Blog

  • SSC Scam: বিদেশ থেকে ফিরতেই পার্থ-জামাতা কল্যাণময়কে দীর্ঘ জেরা ইডি-র, কী তথ্য উঠে এল?

    SSC Scam: বিদেশ থেকে ফিরতেই পার্থ-জামাতা কল্যাণময়কে দীর্ঘ জেরা ইডি-র, কী তথ্য উঠে এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে ( Kalyanmoy Bhattacharya ) জেরা করল ইডি (ED)৷ টানা সাত থেকে ১০ ঘণ্টা তাঁকে জেরা করেন ইডি আধিকারিকেরা। সোমবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে জেরা করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, পার্থর জামাইয়ের উত্তরে সন্তুষ্ট নন তাঁরা৷  কল্যাণময়কে যে সমস্ত নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল, তাও তিনি ঠিক মতো আনেননি ৷ এই সমস্ত তথ্যই দিল্লিতে উপর মহলে জানিয়েছেন কলকাতার ইডি আধিকারিকেরা ৷

    আরও পড়ুন: দল নয় রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রীত্বই পছন্দ গেহলটের! ক্ষুব্ধ হাইকমান্ড, কংগ্রেস সভাপতি পদে কে?

    প্রসঙ্গত, ২৩ জুলাই পার্থকে গ্রেফতারের পরে বিদেশে কর্মরত কল্যাণময় এবং পার্থের মেয়ে সোহিনী চট্টোপাধ্যায়কে বার বার ই-মেল করে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র আঞ্চলিক দফতরে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু কল্যাণময়-সোহিনী তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দেননি। ইডি সূত্রের খবর, কল্যাণময় রবিবার বিদেশ থেকে ফিরে তদন্তকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপরই  তাঁকে তলব করা হয়েছিল। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ইডি-র অফিসে হাজির হন কল্যাণময়। রাত পর্যন্ত চলে জেরা। 

    আরও পড়ুন: ক্ষমতা হস্তান্তর বারবার ভুগিয়েছে কংগ্রেসকে, অন্যদিকে লক্ষ্যে অবিচল বিজেপি

    সূত্রের খবর, সম্পত্তি সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য কল্যাণময়ের কাছে জানতে চায় ইডি। শেয়ার কেনাবেচা ও জমি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কল্যাণময়ের যোগের সূত্র মিলেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। একইসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নামে একটি বিশাল বেসরকারি স্কুলের খোঁজ পায় ইডি৷ ওই স্কুলের চেয়ারম্যান কল্যাণময় ভট্টাচার্য৷ ইডি-র অভিযোগ, ওই অভিজাত স্কুল তৈরি করতে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিল৷ কিন্তু খাতায় কলমে খরচ দেখানো হয়েছে সাড়ে চার কোটি টাকার মতো৷ ইডি-র অনুমান, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির টাকাই ওই স্কুল তৈরিতে লাগানো হয়ে থাকতে পারে৷ গত ১৪ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলে হানা দিয়ে তল্লাশি চালান ইডি কর্তারা৷ ওই স্কুল তৈরির জন্য যে অর্থ লেগেছে তার উৎস কোথায় তা-ও জানতে চাওয়া হয় কল্যাণময়ের কাছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mahalaya 2022: মহালয়ার তর্পণ, এদিন কার কার উদ্দেশে জল দান করা হয় জানেন?

    Mahalaya 2022: মহালয়ার তর্পণ, এদিন কার কার উদ্দেশে জল দান করা হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার (Mahalaya) তপর্ণ (Tarpan)। পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করার দিন। শাস্ত্রমতে, এদিন পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করলে অক্ষয় স্বর্গলাভ হয়। শাস্ত্রের এই এই বিধান মেনে মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করে তামাম ভারত (India)।

    আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষে তর্পণ করাই বিধেয়। ভাদ্র পূর্ণিমার পরবর্তী প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা তিথি পর্যন্ত এই ১৬ দিন পিতৃপক্ষ। পুরাণ (Puranas) অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের সময় আমাদের প্রয়াত পূর্ব পুরুষরা মর্তে আসেন তাঁদের প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এই সময় তাঁরা উত্তর পুরুষের হাতে জল-পিণ্ড আশা করেন। এই পক্ষে তাঁদের উদ্দেশে জল ও পিণ্ড দান করলে, তাঁরা শক্তি লাভ করেন। এটাই তাঁদের চলার পথের পাথেয়। তবে সিংহভাগ বাঙালি তর্পণ করেন কেবল মহালয়ার দিন। এদিন নদ্যাদি জলাশয়ে গিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করেন তাঁরা। যাঁদের সামর্থ্য রয়েছে, তাঁরা এদিন পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধও করেন। শ্রাদ্ধ শেষে ব্রাহ্মণ ভোজন করাই রীতি। ব্রাহ্মণ ভোজন করালে দক্ষিণা দিতে হয়। তবে মহালয়ার দিন শ্রাদ্ধ শেষে ব্রাহ্মণ ভোজন করালে দক্ষিণা দিতে হয় না।

    আসলে তর্পণ হল স্মৃতি তর্পণ। বছরের একটি দিন শাস্ত্রজ্ঞরা উৎসর্গ করেছেন পিতৃপুরুষকে স্মরণ করার জন্য। আমরা নির্দিষ্ট দিনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যু বার্ষিকী পালন করি। এঁদের থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ আমাদের কাছে কোনও অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই দৈনন্দিন কাজের চাপে ভুলে যাওয়া পিতৃপুরুষকে স্মরণ করতেই শ্রাদ্ধের আয়োজন। মহালয়ার দিন এই শ্রাদ্ধ করতে পারলে পরিবারের মঙ্গল হয় বলে লোকবিশ্বাস।

    মহালয়ার দিন আমরা যে পূর্ব পুরুষের উদ্দেশে জল এবং পিণ্ড দান করি, তা কেবল তাঁদের উদ্দেশেই নয়, গুরু এবং ঋষির উদ্দেশেও এদিন জলদান করা হয়। দৈনন্দিন চলার পথে যেসব ক্ষুদ্রাণুক্ষুদ্র কীট মরে, যাঁরা নিঃসন্তান, জল দেওয়ার কেউ নেই, মায় বাড়ির চাকর সবার উদ্দেশেই এদিন জলদান করা হয়। আগুনে পুড়ে মরে অনেক পতঙ্গ। তাদের আত্মার উদ্দেশেও জলদান করা হয় এদিন। শাস্ত্রবিদদের মতে, পিতৃপুরুষ সন্তুষ্ট হলে তাঁদের আশীর্বাদে জীবদ্দশায় মানুষ দীর্ঘায়ু, ধন সম্পত্তি, জ্ঞান, শান্তি এবং মৃত্যুর পর স্বর্গ লাভ করেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

     

  • Gold, Silver Price: সোনা কেনার সুবর্ণ সুযোগ! পুজোর আগে দাম কমল সোনা, রুপোর

    Gold, Silver Price: সোনা কেনার সুবর্ণ সুযোগ! পুজোর আগে দাম কমল সোনা, রুপোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে খুশির খবর। ফের দাম কমল সোনার (Gold Price)। ফলে পুজোর আগে সোনার গয়না কিনে ফেলার এটিই দারুণ সুযোগ। প্রায় অনেকদিন ধরেই সোনার দাম কমছিল। কিন্তু মঙ্গলবার অল্প পরিমাণে দাম বেড়েছিল। কিন্তু আবার লক্ষ্মীবারে ফের কমে গিয়েছে। তবে এবারে সোনার দাম গত ৭ মাসে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। এর পাশাপাশি কমেছে রুপোর দামও।

    ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ, মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (MCX), সোনা ০.২৫ শতাংশ কমে প্রতি ১০ গ্রামে (আজ সোনার দাম) ৪৯,৩২১ টাকার স্তরে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার রুপোর দামও ০.৪ শতাংশ কমেছে। দাম কমার পর প্রতি কেজিতে রুপোর দাম হয়েছে ৫৭,০৫৯ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম ১ শতাংশ কমেছে। সোনার দাম বর্তমানে প্রতি আউন্সে ১,৬৫৬.৯৭ ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে, আন্তর্জাতিক বাজারে রুপোর দাম ১.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। রুপোর দাম আজ প্রতি আউন্সে ১৯.২৬ ডলার হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্লাটিনামের দাম ১.১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে ও এর দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি আউন্সে ৮৯৭.৯২ ডলার। অর্থাৎ সব মিলিয়ে তিনটি ধাতুরই দাম কমেছে। তাই এটিই সুবর্ণ সুযোগ।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে কমল সোনার দাম, কেন জানেন?

    চলতি মাসেই একটা সময় কলকাতার বাজারে ১০ গ্রাম হলমার্ক সোনার গয়নার দাম ৫০,০০০ টাকার কাছে ওঠানামা করছিল। সেখানে এখন ১০ গ্রাম হলমার্ক সোনার গয়নার দাম নেমে গিয়েছে ৪৯ হাজারের কাছাকাছি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কয়েকদিন পর থেকেই উৎসবের মরশুম আসতে চলেছে। ফলে ধনতেরাস, নবরাত্রীর মত উৎসবে সোনা-রুপার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এবং চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সোনা-রুপার দামও ফের বৃদ্ধি পাবে। বিশেষজ্ঞরা এও মনে করেছেন যে, তখন সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ হাজারের গণ্ডিও পেরিয়ে যাবে।  

    আরও পড়ুন: ‘৮ ব্যাগ সোনা ছিল, একটা আটকেছে কাস্টমস…’, অভিষেককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Macron Praises Modi: পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    Macron Praises Modi: পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) তিনি শুনিয়েছিলেন শান্তির ললিত বাণী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  (PM Modi) যে উপযুক্ত সময়ে ঠিক কথাটিই বলেছেন তা মেনে নিলেন ফ্রান্সের (France) প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। নিউ ইয়র্ক শহরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৭ তম অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন ফান্সের প্রেসিডেন্ট। সেখানেই মোদি যে ঠিক কথাই বলেছেন, তা মনে করিয়ে দেন মাক্রঁ।

    ওই অধিবেশনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঠিকই বলেছেন। তিনি বলেছিলেন এটা যুদ্ধের উপযুক্ত সময় নয়। এটা পশ্চিমের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ কিংবা প্রতীচ্যের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের বিরোধিতাও নয়। এই সময়টা আমাদের সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সামনে যে সব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তার মোকাবিলা করার সময়।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে ছ মাসেরও বেশি সময়। এহেন যুদ্ধের আবহে সম্প্রতি এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন মোদি ও মাক্রঁ। সেখানেই মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তখনই মোদি পুতিনকে বলেছিলেন, এই যুগ যুদ্ধের নয়। এবং এটা আমি আপনাকে ফোনেও বলেছি। আজ আমরা মুখোমুখি আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছি। কীভাবে আমরা শান্তির পথে অগ্রসর হব, তা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। বেশ কয়েক দশক ধরে ভারত এবং রাশিয়া একজন আরেকজনের পাশে রয়েছে।

    আরও পড়ুন : ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়, বন্ধু…’’, পুতিনকে যখন এই কথা বললেন মোদি

    মোদি পুতিনকে বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সহ নানা বিষয়ে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছি। আমাদের খাদ্যসঙ্কট মোকাবিলার পথ খোঁজা উচিত। জ্বালানির নিরাপত্তা এবং সারের সমস্যা সমাধানের পথও খোঁজা উচিত। ইউক্রেনে পাঠরত পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে সাহায্য করায় আমি রাশিয়া এবং ইউক্রেনকে ধন্যবাদ জানাই। মোদির এহেন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পুতিন জানান, রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্বে তিনি ভারতের অবস্থান জানেন। পুতিন বলেন, আমি আপনার অবস্থান জানি। উদ্বেগের কারণও জানি। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসবে ইতি টানব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: জুটিতে তাইল্যান্ড-গোয়ায় গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা! সেখানেও বিনিয়োগ? কী বলছে ইডি

    SSC Scam: জুটিতে তাইল্যান্ড-গোয়ায় গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা! সেখানেও বিনিয়োগ? কী বলছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একসঙ্গে গিয়েছিলেন তাইল্যান্ড-গোয়া (Thailand-Goa)। সমস্ত খরচ বহন করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ (Partha) চট্টোপাধ্যায়। শুধুই তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন এবং মনোরঞ্জন করেছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা (Arpita) মুখোপাধ্যায়। শুধু তা-ই নয় মা হওয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন অর্পিতা। সম্মতি দিয়েছিলেন পার্থ। এসএসসি (SSC Scam) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পেশ করা ইডির চার্জশিটে এমনই দাবি করা হয়েছে। ইডির দাবি, ওই সব সফরে পার্থ-অর্পিতার সঙ্গী হয়েছিলেন স্নেহময় দত্ত। তাঁকে জেরা করেই এই সব তথ্যের সন্ধান পেয়েছে ইডি (ED)।

    আরও পড়ুন: রাজসাক্ষী হচ্ছেন অর্পিতা! চার্জশিটে কী বলল ইডি?

    সোমবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ১৭২ পাতার চার্জশিট-সহ ১৪ হাজার ৬৪০ পাতার নথি জমা দিয়েছে ইডি। তাতে দাবি করা হয়েছে, একাধিকবার তাইল্যান্ড-গোয়ায় গিয়েছিলেন পার্থ ও অর্পিতা। তবে ঠিক কত বার তাঁরা তাইল্যান্ড সফর করেছেন তা আদালতে পেশ করা চার্জশিটে উল্লেখ করেনি তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি, স্নেহময় জানিয়েছেন, তাইল্যান্ড এইচআর অ্যাসোসিয়েশনের আমন্ত্রণে ২০১৪-১৫ সালে ফুকেট গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা। ওই চর্জশিটে আরও ৪৩ জনের বয়ানের রেকর্ড রয়েছে। স্নেহময় আরও জানান, ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাটে অর্পিতার সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেন প্রাক্তন মন্ত্রী। সিমবায়োসিস মার্চেন্টস নামে একটি সংস্থার বস অর্পিতা-এমনই পরিচয় দেন পার্থ। শুধু তাইল্যান্ডেই নয়, তাঁরা তিন জনে এক বার গোয়ায় গিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন স্নেহময়। তাইল্যান্ডে ‘অপা ইউটিলিটি সার্ভিস’-এর কোনও সম্পত্তি রয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখছে ইডি।  তবে ইডি সূত্রে খবর, জেরায় পার্থ জানিয়েছেন যে, তাঁর মালিকানাধীন কোনও সম্পত্তি তাইল্যান্ডে নেই।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির জন্য দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    শুধু বিদেশ সফর নয়, তদন্তকারীরা আরও জানান, সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন অর্পিতা। সেই বিষয়ে পার্থ তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন। সন্তান দত্তক নেওয়ার একটি সুপারিশপত্র পাওয়া গিয়েছে অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে। সেখানে পার্থের সই আছে। অর্পিতার ওই দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ বা অনাপত্তি শংসাপত্র দিয়েছিলেন পার্থ। এ বিষয়ে পার্থ জানান, তিনি জনপ্রতিনিধি। কারও সুপারিশপত্রে স্বাক্ষর করাটা তাঁর পক্ষে স্বাভাবিক বিষয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Yogi Adityanath Temple: অযোধ্যায় তৈরী হল যোগী আদিত্যনাথের মন্দির, সকাল-সন্ধ্যা চলে আরতি, গাওয়া হয় ভজন

    Yogi Adityanath Temple: অযোধ্যায় তৈরী হল যোগী আদিত্যনাথের মন্দির, সকাল-সন্ধ্যা চলে আরতি, গাওয়া হয় ভজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে অযোধ্যায় (Ayodhya) তৈরি করা হল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মন্দির (Yogi Adityanath’s Temple)। অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি হওয়ার আগেই, ভরতকুণ্ড এলাকায় তৈরি করা হল তাঁর মন্দির। শুধুমাত্র মন্দির নির্মাণ নয়, সেই মন্দিরে যোগী আদিত্যনাতের মূর্তিকে সকাল-সন্ধ্যা রীতিমতো পুজো করা হয়। পুজোর পর ভোগ দেওয়া হয় ও ভজনও গাওয়া হয়।

    প্রভাকর মৌর্য নামে উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তি এই মন্দিরটি তৈরি করেছেন। অযোধ্যা থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে ভরতকুণ্ডের কাছে এই মন্দির তৈরি করা হয়েছে। কথিত রয়েছে, যোগীর নামে মন্দিরটি সেই জায়গায় তৈরি করা হয়েছে যেখানে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র ১৪ বছরের জন্য বনবাসে যাওয়ার সময় ভাই ভরত দাদার খড়ম রেখেছিলেন। সেই কারণে স্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    আরও পড়ুন: ঘৃণা ভাষণ মামলায় ‘সুপ্রিম’ রায়ে স্বস্তি পেলেন যোগী আদিত্যনাথ

    প্রভাকর মৌর্য জানিয়েছেন, ২০১৫ সালেই তিনি ঠিক করেছিলেন যে, অযোধ্যায় যিনি রাম মন্দির স্থাপন করবেন, তাঁর পুজো করবেন। তাই যেহেতু রাম মন্দির তৈরিতে যোগী আদিত্যনাথের অনেক ভূমিকা রয়েছে, তাই প্রভাকর যোগীজির মূর্তি স্থাপন করে মন্দির বানিয়েছেন ও সেখানে পুজো করেন। তিনি বলেন ‘যোগী আদিত্যনাথ আমাদের জন্য রাম মন্দির তৈরি করেছেন। তাই আমি তাঁর জন্য এই মন্দির নির্মাণ করেছি।’

    তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি যোগীজিকে রামের অবতারে দেখেন ও সেভাবেই পুজো করেন। এমনকি ভগবান রামের সামনে যেমন সকলে মন্ত্র পড়েন, সেই রকমভাবেই তিনি রোজ যোগী আদিত্যনাথের সামনে বসে মন্ত্র উচ্চারণ করেন। যোগী মহারাজের উচ্চতা ৫.৪ ফুট এবং তাই তাঁর মূর্তিটিও বড়। নির্মাণের সময় মূর্তির পোশাকের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। কারণ যোগী আদিত্যনাথ যে পোশাক পরেন তেমনই পোশাক মূর্তিটিকেও পরানো হয়েছে। এই মূর্তিতে দেখা গিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের হাতে তির ও ধনুক রয়েছে।

    আরও জানা গিয়েছে, যোগীজির পুজো করার সময়ে যেসব ভজন গাওয়া হয় তা সবই প্রভাকর মৌর্য নিজে লিখেছেন। এমনকি এই স্থানটি প্রচার করার জন্য ভজনগুলির অডিও এবং ভিডিও ক্যাসেট তৈরি করা হচ্ছে৷ মূর্তিটি নির্মাণ মৌর্যর এক বন্ধু বানিয়েছিলেন এবং এটি বানাতে তাঁর প্রায় ২ মাস সময় লেগেছিল।

  • Suvendu Adhikari: বোলপুরে শিশুহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    Suvendu Adhikari: বোলপুরে শিশুহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিনিকেতনে শিশুখুনের (Child Murder) আঁচ এসে লাগল বিধানসভায়ও (State Assembly)। পুলিশের বিরুদ্ধে অপদার্থতার অভিযোগে সোচ্চার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শিশু মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সিবিআই (CBI) তদন্ত দাবি করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। খোদ পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিধানসভায় হায় হায় স্লোগান বিজেপির। বুধবার বিধানসভা থেকে ওয়াকআউটও করেন পদ্ম-বিধায়করা। বিধানসভা কক্ষের বাইরে বিক্ষোভও প্রদর্শন করেন তাঁরা।  

    দু দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয় শান্তিনিকেতনের মোলডাঙার বাসিন্দা বছর পাঁচেকের শিবম ঠাকুরের দেহ। গ্রামেরই মুদিখানার দোকানে বিস্কুট কিনতে গিয়েছিল সে। পরে উদ্ধার হয় দেহ। পরিবারের অভিযোগ, শিশুটিকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনার জেরে অভিযু্ক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।

    শান্তিনিকেতনের এই অশান্তির আঁচ এসে লাগে বিধানসভায়ও। বুধবার বিধানসভায় বিষয়টি তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শিশুখুনের ঘটনায় পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দাবি মেনে না নেওয়ায় হইচই করেন বিরোধীরা। পুলিশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে হায় হায় স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। নিহত শিশুর ছবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন :চিকিৎসা ভাতা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে শিশু ও কিশোরকে অপহরণ করা হচ্ছে। পুলিশ ডায়েরি নিচ্ছে না, তদন্তও করছে না। পরে তাদের দেহ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, গতকালের এই বাচ্চাটা ১৮ তারিখ নিখোঁজ হয়েছে। তার পরিবার জিডি করেছে। ২০ তারিখ পাশের বাড়ি রুবি বিবির বাড়িতে পলিথিনে মোড়া এই বাচ্চার দেহ পাওয়া গিয়েছে। শুভেন্দু বলেন, পুলিশ মন্ত্রী চোরেদের বাঁচানোর জন্য বিধানসভায় এসে মিথ্যা কথা বলতে পারেন। তিনি এত ব্যস্ত যে চোরেদের বাঁচানোর জন্য ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে রেজোলিউশনে নেচে নেচে বলতে পারেন, আর এই বাচ্চাটার জন্য আমরা বলেছিলাম হাউস চলাকালীন পুলিশ মন্ত্রীকে এসে বলতে বলুন। তাঁর অভিযোগ, অধ্যক্ষ একপেশে আচরণ করেন। তিনি কর্ণপাত করেননি। আমরা বিজেপি বিধায়করা ভিতরে প্রতিবাদ করেছি, বাইরেও করেছি। তিনি বলেন, আমরা রুবি বিবির ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। সিবিআই তদন্তের দাবিও জানান শুভেন্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • DA Case: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    DA Case: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। ডিএ (DA) মামলায় রাজ্যের আর্জি খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt)। সরকারি কর্মীদের পক্ষেই রায় দিল আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের পূর্ব নির্দেশই বহাল রাখল। 

    বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, মহার্ঘ ভাতা (DA Case) সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য। এটা সরকারের তরফে দেওয়া কোনও অনুদান নয়। তাই বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল,সেটাই বহাল রাখছে আদালত। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সরকারি কর্মীদের। প্রায় ৬ বছর ধরে সরকারি কর্মী এবং সরকারের মধ্যে এই মামলা চলছে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি লড়াই চালিয়ে আসছে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হওয়ার পর চলতি বছরের ২০ মে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। যার জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দিতে হবে। কিন্ত সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে অগাস্ট মাসে। তবু ডিএ না মেলায় হাই কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। এরপর রাজ্যের তরফে আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়।

    আরও পড়ুন: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে, এটা চলতে পারে না, হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট

    বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে রায় দিতে গিয়ে আদালত জানায়, রাজ্য সরকারের আবেদনের কোনও  যুক্তি নেই। তাই আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণ করা যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে আগেই রাজ্য সরকার মেনে নিয়েছিল মহার্ঘ্য ভাতা সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য অধিকার। তাই তহবিলে টাকা নেই বলে উঁচু হারে ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যের এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য। ডিএ দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা আপাতত বিচারাধীন রেখেছে কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ৭ নভেম্বর আদালত অবমাননার মামলাটির শুনানি হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SCO Summit: আগামী বছর এসসিও সম্মেলন আয়োজনে ভারতকে সাহায্যের বার্তা চিনের

    SCO Summit: আগামী বছর এসসিও সম্মেলন আয়োজনে ভারতকে সাহায্যের বার্তা চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এই প্রথম মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও  চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। এসসিও বৈঠকের (SCO summit) মঞ্চে দু’জনের দেখা হয়। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) সম্মেলনের শুরুতেই যে গ্রুপ ফোটো তোলা হয়,তাতেও একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন দু’জনে। এই সমেমলনেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন জিনপিং। ২০২৩ সালের এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) আয়োজন করবে ভারত। সেখানে ভারতকে সবরকমের সাহায্য করার বার্তা দিয়েছেন জিনপিং।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর ভারত এবং চিনের সংঘাত শুরু হয়। তারপর এই প্রথম পাশাপাশি দেখা গেল মোদি এবং জিনপিংকে।  বৃহস্পতিবার রাতে উজবেজকিস্তানের সমরখন্দে এসসিও-এর নৈশাহার এড়িয়ে গিয়েছিলেন দুই নেতাই। নৈশাহারের যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে মোদি বা জিনপিংকে কাউকে দেখা যায়নি। তবে শুক্রবার সকালে এসসিওভুক্ত অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে গ্রুপ ফোটোয়  ছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতাই।

    সীমান্ত-সমস্যার আবহে সমরখন্দে এসসিও সামিটের পার্শ্ব বৈঠক হিসেবে মোদি-জিনপিং আলাদা করে কথা বলবেন কি না তা নিয়ে চর্চা চলছিল। এর মধ্যেই এসসিও-র বৈঠকেই ভারতকে আগাম শুভেচ্ছা জানালেন চিনা প্রেসিডেন্ট। আগামী বছর ভারতেই হবে এই বৈঠক। তার জন্য নয়াদিল্লিকে সাহায্য করার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, চাপে পড়েই এমন মন্তব্য করেছেন শি জিনপিং। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার সংঘর্ষ বিন্দু থেকে কোনও অবস্থাই যে ভারত পিছু হটবে না,এটা বুঝেই মাথা নোয়ালেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: “১০০-র বেশি ইউনিকর্ন এবং ৭০ হাজারের বেশি স্টার্ট-আপ রয়েছে ভারতে”, এসসিও সম্মেলনে বললেন মোদি

    চলতি মাসে পূর্ব লাদাখের অন্যতম সংঘাতপূর্ণ এলাকা গোগরা-হটস্প্রিংয়ের প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৫ থেকে পিছু হটেছে ভারতীয় এবং চিনা সেনা। তাই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে গেলে এবার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে হবে তা ভালুই বুঝেছে বেজিং। তাই সৌহার্দ্যের বার্তা। তবে এখনই দুই রাষ্ট্রনেতার মুখোমুখি বৈঠক হচ্ছে না বলেই অনুমান কূটনীতিকদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SC on Hijab Row: ইউনিফর্ম চালুর ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির, হিজাব বিতর্কে ‘সুপ্রিম’ পর্যবেক্ষণ

    SC on Hijab Row: ইউনিফর্ম চালুর ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির, হিজাব বিতর্কে ‘সুপ্রিম’ পর্যবেক্ষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনিফর্ম (Uniform) চালুর ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির। হিজাব বিতর্ক (Hijab Row) মামলার শুনানিতে একথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnatak High Court)। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের যুক্তি, ইউনিফর্ম পরার ওপর জোর দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির।

    চলতি মাসের ৫ ফেব্রুয়ারি কর্নাটক সরকার নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপর থেকেই রাজ্যে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। কর্নাটকের উদুপ্পি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছিল। বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। কেবল কর্নাটক নয়, দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যেও শুরু হয় অশান্তি। মামলা হয় কর্নাটক হাইকোর্টে। হিজাব পরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে কর্নাটক আদালতও। তার বিরুদ্ধে আবেদন জমা পড়ে দেশের শীর্ষ আদালতে।

    আরও পড়ুন : বাধ্য হয়ে কোরানের প্রসঙ্গ আনতে হয়েছে কর্নাটক হাইকোর্টকে, হিজাব মামলায় সুপ্রিম কোর্ট

    বৃহস্পতিবার আবেদনকারীদের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তাঁর যুক্তি, সরকারি স্কুলগুলি পোশাক বিধি চালু করতে পারে। তবে তারা হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে না। এর পরেই বিচারপতি সুধাংশু ঢুলিয়া বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ইউনিফর্ম চালু করার ক্ষমতা রয়েছে। হিজাব এর থেকে আলাদা। ভূষণ বলেন, হিজাব পরা কোরানে বাধ্যতামূলক নয়। তবে বহু মুসলিম মহিলা এই প্রথা মেনে আসছেন। তাই এটা নিষিদ্ধ করা যায় না। আইনজীবী সোয়েব আলম বলেন, সরকার যদি হিজাব রেস্ট্রিক্ট করতে চায়, তবে তাকে তা করতে হবে আইনের পথেই।

    ওই মামলায় রায় দিতে গিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, এর (হিজাব বিতর্কের) একটা পথ হল কোরানের ব্যাখ্যা দেওয়া। বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও সুধাংশু ঢুলিয়ার বেঞ্চ জানায়, আমরা কোরানের ব্যাখ্যাকর্তা নই। আমরা এটা করতে পারি না। ধর্মীয় কোনও শাস্ত্রের ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কোর্টের নেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share