Blog

  • Ruchira Kamboj: ডিসেম্বরে ভারতের সভাপতিত্বে সভা, রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ রুচিরা কম্বোজের

    Ruchira Kamboj: ডিসেম্বরে ভারতের সভাপতিত্বে সভা, রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ রুচিরা কম্বোজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে (UN) ভারতের (India) স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ (Ruchira Kamboj) দেখা করলেন রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুতেরাসের সঙ্গে। মঙ্গলবার রুচিরা দেখা করেন গুতেরাসের সঙ্গে। রাষ্ট্রসংঘের শীর্ষ কর্তার সঙ্গে দেখা করে তিনি আলোচনা করেন কীভাবে সফল করা যাবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ডিসেম্বরের সভা। এই সভায় সভাপতিত্ব করবে ভারত। অ্যান্টনিও গুতেরাসের সঙ্গে সাক্ষাৎকার পর্ব শেষে ট্যুইট করেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, আজ, রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুতেরাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে খুবই খুশি। তাঁর সঙ্গে প্রোগ্রাম এবং কী কী বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সভাপতিত্বে হবে বৈঠক। তা নিয়েই হয়েছে আলোচনা।

    ভারতের অবস্থান…

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারত নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। এই অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হয় দু বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক ভারত, এবার দাবি ফ্রান্সের

    জানা গিয়েছে, গত বছর অগাস্টে নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সভাপতিত্বে সভা হয়েছে রাষ্ট্রসংঘে। সেবার আলোচনার ভরকেন্দ্র ছিল সামুদ্রিক নিরাপত্তা, রাষ্ট্রসংঘে শান্তি রক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতা। গত বছর অগাস্টের পর এবার ডিসেম্বরে ফের সভাপতিত্ব করার সুযোগ এসেছে ভারতের কাছে। যে পনেরটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য, তারা প্রত্যেকই সভাপতিত্ব করার সুযোগ পায়। সেই সুযোগ আসে অ্যালফাবেটিক্যালি। রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে রুচিরা কম্বোজের (Ruchira Kamboj) বৈঠকে জি-২০ তে ভারতের সভাপতিত্ব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এটা ভারতের কাছে একটা বড় সুযোগ। কারণে বৈশ্বিক নানা বিষয় তুলে ধরার একটা সুযোগ মিলবে এই জি-২০তে। প্রসঙ্গত, এই জি-২০ শুরু হয়েছে আজ, বৃহস্পতবারই।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: জেলেই অনুব্রত! আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    Anubrata Mondal: জেলেই অনুব্রত! আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত (Anubrata Mondal)। গরুপাচারকাণ্ডে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। অর্থাৎ আরও ১৪ দিনের মেয়াদ বাড়ল অনুব্রতর হেফাজতের। গত অগস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপর থেকে বারবার জামিনের আবেদন জানানো সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি।

    আদালতে অনুব্রত

    শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) আসানসোল আদালতে পেশ করে সিবিআই। হলুদ পাঞ্জাবী পরে এদিন আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন অনুব্রত। কিছুটা ভগ্ন স্বাস্থ্যও এদিন চোখে পড়েছে। ওজন যে বেশ কিছুটা কমেছে, তা চেহারাই বলে দিচ্ছে। তবে এদিন তাঁর কোনও জামিনের আবেদন করা হয়নি। তবে অনুব্রতর তরফে এদিন আদলতে ২টি আবেদন করা হয়। অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, ভোলে ব্যোম রাইসমিলের অ্যাকাউন্ট ডি-ফ্রিজ করে দিক সিবিআই। অ্যাকাউন্টটি অনুব্রতর নামে নয়। সঙ্গে তদন্তের স্বার্থে বাজেয়াপ্ত অনুব্রতর ফোন ফেরত চান তিনি।  এদিন মোবাইল দুটির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সিবিআই-এর তরফে জানানো হয় সেগুলি কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছেই রয়েছে, ফরেনসিক পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই ফেরত দেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    এদিন তদন্তে অগ্রগতির কথা জানিয়ে আদালতে একটি সিডি পেশ করে সিবিআই। সেই সিডি দেখে বিচারপতি বলেন, আমি বিস্মিত। ২০ বছরের চাকরিজীবনে এই ধরনের তথ্য কোনও দিন দেখিনি। তবে সিবিআই আদালতের হাতে কী তথ্য তুলে দিয়েছে তা ২ পক্ষই গোপন রেখেছে। এর পরই ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুব্রতকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। আদালত চত্বরে প্রতিবারের মতোই এদিনও ছিল অনুব্রতর (Anubrata Mondal) অনুগামীদের ভিড়। তবে তেমন কিছু বলেননি কেষ্ট। সাংবাদিকদেরও এড়িয়ে যান তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bypoll Results: মুখ পুড়ল নীতীশের, কুরহানিতে জয়ী বিজেপি, আজম ‘গড়ে’ও ফুটল পদ্ম

    Bypoll Results: মুখ পুড়ল নীতীশের, কুরহানিতে জয়ী বিজেপি, আজম ‘গড়ে’ও ফুটল পদ্ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপ নির্বাচনের ফলে (Bypoll Results) মুখ পুড়েছে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar)! একই দশা অখিলেশ যাদবেরও! নীতীশ এবং অখিলেশের গড়ের রাশ এবার এল বিজেপির (BJP) হাতে। উত্তর প্রদেশের রামপুর কেন্দ্রটি সমাজবাদী পার্টি (SP) নেতা আজম খানের (Azam Khan) গড় হিসেবেই পরিচিত। এখানেই এবার উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে সমাজবাদী পার্টি। জয়ী হয়েছে বিজেপি।

    বিজেপি প্রার্থী…

    তার পরেই নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ তুললেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। পুনর্নির্বাচনের দাবিও জানান তিনি। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে এই মর্মে দলের তরফে পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সপা সুপ্রিমো অখিলেশ। বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির অভিযোগও করেছেন তিনি। ২০০২ সাল থেকে রামপুর কেন্দ্রের রাশ রয়েছে সপার হাতে। এই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক আজম খান ও তাঁর পরিবার ১৯৮০ সাল থেকে একবার বাদে প্রতিবার জয়ী হয়েছেন। একটি মামলায় জেলবন্দি আজম খান বিধায়ক পদ খোয়ানোয় উপনির্বাচন হয় এই কেন্দ্রে। সেখানেই হেরে যান সপা প্রার্থী আজম ঘনিষ্ঠ আসিম রাজা। শেষ হাসি হাসেন বিজেপি প্রার্থী আকাশ সাক্সেনা।

    আরও পড়ুন: এক পদ, দাবিদার ৪, হিমাচলে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী কে?

    রামপুর কেন্দ্রে জয়কে বড় পাওনা হিসেবেই দেখছে বিজেপির একটা অংশ। এই কেন্দ্রের ভোটারদের বড় অংশই মুসলিম। এই কেন্দ্রে এর আগে কখনও জেতেনি বিজেপি। ১৯৮০ থেকে পরের তের বছর বিভিন্ন দলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন আজম। ২০০২ সাল থেকে ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন তিনি কিংবা তাঁর আত্মীয়রা। এদিকে, বিহারে মহাজোটের হাত ধরার পর এই প্রথমবার ধাক্কা খেল নীতীশ কুমার। বিহারের কুরহানি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। গোহারা হেরেছে নীতীশের দল জেডিইউয়ের শরিক দল আরজেডি প্রার্থী অনিলকুমার সাহানি। এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কেদার গুপ্তা। জেডিইউ প্রার্থী মনোজ খুশওয়াকে ৩ হাজার ৬৬২ ভোটে পরাজিত করেছেন কেদার।

    প্রসঙ্গত, এই নিয়ে তৃতীয়বার কুরহানি কেন্দ্রে হার স্বীকার করতে হল নীতীশের দলকে। কিছুতেই এই আসনটির রশি হাতে নিতে পারেনি তারা। বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে মহাজোটে শামিল হওয়ার পর থেকে নীতীশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এই আসনটি দখল করা। কিন্তু সেখানেই চরম ব্যর্থ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Badruddin Ajmal: হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, অসম মহিলা কমিশনের নোটিশ মুসলিম সাংসদকে

    Badruddin Ajmal: হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, অসম মহিলা কমিশনের নোটিশ মুসলিম সাংসদকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম রাজ্য মহিলা কমিশন বৃহস্পতিবার এআইইউডিএফ প্রধান তথা ধুবরির লোকসভা সাংসদ বদরুদ্দিন আজমলকে (Badruddin Ajmal) একটি নোটিশ জারি করে হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে তার বিতর্কিত মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলেছে। আজমলকে দেওয়া নোটিশে কমিশন বলেছে, রাজনীতিবিদকে তিন দিনের মধ্যে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে হবে, তা না হলে তাকে কমিশনে হাজির হতে হবে। হিন্দু মহিলাদের বিয়ের বয়স সম্পর্কে তাঁর সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অসামাজিক, যৌনতাবাদী, আপত্তিকর এবং অনৈতিক বলে অভিহিত করেছে কমিশন।

    আজমল (Badruddin Ajmal) ইতিমধ্যেই হিন্দু ছেলে-মেয়েদের বিয়ের বয়স এবং বিয়ের আগে তাদের আচরণ নিয়ে তাঁর মন্তব্যের জেরে প্রচুর সমালোচিত হয়েছেন। অনেকে আজমলের উর্বর জমির সঙ্গে নারীর তুলনা করাতেও আপত্তি জানিয়েছেন। হিন্দু মহিলাদের কম বয়সেই বিয়ে করা উচিত বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন তিনি। এআইইউডিএফ প্রধানের মতে, বিয়ে এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে হিন্দু মহিলাদের উচিত মুসলিম ‘ফরমুলা’ অনুসরণ করা।

    আরও পড়ুন: আজ মধ্যরাতেই উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মনদৌস, লাল সতর্কতা জারি তামিলনাড়ুতে

    কী সেই মন্তব্য? 

    গত সপ্তাহে বদরুদ্দিন আজমল (Badruddin Ajmal) বলেন, “সরকারের নির্দেশ এবং আইন মেনে, ১৮ বছরেই মুসলিম মেয়েরা এবং ২১ বছরের ছেলেরা বিয়ে করেন। কিন্তু, হিন্দুরা ৪০ বছরের আগে বিয়ে করেন না। যদিও তার আগে তারা ২-৩টি অবৈধ সম্পর্ক এবং স্ত্রী রাখেন। সেই সময়ে কোনও সন্তানের জন্ম দেন না, খরচ বাঁচান। তারপরে পরিবারের চাপে বিয়ে করেন। ৪০ বছর বয়সে বিয়ে করে কী পাবেন? আপনার কী করে সন্তান জন্মগ্রহণ করবে?” আজমলের আরও বলেন, “১৮-২০ বছর বয়সে মেয়েদের এবং ২১ বছরেই ছেলেদের বিয়ে হওয়ার কারণেই মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হিন্দুদের উচিত বিয়ের ক্ষেত্রে ‘মুসলিমদের ফর্মুলা’ ব্যবহার করা। কারণ, বাঁজা জমিতে ফসল উৎপাদন হয় না। ভাল ফসল হয় একমাত্র উর্বর জমিতে।”

    আজমলের (Badruddin Ajmal) এই মন্তব্যের পরেই দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। আজমলের এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করে বিজেপি। অসমের বিজেপি বিধায়ক ডি কালিতা সতর্ক করে বলেন, “এই ধরনের অপমানজনক কথা হিন্দুরা কোনও মতেই মেনে নেবে না। এই রকম অপমানজনক কথার আমরা তীব্র নিন্দা করছি। এবার থেকে সংযত থাকুন। আর তা করতে না পারলে বাংলাদেশ চলে যান। এটা ভগবান রাম এবং মা সীতার দেশ। এখানে বাংলাদেশিদের কোন জায়গা নেই। আপনি একজন মুসলিম এবং আমরা হিন্দু। আমাদের আপনার এবং আপনাদের কাছে শিখতে হবে না।”

    সে রাজ্যের মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা বলেন, “বদরুদ্দিন আজমল (Badruddin Ajmal) চাইছেন সবাই ১৫-২০টা করে সন্তান জন্ম দিক। তারপরে তারা অশিক্ষিত হয়ে থাকবে, আর চুরি করবে। তারপরে ধনীরা যেন তাদের শোষণ করতে পারে।” আজমলের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়েছে। 

    যদিও এরপরেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ক্ষমা চেয়ে নেন আজমল (Badruddin Ajmal) । তিনি বলেন, “আমি কাউকে আঘাত দিতে চাইনি। তবে, যদি আমার মন্তব্য কারোর আবেগে আঘাত করে থাকে তাহলে আমি আমার বক্তব্য ফিরিয়ে নিচ্ছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Modi: মোদিই সব চেয়ে বড় ভোট ক্যাচার, কেন জানেন?

    PM Modi: মোদিই সব চেয়ে বড় ভোট ক্যাচার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেকর্ড গড়ে ফের গুজরাটের (Gujarat) রশি এসেছে বিজেপির (BJP) হাতে। গুজরাট বিধানসভার ১৮২টি আসনের মধ্যে পদ্ম শিবির জয়ী হয়েছে ১৫৬টিতে। বিজেপি ঝড়ে কার্যত দুরমুশ হয়ে গিয়েছে বিরোধীরা। এর যাবতীয় কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) দিচ্ছেন দলীয় নেতৃত্ব। মোদি নিজেও স্বীকার করেছেন, ভূপেন্দ্রকে জেতাতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে নরেন্দ্রকে। প্রশ্ন হল, কেন মোদিই বৃহত্তম ভোট ক্যাচার?

    গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে...

    দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে মোদি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে। ১২ বছরেরও বেশি সময় তিনি ছিলেন ওই পদে। পরে প্রধানমন্ত্রী হয়ে দিল্লি চলে যান। তাঁর নেতৃত্বেই দু দুবার দিল্লির তখতে বসে বিজেপি। এর প্রধান কারণ মোদির নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন। করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে যখন ধুঁকছিল গোটা বিশ্বের অর্থনীতি, তখনও ভারতের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল হয়নি। সাময়িক টাল খেয়েছে বটে, তবে ফের তা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যার জেরে গোটা বিশ্বে ভারতের অর্থনীতির ঠাঁই হয়েছে পঞ্চম স্থানে। এতদিন যে স্থান দখল করেছিল ব্রিটেন।

    মোদির (PM Modi) সুশাসনও তাঁর তুঙ্গ জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ। গুজরাট হিংসায় নাম জড়িয়েছিল মোদির। পরে আদালতে কলঙ্কমুক্ত হন তিনি। ওই হিংসার সময়কার পরিস্থিতিও দক্ষ হাতে সামলেছেন মোদি। অন্যান্য রাজ্যে যেখানে বেকারত্ব বেড়েছে চড়চড়িয়ে, সেখানে মোদির গুজরাটে তা কমেছে দিনের পর দিন। এর পর কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী হন মোদি। তাঁর নেতৃত্বেই হয়েছে দেশে একের পর এক উন্নয়ন। বেকারত্ব সমস্যার সমাধানও হয়েছে আগের সরকারের তুলনায় ঢের বেশি পরিমাণে। মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রে বিজেপি রয়েছে প্রায় সাত বছর। এই সময়সীমায় একটাও দাঙ্গা দেখেনি দেশ। সর্বোপরি, বিশ্বের দরবারে নানা সময় উজ্জ্বল হয়েছে দেশের মুখ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মোদি আর ভারত হয়েছে সমার্থক। এর নেপথ্য নায়ক সেই মোদিই।

    আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক জয়ের পর গুজরাটের ‘জনশক্তি’-কে প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর, ট্যুইটে কী লিখলেন মোদি?

    মোদির (PM Modi) ক্যারিশ্মাও তাঁর তুঙ্গ জনপ্রিয়তার অন্যতম একটি কারণ। সেই কারণেই তিনি ভোট পান সমাজের উচ্চতম শ্রেণির পাশাপাশি সমাজের দরিদ্রতম অংশেরও। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের কাছে তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। মোদির জনপ্রিয়তার কাছে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বড়ই ম্লান। এসব কারণেই দিনের পর দিন বাড়ছে বিজেপির জনপ্রিয়তা। দুর্বল হচ্ছে বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘১২, ১৪, ২১… খেয়াল রাখুন, দেখুন কী হয়’’, নিশানায় রাজ্য! কীসের ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: ‘‘১২, ১৪, ২১… খেয়াল রাখুন, দেখুন কী হয়’’, নিশানায় রাজ্য! কীসের ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন ধরেই ডিসেম্বর ডেড লাইনের কথা শোনা যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মধ্যে।  এরই মাঝে এবার ডিসেম্বরের তিনটি তারিখের উল্লেখ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বার্তা, ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজাম প্যালেসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “১২, ১৪, ২১… খেয়াল রাখুন। দেখুন কী হয়। এই তিনটে দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েট এন্ড ওয়াচ।” যদিও এর থেকে বেশি কিছুই আর বলতে চাননি তিনি। তবে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। 

    কী হতে পারে এই তিন দিন

    ১২ ডিসেম্বর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে করা আবেদনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার শুনানির কথা। ওই দিনই আবার হাজরায় সভা করবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ১৪ ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত (মণ্ডল) মামলার শুনানি আছে। ২১ ডিসেম্বর আবার কাথিঁতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করে যাওয়ার মাঠে সভা করার কথা শুভেন্দুর। ওই তিন দিন রাজ্য রাজনীতিতে কী ঘটনা ঘটে সেই দিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী।

    আরও পড়ুন: হাজরা ও কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই নয়াদিল্লি যেতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসার সম্ভাবনা তাঁর। সব ঠিক থাকলে ১৩ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে অমিত শাহের মুখোমুখি বৈঠকে বসতে পারেন শুভেন্দু। এই সফরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় স্বস্তি পেয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে করা সব FIR-এর উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশে আপাতত হাইকোর্টে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ। তবে CBI তদন্ত করবে কি না পরে সিদ্ধান্ত জানাবে হাইকোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: হাজরা ও কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: হাজরা ও কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনের আপত্তিতে কিছু হল না। কাঁথি ও হাজরায় সভা করতে পারবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, আগামী ১২ ডিসেম্বর কলকাতার হাজরা এবং ২১ ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা করতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।

    শুভেন্দুকে সভা করার অনুমতি আদালতের

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পাড়ায় গিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ঘরের মাঠ থেকেই সেই চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে শুভেন্দুর কাঁথির সভাকে অভিষেকের কাঁথির সভার ‘পাল্টা জবাব’ বলেই দাবি করা হচ্ছে। তাই এবার কাঁথিতেই সভা করবেন শুভেন্দু। আর এতে আইনি জটিলতা যা ছিল তা সব কেটে গেল। ২১ ডিসেম্বরের সেই সভার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে৷

    আরও পড়ুন: ভাঙল অতীতের সব রেকর্ড, গুজরাটে ইতিহাস সৃষ্টি বিজেপির

    কাঁথি ও হাজরা এই দুই জায়গায় সভা করার অনুমতি পাওয়া যায়নি প্রশাসন থেকে। ফলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এরপর বৃহস্পতিবারের শুনানিতে অবশেষে সেই অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। তবে এতে কিছু শর্ত ও বিধিনিষেধ মানতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। আদালত থেকে বলা হয়েছে, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে, শব্দবিধি মেনে সভা করতে হবে এমনকি সভার পর সভাস্থল পরিস্কার করে দিতে হবে বলে নির্দেশে জানানো হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির কাছে সভা করেছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেককে জবাব দিতে সেদিনই পাল্টা সভা করেছিলেন শুভেন্দুও। ডায়মন্ড হারবারে সভা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এবারে কাঁথিতে দাঁড়িয়েই অভিষেককে কড়া জবাব দিতে চান বিজেপি নেতা। কাঁথি শহরের যে মাঠে অভিষেক বক্তব্য রেখেছিলেন, সেই প্রভাত কুমার কলেজের মাঠেই আগামী ২১ ডিসেম্বর সভা করতে চলেছে বিজেপি। প্রধান বক্তা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে আজ আদালতের থেকে অনুমতি পাওয়াার পর কাঁথি সভার প্রস্তুতি নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে কাঁথির সভার আগে ১২ ডিসেম্বর কলকাতার হাজরাতে সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Fatty Liver: ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন! মেনে চলুন এই নিয়মগুলো

    Fatty Liver: ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন! মেনে চলুন এই নিয়মগুলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভারে ফ্যাট জমা হওয়ার পরিমাণ যখন বাড়তে থাকে তখন তাকে ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) বলে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তাই ফ্যাটযুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় একেবারেই কমিয়ে দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খান এই লো-কার্বযুক্ত সবজি

    স্বাস্থ্যবিদরা কী বলছেন?

    স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত পাঁচ থেকে ছ’শতাংশ চর্বি শোষণ করার ক্ষমতা রয়েছে লিভারের। এর চেয়ে বেশি চর্বি জমা হলেই তা ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) কারণ হতে পারে । ডাক্তারদের মতে, ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) ডেকে আনতে পারে ‘সিরোসিস অফ লিভার’- নামের ভয়ঙ্কর রোগকে। ওবেসিটি, ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো রোগ থাকলেও ফ্যাটি লিভার হতে পারে। তেমন কোনও ওষুধ নেই, যা খেলেই ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) একেবারে সেরে যাবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এবং শারীরিক কসরত এই রোগের ক্ষেত্রে ভালো ফল দেয়। গ্রেড ১, গ্রেড ২ এবং গ্রেড ৩ ইত্যাদি বিভিন্ন পর্যায় থাকে ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver)। গ্রেড ২ বা তার বেশি পর্যায়ে যদি এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে তখন পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনেই চলতে হয়। তবে গ্রেড ১ ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) রোগ অত বিপজ্জনক নয়। জীবনের কিছু অভ্যাসে পরিবর্তন এনেই এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

    ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) থেকে মুক্তি পেতে কী কী করবেন

    -ঘুমের পরিমাণ বাড়াতে হবে। দিনে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমোতে হবে।

    -নিয়মিত ৩ লিটার করে জল খেতে হবে।

    -খালি পেটে থাকা যাবে না। সময়ের খুব বেশি ব্যবধান রেখে খাওয়া দাওয়াও করা যাবে না। বার বার করে খেতে হবে।

    -ঘি, মাখন, চিজ, রেড মিট— এইগুলি একেবারেই খাওয়া যাবে না। 

    – শরীরচর্চা খুব গুরুত্বপূর্ণ । দিনে অন্তত এক ঘণ্টা সময় বার করে হাঁটাহাটি করলেও উপকার পাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Narendra Modi: ঐতিহাসিক জয়ের পর গুজরাটের ‘জনশক্তি’-কে প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর, ট্যুইটে কী লিখলেন মোদি?

    Narendra Modi: ঐতিহাসিক জয়ের পর গুজরাটের ‘জনশক্তি’-কে প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর, ট্যুইটে কী লিখলেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে বিজেপির আজ ঐতিহাসিক জয়। জয় নিশ্চিত হতেই গুজরাটের বিজেপি সভাপতি সিআর পাতিল এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দুই জনকেই অভিনন্দন জানিয়েছিলেন তিনি। আজকের এই রেকর্ড জয়ের খুশীতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আজ গুজরাটের দলের প্রত্যেক কর্মীকে ‘চ্যাম্পিয়ন’ বলে সম্বোধন করেছেন। কারণ গেরুয়া শিবির এক ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে। ফলে তিনি তাঁর আবেগকে ধরে রাখতে না পেরে তিনি ট্যুইট করে তাঁর মনের কথা জানিয়েছেন।

    ট্যুইটে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ট্যুইট করে লিখেছেন, “গুজরাট বিজেপির সমস্ত পরিশ্রমী কার্যকর্তাদের আমি বলতে চাই – আপনারা প্রত্যেকেই একজন চ্যাম্পিয়ন! এই ঐতিহাসিক জয় আমাদের দলের প্রকৃত শক্তি, আমাদের কার্যকর্তাদের কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কখনওই এটি সম্ভব হত না।”

    এরপরে তিনি (Narendra Modi) গুজরাটবাসীদের উদ্দেশেও বার্তা দিলেন ট্যুইটের মাধ্যমে। নির্বাচনের ফলাফলের পর গুজরাটের ‘জনশক্তি’র কাছে ‘প্রণাম’ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, “ধন্যবাদ গুজরাট। অভূতপূর্ব নির্বাচনের ফলাফল দেখে আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। এই ফলাফল দেখে আমি আপ্লুত। মানুষ উন্নয়নের রাজনীতিকে আশীর্বাদ করেছে এবং একই সঙ্গে এই উন্নয়নকে আরও গতিশীল করতে চায় বলে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে জনগণ। আমি গুজরাটের জনশক্তির কাছে প্রণাম জানাই।”

    আরও পড়ুন: ফের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, সোমবার শপথগ্রহণ, উপস্থিত থাকবেন মোদি-শাহ

    হিমাচলবাসীদেরও ধন্যবাদ জানালেন মোদি

    এদিন হিমাচল প্রদেশে আশানুরুপ ফল না করতে পারলেও হিমাচল প্রদেশের মানুষকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। আলাদা ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, ‘‘বিজেপির প্রতি ভালবাসা এবং সমর্থনের জন্য হিমাচল প্রদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। রাজ্যবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ভবিষ্যতে আমরা আরও পরিশ্রম করব। মানুষের সমস্যাগুলির কথা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি করে তুলে ধরব।”

    উল্লেখ্য, ১৮২ আসন বিশিষ্ট গুজরাট বিধানসভায় জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯২ আসন। গত নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৯৯টি আসন। তবে এবার বিজেপি ১৫৮ আসনে জয়ী। দীর্ঘ ২৭ বছরে এত ভোট বা আসন পায়নি বিজেপি। অন্যদিকে আপ ও কংগ্রেস পদ্ম শিবিরের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এদিন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে বিজেপি। ফলে এই ঐতিহাসিক জয়ের পর নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) হওয়ার পথ আরও মসৃণ হয়ে গেল বলেই আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

  • Gujarat Election:  ধোনির স্টাইলে ফিনিশ! পিছিয়ে পড়েও বড় ব্যবধানে জয়ী রবীন্দ্র জাদেজার পত্নী রিভাবা

    Gujarat Election: ধোনির স্টাইলে ফিনিশ! পিছিয়ে পড়েও বড় ব্যবধানে জয়ী রবীন্দ্র জাদেজার পত্নী রিভাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী পিচে প্রথমবার নেমেই জামনগর উত্তর কেন্দ্রে দুর্দান্ত জয় পেলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবা জাদেজা। ৩ বছর আগে বিজেপিতে যোগ দেন রবীন্দ্র পত্নী রিভাবা। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই ৮৩ হাজার ভোট পেলেন জামনগর উত্তরের বিজেপি প্রার্থী। গুজরাট নির্বাচনের ফল বেরনোর আগেই রোড শো শুরু করলেন রিভাবা জাদেজা। 

    বড় জয় রিভাবার

    ভোটে জয় প্রায় নিশ্চিত হওয়ার পর এদিন সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘যারা আনন্দিত হয়ে আমাকে প্রার্থী হিসেবে গ্রহণ করেছেন, আমার জন্য কাজ করেছেন, মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন আমারা বার্তা নিয়ে – আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এটা শুধু আমার নয়, আমাদের সবার জয়।’ প্রথমবার নির্বাচনের ময়দানে পা রেখেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রচার করতে নেমেছিলেন পরিবারে নিকটাত্মীয়রাই। কেন পরিবারের বিরুদ্ধ মতাদর্শের দলে যোগদান করেছেন, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। সমস্ত সমস্যা আর সমালোচনাকে বাউন্ডারির বাইরে ফেলে দিলেন তিনি। প্রথম থেকেই রিভাবার স্পষ্ট কথা ছিল, এটা আদর্শের লড়াই। পরিবারের মধ্যে কোনও বিভাজন নেই। যেই দলকে যে সমর্থন করে তাঁর হয়ে সে প্রচার করছে। পাশাপাশি তিনি ধারাবাহিক ভাবে এও বলে এসেছেন যে রবীন্দ্র জাদেজা তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন।মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী রিভাবা এর আগে রাজস্থানে কর্নি সেনার হয়ে কাজ করেছেন। তবে এই প্রথম সক্রিয় রাজনীতিতে পথ চলা শুরু হবে রিভাবার। 

    জামনগর বিধানসভা এলাকায় নাগরিকদের মধ্যে একাধিক কাজ করেন রিভাবা। তাঁর কাজে খুশি হয়েই বিধানসভা নির্বাচনে (Gujarat Assembly Election) তাঁকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য বিজেপি। এই কেন্দ্রের বিধায়ক ধর্মেন্দ্রসিং জাদেজাকে সরিয়ে রিভাবাকে প্রার্থী করা হয়। ভোটে নিকটতম প্রার্থী কংগ্রেসের বিপেন্দ্রসিং চতুরসিং জাদেজাকে তিনি ৪০,৯৬৩ ভোটের বড় ব্যবধানে পরাস্ত করলেন। তবে, গণনার শুরুতে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিলেন তিনি। জামনগর উত্তর বিধানসভার নির্বাচনে আপের কর্ষণভাই কামরুর এবং কংগ্রেসের বিপেন্দ্রসিং চতুরসিং জাদেজার পিছনে তিন নম্বরে ছিলেন তিনি। তবে, ঠিক এমএস ধোনি স্টাইলে ‘ফিনিশ’ করেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করা রিভাবা।

    আরও পড়ুন: মোদি-ম্যাজিকে ভর করে টানা সপ্তমবার গুজরাট দখলের পথে বিজেপি

LinkedIn
Share