Blog

  • Sonia Gandhi: রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য, অভিযোগ দায়ের সোনিয়ার বিরুদ্ধে

    Sonia Gandhi: রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য, অভিযোগ দায়ের সোনিয়ার বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বিরুদ্ধে দায়ের হল অভিযোগ। জানা গিয়েছে, এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে বিহারে। সে রাজ্যের মুজফফরপুর জেলা আদালতের আইনজীবী সুধীর ওঝা অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদকে অবমাননা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগপত্রে সুধীর ওঝা রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার নামও উল্লেখ করেছেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আওতায়। জানা গিয়েছে, এই অভিযোগের ভিত্তিতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে শুনানি হবে এই মামলার।

    কী বলেছিলেন সোনিয়া

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Of India) শুক্রবার সংসদের উভয় কক্ষে ভাষণ দিয়ে বাজেট অধিবেশনের সূচনা করেন। এরপরে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘পুওর থিং’ (বেচারি) বলেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। একইসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘‘এই লম্বা ভাষণ দিয়ে তাঁকে ক্লান্ত দেখাচ্ছিল।’’ এদিকে সোনিয়ার এই মন্তব্যের পরই ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতিকে অসম্মান করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী। এই ঘটনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা উপজাতি সমাজের কাছে সোনিয়া গান্ধীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। এই ইস্যুতে সোনিয়া গান্ধীকে একহাত নেন বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত মহাপাত্রও। মন্তব্যের নিন্দা করে বিবৃতি দেওয়া হয় রাজভবনের তরফেও।

    সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) তোপ সুকান্ত মজুমদারের

    বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এই ইস্যুতে সোনিয়া গান্ধীকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, ‘‘এটি একটি অবমাননাকর মন্তব্য ছিল। সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং রাহুল গান্ধীর মতো নেতাদের এই ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়। বিশেষ করে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে। দ্রৌপদী মুর্মু একজন আদিবাসী পরিবারের মহিলা এবং এখন তিনি আমাদের দেশের পয়লা নম্বর নাগরিক এবং কংগ্রেসের জমিদারি মানসিকতা এটি গ্রহণ করতে পারে না। তাই তাঁরা তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করছেন।’’

  • Maha Kumbh 2025: “সনাতন ধর্মই মানব ধর্ম”, প্রয়াগরাজে গিয়ে ফের মনে করালেন যোগী

    Maha Kumbh 2025: “সনাতন ধর্মই মানব ধর্ম”, প্রয়াগরাজে গিয়ে ফের মনে করালেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সনাতন ধর্মই মানব ধর্ম”। শনিবার ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। মৌনী অমাবস্যায় প্রয়াগরাজের গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে (Maha Kumbh 2025) অমৃতস্নান করতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় কয়েকজন পুণ্যার্থীর। তার পর এদিন কুম্ভে যান যোগী।

    ধর্মসভায় যোগ যোগীর (Maha Kumbh 2025)

    সেক্টর ২২-এ দুই পূজনীয় সন্তের পট্টাভিষেক উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মসভায় যোগ দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি সন্তদের আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। নবনিযুক্ত জগৎ গুরুদের অভিনন্দনও জানান। এদিন যে দুই সন্তের পট্টাভিষেক হয়, তাঁরা হলেন সন্তোষ দাস সতুয়া বাবা এবং স্বামী রাম কমলাচার্য। তুলসী পীঠাধিশ্বর জগৎ গুরু স্বামী রামভদ্রাচার্য দুই সন্তকে জগৎ গুরু পদের জন্য মনোনীত করেন। এই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন যোগী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা সকলেই সনাতন ধর্মের স্তম্ভ। বিপরীত পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে এই অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কারণ সনাতন ধর্মই মানব ধর্ম। সনাতন ধর্ম থাকবে তো মানব ধর্ম থাকবে, মানবতা থাকবে, সৃষ্টি থাকবে।”

    প্রসঙ্গ সনাতন ধর্ম

    সনাতন ধর্ম প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা দেখেছেন, যারা সনাতন ধর্মের বিরোধী, তারা চেষ্টা করছিল যাতে সন্তদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে এবং তারা উপহাস করতে পারে। কিন্তু আমি পূজনীয় সন্তদের প্রশংসা করব, যাঁরা সেই পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে পুণ্যাত্মাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন এবং মা গঙ্গার প্রতি তাঁদের দায়িত্ব পালন করে এই আয়োজন সফল (Maha Kumbh 2025) করে তুলেছেন।”

    তিনি বলেন, “এই প্রেরণায় গত ১৯ দিনে ৩২ কোটিরও বেশি পুণ্যার্থী জলে ডুব দিয়ে পুণ্যের অংশীদার হয়েছেন। কিছু মানুষ বিভ্রান্ত করে সনাতন ধর্মের প্রতিটি বিষয়ে ষড়যন্ত্র করতে ছাড়ে না।” যোগী বলেন, “রাম জন্মভূমি থেকে আজ পর্যন্ত তাদের আচরণ সকলেরই জানা। এমন মানুষদের থেকে সাবধান হয়ে সনাতন ধর্মের আদর্শ ও মূল্যবোধ নিয়ে এই পূজনীয় সন্তদের সান্নিধ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যতক্ষণ পূজনীয় (Yogi Adityanath) সন্তদের সম্মান আছে, সনাতন ধর্মের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না (Maha Kumbh 2025)।” প্রসঙ্গত, সোমবারই রয়েছে বসন্ত পঞ্চমীর অমৃতস্নান যোগ।

  • Delhi Elections 2025: “ঝাঁটা দিয়ে আপকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করুন”, বললেন শাহ

    Delhi Elections 2025: “ঝাঁটা দিয়ে আপকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করুন”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঝাঁটা দিয়ে আপকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করুন।” শনিবার দিল্লির এক নির্বাচনী জনসভায় এই ভাষায়ই আম আদমি পার্টিকে (Amit Shah) আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Delhi Elections 2025)। আপ সরকারকে তিনি থ্রি-জি সরকার বলেও অভিহিত করেন।

    থ্রি-জির ব্যাখ্যা (Delhi Elections 2025)

    থ্রি-জির ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ঘাপলা, ঘুসপেঠিয়েদের আশ্রয় এবং ঘোটালা। বিজেপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, প্রথম জি মানে ‘ঘোটালে ওয়ালি সরকার’ (এমন সরকার যা কেলেঙ্কারি করে), দ্বিতীয় ‘জি’ মানে ‘ঘুসপৈঠিদেরকে আশ্রয় দেওয়ার সরকার’ (এমন সরকার যা অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেয়) এবং তৃতীয় ‘জি’ মানে ‘ঘাপলা করার সরকার’ (এমন সরকার যা দুর্নীতিতে ভরপুর)।” শহরে অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা-সহ অন্যান্য বিষয়ের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। এদিন তিনি মুস্তাফাবাদ বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় একটি জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। তাঁর দাবি, আম আদমি পার্টির নেতারা দিল্লি নির্বাচনে তাদের দলের বিরুদ্ধে থাকা “ঢেউ” সম্পর্কে সচেতন।

    ‘ঝাড়ু’ দাওয়াই

    এর পরেই তিনি বলেন, “এবার মানুষ ‘ঝাড়ু’ (ঝাড়ু আপের নির্বাচনী প্রতীক) দিয়ে আপকে পরিষ্কার করে দেবে। কারণ তারা জানে যে দিল্লিতে একটি থ্রি-জি সরকার রয়েছে।” শাহ বলেন, এখন দিল্লির “আপ-দা” থেকে মুক্ত হওয়ার সময়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “একটুও অলস হবেন না। নাহলে (দিল্লির) দাঙ্গার জন্য দায়ীরা নির্বাচিত হয়ে ফিরে আসবে। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আপনি দিল্লিকে দাঙ্গায় ফেলার লোকদের চান, নাকি যারা রক্ষা করেছে, তাদের (Delhi Elections 2025)।”

    প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে প্রধান তিনটি দল – আপ, কংগ্রেস এবং বিজেপি। ৭০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে হবে ত্রিমুখী লড়াই। আপের বিরুদ্ধে আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি-সহ নানা কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। এসবই হাতিয়ার করে লড়ছে বিজেপি। দিন কয়েক আগে পদ্ম নেতা অমিত শাহ বলেছিলেন, এবার দিল্লির মসনদে আসবে বিজেপি। তৈরি হবে ডাবল ইঞ্জিন সরকার (Amit Shah)। দিল্লি বিধানসভার ফল বের হবে ৮ ফেব্রুয়ারি (Delhi Elections 2025)।

  • Pakistan: সেনার সঙ্গে বালুচ বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ, হত অন্তত ১৮ পাক সেনা

    Pakistan: সেনার সঙ্গে বালুচ বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ, হত অন্তত ১৮ পাক সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনার সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন নিরাপত্তাবাহিনীর অন্তত ১৮ জন সদস্য (Rebels Killed)। মৃত্যু হয়েছে ২৩ জন বিদ্রোহীরও। পাকিস্তানের (Pakistan) বালুচিস্তানের ঘটনা। বর্তমানে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির বালুচিস্তান সফর করছেন। সেই সময়ই সেনার সঙ্গে বিদ্রোহীদের গুলির লড়াই হয়েছে। যার মাশুল দিতে হল পাক সেনার অন্তত ১৮ জন সদস্যকে।

    হামলার দায় স্বীকার (Pakistan)

    পাক সেনার ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (BLA)। সংগঠনের মুখপাত্র আজাদ বালোচের দাবি, কালাটে (এই জায়গায়ই সেনার সঙ্গে বিদ্রোহীদের গুলি বিনিময় হয়) হামলা তাঁদের অন্যতম সাফল্য। আরও হামলা চালানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। আজাদ জানান, সেনা চৌকিগুলিতে হামলা চালানো হবে। তাঁর দাবি, কালাটে পাক সেনার ওপর হামলা চালিয়েছে তাঁদের ১০০ সদস্য। বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির এই হামলার জবাব দেওয়া হবে বলে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তাঁদের সাফ কথা, বালুচিস্তানে জারি রাখা হবে সেনা অভিযান (Pakistan)।

    বিদ্রোহী দমন অভিযান

    গত এক মাস ধরে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানে বিদ্রোহী দমন অভিযান চালাচ্ছে পাক সেনা। শনিবার আফগানিস্তানের সীমান্তলাগোয়া জেলা বালুচিস্তানের কালাটে মূল রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল বিদ্রোহীরা। খবর পেয়ে অভিযানে যায় পাক সেনা। শুরু হয় দুপক্ষে গুলির লড়াই। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া গুলির লড়াই জারি থাকে শনিবারও। রাতে এক বিবৃতিতে পাক সেনা জানিয়েছে, রাতভর গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে ২৩ জঙ্গি। মৃত্যু হয়েছে ১৮ জন সেনাকর্মীরও।

    গত অগাস্টেই আট থেকে দশ ঘণ্টা বালুচিস্তান প্রদেশটাই পাকিস্তান থেকে যেন বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় বালুচিস্তানে সেনা-পুলিশ-প্রশাসনকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বালুচিস্তান কোনওদিনই পাকিস্তানের অংশ ছিল না। বালুচিস্তানের সিংহভাগ বাসিন্দাই ভারতের সঙ্গে জুড়ে যাওয়ার পক্ষপাতী। পাকিস্তানের সঙ্গে জুড়ে যাওয়াটা তাঁরা কোনওদিনই মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। সেই কারণেই পাকিস্তানের কবল মুক্ত হতে চাইছেন তাঁরা। অশান্তির সূত্রপাত সেখানেই। স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে মরিয়া (Rebels Killed) বালুচিস্তানের বাসিন্দারা (Pakistan)।

  • Khalistani: মণিপুরে খ্রিস্টানদের আলাদা দেশ গড়তে উস্কানি দিয়েছেন পান্নুন, ট্রাইব্যুনালে জানাল কেন্দ্র

    Khalistani: মণিপুরে খ্রিস্টানদের আলাদা দেশ গড়তে উস্কানি দিয়েছেন পান্নুন, ট্রাইব্যুনালে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারই ইউএপিএ-র একটি ট্রাইব্যুনালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি আবেদন দাখিল করে। সেখানেই খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসবাদী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের (Sikhs for Justice) বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তোলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, মণিপুরে মুসলিম, তামিল এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হতে উস্কানি দিয়েছে ওই সংগঠন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এ বিষয়ে তদন্ত করে সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে ট্রাইব্যুনালের সামনে। প্রসঙ্গত, গত ২৭ জানুয়ারি ওই ট্রাইব্যুনাল শিখ ফর জাস্টিস-এর ওপর আরও পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে। খালিস্তানপন্থী এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন পান্নুনের (Khalistani) নেতৃত্বে চলে। ২০১৯ সালে প্রথমে পাঁচ বছরের জন্য ওই সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

    উস্কানি শিখ সৈন্যদের

    ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই নিষেধাজ্ঞা (Khalistani) আরও পাঁচ বছরের জন্য বাড়ানো হয়। প্রসঙ্গত, শিখ ফর জাস্টিস নামের এই সংগঠন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে খুনের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। শুধু তাই নয়, পাঞ্জাব পুলিশের মধ্যে যে সমস্ত শিখ সম্প্রদায়ভুক্ত কর্মী রয়েছেন, তাঁদেরও উস্কানি দিয়েছে এই সংগঠন। এর পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যে শিখ সৈন্যরা রয়েছেন, তাঁদেরও বিদ্রোহের জন্য উস্কানি দিয়েছে এই সংগঠন। পান্নুন এক উস্কানি বার্তায় জানিয়েছেন, ভারত সরকার তাঁদেরকে (শিখ সৈন্য) যে বেতন দেয় শিখ ফর জাস্টিস সংগঠনের হয়ে কাজ করলে তাঁদের আরও পাঁচ হাজার টাকা বেশি বেতন দেওয়া হবে। একই সঙ্গে লাদাখে যে সমস্ত সৈন্য মোতায়ন করা আছে, সেই সৈন্যদের উদ্দেশে পান্নুন উস্কানি দিয়েছেন যে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যেন ভারতের হয়ে তাঁরা লড়াই না করেন।

    দ্রাবিড়স্তান ও উর্দুস্তান গড়ার উস্কানি

    প্রসঙ্গত, পান্নুন পাঞ্জাব পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের উস্কানি দেন। তিনি সেই সময় জলন্ধর, পাঠানকোট প্রভৃতি স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে, অন্যান্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উসকে দিয়ে (Khalistani) সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে জনগণকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, মণিপুরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে একটি পৃথক দেশ তৈরির জন্য আওয়াজ তুলতে উস্কানি দেন পান্নুন। একইভাবে তামিল এবং মুসলমানদের জন্যও দ্রাবিড়স্তান ও উর্দুস্তান তৈরির উস্কানি দেন তিনি।

  • Don: বলিউড কাঁপানো ডনের রিমেক হচ্ছে হলিউডে, কী বললেন  অভিনেতা কাল পেন?

    Don: বলিউড কাঁপানো ডনের রিমেক হচ্ছে হলিউডে, কী বললেন  অভিনেতা কাল পেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড কাঁপানো ছবি ‘ডন’ (Don)। তোলপাড় ফেলেছিল তামাম ভারতে। বিদেশেও ভীষণভাবে সমাদৃত হয়েছিল অমিতাভ বচ্চন অভিনীত এই ছবিটি। বলিউডের পর এবার এই ছবিটিরই রিমেক হবে টলিউডে। যিনি রিমেক করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন, তিনিও বিশ্বশ্রুত অভিনেতা আমেরিকার ‘কাল পেন’।

    কাল পেনের ইচ্ছে (Don)

    দ্য ‘নেমশেক’ ছবিতে আত্মসচেতন গোগোলের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ‘হ্যারল্ড অ্যান্ড কুমার’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে অভিনয় করেছিলেন স্টোনার কুমার প্যাটেলের ভূমিকায়। অমিতাভ বচ্চনের ফ্যানেদের মধ্যে রয়েছেন সেই কাল পেনও। তিনিই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন ‘ডন’ ছবিটি রিমেক করবেন। পেনের বেড়ে ওঠা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক ভারতীয় অভিবাসী পরিবারে। তিনিই নতুনভাবে তৈরি করতে চান বচ্চনের আইকনিক চলচ্চিত্র ‘ডন’। ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয়ও করতে চান তিনি।

    কী বললেন বিশ্বশ্রুত অভিনেতা

    শুক্রবার জয়পুর সাহিত্য উৎসবে ‘ইউ ক্যান্ট বি সিরিয়াস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছিলেন ‘হাউস’ অভিনেতা পেন। সেখানেই বছর সাতচল্লিশের এই অভিনেতা বলেন, “আমার ওপর যে প্রভাবগুলো পড়েছিল, সেগুলোর বেশিরভাগই ছিল আমেরিকান, যেমন টম হ্যাঙ্কস, ডেনজেল ওয়াশিংটন, এবং অবশ্যই মীরা নায়ার—শৈশব থেকেই, বিশেষ করে যখন তিনি ‘মিসিসিপি মসালা’ করেছিলেন। তাঁকে দেখে আমি ভাবতাম, যদি এই নারী এটি করতে পারেন, তবে হয়তো আমার জন্যও একটি পথ রয়েছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি এখনও… মানে, কে না অমিতাভ বচ্চনের বিশাল ভক্ত? আসল ডন-এর রিমেক করতেই আমি ভালোবাসব। তবে এটি এখনও বিনোদনমূলক হতে পারে। এটি এখনও একইভাবে, একই রঙের প্যালেটে থাকতে পারে, কেবল (Don) ব্রুকলিন বা ওহাইওতে সেট করা যেতে পারে।”

    পেনকে সম্প্রতি জনপ্রিয় হিন্দি কমেডি শো ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’র সেটে দেখা গিয়েছে। হিন্দি ভাষায় সড়গড় হতে তিনিসাথ নিভানা সাথিয়াসিরিয়াল দেখতে দেখতে “আসক্ত” হয়ে পড়েন। বলেন, “যখনই আমি ভারতে কাজ করি, আমি চেষ্টা করি দুমাস আগে থেকেই স্ক্রিপ্ট পেতে। হিন্দি শেখার এবং এই ভাষায় তাল মিলিয়ে চলার একটি উপায় হল সিরিয়াল দেখা। তাই আমি সাথ নিভানা সাথিয়া-তে আসক্ত হয়ে পড়েছিলাম। যেমন, কোকিলা বেন একেবারে দুর্দান্ত! তুমি ওঁকে অতিক্রম করতে চাইব না। আর গোপী তো স্পষ্টতই একটা মিম—গোপী ল্যাপটপ ধোয়ার দৃশ্যটাই ধরো।” তিনি বলেন এগুলোই আমার সাম্প্রতিক কিছু অনুপ্রেরণার অংশ (Don)।”

  • PM Modi: কেন্দ্রীয় বাজেটকে ‘জনগণের বাজেট’ আখ্যা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: কেন্দ্রীয় বাজেটকে ‘জনগণের বাজেট’ আখ্যা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যেক ভারতীয়ের স্বপ্নপূরণ করবে এ বারের বাজেট (Budget)। এই বাজেটকে ‘জনগণের বাজেট’ বলে উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শনিবার বাজেট পেশ করেন। তারপরেই এই কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘১৪০ কোটি ভারতীয়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতিই বাজেটে প্রতিফলিত হয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘মধ্যবিত্ত কর প্রদানকারী, বেতনভোগী কর্মীদের বড় সুবিধা দেবে।’’ উল্লেখ্য, এ বারের বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দেশের কর কাঠামোয় বড়সড় পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বেতনভোগীদের বছরে ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ে শূন্য রাখা হয়েছে আয়করের পরিমাণ। সে কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ বারের বাজেটে সব আয় গোষ্ঠীর জন্য কর কমানো হয়েছে। যা থেকে মধ্যবিত্তেরা উপকৃত হবেন।’’

    আমরা দেশের তরুণদের জন্য অনেক পথ খুলেছি

    তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘ভারতের উন্নয়ন যাত্রাকে আরও মসৃণ করবে কেন্দ্রীয় বাজেট। আমরা দেশের তরুণদের জন্য অনেক পথ খুলেছি।’’ ‘জনগণের বাজেট’ পেশ করার জন্য সীতারামনকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাজেটের কথা বলতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘‘কী ভাবে সরকারি কোষাগার ভরবে, সেটাই সাধারণত বাজেটে প্রতিফলিত হয়। কিন্তু এ বার তা উল্টো হয়েছে। এ বারের বাজেটের মূল লক্ষ্য ছিল কী ভাবে সাধারণ মানুষের পকেট ভরবে, কী ভাবে সঞ্চয় হবে। এই বাজেট এই সবের জন্য খুবই শক্তিশালী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবে।’’ সংস্কারের ক্ষেত্রে এ বারের বাজেট খুব উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আমি সেই সব সংস্কার নিয়ে আলোচনা করতে চাই যা ভবিষ্যতে একটি বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে।’’

    কৃষক কল্যাণ নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এ বারের বাজেটে দেশের সেরা ৫০টি পর্যটনস্থলের উন্নয়ন করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট পেশ করার সময় সেই প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্প ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের জন্য বড় ঘোষণা। শনিবার বাজেট পেশের সময় কৃষক কল্যাণের কথাও উল্লেখ করেন দেশের অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, কিষান ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ তিন লক্ষ থেকে বৃদ্ধি করে পাঁচ লক্ষ করা হবে। মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হবে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘এই ঘোষণা কৃষিক্ষেত্রে একটি নতুন বিপ্লবের ভিত্তি হয়ে উঠবে।’’

  • Daily Horoscope 02 February 2025: মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান থাকতে হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 02 February 2025: মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান থাকতে হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বুদ্ধির ভুলের জন্য ক্ষতি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ২) প্রেমে আনন্দ লাভ।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) দাম্পত্য কলহের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) ব্যবসায় লাভের পরিমাণ বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে সুখের দিন।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায় বিবাদের যোগ থাকলেও লাভ বাড়তে পারে।

    ২) কৃষিকাজে সাফল্য পাবেন।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় অর্থাভাব ও শত্রুর দ্বারা ক্ষতির সম্ভাবনা।

    ২) স্ত্রীর কারণে প্রচুর খরচ হওয়ার সম্ভাবনা।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ২) কোনও প্রতিবেশীর জন্য সম্মানহানি।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) সকালের দিকে কোনও দুশ্চিন্তা মাথা খারাপ করবে।

    ২) শিক্ষকদের জন্য ভালো খবর।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) বিষয়-সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্য।

    ২) কোনও মহিলার জন্য আনন্দ লাভ।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) সম্মানহানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) কোনও কাজে সময় নষ্ট হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) মা-বাবার সঙ্গে জরুরি বিষয়ে আলোচনা।

    ২) ব্যবসায় লাভের যোগ।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 283: “টাকার জন্য যেমন ঘাম বার কর, তেমনি হরিনাম করে নেচে গেয়ে ঘাম বার করতে হয়”

    Ramakrishna 283: “টাকার জন্য যেমন ঘাম বার কর, তেমনি হরিনাম করে নেচে গেয়ে ঘাম বার করতে হয়”

    সপ্তদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    পূর্বকথা—শম্ভু মল্লিকের অনাশক্তি—মহাপুরুষের আশ্রয়

    ঠাকুর (Ramakrishna) বিষ্ণুঘরে আসিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ভক্তেরাও আসিলেন। তিনি শ্রীশ্রীরাধাকান্তকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন।

    ঠাকুর দেখিলেন যে, ঠাকুরবাড়ির ব্রাহ্মণেরা—যারা ভোগ রাঁধে, নৈবেদ্য করে দেয়, অতিথিদের পরিবেশন করে এবং পরিচারকেরা, অনেকে একত্র মিলিত হইয়া নাম সংকীর্তন করিতেছে। ঠাকুর একটু দাঁড়াইয়া তাহাদের উৎসাহ বর্ধন করিলেন।

    উঠানের মধ্য দিয়া ফিরিয়া আসিবার সময় ভক্তদের বলিতেছেন —

    “দেখো, এরা সব কেউ বেশ্যার বাড়ি যায়, কেউ বাসন মাজে!”

    ঘরে আসিয়া ঠাকুর নিজ আসনে আবার বসিয়াছেন। যাঁহারা সংকীর্তন করিতেছিলেন, তাঁহারা আসিয়া ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) তাঁহাদিগকে বলিতেছেন—“টাকার জন্য যেমন ঘাম বার কর, তেমনি হরিনাম করে নেচে গেয়ে ঘাম বার করতে হয়।

    “আমি মনে করলাম, তোমাদের সঙ্গে নাচব। গিয়ে দেখি যে ফোড়ন-টোড়ন সব পড়েছে — মেথি পর্যন্ত। (সকলের হাস্য) আমি কি দিয়ে সম্বরা করব।

    “তোমরা মাঝে মাঝে হরিনাম করতে অমন এসো।”

    মুখুজ্জে প্রভৃতি ঠাকুরকে প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন।

    ঠাকুরের ঘরের ঠিক উত্তরের ছোট বারান্দাটির পাশে মুখুজ্জেদের গাড়ি আসিয়া দাঁড়াইল। গাড়িতে বাতি জ্বালা হইয়াছে।

    ভক্ত বিদায় ও ঠাকুরের স্নেহ 

    ঠাকুর এই বারান্দার চাতালের ঠিক উত্তর-পূর্ব কোণে উত্তরাস্য হইয়া দাঁড়াইয়া আছেন। একজন ভক্ত পথ দেখাইয়া একটি আলো আনিয়াছেন—ভক্তদের তুলিয়া দিবেন।

    আজ অমাবস্যা—অন্ধকার রাত্রি।—ঠাকুরের পশ্চিমদিকে গঙ্গা, সম্মুখে নহবত, পুষ্পোদ্যান ও কুঠি, ঠাকুরের ডানদিকে সদর ফটকে যাইবার রাস্তা।

    ভক্তেরা তাঁহার চরণে অবলুণ্ঠিত হইয়া একে একে গাড়িতে উঠিতেছেন। ঠাকুর একজন ভক্তকে বলিতেছেন—“ঈশানকে একবার বলো না—ওর কর্মের জন্য।”

    গাড়িতে বেশি লোক দেখিয়া পাছে ঘোড়ার কষ্ট হয়—ঠাকুর বলিতেছেন—“গাড়িতে অত লোক কি ধরবে?”

    ঠাকুর (Ramakrishna) দাঁড়াইয়া আছেন। সেই ভক্তবৎসলমূর্তি দেখিতে দেখিতে ভক্তেরা কলিকাতা যাত্রা করিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Union Budget 2025: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা, বৃদ্ধি গতবারের তুলনায় ৯.৫ শতাংশ

    Union Budget 2025: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা, বৃদ্ধি গতবারের তুলনায় ৯.৫ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ল চলতি বছরের বাজেটে (Union Budget 2025)। শনিবার, সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানেই তিনি জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ (Defence Budget Allocation) করা হয়েছে ৬ লক্ষ ৮১ হাজার ২১০ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৬ লক্ষ ২১ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। ফলে, গতবারের তুলনায় বরাদ্দ বেড়েছে ৯.৫ শতাংশ।

    মূলধন ব্যয় কতটা বাড়ল, তা অতি গুরুত্বপূর্ণ

    প্রতিরক্ষায় খরচের বিভিন্ন দিকের মধ্যে অন্যতম বড় হল মূলধন ব্যয়। এবারের বাজেটে (Union Budget 2025) মূলধন ব্যয় খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। যা গতবারের তুলনায় ১২.৯ শতাংশ বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই বরাদ্দের (Defence Budget Allocation) পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৭২ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে (Union Budget 2025) পেশ করা নথি অনুযায়ী, এবছর বরাদ্দ হওয়া মূলধন ব্যয়ের মধ্যে ৪৮ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বিমান ও ইঞ্জিনের জন্য। ২৪ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ নৌসেনার জন্য। ৬৩ হাজার ৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ অন্য সরঞ্জামের জন্য। অন্যদিকে, রাজস্ব খরচ বাবদ ধার্য করা হয়েছে ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮২২ কোটি টাকা, যার মধ্যে আবার পেনশন বাবদ বরাদ্দ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা।

    মোদি জমানায় মূলধন ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণ

    পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সাল থেকে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ (Defence Budget Allocation) প্রতি বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে, মূলধন ব্যয়ের খাতে বরাদ্দের পরিমাণ যথেষ্ট পরিমাণে বেড়েছে। তথ্য বলছে, কোভিড-পূরবর্তী যুগ থেকে এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান আরও বলছে, ২০১৫-২০ সময়ে প্রতি বছরে মূলধন ব্যয়ের বরাদ্দের বৃদ্ধির হার ছিল ৬ শতাংশ। সেখানে, ২০২০-২৫ সময়ে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯.১ শতাংশে। বিগত ১১ বছরে মোদি জমানায় প্রতিরক্ষায় মূলধন ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে (Union Budget 2025)। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই খরচের বৃদ্ধির হার ২৭.৭ শতাংশ ছিল, যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। তার আগের অর্থবছরে এই হার ছিল ২৫.২ শতাংশ।

    প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে

    প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে ২০২৯-৩০ অর্থবর্ষ নাগাদ দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদনকে ৩ লক্ষ কোটিতে নিয়ে যেতে চায় মোদি সরকার। একইসময়ে, প্রতিরক্ষা রফতানিকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে চায় কেন্দ্র। গত ৫ বছর ধরে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশ ভারতের থেকে অস্ত্র কিনে চলেছে। মায়ানমার ও ভিয়েতনাম ভারতের দীর্ঘদিনের খদ্দের। এর সঙ্গে নাম লিখিয়েছে ফিলিপিন্স এবং ইন্দোনেশিয়াও। গত ১০ বছরে ভারতের অস্ত্র রফতানি ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪-১৫ সালে যেখানে এই পরিমাণ ছিল ১৯০০ কোটি টাকা। সেখানে ২০২৩-২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা (Union Budget 2025)।

LinkedIn
Share