Blog

  • Gautam Navlakha: গৃহবন্দি গৌতম নভলাখা, নেই কোনও ইন্টারনেট যোগাযোগও

    Gautam Navlakha: গৃহবন্দি গৌতম নভলাখা, নেই কোনও ইন্টারনেট যোগাযোগও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভীমা কোরেগাঁও-এলগার পরিষদ মামলায় অভিযুক্ত জেলবন্দি গৌতম নভলাখার (Gautam Navlakha) আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে গৃহবন্দি (House Arrest) করার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার আদালতের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই আবেদনের শুনানি চলাকালীনই সরকারপক্ষের আইনজীবীকে মৌখিক ভাবে বেশ কড়া কথা শোনায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কেএম জোসেফ ও হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ। এলগার পরিষদ মামলায় নভলাখা এতদিন মুম্বইয়ের একটি জেলে ছিলেন। তবে অসুস্থতার কারণে গৌতম নভলাখা গৃহবন্দি হওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। নভলাখার সেই আবেদনের বিরোধিতা করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু। তিনি বলেন, “নভলাখার মতো মানুষ দেশকে ধ্বংস করতে চান। নভলাখার মতো মানুষরা মোটেই নিরীহ নন।” এরপরই শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ মৌখিক পর্যবেক্ষণে বলে, “এই দেশ কে ধ্বংস করছে? যারা দুর্নীতিবাজ তারা। প্রতিটি অফিসে আপনি যান, সেখানে কী হয়?” এরপরেই কিছু শর্ত রেখে নভলাখাকে গৃহবন্দি করার নির্দেশ দেয় আদালত। জানা গিয়েছে, মুম্বাইয়েই একটি এক কামড়ার ফ্ল্যাটে থাকবেন নভলাখা। সঙ্গে থাকবেন সঙ্গী।

    আরও পড়ুন: ১০ বছরে অন্তত একবার আপডেট করতে হবে আধার কার্ডের তথ্য, নয়া গাইডলাইন কেন্দ্রের

    কী কী শর্ত রাখা হয়েছে?

    • সুপ্রিম কোর্ট তার আদেশে বলেছে যে নভলাখা এই সময়ের মধ্যে মুম্বাই ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারবেন না।
    • গৃহবন্দি থাকার সময় তিনি কোনভাবেই সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন না। 
    • গৃহবন্দী অবস্থায় গৌতমকে টেলিভিশন ও সংবাদপত্র দেখার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।  
    • সুপ্রিম কোর্ট, তার রায়ে এদিন জানিয়েছে আবেদনকারী এবং তার সহযোগী বিশ্বস্তভাবে সমস্ত শর্ত মেনে চলবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কোন অসঙ্গতি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে এবং আদেশ অবিলম্বে বাতিল করা হবে। 
    • কোনও ইন্টারনেটের ব্যবস্থা থাকবে না। 
    • দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় পুলিশের দেওয়া ইন্টারনেট ব্যবস্থা ছাড়া একটি ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু কোনও মেসেজ বা কল লগ ডিলিট করা যাবে না।
    • সপ্তাহে এক দিন তিন ঘণ্টার জন্যে তাঁর মেয়ে এবং স্ত্রী দেখা করতে পারবেন।
    • ফ্ল্যাটের ঢোকা এবং বেরোনোর দরজায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। সেই খরচ বহন করবেন গৌতমই। 
    • এদিকে গৌতম নভলাখাকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) নভলাখার গৃহবন্দি থাকাকালীন পুলিশি নিরাপত্তার খরচ বাবদ এই টাকা দিতে বলেছে।

    কী অভিযোগ নভলাখার বিরুদ্ধে? 

    কেন্দ্র সরকারের সমালোচক নভলাখা গত বছর ২৫ এপ্রিল থেকে মুম্বাইয়ের তালোজা জেলে বন্দি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০১৮ সালের ভীমা কোরেগাঁওয়ের ঘটনায় মাওবাদীদের গোপন তথ্য দিয়ে তিনি সাহায্য করেছিলেন। ভীমা কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্ত মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের অক্টোবরে চার্জশিট জমা দিয়েছিল এনআইএ। তার মধ্যে স্ট্যান স্বামীর জেলবন্দি অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। গৌতম ছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা নাগরিক আইন কর্মী আনন্দ তেলতুম্বড়ে, সমাজকর্মী গৌতম নওলাখা, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হানি বাবু, সমাজকর্মী সাগর গোর্খে, সংস্কৃতিকর্মী রমেশ গাইচোর এবং সমাজকর্মী জ্যোতি জগতপের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: ইসলাম, খ্রিস্টানে ধর্মান্তরিত দলিতদের তফসিলি আওতাভুক্ত করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    Supreme Court: ইসলাম, খ্রিস্টানে ধর্মান্তরিত দলিতদের তফসিলি আওতাভুক্ত করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া দলিতদের তফসিলি জাতির মর্যাদা দেওয়া হবে না। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা জমা দিয়ে একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মুসলিম এবং খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া ব্যক্তিদের সংরক্ষণের আওতায় আনার জন্য জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামালার শুনানির দিন কেন্দ্র এমন কথা জানিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি চলতি নভেম্বর মাসের শেষের দিকে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল তাঁদের তফসিলি জাতির মর্যাদা দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়েই স্পষ্ট জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা পেশ করে এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বলে, ‘খ্রিস্টধর্ম ও ইসলামে কোনও অস্পৃশ্যতা নেই’। তার ফলেই তাদের সংরক্ষণের আওতায় ধরা হবে না।

    দলিত খ্রিস্টানদের জাতীয় পরিষদ এবং অন্যান্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে স্পষ্ট জানাতে বলেছিল। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল হলফনামা পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    আরও পড়ুন: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    সুপ্রিম কোর্টে কী জানাল কেন্দ্র

    কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতকে (Supreme Court) হলফনামা পেশ করে জানিয়েছে, ১৯৫০ সালের সাংবিধানিক আদেশ অনুসারে তফসিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছিল। আর ইসলাম বা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের তফসিলি জাতিভুক্তরা কখনও অন্যায়ের শিকার হননি। অন্যায়ের শিকার যাতে না হন, তার জন্যই তাঁরা ইসলাম বা খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন বলে মনে করছে কেন্দ্র। এছাড়াও অস্পৃশ্যতার মত নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা খ্রিস্টান বা ইসলামি সমাজে প্রচলিত ছিল না বলেই এই দুই ধর্মকে সংরক্ষণের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র।

    উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের সাংবিধানিক আদেশ অনুসারে, শুধুমাত্র হিন্দু, শিখ বা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তফসিলি জাতিদের জন্য চাকরি এবং শিক্ষায় সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছে। কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, সমস্ত ধর্মান্তরিত ব্যক্তিদের তাঁদের সামাজিক দিক না দেখেই যদি সবাইকে সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া হয়, তবে এটি আইনের বিরুদ্ধে হবে ও আইনের অপব্যবহারও করা হবে। এতে তফসিলি উপজাতির অধিকারও কমে যাবে বলে কেন্দ্রের পক্ষে জানানো হয় (Supreme Court) ।

    সরকারের তরফে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সামাজিক-রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে ১৯৫৬ সালে বি আর আম্বেদকর স্বেচ্ছায় বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এই ক্ষেত্রেও সংরক্ষণের আওতায় আনার অধিকার রয়েছে। তবে খ্রিস্টান এবং মুসলিমদের ক্ষেত্রে একই কথা বলা যায় না, কারণ এরা অন্য কারণেও তাঁদের ধর্ম পরিবর্তন করতে পারেন।

  • Dengue and Covid: কোভিড না ডেঙ্গি, বুঝবেন কী করে?

    Dengue and Covid: কোভিড না ডেঙ্গি, বুঝবেন কী করে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় জ্বর হওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। জ্বর মানেই ডেঙ্গি বা কোভিডই (Dengue or Covid) হবে এমনটা নাও হতে পারে। তবে এই ভয় একেবারেই নেই এটা ভাবারও কোনও কারণ নেই। কী করে বুঝবেন ডেঙ্গি না কোভিড হয়েছে? তাই জ্বর হলে ডেঙ্গি বা কোভিড বুঝতে হলে, সব উপস্বর্গগুলিই (Symptoms) জানতে হবে। তবে এই মুহূর্তে কোভিড সংক্রমণের প্রবণতা কমলেও, ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। তাই থাকতে হবে সতর্ক। কোনও উপসর্গ দেখলেই অবহেলা করা যাবে না। সঙ্গে সঙ্গেই করিয়ে নিন পরীক্ষা।

    ডেঙ্গি এবং কোভিডের উপসর্গ 

    ডেঙ্গি হলে, জ্বরের সঙ্গে চোখের পিছনে ব্যথা হবে। জ্বরের সঙ্গে পেশিতে ব্যাথা হবে। বমিবমি ভাবে, মাথা যন্ত্রনা, হাড়ে ব্যাথাও হতে পারে। কোভিডের ক্ষেত্রেও শরীরে ব্যাথা হব এবং মাথা ভার হয়ে থাকবে। গলা খুসখুস, সর্দি জমা, এমনকি শ্বাসকষ্ট অবধি হতে পারে। এরকম অবস্থা হলে বাড়ি বসে না থেকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দরকারে কোভিড হয়েছে কিনা বুঝতে আরটি-পিসিআর কিংবা ডেঙ্গি হয়েছে কিনা বুঝতে এনএস ১ পরীক্ষা করালেই ধরা পড়বে ঠিক কোন রোগ হয়েছে। তবে সবসময় জ্বর মানেই কোভিড না ডেঙ্গি হয়েছে এরকম ভাবারও কোনও কারণ নেই? সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জাও হতে পারে। তাই জ্বর হলে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সরকারি গাইড লাইন মেনে চলুন।

    আরও পড়ুন: ইসলাম, খ্রিস্টানে ধর্মান্তরিত দলিতদের তফসিলি আওতাভুক্ত করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি 

    রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও আশঙ্কাজনক। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে থাকবেন অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। ডেঙ্গি সংক্রমণ সামাল দিতে মুখ্য সচিব নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব-সহ স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের জরুরি তলব করা হয় নবান্নে। জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয় নবান্নের। ডেঙ্গি সংক্রমণের পিছনের এই বাড়বাড়ন্তর কারণ কী? সেই উত্তর খুঁজতেই আলোচনায় বসেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এদিকে ইতিমধ্যেই রাজ্যের ডেঙ্গি-পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ট্যুইট করে জানিয়েওছেন সে কথা। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “রাজ্যের ডেঙ্গি-পরিস্থিতি অযোগ্য সরকারের হাতের বাইরে। আর্থিক সঙ্কটের কারণেই পরিস্থিতি এত ভয়াবহ। দেউলিয়ার পথে রাজ্য সরকার। এর ফল ভুগছে জনস্বাস্থ্য। প্রাণ হারাচ্ছেঞ মানুষ, পরিস্থিতি ভয়াবহ।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India Cricket Team: রোহিতদের পারফরম্যান্সে খুশি নয় বিসিসিআই! দলে একগুচ্ছ পরিবর্তনের সম্ভাবনা

    India Cricket Team: রোহিতদের পারফরম্যান্সে খুশি নয় বিসিসিআই! দলে একগুচ্ছ পরিবর্তনের সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড এর কাছে ১০ উইকেটে হেরে বিদায় নিয়েছে ভারত ( India Cricket Team)। ২০১৪ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে আইসিসি টুর্নামেন্টে খেতাব অর্জন করতে ব্যর্থ টিম ইন্ডিয়া। বারবার ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। কখনও ফাইনালে কখনও আবার সেমিফাইনালে, স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ১৩০ কোটি ভারতবাসীর। তবে বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে যশ বাটলারের দলের বিরুদ্ধে রোহিত বাহিনীর নির্লজ্জ আত্মসমর্পণ অনেকেই মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না।

    অখুশি বিসিসিআই

    বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া, সূর্য কুমার যাদবের মত হাতে গোনা কয়েকজন ভালো পারফর্ম করলেও টিম ইন্ডিয়ার সার্বিক পারফরম্যান্সে খুশি নয় বিসিসিআই। বিশেষ করে কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং তাঁর সহযোগীদের ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ সকলে। অস্ট্রেলিয়া থেকে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা দেশে ফিরলেও এই দলের অনেকে অ্যাডিলেড থেকেই নিউজিল্যান্ড উড়ে যাবেন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে। আর এই সিরিজে রাহুল দ্রাবিড়কে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তাঁর বদলে হার্দিক পান্ডিয়াদের কোচের দায়িত্ব সামলাবেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। যা দেখে অনেকের মনে প্রশ্ন, তাহলে কি, ভারতের (Indian CRicket Team) টি-টোয়েন্টি দলে ব্যাপক পরিবর্তন হতে চলেছে? সেই সম্ভবনা উসকে দিয়ে বিসিসিয়ের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ‘পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ সালে। আপাতত দু’বছর ধরে প্রস্তুতি নিতে হবে। এই মুহূর্তে আমরা কাউকেই অবসর নেওয়ার কথা বলছি না। কিন্তু আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অন্যদেরও সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। স্বাভাবিকভাবেই অনেকে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তাই সরে দাঁড়াতে চাইবেন। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার মতো সিনিয়রদের ওয়ার্কলোড কমানোয় নজর দিতে হবে। পরের বছর দেশের মাটিতে বসবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। আপাতত সেটাকেই পাখির চোখ করা উচিত। পাশাপাশি রোহিত, কোহলিরা যদি সমান্তরাল ভাবে টেস্ট ক্রিকেটে মনোনিবেশ করেন তাহলে আমরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও ভালো জায়গায় থাকতে পারি। T-২০ ফরম্যাটে তাই ব্যাপক রদবদলের সম্ভাবনা থাকছে।’

    আরও পড়ুন: শোয়েব-সানিয়া বিচ্ছেদ! কী বলছেন তারকা দম্পতি?

    গাভাস্কারের পছন্দ হার্দিক

    তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতার পর দীনেশ কার্তিক, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মহম্মদ সামির মতো সিনিয়ার ক্রিকেটারদের আর হয়তো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দেশের জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে না। ইংল্যান্ডের কাছে হারার পর ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা, যেভাবে ঘুরিয়ে ভুবেনশ্বর কুমারকে তুলোধোনা করেছেন তাতে তাঁর পক্ষেও জায়গা ধরে রাখা মুশকিল। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা যদি বেছে বেছে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন তাহলে নতুন অধিনায়ক খুঁজে নিতে হবে জাতীয় নির্বাচকদের। সে ক্ষেত্রে হার্দিক পান্ডিয়া দৌড়ে এগিয়ে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি নেতৃত্ব দেবেন ভারতীয় দলকে (Indian Cricket team)। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার সরাসরি হার্দিকের হয়ে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সামনের দিকে তাকানোর সময় এসেছে। অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারই অবসর নেবে এই ফরম্যাট থেকে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতকে নেতৃত্ব দিক হার্দিক পান্ডিয়া।’

  • Suvendu Adhikari: নাকা চেকিংয়ের আওতায় পড়ুক মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নাকা চেকিংয়ের আওতায় পড়ুক মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভিআইপি-দের গাড়িতে করে চলছে অস্ত্র পাচার। লেনদেন হচ্ছে টাকার। প্রশাসনিক বৈঠকে সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। পুলিশকে নাকা চেকিং বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সমর্থন করেই পাল্টা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেলন, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও যেন নজরদারির আওতায় থাকে। জনগণের নিরাপত্তার জন্য সেই কনভয়ও যেন বাদ না পড়ে।

    ভিডিওগ্রাফি করে চেকিংয়ের দাবি শুভেন্দুর

    নন্দীগ্রামে, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে এক  কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “একবার নয়, ১০০ বার চেকিং করতে পারে। শুধু চেকিং করাই নয়, ভিডিওগ্রাফি করে চেকিং করতে হবে। আর অবশ্যই এই নজরদারি প্রক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকেও রাখতে হবে। নাকা চেকিং চালু হলে নিয়ম সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। কারণ উনিও (মুখ্যমন্ত্রী) তো ভিআইপি।” উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বলেন, “ভিআইপি’দের গাড়িতে যেন অস্ত্র আমদানি না হয়। ভিআইপি’দের স্পেশাল প্রটোকশনের নাম করে অনেকে অস্ত্র ও নোট ক্যারি করে। তাই নাকা চেকিং বাড়াতে হবে। ” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একবার নয়, পুলিশ একশো বার বিরোধী দলনেতার গাড়িতে তল্লাশি করতে পারে। তবে ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে আইপিসি এবং সিআরপিসি মেনেই তল্লাশি করতে হবে। আর পুলিশকে তৃণমূল বেতন দেয় না। তারা সরকারের টাকায় বেতন পান। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার দাবি-পাল্টা দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক মহলে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানেও ছিলেন টেট-চাকরিপ্রার্থীকে কামড় দেওয়া পুলিশকর্মী! কী বললেন শুভেন্দু?

    মমতার দাবি, সুকান্তের অভিযোগ

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,“একটা চক্রান্ত চলছে। স্পর্শকাতর জায়গাগুলো দেখে রাখুন। বিহার থেকে হাজার টাকায় অস্ত্র আসছে। ও-পার থেকে চলে আসছে। এখান-সেখান থেকে চলে আসছে। এগুলো সামলাতে হবে।” অশান্তির আশঙ্কা সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তের মন্তব্য, ‘‘উনি ভয় পেয়েছেন দেখে ভাল লাগছে। আমরা তো শুধু বলেছি ডিসেম্বরে ঠান্ডা পড়বে, ওঁর সরকার কাঁপবে। আর তো কিছু বলিনি। বাকি কথা তো উনিই বলছেন। বাংলার মানুষ ২ মে ২০২১ থেকে শান্তি দেখেছে। উনি কি সেই শান্তির কথা বলছেন? শ্মশানের শান্তি?’’ 

    আরও পড়ুন : নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Agitation: পুলিশের কামড় খাওয়া অরুণিমা-সহ ৩০ জনের জামিন দিল আদালত

    TET Agitation: পুলিশের কামড় খাওয়া অরুণিমা-সহ ৩০ জনের জামিন দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি চেয়ে পুলিশের কামড় খাওয়া চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল সহ সব আন্দোলনকারী টেট চাকরিপ্রার্থী গতকাল অবশেষে জামিন পেল (TET Agitation)। পুলিশের এমন আচরণে সারা রাজ্যবাসী স্তম্ভিত। এমন নৃশংসতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্য পুলিশকে ধিক্কার না করেও কেউ ছাড়েনি। কোনও অপরাধ না করেই এক রাত জেলে কাটিয়ে অবশেষে আন্দোলনকারীরা জামিন পেলে বাকি আন্দোলনকারী চাকরীপ্রার্থীরা উচ্ছাসে ফেটে পড়েন। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ বলে ওঠেন, ‘মজবুত হলাম। মানসিকভাবে আমরা তৈরি হয়েছি। আরও আমরা গর্জে উঠে সাহস এবং সুযোগ পেলাম।’

    কী ঘটেছিল?

    গত বুধবার এক্সাইড মোড়ে চাকরির জন্য আন্দোলনে নামেন ২০১৪-এর টেটে উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা (TET Agitation)। আর তখই তাঁদের সেখান থেকে সরাতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের টেনে-হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছিল। অনেকে আবার প্রিজন ভ্যানের নীচে শুয়েও বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। আবার পুলিশের বিরুদ্ধে কয়েকজন আন্দোলনকারীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। এরই মধ্যে অভিযোগ ওঠে, যে এক মহিলা পুলিশকর্মী অরুণিমার হতে কামড়ে দেয়।

    চাকরিপ্রার্থীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে (TET Agitation)। কিন্তু উল্টে সেই চাকরিপ্রার্থীকেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে শুধুমাত্র গ্রেফতারি নয়, টেট বিক্ষোভে আক্রান্ত অরুণিমা পাল-সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও রুজু করা হয়েছিল। এরপর গতকাল ধৃতদের পেশ করা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তারপর দুপক্ষের সওয়াল-জবাবের পর ওই ৩০ জন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের জামিন দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: টেট বিক্ষোভকারীর হাতে কামড় পুলিশের! জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার আক্রান্তই

    আন্দোলনকারীদের প্রতিক্রিয়া

    বৃহস্পতিবার রাতে জামিনের পরেই উঠল স্লোগান (TET Agitation)। ‘লড়াই চলছে, চলবে।’ এক আন্দোলনকারী বললেন, ‘সরকার তো মুখ থুবড়েছে। ওদের কোনও লজ্জা নেই। আমরা অপরাধী নই। আমাদের পাঁচটা জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে ধরতে চেয়েছিল।’ আরও এক এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ১৪ সাল থেকে বঞ্চিত হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। আর তাঁদেরকেই আসামী বানানো হচ্ছে। তাঁরা কী অন্যায় করেছিল? তাঁদের যে ধারা দেওয়া হয়েছিল, জামিন অযোগ্য ধারা, কেন কী অন্যায় করেছিল? জামিন অযোগ্য ধারা দিতে হয়েছিল?’

    অরুণিমা কী বললেন?

    অরুণিমা বলেন, জামিনে মুক্তি পেয়ে অত্যন্ত খুশি তাঁরা (TET Agitation)। তবে থানায় থাকার সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা এখনও ভুলতে পারছেন না তাঁরা। মুক্তি পেয়ে অরুণিমা বলেন, ‘এটা সার্বিক জয়। আমরা ক্রিমিনাল নই। সেটা প্রমাণ হল। এতদিনে কোর্টের বিচারে তো প্রমাণ হয়েই গিয়েছে আমাদের চাকরি চুরি গিয়েছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, হাতে যেখানে কামড় দিয়েছে সেখানে ব্যথা রয়েছে। চিকিৎসা করাতে হবে। অঝোর ধারায় রক্ত ঝড়ছিল।

    পুলিশের আচরণে উঠছে প্রশ্ন

    আবার এরই মধ্যে এক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে পুলিশকে বলতে শোনা যাচ্ছে, মৃত্যু হলে তার দায় নেবে পুলিশ। একেতেই এরূপ আচরণে হতবাক বঙ্গবাসী। তারপর আবার এই কথা, সবমিলিয়ে রাজ্যে পুলিশের কাজ নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। এরপর আন্দোলনকারীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগের ফলে ফের প্রশ্ন উঠছে যে, পুলিশের এমন আচরণের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে, নাকি সেই পুলিশকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে (TET Agitation)?

  • Sania Mirza: শোয়েব-সানিয়া বিচ্ছেদ! কী বলছেন তারকা দম্পতি?

    Sania Mirza: শোয়েব-সানিয়া বিচ্ছেদ! কী বলছেন তারকা দম্পতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জার বিবাহ বিচ্ছেদ। ক্রীড়া ও বিনোদন জগতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে এই খবর। শোয়েব মালিকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে তাদের ১২ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটে বলে খবর। তাঁদের সন্তান ইজহান মির্জা মালিক কার কাছে থাকবে তা নিয়েও আলোচনা চলছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার বা ভারতের টেনিস কুইন। 

    বিচ্ছেদের খবর

    শোয়েব-সানিয়ার আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের খবর নিশ্চিত করেছেন দু’জনের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু। যিনি আবার শোয়েব মালিকের ম্যানেজমেন্ট দলের সদস্যও। সেই বন্ধুটি বলেছেন, “সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিকের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়ে গেছে, যা এই দম্পতির জন্য দুঃখজনক।” তিনি আরও বলেছেন, বিচ্ছেদের পর হতাশায় ভুগছেন সানিয়া। তাঁরা এখন আলাদা থাকাও শুরু করে দিয়েছেন।  একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী শোয়েব সানিয়ার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। যা মেনে নিতে পারেননি ভারতের টেনিস সুন্দরী। তাঁদের একমাত্র সন্তান ইজহানকে যদিও তাঁরা একসঙ্গেই দেখাশোনা করছেন বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপে নেই ফিলিপে কুটিনহো! ব্রাজিলের ২৬ জনের দল ঘোষিত

    সানিয়ার পোস্ট

    শোয়েব-সানিয়াকে নিয়ে চলা গুঞ্জনের মধ্যেও একে অপরকে সোশাল মিডিয়ায় এখনও ফলো করছেন দুজনে। সোশাল মিডিয়ায় একে অপরকে নিয়ে সক্রিয় তাঁরা। মাঝেমাঝেই পারিবারিক ছবি পোস্ট করে থাকেন তাঁরা। যদিও সম্প্রতি সানিয়ার পোস্টে তাঁদের বিচ্ছেদের জল্পনাকেই নাড়া দেয়। সূত্রের খবর, সানিয়া সম্প্রতি দুবাইতে তাঁর নতুন বাড়িতে গেছেন। এরআগে তিনি শোয়েব মালিকের সঙ্গে দুবাইতে পাম জুমেইরাতে থাকতেন। সেখান থেকে তিনি সরে গেছেন তাঁর নতুন বাড়িতে। সানিয়া তাঁর ছেলের সঙ্গে রয়েছেন সেখানে। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরিতে সানিয়া লিখেছিলেন, “ভাঙা হৃদয় কোথায় যায়? ঈশ্বর খুঁজতে।” ভারতের অন্যতম সেরা টেনিস তারকা ছেলের সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেন। তাতে দেখা যাচ্ছে ইজহান তাঁকে চুমু খাচ্ছে। সেই সঙ্গে সানিয়া লিখেছিলেন, “যে মুহূর্তগুলো কঠিন সময় পার করে দেয়।”

     

     

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Sania Mirza (@mirzasaniar)

  • Dengue Symptoms: ডেঙ্গি জ্বরের উপসর্গ কী কী? এর থেকে সতর্ক থাকার উপায়ই বা কী?

    Dengue Symptoms: ডেঙ্গি জ্বরের উপসর্গ কী কী? এর থেকে সতর্ক থাকার উপায়ই বা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর বর্ষাকালে ভারতের বিপুল সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গি রোগে আক্রান্ত হন। শহর বা গ্রামীণ এলাকায় জমা জলে, যেখানে মূলত গৃহস্থালির আবর্জনা স্তূপ জমা করা হয় সেই সকল স্থানে এই মশা জন্মায়।

    এডিস ইজিপ্টাই মশাবাহিত রোগ হল ডেঙ্গি

    মূলত এডিস ইজিপ্টাই মশাই হল ডেঙ্গিরোগের বাহক। আবর্জনা স্তূপের জমে থাকা নোংরা জলে এই মশা তাদের বংশবৃদ্ধি করে থাকে। এই এডিস মশা বেশিরভাগ দিনের বেলায় কামড়ায়। অপরদিকে ম্যালেরিয়ার বাহক অ্যানোফেলেস মশা রাতের বেলায় কামড়ায়। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর পেশি ও গাঁটে ব্যথা হওয়ায় ডেঙ্গিকে  ‘Break Bone Fever’-ও বলা হয়ে থাকে।

    ডেঙ্গি জ্বরের প্রাদুর্ভাব

    ডেঙ্গি জ্বর সাধারণত ক্রান্তীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলে বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাই প্রায় প্রতিবছর ভারত সহ দক্ষিণ চিন, মেক্সিকো, তাইওয়ান, মধ্য আমেরিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মতো দেশগুলোতে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। সারা পৃথিবীতে প্রতি বছরই প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন এবং ডেঙ্গি জ্বরে মৃত্যুর হার ২.৫ শতাংশ। 

    ডেঙ্গি জ্বরের উপসর্গ

    এডিস মশা কামড়ালে, রক্তে ডেঙ্গি জীবাণুটি ​​সংক্রমণ হতে ২-৭ দিন সময় লাগে এবং এই সময় শরীরে জ্বর হয়। সাধারণত কামড়ানোর ৪-৫ দিন পর থেকে ডেঙ্গি জ্বরের লক্ষণ দেখা যায়। ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্তকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগগুলি হল যথাক্রমে ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’।

    প্রথম ক্যাটেগরির রোগীদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গির লক্ষণ খুব একটি প্রকট হয় না। ‘এ’ ক্যাটেগরি রোগীদের শরীরে শুধু জ্বর থাকে। অধিকাংশ ডেঙ্গি রোগী ‘এ’ ক্যাটেগরির। সাধারণত এই রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই।

    ‘বি’ ক্যাটেগরির রোগীদের শরীরে কিছু ডেঙ্গি উপসর্গ দেখা যায়। এই রোগীদের জ্বরের সঙ্গে চোখে ব্যথা (সাধারণত চোখের পিছনে হয়) থাকে। রোগীর পেশিতে ও হাড়ে ব্যথা থাকার পাশাপাশি বমি বমি ভাব, মাথা যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা যায়।

    ‘বি’ ক্যাটেগরির রোগীদের ডেঙ্গি উপসর্গ সাধারণত দুই থেকে সাতদিন থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগী সপ্তাহখানেকের মধ্যে সেরে ওঠেন। তবে কারও যদি গুরুতর ডেঙ্গি হয়, তাহলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উপসর্গ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

    ‘সি’ ক্যাটেগরির ডেঙ্গি সবচেয়ে বিপজ্জনক। এই রোগীদের অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন। ‘সি’ ক্যাটেগরির ডেঙ্গি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। প্রতি ২০ জন ব্যক্তির মধ্যে একজন ব্যক্তি ‘সি’ ক্যাটেগরিতে পড়তে পারেন। এই রোগীদের শরীর থেকে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা থাকে। এমনকি প্রানহানির ঘটনাও ঘটতে পারে এই রোগীর।

    এই রোগীদের সাধারণত নিম্নোক্ত উপসর্গগুলি দেখা যায়

    1. পেটে ব্যথা এবং অস্বস্তি।
    2. বমি (২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে তিনবার)।
    3. নাক বা মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ।
    4. বমির সঙ্গে রক্ত বের হওয়া বা মলের সঙ্গে রক্ত।
    5. দুর্বলভাব, ক্লান্তিবোধ, অস্বস্তি।

    কোনও  ব্যক্তি  ডেঙ্গি  জ্বর  থেকে  সুস্থ  হয়ে উঠলে তাঁর পুনরায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।

    ডেঙ্গির লক্ষণ দেখা দিলে কী কী করনীয়

    ডেঙ্গি জ্বরের এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা নেই। ডেঙ্গি হলে শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গিতে রক্তের প্লেটলেট বা অণুচক্রিকা কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যায়। এই ধরনের জটিলতা এড়াতে সঠিক সময়ে ডেঙ্গির চিকিৎসা ও রোগীর সঠিক পরিচর্যা করা দরকার, নতুবা রোগীর হেমোরেজিক শকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

    সেক্ষেত্রে ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে কী করা উচিত তা নীচে দেওয়া হল:

    ১. যদি আপনার শরীরে ডেঙ্গির উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযাগ করুন। আপনি কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, তা জানান।

    ২. যতটা সম্ভব, বিশ্রাম নিন।

    ৩. জ্বর এবং ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামোল খেতে পারেন। তবে অ্যাসিপিরিন এবং ইবুপ্রফেন খাবেন না।

    ৪. ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হয়। তাই শরীরে প্রচুর পরিমাণে তরল দরকার। জল পান করুন বা জলে ইলেকট্রোলাইট বা ওআরএস মিশিয়ে জল পান করতে হবে।

    ৫. যদি খুব জ্বর থাকে, তাহলে ঠান্ডা জল দিয়ে রোগীর গা মুছিয়ে দিন।

    ঘরোয়া পদ্ধতিতে ডেঙ্গির চিকিৎসা

    ঘরোয়া কিছু উপায়ে ডেঙ্গির উপসর্গ অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে রোগী অনেকাংশেই আরাম বোধ করেন।

    • গুলঞ্চের রস – ডেঙ্গি জ্বর কমাতে গুলঞ্চের বিশেষ ভূমিকা আছে। বিপাকক্রিয়ার হার বাড়াতে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুলঞ্চ অত্যন্ত কার্যকরী। শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা ডেঙ্গির জ্বরের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। রক্তের প্লেটলেট কাউন্ট বাড়িয়ে রোগীকে শারীরিক আরাম প্রদান করে গুলঞ্চ। দু’টি ছোট গুলঞ্চের ডাল ভেঙে একগ্লাস জলে ফুটিয়ে নিয়ে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় পান করুন। এছাড়া এক কাপ ঈষদুষ্ণ জলে দুই ফোঁটা গুলঞ্চের রস ফেলেও পান করতে পারেন। তবে বেশিমাত্রায় গুলঞ্চের রস পান করবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হবে।
    • পেঁপে পাতার রস – ডেঙ্গি রোগীর রক্তে প্লেটলেটের মাত্রা কমার লক্ষণ দেখা যায়। পেঁপে পাতা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ডেঙ্গির সময়ে যাতে প্লেটলেট হ্রাস না পায়, তার জন্য কয়েকটি পেঁপে পাতা নিয়ে পেষণ করে তার রস বের করুন। দিনে দু’বার পান করুন পেঁপে পাতার রস।
    • তাজা পেয়ারার রস – প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে পেয়ারার রসে। এতে বিশেষ করে ভিটামিন সি থাকে প্রচুর পরিমাণে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ডায়েটে পেয়ারার রস যোগ করলে তা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এক কাপ পরিমাণে পেয়ারার রস নিয়ে দিনে দু’বার পান করুন। এছাড়া গোটা পেয়ারাও খাওয়া যায়।
    • মেথি বীজ- ডেঙ্গির জ্বরের প্রকোপ কমাতে জুড়ি নেই মেথি বীজের। এককাপ পরিমাণ গরম জলে কিছুটা মেথি বীজ ভিজতে দিন। জল ঠান্ডা হলে দিনে দু’বার করে পান করুন। মেথি বীজের জল স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত উপযোগী, কারণ মেথি বীজে থাকে ভিটামিন সি, কে। মেথি বীজ জ্বর কমানোর সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে।

    এছাড়াও রোগীর পথ্যের দিকেও বিশেষ জোর দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষত যে ধরনের খাদ্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় সেই ধরনের খাদ্য গ্রহণের দিকে বিশেষ জোর দেওয়া জরুরি। বিশেষ করে রোগীর সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন লেবু ও লেবুর রস খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও রোগীকে প্রতিদিন কাঠবাদাম খাওয়ানো যেতে পারে। রোগীর রান্নায় রসুন, হলুদ সহ আরও কিছু মশলার ব্যবহারও করা উচিত।

    ডেঙ্গিকে প্রতিরোধ করতে কী কী ব্যবস্থাগ্রহণ করা উচিত

    • মশা তাড়ানোর ক্রিম ব্যবহার করা – ডেঙ্গির মশা তাড়ানোর জন্য ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে শরীরে কোনও মশা কামড়াতে না পারে। যদিও অনেকের স্কিন এলার্জি থাকায় এই ক্রিম ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
    • পোশাক নির্বাচনের দিকটি মাথায় রাখা – মশার হাত থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব গা ঢাকা লম্বা হাতা জামা পড়তে হবে, কারণ মশা শরীরের উন্মুক্ত অংশ বা ত্বকের সন্ধান করে। এছাড়াও, হালকা রঙের পোশাক মশার হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করে ।
    • মশা প্রতিরোধক – বাজারে মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাট ও নানা কোম্পানির ইলেকট্রিক প্রতিরোধক ওষুধ পাওয়া যায়। ইলেকট্রিক এই প্রতিরোধকগুলি মশা তাড়ানোর জন্য বাড়িতে সারা দিন চালু রাখা যেতে পারে। এছাড়াও বাড়ির মেঝে পরিষ্কার রাখতে জলে সিট্রোনেলা এবং লেবুর রস যোগ করেও মশাকে তাড়ানো যায়।
    • মশার প্রজনন স্থলকে চিহ্নিত করা – আপনার বাড়ির ভিতরে এবং আশেপাশের স্থানগুলি পরীক্ষা করুন। সাধারণত গৃহস্থালির জমা নোংরা জলে মশা বংশবৃদ্ধি করে থাকে। এই  সমস্ত স্থানগুলি পরিষ্কার করুন। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ মশাকে আকর্ষণ করে না। এছাড়াও বাড়িতে মশারির ব্যবহার করলেও মশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

    উপরের নির্দেশগুলি ছাড়াও, একটি ঘর আলোকিত রাখুন। আলো মশাকে আকর্ষণ করে না, তাই নিশ্চিত করুন যে আপনার ঘরে সর্বোত্তম আলো রয়েছে। আরেকটি খুব দরকারী পরামর্শ হলো, আপনার বাড়ির ভিতরে বা বাইরে একটি নিম গাছ লাগান, যদি জায়গা থাকে। নিম গাছকে মশা নিরোধক বলে দাবি করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Scam: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রাথমিকে ২০০৯ প্যানেলের ১৬৩২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    TET Scam: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রাথমিকে ২০০৯ প্যানেলের ১৬৩২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৯ সালের প্যানেলের ১৬৩২ শূন্যপদে নিয়োগে সবুজ সংকেত দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নিয়োগ (TET Scam) হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas)। দু’সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপের নির্দেশ বিচারপতির। ২০০৯ সালে নেওয়া হয় লিখিত পরীক্ষা। কিন্তু তার পরও ২০১১ সালে বাতিল ঘোষণা হয় সেই প্যানেল।   

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনা, মালদা এবং হাওড়ার মতো দক্ষিণ ২৪  পরগনা জেলার ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।

    ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তৈরি নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালত জানিয়েছে, যাঁদের প্যানেলভুক্ত করা হয়েছে, তাঁদের নাম প্রকাশ করতে হবে। তা না হলে মামলাকারীরা জানতে পারবেন না তাঁদের অবস্থান।

    কী অভিযোগ?

    এর আগে এই প্যানেলে গুরুতর বেনিয়ম হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়ে আদালত আগেই পদক্ষেপ নিয়েছিল। সেই অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও মালদা জেলা আগেই নির্দেশ মতো নিয়োগ করেছে। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিয়োগ বাতিল করা হয়। সেই প্যানেলের ভিত্তিতেই দু’সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ শুরু করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলা যোগ, অনুব্রতর জামাইবাবুকে শুক্রবার দিল্লিতে তলব ইডির

    মামলাকারীদের আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্য বলেন, “২০০৯ সালে রাজ্যজুড়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়৷ ২০১২ সালে চারটি জেলার প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়৷ বেআইনি ভাবে প্যানেল তৈরি হয়েছে, এই অভিযোগে তা বাতিল করা হয়েছিল৷ আবার পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন প্যানেল তৈরি হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু সেই পরীক্ষার ফল আজও প্রকাশিত হয়নি৷ এই অভিযোগেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা।” 

    এক চাকরিপ্রার্থী অরিন্দম মণ্ডল বলেন, “আদালতের রায়ে তাঁরা খুশি৷ আদালতের নির্দেশ মেনে তাঁদের নিয়োগ করার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা৷”  

    অন্যদিকে, ২০১৪-র টেট চাকরিপ্রার্থীদের ৪০ দিনের ধরনার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, গান্ধিমূর্তির সামনে ধরনায় বসতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে ৩০জন প্রার্থীর নামে ৩৫৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ -সহ আরও বেশ কিছু ধারায় মামলা করা হয়েছে। আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Information and Broadcasting Ministry: রোজ ৩০ মিনিট জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখাতেই হবে, টিভি চ্যানেলগুলোকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    Information and Broadcasting Ministry: রোজ ৩০ মিনিট জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখাতেই হবে, টিভি চ্যানেলগুলোকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের টিভি চ্যানেলগুলির জন্য এক নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। এবারে জাতীয় গুরুত্বের বিষয় সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের সম্প্রচার (‘National Interest’ Content) করতে হবে বলে নির্দেশ দিল কেন্দ্র। জনসেবামূলক কনটেন্ট দেখানোর জন্য প্রতিটি চ্যানেলকে (Channel) দিতে হবে ৩০ মিনিট, এমনটাই নির্দেশ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের (Information and Broadcasting Ministry)। গতকাল, ‘গাইডলাইন্স ফর আপলিঙ্কিং অ্যান্ড ডাউনলিঙ্কিং অফ টেলিভিশন চ্যানেল ইন ইন্ডিয়া ২০২২’ সংশোধিত আইনে এই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

    নয়া নির্দেশিকায় কী বলা হল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৯ নভেম্বর থেকেই দেশের সর্বত্র এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের (Information and Broadcasting Ministry) সচিব অপূর্ব চন্দ্র জানান, বেসরকারি টিভি চ্যানেল এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পরে, কী ধরণের অনুষ্ঠান করা যেতে পারে সে সম্পর্কে একটি পৃথক পরামর্শ জারি করা হবে। বিষয়বস্তু চ্যানেলের হবে, সরকারের নয়, এবং তাঁরা কেবল সেগুলি সম্প্রচার করা হচ্ছে কিনা তা দেখবেন। এই অনুষ্ঠানগুলি জাতীয় গুরুত্বের উপর ভিত্তি করেই হতে হবে। আরও জানানো হয়েছে, কীভাবে নির্দেশিকা মানা হবে এবং সেই অনুযায়ী কার্য সম্পাদন করা হবে, তার জন্য টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে কিছুদিন সময় দেওয়া হবে। নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৩০ মিনিট জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে।

    আরও পড়ুন: ভুয়ো খবর ঠেকাতে ফেসবুকের গ্রুপ অ্যাডমিনদের জন্য নতুন ফিচার

    কী কী বিষয়ে দেখানো হবে?

    এই নির্দেশিকার ফলে টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে আট ধরনের বিষয়বস্তু বেছে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্র (Information and Broadcasting Ministry)। প্রতিদিন ৩০ মিনিটের জন্য যে জনস্বার্থমূলক কনটেন্ট সম্প্রচারিত করা হবে, তার মধ্যে কোন কোন বিষয় দেখানো যেতে পারে, তার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা ও সাক্ষরতা, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, নারীকল্যাণ, অনগ্রসর শ্রেণির কল্যাণ, পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নিরাপত্তা এবং জাতীয় অখণ্ডতার মত বিষয়কে রাখতে হবে ওই কনটেন্টে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের (Information and Broadcasting Ministry) মতে, টিভি চ্যানেলগুলি জনগণের সম্পত্তি। তাই এগুলিকে সঠিক উপায়ে ব্যবহার করা উচিত। তাই এমন নিয়ম জারি করা হয়েছে। এছাড়াও জানানো হয়েছে, কোথাও কোনও রকমের নিয়ম লঙ্ঘন চোখে পড়লে সেই চ্যানেলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

LinkedIn
Share