Blog

  • Akash Pradip: “আকাশ প্রদীপ জ্বলে…”, জানেন কার্তিক মাসে কেন জ্বালানো হয় এই প্রদীপ?

    Akash Pradip: “আকাশ প্রদীপ জ্বলে…”, জানেন কার্তিক মাসে কেন জ্বালানো হয় এই প্রদীপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে গাওয়া, ‘আকাশ প্রদীপ জ্বলে দূরের তারার পানে চেয়ে’ গানটি বাঙালির এক নস্টালজিয়া। এই ‘আকাশ প্রদীপ’ (akash Pradip) কয়েক বছর  আগেও কার্তিক মাসে বাংলার ঘরে ঘরে জ্বলে উঠত। এখন অবশ্য আধুনিকতার ছোঁয়ায় লোকাচার যেন হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও গ্রাম বাংলায় কার্তিক মাসের হালকা শীতের চাদর মোড়ানো সন্ধ্যায় সন্ধান পাওয়া যায় ‘আকাশ প্রদীপ’ এর। পুরাণ মতে , দীর্ঘ চার মাসের যোগনিদ্রা শেষে, কার্তিক (Kartik) মাসে জেগে ওঠেন ভগবান বিষ্ণু। তাঁকে প্রসন্ন রাখতে, ভক্তরা কার্তিক মাসের প্রথম দিন থেকে সংক্রান্তির দিন পর্যন্ত, প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় মাটির প্রদীপ ঘি বা তেল দিয়ে জ্বালিয়ে রাখেন। বাড়ির সব থেকে উঁচু স্থানে উত্তর অথবা পূর্ব দিকে মুখ করে রেখে এই প্রদীপ জ্বালানো হয়। লাঠির ডগায় ছাদের উপরেও এই প্রদীপ দিতে দেখা যায়। বর্তমান সময়ে প্রদীপের বদলে বৈদ্যুতিক বাতিও দেন অনেকে। বিশ্বাস, ভক্তদের আকাশ প্রদীপ অর্পণে সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান বিষ্ণু তাঁদের মনস্কামনা পূরণ করেন। সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে ভক্তদের জীবন। আরোগ্য ও আশীর্বাদ প্রদান করেন ভগবান বিষ্ণু।

    অন্য একটি কিংবদন্তি মতে, আশ্বিন মাসের মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা হয়। তার পরের একটি মাস তাঁরা আনন্দ উৎসবে সামিল হন এবং পরলোকের উদ্দেশ্যে গমন করেন কালী পূজার অমাবস্যায়। এই প্রদীপ (akash Pradip) জ্বেলে আবাহন করা হয় পিতৃলোকে, প্রেতলোকে অবস্থান করা পূর্বপুরুষদেরও। যাতে তাঁরা আকাশ প্রদীপের আলোয় পথ চিনে আশীর্বাদ দিতে আসতে পারেন উত্তরসূরীদের।

    প্রদীপ হিন্দু ধর্মের যে কোনও অনুষ্ঠানের সব থেকে অপরিহার্য এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ধর্মীয় আচার, রীতি সবকিছুই সম্পন্ন হয় প্রদীপের দ্বারা। ভগবান বিষ্ণুর বন্দনা করতে তাই বেছে নেওয়া হয়েছে ‘আকাশ প্রদীপ’ (akash Pradip)। ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে সমর্পিত এই প্রদীপের ধরন আলাদা আলাদা হয় এবং তা ভক্তদের নানা মনোবাসনা পূরণের লক্ষ্যে জ্বালানো হয়। একনজরে আমরা দেখে নিই আকাশ প্রদীপের ধরন গুলি।

    ১. দ্বিমুখী প্রদীপ: ভগবানের অসীম কৃপা লাভ, আশীর্বাদ লাভ এবং দীর্ঘজীবনের অধিকারী হওয়া যায় দ্বিমুখী প্রদীপ জ্বালালে। এটাই ভক্তদের বিশ্বাস।

    ২. ত্রিমুখী প্রদীপ: লোকবিশ্বাস, এই প্রদীপ জ্বালালে শত্রুর কু-নজর থেকে ভগবান বিষ্ণু ভক্তদের রক্ষা করেন।

    ৩. চতুর্মুখী প্রদীপ: সন্তানের দীর্ঘজীবন কামনা করে মা-বাবারা এই প্রদীপ জ্বালেন।

    আরও পড়ুন: কার্তিক মাসে গ্রাম বাংলায় পালিত হয় ‘যমপুকুর ব্রত’! জানেন এর নেপথ্য গল্প?

    কার্তিক মাসব্যাপী সন্ধ্যার সময় অনেক গৃহে তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে‌।পুকুরে বা নদীতেও অনেক সময় প্রদীপ ভাসানো হয় ভগবানের আশীর্বাদ এবং কৃপা লাভের উদ্দেশ্যে। আকাশপ্রদীপ দেওয়ার মন্ত্রটি হলো- “আকাশে সলক্ষ্মীক বিষ্ণোস্তোষার্থং দীয়মানে প্রদীপঃ শাকব তৎ।”আকাশে লক্ষ্মীর সঙ্গে অবস্থান করছেন যে বিষ্ণু, তাঁর উদ্দেশে দেওয়া হল এই প্রদীপ। ঘটের মতো প্রদীপকেও অনেক পণ্ডিত দেহেরই প্রতীক বলে মনে করেন। আকাশ-প্রদীপও (akash Pradip) নশ্বর শরীরের মতো ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম- এই পঞ্চভূতে তৈরি।

    ক্ষিতি অর্থাৎ মাটি, কায়া তৈরি করে। অপ অর্থাৎ জলে আকার পায়। তেজ অর্থাৎ আগুন, আত্মার মতোই স্থিত হয় তার অন্তরে। মরুৎ অর্থাৎ হাওয়া আগুনকে জ্বলতে সাহায্য করে। আর ব্যোম অর্থাৎ অনন্ত শূন্য জেগে থাকে প্রদীপের গর্ভে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Partha Chatterjee: “বাঁচতে দিন”, পার্থর করুণ আর্তি শুনল না আদালত, বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ

    Partha Chatterjee: “বাঁচতে দিন”, পার্থর করুণ আর্তি শুনল না আদালত, বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ”আমাকে বাঁচতে দিন”, আদালতে বিচারকের সামনে এভাবেই আর্তি জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Parth Chatterjee)। কিন্তু তাতেও গলল না বিচারকের মন। জামিন পেলেন না পার্থ। সিবিআই মামলায় ফের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে প্রাক্তন মন্ত্রীকে। জেলে থাকতে হবে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Scam) গ্রেফতার হওয়া সকলকেই! জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল সুবীরেশ, শান্তিপ্রসাদ, কল্যাণময়, অশোক সাহা, প্রসন্ন রায়, প্রবীর সিং – এর। 

    প্রথমে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে পার্থকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। সোমবার, আলিপুর জাজেস কোর্টে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন পার্থ। নিজেই জামিনের আবেদন জানান। এদিন আদালতে পার্থের হয়ে তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন জানানোর পরেও পার্থ নিজেও বিচারকের কাছে জামিনের আবেদন জানান। পার্থের আইনজীবী এদিন বলেন, “পার্থর মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ। একজন নেতা হিসেবে ওঁর কাজে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। উনি একজন শিক্ষিত মানুষ। পালিয়ে যাবেন না। দরকার পড়লে দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে জামিন দেওয়া হোক।”

    আরও পড়ুন: কখন দেখা যাবে চন্দ্রগ্রহণ? ভারতে কোথায় দেখা যাবে? 

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বিচারককে বলেন, “আমার শরীর দিচ্ছে না, সব কেস একসঙ্গে আনা হচ্ছে। কিছুই পাওয়া গেল না, তাও এরকমভাবে চাপ দেওয়া হয়েছে।ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা চলছে, আমাকে বাঁচতে দিন।” 

    এদিকে এদিন পরিবারের লোকজনকে কাছে পেয়ে কেঁদে ফেলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় মাথা সুবীরেশ। তিনি সব জানতেন। সিবিআই দাবি করেছে, পদ যাওয়ার পরেও এখনও যথেষ্ট প্রভাবশালী সুবীরেশ। তাই তাঁকে জামিন দিলে প্রমাণ নষ্ট হতে পারে। এদিন জামিন পাননি সুবিরেশও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

  • Malaria Outbreak: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপও, আক্রান্ত কত জানেন?

    Malaria Outbreak: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপও, আক্রান্ত কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ডেঙ্গিতে রক্ষে নেই, ম্যালেরিয়া দোসর! রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের হার বাড়ছে দিনের পর দিন। এরই মধ্যে আলোড়ন পড়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পাঠানো একটি রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছর এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ম্যালেরিয়ায় (Malaria Outbreak) আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৪৮ জন। মাস দুয়েক আগেও এই সংখ্যাটা ছিল ২ হাজার ৭০০। জানা গিয়েছে, যাঁরা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের সিংহভাগই হচ্ছেন ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়ায়।

    রাজ্যে মশাবাহিত রোগের হাল হকিকৎ কী এবং প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠানো বাধ্যতামূলক। সেই মতো তথ্য পাঠিয়েছে রাজ্য সরকারও। সেই তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাঠানো রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ম্যালেরিয়ার (Malaria Outbreak) কথা। জানা গিয়েছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গির বলি হয়েছেন ৬৩ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, মুর্শিদাবাদ ও দার্জিলিং এই ছটি জেলা ডেঙ্গিপ্রবণ।

    ডেঙ্গির এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই থাবা বসিয়েছে ম্যালেরিয়া (Malaria Outbreak)। রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজ্যে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৭৪৪ জন। আর কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অগাস্ট মাসের শেষ দিন পর্যন্ত এ রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৮১২। এর মধ্যে ফ্যালসিফেরাম ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯০২। মৃত্যু হয়েছে একজনের। কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার নিয়ে কী খবর প্রকাশ পাচ্ছে, নজর রাখার নির্দেশ নবান্নর, কিন্তু কেন?

    কেন্দ্রের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, কেন্দ্রের কাছে ডেঙ্গি নিয়ে সঠিক তথ্য পাঠাচ্ছে না রাজ্য। শনিবারও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক তরুণী। মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বছর পঁচিশের ওই বধূর। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, ভয়ঙ্কর অবস্থা। সরকার নেই। সরকার ছুটি কাটাচ্ছে। দুর্গাপুজোয় ১১ দিন, কালীপুজোয় ৮দিন, ছুটি আর ছুটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • National Unity Day: যারা ভারতের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের থেকে সাবধান, বললেন মোদি

    National Unity Day: যারা ভারতের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের থেকে সাবধান, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শত্রুরা ভারতের (India) ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করে চলেছে। এরকম চেষ্টার বিরুদ্ধে গোটা দেশের রুখে দাঁড়ানো উচিত। সোমবার একতা দিবসের (National Unity Day) অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী। এই দিনটিকেই একতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এদিন গুজরাটের (Gujrat) কেভাদিয়ায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান মোদি। ওই সভায়ই শত্রুদের সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক করে দেন প্রধানমন্ত্রী।

    জাতীয় একতা দিবসের এই অনুষ্ঠানে (National Unity Day) মোরবি ব্রিজ দুর্ঘটনার প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে খানিকটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কেবাদিয়ায় রয়েছি। কিন্তু আমার হৃদয় পড়ে রয়েছে মোরবিতে। যেখানে রবিবার সন্ধ্যায় ব্রিজ দুর্ঘটনায় ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    আবেগ বিহ্বল দশা কাটিয়ে ফের ছন্দে ফেরেন মোদি। বলেন, ভারতে কোনও দিনই ঐক্যের প্রয়োজন ছিল না। এটা ছিলই। এটাই এর স্বাতন্ত্র্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের এই ঐক্যটাই শত্রুদের চক্ষুশূল। না না, আজ নয়, হাজার হাজার বছর ধরে। এমনকী আমরা যখন দাসত্বের শৃঙ্খলে বাঁধা ছিলাম, তখনও। সব বিদেশি ভারত আক্রমণকারীর দল আমাদের দেশের এই ঐক্য ভাঙতে সমস্ত ধরনের চেষ্টা করেছে।

    আরও পড়ুন: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    বহিঃশত্রুদের এই ঐক্য ভাঙার চেষ্টা যে ক্রমেই বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে, এদিনের অনুষ্ঠানে তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, দীর্ঘকাল ধরে যে বিষ ছড়ানো হয়েছিল, তার ফল আজও ভুগছে দেশ। আমরা দেখেছিলাম দেশ ভাগ। এবং এর থেকে সুযোগ নিচ্ছে শত্রুরা। প্রধানমন্ত্রীর মতে, শত্রুরা এখনও রয়েছে। তারা জাতপাত, অঞ্চল, ভাষা ইত্যাদির ভিত্তিতে মানুষকে লড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ইতিহাসও এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যার জেরে মানুষ একে অপরের পাশে দাঁড়ান না। মোদি বলেন, এই শক্তি যে কেবল বাইরে থেকে আসছে তা নয়, আমাদের দাসত্বের মানসিকতাও ঐক্যে পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এদের জবাব দিতে হবে। তাদের বলতে হবে, আমরা এই দেশের সন্তান। আমাদের এক থাকতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manik Bhattacharya: খাদ্য দফতরের অস্থায়ী কর্মী মানিক পুত্র সৌভিক! বেতন এক লক্ষেরও বেশি! কী করে সম্ভব?

    Manik Bhattacharya: খাদ্য দফতরের অস্থায়ী কর্মী মানিক পুত্র সৌভিক! বেতন এক লক্ষেরও বেশি! কী করে সম্ভব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) অস্বস্তি আরও বেড়ে গেল।  এবারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের ছেলে সৌভিকের নামে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এসেছে। ইডির আধিকারিকরা দাবি করেছেন, ফুড অ্যান্ড সাপ্লাই-এর আইটি বিভাগের রিফর্ম সেলের অস্থায়ী ডাটা অপারেটর বিভাগের টিম লিডার ছিল মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য। তবে সবার থেকে অবাক করা বিষয় হল তাঁর বেতন। কারণ যেখানে সমস্ত ডেটা অপারেটররা বেতন পান ১০-১৩ হাজার টাকা, কিন্তু সৌরভ মাসে ১,১০,০০০ টাকা বেতন পেতেন বলে সূত্রের খবর।

    কী করে সামান্য ডেটা অপারেটর হয়ে এত টাকা বেতন পেতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) টেট দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেই সৌভিকের খোঁজ করতে ইডি খাদ্য দফতরে পৌঁছে গিয়েছিল। এরপর ১৫ দিন আগে মির্জা গ্যালিব স্ট্রিটের খাদ্য দফতরের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন ইডি কর্তারা। তাঁরা মানিক পুত্র সৌভিকের সম্বন্ধে বিভিন্ন তথ্য জানতে চায় ও কী ভাবে সে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ হয় তাঁর? সেসব বিষয়ে জানতেই পৌঁছে গিয়েছিল ইডি। প্রসঙ্গত, এর আগেই সৌভিকের অ্যাকাউন্টে প্রায় ২.৭ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছিল। ফলে ওই টাকার সূত্র নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু ইডি তাঁর খোঁজ শুরু করার পর থেকেই খাদ্য দফতরের অফিসে তিনি আর যান না। সৌভিকের নিয়োগ ও বেতনের পরিমাণ নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে খাদ্য দফতরের ভূমিকা।

    আরও পড়ুন: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত! এবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে মানিক

    আবার একদিকে যেমন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। তেমনই অন্যদিকে মানিককে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) মুখ খুলতে শুরু করলে অনেক উইকেট পড়বে। ডিসেম্বরে ঠান্ডা পড়বে, সরকার কাঁপবে।’ রাজ্যে যেভাবে একাধিক দুর্নীতি মামলায় শাসকদলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রী জেলে যাচ্ছেন, এহেন পরিস্থিতিতেই, ‘জেলে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীও’, এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাই বলেন, যদি শাসকদলের অধিকাংশ মন্ত্রীই জেলে যান, তাহলে কী করে চলবে সরকার? প্রশ্ন তুলেই, তিনি বলেন ‘সুতরাং, ডিসেম্বরেই পড়তে পারে সরকার।

  • French Open Super 750: ফের সাফল্য! প্রথমবারের জন্য সুপার ৭৫০ সিরিজ জয় ভারতীয় তারকা রেড্ডি-শেট্টির জুটির

    French Open Super 750: ফের সাফল্য! প্রথমবারের জন্য সুপার ৭৫০ সিরিজ জয় ভারতীয় তারকা রেড্ডি-শেট্টির জুটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আরও একবার জয়ের শিরোপা পেল সাত্ত্বিকসাইরাজ রাঙ্কিরেড্ডি (Satwiksairaj Rankireddy) এবং চিরাগ শেট্টির (Chirag Shetty) জুটি। ফ্রেঞ্চ ওপেন ব্যাডমিন্টন সুপার সিরিজ ৭৫০ (French Open Super 750) জিতলেন ভারতীয় ডাবলস জুটি সাত্ত্বিকসাইরাজ রাঙ্কিরেড্ডি (Satwiksairaj Rankireddy) এবং চিরাগ শেট্টি (Chirag Shetty)। এই প্রথম কোনও ভারতীয় জুটি  ব্যাটমিন্টনের ৭৫০ সুপার সিরিজ জিতেছে। ফলে এবছর তারকা ভারতীয় জুটি রবিবার পুরুষদের ডাবলসের ফাইনালে জয়লাভ করে এক নজির গড়ে তুলেছে। রবিবার রাতে প্রতিযোগিতার ফাইনালে ভারতীয় জুটির প্রতিপক্ষ ছিল চিনা তাইপে জুটি  লু চিং ইয়াও এবং ইয়াং পো হান। ২১-১৩, ২১-১৯ স্ট্রেট গেমে চিনা তাইপে জুটিকে হারিয়ে দেন রেড্ডি-শেট্টি।

    গতকাল রাতের এই খেলাতে প্রথম থেকেই সাত্ত্বিক সাইরাজ রাঙ্কিরেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টির শুরুটা বেশ জমকালো করেছিল। প্রথম থেকেই দাপুটে মেজাজে খেলতে শুরু করলে পরে তা শেষপর্যন্ত তা টিকিয়ে যেতে পারে। মাত্র ৪৮ মিনিটে চ্যাম্পিয়নের মুকুট মাথায় ওঠে ভারতীয় জুটির। ম্যাচের শুরুতেই ৫-০ ব্যবধানে লিড পেয়ে যায় ভারতীয় জুটি। এবং পরে প্রতিপক্ষদের স্কোর বাড়ানোর কোনও সুযোগ না দিয়েই রেড্ডি ও শেট্টির জুটি খেলাতে এগিয়ে যায়। সাতটি গেম পয়েন্টের সুযোগ অর্জন করেন চিরাগরা।

    এরপর দ্বিতীয় খেলাতে প্রতিপক্ষ তাইপেই জুটি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল তবে পরে তা ম্যাচের শেষপর্যন্ত টিকিয়ে রাখতে পারেনি। পরে রাঙ্কিরেড্ডি এবং চিরাগের জুটি দ্বিতীয় গেমেও দাপুটে পারফরম্যান্স দিতে থাকে ও শেষ পর্যন্ত তাঁদের পরাস্ত করতে সক্ষম হন।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার ভারতের, সেমিফাইনালের যাওয়া প্রশ্নের মুখে পাকিস্তানের

    এর আগে ২০১৯ সালের সিজনে রানার্স হয়েছিলেন ভারতের ডাবলস জুটি সাত্ত্বিকসাইরাজ রাঙ্কিরেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টি। এরপর ইন্ডিয়ান ওপেন সুপার সিরিজ ৫০০-এর শিরোপা পান, কমনওয়েলথ গেমসে সোনা, থমাস কাপের মুকুট এবং গত অগাস্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জিতে নেন। এছাড়াও ২০১৯ সালে থাইল্যান্ড ওপেন ৫০০ সুপার সিরিজ, ইন্ডিয়া ওপেন ৫০০ সুপার সিরিজ জেতে ভারতীয় জুটি। এই নিয়ে তৃতীয় ওয়ার্ড ট্যুর জিতল রেড্ডি-শেট্টির জুটি। এই প্রথম কোনও ভারতীয় ডাবলস জুটি ফেঞ্চ ওপেন ব্যাডমিন্টন সুপার সিরিজ ৭৫০ জেতার নজির গড়লেন।

  • India vs South Africa: দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার ভারতের, সেমিফাইনালের যাওয়া প্রশ্নের মুখে পাকিস্তানের

    India vs South Africa: দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার ভারতের, সেমিফাইনালের যাওয়া প্রশ্নের মুখে পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ নিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের তুলনায় পাকিস্তানীদের আগ্রহ বেশি ছিল। কারণ প্রোটিয়া হারলেই পাকিস্তানের সুবিধা হয়ে যেত। সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা কিছুটা কন্টকমুক্ত হত। কিন্তু হতাশই হতে হল পাক সমর্থকদের। ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সুপার টুয়েলভে ২ নম্বর গ্রুপে ৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এল দক্ষিণ আফ্রিকা।

    টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। যেন নিজেদের পরীক্ষার সামনে ফেলতে চেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল ১৩৩/‌৯। জবাবে ২ বল বাকি থাকতে ১৩৭/‌৫ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েও দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে প্রোটিয়ারা। দুরন্ত ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান এইডেন মার্করাম ও ডেভিড মিলার। শেষ ওভারে নাটক জমে ওঠে। দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য ৬ বলে দরকার ছিল ৬ রান। ভুবনেশ্বরের প্রথম বলে কোনও রান হয়নি। দ্বিতীয় বলে ১ রান নেন পার্নেল। তৃতীয় বল মিলারের ব্যাটের কানায় লেগে বাউন্ডারি হয়ে যায়। চতুর্থ বল বাউন্ডারি হাঁকিকে দলকে কাঙ্খিত জয় এনে দেন মিলার।

    লুঙ্গি এনগিডি, ওয়েন পার্নেলদের দাপটে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে এদিন বড় রানের টার্গেট রাখতে পারেনি ভারত। যদিও কম রানের পুঁজি নিয়ে লড়াই করে গেলেন ভুবনেশ্বর কুমার, অর্শদীপরা। ভারতীয় বোলারদের দাপটে বেসামাল হয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডার। অর্শদীপ প্রথম বলেই ফিরিয়ে দেন কুইন্টন ডিকককে (‌১)‌। ১ বল পরেই ফেরান রিলে রুসোকে (‌০)‌। অর্শদীপের বল তাঁর ভেতরের পায়ে লাগলেও আম্পায়ার আউট দেননি। পরে দীনেশ কার্তিকের পরামর্শে ডিআরএস নেন রোহিত। রিভিউয়ের সিদ্ধান্তে আউট হন। এরপর বাভুমাকে (‌১৫ হলে ১০)‌ তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলে দেন সামি।

    অশ্বিনের বলে একবার মার্করামের সহজ ক্যাচ ফেলেন বিরাট কোহলি। সহজ রান আউট রোহিত মিস করায় আরও একবার জীবন পান মার্করাম। শেষ পর্যন্ত ১৬ তম ওভারে জুটি ভাঙেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর বলে সূর্যকুমারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মার্করাম। ৪১ বলে ৫২ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে দলের চাপ কাটিয়ে দেন। তাঁর ও ডেভিড মিলারের ৭৬ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের দিকে এগিয়ে দেয়।

    [tw]


    [/tw]

    ট্রিস্টান স্টাবস (‌৬)‌ অশ্বিনের বলে আউট হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার জয় আটকায়নি। ২ বল বাকি থাকতে দলকে জয় এনে দেন ডেভিড মিলার। ৪৬ বলে ৫৯ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ২৫ রানে ২ উইকেট নেন অর্শদীপ। দুরন্ত বোলিং করে ১৩ রানে ১ উইকেট নেন সামি। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতও এদিন শুরুতে বিপর্যয়ে পড়েছিল। ভারতের টপ অর্ডারে ধস নামিয়েছিলেন লুঙ্গি এনগিডি। প্রথমে তুলে নেন রোহিত শর্মাকে (‌১৪ বলে ১৬)‌। ৪ বল পরেই ফেরান লোকেশ রাহুলকে (‌১৪ বলে ৯)‌। এনগিডির বলে পরপর দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চাপ কাটানোর চেষ্টা করছিলেন কোহলি। শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে যান এনগিডিই। তাঁর শর্ট ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে লং লেগে রাবাডার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কোহলি (‌১১ বলে ১২)‌। ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দল বিপর্যয়ে। অক্ষর প্যাটেলের পরিবর্তে প্রথম একাদশে আসা দীপক হুডা (‌০) সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। পরের ওভারেই হার্দিক পান্ডিয়াকে (‌৩ বলে ২)‌ তুলে নিয়ে ভারতের বাটিংকে কফিনবন্দি করে দেন এনগিডি।

    হার্দিক আউট হওয়ার পর ভারতে টেনে নিয়ে যায় সূর্যকুমার যাদব। চাপের মুখে দুরন্ত ব্যাটিং সূর্যকুমারের। ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ। দীনেশ কার্তিক (‌১৫ বলে ৬) ব্যর্থ। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৬৮ রান করে আউট হন সূর্যকুমার। ২৯ রানে ৪ উইকেট নেন এনগিডি। ১৫ রানে ৩ উইকেট পার্নেলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Metro Rail: চলতি বছরেই মেট্রো ছুটবে দুই পথে, জেনে নিন রুট

    Metro Rail: চলতি বছরেই মেট্রো ছুটবে দুই পথে, জেনে নিন রুট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে জোকা-তারাতলা (Joka-Taratala) রুটের বাসিন্দাদের। স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে নিউ গড়িয়া-রুবি (New Garia Ruby) রুটের বাসিন্দাদেরও। এতদিন এই দুই এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিল বাস। এবার ব্যবস্থা হতে চলেছে তাঁদের যাতায়াতের আরও একটি মাধ্যমের। সেটি হল, মেট্রো রেল (Metro Rail)। সূত্রের খবর, আগামী বছর নয়, চলতি বছরেই জোকা-তারাতলা এবং নিউ গড়িয়া-রুবি রুটে ছুটবে মেট্রো। উপকৃত হবেন ওই দুই রুটের কয়েক হাজার নিত্যযাত্রী। জানা গিয়েছে, মেট্রো রেল (Metro Rail) কর্তৃপক্ষ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির কাছে ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেছেন। জোকা তারাতলা এবং নিউ গড়িয়া রুবি রুটে কমর্সিয়াল মেট্রো চালু করার ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। ছাড়পত্র মিললে চলতি বছরেই শুরু হয়ে যাবে ওই দুই রুটে মেট্রো পরিষেবা।

    রেলের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও পথে ট্রেন চালাতে গেলে বেশ কিছুদিন ট্রায়াল রান দিতে হয়। ট্রায়াল রান সফল হলেই আবেদন করতে হয় ট্রেন চলাচলে ছাড়পত্রের জন্য। জানা গিয়েছে, জোকা-তারাতলা এবং নিউ গড়িয়া-রুবি দুই রুটেই বর্তমানে চলছে ট্রায়াল রান। আধিকারিকদের মতে, যেহেতু এই মুহূর্তে সিগন্যাল পরীক্ষার কোনও প্রয়োজন নেই, তাই বিশেষজ্ঞদের লাইন পরীক্ষার পর ট্রেন চলাচলে ছাড়পত্র পেতে খুব বেশি সমস্যা হবে না। প্রসঙ্গত, একটি লাইনে একটি মাত্র ট্রেন চললে সিগন্যাল টেস্টের প্রয়োজন হয় না। আপাতত এই দুই রুটে  একটি লাইনে একটি করেই ট্রেন চলবে বলে জানা গিয়েছে। জোকা-তারাতলা মেট্রো লাইনে চারটি স্টেশন রয়েছে। এগুলি হল, ঠাকুরপুকুর, শখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা এবং বেহালা বাজার। এখনই ওই রুটে একটিই মাত্র ট্রেন চলবে। পুরো দূরত্ব অতিক্রম করতে মেট্রোর সময় লাগবে মাত্র ১৮ মিনিট।

    আরও পড়ুন: জম্মু এবং কাশ্মীরকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাব, রোজগার মেলায় ঘোষণা মোদির

    এর আগে মেট্রোরেলের (Metro Rail) জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা বলেছিলেন, ২৪ অক্টোবর কালীপুজোর দিন চালু হতে পারে মেট্রো পরিষেবা। তবে তা হয়নি। তাই চলতি বছরেই যাতে ওই দুই রুটে মেট্রো পরিষেবা চালু করা যায়, জোরকদমে তার চেষ্টা চলছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, জোকা-তারাতলা রুটের মোট দৈর্ঘ ৬ কিলোমিটার। আর নিউ গড়িয়া-রুবি স্টেশনের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Modi: জম্মু এবং কাশ্মীরকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাব, রোজগার মেলায় ঘোষণা মোদির

    PM Modi: জম্মু এবং কাশ্মীরকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাব, রোজগার মেলায় ঘোষণা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) প্রতিটি ভারতীয়ের কাছে গর্বের। রবিবার একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, পুরানো চ্যালেঞ্জ সব পিছনে ফেলে নয়া সম্ভাবনার পূর্ণ সুযোগ নিন। এদিন ভিডিও কনফারেন্সিয়ের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীর রোজগার মেলায় (Rozgar Mela) ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নয়া উদ্যোগে কাজ করা প্রয়োজন। দ্রুত গতির উন্নয়নের নাগাল পেতে প্রয়োজন নতুন চিন্তাভাবনারও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজের সব স্তর এবং নাগরিকের কাছে উন্নয়নের সুফল সমানভাবে পৌঁছে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর পরেই মোদি বলেন, জন্মু এবং কাশ্মীর প্রতিটি ভারতীয়ের কাছে গর্বের। আমরা সবাই মিলে জম্মু এবং কাশ্মীরকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব।

    জম্মু-কাশ্মীরের যে তিন হাজার তরুণ-তরুণীকে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, এদিন তাঁদের অভিনন্দন জানান মোদি (PM Modi)। এই তরুণ-তরুণীরা জম্মু-কাশ্মীরের ২০টি জায়গায় কাজ করবেন। পিডাব্লুডি, স্বাস্থ্য দফতর, ফুড অ্যান্ড সিভিল সাপ্লাইজ ডিপার্টমেন্ট, প্রাণী পালন, জল শক্তি এবং শিক্ষা-সংস্কৃতি দফতরে কাজ করার সুযোগ পাবেন এই তরুণ-তরুণীরা। প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী দিনে আরও ৭০০জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। জোরকদমে তার কাজও চলছে।

    আরও পড়ুন: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় খুশি প্রধানমমন্ত্রী (PM Modi)। জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকদের সংখ্যার রেকর্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, এ রাজ্যে পর্যটন শিল্প উন্নতির মুখ দেখছে। পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কারণেই এই শিল্পে জোয়ার এসেছে। মোদি বলেন, সরকারের নানা প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা যাতে বৈষম্য ছাড়াই সমাজের প্রতিটি স্তরে পৌঁছায়, সেজন্য আমরা নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছি।

    জম্মু-কাশ্মীরে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য দুয়েরই পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ জোরকদমে চলছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, এ রাজ্যে দুটি নতুন এইমস, সাতটি মেডিক্যাল কলেজ, দুটি স্টেট ক্যানসার ইনস্টিটিউট এবং ১৫টি নার্সিং কলেজ খোলা হবে। কাশ্মীরের সঙ্গে যাতে দেশের বাকি অংশের রেল যোগাযোগ গড়ে তোলা যায়, তার চেষ্টাও চলছে। জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারা স্বচ্ছতাকে উৎসাহিত করছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা যাঁরা সরকারি চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন, তাঁরা এই স্বচ্ছতাকে গুরুত্ব দিন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের তরুণরা নয়া গল্প লিখবেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Elon Musk: ট্যুইটার কিনেই ৭৫% কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা ইলন মাস্ক-এর!

    Elon Musk: ট্যুইটার কিনেই ৭৫% কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা ইলন মাস্ক-এর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ জটিলতার পর ট্যুইটার অধিগ্রহণ করেছেন টেসলা সিইও ইলন মাস্ক (Tesla CEO Elon Musk)। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি ট্যুইটারের পুরনো শীর্ষ কর্তাদের ছেঁটে ফেলার পাশাপাশি এখন ট্যুইটারের পুরনো কর্মীদের ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করেছেন। কয়েকদিন আগেই ছাঁটাই করা হয়েছে সংস্থার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও পরাগ আগরওয়ালকে (Twitter CEO Parag Agarwal)। পরাগ সহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্তাকে বরখাস্ত করেছেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। পরাগের পাশাপাশি এই জনপ্রিয় মাইক্রো-ব্লগিং সাইটের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার বা সিএফও নেদ সিগালকেও (Ned Segal) ছাঁটাই করা হয়েছে। এছাড়াও বরখাস্ত করেছেন আরেক ভারতীয় বংশোদ্ভূত কর্তা বিজয়া গাড্ডেকে।

    আরও পড়ুন: ট্যুইটার অধিগ্রহণ করলেন ইলন মাস্ক, প্রথমেই ছাঁটলেন পরাগ আগরওয়ালকে

    আশঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হল। কারণ ইলনের (Elon Musk) ট্যুইটার অধিগ্রহণের আগে থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে, তিনি ট্যুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই কর্মীদের ছাঁটাই করবেন, আর সেটিই এখন সত্যি হতে চলেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগের থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়ছিল যে, ইলন ট্যুইটার কেনার পরেই তিনি প্রায় ৭৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করবেন। আর এখনও এটিই বাস্তবে হতে চলেছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে যে, গতকাল, শনিবার থেকেই ইলন মাস্ক ট্যুইটারের কর্মীদের ছাঁটাই শুরু করার পরিকল্পনা করেছেন।

    শুধুমাত্র পরিকল্পনাই নয়, ম্যানেজারদের কাছে যেসব কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে তাঁদের তালিকা বানানোর কথাও বলা হয়েছে। আর জানা গিয়েছে যে, ট্যুইটারের ৭৫শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করা অর্থাৎ প্রায় ৭৫০০ জন কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১ নভেম্বরের মধ্যেই ছাঁটাই করা কর্মীদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে স্টক অনুদান দেওয়ার কথা ছিল। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মাস্ক (Elon Musk) বিবৃতি দিয়ে জানান যে, তিনি ট্যুইটার অধিগ্রহণ করছেন। ‘মানবতার স্বার্থেই’ তাঁর এই পদক্ষেপ বলে বার্তা দেন তিনি। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘আরও অর্থ উপার্জনের জন্য কিনিনি। মানবতার জন্য কিনেছি। মানবতার ভবিষ্যৎ এমন হওয়া উচিত যেখানে সমস্ত পক্ষের স্বাধীন মতামত প্রকাশের একটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থাকবে। সুস্থ পরিবেশে বিতর্ক হবে।’’

LinkedIn
Share