Blog

  • S Jaishankar: দু’দিনের সফরে রাশিয়া গেলেন এস জয়শঙ্কর! দেখা হতে পারে পুতিনের সঙ্গে?

    S Jaishankar: দু’দিনের সফরে রাশিয়া গেলেন এস জয়শঙ্কর! দেখা হতে পারে পুতিনের সঙ্গে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে ভারত। আশা আন্তর্জাতিক মহলের। এই আবহেই, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) আজ, সোমবার (৭ নভেম্বর) দুদিনের সফরে রাশিয়া যাচ্ছেন। যেখানে তিনি রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ডেনিস মান্টুরভের সঙ্গে এক বৈঠক করবেন। তাঁর সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) দেখা হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা চলছে। সারা বিশ্বের নজর এখন জয়শঙ্করের মস্কো সফরের দিকে।

    আরও পড়ুন: ফের মস্কোর পাশে নয়াদিল্লি, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রস্তাবে সায় ভারতের

    বিদেশমন্ত্রীর এই সফরে উভয় দেশের মধ্যে আলোচনায় উঠে আসতে পারে একাধিক দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নের বিষয়ে দুদেশের মধ্যে মতামত বিনিময় হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। আগামী দিনে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবে ভারত, রাশিয়া, আমেরিকা-সহ নানা দেশ। সেখানে ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কীরকম অবস্থান নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা হবে বিদেশমন্ত্রীর এই সফরে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, “রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সামগ্রিকভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েই এই বৈঠকে আলোচনা করা হবে। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলি নিয়েও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে দুই দেশ।” রুশ বাণিজ্যমন্ত্রী ডেনিস মান্তুরোভের সঙ্গেও আলাদা ভাবে বৈঠক করবেন জয়শঙ্কর। তবে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত প্রসঙ্গে এখনও কিছু জানায়নি বিদেশমন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    সম্প্রতি ৪,নভেম্বর একতা দিবস উপলক্ষে পুতিন ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁর ভাষণে পুতিন বলেন, “ভারত তার সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দারুণ ফলাফল অর্জন করবে, এতে কোনও সন্দেহ নেই এবং প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মানুষের কাছে এখন এই সম্ভাবনা রয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও প্রশংসা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। শুধু তাই নয়, যেভাবে মোদির নেতৃত্বে ভারত এগিয়ে যাচ্ছে সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন পুতিন। পাশাপাশি ভারতের বিদেশনীতির প্রশংসাও শোনা যায় তাঁর মুখে। আর এরপরেই জয়শঙ্করের রাশিয়া সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Equatorial Guinea: গিনি নৌসেনার হাতে আটক বাংলার যুবক সহ ১৬ ভারতীয়, সাহায্যের আবেদন ভারত সরকারের কাছে

    Equatorial Guinea: গিনি নৌসেনার হাতে আটক বাংলার যুবক সহ ১৬ ভারতীয়, সাহায্যের আবেদন ভারত সরকারের কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্য আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত গিনিতে পশ্চিমবঙ্গের এক বাসিন্দা সহ ১৬ জন ভারতীয়কে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাঁদের প্রায় ৮০ দিনের বেশি সময় ধরে সেখানে আটক করে রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফলে একটি ভিডিও-র মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে তাঁদের সেখান থেকে উদ্ধারের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। এই ভারতীয়দের গিনি নৌসেনার কর্মীরা গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। ভিডিওতে, ভারতীয়রা বলেছেন যে ভারতীয় নরওয়েজিয়ান পতাকাবাহী এমটি হিরোইক ইডুনকে নিরক্ষীয় গিনি নৌ জাহাজ দ্বারা ১২ অগাস্ট ২০২২-এ আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    আরও জানা গিয়েছে, তাঁদের গ্রেফতারের পর গিনি নেভাল এসকর্টে আনা হয় এবং আদেশ না মানলে তাঁদের জাহাজ এবং ক্রুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ভিডিওটি প্রকাশ করার সময়, তাঁদের মধ্যে একজন বলেন যে, ‘আমরা এমটি হিরোইক ইডুনের ক্রু সদস্য, আমরা অনুরোধ করছি আমাদের এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে ভারতে ফিরিয়ে নেওয়া হোক। ১৪ই অগাস্ট ২০২২ থেকে আমাদের এখানে অবৈধভাবে রাখা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ক্রুতে ১৬ জন ভারতীয় ছাড়াও ৮ জন শ্রীলঙ্কার, পোল্যান্ড ও ফিলিপিন্সের ১ জন নাগরিক সহ মোট ২৬ জন সদস্য ছিলেন এবং তাঁদের সবাইকেই আটক করা হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, তাঁরা সকলে মুম্বাইয়ে একটি সংস্থার হয়ে কাজ করেন। মুম্বাইয়ের একটি সংস্থার জাহাজে কর্মরত ওই ১৬ জন ভারতীয় গত ৮ অগাস্ট নাইজেরিয়ার একেপিও টার্মিনালে পৌঁছয়। সেখানে তাঁরা অপরিশোধিত তেল নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জাহাজে তেল ভর্তি করে টার্মিনাল থেকে বেরোনোর পরে নাইজেরিয়ার তেল চুরির অভিযোগ করা হয় কর্মীদের বিরুদ্ধে। সংস্থার ওই কর্মী জানিয়েছেন, জাহাজ গিনির সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করতে নাইজেরিয়ার নির্দেশে সে দেশের নৌসেনা তাঁদের আটকে দেয় ও সেই সঙ্গে জাহাজের উপস্থিত সকল ভারতীয় সহ বাকিদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁদের জানানো হয়েছে, ওই জাহাজের কর্মীরা নিয়ম ভেঙেছেন, তাই তাঁদের আটক করা হয়েছে।

    এই পুরো বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালিধরন বলেছেন যে তিনি এটি সম্পর্কে অবগত আছেন। তিনি আরও বলেছেন যে তিনি ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, ১৪ অগাস্ট থেকে মালাবোতে ৯ ভারতীয় সহ ১৫ জন ক্রু সদস্যকে আটক করে রাখা হয়েছে। ৬ ভারতীয় সহ বাকি ১১ জন ক্রু সদস্যকে জাহাজে পরিত্যক্ত করা হয়েছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, জাহাজের মালিক, ম্যানেজার এবং ক্রু সদস্যরা তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। ফলে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে দেশবাসী কেন্দ্র সরকারের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন।

  • Leicester: ব্রিটেনের লেস্টারে সংঘর্ষের ঘটনায় আরএসএসের কোনও যোগ নেই, বলছে রিপোর্ট

    Leicester: ব্রিটেনের লেস্টারে সংঘর্ষের ঘটনায় আরএসএসের কোনও যোগ নেই, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেস্টার (Leicester) শহরে সংঘর্ষের ঘটনায় আরএসএসের কোনও হাত নেই। কেবল আরএসএস (RSS) নয়, ওই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী কোনও সংগঠনেরই যোগ নেই। ঘটনার তদন্ত করে এমনটাই জানাল ব্রিটেনের (UK) একটি বিশেষজ্ঞ দল। এই দলের একজন সদস্য হলেন শার্লোট লিটিলউড। হেনরি জ্যাকসন সোসাইটির রিসার্চ ফেলো তিনি। স্থানীয় হিন্দু (Hindu) এবং মুসলমান বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এবং সোশ্যাল মিডিয়া এভিডেন্স, ভিডিও এভিডেন্স, পুলিশ রিপোর্ট এবং বিবৃতি দেখে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তিনি। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের বিরুদ্ধে গিয়ে লিটিলউড বলেন, তদন্ত করে দেখা গিয়েছে লাইসেস্টারের ওই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী কোনও গোষ্ঠীর যোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাঁর দাবি, বরং হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর সংহতিকেই মিথ্যাভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, খেলার মাঠে দ্বৈরথে নেমেছিল ভারত-পাকিস্তান। খেলাটি ছিল এশিয়া কাপ টি-২০ ম্যাচ। ব্রিটেনের লেস্টারে (Leicester) ওই ম্যাচ হয়েছিল ২৮ অগাস্ট। ম্যাচটি জিতে যায় ভারত। এর দিন কয়েক পরে একদল উত্তেজিত জনতা ব্রিটেনের বার্মিংহামের স্মিথউইকে থাকা একটি দুর্গা ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখায়। পরে এলাকায় সংর্ঘষ বাঁধে। ঘটনায় নাম জড়ায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসের। তবে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় আরএসএস কিংবা হিন্দুত্ববাদী কোনও সম্প্রদায়েরই হাত নেই। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘৃণা ছড়ানো, ভাঙচুর এবং হেনস্থার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজনে বিশ্বাস করে না আরএসএস, সাফ জানালেন প্রচার প্রমুখ

    বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে লেস্টারে (Leicester) বসবাসকারী হিন্দুরা বেজায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের কেউ কেউ দূরে কোনও বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। কেউ কেউ ঘরে স্বেচ্ছাবন্দি হয়েছিলেন। ভয় কাটা না পর্যন্ত তাঁরা এভাবেই ছিলেন। রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে লেস্টার অশান্ত হয়ে ওঠে। ৪ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া অশান্তির রেশ ছিল ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়েই হয় সম্পত্তি নষ্ট, শারীরিক নিগ্রহ, ছুরিকাঘাত এবং প্রার্থনা স্থলে আক্রমণ। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর হিন্দু ও মুসলিম মিছিল করে দু-পক্ষই। একদল জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয়, অন্য পক্ষ বলে আল্লা হু আকবর। লিটিলউডের মতে, এটি সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়ে যাওয়ার নিদর্শন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • T20 World Cup: বোলারের মন বুঝে ব্যাট করার চেষ্টা করি! নিজের সাফল্যের রসায়ন সম্পর্কে কী বললেন সূর্য?

    T20 World Cup: বোলারের মন বুঝে ব্যাট করার চেষ্টা করি! নিজের সাফল্যের রসায়ন সম্পর্কে কী বললেন সূর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেট শুধু ব্যাট বলের খেলা নয়, এটা মাইন্ড গেমও। সেটাই যেন ধরা পড়লো সূর্য কুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) কথায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T-20 World Cup) দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানটি। গ্রুপে পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে দুটিতে সেরা হয়েছেন। রবিবার জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ২৫ বলে তার অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংস মন জয় করে নিয়েছে ক্রিকেট মহলের। রান তো অনেকেই করেন, কিন্তু সূর্য কুমার যাদব যেভাবে বিশ্বের তাবড় বোলারদের বিরুদ্ধে অভিনব শটে চার ছক্কা হাঁকাচ্ছেন তা বড়ই বিস্ময়ের। সূর্যের স্টাইলে মুগ্ধ সুনীল গাভাসকর, বীরেন্দ্র সেওয়াগ থেকে রাহুল দ্রাবিড় সকলেই।

    রবিবার ম্যাচ শেষে ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ তথা ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী এক সাক্ষাৎকারে সূর্য কুমার যাদবের কাছে জানতে চান তার এই অভিনব শর্টগুলির রহস্য। জবাবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানটি বলেন, “আমি চেষ্টা করি বোলারের মন বোঝার। বোলার কি ধরনের বল করতে চাইছে সেটা আন্দাজ করেই শর্ট মেরে  থাকি। তবে এই ধরনের শর্ট খেলা রাতারাতি সম্ভব নয়। এর জন্য আমাকে অনেক প্র্যাকটিস করতে হয়েছে রাবার বলে। ব্যাটে বলে টাইমিং ঠিকমতো না হলে এই ধরনের শটে সাফল্য পাওয়া যায় না। তাই বোলার কি ভাবছে সেটা সঠিকভাবে আন্দাজ করাটাও আমার কাজ।” কব্জির মোচরে অস্ট্রেলিয়ার বড় বড় মাঠে সূর্য কুমার যেভাবে ছক্কা হাঁকাচ্ছেন তা সহজ ব্যাপার নয়। সূর্য কুমার যাদবের কাছে এর রহস্য জানতে চেয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী। তখন তিনি বলেন, “বাউন্ডারি অনেক বড়। কিন্তু আমি যখন ব্যাট করি তখন সেটা মনে হয় ৬০-৬৫ মিটার। প্রচন্ড গতিতে ধেয়ে আশা বলে সঠিক টাইমিং করতে পারলে, এবং ব্যাটের ঠিক জায়গায় সংযোগ ঘটাতে পারলে ছক্কা হাঁকানো মোটেও মুশকিল নয়।”

    আরও পড়ুন: ইংল্যান্ড শক্তিশালী দল! সেমিফাইনালে লড়াই হবে সমানে সমানে, অভিমত রোহিতের

    তিনি ক্রিকেটের নতুন মিস্টার ৩৬০° কিনা সেই প্রশ্ন করা হলে, সূর্য সরাসরি জানিয়ে দেন, “ক্রিকেটের দুনিয়াতে মিস্টার ৩৬০° একজনই ছিলেন এবি ডিভিলিয়ার্স। আমি শুধু তাঁর খেলাটা কিছুটা অনুকরণ করার চেষ্টা করি।” এবি ডিভিলিয়ার্সের বিধ্বংসী ব্যাটিংটা অনেকটাই রপ্ত করে ফেলেছেন স্কাই। একথা স্বয়ং জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি। 

    অধিনায়ক রোহিত শর্মাও, প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় মিডিল অর্ডার ব্যাটসম্যানটিকে। সূর্য প্রসঙ্গে রোহিত বলেন, “সূর্য যেরকম পারফরম্যান্স মেরে ধরছে, তা এক কথায় অনবদ্য। ও নিয়মিত রান পাচ্ছে বলে আমাদের অন্য ব্যাটসম্যানদের চাপ অনেকটাই কমে যাচ্ছে। সূর্য যখন ব্যাট হাতে নামে তখন আমরা ডাগআউটে একটু হালকা মেজাজেই থাকি। কারণ প্রতিপক্ষ যতই কঠিন হোক, যেমনি হোক পিচের চরিত্র সূর্য কিন্তু নিজের মতো খেলে যায়। শুরু থেকে ও যেভাবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে তা সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা সবাই চাইছি ওর এই ফর্ম আরও দুটি ম্যাচে বজায় থাকুক। তাহলে আমাদের লক্ষ্য পূরণে সুবিধা হবে।”

    এখনও পর্যন্ত টি-২০ বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচে ২৪৬ রান করেছেন বিরাট কোহলি। যা প্রতিযোগিতার এখনও সর্বোচ্চ। সঙ্গে বিরাট কোহলির নামের পাশে রয়েছে ৩টি অর্ধশতরান। অপরদিকে, সেমি ফাইনালে ওঠা দলগুলির মধ্যে কোহলির সবথেকে কাছে রয়েছেন সূর্যকুমার। ৫ ম্যাচে রান ২২৫। স্কাইয়ের ব্যাট থেকেও এসেছে ৩টি অর্ধশতরান। এখন চলতি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের দৌড়ে দুই ভারতীয়। শেষ হাসি যেই হাসুক আখেড়ে লাভ হবে দলেরই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gautam Navlakha: গৃহবন্দি গৌতম নভলাখা, নেই কোনও ইন্টারনেট যোগাযোগও

    Gautam Navlakha: গৃহবন্দি গৌতম নভলাখা, নেই কোনও ইন্টারনেট যোগাযোগও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভীমা কোরেগাঁও-এলগার পরিষদ মামলায় অভিযুক্ত জেলবন্দি গৌতম নভলাখার (Gautam Navlakha) আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে গৃহবন্দি (House Arrest) করার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার আদালতের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই আবেদনের শুনানি চলাকালীনই সরকারপক্ষের আইনজীবীকে মৌখিক ভাবে বেশ কড়া কথা শোনায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কেএম জোসেফ ও হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ। এলগার পরিষদ মামলায় নভলাখা এতদিন মুম্বইয়ের একটি জেলে ছিলেন। তবে অসুস্থতার কারণে গৌতম নভলাখা গৃহবন্দি হওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। নভলাখার সেই আবেদনের বিরোধিতা করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু। তিনি বলেন, “নভলাখার মতো মানুষ দেশকে ধ্বংস করতে চান। নভলাখার মতো মানুষরা মোটেই নিরীহ নন।” এরপরই শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ মৌখিক পর্যবেক্ষণে বলে, “এই দেশ কে ধ্বংস করছে? যারা দুর্নীতিবাজ তারা। প্রতিটি অফিসে আপনি যান, সেখানে কী হয়?” এরপরেই কিছু শর্ত রেখে নভলাখাকে গৃহবন্দি করার নির্দেশ দেয় আদালত। জানা গিয়েছে, মুম্বাইয়েই একটি এক কামড়ার ফ্ল্যাটে থাকবেন নভলাখা। সঙ্গে থাকবেন সঙ্গী।

    আরও পড়ুন: ১০ বছরে অন্তত একবার আপডেট করতে হবে আধার কার্ডের তথ্য, নয়া গাইডলাইন কেন্দ্রের

    কী কী শর্ত রাখা হয়েছে?

    • সুপ্রিম কোর্ট তার আদেশে বলেছে যে নভলাখা এই সময়ের মধ্যে মুম্বাই ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারবেন না।
    • গৃহবন্দি থাকার সময় তিনি কোনভাবেই সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন না। 
    • গৃহবন্দী অবস্থায় গৌতমকে টেলিভিশন ও সংবাদপত্র দেখার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।  
    • সুপ্রিম কোর্ট, তার রায়ে এদিন জানিয়েছে আবেদনকারী এবং তার সহযোগী বিশ্বস্তভাবে সমস্ত শর্ত মেনে চলবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কোন অসঙ্গতি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে এবং আদেশ অবিলম্বে বাতিল করা হবে। 
    • কোনও ইন্টারনেটের ব্যবস্থা থাকবে না। 
    • দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় পুলিশের দেওয়া ইন্টারনেট ব্যবস্থা ছাড়া একটি ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু কোনও মেসেজ বা কল লগ ডিলিট করা যাবে না।
    • সপ্তাহে এক দিন তিন ঘণ্টার জন্যে তাঁর মেয়ে এবং স্ত্রী দেখা করতে পারবেন।
    • ফ্ল্যাটের ঢোকা এবং বেরোনোর দরজায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। সেই খরচ বহন করবেন গৌতমই। 
    • এদিকে গৌতম নভলাখাকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) নভলাখার গৃহবন্দি থাকাকালীন পুলিশি নিরাপত্তার খরচ বাবদ এই টাকা দিতে বলেছে।

    কী অভিযোগ নভলাখার বিরুদ্ধে? 

    কেন্দ্র সরকারের সমালোচক নভলাখা গত বছর ২৫ এপ্রিল থেকে মুম্বাইয়ের তালোজা জেলে বন্দি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০১৮ সালের ভীমা কোরেগাঁওয়ের ঘটনায় মাওবাদীদের গোপন তথ্য দিয়ে তিনি সাহায্য করেছিলেন। ভীমা কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্ত মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের অক্টোবরে চার্জশিট জমা দিয়েছিল এনআইএ। তার মধ্যে স্ট্যান স্বামীর জেলবন্দি অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। গৌতম ছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা নাগরিক আইন কর্মী আনন্দ তেলতুম্বড়ে, সমাজকর্মী গৌতম নওলাখা, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হানি বাবু, সমাজকর্মী সাগর গোর্খে, সংস্কৃতিকর্মী রমেশ গাইচোর এবং সমাজকর্মী জ্যোতি জগতপের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: ইসলাম, খ্রিস্টানে ধর্মান্তরিত দলিতদের তফসিলি আওতাভুক্ত করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    Supreme Court: ইসলাম, খ্রিস্টানে ধর্মান্তরিত দলিতদের তফসিলি আওতাভুক্ত করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া দলিতদের তফসিলি জাতির মর্যাদা দেওয়া হবে না। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা জমা দিয়ে একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মুসলিম এবং খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া ব্যক্তিদের সংরক্ষণের আওতায় আনার জন্য জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামালার শুনানির দিন কেন্দ্র এমন কথা জানিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি চলতি নভেম্বর মাসের শেষের দিকে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল তাঁদের তফসিলি জাতির মর্যাদা দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়েই স্পষ্ট জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা পেশ করে এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বলে, ‘খ্রিস্টধর্ম ও ইসলামে কোনও অস্পৃশ্যতা নেই’। তার ফলেই তাদের সংরক্ষণের আওতায় ধরা হবে না।

    দলিত খ্রিস্টানদের জাতীয় পরিষদ এবং অন্যান্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে স্পষ্ট জানাতে বলেছিল। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল হলফনামা পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    আরও পড়ুন: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    সুপ্রিম কোর্টে কী জানাল কেন্দ্র

    কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতকে (Supreme Court) হলফনামা পেশ করে জানিয়েছে, ১৯৫০ সালের সাংবিধানিক আদেশ অনুসারে তফসিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছিল। আর ইসলাম বা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের তফসিলি জাতিভুক্তরা কখনও অন্যায়ের শিকার হননি। অন্যায়ের শিকার যাতে না হন, তার জন্যই তাঁরা ইসলাম বা খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন বলে মনে করছে কেন্দ্র। এছাড়াও অস্পৃশ্যতার মত নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা খ্রিস্টান বা ইসলামি সমাজে প্রচলিত ছিল না বলেই এই দুই ধর্মকে সংরক্ষণের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র।

    উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের সাংবিধানিক আদেশ অনুসারে, শুধুমাত্র হিন্দু, শিখ বা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তফসিলি জাতিদের জন্য চাকরি এবং শিক্ষায় সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছে। কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, সমস্ত ধর্মান্তরিত ব্যক্তিদের তাঁদের সামাজিক দিক না দেখেই যদি সবাইকে সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া হয়, তবে এটি আইনের বিরুদ্ধে হবে ও আইনের অপব্যবহারও করা হবে। এতে তফসিলি উপজাতির অধিকারও কমে যাবে বলে কেন্দ্রের পক্ষে জানানো হয় (Supreme Court) ।

    সরকারের তরফে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সামাজিক-রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে ১৯৫৬ সালে বি আর আম্বেদকর স্বেচ্ছায় বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এই ক্ষেত্রেও সংরক্ষণের আওতায় আনার অধিকার রয়েছে। তবে খ্রিস্টান এবং মুসলিমদের ক্ষেত্রে একই কথা বলা যায় না, কারণ এরা অন্য কারণেও তাঁদের ধর্ম পরিবর্তন করতে পারেন।

  • Dengue and Covid: কোভিড না ডেঙ্গি, বুঝবেন কী করে?

    Dengue and Covid: কোভিড না ডেঙ্গি, বুঝবেন কী করে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় জ্বর হওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। জ্বর মানেই ডেঙ্গি বা কোভিডই (Dengue or Covid) হবে এমনটা নাও হতে পারে। তবে এই ভয় একেবারেই নেই এটা ভাবারও কোনও কারণ নেই। কী করে বুঝবেন ডেঙ্গি না কোভিড হয়েছে? তাই জ্বর হলে ডেঙ্গি বা কোভিড বুঝতে হলে, সব উপস্বর্গগুলিই (Symptoms) জানতে হবে। তবে এই মুহূর্তে কোভিড সংক্রমণের প্রবণতা কমলেও, ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। তাই থাকতে হবে সতর্ক। কোনও উপসর্গ দেখলেই অবহেলা করা যাবে না। সঙ্গে সঙ্গেই করিয়ে নিন পরীক্ষা।

    ডেঙ্গি এবং কোভিডের উপসর্গ 

    ডেঙ্গি হলে, জ্বরের সঙ্গে চোখের পিছনে ব্যথা হবে। জ্বরের সঙ্গে পেশিতে ব্যাথা হবে। বমিবমি ভাবে, মাথা যন্ত্রনা, হাড়ে ব্যাথাও হতে পারে। কোভিডের ক্ষেত্রেও শরীরে ব্যাথা হব এবং মাথা ভার হয়ে থাকবে। গলা খুসখুস, সর্দি জমা, এমনকি শ্বাসকষ্ট অবধি হতে পারে। এরকম অবস্থা হলে বাড়ি বসে না থেকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দরকারে কোভিড হয়েছে কিনা বুঝতে আরটি-পিসিআর কিংবা ডেঙ্গি হয়েছে কিনা বুঝতে এনএস ১ পরীক্ষা করালেই ধরা পড়বে ঠিক কোন রোগ হয়েছে। তবে সবসময় জ্বর মানেই কোভিড না ডেঙ্গি হয়েছে এরকম ভাবারও কোনও কারণ নেই? সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জাও হতে পারে। তাই জ্বর হলে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সরকারি গাইড লাইন মেনে চলুন।

    আরও পড়ুন: ইসলাম, খ্রিস্টানে ধর্মান্তরিত দলিতদের তফসিলি আওতাভুক্ত করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি 

    রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও আশঙ্কাজনক। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে থাকবেন অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। ডেঙ্গি সংক্রমণ সামাল দিতে মুখ্য সচিব নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব-সহ স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের জরুরি তলব করা হয় নবান্নে। জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয় নবান্নের। ডেঙ্গি সংক্রমণের পিছনের এই বাড়বাড়ন্তর কারণ কী? সেই উত্তর খুঁজতেই আলোচনায় বসেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এদিকে ইতিমধ্যেই রাজ্যের ডেঙ্গি-পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ট্যুইট করে জানিয়েওছেন সে কথা। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “রাজ্যের ডেঙ্গি-পরিস্থিতি অযোগ্য সরকারের হাতের বাইরে। আর্থিক সঙ্কটের কারণেই পরিস্থিতি এত ভয়াবহ। দেউলিয়ার পথে রাজ্য সরকার। এর ফল ভুগছে জনস্বাস্থ্য। প্রাণ হারাচ্ছেঞ মানুষ, পরিস্থিতি ভয়াবহ।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India Cricket Team: রোহিতদের পারফরম্যান্সে খুশি নয় বিসিসিআই! দলে একগুচ্ছ পরিবর্তনের সম্ভাবনা

    India Cricket Team: রোহিতদের পারফরম্যান্সে খুশি নয় বিসিসিআই! দলে একগুচ্ছ পরিবর্তনের সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড এর কাছে ১০ উইকেটে হেরে বিদায় নিয়েছে ভারত ( India Cricket Team)। ২০১৪ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে আইসিসি টুর্নামেন্টে খেতাব অর্জন করতে ব্যর্থ টিম ইন্ডিয়া। বারবার ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। কখনও ফাইনালে কখনও আবার সেমিফাইনালে, স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ১৩০ কোটি ভারতবাসীর। তবে বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে যশ বাটলারের দলের বিরুদ্ধে রোহিত বাহিনীর নির্লজ্জ আত্মসমর্পণ অনেকেই মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না।

    অখুশি বিসিসিআই

    বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া, সূর্য কুমার যাদবের মত হাতে গোনা কয়েকজন ভালো পারফর্ম করলেও টিম ইন্ডিয়ার সার্বিক পারফরম্যান্সে খুশি নয় বিসিসিআই। বিশেষ করে কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং তাঁর সহযোগীদের ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ সকলে। অস্ট্রেলিয়া থেকে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা দেশে ফিরলেও এই দলের অনেকে অ্যাডিলেড থেকেই নিউজিল্যান্ড উড়ে যাবেন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে। আর এই সিরিজে রাহুল দ্রাবিড়কে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তাঁর বদলে হার্দিক পান্ডিয়াদের কোচের দায়িত্ব সামলাবেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। যা দেখে অনেকের মনে প্রশ্ন, তাহলে কি, ভারতের (Indian CRicket Team) টি-টোয়েন্টি দলে ব্যাপক পরিবর্তন হতে চলেছে? সেই সম্ভবনা উসকে দিয়ে বিসিসিয়ের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ‘পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ সালে। আপাতত দু’বছর ধরে প্রস্তুতি নিতে হবে। এই মুহূর্তে আমরা কাউকেই অবসর নেওয়ার কথা বলছি না। কিন্তু আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অন্যদেরও সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। স্বাভাবিকভাবেই অনেকে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তাই সরে দাঁড়াতে চাইবেন। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার মতো সিনিয়রদের ওয়ার্কলোড কমানোয় নজর দিতে হবে। পরের বছর দেশের মাটিতে বসবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। আপাতত সেটাকেই পাখির চোখ করা উচিত। পাশাপাশি রোহিত, কোহলিরা যদি সমান্তরাল ভাবে টেস্ট ক্রিকেটে মনোনিবেশ করেন তাহলে আমরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও ভালো জায়গায় থাকতে পারি। T-২০ ফরম্যাটে তাই ব্যাপক রদবদলের সম্ভাবনা থাকছে।’

    আরও পড়ুন: শোয়েব-সানিয়া বিচ্ছেদ! কী বলছেন তারকা দম্পতি?

    গাভাস্কারের পছন্দ হার্দিক

    তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতার পর দীনেশ কার্তিক, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মহম্মদ সামির মতো সিনিয়ার ক্রিকেটারদের আর হয়তো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দেশের জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে না। ইংল্যান্ডের কাছে হারার পর ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা, যেভাবে ঘুরিয়ে ভুবেনশ্বর কুমারকে তুলোধোনা করেছেন তাতে তাঁর পক্ষেও জায়গা ধরে রাখা মুশকিল। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা যদি বেছে বেছে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন তাহলে নতুন অধিনায়ক খুঁজে নিতে হবে জাতীয় নির্বাচকদের। সে ক্ষেত্রে হার্দিক পান্ডিয়া দৌড়ে এগিয়ে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি নেতৃত্ব দেবেন ভারতীয় দলকে (Indian Cricket team)। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার সরাসরি হার্দিকের হয়ে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সামনের দিকে তাকানোর সময় এসেছে। অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারই অবসর নেবে এই ফরম্যাট থেকে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতকে নেতৃত্ব দিক হার্দিক পান্ডিয়া।’

  • Suvendu Adhikari: নাকা চেকিংয়ের আওতায় পড়ুক মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নাকা চেকিংয়ের আওতায় পড়ুক মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভিআইপি-দের গাড়িতে করে চলছে অস্ত্র পাচার। লেনদেন হচ্ছে টাকার। প্রশাসনিক বৈঠকে সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। পুলিশকে নাকা চেকিং বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সমর্থন করেই পাল্টা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেলন, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও যেন নজরদারির আওতায় থাকে। জনগণের নিরাপত্তার জন্য সেই কনভয়ও যেন বাদ না পড়ে।

    ভিডিওগ্রাফি করে চেকিংয়ের দাবি শুভেন্দুর

    নন্দীগ্রামে, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে এক  কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “একবার নয়, ১০০ বার চেকিং করতে পারে। শুধু চেকিং করাই নয়, ভিডিওগ্রাফি করে চেকিং করতে হবে। আর অবশ্যই এই নজরদারি প্রক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকেও রাখতে হবে। নাকা চেকিং চালু হলে নিয়ম সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। কারণ উনিও (মুখ্যমন্ত্রী) তো ভিআইপি।” উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বলেন, “ভিআইপি’দের গাড়িতে যেন অস্ত্র আমদানি না হয়। ভিআইপি’দের স্পেশাল প্রটোকশনের নাম করে অনেকে অস্ত্র ও নোট ক্যারি করে। তাই নাকা চেকিং বাড়াতে হবে। ” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একবার নয়, পুলিশ একশো বার বিরোধী দলনেতার গাড়িতে তল্লাশি করতে পারে। তবে ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে আইপিসি এবং সিআরপিসি মেনেই তল্লাশি করতে হবে। আর পুলিশকে তৃণমূল বেতন দেয় না। তারা সরকারের টাকায় বেতন পান। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার দাবি-পাল্টা দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক মহলে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানেও ছিলেন টেট-চাকরিপ্রার্থীকে কামড় দেওয়া পুলিশকর্মী! কী বললেন শুভেন্দু?

    মমতার দাবি, সুকান্তের অভিযোগ

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,“একটা চক্রান্ত চলছে। স্পর্শকাতর জায়গাগুলো দেখে রাখুন। বিহার থেকে হাজার টাকায় অস্ত্র আসছে। ও-পার থেকে চলে আসছে। এখান-সেখান থেকে চলে আসছে। এগুলো সামলাতে হবে।” অশান্তির আশঙ্কা সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তের মন্তব্য, ‘‘উনি ভয় পেয়েছেন দেখে ভাল লাগছে। আমরা তো শুধু বলেছি ডিসেম্বরে ঠান্ডা পড়বে, ওঁর সরকার কাঁপবে। আর তো কিছু বলিনি। বাকি কথা তো উনিই বলছেন। বাংলার মানুষ ২ মে ২০২১ থেকে শান্তি দেখেছে। উনি কি সেই শান্তির কথা বলছেন? শ্মশানের শান্তি?’’ 

    আরও পড়ুন : নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Agitation: পুলিশের কামড় খাওয়া অরুণিমা-সহ ৩০ জনের জামিন দিল আদালত

    TET Agitation: পুলিশের কামড় খাওয়া অরুণিমা-সহ ৩০ জনের জামিন দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি চেয়ে পুলিশের কামড় খাওয়া চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল সহ সব আন্দোলনকারী টেট চাকরিপ্রার্থী গতকাল অবশেষে জামিন পেল (TET Agitation)। পুলিশের এমন আচরণে সারা রাজ্যবাসী স্তম্ভিত। এমন নৃশংসতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্য পুলিশকে ধিক্কার না করেও কেউ ছাড়েনি। কোনও অপরাধ না করেই এক রাত জেলে কাটিয়ে অবশেষে আন্দোলনকারীরা জামিন পেলে বাকি আন্দোলনকারী চাকরীপ্রার্থীরা উচ্ছাসে ফেটে পড়েন। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ বলে ওঠেন, ‘মজবুত হলাম। মানসিকভাবে আমরা তৈরি হয়েছি। আরও আমরা গর্জে উঠে সাহস এবং সুযোগ পেলাম।’

    কী ঘটেছিল?

    গত বুধবার এক্সাইড মোড়ে চাকরির জন্য আন্দোলনে নামেন ২০১৪-এর টেটে উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা (TET Agitation)। আর তখই তাঁদের সেখান থেকে সরাতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের টেনে-হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছিল। অনেকে আবার প্রিজন ভ্যানের নীচে শুয়েও বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। আবার পুলিশের বিরুদ্ধে কয়েকজন আন্দোলনকারীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। এরই মধ্যে অভিযোগ ওঠে, যে এক মহিলা পুলিশকর্মী অরুণিমার হতে কামড়ে দেয়।

    চাকরিপ্রার্থীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে (TET Agitation)। কিন্তু উল্টে সেই চাকরিপ্রার্থীকেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে শুধুমাত্র গ্রেফতারি নয়, টেট বিক্ষোভে আক্রান্ত অরুণিমা পাল-সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও রুজু করা হয়েছিল। এরপর গতকাল ধৃতদের পেশ করা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তারপর দুপক্ষের সওয়াল-জবাবের পর ওই ৩০ জন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের জামিন দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: টেট বিক্ষোভকারীর হাতে কামড় পুলিশের! জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার আক্রান্তই

    আন্দোলনকারীদের প্রতিক্রিয়া

    বৃহস্পতিবার রাতে জামিনের পরেই উঠল স্লোগান (TET Agitation)। ‘লড়াই চলছে, চলবে।’ এক আন্দোলনকারী বললেন, ‘সরকার তো মুখ থুবড়েছে। ওদের কোনও লজ্জা নেই। আমরা অপরাধী নই। আমাদের পাঁচটা জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে ধরতে চেয়েছিল।’ আরও এক এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ১৪ সাল থেকে বঞ্চিত হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। আর তাঁদেরকেই আসামী বানানো হচ্ছে। তাঁরা কী অন্যায় করেছিল? তাঁদের যে ধারা দেওয়া হয়েছিল, জামিন অযোগ্য ধারা, কেন কী অন্যায় করেছিল? জামিন অযোগ্য ধারা দিতে হয়েছিল?’

    অরুণিমা কী বললেন?

    অরুণিমা বলেন, জামিনে মুক্তি পেয়ে অত্যন্ত খুশি তাঁরা (TET Agitation)। তবে থানায় থাকার সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা এখনও ভুলতে পারছেন না তাঁরা। মুক্তি পেয়ে অরুণিমা বলেন, ‘এটা সার্বিক জয়। আমরা ক্রিমিনাল নই। সেটা প্রমাণ হল। এতদিনে কোর্টের বিচারে তো প্রমাণ হয়েই গিয়েছে আমাদের চাকরি চুরি গিয়েছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, হাতে যেখানে কামড় দিয়েছে সেখানে ব্যথা রয়েছে। চিকিৎসা করাতে হবে। অঝোর ধারায় রক্ত ঝড়ছিল।

    পুলিশের আচরণে উঠছে প্রশ্ন

    আবার এরই মধ্যে এক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে পুলিশকে বলতে শোনা যাচ্ছে, মৃত্যু হলে তার দায় নেবে পুলিশ। একেতেই এরূপ আচরণে হতবাক বঙ্গবাসী। তারপর আবার এই কথা, সবমিলিয়ে রাজ্যে পুলিশের কাজ নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। এরপর আন্দোলনকারীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগের ফলে ফের প্রশ্ন উঠছে যে, পুলিশের এমন আচরণের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে, নাকি সেই পুলিশকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে (TET Agitation)?

LinkedIn
Share