Blog

  • Jasprit Bumrah: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বুমরাহর বিকল্প কে? শামি না সিরাজ দ্বিধাবিভক্ত নির্বাচকরা

    Jasprit Bumrah: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বুমরাহর বিকল্প কে? শামি না সিরাজ দ্বিধাবিভক্ত নির্বাচকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় দল। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে পারথে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াকে ১৩ রানে হারানোয় রোহিত শর্মাদের মনোবল তুঙ্গে। তবে জাতীয় নির্বাচকদের ঘুম উড়ে গিয়েছে যশপ্রীত বুমরাহর পরিবর্ত খুঁজতে গিয়ে। একটা সময় লড়াইয়ে ছিলেন মহম্মদ শামি, দীপক চাহার, মহম্মদ সিরাজ। যদিও চোট পাওয়ায় দীপক চাহারের বিশ্বকাপ খেলার আর কোনও সম্ভাবনা নেই। এখন শামি ও সিরাজের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে হবে নির্বাচকদের।

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আগে বোলিং চিন্তায় ফেলেছে ভারতকে! বুমরাহর পরিবর্ত হিসেবে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারেন সামি

    শামি ও সিরাজের মধ্যে কোনও একজনকে বেছে নেওয়া সহজ কাজ নয়। একদিকে সামির অভিজ্ঞতা। অন্যদিকে সিরাজের তারুণ্য। দু’টোই বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে শামি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দারুণ বল করেছেন। সেই অভিজ্ঞতা কাজে দিতে পারে টিম ইন্ডিয়ার। আবার সদ্য সমাপ্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধ একদিনের সিরিজে বল হাতে কার্যত আগুন ঝরিয়েছেন সিরাজ। তাঁর গতি অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি উইকেটে দারুণ কার্যকর হতে পারে বলে মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। স্বাভাবিকভাবেই দু’জনের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়া সহজ নয়। তাই বুমরাহর বিকল্প খুঁজতে গিয়ে ঘুম উড়ে গিয়েছে চেতন শর্মাদের।

    আরও পড়ুন: বিসিসিআই সভাপতি থাকছেন না মহারাজ! পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে পারেন রজার বিনি

    পাল্লা কিছুটা হলেও ভারী শামিরই। করোনা মুক্ত হওয়ার পর তিনি কোনও ম্যাচ খেলেননি। তবে ফিট। তাই অস্ট্রলিয়া উড়ে যাচ্ছেন। বিশ্বকাপের আগে দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচে তাঁকে খেলানোর পর নির্বাচকরা হয়তো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। অস্ট্রেলিয়া উড়ে যাচ্ছন সিরাজও। তবে যে রকম ফর্মে তিনি আছেন, তাতে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দলে তাঁকে না দেখার কোনও কারণ নেই। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সুনীল গাভাসকরও ব্যাট ধরেছেন সিরাজের হয়ে। তাঁর যুক্তি, ‘শামি অনেকদিন খেলার বাইরে। হঠাৎ করে ওকে বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে নামিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। তার চাইতে ফর্মে থাকা সিরাজকে খেলানো উচিত। ১৫ জনের দলে এখনও কেউ নির্বাচিত হননি। দেখা যাক নির্বাচকরা কাকে বেছে নেয়।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nitish Kumar: ‘এখন যিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তিনি পাঁচবার শিবির বদলেছেন’, নীতীশকে শাহি কটাক্ষ

    Nitish Kumar: ‘এখন যিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তিনি পাঁচবার শিবির বদলেছেন’, নীতীশকে শাহি কটাক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহের নিশানায় নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। মঙ্গলবার বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। নীতীশের নাম না করে তিনি বলেন, ক্ষমতার লোভে জয়প্রকাশের আন্দোলন থেকে বেরিয়ে এসে কংগ্রেসের কোলে বসে রয়েছেন নীতীশ। বিহারের শরণ জেলায় এদিন জয়প্রকাশ নারায়ণের ১২০তম জন্ম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন শাহ। সেখানেই নিশানা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। অমিত শাহ বলেন, জয়প্রকাশ সারা জীবন নীতি-আদর্শ নিয়ে কাজ করেছিলেন। ক্ষমতার কথা তিনি কখনওই ভাবেননি।

    এদিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) নাম না করেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন বিহারের যিনি মুখ্যমন্ত্রী তিনি পাঁচবার শিবির বদলেছেন। বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে নীতীশ কুমার লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে নয়া সরকার গড়েছেন। বিহারের এই নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী তিনিই। আর উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়েছেন লালুপ্রসাদের ছেলে তেজস্বী যাদবকে। নাম না করে অমিত শাহ এদিন সেই প্রসঙ্গই টানেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুন : আমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা নেই, রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জানালেন নীতীশ

    এদিনের অনুষ্ঠানে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) নাম না করেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সমতা দল গড়তে তিনি জনতা দল ভেঙেছিলেন। অল্প কিছুদিনের জন্যে সিপিএমের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন। বিজেপির সঙ্গে দীর্ঘ যাত্রা শুরু করার আগে তিনি এটা করেছিলেন। বিজেপির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল ২০১৩ সাল পর্যন্ত। ২০১৭ সালে তিনি আবার এনডিএতে ফেরেন। তারপর ছিলেন পরবর্তী পাঁচ বছর। 

    এদিন প্রায় পনের মিনিট ধরে ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার সিংহভাগই ছিল নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar) নিশানা করে। বাকি সময়টা তিনি কাটান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাজের প্রশংসায়। মোদি জমানায় যে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ হয়েছে সে ফিরিস্তি দেন শাহ। তিনি এও মনে করিয়ে দেন, জয়প্রকাশ নারায়ণের চিন্তাভাবনার পথেই চলছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের জন্য বিহার সফরে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে তিনি এসেছিলেন সেপ্টেম্বরের ২৩-২৪। সেবার বিহারের ক্ষমতা চলে যাওয়ার জন্য পার্টি কর্মীদের ভেঙে পড়তে নিষেধ করেছিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manik Bhattacharya: সুপ্রিম কোর্টেও রক্ষা মিলল না! আগামী কয়েকদিন ইডির হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য

    Manik Bhattacharya: সুপ্রিম কোর্টেও রক্ষা মিলল না! আগামী কয়েকদিন ইডির হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জোর ধাক্কা খেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টচার্য  (Manik Bhattacharya)। আপাতত তাঁকে ইডির (ED) হেফাজতেই থাকতে হবে। মঙ্গলবার তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গতকালই তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদলতে তোলা হয়েছিল। ইডির গ্রেফতারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিকের আইনজীবী। কিন্তু আবেদেন সাড়া দিল না দেশের সর্বোচ্চ আগালত। মানিকের আইনজীবী মুকুল রোহতগি মামলার দ্রুত শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিসন বেঞ্চ তাতে সাড়া দেয়নি। ইডিকে এই মামলায় নোটিস দিতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। আগামী সোমবার শুনানি হতে পারে।

    আরও পড়ুন: মহিষবাথানে মানিক ভট্টাচার্যের গোপন অফিসের খোঁজ! কী হত সেখানে?

    রাজ্যে শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যাতে তাঁকে এই মামলায় গ্রেফতার করতে না পারে, তার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিকের আইনজীবী। রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন তিনি। যা বহাল ছিল পুজো পর্যন্ত। কিন্তু ইডির ক্ষেত্রে এই নির্দেশ বলবত হয়নি। তাই মঙ্গলবার ম্যারাথন জেরায় মানিক ভট্টাচার্য তদন্তে অসহযোগিতা করছে, এই অভিযোগ তুলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে গ্রেফতার করে ইডি। তখন মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাঁর মক্কেলকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করেছে। মানা হয়নি সুপ্রম কোর্টের রায়। এই যুক্তি সামনে রেখেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও জোর ধাক্কা খেলেন মানিক ভট্টাচার্য।

    আরও পড়ুন: কিংপিন মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির

    তদন্তে ইতিমধ্যেই মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধ আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার বহু প্রমাণ পেয়েছে ইডি। তাঁর ছেলেও এই কুকর্মের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। কারণ, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার সময় ইডি আধিকারিকরা বিপুল পরিমাণ টাকার বেশি হদিশ পেয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জাল মানিক ভট্টাচার্যের মাধ্যমেই বিছানো হয়েছিল বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। কারণ, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে পাঁচশোর বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গ যুক্ত ছিলেন। যার বিনিময়ে তিনি ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • NIA Raid: সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর অভিযোগের তদন্তে জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি এনআইএ-র, গ্রেফতার ১ 

    NIA Raid: সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর অভিযোগের তদন্তে জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি এনআইএ-র, গ্রেফতার ১ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের আট জেলায় তল্লাশি এনআইয়ের (NIA Raid)। সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর অভিযোগে আল হুদা এডুকেশনাল ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)। জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) পুলিশ ও সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় এদিন হানা দেয় এনআইএ। রাজৌরি, পুঞ্চ, জম্মু, শ্রীনগর, পুলওয়ামা, বদগাঁও, সোপিয়ান এবং বান্দিপোরায় হানা দেন তদন্তকারীরা। এনআইয়ের একটি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে পড়েছে আল হুদা এডুকেশনাল ট্রাস্টের তরফে রাজৌরি জেলায় সন্দেহজনক কাজকর্ম করা হচ্ছে। আল হুদা ট্রাস্টের আর্থিক লেনদেনের ধরন ও তাদের কাজকর্মের মধ্যে অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে এনআইএ। জম্মু-কাশ্মীরের নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-ই-ইসলামিকে ওই ট্রাস্ট অর্থ সাহায্য করেছে বলে খবর মিলেছে।

    এনআইএর (NIA) এক আধিকারিক বলেন, এদিন এনআইএ রাজৌরি, পুঞ্চ, জম্মু, শ্রীনগর, বান্দিপোরা, সোপিয়ান, পুলওয়ামা এবং বদগাঁও জেলার ১৮টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। তিনি বলেন, মহম্মদ আমির শামসি নামে রাজৌরির এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি ক্রিমিনাল কেসে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে নিষিদ্ধ করা হয়েছে জামাত-ই-ইসলামিকে। তার পরেও একাধিক সংস্থার আড়ালে গোপনে কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে এই সংস্থা। এরকমই একটি সংস্থা হল রাজৌরির এএইচইটি। বিভিন্ন ভাবে এই সংস্থা অর্থ সংগ্রহ করছে। এর মধ্যে অনুদান যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে হাওয়ালা। জম্মু-কাশ্মীরের যুব সমাজকেও এই সংস্থা বেআইনি কাজকর্ম করতে উদ্বুদ্ধ করছে। তার জেরে বিঘ্নিত  হচ্ছে ভূস্বর্গের শান্তি। ক্ষুণ্ণ হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব। তিনি জানান, সেপ্টেম্বর মাসের তিন তারিখে এনআইএ একটি সুয়োমোটো মামলা দায়ের করেছে।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে রহস্যজনক মৃত্যু পুলিশ আধিকারিকের! হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

    এনআইএর ওই আধিকারিক জানান, এদিন তদন্ত চালানোর সময় শামসি নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি এএইচইটির চেয়ারপার্সন। ওই ট্রাস্টের চিফ প্যাট্রন হিসেবে কাজ করেন তিনি। এই ট্রাস্ট এখনও অর্থ সংগ্রহ করছে। উপত্যকার বেশ কয়েকটি এনজিও এবং ট্রাস্টের নামও উঠে এসেছে তল্লাশিতে (NIA Raid)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mominpur Ekbalpur: মোমিনপুর-একবালপুর কাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

    Mominpur Ekbalpur: মোমিনপুর-একবালপুর কাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর ও একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) এলাকায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ সংক্রান্ত মামলায় (Ekbalpur Mominpur Case) বেলা ২টোর মধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দল। এবারে বুধবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিচারপতিও। এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনায় এনআইএ-কে (NIA) কেন জানানো হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

    মোমিনপুর-একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) ঘটনার জেরে গতকাল আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। এর পাশাপাশি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়। ফলে এইসব মামলার শুনানি হয় আজ। তখনই মোমিনপুর সংঘর্ষ সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন তোলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। প্রথমেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এদিন কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে কটাক্ষ করে বলেন, এলাকা থেকে যে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে, রাজ্য পুলিশ সে ব্যাপারে কী তদন্ত করেছে বা অন্যান্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা জানাতে হবে আদালতকে। এর পাশাপাশি প্রশ্ন করা হয়েছে, বোমাবাজি হওয়া সত্ত্বেও কেন এখনও পর্যন্ত এনআইএ-র ধারায় মামলা রুজু করা হয়নি? ফলে এইসব প্রশ্ন করে পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের থেকে জবাব চায় আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আজ বেলা ২টোর সময়।

    এই ঘটনার জল (Mominpur Ekbalpur) আদালত পর্যন্ত গড়ালে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। এই রিপোর্টে জানাতে হবে, জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী চিন্তাভাবনা করেছে রাজ্য এবং সেই এলাকার শান্তি, সম্প্রীতি ফেরাতে কী করা হচ্ছে? এখানেই শেষ নয়, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে তলবেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদালত। নির্দেশ না মানলে ডাকা হতে পারে তাঁকেও, এমনই তথ্য জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    প্রসঙ্গত, মোমিনপুর-একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) ঘটনায় জোড়া মামলা দায়ের করা হয়। এক হলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দও ও অপরজন নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আদালতে আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত বলেন, “৮ তারিখ থেকে ঝামেলা শুরু হয়েছে। বস্তিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি ঘটনার দিন গিয়েছিলাম আক্রান্ত এলাকায়। ময়ুরভঞ্জ এলাকায় যে বস্তি রয়েছে, সেখানে কোনও পুলিশের নিরাপত্তা ছিল না। শুধুমাত্র কয়েকজন লাঠি হাতে পুলিশ সেখানে ছিলেন।” অপর পিটিশনার নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, “কার্নিভালের জন্য রেড রোডে বিরাট আয়োজন করা হল কার্নিভালের। তারই পাশে এই পরিস্থিতি, তবুও পুলিশ কিছু করতে পারল না?”

    এছাড়াও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনায় এপর্যন্ত ৪২ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আরও ৩৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নোটিস পাঠিয়ে ৪১ জনকে সতর্ক করা হয়েছে। অশান্তির ছবি ছড়ানোর জন্য ৮০টি ভিন্ন ভিন্ন মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারাও। ফলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে বলে দাবি করেছে প্রশাসন।

  • Insects harming plants : কীভাবে পোকামাকড় গাছের ক্ষতি করে?

    Insects harming plants : কীভাবে পোকামাকড় গাছের ক্ষতি করে?

    মাধ্যমে নিউজ ডেস্ক: বর্তমান শতাব্দীতে কীট-পতঙ্গের সংখ্যা ক্রমশ কমেই চলেছে, কিছু কিছু কীটপতঙ্গ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে এবং কিছু কিছু কীটপতঙ্গ বিলুপ্তির পথে। তবুও বহু কীটপতঙ্গ কৃষি ফসলসহ বহু উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকারক। এবং ফলনের প্রভুত ক্ষতিসাধন করে চলেছে। এরফলস্বরূপ প্রতিবছর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় কৃষকদের। উদ্ভিদজগতের ক্ষতির নিরিখে আধুনিক তৃণভোজী কীটপতঙ্গ এবং ৬.৭ কোটি বছর আগে ক্রিটেশাস যুগের উদ্ভিদ ও তৃণভোজী কীটপতঙ্গের মধ্যে তুল্যমূল্য বিচার করে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত করেছেন আমেরিকার ওয়াইওমিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।

    ক্রিটেশাস যুগের উদ্ভিদ ও কীটপতঙ্গ সংগ্রহ করা হয়েছে সেই যুগের থেকে প্রাপ্ত জীবাশ্ম থেকে। গবেষণাপত্রটি যে জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তার নাম ” proceedings of the national academy of sciences”। প্রধান গবেষক এবং পিএইচডি স্নাতক লরেন আজেভেডো-শ্মিডের কথায়, “আমাদের ভূমিকা হল যাঁরা জীবাশ্মর সাহায্যে প্রাচীন উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা করছেন এবং যাঁরা নব বা বর্তমান উদ্ভিদকূল নিয়ে গবেষণা করছেন, তাঁদের মাঝে সেতু হিসেবে কাজ করা।”

    তিনি বর্তমানে মেইন বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টডক্টরাল গবেষক হিসেবে কর্মরত। তিনি আরও বলেছেন, “একটি অভূতপূর্ব বিষয় আমাদের গোচরে এসেছে, কিছু কিছু কীটপতঙ্গ ক্রিটেশাস যুগ থেকে আজও সমানভাবে উদ্ভিদকূলের ক্ষতিসাধন করে চলেছে।” ইউডব্লিউ ডিপার্টমেন্ট অফ বোটানি এবং জিওলজি এবং জিওফিজিক্স বিভাগের অধ্যাপক এলেন কুরানো এবং ক্যালিফোর্নিয়া-ডেভিস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এমিলি মেইনেকের সঙ্গে গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন আজেভেডো-শ্মিড।

    গবেষণায় ক্রিটেশাস যুগের শেষকাল থেকে ২০ লক্ষ বছর আগে প্লাইস্টোসিন যুগ পর্যন্ত পোকায় খাওয়া জীবাশ্মযুক্ত পাতাগুলি পরীক্ষা করা হয়েছে এবং পাশাপাশি বর্তমান যুগ থেকে আজেভেডো-শ্মিডের সংগ্রহ করা পাতার সঙ্গে সেগুলির তুলনা করা হয়েছে। বিস্তারিত গবেষণায় পোকামাকড় দ্বারা সৃষ্ট বিভিন্ন ধরণের ক্ষতির দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্লাইস্টোসিন যুগ কিংবা ক্রিটেশাস যুগের তুলনায় সাম্প্রতিক ক্ষতির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    কীটপতঙ্গের দ্বারা উদ্ভিদের ক্ষতির সুনির্দিষ্ট কারণগুলি নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন, তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন একটি উষ্ণ জলবায়ু, নগরায়ন এবং আক্রমণাত্মক প্রজাতির প্রবর্তন সম্ভবত একটি বড় প্রভাব ফেলেছে। নগরায়ন, শিল্পায়নের ফলস্বরূপ জঙ্গলের বাড়তে থাকা সংকোচন বড় প্রাণীর পাশাপাশি কীটপতঙ্গগুলোর ক্ষতি ও তাদের জীবনযাত্রাকেও প্রভাবিত করেছে। শিল্পবিপ্লবের পরবর্তী যুগে পরিবেশ দূষণের জন্য জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে, যার প্রভাব পড়েছে প্রকৃতির উপর এবং এতে বসবাসকারী জীবনকূলের উপর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Bangladesh Border: সক্রিয় পাচার চক্র! বিএসএফের গুলিতে পাচারকারীর মৃত্যু, উদ্ধার শতাধিক গরু-মোষ

    Bangladesh Border: সক্রিয় পাচার চক্র! বিএসএফের গুলিতে পাচারকারীর মৃত্যু, উদ্ধার শতাধিক গরু-মোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় সক্রিয় গরু পাচার (Cattle Smuggling) চক্র! অব্যাহত গরু পাচার। নদিয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (Bangladesh Border) বিএসএফের (BSF) সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক বাংলাদেশি পাচারকারীর। সোমবার দুপুর পর্যন্ত জানা যায়নি মৃতের পরিচয়। এদিকে, পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার সীমানায় পাচারের সময় আটক শতাধিক গরু ও মোষ। গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালক ও খালাসি সহ মোট ৫০ জনকে।

    এদিন নদিয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের (Bangladesh Border) বিষ্ণুপুর এলাকায় টহল দিচ্ছিল বিএসএফ। টহলদার জওয়ানদের নজরে আসে রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে গরু। বাধা দেন বিএসএফের জওয়ানরা। এর পরেই আক্রমণ করে পাচারকারীরা। পাল্টা গুলি চালায় বিএসএফও। মৃত্যু হয় এক বাংলাদেশি পাচারকারীর। অন্ধকারের সুযোগে গা ঢাকা দেয় বাকিরা। পাচারকারীদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

    এদিকে, রবিবার দুপুরের পর ফের সন্ধে। আবারও উদ্ধার হল পাচার হতে যাওয়া গরু। এদিন দুপুরে আসানসোলের মাইথন থানার পুলিশ পাঁচটি গরু সহ একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে। এদিনই রাতে গরু-মোষ উদ্ধার হয় পুরুলিয়ায়। পুরুলিয়ার হুড়ার কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে ২৭টি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গবাদি পশুগুলিকে। ঘটনাটি নজরে পড়ে যুব তৃণমূলের কয়েকজন সদস্যের। হাতেনাতে ধরা হয় পাচারকারীদের। সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ৫০ জনকে। উদ্ধার হয় শতাধিক গরু-মোষ। তার আগেই মৃত্যু হয়েছে ৮টি বাছুরের। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জেলায় কিছু কিছু বেআইনি কাজকর্ম চলছে। যুব তৃণমূলের ছেলেরা তৎপরতার সঙ্গে ২৭টি গরু ভর্তি গাড়ি ধরেছে। এসব কাজে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তাই আমরা নিজেরাই তা ধরতে নেমেছি।

    আরও পড়ুন : গরু পাচারকাণ্ডে এবার বেসরকারি ব্যাংক কর্তাদের তলব সিবিআইয়ের! কী জানতে চাইল তারা?

    চলতি বছরেরই ২৩ অগাস্ট রাতে এই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে একটি নামী দুধের কোম্পানির কন্টেনারে করে পাচার করা হচ্ছিল গরু। গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় ফাঁস হয়ে যায় পাচারচক্রের পর্দা। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তিনজনকে। পাচার রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। তার পরেও নিরাপত্তার ফোকর গলে যে পাচার চলছে, এদিনের ঘটনায় তার প্রমাণ মিলল ফের একবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mominpur Violence: সেদিনও ছিল ১০ অক্টোবর কোজাগরীর রাত, মোমিনপুরের ঘটনা উস্কে দিল নোয়াখালির স্মৃতি

    Mominpur Violence: সেদিনও ছিল ১০ অক্টোবর কোজাগরীর রাত, মোমিনপুরের ঘটনা উস্কে দিল নোয়াখালির স্মৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেদিনও ছিল কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর (Kojagori Lakshmi Puja) দিন। পূর্ণিমার চাঁদের আলো সুপারি গাছের উপর পড়ে সম্পূর্ণ পরিবেশটা আলো-আবছায়া করে তুলছিল। কোজাগরী জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধতা, উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনির তাল কাটলো পাকিস্তানের উত্তাল দাবির স্লোগানে। ১০ অক্টোবর ১৯৪৬ নোয়াখালি দাঙ্গা (1946 Noakhali riots) ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। গতকালও ছিল কোজাগরী পূর্ণিমা। নোয়াখালির ঘটনার ৭৬ বছর অতিক্রান্ত হল আজ। 

    এরমধ্যে দুই বাংলার বিভিন্ন ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার ঘটনা আমাদের নজরে এসেছে নানান সময়ে। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণেই ১৯৫০ সালের ৮ অক্টোবর পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন সেদেশের একমাত্র সংখ্যালঘু মন্ত্রী যোগেন মণ্ডল। শরণার্থী হিসেবে তাঁকে আশ্রয় নিতে হয় পশ্চিমবঙ্গে। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার জন্যই পূর্ব পাকিস্তানের অসংখ্য সংখ্যালঘু হিন্দুকে বারবার শরণার্থী হয়ে আসতে হয়েছে এই ভারত ভূখণ্ডে। 

    ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ অবধি কিংবা তারপরেও খুব একটা বদলায়নি চিত্রটা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের (১৯৭১ সাল) সময় সেদেশের রাজাকার এবং পাকিস্তানি সৈন্যদের আক্রমণে তছনছ হয়েছে ঢাকার রমনা কালী মন্দির, যেটাকে বলা হতো ‘Largest Landmark of Dhaka’। ওই বছরেই ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে অজস্র শরণার্থী আসতে বাধ্য হন পশ্চিমবঙ্গে। বিগত বছরগুলোতে পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার ঘটনা নিশ্চয়ই আমাদের অগোচরে যায়নি।

    আরও পড়ুন: গোষ্ঠী হিংসা রাজ্যে খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে! মোমিনপুর-কাণ্ডে মমতার সরকারকে দুষলেন অমিত মালব্য

    এক ঝলকে এরাজ্যে সাম্প্রতীককালে ঘটে যাওয়া কয়েকটি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনাবলি—

    ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল করাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা। 

    ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং অঞ্চলের অন্তর্গত ঘুটিয়ারি শরিফের একজন ইমাম জয়নগরের জামতলায় ধার্মিক অনুষ্ঠান শেষ করে বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল করে আসছিলেন। রাত প্রায় ২টা নাগাদ নোলিয়াখলির পথে তাঁদের থামানো হয় ও টাকা লুণ্ঠন করে গুলি করে মারা হয়। পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী, এক অজ্ঞাত বন্দুকধারী কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ করে ইমামকে গুলি করে। এই ঘটনায় ক্যানিংয়ের সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হয় এবং দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।

    ২০১৫ সালের মে মাসে ধর্মীয় হিংসায় উত্তপ্ত হয় নদিয়া জেলার কালিয়াগঞ্জ। পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলির জামালপুরের বুড়োরাজ তলা শিব ভক্তদের তীর্থস্থান বলে গণ্য হয়। সেখান থেকে শিব ভক্তদের শোভাযাত্রা, জুরানপুরের মজসিদের সামনে পৌছাঁনোর সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং ধর্মীয় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।

    আরও পড়ুন: মোমিনপুরের ঘটনায় শাহকে চিঠি শুভেন্দুর! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি বিরোধী নেতার

    ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ব্যাপক উত্তপ্ত হয় মালদা জেলার কালিয়াচক। বর্তমানে প্রয়াত, তৎকালীন হিন্দু মহাসভার নেতা কমলেশ তেওয়ারির মন্তব্যের বিরোধিতা করে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এক গোষ্ঠীর মানুষ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই বিক্ষোভ ধর্মীয় হিংসার আকার নিয়ে নেয়‌।

    ২০১৬ এর ডিসেম্বরেই হাওড়া জেলার ধুলাগড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল ধর্মীয় হিংসা। একপক্ষের ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে।

    ২০১৭ এর জুলাই মাসে বসিরহাটের ধর্মীয় অশান্তি ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল। এক নাবালকের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করেই এই অশান্তি শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়।

    ২০১৮ সালে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে রামনবমীর ঠিক পরেই ধর্মীয় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।

    আরও পড়ুন: উত্তপ্ত মোমিনপুর! বাইক ভাঙচুর, দোকানে আগুন, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ বিজেপির

    ২০১৯ সালে ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব আইন সংসদে পাশ হওয়ার পরে, পশ্চিমবঙ্গের মালদা মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, নদিয়া সমেত একাধিক জায়গায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে।

    ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার কয়েকটি ঘটনা ধর্মীয় হিংসার রূপ নিয়েছিল।

    ২০২২ সালে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের কিছু জায়গায় ধর্মীয় অশান্তি ছড়িয়েছিল বলেই জানা যায়।

  • India Australia: টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু ভারতের, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী রোহিতরা

    India Australia: টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু ভারতের, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী রোহিতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) প্রস্তুতি শুরু করতে ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া। আজ, সোমবার রোহিত শর্মার দলের প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া একাদশ টিম। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে রোহিত শর্মারা করলেন ৬ উইকেটে ১৫৮ রান। প্রথম প্র্যাকটিস ম্যাচেই ১৩ রানে জয়ী হলেন রোহিতরা। বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুলকে ছাড়াই প্র্যাকটিস ম্যাচে নামলেন ভারতীয় ক্রিকেট টিম (Indian Cricket Team)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অনেকগুলোই ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ খেলবে ভারত। ফলে ভারতীয় ক্রিকেট টিম বেশ জোরকদমেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। আজকেরটি প্র্যাকটিস ম্যাচের প্রথম ছিল।

    আরও পড়ুন: বুমরাহকে নিয়ে আশার আলো দেখালেন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

    আজকের ম্যাচটি পারথের ওয়াকা গ্রাউন্ডে ভারতীয় সময় অনুসারে, বেলা ১১টায় শুরু হয়েছিল। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু ওপেন করতে নেমে ব্যর্থ হলেন তিনি। রান পেলেন না। ৩ রান করে আউট হয়ে যান রোহিত। তিন নম্বরে নেমে দীপক হুডা করেন ২২ রান। তবে ভারতীয় দলের হয়ে ভাল ব্যাটিং করলেন সূর্যকুমার যাদব এবং হার্দিক পাণ্ডিয়া। টি-২০ ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার সূর্যকুমার করলেন ৩৫ বলে ৫২ রান। তাঁর ইনিংসে রয়েছে তিনটি করে চার এবং ছয়। দুর্দান্ত ফর্মে দেখা গেল হার্দিককেও। ২০ বলে ২৯ রান করলেন তিনি। এরপর তিনি আউট হয়ে যান। ১৪তম ওভারে একশো রান পূর্ণ হয় ভারতের। ১৫ ওভারের শেষে ভারতের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১০৮। সেখান থেকে ২০ ওভারে রোহিত শর্মার দল পৌঁছে যায় ১৫৮ রানে।

    ২৩ অক্টোবর বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে ভারতকে আরও প্র্যাকটিস ম্যাচ ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ খেলতে দেখা যাবে। ১৩ অক্টোবর ফের ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া একাদশ টিমের সঙ্গে প্র্যাকটিস ম্যাচ রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সেই ম্যাচে রাহুল ও বিরাটকে খেলতে দেখা যাবে। এরপর ১৭ ও ১৯ অক্টোবর ভারত ওয়ার্ম-আপ বা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ১৭ অক্টোবরের ম্যাচটি শুরু হবে ভারতীয় সময়ে সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ ও ১৯ অক্টোবরের ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ১টা ৩০মিনিটে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Hemkund Sahib: তুষারপাতের পর বরফের চাদরে ঢাকা হেমকুন্ড সাহিব ও কেদারনাথ, সৌন্দর্যে মুগ্ধ নেটিজেন

    Hemkund Sahib: তুষারপাতের পর বরফের চাদরে ঢাকা হেমকুন্ড সাহিব ও কেদারনাথ, সৌন্দর্যে মুগ্ধ নেটিজেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন তীর্থস্থানগুলোতে একসঙ্গে তুষারপাত শুরু হয়েছে। সাদা বরফে ঢেকে রয়েছে বিখ্যাত তীর্থস্থানগুলো। আর সাদা বরফের চাদরে ঢাকা মন্দিরগুলোর সৌন্দর্য দেখে নেটিজেনরা মুগ্ধ। গাড়ওয়াল হিমালয়ের হেমকুন্ড সাহিব-এর (Hemkund Sahib) দৃশ্য যেমন সবাইকে মুগ্ধ করেছে, তেমনি অন্য জায়গায় তীর্থযাত্রীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কেদারনাথ, উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ে তুষারপাত হওয়ায় বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ হয়ে রয়েছে। তুষারপাতের ফলে কোথায় কেমন পরিস্থিতি, জেনে নিন।

    হেমকুন্ড সাহিব

    উত্তর ভারতের হিমালয় পর্বতশৃঙ্গে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত হেমকুন্ড সাহিব (Hemkund Sahib)। এটি শিখদের তীর্থস্থান। প্রতি গ্রীষ্মে, সারা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার ভক্ত সেখানে ভ্রমণ করে। গতকালই নতুন করে তুষারপাতের ফলে, পবিত্র স্থানটির তীর্থযাত্রা বন্ধ করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে যেখানে দেখা গিয়েছে, তুষার আবরণে আবৃত মন্দিরের একটি অপূর্ব দৃশ্য৷ ২২ মে এর দরজা খোলার পর থেকে প্রায় দুই লক্ষ ভক্ত পরিদর্শন করতে এসেছিলেন। গুরুদ্বারটি একটি হ্রদের পাশে অবস্থিত এবং বলা হয় ১০তম শিখ গুরু, গোবিন্দ সিং সেখানে ধ্যান করেছিলেন। এখানে ২ ফুটেরও বেশি তুষারপাত হওয়ায় হিমালয় অঞ্চলের উপত্যকা গ্রামে তীব্র শীত পড়েছে৷

    কেদারনাথ

    রুদ্রপ্রয়াগ এবং আশেপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় রবিবার কেদারনাথের শিখরে নতুন করে তুষারপাত হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার থেকে কেদারনাথ ধামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) কেদারনাথে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রঝড়ের সম্ভাবনা সহ মেঘলা আকাশের পূর্বাভাস দিয়েছে। রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা -৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ছিল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে এলাকায় আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের পাশাপাশি, আগামী দিনে পারদের মাত্রা আরও কমতে পারে বলে আশা করা হয়েছে। কিন্তু তাপমাত্রা কমলেও কেদারনাথ যাত্রায় মন্দিরের বাইরে ভক্তদের ভিড় বিন্দুমাত্র কমেনি। তাঁরা সব বাধা পেরিয়েই তাঁদের যাত্রা সম্পূর্ণ করছেন।

    আরও পড়ুন: দ্রৌপদী কা ডান্ডা পর্বতে তুষারপাতের বিভীষিকা

    পিথোরাগড়

    কেদারনাথ ও হেমকুন্ড সাহিব-এর (Hemkund Sahib) পাশাপাশি ভারী তুষারপাত হয়েছে পিথোরাগড়েও। এছাড়া পিথোরাগড়ের ধারচুলা শহরের বেশ কয়েকটি এলাকাতেও ভারী তুষারপাত হয়েছে। এর ফলে রবিবার নেপাল সীমান্তের কাছে প্রধান রাস্তাগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, সেখানে ২ ফুটের মত বরফ পড়েছিল। সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) কর্মকর্তারা বলেছেন যে, ক্রমাগত তুষারপাতের পরে কিছু রাস্তা অবরুদ্ধ করা হয়েছে যার কারণে স্থানীয়রা এবং নিরাপত্তা কর্মীরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা জানান, মাল্লা ঘাটের কাছে লিপুলেখ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পিথোরাগড় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশিস চৌহান বলেছেন, তারা ক্রমাগত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

    প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহ ধরে রাজ্যের উচ্চতর অঞ্চলে মাঝে মাঝে তুষারপাত হচ্ছে। ১৭,৫০০ ফুট উচ্চতায় দারমা উপত্যকায়, চীন সীমান্তের কাছে শেষ ফাঁড়ি-তে চার ফুটেরও বেশি তুষারপাত হয়েছে। এই চরম পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা কর্মীদের এলাকায় বিশেষ নজর রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

LinkedIn
Share