Blog

  • Durga Puja Weather Update: দুর্গাপুজোতে চারদিনই বৃষ্টি! কোন কোন দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    Durga Puja Weather Update: দুর্গাপুজোতে চারদিনই বৃষ্টি! কোন কোন দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেমনটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, ঠিক তেমনটাই হল। উৎসবের আনন্দকে মাটি করে দিতে হাজির বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, পুজোর দিনগুলোতে বৃষ্টির (Rainfall) সম্ভাবনা রয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর স্বল্প থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। ২ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর, অর্থাৎ পুজোর চারদিনই ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পেছনের কারণ হল ঘূর্ণাবর্ত।

    জানা গিয়েছে, ১ অক্টোবর পূর্ব-মধ্য এবং উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণাবর্ত। আর এর জেরেই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তমী থেকে বৃষ্টি বাড়বে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)। শুধু দক্ষিণবঙ্গেই নয়, বৃষ্টির চোখ রাঙানি থেকে বাদ পড়বে না উত্তরবঙ্গও (North Bengal)। নবমী এবং দশমীতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। সুতরাং উত্তরবঙ্গে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। কিন্তু ৪ ও ৫ অক্টোবর উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে কি ভাসবে পুজো? আশঙ্কার ঘুর্ণাবর্ত বঙ্গোপসাগরে

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গে আজও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। ২ অক্টোবর থেকে কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোন কোন জেলায় পুজোয় ঠিক কতটা বৃষ্টি হবে, তা আগামীকাল বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ জানাবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    বিগত দুবছর করোনার দাপটে উৎসবে তেমন কোনও মজা করতে পারেনি বঙ্গবাসী। ফলে এবারে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমায় ফের আনন্দে মেতে উঠেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের আনন্দে ফের ব্যাঘাত ঘটাতে আসছে বৃষ্টি।

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ফের ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ, কতটা প্রভাব পড়বে বাংলায়? 

  • Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় কেন হবে সিআইডি তদন্ত? রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের

    Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় কেন হবে সিআইডি তদন্ত? রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) রাজ্য পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এবার এই মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে তাদের বক্তব্য তিন সপ্তাহের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে (PIL filed in Calcutta High Court)। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-কন্যার ব্যাংকের নথি চাইল সিবিআই! মেয়ের অ্যাকউন্ট থেকেই কি লেনদেন? 

    গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে সিবিআই। একই মামলায় রাজ্য পুলিশ কেন পৃথক তদন্ত করবে, এই প্রশ্ন তুলে মামলা করেছিলেন সুমন শংকর চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। এ দিন মামলাকারীর আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, “রাজ্য পুলিশের থেকে সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত নিয়ে যেতে চাইছি। কারণ সিবিআই ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত করছে। রাজ্যের তদন্তের এক্তিয়ার নেই।” তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে চলতি বছরের ১০ জুন গ্রেফতার করা হয় । পুরনো একটি মামলায় রাজ্য এই ঘটনায় তদন্ত করে ২০১৯ সালেই চার্জশিট দিয়ে দেয়। কিন্তু সেই মামলা ফের ১২ জুলাই নতুন করে উত্থাপন করা হয়েছে। সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করার পর রাজ্য ১০ জুলাই এই মামলায় ফের তদন্ত করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানায়। অথচ আগে চার্জশিটে পরবর্তী তদন্তের আর্জি ছিল না। সিবিআই দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত করছে। পরবর্তী তদন্তের দরকার হলে তা সিবিআই করতে পারে। রাজ্য পুলিশ হঠাৎ করে কেন এত সক্রিয় হয়ে উঠল?”   

    রাজ্যের তরফের আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (এজি) এদিন শুনানির সময় পাল্টা প্রশ্ন করেন, “২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর বিএসএফের এফআইআর-এর ভিত্তিতেই রাজ্য তদন্ত শুরু করেছিল। এতদিন পরে কেন এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা?” সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, “এনামুল হক নামে গরুপাচার চক্রের মাথাকে গ্রেফতার করার পর সিবিআই জানতে পারে মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলায় এই চক্র অত্যন্ত সক্রিয়। এই ধরনের সীমান্তবর্তী এলাকায় সিবিআই তদন্ত করছে কারণ এর সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। রাজ্যই সুপ্রিম কোর্টের একটা মামলায় বলেছে, সিবিআই এই ব্যাপারে কিছু করছে না।” 

    আরও পড়ুন: দুটি গাড়ি দিয়েছিলেন নেতাকে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব সিবিআই-এর   

    আইনজীবী জয়দীপ কর ফের বলেন, “তদন্ত স্থগিত রাখার কোনও আর্জি আমরা জানাচ্ছি না। আমরা চাই তদন্ত সিবিআই করুক। সীমান্ত বিষয়টি কেন্দ্রের আওতায় পড়ে।” দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পরেই বিচারপতি তিন সপ্তাহে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ নভেম্বর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • PFI Ban: লক্ষ্য ছিল দাঙ্গা! আর একটা ‘শাহিনবাগ’-এর ছক কষেছিল পিএফআই?

    PFI Ban: লক্ষ্য ছিল দাঙ্গা! আর একটা ‘শাহিনবাগ’-এর ছক কষেছিল পিএফআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi) বড়সড় অশান্তি পাকানোর ছক কষেছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India), সংক্ষেপে পিএফআই (PFI)। অন্তত দিল্লি পুলিশের দাবি এমনই। আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআই ও তার অনুমোদিত বিভিন্ন সংস্থাকে। তার পরেই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার ধরপাকড়। তার পরেই দিল্লি পুলিশ ফাঁস করেছে সদ্য নিষিদ্ধ ওই সংগঠনের পরিকল্পনা।

    জানা গিয়েছে, নিষিদ্ধ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া দিল্লির শাহিনবাগ আন্দোলনের মতো একটি আন্দোলন সংগঠিত করার পরিকল্পনা করেছিল। দেশে দাঙ্গা এবং সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টির ছকও কষেছিল ওই ইসলামিক সংগঠন।

    জেলায় জেলায় গোয়েন্দাও নিয়োগ করেছিল পিএফআই। সূত্রের খবর, পিএফআই জেলাস্তরে গোয়েন্দা বিভাগ খুলেওছিল। এই গোয়েন্দারা তথ্য সংগ্রহ করতেন। সেগুলি পাঠিয়ে দেওয়া হত পিএফআইয়ের ক্যাডারদের কাছে। পিএফআইয়ের হিটলিস্টে যাঁরা ছিলেন, মূলত তাঁদের সম্পর্কেই তথ্য সংগ্রহ করতেন গোয়েন্দারা। অন্য একটি সাংবাদ মাধ্যম সূত্রেও জানা গিয়েছে, এই সংগঠন ২০২০ সালে উত্তর-পূর্ব ভারতে হিন্দু-বিরোধী দাঙ্গার মতো ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিল।

    আরও পড়ুন : পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে স্বাগত মুসলিম সম্প্রদায়ের

    সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক মহলের সহানুভূতি কুড়োতে পিএফআইয়ের একটি গোষ্ঠী গণআন্দোলনও সংঘটিত করেছিল। এই গোষ্ঠী বোধহয় রাজনৈতিক, তবে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাদের যোগ ছিল। পূর্ব দিল্লির দাঙ্গার মতো ঘটনাও ঘটাতে চেয়েছিল তারা।

    এদিকে, পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলন হতে পারে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমন আশঙ্কা করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। জামিয়া নগর এলাকা, যেখানে এই বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত, সেখানে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে দিল্লিতে যে হিন্দু বিরোধী দাঙ্গা হয়েছিল, তা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর দিল্লির শাহিনবাগে শুরু হয়েছিল সিএএ বিরোধী আন্দোলন। এটা তারই জের।

    এদিকে, ২৭ সেপ্টেম্বর এনআইএ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় ধরপাকড় শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এই দফায় আটটি রাজ্যে চলেছে অভিযান। আটক করা হয়েছে পিএফআইয়ের ১৭০ জন সদস্যকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • FSSAI: খাবারের প্যাাকেটে রেটিং সিস্টেম চালু করার জন্য খসড়া বিজ্ঞপ্তি জারি এফএসএসএআই-এর

    FSSAI: খাবারের প্যাাকেটে রেটিং সিস্টেম চালু করার জন্য খসড়া বিজ্ঞপ্তি জারি এফএসএসএআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাবারের গুণাগুণ নিয়ে সতর্ক করতে এবারে পদক্ষেপ নেওয়া হল ফুড সেফটি অ্যান্ড স্যান্ডার্ডস অথরিটির (FSSAI) তরফ থেকে। এই অথরিটি থেকে একটি খসড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, যেখানে বলা আছে, এবার থেকে কোনও খাবারের প্যাকেটে ইন্ডিয়ান ফুড রেটিং (Inian Foor Rating) দেওয়া থাকবে, আর এর জন্য বিশেষজ্ঞ ও আমজনতার প্রতিক্রিয়া কী আছে, তাও জানা হবে। তার এর জন্যই খসড়া বিজ্ঞপ্তি। এই রেটিং খাবারের গুণাগুণের ভিত্তিতেই দেওয়া হবে। পুষ্টিকর খাবারের জন্য বেশি পরিমাণে রেটিং দেওয়া থাকবে।

    খাবারের প্যাকেটে এই রেটিং সিস্টেম চালু করার ক্ষেত্রে প্রধান উদ্দেশ্য হল কোন খাবারে বেশি পরিমাণে লবণ, চিনি, ফ্যাট রয়েছে, সে বিষয়ে গ্রাহকদের সচেতন করা। আর এই রেটিং দেখে তারা বুঝতেও পারবেন যে, কোন খাবার বেশি ভালো ও পুষ্টিকর। কোনও খাবারে কত পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, চিনি, সোডিয়াম, ডায়েটারি ফাইবার এবং প্রোটিনের পরিমাণ আছে তা প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে নম্বর ও রেটিং দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: খাদ্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ১৫টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা আছে, আইএনআর সিস্টেম শুধুমাত্র প্যাক করা খাবারের জন্য। আর এই খাবারগুলোকে ১/২ স্টার থেকে ৫ স্টার পর্যন্ত দেওয়া হবে। আর এর ফলে এই প্রমাণিত হবে যে, খাদ্য পণ্যটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত কিনা। এছাড়াও সেই খাবার কোন ব্র্যান্ডের, সেটি জানার জন্য ব্র্যান্ডের লোগো প্যাকেটের সামনেই দেওয়া থাকবে।

    তবে দুগ্ধ জাতীয় খাবার, উদ্ভিজ্জ তেল, ফ্যাট, তাজা এবং ফ্রোজেন ফল, শাকসবজি, মাংস, ডিম, মাছ, ময়দা এবং মিষ্টির মতো আইটেমগুলির রেটিং-এর দরকার নেই৷ তবে নির্মাতাদের তাদের জিনিসগুলোর উপযুক্ত লোগোর জন্য FSSAI পোর্টালে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এছাড়াও এফএসএসএআই-এর ফুড রেগুলেটর বিভাগ গ্রাহকদের জন্য খাবারের প্যাকেজিং উন্নত করার কাজ করছে।

    উল্লেখ্য, এরই মধ্যে ভারতের সমস্ত রেঁস্তোরায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে মেনু কার্ডে খাবারের পাশে ক্যালোরির পরিমাণ দেওয়ার জন্য। কারণ ২০২০ সালের নভেম্বরে কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল যে, রেস্তোরাঁগুলিকে গ্রাহকদের জন্য মেনু কার্ড, বোর্ড এবং বুকলেটগুলিতে খাবারের আইটেমের পাশে ক্যালোরির পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tarpan: মেয়েরাও কি করতে পারে তর্পণ? কী বলছে শাস্ত্র?

    Tarpan: মেয়েরাও কি করতে পারে তর্পণ? কী বলছে শাস্ত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার মহালয়া। আগামীকালই পিতৃপক্ষের (Pitru Paksha 2022) অবসান হয়ে সূচনা হবে দেবীপক্ষের। দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে ভাদ্রপূর্ণিমা থেকে পিতৃ পক্ষের সূচনা, যা মহালয়া অমাবস্যা বা মহালয়ার দিনে শেষ হয়। অন্য দিকে উত্তর ভারত ও নেপালে ভাদ্রের পরিবর্তে আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষকে পিতৃপক্ষ বলা হয়। মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষদের তর্পণ (Tarpan) ও শ্রাদ্ধকর্ম করে তাঁদের বিদায় জানানো হয়। ধর্মীয় ধ্যান-ধারণা অনুযায়ী, পিতৃপক্ষে শ্রাদ্ধ, তর্পণ ইত্যাদি মৃত্যু সংক্রান্ত আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়, তাই এই পক্ষে শুভ কাজে করা যায় না।   

    আরও পড়ুন: আজ সূচনা হচ্ছে পিতৃপক্ষের, কীভাবে করবেন তর্পণ, জেনে নিন

    এ সময় পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা করে শ্রাদ্ধকর্ম করেন বাড়ির পুরুষরা। তবে শাস্ত্রে মহিলাদেরও মৃত পরিজনদের শ্রাদ্ধ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। কোনও মৃত ব্যক্তির পুত্র না-থাকলে, ভাইয়ের তাঁর স্ত্রীর শ্রাদ্ধ করার অধিকার রয়েছে। হিন্দুধর্ম অনুযায়ী, মৃত পূর্বপুরুষের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যে কোনও ব্যক্তি তর্পণ করতে পারেন। সাধারণত পুরুষরা পিণ্ডদান করে থাকেন। তবে মহিলারাও পিণ্ডদানের সমান অধিকারী। রামায়ণ অনুযায়ী, দশরথের মৃত্যুর পর রামের অনুপস্থিতিতে সীতা তাঁর পিণ্ডদান করেছিলেন।  

    কোনও ব্যক্তির ছেলে না থাকলে মৃত ব্যক্তির মেয়ে বাবার শ্রাদ্ধের কাজ করতে পারেন। মহাভারতে স্ত্রী পর্বে কৌরব রমণীদের তর্পণ করার কথার উল্লেখ আছে। আবার অবিবাহিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির মা এবং বোনও শ্রাদ্ধ করতে পারেন। আবার ছেলে শ্রাদ্ধ কর্ম করতে না-পারলে পুত্রবধূ তা করতে পারেন। আবার পৌত্র ও প্রপৌত্রও পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধ কর্ম করার অধিকারী। পৌত্র বা প্রপৌত্র না-থাকলে, ভাই, ভাইয়ের সন্তানরাও শ্রাদ্ধ করার অধিকারী। আবার দৌহিত্রও পূর্বপুরুষদের উদ্ধার করতে পারে। আবার ভাগ্নেও শ্রাদ্ধকর্ম করার অধিকারী।   

    হিন্দু ধর্মে, মৃত ব্যক্তির আত্মাকে মুক্তি দিতে পিণ্ডদান করার রেওয়াজ রয়েছে। মনে করা হয়, এর ফলে আত্মা নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায়। পিণ্ডদান করলে জন্ম ও মৃত্যুর চক্র থেকে আত্মা মুক্তি লাভ করে বলে মনে করা হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Rupee vs Dollar: টাকার দামে রেকর্ড পতন! মার্কিন ডলারের তুলনায় দাম দাঁড়াল ৮১ টাকা ৯ পয়সা

    Rupee vs Dollar: টাকার দামে রেকর্ড পতন! মার্কিন ডলারের তুলনায় দাম দাঁড়াল ৮১ টাকা ৯ পয়সা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কমল ভারতীয় টাকার দাম (Indian Rupee Price)। মার্কিন ডলারের (Rupee vs US Dollar) তুলনায় রেকর্ড পতন ভারতীয় মুদ্রায়। এই প্রথম টাকার দাম এতটা কমেছে। পুজোর আগে টাকার দাম পড়ে যাওয়ায় চিন্তায় ভারতীয় বাজার (Indian Stock Market)। এদিন টাকার দর নামে ৮১ টাকা ৯ পয়সায়। অর্থাৎ ১ ডলারের সমান হল ৮১ টাকা ৯ পয়সা। গতকাল টাকার মূল্য ছিল ৮০ টাকা ৮৬ পয়সা। লক্ষ্মীবারেও লক্ষ্মীলাভ হল না ভারতীয় বাজারে। শুক্রবার ফের এক ধাক্কায় ২৫ পয়সা কমে যায় টাকার মূল্য।

    আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারাল রিজার্ভ (US Fed) রেপো রেট (Repo Rate) ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোয় বৃহস্পতিবার ধসের মুখে পড়েছে টাকা। আর তার ফলে টাকার দর এতটা কম গেল। বেশ কয়েকদিন ধরেই টাকার মূল্য আশির কাছে ঘোরাফেরা করছিল। কিন্তু আজ তা ৮১-এর গণ্ডি পার করে দিল।

    আরও পড়ুন: ভারত-রাশিয়া বাণিজ্যে লেনদেন হবে টাকায়! প্রক্রিয়া চালু শীঘ্রই

    এশীয় মুদ্রার মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতীয় টাকা। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, টাকার মূল্যের এরূপ নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে আরও কিছুদিন। ফলে আর কয়েকদিনের মধ্যই এই দাম আরও কমে ৮১.৫০ টাকাও পার করে যেতে পারে। পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির পরে এইভাবে বাজার চলাকালীনই টাকার দামের এত পতন হয়নি।

    প্রসঙ্গত, বুধবার টাকার দাম ২২ পয়সা কমে মার্কিন ডলারের (US Dollar) মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৭৯ টাকা ৯৬ পয়সা। তার থেকে আবার অনেকটা নেমে রেকর্ড গড়ে বৃহস্পতিবার বাজার বন্ধের সময়ে মার্কিন ডলারের মূল্য ফের আশি পার করে ফেলে। শুক্রবারও এই দাম কমার প্রবণতা বজায় রেখে সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে টাকার দামে পতন হল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Indian Students: ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের পড়া শেষ করতে হবে বিদেশে, ঘোষণা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের

    Indian Students: ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের পড়া শেষ করতে হবে বিদেশে, ঘোষণা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন ফেরত ভারতীয় মেডিক্যাল পড়ুয়াদের জন্য নয়া ঘোষণা জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের (Russsia-Ukraine War) সময় ইউক্রেন থেকে হাজার হাজার ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়ারা দেশে ফিরে আসে। ফলে তাঁদের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায়। কিন্তু এখন পড়ুয়াদের সেই বিষয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। কারণ জানা গিয়েছে ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়ারা বিশ্বের ২৯টি দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাঁদের বাকি পড়া চালিয়ে যেতে পারবে। এই সকল পড়ুয়াদের সুবিধার্থে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (National Medical commission) ২৯ টি দেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। ফলে এবারে ডাক্তারি পড়ুয়ারা তাঁদের পড়াশোনা শেষ করে ডিগ্রি অর্জন করতে পারবে।

    প্রসঙ্গত, ভারতের একাধিক পড়ুয়া ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিল। কিন্তু ফ্রেবুয়ারি মাসে হঠাৎ রাশিয়া ও ইউক্রেন এই দুই দেশের মধ্যে শুরু হয় যুদ্ধ। এরপর সেই শিক্ষার্থীদের প্রাণ বাঁচাতে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু তাঁদের ডাক্তারি পড়াশোনা পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় তাঁদের ভবিষ্যত চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। কিন্তু ৬ সেপ্টেম্বর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন থেকে এই কথা ঘোষণা করায় তাঁরা পুনরায় আশার আলো দেখতে পায়। ২৯ টি দেশের মধ্যে যে যে দেশগুলো রয়েছে সেগুলি হল পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, জর্জিয়া, লিথুয়ানিয়া, মলদোভা, স্লোভেনিয়া, স্পেন, উজবেকিস্তান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, বেলজিয়াম, মিশর, বেলারুশ, লাটভিয়া, কিরগিজস্তান, গ্রীস, রোমানিয়া, সুইডেন, ইসরাইল, ইরান, আজারবাইজান, বুলগেরিয়া, জার্মানি, তুরস্ক, ক্রোয়েশিয়া এবং হাঙ্গেরি। এই দেশগুলোর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁরা পড়তে পারবেন।

    আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের ‘অ্যাকাডেমিক মোবিলিটি প্রোগ্রাম’-এর মাধ্যমে, ভারতীয় পড়ুয়ারা বিদেশের কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোর্স শেষ করতে পারবেন। এনএমসি (NMC) থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা এই দেশগুলোর যেই কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুক না কেন, তাঁদের ইউক্রেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবেই মনে করা হবে ও কোর্স শেষে ডিগ্রি সার্টিফিকেট ইউক্রেনের প্যারেন্ট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি থেকেই দেওয়া হবে।

    ইউক্রেন ফেরত প্রায় ২০ হাজার থেকে ২২ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া রয়েছে, যার মধ্যে মোট ৭৪০ জন ছাত্র তেলেঙ্গানার। এদেরকে  হঠাৎ করে ইউক্রেনে তাঁদের এমবিবিএস কোর্স ছেড়ে ফিরে আসতে হয়েছিল। ফলে এইসব এমবিবিএস কোর্স করা পড়ুুয়াদের এই ২৯টি দেশ থেকে বিশেষ সাহায্য করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Durga Puja: মহাসপ্তমীর নির্ঘণ্ট, তাৎপর্য সহ জানুন এদিনের কিছু রীতির কথা

    Durga Puja: মহাসপ্তমীর নির্ঘণ্ট, তাৎপর্য সহ জানুন এদিনের কিছু রীতির কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দুর্গা পুজোর মহাসপ্তমী (Mahasaptami)। ষষ্ঠীতে দেবীর মুখ উন্মোচন ও বোধন প্রক্রিয়া শেষ করে এরপর আসে সপ্তমীর পুজো। এই দিনে দেবী দুর্গার সবচেয়ে ভয়ানক রূপ, কালরাত্রি রূপের পুজো করা হয়। অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা করেন দেবী কালরাত্রি। শাস্ত্র মতে, মহাসপ্তমীতে মহাপুজো হয়। এই তিথির দুটি নিয়ম হল নবপত্রিকা স্নান ও মহাস্নান। খুব সকালে একটি কলা গাছ গঙ্গার জলে স্নান করিয়ে, এটিকে নববধূর মতো নতুন শাড়ি পরানো হয়। যাকে আমরা কলাবউ বলে থাকি। এই আচারের পেছনে রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্য।

    ২০২২-এর মহাসপ্তমীর দিনক্ষণ ও নির্ঘণ্ট

    সপ্তমীর পুজো শুরু সকাল ৯টা ২৯ মিনিটে ও সময়সীমা রাত ৬ টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত। এদিন সূর্যোদয় ৫ টা ৩২ মিনিটে, অস্ত যাবে ৫ টা ২২ মিনিটে। পূর্বাহ্ণ মধ্যে দ্ব্যাত্মক-চরলগ্নে ও চরণবাংশে দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন ও সপ্তম্যাদিকল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পূজা প্রশস্তা। 

    সপ্তমীর পুজোর তাৎপর্য

    শরৎকালে অনুষ্ঠিত হয় এই পুজো। এই সময় স্বর্গের দেবতাগণ ঘুমিয়ে থাকেন। তাই দেবীকে ঘুম থেকে তোলার জন্য আহ্বান করতে হয়। দেবী এই সময় কুমারী (Kumari) রূপে বেল গাছের পাতায় অবস্থান করেন। তাই ষষ্ঠীর দিন বেল গাছের তলায় দেবীর বোধন (Bodhan) ও অধিবাস (Adhibas) সম্পন্ন হয়। এরপর বেল গাছের একটি ডালকে চিহ্নিত করে রাখা হয় এদিন। আর আজ অর্থাৎ সপ্তমীর দিন ওই চিহ্নিত ডাল কেটে মণ্ডপে পুজোর স্থানে নিয়ে আসতে হয়। মহাসপ্তমীর দিন সকালে নিকটস্থ নদী বা কোনো জলাশয়ে এটি নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন কলা গাছের সঙ্গে বেলগাছের ডাল সহ আরও ৭টি গাছের ডাল নিয়ে একেবারে মূল থেকে বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর পুরোহিত নিজেই কাঁধে করে নবপত্রিকা (Nobopatrika) নিয়ে যান। তাঁর পিছন পিছন ঢাকীরা ঢাক বাজাতে বাজাতে এবং মহিলারা শঙ্খ ও উলুধ্বনি করতে করতে যান। শাস্ত্রবিধি অনুযায়ী, এরপর নবপত্রিকা বা কলা বউ স্নান করানোর পর একে নতুন শাড়ি পরানো হয়। তারপর পূজামণ্ডপে নিয়ে এসে নবপত্রিকাকে দেবীর ডান দিকে একটি কাষ্ঠসিংহাসনে স্থাপন করা হয়। গণেশের পাশে এটিকে রাখার কারণে অনেকে মনে করেন যে, কলাবউ (Kola Bou) আসলে গণেশের বউ। কিন্তু আদতে এটি নবপত্রিকা বা গণেশের জননী। সপ্তমীর আর একটি বিশেষ অনুষ্ঠান হল মহাস্নান। নবপত্রিকা স্নানের পর মহাস্নান অনুষ্ঠিত হয়। নিয়ম অনুযায়ী নবপত্রিকা প্রবেশের পর দর্পণে দুর্গার মহাস্নান সম্পন্ন হয়।

  • Chandigarh University MMS Row: চণ্ডীগড় কাণ্ডে ধৃত মূল ষড়যন্ত্রকারী জওয়ান, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Chandigarh University MMS Row: চণ্ডীগড় কাণ্ডে ধৃত মূল ষড়যন্ত্রকারী জওয়ান, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চণ্ডীগড় কাণ্ডে (Chandigarh University MMS Row) আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এবারে এই ভিডিও কাণ্ডে নাম জড়াল এক ভারতীয় সেনা জওয়ানের। জানা গিয়েছে, এই কাণ্ডে অভিযুক্ত হিসেবে জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই কাণ্ডে তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আবার গতকালই এই চার নম্বর ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হল।

    পাঞ্জাবের পুলিশ ডিজিপি গৌরব যাদব জানিয়েছেন, এই অভিযুক্ত জওয়ানের নাম গৌরব কাঁথাওয়াল, কিন্তু সে জম্মু-কাশ্মীরে সঞ্জীব সিং নামে পরিচিত। আরও জানা গিয়েছে, এই জওয়ান অরুণাচল প্রদেশে কর্মরত ছিলেন। তাই একে সেখান থেকেই গ্রেফতার করেছে মোহালি পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই জওয়ান অভিযুক্ত ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেল করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

    যাদব আরও বলেন, ফরেনসিক এবং ডিজিটাল প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে মোহালি পুলিশের দলকে অরুণাচল প্রদেশে পাঠানো হয়েছিল। তিনি বলেন, অভিযুক্ত সেনা সদস্যকে অরুণাচল প্রদেশের সেলা পাস থেকে অরুণাচল প্রদেশ পুলিশ, আসাম পুলিশ এবং অরুণাচল প্রদেশের সেনা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় এমএমএস কাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই, ৬ দিনের জন্য বন্ধ ক্যাম্পাস

    এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনী বলেছে যে, তারা এই ধরনের কাজ কখনওই মেনে নেওয়া হবে না। তাই তদন্তের সময় তাঁরা পুরো সহায়তা করতে রাজি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারতীয় সেনা থেকে জানানো হয়েছে, একটি মামলায় পাঞ্জাব পুলিশ তদন্ত করার সময়ে এক তথ্য উঠে এসেছিল। জানা গিয়েছিল, একজন কর্মরত সেনা জওয়ান সম্ভবত আইপিসি এবং আইটি আইনের ধারার অধীনে কিছু কাজে জড়িত রয়েছে। আর এরপরেই পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে,  গ্রেফতার করতে এবং আরও তদন্তের জন্য পাঞ্জাব এবং অরুণাচল প্রদেশের পুলিশকে সম্পূর্ণ সাহায্য করা হয়েছিল।

    পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত জম্মুর বাসিন্দা এবং সেলা পাসে কর্মরত। অভিযুক্ত মেয়েটিকে আরও ছবি ও ভিডিও তোলার জন্য ফোন করে মেসেজ পাঠাচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠে আসছে। ফলে এই চক্রান্তের মূল ষড়যন্ত্রকারী এই জওয়ানকেই মনে করা হচছে। তার ফোন ও অন্যান্য ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে এবং ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হবে। এসআইটি ইনচার্জ রুপিন্দর কৌর ভাট্টি নিশ্চিত করেছেন যে, এই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আরও তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

    এই মামলায় একটি এসআইটি গঠন করা হয়েছে ও তাঁর নেতৃত্বে রয়েছেন, এসপি (কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স) লুধিয়ানা রুপিন্দর কৌর ভাট্টি, ডিএসপি খারর-1 রুপিন্দর কৌর এবং ডিএসপি এজিটিএফ দীপিকা সিং। পাঞ্জাব ডিজিপি বলেছেন, “এই মামলায় দোষীদের রেহাই দেওয়া হবে না এবং এই ঘটনার ন্যায়বিচার করা হবেই।”

    প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত ছাত্রী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবং ১৮ সেপ্টেম্বর সদর খারর থানায় IPC এবং IT আইনের ধারা ৩৫৪-সিধারার অধীনে এদের বিরুদ্ধে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।

  • WB Loan For Salary: পুজোর মাসে বেতন দিতে ৪৫০০ কোটি ধার করছে রাজ্য, খরা কোষাগারে

    WB Loan For Salary: পুজোর মাসে বেতন দিতে ৪৫০০ কোটি ধার করছে রাজ্য, খরা কোষাগারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকা নেই, ভাঁড়ার খালি। মেলা-খেলা আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে (Lakshmir Bhandar) সব টাকা বেরিয়ে গিয়েছে। ফলে পুজোর মাসে সরকারি কর্মী, শিক্ষকদের বেতন দিতে আজ মঙ্গলবার ৪৫০০ কোটি টাকা ধার করছে নবান্ন (Nabanna)। ধারের টাকা কোষাগারে ঢুকলে তবেই কোনওমতে পুজোর মাস চালাতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। প্রতি মাসেই কর্মচারীদের বেতন দিতে মাসে ২০০০-২৫০০ কোটি ধার নিতে হয় সরকারকে। কিন্তু এক মাসে ৪৫০০ কোটি টাকা ধার করার পরিস্থিতি যখন তৈরি হয়েছে, তাতে সরকারের আর্থিক অবস্থা যে কাহিল হয়ে পড়েছে তা স্পষ্ট।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?

    নবান্ন সূত্রের খবর, চলতি বছরে ৬২ হাজার কোটি টাকা ধার নিতে হবে। বছর শেষে ধারের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) প্রতিটি মানুষের উপরে এখন ৬০ হাজার টাকা ঋণের বোঝা রয়েছে। নবান্নের কর্তারা জানাচ্ছেন, দানছত্রের প্রকল্পগুলি চালাতেই বছরে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। ডোল বিলির বেশ অধিকাংশ প্রকল্পকেই আসলে পরিকল্পনা খাতের আওতায় এনে পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে। সেই খাতেও বেরিয়ে যাচ্ছে আরও কয়েক হাজার কোটি টাকা। ফলে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, সেতু, স্বাস্থ্য খাতে সে ভাবে কোনও বরাদ্দ বাড়ছে না। উল্টে কমতে শুরু করেছে। দেশের অন্য রাজ্যে করোনার সময় চালু হওয়া খরচে রাশ টানার প্রবণতা সরে গিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা এখনও লাগু রয়েছে।

    নবান্ন সূত্রের খবর, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আর তফসিলি জাতি-উপজাতি পেনশনেই সরকারের সবচেয়ে বেশি নজর রয়েছে। অন্য কিছু বন্ধ হলেও আপত্তি নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কারণেই হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) রায় থাকা সত্ত্বেও কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Pending DA case) মেটাচ্ছে না সরকার। ডিএ মেটাতে হলে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা লাগবে। তা হলে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।

    আরও পড়ুন: কার্ড দেখালেই বেসরকারি হাসপাতালে ‘বেড ফাঁকা নেই’, স্বাস্থ্য সাথী কি কেবল ‘বিজ্ঞাপন’?

    কিন্তু কর্মীদের পাওনা গণ্ডা না মিটিয়েও বেতনটুকু দেওয়া চাপের হয়ে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন অর্থ দফতরে কর্তারা। তাঁদের মতে, প্রতি মাসে ধার করেই সময়ে বেতন দিতে হচ্ছে। পুজোর মাসে ক্লাব খয়রাতি থেকে অনুদানের বহর বাড়তি হওয়ায় চাপ বেড়েছে। ফলে আজ ৪ হাজার ৫০০ কোটি ধার করা হচ্ছে। সেই টাকা ঢুকলে বেতন পাবেন কর্মীরা। সরকারও পুজোর খরচটা কাটিয়ে নিতে পারবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share