Blog

  • Gujarat Election: নরেন্দ্র মোদির জনসভার প্যান্ডেল থেকে নাট-বোল্ট খোলার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেফতার যুবক

    Gujarat Election: নরেন্দ্র মোদির জনসভার প্যান্ডেল থেকে নাট-বোল্ট খোলার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেফতার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে নরেন্দ্র মোদির জনসভার প্যান্ডেল থেকে নাট-বোল্ট খোলার অভিযোগে গ্রেফতার এক ব্যক্তি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।  ভিডিওতে দেখা যায় ভিড়ের মাঝে এক ব্যক্তি সন্তর্পণে খুলছেন প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্যান্ডেলের নাট বোল্ট (Nut bolt)। এই ঘটনায় বিস্মিত গোটা দেশ। মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ তুলেছে অনেকে।

     

    গুজরাটের (Gujarat) বানাসকাঁথার (Banaskantha) জনসভার একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও সামনে এসেছে। ওই ব্যক্তি সন্তর্পণে নাট বোল্ট খোলেন। তারপর কিছুক্ষণ পরে সেই নাট বোল্ট নিয়ে চেয়ারে বসে পড়েন। ইতিমধ্যেই সেই ব্যক্তির ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। তারপরেই গ্রেফতার। তিনি এমন ভাবে কাজ করছিলেন যাতে কেউ দেখতে না পায়। তবে সেখানে উপস্থিত কেউ একজন ঘটনাটির ভিডিও করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি পোস্ট হতেই শুরু হয় জল্পনা। উল্লেখ্য, ৩১ অক্টোবর বানাসকাঁথায় জনসভা ছিল মোদির।

    আরও পড়ুন: গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষিত, ভোট হবে দুই দফায়

    চলতি বছর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই গুজরাট নির্বাচন। আর তার আগেই এমন ঘটনায় শঙ্কিত গোটা দেশ। এই মুহূর্তে গুজরাটে বহু প্রকল্পের উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বানাসকাঁথাতেও প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, দুর্ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা নিয়েই এই কাজ করা হয়েছে। ভাইরাল ভিডিওই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। ২০১৮ সালের জুলাই মাসেও ঠিক এমন ধরনের একটি ঘটনা ঘটে। মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে একটি প্যান্ডেল ভেঙে প্রায় ৯০ জন আহত হন। তখন প্রধানমন্ত্রী নিজে হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

    ভাইরাল ভিডিওটিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একদল নেটিজেন মনে করছেন, মোরবি সেতুর দুর্ঘটনার প্রতিশোধে নিতে এই ষড়যন্ত্র করা হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • SSC Scam: সুর বদল! ‘মানিকের কাছে না, টাকা যেত বোর্ডে’, আজ ফের ইডির জেরার মুখে বললেন তাপস মণ্ডল

    SSC Scam: সুর বদল! ‘মানিকের কাছে না, টাকা যেত বোর্ডে’, আজ ফের ইডির জেরার মুখে বললেন তাপস মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) গতকাল ইডির জেরা শেষে ফের আজ তাপস মণ্ডল পৌঁছে গিয়েছেন ইডির দফতরে। মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডলকে গতকাল সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল। আর এরপরেই বেরিয়ে আসে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছিল তাঁর দেওয়া কিছু তথ্যে টাকার অমিল ছিল। ফলে তারই হিসেব দিতে তাঁকে বৃহস্পতিবার তলব করা হয়েছে। আর ইতিমধ্যেই তিনি সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। আর সেখানে গিয়েই দাবি করলেন, মানিক ভট্টাচার্য নয়, টাকা পাঠানো হত বোর্ডকে। ফলে এবারে মানিককে ফাঁসিয়ে দোষ চাপাল প্রাথমিক বোর্ডের উপর।

    এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) তাপস মণ্ডলকে তিন বার জেরা করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। গতকাল দুপুর প্রায় ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ইডির অফিসে হাজিরা দেন তাপস। এরপর চলে ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ। রাত্রি প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ ইডি অফিস থেকে বের হন তিনি। গতকাল ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়ার আগে বিস্ফোরক দাবি করেন তাপস মণ্ডল। তিনি বলেন, প্রতিটি ছাত্রের কাছ থেকে অফলাইনে ভর্তির নামে ৫,০০০ টাকা করে আদায় করেন মানিক। এভাবে ৫ হাজার ছাত্রের থেকে মোট ২১ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আর ডিএলএড প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে অফলাইনে ভর্তির নামে মানিক ভট্টাচার্য যে টাকা তুলেছিলেন তার হিসাব পেতেই আজ ফের তলব করা হয়েছে তাঁকে।

    আরও পড়ুন: লোক পাঠিয়ে ২১ কোটি টাকার তোলাবাজি করেছেন মানিক, বিস্ফোরক তাপস

    তিনি আরও জানান, টাকা নেওয়ার সেই লেনদেন হত মহিষবাথানে তাপসেরই একটি অফিসে। তবে ওই টাকা মানিকের কাছ থেকে কোথায় যেত, এই প্রশ্ন করতেই  তিনি বলেন, ‘অফিস থেকে লোক পাঠিয়েছিল। আমার স্টাফরা তাই বলেছে। স্টাফরা বলেছে, অফিস থেকেই ফাইল ও টাকা যেত।’ কার কাছে যেত সেই টাকা? প্রশ্ন করতেই তাপস জানান, ‘নিশ্চয়ই উনি লোক পাঠাতেন মানে ওনার কাছেই যেত।’ ফলে গতকালই ইডির দফতরে ঢোকার সময় বলেছিলেন, অফলাইনে ছাত্র ভর্তির জন্য টাকা নিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। আর, বৃহস্পতিবার ফের হাজিরা দিতে এসে বললেন, টাকা দেওয়া হত বোর্ডকে।

    উল্লেখ্য, তাপস গতকাল আরও বলেছিলেন, ‘‘ছাত্রের সঙ্গে ‘কালেকশনের’ ২১ কোটি টাকার অঙ্কটা মিলছে না। হিসাবের একটা গন্ডগোল আছে। আমি বলেছি, শরীরটা খারাপ আছে, আজ ছেড়ে দিন, কালকে এসে হিসাবটা দিয়ে দেব।’’ আর এরপরেই তিনি হাজির হয়েছেন ইডির দফতরে। চলছে জেরা। আর এরপরেই এমন দাবি করে বসলেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস।

  • By Election: ছয় রাজ্যের ৭ আসনে চলছে উপনির্বাচন, ফল ঘোষণা কবে জানেন?

    By Election: ছয় রাজ্যের ৭ আসনে চলছে উপনির্বাচন, ফল ঘোষণা কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলছে ছয় রাজ্যের সাত বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন (By Election)। ফল বের হবে নভেম্বরের ৬ তারিখে। এই রাজ্যগুলি হল মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, বিহার, ওড়িশা, তেলঙ্গানা এবং উত্তর প্রদেশ। এদিন সকাল সাতটায় শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। চলবে বিকেল ৬টা পর্যন্ত। যে কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন হচ্ছে, সেগুলিতে ইতিমধ্যেই করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

    এই আসনগুলিতে বিজেপিই (BJP) মূল শক্তি। তাকে লড়তে হবে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের সঙ্গে। এর মধ্যে রয়েছে তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (TSR), রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD), সমাজবাদী পার্টি (SP) এবং বিজু জনতা দল। এবার জেনে নেওয়া যাক ওই ছয় রাজ্যের কোন আসনগুলিতে উপনির্বাচন (By Election) হচ্ছে। এদিন উপনির্বাচন হচ্ছে, মহারাষ্ট্রের আন্ধেরি পূর্ব, হরিয়ানার আদমপুর, তেলঙ্গানার মুনুগোড়ে, উত্তর প্রদেশের গোলা গোক্রান্নাথ এবং ওড়িশার ধামনগরে। বিহারের দুটি আসনেও চলছে উপনির্বাচন। এগুলি হল, মোকামা এবং গোপালগঞ্জ। মোকামায় উপনির্বাচন (By Election) হচ্ছে কারণ রাষ্ট্রীয় জনতা দল বিধায়ক অনন্ত কুমার সিংয়ের বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে। একটি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় খারিজ হয়ে গিয়েছে তাঁর বিধায়ক পদ।

    আরও পড়ুন: ভোট লুঠ চলবে না, লাঠির জবাব লাঠিতে দিন! তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    আর গোপালগঞ্জে ভোট হচ্ছে কারণ এখানকার বিধায়ক সুভাষ সিংয়ের মৃত্যু হয়েছে। সুভাষ বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে মৃত্যু হয় তাঁর। আন্ধেরি পূর্ব, গোলা গোক্রান্নাথ এবং ধামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে কারণ এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রয়াত হয়েছেন বিধায়করা। মে মাসে মারা গিয়েছেন শিবসেনার রমেশ লাটকে। আর সেপ্টেম্বরে প্রয়াত হয়েছেন বিজেপির অরবিন্দ গিরি এবং বিষ্ণু শেঠী। হরিয়ানায় বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন কুলদীপ বিষ্ণোই, তেলঙ্গানায় পদত্যাগ করেছেন কে রাজাগোপাল রেড্ডি। সেই কারণে শূন্য হয়েছে আদমপুর এবং মুনুগোড়ে আসন। তেলঙ্গানার মুনুগোড়ে বিধানসভায় লড়াই হচ্ছে ত্রিমুখী। এখানে লড়াই হচ্ছে বিজেপি, কংগ্রেস এবং তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির। এই কেন্দ্রে প্রার্থী রয়েছেন ৪৭ জন। তবে জনতার চোখ বিজেপির রাজগোপাল রেড্ডি, প্রাক্তন টিআরএস এমএলএ কুসুকুন্তলা প্রভাকর রেড্ডি এবং কংগ্রেসের (Congress) পালভি শ্রাভান্তির দিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal: প্রসব পরবর্তী চিকিৎসা রাজ্যে অবহেলিত, সরকারি হাসপাতালে ফের মৃত্যু

    West Bengal: প্রসব পরবর্তী চিকিৎসা রাজ্যে অবহেলিত, সরকারি হাসপাতালে ফের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন দুয়েক আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা ফের প্রশ্নের মুখে ফেলে রাজ্যের প্রসব পরবর্তী চিকিৎসাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ রাজ্যে ৯০ শতাংশ মায়ের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে প্রসব হলেও প্রসব পরবর্তী চিকিৎসা ১০ শতাংশ মায়েরাও পান না। যার জেরে সামগ্রিক ভাবে রাজ্যে মায়েদের স্বাস্থ্য অবহেলিত হয়। 

    স্ত্রীরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রসব পরবর্তীকালে মায়েদের শারীরিক খেয়াল রাখা বিশেষভাবে জরুরি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মায়েদের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয়। শরীর দুর্বল থাকে। তার সঙ্গে থাকে মানসিক অবসাদ। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রসব পরবর্তী কালে মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা হয় না। 

    পোস্টপার্টোম ডিপ্রেশন (Postpartum Depression) কী? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সন্তান জন্মের পরে নতুন মায়েদের মধ্যে একটা মানসিক চাপ কাজ করে। তারা অনেক সময়েই নতুন ভূমিকায় মানিয়ে নিতে পারেন না। সেই থেকেই তৈরি হয় অবসাদ। 
    কী কী উপসর্গ রয়েছে?

    সন্তান জন্মের পরে মায়ের যদি অকারণে রাগ হয়, বিরক্তি তৈরি হয়, পেশির যন্ত্রণা, অস্থিরতার মতো লক্ষণ দেখা যায়, তাহলেই বোঝা যাবে এগুলো পোস্টপার্টোম ডিপ্রেশনের উপসর্গ। 

    স্ত্রীরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন,  রাজ্যের অধিকাংশ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রসবের পরে কোনও রকম যত্ন মায়েরা পান না। অকারণে অস্ত্রোপচার করে প্রসব করানো এখন রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কার্যত কেন্দ্রের সিজার অডিটকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সময় বাঁচাতেই দেদার সিজার হচ্ছে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে। কোনও রকম নজরদারিও করা হচ্ছে না। যার ফলে, প্রসূতিদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। আর অস্ত্রোপচারের জেরে যে বাড়তি শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিচ্ছে, তার জন্য কোনও রকম বাড়তি যত্ন সরকারি হাসপাতালে নেই। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের রোগী মৃত্যুর ঘটনা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই প্রসূতি আত্মহত্যা করেছেন। হাসপাতালের কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দিয়েই তার মৃত্যু বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে। আর এখানেই সরকারি হাসপাতালে প্রসব পরবর্তী চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

    একজন প্রসূতির পোস্টপার্টোম ডিপ্রেশন হয়েছিল কিনা, সে সম্পর্কে হাসপাতাল একেবারেই অন্ধকারে ছিল? অর্থাৎ, কোনও রকম যত্ন নেওয়া হয়নি। তাছাড়া, হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, অস্ত্রোপচার করে সন্তান জন্ম হয়েছিল। সিজারের পরে একজন রোগী কীভাবে একা একা শৌচাগার গিয়েছিলেন? কেন তার সঙ্গে কোনও স্বাস্থ্য কর্মী ছিলেন না? শৌচাগার থেকে তিনি কীভাবে ছাদে উঠলেন? কোনও নিরাপত্তা রক্ষীর কেন চোখে পড়ল না? তাহলে হাসপাতালের নিরাপত্তাও কি নেই? 

    যদিও এর কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে এই প্রশ্ন করলে তাদের উত্তর, “প্রত্যেক প্রসূতির খুঁটিনাটি দেখা সম্ভব নয়। এত রোগীর চাপে সেটা অসম্ভব। তবে, হাসপাতালের কোনও কর্মীর গাফিলতি প্রমাণ হলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। প্রসব পরবর্তী অবসাদ থেকে এর আগেও আরজিকর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কিংবা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও হুশ ফেরেনি সরকারের। প্রসবের পরে মায়েদের যে যত্নের দরকার, এ যেন চোখ এড়িয়ে যায় সরকারের। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রচার সর্বস্ব হয়ে উঠেছে। সস্তার বিজ্ঞাপন ছাড়া, রোগী পরিষেবা নিয়ে প্রশাসন ভাবতে আগ্রহী নয়। আর তাই এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রসব যথেষ্ট নয়। সর্বাঙ্গীন পরিষেবার দিকে নজরদারি প্রয়োজন, যা এই রাজ্যে অনুপস্থিত।

  • Sukanta Majumdar: ভোট লুঠ চলবে না, লাঠির জবাব লাঠিতে দিন! তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ভোট লুঠ চলবে না, লাঠির জবাব লাঠিতে দিন! তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের ভোট মানুষ দেবে। ভোট লুঠ চলবে না। ভোট লুঠ করতে চাইলে তাদের সর্বস্ব লুঠ করা হবে, হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP State President Sukanta Majumdar)। রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রস্তুতি নিচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। চড়ছে কথার পারদও। এই আবহেই  ভোট-লুঠের অভিযোগ তুলে সরব হলেন সুকান্ত মজুমদার। রামপুরহাটের (Rampurhat) জনসভায় তিনি বলেন,  ‘‘কথার জবাব কথায় দিন, আর লাঠির জবাব লাঠিতে দিন। যদি দুধ দেয়, ভাল করে কিসমিস দিয়ে পায়েস বানিয়ে খাইয়ে দিন। আর ভোট লুঠ করতে যদি আসে, তার সবকিছু লুঠ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দিন।’’

    আরও পড়ুন: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চার্জশিট সিবিআইয়ের! জানেন তালিকায় রয়েছেন কারা?

    রাজ্যে আগামী নির্বাচনে যে বদল আসতে পারে তা এদিনের জনসভা থেকে স্পষ্ট। আগে তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডলের গড় বলে পরিচিত ছিল বীরভূম। কিন্তু বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। এখনও তিনি জেলে বন্দি। এবার তাঁর মাটিতে দাঁড়িয়েই হুঙ্কার শোনা গেল বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যে। বুধবারে প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘‘মনে রাখবেন ভয় মানে হচ্ছে মৃত্যু, ভয় পাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আমরা শুধু ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল নয়,পৃথিবীর সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তাই আর আমরা তৃণমূলের মতো চোরেদের দলের লোকদের ভয় পাব না,ওই দিন চলে গিয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বাংলায় ভোট হওয়াই উচিত নয়! পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক সুর সুকান্ত-শুভেন্দুর

    গত পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূম কার্যত বিরোধী শূন্য ছিল। এবার তৃণমূলের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসায় জেলে অনুব্রত মণ্ডল-সহ একাধিক নেতা। এর কী প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটে পড়ে তা সময় বলবে। কিন্তু রাজ্যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট করাতে তৎপর বিজেপি। ভোট লুঠ ও সন্ত্রাস রুখতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিও তুলেছে পদ্ম শিবির।  

  • ICC T20 World Cup: খাতায় কলমে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত! শেষ বলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় টিম ইন্ডিয়ার

    ICC T20 World Cup: খাতায় কলমে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত! শেষ বলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় টিম ইন্ডিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানটান ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল ভারত। লিগ টেবিলে শীর্ষস্থানে টিম ইন্ডিয়া। আক্ষরিক অর্থেই টিম-গেম। সকলের চেষ্টায় সফল ভারত। সঙ্গী বরুণ দেবও। বরুণ দেবের কৃপায় আত্মবিশ্বাস ফির পায় ভারত। বৃষ্টি-বিরতির পর থেকেই ম্যাচের রাশ চলে যায় ভারতের হাতে। প্রথমে ব্যাট করে ভারত তোলে ১৮৪ রান। ৪৪ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন কোহলি। সমালোচনার জবাব দিয়ে ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন লোকেশ রাহুল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্বপ্নের ইনিংস খেলছিলেন লিটন দাস। শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের উপরে শাসন চালাতে থাকেন তিনি। অর্শদীপের সিংয়ের ওভার থেকেই হাত খুলতে শুরু করেন লিটন। অর্শদীপের ওভারে ওঠে ১২ রান। পরের ওভারে ভুবনেশ্বর দিলেন ১৬ রান। ষষ্ঠ ওভারে শামিও ১৬ রান দিলেন। দিশেহারা ক্যাপ্টেন রোহিত কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না। রোহিত-কোহলি আলোচনা করতে থাকেন কাকে বল দেবেন। তখনই বরুণ দেবের আশীর্বাদ। অঝোরে বৃষ্টি নামল অ্যাডিলেডে।

    বাংলাদেশের ইনিংসের মাঝে বৃষ্টি এসে খেলা বন্ধ রাখল আধ ঘণ্টারও বেশি। তার পরেই ম্যাচের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাল বাংলাদেশ। তা সত্ত্বেও শেষ বল পর্যন্ত লড়ে গেল ভারতের পড়শি দেশ। শেষ হাসি অবশ্য রোহিত শর্মাদেরই। প্রথম দু ওভারে শামির দিয়েছিলেন ২১ রান। বৃষ্টি বিরতির পর আক্রমণে এসে প্রথম বলেই উইকেট। ফেরালেন ওপেনার নাজমুল হাসান শান্তকে। দুর্দান্ত ওভার। মাত্র ৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন বাংলার পেসার। ব্যাটিংয়ে ফর্মে ফিরেছেন। ডিরেক্ট থ্রোয়ে ফেরালেন বিপজ্জনক লিটন দাসকে। নিজের জাত চেনালেন লোকেশ রাহুল। ২৭ বলে ৬০ রানে ফিরলেন লিটন। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। বৃষ্টির পর ওভার কমে মোট ১৬ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৫১। হার্দিক ও অর্শদীপ পরপর দুই ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দেয়। জয়ের জন্য শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ২০ রান। অর্শদীপ সিংয়ের প্রথম বলে ১ রান নেন তাস্কিন। দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারেন নুরুল। তৃতীয় বলে কোনও রান দেননি অর্শদীপ। চতুর্থ বলে ২ রান নেন নুরুল। পঞ্চম বলে ৪ মারেন তিনি। সুতরাং জয়ের জন্য শেষ বলে ৭ রান দরকার বাংলাদেশের। ছয় মারলেই ম্যাচ গড়াবে সুপার ওভারে। তবে শেষ বলে ১ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেননি নুরুল। ফলে ৫ রানে ম্যাচ জেতে ভারত। 

  • Cattle Smuggling Case: দিল্লিতে ইডির দফতরে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা! কী প্রশ্ন করলেন তদন্তকারীরা?

    Cattle Smuggling Case: দিল্লিতে ইডির দফতরে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা! কী প্রশ্ন করলেন তদন্তকারীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। গরুপাচার মামলায় তাঁকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)  দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে তাঁকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। এর আগে গত ২৭ অক্টোবর সুকন্যাকে তলব করেছিল ইডি। তবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। ইডি’র তরফে সুকন্যাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২ নভেম্বর দিল্লিতে এসে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। এবার আর হাজিরা এড়াননি তিনি। এবার হাজিরা এড়ালে তাঁকে হয়ত গ্রেফতারির মুখে পড়তে হত।

    আরও পড়ুন: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ মুখে কালো মাস্ক পরে সুকন্যা ইডি অফিসে পৌঁছন। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও ইডি দফতরে আনা হয়। সকাল ১০টা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছন সুকন্যা। তারও মিনিট পঞ্চাশেক আগে সায়গল হোসেনকে মেডিক্যাল চেক আপের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাঁকে ইডি দফতরে নিয়ে আসা হয়। জানা যাচ্ছে, তাঁদের আলাদা আলাদা রুমে বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। এরপর দুজনের বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে। পরে এক রুমে বসিয়েও জেরা করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। গরু পাচার কাণ্ডে যে ইডি অফিসার বাংলায় তদন্ত করেছেন, তিনিও রয়েছেন দিল্লি সদর দফতরে। তাঁর সাহায্যেই হয়ত তদন্ত চলবে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন! অভিযোগ শুভেন্দুর

    এর আগে ২৭ অক্টোবর সুকন্যা মণ্ডলকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। এবার তাঁকে যেতে হতই। সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিট অনুসারে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে সুকন্যার আয় ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। অন্তত ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে সুকন্যার নামে। গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়েরও বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পায় ইডি। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা সুকন্যা এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে পেলেন,তা প্রথমেই জানতে চায় ইডি। তদন্তকারীদের সন্দেহ,গরু পাচারের টাকাই সুকন্যার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়েছিল। যার ফলে তাঁর এই বিপুল সম্পদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • coimbatore-blast: কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণে আইএসআইএস যোগ, সন্দেহ এনআইএ-র! আসল লক্ষ্য ছিল কী?

    coimbatore-blast: কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণে আইএসআইএস যোগ, সন্দেহ এনআইএ-র! আসল লক্ষ্য ছিল কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোয়েম্বাতুরে (Coimbatore) মন্দিরের সামনে একটি গাড়ি বিস্ফোরণের তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে। ওই ঘটনায় হাত থাকতে পারে আইএসআইএস (ISIS) জঙ্গিদের। ওই ঘটনায় ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে,  শ্রীলঙ্কার ইস্টার হামলার সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এই বিস্ফোরণে নিহত জামেজা মুবিন। সূত্রের খবর, ওই বিস্ফোরণের আগে মুবিনরা কোয়েম্বাতুরের ছয়টি মন্দির ঘুরে দেখেছিল। কখন কোন মন্দিরে ভক্ত সমাগম বেশি হয় তা-ও খতিয়ে দেখা হয়েছিল। ভিড়ের মধ্যে মন্দিরে বিস্ফোরণ করার পরিকল্পনা ছিল তাদের, ধারণা তদন্তকারীদের।

    আরও পড়ুন: কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে এবার ইউএপিএ ধারায় মামলা পুলিশের

    গত ২৩ অক্টোবর, রবিবার ভোরে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাতুরের কোট্টাই ঈশ্বরান মন্দিরের কাছে একটি গাড়িতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় গাড়িতে থাকা যুবক জামেজা মুবিনের (Jameza Mubin)। সেই গাড়িতে পেরেক, সিলিন্ডার ও অন্যান্য বিস্ফোরক থাকায় পুলিশের অনুমান, বিস্ফোরক বানানোর চেষ্টায় ছিলেন মুবিন। এর পরেই এই দুর্ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি-যোগের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পাঁচ জনকে চিহ্নিত করা হয়। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি এই তদন্ত এনআইএ-র হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে। এনআইএ তদন্ত শুরু করার পরে পটাসিয়াম নাইট্রেট, অ্যালুমিনিয়াম পাউডার, সালফার এবং কাঠকয়লা-সহ ১০৯ রকমের বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয় মুবিন ও বাকি অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে।

    আরও পড়ুন: কোয়েম্বাতুর গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে কেরল লিংক?

    বিস্ফোরণে নিহত জামেজা মুবিনকে ২০১৯ সালে একবার জেরা করেছিল এনআইএ (NIA)। তবে, সেই সময় তার থেকে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। রবিবার বিস্ফোরণের পর ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক যুবকের বাড়িতে তল্লশি চালিয়ে প্রায় ৭৫ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করে তামিলনাড়ু পুলিশ। UAPA ধারায় মামলা করে শুরু হয় তদন্ত। বিস্ফোরণের তদন্ত ভার নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিস্ফোরণে নিহত জামেজা মুবিন কেন ৭৫ কেজি বিস্ফোরক জমা করেছিল তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তাদের আরও বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও বিশেষ ব্যক্তি বা নেতা এই হামলার লক্ষ্য ছিল কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Team India: তিন ফরম্যাটে পৃথক অধিনায়ক! কী ভাবছেন বিসিসিআই কর্তারা?

    Team India: তিন ফরম্যাটে পৃথক অধিনায়ক! কী ভাবছেন বিসিসিআই কর্তারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বিশ্বকাপের পরেই টি-টোয়েন্টি (t20) অধিনায়কত্ব হারাতে পারেন রোহিত শর্মা। এমন ইঙ্গিত মিলেছে বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ কর্তার বক্তব্যে। টি-টোয়েন্টিতে নতুন অধিনায়ক হিসেবে দৌড়ে রয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া, ঋষভ পন্থ ও লোকেশ রাহুল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে রোহিত শর্মাকে কেন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে বিসিসিআই? এক্ষেত্রে ওই বোর্ড কর্তার যুক্তি, “২০২৪ সালে ফের হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাই আমরা। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির বয়স হয়েছে। ওদের পক্ষে তিন ফরম্যাটে সমান্তরালভাবে খেলা চালিয়ে যাওয়া ঝুঁকি হতে পারে। তাই ওদের বেছে বেছে গুরুত্বপূর্ণ টি-টোয়েন্টি সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্টে খেলানো হবে।” তুলনায় ওয়ানডে এবং টেস্ট ফরম্যাটে দুই তারকা ক্রিকেটারকে আরও বেশি করে মনোনিবেশ করার কথা বলতে পারেন নির্বাচকরা।

    রোহিত শর্মা যদি বেছে বেছে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন তাহলে তাঁর পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য হার্দিক পান্ডিয়াকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। আসলে সামনের দিকে তাকাতে চাইছেন জাতীয় নির্বাচকরা। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওয়ার্ক লোড কমানোর চিন্তাভাবনাও চলছে। উল্লেখ্য গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল ভারত। তারপর বোর্ডের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন কোহলি। তার জেরে একের পর এক থেকে থেকে তাঁর অধিনায়কত্ব গিয়েছিল। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রোহিত শর্মার নেতৃত্বও প্রশ্নের মুখে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়ক হিসেবে রোহিতের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। এশিয়া কাপে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলে তাঁর পক্ষে তিন ফরম্যাটেই নেতৃত্ব ধরে রাখা মুশকিল হবে।

    শুধু তাই নয় ২০২৩ সালে ভারতে হবে ওডিআই বিশ্বকাপ। ঘরের মাঠে খেতাব জয়ের প্রবল চাপ থাকবে টিম ইন্ডিয়ার উপর। ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে শেষবার ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। তারপর কেটে গিয়েছে এক যুগ। বিশ্বকাপের মঞ্চে বারবার হতাশ করেছে মেন ইন ব্লু। সেই ধারা অব্যাহত থাকলে একদিনের ক্রিকেটেও অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে রোহিত শর্মাকে সরিয়ে দেওয়া হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

  • Papaya Leaf For Dengue: ডেঙ্গি থেকে ম্যালেরিয়া, সারাতে পারে পেঁপে পাতার রস!

    Papaya Leaf For Dengue: ডেঙ্গি থেকে ম্যালেরিয়া, সারাতে পারে পেঁপে পাতার রস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি ভয়াবহ। এবছরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক বছরের ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। আক্রান্তের পাশাপাশি ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। ফলে এই পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক। এমন পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং খাবার ও পানীয়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।

    জ্বর বা সর্দি-কাশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া উচিত। কারণ অনেক সময় জ্বর হলে মানুষ তা সাধারণ জ্বর ভেবেই ওষুধ খেয়ে নেয়। তবে আপনি যদি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন তবে চিকিৎসকের পরামর্শের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিও বেছে নিতে পারেন। গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, ডেঙ্গি মোকাবিলায় পেঁপে পাতার রস বেশ কার্যকরী। পেঁপে পাতায় এমন কিছু উপাদান আছে, যা রক্তের প্লেটলেট দ্রুত বাড়াতে পারে। এছাড়াও ম্যালেরিয়া বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে এ পাতায়। সেইসঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এই পাতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডেঙ্গি নিরাময়ে পেঁপের পাতার রস কীভাবে তৈরি করবেন।

    আরও পড়ুন: বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যের

    পেঁপে পাতার রস তৈরি করতে বিভিন্ন উপকরণ

    ৪-৫ টি পেঁপে পাতা, ৬-৭ গোলমরিচ, ৬-৭ তুলসী পাতা, ১/৪ গ্লাস জল, এক টুকরো সুতির কাপড় বা একটি রুমালও নিতে পারেন। 

    কীভাবে তৈরি করবেন?

    প্রথমে পেঁপে পাতা ভালো করে ধুয়ে কাপড় দিয়ে মুছে প্লেটে রেখে সব পাতার পেছন থেকে ডাঁটা কেটে নিন। এরপর পাতাগুলোর ছোট ছোট টুকরো কেটে প্লেটে রাখুন। এরপর রস তৈরি করতে, একটি মিক্সার জারে সমস্ত পাতা রেখে এর সঙ্গে কিছু জল, গোলমরিচ এবং তুলসী পাতা যোগ করুন। এবার মিক্সার জারটি ভালোভাবে বন্ধ করে পেঁপে পাতাগুলোকে ভালোভাবে পিষে নিন। এবার একটি গ্লাসে মিশ্রণটি বের করে নিন। এরপরে একটি বাটিতে পরিষ্কার সুতির কাপড়ের সাহায্যে, পিষে রাখা পাতাগুলিকে ছেঁকে নিন। এতে পাতার সব রস বাটিতে চলে আসবে। আর এভাবেই প্রস্তুত পেঁপে পাতার রস।

    তবে এতে কোনও চিনি বা লবণ দেওয়া যাবেনা। প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে দুবার ১০ মিলিলিটার পরিমাণ মত পেঁপে পাতার রস খাওয়া উচিত। পাঁচ থেকে বারো বছর বয়সের শিশুদের ৫ মিলিলিটার ও ৫ বছরের ছোটদের ২.৫ মিলিমিটার পেঁপে পাতার রস খাওয়া উচিত।

LinkedIn
Share