Blog

  • Jamai Sasthi: জামাই ষষ্ঠীর ভুরিভোজে কোন খাবারে রাশ জরুরি? সুস্থ থাকার কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    Jamai Sasthi: জামাই ষষ্ঠীর ভুরিভোজে কোন খাবারে রাশ জরুরি? সুস্থ থাকার কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন! আর সেই উৎসবের তালিকায় অন্যতম হলো জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi)। বাঙালির আর পাঁচটা উৎসবের মতোই এই উৎসবেও থাকে দেদার খানাপিনা! ভুরিভোজ বাদ দিয়ে বাঙালির কোনো উৎসবের উদযাপন সম্পূর্ণ হয় না। তবে সুস্থ শরীরের জন্য খাবারে বিশেষ রাশ জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবারের সময়ে পরিমাণে বিশেষ নজরদারি জরুরি। তবেই সুস্থ ভাবে উৎসব উপভোগ সম্ভব।

    জামাই ষষ্ঠীর ভুরিভোজে কোন দিকে নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    পরিমাণে বাড়তি রাশ!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একসঙ্গে অনেকটা পরিমাণ খাবার খেয়ে নেওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক বেশি পরিমাণ খাবার একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই বারবার অল্প পরিমাণ খাবার খাওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, যত সুস্বাদু খাবার থাকুক না কেন, একসঙ্গে না খেয়ে, সারাদিনে ভাগ করে খেলেই সমস্যা অনেকটা এড়ানো যাবে।

    কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারে নিয়ন্ত্রণ!

    বাঙালির ভুরিভোজে লুচি, পোলাও, ভাত আর আলুর দম, এগুলো‌ বাদ দেওয়া খুব মুশকিল (Jamai Sasthi)। বেশিরভাগ বাঙালির পছন্দের এই খাবার কিন্তু বিপদ ডাকতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থুলতা এই তিন সমস্যা এখন প্রায় দেখা যায়। তাই খাদ্যাভাস নিয়ে মানুষের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস, ডায়েবেটিস এবং স্থুলতার মতো সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই লুচি, ভাত কিংবা পোলাওয়ের মতো‌ খাবার একসঙ্গে একেবারেই খাওয়া চলবে না বলে‌ই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, উৎসবের দিনে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় যেকোনও একটি পদ অত্যন্ত কম পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।

    প্রাণীজ প্রোটিনের দিকে নজরদারি জরুরি!

    হরেক পদের মাছ কিংবা মাংস ছাড়া বাঙালির খাওয়া-দাওয়া অসম্পূর্ণ! তবে এক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই জামাইষষ্ঠীর মেনুতে ইলিশ (Jamai Sasthi), চিংড়ির মতো মাছের পাশপাশি মটন কারির মতো পদ রাখেন। আর এর জেরেই বড় সমস্যা হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইলিশ মাছ খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আবার মটনে বাড়তে পারে কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট (Jamai Sasthi Special)। একসঙ্গে এত রকমের প্রাণীজ প্রোটিন খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। রক্তচাপ বাড়তে পারে, বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই তাঁদের পরামর্শ, প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। পরিমিত পরিমাণে যেকোনও এক রকমের প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া যেতে পারে। তবে কখনোই যথেচ্ছ নয়।

    মিষ্টির ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন! (Jamai Sasthi)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন। ডায়বেটিস এবং স্থুলতার মতো রোগ রুখতে নিয়মিত মিষ্টি জাতীয় খাবারে রাশ জরুরি। বাঙালির ভুরিভোজে মিষ্টি থাকেই। শেষ পাতে মিষ্টি দই থেকে রসগোল্লা, সন্দেশের নানান পদ। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, ডায়বেটিস আক্রান্ত হলে মিষ্টি একেবারেই খাওয়া চলবে না। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে। ফলে, মারাত্মক বিপদ হতে পারে। তবে ডায়বেটিস না থাকলেও‌ মিষ্টি খাওয়া নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে বাড়ছে ডায়বেটিস। তাই কমবেশি সকলের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই মিষ্টি খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ না থাকলে সমস্যা জটিল হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল।

    স্বাস্থ্যকর কোন পদের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাবারেও উৎসব উদযাপন সম্ভব। তাঁরা জানাচ্ছেন, জামাই ষষ্ঠীতে (Jamai Sasthi) নানান রকমের পদ তৈরি করে সাজিয়ে খাবার দেওয়ার রেওয়াজ জারি থাকুক। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার। তাঁদের পরামর্শ, নানান রকমের মিষ্টিতে প্লেট সাজানোর পরিবর্তে, নানান রকমের ফল দেওয়া যেতে পারে। আপেল, আম, বেদানা, জামের মতো নানান রঙের ফল একসঙ্গে সাজিয়ে দিলে, দেখতেও ভালো লাগবে আবার সবগুলোই স্বাস্থ্যকর। ফলে সমস্যা হবে না।
    দুপুরের ভুরিভোজে ময়দার তৈরি লুচির পরিবর্তে বাজরা কিংবা মিলেটের মতো দানাশস্য দিয়ে তৈরি রুটি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাগি, মিলেট কিংবা বাজরার তৈরি রুটির ভিতরে বিভিন্ন সব্জির পুর ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে নানান স্বাদ এবং রঙের খাবার হবে। এগুলো স্বাস্থ্যকর। শরীরে বাড়তি কার্বোহাইড্রেট যাওয়ার ঝুঁকি কমবে। বরং এই সব দানাশস্য দিয়ে তৈরি রুটি বা পরোটা শরীরের জন্য উপকারি। পেশি মজবুত করতে, হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। আবার রকমারি পদ ও হবে।
    মটন কিংবা চিকেনের অতিরিক্ত মশলা দেওয়া পদের পরিবর্তে গ্রিলড‌ কিংবা বেকড করা পদ‌ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে তেল ও মশলা কম লাগবে। আবার প্রাণীজ প্রোটিনের গুণ শরীরে পৌঁছবে। হজমের গোলমালের ঝুঁকিও কমবে।

  • Daily Horoscope 01 June 2025: কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 01 June 2025: কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) স্ত্রীর কথায় বিশেষ ভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

    ২) খেলাধুলায় নাম করার ভাল সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ৩) দাম্পত্য জীবন ভালো কাটবে।

    বৃষ

    ১) ভ্রমণের সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) নিজের অজান্তেই কোনও কাজের সুবাদে সকলের প্রীতিলাভ করবেন।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    মিথুন

    ১) কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন।

    ২) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের জন্য অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ৩) সারা দিন সাবধানতা অবলম্বন করে চলুন।

    সিংহ

    ১) অশান্তি থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ৩) অর্থ রোজগার ভালোই হবে।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় কাজের দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।

    তুলা

    ১) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ২) ব্যবসায় সমস্যা বাড়তে পারে।

    ৩) শত্রুদের থেকে সাবধান থাকুন।

    বৃশ্চিক

    ১) দাম্পত্য জীবনে অশান্তির সময়।

    ২) ব্যবসায় চাপ বাড়তে পারে।

    ৩) সতর্কভাবে লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন।

    ধনু

    ১) অর্শের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) ব্যবসায় অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে সবাই আপনার নাম করবে।

    কুম্ভ

    ১) শারীরিক সমস্যার জন্য ব্যবসায় সময় দিতে পারবেন না।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির সময়।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে শুভ সময় কাটাবেন।

    মীন

    ১) চিকিৎসার জন্য খরচ বৃদ্ধি।

    ২) কোনও বন্ধুর সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না

     

     

  • Ramakrishna 367: জাগ্রত, স্বপ্ন, সুষুপ্তি- জীবের এই তিন অবস্থা

    Ramakrishna 367: জাগ্রত, স্বপ্ন, সুষুপ্তি- জীবের এই তিন অবস্থা

    গিরিশ মন্দিরে জ্ঞান ভক্তি সমন্বয় কথা প্রসঙ্গ (Ramakrishna )

    ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ গিরিশ ঘোষের বসুপাড়ার বাটিতে ভক্ত সঙ্গে বসিয়া ঈশ্বরীয় কথা কবিতেছেন। বেলা তিনটা বাজে। মাস্টার আসিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। আজ বুধবার ১৫ ফাল্গুন শুক্লা একাদশী, ২৫ শে ফেব্রুয়ারি ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ। গত রবিবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্ম মহোৎসব হইয়া গিয়াছে। আজ ঠাকুর গিরিশের বাড়ি হইয়া স্টার থিয়েটারে বিষকেতুর অভিনয়ে দর্শন করিতে যাইবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশ প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি)- জাগ্রত, স্বপ্ন, সুষুপ্তি- জীবের এই তিন অবস্থা। যারা জ্ঞান বিচার করে তারা তিন অবস্থাই উড়িয়ে দেয়। তারা বলে যে ব্রহ্ম তিন অবস্থারই পার। সত্ত্ব রজ তম তিন গুণের পার। সমস্তই মায়া। যেমন আয়নাতে প্রতিবিম্ব পড়েছে। প্রতিবিম্ব কিন্তু বস্তু নয়।
    ব্রহ্ম জ্ঞানীরা আরও বলে দেহাত্মবোধ থাকলেই দুটো দেখায়। প্রতিবিম্ব টাও সত্য বলে বোধ হয়। ওই বুদ্ধি চলে গেলে সোহম। আমিই সেই ব্রহ্ম। এই অনুভূতি হয়।

    একজন ভক্ত- তাহলে কি আমরা সব বিচার করব (Ramakrishna )

    শ্রীরামকৃষ্ণ- বিচার পথ আছে (Ramakrishna )। বেদান্তবাদীদের পথ। আরেকটি পথ আছে ভক্তি পথ। ভক্ত যদি ব্যাকুল হয়ে কাঁদে, ব্রহ্মজ্ঞানের জন্য সে তাও পায়। জ্ঞানযোগ ও ভক্তিযোগ- দুই পথ দিয়েই ব্রহ্ম জ্ঞান হতে পারে। কেউ কেউ ব্রহ্ম জ্ঞানের পরেও ভক্তি নিয়ে থাকে। লোক শিক্ষার জন্য। যেমন অবতারাদি। দেহাত্মবুদ্ধি কিন্তু সহজে যায় না, তাঁর কৃপায় সমাধিস্থলে সমাধিস্থ হলে যায়। নির্বিকল্প সমাধি, জড় সমাধি।

  • Miss World 2025: শুরু হতে চলেছে মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৫-এর গ্র্যান্ড ফিনালে! ভারতের নন্দিনী গুপ্ত-র মাথায় কি উঠবে মুকুট?

    Miss World 2025: শুরু হতে চলেছে মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৫-এর গ্র্যান্ড ফিনালে! ভারতের নন্দিনী গুপ্ত-র মাথায় কি উঠবে মুকুট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘণ্টাখানেক পরেই উপস্থিত হতে চলেছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ৷ যেখানে ২০২৫ সালের মিস ওয়ার্ল্ড ঘোষিত হবে ৷ তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে বসেছে ৭২তম মিস ওয়ার্ল্ড ফেস্টিভ্যালের (Miss World 2025) আসর ৷ ৩১ মে, মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৫ এর গ্র্যান্ড ফিনালে। আফ্রিকা, নর্থ আমেরিকা, সাউথ আমেরিকা, এশিয়া, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, প্রত্যেকটি মহাদেশ থেকে প্রতিযোগী এসেছেন এ বারের মিস ওয়ার্ল্ডে। এ বছর ভারত হয়তো তাঁর সপ্তম মিস ওয়ার্ল্ড জয়ীকে পেতে চলেছে। ভারতের হয়ে নন্দিনী গুপ্ত আপাতত মিস ওয়ার্ল্ড ফাইনালের টপ ৪০-এর তালিকায় ঢুকে পড়ছেন। ২১ বছর বয়সি নন্দিনী ২০২৩-এ মিস ইন্ডিয়ার খেতাব পান। তাঁর আগে তিনি মিস রাজস্থান হয়েছিলেন।

    খেতাব থেকে কিছু দূরে নন্দিনী

    নন্দিনীর বাড়ি রাজস্থানের কোটার খুব কাছের একটি ছোট শহর কাইথুনে। তাঁর বাবা কৃষক, মা গৃহবধূ। তাঁর এক বোনও রয়েছে। নন্দিনী পড়াশোনা করেছেন কোটার সেন্ট পলস সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে। তারপর মুম্বইয়ের লালা লাজপত রায় কলেজ থেকে বিজ়নেস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন। সম্প্রতি এক প্রেস কনফারেন্সে নন্দিনী বলেন, ‘দেশের মাটিতে মিস ওয়ার্ল্ড-এ প্রতিনিধিত্ব করছি, এটা নিয়ে আমি ভীষণই গর্বিত। তেলেঙ্গানা তার আন্তরিকতা এবং বৈচিত্র্যর জন্য বিখ্যাত। তাই তেলেঙ্গানাই আদর্শ পটভূমি আমার এই মিস ওয়ার্ল্ড সফরের জন্য। আমি মুখিয়ে আছি সারা পৃথিবীকে এখানে স্বাগত জানাতে।’ চলতি প্রতিযোগিতায়, প্রথমে টপ ৪০ প্রতিযোগীর একটি তালিকা তৈরি হয়। এর পর বিচারকরা টপ ২০-র তালিকা তৈরি করবেন। সবশেষে টপ ৮। সেখান থেকে ফাইনালের স্টেজে উঠবেন ৪ জন। এঁদের একজন হবেন মিস ওয়ার্ল্ড, বাকিদের ফার্স্ট, সেকেন্ড এবং থার্ড রানার্স-আপের খেতাব দেওয়া হবে অন্যান্যবারের মতো।

    বিচারকের আসনে কারা

    জানা গিয়েছে, বলিউড অভিনেতা সোনু সুদকে (Sonu Sood) গ্র্যান্ড ফিনালেতে মর্যাদাপূর্ণ মিস ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটেরিয়ান পুরস্কারে (Miss World Humanitarian Award) ভূষিত করা হবে। এই গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিচারকের ভূমিকাও পালন করবেন অভিনেতা। বিচারক প্যানেলে থাকবেন মিস ইংল্যান্ড ২০১৪ ডঃ ক্যারিনা টারেল, সুধা রেড্ডি (Sudha Reddy), ক্রিস্টিনা পিসকোভা। সুধা রেড্ডি হলেন ‘বিউটি উইথ আ পারপাস ২০২৫ ( Beauty with a Purpose 2025)’-এর গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর। তিনি জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিউটি উইথ আ পারপাস গালা ডিনার আয়োজন করেছিলেন। মিস ওয়ার্ল্ডের সভাপতি জুলিয়া মোর্লে ( Julia Morley) সিবিই জুরির নেতৃত্ব দেবেন ৷

  • Kolkata Police: দিল্লি থেকে আইনের ছাত্রীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ, কেন জানেন?

    Kolkata Police: দিল্লি থেকে আইনের ছাত্রীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে আপত্তি করেছিলেন আইনের এক ছাত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর করা পোস্ট একটি মুসলমান সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ (Kolkata Police)। তার জেরে শুক্রবার রাতে গুরুগ্রাম থেকে আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে  গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ (Law Student Arrest)।

    অবমাননাকর মন্তব্য! (Kolkata Police)

    পুলিশ সূত্রে খবর, শর্মিষ্ঠা ইনস্টাগ্রামে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। সেই ভিডিওতে তিনি বিশেষ একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকজনকে নিশানা করে অবমাননাকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। ভিডিওটি প্রচুর ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও দেখে কলকাতার একটি থানায় শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। কলকাতা পুলিশও ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। জানা গিয়েছে, গত ১৪ মে এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন ওই ছাত্রী। ওই ভিডিওতে ইসলাম ও মহানবী হজরত মহম্মদকে নিয়ে আপত্তিকর ও উসকানিমূলক মন্তব্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকেই পানোলিকে প্রাণনাশ এবং ধর্ষণের হুমকি দিতে শুরু করে। এক্স হ্যান্ডেলে অ্যারেস্ট শর্মিষ্ঠা হ্যাসট্যাগটি ট্রেন্ড হতে শুরু করে। মুসলমান ইউজাররা পানোলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানান।

    ক্ষমা প্রার্থনা করে পোস্ট

    পরের দিনই দুঃখ প্রকাশ করে পানোলি বলেন, “আমি নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি যা কিছু বলেছিলাম, তা ছিল আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি, এবং আমি ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে আঘাত দিতে চাইনি। যদি কেউ এতে আঘাত পেয়ে থাকেন, তবে আমি তার জন্য দুঃখিত। আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করি। আগামীতে আমি আমার প্রকাশ্য পোস্টে আরও সতর্ক থাকব। আবারও অনুগ্রহ করে আমার এই ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ করুন।” ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি তিনি বিতর্কিত ভিডিওটি মুছে ফেলেন। একটি আলাদা পোস্টে দেশপ্রেমের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, মেরে লিয়ে মেরা দেশ পহলে আতা হ্যায়” (আমার জন্য আমার দেশই সবার আগে)।

    কলকাতা পুলিশের তৎপরতা

    ক্ষমা (Kolkata Police) চাওয়ার পরেও ২০ মে মহারাষ্ট্র পুলিশ পানোলির বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করে। এই মামলা আরও গুরুত্ব পায় যখন অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM)-এর নেতা ওয়ারিস পাঠান প্রকাশ্যে তাঁর গ্রেফতারির দাবি জানান এবং বলেন, “আমাদের নবীর সম্পর্কে অপমানজনক বক্তব্য কোনও মুসলমানই সহ্য করবে না (Law Student Arrest)।” ওই পোস্ট দেখেই গত ৩০ মে দিল্লিতে পানোলির বাসভবনে পৌঁছে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতারির সময় বা তার আগে ওই ছাত্রীকে কোনও আইনি নোটিশ কিংবা পরোয়ানা জারি করা হয়নি। এই গ্রেফতারির প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব থাকায় অনেকে একে অবৈধ বলছেন। নেটিজেনদের একাংশের বক্তব্য, একজন ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে জঙ্গির সঙ্গে যেমন ব্যবহার করা হয়, তেমন করে। তাঁদের বক্তব্য, এই প্রক্রিয়া আইনি প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছে। দিল্লি হাইকোর্ট গত নভেম্বরে একটি রায়ে বলেছিল, কাউকে গ্রেফতারের আগে তাঁকে লিখিত কারণ প্রদর্শন করতে হবে, যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তি আইনি সহায়তার সুযোগ পেতে পারে।

    ছাত্রী গ্রেফতারে ব্যাপক বিতর্ক

    পানোলির গ্রেফতারিতে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। ভিজিল্যান্ট হিন্দুত্ব এবং দেবদেবাঙ্কসের যুক্তি, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় দেশপ্রেমমূলক অনুভূতি প্রকাশ করায় তাঁকে অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, তাঁর ক্ষমা চাওয়া ও ভিডিওটি মুছে ফেলাই যথেষ্ট ছিল। দেবদেবাঙ্কসের অভিযোগ, এই গ্রেফতার একটি চক্রান্ত, যার উদ্দেশ্য জাতীয়তাবাদী কণ্ঠরোধ করা। এদিকে, ইন্ড-স্পিকমুসলিম এবং ইএলিটমেলের মতো ব্যবহারকারীরা পানোলির গ্রেফতারিকে ন্যায়ের বিজয় আখ্যা দিয়েছেন। তাঁরা জোর দিয়ে বলেন, ধর্মের অবমাননা এবং ঘৃণাভাষণ কোনওভাবেই সহ্য করা যায় না (Law Student Arrest)।

    কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়াই উচিত

    পানোলির পরিবার আদালতে মামলা করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, দেশের পাশে দাঁড়ানোর মূল্য দিচ্ছেন পালোনি। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি প্রমাণ হয় যে গ্রেফতারের সময় যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি, বিশেষ করে আগে থেকে কোনও নোটিশ না দেওয়া এবং তাড়াতাড়ি করে ট্রানজিট রিমান্ডের কারণে, তাহলে এটি আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। মামলাটি বাকস্বাধীনতা, ধর্মীয় সংবেদনশীলতা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক ছড়ানোর ভূমিকা নিয়ে বৃহত্তর টানাপড়েনকে সামনে এনেছে। পানোলির সমর্থকদের মতে, তাঁর মন্তব্যগুলি আপত্তিকর হলেও, তা উসকানির প্রতিক্রিয়ায় করা হয়েছিল এবং তিনি ক্ষমা চাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়াই উচিত (Kolkata Police)।

  • DIGIPIN: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পথে আরও এক ধাপ, এবার চালু হচ্ছে ডিজিপিন

    DIGIPIN: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পথে আরও এক ধাপ, এবার চালু হচ্ছে ডিজিপিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই ভারতকে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালের পর থেকে দেশ একের পর এক ধাপ এগিয়েছে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পথে (DIGIPIN)। এবার ভারতীয় ডাক বিভাগও চালু করে দিল দুটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। একটি হল ‘নো ইয়োর ডিজিপিন’ এবং অন্যটি হল ‘নো ইয়োর পিনকোড’ (Postal Department)। যোগাযোগ মন্ত্রকের এই পদক্ষেপ দেশের ঠিকানা ব্যবস্থাপনা এবং ভূ-স্থানিক অবস্থান ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলি ২০২২ সালের জাতীয় ভূস্থানিক নীতির অংশ হিসেবে চালু করা হয়েছে, যার লক্ষ্য হল ভারতকে ভূ-স্থানিক খাতে একটি বৈশ্বিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।

    ডিজিপিন কী? (DIGIPIN)

    প্রশ্ন হল ডিজিপিন কী? ডিজিপিন হল ডাক বিভাগের একটি প্রকল্প, যা তাদের ‘অ্যাড্রেস অ্যাজ এ সার্ভিস’ দৃষ্টিভঙ্গীর অংশ। এই পরিষেবার লক্ষ্য হল ঠিকানা সংক্রান্ত ডেটা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যবহারকারী, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে নিরাপদ ও কার্যকর যোগাযোগ নিশ্চিত করে। জানা গিয়েছে, ডাক বিভাগ দেশের জন্য একটি উপযুক্ত এবং জিওকোডেড ঠিকানা কাঠামো তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল, ঠিকানা শনাক্তকরণ সহজ করা এবং নগর-কেন্দ্রিক সরকারি ও বেসরকারি পরিষেবার কার্যকর ডেলিভারি করা। এই প্ল্যাটফর্মটি ভারতীয় ডাক বিভাগ, আইআইটি হায়দরাবাদ, ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-এর যৌথ উদ্যোগে উন্নয়ন করা হয়েছে।

    জাতীয় ভূ-স্থানিক নীতি

    জাতীয় ভূ-স্থানিক নীতি ২০২২ এর অধীনে ঠিকানা সংক্রান্ত থিম্যাটিক ওয়ার্কিং গ্রুপ কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যালোচিত ও গৃহীত ডিজিপিন এখন সমস্ত মন্ত্রক, রাজ্য সরকার, প্রতিষ্ঠান সমূহের কাজকর্মে সংযুক্তির জন্য ও ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীদের ব্যবহারের জন্য উপলব্ধ। ডিজিপিন হল একটি ওপেন সোর্স, ইন্টার অপারেবল, জিও-কোডেড, গ্রিড-ভিত্তিক ডিজিটাল ঠিকানা ব্যবস্থা। এটি একটি জায়গার অবস্থান নির্ণয়কে অনায়াস করে তোলে (Postal Department)। কারণ এটি ভারত-ভূখণ্ডকে ৪×৪ মিটার আকারের নির্দিষ্ট ইউনিটে ভাগ করে এবং প্রতিটি গ্রিডের জন্য একটি অনন্য ১০-অক্ষরের আলফানিউমেরিক কোড নির্ধারণ করে, যা দ্রাঘিমাংশ ও অক্ষাংশের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি একটি স্থায়ী ডিজিটাল ঠিকানা, যা রাস্তাঘাট, পাড়া বা স্থানের নাম পরিবর্তিত হলেও পরিবর্তন হবে না (DIGIPIN)। এই প্ল্যাটফর্মটি বিশেষভাবে উপকারী হবে এমন জায়গাগুলোর নির্দিষ্ট অবস্থান নির্ধারণে, যেগুলো অগঠিত, বারবার পরিবর্তিত হচ্ছে বা যেখানে কোনও আনুষ্ঠানিক ঠিকানা নেই—যেমন গ্রামীণ এলাকা, বনাঞ্চল ও মহাসাগর।

    লাস্ট-মাইল ডেলিভারি

    এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সঠিকভাবে লাস্ট-মাইল ডেলিভারি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, যেসব এলাকা সাধারণভাবে ঠিকানা ছাড়াই থাকে এবং খুঁজে পাওয়া কঠিন। ডিজিপিন একটি ফিজিক্যাল লোকেশনের জন্য একটি ডিজিটাল উপস্থাপন দেয় এবং সেই সঙ্গে একটি স্থিতিশীল অবস্থান শনাক্তকরণ করার ব্যবস্থা করে দেয়। এটি বর্তমান ব্যবস্থাকে আরও নির্ভুল এবং স্থায়িত্ব দেয়। কোনও জায়গার জন্য ডিজিপিন জানতে হলে ‘নো ইয়োর ডিজিপিন’ পোর্টালে যেতে হয়, যা একটি নির্দিষ্ট স্থানাঙ্ক ব্যবহার করে একটি ১০-অক্ষরের পিন তৈরি করে। এই পোর্টালটি কোনও ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করে না (Postal Department)। ফলে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সুরক্ষিত থাকে। ডিজিপিন বিভিন্ন খাতে সঠিক পরিষেবা দিতে সাহায্য করবে এবং জরুরি পরিষেবা দেওয়ার সময় কমিয়ে দেবে। যেহেতু এটি একটি ওপেন-সোর্স প্রযুক্তি, তাই ডিজিপিনের সমস্ত কারিগরি ডকুমেন্টেশন ও সোর্স কোড জিটহাবে পাওয়া যায় (DIGIPIN)।

    আপনার পিনকোড জানুন

    ১৯৭২ সাল থেকে ব্যবহৃত ৬ সংখ্যার পিনকোড ব্যবস্থা আধুনিকায়নের লক্ষ্যে, ডাক বিভাগ সারা দেশে একটি জাতীয় জিও-ফেন্সিং কাজকর্ম পরিচালনা করে। যার মাধ্যমে দেশের সমস্ত পিনকোড সীমানা ভৌগোলিকভাবে চিহ্নিত করা হয়। এই কারণেই ‘নো ইওর পিন কোড’ নামক একটি পোর্টাল চালু করে, যা গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম-ভিত্তিক অবস্থান নির্ধারণ প্রযুক্তির সাহায্যে ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট অবস্থানের সঠিক পিনকোড শনাক্ত করতে পারে। এই পোর্টালে ব্যবহারকারীরা তাদের মতামতও দিতে পারেন, যাতে ডেটাসেটটি নিয়মিতভাবে উন্নত করা যায়। দেশের সমস্ত জিও-ফেন্স করা পিনকোড সীমানার (Postal Department) ডেটা ওপেন গভর্নমেন্ট ডেটা প্ল্যাটফর্মে ‘অল ইন্ডিয়া পিন কোড বাউন্ডারি জিও-ইসন’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়েছে (DIGIPIN)।

    জাতীয় ভূ-স্থানিক নীতি ২০২২

    এই নীতিটি ভারত সরকার ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে চালু করে। এই নীতির দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হল ভূ-স্থানিক তথ্যের প্রবেশাধিকার উদার ও গণতান্ত্রিক করা, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং প্রশাসন, ব্যবসা ও শিক্ষাক্ষেত্রে এর ব্যাপক (Postal Department) ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়া। এই নীতির উদ্দেশ্য হল, সরকারি অর্থে প্রস্তুত করা ভূ-স্থানিক তথ্যভান্ডার সকলের জন্য সহজলভ্য করা (DIGIPIN)।

     

  • Rule Change From June: প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে ইউপিআই লেনদেন, ১ জুন থেকে বদলে যাচ্ছে একগুচ্ছ নিয়ম

    Rule Change From June: প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে ইউপিআই লেনদেন, ১ জুন থেকে বদলে যাচ্ছে একগুচ্ছ নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় বদল আসতে চলেছে জুন মাসে। জানা না থাকলে যার প্রভাব পড়তে পারে দৈনন্দিন জীবনে। গুগল পে, ফোন পে, পেটিএম এবং ভীম থেকে যারা অনলাইনে লেনদেন করেন তাদের বেশ কয়েকটি নতুন নিয়ম দেখে নিতে হবে। ইউপিআই, পিএফ থেকে শুরু করে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম সংক্রান্ত নানা নিয়ম ১ জুন, রবিবার থেকে বদলে যেতে চলেছে। এর জেরে মধ্যবিত্তের আর্থিক হিসেব নিকেশেও বদল আনতে হতে পারে। এনপিসিআই জানিয়ে দিয়েছে ইউপিআই পেমেন্ট, ভারত বিল পে, রুপে কার্ড এবং সমস্ত ধরনের রিটেল পেমেন্টের ক্ষেত্রে ভারত জুড়ে কয়েকটি নতুন নিয়ম সকলকেই মানতে হবে। এনপিসিআই জানিয়েছে গ্রাহকরা যাতে অনেক দ্রুত অনলাইন পেমেন্ট করতে পারেন সেজন্য তারা অনেক বেশি সতর্ক পদক্ষেপ নিতে চলেছেন। ফলে নতুন নিয়মগুলি সকলকেই মেনে চলতে হবে।

    ইপিএফও ৩.০ রোলআউট

    চাকরিজীবীদের ভবিষ্যতের সঞ্চয়স্থলই হল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফও। ১ জুন, রবিবার আসতে চলেছে পিএফ-র নতুন ভার্সন ইপিএফও ৩.০। গত মাসেই কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছিলেন যে মে থেকে জুন মাসের মধ্যেই ইপিএফও-র এই নতুন ভার্সন চালু হবে। রবিবার থেকেই এই পরিষেবা চালু হতে পারে। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন পিএফ প্ল্য়াটফর্মে ৯ কোটিরও বেশি গ্রাহক উপকৃত হবে। এতে ডিজিটাল সংশোধনের মতো সুবিধা পাওয়া যাবে। সবথেকে বড় সুবিধা হল, এবার থেকে পিএফের টাকা এটিএম থেকেই তোলা যাবে।

    পিএফ তোলার প্রক্রিয়া সহজ

    পিএফ তোলার প্রক্রিয়া সহজ এবং দ্রুত হবে-ইপিএফও-র নতুন ভার্সনে টাকা তোলার পদ্ধতি আরও সহজ হবে। ম্যানুয়াল কাজের প্রয়োজন হবে না, অটোমেটিক আপডেট হবে। পিএফের টাকা তোলার জন্য এত ঝক্কি পোহাতে হবে না। এবার থেকে পিএফের আবেদন অনুমোদিত হয়ে গেলেই এটিএম থেকে পিএফের টাকা তোলা যাবে। এর জন্য আলাদা এটিএম কার্ড দেওয়া হবে। পিএফের অ্যাকাউন্টে কোনও সমস্যা হলে, আর সরকারি অফিসে ছোটাছুটির দরকার নেই। আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে আপনার অ্যাকাউন্টের ডিটেইল সংশোধন করতে পারবেন। আলাদা করে ফর্ম পূরণের ঝামেলাও থাকবে না। ইপিএফও-তে এবার থেকে অটল পেনশন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবন বিমা যোজনার মতো সামাজিক প্রকল্পগুলিকে এক ছাতার তলায় আনা হবে। এতে অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরাও পেনশনের মতো সুবিধা পাবেন। এবার থেকে ইপিএফও পোর্টালে লগ ইনের ক্ষেত্রে নাম, পাসওয়ার্ডের মতো একাধিক ঝক্কি পোহাতে হবে না। ওটিপি (OTP) দিয়েই লগ ইন করা যাবে।

    আধার আপডেট সুবিধা

    আধার কার্ড কেবল একটি পরিচয়পত্র নয়, এটি এমন একটি নথিতে পরিণত হয়েছে যা আপনার পরিচয়, ঠিকানা এবং বায়োমেট্রিক তথ্য সুরক্ষিত রাখে। এটি অনেক সরকারি ও বেসরকারি পরিষেবার জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। ইউআইডিএআই (UIDAI) আধার কার্ড ব্যবহারকারীদের বিনামূল্যে কার্ড আপডেটের সুবিধা দেয়। এর ডেডলাইন ১৪ জুন পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যদি এই তারিখের মধ্যে আধার বিনামূল্যে আপডেট না করানো হয় তবে ৫০ টাকা অতিরিক্ত লাগবে। ইউআইডিএআই (UIDAI) জানিয়েছে, আধার এনরোলমেন্ট ও আপডেট নিয়মাবলির (2016) আওতায় প্রতি ১০ বছরে একবার করে পরিচয়পত্র (PoI) ও ঠিকানা প্রমাণ (PoA) আপডেট করা বাধ্যতামূলক। সময়মতো তথ্য আপডেট না করলে সরকারি সুবিধা গ্রহণ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা বা কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময় নানা সমস্যা হতে পারে। এই ফ্রি আপডেট সুবিধা শুধুমাত্র নির্বাচিত ডেমোগ্রাফিক ডেটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আপনি অনলাইনে নাম, জন্মতারিখ (কিছু সীমার মধ্যে), ঠিকানা, লিঙ্গ এবং ভাষার পছন্দ আপডেট করতে পারবেন।

    ক্রেডিট কার্ড

    কোটাক মহিন্দ্রা কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য বড় বদল আসতে চলেছে ১ জুন থেকে। এই ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা অটো ডেবিট ট্রান্সজাকশন ফেল হলে ব্যাঙ্কের তরফে ২ গুণ বেশি বাউন্স চার্জ কেটে নেওয়া হবে। যা ন্যূনতম ৪৫০ টাকা এবং সর্বাধিক ৫ হাজার পর্যন্ত হতে পারে।

    এলপিজি সিলিন্ডারের দাম

    জুন মাসের পয়লা তারিখে এলপিজি সিলিন্ডারের দামে বদল আসতে পারে। গ্যাসের দাম বাড়লেও গ্রাহকদের স্বস্তি দিয়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাবেন কিছু গ্রাহকরা। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এই ছাড়ের ভুর্তকী সরাসরি স্থানান্তরিত হবে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় যাঁদের সিলিন্ডার রয়েছে তারাই এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এই প্রকল্পের অধীনে কিছু গ্রাহক গ্যাসের দামে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাবেন।

    এফডি-র সুদ

    জুন মাসে ফিক্সড ডিপোজিট এবং ঋণের সুদে বদল আসতে পারে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট কমিয়ে দিয়েছে এবং আগামী দিনে আরও কমাতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, সবর্যোদয় স্মল ফিন্যান্স ব্যাঙ্কে ৫ বছরের এফডি-তে সুদ ৮.৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮ শতাংশ করে দিয়েছে।

    মিউচুয়াল ফান্ডের নিয়ম

    সেবি (SEBI) মিউচুয়াল ফান্ডের স্কিমের জন্য নতুন কাট অফ টাইম চালু করেছে রাতারাতি। এই নিয়ম অনুযায়ী, ১ জুন থেকে অফলাইন লেনদেনের সময় দুপুর ৩টে এবং অনলাইনের সময় ৭টা হবে। এরপর লেনদেন হলে তা পরের ওয়ার্কিং ডে-তে ধার্য হবে।

    ইউপিআই লেনদেন

    এনপিসিআই (NPCI) নয়া নিয়ম চালু করেছে ইউপিআই (UPI)লেনদেনের ক্ষেত্রে। নতুন নিয়ম অনুসারে ইউপিআই মাধ্যমে অর্থপ্রদান করার সময়, ব্যবহারকারীরা কেবল ব্যাঙ্কে নিবন্ধিত প্রাপকের আসল নাম দেখতে পাবেন। স্ক্রিনে কোনও ডাকনাম বা উপনাম প্রদর্শিত হবে না। এই পরিবর্তনের ফলে অর্থপ্রদানকারী কাকে টাকা পাঠাচ্ছেন তা স্পষ্ট হয়ে যাবে, যার ফলে ভুল লেনদেনের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে।এনপিসিআই-এর এই নিয়মটি জালিয়াতি রোধ এবং ডিজিটাল পেমেন্টে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে অনেক ইউপিআই ব্যবহারকারী ডাকনাম বা বিভ্রান্তিকর নাম প্রদর্শন করেন, যা প্রতারকরা তাদের পরিচয় গোপন করার জন্য ব্যবহার করে। আসল নামের দৃশ্যমানতা ইউপিআই-এর প্রতি ব্যবহারকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং ভুল ব্যক্তিকে অর্থপ্রদানের ঝুঁকি কমাবে। ৩০ জুন, ২০২৫ থেকে, এই নিয়মটি ব্যক্তি-থেকে-ব্যক্তি এবং ব্যক্তি-থেকে-ব্যবসায়ী লেনদেন উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। ফোনপে, গুগল পে, পেটিএম ইত্যাদির মতো সমস্ত প্রধান ইউপিআই অ্যাপের জন্য এই নিয়ম অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক হবে।নতুন নিয়ম অনুসারে যখন আপনি ইউপিআই- এর মাধ্যমে অর্থপ্রদান করবেন তখন শুধুমাত্র ব্যাঙ্কে নিবন্ধিত প্রাপকের আসল নাম অ্যাপে দৃশ্যমান হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যদি আপনি একটি কিউআর কোড স্ক্যান করে অর্থপ্রদান করেন তাহলে স্ক্যান করার পরে আপনার ফোনে প্রাপকের আসল নাম প্রদর্শিত হবে কোনও বিভ্রান্তিকর ডাকনাম নয়। এর ফলে ব্যবহারকারীরা আত্মবিশ্বাসের সাথে অর্থপ্রদান করতে পারবেন।

     

     

     

     

  • Ahilyabai: ৩১ মে তাঁর জন্মদিন, নারী ক্ষমতায়ন ও সশক্তিকরণের প্রতীক লোকমাতা অহল্যা বাঈ

    Ahilyabai: ৩১ মে তাঁর জন্মদিন, নারী ক্ষমতায়ন ও সশক্তিকরণের প্রতীক লোকমাতা অহল্যা বাঈ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩১ মে জন্মদিন লোকমাতা অহল্যা বাঈয়ের (Ahilyabai)। ৩০০ বছর আগে ১৭২৫ সালে আজকের দিনেই জন্ম নেন লোকমাতা অহল্যা বাঈ। সুশাসন, জনকল্যাণের কারণে তাঁর শাসন ব্যবস্থা ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে। লোকমাতা অহল্যা বাঈয়ের শাসন ছিল ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। এভাবেই তাঁর রাজত্বে প্রতিধ্বনিত হত প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর শাসনব্যবস্থা শুধুমাত্র একটি সুশাসন ছিল না, উপরন্ত একটি পবিত্র জনকল্যাণমূলক পরিষেবা ছিল। যার ভিত্তি ছিল প্রাচীন ভারতের আধ্যাত্মিকতা। প্রতিদিন ভোর ৪টেতে উঠতেন রানি। শৈব, বৈষ্ণব এই দুই মতে সারতেন পুজো। তারপর বসতেন নিজের দরবারে।

    আদর্শ রানি লোকমাতা অহল্যা বাঈ (Ahilyabai)

    নারী ক্ষমতায়নের দিক থেকে তিনি একটি আদর্শ উদাহরণ তৈরি করতে পেরেছিলেন তিনি। পাশ্চাত্যের সঙ্গে যদি ভারতীয় সভ্যতার তুলনা টানা হয় মধ্যযুগের নারী সশক্তিকরণের ক্ষেত্রে, সেখানে লোকমাতা অহল্যা বাঈ নয়া অধ্যায় লিখতে পেরেছিলেন। অহল্যা বাঈ হোলকার জন্মগ্রহণ করেন মহারাষ্ট্রের এক অখ্যাত গ্রাম নাম চন্ডীতে। জন্মের পরেই পারিবারিকভাবে তিনি ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশ করেননি। বর্তমান দিনের পাশ্চাত্যের যে আধুনিক ফেমিনিজম, সেটিকে দূরে সরিয়ে, বিপরীতে হেঁটে রানি পদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন অহল্যা বাঈ।

    নারী ক্ষমতায়ন ও সশক্তিকরণের প্রতীক অহল্যা বাঈ (Ahilyabai)

    প্রাচীন ভারতে এবং মধ্যযুগে নারীদের নাকি কোনও ক্ষমতাই ছিল না এবং তাঁদেরকে নাকি পর্দা প্রথার মধ্যে থাকতে হত। প্রচলিত এই মিথ-কে একেবারেই ভেঙে তছনছ করে দিয়েছেন অহল্যা বাঈ। সুশাসন, জনকল্যাণ মূলক কাজ, মন্দির প্রতিষ্ঠা- এই সমস্ত কিছুর ভিত্তিতে তিনি দেখিয়ে গিয়েছেন যে মধ্যযুগেও এই ভারতবর্ষের নারী শক্তি কতটা এগিয়েছিল। একজন বিধবা নারী যাঁকে হয়তো ঘরের ভিতরেই থাকতে হত। কিন্তু তাঁর ভাগ্য, তাঁর জন্য অন্য কিছু পরিকল্পনা করেছিল। তাঁর শ্বশুর ছিলেন অত্যন্ত দেশপ্রেমিক মালহার হোলকার। তিনি ছিলেন মারাঠা সাম্রাজ্যের একজন অগ্রণী সেনা নায়ক। অহল্যা বাঈ তাঁর কাছ থেকেই শিক্ষা পেয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন সুশাসনের এবং কূটনীতির। সামরিক অভিযানে স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি এবং তাঁর শ্বশুর মালহার, হোলকার সাম্রাজ্যকে নতুন ভাবে গড়ে তুলতে শুরু করেন।

    রাজধানী ছিল মাহেশ্বর (Ahilyabai)

    অহল্যা বাঈ হোলকারের রাজধানী ছিল মাহেশ্বর। এই জনপদকেই তিনি সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা এবং সুশাসনের কেন্দ্র ভূমিতে পরিণত করেন। তাঁর রাজত্বে ছিল সুবিচার, জনকল্যাণ ও অহিংসা- এই সমস্ত কিছুরই প্রাণকেন্দ্র। অহল্যা বাঈকে জানতে গেলে আগে বুঝতে হবে, তাঁর মাহেশ্বর সাম্রাজ্যকে। কীভাবে তিনি তাঁর এই রাজধানীকে গড়ে তুলেছিলেন নর্মদা নদীর ধারে। এটি পরিণত হয়েছিল একটি কর্মভূমিতে। যেখানে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা প্রতিধ্বনিত হত। সহাবস্থান করত প্রাচীন ভারতীয় নৈতিকতা এবং আধ্যাত্মিকতা। তাঁর দরবারে ছিলেন বিদ্বান, জ্ঞানী, পণ্ডিত, শিল্পী, সাধু সন্তরা এবং কূটনীতিকরা।

    জনগণ তাঁর দরবারে আসতে উৎসাগহিতবোধ করত

    তাঁর প্রতিদিনকার শাসনের মধ্যে থাকত তন্ত্র চুক্তি এবং রাজধর্ম। এই দুই নীতির উপর ভিত্তি করেই তিনি রাজত্ব চালাতেন। যেটি তিনি অর্থশাস্ত্রের মতো গ্রন্থগুলি থেকে নিয়েছিলেন। রাজ্যের বিচার ব্যবস্থা এবং নাগরিকদের জীবনোন্নয়নের মানকে তিনি অনেক ওপরে তুলতে পেরেছিলেন। তাঁর দরবারে আসতে জনগণ উৎসাহিত বোধ করত। কারণ তারা জানত এখানেই মিলবে সুবিচার। এখানেই মিলবে সুশাসন। তিনি তাঁর মন্ত্রীদের বলতেন যে প্রত্যেকটি প্রশাসনিক পদক্ষেপে যেন নৈতিকতা এবং সুবিচারের আবরণ থাকে। অহল্যাবাঈ সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিদিন গণ শুনানির ব্যবস্থা করতেন। তাঁর রাজ্যের আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি কারও আপত্তি থাকলে, অহল্যাবাঈ ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের সমস্যার কথা শুনতেন।

    সংস্কারমূলক কাজ

    অহল্যা বাঈয়ের (Ahilyabai Holkar) শাসন সেই অষ্টাদশ শতাব্দীর সময়কার। যেসময়ে মুঘল সাম্রাজ্যের পতন হচ্ছে এবং ব্রিটিশরা ভারতবর্ষে প্রবেশ করছে। আফগান আক্রমণ হচ্ছে ও মারাঠা সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ছে। সেই সময় তিনি নতুনভাবে এই ভারতবর্ষকে ঐক্যবদ্ধভাবে গাঁথার কাজ শুরু করেছিলেন। অহল্যা বাঈ হোলকার সাধু মহাত্মাদের জন্য আশ্রম তৈরি করে দিতেন। ভগ্ন মন্দির তিনি প্রতিষ্ঠা করতেন। যে মন্দিরগুলিকে ইসলামিক আক্রমণকারীরা বারবার হামলা করে ভেঙে দিয়ছিল। এর পাশাপাশি তিনি অনেক বাণিজ্য পথ তৈরি করেছিলেন, মধ্য ভারতের ওপর দিয়ে। অহল্যা বাঈয়ের আগে যেভাবে ভারতবর্ষ শাসন হয়েছে, সেখানে ইসলামিক আমলে মধ্যযুগের শুধুমাত্র ধ্বংস এবং হিংসার রাজনীতির দেখা দিয়েছে।

    আগ্রাসনে বিশ্বাস রাখতেন না

    দেশীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে তিনি কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক রেখে চলতেন। শুধু তাই নয়, সেখানে তিনি দূত নিয়োগও করতেন। তিনি কখনও আগ্রাসনকারীর ভূমিকা নেননি। পাশ্চাত্যের রাজনৈতিক তত্ত্বগুলিতে যে ধরনের কূটনীতি দেখা যায়, অহল্যা বাঈ হোলকার (Ahilyabai Holkar) সম্পূর্ণ তার বিপরীত পথে হেঁটেছিলেন এবং তাঁর কূটনীতিতে একেবারেই ব্রাত্য ছিল আগ্রাসন।

  • India Bangladesh Relation: বাংলাদেশের অস্থির অবস্থার জন্য ভারত দায়ী নয়! স্পষ্ট বার্তা দিল্লির

    India Bangladesh Relation: বাংলাদেশের অস্থির অবস্থার জন্য ভারত দায়ী নয়! স্পষ্ট বার্তা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) অস্থির অবস্থার জন্য কোনওভাবেই ভারত দায়ী নয়। এটা আসল সমস্যা থেকে ঢাকার নজর ঘোরানোর চেষ্টা, বলে স্পষ্ট জানাল ভারত। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সাম্প্রতিক অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। ইউনুসের দাবি ছিল, ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী। কিন্তু সাউথ ব্লক স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, এ ধরনের মন্তব্য দায়িত্ব এড়ানোর কৌশল ছাড়া কিছু নয়।

    প্রকৃত সমস্যা থেকে দূরে

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেন, “আইনশৃঙ্খলা এবং শাসনব্যবস্থার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের। যদি কেউ বলে বাইরের শক্তি এই সমস্যার জন্য দায়ী, তাহলে সেটা আসলে প্রকৃত সমস্যার দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। এই ধরনের বিবৃতি দায়িত্ব এড়ানোর জন্য, সমস্যার সমাধান নয়।” সম্প্রতি ইউনুস নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে এক বৈঠকে ভারতকে “বাংলাদেশ ধ্বংসে সচেষ্ট” বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “আমরা গভীর সঙ্কটে রয়েছি। ভারত এই পরিবর্তন মেনে নিতে পারছে না। যদি সুযোগ পায়, একদিনেই আমাদের ধ্বংস করে দেবে।”

    বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের মতে, আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষণার পর “একটি নতুন যুদ্ধ পরিস্থিতি” তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের অগ্রগতি থামানো, দেশকে পতনের মুখে ঠেলে দেওয়া, এবং আবারও পরাধীনতার দিকে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।” এর তীব্র প্রতিবাদ করে রনধীর জয়সওয়াল বলেন, “বাংলাদেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব আয়োজন করা দরকার, যাতে জনগণের মতামত প্রতিফলিত হয়। তা না করে বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) অন্তর্বর্তী সরকার পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমশ চরমে পৌঁছাচ্ছে।” ইউনুস জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬-এর মধ্যে নির্বাচন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। তবে বিএনপি, দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিরোধী দল, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Amit Shah: মোদির পরেই শাহ, আজ রাজ্যে পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: মোদির পরেই শাহ, আজ রাজ্যে পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবারই বঙ্গ সফরে অমিত শাহ। ২ দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ৩১ মে থেকে ১ জুন রাজ্যে কর্মসূচি রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। কলকাতায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন অমিত শাহ। ১ জুন নেতাজি ইনডোরে সাংগঠনিক সভায় যোগ দেবেন তিনি। একইসঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িতেও যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেখানে সাধু-সন্তদের সঙ্গে একটি বৈঠক করতে পারেন তিনি। এমনটাই জানা গিয়েছে বিজেপি (BJP) সূত্রে।

    মোদির পরেই শাহ (Amit Shah)

    প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, ২ দিন আগে রাজ্যে এসে বিজেপির প্রচারের সুর বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর ঠিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে পা রাখতে চলেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। নির্ধারিত সূচি অনুয়ায়ী, শনিবার রাতে কলকাতার এক হোটেলে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

    কী কী কর্মসূচি

    এরপর রবিবার রাজারহাটে সিএফএসএলের সরকারি কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, সকালে ওই সরকারি কর্মসূচি সমাপ্ত করে বাইপাসের ধারে হোটেলে ফিরে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ (Amit Shah)। এরপর, হোটেলে মধ্যাহ্নভোজ সেরে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পৌঁছবেন তিনি। সেখানে বিজেপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন করবেন তিনি। সেই সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন অমিত শাহ। বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, সম্মেলনে থাকবেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। থাকবেন জেলা সভাপতি, মণ্ডল সভাপতিরা। এর পাশাপাশি থাকার কথা মণ্ডল পদাধিকারী-সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বের। থাকবেন মোর্চাগুলির পদাধিকারীরাও। প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে ১৩০০ মণ্ডল রয়েছে পদ্ম শিবিরের। ইতিমধ্যে কয়েকটি ছাড়া সব জায়গাতেই নতুন মণ্ডল কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে খবর। তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি মণ্ডলে সভাপতির পদে আনা হয়েছে নতুনদের। অন্যদিকে, ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩৯টি সাংগঠনিক জেলায় সভাপতির নাম ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। তার মধ্যে ২৮ জন নতুন সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

LinkedIn
Share