Blog

  • Mohan Bhagwat: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    Mohan Bhagwat: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশেরার অনুষ্ঠানে নাগপুরে আরও একবার ‘অখণ্ড ভারত’ ও ‘হিন্দুরাষ্ট্রের’ কথা শোনা গেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের  (Rashtriya Swayamsevak Sangh) প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)।   গলায়। বুধবারের অনুষ্ঠানে সংঘ প্রধান বলেন, “হিন্দু রাষ্ট্রের কথা সর্বত্র আলোচনা করা হয়। অনেকে এর সঙ্গে সহমত। অনেকে আবার এর বিরোধিতা করেন। হিন্দু শব্দটি নিয়েও অনেকের আপত্তি রয়েছে। কেউ যদি হিন্দু শব্দের পরিবর্তে সমার্থক অন্য শব্দ ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে ধারণার স্বচ্ছতার জন্য আমরা আগেও যেমন হিন্দু শব্দের ওপর জোর দিয়েছি, এখনও হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব।”

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ আখ্যা ভারতীয় ইমাম সংগঠনের

    সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়েও এদিন সরব হন মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, “সাম্প্রদায়িক হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজ স্বাধীন ভারতেও পুরোদমে চলছে। এই সমস্ত মানুষরা নিজেদের স্বার্থের জন্য আমাদের কাছে আসে। এদের বিষয়ে আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। সংঘ কোনওদিন অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ছড়াতে বলে না।” এদিন সংঘ প্রধান সমাজে ঐক্যের কথাও তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, ভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে সবাইকে জেগে উঠতে হবে। তিনি দাবি করেন, শিশুদের শুধু চাকরি পাওয়ার জন্য নয়, বরং ভালো সংষ্কার এবং উন্নত মানুষ হওয়ার জন্য শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। তিনি বলেন,”সাধারণ মানুষের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, ভালো কেরিয়ারের জন্য ইংরেজি জানা প্রয়োজন। তবে এটা একটা মিথের বাইরে কিছু নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    এদিন বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের অবস্থান নিয়েও কথা বলেন ভাগবত। শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট, ইউক্রেন ও রাশিয়ার দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ টেনে আনেন সংঘ প্রধান। তিনি বলেন,”বিশ্বে আমাদের মর্যাদা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বেড়েছে। আমরা শ্রীলঙ্কাকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছি। ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘাতে ভারতের মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে শোনা হচ্ছে।” মোহন ভাগবত বলেছেন, করোনায় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে ভারতের অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়েছে। কিন্তু ভারত সেই প্রভাব বর্তমানে কাটিয়ে উঠেছে। বিশ্বের বিভিন্ন অর্থনীতিবিদরা ভবিষ্যদ্বানী করেছেন, ভারতের অর্থনীতির আরও উন্নতি হবে। ভারত বর্তমানে ব্রিটেনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে ভারতের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। খেলোয়াড়রা দেশকে গর্বিত করেছে।

  • Durga Puja: নবরাত্রির পরেই যুদ্ধে যেতেন রাজারা, কেন জানেন?

    Durga Puja: নবরাত্রির পরেই যুদ্ধে যেতেন রাজারা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার একটা গোটা বছরের অপেক্ষা। সকাল সকাল তাই একটা ক্ষণও বৃথা যেতে দিইনা আমরা। স্নান সেরে এক্কেবারে মন্ডপে, বাড়ির পুজো হলে তো আবেগ আর একটু বেশী থাকে। সিঁদুর খেলা, মন্ত্রপাঠ , ঘট বিসর্জনের সাথেই আর একটি রীতি নিশ্চয়ই আমাদের দৃষ্টি এড়ায় না। ছোট্ট অনুষ্ঠানটি হলো অপরাজিতা গাছের পুজো। পুজো শেষে অপরাজিতা লতা হাতে জড়িয়ে নিই আমরা। জানেন কি বিজয়া দশমীতে এই অপরাজিতা গাছের পুজো কেন হয়? কেনই বা অপরাজিতা লতা আমরা ধাগা হিসেবে বাঁধি নিজেদের হাতে।  বিজয়লাভের সঙ্কল্প বা প্রতিজ্ঞা নিয়ে হয় অপরাজিতা পুজো। জনশ্রুতি হলো ,আগেকার দিনে নবরাত্রির পরই রাজারা যুদ্ধযাত্রা করতেন। দিনটা হত বিজয়া দশমী। যুদ্ধের জন্য এই সময়টাকেই বেছে নিতেন রাজারা। তার অবশ্য কিছু কারণ ছিল। আচার্য চাণক্য বা কৌটিল্য  তাঁর ‘অর্থশাস্ত্র’তে লিখেছেন এই সময়টাই যুদ্ধযাত্রার শ্রেষ্ঠ সময়। পণ্ডিত রঘুনন্দন তাঁর ‘তিথিতত্ত্ব’ গ্রন্থেও একই কথা বলেছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজা যদি দশমী তিথির  পর যুদ্ধ যাত্রার  সূচনা করেন, তাহলে তার পরাজয় কখনো হয় না। তাই যুদ্ধে অপরাজেয় থাকতে এদিন যাত্রা করতেন রাজারা।  বিজয়কে বরণ বা আলিঙ্গনের প্রত্যাশা নিয়েই করা হত অপরাজিতা পুজো। যে ধারা আজও প্রবহমান।

    সাদা অপরাজিতা গাছকে বিজয়া দশমীর পুণ্য তিথিতে পুজো করা হয়। গাছটিকে দেবীরূপে কল্পনা হয় , ঠিক যেমনটা মহাসপ্তমীতে নবপত্রিকাকে স্নান করানোর সময় কল্পনা করা হয়ে থাকে। নবপত্রিকা যেমন নব দুর্গার প্রতীক, মা দুর্গার বৃক্ষরূপ ভেবে পুজো করা হয় একই ভাবে অপরাজিতা গাছ কে দেবীর বিজয়ের প্রতীক মেনে পুজো করা হয়। অশুভ শক্তির উপর শুভ শক্তির জয়ের প্রতীক, আসুরিক সমস্ত শক্তিকে বিনাশের প্রতীক।  ফুল, বেলপাতা দিয়ে পুজো হয় অপরাজিতা গাছের। অনেকে আবার ঘটস্থাপন করেও পুজো করেন। পুজোর ফল লাভের জন্য হাতে অপরাজিতা লতা বাঁধার রীতির কথা তো আগেই বলা হয়েছে। পুজোর সময় দেবীর উদ্দেশ্যে প্রার্থনা জানানো হয়, ‘‘হে অপরাজিতা দেবী, তুমি সর্বদা আমার বিজয় যাত্রা কে অক্ষুণ্ন রাখো। শত্রু পক্ষকে  বিনাশ করার মতো পর্যাপ্ত শক্তি ও ক্ষমতা আমাকে প্রদান করো। অশুভ সমস্ত শক্তি যেন পরাভূত হয় আমার কাছে। আমাকে তুমি অপ্রতিরোধ্য করে তোলো। আমার সমস্ত আত্মীয়, পরিবার, পরিজন , মিত্রদের  মঙ্গল করো । শত্রু পক্ষকে ধ্বংস করে বিজয় লাভের জন্য আমি তোমাকে দক্ষিণ হাতে  ধারণ করছি। তুমি শত্রু নাশ করে নানা সমৃদ্ধির সাথে আমাকে বিজয় দান কর। আমার জীবন যেন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, সমৃদ্ধি তে পরিপূর্ণ হয়। রামচন্দ্র যেমন অত্যাচারী  রাবণের উপর বিজয় লাভ করেছিলেন, আমিও যেন সেইরূপ জয় লাভ করতে পারি”। এমনিতেই দশমী তিথির মাহাত্ম্য অনেক বেশী। এই তিথিতেই রাবণ বধ, আবার এই তিথিতেই মহিষাসুর বধ, মহাভারতে এই তিথিতেই পান্ডবরা অজ্ঞাত বাস শেষে শমী বৃক্ষের কোটর থেকে তাঁদের লুকিয়ে রেখে যাওয়া অস্ত্র বের করেন। দশমীতে অস্ত্রপূজনও হয় তাই। আবার এই তিথিতেই কুবের অযোধ্যায় স্বর্ণবৃষ্টি করেছিলেন বলেই পৌরাণিক মত রয়েছে। বিজয়, সমৃদ্ধির এই পুণ্য তিথিতে মাতৃ আরাধনা করেই যুদ্ধ যাত্রার রীতি ছিল প্রাচীন ভারতীয় রাজাদের মধ্যে।

  • Durga Puja: দশমীতে কৈলাসে গিয়ে উমা আসার বার্তা দেয় কে? জানুন নীলকন্ঠ পাখির গল্প

    Durga Puja: দশমীতে কৈলাসে গিয়ে উমা আসার বার্তা দেয় কে? জানুন নীলকন্ঠ পাখির গল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যখন মোবাইল ফোন ছিল না, হোয়াটসঅ্যাপ ছিল না, ডাকঘরের পিওন ছিল না তখন বার্তা পাঠানোর উপায় কি ছিল জানেন? রূপকথার গল্পে রাজকুমারী তার প্রেমিককে চিঠি লিখলে পৌঁছে দিত কে? বার্তাবাহক পাখির ভূমিকায় সবথেকে জনপ্রিয় পাখির নাম পায়রা। প্রাচীন যুগের পটভূমিকায় রচিত চলচ্চিত্রগুলিতে আমরা দেখেছি পায়রার গলায় বার্তা বেঁধে তাকে উড়িয়ে দেওয়া হতো এবং নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে সেই বার্তা পায়রা পৌঁছে দিত। কোথাও হ্যাক হতো না সেই বার্তা। এরকমই একটি পাখির কাহিনী প্রচলিত আছে জানেন কি? যে পাখিকে পৌরাণিক মতে স্বয়ং মহাদেবের সঙ্গী মনে করা হয়। মহাদেবের বার্তাবাহক রূপে কাজ করে এই পাখি। আজকের দিনে বলতে পারেন নীলকন্ঠ পাখি হলো দেবাদিদেব মহাদেবের মোবাইল ফোন। এই পাখিই কৈলাসে গিয়ে শিবকে খবর দেয় বাপের বাড়ি থেকে উমা আসছে। বিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম ইন্ডিয়ান রোলার।

    আরও পড়ুন: জানেন বিজয়া দশমী কেন বলা হয়?

    বিজয়া দশমীর দিন নীলকন্ঠ পাখির দেখা পাওয়াকে শুভ এবং সৌভাগ্যদায়ী  বলে মনে করা হয়। কথিত আছে এই পাখিটি দেখা গেলে সম্পদ বৃদ্ধি পায় , জীবনের সমস্ত অশুভ প্রভাব বিনষ্ট হয়। ফলস্বরূপ, বাড়িতে নিত্য শুভ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হতে থাকে। নীল কন্ঠ পাখি দেখার বিষয়ে বিভিন্ন ধারণা রয়েছে। নীল কন্ঠ পাখি উড়ে যাও, সেই কৈলাসে যাও, খবর দাও, উমা আসছে তখন নীলকন্ঠ পাখি আগমনের বার্তা নিয়ে মহাদেবের কাছে এসেছিল। আরেকটি জনপ্রিয় বিশ্বাস হলো, মনে করা হয়, রাবণবধের ঠিক আগে এই পাখিটির দেখা পান রামচন্দ্র। আবার অন্য একটি পৌরাণিক মতে  রাবণবধের আগেও, সেতুবন্ধনের সময় হাজির হয়েছিল নীলকণ্ঠ পাখি। পথ দেখিয়ে রাম-সেনাকে লঙ্কায় নিয়ে গিয়েছিল সে। এরকম পৌরাণিক কাহিনি থেকেই এই পাখির মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত জায়গায়। তখন থেকেই মনে করা হয়, এই পাখির দর্শন অত্যন্ত শুভ।

    আরও একটি মত রয়েছে এবিষয়ে। লঙ্কা বিজয়ে রাম ব্রাহ্মণ হত্যার পাপ করেছিলেন। কারণ দশানন রাবণ ছিলেন ব্রাহ্মণ। তখন লক্ষ্মণ সহ রামচন্দ্র শিবের পুজো করেছিলেন এবং ব্রাহ্মণকে বধ করার পাপ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। সেই সময় শিব নীলকন্ঠ পাখির রূপে পৃথিবীতে এসেছিলেন বলে অনেকের বিশ্বাস রয়েছে। নীলকণ্ঠ অর্থ, যার গলা নীল। দেবাদিদেব মহাদেব সমুদ্র মন্থন করার সময় বিষ পান করেছিলেন। কণ্ঠে সেই বিষকে ধারণ করার ফলে মহাদেবের কণ্ঠ নীল হয়ে যায়। তাই শিবের আর একটি নাম হলো নীলকণ্ঠ। নীলকণ্ঠ পাখিকে মর্ত্যলোকে শিবের প্রতিনিধি মানা হয় এবং দেবাদিদেব মহাদেবের রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জনশ্রুতি অনুসারে, শিব পৃথিবীতে নীলকণ্ঠ পাখি রূপেই ঘোরাফেরা করেন। এই পাখিটিকে কৃষকদের মিত্রও বলা হয়। কারণ নীলকণ্ঠ পাখি জমিতে ফসলের সাথে জড়িত পোকামাকড় খেয়ে কৃষকদের উপকার করে থাকে। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, একসময় দুর্গাপুজোর পর এই পাখিকে উড়িয়ে দেওয়া বনেদী ও জমিদার পরিবারগুলির ঐতিহ্য ছিল। যেমন কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়িতে আগে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হতো বিজয়া দশমীর দিনে। এখন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের দ্বারা এটা সম্ভব হয় না। তবে কাঠের বা মাটির নীলকন্ঠ পাখি তৈরী করে সেটি প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে জলে দেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Durga Puja: মন্ডপ হোক বা বাড়ি দশমীতে সিঁদুর খেলাই রীতি! জানেন এদিন কেন সিঁদুর খেলা হয়? 

    Durga Puja: মন্ডপ হোক বা বাড়ি দশমীতে সিঁদুর খেলাই রীতি! জানেন এদিন কেন সিঁদুর খেলা হয়? 

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: দশমীতে সিঁদুর খেলার রীতি রয়েছে। বারোয়ারী মন্ডপ হোক অথবা বাড়ির পুজো, শাড়ি পড়ে মাতৃ জাতিকে সিঁদুর খেলতে দেখা যায়। শুধুমাত্র বিবাহিত বা প্রচলিত ভাষায় সধবা মহিলারা নন, এখন অবিবাহিত মহিলারা , প্রচলিত ভাষায় যাদের কুমারী মেয়ে বলা হয় তাঁদেরকেও দেখি সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতে। গালে সিঁদুর মেখে ,হাতে প্রসাদের রেকাবি নিয়ে সেলফি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করাটাও এখন রীতি হয়ে গেছে। পুজো মানে তো প্রেমের মরসুম। মন্ডপের পুষ্পাঞ্জলিতে শাড়ি পাঞ্জাবিতে প্রেমিক প্রেমিকাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ে। দশমীর দিন তাই প্রেমিকের হাতে সিঁদুরের ছোঁয়া না পেলে প্রেমটাও ঠিক জমে না।

    সিঁদুর খেলার প্রচলন ঠিক কবে থেকে তার সঠিক কোনও তথ্য-প্রমাণ নেই। ইতিহাসবিদ ও শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতদের কেউ কেউ বলেন দুশো বছর আগে সিঁদুর খেলার প্রচলন হয়েছিল। তখন বর্ধিষ্ণু জমিদার পরিবারগুলিতে দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জনের আগে বাড়ির মহিলারা একে অপরকে সিঁদুরে রাঙিয়ে স্বামী ও পরিবার পরিজনদের মঙ্গল কামনা করতেন।  আবার অন্য  একটি মত অনুযায়ী, সিঁদুর খেলার ঐতিহ্য চারশো বছরের পুরনো। অন্য কোনও কারণ নয় শুধুমাত্র খেলার ছলেই এই প্রথার চল হয়। মায়ের বিসর্জনের দিন সকলের মনই ভারাক্রান্ত থাকে। তাই ওইদিন একটু আনন্দ-উল্লাসের জন্যই সিঁদুর খেলার প্রবর্তন হয়। সেই ঐতিহ্যই সমান ভাবে চলছে আজও।

    পুরাণ মতে  সিঁদুর ব্রহ্মের প্রতীক। বিবাহিত রমণীরা সেই ব্রহ্মস্বরূপ সিঁদুর সিঁথিতে ধারণ করে থাকেন স্বামী ও পরিবারের মঙ্গলকামনায়। শ্রীমদ্ভগবত অনুসারে, গোপিনীরা কাত্যায়নী ব্রত পালন করতেন। যমুনা নদীর তীরে মাতার মাটির মূর্তি স্থাপন করে, ধূপ ধুনো জ্বালিয়ে এই ব্রত পালিত হতো।  এরপর গোপীনিরা নাকি সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতেন। একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে তাঁরা আসলে শ্রীকৃষ্ণের মঙ্গল কামনা করতেন বলেই কথিত রয়েছে।

    আরও পড়ুন: জানেন বিজয়া দশমী কেন বলা হয়?

    এই দিনে বিবাহিত মহিলারা প্রথমে মা দুর্গার উদ্দেশে সিঁদুর অর্পণ করেন। মহিলারা পান, মিষ্টি, সিঁদুর নিয়ে দেবীকে নিবেদন করেন। রীতি অনুযায়ী, মা দুর্গা যখন তার মাতৃগৃহ ছেড়ে শ্বশুর বাড়িতে যান, তখন তাকে সিঁদুর দিয়ে সাজাতে হয়। এরপর বিবাহিতারা একে অপরের গায়ে মুখে সিঁদুর লাগান এবং একে অপরকে দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানান। কথিত আছে যে এই সিঁদুর লাগালে বিবাহিতরা সৌভাগ্যবতী হওয়ার বর পান। বাঙালি মহিলাদের মধ্যে সিঁদুর খেলার সাথে ধুনুচি নাচও দেখা যায়। মনে করা হয় মা দুর্গা ধুনুচি নাচে খুশি হন। প্রাচীনকালে লাল সিঁদুরকে ভারতীয় নারীরা বেছে নিয়েছিলেন তাঁদের অন্যতম প্রসাধনী হিসেবে। আর বিবাহিতা মহিলাদের কপালে সিঁদুর থাকার অর্থ হল তাঁরা সন্তান ধারণের উপযুক্ত। এই বিশ্বাস থেকেই লাল রঙের সিঁদুর পরার রীতি চলে আসছে মনে করা হয়‌।

    পৌরাণিক মত অনুযায়ী, মানব শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বিভিন্ন দেবতা বাস করেন। যেমন আমাদের কপালে থাকেন স্বয়ং ব্রহ্মা, তিনি আবার সৃষ্টির দেবতা। তাই ব্রহ্মাকে তুষ্ট করতেই কপালে লাল সিঁদুর পড়েন সকলে। শক্তির সাধক তান্ত্রিকরাও কপালে রক্তবর্ণ সিঁদুর ধারণ করে থাকেন। আসলে ব্রহ্মাকে তুষ্ট রাখার জন্যই এই ব্যবস্থা। এমনটাও হতে পারে স্বয়ং সৃষ্টি কর্তার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের জন্য হয়তো সিঁদুর খেলার সূচনা হয়েছিল প্রাচীন ভারতে‌। যে সময়ই সিঁদুর খেলার প্রচলন হয়ে থাকুক, যে উদ্দেশ্যেই হয়ে থাকুক, দশমীতে একে অপরকে সিঁদুর মাখানোটা  এখন ছোটখাটো উৎসব বা অনুষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে, অত্যন্ত আনন্দের সাথে, বছরের পর বছর ধর্মের এই রীতি, এই ঐতিহ্য পালন করে চলে চলেছেন মাতৃজাতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Modi-Zelenskyy: “আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করতে হবে…”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    Modi-Zelenskyy: “আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করতে হবে…”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে ফের কথা বললেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে কথা বলেন তাঁরা (Modi-Zelenskyy)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) পরিস্থিতির মধ্যে যেভাবে পারমাণবিক শক্তির তত্ত্ব উঠে আসছে, সেই নিয়ে মূলত দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কথা হয়েছে। এর আগেও মোদি পুতিনকে (Vladimir Putin) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার কথা বলেছিলেন, এবং আজও জেলেনস্কিকে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধে ইতি টানার পরামর্শ দিয়েছেন মোদি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান নিয়ে প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। ফলে আজ আবার তাঁদের মধ্যের আলোচনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।

    আরও পড়ুন: ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ায় যুক্ত করতে চলেছেন পুতিন?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদি ফোনে কথা বলার সময় বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পরমাণুকেন্দ্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের সুদূর প্রসারী ক্ষতি হতে পারে। নেমে আসতে পারে বিপর্যয়। তিনি এদিন আরও জানান, শান্তি বজায় রাখার জন্য যে কোনও ধরণের প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে ভারত পুরোপুরি প্রস্তুত।

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, যুদ্ধ থেকে কোনও সমাধান আসে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি আবারও রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আলোচনা এবং কূটনীতির পথ অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও আজ প্রধানমন্ত্রী মোদি রাষ্ট্রসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং সমস্ত দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মানের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।  

    আরও পড়ুন: ‘রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত শান্তির পক্ষে রয়েছে…’, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ঘোষণা করলেন বিদেশমন্ত্রী

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Durga Puja 2022: জানেন মহাষ্টমীর দিন “সন্ধিক্ষণের পুজো” কেন হয় ? 

    Durga Puja 2022: জানেন মহাষ্টমীর দিন “সন্ধিক্ষণের পুজো” কেন হয় ? 

    শুভ্র চট্টোপাধ্য়ায়: মহাষ্টমীর (Mahastami) দিনে ঐ বিশেষ পুজোর কথা সবাই জানি। যে পুজোর কোনো নির্দিষ্ট সময় থাকেনা, কখনো ভোরে, কখনো বা মাঝরাতে , কোনো কোনো বছর বিকেলে সম্পন্ন হয়। বিশেষ ঐ পুজো সমাপ্ত হয়েছে বোঝা যায় যখন একজন পুরোহিত দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ব্যাপক জোরে “জয় মা” ধ্বনি তোলেন। সাথে সাথেই শুরু হয় মাতার আরতি অনুষ্ঠান। পুজো মন্ডপের বাচ্চারা তখন পটকা ফাটাতে থাকে। প্রচলিত ভাষায় এই বিশেষ পুজোকে বলে ক্ষণের পুজো । বর্ণ বিপর্যয় হতে হতে এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে “ক্ষ্যানের” পুজো। ঐ পুজোর হলো আসল নাম হলো “সন্ধিপূজা” (Sandhi Puja)।  অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট থেকে নবমী শুরুর প্রথম ২৪ মিনিট ধরে চলে ঐ পুজো। এই সময়টাই সন্ধিক্ষণ।  কিন্তু সন্ধিপূজা করতে হয় কেন? এর তাৎপর্য বা মাহাত্ম্য কি রয়েছে ? এর উত্তর আছে আমাদের পৌরাণিক আখ্যান গুলিতে ।
    সন্ধিপূজা আসলে দৈত্য দলনী দেবী দুর্গার আর এক ভীষণ দর্শনা রূপের পূজা । সেই দেবীর নাম ‘চামুণ্ডা’ । অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে দেবী চামুণ্ডা চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই অসুরকে বধ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী –  শুম্ভ নিশুম্ভ নামক দুই অসুর রাজা, চণ্ড ও মুন্ড নামের দুই দৈত্য কে পাঠিয়েছিল দেবীর সাথে যুদ্ধ করতে । চন্ড ও মুণ্ড বহু সেনা , অশ্ব , রথ , হাতি নিয়ে যুদ্ধে এলো‌ তারা হিমালয়ের চূড়ায় হাস্যরত দেবী অম্বিকা কে দেখতে পেল । দেবী চন্ডিকা তাদের দেখে ভীষণ ক্রুদ্ধা হলেন । ক্রোধে তাঁর মুখ মণ্ডল কৃষ্ণবর্ণা হল ।তখন দেবীর কপাল থেকে এক ভীষণ দর্শনা দেবী প্রকট হলেন । ভয়ঙ্করী , কোটর গতা , আরক্ত চক্ষু বিশিষ্টা। সেই ভয়ংকরা দেবী ভীষণ হুঙ্কার দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করলেন । কত গুলি অসুরকে দেবী তার চরণ ভারে পিষে বধ করলেন । কোন কোন অসুর দেবীর খড়গের আঘাতে মারা গেল । যুদ্ধক্ষেত্রে এই ভাবে দেবী অসুর দের ধ্বংস করে ফেললেন । এরপর দেবী তার খড়গ তুলে ‘হং’ শব্দ করে চন্ডের দিকে ধেয়ে গেল । দেবী চন্ডের চুলের মুঠি ধরে খড়গ দ্বারা এক কোপে চণ্ডের শিরোচ্ছেদ করে ফেললেন । চন্ড অসুর বধ হল। চন্ড নিহত হয়েছে দেখে ক্রোধে মুন্ড দেবীর দিকে ধেয়ে গেলো । দেবী তার রক্তাক্ত খড়গ দিয়ে আর এক কোপে মুন্ড এর শিরোচ্ছেদ করলেন । এভাবে মুণ্ড বধ হল। চন্ড মুন্ড বধ হতে দেখেই  দেবতারা আনন্দে দেবীর জয়ধ্বনি দিতে থাকলেন‌। চন্ড ও মুন্ড কে বধ করেছিলেন বলেই দেবী “চামুণ্ডা” নামে প্রসিদ্ধ হন। অষ্টমী ও নবমী তিথির এই সন্ধিক্ষণে দেবী চামুণ্ডার-ই আরাধনা করা হয়। এই বিশেষ মুহুর্তে দেবী চন্ড ও মুন্ড কে বধ করেছিলেন বলে জানা যায় ।
    এই পুজোতে ১০৮ টি পদ্ম অর্পণ করা হয় মায়ের চরণে। এটা নিয়েও দুটি পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে। 
    ত্রেতা যুগে লঙ্কার রাজা রাবণকে বধ করার জন্য সন্ধিপূজার শেষে শ্রীরামচন্দ্র দেবীর পায়ে ১০৮টি পদ্ম উৎসর্গ করতে চেয়েছিলেন । তাই ভক্ত হনুমানকে পাঠিয়েছিলেন দেবীদহে । কিন্তু দেবীদহ থেকে ১০৭ টি পদ্ম নিয়ে ফিরেছিলেন পবনপুত্র । কারণ দেবীদহে আর পদ্ম ছিল না । সুতরাং মায়ের পায়ে দেওয়ার জন্য একটি পদ্ম কম পড়েছিল । সন্ধিক্ষণ সমাপ্ত হওয়ার  উপক্রম হলে শ্রীরামচন্দ্র ধনুর্বাণ দিয়ে নিজের নীল পদ্মের ন্যায় চোখ দুটির মধ্যে একটি তুলে মায়ের পায়ে অর্পণ করতে চেয়েছিলেন ১০৮ তম পদ্ম হিসেবে । চোখ উপড়ে ফেলার মুহূর্তে অবতীর্ণ হয়েছিলেন দেবী দুর্গা । মায়ের বরে বলীয়ান শ্রীরামচন্দ্র এই অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণেই রাবণ বধ করেছিলেন বলে ভক্তদের ধারণা । অন্য একটি পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, অসুর নিধনকালে দেবী দুর্গার সারা অঙ্গ জুড়ে সৃষ্টি হয়েছিল ১০৮টি ক্ষত । ক্ষতগুলির যন্ত্রণা কমানোর জন্য ভগবান শিব মা দুর্গাকে দেবীদহে স্নান করার পরামর্শ দিয়েছিলেন । দেবীদহে স্নান করার পর মায়ের শরীরের সেই ১০৭টি ক্ষত থেকে সৃষ্টি হয়েছিল ১০৭টি পদ্ম । কিন্তু একটি ক্ষত তখনও অবশিষ্ট ছিল । দেবী দুর্গা ১০৮ তম ক্ষতের জ্বালায় খুব কষ্ট পাচ্ছিলেন। এটা দেখে মহাদেবের চোখ থেকে নির্গত হয়েছিল এক ফোঁটা অশ্রু । অশ্রুকণাটি গিয়ে পড়েছিল মায়ের ১০৮ তম ক্ষতে । এতে মা দুর্গার শরীরের অবশিষ্ট ক্ষতটিও সেরে উঠেছিল । দেবীদহে থেকে গিয়েছিল ১০৭ টি পদ্ম।
    সন্ধিপুজা তে মহাফল লাভ হয় বলেই ভক্তদের ধারণা। মাতাকে প্রসন্ন করতে এই পুজোতে লাল জবা ফুল এবং নৈবেদ্য তে লাল যে কোন ফল অর্পণ করা হয়।

  • Durga Puja: ‘নমঃ মহিষগ্নি মহামায়ে’, পুষ্পাঞ্জলির এই মন্ত্র দিয়েই শুরু হয় অষ্টমীর সকাল

    Durga Puja: ‘নমঃ মহিষগ্নি মহামায়ে’, পুষ্পাঞ্জলির এই মন্ত্র দিয়েই শুরু হয় অষ্টমীর সকাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নমঃ মহিষগ্নি মহামায়ে, চামুন্ডে মুন্ডমালিনী’ এই মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমেই শুরু হয় অষ্টমীর সকাল। দুর্গাপুজোর (Durga Puja) চারদিনের মধ্যে অন্যতম হল অষ্টমী (Ashtami)। এদিনের ভোরটা যেন একেবারে অন্যরকম। খুব ভোরে উঠে, স্নান করে পরিষ্কার বা নতুন জামাকাপড় পরে, নির্দিষ্ট সময় মণ্ডপে উপস্থিত হন আপামর বাঙালি। পুজোর তিনদিন পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া গেলেও মহাষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি একেবারে অন্যরকম। অষ্টমী পুজোর শেষে শুরু হয় অঞ্জলি। বহু বাঙালি এই শুভক্ষণটার জন্য সারাবছর অপেক্ষা করে থাকেন। অষ্টমীর মাহাত্ম্যের কথা বিচার করে সবাই অষ্টমী তিথিতেই অঞ্জলি দিতে চান। সনাতন ধর্ম বলে, অষ্টমীতে অঞ্জলি দিলে সব কাজে সিদ্ধি লাভ হয়। সব বাধাবিঘ্ন দূর হয়। সন্তান ও অর্থ লাভ হয়। দুঃখ, শোক, রোগ দূর হয়। দারিদ্র নাশ ও শত্রু-ক্ষয় হয়। ভক্তরা গ্রহ-শান্তি লাভ করেন। অন্তরের পাশবিক কামনা বাসনা দূর হয়। অষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়ার সময়ই মায়ের কাছে সেই কামনাই করেন সকলে।

    নমঃ আয়ুর্দ্দেহি যশো দেহি ভাগ্যং ভগবতি দেহি মে।
    পুত্রান্ দেহি ধনং দেহি সর্ব্বান্ কামাশ্চ দেহি মে।।
    হর পাপাং হর ক্লেশং হর শোকং হরাসুখম।
    হর রোগং হর ক্ষোভং হর মারীং হরপ্রিয়ে।

    অষ্টমী তিথিতেই দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে দেবীর কাছে পরাস্ত হন অসুররাজ।  পুরাণ মতে, এদিন দেবীকে রণসাজে সাজান দেবতারা। নিজেদের অস্ত্র দেবীর হাতে তুলে দেন তাঁরা। প্রতিটি অস্ত্রকে এদিন দেবজ্ঞানে পুজো করা হয়। তাই একে বীরাষ্টমীও বলে। অষ্টমীর দিন দেবীকে অনেক জায়গায় মহা গৌরী রূপে পুজো করা হয়। অনেক জায়গায় অষ্টমাতৃকা ব্ৰহ্মাণী, মাহেশ্বরী, কৌমারী, বৈষ্ণবী, বরাহী, নরসিংহী, ইন্দ্রানী ও চামুণ্ডার পুজো করা হয়ে থাকে।

    জেনে নিন এবারের মহাঅষ্টমীর সময় ও তিথি:

    তারিখ – সোমবার ৩ অক্টোবর ২০২২ , বাংলা ১৬ ই আশ্বিন।
    সময় – বেলা ৩ টে ৫৯ মিনিট ১৮ সেকেন্ড পর্যন্ত অষ্টমী থাকবে।
    সন্ধিপূজা বেলা ৩ টে ৩৫ মিনিট ১৮ সেকেন্ড থেকে বিকেল ৪ টে ২৩ মিনিট ১৮ সেকেন্ড পর্যন্ত।

  • Instagram: ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল হ্যাক হয়েছে? কী করে উদ্ধার করবেন?

    Instagram: ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল হ্যাক হয়েছে? কী করে উদ্ধার করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রযুক্তি যেমন দ্রুত এগোচ্ছে, একই ভাবে বাড়ছে সাইবার ক্রাইম (Cyber Crime)। সোশ্যাল মিডিয়ার যেমন বাড়বাড়ন্ত, একইভাবে বাড়ছে হ্যাকিংও। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম? বিশেষ করে যাঁরা বিজনেস ইনস্টাগ্রামের (Instagram hacking) মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করেন ও ইনস্টাগ্রাম থেকে বহু ট্রাফিক পান, তাঁদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক হতে পারে অ্যাকাউন্ট হ্যাক। আপনার অ্যাকাউন্টের সিকিউরিটি সঠিকভাবে সেট আপ করা না থাকলে কয়েক মিনিটেই আপনার সাধের অ্যাকাউন্টটি চলে যেতে পারে দুর্বৃত্তদের হাতে।   

    প্রধানত, এই তিনটি উপায়ে অ্যাকাউন্টের দখল নেয় হ্যাকাররা। প্রথমত, আপনার লগ ইন তথ্য ব্যবহার করে এবং দ্বিতীয়ত, ফিংশিয়ের মাধ্যমে। এই পদ্ধতিতে হ্যাকার আপনাকে এমন লিঙ্ক ইমেলের মাধ্যমে পাঠাবে, যা হুবহু ইনস্টাগ্রামের মতো দেখতে। আর সেখানে লগ ইনের চেষ্টা করলেই আপনার অজান্তেই ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের হাতে চলে যাবে। তাই ইমেলে এই ধরনের লিঙ্কে কখনও ক্লিক করবেন না। তৃতীয়ত, থার্ড পার্টি অ্যাপ থেকে। এমন কোনও থার্ড পার্টি অ্যাপকে আপনি অথরাইজেশন দেবেন না। 

    আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে হঠাৎ স্তব্ধ ইনস্টাগ্রাম, মিমের বন্যা ট্যুইটারে     

    আপনার যদি মনে হয় নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব, পদক্ষেপ (Recovery) নেওয়া খুব জরুরি। নিজের অ্যাকাউন্টের অ্যাকসেস ফিরে পেতে এই উপায়গুলি অনুসরণ করুন।

    দেখে নিন কীভাবে রিকভার করবেন অ্যাকাউন্ট:   

    • ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলটি ওপেন করে লগ ইন পেজে Forgot Password থেকে অ্যাকাউন্ট রিকভার করার চেষ্টা করতে পারেন। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাকাউন্ট লগ ইন করে, প্রথমেই ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড বদল করে দেয় হ্যাকাররা। দেরি করলে এই উপায় কাজে নাও আসতে পারে। 
    • আপনার Username বদল হয়ে গেলে এই পদ্ধতিতে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটির হ্যাক রিপোর্ট করুন – যে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। ওয়েবসাইটে একটি ফর্মে নিজের পেজের বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। এর পরে ‘My account was hacked’ সিলেক্ট করে ‘Request Support’ অপশনে ট্যাপ করুন। ইনস্টাগ্রাম আপনার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে কিছু প্রশ্ন করবে।  
    • আপনাকে সাইট থেকে সরাসরি একটি কোড পাঠানো হবে। এই কোড একটি কাগজে লিখে নিজের সামনে রেখে একটি সেলফি তুলতে হবে। অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সময় ব্যবহৃত ইমেল ও ফোন নম্বরও জানাতে হবে। এর পরেই আপনার ছবির সঙ্গে অ্যাকাউন্টের ছবি মিলিয়ে, আপনার পরিচয় নিশ্চিত করবে ইনস্টাগ্রাম। এই ভাবে আপনি অ্যাকাউন্টের অ্যাকসেস ফিরে পেতে পারেন।
    • অ্যাকাউন্টের অ্যাকসেস ফিরে পেলে সেটিংস- এ গিয়ে লগ ইন অ্যাক্টিভিটি দেখতে পাবেন। এর ফলে কোনও সন্দেহজনক লগ ইন হলে জানা যাবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।         

     
     
  • Narendra Modi: মানবিক মোদি! রাত ১০টায় সভায় এসে চাইলেন ক্ষমা, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ছাড়লেন রাস্তা

    Narendra Modi: মানবিক মোদি! রাত ১০টায় সভায় এসে চাইলেন ক্ষমা, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ছাড়লেন রাস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি নিয়মের বাইরে নন। দেশের প্রধান হলেও নিয়ম তার জন্যও প্রযোজ্য। তাই রাত ১০টায় জনসভায় পৌঁছে মাইক ব্যবহার করলেন না। দেরিতে সভায় পৌঁছনোর জন্য চাইলেন ক্ষমা। সকলের সামনে আদর্শ স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। শুক্রবার রাজস্থানের সিরোহির আবু রোডের একটি সভায় পৌঁছতে দেরি হয়ে যায় তাঁর। তাই সভায় বক্তব্য না রেখে মাইক ছাড়াই সমাবেশে উপস্থিত সকলের কাছে ক্ষমা চাইলেন মোদি। সকলের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘আমার পৌঁছতে দেরি হয়ে গিয়েছে। এখন রাত ১০ টা বাজে। আমার বিবেক বলে, আমার নিয়ম নীতি মেনে চলা উচিত। তাই আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’

    পুনরায় ওখানে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোদি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আবার আসব আমি এখানে এবং আমাকে দেওয়া আপনাদের সব ভালবাসা সুদ সমেত ফিরিয়ে দেব।’ এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের বক্তৃতাই এখন সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল। এরপরই মঞ্চে হাঁটু গেড়ে বসে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান তোলেন মোদি। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত জনতাও স্লোগান দিয়ে ওঠেন। একাধিক বিজেপি নেতা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা প্রধানমন্ত্রীকে ব্যবহারের প্রশংসা করেছেন। তাঁর মাইক্রোফোন এবং লাউডস্পিকারের নিয়ম অনুসরণ করার জন্য তাঁকে বাহবা দিয়েছেন।

    এর আগেও এদিন মোদির মানবিক রূপ দেখেন দেশবাসী। অ্যাম্বুল্যান্সকে জায়গা দেওয়ার জন্য থেমে যায় প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। শুক্রবার আমেদাবাদ থেকে গান্ধীনগরে (Gujarat) যাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ধীরে ধীরে বাঁদিকে সরে গিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ করে দিচ্ছে মোদির কনভয়। প্রধানমন্ত্রীর ভিডিয়ো পোস্ট করে গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি লিখেছেন, ‘জনগণের সরকার। আমেদাবাদ থেকে গান্ধীনগর যাওয়ার পথে অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ দিতে থামল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়।’আর কিছু দিন বাদেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নবরাত্রী উৎসবের মধ্যে নিজের রাজ্যে গিয়েছেন মোদি। গুজরাটে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন করছেন তিনি। শুক্রবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। 

  • Primary TET: আগেই পরীক্ষা গ্রহণকারী সংস্থা বাছাই, পরে কাগজ-কলম! এবারের টেট নিয়োগে ফের সন্ধান ‘ঘুঘুর বাসা’?

    Primary TET: আগেই পরীক্ষা গ্রহণকারী সংস্থা বাছাই, পরে কাগজ-কলম! এবারের টেট নিয়োগে ফের সন্ধান ‘ঘুঘুর বাসা’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের টেট  (Primary TET) পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু পিছু পিছু তৈরি হচ্ছে দুর্নীতির প্রস্তুতিও। যার কেন্দ্রে রাজ্য প্রাথমিক বোর্ডের সচিবের একটি চিঠি। রাজ্য সরকারি সংস্থা ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেডকে (Webel Technologies) চিঠি লিখে বোর্ডের সচিব পরীক্ষা পরিচালন সংক্রান্ত টেকনো-কমার্শিয়াল প্রস্তাব জমা দিতে বলেছেন। কিন্তু কোন সংস্থাকে দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তার নাম ধাম দিয়ে তাদেরকেই কাজটি দিতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের (Primary Education Board) মতে, এই সংস্থাটিই একমাত্র সুন্দরভাবে পরীক্ষা নিতে সক্ষম।

    কী রয়েছে চিঠিতে?

    ২-পাতার চিঠিতে প্রথমেই বলা হয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সম্ভবত টেট পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। সেক্ষেত্রে পুজো শেষ হলেই, আগামী ১৪ অক্টোবর থেকেই অনলাইন রেজিস্ট্রেশন-পর্ব শুরু করা হতে পারে। এই পরীক্ষার জন্য ওয়েবেলের সামনে কী কী কাজের সুযোগ রয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে—অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন পর্বের ওয়েব হোস্টিং ও ক্লাউড সার্ভার গঠন, নতুন ডোমেন ও পেমেন্ট গেটওয়ে তৈরির মতো প্রযুক্তিগত কাজ। এছাড়া রয়েছে হেল্পলাইন থেকে শুরু করে অ্যাডমিট কার্ড ও পরীক্ষার ওএমআর শিট ছাপানো ইত্যাদি।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগেই টেট উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    এতটা পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু, সন্দেহ জাগল চিঠির দ্বিতীয় পাতায় এসে। যেখানে একেবারে চিঠির শেষদিকে বলা হয়েছে— ওপরে উল্লেখ করা কাজগুলোর জন্য পর্ষদ বিভিন্ন ভেন্ডরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। অতঃপর, মেসার্স মেগা ক্যালিবার এন্টারপ্রাইস প্রাইভেট লিমিটেডের দেওয়া সমাধান ভীষণই ভাল বলে মনে হয়েছে। ওপরের কাজগুলোর জন্য তাদের নির্বাচন করা যেতে পারে।

    শিক্ষা দফতর থেকে ওয়েবেলে এই চিঠি যাওয়া মাত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে। অনেকের প্রশ্ন, বর্তমানে এসএসসি এবং টেট কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে সিবিআই বেসরকারি সংস্থার কারসাজিতেই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলে জানতে পেরেছে। ওএমআর শিট বদলে দেওয়া থেকে, ফাঁকা শিট জমা নিয়ে পরে তা পূরণ করা সহ নানা অভিযোগ উঠেছে পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে। এবার তা হলে ফের একটি নির্দিষ্ট সংস্থাকেই পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার জন্য রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড তৎপর কেন?

    তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের প্রশ্ন, যদি সংস্থা বাছাই শিক্ষা দফতরই করে দেয় তা হলে ওয়েবেলের কাছে টেকনো-কমার্শিয়াল প্রস্তাব চাওয়ার কি দরকার? শিক্ষা দফতর এবং তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের একাংশের মতে, শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া এবারও ফিক্সড ম্যাচ হতে চলেছে। আগের বারের মতোই কোন সংস্থা পরীক্ষা নেবে তা বোর্ড ঠিক করে ফেলেছে। সেইমতো, দিল্লির ওই সংস্থার নামও চিঠিতে সুপারিশ করা হয়েছে। অর্থাৎ, ঘুরপথে ওয়েবেলের মাধ্যমে তার বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

    আরও পড়ুন: মানিকের অপসারণ বহাল, এখনই চাকরি পাবেন না ২৬৯ জন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    সরকারি কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, গতবারও কোন সংস্থা পরীক্ষা নেবে তা বিকাশ ভবনই ঠিক করে নিয়েছিল। কিন্তু মৌখিকভাবে ওই সংস্থাকে বরাত দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এবার সেটুকু চক্ষুলজ্জা না রেখে সরাসরি কোন সংস্থা পরীক্ষা নেবে তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে প্রাথমিক বোর্ড। এ কথা জেনে বিস্মিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, চোরেদের এই সরকারের দুর্নীতি মজ্জাগত। আবার লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর জীবন নিয়ে প্রতারণার চক্র শুরু হয়েছে। একমাত্র ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটি বা এনটিএ যদি পরীক্ষা নেয় তা স্বচ্ছ হতে পারে।

    এসএসসি, টেট কেলেঙ্কারি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হচ্ছে ৫০ কোটি নগদ টাকা। রাজ্যের শাসক দলের হেভিওয়েট মন্ত্রী গারদে। তারপরও, যে রাজ্য শাসক দল ও প্রশাসনের মধ্যে দুর্নীতি নিয়ে যে সামান্যতম হেলদোল নেই, তা এই চিঠিতেই প্রমাণিত।

LinkedIn
Share