Blog

  • SC on Hijab Row: শিখদের পাগড়ি কিংবা কৃপাণের সঙ্গে তুলনা চলে না হিজাবের, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    SC on Hijab Row: শিখদের পাগড়ি কিংবা কৃপাণের সঙ্গে তুলনা চলে না হিজাবের, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিখদের পাগড়ি (Turban) কিংবা কৃপাণের (Kirpan) সঙ্গে হিজাবের (Hijab) তুলনা চলে না। হিজাব বিতর্কে (Hijab Row) রায় গিয়ে বৃহস্পতিবার এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বর্তমানে দেশের শীর্ষ আদালতের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে চলছে হিজাব মামলার শুনানি। ওই মামলায় রায় দিয়ে গিয়ে আদালতে জানায়, শিখদের পাগড়ি এবং কৃপাণ ব্যবহারের অনুমতি সংবিধান স্বীকৃত।

    কিছুদিন আগেই হিজাব বিতর্কে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা কর্নাটক। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মুসলিম পড়ুয়ারা। অশান্তির জেরে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বেশ কিছুদিন বন্ধ রাখতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই বিক্ষোভের মাঝেই ১৫ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞার নির্দেশকে বহাল রেখে দেয় হাইকোর্ট। 

    কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি আবেদন দাখিল হয়েছে। কর্নাটক হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়। কেবল অপরিহার্য ধর্মীয় আচরণই সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে সুরক্ষা পেতে পারে। সেই ভিত্তিতেই কর্নাটক হাইকোর্ট সেই রাজ্যের মুসলিম পড়ুয়াদের ক্লাসে হিজাব পরার আবেদন খারিজ করে দেয়।

    আরও পড়ুন : রুদ্রাক্ষ বা ক্রসের সঙ্গে হিজাবের তুলনা চলে না! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পোশাকবিধি নিয়ে মত সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী নিজামউদ্দিন পাশা। তিনি নিজেও একজন আবেদনকারী। তিনি ইসলাম এবং অ্যারাবিকের ছাত্র। তিনিই শিখদের পাগড়ি এবং কৃপাণের সঙ্গে হিজাবের তুলনা টানার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর যুক্তি, হিজাব পরিধান মুসলিম মহিলাদের একটি ধর্মীয় অনুশীলন। তাই তাঁদের হিজাব পরে স্কুলে আসতে নিষেধ করা যায় না। তিনি বলেন, শিখ ছাত্ররা তো পাগড়ি পরেন। তাঁর যুক্তি, সাংস্কৃতিক আচার রক্ষা করা উচিত। তথনই বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা বলেন, শিখদের সঙ্গে এ ব্যাপারে তুলনা টানা যায় না। কারণ শিখদের কৃপাণ ব্যবহার সংবিধান স্বীকৃত। আদালতের মন্তব্য, তাই দুটোর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। বিচারপতি গুপ্তা বলেন, পাগড়ি পরার প্রয়োজন রয়েছে। এবং এগুলি দেশের সংস্কৃতির অঙ্গীভূত। আইনজীবী পাশা তখন এ ব্যাপারে ফ্রান্সের রেফারেন্স টানতে যান। বিচারপতি গুপ্তা সঙ্গে সঙ্গে বলেন, ফ্রান্স কিংবা অষ্ট্রিয়ার সঙ্গে তুলনা চাই না। আমরা ভারতীয় এবং ভারতেই থাকতে চাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Srilanka Tamil Issue: তামিল ইস্যুতে শ্রীলঙ্কাকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলল ভারত

    Srilanka Tamil Issue: তামিল ইস্যুতে শ্রীলঙ্কাকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কানিবাসী তামিলদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) সুর চড়াল ভারত। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনে তামিল ইস্যুতে (Tamil Issue) শ্রীলঙ্কার (Srilanka) অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলে দেশ। কেন অ্যামেন্ডমেন্ট ১৩ (13th Amendment) কার্যকর করা হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তোলা হয়। তামিল ইস্যুতে একটি সমাধান সূত্রের  প্রতিশ্রুতি দিয়েও এখনও তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। আর তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ভারত। রাষ্ট্রসংঘের মানাবাধিকার কাউন্সিলের ৫১ তম সেশনে ভারত এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে। ভারতের দাবি, যাতে দ্বীপরাষ্ট্রে তামিলরা শান্তিতে, সম্মানে, সমানাধিকারে বসবাস করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে। সেদেশে তামিল ইস্যুতে শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আবহের দিকে দিল্লির ক্রমাগত নজর রয়েছে বলেও জানিয়েছে ভারত। আর্থিক সংকট সম্পর্কে ভারত বলে, “শ্রীলঙ্কার সর্বোত্তম স্বার্থে তার নাগরিকদের সক্ষমতা তৈরি করা দরকার।” 

    আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল চিনা জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ, ভারতের অনুরোধে পাশে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা সরকার
     
    এদিকে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক সদস্যের বক্তব্য অনুযায়ী, সেদেশে মানবাধিকার রক্ষা করতে আরও বেশি করে উদ্যোগ নিতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। দেশে গত কয়েক দশকের সবচেয়ে খারাপ আর্থিক সংকট থেকে রক্ষা পেতে দেশের মানুষকে আরও বেশি সক্ষম করার পরামর্শ দিয়েছে ভারত। এছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের সদস্যরা মনে করেন যে, শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক মদতের জন্য বিশ্বের সমস্ত নামী আন্তর্জাতিক  প্রতিষ্ঠানগুলির এগিয়ে আসা উচিত। 

    আরও পড়ুন: ভারতের আর্থিক অবস্থা শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের মতো হবে না, দৃঢ়বিশ্বাসী রঘুরাম রাজন

    গত বছরের শেষ থেকেই চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে শ্রীলঙ্কা। চলতি বছরের জুলাইতে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ওই সময় রাজধানী কলম্বোয় প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে চড়াও হয়েছিল জনতা। এরপরই দেশ ছেড়ে পালিয়ে মালদ্বীপে চলে যান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। পরে সেখান থেকে সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড যান তিনি। জুলাইয়ের ১৪ তারিখে বিদেশে বসেই পদত্যাগ করেন গোতাবায়া রাজাপক্ষ। চলতি মাসের শুরুর দিকে দ্বীপরাষ্ট্রে ফিরেছেন তিনি। তবে পুরনো পদ আর ফিরে পাননি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে ওই পদে রয়েছেন রনিল বিক্রমাসংঘে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে দেশবাসীর যেরকম ক্ষোভ রয়েছে, তাতে তাঁর রাজনীতির মূল স্রোতে ফেরা কঠিন। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও মনে করছেন তাঁরা।   

     

  • Asia Cup 2022: এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তানের পরাজয়ে উল্লাস আফগানদের! রইল ভিডিও

    Asia Cup 2022: এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তানের পরাজয়ে উল্লাস আফগানদের! রইল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপে (ASia Cup 2022) শ্রীলঙ্কার কাছে পাকিস্তানের পরাজয়ে উল্লাস করতে দেখা গেল আফগানদের। পাকিস্তানের পরাজয়কে উদযাপন করতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন বহু মানুষ। যেখানে ২০২২ এশিয়া কাপে সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হচ্ছিল পাকিস্তান তথা ভারতকে, সেখানে দুই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীকে খুব সহজে পরাজিত করে ষষ্ঠবারের জন্য জয়ী হল শ্রীলঙ্কা (Srilanka)। খেলা শেষ হতেই আফগান ক্রিকেটপ্রেমীরা রাস্তায় নেমে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে জয়ের ধ্বনী দিতে থাকেন। সেই ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়।

    আফগানদের উল্লাসের ভিডিও ট্যুইট করেন শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূত এম আশরাফ হায়দরি। তিনি ট্যুইট করে লেখেন, ‘বিশ্বজুড়ে আফগানরা শ্রীলঙ্কার দুর্দান্ত জয় উদযাপন করছে। এটি শুধুমাত্র খোস্তের একটি দৃশ্য। শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হোক।’ এই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে রাস্তার মধ্যে এক জায়গায় একসঙ্গে একত্রিত হয়ে নাচছেন আফগান ক্রিকেটপ্রেমীরা। ছোট থেকে বড়, সব বয়সের মানুষই যোগ দিয়েছেন এই উৎসবে।

    আরও পড়ুন: এক সেঞ্চুরিতেই বাজিমাত! কী কী রেকর্ড গড়লেন বিরাট, জানেন?

    শুধু তাই নয়, আফগানরা সোশ্যাল মিডিয়াতেও পাকিস্তান ক্রিকেটারদের নিয়ে ঠাট্ট-মশকরা শুরু করেছে। তাঁদের খোঁচা মেরে শ্রীলঙ্কাকে তাদের জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে। এক আফগান ট্যুইটে বলেছেন, ‘আমাদের খুশি করার জন্য শ্রীলঙ্কাকে অভিনন্দন। আফগানিস্তান উল্লাস করছে ও শ্রীলঙ্কার জয় উদযাপন করছে।‘

    অপর এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, ‘এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে আমরা একবার হারিয়েছি, কিন্তু তোমরা (পাকিস্তান) দু’বার হেরেছ।’

    অন্য একজন লেখেন, ‘পাকিস্তানের পতনই আমার আনন্দের কারণ।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BJP Nabanna Abhijan: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

    BJP Nabanna Abhijan: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক সরকারি দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্য। এক-এক করে রাজ্যের শাসক দলের (TMC) নেতা-মন্ত্রীদের কেলেঙ্কারি ফাঁস হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়ে পথে বিজেপি (BJP)। প্রবল বৃষ্টি, দুর্যোগ ও প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেই আজ, মঙ্গলবার পূর্বঘোষণা অনুযায়ী নবান্ন অভিযান করছে বিজেপি (BJP Nabanna Abhijan)। দুর্নীতি ইস্যুতে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই রাজ্য বিজেপির আজকের নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan)। 

    ইতিমধ্যেই, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতা ও হাওড়ার দিকে আসতে শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। হাওড়ায় সকালেই এসেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে দিকে দিকে বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ, তার মধ্যেই যাঁরা হাওড়া এসে পৌঁছেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানালেন সুকান্ত।  এদিন কর্মী-সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতে লড়াইয়ের ডাক দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবারও সারাদিন বৃষ্টি চলবে, নেমেছে তাপমাত্রার পারদ, বুধে বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘চারিদিকে পুলিশ দিয়ে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ রাজ্য সরকার বিজেপির ভয়ে থরহরি কম্প। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন। তাই বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। লড়াই হবে লড়াই!’’ পুলিশি তৎপরতা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘‘বিজেপি উৎশৃঙ্খলতাতে বিশ্বাসী নয়। পুলিশের কাছে আমাদের আবেদন, আপনাদের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব আছে, সেটাই পালন করুন। নয়তো আইনশৃঙ্খলা কোনওভাবে বিঘ্নিত হলে সেই দায় পুলিশ প্রশাসনের উপরই পড়বে।’’

    আজ বিভিন্ন দিক দিয়ে বিজেপির মিছিল নবান্নমুখী (Nabanna) হবে। এক-এক দিকের নেতৃত্ব দেবেন এক-এক জন নেতা। যেমন, হাওড়া ময়দানের দিক থেকে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল এগোবে নবান্নর দিকে। আরেকচি মিছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu) নেতৃত্বে সাঁতরাগাছি থেকে আসবে। আবার দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে তৃতীয় মিছিল কলেজ স্কোয়ার থেকে মহাত্মা গান্ধী রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, হাওড়া ব্রিজ অ্যাপ্রোচ রোড হয়ে এগোনোর কথা। বিজেপির নবান্ন অভিযানের আগে সোমবার রাজ্যের বাকি বিরোধী দলগুলোর উদ্দেশে ইঙ্গিতপূর্ণ আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • WhatsApp: মেসেজ যতই হোক পুরনো, হোয়াটসঅ্যাপের এই নয়া ফিচার খুঁজে দেবে এক নিমেষে!

    WhatsApp: মেসেজ যতই হোক পুরনো, হোয়াটসঅ্যাপের এই নয়া ফিচার খুঁজে দেবে এক নিমেষে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ছাড়া বর্তমান প্রজন্মের জীবন যেন অচল। নিত্য নতুন ফিচার নিয়ে এসে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হোয়াটসঅ্যাপ। এই অ্যাপটি লক্ষাধিক মানুষ ব্যবহার করে এবং বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম প্রধান যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে এই অ্যাপ। অফিস থেকে বাড়ি পর্যন্ত, অ্যাপটিতে প্রতিদিন শত শত মেসেজ আদান – প্রদান করা হয়, ফলে এই মেসেজেগুলো কোনও প্রয়োজনে ট্র্যাক করা  কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু আর চিন্তা নেই, কারণ ইউজারদের এই সমস্যা সমাধানের জন্যও হোয়াটসঅ্যাপ ফের এক নতুন ফিচার নিয়ে আসতে চলেছে। যেখানে আপনি খুব সহজেই কোনও নির্দিষ্ট তারিখ বসিয়ে সেই দিনের মেসেজ পড়তে পারবেন।

    এখনও পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপ আপনাকে একটি সুবিধা দিয়েছিল যে, কোনও শব্দ দিয়ে খুঁজলে আপনার সেই প্রয়োজনীয় মেসেজটি সামনে চলে আসত, কিন্তু এবারে পুরনো মেসেজ খোঁজা হবে আরও সহজ। অনেক সময় কোনও পুরনো চ্যাট খুঁজতে গেলে অনেক সময় লেগে যায়, তাই এবার ব্যবহারকারীদের সমস্যার সমাধান করতে হোয়াটসঅ্যাাপ নিয়ে এসেছে চার্জ বাই ডেট ফিচার, অর্থাৎ আপনি এবার তারিখ দিয়ে মেসেজ খুঁজে বার করতে পারবেন। আপনি যদি কোনও নির্দিষ্ট বা বিশেষ দিনের মেসেজ খুঁজে বের করতে চান তবে এই ফিচারের সাহায্যে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন পুরনো মেসেজ।

    আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে ফের নয়া ফিচার! অন্য নম্বর ছাড়াই নিজেকে মেসেজ পাঠান নিজেই

    এই ফিচারে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্যালেন্ডার আইকন যোগ করা হবে। ফলে আপনি মেসেজ টাইপ করার জায়গার পাশে এই আইকোনটি দেখতে পাবেন। আর এই আইকনে ক্লিক করলে আপনি নিজের ইচ্ছা মতো তারিখ পছন্দ করে বেছে নিলে সেই নির্দিষ্ট দিনের সব মেসেজ দেখতে পাবেন।

    wabetainfo-র রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ফিচারটি এই মুহূর্তে ডেভেলপমেন্টের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই এর টেস্টিং শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কবে এই ফিচারটি আসতে চলেছে, এবিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি হোয়াটসঅ্যাপের তরফে। কিন্তু অনুমান করা  হচ্ছে, খুব শীঘ্রই ফিচারটি হোয়াটসঅ্যাপ রোল আউট করবে। তবে জানা গিয়েছে, আইফোন  গ্রাহকরা এই ফিচারটি প্রথমে ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ এই ফিচার প্রথমে আইফোনে আনা হবে ও তারপরে অ্যান্ড্রয়েডে।

  • Russia-Ukraine: রুশ বাহিনীর সঙ্গে জোর টক্কর ইউক্রেনের! খারকিভ থেকে সেনা প্রত্যাহার রাশিয়ার

    Russia-Ukraine: রুশ বাহিনীর সঙ্গে জোর টক্কর ইউক্রেনের! খারকিভ থেকে সেনা প্রত্যাহার রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia – Ukraine War) বড়সড় সাফল্য অর্জন করল ইউক্রেন। গতকাল, শনিবার, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, তারা ইউক্রেনের পূর্ব খারকিভ অঞ্চলের দুটি এলাকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করেছে। প্রায় সাত মাস ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। রাশিয়া তাদের বিশাল সেনাবাহিনীর সাহায্যে ইউক্রেনের একের পর এক এলাকা দখল করলেও ইউক্রেন বাহিনীও তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিল। ফলে ইউক্রেনের এই প্রচেষ্টাই যেন সফল হল।

    ইউক্রেনীয় বাহিনীর অগ্রযাত্রার মুখে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ এলাকা থেকে পিছু হটছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের বাহিনী খারকিভ অঞ্চলে রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে অগ্রসর হয়েছে ও মাত্র তিন দিনের মধ্যে ইউক্রেনের সেনারা রুশ সেনাদের কাছ থেকে খারকিভ অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ পুনর্দখল করে নিয়েছে। দেশের রাজধানী কিয়েভ দখল করার রাশিয়ান প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে ইউক্রেন বাহিনী। শনিবার ইউক্রেনের সেনারা খারকিভের গুরুত্বপূর্ণ ইজিয়াম শহরও দখল করে নেয়৷ ইউক্রেনের বাহিনী দ্রুত অগ্রসর হতে থাকায় যুদ্ধের অন্যতম একটি ফ্রন্ট লাইন হঠাৎ ভেঙে পড়ার জন্য রাশিয়া সেখান থেকে সরে গেছে। শনিবার খারকিভ প্রদেশের ইজিয়ামের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সবচেয়ে পরাজয় ছিল এটি।

    রুশ বাহিনী ইজিয়ামকে তাদের যুদ্ধের প্রধান লজিস্টিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল। এখন থেকেই ইউক্রেনের বহু জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছিল। যদিও রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ জানিয়েছেন, ইজিয়াম এলাকা থেকে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলে সেনাদের পুনর্গঠন করা হবে।

    আরও পড়ুন: চিন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ-মহড়া ভারতের, চিন্তায় আমেরিকা

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই অঞ্চলের বালাকলিয়া শহরের কাছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই চলছে। ওই শহরটি পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে কিয়েভ। আরও জানা গিয়েছে,  বালাকলিয়া এখন আর রুশ সেনার নিয়ন্ত্রণে নেই। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় তুমুল লড়াই চলছে। কিন্তু অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছেন, যে রাশিয়ানদের কাছে তাদের সৈন্যদের জন্য কোন খাদ্য বা জ্বালানী নেই কারণ কিয়েভ তাদের সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দিয়েছে।

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy) শুক্রবার বলেছেন যে, সেনারা পাল্টা আক্রমণ শুরুর পর থেকে খারকিভ অঞ্চলে ৩০ টিরও বেশি এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে।

    ফলে গত সাত মাস ধরে চলা রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে প্রথম দিকে ইউক্রেন দুর্বল হয়ে পড়লেও ফের দখল করতে লড়াই শুরু করেছে জেলেনস্কি বাহিনী। কারণ যেখানে ৫৫ হাজার মানুষের শহর ইজিয়াম দখল করতে ছয় সপ্তাহ পরিশ্রম করেছিল রুশ সেনারা৷ সেখানে ইউক্রেনীয় সেনারা সপ্তাহখানেক অভিযান চালিয়েই শহরটি পুনর্দখল করেছে।

  • Vande Bharat: নবরাত্রিতে মুম্বই-আমেদাবাদ রুটে যাত্রা শুরু হতে পারে নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের, কেমন হবে এই ট্রেনে যাত্রা?

    Vande Bharat: নবরাত্রিতে মুম্বই-আমেদাবাদ রুটে যাত্রা শুরু হতে পারে নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের, কেমন হবে এই ট্রেনে যাত্রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে উৎসবের মরশুম। নবরাত্রির শুভ দিনেই আমেদাবাদ (Ahmedabad) থেকে মুম্বই (Mumbai) যাত্রা শুরু করতে পারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (New Vande Bharat Express)। সম্পূর্ণ ভারতে তৈরি এই আধুনিক ট্রেনটি গতির দিক থেকে বুলেট ট্রেনকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। টেস্ট রানের সময় একটি রেকর্ড তৈরি করেছে নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এর গতি দেখে অনেকেই অবাক। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন যে, তৃতীয় এবং নতুন বন্দে ভারত ট্রেনটি পরীক্ষা চালানোর সময় মাত্র ৫২ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতি অর্জন করেছে। এটি বুলেট ট্রেনের থেকেও বেশি। বুলেট ট্রেনের এই গতি পেতে ৫৪.৬ সেকেন্ড সময় লাগে।

    আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সূচকে ৮১ থেকে ৪৬তম স্থানে ভারত, বিজ্ঞান সম্মেলনে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    আমেদাবাদ থেকে মুম্বইয়ের ৪৯১ কিমি পথ অতিক্রম করতে নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সময় লাগবে ছ’ঘণ্টা। রেল সূত্রে খবর, সকাল ৭-২৫ মিনিটে আমেদাবাদ থেকে ট্রেনটি ছাড়বে। মুম্বই পৌঁছবে দুপুর দেড়টায়। আবার ২-৪০ মিনিটে মুম্বই থেকে ট্রেনটি আমেদাবাদের উদ্দেশে রওনা হয়ে পৌঁছবে রাত ৯-০৫ মিনিটে। চেয়ার কার, এক্সিকিউটিভ চেয়ার কার মিলিয়ে মোট যাত্রী সংখ্যা ১১২৮। স্বয়ংক্রিয় মোটরের সাহায্যে চলে এই ট্রেন। ১৬ বগি বিশিষ্ট এই ট্রেনের পাঁচটি বগিতে মোটর বসানো হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় মোটর ব্যবহারের ফলেই এর গতি অনেক বেশি। বন্দে ভারত-এর পুরো ট্রেনে লাগানো ২০ টি মোটর বুলেট ট্রেনের সামনে বসানো একটি ইঞ্জিনের থেকে বেশি কার্যকর বলে দাবি করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন : অক্টোবর থেকে বড়সড় পরিবর্তন আসছে জিএসটি নিয়মে, জেনে নিন

    ২০২৩-এর ১৫ অগস্টের আগে গোটা দেশে ৭৫টি বন্দে ভারত ট্রেন তৈরি করা হবে। তার পর সেগুলি দাপিয়ে বেড়াবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। গত মাসে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে নতুন বন্দে ভারত ট্রেনগুলি পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি যে, নির্ধারিত সময়ের আগেই দুর্দান্ত মানের বন্দে ভারত ট্রেন তৈরি করেছে ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি। এটি দুনিয়ার অন্যতম সেরা ট্রেন হয়ে উঠতে চলেছে। এই ট্রেনের যাত্রীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করে আছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Bengal Nursing Corruption: নার্সিংয়ে ভর্তি যেন ‘দুর্নীতির’ আঁতুড়ঘর, স্বনির্ভরতার স্বপ্ন অধরাই থাকছে তিথিদের

    Bengal Nursing Corruption: নার্সিংয়ে ভর্তি যেন ‘দুর্নীতির’ আঁতুড়ঘর, স্বনির্ভরতার স্বপ্ন অধরাই থাকছে তিথিদের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: দিনকয়েক আগেই এক বাঙালি নারীর ‘সাহসিকতা’ দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন বঙ্গ সমাজ। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় তখন ইডি হেফাজতে। নিয়মমাফিক জোকা ইএসআই হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হচ্ছে। রুটিন মেনে পরীক্ষা করানোর পরে পার্থবাবু গাড়িতে উঠেছেন, তাঁকে লক্ষ্য করে একটি জুতো উড়ে আসে। এক মহিলা পার্থবাবুর দিকে জুতো ছুড়েছিলেন। বলেছিলেন, “এত টাকা ঘুষ খেয়েছে তাই জুতো মেরেছি। বেশ করেছি।” 

    ওই মহিলার স্বামী জানিয়ে ছিলেন, তাঁদের মেয়ে নার্সিংয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ভর্তি হতে আট লাখ টাকা দরকার। অত টাকা দেওয়ার মতো ক্ষমতা নিম্নবিত্ত ওই পরিবারের নেই। তাই মেয়ের নার্সিং পড়া হয়নি। এদিকে টিভিতে দেখাচ্ছে শিক্ষা দফতরের নিয়োগ নিয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি। সবকিছু মিলিয়েই নাকি ওই মহিলা এমনভাবে রাগের বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছিলেন। দিন কয়েক আগে চন্দ্রকোণার মেয়ে তিথি দলুই আত্মহত্যা করেছেন। কারণ, তিনি নার্সিংয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু পড়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক সঙ্গতি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডও কাজে আসেনি। লোন পাননি তিথি। তাঁর পরিবার জানান, তাই শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার মতো চরম পথ বেছে নেন।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা 

    এই দুই ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়। এ রাজ্যের একটি বড় অংশের নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েরা নার্সিং পড়ে স্বনির্ভর হন। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়। তামিলনাড়ু, কেরলের মতো দেশের একাধিক রাজ্যের মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার রাস্তা নার্সিং। কিন্তু এ রাজ্যে নার্সিং পড়ার পথে এক বড় অন্তরায় হয়ে উঠেছে দুর্নীতি। নার্সিং পড়ার খরচ গত কয়েক বছরে মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে। তবে, ভুক্তভোগীরা জানাচ্ছেন, শুধু কলেজ ফি বাড়েনি। কলেজ ভর্তি হতে নানান জায়গায় টাকা দিতে হচ্ছে। আর তাতেই নাজেহাল হচ্ছেন পড়ুয়ারা।

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে নার্সের চাহিদা যথেষ্ট। স্টাফ নার্সের আসন কয়েক হাজার খালি রয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভিত্তিই এই স্টাফ নার্স। রোগীকে দেখভালের সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব এই স্টাফ নার্সের উপরেই থাকে। সেই চাহিদা পূরণ করতে প্রয়োজন প্রশিক্ষিত নার্স। অথচ গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ জায়গায় নার্সিং কলেজে ভর্তি নিয়ে একটা অস্বচ্ছ হিসাব চলছে।

    গত কয়েক বছরে রাজ্যে কয়েক হাজার নতুন বেসরকারি নার্সিং কলেজ গড়ে উঠেছে। সেগুলোতে ভর্তি করার জন্য এক লাগামহীন অর্থ চাহিদাও তৈরি হয়েছে। শুধু মাত্র কোর্স ফি বাবদ নার্সিং কলেজে টাকা দিতে হচ্ছে এমন নয়। অভিযোগ, প্রবেশিকা পরীক্ষার উত্তীর্ণ তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও নার্সিং কলেজে ভর্তির জন্য বিভিন্ন স্তরে টাকা দিতে হচ্ছে। শুধুমাত্র পড়া খরচ বাবদ লক্ষাধিক টাকা নয়। বিভিন্ন স্তরে টাকার জোগান দিতেই কয়েক লাখ টাকা চলে যাচ্ছে নার্সিং পড়ুয়াদের। আর এই সবটাই বেআইনিভাবেই নেওয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে ভর্তি হতে পারবে না বলেই সাফ জানিয়ে দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল। কিন্তু কোথাও অভিযোগ জানানোর উপায় নেই। 

    আরও পড়ুন: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন ‘নির্মল’ হবে কিনা সংশয়ে চিকিৎসকরা

    স্বাস্থ্য ভবনের নার্সিং শাখায় কর্মরত কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, সবকিছুই হচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অঙ্গুলি হেলনে। স্বাস্থ্য ভবন জানে না, এমন নয়। কিন্তু এই টাকার ভাগ অনেক দূর পর্যন্ত যায়। তাই সব জেনেও কোথাও কোনও হেলদোল নেই। শুধুমাত্র বেসরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রেই যে এত সমস্যা তা নয়। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, ভর্তির তালিকা তৈরির সময় থেকেই একটা অস্বচ্ছতা দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। 

    স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা জানান, নার্সিং রুল বুকের ন্যূনতম নিয়মও মেনে চলা হচ্ছে না। নার্সিংয়ের সবটাই এখন চলছে বেনিয়মে। তিনি জানান, যাঁরা সাব সেন্টারে পোষ্টেড সেই Health Assistant Female রা ৩ বছর ‘uninterrupted’ সার্ভিস করলে তাঁদের TR দিয়ে GNM করাবে বলে তথ্যপুস্তিকা প্রকাশ করে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড এবং পরীক্ষা নেয়। পরীক্ষার পরে, যারা কৃতকার্য হয়, তারা কাউন্সেলিং করার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে স্বাস্থ্য ভবনের Nursing ব্রাঞ্চের আধিকারিকদের পরীক্ষায় বসার জন্যে BMOH এর পারমিশন, Rank কার্ড, অ্যাডমিটসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট পাঠায়।

    প্রথম রাউন্ড কাউন্সেলিং শেষ করার পরও ডিপার্টমেন্টের কোনও হেলদোল ছিল না। TR লিস্ট বার করার, জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড সিট আপগ্রেডেশন সুবিধা পরীক্ষার্থীদের দেয় তাই সেই সার্ভিস ক্যান্ডিডেটরা দ্বিতীয় রাউন্ড কাউন্সেলিংয়ে বসে যাতে সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখ পর্যন্ত TR এর জন্যে অপেক্ষা করা যায়। এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ সব সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের জানিয়েছে, স্বাস্থ্য ভবন থেকে বলে দেওয়া হয়েছে সার্ভিস ক্যান্ডিডেটদের ভর্তি না করতে করলেও ফ্রেশ ক্যান্ডিডেট হিসেবে ভর্তি করতে, এদিকে ফ্রেশ ক্যান্ডিডেট হিসেবে ভর্তি করলে সার্ভিস ব্রেক হয়ে যাবে হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিমেলদের। ওই কর্তা বলেন, “West Bengal Nursing Personnel (Placement on Trainee Reserve) Rules, 2009, অর্ডার নম্বর. HF/O/GA(NG)/303/1N-26/09 অনুসারে HAF দের TR পাওয়ার কথা, কিন্তু ডিপার্টমেন্ট নিঃশ্চুপ। হয়তো এমন সময় TR বার করবে যখন কোন লাভ নেই আর। হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিমেলদের সঙ্গে এই বিশ্বাসঘাতকতা করাটার কি খুব প্রয়োজন ছিল!”

    স্বাস্থ্য দফতরের একাংশের আশঙ্কা, এসএসসির মতো স্বাস্থ্য দফতর নিয়ে কখনো আদালতে তদন্তের নির্দেশ দিলে, তা শিক্ষা দফতরের দূর্নীতিকেও পিছনে ফেলে দেবে।

  • BJP Attacks Nitish: বিজেপি বিরোধী জোট সুযোগ সন্ধানীদের, নীতীশকে নিশানা গেরুয়া শিবিরের

    BJP Attacks Nitish: বিজেপি বিরোধী জোট সুযোগ সন্ধানীদের, নীতীশকে নিশানা গেরুয়া শিবিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছেন বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তাকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বুধবার গেরুয়া শিবিরের তরফে বিষয়টিকে সুযোগ সন্ধানীদের জোট (Opportunistic Alliance) বলে নিশানা করা হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে দেশ। তাই বিরোধীদের উদ্যোগ দানা বাঁধবে না বলেই মনে করে গেরুয়া শিবির।

    বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেস এবং লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়েন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। তার পরেই তিনি উদ্যোগী হয়েছেন বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে। বিহারে গিয়ে নীতীশের সঙ্গে দেখা করেছেন কেসিআর। দিন কয়েক আগে দিল্লি এসে নীতীশ দেখা করেছেন বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে।

    নীতীশ যখন বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে চলেছেন, তখন বিহার ঘুরে এসে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, খরায় জর্জরিত বিহার। খুন জখমের ঘটনা সেখানে প্রতিদিনের ঘটনা। বিহারের কুর্সিতে নীতীশ রয়েছেন দীর্ঘ দিন। কখনও বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে, কখনও বা অন্য কোনও দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে। সেই তিনিই ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দলের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা সেরেছেন। নীতীশের দাবি, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।

    আরও পড়ুন : লক্ষ্য ২০২৪, মেগা বৈঠকে বিজেপি, কী আলোচনা হল জানেন?

    রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, উনি (নীতীশ) বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে দেশ এই সুযোগ সন্ধানী জোটকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। এবং এদের আর কেউ বিশ্বাস করবে না। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের পর দেশে স্থায়ী সরকার এসেছে। মোদির নেতৃত্বে আশা-আকাঙ্খা পূরণ হয়েছে জনতার। সমাজে উন্নয়নযজ্ঞ চলছে। তিনি বলেন, মোদি বিশ্বে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে দেশকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করেছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নীতীশ সবার শেষে বলেও মন্তব্য করেন রবিশঙ্কর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • NFHS 5 Report: পুরুষের তুলনায় বাঙালি মহিলারা নিরাপদ যৌন সংসর্গে বেশি আগ্রহী, বলছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট

    NFHS 5 Report: পুরুষের তুলনায় বাঙালি মহিলারা নিরাপদ যৌন সংসর্গে বেশি আগ্রহী, বলছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: সচেতন ও সর্তক ভাবেই হোক যৌন সম্পর্ক। বাঙালি মহিলারা (Bengali Women) কিন্তু নিরাপদ যৌন সংসর্গে (Protective Sex) যেতেই অধিক আগ্রহী। বাঙালি পুরুষের (Bengali Men) তুলনায় মহিলারাই যৌন নিরাপত্তা (Safe Sex) নিয়ে অধিক সচেতন। অন্তত দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট সে রকম ইঙ্গিত দিচ্ছে।

    ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভিস ৫ ( NFHS 5 Report) রিপোর্ট অনুযায়ী, এইচআইভি (HIV) নিয়ে বাঙালি মহিলাদের মধ্যে সচেতনার হার ১৮.৫ শতাংশ। গ্রামীণ মহিলাদের সচেতনতা ১২.৩ শতাংশ আর শহুরে মহিলাদের মধ্যে এই হার ৩০.৮ শতাংশ। সেই তুলনায় পুরুষেরা অনেকটাই পিছিয়ে। এইচআইভি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পুরুষদের সচেতনতার সার্বিক হার ১৫.৫ শতাংশ। শহুরে পুরুষদের এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা ২১.৩ শতাংশ। গ্রামে সেই হার ১২.৮ শতাংশ। অর্থাৎ, পুরুষদের তুলনায় সচেতনায় এগিয়ে মহিলারা। 

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এইচআইভি নিয়ে সচেতনা বলতে বোঝানো হয়েছে, এইচআইভি সংক্রমণ কীভাবে হয়, স্পর্শ, হাঁচি কিংবা এক শৌচাগার ব্যবহার থেকে নয়। বরং অসচেতন যৌন সম্পর্ক থেকেই এই রোগ সংক্রমিত হয়। তাছাড়া কন্ডোমের ব্যবহার এইচআইভি সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে, এগুলো সম্পর্কে এ রাজ্যের মহিলারাই অধিক সচেতন। 

    আরও পড়ুন: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন ‘নির্মল’ হবে কিনা সংশয়ে চিকিৎসকরা

    এইচআইভিকে ‘নিঃশব্দ মহামারি’ বলেই ব্যাখ্যা করতে চান বিশেষজ্ঞরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিঃশব্দে দেশে শক্তিশালী হচ্ছে এই ‘মহামারি’। রাজ্যেও তার প্রকোপও বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আরেক হিসাব অনুযায়ী, গোটা দেশের ৬ শতাংশ এইচআইভি রোগী পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বাসিন্দা। প্রতি কয়েক হাজার মানুষ নতুন করে এইচআইভি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বাবা-মায়ের থেকে এই রোগ সন্তানদের মধ্যেও সংক্রমিত হচ্ছে। তাই এই রাজ্যে শিশুরাও এইচআইভি-তে আক্রান্ত হচ্ছে। যার জেরে জীবনভর তাদের এই রোগের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। দেহের প্রতিষেধক ক্ষমতা খুব কম থাকে। এইচআইভি আক্রান্তরা যে কোনও রোগে খুব সহজেই কাবু হয়ে যান।

    তবে, এ রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় চিকিৎসা করলে অনেক সময়েই গর্ভস্থ শিশু এইচআইভি রোগ থেকে বাঁচানো যায়। ক্যালকাটা স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন-র চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরেই এইচআইভি চিকিৎসা চালানোর পাশপাশি এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা ও চালানো হচ্ছে। এক চিকিৎসকের কথায়, “মায়েরা সচেতন হচ্ছেন। নিজেরাই সময় মতো এসে চিকিৎসা করান। পরবর্তী প্রজন্মকে এই রোগের হাত থেকে বাঁচাতে চান। এটা নিঃসন্দেহে একটা ইতিবাচক দিক।”

    আরও পড়ুন: শিক্ষক দিবসের দিন ‘যন্ত্রণা’ দিবস পালন করলেন বিক্ষোভরত হবু শিক্ষকরা

    স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তার কথায়, স্কুল স্তর থেকেই এইচআইভি নিয়ে সচেতনতার কাজ হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে দেখাচ্ছে, ১৫ বছরের ঊর্ধ্বের মেয়েরা যৌন নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন হচ্ছে। নিরাপদ যৌন সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল। তবে শুধু মেয়েরা সতর্ক হলেই চলবে না। ছেলেদেরও এই নিয়ে সচেতন হতে হবে, তবেই এই রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা যাবে। তবে, এ রাজ্যের ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা হল পরিযায়ী শ্রমিক। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ ভারতে এ রাজ্যের একটি বড় অংশের পুরুষেরা কাজ করতে যান। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, সেখানে নানান সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেখান থেকেই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক সময় কিন্তু বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে এসে স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে মহিলারাও আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এ রাজ্যে এইচআইভি সংক্রমণের বৃদ্ধি রুখতে মহিলাদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। মহিলারা যদি নিরাপদ যৌন সম্পর্কে অধিক আগ্রহী হন, তাহলে তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে। যার ফলে, এ রাজ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার ও কমবে। সেটাও যথেষ্ট ইতিবাচক দিক। 

LinkedIn
Share