Blog

  • High-Protein Foods: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? সুস্থ থাকতে খান এই উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলো

    High-Protein Foods: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? সুস্থ থাকতে খান এই উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলো

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনার বয়স যতই হোক না কেন, আপনি প্রতিদিন পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করছেন কিনা, সেই দিকে নজর রাখা বিশেষ জরুরী। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন কোষ, পেশী তৈরি করতে, আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, শক্তি জোগাতে, বিপাকক্রিয়া সঠিক রাখতে সহায়তা করে। তবে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিনের প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে বয়স ৫০-এর বেশী হলে কী কী প্রোটিন জাতীয় কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত, তা নিয়ে পুষ্টিবিদরা কিছু খাবারের উল্লেখ করেছেন সেগুলো হল-

    দুগ্ধজাত খাবার

    যাদের দুগ্ধজাত খাবারে কোনও অ্যালার্জি নেই, তাদের জন্য এই ধরণের খাবার খুবই উপকারী। কারণ দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে, এছাড়াও এতে ক্যালশিয়াম রয়েছে। ফলে শরীরে উপকারী প্রোটিন সরবরাহ করে পেশি তৈরিতে সাহায্য করার পাশাপাশি হাড় মজবুত করতেও সহায়তা করে।

    কুইনোয়া

    এটি একটি গোটা শস্য, যা তৈরি করতে খুব সহজ এবং এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। কুইনোয়াতে উপস্থিত প্রোটিন হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, কোলেস্টেরল কমাতে, বার্ধক্যজনিত রোগ কমাতে ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও সহায়তা করে থাকে।

    আরও পড়ুন: রোজ ভিটামিন সি গ্রহণ করছেন? সাবধান! অতিরিক্ত ভিটামিন সি ডেকে আনতে পারে বিপদ

    ডিম

    পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ডিমে ৬-৭ গ্রাম প্রোটিনের সঙ্গে, আয়রন, ভিটামিন বি-12 এবং ডি আছে। ফলে ডিম মস্তিষ্ক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়াও ডিমে থাকা প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ওজন কমাতে সাহায্য করে।

    মটরশুটি ও লেগুম

    এই খাবারে প্রোটিনের পাশাপাশি ২০ টি অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা শরীরের পক্ষে উপকারী। এই জাতীয় খাবারগুলো ফাইবারেও সমৃদ্ধ। ফলে এই খাবারগুলো অনেক পেট ভরা থাকে, ফলে বার বার খেতে ইচ্ছে করবে না, ফলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে উপকারী। এছাড়াও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে, কোলেস্টেরল কমাতে, অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই প্রোটিন জাতীয় খাবারগুলো উপকারী. বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Iran Hijab Law: ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’-এর মাধ্যমে ইরানে চিহ্নিত করা হবে হিজাব উপেক্ষা করা মহিলাদের

    Iran Hijab Law: ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’-এর মাধ্যমে ইরানে চিহ্নিত করা হবে হিজাব উপেক্ষা করা মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলারা ঠিকমতো দেশের হিজাব আইন (Hijab Law) মানছেন কি না, তার ওপর নজরদারি চালাতে এবার প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে ইরান (Iran) সরকার। যে সকল মহিলা এই আইন অমান্য করছেন, বিশেষ ধরনের ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’ (facial recognition) সফ্টওয়্যার দিয়ে তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থাগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেহরান। 

    বেশ কিছুদিন ধরেই মহিলাদের পোশাকের ওপর কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ইরান প্রশাসন। ইরানের ‘পুণ্য প্রচার ও পাপরোধ’ সংক্রান্ত দফতরর সচিব মহম্মদ সালেহ হাশমি গোলপায়েগানি জানান, প্রকাশ্যে মহিলারা ঠিকঠাক পোশাক পরছেন কিনা তার ওপর নজর রাখতেই এই বিশেষ নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। 

    ১২ জুলাই দিনটিকে জাতীয় হিজাব ও পবিত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে ইরান প্রশাসন। এরপরই, এর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সেদেশের মহিলারা। কখনও রাস্তায় তো কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন তাঁরা। একদিকে, প্রকাশ্যে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন মহিলারা। তেমনই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে হিজাব খুলে ছবি তুলে #nohijabday বলে জোর প্রচার চলেছে। সেখানে তাঁরা হিজাব খুলে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: শিখদের পাগড়ি কিংবা কৃপাণের সঙ্গে তুলনা চলে না হিজাবের, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে প্রতিবাদীদের আটক করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইরান সরকার। নেদারল্যান্ডের টুয়েন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আজাদেহ আকবরী জানান, ইরান সরকার দীর্ঘদিন ধরে আইন লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের সনাক্ত করতে এই ফেস রিকগনিশন পদ্ধতির ব্যবহার করে আসছে। বর্তমানে সরকার এই পদ্ধতিটিকে ভিন্ন রূপে ব্যবহার করে স্বৈরতন্ত্রের পরিচয় দিচ্ছে।

    ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকেই মহিলাদের মাথা ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইরানের একটি সমাজসেবী সংগঠন হরানা দাবি করেছে, ইরানে হিজাব না পরায় ২৮ বছর বয়সি এক মহিলাকে বাসের সহযাত্রীর কাছে তিরস্কৃত হতে হয়েছিল। পরে পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে মারধর করেছিল।

    আরও পড়ুন: রুদ্রাক্ষ বা ক্রসের সঙ্গে হিজাবের তুলনা চলে না! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পোশাকবিধি নিয়ে মত সুপ্রিম কোর্টের

    লন্ডনের সোয়াস ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইরানিয়ান স্টাডিজের ইমেরিটাস অধ্যাপক অ্যানাবেলে স্রেবার্নি বলেছেন, ইরান ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ৫০ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে। কিন্তু সরকার নারী অধিকারের ওপর জোর দিচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, সরকার দেশের আর্থিক সমস্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে নজর ঘোরাতেই এই বিষয়গুলিতে জোর দিচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Baguiati Students Murder: ধরা পড়ল বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী, জানেন কীভাবে?

    Baguiati Students Murder: ধরা পড়ল বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী, জানেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে পুলিশের জালে বাগুইহাটি জোড়া খুনের (Baguiati double murder case) মুল চক্রী সত্যেন্দ্র চৌধুরী (Satyandra Chaudhuri)। শুক্রবার সকালে হাওড়া স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ট্রেনে করে অন্য রাজ্যে পালিয়ে যাওয়াই ছিল সত্যেন্দ্রর লক্ষ্য। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিধাননগর পুলিশের একটি বিশেষ দল হাওড়া স্টেশনে সাদা পোশাকে জাল পাতে। কেউ ফুড প্লাজার সামনে তো কেউ নিউ কমপ্লেক্সের ফুটপাথে বসে। চায়ের দোকান, ফলের দোকান, কাগজের স্টল ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল সিআইডির অফিসারেরা। হাওড়া স্টেশনে পৌঁছতেই সতেন্দ্রকে গ্রেফতার করেন তাঁরা। অভিযুক্ততে জেরার জন্য বিধাননগর কমিশনারেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘সিআইডি রাজ্যের ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশন…’, বাগুইআটিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর

    বাগুইহাটির দুই ছাত্র অতনু দে ও অভিষেক নস্করের হত্যা ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় স্থানীয়দের। তা দেখে বেজায় চটেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় বাগুইহাটি থানার ওসি’কে সাসপেন্ড করে রাজ্য সরকার। তারপর তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডি’র হাতে। নিহত দুই ছাত্রের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন। 

    সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত সতেন্দ্রকে ধরতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি তদন্তকারীদের। কারণ, অভিযুক্ত বার বার মোবাইলের সিম কার্ড পরিবর্তন করছিল। ফলে তার নাগাল পেতে সমস্যায় পড়ে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত গোপন সূত্রে তদন্তকারীরা খবর পান, হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে অন্য রাজে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে সত্যেন্দ্র। সেই মতো গোয়েন্দারা সাদা পোশাকে হাওড়া স্টেশনে নজরদারি শুরু করে। অভিযুক্ত স্টেশনে পা রাখতেই তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। স্টেশনেই ট্রেনের টিকিট কাটছিল সত্যেন্দ্র। হয়তো আগামী কয়েকদিন গা-ঢাকা দিতে হবে অনুমান করেই টিকিট কাটার আগে অনলাইনে টাকার একটি লেনদেন করে সত্যেন্দ্র। ওই অনলাইন লেনদেনের সূত্র ধরেই সত্যেন্দ্রর খোঁজ পেয়ে যায় বিধাননগর পুলিশ।

    আরও পড়ুন: বাগুইআটিতে জোড়া খুন, নিহত দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

    উল্লেখ্য, বাগুইহাটির হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণিতে পড়ত অতনু ও অভিষেক। গত ২২ অগাস্ট দুই ছাত্র নিখোঁজ হয়। দু’দিন তাদের কোনও খোঁজ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবারের লোকজন। দায়ের হয় অভিযোগ। অতনুর বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। কারণ, বেশ কয়েকটা উড়ো ফোন পেয়েছেন তিনি। এক কোটি টাকা মুক্তপণও দাবি করা হয়। এর মধ্যেই দুই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অবশেষে জোড়া খুনের ঘটনায় ১৮ দিন পর মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ল পুলিশের হাতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BJP Nabanna Abhijan: দুর্নীতি নয়, বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকাতেই সক্রিয় মমতার পুলিশ! কীসের ভয়?

    BJP Nabanna Abhijan: দুর্নীতি নয়, বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকাতেই সক্রিয় মমতার পুলিশ! কীসের ভয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (BJP Nabanna Abhijan) ঠেকাতে একেবারে উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্যের শাসক দল (TMC Government)। রাজ্যে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি (West Bengal Corruption) এবং তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীদের কেচ্ছা-কেলেঙ্কারি (TMC Minister Leaders Corruption) এক এক করে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এমনিতেই বেকায়দায় মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। 

    এই দুর্নীতির প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার, নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। প্রথম থেকেই তা বানচাল করার উদ্দেশে, পুলিশ এই গণতান্ত্রিক অভিযানের অনুমতি দেয়নি। উল্টে, দিকে দিকে থেকে নবান্নর দিকে আসা বিরোধী নেতা-কর্মীদের কোথাও আটক করা হয়েছে, তো কোথাও টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের যাবতীয় মেশানারিকে ব্যবহার করে যেনতেন প্রকারে গেরুয়া-ঝড় রুখতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে মিছিল আসবে সাঁতরাগাছি থেকে। তার আগে সকালেই গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় কোনা এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ। শুধু বসানো নয়, একেবারে গার্ড রেল ঝালাই করে রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। মজুত রয়েছে ২টি জল কামান। মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। হাওড়া ময়দান থেকে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল আসার কথা। সেখানে জিটি রোডের ওপর তৈরি করা হয়েছে পুলিশি ব্যারিকেড। এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে গঠিত একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিকে গুঁড়িয়ে দিতে তৎপর মমতার পুলিশ (West Bengal Police)। সাঁতরাগাছিতে ইস্পাতের ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়েছে। এর থেকেই স্পষ্ট তিনি কতটা ভীত ও উদ্বিগ্ন। 

    অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের (Nandigram) ক্ষুদিরাম মোড়ে বিজেপির মিছিল ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিজেপির মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। তমলুক (Tamluk) টোল প্লাজার সামনেও বিজেপির মিছিল রুখে দেয় পুলিশ। নবান্ন অভিযান আটকাতে কাঁথি স্টেশনে মোতায়েন প্রচুর পুলিশ। পুলিশি বাধা টপকেই কাঁথি স্টেশন থেকে রওনা দেন বিজেপি কর্মীরা। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবারও সারাদিন বৃষ্টি চলবে, নেমেছে তাপমাত্রার পারদ, বুধে বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস

    রানিগঞ্জ স্টেশনে বিজেপি কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় উর্দিধারীদের। কয়েকজন জোর করে স্টেশনে ঢুকে পড়লে ৫ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কুলটির বরাকর স্টেশনেও বিজেপি কর্মীদের দেখে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যেতে দেখা যায় পুলিশ কর্মীদের। একজনকে গ্রেফতার করা হয়। আবার, নবান্ন অভিযানে যাওয়ার আগে বোলপুর (Bolpur) স্টেশনে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাঁধে। স্টেশন চত্বর থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করায় বোলপুর স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। 

    বিজেপির নবান্ন অভিযান প্রতিহত করতে শাসক শিবির যে কোনও কসুর রাখছে না, তা স্পষ্ট। বিরোধীদের কটাক্ষ, দুর্নীতি নয়, এরাজ্যের পুলিশ সদা-সক্রিয় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে। তাই তো বিজেপির নবান্ন অভিযান রুখতে হাজারে-হাজারে পুলিশ মোতায়েন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Taragiri: জলে ভাসল নৌসেনার স্টেলথ ফ্রিগেট ‘আইএনএস তারাগিরি’, কতটা শক্তিশালী এই রণতরী?

    Taragiri: জলে ভাসল নৌসেনার স্টেলথ ফ্রিগেট ‘আইএনএস তারাগিরি’, কতটা শক্তিশালী এই রণতরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সমরাস্ত্রে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পে তৈরি হচ্ছে আধুনিক অস্ত্র, মিসাইল, হেলিকপ্টার, ট্যাঙ্ক ও বড় বড় যুদ্ধ জাহাজ। কয়েকদিন আগেই ভারতীয় নৌবাহিনী হাতে পেয়েছিল আইএনএস বিক্রান্ত। এবার দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তৃতীয় স্টিলথ ফ্রিগেট ‘তারাগিরি’ (Stealth frigate Taragiri) যোগ হল নৌবাহিনীতে। তারাগিরি তৈরিতে ৭৫ শতাংশ দেশীয় উপাদান ব্যবহৃত হয়েছে। যা মুম্বইয়ের মাজাগন ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডে তৈরি। রবিবার রণতরীটি আনুষ্ঠানিকভাবে পথ চলা শুরু করল। 

    আরও পড়ুন: জলে ভাসল দেশের তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত

    গাড়োয়ালে অবস্থিত হিমালয়ের একটি পর্বতশ্রেণীর নামানুসারে তারাগিরি রণতরীর নামকরণ করা হয়েছে। জাহাজটির ডিজাইন করেছে ভারতীয় নৌবাহিনীর ইন হাউশ ব্যুরো অফ নেভাল। তারাগিরির ওজন ৩৫১০ টন। লম্বা ১৪৯ মিটার এবং চওড়া ১৭.৮ মিটার। জাহাজটির দুটি গ্যাস টারবাইন ও দুটি প্রধান ডিজেল ইঞ্জনের সমন্বয়ে চালিত হবে। তারাগিরির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় প্রায় ৫২ কিমি। এতে ৩৫ জন অফিসারসহ মোট ১৫০জনকে মোতায়েন করা যাবে। 

    আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে মুম্বই-আমেদাবাদ রুটে যাত্রা শুরু হতে পারে নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের, কেমন হবে এই ট্রেনে যাত্রা?

    জাহাজটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র, সেন্সর, অ্যাডভান্স অ্যাকশন ইনফরমেশন সিস্টেম, ইন্টিগ্রেটেড প্ল্যাটফর্ম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, বিশ্বমানের মডুলার প্রভৃতি সুবিধা রয়েছে। এটি সারফেস টু সারফেস সুপারসনিক মিসাইল সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত। বিমান হামলা প্রতিরোধের জন্য এতে ৩২ বারাক ৮ ইআর এবং ভারতের গোপন অস্ত্র ভিএলএসআরএসএএম (VLSRSAM) ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার কথা রয়েছে। তারাগিরিতে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রও মোতায়েন করা যাবে। সাবমেরিন বিরোধী যুদ্ধের জন্য দুটি ট্রিপল টর্পেডো টিউব রয়েছে এই রণতরীতে। এখান থেকে দুটি হেলিকপ্টার নামা ওঠাও করতে পারবে। দুটি একে ৬৩০ এম সি আই ডব্লু এস বন্দুকের পাশাপাশি একটি ৭৬ এমএম ওটিও মেলারা নেভাল গান লাগানো থাকবে এই যুদ্ধজাহাজে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India-US: মোদির লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত, আমেরিকার নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক বানিজ্যে না দিল্লির

    India-US: মোদির লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত, আমেরিকার নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক বানিজ্যে না দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনকে শায়েস্তা করতে নয়া পন্থা অবলম্বন করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হাতে না পেরে পাতে মারাই লক্ষ্য তাঁর। সেই অনুযায়ী জাপান, ভারত সহ এশিয়ার ১৩টি দেশকে নিয়ে আমেরিকা তৈরি করেছিল ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমওয়ার্ক। যেখানে সমমনোভাবান্ন দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া গড়ে তোলার পাশাপাশি বানিজ্য প্রসারই ছিল মূল লক্ষ্য। কিন্তু ভারত সরকার আপাতত এই প্রকল্পে অংশ নিতে চায় না। লস অ্যাঞ্জেলসে মার্কিন বানিজ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্পষ্ট করে দিয়েছে দিল্লি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর ফলে ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমওয়ার্ক প্রকল্প বড় ধাক্কা খেল।

    আরও পড়ুন: উপাসনা স্থল আইন সংক্রান্ত আবেদন পত্র পাঠানো হতে পারে সাংবিধানিক বেঞ্চে, মত সুপ্রিম কোর্টের

    কিন্তু হঠাৎ করে ভারতের পিছিয়ে আসার কারণ কি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এক ঢিলে দুই পাখি মারার কৌশল নিয়েছে আমেরিকা। একদিকে আর্থিকভাবে চিনকে দুর্বল করার পাশাপাশি নিজেদের বানিজ্য প্রসারের চেষ্টায় রয়েছে বাইডেন সরকার। এক্ষেত্রে বর্তমান ব্যবস্থা ধ্বংস হতে পারে। তার জেরে নতুন সমস্যা উত্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। মোদির লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত। সঙ্গে রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপকে আরও শক্তশালী করে তোলা। পাশাপাশি মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পকে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়াই ভারত সরকারের মূল লক্ষ্য। ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কে যোগ দিলে সেই প্রয়াস বাধা পাবে। তাই ভারত এই প্রকল্প থেকে আপাতত সরে আসার সিদ্ধান্ত নিল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সূচকে ৮১ থেকে ৪৬তম স্থানে ভারত, বিজ্ঞান সম্মেলনে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    তবে এখনই হাল ছাড়ার পাত্র নন আমেরিকা। মার্কিন বানিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথেরিন তাই জানিয়েছেন, ‘ভারত এখন ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কে অংশ নিচ্ছে না ঠিকই, তবে আমরা আশা ছাড়ছি না। ভারতের বনিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে আলোচনায় আমরা খুশি। এবছরের শেষের দিকে দুই দেশের প্রতিনিধি আবারও মিলিত হবেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আমরা এই বিষয়ে ফের বিস্তারিত আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’ উল্লেখ্য, ভারত ছাড়াও আইপিইএফ প্রকল্পে থাকার কথা অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই, ফিজি, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও আমেরিকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Kohinoor: রানির মৃত্যুর পর কার দখলে কোহিনূর? আদৌ কি ভারত ফিরে পাবে তার ‘অমূল্য রত্ন’?

    Kohinoor: রানির মৃত্যুর পর কার দখলে কোহিনূর? আদৌ কি ভারত ফিরে পাবে তার ‘অমূল্য রত্ন’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের সিংহাসনে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে রাজত্ব করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (Queen Elizabeth)। প্রায় ৭০ বছর এই রানির পদে থেকেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন রানি৷ তাঁর মৃত্যুর পর এখন ব্রিটেনের সিংহাসনে বসবেন প্রিন্স চার্লস৷ রানির প্রায় সব সম্পত্তির মালিকই এখন তিনি। কিন্তু কোহিনুর কার কাছে যাবে সে দিকেই তাকিয়ে আছে ভারতসহ গোটা পৃথিবী। 

    এই বছরের শুরুতে রানি নিজেই ঘোষণা করেছিলেন ডাচেস অফ কনওয়েল (Duchess of Cornwall) ক্যামিলা  কুইন কনসর্ট হিসেবে পরিচিত হবেন৷ তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে প্রিন্স চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলাকে তাই এই কোহিনূর উত্তরাধিকার হিসেবে দেওয়া হতে পারে৷ নিজের ব্রিটিশ সিংহাসনে বসার ৭০ বছর পূর্তিতে কুইন এলিজাবেথ এই ঘোষণা করেছিলেন৷ যদিও এই অমূল্য হীরে পাওয়ার পথ এত সহজ নাও হতে পারে। অন্য পথেও হাঁটতে পারে ব্রিটেনের রাজ পরিবার। 

    আরও পড়ুন: তারার দেশে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ! শোকবার্তা মোদির

    রানি এলিজাবেথের মুকুটের অমূল্য হীরেটি ১০৫.৬ ক্যারেটের, ওজন ২১.৬ গ্রাম। ১১০০ থেকে ১৩০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের কাছে কল্লুর খনি থেকে পাওয়া গিয়েছিল এই হীরে। ১৩১০ সালে কাকোতীয় বংশের সঙ্গে বরঙ্গলের যুদ্ধে এই হীরে দখল করেন দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি। পরে তা হাতবদল হয়ে আসে মুঘল দরবারে। ‘বাবরনামা’য় উল্লেখ রয়েছে, ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপথের যুদ্ধে তা বাবরের দখলে  আসে। সপ্তদশ শতকে মুঘল সম্রাট শাহজাহানের দরবারে ময়ূর সিংহাসনে শোভা পেত কোহিনুর। পার্সি ভাষায় ‘কোহিনূর’ শব্দের অর্থ ‘আলোর পর্বত’। ১৭৩২ সালে নাদির শাহ মুঘল সাম্রাজ্য আক্রমণ ও দিল্লি লুণ্ঠন করে ময়ূর সিংহাসনের সঙ্গে কোহিনুর হীরেটিকেও নিয়ে যান ইরানে। পরে দেহরক্ষীদের দ্বারা নিহত হন নাদির শাহ।

    নাদির শাহের পর আহমদ শাহ দুররানি কোহিনুর হস্তগত করেন। ১৮১৩ সালে দু্ররানি পাঞ্জাবের সিংহাসন হারলে তা ‘শের-ই-পঞ্জাব’ মহারাজা রঞ্জিত সিংহের হাতে আসে। তিনি নাকি এই বহুমূল্য হিরে তাঁর পাগড়িতে আটকে রাখতেন। রঞ্জিত সিংহের পর এই হীরের মালিকানা লাভ করেন নাবালক মহারাজা দলীপ সিংহ। শতাব্দীর পর শতাব্দী বিভিন্ন হাতে ঘুরেছে এই কোহিনূর৷ যখন ১৮৪৯ সালে পাঞ্জাবে ব্রিটিশ শাসন শুরু হয়৷ সেই সময় এই হীরে রানি ভিক্টোরিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ সেই থেকে এই রত্ন ব্রিটিশ ক্রাউন জুয়েলের (British Crown Jewels)  অংশ হয়ে যায়৷ কিন্তু এই হীরে নিয়ে বিবাদ আজও অব্যাহত। কুইন এলিজাবেথের জন্য প্ল্যাটিনাম ক্রাউনে এই হীরে বসানো হয়৷

    এক কালের ভারতের এই সম্পত্তির মায়া এখনও ছাড়তে পারেননি ভারতবাসী। একদিন ব্রিটেনের এই রাজপরিবার ভারতবর্ষ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল দুর্মূল্য কোহিনূর। কেটে গিয়েছে বহুদিন। বহুবার রাজ পরিবারে হাতবদল হয়েছে কোহিনূরের। কোহিনুরখচিত মুকুট এক মাথা থেকে আরেক মাথায় গিয়েছে। কিন্তু সেই হিরে আর ফিরে পায়নি ভারত। কিন্তু কোহিনূর পাওয়ার আশায় আজও বুক বেঁধে রয়েছে এই দেশ। কারণ কোহিনূর যে তাঁদের, এই দেশের। যদিও তত্ত্ব বলছে ভারত ছাড়াও আরও চার দেশের সঙ্গে জড়িত কোহিনূরের ইতিহাস। তবে ভারতের দাবিই সব থেকে বেশি। কারণ লিখিত ইতিহাসে কোহিনূরকে ভারতের সম্পত্তি বলেই দাবি করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Broken Rice: ভাঙা চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি ভারতের, কেন জানেন? 

    Broken Rice: ভাঙা চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি ভারতের, কেন জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিলম্বে ভাঙা চালের (Broken Rice) রফতানি (Export) নিষিদ্ধ (Ban) করল ভারত (India)। এই প্রেক্ষিতে ভাঙা চালের রফতানি নীতি ‘মুক্ত’ থেকে ‘নিষিদ্ধ’ করা হয়েছে। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১৫ সেপ্টেম্বর অবধি রফতানিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কারণ কোথাও কোথাও জাহাজে ইতিমধ্যেই রফতানির জন্যে মাল তোলা হয়ে গিয়েছে বা শুল্ক প্রক্রিয়া সম্পন্ন অথবা বিলিং হয়ে গিয়েছে। সেগুলিকে বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শিখদের পাগড়ি কিংবা কৃপাণের সঙ্গে তুলনা চলে না হিজাবের, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    মনে করা হচ্ছে এ বছর খরিফ শস্যের ফলন কম হতে পারে। এতে যোগান এবং দামেও প্রভাব পড়বে। আর তাতেই এই নিষেধাজ্ঞা বলে মনে করছেন অনেকেই। বৃহস্পতিবারই অ-বাসমতি চালে (সিদ্ধ চাল বাদ দিয়ে) ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক ধার্য করেছে ভারত সরকার। এই শুল্ক লাগু হবে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে। 

    রেভিনিউ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ভুসি চালের (Husked Rice) পরেও ২০% রফতানি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস আরও বলেছে যে, কিছুটা ভাঙা বা সম্পূর্ণ ভাঙা চাল পালিশ করা হোক বা না হোক (সিদ্ধ চাল এবং বাসমতি চাল বাদ দিয়ে)- তার ওপরেও ২০% শুল্ক লাগু করা হবে।  
     
    এই খরিফ মরসুমে ধান চাষের আওতাধীন এলাকা আগের মরসুমের তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ কম। ভারতীয় কৃষকরা এই খরিফ মরসুমে কম ধান চাষ করেছেন। খরিফ ফসল বেশিরভাগই বর্ষাকালে বপন করা হয় – মূলত জুন এবং জুলাই মাসে। ফসল কাটা হয় অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে।

    আরও পড়ুন: “দারুণ কাজ করছেন”, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প
     
    ফসলের এলাকা হ্রাস পাওয়ার প্রাথমিক কারণ বর্ষা এবছর দেরিতে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, এবছর কম ফলনের ফলে দেশে খারিফ শস্যের ঘাটতি দেখা  দিতে পারে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্যে এ বছর মে মাসের শুরুতে গম রফতানিও নিষিদ্ধ করেছিল দেশ। গম রফতানি নিষিদ্ধ করার সময় সরকার বলেছিল, যে দেশের সামগ্রিক খাদ্য নিরাপত্তা পরিচালনার পাশাপাশি প্রতিবেশী এবং অন্যান্য দুর্বল দেশগুলির চাহিদা মেটাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।  

    ভারত সরকার শুধু গম রফতানি নিষিদ্ধ করেই থেমে থাকেনি। এর পরে কেন্দ্র আটা, ময়দা, সুজির মতো পণ্য রফতানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্য শস্যের সরবরাহ কমেছে এবং দাম বেড়েছে। ইউক্রেন এবং রাশিয়া দুই প্রধান গম সরবরাহকারী দেশ। এই দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের কারণে গমের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তাই আগে থেকেই সাবধান থাকতে চাইছে ভারত। 

  • Amazon Sale: শুরু হচ্ছে অ্যামাজন গ্রেট ইন্ডিয়ান ফেস্টিভ্যাল সেল! জানুন কিসে মিলবে ছাড়

    Amazon Sale: শুরু হচ্ছে অ্যামাজন গ্রেট ইন্ডিয়ান ফেস্টিভ্যাল সেল! জানুন কিসে মিলবে ছাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো মানেই কেনাকাটা। নতুন জামা, জুতো থেকে ‘নিউ ফোন’। আর কেনাকাটা মানে  এখন শুধু হাতিবাগান বা গড়িয়াহাট নয়, কোভিড পরবর্তী বিকিকিনি মানেই ‘অনলাইন শপিং’। তাই উৎসবের কিছুদিন আগেই বড় ছাড়ের (Sell) ঘোষণা অ্যামাজনে (Amazon)। সপ্তাহের শুরুতেই Amazon Great Indian Festival Sale 2022 ঘোষণা করেছে জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থা। নিজেদের ওয়েবসাইটে তারা জানিয়েছে শীঘ্রই এই সেল শুরু হবে। বিভিন্ন গ্যাজেটে আকর্ষণীয় ছাড়ের সঙ্গেই গ্রাহকরা ক্যাশব্যাক ও এক্সচেঞ্জ অফার পাবেন। একই সঙ্গে থাকছে নো কস্ট ইএমআই-এর সুযোগ। তবে কবে থেকে এই সেল শুরু হবে তা জানায়নি সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: ভারতের অর্থনীতির হাল স্থিতিশীল, বৃদ্ধির হারও আশাব্যঞ্জক, জানাল মুডি’জ

    এই সেলে স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, স্মার্ট গ্যাজেট ও অ্যামাজন অ্যালেক্সা (Amazon Alexa) চালিত বিভিন্ন ডিভাইসে মিলবে বিশেষ ছাড়। এসবিআই (SBI) ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড গ্রাহকরা এই সেল চলাকালীন অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন। এছাড়াও প্রথমবারের জন্য অ্যামাজন থেকে কেনাকাটা করলে মিলবে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক। এই সেল শুরুর আগেই Amazon Prime সদস্যরা বিভিন্ন ডিলে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

    আরও পড়ুন: প্রকাশিত হয়েছে নিট-ইউজি- র ফল, এমবিবিএস ছাড়া আর কোন কোর্সে পড়ার সুযোগ রয়েছে? জেনে নিন

    বিভিন্ন স্মার্টফোনে আকর্ষণীয় ছাড়ের সঙ্গেই এই সেলে মোবাইল ফোন অ্যাকসেসারিজ, স্মার্টওয়াচ, ট্যাবলেট, ল্যাপটপের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে মিলবে দুর্দান্ত ছাড়। বিভিন্ন ডিভাইসের সঙ্গে পাওয়া যাবে কম্বো অফার। একই সঙ্গে এই সেল চলাকালীন ৬০টি নতুন প্রোডাক্ট লঞ্চ করবে অ্যামাজন। গত সপ্তাহেই বিগ বিলিয়ন ডে (Big Billion Days 2022) এর ঘোষণা করেছিল ফ্লিপকার্ট (Flipkart)। এর পরে অ্যামাজনের সেল ঘোষণা ছিল সময়ের অপেক্ষা। এখন উৎসব শুরুর আগেই বাজার ধরতে জোর টক্কর দুই ই-কমার্স সংস্থার মধ্যে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘সিআইডি রাজ্যের ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশন…’, বাগুইআটিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘সিআইডি রাজ্যের ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশন…’, বাগুইআটিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাগুইআটিতে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে অপহরণ ও খুনের (Baguiati Twin Kidnapping and Murder) ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মর্মান্তিক এই ঘটনায় বাগুইআটি থানার পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এদিন বাগুইআটি থানার সামনে বিজেপির প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেখানেই রাজ্যের পুলিশ ও পুলিশমন্ত্রীর উদ্দেশে তীব্র আক্রমণ শানান। বিক্ষোভে যোগ দিয়ে এক বিস্ফোরক দাবি করেন শুভেন্দু। বাগুইহাটির ওসি কল্লোল ঘোষ কে আক্রমণ করে ভাইপোর ‘পিএ’ বলে সম্বোধন করে শুভেন্দু দাবি করেন, কল্লোল ঘোষকে উত্তর ২৪ পরগনা যুব তৃণমূলের সভাপতি ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে এই থানায় নিয়ে এসেছিলেন। শুভেন্দু বলেন, বাগুইআটি থানার বিদায়ী ওসি কল্লোল ঘোষ একজন চোর – ডাকাত। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোট লুঠ করতে মোটা টাকা দিয়ে তাঁকে বাগুইআটিতে এনেছেন উত্তর ২৪ পরগনা যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তী।

    আরও পড়ুন: বাগুইআটিতে জোড়া খুন, নিহত দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

    জোড়া খুনে সিবিআই তদন্তের দাবিও তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, ‘‘সিআইডি ওদের ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশন। তাদের দিয়ে তদন্ত করিয়ে কোনও লাভ নেই।’’ রাজ্য সরকার অবিলম্বে সিবিআই তদন্তের অনুমতি না দিলে তাঁরা যে জনস্বার্থে কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা করবে, সেই হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। দুই পড়ুয়ার পরিবারকে আইনি সাহায্য দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷  একইসঙ্গে বাগুইহাটির পুলিশের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে শুভেন্দু দাবি করেছেন, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের শোকজ কিংবা সাসপেন্ড নয়, তাদের গ্রেফতার করতে হবে।’’ 

    এদিন সকাল থেকেই বাগুইআটি থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে বিজেপি-র (BJP) মহিলা মোর্চার কর্মীরা৷ আজ দুপুরেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ আজ প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। একের পর এক বিস্ফোরক বক্তব্য রেখে গেছেন এদিন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তীব্র কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পুলিশ মন্ত্রীও বটে, তিনি যখন মিডিয়াতে ঝড় ওঠে, বিরোধী দল বিশেষ করে বিজেপি দল প্রতিবাদে সোচ্চার হয়, তখন ইস্যুটাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি অনেক রকম ছলাকলা করেন। কারণ আমরা জানি, মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা না বলে জলগ্রহণ করেন না। সারাদিন মিথ্যা কথা বলতে বলতে তাঁকে এগোতে হয়। এবং পশ্চিম বাংলায় তিনি গত বিধানসভায় জিতেছেন জেহাদিদের সমর্থনে আর পুলিশের সাহায্যে। এখন শুধুমাত্র পুলিশরা টিকে আছে। যে পুলিশের সাহায্যে চলে খেলা মেলা, রক্তদান, অস্ত্রদান  আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তার ভাইপোর মিটিংয়ে গাড়ি ভর্তি করে লোক পাঠানো।“

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share