Blog

  • UNSC: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক ভারত, এবার দাবি ফ্রান্সের

    UNSC: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক ভারত, এবার দাবি ফ্রান্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য হোক ভারত (India)। এবার সওয়াল করল ফ্রান্সও। কেবল ভারত নয়, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদে আসুক জার্মানি, ব্রাজিল এবং জাপানও। অন্ততঃ এমনই চাইছে ইমানুয়েল মাক্রঁর দেশ। নিরাপত্তা পরিষদকে শক্তিশালী করতে এই দেশগুলিকেও স্থায়ী সদস্য করা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে ফ্রান্স। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে ফ্রান্সের ডেপুটি পার্মানেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ নাথালি ব্রডহার্স বলেন, ফ্রান্সের অবস্থান স্পষ্ট। এবং সবাই জানে। আমরা চাই, নিরাপত্তা পরিষদ আজকের বিশ্বের উপযোগী হোক। এজন্য প্রয়োজন আরও প্রতিনিধির। এর কর্তৃত্ব এবং ফল যাতে ভাল হয়, সেই কারণেই নিরাপত্তা পরিষদে প্রয়োজন আরও প্রতিনিধি।

    নিরাপত্তা পরিষদ…

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। ভারতের হয়ে সম্প্রতি সওয়াল করেছে রাশিয়াও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই। এই অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য। এবার ভারত সহ চার দেশের স্থায়ী সদস্য করার দাবি তুলল ফ্রান্সও।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার

    নিরাপত্তা পরিষদের জেনারেল অ্যাসেম্বলি প্লেনারি মিটিংয়ে নাথালি ব্রডহার্স বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারত, জার্মানি, ব্রাজিল এবং জাপান স্থায়ী সদস্য হোক চায় ফ্রান্স। আমরা চাই আফ্রিকান দেশগুলির শক্তিশালী উপস্থিতি থাকুক। তাদেরও কোনও একটি দেশকে স্থায়ী সদস্য করা হোক। বাকি যে পদগুলি খালি থাকবে, সেখানে ভৌগোলিক অঞ্চল ভেদে প্রতিনিধিত্ব রাখা হোক। তিনি বলেন, ভেটো প্রয়োগের ক্ষমতাটি সংবেদনশীল। নিরাপত্তা পরিষদে ফ্রান্সের প্রতিনিধি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান সবাই জানে। ব্রিটেনও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছিল ঢের আগেই। কেবল স্থায়ী সদস্য নয়, অস্থায়ী সদস্য বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছিল ব্রিটেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কাছে। তবে কার কাছে সে টাকা গিয়েছে, তাঁর নাম নিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর নিশানায় কে, তাও খোলসা করলেন না নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিধায়ক।

    ইডি এবং সিবিআই…

    কয়লাপাচারকাণ্ডের মূল পৌঁছতে তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনিয়ে জেরাও করেছে তারা। অভিযান চালানো হয়েছে তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তৃণমূলের সওকত মোল্লাকেও। এঁদের প্রত্যেকেরই দাবি, কয়লা পাচারের সঙ্গে এঁদের কোনও যোগ নেই। কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে একাজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এহেন আবহে বিস্ফোরক দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।

    শুক্রবার ইডির দেওয়া চার্জশিটের প্রিন্ট আউট বলে দাবি করা কিছু কাগজ দেখিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, কয়লা দুর্নীতির সঙ্গে একটা বড় চক্র যুক্ত। তাতে রাজনৈতিক প্রভাবশালীও যুক্ত রয়েছে। আয়কর হানায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার যে দু্র্নীতির হদিশ মিলেছে, তার মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা গিয়েছে এক রাজনৈতিক প্রভাবশালীর কাছে। যিনি পুলিশ ও প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করেন।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    স্ব-বক্তব্যের দাবির সমর্থনে শুভেন্দু  (Suvendu Adhikari) এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত গুরুপদ মাজিকে দেওয়া ইডির দুশো পাতার চার্জশিরের কয়েকটি পাতার নম্বর উল্লেখ করে বলেন, এই চার্জশিটের কপি এখন জনসমক্ষে রয়েছে। আপনারা একটু কষ্ট করে দেখে নিন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, কয়লা দুর্নীতির সঙ্গে একটা বড় চক্র যুক্ত রয়েছে। তাতে যুক্ত রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকেরা। ১২ ডিসেম্বর মামলা সুপ্রিম কোর্টে নির্দিষ্ট হয়েছে। তাই আমি ডিটেলস তথ্য প্রমাণ আপনাদের কাছে বলছি না। তিনি বলেন, এই মামলার মূল লাভবান, হাজার কোটি টাকা গেছে, তাঁর লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানিতে গেছে। মামলা সুপ্রিম কোর্টে আছে ১২ ডিসেম্বর। এদিন তৃণমূলের জেলবন্দি নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও একহাত নেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বলেন, যাঁরা লুঠেরাদের সমর্থন করেন, তাদের কাছ থেকে আমরা শিখব না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Vikram-S: মহাকাশে দেশের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি রকেট ‘বিক্রম-এস’, উচ্ছ্বসিত মোদি

    Vikram-S: মহাকাশে দেশের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি রকেট ‘বিক্রম-এস’, উচ্ছ্বসিত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশের পাড়ি দিল দেশের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত রকেট ‘বিক্রম-এস’(Vikram-S)। শুক্রবার সকাল ১১:৩০ নাগাদ এই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকল অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা। সতীশ ধওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের লঞ্চ প্যাড থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয় হায়দরাবাদের বেসরকারি সংস্থা ‘স্কাইরুট এরোস্পেস’-এর তৈরি রকেটটির। রকেটের পেটে করে মহাকাশে পাড়ি দেয় দুটি দেশীয় ও একটি বিদেশি উপগ্রহ। রকেটটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিক্রম-এস’(Vikram-S)। রকেটটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮১ কিলোমিটার উচ্চতায় নির্দিষ্ট কক্ষপথে অবস্থান করবে। ইসরো সূত্রের খবর, উৎক্ষেপণের পর সফল ভাবেই নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে গিয়েছে। 

    ‘‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    সফল উৎক্ষেপণের পর ইসরো ও বেসরকারি উদ্যোগের যৌথ অংশদারির ভূয়সী প্রশংসা করেন নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ভারতের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। স্কাইরুট অ্যারোস্পেসের তৈরি রকেট বিক্রম-এস শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করেছে। এই কৃতিত্ব অর্জন করার জন্য ইসরো ও ইনস্পেসইন্ডকে অভিনন্দন। তিনি যোগ করেন, এই কৃতিত্ব আমাদের দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে থাকা প্রতিভার প্রতীক। 

    বেসরকারি সংস্থার  নাম ‘স্কাইরুট এরোস্পেস’

    ‘বিক্রম-এস’(Vikram-S)। ‘স্কাইরুট এরোস্পেস’-এর এই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘প্রারম্ভ’ (Prarambh Mission)। প্রারম্ভ অর্থাৎ শুরু। প্রসঙ্গত, বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি প্রথম রকেটটির নামকরণও করা হয়েছে ভারতের মহাকাশ অভিযানের প্রাণপুরুষ এবং ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা বিক্রম সারাভাইয়ের নাম অনুসারে। ‘বিক্রম-এস’-এর নির্মাতা সংস্থার তরফ থেকে  চলতি মাসের গোড়ায় জানানো হয়েছিল, তাঁদের রকেট নির্মাণের কাজ সফল ভাবে শেষ হয়েছে। নভেম্বরের ১২ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে উৎক্ষেপণ হবে। ইসরোর একটি সূত্র জানাচ্ছে, ইঞ্জিনের কিছু খুঁটিনাটি পরীক্ষার কারণেই সময়সীমা আরও কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার সফল উৎক্ষেপণের কথা নির্মাতা সংস্থার তরফে টুইটারে জানানো হয়েছে। ‘মডিউলার স্পেস লঞ্চ ভেহিকেলস’ এর সিরিজ হলো এই ‘বিক্রম’ (Vikram-S)। যেখানে আগামী দশকে এই সিরিজের পক্ষ থেকে কুড়ি হাজার ছোট স্যাটেলাইট মহাকাশে স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।

     বিক্রম-এস (Vikram-S) এর গঠন 

    বিক্রম-এস’ (Vikram-S) একটি একক পর্যায়ের সাব-অরবিটাল রকেট। বিক্রম সিরিজ়ের অন্য রকেটগুলির প্রযুক্তিগত ক্ষমতা যাচাই করতে এই রকেট সাহায্য করবে। সংস্থা সূত্রে জানা গেছে এই রকেট তৈরিতে সময় লেগেছে দুই বছর। বিক্রম-এস (Vikram-S) রকেটের ওজন ৫৪৫ কিলোগ্রাম। এই রকেট লম্বায় ৬ মিটার। এর ব্যাস ০.৩৭৫ মিটার। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে দেশে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কারের পথে এগিয়েছিল মোদি সরকার। সেসময় সিদ্ধান্ত হয়, শুধুমাত্র ইসরো নয়, ভারতে এবার মহাকাশে পাড়ি জমানোর রকেট বানাতে পারবে বেসরকারি সংস্থাও। বানাতে পারবে কৃত্রিম উপগ্রহ আর তার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। দেশে মহাকাশ গবেষণায় ইসরো ছাড়াও বেসরকারি সংস্থাগুলিকে টেনে আনার জন্য আলাদা একটি সংস্থা গড়ার প্রস্তাবও বছর কয়েক আগে অনুমোদিত হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই সংস্থার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (ইন-স্পেস)’।

  • Shraddha Walkar Murder: গাঁজার নেশায় শ্রদ্ধাকে খুন, দাবি আফতাবের

    Shraddha Walkar Murder: গাঁজার নেশায় শ্রদ্ধাকে খুন, দাবি আফতাবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত দিন এগোচ্ছে শ্রদ্ধা খুনের ঘটনায় (Shraddha Walkar Murder) আরও হাড় হিম করা তথ্য সামনে উঠে আসছে। আগেই জানা গিয়েছে যে, আফতাব ১৮ মে তে তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫টি টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে আসে। আর এর মধ্যেই জানা গিয়েছে, যে, গাঁজায় আসক্ত ছিল আফতাব। শ্রদ্ধাকে (Shraddha) খুন করার দিনেও গাঁজার নেশায় ছিল সে। ১৮ মে এই খুন গাঁজার প্রভাবে করেছে বলেও দাবি করেছে আফতাব।

    গাঁজায় আসক্ত ছিল আফতাব

    পুলিশ সূত্রে খবর, আফতাব জানিয়েছে, শ্রদ্ধা তাকে গাঁজা খাওয়ার জন্য প্রায়ই বকাঝকা করত (Shraddha Walkar Murder)। তাকে অনেকবার বারন করত গাঁজা না খেতে। এমনকি খুনের ঘটনার দিনেও নিষেধ করেছিল। ওই দিন দুজনের মধ্যে খরচ নিয়ে ঝামেলা বাঁধে। মুম্বই থেকে দিল্লিতে কে জিনিসপত্র আনবে তা নিয়ে দুজনের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। দুজনের মধ্যে বচসার পরে আফতাব বাইরে গিয়ে গাঁজা সেবন করে এবং ফিরে আসে। আফতাব জানিয়েছে, সে শ্রদ্ধাকে খুন করতে চায়নি। কিন্তু গাঁজার প্রভাবেই সে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে শ্রদ্ধাকে। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, রাত ৯টা ১০টার মধ্যে আফতাব শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর সে সারারাত শ্রদ্ধার নিথর শরীরের পাশে বসে বসে একের পর এক গাঁজা ভর্তি সিগারেট খেয়ে গিয়েছিল।

    ২০২০ সাল থেকেই হিংসার শিকার শ্রদ্ধা

    ইতিমধ্যে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বছর দুয়েক আগে একবার মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে (Shraddha Walker)। সে সময়ে তাঁর সারা মুখে ছিল কালশিটের দাগ। তদন্তে এমনটাই জেনেছে পুলিশ। অনুমান করা হয়েছে, হিংসার শিকার হয়েই এই অবস্থা হয়েছিল তাঁর। চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন তেমনটাই। হাসপাতালের রিপোর্ট ঘেঁটে পুলিশ জানতে পেরেছে, পিঠে তীব্র ব্যথা, বমিভাব, ঘাড়ে প্রবল ব্যথা, পা অসাড় হয়ে যাওয়া– এই সমস্ত উপসর্গ ছিল শ্রদ্ধার। এরপর হাসপাতালে তিনদিন থাকার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় (Shraddha Walkar Murder)।

    পুলিশ শ্রদ্ধার বন্ধুবান্ধবদের জেরা করেও ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছে, প্রায়ই মারধর করা হত শ্রদ্ধার উপর। খুন হয়ে যাওয়ার কয়েক মাস আগে ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুকে মেসেজও করেছিলেন সাহায্য চেয়ে। বলেছিলেন, খুন হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু শ্রদ্ধা আফতাবের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা করলেও শেষপর্যন্ত তার সঙ্গে লিভ-ইনে থেকে যায়। আর সেই থেকে যাওয়াই কাল হল শ্রদ্ধার (Shraddha Walkar Murder)।

    এই ঘটনার তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই নতুন তথ্য হাতে পাচ্ছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গতকাল আফতাবের পুলিশ হেফাজতের সময়সীমা আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে ও পরবর্তীতে আরও তদন্ত করার জন্য তাঁকে হিমাচল প্রদেশ বা উত্তরাখন্ডে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। এই খুনের ঘটনায় পরবর্তীতে আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে, সেটিই এখন দেখার (Shraddha Walkar Murder)।

  • Sports Medicine: রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে নেই স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ!

    Sports Medicine: রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে নেই স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুটবল, ক্রিকেট হোক কিংবা যে কোনও অ্যাথলেটিক, খেলার সময় চোট স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু খেলোয়াড়কে দ্রুত সুস্থ করতে (Sports Medicine) কতখানি পরিকাঠামো রয়েছে সরকারি হাসপাতালে? 

    স্পোর্টস মেডিসিন কী?

    রাজ্য সরকার বারবার স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ (Sports Medicine) চালু করার কথা ঘোষণা করলেও, অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালেই স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ নেই। ফলে, রাজ্যের খেলোয়াড়দের জন্য এ এক বড় প্রতিবন্ধকতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, খেলার সময় কিংবা প্রস্তুতি পর্বে খেলোয়াড়দের নানা রকম চোট লাগে। হাড়, পেশি কিংবা স্নায়ুতে টান লাগা, ভেঙে যাওয়া অথবা পেশি ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। তাই দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য দরকার বিশেষ চিকিৎসা। স্পোর্টস মেডিসিন সেই চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সক্ষম।
     
    স্পোর্টস মেডিসিন (Sports Medicine) বিভাগে, এক ছাদের তলায় মেডিসিন, অস্থি, স্নায়ু চিকিৎসকেরা কাজ করেন। তাছাড়া থাকেন ফিজিওথেরাপিস্ট। ফলে, রোগী দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পান। হয়রানি কম হয়। তাই দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ও বেশি থাকে। কিন্তু এই রাজ্যের সরকার হাসপাতালে স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ চালু এখনো পরিকল্পনার পর্যায়ে রয়েছে। 

    পরিকল্পনাই সার, থমকে বাস্তবায়ন

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম হাসপাতালের মতো প্রথম সারির সরকারি মেডিক্যাল কলেজে স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ (Sports Medicine) চালুর পরিকল্পনা হলেও, বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে, এখনও কোনও খেলোয়াড়ের সমস্যা হলে, তাকে একাধিক বিভাগের যেতে হয়। পরিষেবার জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। 

    ভুক্তভোগীদের একাংশ জানাচ্ছেন, কলকাতার কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে স্পোর্টস মেডিসিনের (Sports Medicine) পরিষেবা পাওয়া যায়। কিন্তু সেই সব হাসপাতালের পরিষেবা নেওয়ার সামর্থ্য সকলের নেই। ফলে, তাদের জন্য রয়েছে শুধু ভোগান্তি। রাজ্যের একাধিক জেলায় রয়েছেন অ্যাথলেটিক্স। এশিয়ান গেমস থেকে অলিম্পিক, আন্তর্জাতিক নানান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন জেলার প্রতিভা। কিন্তু তাদের অন্যান্য সাহায্য তো দূর অস্ত, সামান্য স্বাস্থ্য পরিষেবা ও রাজ্য সরকার সুনিশ্চিত করতে পারেন না। এমনটাই মনে করছেন এ রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: আপনি কি ‘ফিটনেস ফ্রিক’? অতিরিক্ত শারীরিক কসরত ডেকে আনতে পারে মৃত্যু! 

    ফিজিওথেরাপিস্ট গুরুত্বপূর্ণ

    এ রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হচ্ছে। এদিকে সেখানে নূন্যতম পরিষেবা সুনিশ্চিত হচ্ছে না। স্পোর্টস মেডিসিন (Sports Medicine) বিভাগ নতুন করে চালু করা তো দূরের কথা, অস্থি বিভাগ, স্নায়ু বিভাগেও নিয়মিত পরিষেবা সুনিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে, জেলা থেকে কলকাতার হাসপাতালে রোগী আসতে বাধ্য হচ্ছেন। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, খেলার সময় নানা রকম চোট পান খেলোয়াড়রা। ওষুধ কিংবা অস্ত্রোপচার ছাড়াও তাদের সুস্থ করতে অন্যতম জরুরি হল থেরাপি। তাই ফিজিওথেরাপিস্ট স্পোর্টস মেডিসিনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকদের একাংশের প্রশ্ন, কিন্তু সরকার ফিজিওথেরাপিস্ট নিয়োগ করেন কি? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুধু খেলোয়াড়দের জন্য নয়। এই ধরণের পরিষেবা সাধারণ মানুষের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে শরীর চর্চা নিয়ে উৎসাহ বাড়ছে। অনেকেই জিম করছে, যোগাভ্যাস করছে। এই ধরণের অভ্যাসের জন্য অনেক সময়েই তারা পেশি, স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছেন। সরকারি হাসপাতালে স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ (Sports Medicine) থাকলে, অনেকটাই হয়রানি কম হয়। কিন্তু পরিকল্পনা থেকে কবে সেটা বাস্তবায়ন হবে, সেটাই এখন প্রশ্নের মুখে। 

  • Diabetes in Children: শিশুদের বাড়ছে টাইপ ২ ডায়বেটিস, কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে?

    Diabetes in Children: শিশুদের বাড়ছে টাইপ ২ ডায়বেটিস, কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিফিন বক্সে থাকে ন্যুডলস কিংবা পাস্তা। সপ্তাহান্তে ভালো-মন্দ খাওয়া মানেই চিকেন ফ্রাই কিংবা পিৎজা, বার্গার। আর মাঝেমধ্যে ডিনারে বিরিয়ানি, চাইনিজ তো চলতেই থাকে। মাঠে ছুটে খেলার সময় বিকেলে থাকে না। তাই বাড়িতেই ফ্রি-টাইম কাটাতে হয়। সঙ্গী হয় মোবাইল। বড়দের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলে গিয়েছে পরিবারের খুদে সদস্যের জীবন (Children Lifestyle)। তাই বয়স্কদের একাধিক সমস্যা এখন বাড়ির সবচেয়ে ছোটো সদস্যের শরীরেও দেখা দিচ্ছে। 

    শিশুরোগ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কম বয়সিদের আগে টাইপ ১ ডায়বেটিস (Diabetes in Children) হতো। অর্থাৎ, ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নিয়ে এই ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়। জন্ম থেকেই এই রোগ অনেক শিশুর শরীরে বাসা বাঁধে। কিন্তু সম্প্রতি কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, শিশুদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়বেটিস (Type 2 Diabetes) হচ্ছে। অর্থাৎ, খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপন থেকে যে ধরণের সমস্যা হয়। ১০-১২ বছর বয়সিদের মধ্যে এই টাইপ ২ ডায়বেটিস হচ্ছে। ইনসুলিন নয়। নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপন এই রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা। 

    আরও পড়ুন: ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য শীতের ডায়েটে কী কী সুপারফুড থাকা জরুরি?

    কী কী খাবে না? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাড়ির বাচ্চাকে কী খেতে দেওয়া হচ্ছে এটা মনে রাখার থেকেও বেশি জরুরি হয়ে উঠছে কী কী খেতে দেওয়া যাবে না। নানান চটজলদি (Fast Foods) ও প্রসেসড্ খাবার (Processed Foods) এখন সব সময় হাজির। সেগুলো খেতেও সুস্বাদু হয়। বাচ্চারা পছন্দ করে। তাই বাড়ির লোকেরাই তাদের সেই সব খাবার খাওয়াচ্ছে। আর এতেই বাড়ছে বিপদ। 
    এই সব চটজলদি খাবারে একদিকে দেহের ওজন মারাত্মক বাড়িয়ে দিচ্ছে। কম বয়স থেকেই কোলেস্টেরল, রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে, ডায়বেটিস (Diabetes in Children) হচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ— হটডগ, বার্গার, পিৎজা, ইনস্ট্যান্ট ন্যুডলস এগুলো নিয়মিত খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। 

    বিরিয়ানি, রোল, মোগলাইয়ের মতো অতিরিক্ত তেল মশলার খাবারে এখন অনেক পরিবারের ছোটরাই অভ্যস্ত। কিন্তু এই খাবার সপ্তাহে একাধিকবার খেলে স্থূলতার সমস্যায় ভোগার আশঙ্কা আছে। আর স্থূলতা ডায়বেটিস (Diabetes in Children) ডেকে আনে। তাই একেবারেই এই অতিরিক্ত তেল মশলা যুক্ত খাবারে অভ্যস্থ হওয়া উচিত নয় বলেই পরামর্শ চিকিৎসকদের। 

    আরও পড়ুন: আপনি প্রি-ডায়াবেটিক হলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?

    কী কী খাবে? 

    শিশুদের মধ্যে ডায়াবেটিস (Diabetes in Children) রুখতে নিয়মিত ফলকে খাবারের তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, যে কোনও দুটি ফল শিশুকে রোজ খাওয়ানো দরকার। বিশেষত কলা, পেয়ারা, লেবু জাতীয় ফল বিশেষ উপকারী। কারণ, এগুলো আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এগুলো নিয়মিত খেলে একদিকে যেন পুষ্টি বাড়বে, তেমনি হজম করার ক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বাড়বে। তাই নিয়মিত খাবারের মেনুতে ফল আবশ্যক। 

    ডায়াবেটিসের (Diabetes in Children) হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করতে স্কুল থেকে ফিরে ন্যুডলস বা পিৎজার বদলে রুটি কিংবা স্যালাড খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানাচ্ছেন, বাড়ির তৈরি রুটি-সব্জির একদিকে যেমন পুষ্টিগুণ রয়েছে, তেমনি সহজ পাচ্য। তাই শরীরের জন্য উপকারি। আলু, গাজর, পেপের মতো সব্জি দিয়ে স্যালাড ও শরীরের জন্য উপকারী। 

    শরীর চর্চা 

    শিশুদের টাইপ ২ ডায়বেটিস (Diabetes in Children) থেকে বাচাতে প্রথম থেকেই শরীর চর্চায় গুরুত্ব দিতে বলছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, শরীর চর্চার অভ্যাস থাকলে দেহের ওজন অতিরিক্ত হবে না। রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বাড়ার ঝুঁকিও থাকবে না। ফলে, ডায়বেটিস (Diabetes in Children) হওয়ার ঝুঁকি কমবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনও জিমে যাওয়ার দরকার নেই। বাড়িতেও নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে সুস্থ থাকা যাবে। বিভিন্ন যোগ ব্যায়াম আছে, যা বাড়িতে করা যায়। সেগুলো নিয়মিত করার অভ্যাস রপ্ত করতে হবে। প্রত্যেক দিন যাতে বাড়ির কনিষ্ঠ সদস্য যোগাভ্যাসে কিছুটা সময় বরাদ্দ করে, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। 

    নভেম্বর মাস ডায়বেটিস অ্যাওয়ারনেস মান্থ (Diabetes Awareness)! একাধিক সমীক্ষায় উঠে আসছে, শিশুদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে এই রোগ (Diabetes in Children)। অথচ জীবন যাপনের নিয়ন্ত্রণ বদলে দিতে পারে এই প্রবণতা। জীবনভর রোগের বোঝা থেকে মুক্তি পেতে পারে শিশুরা। তাই জীবন যাপনের নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিতে চান বিশেষজ্ঞরা। 

  • Saudi Arabia Visa: ভিসা পেতে ভারতীয়দের লাগবে না পিসিসি, বড় ঘোষণা সৌদি আরবের

    Saudi Arabia Visa: ভিসা পেতে ভারতীয়দের লাগবে না পিসিসি, বড় ঘোষণা সৌদি আরবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরবের ভিসা (Saudi Arabia Visa) পাওয়ার জন্য ভারতীয়দের (Indian Citizens) আর প্রয়োজন হবে না পুলিশি ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের (PCC)। বৃহস্পতিবার ট্যুইট করে একথা ঘোষণা করা হয়েছে সৌদি দূতাবাসের তরফে। ওই দূতাবাসের তরফে এও জানানো হয়েছে, দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। সৌদি দূতাবাসের তরফে এই ঘোষণার জেরে উপকৃত হবেন যাঁরা কর্মসূত্রে সৌদি আরব যেতে চান, তাঁদের পাশাপাশি পর্যটকরাও।

    কী বলা হয়েছে ট্যুইট-বার্তায়? 

    ভারতে সৌদি দূতাবাসের তরফে ট্যুইট-বার্তায় জানানো হয়েছে, ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা (Saudi Arabia Visa) পাওয়ার জন্য আর পুলিশি ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে না। সৌদি আরব ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করতে এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব পাওয়ার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভারতীয় নাগরিকদের ভিসার আবেদন করার পদ্ধতি দ্রুততর হবে, পর্যটন সংস্থাগুলি সহজেই ভারতীয়দের সৌদি ট্যুরের ব্যবস্থাপনা করতে পারবে এবং পর্যটকদের ভিসা পেতে একটি নথি কম লাগবে।

    সৌদি দূতাবাসের বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, সৌদিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসরত ২০ লক্ষ ভারতীয় নাগরিকের অবদানকে স্বাগত জানাচ্ছে দূতাবাস। দেশ ছেড়ে অন্য কোনও দেশে চাকরি কিংবা বসবাস বা দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা পেতে পুলিশি ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দাখিল করতে হয়। এই সার্টিফিকেটে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ক্রিমিনাল রেকর্ডের খতিয়ান থাকে। সৌদির ভিসা পেতে গেলে এই সার্টিফিকেটই আর দাখিল করতে হবে না।

    আরও পড়ুন: ভারতে মজেছে আরব! নয়াদিল্লিতে সৌদি প্রধানমন্ত্রী, হিন্দিতে দীপাবলির শুভেচ্ছা আমিরশাহির প্রেসিডেন্টের

    প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত জি ২০ সম্মেলনে মোদির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সৌদির প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ বিন সলমন। সেখানেই সাক্ষাৎ হয় এই দুই রাষ্ট্রনেতার। এর পরেই ভারতীয়দের ভিসা (Saudi Arabia Visa) দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশি ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দিতে হবে না বলে ঘোষণা করল সৌদি দূতাবাস। ঘটনাটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা কূটনৈতিক মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: বাতিল হওয়া প্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার কমিশনের, কেন জানেন?

    SSC Scam: বাতিল হওয়া প্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার কমিশনের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশন ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই হুমকিতে কাজও হল। রাতারাতি ভোল বদলে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) জানিয়ে দিল, বেআইনিভাবে যাঁরা বিভিন্ন স্কুলে (School) নিয়োগ হয়েছিলেন, তাঁদের কখনওই শূন্য পদে নিয়োগ করা যাবে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Scam) এই ইউ-টার্নে আদালতেরই জয় দেখছেন রাজ্যবাসী।

    অতিরিক্ত শূন্য পদে নিয়োগের মামলায়…

    বৃহস্পতিবারই অতিরিক্ত শূন্য পদে নিয়োগের মামলায় এসএসসি কর্তৃপক্ষকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ মেনে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির কথা জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। চলতি বছরের ১৯ মে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়। কমিশনের বক্তব্য ছিল, অবৈধভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন এবং যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের নিয়োগ করার জন্যই এই শূন্যপদ। এর জেরেই বিচারপতির রোষের মুখে পড়ে কমিশন। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মন্তব্য করেছিলেন, যদি এই অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরির বিষয়ে রাজ্য সরকার ও এসএসসির অবস্থান যদি ভিন্ন হয়, তাহলে কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক। এমন কী এ বিষয়ে রাজ্য সরকার কমিশনের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করছে, তা শুক্রবারের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে রাজ্যকে।

    রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন, তাহলে কি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই কমিশন? রাজ্য ও কমিশনের বক্তব্য ও অবস্থান আলাদা হওয়ায় রাজ্য কী পদক্ষেপ করছে, তা শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বসু। সেই মতো এদিন কমিশন জানিয়ে দিল, বাতিল হওয়া প্রার্থীদের অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার করা হল।

    আরও পড়ুন: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আদালতের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে ওই পদে পুনর্বহালের অগ্রাধিকারের আবেদন করেছিল এসএসসি। সেখানে তিরস্কৃত হয় কমিশন। পরে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, পরিবারের কথা ভেবে তাঁদের জন্য অন্য কাজের ব্যবস্থা করা হোক। তবে শিক্ষক হিসেবে কখনওই নয়। কারণ তাহলে বঞ্চিত হবে শিক্ষার্থীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Aadhaar Update Tips: আধার কার্ডের ছবি পছন্দ না? বদলান এই সহজ উপায়ে

    Aadhaar Update Tips: আধার কার্ডের ছবি পছন্দ না? বদলান এই সহজ উপায়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমান সময়ে আধার কার্ড (Aadhar Card) ভারতীয়দের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারতীয় নাগরিকদের ক্ষেত্রে ১২ সংখ্যার আধার নম্বরই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আধার কার্ড আর কেবল আপনার পরচিয়পত্র নয়। এখন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে সন্তানের স্কুলে ভর্তি ছাড়াও সমস্ত ধরণের সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে কাজে লাগে এই কার্ড (Aadhaar Card )। সেই কারণে দেশের নাগরিকদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি হয়ে উঠেছে এই ডকুমেন্ট (Aadhaar Update Tips)।

    তাই এটি জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে লাগলে সবাই এই কার্ডের ছবি নিয়ে সচেতন থাকে (Aadhaar Update Tips)। আধারের ছবি অনেকেরই পছন্দ হয় না। তাই জানেন কি এই ছবিও বদল করা যায়? তবে মনে রাখতে হবে ছবি বদলের কোনও অনলাইন প্রক্রিয়া নেই, আপনাকে কাছের কোনও আধার সেন্টারে গিয়ে এই কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। অন্যান্য তথ্য আপডেট যেমন- নাম, ঠিকানা পরিবর্তন করার সুযোগ অনলাইনে পেলেও ছবি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অনলাইনে কোনও সুবিধা নেই।

    আরও পড়ুন: ১০ বছরে অন্তত একবার আপডেট করতে হবে আধার কার্ডের তথ্য, নয়া গাইডলাইন কেন্দ্রের

    আধার কার্ডে আপনার পুরনো ছবি পরিবর্তন করার পদ্ধতি

    • প্রথমে uidai.gov.in অর্থাৎ UIDAI এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
    • এরপর এই সাইট থেকে সার্চ এবং ডাউনলোড করুন আধার এনরোলমেন্ট ফর্মটি।
    • তারপর যা যা তথ্য প্রয়োজন সেগুলো সব পূরণ করুন এবং আপনার বাড়ির সব থেকে কাছের আধার এনরোলমেন্ট সেন্টার অথবা আধার সেবা কেন্দ্রতে যান এবং ফর্মটি জমা দিন।
    • এরপর সেখানে উপস্থিত থাকা কর্মী আপনার সমস্ত তথ্য ভেরিফাই করবেন এবং বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনও করবেন।
    • এবার সেই কর্মী নতুন ছবি তুলে আপনার আধার কার্ডে সেটা আপডেট করে দেবে।
    • এটির জন্য আপনাকে জিএসটি সহ ১০০ টাকা দিতে হবে।
    • পুরো প্রসিডিওর হওয়ার পর এই কর্মী আপনাকে ইউআরএন সহ একটি অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ  দেবেন।
    • আপনার আধার কার্ডের ছবি পরিবর্তন করা হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করতে আপনি এই URN ব্যবহার করতে পারেন।
    • কার্ডের ফটো আপডেট হওয়ার পরে নতুন ফটো সহ একটি আপডেট করা আধার কার্ড ডাউনলোড করুন। 

    আধার কার্ডে ঠিকানা আপডেট করার পদ্ধতি

    • UIDAI -এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (https://uidai.gov.in) চলে যান।
    • এখনে ‘My Aadhaar’ মেনু ওপেন করুন এবং ‘Update Your Aadhaar’ -এ ক্লিক করুন।
    • এবার ‘Update Demographics Data Online’ অপশনটি ক্লিক করুন।
    • তারপর, সেল-সার্ভিস আপডেট করার জন্য স্ক্রিনে নতুন একটি পোর্টাল খুলবে। এখানে আপনাকে ‘Proceed to update Aadhaar’ অপশনটি বেছে নিতে হবে।
    • আধার নম্বর এবং ক্যাপচা কোড (captcha code) লিখুন।
    • এরপর ‘Send OTP’ অপশনে ক্লিক করুন।
    • তারপর রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে একটি OTP আসবে। প্রাপ্ত OTP এন্টার করুন এবং ‘Update Demographics Data’ অপশনে ক্লিক করুন।
    • পরবর্তীতে ‘Address’ অপশনে ক্লিক করুন। এখানে আপনাকে আপনার নতুন বাড়ির ঠিকানা লিখতে হবে এবং উপযুক্ত ডকুমেন্টের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে।
    • এবার সমস্ত তথ্য সঠিক কিনা যাচাই করে নিয়ে ‘Proceed’ লেখা বাটনে ক্লিক করুন।
    • এরপর একটি পেমেন্ট সেকশন বা বক্স ওপেন হবে স্ক্রিনে। এখানে আপনাকে ৫০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে।
    • এরপর আপনার মোবাইলে পুনরায় একটি OTP পাঠানো হবে। এটিকে ভ্যারিফাই করুন।
    • তারপর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে অ্যাপ্লিকেশন ফর্মের একটি প্রিন্ট আউট বের করে নিন।
    • আর আপনাকে একটি URN নম্বর দেওয়া হবে সেটি ব্যবহার করে আপনি আধার কার্ড আপডেটের স্ট্যাটাস ট্র্যাক করতে পারবেন।
  • WB Governor: বাংলার নতুন রাজ্যপাল হলেন সি ভি আনন্দ বোস

    WB Governor: বাংলার নতুন রাজ্যপাল হলেন সি ভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হলেন সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে ডক্টর সিভি আনন্দ বোসকে নিয়োগ করা হচ্ছে।” তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যপাল পদে যোগ দেননি তিনি। আনন্দ বোস রাজ্যপালের পদ গ্রহণ করলেই, অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশনের মেয়াদ শেষ হবে।     

     



     

    কে এই সিভি আনন্দ বোস? 

    ১৯৫১ সালে ২ জানুয়ারি কেরলের কোট্টায়ামে জন্মগ্রহণ করেন সিভি আনন্দ বোস। ১৯৭৭ সালে আইএএস হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ১৯৮৫ সালে কোল্লামের কালেক্টর থাকার সময় নির্মিতি কেন্দ্র গড়েন তিনি। এই প্রকল্পে কম টাকায় পরিবেশ বান্ধব বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয় জনগণকে। এই ভাবনা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েই দেশের সকলকে পাকা বাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ম্যান অফ আইডিয়া’ হিসাবে পরিচিত তিনি। সরকারের বহু উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কাজে লাগানো হয়েছে আনন্দের ভাবনা। ১৯৮৬ সালে এই আমলাই জেলা পর্যটন উন্নয়ন পরিষদ গঠন করেন। দীর্ঘ দিন ধরেই বিভিন্ন প্রশাসনিক পদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব হিসাবেও কাজ করেছেন আনন্দ। এ ছাড়াও কেরল সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রধান সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ, জেনেভা এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিউশন এনার্জি অর্গানাইজেশন ও ফ্রান্সে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও অ্যাটমিক এনার্জি এডুকেশন সোসাইটির চেয়ারম্যান ছিলেন সিভি আনন্দ বোস। জাতিসংঘে তাঁর উদ্যোগ চারবার ‘গ্লোবাল বেস্ট প্র্যাকটিস’ হিসেবে মনোনীত হয়েছে। ভারত সরকার তাঁকে জাতীয় বাসস্থান পুরস্কারে ভূষিত করে।  তিনি ‘শ্রী পদ্মনাভস্বামী’ মন্দিরের কোষাগার সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটিরও প্রধান ছিলেন। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই- এর পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিল ইডি       

    সরকারি আমলা থেকে রাজনীতি, বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষকতা থেকে সরকারের উপদেষ্টা, বার বার নিজেকে ভেঙে গড়েছেন সিভি আনন্দ বোস। ইংরাজি, হিন্দি, মালয়ালি একাধিক ভাষার সাহিত্যে তাঁর অবদান রয়েছে। 

    কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছিলেন আনন্দ বোস। নিজের শিক্ষাজীবনে ১৫টি স্বর্ণ পদক পেয়েছেন তিনি। সুবক্তা হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে তাঁর। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন পর পর তিন বছর সেরা ব্যক্তির স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি। মুসৌরির লালবাহাদুর শাস্ত্রী আইএএস ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতেও বিতর্ক সভায় প্রথম হয়েছিলেন আনন্দ।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

     

     

            

     
LinkedIn
Share