Blog

  • Durga Puja: কুমারী পুজো কেন হয় জানেন? 

    Durga Puja: কুমারী পুজো কেন হয় জানেন? 

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: দেখতে দেখতে পুজো নবমীতে চলে এলো। মাইকেল মধুসূদন দত্ত লিখছেন- “যেয়ো না রজনী আজি লয়ে, তারাদলে ” এ যেন প্রতিটি হিন্দু বাঙালির অন্তরের শব্দ ধ্বনি। নবমী নিশি গত হলেই যে বিসর্জন! মহানবমীর গুরুত্ব তাই অনেক খানি‌। উৎসবমুখর বাঙালির আনন্দের দিক থেকে তো বটেই আবার এই বিশেষ তিথিতে সম্পূর্ণ ভাবে মা দুর্গার পুজো সম্পন্ন হয়। পৌরাণিক মতে , অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে চন্ড ও মুন্ডকে বধ করেছিলেন মাতা চামুণ্ডা আবার অন্য একটি মতে, মহিষাসুরের বধ হয়েছিল সন্ধিক্ষণে। তাই সমস্ত দেবতারা মহর্ষি কাত্যায়ন এর আশ্রমে সমবেত হয়ে নবমী তিথিতে মাতৃ আরাধনা বা বন্দনা শুরু করেছিলেন।  এই দিন সকাল থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় অঞ্জলি দেওয়ার জন্য। এই দিনেই সম্পন্ন হয় হোম এবং কুমারী পুজো। এই পুজো নিয়ে বহু মানুষের মনের নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খায়।

    কুমারী পুজোকে ঘিরে আগ্রহের শেষ নেই। কেন করা হয় কুমারী পুজো? জানেন কি? সেই ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর বেলুড় মঠে মহা ধুমধাম করে এই পুজোর নিয়ম রয়েছে, শুরু করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। এছাড়াও বহু বাড়ির পুজোয়, মন্দির কিংবা বারোয়ারী ক্লাবগুলিতে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। কুমারী পুজোর জন্য বেছে নেওয়া হয় ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী কন্যাদের। বয়স অনুযায়ী প্রত্যেক কুমারীর নাম আলাদা হয়। শাস্ত্র অনুযায়ী কুমারী পূজায় কোন জাতি, ধর্ম বা বর্ণভেদ নেই। দেবীজ্ঞানে যে-কোন কুমারীই পূজনীয় ।

     এক্ষেত্রে এক থেকে ষোলো বছর বয়সী যে কোনো কুমারী মেয়ের পূজা করা যায়। বয়স অনুসারে কুমারীদের নাম গুলি হলো –
    এক বছরের কন্যা: সন্ধ্যা
    দুই বছরের কন্যা: সরস্বতী
    তিন বছরের কন্যা : ত্রিধামূর্তি
    চার বছরের কন্যা : কালীকা
    পাঁচ বছরের কন্যা : সুভগা
    ছয় বছরের কন্যা :উমা
    সাত বছরের কন্যা : মালিনী
    আট বছরের কন্যা : কুব্জিকা
    নয় বছরের কন্যা:কালসন্দর্ভা
    দশ বছরের কন্যা: অপরাজিতা
    এগারো বছরের কন্যা:রূদ্রাণী
    বারো বছরের কন্যা:ভৈরবী
    তেরো বছরের কন্যা:মহালক্ষ্মী
    চৌদ্দ বছরের কন্যা:পীঠনায়িকা
    পনেরো বছরের কন্যা:ক্ষেত্রজ্ঞা
    ষোলো বছরের কন্যা:অন্নদা বা অম্বিকা

     হিন্দু ধর্মে নারীদের প্রকৃতির সমান মানা হয়। কুমারী পুজোর মধ্য দিয়ে প্রকৃতিকে আরাধনা বা পুজো করা হয়। ভারতীয় সভ্যতায় প্রকৃতি পূজার রীতি প্রথম থেকেই রয়েছে। এদেশে মনে করা হয়  দেবতাদের বাস রয়েছে মানবের মধ্যেই এবং দেবত্বের বিকাশের দ্বারাই মানুষ দেবতা হয়।  তাই কুমারীদের দেবী রূপে আরাধনা করা হয়। ফুলের মালা, মুকুট, পায়ে আলতা, নতুন বস্ত্র, তিলক দিয়ে সাজানো হয় কুমারীদের।

    বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কুমারী পুজোর জন্য নির্বাচিত করা হয় ৫ থেকে ৭ বছর বয়সী কুমারীদের। বিভিন্ন পুরাণে এই পুজোর উল্লেখ রয়েছে। শাস্ত্র অনুযায়ী ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী যে বালিকারা ঋতুমতী হবে না, তাদের কুমারী রূপে পুজো করা যাবে।  শুধুমাত্র দুর্গাপুজো নয়, অন্নপূর্ণা পুজো, কালীপুজো এমনকি জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষেও বহু জায়গায় কুমারী পুজো আমরা দেখতে পাই।

    কুমারী পুজোর নেপথ্যে যে পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে সেটি জেনে নেওয়া যাক। একসময় কোলাসুর নামের এক অসুর রাজা স্বর্গ এবং মর্ত্য দখল করে নিয়েছিল। অত্যাচারী এই অসুরের কারনে মুনি ঋষিরা তপস্যা করতে পারতো না, দেবতারা স্বর্গরাজ্য থেকে বিতাড়িত ছিল। যার কারণে দেবতাগণ অসহায় হয়ে শরণাপন্ন হন মা কালীর। দেবতাদের উদ্ধারে দেবী কুমারী রূপে কোলাসুরকে বধ করেছিলেন। তারপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পুজোর প্রচলন শুরু হয়। অন্য একটি পৌরাণিক কথা অনুযায়ী, বাণাসুর কে মাতা কালি, কুমারী রূপে বধ করেছিলেন । সেই থেকেই কুমারী পুজোর রীতি বলে শোনা যায়।  শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব নিজের স্ত্রীকে কুমারী জ্ঞানে পুজো করেছিলেন বলেও জানা যায়।

  • Mumbai: কমলা বোঝাই ট্রাক থেকে উদ্ধার করা হল ১৪৭৬ কোটি টাকার কোকেন!

    Mumbai: কমলা বোঝাই ট্রাক থেকে উদ্ধার করা হল ১৪৭৬ কোটি টাকার কোকেন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ে (Mumbai) উদ্ধার করা হল প্রায় ১৪৭৬ কোটি টাকার কোকেন ও মেথামফেটামিন। কমলা বোঝাই করা ট্রাক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ মূল্যের কোকেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) মুম্বইয়ের ভাশিতে ট্রাকটিকে আটক করার পর সেখান থেকেই এই মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

    এই ঘটনা এক বিরাট সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, সাধারণত একসঙ্গে এত বিপুল পরিমাণ মূল্যের কোকেন উদ্ধার করা হয় না। পাচারকারীরা অধিকাংশ সময়েই ছোট ছোট কনসাইনমেন্টে এক দেশ থেকে অন্য দেশে কোকেন পাচার করে। তাতে ধরা পড়ার সম্ভাবনাও কম থাকে। অথবা ধরা পড়লেও আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক কম হয়। কিন্তু একসঙ্গে এত টাকার মাদক দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করার পর উদ্ধারকারীরাও অবাক হয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন একটি ট্রাকে করে কমলা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আর সেই কমলালেবুর বাক্সেই এই মাদক দ্রব্যগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। শুধুমাত্র কোকেন নয়, বিপুল পরিমাণ ক্রিস্টাল মেথামফেটামিন উদ্ধার করা হয়েছে। এদিন মোট ৯ কেজি কোকেন ও ১৯৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথামফেটামিন উদ্ধার করা হয়।

    আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে জিএসটি বৃদ্ধি ২৬%, মাসিক সংগ্রহ ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা

    ডিআরআই একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, কমলা বহনকারী কার্টনগুলিতে প্রচুর পরিমাণে মাদক দ্রব্য লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এরপর ট্রাকটির চালককেও আটক করা হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরও তদন্ত চলছে।

    প্রসঙ্গত, গতকালও, দেশে “ব্ল্যাক কোকেন” পাচার করার সময়ে এনসিবি পাচারকারীদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর মুম্বই শাখা ২৬ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দরে এক বিদেশি নাগরিকের কাছ থেকে ১৩ কোটি মূল্যের কোকেন জব্দ করেছে। ভারতে এই প্রথম ব্ল্যাক কোকেন ধরা পড়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি মুম্বই বিমানবন্দরে (Mumbai Airport) পাচারকারী এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে কাস্টমস বিভাগ। তাঁর জুতোর সোলের মধ্যে লোকানো ছিল কোকেন (Cocaine)। জানা গিয়েছে যে পরিমাণ কোকেন উদ্ধার হয়েছে ওই মহিলার থেকে, তার দাম ৪ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপের নানা প্রান্তেই মাদক পাচার করা হয়। আর তার জেরেই বর্তমানে কোকেন উদ্ধারের ঘটনা বাড়ছে।  

  • Armenia: আর্মেনিয়ার সঙ্গে ২৪ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি ভারতের, রফতানি হবে পিনাকা রকেট লঞ্চারও

    Armenia: আর্মেনিয়ার সঙ্গে ২৪ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি ভারতের, রফতানি হবে পিনাকা রকেট লঞ্চারও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে আবারও সম্মুখ সমরে দুই প্রতিবেশী আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। আজারবাইজানের হামলার মোকাবিলা করতে এবার ভারত থেকে ২৪ কোটি ৪০ লক্ষ ডলারের অস্ত্র কিনছে আর্মেনিয়া। পিনাকা মিসাইল (Pinaka Launchers) থেকে শুরু করে বিপুল গোলাবারুদ আর্মেনিয়ায় (Armenia)  রফতানি করছে ভারত সরকার (India)। ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ারও বেশ কিছু দেশ আর্মেনিয়ায় অস্ত্র রফতানি করেছে। আজারবাইজানের সঙ্গে বিবাদের জেরেই আর্মেনিয়াকে এইধরনের বিপুল অস্ত্র ভারতের তরফে রফতানি করা হচ্ছ বলে জানা গিয়েছে।  

    আরও পড়ুন: দেশের নয়া সিডিএস হচ্ছেন অনিল চৌহান, জানেন তিনি কে?

    এ ব্যপারে দেশ দুটির মধ্যে চলতি মাসেই একাধিক চুক্তি সাক্ষর হয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পিনাকা ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা কার্গিল যুদ্ধে ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল বলে দাবি করা হয়। ট্রাকের ওপর বহন করা যায় এই রকেট লঞ্চার। ৯০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র সম্প্রতি লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) চিনের হামলা মোকাবিলায় মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনা। এই ‘মাল্টিপল রকেট লঞ্চার’ মাত্র ৪৪ সেকেন্ডে একসঙ্গে ৭২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম। এই ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র আজারবাইজানের হানা ঠেকাতে আর্মেনিয়া ফৌজের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে বলে মনে করেছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।   

     



    এর আগেও এই দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলেছে। ২০২০ সালে দুই প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে লাগা যুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই সময় রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দুই দেশে শান্তি ফেরে। কিন্তু এই মুহূর্তে পুতিনও মধ্যস্থতা করার অবস্থায় নেই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

    মেক ইন ইন্ডিয়া প্রজেক্টের মাধ্যমে দেশে তৈরি অস্ত্র যাতে আরও বেশি করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে দিল্লির তরফে। ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত যাতে ৩৫ হাজার কোটি টাকার দেশীয় অস্ত্র রফতানি করতে পারে, সে বিষয়ে নেওয়া হয়ছে বিশেষ উদ্যোগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে দুর্গা বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৮, ঠিক কী ঘটেছিল?

    Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে দুর্গা বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৮, ঠিক কী ঘটেছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মাঝেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দুর্গা পুজোর (Durga Puja 2022) নিরঞ্জনের সময় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মাল নদীতে (Mal River)। বিসর্জনের সময় আচমকাই ছুটে এল হড়পা বান। ফলে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও নিখোঁজ বহু। ১০ বছর বয়সী এক বালিকাও ভেসে যায় বলে খবর সংবাদমাধ্যম সূত্রে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৫ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু।

    প্রতিমা বিসর্জনের সময় কী ঘটেছিল?

    গতকাল রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ বাংলার মানুষ যখন শারদীয়া উৎসবে মেতে আছেন, সেইসময়েই ঘটে গেল এই ভয়াবহ ঘটনা। মালবাজার এলাকায় মাল নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নদীর ধারে উপস্থিত হয়েছিলেন বহু মানুষ। প্রতিমা বিসর্জন যখন পুরোদমে চলছে তখনই আচমকা ধেয়ে আসে হড়পা বান। প্রতিমা বিসর্জনে যাঁরা নেমেছিলেন, তাঁদের প্রায় অনেকেই স্রোতের টানে ভেসে যান। তবে মাল নদীর মাঝে একটি চর রয়েছে। আর সেই চরে উঠেই প্রাণ বাঁচান অনেকে। চরে প্রায় ২০-৩০ জন আটকে ছিলেন। তাঁদের কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছিল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। দমকল এবং পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মালের বিধায়ক বুলু চিকবড়াইকও। পাশাপাশি, নামানো হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। গতকাল রাত পর্যন্ত সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপর আজ সকালেই তা বেড়ে হয় ৮। আজও নদীর বিভিন্ন অংশে চালানো হবে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, ৭০টি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আনা হয়েছিল। তার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০টি প্রতিমা বিসর্জনের পরই বিপর্যয় ঘটে। 

    আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের পক্ষে সওয়াল মোহন ভাগবতের

    কেন আচমকা হড়পা বান?

    জানা গিয়েছে, সিকিমের দিকে বৃষ্টির জেরে এমনটা হয়েছে পাহাড়ি নদীতে। যে কারণে, অতর্কিতে হড়পা বান চলে আসে। আবার স্থানীয় সূত্রে দাবি, নদীখাতে আগেই বোল্ডার ফেলা হয়েছিল, যাতে যেদিকে বিসর্জন হবে, সেদিকে বেশি জল যায়। আর এর জেরেও নদীর জল অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল বলে আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা। মালের তৃণমূল বিধায়ক বুলুচিক বরাইক জানিয়েছেন, বিসর্জনের সময় নদীর কাছাকাছি এলাকায় প্রায় হাজার খানেক লোক উপস্থিত ছিলেন, যে সময় হড়পা বানে অনেকে ভেসে যান।

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা…

    প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মালবাজারের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে ট্যুইট করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পুজোর মাঝে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মর্মাহত। যাঁরা তাঁদের কাছের মানুষদের হারালেন তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাই।

    শোকজ্ঞাপন শুভেন্দু অধিকারীর…

    ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি লিখেছেন, “জলপাইগুড়ি থেকে দুঃখজনক খবর এসেছে। দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় মাল নদীতে হড়পা বানে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। আমি রাজ্যের মুখ্যসচিব ও জলপাইগুড়ির জেলাশাসককে অনুরোধ করছি, উদ্ধারকার্যকে দ্রুত আরও জোরদার করতে এবং দুর্দশাগ্রস্তদের সাহায্য করতে।”

  • Nobel Prize: পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন ফ্রান্স, আমেরিকা, অস্ট্রিয়ার তিন বিজ্ঞানী

    Nobel Prize: পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন ফ্রান্স, আমেরিকা, অস্ট্রিয়ার তিন বিজ্ঞানী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন তিন দেশের তিন বিজ্ঞনী— ফ্রান্সের অ্যালেন অ্যাসপেক্ট,আমেরিকার জন এফ ক্লজার এবং অস্ট্রিয়ার অ্যান্টন জিলিঙ্গার। মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে। এই তিন বিজ্ঞানীর পরীক্ষাগুলি কোয়ান্টাম তথ্যের উপর ভিত্তি করে নতুন প্রযুক্তির পথ তৈরি করেছে। কোয়ান্টাম মেকানিক্স’ নিয়ে কাজের জন্য এই তিন বিজ্ঞানীকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। 

    ২০২১ সালেও পদার্থ বিজ্ঞানে  তিনজন বিজ্ঞানী, সিউকুরো মানেবে, ক্লাউস হাসেলম্যান এবং জর্জিও প্যারিসি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। প্রকৃতির জটিল শক্তি বোঝার জন্য কাজ করছিলেন তাঁরা। গতবারের মতো এবারও এই সম্মান পেলেন তিনজন। এবারের নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানীর মধ্যে ক্লজার বরিষ্ঠতম। তাঁর বয়স ৮০।  জিলিঙ্গার এবং অ্যাসপেক্টের বয়স যথাক্রমে ৭৭ এবং ৭৫ বছর। এই তিনজনের মধ্যেই পুরস্কারের অর্থমূল্য এক কোটি সুইডিশ ক্রোনর ভাগ করে দেওয়া হবে। এঁদের মধ্যে অ্যাসপেক্ট বর্তমানে ইউনিভার্সিটি প্যারিস-স্যাকলে এবং প্যালেইসুর ইকোলে পলিটেকনিকের অধ্যাপক, জন এফ ক্লাজার তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান আমেরিকার জে এফ ক্লাজার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের গবেষক হিসেবে কর্মরত এবং জিলিঙ্গার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

    আরও পড়ুন: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    কোয়ান্টাম ফিজিক্স (Quantam Physics) বিশেষত ফোটন কণার উপর এই তিনজনের যুগান্তকারী আবিষ্কারের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, বলে জানিয়েছে নোবেল কমিটি। পুরস্কারদাতাদের পক্ষে আরও জানানো হয়েছে, কোয়ান্টাম ফিজিক্সের যেটুকু প্রয়োগ ছিল, তিনজনের গবেষণা সেই ক্ষেত্রকে আরও বিস্তার করল। এবার কোয়ান্টাম কম্পিউটার, কোয়ান্টাম নেটওয়ার্ক ও সর্বোপরি কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন নিয়েও কাজ করা যাবে।  চলতি সপ্তাহে,  বুধবার রসায়নে নোবেল এবং বৃহস্পতিবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হবে। নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হবে শুক্রবার এবং অর্থনীতি পুরস্কার ঘোষণা করা হবে ১০ ইঅক্টোবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Amit Shah: নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে অমিত শাহ! জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক কর্মসূচী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    Amit Shah: নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে অমিত শাহ! জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক কর্মসূচী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে পুজো দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার সকালে কাটরার বৈষ্ণোদেবী দর্শনে যান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম মাতা বৈষ্ণোদেবীর দর্শনে গেলেন তিনি। এদিন মন্দিরে প্রার্থনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। করেন মাতার আরতিও। তাঁর সফর ঘিরে কাটরা ও রাজৌরিি বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিন সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।

    তিন দিনের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah in Jammu and Kashmir) ৷ সোমবার রাতে তিনি শ্রীনগরে পৌঁছান ৷ এখানে তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে ৷ অমিত শাহের সফরের জন্যই নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে ৷ সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিমান বন্দরে স্বাগত জানান বিজেপির জম্মু ও কাশ্মীরের সভাপতি রবিন্দর রানা, বিজেপি নেতা কবিন্দর গুপ্ত ও অন্য সিনিয়র নেতারা ৷ বিমান বন্দর থেকে সোজা রাজভবনে চলে যান তিনি ৷ সেখানে জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন বলে খবর।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য সন্ত্রাসমুক্ত উপত্যকা, কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার নির্দেশ অমিত শাহের

    আজও তাঁর রাজভবনে বৈঠক রয়েছে। উপত্যকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গর্ভনর মনোজ সিনহা, সেনা বাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী, রাজ্য পুলিশ, বেসামরিক প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এই দিনই শ্রীনগরের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার কথা রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। তবে তার আগে বারামুল্লায় একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন  অমিত শাহ। রাজৌরির কাছেও তাঁর একটি সভা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • JK DG Prisons Murder: জম্মু-কাশ্মীরে রহস্যজনক মৃত্যু পুলিশ আধিকারিকের! হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

    JK DG Prisons Murder: জম্মু-কাশ্মীরে রহস্যজনক মৃত্যু পুলিশ আধিকারিকের! হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। উদ্ধার করা হয় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল অফ প্রিজন (JK DG Prisons  Murder) হেমন্ত কুমার লোহিয়ার (Hemant Kumar Lohia) গলার নলি কাটা মৃতদেহ। আর এই ঘটনার কিছু ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযু্ক্ত, নিহতের পরিচারক ইয়াসির-কে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার গভীর রাতে জম্মু শহরের কাছে উদাইওয়ালায় বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই আধিকারিককে খুন করা হয়েছে বলেই অনুমান করেছিল কাশ্মীর পুলিশ। তাই এই রহস্যজনক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে উপত্যকা পুলিশ। অন্যদিকে, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) শাখা সংগঠন পিপলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফোর্স (PAFF) এই খুনের দায় স্বীকার করেছে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই খুনের পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না নিহতের পরিচারক ইয়াসির-এর। পলাতক ওই ব্যক্তিই এই খুনে মূল অভিযুক্ত বলে ধারণা করেছিল পুলিশ। আর এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, রাতভর তল্লাশির পর ইয়াসিরকে জম্মুর কানহাচক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। খুনের পর ওই এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়েছিল রামবান জেলার বাসিন্দা ওই যুবক। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। পুলিশের দাবি, ডায়েরির লেখা দেখা মনে হচ্ছে অবসাদে ভুগছিলেন ডিজি -এর ওই পরিচারক। সেই কারণেই খুন করেছে অথবা এর পেছনে কোনও জঙ্গি যোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    ডিজিপি দিলবাগ সিং জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত হেমন্তর লোহিয়ার দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কারণ মৃতের গায়ে পোড়ার চিহ্ন দেখা গিয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে লোহিয়ার শরীরে তেলও পাওয়া গিয়েছে। প্রথমে লোহিয়াকে খুন করা হয়। তাঁর গলা কাটার জন্য একটি কাচের বোতল ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে মৃতদেহে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

    এরই মধ্যে এই হত্যার দায় স্বীকার করে, লস্করের শাখা সংগঠন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের স্পেশাল স্কোয়াড হামলা চালিয়েছে লোহিয়ার উপরে। তিনি যে ওই জঙ্গী গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের ‘টার্গেট’ ছিলেন, সেকথাও জানিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছে, ‘সফরে আসার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এটা একটা ছোট্ট উপহার’।

    প্রসঙ্গত, হেমন্ত লোহিয়ার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। ১৯৫২ ব্যাচের আইপিএস অফিসার তিনি। চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই উপত্যকার ডিরেক্টর জেনারেল অফ প্রিজন পদে নিযুক্ত হন। সোমবার জম্মুর উদয়ওয়ালায় একটি বাড়ি থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

  • Indonesia Football Match Stampede: ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড! পদপিষ্ট হয়ে মৃত কমপক্ষে ১৭৪

    Indonesia Football Match Stampede: ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড! পদপিষ্ট হয়ে মৃত কমপক্ষে ১৭৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুটবল ম্যাচ (Football Match) নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড! এই ম্যাচকে ঘিরেই ঘটে গেল এক ভয়াবহ ঘটনা। ঘটনাটি ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia)। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে জাভা প্রদেশের মালাং শহরের কাঞ্জুরুহান স্টেডিয়ামে ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ লিগ বিআরআই লিগা ওয়ানের (BRI Liga 1) একটি ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন রীতিমতো দাঙ্গা বেঁধে যায়। শুধু তাই নয়, এই দাঙ্গার ফলে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ১৭৪ জন, আহত হয়েছে ১৮০-এর বেশি। প্রথমে মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ১২৭, কিন্তু তা বেড়ে হয়েছে ১৭৪। এই সংখ্যা আরও বাড়তে বলে জানা গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে পুলিশ ও শিশু রয়েছে।

    কিন্তু কী এমন ঘটেছিল, যার জন্য এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল? সূত্রের খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে ইন্দোনেশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব আরেমা ও পার্সিবায়া সুরাবায়ার (Arema FC and Persebaya Surabaya) ফুটবল ম্যাচে। এই ম্যাচে হেরে যায় আরেমা। আর হারের পরই ক্ষিপ্ত সমর্থকরা মাঠে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তখনই ঝামেলা শুরু হয়। পার্সিবায়ার ফুটবলাররা বিপদ বুঝে মাঠ ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। কিন্তু আরেমার বেশ কয়েক জন ফুটবলার মাঠ ছাড়তে পারেননি। ফলে তাঁদের উপরেও হামলা হয়। এরপরেই পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ার পরেই আরও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

    অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়া পুলিশ জানিয়েছে, আরেমা ম্যাচে হারার পরই গ্যালারি থেকে সমর্থকরা ঝামেলা শুরু করে দেয়। মুহূর্তে তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় এই ম্যাচ ঘিরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়তে হয়। এতে বহু দর্শক আতঙ্কে স্টেডিয়াম ছাড়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে দেয়। আর এর ফলেই পদপিষ্ট হয়ে এবং শ্বাসরুদ্ধ হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয় ও এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায়। ইতিমধ্যেই এই হিংসার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। আপাতত আগামী এক সপ্তাহ ইন্দোনেশিয়া ফুটবল লিগ বন্ধ থাকবে বলেই খবর।

  • Durga Puja 2022: জানুন মা দুর্গা ও তাঁর সন্তানদের বাহনগুলির পৌরাণিক কাহিনী

    Durga Puja 2022: জানুন মা দুর্গা ও তাঁর সন্তানদের বাহনগুলির পৌরাণিক কাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরৎকালে প্রতিবছর মা দুর্গা বাপের বাড়িতে আসেন  সন্তানদের সাথে নিয়ে।  মা দুর্গা এবং তাঁর সন্তানদের সাথে আসে তাঁদের বাহনগুলিও। গণেশের সঙ্গে ইঁদুর আসে, মা সরস্বতীর সঙ্গে আসে হাঁস, মা  লক্ষ্মীর সঙ্গে প্যাঁচা আসে, কার্তিকের সঙ্গে ময়ূর আসে এবং স্বয়ং মা দুর্গার সঙ্গে আসে সিংহ। বাহন গুলির পৌরাণিক কাহিনী তে যাওয়ার আগে বলা দরকার ভারতীয় উপমহাদেশে প্রকৃতি পুজোর রীতি বৈদিক আমল থেকেই। মাটি, অগ্নি, বায়ু নদী,গাছ সবকিছুই পূজিত হয় এই সভ্যতায়। নদী পুজোর এই মন্ত্রটি কমবেশি সকলেই শুনেছি।  

    গঙ্গে চ যমুনে চৈব
    গোদাবরী সরস্বতী।
    নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলস্মিনসন্নিদ্ধিম কুরু।।

    ভারতীয় সভ্যতায় গাছপালা, নদনদীর সঙ্গে সঙ্গে জীবজন্তুও মানুষের দৈনন্দিন কাজে উপকারী বলেই গণ্য করা হয়। এই ধারণা থেকেই হয়তো বাহন হিসেবে তারাও পূজিত হয়। এবার আসা যাক পৌরাণিক কাহিনী গুলিতে ।

    মা দুর্গার বাহন কেন সিংহ?

    পুরাণ অনুযায়ী-  দেবী পার্বতী হাজার বছর ধরে তপস্যা করেছিলেন শিবকে তাঁর স্বামী হিসাবে পাওয়ার জন্য। তপস্যার কারণে দেবী অন্ধকারে মিশে যান। বিয়ের পর পার্বতীকে মহাদেব কালী বলে সম্বোধন করলে দেবী তৎক্ষণাৎ কৈলাস ত্যাগ করে ফের তপস্যায় মগ্ন হয়ে যান। তপস্যা রত দেবীকে শিকার করার ইচ্ছায় এক ক্ষুধার্ত সিংহ তার দিকে আসতে শুরু করে। কিন্তু দেবীকে দেখে সেখানেই চুপ করে বসে পড়ে।

    সেই সময় বসে বসে সিংহ চিন্তা করতে থাকে, দেবী তপস্যা থেকে যখন উঠবেন, তখন তিনি তাঁদের জন্য খাবার বানাবেন। এরমধ্যে বহু বছর কেটে যায়,কিন্তু সিংহ তার নিজের জায়গা থেকে নড়ে না। এদিকে দেবী পার্বতীর তপস্যা সম্পন্ন হওয়ার পর মহাদেব আবির্ভূত হলে পার্বতীকে গৌরবর্ণ বলে বর্ণনা করেন। যে সিংহটি দেবীকে শিকার করতে এসেছিল , তাকেই বাহন হিসেবে গ্রহণ করেন দেবী। কারণ দেবীর জন্য অনেক বছর অপেক্ষা করেছিল সে। সিংহের এই কর্মকাণ্ডের জন্য দেবী পার্বতীর বাহনকে সিংহ বলে মনে করা হয়। আবার কালিকাপুরাণ অনুযায়ী শ্রীহরি দেবীকে বহন করছেন। এই হরি শব্দের এক অর্থ সিংহ। আবার শ্রীশ্রীচণ্ডীতে উল্লেখ আছে গিরিরাজ হিমালয় দেবীকে সিংহ দান করেন। শিবপুরাণ বলে, ব্রহ্মা দুর্গাকে বাহনরূপে সিংহ দান করেছেন। সিংহ হলো শৌর্য , পরাক্রম, শক্তির প্রতীক। অসুর দের ধ্বংসকারী মাতার বাহন তাই সিংহ । এটাই পন্ডিত মহলের মতামত।

    গণেশের বাহন ইঁদুর কেন? 

    স্বর্গে দেবলোকের সভায় গান গেয়ে সকলের মনোরঞ্জন করতেন ক্রঞ্চ নামে এক গন্ধর্ব। এক দিন বামদেব নামে এক ঋষি এসে উপস্থিত হন সেই সভায়। তিনি গান করতে থাকেন। সেই গান শুনে নিজের হাসি চাপতে পারেননি গন্ধর্ব ক্রঞ্চ। সেই হাসি দেখে ফেলেন বামদেব। সঙ্গে সঙ্গে ক্রোধান্বিত হয়ে পড়েন বামদেব। তিনি  ক্রঞ্চকে অভিশাপ দেন। অভিশাপের ফলে ক্রঞ্চ ইঁদুর হয়ে যান। ঋষির অভিশাপ দেন কোনো দিন আর গান গাইতে পারবেন না ক্রঞ্চ।  ক্রঞ্চ নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। কিন্তু তাতে বিশেষ কোনো ফল হয় না। তিনি ইঁদুর হয়ে যান এবং মর্ত্যে নেমে আসেন। তবে মুনি বলেছিলেন কোনো দিন যদি গণেশ তাঁকে বাহন করেন তা হলে মুক্তি মিলবে। মর্ত্যলোকে তিনি যেখানে নেমেছিলেন , কাছেই ছিল পরাশর মুনির কুটির। ইঁদুর ক্রঞ্চ সেখানেই নিজের খাদ্যের সন্ধানে যেতে  শুরু করেন। এ দিকে ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে ওঠে কুটিরবাসীরা।
     এক দিন গণেশ সেই মুনির কুটিরে পৌঁছোন। জানতে পারেন ইঁদুরের কুকীর্তির কথা।  তখন তাকে ধরতে উদ্যত হন গণেশ। অবশেষে ধরেও ফেলেন। কিন্তু ক্রঞ্চ নিজের পরিচয় দিয়ে সব কথা  বলেন গণেশকে। বলেন, বামদেব বলেছিলেন যে স্বয়ং গণপতি যদি তাকে তাঁর বাহন করেন, তবেই ঘুচবে তাঁর দুঃখ। এ কথা শুনে ইঁদুরকেই তিনি নিজের বাহন করে নেন। 

    মা লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা কেন?

    পৌরাণিক গল্প অনুযায়ী যখন দেব-দেবীরা প্রাণীজগতের সৃষ্টি করেন, তখন তাঁরা পৃথিবী ভ্রমণে আসেন। সেই সময় পশু ও পাখিরা  দেবতাদের ধন্যবাদ জানায় তাদের প্রাণী হিসেবে তৈরি করার জন্য। পশু ও পাখিরা বলতে থাকে, আপনারা যেহেতু আমাদের তৈরি করেছেন তাই আপনাদের বাহন হয়ে আমরা পৃথিবীতে থাকব। সেই সময় দেবতারা নিজেদের বাহন পছন্দ করে নেন। যখন দেবী লক্ষ্মীর নিজের বাহন বেছে নেওয়ার সময় আসে, তখন তিনি বলেন আমি যেহেতু রাতে পৃথিবীতে আসি তাই রাতে যে প্রাণী দেখতে পায় সেই হবে আমার বাহন। এখান থেকে পেঁচা হয়ে ওঠে দেবী লক্ষ্মীর বাহন। লক্ষ্মী মাতা ধানের দেবী, ইঁদুর ধান খেয়ে ফেলে। তাই এই ধারণা থেকেও লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা হতে পারে।

    কার্তিকের বাহন ময়ূর কেন?

    তারকাসুর কে বধ করেছিলেন দেবসেনাপতি কার্তিক। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী মৃত্যুর আগে তারকাসুর কার্তিকের বাহন হিসেবে থাকতে চেয়েছিল। ময়ূরের ছদ্মবেশে কার্তিককে আক্রমণও করেছিল যুদ্ধ ক্ষেত্রে তারকাসুর। কথিত আছে ঐ ময়ূরটিই হলো কার্তিকের বাহন।

    সরস্বতীর বাহন হাঁস কেন?

    হাঁস নাকি জল, স্থল , অন্তরীক্ষে থাকতে পারে। জ্ঞান ও বিদ্যার দেবীকেও এই তিনটি জায়গায় থাকতে হয় জ্ঞান ও বিদ্যা দানের জন্য। তাই বাহন হিসেবে হাঁসকেই বেছে নিয়েছেন মা সরস্বতী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Durga Puja 2022: “কলা বৌ” আসলে কার বৌ জানেন কি ?

    Durga Puja 2022: “কলা বৌ” আসলে কার বৌ জানেন কি ?

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: মা দুর্গার বড় ছেলের পাশেই তিনি দাঁড়িয়ে থাকেন। লাল পাড়ের শাড়ি পরিয়ে নারী মূর্তির আদল দেওয়া হয় তাঁকে। আসলে তিনি যে বৃক্ষ। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন “কলা বৌ” (Kola Bou)। ঢাক ঢোল বাজিয়ে,  ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে “কলা বৌ” স্নান করানো হয়, তারপর তা’  স্থাপন করা হয় ঠিক গণেশের পাশে। বধূ বেশে, ঘোমটা টেনে গণেশের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা “কলা বৌ” কি তবে গণেশের বৌ ? এ প্রশ্ন অনেকেরই মনে বাসা বাঁধে। আবার কেউ কেউ এই ধারণাটাই সঠিক মনে করেন। 

    পুরাণ অনুযায়ী, গণেশের দুটো বৌ। একজন ঋদ্ধি ও অপরজন সিদ্ধি। তাঁরা দুজনেই ব্রহ্মার মানস কন্যা। শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই দুজন গণেশের কাছে যান এবং কোনো কারণবশতঃ গণেশ রূষ্ট হয়ে তাঁদের দুজন কে অভিশাপ দিতে উদ্যত হলে ব্রহ্মা আবির্ভূত হন এবং গণেশের সাথেই দুজনের বিবাহ দেন।

    “কলা বৌ” তো তাহলে গণেশের বৌ নয়।  তবে “কলা বৌ” আসলে কার বৌ ? এককথায় উত্তর হবে – শিব জায়া অর্থাৎ শিবের বৌ। “কলা বৌ” আসলে মা দুর্গার বৃক্ষ রূপ। এ প্রসঙ্গে জানা দরকার যে – “কলা বৌ” প্রচলিত নাম হলেও এটি ন’টি উদ্ভিদের সমষ্টি বা সমাহার। তাই “কলা বৌ” এর আসল নাম “নবপত্রিকা”। এই ন’টি উদ্ভিদের বর্ণনা রয়েছে এই শ্লোকটিতে –   

    রম্ভা কচ্চী হরিদ্রাচ জয়ন্তী বিল্ব দাড়িমৌ।
    অশোক মানকশ্চৈব ধান্যঞ্চ নবপত্রিকা।

    রম্ভা (কলা ), কচ্চী (কচু ), হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব( ডালিম), অশোক, মানকচু ও ধান গাছ‌। নবপত্রিকায়, একটি পাতা যুক্ত কলাগাছের সাথে অপর আটটি উদ্ভিদ কে শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। কলা গাছটিকে কে নারী দেহের গঠন দেওয়ার জন্য বেল দুটিকে স্তনযুগলের মতো রাখা হয়।

    অতিপ্রাচীন কাল থেকেই প্রকৃতি পূজা ভারতীয় উপমহাদেশের রীতি। অগ্নি,জল, বায়ু, মাটি, পাহাড়, গাছ, নদী সবকিছু তেই ঈশ্বর বিরাজমান – এ ধারণা থেকেই “নবপত্রিকা” বা “কলা বৌ” এর পুজো‌। উদ্ভিদ প্রকৃতির সজীব অংশ। খাদ্য শস্য, নিঃশ্বাসের বাতাস, জীবনদায়ী ঔষধ এসব কিছু তেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উদ্ভিদ। ভক্তদের কল্যাণকারী মা দুর্গা তাই  অধিষ্ঠাত্রী দেবী নবপত্রিকার এই উদ্ভিদ গুলোতে। তিনি সর্বত্র বিরাজমান।নবপত্রিকা মা দুর্গার বৃক্ষ রূপ হিসেবে পরিচিত।

    মহাসপ্তমীর সকালে  “নবপত্রিকা” এর পুজোতে মন্ত্র পাঠ করা হয় – 
    “নবপত্রিকাবাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ”  যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় – নবপত্রিকা বাসিনী নবদুর্গা ।
    এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক নবপত্রিকার ন’টি গাছ দেবী দুর্গার কোন কোন রূপের প্রতীক।

    ১. রম্ভা (কলা গাছ): কলা গাছ এর অধিষ্টাত্রী দেবী ব্রহ্মাণী;
    ২.কচু : কচু গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী কালিকা;
    ৩.হরিদ্রা (হলুদ গাছ): হরিদ্রা গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী উমা;
    ৪.জয়ন্তী: জয়ন্তী গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী কার্তিকী;
    ৫.বিল্ব (বেল গাছ): বিল্ব গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী শিবা;
    ৬.দাড়িম্ব (ডালিম/বেদানা গাছ): দাড়িম্ব গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী রক্তদন্তিকা;
    ৭.অশোক: অশোক গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী শোকরহিতা;
    ৮.মানকচু: মানকচু গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী চামুণ্ডা;
    ৯.ধান: ধান গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী লক্ষ্মী।

    হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন ধর্মীয় রীতি নীতি বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন ১৯৬১ সালের ” আকাডেমিক পুরস্কার ” প্রাপক গবেষক ডঃ শশিভূষণ দাশগুপ্ত। নবপত্রিকা পুজো বিষয়ে তিনি তাঁর ” ভারতের শক্তি সাধনা ও শাক্ত সাহিত্য গ্রন্থের ” ২৫-২৬ পাতায় লিখছেন – ” বলাবাহুল্য এসবই হলো পৌরাণিক দুর্গা দেবীর সাথে এই শস্য দেবীকে ( পড়ুন “নবপত্রিকা”) সর্বাংশে মিলিয়ে নেওয়ার এক সচেতন চেষ্টা। এই শস্য দেবী, মাতা পৃথিবীরই রূপভেদ। সুতরাং আমাদের জ্ঞাতে অজ্ঞাতে দুর্গা পুজোর ভিতরে এখনো সেই আদিমাতা পৃথিবীর পুজো , অনেক খানি মিশিয়া আছে “।

    নবপত্রিকার সাথে দুর্গা পুজোর সম্পর্ক নিয়ে পন্ডিত মহলে নানা মত রয়েছে। মার্কন্ডেয় পুরাণে নবপত্রিকার কোনো বিধান নেই, আবার কালিকা পুরাণে সপ্তমীতে “পত্রিকা” পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায়। কৃত্তিবাসী রামায়ণে , রামচন্দ্র কর্তৃক নবপত্রিকা পুজোর কথা আছে। “বাঁধিল পত্রিকা নববৃক্ষের বিলাস”। পন্ডিত দের মত অনুযায়ী, সম্ভবত শবর সম্প্রদায় কোনও একসময়ে ন’টি উদ্ভিদের মাধ্যমে মা দুর্গার পুজো করতেন। সেই থেকেই হয়তো “নবপত্রিকা” বা “কলা বৌ” পুজো হয়ে আসছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share