Blog

  • PFI: নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই?

    PFI: নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএস (RSS) এবং বিজেপি (BJP) নেতাদের টার্গেট করেছিল সদ্য নিষিদ্ধ ইসলামিক সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India)। অন্তত মহারাষ্ট্রের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের (ATS) তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে পিএফআইকে। দেশজুড়ে পিএফআই এবং তার সহযোগী সংস্থার ডেরায় হানা দিয়েছে এনআইএ। দেশের ১০টি রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে একশোরও বেশি পিএফআই সদস্যকে। তার পরে ক্রমেই ফাঁস হচ্ছে  পিএফআইয়ের একের পর এক গোপন ছক!

    নাগপুরে রয়েছে আরএসএসের সদর দফতর। জানা গিয়েছে, এই দফতর এবং বিজেপির শীর্ষস্তরের নেতারা ছিলেন পিএফআইয়ের রাডারে। আসন্ন দশেরা উৎসবে যেসব আরএসএস নেতা যোগ দেবেন, তাঁদের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য জোগাড়ের পরিকল্পনাও করেছিল পিএফআই। গোয়েন্দা নোটে বলা হয়েছে, দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে অস্থিরতা তৈরির পরিকল্পনা করেছিল পিএফআই। সংগঠনের প্রবীণ নেতারা দিল্লির তিহার জেলে বন্দি থাকায় তারা আপসেট হয়ে পড়েছিল। ওই নোটে এও বলা হয়েছে, পিএফআই বেশ কয়েকজন আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল। এই আত্মঘাতী জঙ্গিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এনআইএ, ইডি এবং সরকারি আধিকারিকদের টার্গেট করতে। কারণ পিএফআই বিশ্বাস করে এই সংস্থাগুলি তাদের লক্ষ্য পূরণে প্রধান বাধা। বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন ও নেতাদের আক্রমণ করার দায়িত্বও বর্তেছিল আত্মঘাতী ওই জঙ্গিদের ওপর।

    উত্তর প্রদেশেও সংগঠন বাড়াচ্ছিল পিএফআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সম্প্রতি এই নিষিদ্ধ সংগঠন সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমেছিল। এই সদস্যদের কাজ ছিল আরও বেশি করে হিন্দু মেয়েদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করা। যাঁরা ধর্মান্তরিত হবেন, তাঁদের বাড়ি, টাকাপয়সা এবং চাকরির প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হচ্ছিল। পিএফআই লখনউ-বারাবাঁকি সীমান্তের কাকোরির কুর্সি গ্রামে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরও চালাত। এই শিবিরেই কীভাবে হিন্দু মেয়েদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করতে হবে, তা শেখানো হত।

    আরও পড়ুন : টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস

    কেরলে আরএসএস এবং বিজেপির অফিস এবং তাদের সদস্যদের সম্পত্তিতে পেট্রো-বম্ব হামলা চালানো হয়েছিল। বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের গাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল পিএফআইয়ের। গোটা রাজ্যে এরকম প্রায় ২০টি হামলার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে ১৫ জনকে। এর মধ্যে দুজন এসডিপিআই সদস্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Agniveer Vayu Recruitment 2023: পুজোর পরেই অগ্নিবীর পদে নিয়োগ করবে ভারতীয় বায়ুসেনা, জানুন বিস্তারিত

    Agniveer Vayu Recruitment 2023: পুজোর পরেই অগ্নিবীর পদে নিয়োগ করবে ভারতীয় বায়ুসেনা, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অগ্নীবির বায়ু (IAF Agniveer Recruitment 2023) পদে নিয়োগ করতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। মহিলা এবং পুরুষ উভয়ই এই পদে আবেদন করতে পারবেন। সম্প্রতি ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে অগ্নিবীর বায়ু পদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে বিশদে জানতে https://agnipathvayu.cdac.in– এই ওয়েবসাইটটি দেখতে পারেন।

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর নিয়োগের পরীক্ষার পাঠক্রম প্রকাশ বায়ুসেনার, জানুন বিস্তারিত

    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভারতীয় বায়ুসেনা এখনও ২০২৩ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেনি। কথা মতো চলতি বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদনের লিঙ্ক অ্যাকটিভেট করা হবে বায়ুসেনার পক্ষ থেকে। অনলাইনে আবেদন করতে হবে।  প্রার্থীরা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেই আবেদনপত্র পেয়ে যাবেন। 

    আরও পড়ুন: “গণতন্ত্রে প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য, তবে হিংসা বরদাস্ত নয়”, হুঁশিয়ারি ডোভালের

    ২০২৩ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে নেওয়া হবে অনলাইন পরীক্ষা। নিশ্চিত করে কোনও তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। কতগুলি শূন্যপদ রয়েছে সে বিষয়েও এখনও কিছু জানায়নি বায়ুসেনা। 

    এই বিষয়ে কিছু তথ্য জেনে নিন:

    পদের নাম: অগ্নিবীরবায়ু

    কাজের স্থান: ভারত

    নির্বাচন পদ্ধতি: অনলাইন পরীক্ষা ও অন্যান্য

    আবেদন শুরু: নভেম্বর, ২০২২

    যোগ্যতা: ৫০% নম্বর নিয়ে দ্বাদশ পাস হতে হবে। এছাড়াও, ইংরেজিতে কমপক্ষে ৫০% নম্বর থাকতে হবে। এছাড়াও, প্রার্থীদের কমপক্ষে ৫০% নম্বর সহ প্রকৌশলে দুই বছরের ডিপ্লোমা (মেকানিক্যাল/ ইলেক্ট্রিক্যাল/ ইলেকট্রনিক্স/ অটোমোবাইল/ কম্পিউটার সায়েন্স/ অটোমোবাইল/ কম্পিউটার সায়েন্স/ ইন্সট্রুমেন্ট টেকনোলজি/ আইটি) সম্পন্ন করতে হবে।  

    বয়স: আবেদনকারীর সর্বনিম্ন বয়স ১৭.৫ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ২১ বছরের মধ্যে হতে হবে।

    কয়েক মাস আগেই অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এর মাধ্যমে প্রত্যেক বছর দেশের বায়ু, স্থল এবং নৌসেনায় নিয়োগ করা হবে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Indian Flag: জাতীয় পতাকায় ‘টক্কর’ পাকিস্তানকে, আটারিতে উড়বে ভারতের উচ্চতম তেরঙা

    Indian Flag: জাতীয় পতাকায় ‘টক্কর’ পাকিস্তানকে, আটারিতে উড়বে ভারতের উচ্চতম তেরঙা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে ওয়াঘা-আটারি সীমান্তে (Wagah-Attari border) উড়বে দেশের উচ্চতম জাতীয় পতাকা (National Flag)। যা প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তানের পতাকার উচ্চতাকেও ছাড়িয়ে যাবে। এই তেরঙাটির উচ্চতা হবে ৪১৮ ফুট। ফলে আর কিছুদিনের মধ্যেই  ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে দেশের সবচেয়ে বড় পতাকা (Indian Flag) উড়তে দেখা যাবে।

    বর্তমানে যে পতাকাটি লাগানো রয়েছে, সেটির উচ্চতা ৩৬০ ফুট। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ করে ওই পতাকাটি স্থাপন করা হয়েছিল। অন্যদিকে পাকিস্তানও সেই বছরই একটি বড় পতাকা স্থাপন করে। দৈর্ঘ্যে সেটি আবার ভারতের পতাকার (Indian Flag) থেকে বেশি দীর্ঘ। এটির উচ্চতা ৪০০ ফুট। ফলে পাকিস্তানকে তার উত্তর দিতেই ভারত এবার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ও পাকিস্তানের চেয়েও বড় পতাকা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানের পতাকাটি পাকিস্তানের পতাকার থেকে আকারে ছোট হলেও এই নতুন পতাকাটি ছাপিয়ে যাবে পাকিস্তানের পতাকাটির উচ্চতাকে। ভারতের পতাকাটি পাকিস্তানের পতাকার থেকেও ১৮ ফুট লম্বা বলে জানা গিয়েছে।

    কেন্দ্রের এবং রাজ্য সরকারের অনুমতি পাওয়ার পরেই ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি (NHAI) এই পতাকা নির্মাণের বরাত দিয়েছে এক কন্ট্রাক্টরকে। তবে নতুন পতাকা (Indian Flag) লাগানো হলেও বর্তমান পতাকাটি সরানো হবে কি না তা নিয়ে আলোচন চলছে।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা তো তুললেন, কিন্তু পতাকা ভাঁজ করার সঠিক নিয়ম জানেন কি?

    এনএইচএআই-এর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আটারি-ওয়াঘা সীমান্তের ঠিক কোন স্থানে নতুন পতাকাটি (Indian Flag) স্থাপন করা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। তিনি আরও জানান, ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই সম্ভবত পতাকাটি স্থাপন করা হবে। বিএসএফের কর্মকর্তাদের পরামর্শ মেনে সম্ভবত যৌথ চেক পোস্টের কাছে যেখানে পর্যটকদের গ্যালারি রয়েছে, সেখানেই উড়তে পারে দেশের উচ্চতম জাতীয় পতাকা (Indian Flag)।

    এক বিএসএফ কর্মকর্তা বলেন, “অনেক দর্শক আমাদের জাতীয় পতাকার উচ্চতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন, কারণ পাকিস্তানের পতাকার তুলনায় ভারতের পতাকার (Indian Flag) উচ্চতা কম দেখায়। নতুন পতাকা বসানোর সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের কোনও অভিযোগ থাকবে না, বরং তাঁরা খুশী হবেন।“ অবশেষে ভারতবাসীর সেই দাবিই সত্যি হতে চলেছে। তবে শুধুমাত্র পতাকা নয়, এনএইচএআই সীমান্তের সৌন্দর্যায়নেও কাজ করা হচ্ছে, যা দর্শকদের কাছে এক আকর্ষণ হয়ে উঠবে। ফলে প্রতিবেশিদের পতাকাকে ছাপিয়ে আকাশছোঁয়া তেরঙাকে দেখতে সীমান্তে মানুষের ভিড় উপচে পড়তে চলেছে, তা এখনই বোঝা যাচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের উচ্চতম জাতীয় পতাকা (Indian Flag) আছে কর্ণাটকে বেলাগাম ফোর্টে। এটির উচ্চতা ৩৬১ ফুট, যা আটারি সীমান্তে বর্তমান পতাকার চেয়ে মাত্র এক ফুট লম্বা।

  • WHO Alert: ‘হু’-র সতর্কবার্তার জের! দেশে তৈরি ৪ কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্তে কেন্দ্র

    WHO Alert: ‘হু’-র সতর্কবার্তার জের! দেশে তৈরি ৪ কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্তে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে তৈরি কাফ সিরাপ নিয়ে সতর্কতা জারি করার পরেই কেন্দ্র থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ওষুধগুলো নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এই সিরাপগুলি তৈরি করেছে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড নামের হরিয়ানার সোনেপতের একটি ওষুধ নির্মাতা সংস্থা। আর এই ওষুধগুলোর জন্যই গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করায় বুধবার একটি নির্দেশিকা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, “দয়া করে এই ওষুধগুলি ব্যবহার করবেন না।” আর এরপরেই অবিলম্বে কেন্দ্র থেকে তদন্তের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা পাওয়ার পরই দেশে তৈরি কাফ সিরাপগুলি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের তরফে সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, হরিয়ানার সোনেপতের মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড নামক সংস্থার তৈরি কাফ সিরাপে কী কী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও অবধি পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সংস্থা থেকে একমাত্র গাম্বিয়াতেই ওষুধ রপ্তানি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ওষুধ অন্য কোনও দেশে পাঠানো হয়েছে কিনা, তাও তদন্ত করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: আজানের সুর! ভাষণ থামালেন অমিত শাহ, মুগ্ধ উপত্যকাবাসী

    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের থেকে জানা গিয়েছে যে, হু ২৯ সেপ্টেম্বর কাশির সিরাপ সম্পর্কে ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই) কে সতর্ক করেছিল। আর তারপরেই কেন্দ্রীয় ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন অবিলম্বে হরিয়ানার ওই সংস্থার ওপর নজর রাখতে এবং তদন্ত শুরু করেছে। হরিয়ানার ওই সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, এই ওষুধগুলো শুধুমাত্র গাম্বিয়াতেই পাঠানো হয়েছে, অন্য কোনও দেশে পাঠানো হয়েছে কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ওষুধ তৈরির সংস্থাটি। 

    এরই মধ্যে চারটি সিরাপ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেগুলির মধ্যে অস্বাভাবিক মাত্রায় ডাইথাইলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন গ্লাইকল রয়েছে। যা মানবদেহে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। যে চারটি ওষুধ নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেগুলো হল- ওরাল সলিউশন, কোফেক্সমালিন বেবি কাফ সিরাপ, মেকঅফ বেবি কাফ সিরাপ ও ম্যাগরিপ এন কোল্ড সিরাপ। এই ওষুধগুলোতে যে উপাদানগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো মানব শরীরে প্রবেশ করলে পেটব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, মূত্রত্যাগের সমস্যা ও কিডনির গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে এই ওষুধগুলির গুণমান ও সুরক্ষা সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই বলেই জানা গিয়েছে।

  • Amit Shah: আজানের সুর! ভাষণ থামালেন অমিত শাহ, মুগ্ধ উপত্যকাবাসী

    Amit Shah: আজানের সুর! ভাষণ থামালেন অমিত শাহ, মুগ্ধ উপত্যকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের বারামুলায় এক জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেই সময় পাশের এক মসজিদ থেকে আজানের সুর কানে আসতেই বক্তব্য থামিয়ে দেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সৌজন্যতা উপতক্যার মানুষের মন জয় করে নিয়েছে। সভায় থেকে তাঁর নামে ওঠে জয়োধ্বনি। অতীতে একই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi) বেশ কয়েকবার আজানের সময় বক্তব্য থামিয়ে দিয়েছিলেন।

    বিশাল জনসভায় অমিত শাহ বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি প্রতিষ্ঠায় কেন্দ্রীয় সরকার বদ্ধপরিকর। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে উপত্যকার মানুষের সুরক্ষা আরও শক্তপোক্ত করা হবে।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ একেবারে নির্মুল করাই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু বিরোধীরা সেটা চায় না। তাই তারা বার বার পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার কথা বলছে। ৭০ বছর যারা দেশ শাসন করল, তারা জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে? তারাই কিনা বলছে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করতে। কেন আমরা পাকিস্তানের সঙ্গ কথা বলব? তার কোনও সম্ভাবনা নেই। আমরা বারামুলাবাসীদের সঙ্গে কথা বলব, কথা বলব জম্মু ও কাশ্মীরের জনতার সঙ্গে।’

    অমিত শাহর তিন দিনের জম্মু ও কাশ্মীর সফর বুধবারই শেষ হয়েছে। শ্রীনগরের নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি দফায় দফায় বৈঠক করেন। উপতক্যার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।

  • Uttarkashi Avalanche: উত্তরকাশী তুষারধস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, এখনও নিখোঁজ ১৩

    Uttarkashi Avalanche: উত্তরকাশী তুষারধস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, এখনও নিখোঁজ ১৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীতে তুষারধসে (Uttarkashi Avalanche) সব মিলিয়ে এই অবধি ১৬ জনের মৃতদেহ (Death Toll) পাওয়া গিয়েছে। খারাপ আবহাওয়া থাকায় বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দেওয়া হয় নিখোঁজদের সন্ধানকাজ। শুক্রবার ফের সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। ৪ অক্টোবর ৪টি দেহ উদ্ধার হয়েছিল এবং ৬ অক্টোবর ১২টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে ২জন শিক্ষক ও ১৪ জন প্রশিক্ষণরত পর্বতারোহী ছিলেন।  নিখোঁজ এখনও ১৩ জন। 
     
    উত্তরকাশীতে “দ্রৌপদী কি  ডান্ডা -২”- তে পর্বতারোহন প্রশিক্ষণের জন্য নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং এর ৪১ জনের একটি দল যায়। এই দলে ছিলেন ৯ জন শিক্ষক ও বাকিরা প্রশিক্ষণরত পর্বতারোহী। জানা গিয়েছে এই দলে  দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, গুজরাত, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, আসাম ও হরিয়ানার বাসিন্দা ছিলেন। হঠাৎ তুষারধসে (Uttarkashi Avalanche) আটকে পড়েন তাঁরা। ঘটনার আকস্মিকতা সামলাতে না পেরে মৃত্যু হয় ১৬ জনের। রেসকিউ বুলেটিন প্রকাশ করে উদ্ধারকাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং।     
      
    দ্রৌপদী কি  ডান্ডা -২ শৃঙ্গটি ৫৬৭০ মিটার উঁচু। অঞ্চলটি আগে থেকেই দুর্ঘটনাপ্রবণ (Uttarkashi Avalanche) বলে পরিচিত। আর এই অঞ্চলের পাহাড়ি ঢালগুলি খাড়া হাওয়ায় ঢালের গা বেয়ে তুষারের স্তুপ ভেঙে পড়ে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধারকাজ জারি রাখছে উত্তরাখণ্ডের  উদ্ধারকারী দল। স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (SDRF), ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (NDRF), ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ  (ITBP) এবং ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF) হেলিকপ্টার নিয়ে খোঁজ চালাচ্ছে।     

    এই দলে স্থানীয় কিছু মালবাহকও ছিলেন বলে উত্তরাখণ্ড সরকার সূত্রে খবর। যাদের দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁদের মধ্যে ছিলেন এভারেস্টজয়ী তথা নিমের প্রধান সবিতা কাঁসওয়াল। সবিতা কাঁসওয়াল  উত্তরকাশীর  লংথ্রু গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

    আরও পড়ুন: যদি আমরা ১০ সেকেন্ড সময়ও পেতাম, আমরা আরও জীবন বাঁচাতে পারতাম…     
     
    উত্তরকাশীতে  কিছুদিন আগেও তুষারধসে (Uttarkashi Avalanche) মৃত্যু হয়েছিল  ১০ জনের।  তার দুদিন পর আবার এমন দুর্ঘটনায় নড়েচড়ে বসছে উত্তরাখণ্ড সরকার। ট্রেকিং এর অনুমোদন দেওয়ার আগে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরির কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। 

    রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ এবং ভারতীয় বিমান বাহিনী নিখোঁজ পর্বতারোহীদের (Uttarkashi Avalanche) সনাক্ত করতে গতকাল একটি যৌথ অভিযান চালায়। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিকেল চারটের দিকে অভিযান বন্ধ করে দেয় সেই দল। ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী দক্ষ পর্বতারোহীদের দল পাঠিয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা অভিযানের জন্য সারসাওয়া থেকে দুটি এবং বেরেলি থেকে একটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • UTTARAKHAND AVALANCHE: দ্রৌপদী কা ডান্ডা পর্বতে তুষারপাতের বিভীষিকা

    UTTARAKHAND AVALANCHE: দ্রৌপদী কা ডান্ডা পর্বতে তুষারপাতের বিভীষিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রুদ্ররূপ ধারণ করেছে উত্তরাখণ্ড। ফের তুষারধসের শিকার এই পাহাড়ি রাজ্য। দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২ (Draupadi ka Danda 2) পাহাড়ে ধস নামে। সেই সময় সেখানে বহু পর্বতারোহী প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। সেসময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। তুষারধসে (UTTARAKHAND AVALANCHE) একাধিক পর্বতারোহী আটকে পড়েন। ইতিমধ্যেই অনেকের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এখনও অনেকে তুষার ধসের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধসে চাপা পড়ে থাকা পর্বতারোহীদের উদ্ধার করে দেরাদুনের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ন’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তরকাশীর পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণকেন্দ্র ‘নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং’ (NIM)-এর তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাদের পর্বতারোহী দলের ২২ জন নিখোঁজ।   

    আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে মৃত অন্তত ১০, আটকে তিন বাঙালি পর্বতারোহী

    তুষার চাপা পড়ার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন মৃত্যুমুখ থেকে বেঁচে ফেরা পর্বতারোহী রোহিত ভাট। 

    কী হয়েছিল সেদিন? কীভাবে মুহুর্তে চলে গেল এতগুলো প্রাণ? নিজের মুখেই শোনালেন মৃত্যুকে এত কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা। রোহিত বলেন, “আমাদের খাওয়ার কিছু ছিল না। কারণ আমরা যে জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছিলাম তা ভেসে গেছে। আমাদের যদি কয়েক সেকেন্ড চিন্তা করার জন্য থাকত, তাহলে আমরা বাঁচাতে পারতাম আরও অনেককে। আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল সবটা হঠাৎ করেই হয়েছিল।” 
     
    রোহিত আরও বলেন “যদি আমরা ১০ সেকেন্ড সময়ও পেতাম, আমরা আরও জীবন বাঁচাতে পারতাম।”
     
    উত্তরাখন্ডের বাসিন্দা রোহিত নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং-এ অ্যাডভান্স মাউন্টেনিয়ারিং কোর্সের পাঠরত প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে একজন। তিনি বলেন “মঙ্গলবার ভোর তিনটে থেকে সাড়ে তিনটের মধ্যে আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করি। আমরা ৩৪ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং সাতজন প্রশিক্ষক ছিলাম। আমরা যখন ৫৫০০ মিটারে পৌঁছেছিলাম তখন তুষারধসের কবলে পড়ি। যা আমাদের গন্তব্য থেকে মাত্র  ১০০-১৫০ মিটার দূরে ছিল। ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে আটটা। তুষারপাত এতটাই প্রবল ছিল যে আমরা কিছু ভাবার সময়ও পাইনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তুষারপাতের কারণে সবকিছু সাদা হয়ে যায়। আমাদের অনেক সহশিক্ষার্থী এবং প্রশিক্ষক ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েন।”

    আরও পড়ুন: ভয়াবহ তুষারধস! অল্পের জন্য রক্ষা পেল কেদারনাথ মন্দির 

    রোহিতের জানান, দুজন প্রশিক্ষণার্থী এবং কিছু প্রশিক্ষক একটি সামান্য উঁচু জায়গায় ছিলেন, অন্যান্য পর্বতারোহী এবং অন্যান্য প্রশিক্ষকরা তাঁদের অনুসরণ করেছিলেন। তুষারপাত পর্বতারোহীদের ধাক্কা দিয়ে নীচে ফেলে দেয়। তারা ৬০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। তাতে পড়ে যান রোহিতও। তবে বরফ কাটার যন্ত্র তাঁর প্রাণ বাঁচিয়েছিল।     

    রোহিত বলেন, “সেই দিন অনিল স্যার, নেগি স্যার, এসআই স্যার এবং আমি এভারেস্টার সাবিতা কানসওয়াল, নওমি রাওয়াত এবং দুই প্রশিক্ষণার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছিলাম। আমরা তিনজন প্রশিক্ষণার্থী পর্বতারোহী এবং স্কিইং বিভাগের একজনকে তুষারধসের স্থান থেকে উদ্ধার করি।”

    তিনি জানান আহত পর্বতারোহীদের উদ্ধারে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা করে এনআইএম। তিনি বলেন, “পরের দিন সকালে, আইটিবিপি কর্মীরা আমাদের তাদের বেস ক্যাম্পে এয়ারলিফট করে এবং তারপরে আমাদের উত্তরকাশী জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।”   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Poll Panel: শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, জানাতে হবে অর্থ কোথা থেকে আসবে! জানেন কী বললেন নির্বাচন কমিশন

    Poll Panel: শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, জানাতে হবে অর্থ কোথা থেকে আসবে! জানেন কী বললেন নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন এলেই প্রতিশ্রুতির প্যান্ডোরা বাক্স খুলে জনসভা মাতিয়ে তোলেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। কিন্তু ভোট ফুরোলেই ভোকাট্টা। পরে অনেক কিছুই আর বাস্তবায়িত হয় না। এবার তাই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি বন্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ELECTION COMMISSION)। রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচন কমিশন লিখেছে, ভোটারদের শুধু প্রতিশ্রুতি দিলে হবে না, জানাতে হবে তা পূরণের জন্য অর্থ সংস্থান কীভাবে হবে। দলগুলিকে স্পষ্ট করতে হবে, তারা কত টাকা ভর্তুকি কোন খাতে দেবে। যদি কৃষি ঋণ মকুবের ব্যাপার হয়, তবে কি এতে সমস্ত কৃষকরা উপকৃত হবেন, নাকি শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সুবিধা দেওয়া হবে সেগুলো স্পষ্ট করে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে উল্লেখ করতে হবে। দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য অর্থ কোথা থেকে আসবে, সেটাও জানাতে হবে। যদি এটা রাজ্য এবং কেন্দ্রের যৌথ বিষয় হয়, তবে প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য গোটা খরচটা কি যৌথভাবেই বহন করা হবে,  নাকি রাজ্য বা কেন্দ্র পৃথকভাবে বহন করবে, সেসবও বিস্তারিত জানাতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। কারণ, অনেক রাজ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলিকে ঘুরিয়ে নিজেদের বলে চালানোর চেষ্টা করে। গত কয়েক বছরে এই ট্রেন্ড চলছে। নির্বাচন কমিশন যদি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও ভর্তুকি মামলায় কড়া আইন আনে, তাহলে সেগুলি বন্ধ হবে। জনগণ পুরো বিষয়টি জানতে পারবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুন: আজানের সুর! ভাষণ থামালেন অমিত শাহ, মুগ্ধ উপত্যকাবাসী

    এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনী ইস্তোহর কিংবা প্রতিশ্রুতি কিংবা ভর্তুকি প্রদানের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছ্বতা প্রয়োজন। কারণ, ভোটারদের জানার অধিকার রয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলি যে সব প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তার সারবত্তা কতটা। ভর্তুকি প্রদানের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যের ভূমিকা কতখানি। স্পষ্ট ছবি সামনে এলে ভোটাররা সহজেই বিচার করতে পারবে, কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিশ্রুতি ভালো, কোনটা খারাপ। তা প্রভাব ফেলবে নির্বাচনেও।

    আপাতত বিষয়টি প্রস্তাব আকারেই রাজনৈতিক দলগুলির কাছে পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তবে পরবর্তীকালে রাজনৈতিক দলগুলির এই ধরনের বক্তব্য যাতে আদর্শ আচরণবিধির আওতায় আসে, সেই ব্যবস্থা করতে চায় নির্বাচন কমিশন। তবে তার আগে রাজনৈতিক দলগুলির মতামত জানা হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।

  • Telangana: দলের নাম পরিবর্তন চন্দ্রশেখর রাওয়ের! জাতীয় রাজনীতিই কি লক্ষ্য?

    Telangana: দলের নাম পরিবর্তন চন্দ্রশেখর রাওয়ের! জাতীয় রাজনীতিই কি লক্ষ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন (Parliament Election 2024)। রাজ্যের গণ্ডি টপকে জাতীয় রাজনীতিতে নতুন আঙ্গিকে পথ চলা শুরু করল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (Telangana Rashtra Samithi)। বদলে ফেলা হল দলের নাম। তেলেঙ্গানা মুছে এখন শুধুই ‘ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সমিতি’ (BRS)। দশেরার দিনে দলের নতুন নাম ঘোষণা করলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (K Chandrashekar Rao)। আত্মপ্রকাশ করল ‘ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সমিতি’(BRS)।

    বিজেপি (BJP) বিরোধী লড়াইয়ে দীর্ঘদিন ধরে সুর চড়িয়েছিলেন কে চন্দ্রশেখর রাও। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে অ-বিজেপি ও অ-কংগ্রেসী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার পরিকল্পনাও নিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে নীতীশ কুমার, এমকে স্ট্যালিনের মতো বিরোধী শিবিরের তাবড় তাবড় নেতাদের সঙ্গে। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে তৃতীয় ফ্রন্ট গঠন নিয়ে বৈঠক করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গেও। বিজেপি (BJP) বিরোধী লড়াইয়ে তিনি যে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগতে চাইছেন, অ-কংগ্রেসী ও অ-BJP নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে কেসিআর তা স্পষ্ট করেছেন। তাঁর এই মিশনে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদনও জানান তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। মিশন ২০২৪-এর অঙ্গ হিসেবে এরপরেই জাতীয় স্তরে নিজের দলকে প্রতিষ্ঠিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন রাও। প্রথমে ঠিক ছিল টিআরএস ব্যানারেই জাতীয় স্তরে লড়বে তাঁর দল। কিন্তু তা খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না বলে আশঙ্কা করেন কে চন্দ্রশেখর রাও। তাই তিনি জাতীয় স্তরে নতুন একটি দল গঠন করার পরিকল্পনা নেন।

    আরও পড়ুন: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    তবে প্রশ্ন উঠছে, আঞ্চলিক দলের তকমা ঝেড়ে ফেলে সর্বভারতীয় মর্যাদা পাওয়ার এই ভাবনা কতটা ফলপ্রুসু হবে টিআরএসের?  এমনকী দলের অন্দরে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে বলেও খবর। মুখ্যমন্ত্রীর এটা খামখেয়ালি ভাবনা বলে মনে করছেন অনেকে। এতে দল বিপদে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, টিআরএসের এই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হতে পারে। মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে তেলেঙ্গানার জনগণ।

  • Mohan Bhagwat: কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের পক্ষে সওয়াল মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের পক্ষে সওয়াল মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশেরার অনুষ্ঠানে নারী স্বাধীনতার পক্ষে জোরাল সওয়াল করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। বুধবার মহারাষ্ট্রের নাগপুরে সংগঠনের বার্ষিক দশেরা তথা বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা প্রয়োজন। প্রাপ্য সমানাধিকারও। পুরুষদের থেকে নারীরা কোনও অংশে কম নয়।’ আরএসএস শুরু থেকেই মহিলাদের অধিকার স্থাপন নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে এসেছে। অতীতের উদাহরণ টেনে মোহন ভাগবত বলেন, ‘ডক্টর সাবের (ডাঃ কে বি হেডগেওয়ার) সময়কালে সমাজে কৃতিত্বপূর্ণ, বদ্ধিজীবী বলে পরিচিত মহিলাদের আরএসএস নিজেদের সংগঠনের কার্যাবলীতে অনুপ্রেরণার উৎস বলে স্বীকৃতি জানিয়েছে। অতীতে আমাদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন আনুসিয়াবাই কালে, ভারতীয় মহিলা সম্মেলনের প্রধান রাজকুমারী অমৃত কৌরও। ১৯৩৪ সালের ডিসেম্বরে সংগঠনের বার্ষিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন একজন মহিলা। আমি তখন সেখানকার প্রচারক ছিলাম। ঔরঙ্গবাদের কুমুদতাই রাংনেকার সেবার বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।’

    আরও পড়ুন: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    সমাজে নারী ও পুরুষ—দু’জনেরই গুরুত্ব সমান বলে মনে করেন মোহন ভাগবত। তিনি বলেছেন, ‘আমরা জানি একে অপরকে ছাড়া একটা সুন্দর সমাজ কখনও গড়ে উঠবে না। তাই কে শক্তিশালী, সেটা বিচার্য নয়। বরং পুরুষদের মতো নারীদেরও সব ক্ষেত্রে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সর্বক্ষেত্রে দিতে হবে স্বাধীনতাও। কারণ, একজন পুরুষের থেকে একজন নারী কোনও অংশে কম নয়। দেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বড় ভূমিকা রয়েছে।’

    আরও পড়ুন: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    সংঘ প্রধানের কথায়, ‘নারীদের ‘জগৎ জননী’ বলা হয়। অথচ ঘরে তাদের ‘দাসী’ হিসাবে গণ্য করা হয়।’ তিনি মনে করেন, এই ভাবনা চিন্তা পরিবর্তনের সময় এসেছে। নারীর ক্ষমতায়ন ঘর থেকে শুরু হওয়া উচিত। ভারতের ‘বিশ্ব গুরু’ দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নে নারীর ভূমিকার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন ভাগবত। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ‘বিশ্বগুরু’ (বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়া) ভারত গড়তে চাই তাহলে মহিলাদের সমান অংশগ্রহণও প্রয়োজন। এর জন্য অবশ্যই মহিলাদের ক্ষমতায়নের দিকে জোর দিতে হবে। নারী ছাড়া সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না।’

LinkedIn
Share