Blog

  • AI Algorithm: ইসিজি থেকে ডায়াবেটিস নির্ণয়, নয়া এআই অ্যালগরিদম নিয়ে হাজির ভারতীয় বিজ্ঞানীর দল

    AI Algorithm: ইসিজি থেকে ডায়াবেটিস নির্ণয়, নয়া এআই অ্যালগরিদম নিয়ে হাজির ভারতীয় বিজ্ঞানীর দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ভারতের কিছু বিজ্ঞানী এক নতুন রকমের আর্টিফিসিয়াল অ্যালগরিদম তৈরি করেছেন। এর মাধ্যমে ইসিজিতেই ( ECG) ধরা পড়বে রোগীর ডায়াবেটিস (Diabetes) আছে কি না, বা ভবিষ্যতে হওয়ার কোনও সম্ভবনা (Prediabetes) আছে কি না? হৃদস্পন্দনের পরিমাপ করে ডাইবেটিসের অস্বিত্ব দেখা হবে। 

    ১,২৬২ জন মানুষের ওপর গবেষণাটি চালিয়েছে নাগপুরের লতা মেডিক্যাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (Lata Medical Research Foundation) বিশেষজ্ঞদের একটি দল। প্রত্যেকের শরীরে ১০ সেকেন্ডের ইসিজি করা হয়। অ্যালগরিদমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডায়াবিটস’ (DiaBeats)। 

    আরও পড়ুন: কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিনের পর বুস্টার ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে কর্বেভ্যাক্সও, অনুমোদন কেন্দ্রের

    প্রত্যেকের হৃদস্পন্দনের আলাদা আলাদা পরিমাপ করে মুহূর্তের মধ্যেই ডায়াবিটস আছে কী না তা বলে দেয় এই অ্যালগরিদম। ৯৭% ক্ষেত্রেই ডায়াবিটসের পর্যবেক্ষণ সঠিক হয়। লিঙ্গ, বয়স নির্বিশেষে এই পরীক্ষা করতে সক্ষম ডায়াবিটস।

    বিশেষজ্ঞদের দলের মতে, “যদি বেশি সংখ্যক মানুষের ওপর এই পরীক্ষা সফল নয়, তাহলে অল্প খরচ এবং পরিকাঠামোতে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হবে। 

    তাঁরা বলেন, “আমাদের তৈরি এই পদ্ধতিতে কম খরচে, ছোট পরিকাঠামো সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে। বেশি মানুষের ওপর এই গবেষণা সফল হলে, চিকিৎসার একটি নতুন দিক উন্মোচিত হবে।”

    আরও পড়ুন: অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলো 2022-08-08 15:11:44

    এক বিশেষজ্ঞ জানান, এই অ্যালগোরিদমকে দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ করে নিলে, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেকটা কমবে। 

    পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা মোট ৪.৬ কোটি ছিল। প্রথম ধাপেই যদি রোগ ধরা পড়ে তাহলে অনেক শারীরিক সমস্যাকেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। 

    কিন্তু দেশের এত জনসংখ্যার কারণে সবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না। অনেক জায়গায় সেই পরিকাঠামোও থাকে না। বিশেষজ্ঞদের ওই দলের বক্তব্য, এই অ্যালগরিদমের সাহায্যে কম খরচে, ছোট পরিকাঠামোতেই ডায়াবেটিস নির্ণয় সম্ভব। 

    বিশেষজ্ঞের ওই দল স্বীকার করে নিয়েছে, যে যাদের ওপর এই পরীক্ষা করা হয়েছে তারা সবাই-ই উচ্চ ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার রোগী। তাই সবার ওপর এই পরীক্ষা কতটা কার্যকরী হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। যারা নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছেন তাঁদের জন্যে একটু কম কার্যকর ডায়াবিটস।  

     

     

  • Independence Day: দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কামানেই উদযাপন হবে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব

    Independence Day: দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কামানেই উদযাপন হবে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) উপলক্ষে হয় একুশবার তোপধ্বনি (Gun Salute)। এ বছরও হবে। এতদিন বিদেশে তৈরি কামানেই দাগা হত তোপ। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবার পালিত হচ্ছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। এবারও ১৫ অগাস্ট (15th August) স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে দাগা হবে তোপ। এবারই প্রথমবার ওই তোপধ্বনি হবে ভারতে তৈরি হাউইৎজার (Howitzer) কামানে। প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার জানান, ঐতিহ্যবাহী ব্রিটিশ কামানের পাশাপাশি এবার ভারতে তৈরি হাউইৎজার কামানও ব্যবহার করা হবে তোপধ্বনিতে।

    জানা গিয়েছে, ভারত সরকারের মেইড ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের অধীনে তৈরি হয়েছে এই কামান। আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের অধীনে দেশের প্রতিরক্ষা খাতকে আরও স্বাবলম্বী করে তুলতে চাইছে কেন্দ্র। ২০১৩ সালে ডিআরডিও-র আর্টিলারি গান সিস্টেম প্রকল্প শুরু হয়েছিল। পুরানো কামানের বদলে নয়া ১৫৫ মিলিমিটারের কামান নিয়ে আসার জন্য চালু করা হয়েছিল এই প্রকল্প। ভারত ফোর্জ লিমিটেড ও টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেডের সঙ্গে মিলে ডিআরডিও এই হাউইৎজার কামান তৈরি করে। ৪৮ কিমি দূর পর্যন্ত লক্ষ্য ভেদ করতে পারে এই কামান। স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লায় ভারতীয় সেনার গান স্যালুটে ব্যবহৃত হবে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ওই কামান। অজয় কুমার জানান, ডিআরডিও-র পুণের আর্মামেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্টের একটি বিশেষ দল এই গান স্যালুট পরিচালনা করবে।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই হাউইৎজার কামান বিশ্বের অন্যতম সেরা। অক্সিলারি পাওয়ার মোড, স্বয়ংক্রিয় নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, ওয়্যারলেস স্টেট অব দ্য আর্ট কমিউনিকেশন সিস্টেমও রয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই কামান। এর মাধ্যমে যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন প্রতিটি এটিএজিএস বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযোগ ও সমন্বয় বজায় রাখতে পারে। রাতের অন্ধকারেও যাতে শত্রুপক্ষকে খুঁজে বের করা যায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় নাইট ভিশন প্রযুক্তিও রয়েছে এই কামানে। এককথায়, অনবদ্য এই কামানেই এবার উদযাপন হবে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব।

     

  • Salman Rushdie: ভাল আছেন রুশদি, এবার প্রাণে মারার হুমকি হ্যারি পটারের স্রষ্টাকে

    Salman Rushdie: ভাল আছেন রুশদি, এবার প্রাণে মারার হুমকি হ্যারি পটারের স্রষ্টাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি বুকারজয়ী সাহিত্যিক সলমন রুশদি (Salman Rushdie)। তাঁর আরোগ্য কামনা করে ট্যুইট করেছিলেন আর এক সাহিত্যিক হ্যারি পটারের (Harry Potter) স্রষ্টা জেকে রাউলিং (JK Rowling)। এবার হামলার হুমকি দেওয়া হল তাঁকেও। তাঁরই করা ট্যুইটের নীচে হুমকি দিয়ে লেখা হয়েছে, এরপর আপনার পালা।

    রুশদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ট্যুইটারে একটি পোস্ট করেছিলেন হ্যারি পটারের স্রষ্টা। তিনি জানিয়েছিলেন, বর্ষীয়ান সমমনের জখম হওয়ার খবরে অসুস্থ বোধ করছেন। রুশদির দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেন তিনি। সেই ট্যুইটের নীচেই জনৈক ইউজার লেখেন, ভাববেন না। এরপর আপনার পালা। ওই ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকেই সলমন রুশদির ওপর হামলাকারী হাদি মাতারের প্রশংসাসূচক পোস্টও করা হয়েছে। ইউজারের মন্তব্যের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন রাউলিং। অন্য একটি পোস্টে লেখিকা জানান, পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। ওই ইউজারকে শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকেই তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান হ্যারি পটারের স্রষ্টা।  

    আরও পড়ুন :ভালো নেই সলমন রুশদি, হারাতে পারেন একটি চোখ

    দিন দুই আগে নিউইয়র্কের একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন হামলার শিকার হন রুশদি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই লেখক যখন মঞ্চে গিয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন আচমকাই এক যুবক সেখানে পৌঁছে গিয়ে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করতে শুরু করেন রুশদিকে। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। রুশদির এজেন্ট অ্যান্ড্রু উইলি জানান, রুশদির শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে। সামান্য কথাও বলেছেন। করেছেন স্বভাবসিদ্ধ রসিকতাও। ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হয়েছে তাঁকে। রুশদি যে আগের তুলনায় ভালো আছেন, ট্যুইটবার্তায় তা জানিয়েছেন তাঁর বন্ধু সাহিত্যিক আতিশ তাসির। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, রুশদি এখন আর ভেন্টিলেশনে নেই। কথা বলেছেন। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রুশদির লিভার, স্নায়ু এবং একটি চোখে গুরুতর চোট রয়েছে।

    এদিকে, রুশদির হামলাকারী বছর চব্বিশের হাদি মাতারকে আটক করেছে পুলিশ। নিউ জার্জির ওই বাসিন্দার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে, সে শিয়া চরমপন্থী।

     

  • National Flag: জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন? জানুন কী করবেন আর কী করবেন না

    National Flag: জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন? জানুন কী করবেন আর কী করবেন না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পূর্তি। পালিত হবে ছিয়াত্তরতম স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতার (Independence Day) পঁচাত্তর বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে চলছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের। তারই একটি হল আজাদি কা অমৃত মহোৎসব (Azadi Ka Amrit Mahotsav)। এই অনুষ্ঠান পালন করতে দেশের প্রতিটি নাগরিককে আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি মন কী বাত অনুষ্ঠানে এনিয়ে ঘোষণাও করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। পালন করতে বলেন হর ঘর তিরঙ্গা (Har Ghar Tiranga) কর্মসূচিও। এই কর্মসূচি রূপায়ণ করতে জাতীয় পতাকা (National Flag) উত্তোলনে নিয়ে আসা হয়েছে বেশ কিছু বদল।

    অগাস্টের প্রথম সপ্তাহেই সংশোধন করা হয়েছে ভারতীয় পতাকা বিধি ২০২২। ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়া ২০২২ এর দ্বিতীয় ভাগের ২.২ অনুচ্ছেদের ১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী জাতীয় পতাকা যে কোনও ভারতীয় নাগরিকের বাড়িতে যে কোনও সময়ই তোলা যেতে পারে। রাতের বেলায়ও। তবে এই পতাকার আকার বড় হতে হবে। ছেঁড়া পতাকা কখনওই উত্তোলন করা যাবে না। আগে নিয়ম ছিল, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্তই কেবল জাতীয় পতাকা তোলা যাবে। পলিয়েস্টারের তৈরি কিংবা মেশিনে তৈরি পতাকা উত্তোলনের অনুমতি ছিল না। এখন হাতে বা মেশিনে তৈরি সব ধরনের পতাকাই তোলা যাবে।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতা দিবসের উৎসবে ভিড় এড়িয়ে চলুন, সতর্ক করল কেন্দ্র

    জেনে নিন জাতীয় পতাকা তোলার সময় কী করবেন, আর কী করবেন না। হাতে কাটা, বোনা, মেশিনে তৈরি করা তুলো, সিল্ক বা খাদির পতাকা উত্তোলন করা যাবে। কোনও অবস্থায়ই জাতীয় পতাকা মাটিতে রাখা যাবে না। পতাকায় কোনও অক্ষর লেখা যাবে না। জাতীয় পতাকার রংয়ের পোশাক কখনওই পরা উচিত নয়। বাণিজ্যিকভাবে এই পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। বিকৃত পতাকা উত্তোলন করা যাবে না। জাতীয় পতাকার সঙ্গে অন্য কোনও পতাকা থাকলে, জাতীয় পতাকার স্থান হবে সবার ওপরে। যে দণ্ডে জাতীয় পতাকা থাকবে, সেখানে অন্য কোনও পতাকা রাখা যাবে না। পতাকার গেরুয়া রং সব সময় ওপরে থাকবে। ছেঁড়া কিংবা বিবর্ণ পতাকা উত্তোলন করা যাবে না। কোনও ব্যক্তির মৃতদেহের সঙ্গে কফিনে কিংবা চিতায় জাতীয় পতাকা দেওয়া যাবে না। পতাকার সঠিক অনুপাত হল ৩.২। জাতীয় পতাকার যেন অর্ধেক উত্তোলন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পতাকার শীর্ষে কোনও কিছুই রাখা যাবে না। এমনকী ফুলের মালাও।

    আরও পড়ুন : খুনের ভার পড়েছিল নূপুর শর্মাকে! উত্তর প্রদেশ পুলিশের জালে জঙ্গি

     

  • RSS: সব ভাষাই জাতীয় ভাষা, সব মানুষই আমার, ঘোষণা মোহন ভাগবতের

    RSS: সব ভাষাই জাতীয় ভাষা, সব মানুষই আমার, ঘোষণা মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব ভাষাই জাতীয় ভাষা। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষও আমারই। রবিবার স্বাধীনতা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে এই কথা স্মরণ করিয়ে দেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, এই জগৎ বৈপরীত্যে ভরপুর। এর মধ্যে বিভিন্ন মতামত, আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গিকে একসঙ্গে সামলানোর (Managing Dualities) ক্ষমতা একমাত্র রয়েছে ভারতের। বৈচিত্র্যকে কীভাবে সঠিকভাবে পরিচালন করা যায়, কীভাবে তার মধ্যেও একতাকে অটূট রাখা যায়, সেই কৌশল শেখার জন্য ভারতের দিকেই তাকিয়ে তামাম বিশ্ব। কারণ সেখানেই বিরাজ করছে বৈচিত্রের সহাবস্থান।

    আরএসএ প্রধান মোহন ভাগবত বলেন, এমন অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে, যেগুলি আমাদের কখনওই বলা হয়নি। ঠিকঠাক ভাবে শেখানোও হয়নি। তিনি বলেন, আমরা ভুলে গিয়েছি আমাদের নিজস্ব প্রজ্ঞা এবং জ্ঞান। দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশে বৈদেশিক শক্তির আক্রমণের কথা বলা হয়েছে ইতিহাসে। এই শক্তি মূলত এসেছিল উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল থেকে। আরএসএস প্রধান বলেন, আমরা অযথা সম্প্রদায় এবং এই জাতীয় বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিই। এগুলি মানুষে মানুষে এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে।

    আরও পড়ুন : ভারত এগোচ্ছে, প্রগতির ছবিও স্পষ্ট, জানালেন মোহন ভাগবত

    ভাগবত বলেন, মানুষে মানুষে ভাষা, পোশাক এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে ছোট ছোট পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু তাঁদের একটা বড় মন থাকতে হবে, যাতে এই পার্থক্যগুলি আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে। এর পরেই সংঘ প্রধান মনে করিয়ে দেন, এই দেশের সব ভাষাই জাতীয় ভাষা, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষই আমার। আমাদের এমন ভালবাসাই প্রয়োজন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শনিবার ভাগবত নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে তেরঙা উত্তোলন করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছিলেন। তারই অঙ্গ হিসেবে এদিন তোলা হয় তেরঙা।

    প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত আরএসএসের সদর দফতরে উড়ত কেবলই গেরুয়া পতাকা। সম্ভবত এবারই প্রথম উড়ল তেরঙা। এর ঠিক একদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ার ডিপিতেও গেরুয়ার বদলে তেরঙার ছবি দিয়েছিল আরএসএস। বদলেছিল সংঘ প্রধানের ডিপির ছবিও। এদিন আরএসএসের সদর দফতরে যান নাগপুর জেলা কালেক্টর আর বিমলা (R Vimla)। ভাগবতকে তিনি উপহার দেন একটি জাতীয় পতাকা।

    আরও পড়ুন : দেশের জন্য অনেক বলিদান দিয়েছে আরএসএস, হায়দরাবাদে মোহন ভাগবত

  • National Flag on Car Rule:  স্বাধীনতা দিবসে গাড়িতে পতাকা লাগানোর কথা ভাবছেন? তাহলে আগে জানুন এই নিয়ম

    National Flag on Car Rule:  স্বাধীনতা দিবসে গাড়িতে পতাকা লাগানোর কথা ভাবছেন? তাহলে আগে জানুন এই নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে ‘হর ঘর তিরঙ্গা‘ (Har Ghar Tiranga) অভিযানের শামিল হওয়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অঙ্গ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকার এই অভিযানটি শুরু করেছে। ৩১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী ‘মন কী বাত’ এই কর্মসূচির উল্লেখ করেন। সেখানেই দেশবাসীকে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল পিকচারে জাতীয় পতাকার ছবি লাগানোর অনুরোধ করেছেন মোদি। ২ অগাস্ট থেকেই এই অভিযান শুরু করার আর্জি জানান তিনি। নিজের প্রোফাইলের ছবি বদলে তার সূচনাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। 

    আরও পড়ুন: ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ অভিযানে শামিল হবেন কীভাবে? সার্টিফিকেট কী করে ডাউনলোড করবেন? জেনে নিন

    অনেকেই  স্বাধীনতা দিবসের দিন বাড়িতে পতাকা উত্তোলন করেন। অনেকেই আবার নিজের সাধের গাড়িটিতে (Car Rule) তেরঙ্গা লাগাতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে চাইলেই যেমন তেমন করে গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে নেওয়া যাবে না। তার আগে জেনে নিতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। ভারতের ফ্ল্যাগ কোড অনুসারে গাড়িতে পতাকা সবাই লাগাতে পারেন না। পতাকা লাগানোর নিয়ম কী এবং কাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগানোর অধিকার দিয়েছে ভারত সরকার তা আগে জেনে নিতে হবে। 

    আরও পড়ুন: “রাজনীতিকরণ অনভিপ্রেত”, সোশ্যাল হ্যান্ডলে তিরঙ্গা ডিপি ইস্যুতে কটাক্ষের জবাব আরএসএস-এর

    কারা গাড়িতে ভারতের জাতীয় পতাকা লাগাতে পারেন? 

    ২০০২ সালের ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ কোড (Flag Code) অনুযায়ী যারা গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগাতে পারবেন তারা হলেন, 

    • দেশের রাষ্ট্রপতি
    • উপরাষ্ট্রপতি
    • রাজ্যপাল
    • লেফটেন্যান্ট গভর্নর
    • প্রধানমন্ত্রী
    • মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী
    • প্রতিমন্ত্রী
    • উপমন্ত্রী
    • মুখ্যমন্ত্রী
    • রাজ্যের মন্ত্রী
    • হাইকোর্টের বিচারপতিরা
    • লোকসভা স্পিকার
    • রাজ্যসভা স্পিকার
    • বিধানসভা স্পিকার 

    পতাকা গাড়িতে লাগানোর নিয়ম কী?

    কোনও বিদেশী অতিথি সরকার প্রদত্ত গাড়িতে ভ্রমণ করলে ভারতের জাতীয় পতাকা গাড়ির ডান পাশে এবং ওই ব্যক্তি যে দেশের, সেই পতাকা গাড়ির বাম পাশে রাখতে হবে। এছাড়া অন্য কেউ গাড়িতে পতাকা লাগালে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। 

    ২০০৪ সালের আগে, শুধুমাত্র সরকারি বিভাগ, অফিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলনের অনুমতি ছিল। ২০০৪ সালে, ভারত সরকার বনাম নবীন জিন্দাল মামলার শুনানির সময়, সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে প্রত্যেক ভারতীয়ের তেরঙ্গা উত্তোলনের অধিকার রয়েছে। কিন্তু এখনও সবাইকে গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগানোর অনুমতি দেয়নি সরকার। সাধারণ মানুষ গাড়ির সামনে পতাকা ব্যবহার করতে পারেন না। ভারতের সাধারণ নাগরিককে শুধুমাত্র গাড়ির ড্যাশবোর্ড বা উইণ্ডস্ক্রিনে মিনিয়েচর জাতীয় পতাকা লাগানোর অধিকার দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।  

  • Har Ghar Tiranga:  মোদির ডাকে প্রতি ঘরে জাতীয় পতাকা তোলার অভিযানে না মমতার

    Har Ghar Tiranga: মোদির ডাকে প্রতি ঘরে জাতীয় পতাকা তোলার অভিযানে না মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় পতাকা উত্তোলন নিয়েও কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধে জড়াল নবান্ন। নরেন্দ্র মোদি ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তাই ঘরে ঘরে এ রাজ্যে জাতীয় পতাকা তোলার ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযানে সামিল হচ্ছেন না তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকারের মুখিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মধ্যরাতে স্বাধীনতা দিবস পালন করবেন। ১৪ অগাস্ট বাঙালির কাছে যতটা না আনন্দের তার চেয়েও বেশি দেশভাগের বেদনার।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে দেশের প্রতিটি বাড়িতে জাতীয় পতাকা তোলা  হোক। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার এবং সংস্কৃতি মন্ত্রক প্রতিটি রাজ্যকে এ নিয়ে বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যগুলির সহযোগিতা চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে দেশের ৩০ কোটি বাড়িতেই পতাকা উঠুক। ১৩-১৪-১৫ অগাষ্ট এই তিন দিন ধরে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ বা প্রতি বাড়িতে তেরঙা তোলার আবেদন জানিয়েছে দিল্লি। ডাক বিভাগের তরফে দেশের প্রতিটি ডাকঘরে স্বল্পমূল্যে জাতীয় পতাকা সরবরাহ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, দেশের সবকটি রাজ্য এই অভিযানে সামিল হলেও পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় পতাকা উত্তোলের অভিযানে আলাদা করে সামিল না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পর্যন্ত নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিসপ্লে পিকচারে জাতীয় পতাকার ছবি দিয়েছেন, যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা কেউ সেই পথে হাঁটেননি।

    গত সপ্তাহে ‘আজাদি কি অমৃত মহোৎসব’ সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর ডাকা এক বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান নিয়ে রাজ্যগুলিকে সক্রিয় হতে অনুরোধ করেন। কলকাতা ফিরে এসেও মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশ দেননি। রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দফতরের এক কর্তা জানান, এ রাজ্যে প্রতি বছর যেমন স্বাধীনতা দিবস পালন হয় তেমনই হবে। সমস্ত সরকারি দফতরে জাতীয় পতাকা তোলা হবে। সেজন্য জেলাগুলিকে প্রয়োজনীয় জাতীয় পতাকা সংগ্রহ করার কথা বলা হয়েছে। আলাদা ভাবে কোনও অভিযানে সামিল হয়ে বাড়ি বাড়ি জাতীয় পতাকা তোলার কর্মসূচি সরকারিভাবে নেওয়া হয়নি।

    ডাক বিভাগের তরফেও জানানো হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত ডাকঘরে জাতীয় পতাকা মজুত করা হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি দফতর জাতীয় পতাকা কিনে নিয়ে গিয়েছে। বিএসএফ, সিআরপিএফ, সিআইএসএফের মতো সংস্থাও হাজার হাজার জাতীয় পতাকা কিনেছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে কোনও বরাত আসেনি। ডাক বিভাগের তরফে বার বার রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগকে অনুরোধ করা হলেও কোনও সাড়া মেলেনি। শুধুমাত্র পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের তরফে কিছু সংখ্যক জাতীয় পতাকা কেনা হয়েছে।

    নবান্নর কর্তাদের দাবি, শীর্ষস্তর থেকে প্রতি বাড়িতে জাতীয় পতাকা তোলার কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। সেই কারণে বিভিন্ন দফতরে জাতীয় পতাকা তোলার সরকারি কর্মসূচি যেমন প্রতিবার থাকে তেমনই হচ্ছে। বাড়তি পতাকার কোনও প্রয়োজন পড়েনি। যদি প্রয়োজন হয় জেলাশাসকেরা তা সংগ্রহ করে নিয়েছেন।

  • RSS: বদলে গেল আরএসএসের ট্যুইটারের ডিপির ছবি, গেরুয়ার বদলে সেখানেও তেরঙা

    RSS: বদলে গেল আরএসএসের ট্যুইটারের ডিপির ছবি, গেরুয়ার বদলে সেখানেও তেরঙা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলে গেল আরএসএসের (RSS) অফিশিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের ডিপি (DP)। এতদিন সেখানে সংঘের গেরুয়া পতাকা ছিল। এখন সেখানেই উড়ছে তিরঙ্গা (Tricolor)। বদলেছে আরএসএসের সংঘচালক মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) ডিপির ছবিও। এর পাশাপাশি শনিবার আরএসএসের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে ডাক দেওয়া হয় আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে (Azadi ka Amrit Mahotsav)  অংশ নেওয়ার। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে দেশবাসী যাতে ঘরে ঘরে জাতীয় পতাকা তোলেন, তাও বলা হয়েছে।

    আরএসএস  কেন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে তিরঙ্গা ব্যবহার করছে না? প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। তখনই তার জবাবও দিয়েছিলেন আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর (Sunil Ambekar)। তিনি বলেছিলেন, এই ধরনের ঘটনার রাজনীতিকরণ করা ঠিক নয়। আরএসএস ইতিমধ্যেই ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) ও ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ কর্মসূচি সমর্থন করেছে।

    আরও পড়ুন :”রাজনীতিকরণ অনভিপ্রেত”, সোশ্যাল হ্যান্ডলে তিরঙ্গা ডিপি ইস্যুতে কটাক্ষের জবাব আরএসএস-এর

    প্রসঙ্গত, গত মাসে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) দেশবাসীকে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অধীনে ১৩ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত আমরা ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি পালন করব। আপনারাও সকলে এই কর্মসূচির অংশ হোন। এবং নিজের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করুন। ২ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে তিরঙ্গা ব্যবহারের অনুরোধও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে শুক্রবার ডিপির ছবি বদলেছে আরএসএসও। শুক্রবার আরএসএসের প্রচার বিভাগের সহ তত্ত্ববধায়ক নরেন্দর ঠাকুর (Narender Thakur) বলেন, সংঘও তার প্রতিটি অফিসে স্বাধীনতা দিবস পালন করছে। উত্তোলন করছে জাতীয় পতাকাও। তিনি বলেন, আরএসএস কর্মীদেরও সক্রিয়ভাবে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি প্রচার করতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : কৃষিকে পেশা হিসেবে নিক পরবর্তী প্রজন্ম, মত আরএসএস সরকার্যবাহের

    এর আগে আম্বেকরও জানিয়েছিলেন, অমৃত মহোৎসব নিয়ে কেন্দ্রের প্রতিটি কর্মসূচি আমরা সমর্থন করেছি। দেশবাসী এবং স্বয়ংসেবকদের কাছেও আজাদি কা অমৃত মহোৎসব মর্যাদার সঙ্গে পালনের আবেদন জানানো হয়েছে আরএসএসের তরফে।

     

  • NASA: গ্রহাণু, উল্কা এবং ধূমকেতুর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানেন কী?

    NASA: গ্রহাণু, উল্কা এবং ধূমকেতুর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনারা অনেকেই হয়তো উল্কা (meteor), ধূমকেতু (comet) দেখেছেন আর গ্রহাণুর (asteroid) কথা শুনেছেন। অনেকে আবার এগুলোকে একই মনে করেন। এগুলো এক বস্তু নয়। তবে এদের মধ্যে কী কী পার্থক্য রয়েছে সম্প্রতি এই নিয়ে নাসা (NASA) থেকে জানানো হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    গ্রহাণু

    গ্রহাণুকে ইংরেজিতে বলা হয় অ্যাস্টেরয়েড (asteroid)। এটি প্রধানত পাথর দ্বারা গঠিত বস্তু। এগুলো সাধারণত সৌরজগতের প্রাথমিক গঠনের প্রাচীন টুকরো, বেশিরভাগই শিলা দ্বারা গঠিত। এরা সৌরজগতে অবস্থান করে এবং সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। আকৃতিতে অনেক ছোট হওয়ার কারণে এদেরকে খালি চোখে দেখা যায় না তবে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এদেরকে অস্পষ্ট তারকার মত দেখা যায়। এদের আকৃতি কয়েক মিটার থেকে শুরু করে অনেক বড় হতে পারে। আবার এই গ্রহাণুগুলোতে এমন ধাতু থাকতে পারে যা তাদের উজ্জ্বল করে। এছাড়াও এতে  কার্বন রয়েছে যার ফলে এগুলোর রঙ কয়লার মত কালো। বিজ্ঞানীদের ধারনা অনুযায়ী আমাদের সৌরমণ্ডলে প্রচুর সংখ্যক গ্রহাণু রয়েছে, যারা প্রায় ২ মিটার – ৫৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

    ধূমকেতু

    ধূমকেতুর ইংরেজি শব্দ হল কমেট (comet)। এটি সাধারণত ধুলো, বরফ ও গ্যাসের তৈরি এক ধরনের মহাজাগতিক বস্তু। প্রতিটি ধূমকেতুর কেন্দ্রে একটি বরফের নিউক্লিয়াস থাকে। যখন ধূমকেতুর কক্ষপথ সূর্যের কাছাকাছি আসে, তখন এর বরফের শরীর গরম হয়ে যায়, প্রচুর পরিমাণে গ্যাস তৈরি করে যা এর নিউক্লিয়াসের চারপাশে কোমা বা লেজ তৈরি করে। এছাড়াও সূর্য থেকে আসা সৌর ঝড়ের ফলে বিস্ফোরণ ঘটায় ধূমকেতুতে লেজের সৃষ্টি হয়। ধূমকেতুর  লেজ থাকে, তাই এরা উল্কার থেকে আলাদা হয়। এই লেজ হল আসলে পাতলা ও ক্ষণস্থায়ী বায়ুমণ্ডল। মানুষ বহুকাল থেকেই ধূমকেতু দেখে আসছে। একটি ধূমকেতুর পর্যায়কাল কয়েক বছর থেকে শুরু করে কয়েক হাজার বছর পর্যন্ত হতে পারে। নাসা থেকে বলা হয়েছে মহাকাশে ৩৫৩৫ টির মত ধূমকেতুর সন্ধান পাওয়া গেছে, তবে সৌরজগতের মধ্যে সম্ভবত কোটি কোটি ধূমকেতু রয়েছে।

    উল্কা

    উল্কা বা Meteoroids আসলে ধূমকেতু আর গ্রহাণুর খণ্ডাবশেষ। উল্কাগুলি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় বায়ুর সংঘর্ষে জ্বলে ওঠে। তখন একে উল্কাপাতবলে, যাকে আমরা তারাখসা নামেও জানি। আসলে এগুলো মোটেও নক্ষত্র নয়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পরে, উল্কাগুলি সাধারণত বড় হয়, কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় স্তরগুলির মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময়, তারা উত্তপ্ত হয়, আর এর বেশিরভাগ অংশই প্রচণ্ড তাপে পুড়ে যায়। পৃথিবীর পৃষ্ঠে পৌঁছানো বেশিরভাগ উল্কা ছোট পাথরের আকারের ন্যায় হয়ে থাকে।

     

     

  • Russia-Ukraine war: ইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা! শান্তি রক্ষায় এগিয়ে আসুক দুপক্ষ, আর্জি ভারতের

    Russia-Ukraine war: ইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা! শান্তি রক্ষায় এগিয়ে আসুক দুপক্ষ, আর্জি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ইউক্রেনের পরমাণু কেন্দ্রে মিসাইল হামলা। ইউক্রেনের জাপরজাই (Zaporizhzhia Nuclear Power Plant) পরমাণু কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার ১০ বার হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইউরোপের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যালয় ও ফায়ার স্টেশনে এর আগে গত শনিবারও হামলা চলে। ইউক্রেন ও রাশিয়া এই হামলার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে।

    ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। বিগত পাঁচ মাস ধরে লড়াই চালিয়ে ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থান নিজেদের দখলে নিয়েছে রাশিয়ার সেনা। ইউক্রেন তথা ইউরোপের বৃহত্তম জাপরজাই পরমাণু কেন্দ্রটির নিয়ন্ত্রণ এখন পুতিন বাহিনীর হাতে। এই এলাকা ঘিরে তীব্র লড়াই চলছে দুই পক্ষের। গত শনিবার পারমাণবিক কেন্দ্রটিতে আছড়ে পড়ে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র। এরফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কেন্দ্রটির তিনটি রেডিয়েশন সেন্সর। আহত হয়েছে এক কর্মীও। বৃহস্পতিবারও একই ধরনের হামলা চলে।

    আরও পড়ুন: চিনা ঋণের ফাঁদ থেকে সাবধান! সতর্কবার্তা বাংলাদেশি মন্ত্রীর

    ওই অঞ্চলের রাশিয়া (Russia) নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনের দাবি, পারমাণবিক কেন্দ্রে রকেট লঞ্চার দিয়ে হামলা চালায় ইউক্রেনের বাহিনী। এতে কেন্দ্রটির একটি বিল্ডিং ও ব্যবহৃত আণবিক জ্বালানির রাখার একটি গুদাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে, এই হামলার নেপথ্যে রাশিয়া রয়েছে বলে পালটা অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। তাঁর অভিযোগ, ‘আণবিক সন্ত্রাসবাদ’ ছড়াতে চাইছে রুশ ফৌজ। একইসঙ্গে, মস্কোর পরমাণু প্রকল্পের উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: আগ্রহী খোদ আমেরিকা, ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে মোদির দেশ?

    বিশ্লেষকদের মতে, জাপরজাই পরমাণু কেন্দ্রে যেভাবে পরপর মিসাইল হামলা হয়েছে তাতে যে কোনও মুহূর্তে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যে কোনও মুহূর্তে হতে পারে চেরনোবিল দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি। রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেন, “আণবিক কেন্দ্রের হামলা চালানো আত্মহত্যার শামিল।” ভারতও পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালানোর ঘটনার নিন্দা করেছে। দুপক্ষকে শান্তি রক্ষার্থে আহ্বান জানিয়েছে দিল্লি। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথাও বলা হয়েছে।

LinkedIn
Share