Blog

  • Omicron: বুস্টার ডোজ নিলেও হতে পারে ওমিক্রন, গবেষণায় মিলল প্রমাণ

    Omicron: বুস্টার ডোজ নিলেও হতে পারে ওমিক্রন, গবেষণায় মিলল প্রমাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড ভ্যাকসিন ও বুস্টার শট দেওয়ার পর উৎপাদিত অ্যান্টিবডিগুলি আগের করোনভাইরাস স্ট্রেনের তুলনায় ওমিক্রন ভাইরাসের বিরুদ্ধে কম কার্যকর হতে পারে বলে মনে করছেন আমেরিকার জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। 

    ভারতেও দেখা গিয়েছে কোভিডের টিকা নেওয়ার পরও ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। এর কারণ হিসেবে মনে করা হয়, ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা অ্যান্টিবডিগুলি নতুন এই প্রজাতির কাছে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে আমেরিকার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ১৮ জন সুস্থ এবং কোভিডের বুস্টার ডোজ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের উপর একটি সমীক্ষা চালায়। সেখানেই দেখা যায়, ১৪ থেকে ৯২ দিনের মধ্যে তাঁরা আবারও নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগেরই বয়স ২১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এঁরা সকলেই কোভিড টিকা ও বুস্টার ডোজ পেয়েছিলেন। কিন্তু এর আগে কোভিডের কোনও সংক্রমণের আঁচ তাঁদের উপর এসে পড়েনি।

    জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের অধ্যাপক সিনিয়র লেখক ড. জোয়েল ব্ল্যাঙ্কসন জানান, এই রোগীদের উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিবডি রয়েছে যা করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে কোষের উপরিভাগে বাঁধতে বাধা দেয়, কিন্তু অ্যান্টিবডিগুলি আসল স্ট্রেনের তুলনায় ‘ওমিক্রন স্ট্রেনের সাথে প্রতিক্রিয়ার সময় সেই কাজটি সম্পাদন করেনি। গবেষকরা জানান, সার্স কোভ-২-এর ভাইরাস আমাদের শরীরে মূল স্ট্রেনের প্রতি প্রতিক্রিয়া ঘটায়। ভাইরাসের অ্যাঞ্জিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম ২ (সাধারণত ACE2 নামে পরিচিত) এর সঙ্গে তা যুক্ত হলেই কোভিড সংক্রমণ হয়। ওমিক্রনের ভাইরাস এই ACE2 এপ স্পাইপ প্রোটিনের সঙ্গে কোভিড অ্যান্টিবডিকে সংযুক্ত হতে বাধা দেয়। যা সংক্রমণের প্রধান কারণ। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই টি-কোশই প্রধান ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে ওমিক্রনের সংক্রমণ ততটাও শরীরে জাঁকিয়ে বসতে পারেনি। 

  • Mirchi Baba Rape Case: ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করা ‘মির্চি বাবা’

    Mirchi Baba Rape Case: ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করা ‘মির্চি বাবা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে ভোপালের নিরঞ্জনী আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর (Mahamandaleshwar of the Panchayati Niranjani Akhara) তথা স্বামী বৈরাগ্যানন্দ গিরি (Swami Vairagyanand Giri) ওরফে  মির্চিবাবা (Godman Mirchi Baba)। এবার এই স্বঘোষিত গডম্যানকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের। জানা গিয়েছে, সন্তান লাভের আশায় মির্চি বাবার শরণাপন্ন হয়েছিলেন এক মহিলা। কিন্তু সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই বাবাজি মহিলাকে ধর্ষণ (rape) করে। মহিলাটি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পর গোয়ালিয়রের একটি হোটেল থেকে মির্চি বাবাকে গ্রেফতার করেছে ভোপাল ও গোয়ালিয়র পুলিশের যৌথ বাহিনী।

    আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগ সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে! দাবি ওড়াল কংগ্রেস

    প্রসঙ্গত, মির্চি বাবাকে এর আগে ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় ও ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের (Congress) হয়ে প্রচার করতেও দেখা গিয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের (Digvijay Singh) জয়ের জন্য এক কুইন্টাল লঙ্কা দিয়ে হোমযজ্ঞ করে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন স্বামী বৈরাগ্যানন্দ। সাধারণ মানুষ ও ভক্তদের কাছে তিনি মির্চি বাবা হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরপরেই এমন খবর উঠে আসায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: বিশ্বাস ভেঙেছে কাছের লোক, পাকিস্তানে গণধর্ষণের শিকার মাকিন ভ্লগার

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের চারবছর হয়ে গেলেও মা হতে পারছিলেন না মহিলা। সন্তান লাভের আশায় শেষমেশ স্বঘোষিত গডম্যান ‘মির্চি বাবা’র (Mirchi Baba) শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, ১৭ জুলাই মহিলা যখন মির্চি বাবার বাড়িতে যান তখন তাঁর খাবারে মাদকজাতীয় কিছু মিশিয়ে দেয় অভিযুক্ত। মহিলা পুলিশকে জানান, খাওয়ার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সন্তান লাভ তো দূর, উল্টে মির্চি বাবার হাতেই ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে, এমনটাই অভিযোগ করেছেন তিনি।

    এরপরেই স্বামী বৈরাগ্যানন্দ ওরফে মির্চি বাবার বিরুদ্ধে সোমবার রাতে রাইসেনের বাসিন্দা ২৮ বছরের ওই তরুণী ভোপাল মহিলা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। মির্চি বাবার বিরুদ্ধে ৩৭৬,৩৪২, ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করে ভোপাল পুলিশ। অভিযোগ দায়েরের কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে মঙ্গলবার মধ্য রাতে গোয়ালিয়রের একটি হোটেলের বাইরে থেকে গ্রেফতার করে এবং মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে।

    এই ভণ্ড বাবাজি শুধুমাত্র মহিলাকে ধর্ষণই করেনি, মহিলা তাকে বাধা দিলে তাঁকে হুমকিও দেয় অভিযুক্ত। ফলে তার এই ঘৃণ্য অপরাধের জন্য আদালত মির্চি বাবার কী শাস্তি দেয়, সেটিই এখন দেখার।

  • Iran: হিজাব-আইনের বিরোধিতা, জ্বলছে ইরান! পুলিশের গুলিতে নিহত অন্তত ৫০জন প্রতিবাদী

    Iran: হিজাব-আইনের বিরোধিতা, জ্বলছে ইরান! পুলিশের গুলিতে নিহত অন্তত ৫০জন প্রতিবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওয়ায় চুল ওড়ানো অপরাধ। এই পোস্টার নিয়েই ইরানের (Iran) রাজপথে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন হাজার হাজার নাগরিক। হিজাব না পরে রাস্তায় বেরোনোর ‘শাস্তি’ হিসাবে মাশা আমিনি (Mahsa Amini) নামে এক তরুণীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশি হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। তারপর থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ বিক্ষোভ। বিক্ষোভের আঁচ ক্রমশ বাড়ছে। ইরানের পশ্চিম প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে এখন ধীরে ধীরে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে অসন্তোষের আগুন। পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে আনতে পাল্টা দমনপ্রক্রিয়া শুরু করেছে ইরানের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। এখনও পর্যন্ত মাশার মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে নেমে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। 

    টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস

    অসলোর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ইরান হিউম্যান রাইটস্‌’-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইরানের ৮০টি শহরে মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ নিরাপত্তারক্ষীরও। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে আগুন জ্বলছে। সন্ধের পরই তেহরানের বিভিন্ন এলাকায় সমবেত হয়ে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সরকার বিরোধী স্লোগানও উঠছে। 

    আরও পড়ুন: হিজাব না পরায় গ্রেফতার, পরে মৃত্যু তরুণীর, প্রতিবাদে উত্তাল ইরান

    ইরানের আইনে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। সেই নির্দেশিকা মেনে যথাযথভাবে হিজাব পরেননি ২২ বছর বয়সী মাশা। তাই তাঁকে অকালে চলে যেতে হল। এর প্রতিবাদে ইরানের হিজাব আইনকেই কাঠগড়ায় তুলেছে স্থানীয় নাগরিকেরা। মহিলা ও পুরুষ সকলেই প্রকাশ্যে আইন ভেঙেছেন। মেয়েরা হিজাব উড়িয়েছেন, চুল কেটেছেন প্রকাশ্য রাস্তায়। দেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি যাতে সামনে না আসে তাই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে ইরানের সরকার।  এ প্রসঙ্গে ইরানের কাছে বিশেষ আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সেখানকার সরকারকে স্থানীয়দের বিক্ষোভের (Protest) বিরুদ্ধে ‘অপ্রয়োজনীয় বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ শক্তি’ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশাপাশি উত্তেজনা এড়াতে সবাইকে শান্ত থাকার বার্তাও দিয়েছেন গুতেরেস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Prophet Remark Row: ফের গ্রেফতার বিজেপির সাসপেন্ডেড বিধায়ক রাজা সিং, কেন জানেন?      

    Prophet Remark Row: ফের গ্রেফতার বিজেপির সাসপেন্ডেড বিধায়ক রাজা সিং, কেন জানেন?      

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের গ্রেফতার করা হল তেলঙ্গানার বিধায়ক বিজেপির (BJP) টি রাজা সিংকে (T Raja Singh)। বৃহস্পতিবার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, পুরানো একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১ এ ধারায় রাজাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিন যখন রাজাকে গ্রেফতার করা হয়, তখন তাঁর বাড়ির সামনে উত্তেজনা ছড়ায়। মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ। বিধায়কের বাড়ির সামনের রাস্তায় তৈরি করা হয় ব্যারিকেড। তার পরেই রাজাকে নিয়ে যায় পুলিশ।

    হজরত মহম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত (Prophet Remarks Row) মন্তব্য করে গ্রেফতার হয়েছিলেন তেলঙ্গানার (Telangana) বিধায়ক বিজেপির টি রাজা সিং। পরে তাঁর জামিনও হয়। দল থেকে তাঁকে সাসপেন্ডও করে বিজেপি। বুধবার তাঁর জামিনের প্রতিবাদে হায়দরাবাদের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় জনতা। তালাবকাট্টা, চারমিনার, মুখলপুরা, চঞ্চলগুড়া, বাহাদুরপুর এবং আম্বেরপেট এলাকায় সারারাত রাস্তা অবরোধ করে বসে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। মুখলপুরায় পুলিশের ভ্রাম্যমাণ গাড়ির ওপর পাথর ছোঁড়ে জনতা। বিজেপির সাসপেন্ডেড নেত্রী নূপুর শর্মার বক্তব্যকে সমর্থন করে সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেন গোশামহল কেন্দ্রের দু বারের বিধায়ক বিজেপির টি রাজা সিং। ভিডিওটি ঘিরে এলাকায় ছড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা। আদালতে তোলা হলে জামিনও পেয়ে যান রাজা। এরই প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। 

    আরও পড়ুন : রাজা সিংয়ের জামিনের প্রতিবাদে তপ্ত তেলঙ্গানা, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর

    এদিকে, এদিনই এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি দাবি করেন, রাজা সিংয়ের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরেই হায়দরাবাদে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। তাঁকে দ্রুত গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো উচিত। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুরানো মামলায় অভিযুক্ত এই বিজেপি বিধায়ককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলহাট পুলিশ স্টেশনে রুজু হওয়া একটি মামলায় পিডি অ্যাক্টে এদিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।এদিকে, নতুন রাজা সিংয়ের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পুরো পরিস্থিতির জন্য তেলঙ্গানার মন্ত্রী কেটি রামা রাও এবং এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিনকে কাঠগড়ায় তোলেন রাজা। তিনি কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকিকে নিশানা করেন। রাজার অভিযোগ, কেটি আমাদের ভগবানকে নিয়ে মজা করতে অনুমতি দিয়েছেন ফারুকিকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Salt Lake: বিধাননগরে সম্পত্তি কর এক লাফে তিনগুণ! জেনে নিন নতুন হার

    Salt Lake: বিধাননগরে সম্পত্তি কর এক লাফে তিনগুণ! জেনে নিন নতুন হার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যানুয়াল বা বার্ষিক ভ্যালুয়েশন (AV) একই রয়েছে, বেড়েছে কর! বিধাননগরে (Bidhannagar) সম্পত্তি কর (Property Tax) রশিদ পেয়ে হতবাক বাসিন্দারা। নতুন কর কাঠামোয় (New tax regime) কোনও কোনও বাসিন্দাকে গুনতে হচ্ছে প্রায় তিনগুণের বেশি অঙ্ক। বিধাননগর পুরসভার (Bidhannagar municipal corporation) লক্ষ্য, নতুন কর কাঠামোর ফলে সম্পত্তি কর বাবদ আদায়, বর্তমান অর্থ বছরে ৯ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়াবে ২৫ কোটিতে। গত আর্থিক বছরে সম্পত্তি কর বাবদ আদায় ছিল প্রায় ১৬ কোটি টাকা।

    সম্প্রতি বিধাননগরে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের সম্পত্তি করের রশিদ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। নতুন জমানায় নতুন করের হার। গত অর্থবর্ষে যিনি মোটামুটি ৭০০ টাকার মত সম্পত্তি কর দিতেন, এবার তাঁর কাছে এসেছে ২৩০০ টাকার বিল। যদিও তাঁরা স্বীকার করছেন, কলকাতার (KMC) তুলনায় ট্যাক্সের হার কম। তবে তাঁদের দাবি, কর দামি হলেও আগেভাগে বাসিন্দাদের জানানো উচিত ছিল। বাড়তি কর দিতেও আপত্তি নেই অনেকের। অভিযোগ, বিধাননগর পুরসভার (BMC) কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল ট্যাক্সের রশিদের বণ্টনে সব বাসিন্দাদের কাছে, নয়া ট্যাক্স-কাঠামো সংক্রান্ত নোটিফিকেশন পাঠানো।

    যদিও বিধাননগর কর্তৃপক্ষের দাবি, “বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ভ্যালুয়েশনের কোনও বদল করা হয়নি। সম্পত্তি করের ক্ষেত্রে, ১৯৯৭ সালের পুরনো ভ্যালুয়েশনই বজায় থাকছে। তবে বাড়ানো হয়েছে করের হার। যা হয়েছে আইন মেনেই। সে কারণেই নোটিফিকেশনের কোনও প্রয়োজন নেই।”

    কেমন হল সম্পত্তি করের নতুন হার?

    যে সব বাসিন্দাদের সম্পত্তির বার্ষিক ভ্যালুয়েশন (AV) ৯৯৯ টাকার মধ্যে, তাঁদের সম্পত্তি কর, AV/১০০+১০%
    যে সব বাসিন্দাদের সম্পত্তির বার্ষিক ভ্যালুয়েশন (AV) ৯৯৯ টাকার বেশি, তাঁদের দিতে হবে, AV/১০০০+২০%

    আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে বিধাননগর পুরসভার সম্পত্তি করের রশিদে। কর অনাদায়ে বা সময় পেরিয়ে গেলে ১০% হারে জরিমানাও দিতে হবে বাসিন্দাদের।

  • Covishield: দেশে চতুর্থ ঢেউয়ের ভ্রুকুটির মধ্যেই কোভিশিল্ড তৈরি বন্ধ করল সেরাম!

    Covishield: দেশে চতুর্থ ঢেউয়ের ভ্রুকুটির মধ্যেই কোভিশিল্ড তৈরি বন্ধ করল সেরাম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকেই তাঁর সংস্থা করোনার টিকা (Covid Vaccine) উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে একথা জানান সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (Serum Institute of India)-র কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla)। তাঁর বক্তব্য, টিকা (কোভিশিল্ড) যাতে কোনওভাবেই নষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, শুধুমাত্র টাকার জন্য তাঁর সংস্থা টিকা তৈরি করে না।

    এই অনুষ্ঠানেই টিকা সংক্রান্ত বেশ কিছু সমালোচনার জবাব দেন পুনাওয়ালা। তিনি বলেন, করোনার টিকাকরণ (vaccination) নিয়ে বাণিজ্যিক মানসিকতা থাকলে চলবে না। এটা ঠিক যে অতিমারি (pandemic) আর আমাদের পিছনে তাড়া করে বেড়াচ্ছে না। কিন্তু, তা বলে “একজন নাগরিকের জীবনের জন্য কোনও দাম ধার্য করা যায় না।”

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই টিকাকরণের মাঝের দূরত্ব কমানোর পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেছেন আদর পুনাওয়ালা। বর্তমান নিয়ম অনুসারে, টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার নয় মাস পর বুস্টার ডোজ নিতে হয়। কিন্তু, আদর এই ব্যবধান কমিয়ে ছয় মাস করতে চাইছেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেরই অভিযোগ, শুধু ব্যবসায়িক লাভের জন্যই এমনটা করছেন আদর পুনাওয়ালা।

    এদিন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ একেবারেই নস্যাৎ করে দিয়েছেন আদর। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, শুধুমাত্র আর্থিক লাভের আশায় তাঁর সংস্থা করোনার টিকা তৈরি করেনি। তাঁর মতে, প্রথম ও বিশেষ করে অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ভারতবাসীকে যে ভয়াবহতার সাক্ষী হতে হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতেই দ্বিতীয় ডোজের সঙ্গে বুস্টার ডোজের ব্যবধান কমানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। যদিও কোভিশিল্ড তৈরি এবং বিক্রি করে তাঁর সংস্থা যে অনেক টাকা রোজগার করেছে, এ নিয়ে কোনও দ্বিমত থাকতে পারে না।

    তারপরও আদর পুনাওয়ালার বক্তব্য, “অপচয়ের পথ পুরোপুরি বন্ধ করতে আমি বিনামূল্যেও টিকা দেওয়ার কথা বলেছি। আমার লক্ষ্য যদি শুধুই টাকা রোজগার করা হত, তাহলে কখনই এমনটা করতাম না। আমি বলতে চাই, দেশের কোনও নাগরিকের জীবনের মূল্য টাকা দিয়ে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তা তিনি কোনও প্রাপ্তবয়স্ক হন, কিংবা কোনও নাবালক। তাই এই বিষয়ে আমাদের সময় থাকতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বুস্টার ডোজ (booster dose) দেওয়ার ক্ষেত্রেই হোক, কিংবা নাবালকদের টিকাকরণ (child vaccination), আমাদের সঠিক সময় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

    সেরামের (SII) কর্ণধারের অভিযোগ, নাগরিকদের জীবন বাঁচাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পদক্ষেপ করা দরকার। কিন্তু, যাঁদের উপর সেই দায়িত্ব রয়েছে, তাঁরা অযথা সময় নষ্ট করছেন বলেও অভিযোগ করেন আদর পুনাওয়ালা।

     

  • Mohan Bhagwat: স্বাধীনতা-৭৫ এর সংকল্প হোক আত্মনির্ভর ভারত

    Mohan Bhagwat: স্বাধীনতা-৭৫ এর সংকল্প হোক আত্মনির্ভর ভারত

     মোহনরাও ভাগবত

    আগামী কাল, ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হবে। স্বাধীনতার এই অমৃত মহোৎসব উদযাপনের জন্য ইতিমধ্যেই নানা কর্মসূচি শুরু হয়েছে এবং সারা বছরব্যাপী সেসব চলবে। আমরা এখন একটি উৎসবের ভাবে আছি। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, আমাদের সামনে কোনও চ্যালেঞ্জ বা সমস্যা নেই। অনেক সমস্যার সমাধান ইতিমধ্যে হলেও আরও কিছু নতুন সমস্যাও দেখা দিয়েছে। তবে সমস্যা যাই থাক, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের আনন্দ আমরা যাপন করব এবং এটাই স্বাভাবিক।

    ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট, বহু শতাব্দী পর, আমরা আমাদের ইচ্ছানুযায়ী স্বশাসন প্রতিষ্ঠা করতে এবং স্বশাসনের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছিলাম। আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে, আমাদের জাতীয় পতাকার নীচে, বিশাল ভারতের অবস্থান। এই স্বাধীনতা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে ভারতের মানুষ সম্পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত না-হয়ে দাসত্ব ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে নিরলস সংগ্রাম করেছিল। ভৌগোলিক দিক থেকে, বিদেশি শক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় জনগণের এই সংগ্রাম ছিল সর্বব্যাপ্ত এবং সর্বাঙ্গীণ। সমাজের সকল শ্রেণি তাদের সামর্থ্য, ক্ষমতা ও শক্তি অনুযায়ী স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদান রেখেছিল। যেসব কারণ আমাদের স্বাধীনতার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল সেগুলি সম্পর্কে দেশের মানুষ ক্রমশ সচেতন হয়ে উঠেছিল।  

    একদিকে যখন স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র ও নিরস্ত্র সংগ্রাম জোরদার হতে থাকে, অন্যদিকে তখন সমাজকে কুসংস্কারমুক্ত করার এবং সম্মিলিত স্বার্থে কাজ করার জন্য জাগ্রত করার প্রচেষ্টাও গ্রহণ করা হয়েছিল। এই নিরলস প্রচেষ্টার জন্যই ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট, আমরা আমাদের ইচ্ছানুযায়ী, আমাদের পছন্দ অনুযায়ী, আমাদের নিজস্ব লোকদের দ্বারা আমাদের দেশ পরিচালনার অধিকার অর্জন করেছি। ভারতের মাটি থেকে আমরা ব্রিটিশ শাসকদের বিদায় জানিয়ে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা এবং প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করি। সুতরাং, খুব সঙ্গতভাবেই আমাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতার ৭৫ বছর আমরা  উত্সাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপন করছি।  

    দীর্ঘসময়ের স্বাধীনতা সংগ্রামে অসংখ্য মানুষ, যাঁরা প্রকৃত বীর, তাঁরা নিজের  জীবনসহ সবকিছু বিসর্জন দিয়েছিলেন। তাঁদের দৃঢ় চরিত্র, দেশপ্রেম এবং মাতৃভূমির প্রতি ভক্তি সম্পর্কে সমগ্র সমাজকে অনুপ্রাণিত করার জন্য তাঁদের বীরত্ব ও ত্যাগের কাহিনি প্রচার করতে হবে। আপাতদৃষ্টিতে অনেক ছোট-বড় ঘটনা অথবা ছোট-বড় কাজ ছিল যা আমাদের জাতির উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছিল। মাতৃভূমির জন্য যে লক্ষ্যে তাঁরা স্থির ছিলেন এবং যে দায়িত্ব তাঁরা জীবন দিয়ে পালন করেছিলেন—তা শ্রদ্ধার সঙ্গে  স্মরণে রাখা উচিত। দেশে কেন স্বরাজ্য দরকার? বিদেশি শক্তি দেশের নাগরিকদের জন্য এবং তথাকথিত উন্নয়নের কাজ করলেও, কেন তাদের দ্বারা একটি দেশ শাসিত হওয়া উচিত নয়? আত্মনিয়ন্ত্রণের ও আত্মপ্রকাশের অধিকার যেকোনও সমাজের জন্য মৌলিক। এইভাবে, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা সহজাত অনুপ্রেরণা দেয়। একটি দেশ তখনই যথার্থভাবে পরিচালিত হতে পারে যখন সেটি স্বাধীন হয় এবং নিজের জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারে। স্বামী বিবেকানন্দ একবার বলেছিলেন, ‘প্রত্যেক জাতির সৃষ্টি হয় অর্থবহ কিছু অবদান রাখতে।’ অবদান রাখতে হলে জাতিকে একইসঙ্গে স্বাধীন ও সক্ষম হতে হবে। এগুলো মৌলিক, তাই অপরিহার্যও। স্বামীজির মতো, কয়েকজন মহান ব্যক্তি ভারতবাসীকে জাগাবার কাজ করেছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য সশস্ত্র ও নিরস্ত্র বিপ্লবকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। তাঁদের নিজস্ব ভাষায় বর্ণনা করেছেন, শুধু স্বাধীনতা অর্জনই অপরিহার্য নয়, বরং কীভাবে তার প্রয়োগ ও সংরক্ষণ হচ্ছে তাও বিবেচ্য। 

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির’ এবং মহাত্মা গান্ধী তাঁর ‘হিন্দ-স্বরাজ’ উদ্ধৃতির মাধ্যমে স্বাধীন ভারত সম্পর্কে ধারণাগুলি বিশদভাবে তুলে ধরেছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী বীর সাভারকর তাঁর বিখ্যাত ‘স্বতন্ত্র-দেবী আরতি’তে স্বাধীন দেশে সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ এবং শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলেছেন। আমরা বি আর আম্বেদকরের অবদান অস্বীকার করতে পারি না। দুটি বিখ্যাত বক্তৃতায় তিনি স্বাধীনতার অর্থ, উদ্দেশ্য, যুক্তি এবং একটি মহান জাতি গঠনের জন্য প্রতিটি ভারতীয়ের কর্তব্য পরিষ্কার করেছেন। অমৃত মহোৎসব উদযাপনের এই শুভক্ষণে আমাদের আত্মসমীক্ষা করা উচিত যে, স্বাধীনতার উদ্দেশ্য যদি স্বনির্ভরতা অর্জন করা হয়, তবে আজ ৭৫ বছর পর, ভারত কি সম্পূর্ণ আত্মনির্ভর হতে পেরেছে! ভারতকে যদি বিশ্বমঞ্চে যথার্থ অবদান রাখতে হয়, তবে প্রথমে কি তাকে সবদিক দিয়ে স্বনির্ভর হতে হবে? ভারত  কি সমস্ত ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা অর্জন করতে হবে।

  • Asteroid: কাল পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে গোল্ডেন গেট ব্রিজের মতো বড় গ্রহাণু

    Asteroid: কাল পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে গোল্ডেন গেট ব্রিজের মতো বড় গ্রহাণু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আগামীকাল আরও একটি মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছে পৃথিবী। সানফ্রান্সিসকোর গোল্ডেন গেট ব্রিজের আকারের একটি গ্রহাণু পৃথিবীর কক্ষপথে আসতে চলছোন ঘেঁষে চলে যাওয়ার কথা। ঘণ্টায় ২৫ হাজার কিমি গতিতে গ্রহাণুটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে বলে জানিয়েছে নাসা।

    গ্রহাণুটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘৪১৮১৩৫(২০০৮এজি৩৩)’। সাধারণত পৃথিবীর পাশ দিয়ে এত বড় আকারের কোনও গ্রহাণু গেলে বিপদের আশঙ্কা থাকে। তবে এই গ্রহাণুর ফলে পৃথিবীর কোনও বিপদের আশঙ্কা আপাতত নেই বলেই নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। নাসা সূত্রে খবর, পৃথিবী থেকে ৩,২৪০,০০০ কিমি দূর দিয়ে চলে যাবে গ্রহাণুটি। এর ব্যাস ৪৫০ মিটার।  তবে এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে গেলেও, সেটিকে খালি চোখে দেখা যাবে না বলেই নাসা সূত্রে খবর। তবে ছোট টেলিস্কোপের সাহায্যে দেখা যেতে পারে।

    নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহাকাশে এখনও পর্যন্ত ১,০৩১,৪৮৮টি গ্রহাণু তৈরি হয়েছে। প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে সৌরজগৎ তৈরি হওয়ার শুরুর দিকে এই পাথুরে, বাতাসহীন গ্রহাণুগুলি তৈরি হয়। এই গ্রহাণুগুলি পৃথিবীর কক্ষপথে এলে কিছুটা প্রভাব পড়ে। তবে এবার কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছে নাসা। শেষপর্যন্ত এর গতিপথের দিকে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে নাসার বিজ্ঞানীরা।

  • IPL Media Rights: আইপিএলের স্বত্ব কেনার লড়াই থেকে সরে দাঁড়াল অ্যামাজন!

    IPL Media Rights: আইপিএলের স্বত্ব কেনার লড়াই থেকে সরে দাঁড়াল অ্যামাজন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর আইপিএলের (IPL) স্বত্বের চ্যুক্তি শেষ হয়েছে স্টারের (Star)। আইপিলের সম্প্রচার স্বত্ব (IPL Media Rights) নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কোন চ্যানেলে দেখানো হবে আইপিএল তাই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। স্বত্ব কেনার লড়াইয়ে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার কথা ছিল অ্যামাজনের কর্ণধার জেফ বেজোস (Jeff Bezos) এবং মুকেশ আম্বানির। কিন্তু বৃহত্তম সংস্থা অ্যামাজন স্বত্ব কেনার প্রতযোগিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। দরপত্রও তুলেছিল অ্যামাজন (Amazon)। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল। আইপিএলের মিডিয়া রাইটসের নিলামে অংশ নিচ্ছে না অ্যামাজন। সবচেয়ে বেশই দর হাঁকার আশা ছিল এই সংস্থার থেকেই। কিন্তু হঠাতই লড়াই থেকে সরে দাঁড়ায় তারা। শুক্রবার মুম্বাইয়ে বিডারদের আসরে দেখা যায়নি ই-কমার্স সংস্থাটিকে।

    আরও পড়ুন: ২ জুন ভারতে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা, টি-২০ সিরিজ শুরু ৯-ই

    আইপিএলের বাইরেও রিলায়েন্স এবং অ্যামাজনের মধ্যে প্রায়শই বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যায়। তাই অনেকেই মনে করেছিলেন আইপিএলের স্বত্ব কেনার দৌড়ে কড়া টক্কর দিতে দেখা যাবে এই দুই সংস্থাকে। কিন্তু সে গুড়ে বালি। লড়াইয়ের ময়দান থেকেই বিদায় নিল অ্যামাজন।

    আরও পড়ুন: হৃদ-মাঝারে হার্দিকরা, প্রথমবারেই আইপিএল খেতাব গুজরাতের

    অ্যামাজনের মতো গুগলও দরপত্র তোলার পরে আইপিএল স্বত্বের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। টেলিভিশন ও ডিজিটাল মিডিয়া রাইটসের সব বিভাগে এবছর আলাদা আলাদা নিলাম হবে। কোনও একটি সংস্থাও কিনতে পারে সার্বিক স্বত্ব। আপাতত লড়াইয়ের ময়দানে টিকে আছে স্টার, রিলায়েন্সের সংস্থা ভায়াকম, সোনি এবং জি।  

    ২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইপিএলের মিডিয়া স্বত্ব ছিল স্টারের হাতে। এর জন্যে স্টারকে বিসিসিআইকে দিতে হয়েছে ১৬,৩৪৭ কোটি টাকা। এবার  ২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত পাঁচ বছরের টেলিভিশন স্বস্ত কিনতে হলে এর দ্বিগুণ টাকা দিতে হবে যেকোনও সংস্থাকে। কারণ এই কয়েক বছরে আইপিএলের দল সংখ্যা ও ব্র্যান্ড ভ্যালু অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে। তাই মিডিয়া রাইটসের ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২,৮৯০ কোটি টাকা।

    ১২ জুন ১১টা থেকে শুরু হবে নিলাম। কতক্ষণ চলবে এই নিলাম তা এখনও জানা যায় নি। একের বেশি দিন ধরেও চলতে পারে লড়াই।

  • Loudspeakers Remove: যোগীর নির্দেশে চার দিনে ২২ হাজার লাউডস্পিকার সরানো হল উত্তরপ্রদেশে

    Loudspeakers Remove: যোগীর নির্দেশে চার দিনে ২২ হাজার লাউডস্পিকার সরানো হল উত্তরপ্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) কড়া নির্দেশে সে রাজ্যের একাধিক ধর্মীয় স্থান থেকে সরানো হল লাউডস্পিকার। চারদিনে প্রায় ২২ হাজার লাউডস্পিকার সরানো হয়েছে। এর মধ্যে মসজিগের সংখ্যাই বেশি। তবে মথুরায় শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি থেকেও লাউডস্পিকার সরানো হয়েছে। গোরখনাথ মন্দির থেকেও লাউড স্পিকারের সংখ্যা কমানো হয়েছে, বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

     ধর্মীয় স্থানগুলোতে যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা নিজেরাই এই পদক্ষেপ করেছেন। এছাড়াও ১২৫টি জায়গা থেকে লাউডস্পিকার সরানো হয়েছে, একথা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার। রাজ্যে যাতে সুষ্ঠুভাবে নমাজ পাঠ করা যায়, সে জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এডিজি। তিনি জানিয়েছেন,লাউডস্পিকার নিয়ে ৩৭ হাজার ৩৪৪ জন ধর্মীয় নেতার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মাথায় রেখে রাজ্যের আরও ৩৯ হাজার মাইকের আওয়াজ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে লাউডস্পিকারের সংখ্যা কমিয়ে আনার নির্দশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মথুরায় শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি থেকে লাউডস্পিকার সরানো হয়েছে। গোরখনাথ মন্দির থেকেও লাউড স্পিকারের সংখ্যা কমানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই রামনবমীতে অশান্তির ঘটনার আবহে যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, উত্তরপ্রদেশে দাঙ্গা তো দূর অস্ত, ‘তু তু ম্যায়’ও হয়নি। অনুমতি ছাড়া সে রাজ্যে কোনও ধর্মীয় শোভাযাত্রা করা যাবে না, এমন নির্দেশিকাই জারি করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে। ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঘিরে যাতে উত্তরপ্রদেশে কোনওরকম অশান্তির ঘটনা না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশ-প্রশাসনকে কার্যত ঢেলে সাজিয়েছেন যোগী। উত্তরপ্রদেশ সরকারের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, কোনও একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ধর্মীয় কর্মসূচি পালন করা যেতে পারে। তবে এর জন্য রাস্তা আটকানো যেন না হয়। লাউডস্পিকার ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে তা যেন অন্য কারও বিরক্তির কারণ না হয়। এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার বার্তাও দেওয়া হয়েছে।

    এদিকে, ধর্মীয় স্থানে লাউড স্পিকার ব্যবহারের ক্ষেত্রে আইন প্রণয়ন করে দিক কেন্দ্র সরকার , এমনই প্রস্তাব দিয়েছে মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে সরকার। এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে প্রতিনিধি পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে। যদিও উত্তরপ্রদেশ সরকারের অতিসক্রিয়তারই প্রশংসা করেছেন রাজ ঠাকরে। উদ্ধব ঠাকরের সরকারের সমালোচনা করে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ”হৃদয় থেকে সর্বান্তকরণে যোগী সরকারকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সমস্ত ধর্মীয় স্থান বিশেষত মসজিদ ( Masjid) থেকে লাউডস্পিকার (loudspeakers) সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপে আমি কৃতজ্ঞ। দুর্ভাগ্যবশত মহারাষ্ট্রে কোনও ‘যোগী’ নেই। আমাদের এখানে শুধুই ভোগী। এদের একটু শুভ বুদ্ধির জন্য প্রার্থনা আর আশা করা ছাড়া কিছুই করার নেই।”

LinkedIn
Share