Blog

  • Google: ব্যবহারকারীদের জীবনে নজর চালানো হচ্ছে, গুরুতর অভিযোগ গুগলের বিরুদ্ধে

    Google: ব্যবহারকারীদের জীবনে নজর চালানো হচ্ছে, গুরুতর অভিযোগ গুগলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুগলের ব্যক্তিগত ব্রাউজিং (Google Private Browsing) আদতেও ব্যক্তিগত নয়। ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছে গুগল। এমনই অভিযোগ আনলেন টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন (Ken Paxton)। এই অভিযোগের গুগলের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন তিনি।

    জানুয়ারিতে টেক্সাস (Texas), ইন্ডিয়ানা, ওয়াশিংটন, কলম্বিয়ায় গুগলের বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। দাবি করা হয়েছিল, গুগল ব্যবহারকারীদের লোকেশন ট্র্যাক (Location Track) করছে। এতে তাদের ব্যক্তিগতে পরিসরে ঢুকে পড়তে চাইছে গুগল।

    ইনকগনিটো মোড (Incognito Mode) বা ব্যক্তিগত ব্রাউজিং- এর ক্ষেত্রে গুগল দাবি করে যে তারা ব্যবহাকারীর কোনও তথ্য চাইবে না বা কোনও রকম নজরদারি চালাবে না। কেনের বক্তব্য কথার খেলাপ করছে গুগল। ‘সার্চ হিস্ট্রি’ এবং ‘লোকেশন’ দুই- এর তথ্যই নিজের কাছে রাখছে এই সংস্থা।

    মামলাটিতে দাবি করা হয়, ব্যক্তিগত ব্রাউজিং সুবিধায় কেউ হয়তো কোনও গোপন ওয়েবসাইট খুঁজছেন বা তাঁর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত, রাজনীতি সংক্রান্ত কোন তথ্য খুঁজছেন বা কেউ কারও জন্যে উপহার কেনার ক্ষেত্রে গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাইছেন। গুগল গোপনীয়তা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটা তারা করছে না। গোপনে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য নিজের কাছে রাখছে গুগল।

    গুগল যদিও নিজের সাফাইয়ে বলেছে, “পুরোনো ঘটনা তুলে এই দাবি করা হচ্ছে। আমরা সেটিং- এ বদল এনেছি। ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য। আমাদের নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। আমরা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে শেষ অবধি লড়াই করব।”

    এর আগেও এই অ্যাটর্নি জেনারেল (Attorney General) গুগলের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীদের অনুমতি না নিয়েই লোকেশন ট্র্যাক করার অভিযোগ এনেছিলেন।

    গুগল দাবি করে, লোকেশন সেটিং অফ রাখলে ব্যবহারকারীর লোকেশন সম্পর্কে কিছু জানতে পারে না গুগল।

    জানুয়ারিতে আরিজোনার বিচারক দাবি করেন, গুগলের একটি গোপন লোকেশন ট্র্যাকার আছে। ব্যবহারকারীদের না জানিয়েই তাদের গতিবিধির ওপর নজর চালায় গুগল।

     

  • Viral News: সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে হাঙরের আক্রমণে দুই মহিলা, এরপর কী হল…

    Viral News: সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে হাঙরের আক্রমণে দুই মহিলা, এরপর কী হল…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল মিশরের উপকূলে। এই ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল একগুচ্ছ মানুষ। তবে কারোর থেকেই সাহায্য পাওয়া গেল না। একটি হাঙরের আক্রমণে প্রাণ হারালেন এক ৬৮ বছর বয়সী অস্ট্রিয়ান মহিলা ও এক রোমানিয়ান মহিলা। ইজিপ্টের (Egypt) লোহিত সাগরের (Red Sea) সল হাশিশ (Sahl Hasheesh) উপসাগরে এই ভয়ানক দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনাটি হওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত বহু মানুষ এটির ভিডিয়োও করেছেন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই এটি ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে।

    খবরসূত্রে জানা যায়, এই দুই মহিলা লোহিত সাগরে সাঁতার কাটছিলেন। আর তখনই মহিলাটির ওপর হাঙর আক্রমণ করে। আর তখন সেখানে উপস্থিত লোকেরা ভিডিও করে হাঙরটির দৃষ্টি অন্য দিকে সরানোর চেষ্টা করলেও কেউ জলে নেমে তাঁদের সাহায্য করতে যায়নি। শুধুমাত্র আক্রমণ চালিয়েই থেমে থাকেনি হাঙরটি, অস্ট্রিয়ান মহিলাটির একটি হাত ও পা কেটে নিয়েও চলে যায়। যদিও তিনি অনেক চেষ্টা করে উপকূলে এসে পৌঁছতে পারেন। কিন্তু শেষ রক্ষাটুকু করা গেল না। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়। আর এক মহিলাকে আক্রমণ চালানোর প্রায় এক ঘণ্টা পরে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

    সেখানকার সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার হুরঘাদা (Hurghada) রিসর্টের দক্ষিণে সল হাশিশ উপসাগরে সাঁতার কাটছিলেন তাঁরা। তারপরেই হাঙর আক্রমণ করলে একজনের পা ও হাত কেটে নিয়ে চলে যায়। এরপরেও নিজেই উপকূলে আসার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে শেষ পর্যন্ত ধারে পৌঁছে গেলেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যান। এই ঘটনার পরেই লোহিত সাগরের (Red Sea) সমস্ত সৈকত দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত ৩ দিনের জন্য বন্ধ সৈকতগুলি।

    প্রসঙ্গত, এর কিছুদিন আগেই ফ্লোরিডাতে (Florida) এমনই দুর্ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে একটি কম বয়সী মেয়েকেও আক্রমণ করেছিল এক হাঙর এবং তার পায়ের কিছুটা অংশ কেটে নিয়ে চলে যায়। যদিও পরে সে বেঁচে যায় তার দাদার জন্য। এই ঘটনাটির কথা তাঁর বাবা ফেসবুকে পোস্ট করে জানান। 

     

  • Twitter Circle: ট্যুইটারে আসতে চলেছে এই নতুন ফিচার! জানেন কি?

    Twitter Circle: ট্যুইটারে আসতে চলেছে এই নতুন ফিচার! জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম নামেই বেশি পরিচিত ট্যুইটার (Twitter)। তবে এর মধ্যেই ট্যুইটারে নতুন বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার নাম ট্যুইটার সার্কেল (Twitter Circle)।

    তবে এই বৈশিষ্ট্যটি নিয়ে এখনও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই বৈশিষ্ট্যটি অনেকটা ইনস্টাগ্রামের ক্লোজ ফ্রেন্ড (Instagram’s Close Friends) -এর বৈশিষ্ট্যের মত করা হয়েছে, যেখানে আপনার পছন্দের মত আপনার কাছের বন্ধুদের নিয়ে একটি সার্কেল তৈরি করতে পারবেন এবং শুধুমাত্র তাঁরাই আপনার সেই পোস্টটি দেখতে পারবেন। সুতরাং কারা আপনার সেই ব্যক্তিগত পোস্টটি দেখতে পারবেন তা আপনি বাছাই করে একটি সার্কেল তৈরি করে নিতে পারবেন। যদিও এই বৈশিষ্ট্যটি সমস্ত ট্যুইটার ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছতে পারেনি।

    ট্যুইটার কোম্পানির স্পিকার জোসেফ নুনেজ (Joseph Nunez) জানিয়েছেন, এই ফিচারটিকে নিয়ে এখনও পরীক্ষা করা হচ্ছে, সকল ব্যবহারকারীদের কাছে এখনও এই ফিচারটি ট্যুইটার আনেনি। অ্যানড্রয়েড (Android), আইওএস (IOS), ওয়েব সাইটে এই ফিচারটিকে নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে ও ট্যুইটার ব্যবহারকারীদের থেকে ফিডব্যাক নেওয়া হচ্ছে।

    এই ফিচারটিকে আপনার ট্যুইটারে পেতে গেলে প্রথমে আপনার ট্যুইটার আপডেট করুন, তারপর একটি নতুন ট্যুইট লিখুন এবং এটি পোস্ট করার সময় ‘Everyone’ বলে অপশন আসলে ‘Circle Option’ –এ ক্লিক করুন। এখানে আপনার Circle Option –এ এডিটের অপশনও রয়েছে, ফলে আপনি আপনার পোস্ট অনুযায়ী  Contacts পরিবর্তন করতে পারবেন।

    এর আরেকটি সুবিধা হল ট্যুইটার সার্কেলে কাউকে Add করার পর কারোর কাছে কোনও নোটিফিকেশন যায় না। আরেকটি বিষয় হল আপনার সেই পোস্টে ‘Circle Only’ এই ট্যাগটি থাকবে। এখনও পর্যন্ত কোনও একটি ট্যুইটার সার্কেলে আপনি আপনার বন্ধুদের মধ্যে মাত্র ১৫০ জনকে রাখতে পারবেন।

    বর্তমানে ট্যুইটারে অনেক রকমের বৈশিষ্ট্যই অন্তর্ভুক্ত করতে দেখা যাচ্ছে। এলন মাস্ক (Elon Musk) ট্যুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই অনেক রকমের উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে ট্যুইটারে আর কী কী পরিবর্তন আসতে চলেছে সেটিই এখন দেখার।

  • ASTRA Missile: ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় “অস্ত্র”

    ASTRA Missile: ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় “অস্ত্র”

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভাবটা মালুম হয়েছিল বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের (Balakote airstrike) সময়। ভালমানের এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের (Air-to-Air Missile) অভাবে কিছুটা পিছিয়ে আসতে হয়েছিল ভারতকে (India)। সেই ঘাটতি ঢাকতে বদ্ধপরিকর ছিল মোদি (Modi) সরকার। লক্ষ্য ছিল, দেশীয় উন্নতমানের দেশীয় আকাশ-থেকে-আকাশ নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সম্প্রতি কেন্দ্রের সবুজ সংকেত মিলেছে। অবশেষে, এবার ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) ও নৌসেনায় (Indian Navy) ব্যবহৃত যুদ্ধবিমানের মারণ ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে “অস্ত্র”।

    মোদি সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তিতে (Modi@8) ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ তৈরি করল প্রতিরক্ষামন্ত্রক। ভারতীয় সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য মঙ্গলবার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড (Bharat Dynamics Ltd) এর সঙ্গে ২ হাজার ৯৭১ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)। এই চুক্তি অনুযায়ী, ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনার জন্য ‘অস্ত্র মার্ক ১’ (ASTRA Mk I) বিয়ন্ড ভিজ়্যুয়াল রেঞ্জ (BVR) এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল বা সংক্ষেপে (BVRAAM) উৎপাদন করবে ভারত ডায়নামিক্স (BDL)।

    আরও পড়ুন: সমন্বয় বাড়াতে শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া সেনার

    সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য দৃষ্টিসীমার বাইরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম  “অস্ত্র” আকাশ থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রর পাল্লা ১১০ কিলোমিটার। ক্ষেপণাস্ত্রটির গবেষণা থেকে শুরু করে নির্মাণ ও পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল কেন্দ্রীয় প্রতিলক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। এখন ক্ষেপণাস্ত্র এবং সম্পর্কিত সিস্টেমগুলির উৎপাদনের জন্য সমস্ত প্রযুক্তি বিডিএল-এর কাছে হস্তান্তর করেছে ডিআরডিও। 

    বর্তমানে ব্রহ্মোস (BrahMos) ছাড়া, ভারতের সবকটি এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলি বিদেশ থেকে আমদানি করা। ফলে, সেগুলি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশীয় প্রযুক্তি উন্নয়ন ও দেশীয় অস্ত্র নির্মাণ ও উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই নিরিখে, এর নতুন দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের  ফলে প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগলো ভারত।

    “অস্ত্র” হল ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান ভরসা রুশ-নির্মিত সুখোই সু-৩০ এমকেআই (Sukhoi Su-30 MKI) যুদ্ধবিমানের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। পাশাপাশি, বায়ুসেনার দেশীয় ‘তেজস’ (Tejas) এবং নৌসেনার প্রধান যুদ্ধবিমান ‘মিগ-২৯কে’ (MiG 29K) সজ্জিত হবে এই ক্ষেপণাস্ত্রে।

    আরও পড়ুন: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য় এবার মার্কিন অস্ত্র?

    ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের সময় পাক বায়ুসেনা ব্যবহৃত মার্কিন নির্মিত ‘এফ-১৬’ (F-16) যুদ্ধবিমানে সঙ্গে আসা ‘এআইএম-১২০’ (AIM-120) এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের জন্য সরাসরি আক্রমণে যেতে পারেনি ভারত। কারণ, পাক বায়ুসেনার বিভিআর মিসাইলের নিশানায় চলে আসত ভারতীয় সুখোই বিমানগুলি। ভারত সেই সময় সিদ্ধান্ত নেয়, দ্রুত এই মিসাইলকে অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে। 

    বর্তমানে ভারতের অস্ত্রাগারে রয়েছে ‘মিটিয়র’ (Meteor)-এর মতো যা এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা BVRAAM। ফরাসি যুদ্ধবিমান ‘রাফাল’- এর সঙ্গে এসেছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। কিন্তু, এগুলির প্রতিটির দাম অনেক বেশি। তুলনায় ভারতে তৈরি ‘অস্ত্র’ মিসাইল অনেকটাই সস্তা। ডিআরডিও-র দাবি, পাক বায়ুসেনা ব্যবহৃত ‘এআইএম-১২০’ মিসাইলের সমতুল্য হচ্ছে ‘ASTRA Mk I’। 

    অন্যদিকে, গবেষণা চলা ‘ASTRA Mk II’ ও ‘অস্ত্র মার্ক III’ ভেরিয়েন্টগুলির পাকিস্তানের ব্যবহৃত মিসাইলের থেকে ঢের ভালো হবে এবং চিনা মিসাইলকে সমানে সমানে টক্কর দেবে। জানা গিয়েছে, এই দুই মিসাইলের পাল্লা হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩৫০ কিলোমিটার।

    আরও পড়ুন: এমএসএমই থেকে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার পরিমাণ ছুঁল সর্বকালীন রেকর্ড

  • IAF Overtakes PLAAF: বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে চিনা বায়ুসেনাকে পিছনে ফেলল ভারত, পড়ুন বিস্তারিত

    IAF Overtakes PLAAF: বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে চিনা বায়ুসেনাকে পিছনে ফেলল ভারত, পড়ুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে চিনের থেকে এগিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। এখন চিনকে (China) বিমানযুদ্ধে হারিয়ে দিতে পারবে ভারত (India)। WDMMA-এর গ্লোবাল এয়ার পাওয়ার র‌্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর স্থানে উঠে এল ভারত। এতদিন পর্যন্ত চিন ছিল এই স্থানে। ভারতের থেকে পিছিয়ে চার নম্বরে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে চিন। এখন ভারতের আগে শুধু রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) ও রাশিয়া (Russia)।

    ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অফ মডার্ন মিলিটারি এয়ারক্রাফ্ট (WDMMA) সম্প্রতি ২০২২-এর গ্লোবাল এয়ার পাওয়ার র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ্যে এনেছে। World Air Power Index-এর সেই তালিকায়  তৃতীয় স্থান অধিকার করল ভারতীয় বায়ুসেনা আর চতুর্থ স্থানে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ারফোর্স (PLAAF)। শুধু চিন নয়, প্রতিযোগিতার বিচারে একযোগে জাপান এয়ার সেলফ ডিফেন্স ফোর্স, ইজরায়েলি এয়ার ফোর্স, ফ্রেঞ্চ এয়ার অ্যান্ড স্পেস ফোর্সকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। 

    ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অফ মডার্ন মিলিটারি এয়ারক্রাফ্ট (WDMMA) ৯৮টি দেশের ১২৪টি এয়ার ফোর্সের দক্ষতা সম্পর্কে বিশেষ পর্যবেক্ষণ করে ওই রিপোর্ট তৈরি করেছে। যার মধ্যে নৌসেনা, সেনা ও বায়ুসেনার মোট ৪৭,৮৪০টি যুদ্ধ বিমানের সর্বোচ্চ ক্ষমতা খতিয়ে দেখা হয়েছে।  যুদ্ধবিমানগুলির দুর্বলতা কোথায় তা-ও পর্যবেক্ষণ করা হয়।

    প্রতিটি বিমানবাহিনীর True Value Rating-এর মধ্য দিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়। এতে প্রতিটি দেশের কতগুলি যুদ্ধবিমান আছে শুধু তা দেখা হয় না, বিমানগুলির আধুনিকীকরণ, লজিস্টিক সহায়তা, আক্রমণ এবং প্রতিরক্ষা ক্ষমতার উপরও জোর দেওয়া হয়। বিগত কয়েক বছরে বিমানবাহিনীর সামরিক ক্ষমতা নিয়ে প্রকাশিত এই তালিকায় সেরকম কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    প্রথমে আমেরিকা, তার পর রাশিয়া ও তার পরেই চিন থাকে। ভারত ছিল চতুর্থ স্থানে। এবার চিনকে পিছনে ফেলে এক কদম এগিয়ে গেল ভারত। চিনের প্রাপ্ত রেটিং ৬৩.৮, ভারতের রেটিং ৬৯.৪। আমেরিকা ও রাশিয়ার রেটিং যথাক্রমে ২৪২.৯ আর ১১৪.২। দেশের বায়ুসেনার এই সাফল্যে খুশি সেনা আধিকারিকেরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিমানবাহিনীর এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানানো হয়েছে। 

  • RSS on Gyanvapi issue: “ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে এখনই…”, জ্ঞানবাপী নিয়ে বড় মন্তব্য আরএসএসের

    RSS on Gyanvapi issue: “ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে এখনই…”, জ্ঞানবাপী নিয়ে বড় মন্তব্য আরএসএসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সত্যকে কখনও লুকিয়ে রাখা যায় না। সময় এসেছে ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে সমাজের সামনে নিয়ে আসার। বুধবার একথা বলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর(sunil ambekar)। বারাণসীতে জ্ঞানবাপী মসজিদের(Gyanvapi mosque) ওজুখানার জলাধারে ‘শিবলিঙ্গে’র(shivling) অস্তিত্ব মিলেছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। এই আবহে আরএসএসের প্রচার প্রধানের এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

    এদিন দেবঋষি নারদ পত্রকার সম্মান সমারোহ নামের একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন আম্বেকর। সেখানেই তিনি বলেন, জ্ঞানবাপী সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসছে। আমি বিশ্বাস করি, তাদের বেরিয়ে আসতে দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, যাই হোক না কেন, সত্য সর্বদা একটি মুক্তির পথ খুঁজে পায়। তাঁর প্রশ্ন, কতদিন লুকিয়ে রাখতে পারবেন? আম্বেকর বলেন, আমি বিশ্বাস করি এটাই সময় যে আমরা ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যাখ্যা করি।

    আরও পড়ুন : অযোধ্যার পর কাশী? জ্ঞানবাপী নীতি ঠিক করতে বৈঠকে ভিএইচপি

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির(kashi Viswanath temple) চত্বরে রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়া হয়েছে বলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির দাবি। যেখানে মসজিদ রয়েছে, সেখানে এক সময় শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির ছিল। মসজিদের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে বলেও দাবি তাঁদের। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ও মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিবাদ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে তিন দিন ধরে মসজিদ চত্বরে হয় ভিডিওগ্রাফির কাজ। প্রথম দিন মন্দির কমপ্লেক্সে ভিডিওগ্রাফিতে বাধা দেয় মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ। আদালত কর্তৃক নিযুক্ত অ্যাডভোকেট কমিশনার অজয় কুমার মিশ্রের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তোলেন তাঁরা। এর পরেই বন্ধ হয়ে যায় ভিডিওগ্রাফির কাজ। পরে ফের শুরু হয়। তিনদিন চলার পর কাজ শেষ হয় সোমবার।

    এর পরেই মামলায় হিন্দু আবেদনকারী সোহন লাল আর্য দাবি করেন, ভিডিওগ্রাফি করতে গিয়ে আদালত কর্তৃক নিযুক্ত সংস্থা একটি শিবলিঙ্গ খুঁজে পেয়েছে। মন্দিরের অস্তিত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেন তাঁরা। এর পরেই মসজিদ সংলগ্ন ওজুখানার জলাধারটিতে কড়া প্রহরার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা যাতে নির্বিঘ্নে নমাজ পড়তে পারেন, সেই ব্যবস্থাও করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে সমাজের সামনে নিয়ে আসার দাবি জানালেন আরএসএসের প্রচার-প্রমুখ। 

            

  • Pakistani Drone: চোরাচালানের ছক! পাঞ্জাব সীমান্তে পাক ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, উদ্ধার প্রচুর মাদক

    Pakistani Drone: চোরাচালানের ছক! পাঞ্জাব সীমান্তে পাক ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, উদ্ধার প্রচুর মাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাব (Punjab) সীমান্তে একটি পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)। সোমবার ভোরে সীমানা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে ড্রোনটি। সঙ্গে সঙ্গে বিএসএফ জওয়ানরা গুলি চালিয়ে সেটিকে নামিয়ে আনেন। ড্রোনটি থেকে প্রায় ১০ কিলোগ্রাম হেরোইন (Heroin) উদ্ধার হয়। 

    বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন অমৃতসরের সীমান্তবর্তী ভারোপাল গ্রামে একটি পাকিস্তানি ড্রোন দেখতে পান নিরাপত্তারক্ষীরা। সঙ্গে সঙ্গে বিএসএফ জওয়ানরা গুলি চালিয়ে সেটিকে নামিয়ে আনেন। ড্রোনটি থেকে প্রায় ১০ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মাদকের মূল্য ভারতীয় বাজারে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা বলে মনে করা হচ্ছে। 

    বিএসএফের তরফে একটি ট্যুইটে জানানো হয়েছে, “পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে মাদক পাচার করার আরও একটি প্রচেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে বিএসএফ। পাকিস্তান থেকে আসা ড্রোনটিকে গুলি করে নামিয়ে আনেন জওয়ানরা। সেই ড্রোন থেকে ন’টি প্যাকেটে মোড়া ১০ কেজি হেরোইন পাওয়া গিয়েছে।”    

    রবিবার পাঞ্জাবের তরন তারান থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে একটি শক্তিশালী আইইডি উদ্ধার করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী মনে করছে, পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে ওই বোমাটি ভারতে পাচার করা হয়েছিল।  

    মূলত অস্ত্রশস্ত্র ও মাদক দ্রব্য ছড়াতেই সীমান্তরেখা পেরিয়ে এই ড্রোনগুলিকে ভারতে পাঠায় পাকিস্তান। নাশকতার কোনও ছকও থাকতে পারে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হয়। অতিমারীর সময় থেকেই সীমান্তে পাক হামলার ঘটনা বেড়েছে। কিন্তু ভারতীয় সেনার একের পর এক প্রত্যাঘাতে নাকাল হতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। তাই এখন ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্ত পেরিয়ে অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে পাকিস্তান।

     

  • Birbhum: সিআইডি নয়, বীরভূমে জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত করবে এনআইএ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Birbhum: সিআইডি নয়, বীরভূমে জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত করবে এনআইএ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বীরভূমে জোড়া বিস্ফোরণে এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ আদালতের। বিস্ফোরণ সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে দিতে সিআইডিকে (West Bengal CID) নির্দেশও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। ঘটনায় ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের (Mamata Government)।

    সিবিআই থেকে ইডি বা এনআইএ – রাজ্যে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার তদন্তের দায়ভার পড়ছে কেন্দ্রীয় এই সব এজেন্সির হাতে। বছর তিনেক আগে এক মাসের ব্যবধানে বীরভূমে ঘটে যাওয়া জোড়া বিস্ফোরণের তদন্তভার এবার হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তাল এনআইএ-র ওপর।

    বিস্ফোরণের প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সালের ২৯ অগাস্ট, বীরভূমের সদাইপুরের রেঙ্গুনি গ্রামে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে যায় জনৈক হাইতুন্নেশা খাতুনের গোয়ালঘরের চাল। এই ঘটনার জেরে বাতাসে লেগে থাকা বারুদের গন্ধ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই বিস্ফোরণের দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে। এবার ঘটনাস্থল বীরভূমের লোকপুরের গাংপুর। ২০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বাসিন্দা বাবলু মণ্ডলের বাড়ির টিনের চাল উড়ে যায়। পুলিশের হাত ঘুরে দুই বিস্ফোরণের তদন্তভার যায় সিআইডির(CID) হাতে। আদালতের নির্দেশে পরে যে দায়িত্ব বর্তায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে।

    তদন্তভার পাওয়ার পরেও তদন্তের কাজ বিশেষ না এগনোয় রাজ্যকেই দুষতে থাকে এনআইএ। দ্বারস্থ হয় বিশেষ আদালতের। এরপর নথি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় বিশেষ আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলায়ই এই নির্দেশ দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের মন্তব্য, আইন অনুযায়ী এই ধরনের ঘটনা ঘটলে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা, এনআইএ-কে একটা প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠায়। সেই রিপোর্ট বিবেচনা করে তদন্ত করা বা না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু এই দুই ঘটনার ক্ষেত্রে সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। যেহেতু রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার চেয়ে এনআইএ-র বিস্তৃতি আরও বেশি, সেজন্য ন্যায়-বিচারের স্বার্থে দুই মামলার তদন্তভার দেওয়া হল এনআইএ-কে।

     

  • Amit Shah on Article 356: ‘৩৫৬ ধারা নয়, রাজনৈতিকভাবে লড়াই করুন তৃণমূলের’, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে ‘শাহি’-বার্তা

    Amit Shah on Article 356: ‘৩৫৬ ধারা নয়, রাজনৈতিকভাবে লড়াই করুন তৃণমূলের’, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে ‘শাহি’-বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৫৬ ধারা (Article 356) প্রয়োগ করে নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে (Mamata Government) ফেলে দেওয়া হবে না। বিজেপির (BJP) রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দলীয় কর্মীদের সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Union Home Minister) তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে রাজ্যের শাসক দলের (TMC)। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে এপর্যন্ত রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার (Post-poll violence) বলি হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের সিংহভাগই বিজেপির (BJP) বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি জানায় বঙ্গ বিজেপির একাংশ। তবে বিজেপি যে ৩৫৬ ধারার বিরোধী, এদিন তা স্পষ্ট করে দেন কেন্দ্রীয় সরকারের দু’ নম্বর ব্যক্তিত্ব।

    শুক্রবার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন অমিত। ওই বৈঠকে ২০২৪-র লোকসভা ভোট-বৈতরণী কীভাবে পার হতে হবে, তাও জানিয়ে দেন শাহ। তিনি বলেন, বিপুল জনসমর্থন নিয়েই রাজ্যের তখ্তে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। নির্বাচিত সরকারকে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে ফেলে দেওয়া হবে না। তৃণমূলের মোকাবিলা যে রাজনৈতিকভাবেই করতে হবে, এদিন তা স্পষ্ট করে দেন অমিত শাহ। বলেন, তৃণমূল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। কিন্তু, বিজেপি করে। তাই তৃণমূলের মোকাবিলা রাজনৈতিকভাবেই করতে হবে। একমাত্র রাজনৈতিক পদ্ধতিতেই বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে হবে। এপ্রসঙ্গে গুজরাতে তাঁর অভিজ্ঞতার কথাও শোনান শাহ। তিনি বলেন, গুজরাতে আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখন আমাদের নামেও মিথ্যা মমলা সাজানো হয়েছে। রাজনৈতিকভাবেই আমরা তার মোকাবিলা করেছি। পরে ক্ষমতায় এসেছিল দল।

    আরও পড়ুন :বিজেপি যুব নেতার রহস্যমৃত্যু, রণক্ষেত্র কাশীপুর, সিবিআই চাইলেন অমিত শাহ

    বঙ্গ বিজেপির (West Bengal BJP) নিচুতলায় সংগঠন আরও মজবুত করার ওপর জোর দেন শাহ। তিনি বলেন, তৃণমূল স্তরে গিয়ে সংগঠনকে মজবুত করুন। বিধানসভা ভোটে যে ৭৭টি আসন বিজেপি পেয়েছিল, তা হেলাফেলার নয় বলেও মনে করেন তিনি। তৃণমূল স্তরে সংগঠন গড়ে লড়াই করলে যে রাজ্যের কুর্সিও অদূর ভবিষ্যতে বিজেপির অধরা থাকবে না, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন অমিত শাহ।

     

  • Summer Holidays: হয় ছুটি নয় অনলাইন, রাজ্যের চাপ বেসরকারি স্কুলগুলিকে, কটাক্ষ বিজেপির

    Summer Holidays: হয় ছুটি নয় অনলাইন, রাজ্যের চাপ বেসরকারি স্কুলগুলিকে, কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ছুটিইই’ বলে হাল্লা রাজার দৌড় মনে আছে? যুদ্ধ থেকে ছুটি চেয়েছিলেন হাল্লার রাজা। তবে, ইতিহাসের দীর্ঘতম গরমের ছুটির ঘোষণার পরও ওই ছুট আর একরাশ ছুটির আনন্দ দেখে যাচ্ছে না বাংলার স্কুল পড়ুয়াদের মুখে। বরং উল্টো ছবি ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার, আরেক ঘোষণা রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতরের। সরকারি নির্দেশিকা মেনে এবার ছুটি দিতে হবে বেসরকারি স্কুলগুলোকেও। বিতর্ক বেঁধেছে তা নিয়েও।

    সরকারি স্কুলের গরমের ছুটি বাড়ানোর পর এবার, রাজ্যের শিক্ষা দফতরের নজর বেসরকারি স্কুলে। বৃহস্পতিবারই বিকাশভবনে এক বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হল, সরকারি নির্দেশিকা মেনে রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিতেও বাড়তি গরমের ছুটি দিতে হবে। নয়তো চালু করতে হবে অনলাইন ক্লাস।

    বিকাশভবনে রাজ্যের শিক্ষাসচিবের সঙ্গে দীর্ঘ এক ঘণ্টার বৈঠকে হাজির ছিলেন ৩০টি বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষরা। জানতে চাওয়া হল, ২৭ এপ্রিলের সরকারি নির্দেশ, বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ জানেন কিনা? জানলে কেন তাঁরা এখনও চালু রেখেছেন স্কুল? রাজ্যের শিক্ষা দফতরের (West Bengal Education Department) নির্দেশ, সরকারি স্কুলগুলোর মত রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিকেও গরমের জন্য বাড়তি ছুটি দিতে হবে। স্কুল পরিচালকরা বাড়তি ছুটি দিতে রাজি না হওয়ায়, সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ফের শুরু করতে হবে অনলাইন ক্লাস। মোদ্দা কথা, গরমের কারণে স্কুলে এসে পড়া চলবে না ছাত্রছাত্রীদের।  

    করোনার কাঁটায় দু’বছর পর, সবে স্কুল খুলেছে। তারপরই তাপপ্রবাহের কারণে বাড়তি গরমের ছুটিতে মোটেই খুশি নয় ছাত্রছাত্রীরা। বিরক্ত অভিভাবকরাও। সরকারি ছুটি ঘোষণার দু’দিনের মধ্যে বৃষ্টি নেমেছে। পরিবেশ কিছুটা হলেও ঠান্ডা। অনায়াসে স্কুলে যেতে পারেন ছাত্রছাত্রীরা। অভিভাবকরাও তাই চাইছেন। শিক্ষা দফতরের দাবি, একবার সরকারি নোটিফিকেশন বার হয়ে যাওয়ার পর তার আর বদল হয় না। সেকারণে সকলকেই সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে হবে।  

    ২ মে থেকে ১৫ জুন। প্রায় দেড় মাসের গরমের ছুটি ইতিহাসে বিরল। এই দেড় মাসের মধ্যে যেকোনও সময়ে আবহাওয়ার যে কোনও রকম বদল আসতে পারে। বলছেন মৌসম-বিশেষজ্ঞরা। ছুটির কারণ অত্যাধিক গরম হলে আবহাওয়া বদলের সঙ্গে সরকারি সিদ্ধান্তেরও বদল হওয়া উচিত। কিন্তু গরমের কারণে দেড়মাসের ছুটির ঘটনা বিরল।

    অতিরিক্ত ছুটির কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী (Mamata) চাইছেন, বাংলার সবাই অশিক্ষিত হোক। ‌উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) শিক্ষাব্যবস্থা চালাতে পারছেন না। যাঁরা চালাচ্ছেন উনি তাঁদেরও চালাতে দিচ্ছেন না। যাঁদের সামর্থ আছে তাঁরা বেসরকারি স্কুলে ছেলেমেয়েদের পড়ান। যাঁরা দু’বছর বেতন দিয়েছেন স্কুলে, সেখানে বন্ধ করার কোনও কারণই নেই।”

     

     

      

LinkedIn
Share