Blog

  • INS Vikrant: শব্দ দিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারব না! বিক্রান্তের ডেকে উঠে আবেগপ্রবণ মোদি

    INS Vikrant: শব্দ দিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারব না! বিক্রান্তের ডেকে উঠে আবেগপ্রবণ মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে এটা একটা ঐতিহাসিক দিন। আইএনএস বিক্রান্তের (INS Vikrant) ডেকে উঠে কেমন লাগছিল তা ভাষায় ব্যাখ্যা করতে পারবেন না। ট্যুইটবার্তায় আবেগপ্রবণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। শনিবার বিক্রান্তের একটি ভিডিও সহ ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। ট্যুইটে তিনি জানান, ‘আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিফলন এই আইএনএস বিক্রান্ত। যেসকল দেশ নিজেদের প্রযুক্তিতে যুদ্ধজাহাজ তৈরি করে, সেই সব দেশের তালিকায় নাম লেখাল ভারতও।’

    কোচিন শিপইয়ার্ড, শ্রমিক ও নৌসেনার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘স্বদেশী পদ্ধতিতে তৈরি এই জাহাজের স্টিল স্বদেশী, এই স্টিল ডিআরডিও বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন। এই জাহাজ যেন এক ভাসমান শহর। জাহাজে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, তা ৫০০০ বাড়িকে উজ্জ্বল করতে পারে। এর ফ্লাইট ডেকে দুটি ফুটবল মাঠ এঁটে যাবে।’ ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন, ইজরায়েল বিশ্বের নানা দেশ ভরতে তৈরি প্রথম এই রণতরীকে কুর্নিশ করেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ট্যুইটবার্তায় জানান এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে রাশিয়া গর্বিত।

    এই রণতরীর দৈর্ঘ্য ১৬২ মিটার, প্রস্থ ৬২ মিটার, উচ্চতা ৫৯ মিটার। বিশালায়তন এই জায়গায় ঢুকে যেতে পারে ২টো ফুটবল মাঠও। ৩০টি যুদ্ধবিমানকে পরিচালনা করতে সক্ষম এই রণতরীতে রয়েছে ২৩০টি ঘর, একসঙ্গে থাকতে পারবেন ১৭০০ জন। বিশালাকার এই রণতরী ভারতকে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর পাশে নিয়ে গেল বলে ট্যুইট করেছেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত।

    ভারতে বর্তমানে একটিই মাত্র অপারেশনাল বিমানবাহী রণতরী রয়েছে— আইএনএস বিক্রমাদিত্য (INS Vikramaditya)। রুশ নির্মিত এই যুদ্ধজাহাজও আবার বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আইএনএস কারোয়ার (INS Karwar) ঘাঁটিতে বসে রয়েছে। জলে নামতে অন্ততপক্ষে জানুয়ারি। অন্যদিকে, চিনের বর্তমানে দুটি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। তৃতীয়টির উদ্বোধন হয়েছে সম্প্রতি। ফলে, ভারতীয় মহাসাগরে, চিনের মোকাবিলা করতে নতুন বিমানবাহী রণতরী থাকা ভারতের কাছে কৌশলগত ও সামরিক দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বলে মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রতিরক্ষা মহলের দাবি, সমুদ্রপথে যদি চিন কখনও ভারতকে আক্রমণের চেষ্টা করে তবে তা ঠেকাতে ভারতের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ হতে পারে বিক্রান্ত। 

    আরও পড়ুন: ‘দাসত্বের ছাপ’ মুছে গেল! নৌসেনার নয়া নিশানে ছত্রপতি শিবাজির ‘রাজমুদ্রা’, গর্বিত প্রধানমন্ত্রী

     সর্বোচ্চ গতি ২৮ নট। এছাড়া এই যুদ্ধজাহাজে বারবার জ্বালানি ভরার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন নির্মাণকারী সংস্থা। একবার জ্বালানি ভরলেই বিক্রান্ত যেতে পারবে প্রায় ৭ হাজার নটিক্যাল মাইল। অর্থাৎ একবারের জ্বালানিতে ভারতীয় জলসীমা দু’বার ঘুরে আসতে পারবে এই রণতরী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • INS Vikrant: বিমানবাহী রণতরী ঠিক কী? নৌবাহিনীতে এর তাৎপর্য কোথায়?

    INS Vikrant: বিমানবাহী রণতরী ঠিক কী? নৌবাহিনীতে এর তাৎপর্য কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনায় (Indian Navy) ‘কমিশন্ড’ করা হল দেশে তৈরি এখনও পর্যন্ত সর্ববৃহৎ তথা প্রথম বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ (INS Vikrant)। শুক্রবার, কোচিতে এক অনুষ্ঠানে এই বিশাল জাহাজকে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। এই প্রেক্ষিতে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের আত্মনির্ভরতার প্রতীরক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে বিক্রান্ত।

    আসুন জেনে নেওয়া যাক বিমানবাহী রণতরী ঠিক কী?

    একটি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার বা বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier) হল একটি বিশাল জাহাজ যা যুদ্ধবিমান বহন করতে সক্ষম। এতে একটি দীর্ঘ, সমতল পৃষ্ঠ থাকে যেখান থেকে বিমানগুলি ওঠানামা করতে পারে। এই রণতরীগুলো এতটাই বড় যেহেতু এখান থেকে যুদ্ধবিমান ওঠানামা করতে পারে, তাই এদের ‘ফ্লোটিং এয়ারবেস’ বা ভাসমান বিমানঘাঁটি বলে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। বিমানবাহী রণতরীতে যে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ফ্লাইট ডেক থাকে, সেখান থেকে যুদ্ধবিমান টেক-অফ, ল্যান্ডিং ও রিকভারি করতে পারে।

    আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিফলন বিক্রান্ত! যুদ্ধবিমানবাহী দেশে তৈরি প্রথম রণতরীর উদ্বোধনে গর্বিত প্রধানমন্ত্রী

    বিমানবাহী রণতরীগুলি যুদ্ধ এবং শান্তির সময়ে একটি নৌবহরের ‘কমান্ড এবং কন্ট্রোল’ কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। বিমানবাহী রণতরী হল যে কোনও নৌবাহিনীর কাছে ‘কোহিনূর’-এর সমতুল্য। কারণ, ঘাঁটি বা দেশের সীমা থেকে দীর্ঘ দূরত্বে সমুদ্রে বায়ুশক্তি প্রদান করার ক্ষমতা একমাত্র রয়েছে এই বিশেষ জাহাজের। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই একে রক্ষার জন্য সর্বদা থাকে অন্য জাহাজ। কোনও সময়ই বিমানবাহী রণতরী একলা থাকে না। প্রত্যেক বিমানবাহী রণতরীক ঘিরে তৈরি হয় একটি ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপ। 

    প্রত্যেক ব্যাটল গ্রুপের মাথায় থাকে একটি করে বিমানবাহী রণতরী। এছাড়া গ্রুপের বাকি সদস্যদের মধ্যে থাকে ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট, সাবমেরিন, ট্যাঙ্কার এবং আকাশে চক্কর কাটতে থাকা বিশেষ নজরদারি বিমান। এদের প্রত্যেকের কাজ হল বিমানবাহী রণতরীকে চারদিকে থেকে এসকর্ট বা পাহারা দেওয়া, যাতে কোনওভাবে এই এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারের কোনও ক্ষতি না হয়। এর থেকেই অনুমেয়, একটি নৌসেনার কাছে তাদের বিমানবাহী রণতরী কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

    আরও পড়ুন: এক ভাসমান দুর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    ভারতে বর্তমানে একটিই মাত্র অপারেশনাল বিমানবাহী রণতরী রয়েছে— আইএনএস বিক্রমাদিত্য। রুশ নির্মিত এই যুদ্ধজাহাজও আবার বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আইএনএস কারোয়ার ঘাঁটিতে বসে রয়েছে। জলে নামতে অন্ততপক্ষে জানুয়ারি। অন্যদিকে, চিনের বর্তমানে দুটি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। তৃতীয়টির উদ্বোধন হয়েছে সম্প্রতি। ফলে, ভারতীয় মহাসাগরে, চিনের মোকাবিলা করতে নতুন বিমানবাহী রণতরী থাকা ভারতের কাছে কৌশলগত ও সামরিক দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে আইএনএস বিক্রান্ত-এর অন্তর্ভুক্তি অনেকটাই আত্মবিশ্বাস জোগাবে। 

    আরও পড়ুন: ‘বিক্রান্ত’ নামের কী মাহাত্ম্য? নৌসেনায় তাৎপর্যই বা কী? ফিরে দেখা ইতিহাস

    আইএনএস বিক্রান্ত অনেক দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এটিই হল ভারতে তৈরি প্রথম রণতরী। এই জাহাজের ৭৬ শতাংশ দেশে তৈরি। দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় তৈরি হয়েছে এর যন্ত্রাংশ। এটা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এর ফলে, ভারতের সামরিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেল। এই নির্মাণ ভারতকে বিশ্বের হাতেগোনা রাষ্ট্রের একটি এলিট তালিকায় বসিয়ে দিল। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা বিমাণবাহী রণতরী ব্যবহার করে। তৈরি করাটা অনেক দূরের ব্যাপার। সেই দিক দিয়ে, ভারত নিজের বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করে আত্মনির্ভরতা ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।

    বিমানবাহী রণতরী থাকার তাৎপর্য

    বর্তমানে, বিশ্বের প্রধান সামরিক শক্তিধর দেশগুলির কাছে বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। প্রায় প্রত্যেকটি দেশ— মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে চিন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেন— সকলেই নিজ দেশে বিমানবাহী রণতরী (Indigenous Aircraft Carrier) নির্মাণ করে থাকে। সেই তালিকায় সংযোজিত হল ভারত। বলা বাহুল্য, এক এলিট গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হল ভারতীয় নৌবাহিনী। যে কোনও দেশের সামরিক বাহিনীতে বিশেষ করে নৌসেনায় বিমানবাহী রণতরীর তাৎপর্য অপরিসীম। এটি সেই সকল দেশের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ যাদের বিস্তৃত জলসীমা রয়েছে। যেমন ভারত। আফ্রিকার পূর্ব সীমান্ত থেকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর— সমগ্র ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নিজেদের নৌ-শক্তি ও জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবাহী রণতরী অপরিহার্য। এক কথায় দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার্থে আস্তিনে বিমানবাহী রণতরী থাকা ও না থাকার মধ্যে ফারাকটা বিস্তর। এধরণের আস্ত বিমানঘাঁটি মাঝ-সমুদ্রে ভেসে বেড়ালে, শক্তিশালী শত্রুও যে কোনও আগ্রাসনের আগে দশবার ভাববে। আর ভারতের জলসীমা বা সমুদ্র অঞ্চল এতটাই বিস্তৃত যে, তৃতীয় (দ্বিতীয় দেশীয়) বিমানবাহী রণতরীর নির্মাণ নিয়ে মোদি সরকারের শীর্ষস্তরে ইতিমধ্যেই জোর আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। 

     

  • Shivamurthy Sharanaru: নাবালিকা নির্যাতন! পকসো আইনে গ্রেফতার কর্ণাটকের লিঙ্গায়ত মঠের প্রধান শিবমূর্তি

    Shivamurthy Sharanaru: নাবালিকা নির্যাতন! পকসো আইনে গ্রেফতার কর্ণাটকের লিঙ্গায়ত মঠের প্রধান শিবমূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকাদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ গ্রেফতার হলেন কর্ণাটকের (Karnataka) লিঙ্গায়ত (Lingayat ) মঠের সাধু শিবমূর্তি মুরুগা শরনারু (Shivamurthy Sharanaru)। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো (POCSO) আইনে এক স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ রয়েছে। মঠের মুখ্য সন্ন্যাসী সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। কর্নাটকের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রদুর্গার এই মঠের প্রধানকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিয়মিত ভাবে পড়ুয়াদের যৌন নির্যাতন করতেন। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করতেন মঠের অন্যান্য কর্মী। যদিও শিবমূর্তির দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরেই চক্রান্ত হচ্ছে। এই অভিযোগ তারই অংশ। শেষমেশ তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন বলেই দাবি শিবমূর্তির।

    উল্লেখ্য, অভিযোগকারিণী দুই নাবালিকার বয়স যথাক্রমে ১৫ এবং ১৬ বছর। দুই নাবালিকা মঠ পরিচালিত একটি স্কুলে পাঠরত ছিলেন এবং স্কুল সংলগ্ন হোস্টেলে তারা থাকতেন। গত ২৪ জুলাই তাঁরা হোস্টেল ত্যাগ করেন এবং ২৫ জুলাই তাদের কটনপেট থানায় পাওয়া যায়। এরপর ২৬ অগাস্ট লিঙ্গায়ত স্বামী শিবমূর্তির বিরুদ্ধে মাইসোরের নজরবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পুলিশকে ওই দুই নাবালিকা জানায় গত সাড়ে তিন বছর ধরে তাদের ওপর যৌন হেনস্থা চালাতেন ওই লিঙ্গায়ত মঠের সাধু।

    আরও পড়ুন: দুমকার পর দিল্লি, সম্পর্ক ছেদ করায় কিশোরীকে লক্ষ্য করে গুলি

    অভিযুক্ত সাধু শিবমূর্তি মুরুগা শরনারু কর্ণাটকের লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের। এই সম্প্রদায়েরই নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কর্ণাটকের সিংহভাগ অধিকাংশ ভোটার এই সম্প্রদায়ের। এই রাজনৈতিক সমীকরণ মাথায় রেখেও শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত সাধুকে। কয়েকদিন আগেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘পুলিশের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে তদন্তের জন্য। তারা তদন্ত করবে আর সত্যিটা বেরিয়ে আসবে।’ 

    জগদ্গুরু মুরুগরাজেন্দ্র বিদ্যাপীঠ মঠের গুরু শিবমূর্তি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তিনি দুই নাবালিকার শ্লীলতাহানী করেছেন। চিত্রদুর্গের দ্বিতীয় জেলা ও দায়রা আদালত যৌন হেনস্থার মামলায় শিবমূর্তির আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি শুক্রবার পর্যন্ত স্থগিত করেছিল। এর মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, শিবমূর্তিকে শুক্রবারই আদালতে পেশ করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ। এর আগে প্রভাবশালী এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে ‘লুকআইট সার্কুলার’ জারি করা হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • INS Vikrant: ‘বিক্রান্ত’ নামের কী মাহাত্ম্য? নৌসেনায় তাৎপর্যই বা কী? ফিরে দেখা ইতিহাস

    INS Vikrant: ‘বিক্রান্ত’ নামের কী মাহাত্ম্য? নৌসেনায় তাৎপর্যই বা কী? ফিরে দেখা ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy), বা বলা ভাল সামরিক ইতিহাসে “বিক্রান্ত” শব্দটার মাহাত্ম্য অন্যরকম। এর আগে, ভারতের (India) প্রথম যে বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier) ছিল, তার নামই ছিল আইএনএস বিক্রান্ত (INS Vikrant)। ১৯৬১ সালে ব্রিটেনের থেকে কেনা হয়েছিল ওই যুদ্ধজাহাজ। ১৯৯৭ সালে তাকে ডিকমিশন্ড করা হয়। অর্থাৎ, নৌবাহিনী থেকে অবসর নেয় বিক্রান্ত। তবে তার আগে, ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধে (1971 Indo Pak War) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল ওই জাহাজটি। 

    সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে, ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরীর (First Indigenous Aircraft Carrier) নামকরণও দেশের প্রথম বিমানবাহী রণতরীর নামে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালে এর নকশা তৈরি হয়। নৌসেনার অধিনস্থ ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন (Directorate of Naval Design)-এর নকশা করে। কিন্তু, নির্মাণ কাজ শুরু হয় এক দশক পর অর্থাৎ ২০০৯ সালে। এরপরও দফায় দফায় নির্মাণ ব্যাহত হওয়ায় সময় নষ্ট হয়েছে। অবশেষে, ২০১৩ সালে একে জলে ভাসানো হয়। অবশেষে ২০২২ সালে, নৌসেনার হাতে আসছে আইএনএস বিক্রান্ত। অর্থাৎ, নির্মাণ করতে সময় লেগেছে প্রায় ১৩ বছর। জাহাজটি তৈরি করেছে কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড (Cochin Shipyard Limited)।

    আরও পড়ুন: এক ভাসমান দূর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) উপস্থিতিতে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হল প্রথম ইন্ডিজেনাস এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারের। আজ থেকে নামকরণ হল ‘আইএনএস বিক্রান্ত’। এই যুদ্ধজাহাজ অনেক দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এটিই হল ভারতে তৈরি প্রথম রণতরী। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা বিমাণবাহী রণতরী ব্যবহার করে। তৈরি করাটা অনেক দূরের ব্যাপার। সেই দিক দিয়ে, ভারত নিজের বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করে আত্মনির্ভরতা ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চিন ও ফ্রান্সের পর ভারত হল বিশ্বের ষষ্ঠ দেশ যারা নিজেরা বিমানবাহী রণতরী তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। 

    এই জাহাজের ৭৬ শতাংশ দেশে তৈরি। দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় তৈরি হয়েছে এর যন্ত্রাংশ। এটা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এর ফলে, ভারতের সামরিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেল। এই বিমানবাহী রণতরী দৈর্ঘ্যে ২৬২ মিটার। অর্থাৎ, দুটো ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। চওড়া ৬২ মিটার। উচ্চতা ৫৯ মিটার। মোট ১৪টি ডেক রয়েছে। জাহাজে রয়েছে ২৩০০-র বেশি কম্পার্টমেন্ট। অফিসার ও নাবিক মিলিয়ে প্রায় ১৭০০ জন ক্রু-র থাকার সংস্থান রয়েছে। এর মধ্যে মহিলা অফিসারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • UN targets China: চিনের অমানবিকতা! উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্মম বেজিং, দাবি রাষ্ট্রপুঞ্জে

    UN targets China: চিনের অমানবিকতা! উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্মম বেজিং, দাবি রাষ্ট্রপুঞ্জে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদে (UNHRC) কাঠগড়ায় চিন। সে দেশের শিনজিয়াং (Xinjiang) প্রদেশে মুসলিম নিপীড়নের অভিযোগ উঠল। ঘটনাচক্রে, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য চিনও। সেখানেই অভিযোগ উঠল বেজিংয়ের বিরুদ্ধে। রিপোর্ট বলা হয়েছে, ‘শিনজিয়াংয়ে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে চিনের বিরুদ্ধে।’ রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের হাই কমিশনার মিশেল ব্যাশলেট তাঁর মেয়াদ শেষের আগে এই রিপোর্ট পেশ করেছেন। এতে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিমের ‘স্বশাসিত’ শিনজিয়াং প্রদেশে চিন সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন চালাচ্ছে। 

    রিপোর্ট পেশ করে চিলির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মিশেল বলেন, ‘‘আমি বলেছিলাম কার্যকালের মেয়াদ শেষের আগেই আমি এটি পেশ করব। আমি কথা রাখতে পেরেছি।’’ উল্লেখ্য, চল্লিশের দশকে স্বাধীন রাষ্ট্র পূর্ব তুর্কিস্তান দখল করে শিনজিয়াং প্রদেশ নামকরণ করেছিলেন চিনের প্রয়াত চেয়ারম্যান মাও জে দং। 

    আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    গত কয়েক বছর ধরেই বারে বারে ওই অঞ্চলে নীপিড়নের অভিযোগ উঠেছে শি জিনপিং (Xi Jinping) সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, উইঘুর এবং তুর্কিভাষী ১০ লক্ষেরও বেশি ইসলাম ধর্মাবলম্বীকে শিনজিয়াংয়ের বিভিন্ন ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ বন্দি করে রাখা হয়েছে। জোর করে তাঁদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: বন্যায় ভাসছে দেশ, মোদির সমবেদনার পরেও পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখে সেই কাশ্মীর!

    সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক চোরাবাজারে বিক্রি হওয়া কিডনি, লিভার-সহ বিভিন্ন মানব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বড় অংশের মালিক চিনের বন্দিশিবিরে আটক উইঘুর মুসলিমরা! অভিযোগ, জোর করে তাদের অঙ্গ কেটে বিক্রি করছে বেজিং! অভিযোগ, শিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় ১৬ হাজার মসজিদ ধ্বংস করেছে চিন সরকার। গত চার বছরেই অধিকাংশ মসজিদ ভাঙা হয়েছে, বলে দাবি। নষ্ট করা হয়েছে, মাজার, কবরস্থান। শিনজিংয়া প্রদেশের রাজধানী উরুমকি এবং বাণিজ্য শহর কাশগড়ে প্রকাশ্যে নমাজ পাঠ, রোজা পালনের মতো ধর্মীয় কর্মসূচিতেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu on Mamata: মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন?

    Suvendu on Mamata: মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) মতো মানুষদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। বুধবার এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রেরণায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৮০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এভাবে তিনি বেকার যুবক যুবতীদের স্বপ্নভঙ্গ করে দিয়েছেন। এর পরেই শুভেন্দু বলেন, এই সব মানুষের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। তিনি বলেন, বিশেষ আদালত বসিয়ে বিচার করতে হবে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়ই ৮০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং এভাবে বেকার যুবক যুবতীদের স্বপ্ন  ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে গদ্দার বলে অভিহিত করেছিলেন। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, গদ্দার বলার আগে ওঁর এ ব্যাপারে ভাবা উচিত ছিল। কে গদ্দার, সবাই জানে। তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচনের ফলই বলে দেবে কে গদ্দার, আর কে নয়। মানুষ এর উত্তর ওঁকে দিয়েছেন। তাই আমি আর এর বেশি কিছু বলতে চাই না।

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা। হদিশ মিলেছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিরও। বুধবার স্পেশাল কোর্টে তোলা হলে পার্থ ও অর্পিতার বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। গত মাসেই পার্থ ও অর্পিতাকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পার্থ গ্রেফতার হতেই তাঁকে ছেঁটে ফেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ খোয়ান মন্ত্রিত্ব। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর তৃণমূলের সদস্য পদও।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু

    এর কয়েক সপ্তাহ পরেই গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। এর পরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, বিরোধীদের দমন করতে কেন্দ্র ব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থাকে। সাহস থাকলে তাঁকে গ্রেফতার করা হোক বলেও বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Partha Chatterjee: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! আদালতে কী বললেন প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবী?

    Partha Chatterjee: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! আদালতে কী বললেন প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ মামলায় ফের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার। বুধবার যে কোনও মূল্যে জামিন চেয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। শারীরীক অসুস্থতার কথা বলেছিলেন বারবার। কিন্তু আদালত তাতে আমল দিতে নারাজ। এদিন ফের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁকে ফের ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন কোর্টে এসে নয়, জেল থেকে ভার্চুয়ালিই শুনানি হয় পার্থ-অর্পিতার। আদালত এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয় জেলে তাঁদের কোনও মৌলিক অধিকার খর্ব হয়নি। যে কোনও শর্তে জামিনের আবেদন পার্থর, খারিজ আদালতের।

    এদিন আদালতে ভার্চুয়াল হাজিরার বিরোধিতা করে পার্থর আইনজীবী জানান, ‘আমার মক্কেলের শারীরিকভাবে হাজিরা দেওয়ার মৌলিক অধিকার রয়েছে।’ তবে, ভার্চুয়ালিই শুনানি হবে পার্থ-অর্পিতার, বলে জানিয়ে দেয় আদালত। তারপর যে কোনও শর্তে জামিন চান পার্থ। তাঁর আইনজীবী জানান,  ‘প্রয়োজনে একা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বাড়িতে রাখুন পুলিশি নজরদারিতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেসের অংশীদার ছিলেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এসএসসি বোর্ডের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন না। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। বিভিন্ন রকম শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে তাঁর। চিকিৎসারও প্রয়োজন রয়েছে।’ 

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    অন্যদিকে ইডির আইনজীবী জানান, পার্থর নতুন আরও ৩০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ইডি। মোট ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। সেই সব অ্যাকাউন্টের লেনদেন খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তাই পার্থকে জেল হেফাজতে রেখে সওয়াল করতে চায় ইডি। 

    অন্যদিকে, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের আরও সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। বুধবার সকালে নিউটাউনের মহিষবাথান লোহারপুলের কাছে ‘মারলিন’ অভিজাত আবাসনের এক ফ্ল্যাট হানা দেয় সিবিআই (CBI)। প্রায় তিন ঘণ্টা চলে তল্লাশি। কার নামে কার থেকে কেনা হয়েছে ফ্ল্যাট, প্রসন্নর নামে কেনা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এদিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ আবাসনের গেটে পৌঁছে যায় সিবিআই আধিকারিকরা। ফ্ল্যাটের নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে বেশকিছুক্ষণ কথা বলেন। সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফ আধিকারিকরা। যাতে তল্লাশি চালানোর সময় সিবিআইকে বাধার মুখে না পড়তে হয়। এদিকে ফ্ল্যাটের চাবির জন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেন তদন্তকারীরা। পরে মাস্টার কি দিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা খুলে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Kolkata Schoolgirls Scare: স্কুলের বাইরে একা দেখলেই ছোট্ট মেয়েদের মডেল হওয়ার প্রলোভন! কে এই বোরখা পরিহিত মহিলা?

    Kolkata Schoolgirls Scare: স্কুলের বাইরে একা দেখলেই ছোট্ট মেয়েদের মডেল হওয়ার প্রলোভন! কে এই বোরখা পরিহিত মহিলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনার মেয়ে কি একা স্কুলে যায়? স্কুলের বাইরে গাড়ির জন্য একা দাঁড়িয়ে থাকে আপনার শিশুকন্যা? তাহলে সতর্ক হোন। কলকাতার বুকে নতুন একদল বোরখা পরিহিতার খোঁজ মিলল। যারা স্কুলের সামনে ছাত্রীদের একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেই মডেল হওয়ার প্রলোভন দেখাচ্ছে। 

    দক্ষিণ কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকায় অবস্থিত মেয়েদের একটি নামী বেসরকারি স্কুলের সামনে শুক্রবার এই ধরনের ঘটনা ঘটে। ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর মা জানান, তাঁর দুই মেয়ে ওই স্কুলে পড়েন। বড় মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। দুই মেয়ে একসঙ্গে গাড়িতে করে বাড়ি ফেরে। দুজনের ছুটির সময় একটু আলাদা। ছোট মেয়ের আগে ছুটি হয়। বড় মেয়ের পরে। বড় মেয়ের জন্য ছোট মেয়ে একাই স্কুলের সামনে একটু অপেক্ষা করতে হয়। তবে স্কুল চত্বরে তখন লোক থাকে তাই তাঁরা এতদিন কিছু ভাবেননি।

    তবে, শুক্রবার তাঁর ছোট মেয়ে বাড়ি গিয়ে জানায়, সে যখন একা স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়েছিল তখন এক বোরখা পরা দিদি এসে জিজ্ঞেস করে সে কী হতে চায়? মডেল হতে চায় কিনা জানতে চায়। তার দিদি চলে এলে মেয়েটি তাকেও জিজ্ঞাসা করে সে কী হতে চায়? ওরা দুই বোন আগ্রহ না দেখানোয় সে চলে যায়। এই কথা শুনে চমকে ওঠে ওই ছাত্রীর মা। স্কুলের অন্য ছাত্রীদের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরেই এরকম একজন নয়, তিন-চারজন মহিলা ঘুরে বেড়াচ্ছে স্কুলের সামনে। বড় নয়, বিশেষ করে ছোট ছোট বাচ্চাদের, বিশেষ করে পাঁচ থেকে আট বছরের শিশুকন্যাদের টার্গেট করেছে তারা।  কোনও ছাত্রীকে একা পেলেই চলছে কথোপকথন। প্রলোভন দেখানোর পালা। যদি কেউ ফাঁদে পা দেয়!

    আরও পড়ুন: বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাট খুনে নয়া মোড়, এ কী বললেন তাঁর সহকারী?

    এরপরই ওই অভিভাবিকা চিঠি দিয়ে গোটা ঘটনা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানান। ই-মেল পাঠানো হয় স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে। স্কুলের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়। ছাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেয় স্কুল। প্রিন্সিপাল জানান, বিষয়টি পুলিশকে জানোনো হয়েছে। অভিভাবকদেরও সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। সব অভিভাবকদের মধ্যে বিষয়টি ছড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এই ঘটনার পরে আতঙ্কিত অভিভাবকেরা। বহু শিশুই একা স্কুল থেকে আসা-যাওয়া করে। এই পরিস্থিতে যে কোনও কিছু হতে পারে। প্রশ্ন উঠছে এই চক্র নিয়েও। এটা কী তাহলে কোনও নতুন প্রতারণা চক্র? যারা শিশুদের অপহরণ করে পাচার করার কথা ভাবছে? মডেল হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চলছে পাচার-চক্র? 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • GDP: বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    GDP: বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চলতি আর্থিক বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বাড়ল ভারতের (India) গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট, সংক্ষেপে জিডিপি (GDP)। গত বছর এই সময়সীমার মধ্যে এই বৃদ্ধির হার ছিল ২০.১ শতাংশ। এবার তা দাঁড়িয়েছে ১৩.৫ শতাংশে। জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর (National Statistical Office) থেকে যে ডেটা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। বুধবার ওই ডেটা প্রকাশ করা হয়।

    কোনও একটি দেশের অভ্যন্তরে এক বছরে চূড়ান্তভাবে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজারে সামগ্রিক মূল্যই হচ্ছে গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপি। আগের বছরের তুলনায় পরের বছরে এই উৎপাদন যে হারে বাড়ে সেটি হল জিডিপির প্রবৃদ্ধি। এই জিডিপি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতে জিডিপি পৌঁছেছে ১৩.৫ শতাংশে।

    রেটিং এজেন্সি আইসিরএ-র মতে, জিডিপি ১৩ শতাংশে পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে ২০২২ সালের এপ্রিল-জুন এই ত্রৈমাসিকে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া তার রিপোর্টে বলেছিল, জিডিপি দাঁড়াতে পারে ১৫.৭ শতাংশে গিয়ে। এই মাসের শুরুর দিকে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছিল প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি রেট দাঁড়াতে পারে ১৬.২ শতাংশে। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষে এই সময় সীমায় ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিনের আর্থিক বৃদ্ধি ০.৪ শতাংশ।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্ব মন্দার ভয় এবং সুদ বাবদ খরচ বৃদ্ধির জেরেই এই বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাংক বেঞ্চমার্ক পলিশি রেট বাড়িয়ে করেছে ১৪০ পয়েন্ট। মে মাস থেকে তিন কিস্তিতে ওই বৃদ্ধি হয়েছে। দেশের শীর্ষ ব্যাংক এও জানিয়েছিল, দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশের নীচে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কেবল জিডিপি বাড়েনি, বেড়েছে বেসরকারি বিনিয়োগও। প্রকাশিত তথ্য বলছে, চলতি আর্থিক বর্ষের এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ ২০.১ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। আরও জানা যাচ্ছে, সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে ১.৩ শতাংশ, বেসরকারি ক্ষেত্রে খরচের হার বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Super Typhoon Hinnamnor: গতি ঘণ্টায় ২৫৭ কিলোমিটার! ধেয়ে আসছে সবচেয়ে বিধ্বংসী টাইফুন ‘হিন্নামনর’

    Super Typhoon Hinnamnor: গতি ঘণ্টায় ২৫৭ কিলোমিটার! ধেয়ে আসছে সবচেয়ে বিধ্বংসী টাইফুন ‘হিন্নামনর’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে উত্তাল পূর্ব চিন সাগর। ঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে সুপার টাইফুন ‘হিন্নামনর’ (Hinnamnor)। এই ঝড়কে চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় বলা হয়েছে। বর্তমানে সুপার টাইফুন ‘হিন্নামনর’ পূর্ব চিন সাগর জুড়ে শক্তি বৃদ্ধি করছে। এর ফলে চরম বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে জাপানের দক্ষিণ অঞ্চলের দ্বীপগুলি এবং চিনের পূর্ব উপকূল জুড়ে।

    ইউএস জয়েন্ট টাইফুন সতর্কীকরণ কেন্দ্র (US Joint Typhoon Warning Center) থেকে জানানো হয়েছে ঘণ্টায় প্রায় ১৬০ মাইল অর্থাৎ ২৫৭ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে এই ঝড়। এর পাশাপাশি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৩১৩ কিলোমিটারের বেশি বেগে দমকা হাওয়া বইছে। জাপান মেটিওরোলজিক্যাল এজেন্সির (Japan Meteorological Agency) একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই সময়ে সর্বোচ্চ গতির উপর ভিত্তি করেই হিন্নামনর ঝড়কে ২০২২ সালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইউএস জয়েন্ট টাইফুন সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, পূর্ব চিন সাগরে টাইফুনের ফলে ঢেউয়ের উচ্চতা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক ৫০ ফুট অর্থাৎ ১৫ মিটার।

    আরও পড়ুন: কলকাতাসহ পার্শ্ববর্তী জেলায় তুমুল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, বাড়বে ট্রাফিকজনিত সমস্যা

    ইউএস জয়েন্ট টাইফুন সতর্কীকরণ কেন্দ্র পূর্বাভাস দিয়েছে যে সুপার টাইফুনটি আগামী দিনে তার কিছু শক্তি হারাবে। হংকং অবজারভেটরি জানিয়েছে বুধবার সকাল ১০টায় টাইফুনটি জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপ থেকে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার পূর্বে ছিল। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় প্রায় ২২ কিলোমিটার বেগে পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রিউকিউ দ্বীপের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

    গত ২৫ বছর ধরে বছরের এই সময়ে আটলান্টিকে হ্যারিকেন প্রবণ অঞ্চল বেশ সক্রিয় থাকে। তবে এ বছর এখনও তেমন কিছু দেখা যায়নি। কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির মৌসুমী ঝড়ের পূর্বাভাসের প্রধান লেখক ফিল ক্লটজবাচ (Phil Klotzbach, lead author of Colorado State University’s seasonal storm forecast) জানিয়েছেন সাত দশকেরও বেশি সময়ে কেবল দু’বছর ১৯৬১ এবং ১৯৯৭ সালে অগাস্ট মাসে আটলান্টিকে ঝড় হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share