Blog

  • Rahul Gandhi: রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    Rahul Gandhi: রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনে গিয়েছিলেন। অথচ সফরের আগে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক থেকে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ছাড়পত্র (political clearance) নেননি কংগ্রেস (congress) সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্রেই এই দাবি করা হয়েছে। ওই সূত্র জানাচ্ছে, লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদদের বিদেশের কোনও কর্মসূচি বা অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে বিদেশ মন্ত্রক থেকে রাজনৈতিক ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাহুল সেই নিয়ম না মেনেই চলতি সপ্তাহে লন্ডনে সফরে (London trip) গিয়েছিলেন।

    আইডিয়াস ফর ইন্ডিয়া (Ideas for India) সম্মেলনে যোগ দিতে লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল। সেখানে তিনি তীব্র ভাষায় বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ শানান। পরে বিতর্কিত ব্রিটিশ লেবার পার্টির এক নেতার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাহুল রাজনৈতিক ছাড়পত্র না নিলেও, জাতীয় জনতা দলের আর এক সাংসদ অধ্যাপক মনোজ ঝা, যিনি লন্ডনের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন, তাঁর কাছে রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছিল। রাহুলের একদিন আগেই কেমব্রিজের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন ওই অধ্যাপক।

    অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর ব্রিটেনের লেবার পার্টির প্রাক্তন নেতা জেরেমি করবিনের (Jeremy Corbyn) সঙ্গেও দেখা করেন কংগ্রেস সাংসদ। এই জেরেমি করবিন তাঁর ভারত-বিরোধী (Anti-India), হিন্দুত্ব-বিরোধী (Anti-Hindu) অবস্থানের জন্য পরিচিত। ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেস (আইওসি) দ্বারা শেয়ার করা একটি ছবিতে জেরেমি করবিনকে আইওসির চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদা (Sam Pitroda) ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পোজ দিতে দেখা যায়। প্রসঙ্গত, জেরেমি করবিনকে তাঁর ‘অর্থবিরোধী’ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য লেবার পার্টির নেতৃত্ব দল থেকে বহিষ্কার করেছিল। জেরেমি করবিন জম্মু-কাশ্মীরে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ সমর্থকও।  

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের প্রশ্ন, কংগ্রেস নেতা ব্রিটিশ রাজনীতিকের সঙ্গে কী করছেন, যে ব্রিটিশ নেতা প্রকাশ্যে ভারত থেকে কাশ্মীরকে আলাদা করার পক্ষে সওয়াল করেন? বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালার প্রশ্ন, জেরেমি করবিনের মতো ভারত-বিরোধী মানুষের সঙ্গে দেখা করা হোক কিংবা ডোকলামের (Doklam) সময় চিনাদের সঙ্গে দেখা করা কেন রাহুল গান্ধীর হাত সবসময় তাঁদের সঙ্গে থাকে, যাঁদের হাত ভারতের বিরুদ্ধে? যদিও কংগ্রেসের বক্তব্য, রাহুলের বিদেশ সফরের জন্য সরকারি অনুমতির কোনও প্রয়োজনই নেই।

     

  • Jammu & Kashmir: আসন বাড়ল জম্মু-কাশ্মীরে, ডিলিমিটেশন কমিশনের রিপোর্টে বিতর্ক

    Jammu & Kashmir: আসন বাড়ল জম্মু-কাশ্মীরে, ডিলিমিটেশন কমিশনের রিপোর্টে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল জম্মু-কাশ্মীরে সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ। এক লপ্তে বাড়ল আসন সংখ্যাও। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ডিলিমিটেশন কমিশন। রিপোর্ট নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছে ভূস্বর্গের রাজনৈতিক দলগুলি।

    অশান্তির জেরে প্রায় দু’দশক জম্মু-কাশ্মীরে বন্ধ ছিল সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ। ক্ষমতায় এসে অশান্ত ভূস্বর্গে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হয় মোদি সরকার। সংসদের উভয় কক্ষে বিল পাশ করে রদ করে দেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। ভূস্বর্গকে পরিণত করা হয় দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। তবে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা দিতে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেয় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। যার জেরে শুরু হয় সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ। কাজ শেষে এদিন কেন্দ্রকে সেই রিপোর্টই জমা দল ডিলিমিটেশন কমিশন।

    ভূস্বর্গের কাশ্মীর এলাকাটি মুসলিম অধ্যুষিত। হিন্দু পণ্ডিতদের বিতাড়নের জেরে এই এলাকার প্রায় সব ভোটারই মুসলিম সম্প্রদায়ের। এর ঠিক উল্টো চিত্র জম্মুতে। এলাকাটি হিন্দু অধ্যুষিত। সীমানা পুনর্বিন্যাসের জেরে আসন সংখ্যা বেড়েছে জম্মুতে। সেখানে বেড়েছে ৬টি আসন। আর কাশ্মীরে বেড়েছে একটি আসন। সব মিলিয়ে আসন সংখ্যা বেড়েছে ৭টি। আগে ছিল ৮৩টি। আসন সংখ্যা বৃদ্ধির জেরে ভূস্বর্গের আসন বেড়ে হল ৯০টি। জম্মুর আসন সংখ্যা বাড়ায় খেপেছে কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি।

    যদিও ডিলিমিটেশন কমিশন জানিয়েছে, ২০১১ সালের জনসংখ্যার ভিত্তিতেই আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নয়া ব্যবস্থায় জম্মু-কাশ্মীরের যে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে, তার প্রতিটিতে এবার ১৮টি করে বিধানসভা কেন্দ্র থাকবে। স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের দাবি মেনে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের নাম বদল হয়েছে। যেমন, তানমার্গের নাম হয়েছে গুলমার্গ, জুনিমার হয়েছে জাদিবাল, শোনওয়ারের নাম হয়েছে লালচক, কাঠুয়া উত্তরের নাম হয়েছে জাসরোটা।

    ডিলিমিটেশন কমিশনের পেশ করা রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি। উপত্যকার বিভিন্ন দল নিয়ে গড়া গুপকর জোট জানিয়েছে, এর ফলে কাশ্মীরে যাঁরা সংখ্যাগুরু, তাঁরা রাজনৈতিক সংখ্যালঘুতে পরিণত হলেন। পুরোটাই করা হয়েছে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, যাবতীয় উদ্যোগ উপত্যকায় শান্তি ফেরাতেই করা হচ্ছে।   

  • Amit Shah on CAA: “মমতা দিদি, আপনি কিছুই করতে পারবেন না…”, কোন প্রসঙ্গে একথা বললেন অমিত শাহ?

    Amit Shah on CAA: “মমতা দিদি, আপনি কিছুই করতে পারবেন না…”, কোন প্রসঙ্গে একথা বললেন অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা ঢেউ কমলেই সিএএ (CAA) চালু করা হবে। বঙ্গ (West Bengal) সফরে এসে এমনটা ফের একবার জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)।

    রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly elections) পর প্রায় বছরখানেক কেটে গিয়েছে। দু দিনের সফরে বাংলায় এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Union Home minister) অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে বিএসএফের (BSF) হরিদাসপুর ১৫৮ ব্যাটালিয়নে আসেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ‘মৈত্রী মিউজিয়ামের’ শিলান্যাস করেন। সেখানেই বিজেপি (BJP) নেতা সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Santanu Thakur) সহ বিজেপি নেতা কর্মীরা দেখা করেন শাহের সঙ্গে। 

    বৈঠক শেষে শান্তনু ঠাকুর জানান, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই বাংলায় ‘সিএএ’ চালু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি সাংসদ ও মতুয়া মহাসংঘের প্রধান জানান, যদিও এবিষয়ে তাঁর সঙ্গে কোন কথাও হয়নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

    কিন্তু শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে আলোচনায় যে সিএএ প্রসঙ্গ উঠেছে তা বোঝা গেল শিলিগুড়িতে অমিত শাহের জনসভায়। সভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টই জানান, করোনা প্রকোপ কমলেই চালু হবে সিএএ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে অমিত বলেন, “তৃণমূল (TMC) সিএএ-র বিরোধিতা করছে। সেকারণেই মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। তৃণমূল বলছে, সিএএ নাকি কোনও দিনই বাস্তবের আলো দেখবে না। কিন্তু আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই করোনা প্রকোপ কমলেই নাগরিকত্ব পাবেন আমাদের ভাইরা।” 

    অমিত শাহ জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চান অনুপ্রবেশ চলুক। আর বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীরা কোনওদিন যেন নাগরিকত্ব না পায়। তিনি বলেন, “কান খুলে শুনে নিন, সিএএ ছিল, আছে, থাকবে। মমতা (Mamata) দিদি, আপনি কিছুই করতে পারবেন না।”

    গত লোকসভা নির্বাচনে সিএএ চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সংসদে পাশ হয় সিএএ আইন (Citizenship Act)। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ায় সিএএ কার্যকর করার কোনও পদক্ষেপ করেনি কেন্দ্র। সিএএ-র দাবিতে আন্দোলনও করেন জয়ী সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঠাকুরনগরে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি ছিল — করোনার প্রকোপ কমলেই চালু হবে সিএএ। আজও শিলিগুড়িতে সেই কথাই বললেন অমিত শাহ।

    যদিও কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, করোনার কারণেই এখনও CAA নীতি প্রণয়ন করা যায়নি। সেই কারণেই দেরি সিএএ প্রয়োগে।

  • NEET 2022: ফের স্থগিত হতে পারে এবছরের নীট পরীক্ষা, প্রতিনিধি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বৈঠকের পর এমনই সম্ভবনা দেখা দিয়েছে

    NEET 2022: ফের স্থগিত হতে পারে এবছরের নীট পরীক্ষা, প্রতিনিধি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বৈঠকের পর এমনই সম্ভবনা দেখা দিয়েছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এবছরের নীট (NEET PG 2022) পরীক্ষা স্থগিত (Postpone) করার ক্রমবর্ধমান দাবির মধ্যেই, অল ইন্ডিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিত্বকারী (FAIMA) পরীক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্যে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health) আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন। এই ডাক্তারি পরীক্ষার্থীরা প্রায় ৮-১০ সপ্তাহ পরীক্ষা স্থগিত করার দাবি করেছেন। আলোচনার শেষে পরীক্ষা ৪-৫ সপ্তাহ স্থগিত হতে পারে বলে ধারণা করছেন পরীক্ষার্থীরা।  অর্থাৎ জুন মাসে হতে পারে পরীক্ষা।  
       
    মে মাসে ২১ তারিখে এবছরের নীট পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা স্থগিত হলে নতুন ডেট যেকোন মুহুর্তে জানানো হতে পারে। 

    বেশ কিছুদিন ধরেই নীট পরীক্ষা পেছানোর জন্যে আবেদন জানাচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। দেশব্যাপী আন্দোলনেও নামেন অনেক পরীক্ষার্থী। সামাজিক মাধ্যমে #PostponeNEETPG_Modiji-এর মতো হ্যাশট্যাগও ট্রেন্ডিং হয়।তার পরিপেক্ষিতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাথে এই বৈঠক। বৈঠক যে ফলপ্রসূ হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত প্রতিনিধি ছাত্ররা।  

    গতবছরের নীট কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় বিলম্বিত হওয়ার কারণেই এবছরের নীট পরীক্ষা স্থগিত করার দাবি জানান চিকিৎসক পরীক্ষার্থীরা। 

    FAIMS ছাড়াও, AIMSA সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের কাছে একটি চিঠিতে এবছরের নীট পরীক্ষা ৮ থেকে ১০ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে। 

    ২০২১ সালের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর পরীক্ষায় সংরক্ষণের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন থাকার ফলে কাউন্সেলিং পর্ব শুরু হতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণের কারণে ২০২১ সালে পরীক্ষা দেরিতে হয়। আর এর  কারণেই হাজার হাজার এমবিবিএস স্নাতক এই বছরের মার্চ মাসের নীট-পিজি পরীক্ষার জন্য অযোগ্য হয়ে পড়েন। তাছাড়া যেসকল এমবিবিএস স্নাতক বর্তমানে তাদের ইন্টার্নশিপ শেষ করছেন তারাও এক বছর নষ্টের বিষয়ে চিন্তিত ছিলেন। কারণ তাদের ইন্টার্নশিপ এখনও শেষ হয়নি। এবং ইন্টার্নশিপ শেষ না হলে তারা এই বছর প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য যোগ্য হবেন না। এই কারণেই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছিল। আর তাই এবার পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়াতে এই এমবিবিএস ও ইন্টার্নরা পিজি পরীক্ষায় বসতে পারবেন।
     

  • Bagtui Violence: বগটুইকাণ্ডে নাম জড়াল বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের, প্রত্যক্ষদর্শীর বিস্ফোরক দাবিতে বিপাকে তৃণমূল

    Bagtui Violence: বগটুইকাণ্ডে নাম জড়াল বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের, প্রত্যক্ষদর্শীর বিস্ফোরক দাবিতে বিপাকে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিককালের একটি ঘটনা যা গোটা রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে তা হল বীরভূমের (Birbhum) বগটুইকাণ্ড (Bagtui violence)। রামপুরহাটের (Rampurhat) এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। ইতিমধ্য়েই এই কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। আর এরমধ্য়েই উঠে আসছে একটার পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

    ইতিমধ্য়েই, এই কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে একাধিক তৃণমূল নেতার। এই কাণ্ডের পরেই তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নেতা এখন সিউড়ি জেলে বন্দি। এবার উঠে এল উঠে এল রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। স্থানীয় বিধায়ক আশিসের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় জড়িত থাকার বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন এই হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী তথা নিহতদের আত্মীয় মিহিলাল শেখ। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস।

    সম্প্রতি, মিহিলাল শেখ দাবি করেছেন, ‘আশিস বন্দোপাধ্যায় আনারুলকে দিয়ে এসব কাণ্ড ঘটিয়েছেন। উনিই আনারুলকে ব্লক সভাপতি করেছেন। তিনি আনারুলকে গাইড করছেন। কাউকে যেন না ছাড়া হয়।’ এখানেই থেমে থাকেননি মিহিলাল। আশিসের বিরুদ্ধে আরও তোপ দাগেন তিনি। ক্ষোভের সুরে তাঁর অভিযোগ, ধৃতরা জেলের ভিতর রাজার হালে আছে। স্থানীয় বিধায়কের মদতে জেলের ভিতর তাদের সব সুবিধা পৌঁছচ্ছে।

    আশিসের নাম এই প্রথম উঠে এল এমনটা নয়। বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এর আগে আনারুলকে সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই আনারুলকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আমি আশিসকে বলেছিলাম।’ 

    গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন ১ নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ। তারপর বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে শিশু ও মহিলা সহ ৭ জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। পরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হা পাতালে ঘটনায় আহত আরও দুই মহিলার মৃত্যু হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে জোড়া ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনসহ মোট ২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

    ইতিমধ্যেই সিবিআই একের পর এক বহু প্রশাসনিক আধিকারিক এবং তৃণমূল নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সেক্ষেত্রে ডেপুটি স্পিকারের নাম জড়ানোই তাঁকেও কি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে? সেই প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে। চরম অস্বস্তিতে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস। মিহিলালের স্পষ্ট দাবি, ‘আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ওপর অত্যাচার করছে। যারা পুড়িয়ে মেরেছে তারা জেলে থেকেও সমস্ত রকমের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। জেলে এলাহিভাবে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। বিয়ার খাচ্ছে, বিরিয়ানি, বাইরের খাবার পাচ্ছে। আর এসব ব্যবস্থা করছে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।’ 

    যদিও, মিহিলালের (Mihilal Sheikh) যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেছেন রামপুরহাটের বিধায়ক। আশিস বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Deputy Speaker Ashish Banerjee) পাল্টা দাবি, মিহিলাল কারও শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন। পরিকল্পিতভাবে তিনি দলকে ও আমাকে হেয় করতে চাইছেন। তিনি বলেন, ‘এক মাস হয়ে গেল তারপর এখন এই ঘটনায় আমার নাম জড়ানো হচ্ছে। আমার মনে হয় এইসব পুরোপুরি মিথ্যা, শেখানো কথা। প্রমাণ থাকলে আমি নির্বাসন নেব।’

     

     

  • Saira Banu:  দিলীপ কুমারের স্মৃতিতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সায়রা বানু

    Saira Banu: দিলীপ কুমারের স্মৃতিতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সায়রা বানু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেতা দিলীপ কুমারের স্মৃতিতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু। দীর্ঘ অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করে ২০২১ সালের ৭ জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলিউডের অভিনেতা দিলীপ কুমার। প্রবীণ অভিনেত্রী সায়রা বানু তার প্রয়াত স্বামী, অভিনেতা দিলীপ কুমারের পক্ষে ভারতরত্ন ডঃ আম্বেদকর পুরস্কার গ্রহণ করার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন। মঙ্গলবার অনুষ্ঠানে, তিনি বলেছিলেন যে তিনি এখনও তাঁর সঙ্গেই আছেন।

    আরও পড়ুন: কিশোর কুমারের চারটি বিয়ে! এই বিষয়ে কী বললেন তাঁর পুত্র অমিত কুমার

    উল্লেখ্য, সায়রা এবং দিলীপ ১৯৬৬ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এবং ২০২১ সালের জুলাইয়ে দিলীপের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত অর্থাৎ ৫৫ বছর তাঁরা একসাথে ছিলেন। সম্প্রতি দিলীপ কুমারকে ভারতরত্ন ডঃ আম্বেদকর পুরস্কার (Bharat Ratna Dr Ambedkar Award) দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে মুম্বইয়ের এই অনুষ্ঠানে সায়রা বানু তাঁর স্বামীর তরফে উপস্থিত থাকেন ও পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।পুরস্কার নেওয়ার সময় তিনি তাঁর স্বামীর কথা মনে পড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি এদিন তাঁর বিষয়ে কথা বলার সময় তাঁকে কোহিনুর বলে সম্বোধন করে বলেন যে তাঁর স্বামীকে ভারত রত্ন সম্মানেও(Bharat Ratna) সম্মানিত করা উচিত।

    [insta]https://www.instagram.com/tv/Ceyq8aWKbbL/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    আরও পড়ুন: চার হাত, চার পা নিয়ে জন্মানো একরত্তি মেয়েকে নতুন জীবন দিলেন সোনু সুদ

    চোখ ভর্তি জল নিয়ে সায়রা বানু এদিন জানান, এই ধরণের অনুষ্ঠানে আসলে তাঁর দিলীপ কুমারের কথা আরও বেশি করে মনে পড়ে যায়। সেই জন্যই তিনি আসতে চান না। তিনি আরও জানান, দিলীপ সাহাব এই হিন্দুস্তানের কোহিনুর। তাই একজন কোহিনুর ভারত রত্ন সম্মান পাওয়ারই যোগ্য। তিনি স্মৃতিতে নয়, আজও তাঁর পাশে আছেন। আর এটাই তাঁর বিশ্বাস যে তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি তাঁর পাশে হাঁটবেন। তাই তাঁর কখনও মনে হয় না যে তিনি নেই। যতদিন তিনি বাঁচবেন তিনি তাঁর সঙ্গী হয়েই থাকবেন। 

     

  • Amit Shah: ‘সেদিন দেশবাসীর অধিকার…’, ৭৫-এর জরুরি অবস্থা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘সেদিন দেশবাসীর অধিকার…’, ৭৫-এর জরুরি অবস্থা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতার জন্য কংগ্রেস (Congress) ভারতীয়দের সাংবিধানিক অধিকার (Constitutional Rights) কেড়ে নিয়েছিল। এমনই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দেশে জরুরি অবস্থার ৪৭ বর্ষপূর্তি। ১৯৭৫ সালের এই দিনেই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সেই কারণেই এদিন কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    এদিন সকালে একট ট্যুইটবার্তায় শাহ বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে কংগ্রেস ক্ষমতার জন্য প্রত্যেক ভারতবাসীর সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। তিনি বলেন, কংগ্রেস শাসন বর্বরতার দিক থেকে বিদেশি শাসনকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। তিনি সেই দেশপ্রেমিকদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, যাঁরা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে এবং স্বৈরাচারী মানসিকতাকে পরাস্ত করতে সর্বস্ব উৎসর্গ করেছিলেন।

    আরও পড়ুন : ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন মধ্যরাতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ সংবিধানের ৩৫২ অনুচ্ছেদের অধীনে জরুরি অবস্থা জারি করেন। ১৯৭১ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইন্দিরার জয়কে অবৈধ ঘোষণার পরে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয় দেশ। ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়ে জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। সেই সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন, সেন্সরশিপ ছাড়াও বহু মানুষকে জেলবন্দি করা হয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর জরুরি অবস্থা জারির এই সিদ্ধান্তকে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অন্ধকারময় সময় বলে বিবেচনা করা হয়। ১৮ মাস পরে প্রত্যাহার করা হয় জরুরি অবস্থা। ১৯৭৭ সালে নির্বাচনে হেরে যায় কংগ্রেস।

    দিনটিকে অন্ধকারময় চ্যাপ্টার বলে উল্লেখ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, ৪৭ বছর আগে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত একটি অন্ধকারময় অধ্যায়। এটা কখনওই ভোলা যাবে না।বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, বিজেপি সেই সব বীরদের স্মরণ করে, যাঁরা ভারতের গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য লড়াই করেছিলেন।

    আরও পড়ুন : আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন পণ্ডিতরা, জরুরি বৈঠক ডাকলেন অমিত শাহ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, ২৫ জুন দিনটি ভারতের গণতন্ত্রে একটি কালো দিন। ক্ষমতার জন্য শাসক নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব করেছিলেন।গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করেছিলেন। দুর্বল করেছিলেন বিচার বিভাগকেও।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, জরুরি অবস্থা ভারতের গণতন্ত্রের ভয়াবহ অন্ধকার দিনগুলির কথা মনে করিয়ে দেয়।

     

     

  • LIC IPO: ৪ মে আসছে এলআইসি-র আইপিও, শেয়ারের দাম কত হবে, জানাল সেবি

    LIC IPO: ৪ মে আসছে এলআইসি-র আইপিও, শেয়ারের দাম কত হবে, জানাল সেবি

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে বাজারে আসছে এলআইসি-র আইপিও (LIC IPO)। ৪ মে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার (Life Insurance Corporation) বা এলআইসি-র এই ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও)। 

    ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের তরফে জানানো হয়েছে, মে মাসের ৪ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত আইপিও কেনাবেচা চলবে। খুচরো বিনিয়োগকারী (retail investors) থেকে শুরু করে পলিসিহোল্ডার (LIC policyholders) এবং বিমা কর্মীরা (LIC employees) এই সময় আবেদন করতে পারবেন। তবে, প্রতিষ্ঠানিক এবং বড় বিনিয়োগকারীরা (institutional investors) এই সুবিধা ২ মে থেকেই লাভ করতে পারবেন। বুধবার সেবি থেকে বরাদ্দ শেয়ারের পরিমাণ-সহ আইপিও সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্যও জানানো হয়েছে। ৫ শতাংশের পরিবর্তে বর্তমানে ৩.৫ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়া হবে বলে আগেই জানিয়েছে সংস্থা।

    প্রতিটি ইক্যুইটি শেয়ারের (equity share) মূল্য ৯০২ টাকা থেকে শুরু করে ৯৪৯ টাকা পর্যন্ত ধার্য করেছে সংস্থা (LIC IPO price band) ৷ সেক্ষেত্রে একটি লটে থাকা ১৫টি শেয়ার কিনতেই হবে বিনিয়োগকারীদের ৷ অর্থাৎ, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করতে হচ্ছে ১৪ হাজার টাকার কিছু বেশি ৷ তবে, বিনিয়োগকারীরা ১৫ এবং তার গুণিতকে শেয়ারের আবেদন জানাতে পারেন। জীবনবিমাকারী গ্রাহকদের জন্য ২.২১ কোটি এবং কর্মচারীদের জন্য ১.৫৮ কোটি শেয়ার সংরক্ষিত রাখা হবে। কর্মচারীরা শেয়ারের উপর ৪৫ টাকা ও জীবনবিমাকারী গ্রাহকরা ৬০ টাকা ছাড় পাবেন।

    চূড়ান্ত জমাপত্র অনুযায়ী, ১৬ মে-র মধ্যে আবেদনকারীদের ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে (Demat account) বিতরণ শেষ করবে সেবি। ১৭ মে থেকে এলআইসি শেয়ার বাজারে (share market) তাদের নাম নথিভুক্ত করবে এবং স্বাভাবিক লেনদেন শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    প্রাথমিকভাবে সংস্থার বাজারে সংস্থার ৩১ কোটি শেয়ার ছেড়ে তা থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা কোষাগারে আনার পরিকল্পনা ছিল সরকারের ৷ সেক্ষেত্রে সংস্থার ৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল সরকার ৷ কিন্তু বাজার অস্থিরতার কারণে সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচিত হয় ৷ স্থির হয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ৫ শতাংশের বদলে ৩.৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়া হবে।  এর ফলে ভ্যালুয়েশনও কমে দাঁড়ায় ২২.১৩ কোটি শেয়ার ৷ 

    পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আয়তনে কমলেও দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আইপিও হতে চলেছে জীবন বিমা নিগমের ৷  ডিআইপিএএম (DIPAM) সেক্রেটারি তুহিনকান্ত পাণ্ডে (Tuhin Kanta Pandey) বলেন, “আয়তন কমলেও জীবন বিমা নিগমের আইপিও-ই দেশের সর্ববৃহৎ আইপিও হতে চলেছে ৷” চলতি বছর বাজেট ঘোষণায় জীবন বিমা নিগমের শেয়ার বিক্রির কথা ঘোষণা করেছিলেন নির্মলা সীতারমণ ৷

     

     

  • Mamata Banerjee BGBS 2022: শিল্প সম্মেলনে কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রসঙ্গ উত্থাপন করা কি আদৌ প্রয়োজন ছিল মুখ্যমন্ত্রীর?

    Mamata Banerjee BGBS 2022: শিল্প সম্মেলনে কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রসঙ্গ উত্থাপন করা কি আদৌ প্রয়োজন ছিল মুখ্যমন্ত্রীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক হোক বা বাণিজ্যিক, শিল্প হোক বা সামাজিক– কেন্দ্রকে বিঁধতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যে কোনও সুযোগ ছাড়েন না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা কারোরই অজানা নয় যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই প্রতিপক্ষমূলক রাজনীতি পছন্দ করেন। কিন্তু, সদ্যসমাপ্ত বাণিজ্য সম্মেলনে তিনি সম্ভবত লাল দাগ অতিক্রম করলেন। 

    বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS 2022) মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের রাজ্যপালকে বলেছেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি যাতে শিল্পপতিদের হেনস্থা না করে তা যেন তিনি কেন্দ্রকে বলে নিশ্চিত করেন। সেইসময় সভাঘরে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি থেকে শুরু করে ১৪টি দেশের আমন্ত্রিত শিল্প ও কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা। তাঁদের সামনেই মুখ্যমন্ত্রী একথা বলে দেন।

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সব রকম সাহায্য আমরাও পেতে চাই। তবে শিল্পপতিদের তরফে রাজ্যপালের কাছেও আমার একটি অনুরোধ আছে। অনুরোধ এই যে, শিল্পপতিদের যেন কেন্দ্রীয় সংস্থা মারফৎ কোনওরকম হেনস্তা না করা হয়। রাজ্যপালও যেন বিষয়টি কেন্দ্রের কানে পৌঁছে দেন।’ 

    শেষোক্তি কতটা যুক্তিযোগ্য়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। বিশেষ করে, বাণিজ্য সম্মেলনের মতো একটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কথা বলার কি আদৌ প্রয়োজন ছিল? আর এই কথা তিনি বলছেন কাকে? — মঞ্চে উপস্থিত রাজ্যের রাজ্যপালকে। রাজনৈতিক মঞ্চ হলে হয়ত কোনও কথা ছিল না। প্রশাসনিক জায়গা হলে, তবুও মানা যেত। কিন্তু, রাজ্যের বর্তমান শাসক দলের ফ্ল্যাগশিপ বাণিজ্য সম্মেলনে দেশী-বিদেশি অতিথিদের সামনে কেন্দ্রকে ও কেন্দ্রের প্রতিনিধিকে শ্লেষাত্মক কথা বলা আদপেই নিষ্প্রয়োজন ছিল।

    মমতার এই মন্তব্য আরও অনভিপ্রেত এই কারণে যে, এই মঞ্চে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক আগে, নিজের বক্তব্যের সময় কেন্দ্র-রাজ্যের বিভেদ ভুলে একসঙ্গে এগিয়ে চলা উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যপাল। ধনকড় বলেন, বাংলার উচিত রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে, উন্নয়নের কথা ভেবে কেন্দ্রের সঙ্গে মিলে কাজ করা। এতেই বাংলার ভাল হবে।

    সম্মেলনে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী গত বছরই দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করেছিলেন। তবে পূর্ব-নির্ধারিত সূচি থাকায় সম্মেলনে যোগ দিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, মমতা তাঁর অনুপস্থিতিতেই তাঁকে বিঁধলেন শিল্পপতি ও রাজ্যপালের সামনেই। মুখ্যমন্ত্রী হয়ত এটা ভুলে যাচ্ছেন, শিল্পপতিরা যাই করুক, তাঁরা কেউ-ই কেন্দ্রকে চটাতে চাইবেন না। ফলে, তাঁর এই মন্তব্য শিল্পপতিদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে বাধ্য। এটা মাথায় রাখতে হবে, বর্তমান যুগে, কোথায় কী হচ্ছে, কী ঘটছে, সে সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহাল। রাজ্য ও রাজ্য প্রশাসন সম্পর্কে, সব খোঁজখবরই থাকছে সকলের কাছে। 

    ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য আখেরে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসতে পারে। অন্তত এমনটাই মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।

     

  • Concentration on Study: পড়াশোনায় শিশুর মনোযোগ বাড়ানোর সহজ উপায়

    Concentration on Study: পড়াশোনায় শিশুর মনোযোগ বাড়ানোর সহজ উপায়

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিশু মাত্রই চঞ্চল। তাদের এক জায়গায় বসানোই মুশকিল। কিন্তু পড়াশোনার ক্ষেত্রে মনোযোগ তো বাড়াতেই হবে। ছোটদের পড়ায় মন বসানোর জন্য রইল সহজ কয়েকটি উপায়

    খেলতে দিন: খালি পড়তে বসার কথা না বলে, শিশুকে রোজ অন্তত এক ঘণ্টা ছোটাছুটি করে খেলার সময় দিন। এতে তার ঘাম ঝরবে। ফলে শরীরে এনডরফিন বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হবে। এরপর বাচ্চাকে পড়াতে বসালে প্রথম ঘণ্টাখানেক সে মন দিয়ে পড়বে। 

    অ্যকটিভিটি বই, পাজ়ল দিন: এখন প্রচুর ইন্ডোর গেমস, বই পাওয়া যায়, যা বাচ্চার কগনিটিভ স্কিল বাড়ায়— যেমন নানা ধরনের অ্যাকটিভিটি বুক, বিল্ডিং ব্লকস, পাজ়লস ইত্যাদি। স্মার্টফোনের বদলে এই ধরনের খেলা বা বই ওর হাতে তুলে দিলে মনোযোগের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। সন্ধেবেলা পড়ার মাঝে একটু বিরতি নিয়ে কিছুটা পাজ়ল সলভ করলে বা বিল্ডিং ব্লকস নিয়ে খেললে কখনও মনোযোগে ঘাটতি পড়বে না আবার পড়াশোনার একঘেয়েমিও কাটবে।

    মিউজ়িকে মন ঠাণ্ডা হয়: ছোট থেকে শিশুকে মিউজ়িক ইনস্ট্রুমেন্টে তালিম দিতে পারেন। বিদেশে অনেক জায়গায় আড়াই বছর বয়স থেকে পিয়ানো শেখানো হয়। অতটা সম্ভব না হলে তবলা, মাউথ অর্গ্যান, সিন্থেসাইজ়ার— যে কোনও একটি বাজনা শেখাতে পারেন। নোট ধরে সুর তোলার মধ্য দিয়ে কনসেনট্রেশন লেভেল অনেকটাই বাড়ে।

    গল্প শোনান: শোওয়ার আগে কিছুটা সময় বাচ্চাকে গল্প বলুন। অভিনয় করে গল্প বললে ওরা আগ্রহী হবে। গল্পের মাঝে ওকে প্রশ্ন করার সুযোগ দিতে হবে। এতে খুদে শ্রোতাটির ধৈর্য ধরে শোনার প্রবণতাও তৈরি হবে। মনোযোগ বাড়াতে গল্প শোনানোর ভূমিকা বিরাট। সে গল্প শুনছে কি না, তা বুঝতে আপনিও পরে গল্পের মধ্য থেকে প্রশ্ন করে যাচাই করে নিতে পারেন।

    ছোট নির্দেশ: লেখার সময়ে ওকে ছোট ছোট নির্দেশ দিন। প্রথমে তিনটে দিয়ে শুরু— যেমন ছবি আঁকার ক্ষেত্রে ‘পয়েন্টগুলোকে জুড়ে দাও, রং দিয়ে আউটলাইন টানো, ভিতরটা রং করো।’ আস্তে আস্তে নির্দেশের সংখ্যা বাড়াতে থাকুন আর দেখুন ও কতটা মনে রাখতে পারছে। বাড়িতে নির্দেশ মতো ঠিকঠাক কাজ করার অভ্যেস গড়ে তুললে স্কুলেও শিক্ষকদের নির্দেশ মানার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না।

LinkedIn
Share