিলরদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উপপুরপ্রধান। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই সোমবারের আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি। বিচারপতির দাবি, উপপুরপ্রধান ৭ দিনে কোনও পদক্ষেপ না নিলে, বিরোধীরা আস্থা ভোট করতে পারতেন। কিছু ৭ দিনের মধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছেন উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকার।

    প্রসঙ্গত, পুরুলিয়া জেলার ঝালদা পুরসভায় মোট ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। গত পুরসভা ভোটে ঝালদায় ৫টি করে আসন জেতে তৃণমূল ও কংগ্রেস। ২টি আসনে জয়লাভ করেন নির্দল প্রার্থীরা। জয়ের পর নির্দল প্রার্থী শীলা চ্যাটার্জি তৃণমূলে যোগ দেন। এর জেরে সেখানে তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা দাঁড়ায় ৬। সেই সঙ্গে আরও একজন নির্দলেরও সমর্থন পায় রাজ্যের শাসক দল। এই সমর্থন নিয়ে সেখানে পুরবোর্ড গঠন করে তৃণমূল। 

    আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের ‘অদক্ষতায়’ বাড়ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর   

    বোর্ড গঠন নিয়ে তৃণমূল-কংগ্রেস অশান্তির মধ্যেই গত ১৩ মার্চ খুন হন কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী তপন কান্দু। তপন কান্দু খুনের ঘটনায় উত্তাল হয় গোটা রাজ্য। পরবর্তীতে উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে কাকা তপন কান্দুর আসনে জয়ী হন ভাইপো মিঠুন কান্দু। যদিও বোর্ড গঠন করতে পারেনি কংগ্রেস।        

    এরপর পদত্যাগ করেন শীলা চ্যাটার্জি। শীলার পদত্যাগের পর তৃণমূলের কাউন্সিলের সংখ্যা কমে হয় পাঁচ। তৃণমূল বোর্ড সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারায়। এরপরেই পাঁচ কাউন্সিলর ও একজন নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে অনাস্থার ডাক দেয় কংগ্রেস। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তৃণমূলের মোট কাউন্সিলর ৫ জন। অনাস্থার ডাক দেন এক নির্দল সহ ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

          

LinkedIn
Share