Blog

  • Supreme Court: মাত্র ৪ দিনেই নিষ্পত্তি প্রায় ১৩০০ মামলার, জানালেন সুপ্রিম কোর্টের নয়া প্রধান বিচারপতি

    Supreme Court: মাত্র ৪ দিনেই নিষ্পত্তি প্রায় ১৩০০ মামলার, জানালেন সুপ্রিম কোর্টের নয়া প্রধান বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজ হয়েছে মাত্র চারদিন। এই চারদিনেই নিষ্পত্তি হয়েছে হাজারেরও বেশি মামলার। যে চারদিনে এতগুলি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে, সেই সময় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির (CJI) পদে রয়েছেন উদয় উমেশ ললিত।  গোটা দেশ যাঁকে চেনে ইউইউললিত (UU Lalit) নামে।

    সপ্তাহ খানেক আগেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে অবসর নিয়েছেন এনভি রামানা (NV Ramana)। তিনিই তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন ইউইউললিতের নাম। দেশের তৎকালীন প্রধান বিচারপতির প্রস্তাবিত নামে সিলমোহর দেন রাষ্ট্রপতি। রামানা অবসর নিলে দেশের প্রধান বিচারপতি পদে বসেন ললিত। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ মাত্রই ৭৪ দিন। নিয়ম অনুযায়ী, ৬৫ বছর বয়সে অবসর নিতে হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। সেই বিধির জেরেই ললিতের কার্যকালের মেয়াদ এত কম। কম সময়েই যে তিনি বিপুল কাজ করতে চান, শপথ গ্রহণের দিনই তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন আইনি পেশায় তিন প্রজন্ম ধরে থাকা পরিবারের সদস্য ললিত। সেদিন তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দেশের শীর্ষ আদালতে প্রতিদিন যাতে আরও বেশি করে মামলার শুনানি হয়, তার ব্যবস্থা করবেন।

    ললিত শপথ নেওয়ার পরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হল বার কাউন্সিলর অফ ইন্ডিয়ার তরফে। ওই অনুষ্ঠানে দেশের প্রধান বিচারপতি ললিত জানান, তাঁর নির্দেশে তালিকা তৈরি ও শুনানির নয়া ব্যবস্থা লাগু হয়েছে, তার জেরেই মিলেছে সুফল। দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, শেষ চারদিনে দেশের শীর্ষ আদালতে কী ঘটেছে, আমি তা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে পড়ে থাকা প্রচুর মামলার মধ্যে থেকে তালিকা প্রস্তুত করছি। সেই মতো চলছে শুনানি।

    আরও পড়ুন : মুসলিমদের বহুবিবাহ, নিকাহ হালালা কি বৈধ? মানবাধিকার কমিশনের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    এর পরেই তিনি বলেন, শেষ চার দিনে দেশের শীর্ষ আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে ১২৯৩টি মামলার। এর মধ্যে ৪৯৩টি বিভিন্ন মামলার নিষ্পত্তি হয়েছিল ২৯ অগাস্ট, তাঁর প্রথম কাজের দিনে। শুক্রবার নিষ্পত্তি হয়েছে ৩১৫টি মামলার। মঙ্গলবার নিষ্পত্তি হয়েছে ১৯৭টি মামলার, আর বৃহস্পতিবার হয়েছে ২২৮টির। মাঝে বুধবার গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে বন্ধ ছিল আদালত। ললিত বলেন, যত বেশি সম্ভব মামলার নিষ্পত্তি করা যায়, এখন তার ওপর জোর দিচ্ছে আদালত। সোমবার থেকে এই চার দিনে ৪৪০টি ট্রান্সফার পিটিশনের নিষ্পত্তিও হয়েছে বলে জানান ললিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jharkhand Politics: পদত্যাগ করছেন না হেমন্ত সোরেন! রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জানাল ঝাড়খণ্ডের শাসকজোট

    Jharkhand Politics: পদত্যাগ করছেন না হেমন্ত সোরেন! রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জানাল ঝাড়খণ্ডের শাসকজোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না হেমন্ত সোরেন (Hemanta Soren)। বৃহস্পতিবার রাতে একথা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ঝাড়খন্ডের (Jharkhand) শাসকজোট। খনি মামলার জেরে বর্তমানে রাজ্যের নেতৃত্বে থাকাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে হেমন্ত সোরেনের। মুখ্যমন্ত্রী সহ ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-কংগ্রেসের জোট সরকারকে একহাত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের অফিস থেকে তথ্য ফাঁস করা হচ্ছে বলে রাজ্যপাল রমেশ বাইসকে চিঠি দিল ইউপিএ (UPA)। জোট সরকারকে অপদস্থ করার চেষ্টায় মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন ইউপিএ নেতারা।

    বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ রাজ্যপাল রমেশ বাইসের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে দেখা করে ইউপিএ জোটের বিধায়কদের প্রতিনিধি দল। তবে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন  সেই দলে ছিলেন না বলেই খবর। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, সোরেনের ইস্তফা দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বৈঠকের পর রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি বান্ধু তিরকে  জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিচ্ছেন না। রাজ্যপাল আশ্বাস দিয়েছেন আর দু’দিনের মধ্যে পরিস্থিতি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাঁর কাছে আমরা জানতে চেয়েছি কী করে কিছু বিশেষ তথ্য এভাবে ফাঁস হয়ে গেল। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর অফিস থেকে কোনও খবর বাইরে যায়নি।”

    আরও পড়ুন: নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে কাঠগড়ায় হেমন্ত সোরেন, বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ

    প্রসঙ্গত, খনি দুর্নীতি মামলায় হেমন্ত সোরেনকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট পেশ করার পর থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতিমুক্ত সরকারের দাবি জানায় বিজেপি। ৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জেএমএম বিধায়ক ৩০ জন। এছাড়াও কংগ্রেসের ১৮ বিধায়ক ও একজন আরজেডি বিধায়ক রয়েছেন সরকারে। ইতিমধ্যেই বিজেপি দাবি করেছে, হেমন্ত সোরেনের উচিত নৈতিক দিক বিবেচনা করে নির্বাচনের দিকে যাওয়া। এখনই বিধানসভা ভেঙে ৮১টি কেন্দ্রেই নির্বাচন হোক। 

    অন্যদিকে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ঝাড়খণ্ডে পুরনো পেনশন স্কিম কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ৫ সেপ্টেম্বর একদিনের জন্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা  ভাবা হয়েছে। সূত্রের খবর, হেমন্ত সোরেনের সরকার আস্থা ভোট আনার কথা ভাবছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Shehbaz Sharif: মোদির ট্যুইটের জবাব দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী, কী লিখলেন জানেন?

    Shehbaz Sharif: মোদির ট্যুইটের জবাব দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী, কী লিখলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াল বন্যায় ভাসছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। মৃতের সংখ্যা হাজার পার। তা দেখে চুপ করে থাকতে পারেননি ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন সমবেদনা। এবার প্রত্যুত্তর মিলল পাকিস্তানের তরফেও। মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)।  

    দেশের দক্ষিণাংশে সপ্তাহভর প্রবল বর্ষণের জেরে বানভাসি হয়েছে পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ অংশ। মৃতের সংখ্যা বারোশোর কাছাকাছি। মৃত্যু হয়েছে বহু অবোলা পশুর। প্রতিবেশী দেশের বিপদের দিনে সমবেদনা জানিয়ে ট্যুইট করেন মোদি। তিনি লেখেন, পাকিস্তানের বন্যায় আমি দুঃখিত। বন্যায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, জখম হয়েছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আশাকরি শীঘ্রই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে পাকিস্তান।

    এর পরেই পাল্টা ট্যুইট করেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির জেরে সমবেদনা জানানোর জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই। ইনশাল্লাহ, কিন্তু পাকিস্তানবাসীর চারিত্রিক দৃঢ়তা জেরে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় আমরা কাটিয়ে উঠব। জীবন এবং জাতিকে পুনর্গঠিত করব। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল জানিয়েছিলেন, ভারত থেকে শুল্কমুক্ত শাক-সবজি আনার পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান। কেবল আনাজ নয়, ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীও নিয়ে আসার পরকল্পনা করছে সরকার। তিনি জানান, মুদ্রাস্ফীতির ওপর যাতে ক্ষতিকারক প্রভাব না পড়ে তাই এই পরিকল্পনা।

    এর পরিপ্রেক্ষিতে কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুলেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। আমরা যুদ্ধ চাই না। দারিদ্র দূরীকরণে আমাদের সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। কিন্তু আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারব না এই সব (কাশ্মীর) ইস্যুগুলির সমাধান না করে। ক্ষমতায় এসে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করেছেন মোদি। দিন দুয়েক আগে তার সমালোচনাও করেছিলেন শাহবাজ। কূটনৈতিক মহলের মতে, এছাড়া শাহবাজের কাছে আর কোনও রাস্তা ছিল না। কারণ ঘরোয়া  রাজনীতিতে তাঁর ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশীয় রাজনীতির বাধ্যবাধ্যকতাও রয়েছে। সেই কারণেই ভয়াল বন্যার পরিস্থিতিতেও কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুলেছেন শাহবাজ। 

    আরও পড়ুন : বন্যায় ভাসছে দেশ, মোদির সমবেদনার পরেও পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখে সেই কাশ্মীর!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Zomato: কলকাতায় বসেই অর্ডার করতে পারবেন হায়দ্রাবাদের বিরিয়ানি! নতুন উদ্যোগ জোম্যাটোর

    Zomato: কলকাতায় বসেই অর্ডার করতে পারবেন হায়দ্রাবাদের বিরিয়ানি! নতুন উদ্যোগ জোম্যাটোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে জোম্যাটো (Zomato) নিয়ে এল এক সুখবর। এখন থেকে আর কখনও হায়দ্রাবাদের বিরিয়ানি, বেঙ্গালুরুর মাইসোর পাক, কলকাতার মিষ্টি খেতে সেই জায়গাতে যেতে হবে না। কারণ ঘরে বসেই অর্ডার করে সেটি আপনি পেয়ে যাবেন। এমনটাই জানানো হয়েছে জোম্যাটোর তরফে। অর্থাৎ অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম জোম্যাটো, ভারতের যেকোনো শহর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্যান্য খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি প্রকল্প শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: ‘মহাকাল’ থেকে থালি অর্ডার হৃত্বিক রোশনের! বিতর্কের মধ্যে বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার জোম্যাটোর

    জোম্যাটোর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও দীপিন্দর গোয়াল (founder & CEO Deepinder Goyal) একটি ব্লগ পোষ্ট করে লিখেছেন, কলকাতা থেকে বেকড রসগোল্লা, হায়দরাবাদের বিরিয়ানি, বেঙ্গালুরু থেকে মাইসোর পাক, লখনউ থেকে কাবাব, ওল্ড দিল্লি থেকে বাটার চিকেন, দিল্লি বা জয়পুরের পেঁয়াজ কচুরি ইত্যাদি বিখ্যাত খাবারগুলি অর্ডার করতে পারবেন এবং পরের দিনে আপনার অর্ডার আপনার শহরে পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে তা পৌঁছতে প্রায় এক দিন সময় লাগতে পারে। গোয়াল আরও বলেন, অর্ডারটি পৌঁছনোর আগে পুনরায় গরম করা হবে এবং পুনরায় ফ্রিজ করাও যেতে পারে খাবারগুলো।

    আরও পড়ুন: সুইগিতে বাম্পার অফার! ভাইরাল ‘সুইগি বয়’-কে খুঁজে দিলে মিলবে ৫০০০ টাকা

    গোয়াল আরও জানিয়েছেন যে এই আইকনিক খাবারগুলি জোম্যাটো অ্যাপে ‘ইন্টারসিটি লিজেন্ডস’ এর মাধ্যমে অর্ডার করা যাবে এবং ফ্লাইটের মাধ্যমে পরিবহন করা হবে। খাবারটি রেস্তোরাঁয় ভালোভাবে তৈরি করা হয় এবং যাতায়াত করার সময় এটিকে নিরাপদ রাখতে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য এবং টেম্পার-প্রুফ পাত্রে প্যাক করা হয়। এমনকি এই খাবারগুলোতে কোনওরকমের প্রিজারভেটিভ ছাড়াই সংরক্ষণ করা যায়। বর্তমানে গুরুগ্রাম ও সাউথ দিল্লির কিছু অংশে নির্দিষ্ট গ্রাহকদের জন্যই এই সরবরাহ শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Durga Puja UNESCO: প্রকল্প ছিল কেন্দ্রের, রূপ দিয়েছিলেন তপতী গুহ-ঠাকুরতা, দুর্গাপুজোর ইউনেস্কো স্বীকৃতির নেপথ্যে এঁরাই?

    Durga Puja UNESCO: প্রকল্প ছিল কেন্দ্রের, রূপ দিয়েছিলেন তপতী গুহ-ঠাকুরতা, দুর্গাপুজোর ইউনেস্কো স্বীকৃতির নেপথ্যে এঁরাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্টেটাস (Bengal Durga Puja UNESCO Heritage status) পাওয়ার কৃতিত্ব দাবি করে সাম্প্রতিককালে উচ্চনাদে নিজেদের ঢাক পিটিয়েই চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমনকী, এর জন্য খরচ করা হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ঘটা করে আয়োজন করা হয়েছে শোভাযাত্রার। 

    কিন্তু, রাজ্য প্রশাসন যতই এই বিষয়ে কৃতিত্ব দাবি করুক না কেন, আদতে এই কৃতিত্ব কতটা এরাজ্যের, আদৌ কোনও কৃতিত্ব রয়েছে কিনা তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। আর ঠিক এই প্রশ্নটাই তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির (Bengal BJP) পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য (Amit Malviya)। এদিন ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘দুর্গাপুজোর (Durga Puja) জন্য ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ ট্যাগের (UNESCO Intangible Cultural Heritage tag) কৃতিত্ব নিতে শোভাযাত্রার আয়োজন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সত্যিটা হল, এই স্বীকৃতির নেপথ্যে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। কারণ, স্বীকৃতি মিলেছে মোদি সরকারের অধিনস্থ সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায়।’’

    আরও পড়ুন: কেন দুর্গোৎসব কমিটিগুলোকে দেওয়া হচ্ছে অনুদান? রাজ্যের ব্যাখ্যা তলব হাইকোর্টের

    কেন অমিত মালব্য এই কথা বলছেন? সম্প্রতি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (West Bengal Government) একটি পুরনো চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির তারিখের ওই চিঠিটি রয়েছে রাজ্যের তৎকালীন প্রধান সচিব অত্রি ভট্টাচার্যের প্যাডে। কী আছে তাতে? ওই চিঠিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির (Sangeet Natak Akademi) মাধ্যমে অধ্যাপক তপতী গুহ-ঠাকুরতা (Tapati Guha Thakurta) এবং কলকাতাস্থিত সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেসের (Centre for Studies in Social Sciences) অধিনস্থ বিভাগ যদুনাথ ভবন মিউজিয়াম ও রিসোর্স সেন্টারকে প্রদান করেছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। 

     

    কে এই তপতী গুহ-ঠাকুরতা? এক দশকের বেশি সময় ধরে দুর্গাপুজো নিয়ে কাজ করছেন কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশাল সায়েন্সেস অধিকর্তা তপতী গুহ-ঠাকুরতা। দুর্গাপুজো যাতে ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি পায়, সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, যাতে দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়, সেজন্য কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে খসড়া ডসিয়ার তৈরি করেছিলেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। ২০১৯ সালের মার্চে সেই ডসিয়ার জমা দিয়েছিলেন। তাতে দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পক্ষের মন্তব্য তুলে ধরেছিলেন।

    আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে পুজোয় অনুদান! দুর্নীতিকে আড়াল নাকি নজরে পঞ্চায়েত?

    এখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনও ভূমিকা আদৌ ছিল কি? জানা গিয়েছে, গবেষণার জন্য এই উৎসব সংক্রান্ত বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার বা সত্ত্বাধিকারীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। সেই তালিকায় যেমন ছিলেন মৃৎশিল্পী ও বিভিন্ন কুশীলবরা, তেমনই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গেও শলা-পরামর্শ করা হয়েছিল। ব্যাস, ওইটুকুই। বাকিটা ইতিহাস। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি মিলতেই, নিজেদের ভুয়ো কৃতিত্ব দাবি করতে ময়দানে নেমে পড়ে মমতা প্রশাসন। কোটি কোটি টাকা অপচয়ে শোভাযাত্রার আয়োজনও করা হয়। অথচ, কার্যত আড়াল করেই রেখে দেওয়া হল এই কৃতিত্বের আসল রূপকারদের।

  • Virat Kohli to MS Dhoni: নম্বর তো অনেকেই জানে! অধিনায়কত্ব ছাড়ার সময়ে ফোন করেছিল শুধুই ধোনি, অকপট কোহলি

    Virat Kohli to MS Dhoni: নম্বর তো অনেকেই জানে! অধিনায়কত্ব ছাড়ার সময়ে ফোন করেছিল শুধুই ধোনি, অকপট কোহলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদের সময়ে বন্ধু চেনা যায়। যেমন চিনেছেন বিরাট। বোঝা যায় কে আপনাকে ভালবাসে, কে ভাল চায়। রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের শেষে নিজের ক্ষোভ, অভিমান উজাড় করে দিলেন কোহলি। জানালেন খারাপ সময়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন কিন্তু কী করতে হবে তা বলেছিল বিরাট কোহলির অধিনায়ক, মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni)।

    পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট হারের পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে চলে এসেছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। তাঁর খারাপ সময় প্রশ্ন উঠতেই টিম ইন্ডিয়ার  প্রাক্তন অধিনায়ক ব্যাঙ্গের সুরে বললেন,  ‘আমার নম্বর অনেকের কাছে ছিল কিন্তু যখন আমি অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলাম, সেইসময় একমাত্র মহেন্দ্র সিং ধোনিই আমাকে ফোন করেছিলেন। আর কেউ কোনও ফোন করেননি। কেউ নয়। এর থেকেই বোঝা যায় কে আমার ভাল চায়।’ বিরাটের কথায়, ‘আমি যদি কাউকে সত্যিই মন থেকে সাহায্য করতে চাই, তাহলে তো তাঁকে আলাদা করে বোঝাব যে তোমার এটা ভুল হচ্ছে কিংবা ঠিক হচ্ছে। সকলের সামনে তো আর সেটা বলব না। আমাদের দুজনের সম্পর্কের মধ্যে একটা আলাদা বোঝাপড়া রয়েছে।’

    আরও পড়ুন: বাজিমাত বাংলার! ভারতীয় ফুটবল ও ক্রিকেটের মসনদে দুই বাঙালির দাপট

    বিরাট আরও বলেন, “টিভিতে অনেকেই অনেক পরামর্শ দেন। তাঁদের কাছে বলার মতো অনেক কিছুই থাকে। আমার নম্বর থাকলেও তাঁদের কোনও মেসেজ আসেনি। কারও সঙ্গে  যে শ্রদ্ধার সম্পর্ক থাকে, সেটা কতদূর সত্যি তা, এমন পরিস্থিতিতেই বোঝা যায়। আমার আর ধোনির মধ্যে একটা নিঃস্বার্থ সম্পর্ক রয়েছে। না তিনি আমার কাছে কিছু চান, না তো আমি কিছু চাই তাঁর কাছে। কেউ কাউকে নিয়ে কোনওদিন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিনি। তাই সম্পর্কটা রয়ে গিয়েছে।”

    অনেকের দাবি ছিল ছন্দ হারানো বিরাটকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে রাখা উচিত নয়। তবে এ বারও নিন্দুকদের গ্যালারিতে ফেললেন ‘কিং কোহলি’। চলতি এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যাবে, কথা বলতে শুরু করেছে বিরাটের ব্য়াট। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪ বলে ৩৫ করার পর, হংকং-এর বিরুদ্ধে করেছিলেন ৪৪ বলে ৫৯ রান। আর এ বার পাকিস্তানের কাছে দল হারলেও তাঁর ব্যাট থেকে এল ৪৪ বলে ৬০ রান। 

  • High Court on TET Exam: ভুল প্রশ্নের জের! ২৩ টেট পরীক্ষার্থীকে দ্রুত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    High Court on TET Exam: ভুল প্রশ্নের জের! ২৩ টেট পরীক্ষার্থীকে দ্রুত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক দিবসে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ফের রায় কলকাতা হাইকোর্টের। ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (2014 TET Case) প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল। ছয়টি ভুল প্রশ্নের কারণে টেট-এ পাস মার্ক না পাওয়ার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২৩ টেট পরীক্ষার্থী। ওই ২৩ পরীক্ষার্থীকে আগামী  ২৩ দিনের মধ্যে শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijeet Ganguly)।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত
     
    প্রসঙ্গত, আগেই এই মামলায় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভুল প্রশ্ন থাকায় বাড়তি ৬ নম্বর দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বাড়তি নম্বর পেয়েও অনেকেই চাকরি পাননি বলে অভিযোগ। টেট-এর প্রশ্নপত্রের ভুল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলায় বিশ্বভারতীর বিশেষ কমিটি জানায়, ছটি প্রশ্নই ভুল। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরই ২০১৮ সালের শেষের দিকে এই কেসে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় অতিরিক্ত ছয় নম্বর করে দেওয়া হবে বলে জানান। কিন্তু মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, অতিরিক্ত ৬ নম্বর পাওয়ার পরেও চাকরি মেলেনি। 

    আরও পড়ুন: চারদিনের সফরে ভারতে শেখ হাসিনা, মোদির সঙ্গে বৈঠকে নজরে জলবণ্টন

    মামলাকারীদের কথায়, যোগ্যতামান ভিন্ন থাকায় ২০২০ সালে চাকরি পাননি তাঁরা। আগেরদিনের শুনানিতে পর্ষদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন শুনানি শেষে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আদলতের নির্দেশের পর ৬ নম্বর দেওয়া হয়েছিল, সেই নম্বর দেওয়াতে যাঁরা পাশ করেছেন এমন ২৩ জনকে চাকরি দিতে হবে। ভবিষ্যতে শূন্যপদ তৈরি হলেই তাঁদের চাকরি দেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিনি আরও বলেন, এই ২৩ জন ছয় বছর ধরে বঞ্চিত। আর সময় দেওয়া যাবে না। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এই প্রক্রিয়া শেষ করার কথাও বলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • INS Vikrant: শব্দ দিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারব না! বিক্রান্তের ডেকে উঠে আবেগপ্রবণ মোদি

    INS Vikrant: শব্দ দিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারব না! বিক্রান্তের ডেকে উঠে আবেগপ্রবণ মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে এটা একটা ঐতিহাসিক দিন। আইএনএস বিক্রান্তের (INS Vikrant) ডেকে উঠে কেমন লাগছিল তা ভাষায় ব্যাখ্যা করতে পারবেন না। ট্যুইটবার্তায় আবেগপ্রবণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। শনিবার বিক্রান্তের একটি ভিডিও সহ ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। ট্যুইটে তিনি জানান, ‘আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিফলন এই আইএনএস বিক্রান্ত। যেসকল দেশ নিজেদের প্রযুক্তিতে যুদ্ধজাহাজ তৈরি করে, সেই সব দেশের তালিকায় নাম লেখাল ভারতও।’

    কোচিন শিপইয়ার্ড, শ্রমিক ও নৌসেনার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘স্বদেশী পদ্ধতিতে তৈরি এই জাহাজের স্টিল স্বদেশী, এই স্টিল ডিআরডিও বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন। এই জাহাজ যেন এক ভাসমান শহর। জাহাজে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, তা ৫০০০ বাড়িকে উজ্জ্বল করতে পারে। এর ফ্লাইট ডেকে দুটি ফুটবল মাঠ এঁটে যাবে।’ ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন, ইজরায়েল বিশ্বের নানা দেশ ভরতে তৈরি প্রথম এই রণতরীকে কুর্নিশ করেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ট্যুইটবার্তায় জানান এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে রাশিয়া গর্বিত।

    এই রণতরীর দৈর্ঘ্য ১৬২ মিটার, প্রস্থ ৬২ মিটার, উচ্চতা ৫৯ মিটার। বিশালায়তন এই জায়গায় ঢুকে যেতে পারে ২টো ফুটবল মাঠও। ৩০টি যুদ্ধবিমানকে পরিচালনা করতে সক্ষম এই রণতরীতে রয়েছে ২৩০টি ঘর, একসঙ্গে থাকতে পারবেন ১৭০০ জন। বিশালাকার এই রণতরী ভারতকে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর পাশে নিয়ে গেল বলে ট্যুইট করেছেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত।

    ভারতে বর্তমানে একটিই মাত্র অপারেশনাল বিমানবাহী রণতরী রয়েছে— আইএনএস বিক্রমাদিত্য (INS Vikramaditya)। রুশ নির্মিত এই যুদ্ধজাহাজও আবার বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আইএনএস কারোয়ার (INS Karwar) ঘাঁটিতে বসে রয়েছে। জলে নামতে অন্ততপক্ষে জানুয়ারি। অন্যদিকে, চিনের বর্তমানে দুটি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। তৃতীয়টির উদ্বোধন হয়েছে সম্প্রতি। ফলে, ভারতীয় মহাসাগরে, চিনের মোকাবিলা করতে নতুন বিমানবাহী রণতরী থাকা ভারতের কাছে কৌশলগত ও সামরিক দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বলে মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রতিরক্ষা মহলের দাবি, সমুদ্রপথে যদি চিন কখনও ভারতকে আক্রমণের চেষ্টা করে তবে তা ঠেকাতে ভারতের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ হতে পারে বিক্রান্ত। 

    আরও পড়ুন: ‘দাসত্বের ছাপ’ মুছে গেল! নৌসেনার নয়া নিশানে ছত্রপতি শিবাজির ‘রাজমুদ্রা’, গর্বিত প্রধানমন্ত্রী

     সর্বোচ্চ গতি ২৮ নট। এছাড়া এই যুদ্ধজাহাজে বারবার জ্বালানি ভরার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন নির্মাণকারী সংস্থা। একবার জ্বালানি ভরলেই বিক্রান্ত যেতে পারবে প্রায় ৭ হাজার নটিক্যাল মাইল। অর্থাৎ একবারের জ্বালানিতে ভারতীয় জলসীমা দু’বার ঘুরে আসতে পারবে এই রণতরী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • INS Vikrant: বিমানবাহী রণতরী ঠিক কী? নৌবাহিনীতে এর তাৎপর্য কোথায়?

    INS Vikrant: বিমানবাহী রণতরী ঠিক কী? নৌবাহিনীতে এর তাৎপর্য কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনায় (Indian Navy) ‘কমিশন্ড’ করা হল দেশে তৈরি এখনও পর্যন্ত সর্ববৃহৎ তথা প্রথম বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ (INS Vikrant)। শুক্রবার, কোচিতে এক অনুষ্ঠানে এই বিশাল জাহাজকে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। এই প্রেক্ষিতে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের আত্মনির্ভরতার প্রতীরক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে বিক্রান্ত।

    আসুন জেনে নেওয়া যাক বিমানবাহী রণতরী ঠিক কী?

    একটি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার বা বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier) হল একটি বিশাল জাহাজ যা যুদ্ধবিমান বহন করতে সক্ষম। এতে একটি দীর্ঘ, সমতল পৃষ্ঠ থাকে যেখান থেকে বিমানগুলি ওঠানামা করতে পারে। এই রণতরীগুলো এতটাই বড় যেহেতু এখান থেকে যুদ্ধবিমান ওঠানামা করতে পারে, তাই এদের ‘ফ্লোটিং এয়ারবেস’ বা ভাসমান বিমানঘাঁটি বলে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। বিমানবাহী রণতরীতে যে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ফ্লাইট ডেক থাকে, সেখান থেকে যুদ্ধবিমান টেক-অফ, ল্যান্ডিং ও রিকভারি করতে পারে।

    আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিফলন বিক্রান্ত! যুদ্ধবিমানবাহী দেশে তৈরি প্রথম রণতরীর উদ্বোধনে গর্বিত প্রধানমন্ত্রী

    বিমানবাহী রণতরীগুলি যুদ্ধ এবং শান্তির সময়ে একটি নৌবহরের ‘কমান্ড এবং কন্ট্রোল’ কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। বিমানবাহী রণতরী হল যে কোনও নৌবাহিনীর কাছে ‘কোহিনূর’-এর সমতুল্য। কারণ, ঘাঁটি বা দেশের সীমা থেকে দীর্ঘ দূরত্বে সমুদ্রে বায়ুশক্তি প্রদান করার ক্ষমতা একমাত্র রয়েছে এই বিশেষ জাহাজের। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই একে রক্ষার জন্য সর্বদা থাকে অন্য জাহাজ। কোনও সময়ই বিমানবাহী রণতরী একলা থাকে না। প্রত্যেক বিমানবাহী রণতরীক ঘিরে তৈরি হয় একটি ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপ। 

    প্রত্যেক ব্যাটল গ্রুপের মাথায় থাকে একটি করে বিমানবাহী রণতরী। এছাড়া গ্রুপের বাকি সদস্যদের মধ্যে থাকে ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট, সাবমেরিন, ট্যাঙ্কার এবং আকাশে চক্কর কাটতে থাকা বিশেষ নজরদারি বিমান। এদের প্রত্যেকের কাজ হল বিমানবাহী রণতরীকে চারদিকে থেকে এসকর্ট বা পাহারা দেওয়া, যাতে কোনওভাবে এই এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারের কোনও ক্ষতি না হয়। এর থেকেই অনুমেয়, একটি নৌসেনার কাছে তাদের বিমানবাহী রণতরী কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

    আরও পড়ুন: এক ভাসমান দুর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    ভারতে বর্তমানে একটিই মাত্র অপারেশনাল বিমানবাহী রণতরী রয়েছে— আইএনএস বিক্রমাদিত্য। রুশ নির্মিত এই যুদ্ধজাহাজও আবার বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আইএনএস কারোয়ার ঘাঁটিতে বসে রয়েছে। জলে নামতে অন্ততপক্ষে জানুয়ারি। অন্যদিকে, চিনের বর্তমানে দুটি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। তৃতীয়টির উদ্বোধন হয়েছে সম্প্রতি। ফলে, ভারতীয় মহাসাগরে, চিনের মোকাবিলা করতে নতুন বিমানবাহী রণতরী থাকা ভারতের কাছে কৌশলগত ও সামরিক দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে আইএনএস বিক্রান্ত-এর অন্তর্ভুক্তি অনেকটাই আত্মবিশ্বাস জোগাবে। 

    আরও পড়ুন: ‘বিক্রান্ত’ নামের কী মাহাত্ম্য? নৌসেনায় তাৎপর্যই বা কী? ফিরে দেখা ইতিহাস

    আইএনএস বিক্রান্ত অনেক দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এটিই হল ভারতে তৈরি প্রথম রণতরী। এই জাহাজের ৭৬ শতাংশ দেশে তৈরি। দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় তৈরি হয়েছে এর যন্ত্রাংশ। এটা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এর ফলে, ভারতের সামরিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেল। এই নির্মাণ ভারতকে বিশ্বের হাতেগোনা রাষ্ট্রের একটি এলিট তালিকায় বসিয়ে দিল। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা বিমাণবাহী রণতরী ব্যবহার করে। তৈরি করাটা অনেক দূরের ব্যাপার। সেই দিক দিয়ে, ভারত নিজের বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করে আত্মনির্ভরতা ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।

    বিমানবাহী রণতরী থাকার তাৎপর্য

    বর্তমানে, বিশ্বের প্রধান সামরিক শক্তিধর দেশগুলির কাছে বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। প্রায় প্রত্যেকটি দেশ— মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে চিন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেন— সকলেই নিজ দেশে বিমানবাহী রণতরী (Indigenous Aircraft Carrier) নির্মাণ করে থাকে। সেই তালিকায় সংযোজিত হল ভারত। বলা বাহুল্য, এক এলিট গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হল ভারতীয় নৌবাহিনী। যে কোনও দেশের সামরিক বাহিনীতে বিশেষ করে নৌসেনায় বিমানবাহী রণতরীর তাৎপর্য অপরিসীম। এটি সেই সকল দেশের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ যাদের বিস্তৃত জলসীমা রয়েছে। যেমন ভারত। আফ্রিকার পূর্ব সীমান্ত থেকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর— সমগ্র ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নিজেদের নৌ-শক্তি ও জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবাহী রণতরী অপরিহার্য। এক কথায় দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার্থে আস্তিনে বিমানবাহী রণতরী থাকা ও না থাকার মধ্যে ফারাকটা বিস্তর। এধরণের আস্ত বিমানঘাঁটি মাঝ-সমুদ্রে ভেসে বেড়ালে, শক্তিশালী শত্রুও যে কোনও আগ্রাসনের আগে দশবার ভাববে। আর ভারতের জলসীমা বা সমুদ্র অঞ্চল এতটাই বিস্তৃত যে, তৃতীয় (দ্বিতীয় দেশীয়) বিমানবাহী রণতরীর নির্মাণ নিয়ে মোদি সরকারের শীর্ষস্তরে ইতিমধ্যেই জোর আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। 

     

  • Shivamurthy Sharanaru: নাবালিকা নির্যাতন! পকসো আইনে গ্রেফতার কর্ণাটকের লিঙ্গায়ত মঠের প্রধান শিবমূর্তি

    Shivamurthy Sharanaru: নাবালিকা নির্যাতন! পকসো আইনে গ্রেফতার কর্ণাটকের লিঙ্গায়ত মঠের প্রধান শিবমূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকাদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ গ্রেফতার হলেন কর্ণাটকের (Karnataka) লিঙ্গায়ত (Lingayat ) মঠের সাধু শিবমূর্তি মুরুগা শরনারু (Shivamurthy Sharanaru)। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো (POCSO) আইনে এক স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ রয়েছে। মঠের মুখ্য সন্ন্যাসী সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। কর্নাটকের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রদুর্গার এই মঠের প্রধানকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিয়মিত ভাবে পড়ুয়াদের যৌন নির্যাতন করতেন। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করতেন মঠের অন্যান্য কর্মী। যদিও শিবমূর্তির দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরেই চক্রান্ত হচ্ছে। এই অভিযোগ তারই অংশ। শেষমেশ তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন বলেই দাবি শিবমূর্তির।

    উল্লেখ্য, অভিযোগকারিণী দুই নাবালিকার বয়স যথাক্রমে ১৫ এবং ১৬ বছর। দুই নাবালিকা মঠ পরিচালিত একটি স্কুলে পাঠরত ছিলেন এবং স্কুল সংলগ্ন হোস্টেলে তারা থাকতেন। গত ২৪ জুলাই তাঁরা হোস্টেল ত্যাগ করেন এবং ২৫ জুলাই তাদের কটনপেট থানায় পাওয়া যায়। এরপর ২৬ অগাস্ট লিঙ্গায়ত স্বামী শিবমূর্তির বিরুদ্ধে মাইসোরের নজরবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পুলিশকে ওই দুই নাবালিকা জানায় গত সাড়ে তিন বছর ধরে তাদের ওপর যৌন হেনস্থা চালাতেন ওই লিঙ্গায়ত মঠের সাধু।

    আরও পড়ুন: দুমকার পর দিল্লি, সম্পর্ক ছেদ করায় কিশোরীকে লক্ষ্য করে গুলি

    অভিযুক্ত সাধু শিবমূর্তি মুরুগা শরনারু কর্ণাটকের লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের। এই সম্প্রদায়েরই নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কর্ণাটকের সিংহভাগ অধিকাংশ ভোটার এই সম্প্রদায়ের। এই রাজনৈতিক সমীকরণ মাথায় রেখেও শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত সাধুকে। কয়েকদিন আগেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘পুলিশের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে তদন্তের জন্য। তারা তদন্ত করবে আর সত্যিটা বেরিয়ে আসবে।’ 

    জগদ্গুরু মুরুগরাজেন্দ্র বিদ্যাপীঠ মঠের গুরু শিবমূর্তি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তিনি দুই নাবালিকার শ্লীলতাহানী করেছেন। চিত্রদুর্গের দ্বিতীয় জেলা ও দায়রা আদালত যৌন হেনস্থার মামলায় শিবমূর্তির আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি শুক্রবার পর্যন্ত স্থগিত করেছিল। এর মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, শিবমূর্তিকে শুক্রবারই আদালতে পেশ করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ। এর আগে প্রভাবশালী এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে ‘লুকআইট সার্কুলার’ জারি করা হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share