Blog

  • PM Modi: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন মোদির, গেলেন হাসপাতালেও

    PM Modi: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন মোদির, গেলেন হাসপাতালেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমান দুর্ঘটনার ভয়াবহতা নিজের চোখে দেখতে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার যেখানে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভেঙে পড়ে, শুক্রবার সকালে আমেদাবাদ বিমানবন্দরে পৌঁছেই সরাসরি সেখানে যান প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ২০ মিনিট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। এরপরেই প্রধানমন্ত্রী রওনা হন আমেদাবাদের কমান্ড হাসপাতালে, এখানেই বিমান দুর্ঘটনায় আহত ২৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যেই রয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার ওই অভিশপ্ত বিমানের একমাত্র জীবিত যাত্রী। শুক্রবারই সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় আমরা সকলে বিপর্যস্ত। এই ভাবে হঠাৎ এত মানুষের প্রাণহানি হৃদয়বিদারক এবং ভাষায় প্রকাশের মতো নয়।”

    সিভিল হাসপাতালে আহতদের দেখলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছান আমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু। হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশও সেখানেই চিকিৎসাধীন (Ahmedabad Plane Crash Site)। শুক্রবারই আমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিনই দুর্ঘটনায় মৃত গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর প্রধানমন্ত্রী নিজে পোস্ট করে জানান, প্রিয়জনকে হারানোর কষ্ট এবং এই অপূরণীয় ক্ষতি বহু বছর ধরে তাঁরা অনুভব করবে সে কথা বুঝতে পারছি।

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) পরিদর্শন

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরেই আমেদাবাদে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। শুক্রবার সকালেই আমেদাবাদ পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিমানবন্দরে তাঁকে আনতে যান গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিআর পাতিল এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী উদ্ধার ও ত্রাণ পরিস্থিতির বিষয়েও বিশদে খোঁজ খবর নেন (Ahmedabad Plane Crash Site)। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এর ফলে, অনেক জাক্তারি পড়ুয়াও নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • Sukhoi Su-57: খেলা ঘুরিয়ে দিল ‘সোর্স কোড’! অ্যামকা হাতে পেতে আরও ১০ বছর, বন্ধু পুতিনের সু-৫৭ প্রস্তাবেই ‘হ্যাঁ’ ভারতের?

    Sukhoi Su-57: খেলা ঘুরিয়ে দিল ‘সোর্স কোড’! অ্যামকা হাতে পেতে আরও ১০ বছর, বন্ধু পুতিনের সু-৫৭ প্রস্তাবেই ‘হ্যাঁ’ ভারতের?

    সুশান্ত দাস

    দেশীয় ‘অ্যামকা’ (AMCA) প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দেওয়ার বিষয়ে জোরকদমে এগনোর সিদ্ধান্ত নিলেও পাশাপাশি আপৎকালীন ভিত্তিতে কম সংখ্যায় বিদেশ থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (FGFA) কেনার ব্যাপারে অত্যন্ত গভীর ভাবনাচিন্তা করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আর এই ক্ষেত্রেও ‘বন্ধু’ রাশিয়াকেই ভরসা ভারতের। যে কারণে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এফ-৩৫ প্রস্তাব ফিরিয়ে রাশিয়ার তৈরি সুখোই ‘সু-৫৭’ (Sukhoi Su-57) স্টেলথ যুদ্ধবিমানকেই বাছতে চলেছে ভারত। অন্তত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অন্দরে এমন কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।

    অ্যামকা হাতে পেতে আরও এক দশক!

    মোদি জমানায় আত্মনির্ভর ভারত যে ‘অ্যামকা’ (FGFA) তৈরি করছে, এটা নিশ্চিত। সরকার সবুজ সঙ্কেত দিতেই দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দিতে জোরকদমে এগোচ্ছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও। তবে, একটা বিষয় পরিষ্কার। আপাতভাবে ২০৩৫ সালের আগে ‘অ্যামকা’ হাতে পাচ্ছে না বায়ুসেনা। কারণ, মাত্র গত বছরই ‘অ্যামকা’-য় সম্মতি জানিয়েছে কেন্দ্র। আর এটা কারও অজানা নয় যে, যে কোনও যুদ্ধবিমান তৈরি করতে অন্ততপক্ষে ১০-১৫ বছর লাগেই। ফলে, ভারতকে আরও দশটা বছর অপেক্ষা করতেই হবে স্বদেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের জন্য।

    পাকিস্তানকে পঞ্চম প্রজন্মের ‘জে-৩৫এ’ দিচ্ছে চিন

    কিন্তু, এই দশ বছরে বদলে যাবে অনেক কিছুই। ভারতীয় বায়ুসেনার বর্তমানে মাত্র ৩১টা স্কোয়াড্রন রয়েছে। যেখানে থাকার কথা ৪২। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই সংখ্যা আরও কমবে। কারণ, মিগ-২১বি, জাগুয়ার, মিরাজ-২০০০ সহ বহু যুদ্ধবিমান অবসর নেবে। অবিলম্বে এই শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে ভারতকে। এমআরএফএ-র আওতায় ১১৪টি  যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়টিও চূড়ান্ত রূপ নেয়নি। আবার, তেজসের কাজও অনেক বিলম্ব হচ্ছে। ইঞ্জিন আমদানি সমস্যায় জেরবার নির্মাণকারী সংস্থা হ্যাল। যে কারণে, ডেডলাইনের অনেক পেছনে চলছে মার্ক-১এ এবং মার্ক-২ সংস্করণের কাজ। অন্যদিকে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) জোর ধাক্কা খাওয়ার পর ভারতের বিরুদ্ধে নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। আর এক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে বড় সহায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ সেই চিন, যারা পাকিস্তানের সব ঋতুর বন্ধু। ইতিমধ্যেই, ইসলামাবাদকে নিজেদের পঞ্চম প্রজন্মের ‘জে-৩৫এ’ মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে, তাও আবার অর্ধেক দামে! ফলে, এটা ভারতের কাছে বড় সমস্যা হতে পারে, যদি ভারতের কাছেও পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (FGFA) না থাকে। সব মিলিয়ে, ভারতের হাতে সময় বেশি নেই।

    ভারতের পাশে দাঁড়াল বন্ধু রাশিয়া

    এই সময়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে বন্ধু রাশিয়া। গত ফেব্রুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে ভারতকে তাদের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘এফ-৩৫এ’ দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় সেই একই সময়ে ভারতকে তাদের পঞ্চম প্রজন্মের ‘সু-৫৭ই’ (সু-৫৭-এর এক্সপোর্ট ভেরিয়েন্ট) যুদ্ধবিমানের প্রস্তাব দেয় রাশিয়াও। মস্কোর প্রস্তাব আরও ভালো ছিল, কারণ তারা ভারতকে সম্পূর্ণ প্রযুক্তি হস্তান্তর করতেও রাজি হয়। মস্কো জানায়, চাইলে ভারত নিজেদের দেশেই যৌথভাবে এই বিমান তৈরি করতে পারে। এমনকি, ভারতের কাবেরি ইঞ্জিন নির্মাণে প্রযুক্তিগত সহায়তা করতেও রাজি বলে জানায় মস্কো।  এখানেই শেষ নয়। চলতি মাসের গোড়ায় নিজেদের প্রস্তাবকে আরও আকর্ষণীয় করে রাশিয়া। পুতিনের দেশ জানিয়ে দেয়, তারা ভারতকে ‘সু-৫৭’ (Sukhoi Su-57) ফাইটার জেটের বহুমূল্য সোর্স কোড দিতেও রাজি।

    রাশিয়ার অভাবনীয় প্রস্তাবে ঘুরেছে খেলা!

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাশিয়ার এই প্রস্তাব এক কথায় বৈপ্লবিক, অভাবনীয়। কারণ, যে কোনও যুদ্ধবিমানের কেন্দ্রে থাকে ‘সোর্স কোড’। অত্যন্ত সংবেদনশীল তথ্য। এক কথায়, যুদ্ধবিমানের মাথার ঘিলু। রাফাল যুদ্ধবিমানের সোর্স কোড নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে খিটমিট লেগেছে ভারতের। কেউই নিজেদের যুদ্ধবিমানের সোর্স কোড (Source Code) হস্তান্তর করতে দিতে চায় না। এদিকে, সোর্স কোড না পাওয়ায় রাফাল যুদ্ধবিমানে ব্রহ্মস সহ একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রকে ইন্টিগ্রেট বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারছে না ভারত। কারণ, ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে যুদ্ধবিমানের মেলবন্ধন ঘটাতে সোর্স কোড খুলে তাতে মডিফাই করতে হয়। অন্যদিকে, আমেরিকা ভারতকে এফ-৩৫ বেচতে চাইলেও, যুদ্ধবিমানের প্রযুক্তি দেওয়া তো দূরের কথা, পূর্ণ কর্তৃত্বও দিতে রাজি নয়। অর্থাৎ, বিমানের নিয়ন্ত্রণ থাকবে পেন্টাগনের হাতে। ভারত শুধু ওড়াবে। সেখানে ভারতকে তাদের স্টেলথ পঞ্চম প্রজন্মের সু-৫৭ (Sukhoi Su-57)  ফাইটার জেটের সোর্স কোড সমেত গোটা প্রযুক্তি দিতে রাজি রাশিয়া।

    প্লেটে ‘সোর্স কোড’ সাজিয়ে পেশ ভারতকে

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যাধুনিক পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের (FGFA) সোর্স কোড দিতে রাজি হওয়াটা কোনও ভাবেই ছোট বিষয় নয়। মনে করিয়ে দেওয়া যাক, ২০১১ সালে ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। প্রোজেক্টের নাম ছিল ‘পিএকে-এফএ টি-৫০’। তখন ‘সু-৫৭’ (Sukhoi Su-57) দিনের আলো দেখেনি। বলা যেতে পারে, বর্তমান ‘সু-৫৭’র পূর্বসূরি ছিল ‘টি-৫০’। কিন্তু, প্রযুক্তি হস্তান্তর সহ একাধিক বিষয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় ২০১৭ সালে ওই প্রকল্পে থেকে পিছিয়ে আসে ভারত। সেই থেকে ব্রহ্মপুত্র ও মস্কোভা নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। এবার এত বছর পর, সেই পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেটের সোর্স কোড প্লেটে সাজিয়ে ভারতকে প্রস্তাব দিচ্ছে ক্রেমলিন। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, সোর্স কোড পেলে রুশ যুদ্ধবিমানে ‘অস্ত্র’, ‘রুদ্রম’ সহ বিভিন্ন দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র অতি সহজেই অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে ভারত। অন্তর্ভুক্ত করা যাবে দেশীয় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন গ্যালিয়াম নাইট্রাইড-বেসড্ আয়েসা রেডার  (GaN-based AESA radar) — পোশাকী নাম বীরূপাক্ষ ও সর্বাধুনিক এভিয়োনিক্সও। ফলে, এটিও হয়ে উঠবে সু-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানের মতো সু-৫৭ আই। অর্থাৎ, ভারতীয় সংস্করণ, যা বিশ্বে আর কারও কাছে থাকবে না।

    মার্কিন ‘এফ-৩৫’! নৈব নৈব চ…

    রাশিয়ার থেকে সোর্স কোড সহ অত্যাধুনিক পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের (FGFA) প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রস্তাব পাওয়ার পর থেকে সুখোই সু-৫৭ (Sukhoi Su-57) কেনা নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে নয়াদিল্লি। বলা বাহুল্য, রাশিয়া তাদের স্পর্শকাতর প্রযুক্তি ভারতের সঙ্গে ভাগ করতে রাজি হওয়ার পর থেকেই বরাতের লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে ওয়াশিংটন। কারণ, আমেরিকা কখনই তাদের এফ-৩৫ বিমানের সোর্স কোড ভাগ করা তো দূরে থাক, অন্য প্রযুক্তিও ভাগ করবে না। উপরন্তু, আমেরিকা থেকে কেনা একাধিক সামরিক সরঞ্জাম হাতে পেতে দেরি হচ্ছে ভারতের। মউ স্বাক্ষরিত হওয়ার ২ বছর পরেও, ভারত এখনও তেজস মার্ক-২ যুদ্ধবিমানের জন্য জেনারেল ইলেক্ট্রিকের থেকে এফ৪১৪ জেট ইঞ্জিন হাতে পায়নি। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি শুরু হওয়ার কথা ছিল বোয়িংয়ের অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই হেলিকপ্টার। একটাও এখনও হাতে আসেনি ভারতের। কেন্দ্রীয় কর্তাদের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে ঢিলেমি করছে মার্কিন প্রশাসন। এই সব নিয়ে আমেরিকার ওপর ক্ষুব্ধ ভারত। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই ভারত যে ‘এফ-৩৫’ নেবে না, তা বলাই বাহুল্য। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারত এক প্রকার ‘এফ-৩৫’-কে ইতিমধ্যই খারিজ করে দিয়েছে। এখন শুধু সরকারি ঘোষণার অপেক্ষা।

  • Vijay Rupani: রাজনৈতিক যাত্রা শুরু এবিভিপি থেকে! বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রূপানির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ বিজেপির

    Vijay Rupani: রাজনৈতিক যাত্রা শুরু এবিভিপি থেকে! বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রূপানির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (Vijay Rupani)। দলের নেতার প্রয়াণে বিজেপি নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু। প্রসঙ্গত, বিজয় রূপানি হলেন গুজরাটের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী, যিনি বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Plane Crash) নিহত হলেন। এর আগে ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ চলাকালীন বলবন্ত রায় মেহতা বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন।

    রাষ্ট্রপতির শোকবার্তা

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও শোক প্রকাশ করে বলেন, “ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানাই। বিমান দুর্ঘটনায় দেশ হারাল গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিজিকে (Vijay Rupani)। তিনি সারা জীবন জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। এমনদিনে তাঁর পরিবারকে জানাই সমবেদনা।”

    রাজনাথ সিংয়ের শোকবার্তা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এক্স-এ (পূর্বতন ট্যুইটার) শোকবার্তায় লেখেন, “বিজয় রূপানিকে (Vijay Rupani) সর্বদা স্মরণ করা হবে। তিনি একজন ভূমিস্তরের নেতা হিসেবে সারা জীবন রাজ্যের উন্নয়ন ও জনকল্যাণে কাজ করেছেন।”

    কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী রামমোহন নাইডু নিশ্চিত করেন রূপানির মৃত্যুর খবর

    প্রসঙ্গত, গতকালই কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী রামমোহন নাইডু নিশ্চিত করেন যে দুর্ঘটনার সময় বিমানে বিজয় রূপানী (Vijay Rupani) উপস্থিত ছিলেন। গতকালই তিনি বলেন, “ বিমান দুর্ঘটনার ঘটনার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। কতজন নিহত হয়েছেন তার তদন্ত চলছে। গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, বিজেপি নেতা বিজয় রূপানিও ওই বিমানে ছিলেন।”

    পুরীর সাংসদ সম্বিত পাত্রের শোকবার্তা

    বিজেপি সাংসদ সম্বিত পাত্র লেখেন, “গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যু শুধু রাজ্যের নয়, গোটা ভারতীয় রাজনীতিতে (Ahmedabad Plane Crash) এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করল। মহাপ্রভু জগন্নাথ তাঁর বিদেহী আত্মাকে শান্তি দিন এবং পরিবারের সবাইকে এই শোক সহ্য করা শক্তি দিন।”

    বিজেপি নেতা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের শোকবার্তা

    লুধিয়ানা বিজেপির পক্ষ থেকেও রূপানীর (Vijay Rupani) প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। দিল্লির মন্ত্রী মঞ্জিন্দর সিং সিরসা সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে শ্রদ্ধা জানান। বিজেপি নেতা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং লেখেন, “বিজয় রূপানিকে তাঁর জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য চিরকাল মনে রাখা হবে।” উল্লেখ্য, তিনি ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং পাঞ্জাব বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্বও পালন করেছেন।

    এবিভিপি থেকে শুরু হয় সাংগঠনিক যাত্রা

    বিজয় রূপানির সাংগঠনিক যাত্রা শুরু হয়েছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের মাধ্যমে। এরপর তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একজন প্রচারক হন। পরে তিনি জনসংঘের সদস্য হন এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) প্রতিষ্ঠিত হলে প্রথম দিন থেকেই সদস্যতা গ্রহণ করেন।

    পেশাগত জীবনে আইনজীবী, জরুরি অবস্থায় কারারুদ্ধ

    ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময় তিনি কারারুদ্ধ হন বলে জানা যায়। পেশাগত জীবনে বিজয় রূপানি একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী ছিলেন এবং পরবর্তীকালে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। জীবনে প্রথম তিনি রাজকোট পুরসভা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

    জন্ম হয় মায়ানমারে, ছিলেন মোদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ

    বিজয় রূপানির জন্ম একটি জৈন ব্যবসায়িক পরিবারে, মায়ানমারে। ১৯৬০ সালে তাঁর পরিবার ভারতে ফিরে আসে। এরপর থেকেই তিনি জনসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিজয় রূপানি দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে কাজ করেন। ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদি যখন প্রথমবার রাজকোট থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তখন বিজয় রূপানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তৎকালীম মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জেতাতে।

    ২০১৬ সালে হন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী

    পরবর্তীকালে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি রাজ্যের পর্যটন দফতরের চেয়ারম্যান ছিলেন। রাজ্য বিজেপিতে তিনি নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেন। পরে তাকে দিল্লিতে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবেও পাঠানো হয়। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী করা হয় আনন্দীবেন প্যাটেলকে। ঠিক দুই বছর পরে, ২০১৬ সালে বিজয় রূপানি আনন্দীবেন প্যাটেলের স্থলাভিষিক্ত হন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই তার নাম প্রস্তাব করে।

    ২০১৭ সালের নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই জয় পায় বিজেপি

    ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই জয় পায় বিজেপি। পুনরায় গুজরাটে সরকার গঠন করে গেরুয়া শিবার। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এর ফলে, অনেক জাক্তারি পড়ুয়াও নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • Israel Iran War: অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’! ইরানে আকাশপথে হামলা ইজরায়েলের, পালটা ড্রোন-হানা তেহরানের

    Israel Iran War: অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’! ইরানে আকাশপথে হামলা ইজরায়েলের, পালটা ড্রোন-হানা তেহরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যেও শুরু হয়ে গেল যুদ্ধ। ইরানের (Israel Iran War) সেনাঘাঁটি ও পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইজরায়েল। শুক্রবার ভোর রাতে ইরানের উপরে হামলা করে ইজরায়েল। ৩৩০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। মূলত ইরানের পরমাণু ও মিসাইল ঘাঁটিগুলিতেই হামলা করেছে ইজরায়েল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও। এই হামলার প্রত্যাঘাত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইরান। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন নিয়ে ইজরায়েলে হামলা চালাল ইরান।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরদিনই বড়সড় হামলা চালাল তেল আভিভ। গোটা ইজরায়েলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সেদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাতজ জানান, ইরানের পালটা প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত গোটা দেশ। শুক্রবার সকালে অপারেশন রাইজিং লায়ন (Operation Rising Lion) শুরু করে তেল আভিভ। ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালানো হয়। তবে ইরানের কোথায় কোথায় হামলা চালানো হয়েছে, তা খোলসা করেনি ইজরায়েল। এই হামলায় নিহত হয়েছে ইরানের রেভেলিউশনারি গার্ডের প্রধান হোসেন সালামি এবং ডেপুটি কমান্ডার জেনারেল ঘোলামালি রশিদের। ইজরায়েলি হানায় প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের একাধিক পরমাণু বিজ্ঞানীও।

    কেন এই অভিযান

    ইরানের (Israel Iran War) এক ডজন পরমাণু ও মিসাইল কেন্দ্রগুলিতে হামলা করেছে ইজরায়েল। তেহরানের উত্তর-পূর্বে বিস্ফোরণ ও কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। নাতানজ সাইট, যেখানে ইউরেনিয়ামের ভাণ্ডার, সেখানেও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল, এমনটাই জানা গিয়েছে। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের মুখপাত্রের দাবি, ইরান পরমাণু বোমা বানাচ্ছিল। তা থেকে ইজরায়েলকে রক্ষা করতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইরানের পরমাণু হামলার সম্ভাবনা যতক্ষণ না প্রতিহত করা হচ্ছে, ততদিন অভিযান চলবে। যতদিন প্রয়োজন, ততদিন এই অভিযান চলবে। এই আক্রমণ আসলে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ, এমনটাই জানিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। আপাতত আগামী কয়েকদিন ইরানের উপর হামলা চলবে বলেই জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।

    পালটা হামলা ইরানের

    অন্যদিকে, ইরানের (Israel Iran War) জাতীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যু হয়েছে তাদের রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামির। এছাড়াও দুই পরমাণু বিজ্ঞানী ফেরেদুন আব্বাসি-দাভানি এবং মহম্মদ মেহদি তেহরানচির মৃত্যু হয়েছে এই হামলায়। তেহরানের বেশ কয়েকটি জনবসতি এলাকায় ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে বলে ইরানের দাবি। প্রচুর মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। এই হামলার পালটা দেওয়ার হুঙ্কারও দিয়েছে ইরান। ইতিমধ্যেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খোমেইনি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বড়সড় শাস্তি ভুগতে হবে ইজরায়েলকে। সেই হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, ইজরায়েলে ড্রোন-হানা চালায় ইরান।

    আমেরিকার ভূমিকা নেই

    যদিও দু’পক্ষের এই সংঘাতের মধ্যে জড়াতে চাইছে না আমেরিকা। একটি বিবৃতি দিয়ে আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো বলেন, “আজ ইজরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে একপাক্ষিক পদক্ষেপ করেছে। আমরা এই হানার সঙ্গে যুক্ত নই। আমাদের এখন লক্ষ্য হল ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনীকে সুরক্ষিত রাখা।” একই সঙ্গে ওই বিবৃতিতে রুবিয়ো বলেছেন, “ইজরায়েল আমাদের জানিয়েছে যে, তারা বিশ্বাস করে আত্মরক্ষার স্বার্থে এই বিমানহানা জরুরি ছিল। আমাদের বাহিনীকে রক্ষা করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর প্রশাসন সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে।” ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পেন্টাগন জানিয়ে দিয়েছে, তারা যেন আমেরিকার স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত কোথাও বা কোনও কিছুতে হামলা না-চালায়। ইতিমধ্যেই পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর করা নিয়ে আমেরিকা এবং ইরানের মধ্যে বোঝাপড়া কার্যত ভেস্তে গিয়েছে। এই বিষয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও।

    মধ্যপ্রাচ্যের বিরাট আকাশসীমা বন্ধ

    ইরানের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় ইজরায়েলে ইতিমধ্যেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তেল আভিভ বিমানবন্দর। অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরোপুরি বন্ধ ইরানের আকাশপথ। তাদের প্রতিবেশী ইরাকের আকাশসীমাও আপাতত বন্ধ। তার প্রভাব পড়তে পারে ভার‍ত থেকে ওড়া বিমানগুলির উপরেও। বাতিল হতে পারে একাধিক আন্তর্জাতিক উড়ান। মধ্যপ্রাচ্যের বিরাট আকাশসীমা বন্ধ থাকার কারণে বিমানগুলি ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

  • RSS: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা! শোক প্রকাশ আরএসএসের, উদ্ধারকাজে সামিল স্বয়ংসেবকরা

    RSS: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা! শোক প্রকাশ আরএসএসের, উদ্ধারকাজে সামিল স্বয়ংসেবকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সংকটে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) সর্বদাই এগিয়ে আসে – তা প্রাকৃতিক বিপর্যয় হোক কিংবা অন্য কিছু। আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের স্বয়ংসেবকরা সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন। গুজরাটের কর্ণাবতীর সিভিল হাসপাতালে তাঁরা চিকিৎসকদের ও বিভিন্ন মেডিক্যাল টিমকে সহায়তা করতে থাকেন। একই সঙ্গে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারগুলিকেও দেখভাল করেন এবং সবার সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তোলেন। আরএসএস-এর এমন নিঃস্বার্থ সেবা বিমান দুর্ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেকটাই সহায়তা করে (Air India Plane Crash)।

    উদ্ধারকাজে অংশ নেন ১৭৫ স্বয়ংসেবক (RSS)

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) নীতিই হল নিঃস্বার্থ সেবা। যেকোনও দুঃসময়ে তারা পাশে দাঁড়ায়। আরএসএস-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোট ১৭৫ জন স্বয়ংসেবক এই সেবাকার্যে অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা শুধু উদ্ধারকাজেই নয়, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, নিহতদের ময়নাতদন্তে সহায়তা, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ এবং রক্তদানেও অংশ নেন (Air India Plane Crash)। এছাড়াও, ২০০০-এর বেশি মানুষকে চা, জল ও খাবার সরবরাহ করে সাহায্য করেন সংঘের স্বয়ংসেবকরা। এই সেবাকাজে আরএসএস-কে সহায়তা করে কালুপুর স্বামীনারায়ণ মন্দির।

    শোক প্রকাশ আরএসএস-র (RSS)

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের বিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ শ্রী সুনীল আম্বেকর। সমাজমাধ্যমের পাতায় তিনি লেখেন- “গুজরাটে আজকের এই বিমান দুর্ঘটনা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা গভীর সমবেদনা জানাই সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্তদের, যাঁরা এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। ভগবানের কাছে আমাদের প্রার্থনা, এই দুঃখ সহ্য করার শক্তি যেন তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে দেন।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এর ফলে,  অনেক জাক্তারি পড়ুয়াও নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • Pox in Summer: গ্রীষ্মে চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘বসন্ত’! কেন অসময়ে বাড়ছে দাপট? কাদের ঝুঁকি বেশি?

    Pox in Summer: গ্রীষ্মে চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘বসন্ত’! কেন অসময়ে বাড়ছে দাপট? কাদের ঝুঁকি বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সপ্তাহে জুড়ে গরমের দাপট বাড়ছে। আর তার মধ্যেই চিন্তা বাড়াচ্ছে পক্স! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জুনের প্রথম দশ দিনের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য ভাবে পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে (Pox in Summer)। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময়েই এই ভাইরাস সক্রিয় হয়। কিন্তু চলতি বছরে গরমে পক্সের বাড়বাড়ন্ত বাড়তি দুশ্চিন্তা তৈরি করছে। তাই সতর্কতা জরুরি।

    কেন গরমে পক্সের দাপট?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণত, ঋতু পরিবর্তনের সময়ে পক্সের ভাইরাসের দাপট বাড়ে। কিন্তু, এই গরমেও দেখা যাচ্ছে পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার রকম ফেরে এই ধরনের ভাইরাসের দাপট বাড়ে। শীতের শেষ এবং গরম শুরু, এমন মরশুমে তাপমাত্রার ঘনঘন পরিবর্তন হয়। তাই পক্সের (Pox in Summer) মতো ভাইরাসের দাপট বাড়ে। বসন্ত ঋতুতেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। কিন্তু চলতি মরশুমে বারবার তাপমাত্রার তারতম্য দেখা যাচ্ছে। তার জেরেই এই রোগের দাপট বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহ, প্রায় দিন পনেরো কখনও বৃষ্টি হয়েছে, তাপমাত্রা একটু কমেছে। আবার কখনও তীব্র গরম। ভ্যাপসা আবহাওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে। কখনও গরম থেকে বাঁচতে এসি ঘরে, আবার তারপরেই তীব্র রোদে বাইরে যাওয়া। আবহাওয়ার এই দ্রুত পরিবর্তনে ভাইরাস সক্রিয় হয়। তাই এই গরমেও বাড়ছে পক্সের (Pox in Summer) দাপট। তাপমাত্রার ঘনঘন রকমফেরের জেরেই ভোগান্তি বাড়ছে।

    কাদের ঝুঁকি বেশি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যাদের নিয়মিত দিনের অনেকটা সময় বাইরে থাকতে হয়, তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে‌। দিনের মারাত্মক গরমে শরীরের ভিতর গরম হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ঘামের জেরে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। আর তার ফলেই যেকোনও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায় (Pox in Summer)। তবে, শিশুদের নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সাধারণত শিশুদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় কম থাকে। তাই যেকোনও ভাইরাস ঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই চলতি মরশুমে শিশুদের বাড়তি যত্ন জরুরি।

    পক্স রুখতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পক্স রুখতে (Precautions Against Pox) শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত এমন খাবার মেনুতে রাখা জরুরি, যাতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত লেবু জাতীয় ফল খাওয়া উচিত। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, গরম থেকে সাময়িক রেহাই পাওয়ার জন্য অনেকেই প্যাকেটজাত ঠান্ডা নরম পানীয় খান। কিন্তু সেটা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। বরং, নুন এবং পাতিলেবু মেশানো জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে। আবার ভিটামিন সি-র চাহিদাও পূরণ হয়।

    কার্যকর ঘরোয়া টোটকা

    মেথি, মৌরির মতো পরিচিত মশলা শরীর সুস্থ রাখতে বাড়তি সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, মেথি, মৌরি ভেজানো সরবত লিভারের জন্য বিশেষ উপকারি। তাই নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠেই এই সরবত খেলে হজমের গোলমাল কম হয়। গরমেও শরীর ঠান্ডা থাকে। পক্সের (Pox in Summer) মতো ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা সহজ হয়।
    গরম থেকে রেহাই পেতে এবং শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডাব খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়। আবার ডাবের জল ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়। পক্সের ভোগান্তি রুখতে ও ডাব সাহায্য করে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌
    তবে বারবার আইসক্রিম, নরম ঠান্ডা পানীয় খাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ (Precautions Against Pox) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ‌পাশপাশি বারবার এসি ঘর থেকে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার বারবার তারতম্য হলে পক্সের ঝুঁকি বাড়বে (Pox in Summer)!

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Air India Plane Crash: ‘‘ঈশ্বরই রেখেছেন, নইলে…’’! বিশ্বাসই হচ্ছে না বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত যাত্রীর

    Air India Plane Crash: ‘‘ঈশ্বরই রেখেছেন, নইলে…’’! বিশ্বাসই হচ্ছে না বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত যাত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাখে হরি মারে কে! এই কথা ফের একবার সত্য প্রমাণিত হল আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় (Air India Plane Crash)। বিশ্বাসকুমার রমেশ, এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত এআই১৭১ বিমানের একমাত্র যাত্রী, যিনি বেঁচে রয়েছেন। প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বাসকুমার রমেশ নামে ওই যাত্রী জানালেন, এয়ার বিমানটি ওড়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই গোটা ঘটনাটি ঘটেছে। একটা জোরালো শব্দ হয়। তার পরেই বিমানটি ভেঙে পড়েছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, বিমান দুর্ঘটনায় সম্ভবত সকল আরোহীই নিহত। কিন্তু পরে আমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএ মালিক জানান, এক জন জীবিত রয়েছেন। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পেয়েছে। ১১এ আসনের ওই যাত্রী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর চিকিৎসা চলছে।

    চারপাশে শুধুই মৃতদেহ

    বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিট নাগাদ, গুজরাটের মেঘানিনগরে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমানটি (Air India Plane Crash)। সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টেক অফের ৪ মিনিটের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। ১.২৫ লক্ষ লিটারেরও বেশি জ্বালানি ছিল তখন বিমানে। বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ার পরই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে জ্বলে যান সকলে। বছর চল্লিশের রমেশ লন্ডনেই থাকেন। গুজরাটে এসেছিলেন পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। গতকাল দাদা অজয় কুমার রমেশের সঙ্গে তিনি লন্ডনে ফিরে যাচ্ছিলেন। সেই যাওয়া আর হয়নি। রমেশ বসেছিলেন জানলার ধারে ১১এ সিটে। ইমার্জেন্সি এক্সিটের ঠিক পাশেই বসায়, বিমানটি ভেঙে পড়তেই ছিটকে বেরিয়ে যান বিশ্বাস। তাতেই রক্ষা পান। রক্ষা পাননি দাদা। তবে ২৪২ জনের মধ্যে একমাত্র তিনিই বেঁচে, এ কথা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না। হাসপাতালের বিছানা থেকে শুয়ে দুর্ঘটনার পরের মুহূর্ত বর্ণনা করে তিনি বলেন, “আমার চারপাশে শুধু মৃতদেহ ছিল। বিমান টুকরো টুকরো হয়ে আমার চারিদিকে পড়েছিল। হঠাৎ কেউ একজন আমায় টেনে তুলল আর অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে গেল।”

    ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম

    গুজরাটের সিভিল হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রমেশ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর বুক, চোখ ও পায়ে আঘাত রয়েছে। এমন বিপর্যয় ঘটতে চলেছে, তা কি বিমানে বসে আঁচ করতে পেরেছিলেন রমেশ? উত্তরে তিনি বলেন, “টেক অফের ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে জোরে একটা শব্দ হয়। তারপরই প্লেন (Air India Plane Crash) ক্র্যাশ হয়ে গেল। সব কিছু এত তাড়াতাড়ি হয়ে গেল। বুঝতেই পারিনি। যখন জ্ঞান ফেরে, উঠে দেখি, চারদিকে ছড়িয়েছিটিয়ে পড়ে রয়েছে লাশ। ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। উঠে দাঁড়ানোর পরেই পালাতে শুরু করেছিলাম আমি। সেই সময় কেউ একজন আমাকে ধরে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে দেন। তার পর ওই অ্যাম্বুল্যান্সে করেই আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।”

    ডিএনএ নমুনার প্রয়োজন

    বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডু। তিনি জানিয়েছিলেন, বিমানের সকল আরোহীই নিহত দুর্ঘটনায় (Air India Plane Crash)। ঠিক তার পরেই সংবাদ সংস্থা এএনআই আমেদাবাদের সিপিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, গোটা ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন এক জনই। সিপি বলেন, ‘‘সব মিলিয়ে কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। যে হেতু লোকালয়ে বিমান ভেঙে পড়েছে, তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’’ বিমানটি যে বহুতলে ভেঙে পড়েছে, সেটি ছিল বিজে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের হস্টেল। স্থানীয়দের দাবি, ওই হস্টেলে থাকেন ৫০ জন চিকিৎসক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমান ভেঙে পড়ায় ওই হস্টেলের পাঁচ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া গোটা বিমানের ভিতরে থাকা যাত্রীদের দেহের এতটাই খারাপ অবস্থা যে শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনার প্রয়োজন। তাই যাত্রীদের পরিবারের কাছে ডিএনএ নমুনা চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

  • Daily Horoscope 13 June 2025: প্রেমে বিবাদ বাধতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 13 June 2025: প্রেমে বিবাদ বাধতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) কাজের জায়গায় কথার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারলে ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ২) দূরে ভ্রমণের জন্য বাড়িতে আলোচনা হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মিথুন

    ১) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ২) সংসারের জন্য অনেক করেও বদনাম হবে।

    ৩) সাবধানতা অবলম্বন করুন।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ২) প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায় দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) বন্ধুদের দিক থেকে খারাপ কিছু ঘটতে পারে।

    ২) প্রেমে বিবাদ বাধতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) ব্যবসায় চাপ থাকলেও আয় বৃদ্ধি পাবে।

    ২) বুদ্ধির দোষে কোনও কাজ পণ্ড হতে পারে।

    ৩) পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় নিজের বুদ্ধিতেই আয় বাড়বে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    ধনু

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক বাধতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মকর

    ১) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির সময়।

    ২) ব্যবসায় বিবাদ থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ৩) দিনটি কম বেশি ভালোই কাটবে।

    কুম্ভ

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ২) কর্মস্থানে সম্মানহানির সম্ভাবনা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) খেলাধুলায় নাম করার ভাল সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 378: নেতি নেতি করে ছাদে পৌঁছে যখন দেখি, ছাদও যে জিনিসে তৈরি, ইঁট, চুন, সুরকি সেই জিনিসে তৈরি

    Ramakrishna 378: নেতি নেতি করে ছাদে পৌঁছে যখন দেখি, ছাদও যে জিনিসে তৈরি, ইঁট, চুন, সুরকি সেই জিনিসে তৈরি

    দোলযাত্রা দিবসে শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বরে ভক্ত সংঘে

    (দোলযাত্রা দিবসে শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তিযোগ)

    মহিমাচরণ, রাম, মনমোহন, নরেন্দ্র, মাস্টার প্রভৃতি

    আজ দোলযাত্রা। শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর জন্মদিন ১৯ ফাল্গুন, পূর্ণিমা, রবিবার ১লা মার্চ ১৮৮৫। শ্রীরামকৃষ্ণ ঘরের মধ্যে ছোট খাটটিতে বসিয়া সমাধিস্থ। ভক্তরা মেঝেতে বসিয়া আছেন। এক দৃষ্টে তাহাকে দেখিতেছেন মহিমাচরণ রাম মনমোহন, নবাই, চৈতন্য, মাস্টার প্রভৃতি অনেকে বসিয়া আছেন।

    ভক্তেরা এক দৃষ্টে দেখিতেছেন। সমাধি ভঙ্গ হইল ভাবের পূর্ণমাত্রা। ঠাকুর মহিমাচরণকে বলিতেছেন বাবু, হরি ভক্তির কথা।

    নারদ পঞ্চরাত্রে আছে। নারদ তপস্যা করেছিলেন। দৈববাণী হল, হরিকে যদি আরাধনা করা যায়, তাহলে তপস্যার কি প্রয়োজন? আর হরিকে যদি না আরাধনা করা হয়, তাহলেই বা তপস্যার কি প্রয়োজন? হরি যদি অন্তরে বাহিরে থাকেন (Ramakrishna) তাহলেই বা তপস্যার কি প্রয়োজন? আর যদি অন্তরের বাহিরে না থাকেন তাহলেই বা তপস্যার কি প্রয়োজন? অতএব হে ব্রহ্মণ বিরত হও। বৎস তপস্যার কি প্রয়োজন? জ্ঞান সিন্ধু শংকরের কাছে গমন করো। বৈষ্ণবেরা যে হরি ভক্তির কথা বলে গেছেন, সেই সুপক্কা ভক্তি লাভ কর। এই ভক্তি এই ভক্তি-কাটারই দ্বারা ভব নিগড় ছেদন হবে।

    (ঈশ্বর কোটি শুকদেবের সমাধি ভঙ্গ, হনুমান, প্রহ্লাদ)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- জীবকোটি ও ঈশ্বরকোটি। জীবকোটির ভক্তি বৈধভক্তি। এত উপাচারে পূজা করতে হবে। এত উপাচারে জপ করতে হবে। এত পুরশ্চরণ করতে হবে। এই বৈধ ভক্তির পর জ্ঞান। তারপর লয় ফেরেনা।
    ঈশ্বরকোটির আলাদা পথ। যেমন অনুলোম বোলুম। নেতি নেতি করে ছাদে পৌঁছে যখন দেখি, ছাদও যে জিনিসে তৈরি, ইঁট, চুন, সুরকি সেই জিনিসে তৈরি। তখন কখন ছাদেও থাকতে পারে, আবার উঠানামাও করতে পারে।

  • Maheshtala Incident: মহেশতলার ঘটনায় উত্তাল বিধানসভা, ওয়াক আউট বিজেপির! এনআইএ চেয়ে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Maheshtala Incident: মহেশতলার ঘটনায় উত্তাল বিধানসভা, ওয়াক আউট বিজেপির! এনআইএ চেয়ে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহেশতলার ঘটনায় (Maheshtala Incident) এনআইএ তদন্ত (NIA Investigation) চাইছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই আবেদন জানিয়ে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। রবীন্দ্রনগরে অশান্তির জেরে বৃহস্পতিবার (১২ জুন, ২০২৫) উত্তপ্ত হয় বিধানসভার অধিবেশনও। বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদ, প্রতিরোধের জেরে পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজক হয়ে ওঠে যে একটা সময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখেন নিরাপত্তারক্ষীরা।

    উত্তপ্ত বিধানসভা

    মহেশতলার ঘটনা (Maheshtala Incident) নিয়ে এদিন উত্তপ্ত হয় বিধানসভা। বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের অধিবেশনে মূলত দু’টি দাবি তুলেছিলেন বিজেপি বিধায়করা। প্রথমত, তাঁরা মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক অশান্তি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। এরপর রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় বুধবার (১১ জুন, ২০২৫) যে অশান্তি ছড়িয়েছিল, তা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা চান বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু, তাতেও সায় দেননি বিমান। এর ফলে অধিবেশন চলাকালীনই বিধানসভার ভিতর হট্টগোল শুরু করে দেন বিজেপি বিধায়করা। নিজের আসন ছেড়ে উঠে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার কার্যবিবরণী ছিঁড়ে, সেই কাগজের টুকরোগুলি শূন্যে উড়িয়ে দেন তিনি! ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা ৷ অধ্যক্ষ এরই মধ্যে অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করলে স্লোগান দিতে দিতে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি৷ পরবর্তীতে বিধানসভার মূল ফটকের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের তুলসী মঞ্চ মাথায় নিয়েও হাঁটতে দেখা যায়। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী দাবি জানিয়েছেন, রবীন্দ্রনগর থানার আইসি মুকুল মিঞাকে অপসারিত ও গ্রেফতার করতে হবে। জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল যাতে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন, সেই দাবি সামনে রেখে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবছেন বিজেপি বিধায়করা। এদিন বিধানসভা থেকে বেরিয়েই তাঁরা সরাসরি মিছিল করে রাজভবনে চলে যান।

    থমথমে মহেশতলা

    বুধবার সকালে মহেশতলায় (Maheshtala Incident) রবীন্দ্রনগর থানা লাগোয়া এলাকায় একটি শিব মন্দিরের সামনে দোকান নির্মাণ নিয়ে চাপা অশান্তি শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে একটি ছোট তুলসী মঞ্চ তৈরি করে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে অশান্তি শুরু হয়। মুসলিমরা তুলসী মঞ্চ তৈরির প্রতিবাদে ডেপুটেশন দিতে এসেছিলেন। পরে সেখান থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। শিব মন্দির ও তুলসী মঞ্চে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে এলাকায় ১০টি পিকেট বসানো হয়েছে। এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে। দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হলেও পরে তা হাতাহাতির রূপ নেয়। মুহূর্তে তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ব্যাপক ভাঙচুর শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ থেকে শুরু করে পুলিশের শীর্ষকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। রবীন্দ্রনগর থানা লাগোয়া এলাকায় একটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ব়্যাফ নামানো হয়। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাসও। বৃহস্পতিবার সকালেও থমথমে পরিবেশ মহেশতলার রবীন্দ্রনগর এলাকায়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অলিগলিতে চলেছে পুলিশের রুট মার্চও।

    মহেশতলায় যেতে অনুমতি দিল না পুলিশ

    হিংসা কবলিত মহেশতলা (Maheshtala Incident) যাওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) অনুমতি দিল না পুলিশ। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেহেতু এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে, তাই সেখানে কাউকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না এখনই। তবে, ১৬ জুনের পরে শুভেন্দু অধিকারী হিংসা কবলিত এলাকায় যেতে পারেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    এনআইএ তদন্ত দাবি

    মহেশতলায় (Maheshtala Incident) অশান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। গোটা মামলা এনআইএ-এর হাতে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি সেন।

LinkedIn
Share