Blog

  • Telangana News: হায়দরাবাদে রাতের অন্ধকারে পুলিশ ভাঙল মন্দির, সরানো হল মূর্তি, বাধা উৎসবে, বিক্ষোভ হিন্দুদের

    Telangana News: হায়দরাবাদে রাতের অন্ধকারে পুলিশ ভাঙল মন্দির, সরানো হল মূর্তি, বাধা উৎসবে, বিক্ষোভ হিন্দুদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৪ জুলাই ভোরে রাতের অন্ধকারে হায়দরাবাদে ভেঙে ফেলা হল এক মন্দির। কোনওরকম সরকারি নোটিশ ছাড়াই ভাঙা হয় পবিত্র পেদ্দাম্মা থাল্লি মন্দির (Telangana News)। তেলেঙ্গনা রাজ্যের একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, এই ভাঙচুর অত্যন্ত গোপনে করা হয়েছিল এবং মন্দিরের অভ্যন্তরে থাকা ভগবানের মূর্তিটি পিছনের গেট দিয়ে পাচার করা হয়েছিল। ওই মন্দিরের ভক্তরা এই অভিযান সম্পর্কে কিছুই জানতেন না এবং পরবর্তীকালে সকালে তাঁরা যখন এ বিষয়ে জানতে পারেন, তখন মন্দিরের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ (Peddamma Thalli Temple) দেখাতে থাকেন।

    বাধা উৎসবে (Telangana News)

    প্রসঙ্গত, এ বছর ২৯ জুলাই এই মন্দিরে বনালু উৎসব উদযাপন হওয়ার কথা ছিল। এটি তেলেঙ্গনার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু অনুষ্ঠান। কিন্তু এই উৎসবের ওপরেও সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং বেশ কয়েকজন হিন্দু ভক্তকে গৃহবন্দি করেও রাখা হয়। ওই মন্দিরটিকে ভাঙচুর করার পরেই পুলিশ প্রশাসনের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। তারা বলে যে সেখানে কোনও মন্দিরই ছিল না — এমন অদ্ভুত দাবি করতে থাকে পুলিশ। অর্থাৎ, হিন্দু রীতিনীতি ও ধর্মের এভাবেই (Telangana News) বিরোধিতা করল তেলেঙ্গনা প্রশাসন।

    হিন্দু ধর্মীয় ঐতিহ্যকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র, বলছেন ভক্তরা

    ভক্তরা এই ধরনের ঘটনাকে হিন্দু ধর্মীয় ঐতিহ্যকে মুছে ফেলার এক ষড়যন্ত্র হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, পেদ্দাম্মা থাল্লি মন্দির প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এক গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু ধর্মকেন্দ্র হিসেবে সেখানে প্রতিষ্ঠিত ছিল। ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক এক মিলনস্থল হয়ে উঠেছিল ওই মন্দির — বিশেষ করে বনালু উৎসবের সময় এখানে খুবই জমজমাট মেলাও দেখা যেত (Peddamma Thalli Temple) এবং হাজার হাজার ভক্ত ভিড় করতেন।

    গোপনে মূর্তি অপসারণ (Telangana News)

    অনেকেই বলছেন যে সরকার মন্দির ভাঙতে রাতের অন্ধকারকে বেছে নিল — এতেই প্রমাণ হচ্ছে যে তারা ঠিক কতটা চক্রান্ত করেছে। ভোর সাড়ে তিনটের সময় এই মন্দির ভাঙা হয় বলে খবর, যখন গোটা হায়দরাবাদ শহর ঘুমিয়ে ছিল। এর পরেই ভগবানের মূর্তি গোপনে (Telangana News) পাচারও করে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে অনেকেই বলছেন, যেভাবে আমাদের মন্দিরের অস্তিত্ব মুছে ফেলা হচ্ছে, আমাদের দেবতাদের অসম্মান করা হচ্ছে, আমাদের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করা হচ্ছে — সেখানে মনে হচ্ছে যে হিন্দু হওয়াটাই অপরাধ। ভক্তরা আরও বলেন, হিন্দু হিসেবে পবিত্র কর্তব্য হল নিজেদের জমি, মন্দির এবং ভগবানকে রক্ষা করা।

  • India US Relation: রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্পের হুমকি, কী জানাচ্ছে দিল্লি

    India US Relation: রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্পের হুমকি, কী জানাচ্ছে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) সম্প্রতি দাবি করেছিলেন যে ভারত রাশিয়া থেকে আর তেল কিনবে না, কারণ ওয়াশিংটন মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির এই জ্বালানি সম্পর্ক নিয়ে চাপ বাড়িয়েছে। তবে শনিবারই নয়াদিল্লির তরফ থেকে এই দাবিকে অস্বীকার করা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র মারফত এই খবরই মিলেছে (India US Relation)। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সূত্রে জানা গেছে যে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। দেশের কোনও তেল সংস্থা রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করেনি। যদিও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনও আসেনি, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, এমন কোনো পরিবর্তনের খবর নেই। উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ এবং বর্তমানে রাশিয়া থেকেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে তেল আমদানি করে।

    রাশিয়া থেকে তেল কিনছে দিল্লি

    কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীয় তেল পরিশোধন সংস্থাগুলি রাশিয়ান সরবরাহকারীদের কাছ থেকে তেল সংগ্রহ করেই চলেছে। রাশিয়া থেকে তেল সংগ্রহ করে যাওয়ার নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তকে জাতীয় স্বার্থের জন্যই পরিচালিত বলে অভিহিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সূত্রগুলি। কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সূত্রগুলির তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল উৎপাদনকারী দেশ হল রাশিয়া, যা প্রতিদিন বিশ্বের মোট চাহিদার (India US Relation) প্রায় ১০% তেল উৎপাদন করে।

    ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপায় ট্রাম্প (India US Relation)

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমি শুনেছি ভারত আর রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না। আমি জানি না এটা ঠিক কিনা, কিন্তু এটা একটা ভালো পদক্ষেপ। দেখা যাক কী হয়।” ঠিক তার আগের দিনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৭০টি দেশের রফতানির উপরে শুল্ক আরোপ করে এবং ভারতের (India US Relation) উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপায়। তবে ভারত যে কোনওভাবেই নতিস্বীকার করবে না, তা বুঝিয়ে দিয়েছে দিল্লি।

  • EC: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ‘বিস্ফোরক’ অভিযোগ রাহুলের, কী বললেন আধিকারিকরা?

    EC: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ‘বিস্ফোরক’ অভিযোগ রাহুলের, কী বললেন আধিকারিকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের (EC) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা লোকসভার সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। শুক্রবার বিরোধী দলের নেতার করা সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রীতিমতো বিবৃতি প্রকাশ করে কমিশন ‘উল্টোপাল্টা’ অভিযোগ করায় তাঁর ব্যাপক সমালোচনা করেছে। তাঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেও মন্তব্য করেছে কমিশন।

    কমিশনের চিঠির উত্তর দেননি রাহুল! (EC)

    এও জানিয়ে দিয়েছে, বহুবার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও তিনি কমিশনের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনা করতে অস্বীকার করেন। বিবৃতিতে কমিশন জানিয়েছে, ভারতীয় নির্বাচন কমিশন তাঁকে ১২ জুন ২০২৫-এ একটি ইমেল পাঠায়। তিনি আসেননি। ওই দিনই তাঁকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়। যদিও তিনি তারও কোনও উত্তর দেননি। তিনি কখনও কোনও বিষয়েই ভারতীয় নির্বাচন কমিশনকে কোনও চিঠি পাঠাননি। এটা অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় যে তিনি এখন বেপরোয়া সব অভিযোগ করছেন। এমনকি এখন তিনি নির্বাচন কমিশন ও তার কর্মীদের হুমকিও দিচ্ছেন। নিন্দনীয়! কমিশন এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি উপেক্ষা করে। কর্মীদের নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছে কমিশন।

    কী বলছে নির্বাচন কমিশন

    নির্বাচন কমিশন (EC) বলেছে, “প্রতিদিন যে ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন তা উপেক্ষা করে এবং প্রতিদিন যে ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তার পরেও সব নির্বাচন আধিকারিককে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে কাজ করার সময় এসব দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি উপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।”

    বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধী সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচন কমিশন ভোট চুরিতে সাহায্য করছে এবং বিজেপির পক্ষে কাজ করছে।আমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে নির্বাচন কমিশন ভোট চুরিতে জড়িত। আমি ১০০ শতাংশ প্রমাণ-সহ বলছি।” কংগ্রেসের এই নেতা আরও বলেন, “আমার দলের ছ’মাসের একটি তদন্ত রিপোর্ট শীঘ্রই একটি “পারমাণবিক বোমা” প্রকাশ করবে। আমরা যে মুহূর্তে এটি প্রকাশ করব, পুরো দেশ জেনে যাবে যে নির্বাচন কমিশন বিজেপির হয়ে ভোট চুরিতে সাহায্য করছে।”

    মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং লোকসভা নির্বাচনে সন্দেহজনক ঘটনার কথা উল্লেখ করে রাহুল অভিযোগ করেন, কমিশনের ভেতরে ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন (EC)। তিনি বলেন, “আমরা ওঁদের ছেড়ে দেব না। কারণ ওঁরা ভারতের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। এটা রাষ্ট্রদ্রোহ। এর চেয়ে কম কিছু নয় (Rahul Gandhi)।”

  • Election Commission: সমাজবাদী সাংসদের সঙ্গে বাগদান, নির্বাচন কমিশনের কোপে পদ খোয়ালেন রিঙ্কু সিং

    Election Commission: সমাজবাদী সাংসদের সঙ্গে বাগদান, নির্বাচন কমিশনের কোপে পদ খোয়ালেন রিঙ্কু সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ভোটার সচেতনতা অভিযান থেকে ক্রিকেটার রিঙ্কু সিংকে (Rinku Singh) সরানো হলো। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ প্রিয়া সরোজের সঙ্গে তাঁর বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো ব্যক্তি ভোটার সচেতনতা কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে পারেন না। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, সমস্ত প্রচারমূলক উপকরণ—পোস্টার, ব্যানার, ভিডিও এবং ওয়েবসাইটের কনটেন্ট থেকে রিঙ্কু সিংকে—তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে ফেলতে হবে।

    কেন সরানো হল রিঙ্কুকে

    উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফ থেকে রিঙ্কু সিংকে এসভিইইপি (সিস্টেম্যাটিক ভোটার এডুকেশন অ্যান্ড ইলেক্টোরাল পার্টিসিপেশন) অভিযানের মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। তিনি রাজ্যজুড়ে সরকারি বিজ্ঞাপন, স্টেডিয়ামের হোর্ডিং, সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার এবং ভিডিও বার্তায় অংশ নিয়েছিলেন। রাজ্যের প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তার দফতর জানিয়েছে, রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) রাজ্যের একজন পরিচিত মুখ এবং তার অংশগ্রহণে ভোটার সচেতনতা প্রচারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। তবে, কোনো ব্যক্তি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হলে বা তার পক্ষপাতিত্বের সম্ভাবনা দেখা দিলে তাকে এই ধরনের উদ্যোগ থেকে বিরত রাখা হয়। এতে ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে এবং নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।জানপুর জেলার নির্বাচন অফিসার এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (আর্থিক ও রাজস্ব) জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ পাওয়ার পর জেলা ও উপজেলা স্তরের সব এসডিএম, নির্বাচন কর্মকর্তাদের এবং এসভিইইপি টিমকে এই বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    জুনে বাগদান সম্পন্ন

    গত জুন মাসের ৮ তারিখ জীবনের এক নয়া অধ্যায়ের সূচনা করেছেন ক্রিকেট তারকা রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। লক্ষ্ণৌ’র অভিজাত সেন্ট্রাম হোটেলে তিনি সেরেছেন বাগদান। রিঙ্কু’র হবু স্ত্রী প্রিয়া সরোজ একজন আইনজীবী। এছাড়াও অন্য একটি পরিচয় রয়েছে তাঁর। দেশের দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম সাংসদ তিনি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে জিতেছেন উত্তরপ্রদেশের মছলিনগর কেন্দ্র থেকে। প্রিয়া’র বাবা তুফান সরোজ’ও সমাজবাদী পার্টির বড় মাপের নেতা। দীর্ঘদিন সাংসদ ছিলেন। বর্তমানে কেরাকাট জৌনপুরের বিধায়ক পদে রয়েছেন তিনি। তাই নির্বাচন কমিশন মনে করছে, ভোটার সচেতনতা অভিযান উদ্যোগে রাজনৈতিক প্রভাব পড়লে তা নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করতে পারে। তাই সতর্কতার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

     

     

     

     

  • National Film Awards: ৭১ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, সেরা অভিনেত্রী রানি, সেরা অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি ও শাহরুখ

    National Film Awards: ৭১ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, সেরা অভিনেত্রী রানি, সেরা অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি ও শাহরুখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষিত হলো ৭১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ঘোষণা হয় (National Film Awards)। ২০২৩ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির জন্য জাতীয় সম্মান পেলেন শাহরুখ খান, রানী মুখোপাধ্যায়, সুদীপ্ত সেন, বিক্রান্ত ম্যাসির মতো বলিউড জগতের ব্যক্তিত্বরা। প্রসঙ্গত, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আরও একবার প্রমাণ করল যে ভালো সিনেমা কোনো ভাষার বিভেদ মানে না (National Film Awards 2025) এবং যেকোনও আঞ্চলিক ছবিও পেতে পারে জাতীয় পুরস্কার।

    এক নজরে দেখে নিন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার কারা কারা পেলেন—

    সেরা অভিনেতা হয়েছেন জওয়ান সিনেমার জন্য শাহরুখ খান এবং টুয়েলভ সিনেমার জন্য বিক্রান্ত ম্যাসি (National Film Awards)।
    সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন রানী মুখোপাধ্যায়, তাঁর মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে ছবির জন্য।
    সেরা ফিচার ফিল্ম হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে সন্দীপ ও পিঙ্কি ফারার।
    সেরা পরিচালক হয়েছেন দ্য কেরালা স্টোরি খ্যাত পরিচালক সুদীপ্ত সেন।
    সেরা মিউজিক ডিরেকশন-এর জন্য পুরস্কার পেয়েছেন জি. ভি. প্রকাশ কুমার,  তেলুগু ছবি বাথির জন্য (National Film Awards)।

    সেরা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ডিরেক্টর এর পুরস্কার পেয়েছেন হর্ষবর্ধন ও রমেশ্বর, অ্যানিমেল ছবির জন্য।
    সেরা প্লেব্যাক সিঙ্গার (পুরুষ) এর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পি. ভি. এন. এস. রোহিত, বেবি সিনেমার জন্য এবং (নারী) শিল্পা রাও, জওয়ান ছবির জন্য।

    সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শুধুমাত্র কোনও একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত। এই অনুষ্ঠানে স্বচ্ছতা বজায় রেখে এবং প্রতিভা বিচার করেই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ নিয়ে রীতিমতো গবেষণা চালায়, এবং চিত্র বাছাইয়ের কাজ করে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন বা সিবিএফসি। প্রতিবছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ চালিয়ে তারা এরপর সিদ্ধান্ত নেয় এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (National Film Awards) ঘোষণা করে।

    হিন্দি ভাষায় সেরা ছবি হয়েছে কাঁঠাল: দ্য জ্যাকফ্রুট মিস্ত্রি।
    তেলুগু ভাষায় সেরা ছবি ভাগভন্ত কেসরী,
    তামিল ভাষায় পার্কিং,
    পাঞ্জাবি ভাষায় গুড ডে গুড ডে চা,
    ওড়িয়া ভাষায় ম্যায় ঘর ফির আয়ি,
    বাংলা ভাষায় সেরা ছবি হয়েছে ডিপ ফ্রিজ।

  • Donald Trump: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-চাপ’, ভারতের অর্থনীতিতে এর কতটা প্রভাব পড়বে?

    Donald Trump: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-চাপ’, ভারতের অর্থনীতিতে এর কতটা প্রভাব পড়বে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের (Indian Goods) ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারতকে চাপে রাখতে চেয়েছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে তাতে যে ভারতের খুব একটা বড়সড় সমস্যা হবে না, তা জানিয়ে দিল সরকারি বিভিন্ন সূত্র। তাদের বক্তব্য, দেশের অর্থনীতির ওপর এর ‘অত্যন্ত সামান্য’ প্রভাব পড়বে। সূত্রের খবর, জিডিপিতে এর প্রভাব ০.২ শতাংশের বেশি হবে না।

    অর্থনীতিবিদের বক্তব্য (Donald Trump)

    উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে ভারতীয় এক অর্থনীতিবিদও বলেছিলেন, জিডিপি হয়তো ০.৩ শতাংশ পর্যন্ত স্লো হবে। ওই সূত্র এও জানিয়ে দিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে সরকার দামের দিক থেকে সংবেদনশীল কৃষি ও দুগ্ধ বাজার খুলে দেবে না। গোমাংস বা ‘নন-ভেজ মিল্ক’ (অর্থাৎ যেসব গরুকে পশু-ভিত্তিক খাবার যেমন হাড়গুঁড়া খাওয়ানো হয়, সেই গরুর দুধ) আমদানি করার অনুমতিও দেবে না। এগুলো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে। সরকার জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় পদক্ষেপ করবে এবং কৃষক, উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গোষ্ঠীর কল্যাণেও দায়বদ্ধ থাকবে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সরকার কৃষকদের স্বার্থে কোনও আপস করবে না। আর তাই জিএম ফসল আমদানি করার অনুমতিও দেয়নি।

    কী চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

    প্রসঙ্গত, ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে এমন একটা সময়ে যখন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা স্থগিত হয়ে রয়েছে। এই আলোচনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় তাদের কৃষক ও দুগ্ধ উৎপাদকরা যেন ভারতে পণ্য বিক্রি করতে পারে। ভারত বারবার বলেছে, এই বাজার খুলে দেওয়া সম্ভব নয়। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলি ভারতের জিডিপিতে ২০ শতাংশেরও কম অবদান রাখে। তবে দেশের ১৪৪ কোটির প্রায় অর্ধেক জনগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই খাতে নিয়োজিত (Donald Trump)।

    কী বলেছিলেন ট্রাম্প

    এটি এত বড় ভোট ব্যাংক যে, কোনও সরকারই তাদের বিরুদ্ধাচরণ করার ঝুঁকি নিতে পারে না। এই বাস্তব বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে ২০২১ সালে যখন তীব্র প্রতিবাদের মুখে বিজেপি সরকারকে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়। এই বিষয়ে মতপার্থক্য ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করেছে বলে খবর। ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্প সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, “ভারত আমাদের ভালো বন্ধু। কিন্তু ওরা প্রায় সব দেশের চেয়ে বেশি শুল্ক ধার্য করেছে। এটা আর চলতে পারে না (Indian Goods)।”

    ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার আমেরিকা

    সামগ্রিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার, এবং গত চার বছর ধরেই এমনটি রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৩২ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রফতানি ১১.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮৬.৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছিল। তার আগের বছরে (২০২২-২৩) এর পরিমাণ ছিল ৭৭.৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এদিকে, আমদানি বেড়ে হয়েছে ৪৫.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ছিল ৪২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (Donald Trump)।

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা

    সূত্রের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা সঠিক পথেই রয়েছে এবং ইতিবাচকভাবেই এগোচ্ছে। এই আলোচনার সূচনা হয়েছিল গত বছরের নভেম্বর মাসে। এই আলোচনাই এখনও চলছে। ওই সূত্রেরই খবর, চূড়ান্ত চুক্তির পর ২৫ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা পুনর্বিবেচনা ও তা কমানোর বিষয়ে আলোচনা হবে। গত সপ্তাহে ভারতের একটি সংবাদ সংস্থাকে জানানো হয়, ভারত একটি অন্তর্বর্তী চুক্তি চূড়ান্ত করার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই চুক্তি সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে ঘোষণা করা হতে পারে। এর আগে অনুমান করা হয়েছিল, ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার (আগামী ৭ আগস্ট) আগেই বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। কিন্তু এখনই সেটি সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না (Donald Trump)।

    জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই আলোচনার জন্য ভারত সফরে আসতে পারেন মার্কিন কর্তারা। তাই দিল্লি তার আস্তিনে রেখে দিয়েছে তুরুপের তাসটি। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটন সফরের পর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, উভয় পক্ষ ভারতে অপরিশোধিত তেল, পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের শীর্ষস্থানীয় (Indian Goods) সরবরাহকারী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য মার্কিন বাণিজ্য চুক্তিতে জ্বালানি কেনার বিষয়টি স্থান পেয়েছে। তাই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দর কষাকষি হতে পারে (Donald Trump)।

  • Islamic Conversions: গত ২ মাসে অসংখ্য ধর্মান্তকরণ চক্র পুলিশের জালে, টার্গেট হিন্দু মেয়েরা, প্রমাণ জঙ্গি যোগের

    Islamic Conversions: গত ২ মাসে অসংখ্য ধর্মান্তকরণ চক্র পুলিশের জালে, টার্গেট হিন্দু মেয়েরা, প্রমাণ জঙ্গি যোগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত ২ মাসের মধ্যে ভোপাল, বলরামপুর, আগ্রা, প্রয়াগরাজ, আলিগড়, কুশীনগর—অর্থাৎ মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশের বড় অংশে ধর্মান্তকরণের অনেক বড় বড় চক্রের (Islamic Conversions) পর্দা ফাঁস করা হয়েছে। এ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে একই বিষয় সামনে এসেছে যে, তারা হিন্দু মেয়েদের প্রলোভন দিত এবং এভাবেই ফাঁদে ফেলত। জানা যাচ্ছে, এই সমস্ত ইসলামে ধর্ম পরিবর্তনের চক্রগুলি কেবল দুর্বল হিন্দু মহিলাদেরই লক্ষ্যবস্তু বানাত এবং এর পাশাপাশি বিদেশ থেকে আসা টাকায় এভাবেই তারা বিপুল সম্পদ অর্জন করেছে। শুধু তাই নয়, এই ধর্মান্তরণ গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের যোগসূত্রের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

    মধ্যপ্রদেশের ভোপালের চক্র

    সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ইসলামিক ধর্মান্তরণ চক্রের সবচেয়ে বড় ঘটনাটি সামনে এসেছে। এক্ষেত্রে ফারহান নামে এক মুসলিম ব্যক্তি কলেজপড়ুয়া হিন্দু মেয়েদের সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব করত, তারপর তাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করত। এরপরে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তাদের ধর্ষণ করে ভিডিও বানাত সে। সেই ভিডিও নিয়ে ব্ল্যাকমেল করত ফারহান। এই পদ্ধতিতে ফারহান ২০২৫ সালের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকলাপ চালিয়ে যায়। বেশ কিছু হিন্দু মহিলা ফারহানের এই কার্যকলাপের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ভোপালের বাঘসেওনিয়া থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং ওই মহিলারা (Hindu Women) জানান যে, তাদের অশ্লীল ভিডিও ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তদন্তে নেমে পুলিশ সাহিল খান, আলি খানসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং ইসলামিক ধর্মান্তরণ চক্র ফাঁস করার জন্য একটি তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়েছে (Islamic Conversions)।

    ছাঙ্গুর বাবার কীর্তি

    এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর জেলাতেও একটি ব্যাপক ইসলামিক ধর্মান্তরণ চক্রের পর্দা ফাঁস হয়েছে। এর মূল পরিকল্পনাকারী ছিল জালালউদ্দিন ছাঙ্গুর বাবা। জানা গিয়েছে, এই জালালুদ্দিন দেড় হাজার জনেরও বেশি হিন্দু মহিলাকে ধর্মান্তরিত করেছিলেন। ২০২৫ সালের ৫ জুলাই লখনউয়ের একটি হোটেল থেকে উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড জালালউদ্দিনকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, এইভাবে জালালউদ্দিন ১৬০ কোটি টাকার সম্পত্তি তৈরি করেছিল এবং এক্ষেত্রে এর রেটও বেঁধে দেয়। অর্থাৎ, ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, সরদার মহিলাদের ধর্মান্তরিত (Islamic Conversions) করলে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা, পিছিয়ে পড়া বর্ণের মহিলাদের জন্য ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা, অন্যান্য বর্ণের মহিলাদের জন্য ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা রেট বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন ‘মিশন অস্মিতা’র উদ্যোগে দেশব্যাপী এক বড় অভিযানে উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড এই সিন্ডিকেটের পর্দা ফাঁস করে। ১৯ জুলাই পুলিশ এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১০ জনকে গ্রেফতার করে।

    উত্তর প্রদেশে দলিত মেয়েকে কেরল নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তকরণ

    গত ২৮ জুন এক দলিত মেয়ের মা উত্তরপ্রদেশের ফুলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং তিনি নিজের অভিযোগে জানান যে, দারকাশা বানো নামে এক মহিলা তার মেয়ের ব্রেনওয়াশ করেছেন। মামলার তদন্তের সময় পুলিশ চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে এবং হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মনোভাব তৈরি করা হয়েছে তার মেয়ের মধ্যে। এর পরেই তদন্তে নামে পুলিশ এবং চাঞ্চল্যকর তথ্য পায়। জানা যায় যে, দারকাশা বানো নামের ওই মহিলা ১৫ বছর বয়সি মেয়েটিকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত (Islamic Conversions) করতেই তার মগজ ধোলাই শুরু করে। এরপরে মহম্মদ কাইফ নামে একজনের সঙ্গে মিলে ওই মেয়েটিকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে দিল্লি, তারপর কেরালা নিয়ে যাওয়া হয়। কেরালায় মেয়েটিকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয় এবং তারপরে তাকে জিহাদে যোগ দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে মেয়েটি কোনওভাবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে নিরাপদে উদ্ধার করে পাঠানো হয়। গত ১৪ জুলাই পুলিশ দ্বারকা, মহম্মদ কাইফ এবং মোহাম্মদ তাজকে গ্রেফতার করে। দেখা গিয়েছে, এই জেহাদি দলটি নাবালিকা দলিত মেয়েদের লক্ষ্যবস্তু বানাত এবং তাদেরকে এভাবে ধর্মান্তরিত করত (Hindu Women)।

    আলিগড়ের ধর্মান্তকরণ চক্র (Islamic Conversions)

    উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে ধর্মান্তরণের সঙ্গে জড়িত আরও একটি চক্রের পর্দা ফাঁস করেছে পুলিশ। এই চক্র ৯৭ জন হিন্দু মহিলাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে, যাদের সকলেই বর্তমানে নিখোঁজ রয়েছেন। এই ৯৭ জন মহিলার মধ্যে প্রায় ১৭ জন কিশোরী। এই গ্যাংয়ের মাস্টারমাইন্ডের নাম ওমর গৌতম বলে জানতে পেরেছে পুলিশ আগেই, এবং তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ২০১৮ সালে এই চক্র ৩৩ জন হিন্দু মহিলাকে ধর্মান্তরিত করে, যার মধ্যে তিনজন ছিলেন আলিগড়ের বাসিন্দা। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই গ্যাংটি হিন্দু মহিলাদের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলতে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট ব্যবহার করতো এবং সেখানে হিন্দু মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা হতো। এই গ্যাংয়ের সঙ্গে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, সিমি এবং লস্কর-ই-তইয়্যেবা মতো নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগ রয়েছে বলে পুলিশ সন্দেহ করছে।

    কুশিনগরের ধর্মান্তকরণ চক্র

    উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর জেলায় আরও একটি ইসলামিক ধর্মান্তরণ চক্রের পর্দা ফাঁস করেছে পুলিশ এবং এখান থেকেই  আরমান নামে এক মুসলিম ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই চক্রটি তিনজন নাবালিকা হিন্দু মেয়েকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে এবং মুম্বইতে পাচার করে, সেখানে পতিতাবৃত্তিতে ঠেলে দেওয়া হয়।

    কোড শব্দ ব্যবহার করত জেহাদিরা

    অন্যদিকে, আগ্রার মামলায় ফাঁস হওয়া জেহাদি নেটওয়ার্ক প্রসঙ্গে পরে নতুন তথ্য সামনে এসেছে যে, তারা যাদেরকে ধর্মান্তরিত করত, তাদের জন্য কোড শব্দ তৈরি করেছিল। যেমন, যাদেরকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হতো, তাদেরকে তারা ‘প্রত্যাবর্তন’ বলে উল্লেখ করত। আর ধর্মান্তরণের জন্য যখন কেউ আসত, তখন তাদেরকে ‘নিরাপদ অঞ্চলে ফিরে আসা’ বলা হত। ধর্মীয় ধর্মান্তরণকে তারা ‘মিট্টি পালনতা’ বা ‘মাটি চাষ’ বলে উল্লেখ করত।

    জঙ্গি যোগের প্রমাণ মিলেছে

    আগ্রা, বলরামপুর, প্রয়াগরাজ এবং আলিগড়ের যে সমস্ত জেহাদি চক্রগুলির পর্দা ফাঁস হয়েছে, সেগুলির সঙ্গে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগও মিলেছে। এরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইংল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অর্থ সাহায্য পেত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এই জেহাদি চক্রগুলি ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনের আদলে পরিচালিত হত।

  • India vs England: সিরাজ-প্রসিধের আগুন বোলিংয়ের সামনে স্তব্ধ ব্রিটিশরা, ওভাল টেস্টে এবার ব্যাটারদের পালা

    India vs England: সিরাজ-প্রসিধের আগুন বোলিংয়ের সামনে স্তব্ধ ব্রিটিশরা, ওভাল টেস্টে এবার ব্যাটারদের পালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়াল টিম ইন্ডিয়া (India vs England)। সৌজন্যে মহম্মদ সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণ। প্রথম ইনিংসে শুভমন গিলরা মাত্র ২২৪ রানে অল আউট হওয়ার পর, জবাবে ব্যাট করতে নেমে একটা সময় ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ১২৯। সেখান থেকে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৪৭ রানে। মহম্মদ সিরাজ ৮৬ রান দিয়ে ৪টি ও প্রসিধ কৃষ্ণ ৮০ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। টেস্ট সিরিজে পিছিয়ে থাকা ভারত যদি এই ম্যাচ জেতে, তাহলেই সিরিজে সমতা আসবে। সেই লক্ষ্যেই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে ভারত। উইকেটে রয়েছেন দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল এবং কেএল রাহুল।

    অবিশ্বাস্য বোলিং সিরাজ-কৃষ্ণার

    ওভালের পিচে একটানা বৃষ্টির পর দ্বিতীয় দিনের খেলা যত এগিয়েছে, ততই জমে উঠেছিল ভারত-ইংল্যান্ডের (India vs England) পঞ্চম টেস্ট। ভারতীয় দল প্রথম ইনিংসে ২২৪ রানে শেষ হওয়ার পর, অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড হয়ত ব্যাটে দাপট দেখিয়ে বড় লিড তুলে নেবে। কিন্তু সেটা হতে দিল না ভারতের দুই পেসার মহম্মদ সিরাজ এবং প্রসিধ কৃষ্ণ। ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করল মাত্র ২৪৭ রানে। ভারতকে টপকে মাত্র ২৩ রানে এগিয়ে থেকে। দ্বিতীয় দিনে লাঞ্চের পর অবিশ্বাস্য বোলিং করে টিম ইন্ডিয়া। লাঞ্চে যাওয়ার সময় মনে হচ্ছিল, ওভালে ভরাডুবি হতে চলেছে শুভমন গিলদের। এদিন মাত্র ২০ রান যোগ করেই ভারতের শেষ ৪টি উইকেট পড়ে যায়। করুণ নায়ার ৫৭ রানে আউট হন। ব্রিটিশ পেসার গাস অ্যাটকিনসন ৩৩ রান দিয়ে নেন ৫টি উইকেট, জোস টাঙ তিনটি উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জ্যাক ক্রাউলি ও বেন ডাকেট। কিন্তু ইনিংসের মাঝামাঝি হঠাৎই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ভারতের দুই পেসার। দুজনেই পেয়েছেন চারটি করে উইকেট। ইংল্যান্ডের হয়ে হ্যারি ব্রুক করেন সর্বোচ্চ ৫৩ রান, কিন্তু বৃষ্টির পরে খেলা শুরু হতেই তাঁকে ফিরিয়ে দেন সিরাজ। এই সময়েই দ্রুত কয়েকটি উইকেট পড়ে যায় এবং ভারত ম্যাচে ফিরে আসে।

    কার হাতে ম্যাচের রাশ

    এই মুহূর্তে ম্যাচের রাশ পুরোপুরি কোনও দলের হাতে নেই। ভারতীয় পেসাররা যেমন ম্যাচে ফিরে এসেছেন, তেমনি ইংল্যান্ডের পেসাররাও দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত। সিরিজ বাঁচাতে হলে ওভালে চলতি পঞ্চম টেস্টে জিততেই হবে শুভমন গিলদের। এই ম্য়াচ ড্র হলে, সিরিজ জিতবে ইংল্যান্ড। তবে দ্বিতীয় দিনের শেষে যে জায়গায় ম্য়াচ দাঁড়িয়ে, তাতে অসম্ভব বৃষ্টি ছাড়া ড্রয়ের সম্ভাবনা প্রায় নেই।

  • PoK Anti-Terrorism Sentiment: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পরিবর্তনের ছবি! গ্রামবাসীদের রোষে পালাতে বাধ্য হল লস্কর কমান্ডার

    PoK Anti-Terrorism Sentiment: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পরিবর্তনের ছবি! গ্রামবাসীদের রোষে পালাতে বাধ্য হল লস্কর কমান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পরিবর্তনের (PoK Anti-Terrorism Sentiment) হাওয়া। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। পিওকে-তে কুইয়ান গ্রামের মানুষরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন। গ্রামবাসীদের রোষের জেরে শেষমেশ সশস্ত্র দলবল নিয়ে পালাতে বাধ্য হল লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিদলের কমান্ডার রিজওয়ান হানিফ। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। সম্প্রতি ভারতের অপারেশন মহাদেব-এ শ্রীনগরের হারওয়ানে খতম করা হয়েছে জঙ্গি হাবিব তাহিরকে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় হাবিব যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছে ভারত। ওই জঙ্গির অন্ত্যেষ্টিতে হানিফ ও তার দলবল হাজির হয়। যা ঘিরেই গোলমালের সূত্রপাত। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে জঙ্গিদলগুলির সংঘাতের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের প্রতিবাদের ছবি সে অঞ্চলে পরিবর্তনের হাওয়া বলে মনে করছেন অনেকে।

    কী ঘটেছিল

    পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (PoK Anti-Terrorism Sentiment) -এর কুইয়ান গ্রামে জঙ্গিবাদ বিরোধী নজিরবিহীন গণআন্দোলনের চিত্র সামনে এসেছে। সম্প্রতি ‘অপারেশন মহাদেব’-এর সময় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত লস্কর-ই-তৈইবার প্রশিক্ষিত জঙ্গি হাবিব তাহির ওরফে ছোট্টুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ঘটে নাটকীয় পরিবর্তন। গ্রামের মানুষ প্রথমে শোক প্রকাশ করলেও, লস্কর ও যুক্ত জেকেএউএম (JKUM) জঙ্গিরা যখন অস্ত্রসহ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত হয়, তখন পরিস্থিতি ঘোরতর পাল্টে যায়। গ্রামবাসীরা সোজাসুজি প্রতিবাদ জানান। সূত্রের খবর, গ্রামের বাসিন্দারা স্পষ্ট জানান, তাদের সন্তানদের ব্রেনওয়াশ করে কাশ্মীরে জঙ্গি হিসেবে আর পাঠাতে নারাজ তাঁরা। এর বিরুদ্ধে তারা আর চুপ থাকবেন না। লস্করের স্থানীয় কমান্ডাররা, পাক নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে সাধারণ মানুষকে হুমকিও দেয়। সাধারণ মানুষ ও জঙ্গিদের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কিন্তু সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ ওই জঙ্গিদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া থেকে তাড়িয়ে দেন।

    ‘জিগরা’ জনসভার মাধ্যমে সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান

    এই ঘটনায় উৎসাহিত হয়ে পিওকে-র (PoK Anti-Terrorism Sentiment) একাধিক গ্রামে এখন ‘জিগরা’ ডাকা হচ্ছে। ‘জিগরা’ হল জনসভা। এই জনসভাগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো—সন্ত্রাসে শিশু-কিশোরদের নিয়োগ, ধর্মের নামে জিহাদের অপব্যবহার এবং জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানানো। এক ভিডিও-বার্তায়, ‘ছোট্টুর শিক্ষক’ লিয়াকত আলি বলেন, “ওরা আমাদের শিশুদের জঙ্গি বানায়, নিজেদের সন্তানদের পাঠায় ইংল্যান্ড-আমেরিকায়।” লিয়াকত আলি একটি ৮ মিনিটের ভিডিও বার্তায় স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “কারা আমাদের শিশুদের কাশ্মীরে পাঠাচ্ছে? ওরা ব্রেনওয়াশ করে আমাদের গরিব ছেলেদের ভারতের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সামনে ঠেলে দিচ্ছে।” তিনি জঙ্গি সংগঠনগুলোর উদ্দেশে আহ্বান জানান—“নিজেদের সন্তানদের বাঁচাও, আমাদের সন্তানদের মরতে দিও না।” তিনি আরও বলেন, “ধনী জিহাদিদের সন্তানরা ইংল্যান্ড-আমেরিকায় পড়াশোনা করছে, আর আমাদের মতো গরিবদের সন্তানদের মরতে হচ্ছে তথাকথিত জিহাদের নামে।” এই ভিডিওটি পিওকে জুড়ে ভাইরাল হয়।

    পাকিস্তানের ভেতরেই ভাঙনের সুর

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK Anti-Terrorism Sentiment) স্থানীয় প্রশাসনিক স্তরেও বিরোধিতা চোখে পড়েছে। পিওকে-র বাঘ জেলায় এক সম্মেলনের আয়োজন করতে চেয়েছিল জঙ্গিদের ঘনিষ্ঠ একটি গোষ্ঠী। কিন্তু প্রশাসন জননিরাপত্তার খাতিরে তাতে অনুমতি দেয়নি। ওই সম্মেলনে অস্ত্রধারীদের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা ছিল বলে জানা গিয়েছে। উপস্থিত থাকার কথা ছিল পিওকে-র পরিচিত মুখ নওমান শেহজাদেরও। প্রশাসনের মতে, এমন সম্মেলনের আড়ালে জঙ্গিবাদ ও ধর্মীয় উগ্রতার বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছিল। পিওকে-র গ্রামবাসী, শিক্ষক, এবং স্থানীয় প্রশাসন যেভাবে পাকিস্তানের ‘ডিপ স্টেট’ ও সন্ত্রাস-সাপোর্টিং কাঠামোর বিরুদ্ধে মুখ খুলছে, তা পাকিস্তানের জন্য গভীর সংকেত। বালোচিস্তান থেকে পিওকে—দেশজুড়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক দুরবস্থা, সেই সঙ্গে জনগণের প্রতিরোধ—পাকিস্তানের অবৈধ দখল ও জঙ্গি-সমর্থন নীতিকে টলিয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি কুইয়ান গ্রামের বাসিন্দারা একজোট হয়ে সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতায় গর্জে উঠেছেন। ওই এলাকায় জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে গ্রামবাসীদের এহেন পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

    পরিবর্তনের ছবি স্পষ্ট

    বহু দশক ধরে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK Anti-Terrorism Sentiment) সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। লস্কর-ই-তৈইবা ও জইশ-ই-মহম্মদের মতো সংগঠনগুলি এখানে পাকিস্তানি সামরিক এবং গোয়েন্দা সংস্থার নীরব মদতে তাদের কার্যকলাপ চালিয়ে এসেছে। ভারতীয় ভূখণ্ডে একাধিক বড়সড় হামলার পিছনে এদের হাত রয়েছে বলেই আন্তর্জাতিক মহলের অভিযোগ। এই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ান জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পালিত হয় ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’। অভিযোগ, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনের উপস্থিতিতে সেখানে ‘ভারত-বিরোধী’ সন্ত্রাসী সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, সম্মেলনে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) এবং লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি)-র নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকে প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রবীণ নেতারাও! কিন্তু কুইয়ানের মতো ঘটনা এই পুরনো বাস্তবতায় ধাক্কা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি পিওকে-তে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা এক নতুন জনচেতনার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।

  • Hepatitis: বর্ষায় রাজ্যে বাড়ছে হেপাটাইটিস-এ আক্রান্তের সংখ্যা, উদ্বেগ চিকিৎসক মহলে

    Hepatitis: বর্ষায় রাজ্যে বাড়ছে হেপাটাইটিস-এ আক্রান্তের সংখ্যা, উদ্বেগ চিকিৎসক মহলে

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছরে বর্ষার দাপট বেশি। লাগাতার বৃষ্টিতে সকলেই নাজেহাল। জমা জলের জেরে কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলি, হাওড়ার একাধিক এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত। আর এই পরিস্থিতিতে একাধিক রোগ ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জায়গায় হেপাটাইটিস-এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই তাঁরা মনে করছেন। কয়েক দিন ধরে জমা জলের জেরেই এই ধরনের রোগের সংক্রমণ বাড়ছে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আগাম সতর্কতা বজায় রাখতে না পারলে বিপদ আরও বাড়বে। লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যাবে।

    কাদের বিপদের আশঙ্কা বেশি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস-এ মূলত জলবাহিত রোগ। আবার অনেক সময়েই দেখা যায়, অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার জেরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি শিশুদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি তুলনামূলক ভাবে কম থাকে। তাই তাঁদের এই রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। তাছাড়া শিশুরা অনেক সময়েই বাড়ির বাইরে যায়। বিশেষত স্কুলে দীর্ঘ সময় কাটায়। সেখানেও তারা জল খাচ্ছে। বর্ষার আবহাওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জল কতখানি পরিশ্রুত থাকছে, সে নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন থাকছে। কারণ, বিভিন্ন জায়গায় জল জমে পানীয় জলের লাইনে নোংরা জল মিশে গিয়েছে। এমন আশঙ্কাও দেখা যাচ্ছে। পানীয় জল কতখানি পরিশ্রুত, তার উপরে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নির্ভর করে। তাই রাজ্যের একাধিক জায়গায় শিশুরা হেপাটাইটিস-এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই শিশুদের দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    লিভারের কোনও সমস্যা থাকলে, হেপাটাইটিসের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই লিভারের নানান রোগে ভুগছেন। এই পরিস্থিতি তাঁদের জন্য বাড়তি বিপজ্জনক। কারণ, লিভারের রোগের ঝুঁকি হেপাটাইটিসের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় একাধিক পতঙ্গবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে‌। বিশেষত ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগের দাপট এই রাজ্যে মারাত্মক। আর এই ধরনের রোগের জেরে হেপাটাইটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে একেবারেই কমিয়ে দেয়। এর ফলে সামান্য অসাবধানতা বড় বিপদ তৈরি করে। ফলে, অনেকেই এই ধরনের সংক্রামক রোগের পরেই জন্ডিসের মতো লিভারের রোগের শিকার হয়। তাই যারা ডেঙ্গি কিংবা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের বাড়তি সাবধানতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    গর্ভবতীদের বাড়তি বিপদ‌ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় যে কোনও অসুখ বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে। তাই বর্ষার এই পরিস্থিতিতে গর্ভবতী মায়েদের হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যাতে তৈরি না হয়, সেদিকে নজরদারি জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

    কীভাবে ঝুঁকি কমাবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষার এই জলমগ্ন পরিবেশে হেপাটাইটিস-এ’র বিপদ কমাতে জরুরি পানীয় জলের উপরে নজরদারি। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিশ্রুত পানীয় জল সুনিশ্চিত করতে হবে। বাড়ির শিশু থেকে বয়স্ক, সকলের ক্ষেত্রে এই নিয়ে সতর্কতা বজায় রাখা জরুরি। প্রয়োজনে জল ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস এ মূলত জল থেকেই ছড়ায়। তাই পরিশ্রুত পানীয় জল নিশ্চিত করতে পারলে বিপদের ঝুঁকি অনেক কমবে।

    খাবারের দিকেও বাড়তি নজরদারি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস লিভারের রোগ। তাই লিভার সুস্থ রাখতে পারলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে। তাই তাঁদের পরামর্শ, এই সময়ে সবুজ সব্জি, ফল এবং দানাশস্য পর্যাপ্ত পরিমানে খাওয়া জরুরি। এতে লিভার ভালো থাকবে। বরং অতিরিক্ত তেলেভাজা জাতীয় খাবার কিংবা বাজারের চটজলদি চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। কারণ, এই ধরনের খাবারে লিভারে বাড়তি চাপ তৈরি করে।

    পর্যাপ্ত বিশ্রাম হেপাটাইটিস-এ’র মতো জটিল রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা মনে করছেন, শরীরের পর্যাপ্ত বিশ্রাম হলে তবেই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। এনার্জি যথেষ্ট থাকবে। তাহলে যেকোনও সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে শরীর মোকাবিলা করতে পারবে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা বলছেন, এই দুই অভ্যাস শরীরের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক। এই দুই অভ্যাসের জেরে লিভার ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার জেরে হেপাটাইটিসের মতো রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই এই দুই ক্ষতিকারক অভ্যাস ছাড়লে হেপাটাইটিসের ঝুঁকিও কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share