Blog

  • Byju-s Lionel Messi: আড়াই হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পর বাইজুসের বাণিজ্যিক দূত মেসি! বিতর্কের ঝড় নেটদুনিয়ায়

    Byju-s Lionel Messi: আড়াই হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পর বাইজুসের বাণিজ্যিক দূত মেসি! বিতর্কের ঝড় নেটদুনিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভের মুখ দেখার জন্য সম্প্রতি এক-ধাক্কায় আড়াই হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে বাইজুস ( BYJU’s)। তার জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন সংস্থার প্রধান। এই আবহেই নয়া চমক দিল বাইজুস। ফুটবলের মেগাস্টার লিওনেল মেসিকে (Lionel Messi) গ্লোবাল অ্যাম্বাসাডর (Global Brand Ambassador) হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা করল তারা। সামনেই ফিফা বিশ্বকাপ। তার আগে বাজার ধরতেই এই সিদ্ধান্ত বাইজুসের। তবে এতগুলো কর্মীকে কাজ থেকে ছাঁটাই করে মেসিকে বিপুল টাকা দিয়ে অ্যাম্বাসাডর নিয়োগ করায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

    বাইজুস-এর ব্যবসা নীতি নিয়ে বিভ্রান্ত অনেকেই। লোকসানে ডুবে থাকা সংস্থা কীভাবে বিশ্বসেরা ফুটবলারের সঙ্গে হাত মেলায়? প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ২০২০-২১ সালে বিপুল লোকসানের রিপোর্ট প্রকাশ করে বাইজুস। তারপরেই বাইজু-র বিনিয়োগকারীরা সংস্থার খরচে রাশ টানার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। এর আগে ২০১৯ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসর হিসাবে জায়গা করে নেয় বাইজুস। সম্প্রতি ৫৫ মিলিয়ন ডলারের(৪৫৩ কোটি টাকা) বিনিময়ে ফের সেই চুক্তি রিনিউ করে সংস্থা। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলছে, তারও অন্যতম প্রধান স্পনসর বাইজুস। বাইজুসের বিজ্ঞাপনের অন্যতম প্রধান মুখ শাহরুখ খান। তাঁর সঙ্গেও যে কম টাকার চুক্তি নয়। শুধু খরচে রাশ টানার ক্ষেত্রে কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে। যেভাবে একধাক্কায় একাধিক কর্মীকে বাইজুস ছেঁটে ফেলেছে, তার জেরে কর্মচারীদের আস্থায় জায়গা থেকে তাদের ভবিষ্যতে ভুগতে হতে পারে বলে অবশ্য আশঙ্কা অনেকের।

    দেশজুড়ে বিভিন্ন শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনায় সাহায্য করার অন্যতম বিকল্প মাধ্যম হয়ে উঠেছে বাইজুস। এডুকেশন ফর অল,তথা সবার জন্য শিক্ষা কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যদূত করা হয়েছে আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসিকে। ভারতীয় কোনও সংস্থার এভাবে বিশ্বব্যাপী অভিযানের মাঝে লিওনেল মেসির মাপের ফুটবলারকে অ্যাম্বাসাডর হিসেবে নিয়োগ করা একটি বড় চমক। মেসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “সবাইকে পড়াশোনায় আগ্রহী করে তোলার বাইজুস-এর ভাবনার সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পেয়েছি। ভাল পড়াশোনা পারে জীবনের গতিপথ বদলে দিতে। আশা রাখি বাইজুসের কাজ আরও মসৃণ হবে। খুদেরা ভবিষ্যতে নিজেদের শিখরে দেখার স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে যাবে।”

  • Citizenship Act: ৯ রাজ্যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু!

    Citizenship Act: ৯ রাজ্যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ-মুসলিম (Non Muslims) শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে গুজরাটে (Gujarat)। এবার ওই কাজ জোর কদমে শুরু হয়ে গেল দেশের অন্যত্রও। জানা গিয়েছে, দেশের নটি রাজ্যের ৩১ জেলার জেলাশাসক ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA)। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে (Citizenship Act) ওই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। নাগরিকত্ব পাবেন পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানরা।

    সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্ট ২০২১-২২। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১ হাজার ৪১৪ জন শরণার্থী এসেছেন ভারতে। এঁদের প্রত্যেককে নাগরিকত্ব আইনে (Citizenship Act) ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।  

    দেশের মধ্যে গুজরাটেই প্রথম শুরু হয়েছে এভাবে নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ। দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে গুজরাটে আসা অ-মুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Act), ১৯৫৫ অনুযায়ী এই নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই তিন দেশ থেকে আসা যেসব শরণার্থী গুজরাটের মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বসবাস করছেন, তাঁদেরই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চমক, কে কে লড়ছেন জানেন?

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনেও (Citizenship Act) পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা অ-মুসলিম এই সমস্ত শরণার্থীদের দেওয়া যায়। তবে যেহেতু তা নিয়ে বিতর্ক চলছে, এবং সরকার এখনও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরি করে উঠতে পারেনি, এই আইনের আওতায় এখনও নাগরিকত্ব দেওয়া যায়নি কাউকেই।

    কোন কোন রাজ্য পেয়েছে ক্ষমতা?

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৯ জেলার কালেক্টর এবং নটি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এঁরা উল্লিখিত শরণার্থীদের শংসাপত্র দিতে পারবেন। যে রাজ্যগুলিকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল, গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি এবং মহারাষ্ট্র। বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গকে এই ক্ষমতা এখনও দেওয়া হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • T20 WORLD CUP: ঝড়ো ব্যাটিং হার্দিকের! সংযমী বিরাট, ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য ১৬৯ রানের লক্ষ্য

    T20 WORLD CUP: ঝড়ো ব্যাটিং হার্দিকের! সংযমী বিরাট, ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য ১৬৯ রানের লক্ষ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে (T20 WORLD CUP) টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৬ উইকেটে ১৬৮ রান তুলল। দুরন্ত ব্যাটিং করলেন হার্দিক পান্ডিয়া ও বিরাট কোহলি। তবে ভারতের শুরুটা ভালো হয়নি। ওপেনার লোকেশ রাহুল মাত্র ৫ রান করে আউট হন। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু ২৭ রানে তাকে ডাগ আউটে ফিরতে হয় জর্ডনের বলে আউট হয়ে। প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ সূর্য কুমার যাদব। তিনি ১৪ রান করে মাঠ ছাড়েন। পর পর উইকেট হারাতেই রানের গতি মন্থর হয়ে যায় ভারতের। তবে বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়ার যুগলবন্দী ভারতকে বড় ইনিংস খাড়া করতে সাহায্য করে। কোহলির সংগ্রহ ৪০ বলে ৫০ রান। অন্যদিকে ঝড় তোলেন হার্দিক। মাত্র ৩৩ বলে করেন ৬৩ রান। পন্থ (৬) রান আউট হন। টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আজ ৪২ রান করলেই রেকর্ড গড়তেন বিরাট। তাঁর ব্যাট থেকে এদিন আসে সংযমী অর্ধশতরান। এর সুবাদে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ৪ হাজার রানের মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেললেন কোহলি। 

    এদিন টস-ভাগ্য সঙ্গ দিল না রোহিতের। ভারতের বিরুদ্ধে হাই ভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিল ইংল্যান্ড। ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠালেন ব্রিটিশ অধিনায়ক জোস বাটলার। নিউজিল্যান্ডকে কার্যত একপেশে ম্যাচে হারিয়ে ইতিমধ্যেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 WORLD CUP) ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে পাকিস্তান। এবার ভারতের সামনে ফাইনালে ওঠার লড়াই। প্রতিপক্ষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ধারে-ভারে ভারত অনেকটাই এগিয়ে। তবে খেলাটা ক্রিকেট আর ম্যাচটা টি-টোয়েন্টি। তাই যেকোনও দিন, যে কেউ ম্যাচ বার করে নিতে পারে। 

    অপরিবর্তিত ভারতীয় দল

    ভারতীয় দল অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচে যাঁরা খেলেছিলেন, তাঁরাই সুযোগ পেয়েছেন। দীনেশ কার্তিক নয়, ঋষভ পন্থেই আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ইংল্যান্ড দলের একাধিক তারকা থাকছেন না মহাযুদ্ধে। মার্ক উড, দাভিদ মালানের মত টি২০ স্পেশ্যালিস্টরা অনিশ্চিত চোটের কারণে। জনি বেয়ারস্টো তো বিশ্বকাপেই আসেননি। কার্যত ভাঙাচোরা দল নিয়েই ভারতের মোকাবিলা করতে হবে ইংরেজদের। অন্যদিকে, ভারতীয় দলে কোনও চোট-আঘাতের সমস্যা নেই। নেট অনুশীলনে রোহিত-কোহলি আহত হলেও ফিট হয়েই খেলতে নামছেন দুজনে।

    চলতি মহারণে ৫ ম্যাচের ৪টিতে জিতে ভারত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে। অন্যদিকে নেট রান-রেটের নিরিখে নিউজিল্যান্ডের কাছে পিছিয়ে পড়ায় অন্য গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে জায়গা পাকা করে ইংল্যান্ড। উভয় দলের খেলাই নজর কেড়েছে। ফলে ভারত-ইংল্যান্ড সেমিফাইনাল ব্যাট-বলে রুদ্ধশ্বাস হতে চলেছে বলেই মনে করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। 

    বৃষ্টি এলে কী হবে

    চলতি বিশ্বকাপে (T20 WORLD CUP) বারবার ব্যাঘাত ঘটিয়েছে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে বৃষ্টির জন্য ভারত ইংল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচ ভেস্তে গেলে পরদিন রিজার্ভ ডে-তে ওই খেলা হবে। নির্ধারিত দিনে প্রতি ইনিংসে ন্যূনতম ১০ ওভার খেলা সম্ভব না হলেই ম্যাচ গড়াবে রিজার্ভ ডে-তে। রিজার্ভ ডে-তেও ম্যাচ আয়োজন করা না গেলে, সুপার টুয়েলভের লিগ টেবিলে যে দলের অবস্থান ভাল, তারা ফাইনালের টিকিট হাতে পাবে। সেক্ষেত্রে গ্রুপ টুয়ের এক নম্বর দল ভারত ফাইনালে যাবে।

    আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তান

    ইংল্যান্ডের প্রথম একাদশ
    জোস বাটলার (ক্যাপ্টেন ও উইকেটকিপার), অ্যালেক্স হেলস, ফিল সল্ট, বেন স্টোকস, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মইন আলি, স্যাম কারান, ক্রিস জর্ডন, ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ।

    ভারতের প্রথম একাদশ
    লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মা (ক্যাপ্টেন), বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, ঋষভ পন্ত (উইকেটকিপার), অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ শামি ও অর্শদীপ সিং।

  • Kolkata Police: ডিউটি শেষে অস্ত্র জমা রাখার নির্দেশ কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চকে, কেন?

    Kolkata Police: ডিউটি শেষে অস্ত্র জমা রাখার নির্দেশ কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চকে, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন ডিউটির শেষে আগ্নেয়াস্ত্র ফিরিয়ে দিতে হবে নিকটবর্তী কোনও থানায়। সম্প্রতি এমনই নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুলিশ। ইন্টেলিজেন্স বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এই নির্দেশ দিয়ে বলেন, “অস্ত্র নেওয়া এবং জমা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ম মাফিক করা হচ্ছে না। বার বার নিয়ম ভাঙা হচ্ছে।” সূত্রমতে, স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চেই সম্প্রতি প্রায় ২০টি আইন ভাঙার খবর সামনে এসেছে। 

    এক পুলিশ কর্তা বলেন, “যেসব পুলিশকর্মীদের ডিউটির জন্যে অস্ত্র দেওয়া হয়, তাদের ডিউটি শেষে দৈনিক সেই অস্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অনেক পুলিশ কর্তাই সেই নিয়ম পালন করেন না।”

    একাধিক পুলিশ কনস্টেবল, অপহরণ, ডাকাতি, চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পরেই এই বিষয়ে কড়াকড়ি শুরু করে কলকাতা পুলিশ।

    ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে?

    গত পাঁচ মাসে কলকাতায় (Kolkata) অন্তত ১১ জন পুলিশ (Kolkata Police) কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে। ধৃত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে রয়েছে অপহরণ, প্রতারণা, চুরি এবং হেনস্থা করার মতো গুরুতর সব অভিযোগ। এই সব সমস্যায় পড়লে বিপদগ্রস্ত মানুষ যেখানে পুলিশের ভরসায় থাকেন, সেখানে পুলিশই অভিযুক্ত হওয়ায় রাজ্যজুড়ে হাসির ছররা!

    অপহরণ, প্রতারণা, চুরি এবং হেনস্থা করার মতো গুরুতর অভিযোগে যেসব পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা সবাই যে সাধারণ পুলিশ কর্মী, তা নন। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া পুলিশ কর্মীদের মধ্যে যেমন ন জন কনস্টেবল রয়েছেন, রয়েছেন একজন সিভিক ভলান্টিয়ার, তেমনি রয়েছেন একজন অ্যাসিস্টেন্ট সাব ইনসপেক্টরও।

    আরও পড়ুন: কাটল আইনি বাধা, এবার ভারতে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত নীরব মোদির?  

    ধৃত পুলিশ কর্মীদের অপরাধের ধরনও আলাদা। জনবহুল বাজার থেকে কাউকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে কোনও এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। অপহৃত ব্যক্তিকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়ার আগে সর্বস্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। যাঁরা সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র দিতে চাননি, তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। চাকরির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগও উঠেছে কারও কারও বিরুদ্ধে।

    জানা গিয়েছে, সাদা পোশাক পরে অপরাধ (Crime by Police) করেননি গ্রেফতার হওয়া পুলিশ কর্মীরা। অপরাধ করার সময় তাঁরা পরেছিলেন পুলিশের উর্দিই। যার অর্থ, পুলিশের পরিচয়েই অপরাধ করেছেন তাঁরা। পুলিশের পরিচয়ে তাঁরা প্রথমে শিকারের বিশ্বাস অর্জন করেছেন, পরে সব কেড়ে নিয়ে নিঃস্ব করে ছেড়েছেন।

    আর এই  ঘটনাগুলি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুলিশের বিশেষ বিভাগ। ডিউটিতে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে অপরাধের সংখ্যা কমাতেই এই সক্রিয়তা। 

    এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “অনেক সময়ই দেখা যায় অনেক কর্মী ডিউটি ছাড়াও নিজের কাছে অস্ত্র রাখেন। এই প্রবণতা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। যেকোনও অনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হতে পারে সেই অস্ত্র।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     
  • Interns: ইন্টার্নদের বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করার নয়া নির্দেশ নিয়ে বিতর্ক

    Interns: ইন্টার্নদের বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করার নয়া নির্দেশ নিয়ে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালে এমবিবিএস পড়ার সময় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার কাজে নিযুক্ত হওয়া যাবে। ইন্টার্নদের (Interns) বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে যুক্ত হওয়ার অনুমতি দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য সরকারের এই নতুন নির্দেশিকায় হতবাক রাজ্যের চিকিৎসক মহল। সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও পঙ্গু করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ইন্টার্নরাও বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে যুক্ত হতে পারেন। আর তার জেরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। দেশের কোথাও এমন কোনও আইন নেই। এমনকি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলেও এমন নিয়ম নেই। পড়াচলাকালীন এমন কিছু করা আইনের বিরুদ্ধে বলেও উল্লেখ রয়েছে। তারপরেও স্বাস্থ্য দফতর কীভাবে এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করল, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    চিকিৎসকদের অভিমত 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি হাসপাতালের পড়ুয়া কীভাবে বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমে চিকিৎসার কাজে যুক্ত হবেন? ইন্টার্নরা (Interns) স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন নম্বর পান না। কারণ তখনও তাঁদের এমবিবিএস-র কোর্স সম্পূর্ণ হয় না। তাই তাঁরা কীভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে রোগী পরিষেবা দেবেন? সেটা কি আদৌও বৈধ হবে? একজন চিকিৎসকের স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন নম্বর না থাকলে, আইনত সে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পারেন না। সেক্ষেত্রে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কীসের ভিত্তিতে এমন নির্দেশ দিলেন?

    রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে রোগীর লম্বা লাইন। যে কোনও রোগের নিরাময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয় কয়েক মাস। সরকারি হাসপাতালে কর্মী সঙ্কট চরম। চিকিৎসকের অভাবের জেরেই রোগীদের ভোগান্তি বাড়ে। প্রয়োজনের তুলনায় এ রাজ্যে চিকিৎসক কম। জেলার হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনের পরিষেবা ব্যহত হয় পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাবে। সরকারি হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা থেকে স্ত্রী রোগ কিংবা মেডিসিন, যে কোনও বিভাগেই রোগী পরিষেবা দেন জুনিয়র চিকিৎসকেরাই (Interns)। তাঁরাই মূলত সব সময় হাসপাতালে থাকেন। এইরকম পরিস্থিতিতে সেই জুনিয়র চিকিৎসকদের যদি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে চিকিৎসক সঙ্কট আরও বাড়বে। রোগীদের হয়রানিও বাড়বে। সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা আরও ভেঙে পড়বে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: জেলার মেডিক্যাল কলেজ কী শুধুই বিজ্ঞাপন? এসএসকেএমের নতুন রেকর্ডে নয়া বিতর্ক

    রাজ্যে বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা এখন স্বাস্থ্য সাথী নির্ভর করা হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নতিতে নজর নেই। ফলে, সরকারি ক্ষেত্রে রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে। স্বাস্থ্য সাথীর বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। মানুষকে কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না বলে বারবার অভিযোগ উঠছে। তারপরেও বেসরকারি হাসপাতালে ইন্টার্নদের (Interns) কাজ করার অনুমতি কেন, সে নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই!

    স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কাছেও এ নিয়ে কোনও স্পষ্ট উত্তর নেই। এক কর্তা বলেন, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে সাধারণ মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন। সেখানেও রোগীর চাপ বাড়ছে। তাই ইন্টার্নরা সেখানেও কাজ শিখতে পারবে। এই ভাবনা থেকেই নতুন বিজ্ঞপ্তি। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপের তুলনায় বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেকটাই কম। তারপরেও কেন এমন ভাবনা? সে নিয়ে অবশ্য কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

     

  • TET Agitation: টেট বিক্ষোভকারীর হাতে কামড় পুলিশের! জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার আক্রান্তই

    TET Agitation: টেট বিক্ষোভকারীর হাতে কামড় পুলিশের! জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার আক্রান্তই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি চেয়ে পুলিশের (Kolkata Police) কামড় খাওয়া চাকরিপ্রার্থীকেই, গ্রেফতার করল পুলিশ। টেট (TET Agitation) বিক্ষোভে আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল (Arunima Paul)-সহ আরও ৩০ জনকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, পুলিশের উপর হামলা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হবে। বুধবার এক্সাইড মোড়ে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত-বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে। দিনভর চলে উত্তেজনা। বিক্ষোভ সরাতে চ্যাংদোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রিজন ভ্যানের নীচে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান বেশকিছু বিক্ষোভকারী। তাঁদের টেনে হিঁচড়ে বের করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ২৮২ জন চাকরিপ্রার্থীকে। বুধবার রাতে ৩০ জন বাদে বাকি চাকরিপ্রার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানা থেকে।

    কী ঘটেছিল এদিন

    বুধবার দুপুরে এক্সাইড মোড় থেকে একদল চাকরিপ্রার্থী দৌড়তে দৌড়তে, ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিসের সামনে এসে পড়ে।  স্মারকলিপি জমা দিতে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। তাঁদের টেনে হিচড়ে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের (TET Agitation) অভিযোগ, ঠিক তখনই আচমকাই দৌড়ে এসে এক আন্দোলনকারীর হাতে কামড়ে দেন কলকাতা পুলিশের এক মহিলা কনস্টেবল। প্রশিক্ষিত উর্দিধারী পুলিশ কর্মীদের এহেন আচরণে হতবাক প্রাক্তন পুলিশ কর্তারাও!অভিযুক্ত ওই পুলিশকর্মী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পাল্টা পুলিশের অভিযোগ ওই আন্দোলনকারীই পুলিশকর্মীকে কামড়ে দিয়েছেন। পুলিশকর্মীর হাতে রয়েছে, কামড়ানোর দাগ! SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই পুলিশকর্মীকে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: বরখাস্ত শিক্ষকেরা চাইলে চাকরিতে যোগ দিতে পারেন, জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

    উদ্বিগ্ন অরুণিমার পরিবার

    টেট বিক্ষোভকারীদের (TET Agitation) কথায়, চিকিত্‍‍সা চেয়েছিলেন অরুণিমা। সূত্রের খবর, হেয়ার স্ট্রিট থানায় যখন অরুণিমাকে আটক করে রাখা হয়েছিল, সেই সময় তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন সহযোদ্ধারা। অভিযোগ, প্রাথমিক পর্যায়ে অরুণিমার চিকিৎসা করাতে রাজি হয় না পুলিশ। অভিযোগ আরও বড়। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, “একজন অফিসার বলেন ওঁ যদি মারা যায় সেই দায় আমরা নেব…” পরে অবশ্য ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয় আক্রান্ত অরুণিমার। অরুণিমার গ্রেফতারির খবর জানতে পেরে চরম উৎকন্ঠায় তাঁর পরিবার। অরুণিমার শারীরিক অবস্থা নিয়েও চরম উদ্বিগ্ন তাঁর স্বামী, সন্তান সহ পরিবারের অন্যান্যরা।

    আরও পড়ুন: ‘হয় নিয়োগ দিন, নয়…’, টেট প্রার্থীদের বিক্ষোভে এক্সাইড মোড়ে ধুন্ধুমার, ঝরল রক্ত

    বিক্ষোভ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে

    সকালেই ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অফিস অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। সল্টলেকের করুণাময়ীতে জমায়েতের (TET Agitation) ডাক দেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশনেই বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। আটক বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী। এদিন চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঠেকাতে সল্টলেকের বিভিন্ন মেট্রো স্টেশন ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিয়ালদা স্টেশনেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। বিক্ষোভকারী সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সন্ধ্যায় শিয়ালদহে মোমবাতি মিছিল করেন টেট আন্দোলনকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • GSDP: যেভাবে ঋণ নিচ্ছে রাজ্য, তাতে ভেঙে পড়তে পারে অর্থনৈতিক কাঠামো! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

    GSDP: যেভাবে ঋণ নিচ্ছে রাজ্য, তাতে ভেঙে পড়তে পারে অর্থনৈতিক কাঠামো! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক বিপর্যয়ের খাঁড়া অচিরেই কি নেমে আসতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের ওপর? সরকারি নথি সেই আশঙ্কারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। বর্তমানে শাসক দল যেভাবে যথেচ্ছভাবে ঋণ নিতে শুরু করেছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে রাজ্যের সমগ্র অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

    কেন এমন আশঙ্কার সৃষ্টি হচ্ছে?

    National Institute of Public Finance and Policy-র পরিচালিত একটি সমীক্ষা বলছে, প্রাক-কোভিড বছরে (২০১৯-২০ অর্থবর্ষ) ১৮টি রাজ্যের সম্মিলিত সরকারি ঋণের পরিমাণ রাজ্যগুলোর মোট জিডিপি বা জিএসডিপি-র (GSDP) ২০.৫৩ শতাংশ ছিল। পরের বছর, অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৩.৫ শতাংশ। তবে, তার পর থেকে ধীরে ধীরে এই ঋণের পরিমাণ কমতে শুরু করে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের সংশোধিত হিসেব অনুযায়ী, এই সম্মিলিত ঋণের পরিমাণের গড় সামান্য বেড়ে ২৩.৬৬ শতাংশ হয়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা আরও সামান্য বেড়ে ২৩.৯৩ শতাংশ হতে পারে।

    এ তো গেল সম্মিলিত রাজ্যগুলোর কথা। এবার, এক-একটি রাজ্যের ওপর পৃথকভাবে নজর দিলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোর সরকারি ঋণ-সম্পর্কিত বাস্তব পরিস্থিতি স্পষ্ট হবে। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন তাদের রিপোর্টে জানিয়েছিল, কীভাবে রাজ্যগুলো ঋণের বোঝায় জর্জরিত। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিটি রাজ্যকে তাদের সরকারি ঋণের পরিমাণ তাদের নিজ নিজ মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (GSDP) একটি নির্দিষ্ট শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র।

    রাজ্যগুলোকে কী নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র?

    সেই শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা কত হবে তাও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য রাজ্যগুলোকে বলা হয়েছিল সরকারি ঋণের পরিমাণ তাদের নিজ নিজ রাজ্য জিডিপি বা জিএসডিপি-র (GSDP) ৩১.১ শতাংশের নীচে বেঁধে রাখতে। একইভাবে, ২০২১-২২ সালের জন্য এই ঊর্ধ্বসীমা ছিল ৩০.৭ শতাংশ। ২০২২-২৩ সালের জন্য তা ছিল ৩১.৩ শতাংশ। বাকি রাজ্যগুলো এই মাপকাঠি অনুযায়ী নিজেদের ঋণের পরিমাণ বেঁধে রাখতে সক্ষম হলেও, ২টি রাজ্যের পরিমাণ এই সীমা অতিক্রম করে। সেই ২ রাজ্য হল — পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব। 

    আরও পড়ুন: গুজরাটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চমক, কে কে লড়ছেন জানেন?

    পশ্চিমবঙ্গের ঋণের হাল-হকিকৎ কেমন?

    সরকারি খতিয়ান বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গের ঋণের পরিমাণ ছিল জিএসডিপি’র (GSDP) ৩৫.৬৮ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা দাঁড়িয়েছে ৩৭.০৫ শতাংশে। অনুমান, ২০২৬-‘২৭ অর্থবর্ষের মধ্যে এই দুটি রাজ্যের ঋণ এবং জিএসডিপি-র অনুপাত প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে বলে ধারণা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। যা আর্থিকভাবে আরও পঙ্গু করে তুলবে ভারতের এই রাজ্যকে। 

    রাজ্যের অর্থ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার ২০,৫০০ কোটি টাকা বাজার থেকে ধার করতে চলেছে। এরমধ্যে, অক্টোবরে ৪৫০০ কোটি, নভেম্বরে ৭০০০ কোটি এবং ডিসেম্বরে ৯০০০ কোটি। চলতি বছরে রাজ্য ঋণ নিচ্ছে ৭৩,২৮৬ কোটি। মোট ঋণ হবে ৫ লক্ষ ৮৬ হাজারের বেশি কোটি টাকা। দেখা গিয়েছে, রাজ্য যত টাকা ধার করেছে, তার ৭১.৫৩ শতাংশ খরচ করেছে আগের ধার শোধ করতে।

  • Ram Temple: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    Ram Temple: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনবছর আগে আজকের দিনেই রাম মন্দির (Ram Temple) নির্মাণের ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ৯ই নভেম্বর ২০১৯ সালে সুপ্রিম রায়ে নিষ্পত্তি হয়েছিল রামমন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের। ইতিমধ্যে রামমন্দির নির্মাণের কাজ চলছে। এরমধ্যে , এই মেগা মন্দির প্রজেক্টের উদ্বোধনের দিনক্ষণও স্থির হয়ে গিয়েছে। ১৪ই জানুয়ারি ২০২৪ এই মন্দির উদ্বোধনের কথা রয়েছে।  প্রসঙ্গত , ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর ভেঙে ফেলা হয়েছিল বিতর্কিত ধাঁচা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস ছিল, ওই স্থান ভগবান রামচন্দ্রের জন্মস্থান এবং জোরপূর্বক তা দখল করে ওখানে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা হয়।

    ১৫২৭ সালে ওই মসজিদ নির্মাণ করেন বাবরের সেনাপতি মীর বাকি। এই দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল , কিন্তু বিবাদ সব থেকে প্রকট আকার ধারণ করে স্বাধীনতার ঠিক দুই বছর পরে, ১৯৪৯ সালে যখন বিতর্কিত ধাঁচা থেকে পাওয়া যায় রামলালার মূর্তি। দেশের প্রধানমন্ত্রী তখন জওহরলাল নেহেরু। তিনি তৎকালীন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গোবিন্দ বল্লভ পন্থকে ওই রামলালার মূর্তি অপসারণের নির্দেশ দেন।  দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ ছিল যে “ওখানে একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হচ্ছে”। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর এ নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেন তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত ওখানে রিসিভার বসিয়ে দেয়। পুলিশি নিরাপত্তায় রামলালার মূর্তি পূজা চলতে থাকে ওখানে। মন্দিরের পূজারীকেও নিয়োগ করে আদালত। দেশে রাম মন্দির (Ram Temple) আন্দোলন তখন থেকেই বিস্তৃত হতে থাকে।

    রাম মন্দির আন্দোলন

    ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিতর্কিত এলাকার তালা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। কেন্দ্রে তখন রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে সরকার চলছে। আদালতের এই নির্দেশের প্রতিবাদ জানায় বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি। তখন থেকেই শুরু হলো আইনি লড়াই। এতদিন যে মামলার পর্যবেক্ষণ করছিল জেলা আদালত ,সেই মামলা এবার পৌঁছলো লখনউ হাইকোর্টে। এর মধ্যে আবার , নির্বাচনে লাভ হতে পারে, এই সমীকরণকে মাথায় রেখে ,রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠার স্লোগান দিয়ে ,বিতর্কিত এলাকার খুব কাছেই রাম মন্দিরের শিলান্যাস করিয়ে দেন রাজীব গান্ধী। ১৯৮৯ এর লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেলেন তিনি। এই সময় সর্বোচ্চ গতি ধারণ করল রাম মন্দির (Ram Temple) আন্দোলন।   এরপর ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ঘটলো বিতর্কিত ধাঁচার ধ্বংসকাণ্ড।

    আরও পড়ুন: ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের লোগো, থিম এবং ওয়েবসাইটের প্রকাশ! জানেন কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    ২০০২ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টে শুরু হল মামলা। ২০০৩ সালে কোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইণ্ডিয়াকে দায়িত্ব দেওয়ার পর  তারা যে রিপোর্ট জমা দিল তাতে বলা হল ‘বিতর্কিত স্থানে একটি পরিকাঠামো রয়েছে। যার সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে অতি প্রাচীনকালের হিন্দু মন্দিরের।’  মুসলিমরা এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত জমিকে তিনভাগে ভাগ করে দেয়। যার একটি ভাগ দেওয়া হয় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। একটি অংশ পায় নির্মোহী আখড়া। বাকি অংশ দেওয়া হয় রামলালাকে। যদিও এই রায়ে তিন বিচারপতি সহমত পোষণ করেননি। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় হিন্দু মহাসভা ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।

    সুপ্রিম নির্দেশ

    এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ের ৯ বছর পরে, ৯ নভেম্বর ২০১৯। রাম জন্মভূমি মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ছিলেন রঞ্জন গগৈ। অযোধ্যার যে ২.৭৭ একর জমিকে বিরোধের মূল কেন্দ্র বলে গণ্য করা হয়, তার মালিকানা দেওয়া হয় ‘রামলালা’কে। বলা হয় , “কোটি কোটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস রয়েছে যে ওই স্থান রামলালার”। আদালত এই বিশ্বাসকে মর্যাদা দিচ্ছে। অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় মুলসিমদের মসজিদ নির্মাণের জন্য। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ছাড়া বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা ছিলেন এস এ বোড়বে, চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ ও এস আবদুল নাজির। এই মন্দির ও মসজিদ বানানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠনেরও নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

     

  • Malbazar: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া ‘অস্থায়ী’ চাকরি ফিরিয়ে দিলেন মালবাজারে নিহতের ভাই

    Malbazar: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া ‘অস্থায়ী’ চাকরি ফিরিয়ে দিলেন মালবাজারে নিহতের ভাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীর রাতে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল মাল নদীতে (Malbazar)। সেদিন মাল নদীতে হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছিল সুস্মিতা পোদ্দার নামে এক তরুণীর। আর সেই তরুণীর ভাইকে চাকরি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু এবারে সেই চাকরিই ফিরিয়ে দিলেন সুস্মিতার ভাই সুদীপ। তবে কেন? অভিযোগ উঠেছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্থায়ী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে হোমগার্ডের চাকরি অর্থাৎ অস্থায়ী চাকরি দিয়েছেন। আর তার ফলেই সুদীপ সেই চাকরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

    মাল নদীতে হড়পা বান

    দশমীর রাতে আচমকাই হড়পা বান আসে মাল নদীতে (Malbazar)। প্রবল স্রোতে ভেসে যান বহু মানুষ। দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন দেখতে গিয়ে প্রাণ হারান শিশু-সহ ৮ জন। রাজ্য সরকারের তরফে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার সপ্তাহ খানেক পর ৪ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে প্রত্যেক পরিবারের এক জনকে স্থায়ী চাকরির প্রস্তাবও দেন তিনি। পরের দিন, ১৮ অক্টোবর মাল আদর্শ বিদ্যাভবনে প্রশাসনিক বৈঠকের সময় তাঁদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মমতা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন চাকরিতে যোগও দিয়েছেন। কিন্তু এদের মধ্যে সুদীপ পোদ্দার নামে ওই যুবক চাকরি প্রত্যাখান করলেন।

    আরও পড়ুন: হোস্টেলে ঘর পেতে, দিতে হবে টাকা! তৃণমূল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে

    স্থায়ী চাকরির আবেদন

    জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুদীপ যোগ্যতা অনুযায়ী স্থায়ী চাকরির আর্জি জানিয়েছিলেন (Malbazar)। কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘আমাদের স্থায়ী সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার পর দেখি চাকরিটা স্থায়ী নয়। তাই এই চাকরিতে যোগ দেব না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ সুদীপের এক দাদা সঞ্জয় পোদ্দার জানান, যেদিন তাঁর ভাইয়ের হাতে এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট আসে, তাঁরা বুঝতেই পারেননি, এটি কী চাকরি। পরে পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে জানতে পারেন, এটা অস্থায়ী হোমগার্ডের চাকরি। তাই এই চাকরি করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুদীপ।

    রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ বিজেপির

    মুখ্যমন্ত্রী স্থায়ী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অস্থায়ী চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠলে বিজেপির নেতারা রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। মালবাজার (Malbazar) টাউনের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি নবীন সাহা বলেন, ‘‘সরকারের দেওয়া এই চাকরিতে নো ওয়ার্ক নো পে। অস্থায়ী চাকরি দিয়ে আদতে মানসিক চাপ দেওয়া হল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একটা আইওয়াশ।’’

  • IIT New Courses: জয়েন্ট ছাড়াও আইআইটিতে করানো হচ্ছে বেশ কিছু নতুন কোর্স, জেনে নিন খুঁটিনাটি তথ্য

    IIT New Courses: জয়েন্ট ছাড়াও আইআইটিতে করানো হচ্ছে বেশ কিছু নতুন কোর্স, জেনে নিন খুঁটিনাটি তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআইটিতে পড়ার স্বপ্ন কার না থাকে! আইআইটি ক্যাম্পাসে প্রবেশ মানেই তো ছাত্র জীবনের পরম মোক্ষপ্রাপ্তি। দেশের ২৩ টি আইআইটি তে বর্তমানে প্রযুক্তির বিভিন্ন কোর্স তো করানোই হয়, সাথে সাথেই বিভিন্ন সার্টিফিকেট, ডিগ্রি, ডিপ্লোমা কোর্স চালু হয়েছে (IIT New Courses)। কোন আইআইটি কী কী কোর্স নিয়ে এল, আমরা একনজরে দেখে নেব।

    আইআইটি পাটনা

    জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ভাল স্কোর নেই তো কি হয়েছে! প্রয়োজন নেই। আইআইটি পাটনা নিয়ে এসেছে একগুচ্ছ নতুন কোর্স (IIT New Courses)। আগ্রহী পড়ুয়ারা সরাসরি ভর্তির আবেদন করতে পারেন এই কোর্স গুলিতে। স্নাতক স্তরের নতুন এই কোর্স গুলি হল –

    ১)কম্পিউটার সায়েন্স ও ডেটা অ্যানালিটিক্সে বিএসসি অনার্স

    ২)আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স ও সাইবার সিকিউরিটিতে বিএসসি অনার্স

    ৩)গণিত ও কম্পিউটার সায়েন্সে বিএসসি অনার্স

    ৪)অ্যাকাউন্টিং ও ফিনানশিয়াল ম্যানেজমেন্টে স্নাতক কোর্স

    ৫)বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতক কোর্স

    আইআইটি মাদ্রাজ

    প্রোগ্রামিং ও ডেটা সায়েন্সে বিএসসি কোর্স করতে চাইলে আবেদন করতে পারেন আইআইটি মাদ্রাজে (IIT New Courses)। প্রোগ্রামিংয়ে পড়ুয়াদের দক্ষতা বাড়ানোই হলো এই কোর্সের লক্ষ্য। ছাত্র ছাত্রীরা নিজেদের পছন্দ মতো এই কোর্সের ফাউন্ডেশনাল সার্টিফিকেট, একটি বা দুটি ডিপ্লোমা, বিএসসি বা বিএস ডিগ্রি নিতে পারবে। আইআইটি থেকে কোর্স মানেই তো নিজেকে একজন দক্ষ প্রোগ্রামার হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ। পাইথন ও জাভা প্রোগ্রামিং, ডিবিএমএস তো শেখানো হবেই, তার সাথে এই কোর্সে থাকবে মেশিন লার্নিং টেকনিক, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, ডিপ লার্নিং, বিগ ডেটা এবং পাওয়ার বিআই বা ট্যাবলোর মতো টুলের ব্যবহারও। পড়াশোনার বিষয় গুলি অনলাইনেই পাওয়া যাবে। তবে পরীক্ষা হবে অফলাইনে। দেশের ১৩০টি কেন্দ্রে, এমনকি দেশের বাইরেও থাকবে পরীক্ষাকেন্দ্র।

    দ্বাদশ শ্রেণী পাশ করলেই, এই কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন (IIT New Courses)। এই কোর্সের পাশাপাশি অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি কোর্স করতে পারবেন অথবা চাকুরিজীবি হলেও কোনও বিধিনিষেধ নেই, এই কোর্সের ক্ষেত্রে। মোট চার সপ্তাহের বিষয়সূচী তৈরি করেছেন আইআইটি মাদ্রাজে অধ্যাপকরা।

    আইআইটি মান্ডি

    বৈদ্যুতিন পরিবহনে এম টেক করানো হবে আইআইটি মান্ডি থেকে (IIT New Courses)। প্রতিষ্ঠানের স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং স্কুল অফ কম্পিউটিং অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর যৌথ উদ্যোগে এই দুবছরের স্নাতকোত্তর কোর্স চালু  হয়েছে। এই কোর্সের জন্য গেট স্কোর থাকতে হবে। কোর্সের জন্য আবেদনকারীর ৬০% নম্বর সহ কোনও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। কোন কোন ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার স্নাতকরা এই কোর্সে আবেদন করতে পারবেন একবার দেখে নিন।

    ইলেকট্রিক্যাল  ইঞ্জিনিয়ারিং

    মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

    অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং

    প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং

    এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

    ইনস্ট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল

    ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড 

    কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং

    আইআইটি দিল্লি

    ইলেকট্রিক মোবিলিটি- বিষয়ে এমটেক  চালু করেছে দিল্লি আইআইটির সেন্টার ফর অটোমোটিভ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রাইবোলজি (IIT New Courses)। বৈদ্যুতিন যানবাহন, ড্রাইভট্রেন, চার্জার, চার্জিং পরিকাঠামো, ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম, ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, স্বয়ংচালিত যান ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হবে এই কোর্সে। নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর মধ্যে যেকোনো একটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক ডিগ্রি থাকলে এই কোর্সে আবেদন করা যাবে-

    ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

    মেকানিক্যাল  ইঞ্জিনিয়ারিং

    অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং

    প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং

    এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

    ইন্ডাসট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং

    ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং

    আইআইটি দিল্লিতে অন্যরকম বেশ কত গুলো কোর্স চালু হয়েছে। সেগুলো আমরা দেখে নেব।

    ব্যাচেলর অফ ডিজাইন- আইআইটি দিল্লির ডিজাইন বিভাগ থেকে চার বছরের এই কোর্সটি চালু হয়েছে (IIT New Courses)। ইউসিইইডি স্কোরের মাধ্যমে এতে পড়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। প্রোডাক্ট ডিজাইন, ইন্টারঅ্যাকশন ডিজাইন, কমিউনিকেশন ডিজাইনের মতো বিষয় গুলি এই কোর্সের অন্তর্গত।

    এম টেক ইন মেশিন ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড ডেটা সায়েন্স-  এই কোর্সের পড়ুয়ারা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের ব্যবহারিক দিকগুলোর সঙ্গে হাতেকলমে পরিচিত হতে পারবেন। এই কোর্সে ভর্তি হতে গেলেও প্রয়োজন চারবছরের স্নাতক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি।

    এমএস ইন ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি অ্যান্ড ইনজুরি প্রিভেনশন- এই নতুন কোর্সের মূল বিষয় হল ভারত এবং তার সমান সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দেশগুলোর সড়ক পরিবহণ ও ট্রাফিক নিরাপত্তা(IIT New Courses)।

    এম টেক ইন বায়ো মলিকিউলার অ্যান্ড বায়োপ্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং- এই কোর্সে (IIT New Courses) ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিই, বিটেক, এমএসসি বা সমতুল ডিগ্রি থাকতে হবে। পূর্ণ সময়ের জন্য এই কোর্সের মেয়াদ দুবছর এবং আংশিক সময়ের জন্য ৩ বছর।

LinkedIn
Share