Blog

  • Bengali Hindu Homeland: ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পশ্চিমবঙ্গের অস্তিত্ব রক্ষার ঘোষণা

    Bengali Hindu Homeland: ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পশ্চিমবঙ্গের অস্তিত্ব রক্ষার ঘোষণা

    মোহিত রায়

     

    পশ্চিমবঙ্গ যুক্ত বাংলার পশ্চিম ভাগের শুধু একটি মানচিত্র মাত্র নয়, এটি বাঙালি হিন্দুর মুক্তির ভাবনা। সাড়ে পাঁচশ বছরের ইসলামী শাসন বাংলার কয়েক হাজার বছরের ধর্ম সংস্কৃতি ভাষাকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। বাংলায় তাই নেই কোনও প্রাচীন মন্দির, বৌদ্ধ বিহার। বলপূর্বক ধর্মান্তরকরণে হিন্দু-বৌদ্ধের বাংলাকে বানানো হয়েছে ইসলাম প্রধান বাংলা। ব্রিটিশ শাসন এই দুঃশাসন থেকে মুক্তি দেয়, বাঙালির নবজাগরণের অগ্রদূত রাজা রামমোহন রায় যাকে বলেছেন “ডিভাইন প্রভিডেন্স বা বিধির আশীর্বাদ”। 

    ১৮৭২ সালের প্রথম জনগণনার পর সরকারীভাবে প্রতিষ্ঠিত হল বাংলায় মুসলমান জনসংখ্যা হিন্দুর চেয়ে কিছু বেশী। ১৯৩১ পর্যন্ত এ পার্থক্য তেমন বেশি ছিল না। ৫৫ শতাংশ মুসলমান, ৪৫ শতাংশ হিন্দু। কিন্তু এই সুযোগেই ব্রিটিশ সরকার আনল ১৯৩৫ সালের সাম্প্রদায়িক চুক্তি বা কমিউনাল অ্যাওয়ার্ড। বাংলার আইনসভায় মুসলমান আসন হল ১৩০ টি। হিন্দু আসন, তফসিলি আসন মিলিয়ে, মাত্র ৯০। 

    এই চুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, ডাঃ নীলরতন সরকার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্যরা। তাঁদের বিবৃতিতে তাঁরা খুব স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন যে সংখ্যায় মুসলমানরা বেশি হলেও শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিৎসা, ব্যাবসা বানিজ্য সবকিছুতেই হিন্দুরা অনেক এগিয়ে। সুতরাং বাংলার ভালমন্দের সিদ্ধান্ত কেবল জনসংখ্যার মানদণ্ডে হতে পারে না। বাংলার কংগ্রেস, বিশেষতঃ সুভাষচন্দ্র বসু, এই চুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন।

    ১৯৩৫-এর কমিউনাল অ্যাওয়ার্ড মেনে ১৯৩৭-এর নির্বাচন থেকে শুরু হল আবার মুসলিম লিগের ইসলামী শাসন। স্বাধীনতা ও দেশভাগের আবহাওয়ায় তপ্ত হয়ে উঠল বাংলায় ইসলামী অত্যাচার। ১৯৪৬-এর কলকাতার মহাদাঙ্গা ও নোয়াখালীর হিন্দু গণহত্যার পর বাঙালি হিন্দু বুঝে গেল আগামী দিনে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলায় তাদের অবস্থা কী হবে। 

    এগিয়ে এলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সরব হলেন বাংলার মনীষীরা। ইতিহাসবিদ যদুনাথ সরকার, রমেশচন্দ্র মজুমদার, ভাষাবিদ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা, শিশির মিত্র, নমশুদ্র নেতা প্রমথরঞ্জন ঠাকুর বললেন বাঙালি হিন্দুর হোমল্যান্ড চাই। এগিয়ে এলেন বাংলার কংগ্রেস নেতারাও, ডাঃ বিধান রায়, অতুল্য ঘোষ। 

    বাঙালি হিন্দুর কয়েক হাজার বছরের ধর্ম সংস্কৃতি বাঁচাতে, হিন্দু নারীর সম্মান রক্ষার্থে, বাঙালি হিন্দুর নিজের বাসস্থানের দাবিতে তৈরি হল পশ্চিমবঙ্গ। ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় আইনসভা বাংলা ভারত বা পাকিস্তান যোগদানের প্রশ্নে একমত হল না। তখন হিন্দু প্রধান অঞ্চল নিয়ে হল পশ্চিমবঙ্গ আইনসভা ও মুসলমান প্রধান অঞ্চল নিয়ে হল পূর্ববঙ্গ আইনসভা। 

    পশ্চিমবঙ্গ আইন সভায় সংখ্যাধিক্যের ভোটে পশ্চিমবঙ্গের ভারতভুক্তি নিশ্চিত হয়। যুক্ত বাংলার সব মুসলমান সদস্যরা পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দেন, কতিপয় তফসিলি সদস্য ছাড়া সব তফসিলি সদস্য সহ সব হিন্দু সদস্যরা ভারতভুক্তির পক্ষে ভোট দেন। পশ্চিমবঙ্গ গঠনের পক্ষে ভোট দেন কমিউনিস্ট জ্যোতি বসু ও রতনলাল ব্রাহ্মণ। বাংলাকে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত করার বিরুদ্ধে ভোট দেন মতুয়া গুরু পি আর ঠাকুর।

    ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস উদযাপন এই ভাবনাকে প্রতিষ্ঠা করার অঙ্গীকার। কেউ বলছেন, আমরা বাংলায় বিভাজন করছি। বিভাজন তো হয়ে গেছে আজ থেকে আটশো বছর আগে যখন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় আগুনে পুড়িয়ে বখতিয়ার খিলজি বাঙলায় ঢুকল। তারপর থেকে বাঙলার একটিও পুরনো মন্দির আর দাঁড়িয়ে নেই। যতদিন ত্রিবেনীর জাফর খানের মসজিদ, আদিনার মসজিদ অপসারিত না হচ্ছে ততদিন বিভাজন তো থাকবেই। 

    পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করাই আমাদের প্রাথমিক কাজ। আজ খুব দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে হবে বাংলায় কথা বললেই সে বাঙালি নয়, তাকে পাঁচ হাজার বছরের ভারতীয় সভ্যতার উত্তরাধিকারও স্বীকার করতে হবে। বাংলাভাষী ও বাঙালি এক নয়। পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিন্দু আজ বহন করছে সেই উত্তরাধিকারের দায়িত্ব। পারসী, সিন্ধি, কাশ্মিরী পণ্ডিতদের আজ আর নিজেদের দেশ নেই, তাঁরা হারিয়ে যাচ্ছেন ভারতের বিভিন্ন কোণে, হারিয়ে যাচ্ছে তাঁদের ভাষা-সংস্কৃতি।

    শ্যামাপ্রসাদ পশ্চিমবঙ্গ গড়েছিলেন বলেই আজও বাঙালি হিন্দু তাঁর ধর্ম-ভাষা-সংস্কৃতি নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু আর কতদিন? পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্তান বানাতে ইসলামী মৌলবাদী শক্তি নাগরিকত্ব আইন ও এনারসির বিরোধিতায় রাজ্য সরকারের প্রশ্রয়ে ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর সারা বাংলা জুড়ে হিংসাত্মক আক্রমণ চালায়। কিন্তু শ্যামাপ্রসাদের পশ্চিমবঙ্গকে আমরা ধ্বংস করতে দেব না। সেজন্যই আজ প্রয়োজন পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা ও রক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বোঝা ও দিকে দিকে ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা।

     

    (মতামত লেখকের ব্যক্তিগত)

  • Modi in Japan: মোদির সফরেই সাফল্য! ভারতের স্মার্ট সিটি ও 5G পরিষেবায় অবদান রাখবে জাপান

    Modi in Japan: মোদির সফরেই সাফল্য! ভারতের স্মার্ট সিটি ও 5G পরিষেবায় অবদান রাখবে জাপান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরেই মিলল সাফল্য! ভারতে স্মার্ট সিটি (smart cities) তৈরিতে অবদান রাখবে জাপান (Japan)। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) সঙ্গে সাক্ষাতের পর একথা জানান এনইসি (NEC) কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান নোবুহিরো এন্ডো।

    কোয়াড বৈঠকে (QUAD summit) যোগ দিতে দু’দিনের জাপান সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ৪০ ঘণ্টায় ২৩টি কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি কর্মসূচি সারা হয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। টোকিওতে (Tokyo) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নোবুহিরো। তিনি বলেন, স্মার্ট সিটির দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা ফাইভ-জি (5G) পরিষেবায়ও অবদান রাখতে পারি।

    আরও পড়ুন : মোদিময় জাপান! প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল ‘মোদি মোদি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান

    তিনি জানান, নিরাপদ ফাইভ-জি প্রদানের জন্য ভারতের টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে সহযোগিতা করার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হবে। বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনগুলি বাস্তবায়নের জন্য ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। নোবুহিরো বলেন, ফাইভ জি সিস্টেম দেওয়ার জন্য আমাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। তাই অপারেটরদের সঙ্গে সহযোগিতা ও সিস্টেমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে। তিনি বলেন, ৬ হাজার ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার আমাদের ইতিমধ্যেই রয়েছে। আমাদের কাজের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠভাবেই যুক্ত তাঁরা। আমরা তাঁদের সঙ্গে আমাদের প্রকল্প চালিয়ে যেতে চাই।

    আরও পড়ুন : বাঃ! কোথা থেকে শিখলে? জাপানি শিশুর হিন্দিতে মুগ্ধ মোদি

    প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৫ জুন ভারতে স্মার্ট সিটি মিশন (Smart City Mission) চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রকল্পটির লক্ষ্য ছিল, ভারতে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটানো। পাঁচ রাউন্ডে সারা দেশে ১০০টি শহর বেছে নেওয়া হয়েছে। এলাকা উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুযায়ী এসব শহরকে উন্নীত করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্ন পূরণেই সহযোগিতা করবে জাপান।

    এ নিয়ে তৃতীয়বার জাপান সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোয়াড বৈঠকে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি আলাদা করে বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe BIden), জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। জাপানের ৩৫ জন ব্যবসায়ীর সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন তিনি। আলাপচারিতা করবেন জাপানে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও।

     

  • Superfoods: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? হার্ট সতেজ রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সুপারফুডগুলো

    Superfoods: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? হার্ট সতেজ রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সুপারফুডগুলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোও দুর্বল হয়ে পড়ে। আর বর্তমানে হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বয়সেরও দরকার পড়ে না। যেই গতিতে হার্টের রোগ বাড়ছে, তাতে প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। বিশেষত, এমন খাবার পাতে রাখার চেষ্টা করুন যা খেলে হার্ট ভালো থাকতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, এমন কয়েকটি সুপারফুডের বিষয়ে বলা হল যা হার্টের ক্ষেত্রে উপকারী, বিশেষ করে যারা ৫০ বছর পেরিয়ে গিয়েছেন তাদের ডায়েটে এই খাবারগুলো রাখা উচিত।

    দানা শস্য

    পরিশোধিত শস্যের বিপরীতে,  গোটা শস্য শরীরে, বিশেষ করে হার্টের জন্য অনেক বেশি সুবিধা প্রদান করে। পরিশ্রুত খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়,  কিন্তু গোটা শস্য হার্টোর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

    ডার্ক চকোলেট

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার আপনার শরীর এবং হার্টকে আমাদের চারপাশে উপস্থিত টক্সিন থেকে সুরক্ষিত রাখে। ডার্ক চকোলেট প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ যা হার্টের কার্যকারিতা উন্নত করে।

    ক্রুসিফেরাস সবজি

    ক্রুসিফেরাস শাকসবজি যা সবুজ শাক সবজি নামে পরিচিত তার মধ্যে রয়েছে লেটুস, বাঁধাকপি, পালং শাক, ব্রকলি, ফুলকপি ইত্যাদি। এই সবজি ফাইবার এবং অন্যান্য বিভিন্ন পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং হার্টের জন্য ভালো।

    চর্বিযুক্ত মাছ

    চর্বিযুক্ত মাছ যেমন স্যামন, টুনা ইত্যাদি প্রোটিন এবং উপকারী ফ্যাটের একটি বড় উৎস। শরীরের বিভিন্ন কাজের জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। এর পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ভিটামিন শোষণ করতে সাহায্য করে।

    আরও পড়ুন: পুরুষের তুলনায় বাঙালি মহিলারা নিরাপদ যৌন সংসর্গে বেশি আগ্রহী, বলছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট

    বাদাম

    বাদাম সবচেয়ে পুষ্টিকর সুপারফুডগুলির মধ্যে একটি। এগুলি পুষ্টিতে ভরপুর এবং শরীরের বিভিন্ন কার্যকারিতা উন্নত করে। গবেষণায় দেখা গেছে, আখরোট অনেক করোনারি রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।

    টমেটো

    টমেটো প্রদাহ কমায় এবং বিভিন্ন করোনারি রোগের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।

    অলিভ ওয়েল

    অলিভ অয়েল হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আরেকটি খাবার। বিভিন্ন তেল করোনারি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় যেখানে জলপাই তেল এটি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

    লেগুম

    ৫০ বছরের বেশি মানুষের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হৃদরোগের মধ্যে একটি হল কোলেস্টেরল। মুসুর ডাল, মটরশুটি এবং ছোলার মত লেগুম কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এগুলি প্রয়োজনীয় খনিজ লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ যা আমাদের দেহের কার্যকারিতায় সহায়তা করে।

    বেরি

    ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার হল বেরি। এই উপাদানগুলি আমাদের হৃদয়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং উন্নত করে। ৪০-এর পরে আপনার ডায়েট সম্পর্কে খুব সতর্ক হওয়া উচিত।

  • Sushovan Bandyopadhyay: ওনার কথা আজও মনে পড়ে! প্রয়াত চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে চিঠি মোদির

    Sushovan Bandyopadhyay: ওনার কথা আজও মনে পড়ে! প্রয়াত চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে চিঠি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মশ্রী প্রাপ্ত ডাক্তার প্রয়াত সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে মন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকবার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি চিঠিতে লেখেন, ‘ডাক্তার সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বশ্রেষ্ঠ মানবাত্মার প্রতীক। অসংখ্য মানুষের রোগ উপশমকারী একজন দয়ালু ও উদারহৃদয় চিকিৎসক হিসেবেই তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাঁর পরিবারের পাশে আছি। ওনার জায়গা পূরণ হওয়ার নয়। ওনার চলে যাওয়া এক অপূরণীয় ক্ষতি। উনি না থাকলেও ওনার আদর্শ এবং কাজ আমাদের মধ্যে চিরদিন থেকে যাবে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, ‘পদ্ম পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সময় তাঁর সঙ্গে মত বিনিময়ের কথা আমার আজও মনে আছে । তাঁর প্রয়াণে আমি ব্যথিত।’ এর আগে তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী।

    গত ২৬ জুলাই প্রয়াত হন বোলপুরের ((Bolpur) অত্যন্ত জনপ্রিয় চিকিৎসক ‘১ টাকার ডাক্তার’ (1 Rupee doctor) সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় (Sushobhan Banerjee)। কিডনির সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। ৮৪ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ফেলেন (Demise) তিনি। বছরের পর বছর ধরে এলাকায় এক টাকার ডাক্তার হিসাবে পরিচিত ছিলেন, সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুরের হরগৌরিতলায় ৫৭ বছর ধরে মাত্র এক টাকায় রোগী দেখে আসছিলেন তিনি। গরিব মানুষদের জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ।

    আরও পড়ুন: ভালো নেই সলমন রুশদি, হারাতে পারেন একটি চোখ

    ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন ডাক্তার সুশোভন ব্যানার্জি।  গত কয়েক মাস ধরেই কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন। ধারাবাহিকভাবে চলছিল তাঁর ডায়ালাইসিস। তবে এই ডায়ালাইসিস চলাকালীনও তিনি যতটা সম্ভব রোগীদের পরিষেবা দিয়েছেন। এরই মধ্যে ১৫-২০ দিন আগে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সুশোভনবাবু আজীবন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট সদস্য ছিলেন। সাধারণ মানুষের আর্জি মেনে নিয়ে জীবিত অবস্থায় বোলপুরে তিনি নিজের মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন।

  • Covid 19 in India: ঊর্ধ্বমুখী করোনারগ্রাফ, দেশজুড়ে ১৯৫ কোটি টিকাকরণ

    Covid 19 in India: ঊর্ধ্বমুখী করোনারগ্রাফ, দেশজুড়ে ১৯৫ কোটি টিকাকরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  তৃতীয়  ঢেউয়ের পর করোনায় (Covid 19) সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখল ভারত। ফের বাড়ল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। একদিনে আক্রান্ত সাড়ে আট হাজার। গত কয়েকদিন ধরেই টানা বেড়ে চলেছে কোভিডের দৈনিক সংক্রমণের হার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৫৮২ জন। তার আগের দিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৩২৯। দেশে এখন সক্রিয় করোনারোগী (Active Covid Case) ৪৪ হাজার ৫১৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।    

    তার এক দিন আগে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১০।  এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৭৬১ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে কোআরও পড়ুন: দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনাগ্রাফ, চতুর্থ ঢেউয়ের পূর্বাভাস?ভিড সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৯১ জন। ভারতে এখন সুস্থ হওয়ার হার ৯৮.৬৬ শতাংশ। রবিবারের বুলেটিন অনুযায়ী দেশে এখন করোনা পজিটিভিটি রেট ২.৭১ শতাংশ।  

    আরও পড়ুন: আশঙ্কা বাড়াচ্ছে করোনা, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ কেন্দ্রের  

    করোনা সংক্রণ ঠেকাতে দেশজুড়ে জোরকদমে চলছে টিকাকরণ (Vaccination)। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতে এখন বুস্টার ডোজ(Booster Dose) দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। গবেষকদের দাবি, জুনেই ভারতে চতুর্থ ঢেউ আসতে পারে। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে মোট ১৯৫ কোটি ৭ লক্ষ ৮ হাজার ৫৪১ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৯১.৬৯ কোটি এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৮৩.৩৭ কোটি। ১৮-৫৯ বছরের মধ্যে ৩.৫৪ কোটি জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে মোট ১৩,০৪,৪২৭ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ৪৫,৩০০ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৫.১১ লক্ষ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮-৫৯ বছর বয়সীদের ১.৪৮ লক্ষ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১.৬৭ লক্ষ জনকে একদিনে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।  

       

    রাজ্যভিত্তিক টিকাকরণের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। সে রাজ্যে এযাবৎ মোট ৩৩.২৭ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। এরপরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) মোট ১৬.৭৮ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে। তারপরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। এরাজ্যে মোট ১৪.৭ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে।  

     

     

     

     

     

  • Fish for Brain Health: মস্তিষ্কের ভালোর জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন এই মাছটি..

    Fish for Brain Health: মস্তিষ্কের ভালোর জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন এই মাছটি..

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মস্তিষ্ক হল শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শরীরের সমস্ত কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। সুতরাং মস্তিষ্ককে ভালো রাখার জন্য আমাদের বিশেষ নজর রাখা উচিত। আপনার লাইফস্টাইলের অনেকটাই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যে ভূমিকা পালন করে থাকে।

    ঘুম, শারীরিক ব্যায়াম এবং পুষ্টি হল কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আপনার মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ রাখতে পারে। যখন পুষ্টির কথা আসে, তখন কিছু খাবার আছে যা আমরা জানি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যগঠনে সাহায্য করতে পারে, যেমন— ওমেগা-৩, ফল, শাকসবজি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার।

    আরও পড়ুন: বদহজমের সমস্যা? জেনে নিন ৫টি ঘরোয়া টোটকা

    তবে ডায়টেশিয়ানদের মতে, মস্তিষ্কের ভালোর জন্য সবচেয়ে উপকারি হল মাছ। সামুদ্রিক মাছ পুরো স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারি, তবে মস্তিষ্কের জন্য বেশি উপকারি। সামুদ্রিক মাছ প্রোটিন, পুষ্টিকর ফ্যাট, ভিটামিন-বি, বিভিন্ন মিনারেলস যেমন— জিঙ্ক, আয়রন, আয়োডিন ইত্যাদি সমৃদ্ধ খাবার। তবে মস্তিষ্কের জন্য স্যামন মাছ বেশি পুষ্টিকর।

    পুষ্টিবিদদের মতে, আমাদের মস্তিষ্কের প্রায় অর্ধেক অংশই ফ্যাট, ওমেগা-৩ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (omega-3 polyunsaturated fatty acids) দিয়ে তৈরী। আর এই ফ্যাটের ৯০ শতাংশই docosahexaenoic acid (DHA)-এ পরিণত হয়ে থাকে। এই DHA-ই মস্তিষ্কের আকার তৈরীতে সাহায্য করে।

    আরও পড়ুন: গরমকালে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন জাম, কী কী উপকারিতা জানেন?

    স্যামন মাছ ডিএইচএ (DHA) ,ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ইপিএ (Eicosapentaenoic acid)-তে সমৃদ্ধ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ স্যামন মাছ মস্তিষ্কে brain-derived neurotrophic factor (BDNF) নামক প্রোটিন তৈরীতে সাহায্য করে যেটি মস্তিষ্কের কোষ বৃদ্ধিতে ও নতুন কোষ তৈরীতে সহায়তা করে থাকে।সুতরাং স্যামন মাছ আপনার মস্তিষ্কের জন্য একেবারে উপযুক্ত খাবার।

    স্যামন মাছ আদতেও মস্তিষ্কের জন্য উপকারি কি না তা বুঝতে আপনাকে অবশ্যই সপ্তাহে দুবার এই মাছ খেয়ে দেখা উচিত। সপ্তাহে সেটি তিনবার খেলে আরও ভালো হয়। স্যামন মাছ ওভেনে সবজির সঙ্গে রোস্ট করে অথবা কারি বানিয়েও খেতে পারেন।

     

  • Kashmir Killings: ফের জঙ্গি-নিশানায় হিন্দু পণ্ডিত, কাশ্মীরে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে হত্যা

    Kashmir Killings: ফের জঙ্গি-নিশানায় হিন্দু পণ্ডিত, কাশ্মীরে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে হত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকায় আরও বাড়ল আতঙ্ক। সরকারি করণিক, দোকানের কর্মী, স্কুল শিক্ষিকার পর এ বার ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। আবার কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গিদের গুলিতে খুন হলেন এক হিন্দু পণ্ডিত। বৃহস্পতিবার কুলগাম জেলার এলাকুয়াই দেহাতি ব্যাঙ্কের (Elaqahi Dehati Bank) ভিতরে ঢুকে বিজয় কুমার নামে ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে (bank employee) গুলি করে খুন করে এক আততায়ী। সংবাদ সংস্থা সেই খুনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছে। বিজয়, রাজস্থানের হনুমানগড়ের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে তাঁর পোস্টিং ছিল উপত্যকায়।

    মঙ্গলবার জম্মুতে স্কুলে ঢুকে গুলি চালিয়ে এক হিন্দু স্কুল শিক্ষিকা খুন করে সন্ত্রাসবাদীরা। একইভাবে এদিনও আরে মোহনপুরা এলাকায় ব্যাঙ্কে ঢুকে ম্যানেজার বিজয়ের উপর গুলি চালায় এক অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতি। গুলিতে আহত বিজয়কে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশ সূত্রের খবর, খুব কাছ থেকে গুলি লাগায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিজয়ের।

    [tw]


    [/tw]

    গত কয়েকমাস ধরেই উপত্যকায় জঙ্গিদের নিশানায় কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। কেন্দ্র এবং জম্মু-কাশ্মীর সরকার সুরক্ষার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও ভরসা করতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। হিন্দু পণ্ডিতদের একাংশ ফের উপত্যকা ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেছেন। রাস্তায় ট্রাক দাঁড় করিয়ে কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জম্মু ফিরে আসতে চাইছেন হিন্দু পণ্ডিতরা। ফারুক আবদুল্লার মতো প্রবীণ নেতারা আরজি জানিয়েছেন, ১৯৯০-এর দশকের মতো উপত্যকা ছেড়ে না যেতে। উপত্যকা আবারও অশান্ত হয়ে ওঠার পিছনে তিনি বিবেক অগ্নিহোত্রীর কাশ্মীর ফাইলস (The Kashmir Files) সিনেমাকে দায়ী করেছেন।

    আরও পড়ুন: ঘর ছাড়া কাশ্মীরি পণ্ডিতরা, জরুরি বৈঠক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের

    কাশ্মীরে একের পর এক গুলিচালনার ঘটনায় কাশ্মীরি পণ্ডিত (Kashmiri Pandit) থেকে অন্য সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপির (BJP) মুখপাত্র আলতাফ ঠাকুর জানিয়েছেন, “আবারও লজ্জাজনক এক জঙ্গি হামলার ঘটনায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। এলাকাই দেহাতি ব্যাঙ্কের ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, রাজস্থানের বাসিন্দা বিজয় কুমার কুলগামে সন্ত্রাসবাদীদের বুলেটের কবলে পড়েন৷ এখন সরকারি কর্মচারীদেরও টার্গেট করছে জঙ্গিরা। এটি একটি গুরুতর বিষয় এবং উদ্বেগের বিষয়। সহিংস এই দুষ্টচক্র বন্ধ করার জন্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলির একটি কৌশল তৈরি করা উচিত এ বার।” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও মৃত ব্যাঙ্ক কর্মীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন।

  • PM Modi: দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে অক্টোবরে ব্রিটেন যাচ্ছেন মোদি?

    PM Modi: দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে অক্টোবরে ব্রিটেন যাচ্ছেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসেই ব্রিটেন (UK) যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। স্বাক্ষর করতে পারেন দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে (Free Trade Agreement)। জানা গিয়েছে, এ নিয়ে ইতিমধ্যেই দু পক্ষে পাঁচ বার কথা হয়েছে। দুই দেশের রাষ্ট্রনেতারাই জানিয়েছেন বিষয়টি তাঁরা সমাধান করতে চান দীপাবলির মধ্যেই।

    ক্রমেই বিশ্ব নেতাদের মধ্যে উজ্জ্বল মুখ হয়ে উঠছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’ বলে গোটা বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। প্রথমে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ এবং পরে আমেরিকা ও ব্রিটেনের তরফেও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। এহেন আবহেই অক্টোবর মাসে মোদি লন্ডন সফরে যাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর।

    অক্টোবর মাসের ২৪ তারিখে পালিত হবে দীপাবলি উৎসব। ভারত এবং ব্রিটেন দুই দেশই আত্মবিশ্বাসী ২৪ অক্টোবরের মধ্যেই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে। তবে ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকলেও, চুক্তিতে সই করবেন না তাঁরা। তাঁদের উপস্থিতিতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, ঠিক কবে মোদি ব্রিটেন যাবেন, কবেই বা চুক্তি সই হবে, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই তা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তবে দুই দেশের তরফে এখনও এ ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও বাণিজ্যমন্ত্রীকে ইমেল পাঠিয়েও কোনও উত্তর মেলেনি বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : ‘‘ঠিক কথাই তো বলেছেন…’’, ফ্রান্সের পর এবার মোদি-স্তুতি ব্রিটেন, আমেরিকার মুখেও

    জানা গিয়েছে, এখনও যেসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল অটোমোবাইল এবং মাইগ্রেশান। বিট্রেনের তরফে মাইগ্রেশন নিয়ে নানা শর্ত দেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ব্রিটেনের চুক্তিতে যে শর্ত ছিল, সেই শর্তই দেওয়া হয়েছে ভারতকেও। তবে ভারতের তরফে এখনও এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। যদিও দু পক্ষই আশাবাদী চুক্তি স্বাক্ষর হবে দীপাবলির মধ্যেই। বাণিজ্য সচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম বলেন, আমরা ট্র্যাকে রয়েছি। দেওয়ালিই ডেডলাইন। মিস হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Aadhaar: সদ্যোজাতরাও পাবে আধার কার্ড! নয়া পরিকল্পনা ইউআইডিএআই-এর

    Aadhaar: সদ্যোজাতরাও পাবে আধার কার্ড! নয়া পরিকল্পনা ইউআইডিএআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বার সদ্যোজাতরাও পাবে আধার নম্বর। বায়োমেট্রিক (biometric) তথ্য নিয়ে সাময়িকভাবে  ওই আধার নম্বর দেওয়া হবে। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া (UIDAI) এর এক কর্তা এই কথা জানান। তাঁর কথায়, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্যই লিঙ্ক করা হবে আধার কার্ডের সঙ্গে। আধার কার্ডের অপব্যবহার রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ইউআইডিএআই। এই বিষয়ে কাজ করার জন্য ইউআইডিএআই দুটি পাইলট প্রোগ্রাম (Pilot Programme) চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে যা নাগরিকদের জন্ম থেকে মৃত্যুর তথ্য ১২ সংখ্যার আধার নম্বরের (Aadhaar Number) সঙ্গে যোগ করবে।

    আধার কর্তৃপক্ষ নবজাতকদের জন্য সাময়িক আধার নম্বর জারি করার পরিকল্পনা করছে। ইউআইডিএআই-এর এক শীর্ষ কর্মকর্তার মতে,‘‘এক জন ব্যক্তির সমগ্র জীবনচক্রের তথ্য আধারের সঙ্গে যোগ করার পিছনে আসল উদ্দেশ্য হল, আধার কার্ডের অপব্যবহার রোধ করা। এই উদ্যোগ দেশবাসীর পক্ষে সুবিধার হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিশ্বাস যে, জন্ম-মৃত্যুর তথ্য একত্রিত করা হলে কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব হবে এবং কোনও পরিবার সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা ভোগ করা থেকে বঞ্চিত হবে না।’’

    আরও পড়ুন: ডিজিটাল ভারতের নয়া যুগ, 5G-তে পা

    ২০১০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর আমলে আধার কার্ডের সূচনা হয়। বিশ্বের বৃহত্তম বায়োমেট্রিক আইডেন্টিটি ডেটাবেস হিসেবে চিহ্নিত, এটি ভারতের প্রায় সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যাকে নথিভুক্ত করেছে। পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনতে মোদি সরকার ব্যাপকভাবে আধার ব্যবহার করেছে। কেন্দ্রের দাবি, গত আট বছরে আধার সিস্টেমগুলি দরিদ্র, কৃষক এবং অন্যান্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ স্থানান্তর করতে সহায়তা করেছে।

    বর্তমানে পাঁচ বছর বয়সি শিশুরাই আধার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারে। এখন খুব সহজেই আধার কার্ড আপডেট করার প্রক্রিয়াও চালু হয়েছে। অনলাইন ও অফলাইন— দু’ভাবেই আপনি আপনার আধার কার্ডের বিভিন্ন তথ্য বদল করতে পারেন।

  • Dilip Ghosh: “বাংলা অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়, টেররিস্টদের হাব হয়ে গিয়েছে”, রাজ্য প্রশাসনকে  তুলোধনা দিলীপ ঘোষের

    Dilip Ghosh: “বাংলা অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়, টেররিস্টদের হাব হয়ে গিয়েছে”, রাজ্য প্রশাসনকে  তুলোধনা দিলীপ ঘোষের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: জাহাঙ্গিরপুরী (Jahangirpuri) গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ-যোগ উঠে আসতেই এবার রাজ্য প্রশাসনকে একহাত নিল বিজেপি (BJP)। মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারকে (TMC Govt) তুলোধনা করলেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

    দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌বাংলা অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়। বাংলাদেশে ক্রাইম করে এসে এখানে আশ্রয় নিচ্ছে। পাঞ্জাবে ক্রাইম করে এসে বাংলায় লুকোচ্ছে। এটা একটা টেররিস্টদের হাব হয়ে গিয়েছে। সমাজবিরোধী এবং গুন্ডাদের হাব বাংলা। এখানকার সরকার কতটা অকর্মণ্য তা এর থেকেই প্রমাণ হচ্ছে। বাংলার ইমেজ নষ্ট হচ্ছে।’‌

    খড়্গপুরের সাংসদ আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা থাকা উচিত। ১১ বছর ধরে উনি পুলিশমন্ত্রী। কি করেছেন? প্রথমে বিরোধীদের ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। সফলও হয়েছেন। ওনার কথা চলছে না, শুনছে না তাহলে উনার পদত্যাগ করা উচিত।’‌

    প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গিরপুরীতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বড় সাফল্য পায় দিল্লি পুলিশ। ঘটনার অন্যতম চক্রী ফরিদ ওরফে নিতুকে তমলুক থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। গোড়া থেকেই দিল্লি পুলিশ অভিযোগ করে আসছিল, জাহাঙ্গিরপুরী হিংসার অভিযুক্তরা পালিয়ে পশ্চিমবঙ্গে গা ঢাকা দিয়েছে। সেই মতো দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল বেশ কয়েকদিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুরে এসে তল্লাশি চালাচ্ছিল।  

    বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে দিল্লি পুলিশের দলটি জানতে পারে, কাকার বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে ফরিদ। এরপরই তার কাকার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা। ধলহরা গ্রামের ওই বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল ফরিদ। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেখানে অতর্কিতে হানা দিয়ে অবশেষে নিতুকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।

     

     

LinkedIn
Share