Blog

  • 2002 Gujarat riots case: জাকিয়া জাফরির কষ্টকে ব্যবহার করেছেন তিস্তা শেতলবাদ! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    2002 Gujarat riots case: জাকিয়া জাফরির কষ্টকে ব্যবহার করেছেন তিস্তা শেতলবাদ! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটি (Ahmedabad Gulbarg Society) হত্যাকাণ্ডে নিহত কংগ্রেস নেতা এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরির (Zakia Jafri) যন্ত্রণাকে কাজে লাগিয়েছেন তিস্তা শেতলবাদ। নিজেদের স্বার্থে জাকিয়ার বেদনাকে ব্যবহার করেছে তিস্তার এনজিও সংস্থা এমনটাই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

    গুজরাটের হিংসায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় সরাসরি নাম জড়িয়েছিল গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। কিন্তু,তাঁকে ক্নিনচিট দিয়েছিল তদন্তকারী দল সিট। তারপর মামলা বন্ধের চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করেছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট। বিচারপতি এএম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিটের রায়কেই বহাল রাখল। জাকিয়ার দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশনের সপক্ষে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি জানান, সিটের তদন্তে খামতি ছিল। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি  এএম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমারেরর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই মামলা ভিত্তিহীন। শোকাহত জাকিয়ার যন্ত্রণাকে কাজে লাগানো হয়েছে। কোথাও ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি, বলে জানান বিচারপতিরা।

    আরও পড়ুন: ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    আদালতের রায়ে বলা হয়, জাকিয়া জাফরি অন্য কারোর নির্দেশে কাজ করেছেন। তিস্তা শেতলাবাদের এনজিও অনেক ভুক্তভোগীদের হলফনামায় স্বাক্ষর করিয়েছিল এবং তাঁদের অনেকেই জানতেনও না যে কিসে স্বাক্ষর করছেন তাঁরা।  এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এদিন বলেন, ‘বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী, রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত সাংবাদিক এবং কিছু এনজিও গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে মিথ্যা প্রচার করে। তাদের একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম ছিল। তাই সবাই সেই মিথ্যাকে সত্য বলে বিশ্বাস করতে শুরু করে।’ শাহ আরও বলেন, ‘আমি তাড়াহুড়ো করে রায়টি পড়েছি (২৪শে জুন)। কিন্তু তাতে স্পষ্টভাবে তিস্তা শেতলবাদের নাম উল্লেখ রয়েছে। তাঁর একটি এনজিও ছিল। সেটি সমস্ত থানায় বিজেপি কর্মীদের নাম জড়িয়ে আবেদন জমা দিয়েছিল৷ মিডিয়ার দ্বারা এত চাপ ছিল যে সব আবেদনগুলি সত্য বলে মেনে নেওয়া হয়েছিল৷ সেই সময়ে ইউপিএ সরকার এই এনজিওকে সাহায্য করেছিল।’অমিত শাহ দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে যাঁরা মিথ্যা প্রচার চালিয়েছিল, তাঁদের উচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাওয়া।

     

  • Rath Yatra 2022: পুরীর মন্দির ঘিরে রয়েছে এই অলৌকিক গল্পগুলি, জানতেন কি?

    Rath Yatra 2022: পুরীর মন্দির ঘিরে রয়েছে এই অলৌকিক গল্পগুলি, জানতেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জগন্নাথদেবের (Lord Jagannath) মন্দির অত্যন্ত পবিত্র। বিশেষ করে বিষ্ণু ও কৃষ্ণ উপাসকদের নিকট এটি একটি তীর্থস্থান। জগন্নাথ মন্দির  (Jagannath Temple) ওড়িশার সৈকতশহর পুরীর (Puri) পূর্ব সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত। 

    রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বপ্নাদেশ পালনার্থে প্রাথমিকভাবে মন্দিরটি নির্মাণের পর, জগন্নাথ মন্দিরটি দ্বাদশ শতাব্দীতে পুনঃনির্মাণ করেন গঙ্গা রাজবংশের রাজা অনন্তবর্মণ চোদাগঙ্গা। কিন্তু মন্দিরটির কাজ সমাপ্ত করেন তার বংশধর অঙ্গভিমা দেব। যদিও মন্দিরের নির্মাতাদের নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। 

    ১০.৭ একর জমিতে ২০ ফুট প্রাচীর দিয়ে ঘেরা জগন্নাথ মন্দির। ভোগমন্দির, নটমন্দির, জগমোহনা এবং দেউল নামে চারটি বিশেষ কক্ষ আছে মন্দিরে। ভোগমন্দিরে খাওয়া দাওয়া হয়, নটমন্দিরে আছে নাচ-গানের ব্যবস্থা, জগমোহনায় ভক্তরা পূজাপাঠ করেন এবং দেউলে পূজনীয় বিগ্রহগুলো স্থাপিত। 

    আরও পড়ুন: প্রতিবছর রথযাত্রার আগে জ্বর আসে জগন্নাথদেবের, কেমন করা হয় চিকিৎসা?

    প্রধান মন্দিরের কাঠামো মাটি থেকে কিছুটা উঁচুতে নির্মিত এবং দুটি আয়তাকার দেওয়াল দ্বারা আবৃত। বহিঃপ্রাঙ্গণকে মেঘনাদ প্রাচীর বলা হয় (২০০মিটার/১৯২ মিটার) এবং অভ্যন্তরীণ ঘাঁটিটি কুর্মাবেদ নামে পরিচিত (১২৬ মিটার/৯৫ মিটার)। মন্দিরে চারটি প্রবেশদ্বার রয়েছে- সিংহদ্বার, হষ্বদ্বার, খঞ্জদ্বার এবং হস্তীদ্বার। 

    জগন্নাথ মন্দিরের আশেপাশে প্রায় তিরিশটি ছোট-বড় মন্দির লক্ষ্য করা যায়। মন্দিরের দেউলে রয়েছে জগন্নাথ, জগন্নাথের দাদা বলরাম এবং বোন সুভদ্রাদেবীর সুসজ্জিত মূর্তি। তাঁদের বিগ্রহের পাশাপাশি সুদর্শন, শ্রীদেবী, ভূদেবী এবং মাধব দেবতাও আরাধ্য হন। 

    প্রতিদিন ভোরে কিশোর ছেলেরা কিছু নির্দিষ্ট পূজাবিধি অনুসরণ করে মন্দিরের ৬৫ মিটার (২১০ ফুট) উঁচুতে উঠে চক্রের উপর পতাকাগুলো লাগায়। গ্রীষ্ম, বর্ষা সবসময়ই তারা প্রস্তুত পতাকা স্থাপনে। আগের দিনের পুরনো পতাকাগুলো জনগণের মাঝে নিলামে বিক্রয় করা হয়। 

    জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘরকেও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রান্নাঘর মনে করা হয়। এখানে প্রায় ছাপান্ন রকম উপকরণ দিয়ে মহাপ্রসাদ তৈরি করা হয়। প্রত্যেকদিন এখানে প্রচুর পরিমাণ রান্না করা হয়, কিন্তু দেখা গেছে আজ পর্যন্ত মন্দিরের খাবার কখনওই নষ্ট হয়নি।

    আরও পড়ুন: পুরীর রথযাত্রার তিন রথের আলাদা মাহাত্ম্য আছে, জানেন কি?

    জগন্নাথ মন্দিরের অস্বাভাবিকতা এবং লোকবিশ্বাস—

    জগন্নাথ মন্দিরের ওপরের অংশটিতে রত্নমূর নামের একটি বৃহৎ অদ্ভুত চৌম্বক শক্তি রয়েছে, যেটি মন্দিরটিকে যেকোনও রকমের ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে বলে মনে করা হয়।

    কথিত আছে, মন্দিরের উপর দিয়ে কিছু যেতে পারে না। কোনো পাখিকেও কখনও মন্দিরের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা যায়নি।
    এমনটা শোনা যায় যে, সূর্যের অবস্থান যে দিকেই থাকুক, মাটিতে মন্দিরের চূড়ার কোনও ছায়া পড়ে না।

    পুরীর সমুদ্রের কাছেই স্থাপিত জগন্নাথ মন্দির। কিন্তু মন্দির চত্বরে ঢোকার সাথে সাথেই সমুদ্রের কোনও শব্দ পাওয়া যায় না। এর নেপথ্যে একটি পৌরাণিক গল্প রয়েছে। কথিত, সুভদ্রাদেবী চেয়েছিলেন মন্দিরের ভেতরে যেন সবসময় শান্তি বিরাজ করে, তাই কোনও প্রকার শব্দ মন্দিরের শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে না।

    মন্দিরের চূড়ায় যে ধ্বজা বা পতাকা রয়েছে, তা প্রতিদিন ভোরে লাগানো হয়। পতাকাটি সবসময় হাওয়ার বিপরীতে উড়তে দেখা যায়।

  • Jahangirpuri: হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত PFI,  দাবি অভিযুক্তের

    Jahangirpuri: হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত PFI,  দাবি অভিযুক্তের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: জাহাঙ্গিরপুরী সংঘর্ষের (Jahangirpuri violence) ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল চক্রী মহম্মদ আনসার (Mohammad Ansar) সহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজনের দাবি, ওই ঘটনায় মদত দিয়েছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই (PFI)। 

    ওই ব্যক্তির অভিযোগ, এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত আনসার অত্যন্ত চতুর এবং সে নিজের সুবিধা ও প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যদের ব্যবহার করে। আটক হওয়া ব্যক্তির আরও দাবি, PFI ও তাদের রাজনৈতিক কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে আসনারের। ওই ব্যক্তি আরও জানান, PFI-এর নেতাদের আমন্ত্রণ জানায় আসনার। তাদের সঙ্গে ছবি তোলে, অর্থের বিনিময়ে সংগঠনের হয়ে প্রচার করে।

    গত ১৭ তারিখ, আনসারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের মতে, জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনায় মূল চক্রী হল এই আনসার। বর্তমানে আনসার ও আরও ২ জন — গুলাম রসুল ওরফে গুল্লি এবং সলিম শেখ ওরফে সলিম চিখনার পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৭ সাল থেকে আনসারের নামে একাধিক ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। অবৈধ ব্যবসা ও জুয়াচক্র চালানোর অভিযোগ অতীতে আসনারকে একাধিকবার প্রতিরোধমূলক হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ। 

    অতীতে, একের পর এক বিবাদে জড়িয়েছে এই সংগঠনটি। PFI কর্মীদের বিরুদ্ধে খুন থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগসাজেশের অভিযোগ পর্যন্ত রয়েছে।  ২০১২ সালে, কেরল সরকার হাইকোর্টে বলেছিল যে PFI নিষিদ্ধ সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (SIMI) এর একটি নতুন রূপ ছাড়া কিছুই নয়। এমনকী, PFI কর্মীদের আল-কায়দা (Al Qaeda) এবং তালিবানের (Taliban) মতো সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগও উঠেছে।

    ২ বছর আগে, সিএএ-এনআরসি (CAA-NRC)-র বিরুদ্ধে দিল্লির শাহিনবাগে (Shaheenbagh) দীর্ঘদিন ধরে চলা অবস্থান-বিক্ষোভ হোক বা হনুমান জয়ন্তী (hanuman jayanti) উপলক্ষে জাহাঙ্গীরপুরীতে (jahangirpuri) সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, প্রত্যেকটি ঘটনার নেপথ্যে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) সর্বদা শিরোনামে চলে আসে। এর আগে কর্নাটকে (karnataka) হিজাব বিতর্কের (hijab row) সময়ে বিজেপি (BJP) এবং বেশ কিছু সংগঠন PFI-এর বিরুদ্ধে মুসলিম ছাত্রীদের (muslim students) উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেছিল। 

    PFI-কে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ইতিমধ্য়েই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের হাতে বেশ কিছু নথি এসেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে যে PFI বেশ কয়েকটি শহরে রামনবমী (Ram Navami) মিছিলের সময় পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িত ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Union Home ministry) বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের একটি ডসিয়ার তৈরি করেছে এবং PFI-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। PFI-কে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কেন্দ্রকে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত। 

     

     

  • Mamata Award Controversy: “রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে…”, মমতার সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে মুখ খুললেন শুভাপ্রসন্ন

    Mamata Award Controversy: “রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে…”, মমতার সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে মুখ খুললেন শুভাপ্রসন্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindra Nath Tagore) বেঁচে থাকলে স্বয়ং কবি এসে সংবর্ধনা দিতেন মমতাকে (Mamata)! বাংলা আকাদেমি পুরস্কার (bangla academy award) বিতর্কে এমনই মন্তব্য করলেন চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন (Shuvaprasanna)।

    চলতি বছর প্রথম বাংলা আকাদেমি পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। প্রথম বছরেই পুরস্কার দেওয়া নিয়ে শুরু হয় বির্তক। কারণ, পুরস্কার প্রাপক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিরলস কাব্য সাধনার জন্য পুরস্কৃত করা হয় তাঁকে। বাংলা আকাদেমির মাথায় রয়েছেন রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য ব্রাত্য বসু। রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে তিনিই পুরস্কার গ্রহণ করেন। এতেই পুরস্কারদাতাদের বিরুদ্ধে চাটুকারিতার অভিযোগ তুলেছেন বুদ্ধজীবীদের একাংশ।

    এই প্রসঙ্গেই মুখ খুলেছেন ‘কাক’ শিল্পী শুভাপ্রসন্ন। তিনি বলেন, এই বিতর্কটাকে আমি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে মনেই করি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ‘এক্সট্রা-অর্ডিনারি’ ব্যক্তিত্ব। তিনি সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী। তাঁর স্মরণশক্তি অসাধারণ। তিনি ছড়া-কবিতা লিখেছেন, গান লিখেছেন, সুর দিয়েছেন, ছবি এঁকেছেন। এখন তাঁর একটা বইকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। পুরস্কারটা যদি উপযুক্ত হয়, তবে কালজয়ী হবে। নাহলে মানুষ ছুড়ে ফেলে দেবে। এই প্রসঙ্গেই আসে রবীন্দ্র-অনুষঙ্গ। চিত্রশিল্পী বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে স্বয়ং কবি এসে সংবর্ধনা দিতেন মমতাকে।” শুভাপ্রসন্নের দাবি, বাঙালি চরিত্রগতভাবে মানুষ হয়ে ওঠেনি। কাঁকড়ার জাত। মমতা চুরি-চামারি করেননি। তাঁর ভিতরের আবেগ বোধকে তিনি তাঁর মতো করে তাঁর ভাষায় লিখেছেন।

    আরও পড়ুন : ‘বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত’, মমতাকে সাহিত্য পুরস্কারের দেওয়ায় ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    পুরস্কার বিতর্কে দিন দুই আগে মুখ খুলেছিলেন বুদ্ধিজীবী সুবোধ সরকার (Subodh Sarkar)। তিনি বলেন, উইনস্টন চার্চিল ইংল্যান্ডের প্রাইম মিনিস্টার থাকাকালীন সাহিত্যচর্চার জন্য নোবেল পেয়েছিলেন। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata Banerjee) বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পাওয়ার পর এত সমালোচনা! সুবোধ সরকারের মতে, এই পুরস্কার আসলে ‘ম্যাগসেসের মত’। “এই ত্রিবার্ষিক সম্মাননা এমন একজন সাহিত্যিককে দেওয়া হল যিনি সমাজকল্যাণে পরিবর্তনের ভূমিকা পালন করেছেন। রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড়ে ব্যথিত শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও (Bratya basu)। তিনি বলেন, একমাত্র বাঙালিদের একটা অংশই এমন করতে পারে! কবির ভাষা ধার করে তিনি বলেন, বলতে ইচ্ছে করছে, রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি।অ-বাঙালিরা এমন করতেন না!

    এর চেয়ে নির্লজ্জ চাটুকারিতা আক কি-ই বা হতে পারে!

  • Ajay Devgn & Kiccha Sudeep Twit case : “হিন্দি রাষ্ট্রভাষা নয়…”, সুদীপ-অজয় ভাষা-যুদ্ধে টুইট কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার

    Ajay Devgn & Kiccha Sudeep Twit case : “হিন্দি রাষ্ট্রভাষা নয়…”, সুদীপ-অজয় ভাষা-যুদ্ধে টুইট কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দিই কি রাষ্ট্রীয় ভাষা…এ নিয়ে টুইট বিতর্কে জড়িয়েছেন বলিউড ও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দুই তারকা অজয় দেবগন ও কিচ্চা সুদীপ। সেই বির্তকে এবার নিজের মতামত দিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিনি কন্নড় অভিনেতা সুদীপকে সমর্থন করে অজয় দেবগনের মতামতকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করলেন। সিদ্দারামাইয়ার টুইট, হিন্দি কখনওই ভারতের রাষ্ট্রীয় ভাষা ছিল না, নেই, হবেও না। তিনি লেখেন, একজন কন্নড় হিসেবে তিনি গর্বিত। ভারতের ভাষা-বৈচিত্র্যকে সম্মান জানানো উচিত প্রত্যেক ভারতবাসীর। সব ভাষারই নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে।

    সম্প্রতি একটি দক্ষিণী ছবি নিয়ে সুদীপ বলেন, “সবাই বলছে কন্নড় ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বভারতীয় ছবি তৈরি হয়েছে। আমি একটু সংশোধন করতে চাই। হিন্দি আর রাষ্ট্রভাষা নেই। বলিউড আজকাল সর্বভারতীয় ছবি বানাচ্ছে। ওরা সাফল‍্য পাওয়ার জন‍্য তেলুগু, তামিলে ছবির ডাবিং করাচ্ছে। কিন্তু তাও লাভ হচ্ছে না।” এই শুরু। 

    [tw]


    [/tw]

    এমনিতে বলি-বিতর্ক থেকে সাধারণত দূরে থাকা অজয় দেবগন সুদীপের এ কথা মানতে পারেননি। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে হিন্দিতে অজয় সুদীপের কাছে প্রশ্ন রাখেন, যদি হিন্দি সত্যি রাষ্ট্রীয় ভাযা না হয় তবে সুদীপ কেন নিজের ছবি হিন্দিতে ডাবিং করে রিলিজ করেন।
    অজয় সুদীপকে ট্যাগ করে লেখেন, “কিচ্চা সুদীপ ভাই, যদি হিন্দি আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা না হয়, তাহলে তুমি কেন তোমার মাতৃভাষায় তৈরি ছবি হিন্দিতে ডাবিং করে রিলিজ করো? হিন্দি আমার মাতৃভাষা, এবং আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা এবং সেটা থাকবেই। জন গণ মণ।”

    অজয়ের (Ajay Devgn) টুইটে পালটা জবাব দেন সুদীপও, অভিনেতা জানান তিনি যে প্রেক্ষাপটে কথা বলেছেন সেটা আলাদা। অজয় দেবগন হয়তো তাঁকে ভুল বুঝছেন। কোনও রকম তর্ক বির্তক করার ইচ্ছে তাঁর নেই। সামনাসামনি অজয়ের সঙ্গে দেখা হলে তিনি পুরোটা বুঝিয়ে বলবেন। শেষে সুদীপ টুইট করে অজয়ের উদ্দেশে লেখেন, “আমি নিজের দেশের সব ভাষাকে সম্মান করি। আমি চাই এই বিতর্কটা এখানেই শেষ হোক, আমি যেমনটা বলেছি ওই প্রেক্ষাপটটা আলাদা ছিল। অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা আপনাকে।” সুদীপের এই টুইটের আগেই দুতারকার অভিমত নিয়ে সরগরম নেটপাড়া। কেউ নিয়েছে অজয়ের পক্ষ কেউ আবার সমর্থন জানিয়েছেন সুদীপের মন্তব্যকে।

    সুদীপের শেষ টুইটের কিছু ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অবশ্য অজয় (Ajay Devgn)নিজের মন্তব্য থেকে সরে এসে লেখেন, “ধন্যবাদ সুদীপ আমার এই ভুলবোঝাটা ঠিক করে দেওয়ার জন্য, আমি সবসময় মনে করি আমরা এক ইন্ডাস্ট্রি। আমারা সব ভাষাকেই সম্মান করি, পাশাপাশি আশা করি অন্যান্য ভাষার লোকেরা আমাদের সম্মান করবে।”

    কিন্তু বৃহস্পতিবার এই প্রেক্ষাপটে কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর টুইট আবার নতুন করে বিতর্ককে উস্কে দিল। বেশ কয়েকদিন আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ দেশের প্রধান ভাষা হিসেবে হিন্দির পক্ষে সাওয়াল তোলেন। সেই সময় বিরোধিতা করেন সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান। 

  • Hooghly Dock: কোচিন শিপইয়ার্ডের হাত ধরে প্রাণ পেল হুগলি ডক! কী হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন এই ডকইয়ার্ডে?

    Hooghly Dock: কোচিন শিপইয়ার্ডের হাত ধরে প্রাণ পেল হুগলি ডক! কী হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন এই ডকইয়ার্ডে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাজিরগঞ্জে দুশো বছরের পুরনো হুগলি ডক অ্যান্ড পোর্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড সংস্থাকে পুনুরুজ্জীবিত করে ‘হুগলি-কোচিন শিপইয়ার্ড’ হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। হুগলি নদীর পূর্ব তীরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আওতায় নিত্যনতুন জাহাজ এবং জলযান তৈরির মাধ্যমে গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্সের খ্যাতি যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন পশ্চিমের নাজিরগঞ্জে রুগ্‌ণ হচ্ছিল এইচডিপিইএল। ২০০ বছরের পুরনো সংস্থাটি ছিল অ্যান্ড্রু ইউলের অধীনে। পরে জাতীয়করণ হলেও হাল ফেরেনি। কলকাতা বন্দরের আর্থিক অবস্থার ওঠাপড়া এবং শিল্পের সার্বিক মন্দায় পিছিয়ে পড়েছিল ডক ইয়ার্ড। লোকসান হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পুনরুজ্জীবনের একাধিক প্রস্তাব ব্যর্থ হওয়ার পরে বাণিজ্যিক পোত এবং রণতরী নির্মাতা কোচিন শিপইয়ার্ড এর উন্নতিতে লগ্নি করতে রাজি হয়। প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ঢেলে ছ’টি ক্রেন এবং শেড-সহ পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। 

    সংস্থার চেয়ারম্যান মধু এস নায়ার জানান, ‘‘কোভিড এবং ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা সামলে যাবতীয় পরিকাঠামো নতুন করে খুব দ্রুত তৈরি করা হয়েছে।’’ দেশ-বিদেশের চাহিদা মেটাতে, হুগলি কোচিন শিপইয়ার্ডে ৮০-১২০ মিটার লম্বা ছোট জাহাজ, রোরো, বার্থ, ভেসেল, ব্যাটারি চালিত লঞ্চ-সহ সব জলযানই তৈরি হবে, বলে জানান নায়ার। তিনি জানান, এর হাত ধরে রাজ্যে নতুন কর্মসংস্থান হবে। বিকাশ ঘটবে অনুসারী শিল্পের।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে তেরঙ্গা আলোয় আলোকিত ভারতের স্মৃতিস্তম্ভগুলো

    সম্প্রতি এই জাহাজ নির্মাণকেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন জাহাজ, বন্দর ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। জাহাজ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল শতাব্দী প্রাচীন এই কেন্দ্রটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। তিনি জানান, এই কেন্দ্র জাতীয় নৌপথের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ জল পরিবহনের উন্নয়নে উচ্চ প্রযুক্তি, পরিবেশ বান্ধব জলযানের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে। এই ইয়ার্ডটি শুধুমাত্র নিকটবর্তী অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সক্ষম করবে না, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের পথ প্রশস্ত করবে। এর ফলে বন্দর সংলগ্ন অনুসারী শিল্পগুলির উন্নতি হবে।

     

  • Rameshbabu Praggnanandhaa: ডাচ গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়ে অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতার ফাইনালে ভারতের ‘বিস্ময় বালক’ প্রজ্ঞানন্দ

    Rameshbabu Praggnanandhaa: ডাচ গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়ে অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতার ফাইনালে ভারতের ‘বিস্ময় বালক’ প্রজ্ঞানন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেসেবেল মাস্টার্স (Chessable Masters) প্রতিযোগিতায় ডাচ গ্র্যান্ডমাস্টার অনীশ গিরিকে (Anish Giri) পরাজিত করে ফাইনালে উঠল ভারতের বিস্ময় বালক, খুদে দাবাড়ু রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ (Rameshbabu Praggnanandhaa)।  

    গত ফেব্রুয়ারিতে ম্যাগনাস কার্লসেনের (Magnus Carlsen) বিরুদ্ধে কিস্তিমাত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় কিশোর রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। সেই জয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বাজিমাত। সম্প্রতি আরও একবার বিশ্বসেরা কার্লসেনকে হারিয়ে নজির গড়েছে সে।    

    কার্লসেনকে হারানোর পরে মেল্টওয়্যার চ্যাম্পিয়ন্স দাবা ট্যুরের নকআউট পর্বে সোমবার সকলকে চমকে দিয়ে চিনের ওয়েই ই-কে ২.৫-১.৫ হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে। শেষ চারে তার সামনে ছিলেন নেদারল্যান্ডসের ভারতীয় বংশোদ্ভুত দাবাড়ু অনীশ গিরি। অন্য সেমিফাইনালে কার্লসেন খেলেন চিনের ডিংলিরেনের বিরুদ্ধে। কার্লসেনকে হারিয়ে অন্যদিকে ফাইনালে উঠেছেন ডিংলিরেন ( Ding Liren)। এবার ফাইনালে মুখোমুখি প্রজ্ঞানন্দ-ডিংরিলেন।     
     
    ১৬ বছর বয়সী প্রজ্ঞানন্দর সামনে এবার দারুণ সুযোগ একই টুর্নামেন্টে বিশ্বের এক এবং দুনম্বরকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। সেমিফাইনাল ম্যাচটাও প্রজ্ঞানন্দর কাছে এক কঠিন পরীক্ষা ছিল। কারণ তার প্রতিদ্বন্দ্বীও ছিলেন সমান শক্তিশালী। প্রথম চার রাউন্ডের পর রেজাল্ট ছিল ২-২। শেষ ম্যাচ ছিল টাইব্রেকার। আর তাতে পয়েন্টের বিচারে এগিয়ে থাকার জন্য ফাইনালে উঠে যায় প্রজ্ঞানন্দ। অনীশকে ৩.৫-২.৫ পয়েন্টে হারায় সে। ভারতীয় দাবাড়ু হিসেবে প্রজ্ঞানন্দই প্রথম, যে চেসেবেল টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল।  
     
    বুধবারের সেমিফাইনালে প্রজ্ঞানন্দ প্রথম দুটি রাউন্ডে ২-০ লিড নেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে অনীশ প্রত্যাবর্তন করেন। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে পয়েন্ট হয় ২-১। তৃতীয় রাউন্ডে অসাধারণ খেলেন অনীশ। পয়েন্ট সমানে সমানে নিয়ে আসেন ২-২ তে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি অনীশের। প্রজ্ঞানন্দ ৩.৫-২.৫ পয়েন্টে বাজিমাত করে হারিয়ে দেন নেদারল্যান্ডের অনীশ গিরিকে। 

    এই টুর্নামেন্টে অনীশ গিরি এখনও অবধি অপরাজেয় ছিলেন। প্রজ্ঞানন্দর কাছেই প্রথম হার অনীশের। ক্লাস ইলেভেনের ছাত্র প্রজ্ঞানন্দর দাবা পরীক্ষার সঙ্গে স্কুলের পরীক্ষাও চলছে। মঙ্গলবার রাতে জেতার পর ভারতীয় খুদে দাবাড়ুর প্রথম প্রতিক্রিয়াই ছিল, ‘‘কাল সকাল ৮.৪৫- এর মধ্যে স্কুলে পৌঁছতে হবে। এদিকে, এখনই রাত দুটো!’’    

     

     

  • Yasin Malik: ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন সাজা, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদের কফিনে শেষ পেরেক?

    Yasin Malik: ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন সাজা, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদের কফিনে শেষ পেরেক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (JKLF) নেতা ইয়াসিন মালিককে (Yasin malik) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল আদালত। সন্ত্রাসবাদে (terrorism) অর্থ দিয়ে সাহায্য এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে (separatist movement) মদত দেওয়ার দায়ে তাকে ওই সাজা দিয়েছে পাতিয়ালার বিশেষ এনআইএ (NIA) আদালত। ১৯ মে দোষী সাব্যস্ত করা হয় মালিককে। সাজা ঘোষণা হয় বুধবার। ইয়াসিনের কারাদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিচ্ছিন্নবাদী আন্দোলনে কফিনে শেষ পেরেক পোঁতা হল বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

    আরও পড়ুন : কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন, কী কী অভিযোগ ছিল?

    ভূস্বর্গে অশান্তির সূত্রপাত নয়ের দশকে। একের পর এক জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর (Kashmir)। চরম অত্যাচার করে, নৃশংসভাবে হিন্দু পণ্ডিতদের খুন করে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয় কাশ্মীর জুড়ে। তার পরেই প্রাণ বাঁচাতে উপত্যকা ছাড়তে শুরু করেন পণ্ডিত সম্প্রদায়ের লোকজন। শিখ সহ উপত্যকায় অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনও কাশ্মীর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন।

    অশান্ত কাশ্মীরকে শান্ত করতে কোমর কষে নামে নরেন্দ্র মোদির (Modi) সরকার। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে (2019 General elections) দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই মতো কাশ্মীর থেকে লুপ্ত হয় ৩৭০ ধারা (Article 370)। তার পরেই ধীরে ধীরে শান্ত হতে থাকে অশান্ত কাশ্মীর।

    কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে ইতি টানতে বিজেপি সরকারের উদ্যোগে সাফল্যও মেলে। উপত্যকায় বন্ধ হয়ে যায় নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া (stone pelting)। হ্রাস পায় জঙ্গি কার্যকলাপও (terrorist activities)। গত বছর বিচ্ছিন্নবাদী নেতা আশরাফ সেহরাই এবং সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মৃত্যু হয়। তার পর বিচ্ছন্নতাবাদী আন্দোলনে ভাঁটা পড়ে। আরও এক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে ঠাঁই হওয়ায়, উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে অক্সিজেন জোগানোর আর কেউ রইল না বলেই ধারণা পর্যবেক্ষকদের।

    আরও পড়ুন : গণতন্ত্র রক্ষায় মোদির অবদান, প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাইডেন

    এদিন মালিককে যখন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়, তখন কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল কাশ্মীরের মইসুমা এলাকায়, যেখানে ইয়াসিনের পৈত্রিক ভিটে। সাজা ঘোষণার সময় কিছুক্ষণের জন্য এলাকার পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। প্রতিবেশী মহিলারা মালিকের বাড়িতে জড়ো হন। প্রতিবাদ স্বরূপ মুখ ঢেকে ফেলেন স্কার্ফ দিয়ে। কাশ্মীরি গান গেয়ে শোক প্রকাশও করতে দেখা যায় তাঁদের। 

     

  • SSC Recruitment Scam: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের ডাকে ফের নিজাম প্যালেসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়

    SSC Recruitment Scam: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের ডাকে ফের নিজাম প্যালেসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (ssc recruitment scam) মামলায় ফের সিবিআই (cbi) দফতরে হাজির প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (partha chatterjee)। বুধবার নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনি পৌঁছে যান নিজাম প্যালেসে (nizam palace)।

    এর আগে সিবিআই আধিকারিকরা একপ্রস্ত জেরা করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। সূত্রের খবর, সেদিন অনেক প্রশ্নের উত্তরে পার্থ যা বলেছিলেন, তাতে সন্তুষ্ট নন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। সেই কারণেই এদিন ফের দ্বিতীয় দফায় জেরা করা হচ্ছে তাঁকে। এদিকে, আবেদনে বেশ কিছু ত্রুটি থাকায় সুপ্রিম কোর্টে এখনই হচ্ছে না এসএসসি মামলায় পার্থর শুনানি।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এর আগে গোয়েন্দারা পার্থর কাছে জানতে চেয়েছিলেন উপদেষ্টা কমিটির ওপর কার নিয়ন্ত্রণ ছিল, কার নির্দেশে নিয়োগ হয়েছিল। এসব প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর না মেলায় এদিন ফের পার্থকে তলব করে সিবিআই। এর পাশাপাশি পার্থ এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর আয়কর সংক্রান্ত তথ্যও চেয়েছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন : নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    বুধবার সকালে বাড়িতে গিয়ে পার্থের সঙ্গে দেখা করেন তাঁর আইনজীবীরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এর আগে যেদিন পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন, এসএসসির উপদেষ্টা কমিটি গড়লেও, সেই কমিটির ওপর তাঁর কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কেও তিনি কিছু জানতেন না বলেই দাবি করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

    এদিকে, আয়কর দফতরে চিঠি দিয়ে গোয়েন্দারা পার্থ ও পরেশের গত পাঁচ বছরের আয়কর সংক্রান্ত নথি চেয়েছেন। কী কী সম্পত্তির ভিত্তিতে তাঁরা আয়কর দিয়েছেন, প্যান কার্ডের সঙ্গে কী কী সম্পত্তির হিসেব যুক্ত রয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্যও আয়কর দফতরের কাছে চাওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, আয়কর দফতর থেকে পাওয়া নথির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে মন্ত্রীদের দেওয়া নথি। পার্থ এবং পরেশের আত্মীয়দের সম্পত্তি সংক্রান্ত নথিপত্রও চাওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন : “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

    অন্যদিকে, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শীর্ষ আদালতে এখনই হচ্ছে না পার্থর আবেদনের শুনানি। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পার্থ। কিন্তু তাঁর আবদেন ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায়, তা ত্রুটিমুক্ত করতে বলা হয়েছে।

    কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ পার্থকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি আবেদন করেন ডিভিশন বেঞ্চে। পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে সেই মামলা গৃহীত হয়নি। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। তার পরেই সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন পার্থ।

     

  • Gyanvapi Update: কাশীর বিন্দুমাধব মন্দিরও হয়েছে মসজিদ! পুনর্নির্মাণের দাবি চেয়ে মামলা

    Gyanvapi Update: কাশীর বিন্দুমাধব মন্দিরও হয়েছে মসজিদ! পুনর্নির্মাণের দাবি চেয়ে মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও থিতু হয়নি জ্ঞানবাপী মসজিদ (gyanvapi mosque) বিতর্কের রেশ। এরই মধ্যে এবার মাথাচাড়া দিল আরও একটি মন্দির-মসজিদ বিতর্ক (temple mosque controversy)। এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে একটি মসজিদ (mosque)। কাশীর বিন্দুমাধব মন্দির (Bindu Madhav temple) ভেঙে এই মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ‘মন্দির’ পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়ে দায়ের হল মামলা।

    বারাণসীর কাশীর পঞ্চগঙ্গা ঘাটের কাছেই রয়েছে একটি মসজিদ। আবেদনকারীদের দাবি, বারাণসী গেজেটার নামের একটি ইতিহাস বইয়ে উল্লেখ রয়েছে পঞ্চগঙ্গার তীরে অবস্থিত বিন্দুমাধব মন্দিরের কথা। সেই মন্দিরের আরাধ্য দেবতা ছিলেন বিষ্ণু।

    পরবর্তীকালে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব (Aurangzeb) মন্দিরটি ধ্বংস করে দেন। তৈরি হয় বেণীমাধব কা ধারাহারা মসজিদ (Beni Madhav-ka-Dharahara)। আবেদনকারীদের আইনজীবী রাজা আনন্দ জ্যোতি সিং বলেন, পিটিশনে সেই মন্দির পুনর্নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী শনিবার জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার শুনানির দিনই রয়েছে এই মামলার শুনানিও।

    আরও পড়ুন : ১৯৩৭-এ লেখা প্রবন্ধে গান্ধীজি বলেছিলেন, “মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি আসলে…”

    ২০০২ সালে প্রথমবার আলোচনায় উঠে আসে বেণীমাধব কা ধারাহারার নাম। সেই সময় পঞ্চগঙ্গা ঘাটের কাছে বসবাসকারী কয়েকজন মিলে তৈরি করেন বেণীমাধর কা ধারাহারা বাঁচাও সমিতি। উদ্দেশ্য, এলাকায় নির্মিত সৌধটি রক্ষা করা। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, এই সৌধের মধ্যেই ছিল বিন্দুমাধব মন্দির। ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতা দিবস এবং ২০১৪ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসে এখানে পতাকা উত্তোলন করতে চেয়েছিল দক্ষিণপন্থীরা। সেই সময় পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেই ‘সৌধ-বিতর্ক’ই এবার ফের মাথাচাড়া দিল।

    আরও পড়ুন : শাহি ইদগাহ মসজিদ চত্বরে স্থিতাবস্থা চেয়ে আবেদন মথুরা আদালতে

    কাশীতে বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়েছিল বলে হিন্দুত্ববাদীদের দাবি। ঔরঙ্গজেবের নির্দেশেই সেখানে মন্দির ভেঙে তৈরি হয় মসজিদ। এই মসজিদই জ্ঞানবাপী মসজিদ। গত বছরের অগাস্ট মাসে পাঁচ হিন্দু নারী মসজিদের ভিতরে পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্ব রয়েছে বলে দাবি করে পুজোর অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে। সেই মামলার শুনানি এখনও চলছে। কেবল জ্ঞানবাপী মসজিদই নয়, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি ভারতের প্রায় ১৮০০টি মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। এগুলিকে তারা ‘অবৈধ’ মসজিদের তকমা দিয়েছে।

    এদিকে, জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে ভিডিও সমীক্ষার সময় তোলা ভিডিও এবং ছবি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। মুসলিম পক্ষের দাবি, ভিডিও ফাঁস করেছেন হিন্দুরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে হিন্দুপক্ষ।  

     

LinkedIn
Share