Blog

  • Two Full Time Degree: স্নাতকস্তরে একইসঙ্গে দুটো ডিগ্রি কোর্স করা যাবে, নয়া নিয়ম ইউজিসির

    Two Full Time Degree: স্নাতকস্তরে একইসঙ্গে দুটো ডিগ্রি কোর্স করা যাবে, নয়া নিয়ম ইউজিসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্নাতকস্তরে দ্বৈত ডিগ্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মে বড়সড় বদল আনল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি (University Grants Commission)। এবার থেকে স্নাতকস্তরে (Under Graduate) পড়ুয়া হিসেবে একসঙ্গে দুটি পাঠক্রমে ভর্তি হওয়া যাবে। এতদিন পর্যনেত এই সুযোগ ছিল না। এবার থেকে নিয়মিত জোড়া কোর্স একসঙ্গে করতে পারবেন পড়ুয়ারা।মঙ্গলবার ইউজিসি কর্তা জগদীশ কুমার জানান, কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা চাইলে আরেকটি ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স করতে পারবেন। এক্ষেত্রে দুটি ডিগ্রিতেই অফলাইন ক্লাস করা যাবে কিংবা একটি ডিগ্রি অনলাইন, আরও একটি অফলাইন ক্লাস বা দু’টি ডিগ্রিই অনলাইনে ক্লাস করলেও ইউজিসির কোনও আপত্তি নেই। ১৩ এপ্রিল অর্থাৎ বুধবার এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইউজিসি। আগের নিয়ম অনুযায়ী একটি নিয়মিত পাঠক্রমের সঙ্গে শুধুমাত্র একটি ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স করা যেত। সেটাও করতে হত অনলাইনে। এই নয়া নিয়মে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল। এমনটাই জানান শিক্ষাবিদরা।
    তবে এই পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। দুটি পাঠক্রম যাতে পরম্পরের সঙ্গে জড়িত বিষয়ের না হয়, সে বিষয়টি দেখতে হবে। নিয়মিত পাঠক্রমের ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন বিষয়ের কোর্সের ক্লাস যেন একইসঙ্গে না চলে তা পড়ুয়াকে দেখতে হবে। উল্লেখ্য, বিষয়টি নিয়ে বহুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। এতদিনে তা বাস্তবরূপ পেল। এই নয়া নিয়মে খুশি শিক্ষার্থীরা।

     

  • Xiaomi 12 Pro: ভারতে ২৭ এপ্রিল লঞ্চ হতে চলেছে শাওমি ১২ প্রো

    Xiaomi 12 Pro: ভারতে ২৭ এপ্রিল লঞ্চ হতে চলেছে শাওমি ১২ প্রো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বাজারে শাওমি ১২-প্রো আসতে চলেছে আগামী ২৭ এপ্রিল। এটি প্রথমে চীনে এবং তারপরে বিশ্ব বাজারে লঞ্চ করে। এরপরই ভারতে শাওমির এই নতুন ফোনটি লঞ্চ করার কথা জানায় শাওমি ইন্ডিয়া (Xiaomi India)। সংস্থার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে এই কথা জানানো হয়।  চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত Xiaomi-এর সবচেয়ে প্রিমিয়াম প্রোডাক্ট হল শাওমি ১২ প্রো (Xiaomi 12 Pro)।
    এই ফোনটির ডিসপ্লে ৬.৭৩ইঞ্চি। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে এই ফোনটিতে। এর  অ্যাডাপটিভ রিফ্রেশ রেট 120hz ,টাচ স্যাম্পলিং রেট 480hz। এছাড়াও রয়েছে ডলবি ভিশন, কর্নিং গরিলা গ্লাস। সফটঅয়্যারের দিক থেকে, Xiaomi 12 Pro সবচেয়ে আধুনিক  Android 12-দ্বারা চালিত। ফটোগ্রাফির জন্য, ডিভাইসটিতে একটি 50MP প্রধান ক্যামেরা, একটি 50MP আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা এবং একটি 50MP পোর্ট্রেট ক্যামেরা রয়েছে৷ এছাড়াও রয়েছে একটি 32MP সেলফি স্ন্যাপার।
    এর ব্যাটারিতে 120W তারযুক্ত ফাস্ট চার্জিং এবং 50W ওয়্যারলেস ফাস্ট চার্জিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ডিভাইসটি ইউএসবি টাইপ-সি অডিও, হাই-রেস অডিও,ডুয়াল স্পিকার এবং ডলবি অ্যাটমস সাপোর্ট করে।

     

  • West Bengal: ১৮ দিনে ৬ তদন্তভার সিবিআইকে, কেন মমতার পুলিশে আস্থা হারাচ্ছে আদালত? 

    West Bengal: ১৮ দিনে ৬ তদন্তভার সিবিআইকে, কেন মমতার পুলিশে আস্থা হারাচ্ছে আদালত? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়সীমা মাত্র ১৮ দিন। তার মধ্যেই ছ’টি মামলায় সিবিআই তদন্তের (CBI investigation) নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ক্রমেই রাজ্য পুলিশে (West Bengal police) আস্থা হারাচ্ছে আদালতও। তাই সত্য উদ্ঘাটনে দ্বারস্থ হতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (CBI)। 

    বামেরা বলছে, তাদের জমানার শেষের দিকে পাঁচ বছরে তিনটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আর তৃণমূল জমানায় ১৮ দিনেই ৬টি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নিখাদ রাজনীতি করতে গিয়েই পুলিশকে দলদাসে পরিণত করেছে রাজ্যের শাসক দল। যার জেরে ক্রমেই বাড়ছে সিবিআই তদন্তের দাবি।

    পুরসভা ভোটের ফল বেরনোর পরে পরেই খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। পুরুলিয়ার ঝালদার ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই শুরু। ওই ঘটনার পরে পরেই রহস্য মৃত্যু হয় তপন খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের। ওই ঘটনার তদন্তের রাশও যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। 
    এর পরেই ঘটে রাজ্য তোলপাড় করা ঘটনা। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন স্থানীয় উপপ্রধান তৃণমূলের ভাদু শেখ। ওই ঘটনার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ঘরে আগুন লাগিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় ন’ জনকে। এই দুটি মামলাও গড়ায় আদালত অবধি। জোড়া ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। 

    সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এ যাবৎ কালের এখনও পর্যন্ত সব চেয়ে বড় কেলেঙ্কারি এসএসসির মাধ্যমে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে। ইন্টারভিউয়ের জন্য নির্ধারিত দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আলাদা করে ডেকে বেশ কয়েকজনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই কেলেঙ্কারির রহস্যভেদ করতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। 

    সিবিআই তদন্তের নির্দেশের হাতে গরম উদাহরণ আরও আছে। নদিয়ার হাঁসখালিতে বছর চোদ্দর এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ। অতিরিক্ত রক্তক্ষণের জেরে মৃত্যুও হয় তার। ওই ঘটনায়ও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    আদালতের বারবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশে একটা জিনিস খুব স্পষ্ট। সেটি হল, সাধারণ মানুষের মতো রাজ্য পুলিশে আস্থা হারাচ্ছে আদালতও। হারানোরই কথা। কারণ পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে সরব হয়েছেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শাসক দলের কোনও কর্মীকে কোনও অভিযোগে গ্রেফতার করা হলে, পুলিশকে মারধর করে আসামী ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও এ রাজ্যে ঘটেছে ঘাসফুল জমানায়। 

    ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করে দেওয়ার মন্ত্রে উজ্জ্বীবিত মারমুখী তৃণমূল কর্মীদের ‘ঝান্ডাঘাত’ থেকে বাঁচতে খোদ কলকাতার বুকে নির্লজ্জভাবে পুলিশকে আশ্রয় নিতে দেখা গিয়েছিল টেবিলের তলায়। এসব ঘটনা থেকে আমজনতা বুঝে গিয়েছে বাম জমানার মতোই তৃণমূল জমানায়ও পুলিশ পরিণত হয়েছে দলদাসে। পার্থক্য কেবল একটাই। বামেরা (Left Front) রেজিমেন্টড পার্টি। সব কিছু গুছানো। আর তৃণমূল (TMC)? ওয়ান উওম্যান শো! সব কিছুই বড্ড অগোছালো! তাই বারেবারেই মুখ পুড়ছে রাজ্য সরকারের (Mamata Banerjee government)। 

  • KK Last Rites: চোখের জলে শেষ বিদায়, মুম্বাইয়ের ভারসোভায় পঞ্চভূতে বিলীন কেকে 

    KK Last Rites: চোখের জলে শেষ বিদায়, মুম্বাইয়ের ভারসোভায় পঞ্চভূতে বিলীন কেকে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখের জলে কেকে-কে (KK) বিদায় জানালেন পরিবার-পরিজন-ভক্তরা। মুম্বাইয়ে ভারসোভা (Varsova) শ্মশানে গায়কের শেষকৃত্য (Last Rites) সম্পন্ন হল। মুখাগ্নি করলেন ছেলে নকুল কুন্নাথ। শেষ যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী জ্যোতি ও মেয়ে তামারা কুন্নাথ।   

    প্রিয় বন্ধুকে শেষবারের জন্যে দেখতে এদিন গায়কের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল, হরিহরণ, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, আকৃতি কক্কর, সেলিম মার্চেন্ট, রাঘব সাচার, সুদেশ ভোঁসলে, অলকা ইয়াগনিক, জাভেদ আলি, জাভেদ আখতার, শঙ্কর মহাদেবন-এর মত সঙ্গীত জগতের ব্য়ক্তিত্বরা। শ্মশানের বাইরে প্রিয় গায়ককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে শ্মশানের বাইরে উপস্থিত ছিলেন অসংখ্য গুনমুগ্ধ ভক্ত। চোখের জলে শেষ বিদায়। পঞ্চভূতে বিলীন হলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। চিতার সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী।

    আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে কেকে-র অটোপসি রিপোর্ট, কী আছে রিপোর্টে?

    মঙ্গলবার কলকাতায় নজরুল মঞ্চে এক কলেজের অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার পরে হোটেলে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে। একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে গায়কের। বুধবার সকালে তাঁর পরিবার মুম্বাই থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছয়। 

    আরও পড়ুন: শিল্পী বেঁচে থাকে তাঁর সৃষ্টিতে! কে কে-এর কালজয়ী ১০টি গান

    বুধবার কলকাতায় গানস্যালুটের মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানোর পর রাতে মুম্বই পৌঁছয় কেকে’র নশ্বর দেহ ৷ বিকেলেই কলকাতা থেকে মুম্বই রওনা দিয়েছিল শিল্পীর পরিবার ৷ তারা রাত সওয়া আটটা নাগাদ পৌঁছে যায় মুম্বইয়ে৷ ভারসোভা এলাকার পার্ক প্লাজা কমপ্লেক্সে থাকতেন কেকে ৷ সেখানকারই হলেই আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত তাঁর দেহ শায়িত ছিল ৷ শিল্পীকে সেখানেই শেষশ্রদ্ধা জানান পরিজন, বন্ধুবান্ধব ও ভক্তরা ৷ এরপর শ্মশানের উদ্দেশ্যে শিল্পীকে নিয়ে রওনা হয় তাঁর পরিবার। 

    কেকে-র মৃত্যু নিয়ে নানা মহলে নানা জল্পনা থাকলেও, প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনেই মৃত্যু হয়েছে গায়কের। 

     

     

     

     

  • PFI: অসম পুলিশের হাতে দিল্লি থেকে গ্রেফতার পিএফআই পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি

    PFI: অসম পুলিশের হাতে দিল্লি থেকে গ্রেফতার পিএফআই পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল অসম পুলিশ (Assam Police) ও এনআইএ (NIA) যৌথ অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগে ১১ জন পিএফআই (PFI) নেতাকে গ্রেফতার করেছে। দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি মিনারুল শেখকে (Minarul Sheikh)। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ দিল্লিতে (Delhi) গিয়ে অসম পুলিশ গ্রেফতার করে মনিরুলকে। তারপর শুক্রবার তাঁকে গুয়াহাটি (Guwahati) নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও করিমগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় পিএফআই-এর বরাক ভ্যালির সাধারণ সম্পাদক বজরুল করিমকে। শুক্রবারই কোর্টে তোলা হয় ১১ জন ধৃতকে। ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে গুয়াহাটি আদালত। তাদের কাছ থেকে প্রচুর ভারত-বিরোধী নথি উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করেছে এনআইএ-র। 

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে ১৭টি শাখা খুলে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে পিএফআই, যোগ মাওবাদীদের সঙ্গেও

    বৃহস্পতিবার সারা ভারতজুড়ে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি মোট ২০ জায়গায় তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চলে কলকাতার (Kolkata) তিলজলার এক আবাসনে। জানা গিয়েছে এই আবাসনের চার তলায় ভাড়া নিয়ে পিএফআই একটি অফিস করেছে। ওই অফিস বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে বলে দাবি স্থানীয়দের। মহম্মদ আনোয়ার ওই একই তলার বাসিন্দা। তিনি বলেন, “ওই অফিস সারাদিন বন্ধ থাকত। মৌলবী, ইমামরা আসত। সঙ্গে মাথায় টুপি পরে বেশ কিছু যুবক আসত। ওরা কী করত, আমরা জানি না। কোনওদিন ওদের নাম জিজ্ঞাসা করিনি। কারণ ওদের অফিসের দরজা সবসময় ভেতর থেকে লাগানো থাকত।” 

    আরও পড়ুন: এনআইএ হানার প্রতিবাদ, কেরলে পাথর- পেট্রল বোমা ছুড়ে প্রতিবাদ পিএফআই সমর্থকদের

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, গত ১০-১১ বছরে তৃণমূল সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) পাঁচ-ছয়টি জেলায় ব্যাপকহারে বেড়েছে পিএফআইয়ের সক্রিয়তা। খোদ কলকাতার বুকেও ট্রেনিং ক্যাম্প করে ক্যাডার নিয়োগ করেছে তারা। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কেরল-কর্নাটক থেকে শুরু হওয়া এই সংগঠন বাংলায় প্রথমে মুর্শিদাবাদে কাজ শুরু করে। ক্রমেই অনুকূল পরিস্থিতি পেয়ে এখন দুই ২৪ পরগনা, মালদহ,নদিয়া, বীরভূম, হাওড়া, কলকাতা এবং উত্তর দিনাজপুরে সব মিলিয়ে কয়েক হাজার ক্যাডার নিয়োগ করেছে তারা।  

    জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে মুর্শিদাবাদে প্রথম পিএফআই কাজ শুরু করে। কলকাতার তপসিয়া এলাকায় রাজ্য দফতর তৈরি হলেও সংগঠনের অধিকাংশ নেতা মুর্শিদাবাদ-মালদহ জেলার। এ রাজ্যে পিএফআইয়ের সভাপতি হলেন হাসিবুল ইসলাম। গত পাঁচ-ছয় বছর পিএফআই কিছুটা অন্তরালে থেকেই কাজ করত। কিন্তু সিএএ-র (CAA) বিষয়টি সামনে আসার পর এ রাজ্যেও পিএফআই প্রকাশ্যে এসে কার্যকলাপ শুরু করে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কলকাতায় অফিস থাকলেও বহরমপুর থানার অন্তর্গত বাখুরি গ্রামে রয়েছে পিএফআইয়ের সদর দফতর। সেখান থেকে রাজ্যজুড়ে কাজের নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে।

    বৃহস্পতিবার এনআইএ এবং ইডি উত্তরপ্রদেশ, কেরল, কর্নাটক, অসম, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশে অভিযান চালায়। এখনও পর্যন্ত ১৯৬ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। দেশজুড়ে এই ইসলামিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জোড়াল হচ্ছে। বিভিন্ন অসামাজিক ও দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ২০০৬ সালে গঠিত, এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে। অভিযোগ , সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে পিএফআই। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে তারা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার খুব শীঘ্রই পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে (পিএফআই) নিষিদ্ধ করতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এই দলটিকে বেআইনি ঘোষণা করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে, বলে খবর।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Niti Aayog: নীতি আয়োগের পরবর্তী ভাইস চেয়ারম্যান সুমন কে বেরি

    Niti Aayog: নীতি আয়োগের পরবর্তী ভাইস চেয়ারম্যান সুমন কে বেরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২০১৭ সালের অগস্টে অরবিন্দ পানাগড়িয়ার পরে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান পদে বসেছিলেন অর্থনীতিবিদ রাজীব কুমার। আগামী ৩০ এপ্রিল তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সূত্রের খবর, তার আগেই ওই পদ থেকে আচমকা ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। রাজীবের এ ভাবে সরে যাওয়ার কারণ নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে তড়িঘড়ি নীতি আয়োগের পরবর্তী ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে অর্থনীতিবিদ সুমন কে বেরি-কে নিয়োগ করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ, স্ট্যাটিসটিক্যাল কমিশন এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি বিষয়ক টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজ়রি কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। দায়িত্ব নেবেন ১ মে থেকে।

    সংশ্লিষ্ট মহল মনে করাচ্ছে, রাজীবের পূর্বসূরী পানাগড়িয়া তিন বছরের মাথায় নীতি আয়োগ ছেড়েছিলেন। ক্ষমতার অলিন্দে জল্পনা দানা বেঁধেছিল, মূলত মোদী সরকারের সঙ্গে মতের অমিল হওয়ার কারণেই সরকারের এই উপদেষ্টা সংস্থার দায়িত্ব ছেড়ে তিনি মার্কিন মুলুকে পড়াশোনার জগতে ফিরছেন।

    এ দিন সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কুমারের ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে এবং ৩০ এপ্রিল ওই পদ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

  • Jaishankar at Abu Dhabi: আবু ধাবিতে ‘সম্প্রীতির প্রতীক’ হিন্দু মন্দির নির্মাণ খতিয়ে দেখলেন জয়শঙ্কর

    Jaishankar at Abu Dhabi: আবু ধাবিতে ‘সম্প্রীতির প্রতীক’ হিন্দু মন্দির নির্মাণ খতিয়ে দেখলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবু ধাবিতে (Abu Dhabi) হিন্দু মন্দির (Hindu Temple) নির্মাণের কাজ দেখতে গেলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বর্তমানে তিন দিনের সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (United Arab Emirates) সফরে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখান থেকেই যান হিন্দু মন্দির নির্মাণের কাজ দেখতে। কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষও প্রকাশ করেন তিনি।

    মুসলিম রাষ্ট্র আবু ধাবি। সেখানেই এই প্রথম গড়ে উঠছে হিন্দু মন্দির। বুধবার সেই মন্দিরের কাজই দেখতে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। মন্দিরটি স্বামী নারায়ণের। মন্দির নির্মাণের কাজ খতিয়ে দেখার পর ট্যুইট করেন জয়শঙ্কর। লেখেন, গণেশ চতুর্থীতে আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দির নির্মাণের কাজ খতিয়ে দেখতে পেরে আমি গর্বিত। দ্রুত গতিতে চলছে মন্দির নির্মাণের কাজ। যাঁরা মন্দির নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁদের প্রশংসা করি। বিএপিএস টিম, সম্প্রদায়, সমর্থক, ভক্ত শ্রমিকদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছি। একটি মুসলিম রাষ্ট্রে হিন্দু মন্দির নির্মাণের কাজটিকে শান্তি, সহবত ও ঐক্যের প্রতীক আখ্যা দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। স্বাগত জানিয়েছেন প্রতীকী মন্দির নির্মাণের উদ্যোগকেও। প্রসঙ্গত, আবু ধাবিতে যে মন্দিরটি নির্মাণের কাজ চলছে সেটি তৈরি করছে বিএপিএস স্বামীনারায়ণ সংস্থা।

    আরও পড়ুন : ভারত-চিন সম্পর্ক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

    ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৭০০ ভারতীয় ও সমাজের সর্বস্তরের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের সামনে ওই মন্দিরের মডেলের আবরণ উন্মোচন করেছিলেন। মন্দিরটি গড়ে উঠছে আবু ধাবির আবু মুরেইখ এলাকায়। শিলা পুজোর সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের হাজার হাজার ভক্ত, শুভানুধ্যায়ী এবং অতিথিবৃন্দ। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, তার পর থেকে মন্দির দেখতে ভিড় করছেন বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসী মানুষও।

    জয়শঙ্করের ট্যুইটের প্রেক্ষিতে ট্যুইট করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষও। ট্যুইট বার্তায় লেখা হয়েছে, শুভ দিনে মন্দির দর্শনে এসেছিলেন জয়শঙ্কর। তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাই। মন্দির নির্মাণে শিল্পী, স্বেচ্ছাসেবক এবং অনুদানকারীদের সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য বিশ্ব ঐক্যের পথে আধ্যাত্মিক মরুদ্যান স্বরূপ। ২০১৪ সালে দিল্লি দখল করে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৫ সালে মোদি যান পশ্চিম এশিয়া সফরে। তখনই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সরকার মন্দির নির্মাণের জন্য জমি দেয়। সেই জমিতেই গড়ে উঠছে স্বামী নারায়ণের মন্দির। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, দুই দেশের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ ও ঐক্যের সেতু হয়ে থাকবে এই মন্দির। এই মন্দির হয়ে থাকবে ভারতের পরিচয়ও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sharada Peeth: একদা কাশ্মীর ছিল শারদা দেশ! জানেন কি এই শক্তি পীঠের মাহাত্ম্য?

    Sharada Peeth: একদা কাশ্মীর ছিল শারদা দেশ! জানেন কি এই শক্তি পীঠের মাহাত্ম্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নীলম নদীর তীরে পাহাড়ি গ্রাম শারদা। এখানেই আছে সুপ্রাচীন তীর্থক্ষেত্র শারদা পীঠ। হিন্দু বিশ্বাস মতে ১৮টি মহাশক্তিপীঠের অন্যতম এই মন্দির। হিন্দু ধর্ম মতে, এখানে সতীর ডান হাত পড়েছিল। শুধু হিন্দু ধর্ম নয়, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত এই শারদা পীঠ হয়ে উঠেছিল বৌদ্ধধর্মের অন্যতম জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র।

    একদা ছিল জ্ঞানচর্চার পীঠস্থান। সতীপীঠ। আদতে যেন দেবী সরস্বতীরই আরাধনা কেন্দ্র। আজ তা ভগ্নপ্রায়। পাক অধীকৃত কাশ্মীরে আজ শুধুই স্মৃতির ধ্বংসাবশেষ। উপমহাদেশে জ্ঞানচর্চার অন্যতম কেন্দ্র এই শারদা পীঠে এক সময় অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা করেছিলেন কলহন, আদি শঙ্করাচার্য্য, কুমারজীবের মতো পণ্ডিতেরা। ঐতিহাসিকদের মতে, পাণিনি সহ আরও অনেক ভারতীয় পণ্ডিতদের লেখা দীর্ঘদিন এই মন্দিরে রাখা ছিল। প্রাচীন ইতিহাসে অনেক সময়ই কাশ্মীরকে শারদা-দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। শারদা পীঠের কারণেই এই নাম দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করেন ইতিহাসবিদেরা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফফরাবাদ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই পীঠ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই মন্দিরের উচ্চতা ১,৯৮১ মিটার।

    আরও পড়ুন: আসতে চলেছে জয়েন্ট থিয়েটার কমান্ড! তিন বাহিনীর মধ্যে সংযোগ বাড়ানোই লক্ষ্য, জানালেন রাজনাথ

    চিনা পর্যটক এবং বৌদ্ধ পণ্ডিত হিউয়েন সাং ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে দু’বছরের জন্য এই মন্দিরে ছিলেন। ১১৪৮ খ্রিস্টাব্দে কলহনের লেখা রাজতরঙ্গিনীতে শারদা পীঠকে হিন্দু ধর্মের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বর্ণনা করা হয়। অষ্টম শতাব্দীতে বাংলা থেকে একদল পণ্ডিত এই মন্দিরে জ্ঞানচর্চা করতে যান বলে লেখা আছে রাজতরঙ্গিনীতে। ষোড়শ শতাব্দীতে আকবরের নবরত্নের অন্যতম আবুল ফজলের লেখাতেও শারদা পীঠের উল্লেখ আছে। তাঁর লেখা থেকে জানা যায়, এই মন্দির চত্বর সোনায় মোড়া ছিল।

    এই সমৃদ্ধির পতন ঘটে চতুর্দশ শতকে। মুসলিম আক্রমণকারীদের হাতে হানি হয় ওই শিক্ষাকেন্দ্রের।  এরপরে কাশ্মীরের মহারাজা গুলাব সিং পুনরায় মন্দির গড়ে তোলেন। পরে ১৯৪৭ সালে এই অঞ্চল পাখতুনদের দখলে চলে যায়। তখন থেকেই যোগাযোগ ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হতে থাকে। বর্তমানে এই অঞ্চল পাক অধীকৃত কাশ্মীরের মধ্যেই পড়ে। 

    এই মন্দিরে একটি শারদা দেবীর বিগ্রহ ছিল বলে জানা যায়। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কাছে এই মন্দির অমরনাথ এবং মার্তণ্ড সূর্যমন্দিরের মতোই পবিত্র। কিন্তু ২০০৫ সালের ভূমিকম্পে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই শক্তিপীঠ। বর্তমানে তা প্রায় খণ্ডহর। ২০০৭ সালে এই মন্দির দর্শন করতে চেয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান কাশ্মীরী পণ্ডিতদের একটি দল। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় পাক সরকার। কাশ্মীরি পণ্ডিতরা এখন আর এই পীঠ দর্শন করতে পারেন না। করতারপুর করিডর খুলে যাওয়ার পর পাক সরকার এই মন্দির নতুনভাবে নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে বলে শোনা গেলেও এখনও এ নিয়ে কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা মেলেনি। তাই এই মন্দির সংস্কারে উদ্যোগী ভারত। সম্প্রতি এই মন্দিরকে দেশের অভ্যন্তরে আনার কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

  • Modi in UP: “সব স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন…!” যোগী-রাজ্যে গিয়ে কী বললেন মোদি?

    Modi in UP: “সব স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন…!” যোগী-রাজ্যে গিয়ে কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। উত্তরপ্রদেশে বিনিয়োগকারীদের শীর্ষ সম্মেলনে (3rd Uttar Pradesh Investors Summit) যোগ দেন তিনি। শিলান্যাস করলেন একাধিক প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO) সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ ১,৪০৬ টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদি। যাতে বরাদ্দ প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা।
     
    প্রকল্পগুলি মূলত কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেক্ট্রনিক্স, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, উৎপাদন, পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি, ওষুধ, পর্যটন, প্রতিরক্ষা, বিমান পরিবহণ, তাঁত এবং বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত। উত্তরপ্রদেশে বিনিয়োগকারীদের শীর্ষ সম্মেলন প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ২১-২২ ফেব্রুয়ারি। ওই বছরই ২৯ জুলাই ৬১,৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮১টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল। দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন হয় ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই। সেবছর ৬৭,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৯০টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। এবছর এক লাফে বিনিয়োগ বেড়ে ৮০,০০০ কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের

    এদিন সকালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi) আদিত্যনাথ একটি ট্যুইটে লেখেন, “প্রধানমন্ত্রীর অভিভাবকত্বে নতুন ভারত গড়ার লক্ষ্যে নতুন রূপে উত্তরপ্রদেশ। দেশে বিনিয়োগের সবচেয়ে ভালো ঠিকানা উত্তরপ্রদেশ। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বিনিয়োগকারীদের উন্মাদনা তারই প্রমাণ। নতুন উত্তরপ্রদেশকে এক নতুন উড়ান দেবে এই অনুষ্ঠান।” 

    [tw]


    [/tw]

    এদিন ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের তাবড় তাবড় শিল্পপতিরা। তালিকায় রয়েছে গৌতম আদানি, কুমার মঙ্গলম বিড়লা, সজ্জন জিন্দাল, মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানির মতো বড় বড় নাম।  উত্তরপ্রদেশে ৭০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার ঘোষণা করেছে আদানি গ্রুপ। 

    আরও পড়ুন: “বাংলার দিদি এসেছিলেন…”, ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ যোগীর, কী বললেন তিনি?

    উত্তরপ্রদেশে বিনিয়োগকারীদের শীর্ষ সম্মেলনে মোদি এদিন বলেন, “আমরা একসঙ্গে কাজ করে দেশকে শক্তিশালী করতে চাই। এক দেশ- এক কর, এক দেশ- এক বিদ্যুৎ শক্তি, এক দেশ- এক মোবিলিটি কার্ড, এক দেশ- এক রেশন কার্ড। এই সব কিছুই আমাদের স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন।” 

    নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, “রাজ্যের দ্রুত উন্নতির জন্যে যৌথভাবে কাজ করছে ‘ডবল-ইঞ্জিন সরকার’। এই বছরের বাজেটে এই রাজ্যে ৭.৫ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ভারত বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। গ্লোবাল রিটেল ইনডেক্সের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত। আগামী দিনে উত্তরপ্রদেশে কর্মসংস্থান আরও বাড়বে।” 

    [tw]


    [/tw]

    ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠান শেষে দুপুর ১.৪৫ নাগাদ প্রধানমন্ত্রী কানপুরের পারাউঙ্খ গ্রামে যান। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind) এবং প্রধানমন্ত্রী সেখানে একসঙ্গে পাথরি মাতা মন্দির দর্শন করেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দুপুর ২টোয় ডঃ বি আর আম্বেদকর ভবন যান। সেখান থেকে ২.১৫ মিনিট নাগাদ যান মিলন কেন্দ্রে। মিলন কেন্দ্র হল, জনসাধারণের জন্য দান করা রাষ্ট্রপতির পূর্বপুরুষের একটি বাড়ি। এখন সেই বাড়িকে একটি সামাজিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এরপর ২.৩০ নাগাদ তাঁরা পারাউঙ্খ গ্রামে একটি জনসভায় যোগ দেন। 

        

  • MGNREGA: কেন ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের টাকা আটকেছে কেন্দ্র? রইল ৮ কারণ

    MGNREGA: কেন ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের টাকা আটকেছে কেন্দ্র? রইল ৮ কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনরেগা (MGNREGA) বা ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের বকেয়া টাকা কেন কেন্দ্র আটকে রেখেছে, তার আসল কারণ বা বলা ভালো কারণগুলি জানা গেল। যে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে রীতিমতো চাঞ্চল্যকর। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট, রাজ্যের অসহযোগিতার কারণে কার্যত বাধ্য হয়েই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে কেন্দ্রকে।

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার অভিযোগ করছেন যে, ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখে দিয়েছে কেন্দ্র। এমনকি, বকেয়া টাকা যাতে রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়া হয়, তার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) কাছে চিঠিও লিখেছেন।

    কিন্তু, মমতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তুললেও, সত্য ঘটনা একেবারেই উল্টো। আসল তথ্য যাতে বাইরে না আসে, তাই নিয়ে কেন্দ্রের ওপর দোষ চাপিয়ে গোটা বিষয়টিকে যাতে ঘুরিয়ে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একবারের জন্যও রাজ্যবাসীর কাছে খোলসা করেননি যে, কেন বা কী কারণে কেন্দ্র এই বরাদ্দ অর্থ প্রদান করা থেকে বিরত থেকেছে। অথবা, বলা ভালো কেন রাজ্যের টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্র। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী বিলক্ষণ জানেন, এক্ষেত্রে ঝুলি থেকে অনেক বেড়াল বেরিয়ে পড়বে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কোথায় কোথায় কারচুপি করা হয়েছে, কোথায় কোথায় গরমিল করে রাখা হয়েছে, সেই সব ঘটে যাওয়া বিস্তর দুর্নীতির খতিয়ান প্রকাশ্যে চলে আসবে।

    সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজ বা মনরেগা প্রকল্প নিয়ে একটি কেন্দ্রীয় রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। আন্তঃ মন্ত্রক ওই রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, ঠিক কেন ও কীসের ভিত্তিতে কেন্দ্র রাজ্যের অর্থ আটকে রেখেছে। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট, কীভাবে পশ্চিমবঙ্গে মনরেগা বা ১০০ দিনের কাজে প্রকল্পে ব্যাপকহারে কারচুপি হয়েছে। একাধিক ক্ষেত্রে রয়েছে বিস্তর গরমিল। এই নিয়ে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে বিভিন্ন সময়ে চিঠি পাঠানো হলেও, রাজ্য থেকে কোনও জবাব না আসায় বাধ্য হয়ে অর্থ বন্ধ করতে হয়েছে কেন্দ্রকে।

    ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে যুগ্ম সচিব পর্যায়ের আধিকারিকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত করে। রিপোর্ট মূলত ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে প্রদেয় অর্থের প্রেক্ষিতে তৈরি। রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী টিমের তদন্তে উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বলা হয়েছে, অন্তত ৩১টি কাজে বিস্তর গোলযোগ ধরা পড়েছে। তদন্তকারী টিমের মতে, ভূমি সংক্রান্ত কাজে বিশেষ করে বিস্তর গোলমাল রয়েছে। 

    কেন্দ্রীয় টিম যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তাতে একাধিক গাফিলতি ও গরমিলের উল্লেখ করা হয়েছে—

    ১. কাজের অনুমতি জন্য উচ্চতর কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রয়োজনীয় স্ক্রুটিনি এড়াতে একটি বড় কাজকে ছোট ছোট কাজে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    ২. সেচ দফতরের সঙ্গে কোনও প্রকার শলা-পরামর্শ না করে বা কোনওরকম পরিকল্পনা ছাড়াই বন্যা রোধ প্রকল্পের আওতায় যত্রতত্র এবং যথেচ্ছভাবে পলি তোলার কাজ করা হয়েছে। 

    ৩. জমির ধরণ বিবেচনা না করেই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। কতটা কাজের আদৌ প্রয়োজন তা বিচার না করেই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। এমনকি, কতটা কাজ হয়েছে তা যাচাই না করেই পেমেন্ট করা হয়েছে। 

    ৪. পুরনো বা চলমান কাজ নতুন রূপে মনরেগা প্রকল্পের আওতায় আবেদন করা হয়েছে।  

    ৫. কেনার বিষয়ে কোনও নিয়ম মানা হয়নি। টেন্ডার প্রক্রিয়া যথাযথভাবে পালন করা হয়নি। কাজের অনুমতি মেলার ১৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ দেখানো হয়েছে। 

    ৬. মনরেগা প্রকল্পে অধীনে থাকতে পারে না এমন কাজ যেমন— বন্যা প্রতিরোধে বালির বস্তা ফেলা, কাঁটাতার দেওয়া, বাহারি গাছ লাগানো ইত্যাদিকেও এর আওতায় এনে দেখানো হয়েছে। 

    ৭. যে সব কাজ অপ্রয়োজনীয়, সেগুলিকেও মনরেগা প্রকল্পের আওতায় এনে করা হয়েছে। 

    ৮. কাজের খতিয়ান নথিভুক্ত বা ফাইল রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত দায়সারাভাবে করা হয়েছে। 

    কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় টিমের পাওয়া তদন্ত রিপোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল। যার প্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফ থেকে একটি অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠানো হয়। কিন্তু, ওই এটিআর রিপোর্ট দেখে একেবারেই সন্তুষ্ট হতে পারেনি কেন্দ্র। কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্যের জবাবে খামতি পাওয়া গিয়েছিল। এরপর রাজ্যকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও, মমতা প্রশাসনের তরফে থেকে কোনও উত্তর মেলেনি।

    এদিনই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। এপ্রসঙ্গে, প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্য বিজেপি (BJP Bengal) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, সকলেই চায় ১০০ দিনের কাজ হোক। কিন্তু, কেন্দ্রের টাকা সাধারণ মানুষের জন্য। তৃণমূলের নেতাদের প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরির জন্য নয়। 

LinkedIn
Share