Blog

  • FIFA World Cup: ইতিহাস গড়া হল না মরক্কোর, বিশ্বকাপে তৃতীয় ক্রোয়েশিয়া

    FIFA World Cup: ইতিহাস গড়া হল না মরক্কোর, বিশ্বকাপে তৃতীয় ক্রোয়েশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিরোপা লড়াইয়ের আশা শেষ হয়ে গেলেও জয়ের ক্ষুধা যে মেটেনি, তা শুরু থেকেই ফুটে উঠল দুই দলের পারফরম্যান্সে। সেমিফাইনালে উঠেই ইতিহাস লিখেছিল মরক্কো। তবে সেই ইতিহাস আরও সমৃদ্ধ করা হল না মরক্কোর। তৃতীয় স্থানের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়া জিতল ২-১ ব্যবধানে। অনেকেরই ধারণা ছিল, এই ম্যাচ গুরুত্বহীন, কিন্তু সেই ধারণাকে ভুল মানতে বাধ্য করে ক্রোটরা। গতকালের ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলেছে। তৃতীয় স্থান অধিকারের ম্যাচ হলেও দু’দলকেই আক্রমণাত্মকভাবে খেলতে দেখা গিয়েছে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে উঠেছিল খেলা। দু’দলের টানা আক্রমণের মধ্যেই দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ায় ক্রোটরা কাতার বিশ্বকাপ শেষ করল তৃতীয় হয়ে।

    হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

    গতকালের ম্যাচটি ভারতীয় সময় সাড়ে ৮ টায় শুরু হয়েছিল। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দু’দল ভাঙা মন নিয়ে খেলতে নামে। ফাইনালে যেতে না পারলেও গতকাল দু’দলের ফুটবলারদের মধ্যে দেখা গেছে উত্তেজনা। ফাইনালে উঠতে না পারার আক্ষেপটা তো থাকবেই। তবে ক্রোয়েশিয়া তৃতীয় স্থানের লড়াইয়ের ম্যাচ আর হাতছাড়া করেনি। মরক্কোকে ২-১ হারিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করে তারা। 

    অন্যদিকে এই ম্যাচটি গুরুত্ববপূর্ণ ছিল ক্রোয়েশিয়ার তারকা ফুটবলার লুকা মদ্রিচের জন্য। বিশ্বকাপে সম্ভবত নিজের শেষ ম্যাচটি খেলে ফেললেন তিনি। আজকেও প্রথম গোলটির ক্ষেত্রে তাঁর একটি বড় ভূমিকা ছিল। নিচের দেশকে বিশ্ব ফুটবলের মঞ্চে এক আলাদাই উচ্চতায় তুলে নিয়ে গিয়েছেন এই ক্রোয়েশিয়ান কিংবদন্তি।

    আরও পড়ুন:মেসি বনাম এমবাপে! কাপ কার দখলে? ফাইনালের আগে দ্বিধাবিভক্ত ফুটবল বিশ্ব

    গতকাল ম্যাচ শুরুর ৬ মিনিটেই গোল করেন জস্কো গভর্ডিওল। ক্রোয়েশিয়া ১-০ এগিয়ে যায়। এরপর গোল খাওয়ার ৩ মিনিটের মধ্যেই গোলশোধ। আচরফ দারি গোল করে ১-১ করলেন। প্রথমার্ধেই ম্যাচের স্কোরকে সমতায় আনে মরক্কো। এবং মিরোস্লাভ ওরসিচ। মরক্কোর হয়ে একমাত্র গোলটি আচরফ দারির। গতকাল ক্রোয়েশিয়াকে পুরো আক্রমণের মেজাজে দেখা গিয়েছে। গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল ক্রোটরা। কিন্তু ম্যাচের ২৫ মিনিটেও খেলার ফল ছিল ১-১। এরপর ৪২ মিনিটে ফের ব্যবধান বাড়াল ক্রোয়েশিয়া। মিসলাভ ওরসিচের গোলে বিরতির আগে ২-১ করল ক্রোটরা। অন্যদিকে ইতিহাস গড়ার জন্য মরক্কোও চেষ্টা করে চলেছিল লিড বাড়ানোর জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়।

    ১৯৯৮ সালের পর ফের তৃতীয়…

    ১৯৯৮ সালে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়ার ২৪ বছর পর দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপে তৃতীয় হল ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৮ সালে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচটিতে নেদারল্যান্ডসকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা। আর চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হয় ক্রোয়েশিয়া, বিশ্ব সেরার মঞ্চে সেটাই তাদের সেরা সাফল্য। ফলে ফাইনালে না যাওয়ার আক্ষেপ থাকলেও শেষ লড়াইটা ভালোই হয়েছে ক্রোটদের।

  • Measles: ভারতে হামে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার পার, মৃত্যু ৪০ জনের

    Measles: ভারতে হামে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার পার, মৃত্যু ৪০ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হামে (Measles) আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১২ ডিসেম্বর অবধি দেশজুড়ে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১০,৪১৬ জন। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। সংসদেও উঠেছে বিষয়টি।

    কী বললেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী? 

    শুক্রবার সংসদে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, “মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা (Measles) সব থেকে বেশি, ৩০৭৫। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এরপরেই তালিকায় রয়েছে ঝাড়খণ্ড। আক্রান্তের সংখ্যা ২,৬৮৩। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।” ২০২২ সালের নভেম্বরে হামের বাড়বাড়ন্ত হয় দেশজুড়ে। সবচেয়ে বেশি এই রোগ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, গুজরাট এবং কেরলে।

    কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত (Measles) শিশুদের অধিকাংশই প্রতিষেধকহীন, এবং আক্রান্ত অঞ্চলে হাম ও রুবেলার প্রতিষেধক প্রদানের পরিমাণ জাতীয় গড়ের তুলনায় কম। এই ঘটনা অপ্রত্যাশিত নয়। অতিমারির শুরু থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্য বিশেষজ্ঞরাও বারংবার সতর্ক করেছিলেন, যাতে কোনও ভাবেই জাতীয় প্রতিষেধক প্রদানের কর্মসূচিটি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। অন্যথায় যে রোগগুলির প্রকোপ প্রতিষেধকে নির্মূল হয়েছে, তা ফের ফিরে আসবে। অতিমারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্য পরিষেবা। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। 

    হাম (Measles) হল মরিবিলিভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি ভাইরাল সংক্রমণ। এই ভাইরাস সবার প্রথমে রোগীর শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণ করে। কাশি এবং হাঁচির দ্বারা এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। সংক্রমিত রোগীর ব্যবহার করা জিনিসে হাত দিয়ে সেই হাত চোখে কিংবা মুখে দিলে অপর ব্যক্তির শরীরে অনাসায়ে প্রবেশ করে হামের ভাইরাস। মূলত শিশুদের এই রোগ হয়ে থাকে।

    আরও পড়ুন: একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দায়িত্ব হারাতে পারে ভারত? নেপথ্যে কর জটিলতা 

    এখনও অবধি সেই অর্থে হামের (Measles) কোন ওষুধ নেই। যত্ন এবং সুষম আহার ধীরে ধীরে সুস্থ করে তুলতে পারে রোগীকে। সচেতন না হলে নিউমোনিয়ে, ব্রঙ্কাইটিস, কাশি, পেটের গণ্ডগোল নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে প্রাণহানির আশঙ্কাও থেকে যায়।

    হাম (Measles) বা বসন্তের প্রতিকার বলতে একমাত্র টিকাকরণ। বিগত দুই বছরে করোনার জেরে হাম, রেবেলা, মাম্পসের টিকাকরণের কাজ ব্যহত হয়েছে। যার কারণে মারাত্মক ভাবে সংক্রমিত হচ্ছে এই ভাইরাস। তবে পর্যাপ্ত ভাবে যদি হাইজিনের বিষয়টা মাথায় রাখা যায় তা হলেও অনেক ক্ষেত্রে উপকার হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ICC ODI World Cup 2023: একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দায়িত্ব হারাতে পারে ভারত? নেপথ্যে কর জটিলতা

    ICC ODI World Cup 2023: একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দায়িত্ব হারাতে পারে ভারত? নেপথ্যে কর জটিলতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩- এ এক দিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের (ICC ODI World Cup 2023) আয়োজক দেশ হওয়ার কথা ভারতের। এই অবধি এমনটাই ঠিক রয়েছে। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুববে না তো! জল্পনা তৈরি হয়েছে ভারত থেকে নাকি বিশ্বকাপ সরিয়েও নিতে পারে আইসিসি। এমনটা হলে দায়ী হবে কর সংক্রান্ত জটিলতা। বিভিন্ন রিপোর্ট মারফত জানা যাচ্ছে হোস্টিং রাইটস হারাতে পারে ভারত। ভারত থেকে বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়া ছাড়া হয়তো কোনও উপায় নেই খোলা নেই আইসিসি’র সামনে।

    কী জটিলতা? 

    জানা গিয়েছে কর ছাড় নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভারত সরকারের কাছে করে ছাড় চেয়েছে আইসিসি (ICC ODI World Cup 2023)। কিন্তু তাতে রাজি নাও হতে পারে কেন্দ্র। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপ ভারত থেকে সরিয়ে নিতে পারে আইসিসি। ২০১৬ সালেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়ও কর ছাড় সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছিল।

    ভারতের ট্যাক্স অথরিটির কাছ থেকে অন্তবর্তীকালীন ট্যাক্স বেনিফিট পাওয়ার পরই ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এই দেশে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইসিসি (ICC ODI World Cup 2023)। ভারতের রাজস্ব ভাগ থেকে ১০.৩ শতাংশ সারচার্জ রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল আইসিসিকে এবং সেই মামলা এখনও লড়ছে বিসিসিআই। ২০২৩ বিশ্বকাপের ক্ষেত্রেও আরও একটি অন্তবর্তীকালীন ট্যাক্স বেনিফিট পেয়েছে আইসিসি। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে যে বিষয়টিতে খুশি নয় বিসিসিআই।

    আইসিসির (ICC ODI World Cup 2023) নীতি অনুযায়ী যে দেশে আইসিসির ইভেন্ট আয়োজিত হবে সেই দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে কর ছাড়ের বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে। বিসিসিআই ইতিমধ্যেই আইসিসিকে জানিয়ে দিয়েছে, এই বিষয়ে তাদের এবার কিছু করার নেই। ২০১৬ সালেও কর ছাড় দেওয়ার বিষয়ে রাজি হয়নি ভারত সরকার। এর ফলে ১৯০ কোটি টাকা ক্ষতি হয় বিসিসিআই-এর। সরকার ছাড় না দেওয়ায় বিসিসিআই-এর রেভিনিউ থেকে সেই অর্থ কেটে নেয় আইসিসি। ২০২৩ বিশ্বকাপের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নিতে পারে ভারত সরকার। এই জটিলতায় এখনও অনিশ্চয়তায় বিশ্বকাপের ভাগ্য।

    আরও পড়ুন: “টাইম হো গ্যায়া”, শাহী সাক্ষাতের পরই রহস্যময় ইঙ্গিত শুভেন্দুর

    এদিকে এরই মাঝে বড় ঘোষণা করলেন বিসিসাই (ICC ODI World Cup 2023) সচিব জয় শাহ। জয় শাহ জানিয়েছেন, পাকিস্তানে আসন্ন সংস্করণের এশিয়া কাপে অংশ নিতে না-ও যেতে পারে ভারতীয় দল। পাশাপাশি এশিয়া কাপ পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়াও হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে। দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট খেলাও বন্ধ করেছে দুই দেশ। এরই মাঝে জয়ের এই ঘোষণায় উত্তাল হয় ক্রিকেট বিশ্ব। 

    জয় শাহের (ICC ODI World Cup 2023) মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবি চেয়ারম্যান রামিজ রাজা বলেন, “নিজের ইচ্ছামতো সব কিছু করতে পারে না বিসিসিআই। পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এশিয়া কাপে দল না পাঠালে ভারতের মাটিতে হতে চলা ২০২৩ বিশ্বকাপ বয়কটের ডাক দেবে পাকিস্তান।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Loan App Scam: মুম্বই থেকে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার লোন অ্যাপ প্রতারণা চক্রের ‘মাস্টারমাইন্ড’

    Loan App Scam: মুম্বই থেকে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার লোন অ্যাপ প্রতারণা চক্রের ‘মাস্টারমাইন্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোন অ্যাপ প্রতারণা চক্রের (Loan App Scam) মাস্টারমাইন্ড-কে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। ধৃত এই যুবতী দুবাই থেকে বসে প্রতারণার কারবার চালাচ্ছিলেন। এই নিয়ে একাধিক অভিযোগও জমা পড়েছে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের। কলকাতার এক বাসিন্দাকে ঠকানোর অভিযোগে এবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ধৃতের নাম সোনিয়া খারাটমল ও তিনি দুবাইয়ের বাসিন্দা। মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত মহিলাকে।

    লোন অ্যাপ প্রতারণার চক্রের মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত সোনিয়া বোনের বিয়েতে যোগ দিতে দুবাই থেকে মুম্বইয়ে এসেছিলেন। আর সেসময়েই কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার জালে ধরা পড়লেন এই যুবতী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋণ দেওয়ার নাম করে তথ্য হাতিয়ে ব্ল্যাকমেল করত এই যুবতী। এইভাবে প্রতারণা করেই একাধিক ব্যক্তির থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। এমনকী গত ২৭ জুন লালবাজারে এই নিয়ে একটি অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। তদন্তে নেমে একটি বড় চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের তথ্যও পুলিশের হাতে উঠে আসে।

    আরও পড়ুন: ফের কলেজিয়ামকে নিশানা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর! কী বললেন, জানেন?

    তবে তার আগে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল একই ঘটনায় (Loan App Scam)। তাদের জেরা করেই মাস্টারমাইন্ডের কথা জানা যায়। তখন তদন্ত করে দেখা যায় এই যুবতী দুবাইয়ে বসে প্রতারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্রেও এরা প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ। তবে‌ এবারে পুলিশের জালে স্বয়ং মাস্টারমাইন্ড। আরও জানা গিয়েছে, সোনিয়া মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা এবং গত ৬ মাস ধরে তিনি দুবাইয়ে। আর সেখান থেকেই সবাইকে কন্ট্রোল করতেন।

    এই বিষয়ে ডিসি সাইবার ক্রাইম অতুল ভি বলেন, ‘প্রতারণার (Loan App Scam) মাস্টারমাইন্ড সোনিয়াকে শুক্রবার আদালতে তোলা হয়েছে। এই যুবতী রীতিমত হুমকি দিয়ে ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রতারণা করতেন। নানা ব্যাঙ্কের সঙ্গে আঁতাত করে কোটি টাকা রোজগার করেছেন কয়েক মাসে। অভিযুক্ত সোনিয়াকে কলকাতায় নিয়ে আসার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।

  • Aadhaar-Voter ID Linking: ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার যুক্ত করা বাধ্যতামূলক নয়! কী জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    Aadhaar-Voter ID Linking: ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার যুক্ত করা বাধ্যতামূলক নয়! কী জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধারের লিঙ্ক করা না হলেও কারোর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে না। ১৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার সংসদে তিন সাংসদের প্রশ্নের জবাবে সাফ জানালেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু।

    আধার কার্ড – ভোটার আইডি যুক্ত করা নিয়ে অনেকের মনেই একাধিক প্রশ্ন। অনেকে জানেন, ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্তটা করাটা বাধ্যতামূলক। আবার অনেকে বলেন, ভোটার-আধার আইডি লিঙ্ক করার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। আবার কিছু সোশ্যাল মিডিয়াতে বলা হয়েছে, ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত না করলে ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়বে নাম।  ফলে পুরো বিষয়টির কোনও কিছুই নিশ্চিত নয়। কিন্তু এবারে এই বিষয়টি সংসদে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

    আরও পড়ুন: ‘এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়…’, কেন বললেন বিজেপি নেতা, জানেন?

    কিরেন রিজিজু কী ঘোষণা করলেন?

    আইন মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ভোটার আইডি ও আধার কার্ডের লিঙ্ক করা নিয়ে বলেন, ” ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত করাটা একেবারেই ভোটারদের ইচ্ছাধীন। এটা না করলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ করার কোনও সম্ভাবনাই নেই।” আরও জানানো হয়েছে, লিঙ্ক করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারদের সম্মতি নিতে হবে। নির্বাচনী আইন (সংশোধনী), ২০২১-এ নির্বাচনী আধিকারিকদের শুধুমাত্র পরিচয় প্রমাণের জন্য ভোটারদের আধার নম্বর জিজ্ঞেস করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, ভোটাররা না চাইলে, তা নাও দিতে পারেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।

    চলতি বছরের ১ অগাস্ট থেকে ভারতের নির্বাচন কমিশন ভোটারদের ইচ্ছার ভিত্তিতে তাঁদের আধার নম্বর সংগ্রহ করা শুরু করেছে। তবে, এরপরই অভিযোগ উঠেছিল, নির্বাচন কর্তৃপক্ষ ভোটার পরিচয়পত্রের সঙ্গে আধার সংযোগ করা বাধ্যতামূলক করেছে। আধার-ভোটার কার্ড লিঙ্ক করা সংক্রান্ত দুটি বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদনও করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, সরকারি নিয়ম এবং বিজ্ঞপ্তি জারি করে, ভারতের নির্বাচন কমিশন নাগরিকদের আধার নম্বর ভোটার তালিকার সঙ্গে লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক করতে চাইছে। কিন্তু এরপরেই ভোটার বা আধার লিঙ্ক করা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠলে কিরেন রিজিজু স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, আধার কার্ড না থাকলেও, ভোটার তালিকায় নাম থাকা কোনও নাগরিকের ভোট দিতে অসুবিধা হবে না। যদি কোনও নাগরিক আধার-ভোটার লিঙ্ক করাতে চাইলে করবেন ও আবার যদি কেউ লিঙ্ক করতে না চান, তবে করবেন না। পুরো বিষয়টি নাগরিকদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।

  • West Bengal Weather: রাজ্যে জাঁকিয়ে বসেছে কনকনে শীত, কলকাতায় পারদ নামল ১৩ ডিগ্রির ঘরে!

    West Bengal Weather: রাজ্যে জাঁকিয়ে বসেছে কনকনে শীত, কলকাতায় পারদ নামল ১৩ ডিগ্রির ঘরে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার মরশুমের শীতলতম দিন। তাপমাত্রার পারদ নেমে গেল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। গতকালের থেকেও আজ তাপমাত্রা কমেছে। ফলে কার্যত আদর্শ ‘উইন্টার উইনএন্ড’ বলা যেতেই পারে। জাঁকিয়ে শীতের আমেজে বেজায় খুশি শীতপ্রেমীরা। আগামী কয়েকদিন আরও পারদ পতনের ইঙ্গিত দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কিন্তু আগামী ২-৩দিন পর ফের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের (West Bengal Weather)।

    কলকাতায় মরশুমের শীতলতম দিন

    গতকাল তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির ঘরে নামলে বলা হয়েছিল শীতলতম দিন। কিন্তু আজ আরও পারদ পতন হয়ে তাপমাত্রা নেমেছে ১৩ ডিগ্রির ঘরে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। আবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে কম আছে। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। ফলে শহর কলকাতায় জাঁকিয়ে বসেছে শীত। সারাদিন বজায় থাকবে হিমেল হাওয়ার পরশ (West Bengal Weather)।

    পশ্চিমবঙ্গের উপর এখন জোরালো উত্তর-পশ্চিম বাতাস আছে। তার জেরে রাজ্যে চড়চড় করে তাপমাত্রা কমছে। আগামী এক থেকে দু’দিন এরকম তাপমাত্রা থাকবে। জলীয় বাষ্প কম থাকায় শীতল শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে রাজ্যে।

    জেলার আবহাওয়া

    জেলায় জেলায় পারদ পতনের ধারা জারি। জেলায় তাপমাত্রা ১০-১১ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় দশের নিচেও নেমে যেতে পারে তাপমাত্রা। কোনও কোনও জেলায় তাপমাত্রা এখনই ৮ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে শীতের দাপট বেশি থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড় ছিল শীতলতম জায়গা। সকালে সেখানকার তাপমাত্রা ছিল ৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলেও নেমেছে পারদ। সেখানে সকালে তাপমাত্রা ছিল ১১.৯। পুরুলিয়াতেও তাপমাত্রা নামে। সকালে তাপমাত্রা ছিল ১০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বীরভূমের শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রা ছিল ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৩ দিন আবহাওয়া এমনই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর (West Bengal Weather)।

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    কনকনে ঠান্ডায় সকাল থেকেই জবুথবু উত্তরের সব জেলাই। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য জেলাগুলিতে তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না আগামী পাঁচদিন। উত্তরবঙ্গের নীচের জেলাগুলির তাপমাত্রা সামান্য কমবে। উত্তরবঙ্গে তেমন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। শুধুমাত্র দার্জিলিং ও কালিম্পঙের দু’এক জায়গায় খুব হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে (West Bengal Weather)।

    আলিপুর আবহাওয়া সূত্রে খবর, আপাতত দক্ষিণবঙ্গেরও কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গে শুষ্ক পরিস্কার আবহাওয়া থাকবে। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত কনকনে শীতের আমেজ বজায় থাকবে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে রবিবার (West Bengal Weather)।

  • Anubrata Mondal: অন্য অভিযুক্তদের থেকে অনুব্রত অনেক বেশি প্রভাবশালী! জামিন প্রসঙ্গে মত হাইকোর্টের

    Anubrata Mondal: অন্য অভিযুক্তদের থেকে অনুব্রত অনেক বেশি প্রভাবশালী! জামিন প্রসঙ্গে মত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টেও জামিন মিলল না বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পর এবার বড়দিনও জেলেই কাটাতে হবে অনুব্রতকে। তাঁর জামিনের পথে মূল কাঁটাই হচ্ছে ‘প্রভাবশালী’ তকমা। অনুব্রত জেলে থাকা সত্ত্বেও শুধু সাক্ষী নন, এই মামলায় বিচারককেও হুমকি শুনতে হয়েছে, তাহলে তিনি জেলের বাইরে থাকলে কী হতে পারে তা ভেবেই শঙ্কিত সকলে। সে কথা মেনে নিল হাইকোর্টও। 

    কী বললেন বিচারক

    গরুপাচার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে জামিন চেয়ে মামলা করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার এই মামলায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘শুধু কয়েক জন সাক্ষী নন, বিচারকও হুমকির শিকার! মামলায় অন্য জামিন পাওয়া অভিযুক্তদের থেকে অনুব্রত অনেক বেশি প্রভাবশালী এটা স্পষ্ট।’’এদিন সওয়াল চলাকালীন অনুব্রতের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘এই মামলায় অভিযুক্ত ইমানুল হক জামিন পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট থেকে। জামিন দেওয়া হয়েছে সতীশ কুমারকেও। যিনি এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত।’’তাহলে অনুব্রত কেন এতদিন পরেও জামিন পাবেন না? সিব্বলের এই প্রশ্ন শুনে বিচারপতি বাগচী পাল্টা বলেন, ‘‘এটা বাস্তব যে যাঁরা জামিন পেয়েছেন, তাঁদের থেকে মামলাকারী অনেক বেশি প্রভাবশালী। এক বিচারক হুমকির কথা জানিয়েছেন। এটা আদালত লঘু করে দেখতে পারে না। সিবিআই জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ এক সাক্ষী নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছেন।’’

    আরও পড়ুন: সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! অনুব্রতর হয়ে মামলার খরচ চালাচ্ছে কে? তদন্তে ইডি

    বিচারকের যুক্তির পর সিব্বল বলেন,‘এই বিষয়গুলি কেস ডায়রিতে লেখা থাকলেও প্রমাণিত সত্য নয়। প্রমাণ হলে তখন জামিন দেবেন না। এই মামলায় অনুব্রত মণ্ডল মূলচক্রী নন। এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়নি সিবিআই।’‌এর বিরোধিতা করে সিবিআই জানায়, ‘বগটুই মামলার সঙ্গে যুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর পর এই মামলার তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তাই এই অবস্থায় অনুব্রতকে জামিন দেওয়া উচিত নয়।’ এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ ডিসেম্বর। ওই দিন সব পক্ষকে প্রয়োজনীয় নথি পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ranji Trophy: মনোজের দুরন্ত ইনিংস! জয় দিয়েই রঞ্জি অভিযান শুরু বাংলার

    Ranji Trophy: মনোজের দুরন্ত ইনিংস! জয় দিয়েই রঞ্জি অভিযান শুরু বাংলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়ে জয় দিয়েই রঞ্জি ট্রফির অভিযান শুরু করল বাংলা। দুরন্ত ইনিংস উপহার দিলেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। শুক্রবার, শেষ দিনে বাংলাকে জিততে হলে করতে হতো ১০১ রান, হাতে ছিল ৮ উইকেট। এদিন ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলা। অর্ধশতরান করেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি, কৌশিক দাস ও অনুষ্টুপ মজুমদার। দুই ইনিংস মিলিয়ে সাত উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন ঈশান পোড়েল।

    ম্যাচের হাল হাকিকত 

    টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলা। প্রথম ইনিংসে উত্তরপ্রদেশ তোলে ১৯৮ রান। জবাবে খেলতে নেমে বাংলার প্রথম ইনিংস থেমেছিল ১৬৯ রানে। প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার লাভ অবশ্য তুলতে পারেনি উত্তরপ্রদেশ। বাংলার বোলারদের দাপুটে পারফরম্যান্সের জেরে ২২৭ রানে শেষ হয় উত্তরপ্রদেশের দ্বিতীয় ইনিংস।  রিঙ্কু সিংহ ৮৯ রান করেন। শতরানের কাছে এসেও ব্যর্থ হন তিনি। আকাশদীপ নাথ করেন ৫৩ রান। বাকি আর কোনও ব্যাটার সে ভাবে রান করতে পারেননি। শেষ বেলায় শিবম শর্মা ৩১ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাংলার হয়ে আকাশ নেন তিনটি উইকেট। দু’টি করে উইকেট নেন ঈশান পোড়েল, প্রীতম চক্রবর্তী এবং সায়নশেখর মণ্ডল। একটি উইকেট নেন শাহবাজ আহমেদ। বোলাররা দাপট দেখালেও কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা রিঙ্কুকে থামাতে পারেনি বাংলা। তাঁর ব্যাটের দাপটেই বাংলার সামনে জয়ের জন্য ২৫৭ রানের লক্ষ্য রাখে উত্তরপ্রদেশ। 

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজে অনিশ্চিত জাদেজা, শামি! পরিবর্তে ভারতের হয়ে খেলবেন কে?

    সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আউট হন অভিষেক দাস। ৯ রান করে আউট হন শিবম মাভি। সুদীপ কুমার আউট হন ২২ রান করে। তাঁর উইকেটটিও নেন মাভি। ৬১ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাকে রানে ফেরান কৌশিক এবং অনুষ্টুপ। শেষ বেলায় অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন মনোজ। ১০৮ বলে ৬০ রানে অপরাজিত রইলেন, তাঁর ইনিংস সাজানো সাতটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে। বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন ভারতের টেস্ট দলে থাকায় মনোজ ইউপি ম্যাচে নেতৃত্ব দিলেন বাংলাকে। বারবারেই তিনি বলে থাকেন, অবসরের আগে বাংলাকে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন করাতে চান। সেই লক্ষ্যে প্রথম ধাপ পার করলেন। মনোজের সঙ্গে ৫ বলে ২ রান করে অপরাজিত থাকেন শাহবাজ আহমেদ। শিবম মাভি ২টি এবং অঙ্কিত রাজপুত ও রিঙ্কু সিং একটি করে উইকেট দখল করেন। লক্ষ্মীরতন শুক্লা বাংলার হেড কোচ হিসেবে এদিনই প্রথম রঞ্জি ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • FIFA World Cup: ‘ক্যামেল ভাইরাস’-এ আক্রান্ত ফরাসি শিবির! ফাইনালের আগে সেরা একাদশ নিয়ে চিন্তায় ফ্রান্স

    FIFA World Cup: ‘ক্যামেল ভাইরাস’-এ আক্রান্ত ফরাসি শিবির! ফাইনালের আগে সেরা একাদশ নিয়ে চিন্তায় ফ্রান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরপর দুবার বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি ফ্রান্সের সামনে। রবিবার, আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ব্যাক-টু-ব্যাক চ্যাম্পিয়ন হওয়ান লক্ষ্যেই নামবে এমবাপেরা। কিন্তু বিধি-বাম। ফাইনালের আগে  হুগো লরিসের দলের একাধিক সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সেরা একাদশকে মাঠে নামানো নিয়ে চিন্তায় ফরাসি শিবির। 

    কী হল

    ফ্রান্সের অন্তত তিন জন ফুটবলার ‘কোল্ড ভাইরাস’ বা ঠান্ডার ভাইরাসে আক্রান্ত। এই ভাইরাস সাধারণত কাতারে ‘ক্যামেল ভাইরাস’ নামে পরিচিত। দুই ফুটবলার রক্ষণ ভাগের দায়োত উপামেকানো এবং মাঝমাঠের আদ্রিয়েঁ হাবিয়েঁর শরীর বেশ খারাপ।  তাঁদের বাকিদের থেকে আলাদা রাখা হয়েছে। ফ্রান্স শিবিরের আশা, ফাইনালের আগে এখনও হাতে দিন দুয়েক সময় থাকায় বড় ম্যাচে সেরা দল নামাতে সমস্যা হবে না। তবে দলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে সমস্যা। অসুস্থ ফুটবলারের সংখ্যা আরও বাড়লে উদ্বেগ বাড়বে। অসুস্থ রয়েছে কিংসলে কোমানও।

    আরও পড়ুন: তোমরা ইতিহাস লিখেছো! ম্যাচ শেষে বন্ধু হাকিমির জার্সি গায়ে বললেন এমবাপে

    কীভাবে ছড়াল ভাইরাস

    ফরাসি কোচ দেশঁ বলেছেন, ‘‘এই মরসুমে ফ্লু হয়। সেটাই হচ্ছে অনেকের। আমরা সবাই সাবধানে থাকার চেষ্টা করছি। ফুটবলারদের অনেকের সমস্যা হচ্ছে। অনেকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু কমে গিয়েছে।’’ দেশঁ মনে করছেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র থেকে সংক্রমণ হতে পারে। কারণ কাতারের স্টেডিয়ামগুলিতে তাপমাত্রা সহনশীল রাখার জন্য শীতাতপ যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। খেলা দেখতে বিভিন্ন দেশের হাজার মানুষ আসছেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মাধ্যমে এ ধরনের ফ্লু সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। কাতারে তাপমাত্রার রদবদলও এই ধরনের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণ। বিশ্বকাপ শুরুর সময় থেকে কাতারে তাপমাত্রা ছিল ২৫ডিগ্রির উপরে হঠাতই গত কয়েকদিনে পারদ পতন ঘটে এর ফলে আক্রান্ত হতে পারেন ফুটবলাররা।  এর আগে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন সুইৎজারল্যান্ড ও ব্রাজিলের ৬-৭ জন ফুটবলার। তবে এখনই এসব নিয়ে ভাবতে নারাজ ফরাসি কোচ। তিনি জানান, যাঁরা আছেন, তাঁরা এখন ফাইনালের জন্য হোমওয়ার্ক করছে। সকলেই সতর্ক থাকার চেষ্টা করছে। শনিবার ম্যাচ নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করবেন বা দল সাজাবেন দেশঁ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tawang: তাওয়াংয়ে লাল ফৌজকে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করেছে ভারত, জানালেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান

    Tawang: তাওয়াংয়ে লাল ফৌজকে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করেছে ভারত, জানালেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে (Tawang) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল চিনা (China) সেনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)। তাদের দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করেছে ভারতীয় সেনা। শুক্রবার এ কথা জানালেন সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাণাপ্রতাপ কলিতা। তিনি এও জানান, বুমলায় দুই দেশের প্রতিনিধিরা ফ্ল্যাগ মিটিংও করেছে। তার পরেই সমস্যার সমাধান হয়েছে।

    নেপথ্য কাহিনি…

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে ভারতীয় সেনা রুটিনমাফিক টহল দিচ্ছিল। টহলদারির সময়ে চিনা সেনার অন্তত ৩০০ জনের একটি দল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার করার চেষ্টা করে। ভারতীয় ভূখণ্ডে পা রাখারও চেষ্টা করে চিনা সেনারা। তারা ভারতীয় সেনার টহলদারির কাজে বাধা দেয়। এলাকা দখল নিয়ে বাদানুবাদ শুরু করে লাল ফৌজ। যদিও পাল্টা প্রস্তুত ছিল ভারতীয় সেনাও। চিনের সমস্ত ছক ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আর তা করতেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে ভারত ও চিনের বাহিনী। শুধু তাই নয়, ধাক্কা দিয়ে সীমান্ত থেকে লাল ফৌজকে ভারতীয় সেনার জওয়ানরা বার করে দেয়। তার আগে বেশ কিছুক্ষণ ধরে ভারত এবং চিনের বাহিনীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। জানা গিয়েছে, ভারতীয় জওয়ানদের আঘাত খুব একটা গুরুতর নয়। তাঁদের হাতে, পায়ে এবং পিঠে আঘাত লেগেছে। ঘুষির কারণেও মুখে আঘাত লেগেছে। সেনা সূত্রে খবর, ভারতীয় সেনার চেয়ে ঢের বেশি আঘাত পেয়েছে চিনের জওয়ানরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘আপনার মন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?’’, পাক সাংবাদিককে জবাব জয়শঙ্করের

    এদিন ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের ফাঁকে পূর্বাঞ্চলীয় জিওসি-ইন-সি কলিতা বলেন, আপনারা জানেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর আটটি অমীমাংসিত এলাকা রয়েছে। টহলদারির সময় এরকম একটি জায়গা দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে চিনা সেনা। তাদের দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং (Tawang) সেক্টরে ঢোকার চেষ্টা করেছিল পিপলস লিবারেশন আর্মি। তারা স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছিল। রাজনাথ সিং জানান, ভারতীয় সেনাদের তৎপরতায় দ্রুত তাদের ফেরত পাঠানো গিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের ভূখণ্ড অটুট রাখতে আমাদের সেনারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরকম কোনও চেষ্টা হলে, যে কোনও মূল্যে তা প্রতিরোধ করার চেষ্টাও করবে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share