Blog

  • UK Prime Minister: ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ রাজা-রানির থেকেও বেশি!

    UK Prime Minister: ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ রাজা-রানির থেকেও বেশি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের (UK) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। চলতি মাসের ২৮ তারিখ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন তিনি। তার পর তিনি বাসিন্দা হবেন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের। এই বাড়িতেই থাকেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীরা।  ব্রিটেনের রাজা-রানি থাকেন বাকিংহাম প্যালেসে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister) এবং তাঁর স্ত্রী অক্ষত মূর্তির সম্মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে বাকিংহাম প্যালেসের বাসিন্দাদের সম্পত্তির বহরকে।

    একটি সংবাদ মাধ্যমের তরফে করা সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের ভাবী প্রধানমন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ১.৩ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার। ব্রিটেনের ২২২তম ধনীতম বাসিন্দার তালিকায় রয়েছেন সুনক দম্পতিও। সেই তুলনায় প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সম্পত্তির পরিমাণ কম। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৬৬৬ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়ানের পর রাজা হন তৃতীয় চার্লস। রানি হন ক্যামেলিয়া। এই রাজা ও রানির সম্পত্তির পরিমাণ যথাক্রমে ৫৩৬ ও ৩৫০ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার। দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায়ই প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য।

    আরও পড়ুন: ইতিহাস তৈরি করলেন ঋষি সুনক! ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister) ঋষি সুনক প্রাক্তন হেজ ফান্ড ম্যানেজার ছিলেন। তাঁর স্ত্রী অক্ষত ভারতের অন্যতম ধনীতম ব্যক্তির এনআর নারায়ণ মূর্তির কন্যা। টেক জায়েন্ট ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এই নারায়ণ। জুলাই মাসে যে রিচ লিস্ট প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে নারায়ণ কন্যা অক্ষতর অংশীদারিত্বের পরিমাণ ১.২ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার।

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর (UK Prime Minister) স্ত্রী অক্ষত একজন ফ্যাশন ডিজাইনারও। ব্রিটেনে রয়েছে তাঁর প্রাইভেট ইনভেস্ট ফার্ম। সেখানেও বিনিয়োগ করেছেন তিনি। ঋষি এবং অক্ষত দু জনেরই বয়স ৪২। স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পড়ার সময় দু জনের আলাপ। ২০০৯ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। তাঁদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গার্ডিয়ান পত্রিকার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাঁদের চারটি বাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে একটি আবার লস এঞ্জেলেসে, পেন্টহাউস। এই বাড়িতেই শুট্যিং হয়েছে বিখ্যাত ছবি বে ওয়াচ-এর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cyclone Sitrang: কমল সিত্রাংয়ের দাপট! আজ সকাল থেকেই ঝলমলে আকাশ

    Cyclone Sitrang: কমল সিত্রাংয়ের দাপট! আজ সকাল থেকেই ঝলমলে আকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর রাতে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া আর ঝিড়ঝিড়ে বৃষ্টির পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঝলমলে আকাশ। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের (Cyclone Sitrang) বিপদ কেটে গিয়েছে, বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। এদিন আবহাওয়ার ক্রমশ উন্নতি হয়েছে। ভোর রাত থেকেই বৃষ্টি কমে যায়। কমেছে ঝোড়ো হাওয়ার বেগ। তবে এপার বাংলা রক্ষা পেলেও ওপার বাংলা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিধ্বস্ত। পূর্বাভাস মতো সোমবার রাতে বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ে সিত্রাং। স্থলভাগ ছুঁয়ে সিত্রাংয়ের  গতিপথ এখন ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির দিকে। ভারতীয় মৌসম ভবনের (IMD) তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, ‘গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এদিন ভোর থেকেই তা দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং তারপর পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় আরও দুর্বল হবে।’বাংলাদেশে আঘাত হানলেও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় তেমন কোনও ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, নিম্নচাপ কাটলেও আজও এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে।

    আরও পড়ুন: আজ বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ, কখন শুরু হবে ও কোথায় দেখা যাবে?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় সময় রাত সাড়ে নটা থেকে সাড়ে এগারোটার মধ্যে সিতরাং বাংলাদেশের বরিশালের কাছে তিনকোনা ও সন্দীপের মধ্যবর্তী জায়গায় ল্যান্ডফল করে। সেই সময় তার বেগ ছিল ঘন্টায় প্রায় ৯০ কিমি। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ সিতরাং-এর অবস্থান ছিল ঢাকা থেকে ৪০ কিমি পূর্বে, আগরতলা থেকে ৫০ কিমি পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং বাংলাদেশের বরিশাল থেকে ১২০ কিমি উত্তর-উত্তর-পূর্বে।

    আরও পড়ুন: উপলক্ষ কালীপুজো, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, লেক কালী বাড়িতে ভক্ত সমাগম

    দক্ষিণ বাংলাদেশের খেপুপাড়ার কাছে স্থলভাগে আঘাত হানার পর থেকে সেখানে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ে। বাংলাদেশে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাড়িঘর এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে। গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত দেওয়াল চাপা পড়ে এবং বাড়ি ধসে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে কুমিল্লায় ৩, ভোলায় ২, সিরাজগঞ্জে ২ এবং নড়াইল এবং বরগুনায় ১ জন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘন্টা তাণ্ডব চালানোর পরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং রাতেই বাংলাদেশের সীমা অতিক্রম করেছে। অন্ততপক্ষে ২৮,১৫৫ জন মানুষ ও ২,৭৩৬ গবাদি পশুকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে আনা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ স্থানীয় প্রশাসনের তরফে। মঙ্গলবার খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রামে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে।

  • Diwali 2022: উপলক্ষ কালীপুজো, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, লেক কালী বাড়িতে ভক্ত সমাগম

    Diwali 2022: উপলক্ষ কালীপুজো, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, লেক কালী বাড়িতে ভক্ত সমাগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী পুজোর (Kali puja) এই বিশেষ দিনে তারাপীঠে (Tarapith) মা তারাকে কালী রূপে পুজো করা হয়। তারাপীঠে অন্য কোনও দেবীমূর্তি পুজোর চল নেই। কারণ মা তারা এখানে অধিষ্ঠাত্রী দেবী। তাই মা তারাই এখানে মা কালী রূপে পুজিত হন। তারাপীঠে কোনও দেবী মূর্তির পুজোর চল নেই। মা তারাকে সামনে রেখেই সমস্ত দেবী মূর্তির পুজো করা হয় তারাপীঠে। দীপান্বিতা কালী পুজোর তিথিতে সেখানে মা তারাকে শ্যামা রূপে পুজো করা হয়। এ দিন মায়ের নিত্য পুজার্চনার পাশাপাশি শ্যামা রূপে মা তারাকে বিশেষ পুজো করা হবে। 

    এদিন অন্য দিনের মতোই মা তারাকে ভোরবেলা স্নান করানো হয়। এরপর দেবীকে অষ্টধাতুর মুখাভরন, মুণ্ডমালা, মুকুট, সোনার অলঙ্কার, ডাকের সাজ ও ফুল মালা দিয়ে শ্যামা রুপে সাজানো হয়। এরপর শুরু হয় আরতি। মা তারাকে প্রথমে শীতল ভোগ দেওয়া হয়। এদিন মাকে নিত্যভোগও দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    এরপর মাকে রাত্রি বেলা দেবীকে সোনার অলঙ্কারে ও ডাকের সাজে শ্যামা রুপে সাজানো হয়। আজ গোটা রাত মন্দির খোলা থাকবে। কালীপুজোর দিন তারা মাকে পঞ্চব্যঞ্জন সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয় ৷ ভোগ হিসেবে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্ব পোড়া শোলমাছ মাখা। দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষ্যে নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে হয় বিশেষ সন্ধ্যারতি৷ এরপর নিবেদন করা হয় লুচি, পায়েস, সুজি দিয়ে শীতল ভোগ। মন্দিরের এক পুরোহিত বলেন, “তারাপীঠ হল তন্ত্রপীঠ। এটা সাধনপীঠ। কোনও ৫১ পীঠের সতীপীঠ নয়। তাই এখানে তন্ত্রমতে পুজো অর্চনা করা হবে। দেবীকে ভোরবেলায় পঞ্চামৃত দিয়ে তন্ত্রমতে স্নান করানো হয়েছে। এরপর আরতি করা হয়েছে। তারপর গর্ভগৃহ খুলে দেওয়া হয়েছে ভক্তদের জন্য। আজ এখানে বহু তান্ত্রিক আসবেন সাধনার জন্য।”

    এদিকে কালীপুজো উপলক্ষে ভক্ত সমাগম হয়েছে দক্ষিণেশ্বর, লেক কালী বাড়ি, ঠনঠনিয়া কালী বাড়ি, কামাখ্যায়। ৫১ সতীপীঠের শেষ দুটি পীঠ রয়েছে বীরভূমে। একটি, বোলপুরের কঙ্কালীতলা, আরেকটি নলহাটি। দীপান্বিতা অমাবস্যায় এই দুই মন্দিরে মহা ধূমধামের সঙ্গে কালীপুজো হয়। তারাপিঠের পাশাপাশি কালীপুজোর বিশেষ আয়োজনে সেজে উঠেছে কঙ্কালীতলা।

    দক্ষিণেশ্বরে দেবী পূজিতা হন মা ভবতারিণী রূপে। ভোরে দেবী ভবতারিণীর বিশেষ আরতি পুজোর অন্যতম আকর্ষণ। ঘট স্নানের পর মায়ের পুরনো ঘটেই নতুন করে গঙ্গার জল ভরে প্রতিষ্ঠা করা হয় কালীপুজোর দিন। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের দেখানো পথেই পুজো পান এখানে মা ভবতারিণী। ভোগও অতি সাধারণ। ভোগে নিবেদন করা হয় সাদাভাত, ঘি, পাঁচরকমের ভাজা, শুক্তো, তরকারি, পাঁচরকমের মাছের পদ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি। দক্ষিণেশ্বর কিছুটা দূরেই আদ্যাপীঠ মন্দিরে রয়েছে। সেখানেও কালীপুজোর রাতে আদ্যা মায়ের বিশেষ পুজো হয়। অন্যান্য দিনের মতো সন্ধ্যারতিও হয়। সেই সন্ধ্যারতি দেখতে অসংখ্য ভক্ত সমাগম করেন। 

    ৫১ সতীপীঠের অন্যতম পীঠ হল কালীঘাট। ভোগে দেওয়া হয়, বেগুনভাজা, পটলভাজা, কপি, আলু ও কাঁচকলা ভাজা, ঘিয়ের পোলাও, ঘি ডাল, শুক্তো, শাকভাজা, মাছের কালিয়া, পাঁঠার মাংস ও চালের পায়েস। তবে রাতে মাকে নিরামিষ ভোগ নিবেদন করা হয় কালীঘাটে। লুচি, বেগুনভাজা, আলু ভাজা, দুধ, ছানার সন্দেশ আর রাজভোগ থাকে কালীঘাটের ভোগে।

    উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া কালীবাড়িতে সিদ্ধেশ্বরী কালী রূপে পূজিতা হন মা। কথিত আছে যে অতীতে ডাকাতদের আক্রমণ থেকে সতর্ক করার জন্য এই মন্দিরের ঘণ্টা বাজিয়ে ঠনঠন শব্দ করা হত। তাই নাম ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি। কালীপুজোর রাতে ভোগ দেওয়া হয়, লুচি, পটলভাজা, ধোঁকা বা আলুভাজা, আলুর দম ও মিষ্টি। 

    শ্যামাপুজোর অন্যতম আকর্ষণ নৈহাটির অরবিন্দ রোডের বড়মা। মূর্তির উচ্চতা ২১ ফুট। মা এখানে দক্ষিণাকালী রূপে পূজিত হন। বড়মার পুজো উপলক্ষে সকাল থেকেই সাজো সাজো রব নৈহাটিতে। 

    জনপ্রিয়তার নিরিখে পিছিয়ে নেই কলকাতার লেক কালীবাড়িও। ভোররাত থেকেই সেখানে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • T20 World Cup: গাভাসকর নাচলেন, জড়িয়ে ধরলেন দ্রাবিড়! কোহলিয়ানায় ভাসলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা

    T20 World Cup: গাভাসকর নাচলেন, জড়িয়ে ধরলেন দ্রাবিড়! কোহলিয়ানায় ভাসলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেলালেন, তিনি মেলালেন। সমালোচক থেকে প্রশংসক, সকলেই আবেগে ভাসলেন তাঁর সাফল্যের ঢেউয়ে। মেলবোর্নের বাইশগজে টি-২০ বিশ্বকাপে (T-20 World Cup) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের নায়ক বিরাট Virat Kohli)। কোহলিয়ানায় মজেছে গোটা ক্রিকেট মহল। ভারতকে জেতানোর পর কোহলিকে মাঠেই জড়িয়ে ধরেন সতীর্থরা। তাঁকে কোলে তুলে নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। এখানেই থামেনি বিরাট-উৎসব। কোহলি যখন মাঠ থেকে ফিরছিলেন এমসিজি’র ড্রেসিংরুমে, তখন তাঁকে টানেলে দেখে জড়িয়ে ধরেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। নায়কের পিঠ চাপড়ে দেন তিনি। দ্রাবিড় কখনওই সেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন না। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধ ভারতের রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর আবেগ চেপে রাখতে পারেননি ‘দ্য ওয়াল’।

    তবে সেরা দৃশ্য ধরা পড়েছে টিভি’র ক্যামেরায়। যা দ্রুত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। খেলা তখন শেষ পর্যায়ে। কমেন্ট্রি ছেড়ে বাউন্ডারির লাইনের ধারে ভিড় জমিয়েছেন ইরফান পাঠান, কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত, সুনীল গাভাসকররা। ক্রিজে তখন একের পর এক হুঙ্কার ছাড়ছেন বিরাট। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উন্মাদনার পারদ। পেন্ডুলামের মতো দুলছে ম্যাচের ভাগ্য। এমসিজি’র গ্যালারিতে হাজির ৯০ হাজার দর্শকের হাত-পা ঠান্ডা হওয়ার উপক্রম। নওয়াজের শেষ ডেলিভারিতে মিড অফ দিয়ে অশ্বিন পুল করতেই জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেয় টিম ইন্ডিয়া। জয়ের আনন্দে আত্মহারা তখন সুনীল গাভাসকরও। দু’হাত ছুড়ে শিশুর মতো নাচতে শুরু করে দেন তিনি। সেই ভিডিও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন ইরফান পাঠান। যা মন ছুঁয়ে গিয়েছে ক্রিকেট জনতার।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Irfan Pathan (@irfanpathan_official)

    আরও পড়ুন: দেশের সুরক্ষা যাদের কাঁধে, প্রথা মেনে তাঁদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে কার্গিলে মোদি 

    ধারাভাষ্যকার হিসেবে গত তিন বছরে বিরাট কোহলিকে নিয়ে অনেক তির্যক মন্তব্য করেছেন গাভাসকর। কঠিন সময়ে তিনি ভিকের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ক্রিকেট দুনিয়া জানেন, কোহলির সঙ্গে সানির সম্পর্ক অম্ল-মধুর। তাই কিংবদন্তির ডাকে সেদিন সাড়া দেননি কোহলি। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধ মহারণে দেশকে জেতানোর পর এক ঝটকায় তাঁদের সম্পর্কের বরফ অনেকটাই যে গলবে, সেটা এই ভিডিও দেখার পর আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Darul Uloom Deoband: দারুল উলুম দেওবন্দ সহ উত্তর প্রদেশের ৩০৬টি মাদ্রাসার রেজিস্ট্রেশন নেই!

    Darul Uloom Deoband: দারুল উলুম দেওবন্দ সহ উত্তর প্রদেশের ৩০৬টি মাদ্রাসার রেজিস্ট্রেশন নেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাহারানপুর জেলার ইসলামিক সেমিনারি দারুল উলুম দেওবন্দ (Darul Uloom Deoband) এবং ৩০৫টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উত্তর প্রদেশ মাদ্রাসা (Madrasa) এডুকেশন বোর্ড দ্বারা স্বীকৃত নয়। উত্তর প্রদেশ (UP) সরকারের সমীক্ষায়ই উঠে এসেছে এই তথ্য। জানা গিয়েছে, যেসব মাদ্রাসা মাদ্রাসা এডুকেশন বোর্ড দ্বারা স্বীকৃত নয়, তারা স্কলারশিপ, শিক্ষকদের বেতন সহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে। সাহারানপুর জেলা মাইনরিটি ওয়েলফেয়ার অফিসার ভরতলাল গৌর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সাহারানপুরে সব মিলিয়ে ৭৫৪টি নথিভুক্ত মাদ্রাসা রয়েছে।

    সাহারানপুরে প্রচুর মাদ্রাসা রয়েছে। এগুলির মধ্যে মাদ্রাসা এডুকেশন বোর্ড স্বীকৃত মাদ্রাসা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে স্বীকৃত নয় এমন মাদ্রাসাও। সাহারানপুর জেলা মাইনরিটি ওয়েলফেয়ার অফিসার জানান, জেলায় এডুকেশন বোর্ড স্বীকৃত নয় এমন মাদ্রাসার সংখ্যা ৩০৬। জেলায় মাদ্রাসার প্রকৃত সংখ্যা কত, তা জানতে হয়েছিল সমীক্ষা। সেই সমীক্ষায়ই উঠে এসেছে এই তথ্য, জানান তিনি। সরকারি ওই আধিকারিক জানান, দারুল উলুম দেওবন্দ (Darul Uloom Deoband) মাদ্রাসা এডুকেশন বোর্ড দ্বারা স্বীকৃত নয়। সাহারানপুর জেলা মাইনরিটি ওয়েলফেয়ার অফিসার জানান, সরকার ১২টি পয়েন্ট বেঁধে দিয়েছিল। সেই পয়েন্টগুলির ভিত্তিতেই চালানো হয়েছে সমীক্ষা।

    আরও পড়ুন: অবৈধ নির্মাণ না জঙ্গি-যোগ! অসমে বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল মাদ্রাসা

    দারুল উলুম দেওবন্দ (Darul Uloom Deoband) মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সোসাইটি অ্যাক্টে দারুল উলুমের সুরা সোসাইটিতে নথিভুক্ত রয়েছে এই মাদ্রাসা। সংবিধানের ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার বলে চলে এই মাদ্রাসা। তাঁরা জানান, দারুল উলুম দেওবন্দ শিক্ষামূলক কাজকর্ম করে আসছে। দেড়শো বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশকে সেবা করে আসছে। তা সত্ত্বেও এই মাদ্রাসা কোনও সরকারের কাছ থেকেই কোনওরকম সাহায্য কিংবা অনুদান নেয়নি। প্রসঙ্গত, সাহারানপুরের দেওবন্দের এই ইসলামিক প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছিল ১৮৬৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ইসলাম পণ্ডিত এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এঁদের প্রধান ছিলেন মহম্মদ কাসেম নানুতুবি। এখান থেকেই দেওবন্দি আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Modi in Kargil: দেশের সুরক্ষা যাদের কাঁধে, প্রথা মেনে তাঁদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে কার্গিলে মোদি

    Modi in Kargil: দেশের সুরক্ষা যাদের কাঁধে, প্রথা মেনে তাঁদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে কার্গিলে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর (Modi in Kargil) পদে বসার পর থেকে চলে আসছে এই প্রথা। কখনও বদল হয়নি এই নিয়মের। দীপাবলির এই বিশেষ তিনি উজ্জাপন করেন দেশের অতন্দ্র প্রহরীদের সঙ্গে, যাদের জন্যে আমরা প্রতিটা উৎসবে নিশ্চিন্তে মেতে যেতে পারি। আর সেই ধারাকে অব্যহত রাখতে, এবছরও সেনা জওয়ানদের সঙ্গে আলোর উৎসব পালন করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পৌঁছে গিয়েছেন কার্গিলে। 

    আজ সকালেই ট্যুইটারে দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদী। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, “সকলকে দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আলোর সঙ্গে জড়িয়ে দিওয়ালি। এই শুভ উৎসব আমাদের জীবনে আনন্দ ও মঙ্গলের চেতনাকে আরও বাড়িয়ে তুলুক। পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দের সঙ্গে দিওয়াবলি কাটান, এই কামনা করি।” অন্য একটি ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে জানানো হয়, “প্রধানমন্ত্রী কার্গিল পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি আমাদের বীর জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করবেন।” 

     

     

    গতকাল অযোধ্যায় পোৎসবে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে অস্থায়ী রামমন্দিরে মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করেন তিনি। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য্য সত্যেন্দ্র দাস তাঁর কপালে সিঁদুরের টিকা দিয়ে দেন। মন্দিরের দান বাক্সে প্রণামীও দেন তিনি।  

    বিগত আটবছর ধরেই দীপাবলির দিনটি দেশের বিভিন্ন সীমান্তের প্রহরীদের সঙ্গে কাটিয়ে আসছেন মোদি। ২০১৪ সালে গিয়েছিলেন সিয়াচেনে। এরপর ২০১৫ সালে পাঞ্জাবের সীমান্তে গিয়ে ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের তিনটি সৌধে সম্মান জ্ঞাপন  করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৬ সালে হিমাচলের চিন সীমান্তে যান। সেখানে আইটিবিপি জওয়ানদের সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করেন। এরপর ২০১৭ সালে উত্তর কাশ্মীরের গুরেজ সেক্টরে গিয়েছিলেন মোদি। ২০১৮ সালে মোদী যান উত্তরাখণ্ডের হরসিল সীমান্তে। ২০১৯ সালে কাশ্মীরের রাজৌরি এবং ২০২০ সালে গিয়েছিলেন রাজস্থানের লঙ্গেওয়ালা সীমান্তে। গতবছর প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন কাশ্মীরের নৌশেরায়। এবারেও কাশ্মীর।   

  • Tarapith: তারা মায়ের অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা! জানেন কী কী থাকে তারাপীঠে মায়ের ভোগে?

    Tarapith: তারা মায়ের অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা! জানেন কী কী থাকে তারাপীঠে মায়ের ভোগে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তিপীঠ, সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ (Tarapith)। কালীপুজোয় (Kali Puja 2022)জমজমাট বীরভূমের তারাপীঠ। অনেকে ভাবেন এটি সতীপীঠ কিন্তু তারাপীঠ সতীপীঠ নয়। কথিত আছে, একবার দেবীর মাতৃরূপ দর্শন চান বশিষ্ঠ মুনি ৷ দেবীও নিরাশ করেননি ৷ এখানেই তাঁকে মাতৃরূপে দর্শন দেন দেবী। এখানেই তপস্যা করে সিদ্ধিলাভ করেন তারা মায়ের ভক্ত বামাক্ষ্যাপা। ফলে এটি সিদ্ধ পীঠ হিসেবেও পরিচিত। আজ, সোমবার অমাবস্যায় রীতি মেনে পুজো হবে এখানে। আলোয় সেজে উঠেছে মন্দির চত্বর।

    আরও পড়ুন: জনশ্রুতি, তাঁর নামেই হয়েছে রানাঘাট শহরের নামকরণ, জানুন রণ ডাকাতের কালীপুজোর গল্প

    এদিন সকালে স্নানের পর দেবীর শিলাব্রহ্মময়ী মূর্তিকে রাজবেশে সাজিয়ে তোলা হয়।  পরানো হয় চুনরি। এরপর পঞ্চ উপাচারে মঙ্গলারতি এবং নিত্যপুজো সম্পন্ন হয়। কালী পুজোর দিন খুব সকালে ডাবের জল দিয়ে শুরু হয় মায়ের ভোগ। সকালের ভোগে থাকে পাঁচ রকম বা ন’রকমের ভাজা, সাদা অন্ন, পায়েস ও মিষ্টি। এখানে মাকে পঞ্চব্যঞ্জন সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয় ৷ আমিষ ভোগের মূল উপাদান হল শোল মাছ। ভোগের পাতে এই মাছ না থাকলে ভোগ গ্রহণ করেন না মা তারা। কালীপুজোর দিন তারা ভোগ হিসেবে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা। 

    আরও পড়ুন: জানুন, সাতের দশকের কলকাতার ডন ‘ফাটাকেষ্ট ও তাঁর কালীপুজোর গল্প‌’

    দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষ্যে নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে হয় বিশেষ সন্ধ্যারতি। এরপর নিবেদন করা হয় লুচি, পায়েস, সুজি দিয়ে শীতল ভোগ। তারা মায়ের যে ভাবে ভোগ পুজো হয়, সেই একই ভাবে পুজো করা হয় শ্মশান কালীকে। শ্মশানেই রয়েছে মায়ের আসল শিলা পাদুকা। তার পাশে বামদেবের সমাধি। তারাপীঠের নিয়ম অনুযায়ী সন্তানকে খাইয়ে তবেই তারা মা ভোগ গ্রহণ করেন। তাই বামদেবের ভোগ আগে দেওয়া হয়। ভোগের তালিকায় রয়েছে প্রেত ভোগও। ডাকিনী যোগিনীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এই ভোগ শ্মশানেই দেওয়া হয়। রাতে এক বারই এই ভোগ আয়োজন থাকে। বামদেবের খুব প্রিয় কুকুর ছিল শিবা। তার জন্যও থাকে বিশেষ ভোগের আয়োজন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cyclone Sitrang: জারি হয়েছে লাল সতর্কতা, সিত্রাং মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন

    Cyclone Sitrang: জারি হয়েছে লাল সতর্কতা, সিত্রাং মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলাদেশেই আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং (Cyclone Sitrang)। মঙ্গলবার সকালে স্থলভাগে প্রবেশ করবে এই ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। পাশাপাশি উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্য, ত্রিপুরা, অসম, মিজোরাম, মণিপুর ও নাগাল্যান্ডেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    সিত্রাং-এর প্রভাবে ভোর রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায়। বইছে ঝোড়ো হাওয়া। কুলতলি ব্লকের কৈখালিতে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে এনডিআরএফ (NDRF) দল। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে মাইকে সতর্ক করা হচ্ছে l এছাড়াও সতর্ক করছেন সুন্দরবন এলাকার বন কর্মীরা। 

    সিত্রাং পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সাগর, কুলতলি, কাকদ্বীপ গোসাবা সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রস্তুর এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ দল। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলি হল ০৩৩-২৪৪৮৮০৫১ এবং ০৩৩-২৪৪৮৮০৫২।    

    জেলা শাসকের দফতরে তরফ থেকে, ঝড়ের উপর সর্বক্ষণ নজর রাখার জন্য রয়েছে বিশেষ জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার যে পাঁচটি জায়গায় ক্ষতির সম্ভাবনা সব থেকে বেশি সেই জায়গাগুলিতে লাইভ মনিটারিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একজন আধিকারিক সবসময় সেদিকে নজর রাখবেন। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ভোরে ল্যান্ডফল, কোথায় আছড়ে পড়ছে সিত্রাং?  

    এ দিকে, শনিবার রাতের মধ্যে তিরে ফিরে এসেছে মৎস্যজীবী ট্রলারগুলি। প্রায় ৩৫০০টি ট্রলার ফিরে এসেছে। এখনও কোনও ট্রলার সমুদ্রে আছে কি না তা খোঁজ নিয়েছে পুলিশ। বকখালির ফ্রেজারগঞ্জ ঘাঁটির উপকূল রক্ষী বাহিনী ও ড্রোনিয়ার দিয়ে ট্রলারের খোঁজ চালানো হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা বেলায় সাগর ও কাকদ্বীপে মাইকিং করছে।   

    আবহাওয়া দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর ও নাগাল্যান্ডে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও অরুণাচল প্রদেশে। আসামের কাচার, করিমগঞ্জ ও হালাইকাণ্ডিতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিজোরামের ১১টি জেলায়, ত্রিপুরার ৮টি জেলায় ও নাগাল্যান্ডের ১৬টি জেলাতেও লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।     

  • Government employee: কাজে গাফিলতি! দোষী প্রমাণ হলে সরকারি কর্মীদের বন্ধ হয়ে যাবে পেনশন, গ্র্যাচুইটি?

    Government employee: কাজে গাফিলতি! দোষী প্রমাণ হলে সরকারি কর্মীদের বন্ধ হয়ে যাবে পেনশন, গ্র্যাচুইটি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ (DA) উপহার দেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে বোনাসও। জোড়া উপহার পেয়ে যারপরনাই খুশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা (Government employee)। তবে এবার তাঁদের দেওয়া হল সতর্কবার্তাও (Warning)। কেন্দ্রের তরফে জারি করা ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, কাজের সময় আরও সতর্ক হোন। কাজের ক্ষেত্রে অবহেলা করবেন না। যদি তা প্রমাণ হয়, তাহলে অবসরের পর বন্ধ হয়ে যাবে পেনশন এবং গ্র্যাচুইটিও। এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে কেবল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে। রাজ্য চাইলে এর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

    কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের (Government employee) ডিএ ৩৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৮ শতাংশ। বেসিক পে-র ৩৮ শতাংশ হারে ওই ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে তা কার্যকর করা হবে বলেও জানানো হয়। এর পর দেওয়া হয়েছে বোনাসও। এসবের সঙ্গে এবার দেওয়া হল সতর্কবার্তাও। সম্প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, যদি কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি (Government employee) কর্মী গুরুতর দোষী সাব্যস্ত হন অথবা তাঁর কর্মজীবনে কোনও কিছু অবহেলার প্রমাণ মেলে, তাহলে অবসরের পর বন্ধ করে দেওয়া হবে পেনশন ও গ্র্যাচুইটি। এই যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে, তা সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস পেনশন রুল ২০২১ এর অধীনে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই সিসিএস পেনশন রুলস ৮ পরিবর্তন করেছে। এই বদল করতে গিয়েই তিনটি নয়া বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিয়মে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের কাছে। ওই নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে, যদি কোনও সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

    নয়া নিয়মে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি পুরোপুরি কিংবা আংশিক বন্ধ করে দেওয়ার। একমাত্র দোষী প্রমাণিত হলে তবেই তা করা যাবে। কর্মজীবনে যদি বিভাগীয় কিংবা বিচার বিভাগীয় কোনও পদক্ষেপ করা হয়, তাহলে অবশ্যই তা জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। অবসরের পর কোনও কর্মী যদি পুনর্নিযুক্ত হন, তাহলেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

     

  • Early Marriage: চাকরি নেই, ২১ ছোঁওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে বাংলার সিংহভাগ মহিলার!

    Early Marriage: চাকরি নেই, ২১ ছোঁওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে বাংলার সিংহভাগ মহিলার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ ছোঁওয়ার আগেই বিয়ের (Marriage) পিঁড়িতে বসে যান পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) ও ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand)  অর্ধেকেরও বেশি মহিলা। কম বয়সে মা হওয়ায় ভগ্নস্বাস্থ্য হচ্ছেন তাঁরা। জন্মের পর থেকে সন্তানও হচ্ছে কমজোরি। কী কারণে কম বয়সে বিয়ে (Early Marriage) করে ফেলছেন এই দুই রাজ্যের মেয়েরা? কারণ জানলে চমকে উঠবেন আপনিও। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের মধ্যে এই দুই রাজ্যে মহিলাদের চাকরির সুযোগ কম। তাই ঘরে বসে থেকে সময় নষ্ট না করে বিয়ে করে সংসারি হয়ে পড়ছেন এই দুই রাজ্যের সিংহভাগ মহিলা। আরও জানা গিয়েছে, সরকারের যেসব উন্নয়নমূলক প্রকল্প রয়েছে, তার সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। যার জেরে নিত্য বাড়ছে কম বয়সে বিয়ের প্রবণতা। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ আবার এই ডেটায় সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই সমীক্ষা করা হয়েছিল কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে।

    তবে ওই সমীক্ষা থেকে এটা স্পষ্ট যে, দেশের মধ্যে কেবল বাংলা ও ঝাড়খণ্ডই সেই রাজ্য যেখানে অর্ধেকেরও বেশি মহিলার বিয়ে হয়ে যায় একুশ বছর হওয়ার আগেই। সমীক্ষায় প্রাপ্ত পরিসংখ্যান বলছে, বাংলার  মহিলাদের মধ্যে ৫৪.৯ শতাংশের বিয়ে হয়ে যায় একুশের গণ্ডী পার হওয়ার আগেই। ঝাড়খণ্ডের ক্ষেত্রে এটা ৫৪.৬ শতাংশ। শতাংশের হিসেবে গোটা দেশের গড় ২৯.৫।

    আরও পড়ুন: “পশ্চিমবঙ্গ, না কি হিটলারের জার্মানি?” টেট উত্তীর্ণদের উপর পুলিশের বলপ্রয়োগে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

    সমীক্ষা থেকে আরও জানা যাচ্ছে, শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে সমস্যাটা আরও বেশি। গ্রামাঞ্চলের মহিলারা সম্মানজনক কাজ পান না। তাই তাঁদের মা-বাবারা তাড়াতাড়ি বিয়ে (Early Marriage) দিয়ে দেন মেয়েদের। একথা বলছেন কংগ্রেস নেত্রী দীপিকা পাণ্ডে সিং। ঝাড়খণ্ডে বাল্যবিবাহ রোধে কাজ করছেন দীপিকা। তিনি বলেন, ঝাড়খণ্ডে বাল্য বিবাহের প্রবণতা রয়েছে সমাজের সর্বস্তরে। উপজাতি, হিন্দু, সংখ্যালঘু, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ধনী-গরিব নির্বিশেষে সর্বত্র। জনসচেতনতা বাড়াতে ধারাবাহিক প্রচারের প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। দীপিকার কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেল কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিদ্যার অধ্যাপক সুকন্যা সর্বাধিকারীর গলায়। তিনিও বলেন, গ্রামাঞ্চলে অল্প বয়সী মেয়েদের কাজের সুযোগ কম। তাই কবে চাকরি পাবেন, সেই ভরসায় না থেকে তাঁদের অনেকেই বসে পড়ছেন বিয়ের পিঁড়িতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share