Blog

  • IB: সন্ত্রাসে সহায়ক সব পথ বন্ধ করতে হবে! গোয়েন্দা আধিকারিকদের কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    IB: সন্ত্রাসে সহায়ক সব পথ বন্ধ করতে হবে! গোয়েন্দা আধিকারিকদের কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশে ভোট শুরু হতে যাচ্ছে, বেশিদিন বাকি নেই গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনরেও। এই দুই রাজ্যে নির্বাচন বিজেপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভোটের সময় নিরাপত্তায় একবিন্দু ফাঁক রাখতে  চাইছে না সরকার। ভোটের কয়েক দিন আগে, বুধবার দিল্লিতে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (IB) সদর দফতরে গোয়েন্দা আধিকারিকদের সঙ্গে প্রায় ৬ ঘণ্টা বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে শুধু ভোটের নয় কাশ্মীর সহ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আলোচনা চলে দেশের আভ্যন্তরীন নিরাপত্তা নিয়েও। বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই মিটিং চলে। 

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে গুলিবিদ্ধ বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক, এনকাউন্টারে খতম ২ জইশ জঙ্গি

    কী আলোচনা হল বৈঠকে

    ইন্টালিজেন্স ব্যুরোর (IB) একজন সিনিয়র অফিসার  জানিয়েছেন, “ক্রমবর্ধমান মৌলবাদ, বিশেষ করে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) এর সঙ্গে ১২৫ জনের বেশি  ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়ার  বিষয় বৈঠকে  আলোচনা করা হয়েছে।” আন্তঃসীমান্ত জঙ্গিবাদ, মাদক পাচার, সন্ত্রাবাদীদের আর্থিক মদত, সাইবার ক্রাইম, সীমান্ত এলাকায় ড্রোনের ব্যবহারের প্রসঙ্গ উঠে আসে আলোচনায়। ওই গোয়েন্দা আধিকারিক জানান,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তহবিল প্রতিরোধে মনোনিবেশ করতে বলেছেন। এই বৈঠকে শুধু ভোটমুখী দুই রাজ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাই নয় কথা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়েও। সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনে করে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য ফেলার পরিমাণ গত কয়েক মাসে বেড়েছে। এর দ্রুত প্রতিরোধ চেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আইবি-এর প্রচেষ্টার প্রশংসাও করেছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: উত্তাল ভূস্বর্গ নিকেশ ৪ আতঙ্কবাদী জঙ্গি

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য

    এদিন ইন্টালিজেন্স ব্যুরোর (IB) প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের শান্তি বজায় রাখতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ। সন্ত্রাস নির্মূলের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,  ‘‘সন্ত্রাসকে খতম করতে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গেই তাঁদের যে ‘সার্পোট সিস্টেম’ বা সহায়ক ব্যবস্থা রয়েছে, তাকেও নির্মূল করতে হবে। তবেই সামগ্রিক ভাবে সাফল্য পাওয়া সম্ভব।’’ তাঁর মতে, যারা নাশকতার কাজে সরাসরি যুক্ত, তাদের চিহ্নিত করে খতম করা সহজ। কিন্তু বহু বুদ্বিজীবী, শিক্ষিত মানুষ রয়েছেন, যাঁরা গোপনে দেশবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত। যাঁদের কাজই হল, মৌলবাদকে উস্কে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপকে পরোক্ষ গতি দেওয়ার। মূলত সন্ত্রাসের সমর্থনকারী সেই ‘সাপোর্ট সিস্টেম’-কে চিহ্নিত করার উপরে জোর দিয়েছেন শাহ। এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সম্বন্বয় ও ‘রিয়েল টাইম’-তথ্য আদানপ্রদানের উপরেও গুরুত্ব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে, মুম্বই হামলার মতো জলপথের জঙ্গি হামলা এবং মাদকের প্রবেশ রুখতে সমুদ্র পথ ও বন্দরগুলিতে কড়া নজরদারির কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

  • Joka Management College: ক্যান্টিন বন্ধ, বিপাকে রাজ্যের নামী ম্যানেজমেন্ট কলেজের পড়ুয়ারা

    Joka Management College: ক্যান্টিন বন্ধ, বিপাকে রাজ্যের নামী ম্যানেজমেন্ট কলেজের পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়া রয়েছেন। হচ্ছে কলেজও। অথচ বন্ধ হয়ে গিয়েছে কলেজ ক্যান্টিন। আচমকা ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিপাকে পড়ুয়ারা। কলেজের গেটে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ক্যান্টিন কর্মীরা। এ ঘটনা রাজ্যের কোনও প্রান্তিক এলাকার নয়। খোদ কলকাতার (Calcutta)। জোকা ম্যানেজমেন্ট কলেজের (Joka Management College) ঘটনা।

    রাজ্যের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান এই কলেজ

    সম্প্রতি দেশের সেরা ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট জোকা। ওই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি সারা দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ক্রমতালিকা প্রকাশ করেছে এনআইআরএফ, তার একটি তৈরি করা হয়েছে ম্যানেজমেন্ট স্কুলগুলিকে নিয়েও। সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, আইআইএম জোকার (IIM Joka) স্থান হয়েছে তৃতীয়।

    রাজ্যের এহেন গুরুত্বপূর্ণ এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যান্টিন বন্ধ হওযায় বিপাকে পড়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের হাজার খানেক পড়ুয়া। ওই প্রতিষ্ঠানে চারটি ক্যান্টিন রয়েছে। ফি দিন খাবার খান হাজারখানেক পড়ুয়া। পড়ুয়ারা সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু না বললেও, জানা গিয়েছে, খাবারের মান ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার দেওয়া হত না বলেও অভিযোগ। মর্যাদাপূর্ণ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যান্টিনের ভিতরেই মদ্যপান করা হত বলে অভিযোগ। পড়ুয়ারা নন, মদ্যপান করতেন ক্যান্টিনের কর্মীরাই।

    আরও পড়ুন: কয়লাপাচার কান্ডে ইডি তলব করল কলকাতা পুলিশের এসিপিকে

    জোকা ম্যানেজমেন্ট কলেজের (Joka Management College) ক্যান্টিনের ভিতর মদ্যপান করায় ক্যান্টিনের ১৪ জন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। এর পরেই কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ক্যান্টিন বন্ধ করে দেন প্রায় ১২৫ জন কর্মী। মঙ্গলবার থেকে কাজ করছেন না তাঁরা। জোকা ম্যানেজমেন্ট কলেজের গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ওই কর্মীরা। স্বাভাবিকভাবেই খাবার না পেয়ে বিপাকে ওই প্রতিষ্ঠানের হাজারখানেক পড়ুয়া।

    জোকা ম্যানেজমেন্ট কলেজের (Joka Management College) মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যান্টিন বন্ধ রইলেও, পড়ুয়ার খাবার না পাওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে পড়ুয়াদের অভিযোগ। বিক্ষোভের জেরে খানিকটা হলেও, ব্যাহত হচ্ছে পঠনপাঠন। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তাই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ম্যানেজমেন্ট কলেজের গেটে। এদিকে, বিক্ষোভকারীদের সাফ দাবি, যে ১৪ জন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে, অবিলম্বে কাজে ফেরাতে হবে তাঁদের। কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেন, এখন সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি মডিউলের পর্দাফাঁস, বিপুল অস্ত্র সহ ধৃত ৩ জইশ জঙ্গি

    Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি মডিউলের পর্দাফাঁস, বিপুল অস্ত্র সহ ধৃত ৩ জইশ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস করা হল। গতকাল গভীর রাতে ৩ জনকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাদের সঙ্গে বিপুল পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। এদের জইশ-ই মহম্মদ সংগঠনের জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্তদের থেকে অস্ত্রশস্ত্রের পাশাপাশি গোলাবারুদও উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

    জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পাকিস্তান থেকে ওই জঙ্গি সংগঠনের কোনও হ্যান্ডলার অস্ত্রশস্ত্রগুলি পাঠিয়েছিল। সেগুলি তার নির্দেশেই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল কাশ্মীরে। ফলে কাশ্মীর সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল ধৃত তিন জনের। ধৃতদের এক জন তেলের ট্যাঙ্কারের চালক। নাম মহম্মদ ইয়াসিন। বাকি দুজনের নাম ফারহান ফারুখ এবং ফারুখ আহমেদ।

    আরও পড়ুন: উত্তাল ভূস্বর্গ নিকেশ ৪ আতঙ্কবাদী জঙ্গি

    কী ঘটেছিল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার গভীর রাতে জম্মুতে (Jammu & Kashmir) জাতীয় সড়কের কাছাকাছি নরওয়াল এলাকায় ত্রিকুটা নগর থানার পুলিশ একটি রুটিন তল্লাশি চালাচ্ছিল। তখনই একটি তেলের ট্যাঙ্কারে থাকা ৩ জনকে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তারা প্রথমত ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে। ফলে প্রথমে তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়, কিন্তু কিছু দূরে গিয়ে ফের ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করে তারা। এবার পুলিশ তাদের আটকায় ও জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর তাদের উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় তল্লাশির কথা বললে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। এরপর তাদের জইশ জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর গাড়িতে তল্লাশির পরেই একাধিক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে দু’জন জঙ্গিদের সহযোগী হিসেবে কাজ করত বলে জানিয়েছে পুলিশ। জইশের সঙ্গে জড়িত বলেও দাবি করে পুলিশ।

    কী বলল ধৃত?

    পরে দীর্ঘক্ষণ জেরা করার পর ধৃত মহম্মদ ইয়াসিন পুলিশের কাছে স্বীকার করে যে, শাহবাজ নামে পাকিস্তানের এক হ্যান্ডলারের নির্দেশেই সে অস্ত্রশস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে এসেছিল। কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) এক জঙ্গির হাতে ওই অস্ত্রশস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। ট্যাঙ্কারে যে অস্ত্রশস্ত্র আছে সে বিষয়েও জানায় ধৃত ইয়াসিন। এরপর ট্যাঙ্কার থেকে উদ্ধার করা হয় তিনটি একে ৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল, একটি পিস্তল এবং ৯টি ম্যাগাজিন, ১৯১ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং ছয়টি গ্রেনেড। এই জঙ্গি মডিউলে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা, তা নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে গুলিবিদ্ধ বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক, এনকাউন্টারে খতম ২ জইশ জঙ্গি

  • Liquor Shop License: এবার মদের দোকান দেবে রাজ্য সরকারই, কোষাগারে টান?

    Liquor Shop License: এবার মদের দোকান দেবে রাজ্য সরকারই, কোষাগারে টান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের কোষাগার শূন্য। সম্প্রতি এই অভিযোগে সরব হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। সেই কথা যে মিথ্যে নয়, তার প্রমাণ দিচ্ছে খোদ রাজ্য সরকারই। এবার আর্থিক সংকট দূর করতে সরকারি দোকান দিয়ে মদ বিক্রি করবে রাজ্য। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বেভারেজ কর্পোরেশন বা ‘বেভকো’ নামে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি় (Liquor Shop License) খোলা হবে। প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের তিন জেলা- দার্জিলিং, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে সমীক্ষা চালিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি় দেওয়ার জন্য ৯২টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলার ডেয়ারি, হরিণঘাটা বা বেনফিশের আউটলেট আদলেই সাজানো হবে বেভকো-র ফ্র্যাঞ্চাইজি়র রিটেল আউটলেটগুলিকে। মদের ওই সব বিপণির নকশাও বেভকো তৈরি করবে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস’’, কামড়কাণ্ডে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মদের খুচরো ব্যবসায় রাজ্য সরকার 

    ২১ সালের ভোটের আগে রাজ্যে বিজেপির প্রবেশকে আটকাতে মরিয়া হয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নিজের দিকে সমর্থন টানতে কোনও ভাবনা চিন্তা ছাড়াই ঘোষণা করে গিয়েছেন একের পর এক প্রকল্পের। এখন সেইসব সরকারি প্রকল্পের টাকা জোগাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার। এমনই দাবি করছেন বিরোধী নেতারা। যদিও কেন্দ্রের পাওনা আটকানোকেই আর্থিক সংকটের জন্যে দায়ী করেছে রাজ্য। সেই আবহেই এ বার মদের খুচরো দোকান খুলতে চলেছে রাজ্য সরকার। তার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি খুঁজতে রাজ্য সরকারের তরফে ডাকা হয়েছে ই-টেন্ডারও।   

    আপাতত দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার, উত্তরের তিন জেলায় শুরু হচ্ছে মদের সরকারি রিটেল শপ। এই মর্মে নির্দেশিকাও জারি করেছে রাজ্য সরকার। 

    বিরোধী কটাক্ষ 

    রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। বিরোধী নেতারা কটাক্ষ করে বলেছেন, “রাজ্য ‘দুয়ারে মদ’ পরিষেবা শুরু করছে।” রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্য সরকার মদ আর মা কালীতে টিকে আছে। তাই সরকার চাইছে মদ আরও বাড়াও আর বাড়াও। যুব সমাজকে ডুবিয়ে দাও। যাতে চাকরি না চায়।”

    আবগারি দফতরের এক কর্তা আত্মপক্ষ সমর্থনে বলেছেন, “আবগারি দফতরের এক কর্তার কথায়, “বিষ মদের বিপদ তো আছেই। কিন্তু বেআইনি ভাবে রাজ্যে ঢোকা, ব্র্যান্ডেড মদও যে নকল ও বিষাক্ত নয়, তার গ্যারান্টি নেই। ফলে, আমাদের এই পদক্ষেপে ঝুঁকি কমবে, রাজস্বও বাড়বে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     
  • Suvendu Adhikari: ‘‘লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস’’, কামড়কাণ্ডে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস’’, কামড়কাণ্ডে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হল শহর কলকাতা। চাকরির ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের কামড় খেলেন এক চাকরিপ্রার্থী। নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। আর এর মাঝেই চাকরির দাবিতে বুধবার আন্দোলনে নামেন কয়েকশ চাকরিপ্রার্থী। আর সেই নিয়েই উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যামাক স্ট্রিট। চাকরির দাবিতে কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে যান আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন থামাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। আর সেই আন্দোলন থামাতে গিয়েই এক আন্দোলনকারী মহিলার হাতে কামড়ে দিলেন এক মহিলা পুলিশ কর্মী। সংবাদমাধ্যমে ক্যামেরাবন্দি হল সেই ভিডিও।  

    আরও পড়ুন: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    শুভেন্দুর কটাক্ষ 

    এই কামড়কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা ট্যুইটারে (Twitter) লিখেছেন, “এই হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পুলিশ। এক্সাইড মোড়ে একজন শিক্ষিত, বেকার, যোগ্য, ইচ্ছাকৃত এবং বেআইনিভাবে বঞ্চিত শিক্ষকতার চাকরিপ্রার্থীকে কামড়াচ্ছে। লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসে নৃশংস ঘটনা।”

     



    ঠিক কী হয়েছিল?

    ক্যামেরায় ধরা পড়ে এই নৃশংস ঘটনা। দেখা যায়, ক্যামাক স্ট্রিটের সামনে বিক্ষোভে অভিযুক্ত মহিলা কনস্টেবল ছুটে যাচ্ছে। সোজা গিয়েই এক মহিলার হাতে বসালেন কামড়। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যান সকলেই। ওই মহিলা পুলিশ সরে যেতেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে চাকরিপ্রার্থী ওই মহিলার হাতে কামড়ের দাগ।

    পরবর্তীতে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী দাবি করেন, তিনি কামড়াননি, আন্দোলনকারীকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও ক্যামেরার ছবি বলছে অন্য কথা। প্রসঙ্গত, পরবর্তীতে আক্রান্ত মহিলার বিরুদ্ধেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়। পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     
     
  • TET Agitation: ‘হয় নিয়োগ দিন, নয়…’, টেট প্রার্থীদের বিক্ষোভে এক্সাইড মোড়ে ধুন্ধুমার, ঝরল রক্ত

    TET Agitation: ‘হয় নিয়োগ দিন, নয়…’, টেট প্রার্থীদের বিক্ষোভে এক্সাইড মোড়ে ধুন্ধুমার, ঝরল রক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে কলকাতা (TET Agitation)। নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এক্সাইড মোড় এবং রবীন্দ্রসদন চত্বর। এক্সাইড মোড়ে (Exide Crossing) ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে রক্তও ঝরল চাকরিপ্রার্থীদের। তাঁদের এখন একটাই দাবি, ‘আমাদের হয় নিয়োগ দিন, নয় মৃত্যু দিন।’

    এদিন হঠাৎ দুপুর থেকেই রবীন্দ্র সদনের কাছে এক্সাইড মোড়ে জড়ো হতে থাকেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা (TET Agitation)৷ আগে থেকে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়নি৷ আচমকাই সেই জায়গায় জমা হতে থাকে চাকরিপ্রার্থীরা। অনেকে আবার মেট্রো করে এসে রবীন্দ্রসদন স্টেশনে নেমে জমায়েতে অংশ নেন। পরে ধীরে ধীরে সেখানে ভিড় বাড়তে থাকলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

    আরও পড়ুন: বরখাস্ত শিক্ষকেরা চাইলে চাকরিতে যোগ দিতে পারেন, জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

    রক্তারক্তি কাণ্ড

    এই গোলমালের মধ্যে মাথা ফাটল এক চাকরিপ্রার্থীর। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর মাথা ফেটে যায় বলে অভিযোগ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা৷ ফলে আজ বিক্ষোভে রক্তাক্ত হওয়ার ছবিও সামনে এসেছে। আবার কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী অসুস্থও হয়ে পড়েন। কিছু চাকরিপ্রার্থীদের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। এক মহিলা আন্দোলনকারীকে (TET Agitation) অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখা যায়।

    প্রিজন ভ্যানের তলায় শুয়ে বিক্ষোভ

    এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে চাকরিপ্রার্থীদের আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ৷ অনেককে চ্যাংদোলা করে, টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়৷ আবার বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী প্রিজন ভ্যানের চাকার সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ (TET Agitation) দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা দাবি তোলেন, ‘হয় নিয়োগ দিন, নয় মৃত্যু৷’ কয়েকশো চাকরিপ্রার্থীদের চ্যাংদোলা করে সেই জায়গা থেকে সরানোর চেষ্টা করেছে পুলিশ। এরপর প্রিজন ভ্যান ছাড়া, বাস থামিয়ে আন্দোলনকারীদের তুলে দিতে দেখা যায় পুলিশকে।

    যান চালাচল অবরুদ্ধ

    আর এই ধুন্ধুমার (TET Agitation), রক্তারক্তি কাণ্ডের মধ্যে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে রয়েছে আশুতোষ মুখার্জি রোড, এজেসি বোস রোড, জওহরলাল নেহেরু রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা৷ ফলে যান চলাচলও বন্ধ হয়ে রয়েছে। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। এদিন দ্রুত নিয়োগের দাবিতে শিয়ালদা থেকে বিক্ষোভ মিছিল করার কথা ছিল তাঁদের, কিন্তু পুলিশ তা বানচাল করতে পরিকল্পনায় বদল আনেন চাকরি প্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন: সকালে গরম, বিকেলে নরম…! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের উপরেই আস্থা বিচারপতির

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • T20 World Cup: ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে ব্রিটিশ-রাজে নৈশভোজ টিম ইন্ডিয়ার! কেন জানেন?

    T20 World Cup: ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে ব্রিটিশ-রাজে নৈশভোজ টিম ইন্ডিয়ার! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) সেমিফাইনালে আগে চাপ কমাতে নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করছেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। অ্যাডিলেডে আসার পথে বিরাট কোহলি রোহিত শর্মারা বিজনেস ক্লাসের টিকিট ছেড়ে দিয়েছিলেন সতীর্থদের জন্য। আসলে তাঁরা বোঝাতে চেয়েছিলেন দলে আমরা সবাই সমান। মঙ্গলবার প্র্যাকটিস শেষে কোহলিরা বেরিয়ে পড়েছিলেন নৈশ ভোজে।

    চাপ কমাতে রাজকীয় আহার:

    বিশ্বকাপ চলাকালীন প্র্যাকটিসের সময় আইসিসির দেওয়া খাবার নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটারদের অসন্তোষের খবর সামনে এসেছিল আগে। যদিও শুধু স্বাদ বদলের জন্যই নয় একটি বাসে চেপে ব্রিটিশ রাজ নামে এক রেস্তোরাঁয় ভারতীয় ক্রিকেটারদের দল বেধে নৈশ ভোজে যাওয়ার পিছনে অন্য কারণ দেখছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। আসলে ২০০৭ সালে প্রথম ও শেষ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। তারপর প্রাপ্তি শুধুই হতাশা। এবার রোহিত শর্মাদের সামনে খেতাব জয়ের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বাধা টপকাতে পারলেই ফাইনালে টিকিট নিশ্চিত করে ফেলবেন কোহলিরা। তবে এই পর্যায়ে লড়াই যে কখনোই সহজ হবে না সেটা বলার প্রয়োজন নেই। ইংল্যান্ড যথেষ্ট শক্তিশালী দল, তার ওপর খেলা অ্যাডিলেডে। তাই ক্রিকেটারদের চাপমুক্ত রাখাটাও জরুরী। সেই কারণেই বিসিসিআই- এর পক্ষ থেকে সেমিফাইনালের আগে কোহলিদের জন্য ব্রিটিশ রাজ রেস্তোরাঁয় নৈশ ভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শুধু ক্রিকেটার কিংবা সাপোর্ট স্টাফ নয়, ছিলেন পরিবারের সদস্যরাও। স্বাদ বদলের জন্য রোহিতরা চেখে দেখলেন চিকেন টিক্কা, কাশ্মীরি পোলাও, মটন রোগান জুস সহ আরও নানা পদ।

    আরও পড়ুন: আসছে লগান ২! ইন্ডিয়া-ইংল্যান্ড সেমিফাইনালকে ঘিরে মিমের বন্যা সোশ্যাল মিডিয়ায়

    একঘেয়েমি কাটানোও লক্ষ্য:

    ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ শুরুর অনেক আগেই রোহিতরা অস্ট্রেলিয়ায় চলে এসেছিল। পরপর ম্যাচ খেলতে হয়েছে তাঁদের। ছুটতে হয়েছে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। ক্রিকেটের বাইরের জীবন উপভোগ করার সুযোগ হয়নি তাঁদের। প্রচন্ড ধকল নিতে হয়েছে প্রত্যেক ক্রিকেটারকে। তাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাই ভোল্টেজ ম্যাচ-এর আগে এই নৈশ ভোজ কিছুটা হলেও ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে চাঙ্গা করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়রা কীভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে সুবিধা পাবে, তা দেখা সরকারের সাংবিধানিক কর্তব্য, অভিমত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। রাশিয়া থেকে তেল কেনা প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনবে। নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে চায় যে কোনও দেশই। ভারতীয়দের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, চাহিদা মেটাতে রাশিয়া থেকে কম খরচে তেল কিনছে ভারত। দেশের মানুষের স্বার্থ নিশ্চিত করতে এটা সরকারের সাংবিধানিক বাধ্যতা।” ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনের পর রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি তেল সংগ্রহ করে ভারত। গত সেপ্টেম্বরে তার পরিমাণ ছিল সবচেয়ে বেশি।

    মস্কো সফরে গিয়ে মঙ্গলবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ইন্টার গভর্নমেন্টাল কমিশন অন ট্রেড,ইকনমিক,সায়েন্টিফিক, টেকনিকাল ও কালচারাল কো অপারেশন সংক্রান্ত মিটিংয়েও অংশ নেন জয়শঙ্কর। দুদেশই বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরও সম্প্রসারিত করার ব্যাপারে আলোচনা করেছে। পাশাপাশি সারাবিশ্বে খাদ্য ও শক্তিসম্পদের সুরক্ষাকে নিশ্চিত করার জন্য ভারত  রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানার কথাও বলেছে।

    আরও পড়ুন: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

     মঙ্গলবারের ওই বৈঠকের পরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন,‘‘আজকের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির বিষয়ে পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে মূল্যায়ন ও মত বিনিময় হয়েছে।’’রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী লাভারভ জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় ১৩০ শতাংশ ছুঁয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অঙ্ক প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে অন্তত ৩০ বিলিয়নে স্পর্শ করাতে হবে। ডলারের পরিবর্তে রুপি-রুবেল বিনিময়ে বাণিজ্য প্রসারেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    অতিমারি পরবর্তী পর্যায়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে ধাক্কা এসেছে তাতে বিশ্ব জুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এ কথা জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা শুধু জাতীয় স্বার্থটা দেখছি তেমনটা নয়, জি ২০ অর্থনীতির অঙ্গ হিসাবে আমরা বিশ্ব অর্থনীতিকেও স্থিতিশীল করতে চাইছি। যুদ্ধ নয়, ভারত সব সময়ই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পক্ষপাতী।” বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ব জুড়ে জ্বালানি সঙ্কটের আবহে কত সস্তায় অশোধিত তেল রাশিয়া থেকে ভারত আমদানি করতে পারে, তা নির্ধারিত করতেই জয়শঙ্করের এই সফর। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পরে বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্ন জায়গায় জয়শঙ্কর এবং লাভরভ এই নিয়ে পাঁচ বার বৈঠক করলেন।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্য সরকারের ‘অদক্ষতায়’ বাড়ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্য সরকারের ‘অদক্ষতায়’ বাড়ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue Situation in West Bengal) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী  মনসুখ মাণ্ডব্যকে (Mansukh Mandaviya) চিঠি পাঠালেন তিনি ৷ ট্যুইটারে নিজেই সেকথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। 

     

    সোমবার নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে সেই চিঠির ছবি পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৷ লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অদক্ষতার জন্যই রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ৷ আমি সম্মানীয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ মনসুখ মাণ্ডব্যজিকে এই বিষয়ে একটি চিঠি লিখে পাঠিয়েছি ৷ রাজ্য সরকারকে দিশা দেখানোর জন্য এবং আমজনতার সুবিধার্থে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর আবেদন জানিয়েছি ৷”

    আরও পড়ুন: ‘দুধ দিলে ক্ষীর পাবে, কিন্তু…’, কাকে এমন হুঁশিয়ারি দিলেন সুকান্ত, জানেন?

    চিঠিতে বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানিয়েছেন, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক। রাজ্য প্রশাসন ডেঙ্গি আক্রান্ত এবং ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান দিচ্ছে না বলেও দাবি করেন বিরোধী নেতা। বিরোধী নেতার অভিযোগ, রাজ্য সরকার তথ্য গোপন করছে। 

    চিঠিতে শুভেন্দু জানান, রাজ্য সরকারের কোষাগারে এই পরিস্থিতি সামলানোর যথেষ্ট টাকা নেই। রাজ্য সরকারকে ‘দেউলিয়া’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। শুভেন্দু আরও লেখেন, কেন্দ্র সরকারের তরফে রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতে যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেই টাকাও মাইনে দিতে খরচ করে ফেলেছে রাজ্য সরকার। তাই ড্রেন পরিষ্কার করার বা স্বাস্থ্য খাতে খরচ করার মতো টাকা সরকারের নেই। রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার কার্যত শূন্য বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। 

    রাজ্যের ডেঙ্গি সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্যে স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতাকেও দায়ী করেছেন তিনি। এমতাবস্থায় বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে অনুরোধ করেন, যাতে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্যে  কেন্দ্রের তরফ থেকে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল পাঠানো হয়। শুভেন্দুর বক্তব্য, রাজ্য ডেঙ্গি সংক্রান্ত সমস্ত পরিসংখ্যান কেন্দ্রের কাছ থেকেও গোপন করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: উচ্চশিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: উচ্চশিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চশিক্ষা এবং চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ (Quota) বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। গত সেপ্টেম্বরে শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। আর্থিক অনগ্রসরদের (EWS) জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী নয়। সুপ্রিম কোর্টের আগের শুনানিতে সরকারের হয়ে সওয়াল করতে উঠে এ কথা জানিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। যদিও আবেদনকারীদের তরফে দাবি করা হয়েছিল, আর্থিক অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সংবিধানের সাম্যের অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করবে। আবেদনকারীদের দাবি খারিজ করে উচ্চশিক্ষা এবং চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত।

    মঙ্গলবার অবসর নেবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। তার ঠিক একদিন আগে রায়দান হয় এই মামলার। এদিন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি। এঁরা হলেন, ইউ ইউ ললিত, দীনেশ মহেশ্বরী, এস রবীন্দ্র ভাট, বেলা এম ত্রিবেদী এবং জেবি পার্দিওয়ালা। আদালত জানায়, উচ্চশিক্ষা এবং চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ কোনওভাবেই সাম্যের অধিকারের মূল কাঠামোর পরিপন্থী নয়।

    জানা গিয়েছে, যে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার রায়দান হল, সেই বেঞ্চের তিন বিচারপতি সংরক্ষণের পক্ষে রায় দিয়েছেন। সংরক্ষণের পক্ষে রায় দিয়েছেন বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী, বেলা এ ত্রিবেদী এবং জে বি পার্দিওয়ালা। সংরক্ষণের বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। সংরক্ষণের বিপক্ষে মত দিয়েছেন বিচারপতি এস রবীন্দ্রও। তিনি এই আইনকে বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করেন। তাঁর মতে, এই আইন সাম্যের মূল কাঠামোরও পরিপন্থী।

    আরও পড়ুন: ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে ইপিএফও পেনশন প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ল আরও চার মাস

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তখতে বসেন নরেন্দ্র মোদি। এর পরেই চাকরি, শিক্ষা সহ বিভন্ন ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ঘোষণা করে মোদি সরকার। সংসদে বিল পাশ করে তা আইনেও পরিণত করা হয়। ২০১৯ সালে এর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল হয় ৪০টি পিটিশন। ওই পিটিশনগুলিতে বলা হয়েছিল, সংবিধানের ৪৬ নম্বর ধারায় শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কথা বলা হয়েছে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কথা বলা হয়নি। প্রসঙ্গত, এতদিন এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা ছিল। এবার এই সুযোগ পাবেন অনগ্রসররাও। এদিন রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, উচ্চশিক্ষা এবং চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ কোনওভাবেই অবৈধ নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share