Blog

  • Rani Abbakka Chowta: মধ্যযুগে নারীরাও শিখতেন যুদ্ধ বিদ্যা, জানুন কর্নাটকের যোদ্ধা রানি আবাক্কা চৌতার কাহিনি

    Rani Abbakka Chowta: মধ্যযুগে নারীরাও শিখতেন যুদ্ধ বিদ্যা, জানুন কর্নাটকের যোদ্ধা রানি আবাক্কা চৌতার কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানি আবাক্কা চৌতা (Rani Abbakka Chowta)। ষোড়শ শতকের এই রানি, চৌতা রাজবংশের শাসক ছিলেন এবং কর্নাটকের উপকূলবর্তী অঞ্চলে রাজত্ব করতেন, যা তুলুনাড়ু (Tulu Nadu) নামে পরিচিত ছিল। জানা যায়, তিনি একটি যোদ্ধা পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন। এই চৌতা রাজবংশ কর্নাটকে দ্বাদশ শতক থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত শাসন করে ছিল।

    মহিলারাও পেতেন যুদ্ধ বিদ্যার প্রশিক্ষণ (Rani Abbakka Chowta)

    এই সময়ে তারা একটি বিশেষ সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন, যার নাম ছিল আলিয়াসনাতন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি হিন্দু পরিবারের পুরুষ সদস্যরা যেমন যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী হতেন, তেমনি মহিলারাও ঘর সামলানোর পাশাপাশি সরকারি কাজে অংশগ্রহণ করতেন। এই সংস্কৃতি ও সামাজিক কাঠামো ছিল এমন এক ভিত্তি, যেখানে মহিলারা মিলিটারি প্রশিক্ষণ পেতেন এবং রাজ্যশাসন সম্পর্কেও পারদর্শিতা অর্জন করতেন। এই আলিয়াসনাতন ব্যবস্থা ভারতবর্ষে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করে—যেখানে মহিলারা যুদ্ধবিদ্যার প্রশিক্ষণ পেতেন, মার্শাল আর্ট শিখতেন এবং রাজনীতি ও প্রশাসন চালাতে সক্ষম হতেন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমেই রানি আবাক্কা চৌতা-র উত্থান হয় এবং তাঁকে একজন যোদ্ধা রানি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রাচীন ভারতের এই সমাজব্যবস্থা নারীর ক্ষমতায়নকেই প্রতিফলিত করে। পাশ্চাত্যের থেকেও প্রাচীন ভারতে নারীরা এগিয়ে ছিলেন বলে ইতিহাসবিদরা মনে করেন।

    কাকা তিরুমালা রায়ের কাছে প্রশিক্ষণ নেন আবাক্কা (Rani Abbakka Chowta)

    জানা যায়, আবাক্কা চৌতা-র (Rani Abbakka Chowta) কাকা তিরুমালা রায় কর্ণাটকের উলাল অঞ্চলের শাসক ছিলেন (১৫১০ থেকে ১৫৪৪ সাল পর্যন্ত)। তিনিই আবাক্কাকে মার্শাল আর্ট, মিলিটারি কৌশল, এবং রাজ্যশাসন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন। তিরুমালা রায়ের পরেই আবাক্কা চৌতা সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। কেউ কেউ বলেন, তাঁর শাসনকাল শুরু হয় ১৫২৫ সালে, আবার অনেকে বলেন ১৫৪৪ সাল থেকে। ঐতিহাসিকদের মতে, আবাক্কা চৌতা-র শাসনকাল ছিল সুশাসনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর রাজত্বে জৈন, হিন্দু ও মুসলিম — সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকারভোগী ছিলেন এবং তাঁর দরবারে স্বাধীনভাবে উপস্থিত হতে পারতেন। তাঁর প্রশাসনে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই সুযোগ পেতেন। এমনকি তাঁর সেনাবাহিনীও ছিল বহুধর্মীয় ও বহুজাতিক। এইভাবেই আবাক্কা চৌতা ইতিহাসে একজন প্রগতিশীল, সাহসী এবং দক্ষ শাসক ও যোদ্ধা রানি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।

  • Malati Murmu: অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে বিনা পয়সার স্কুল গড়েছেন মালতী মুর্মু, পড়ছে আদিবাসী শিশুরা

    Malati Murmu: অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে বিনা পয়সার স্কুল গড়েছেন মালতী মুর্মু, পড়ছে আদিবাসী শিশুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের (Ayodhya Hills) কোলে ছোট্ট গ্রাম। নাম জিলিং সেরেং। পাহাড়ের হিলটপ থেকে প্রায় ২৫ কিমি দূরে। নেই আধুনিকতার ছোঁয়া। নেই বিদ্যুৎ, নেই রাস্তা। নেই সুযোগ-সুবিধা। তাতে কি! জনজাতি গ্রামের এক গৃহবধূ, এক মা নিজেই এগিয়ে নিয়ে চলেছেন শিক্ষার মশাল। নাম মালতী মুর্মু (Malati Murmu)। দুই মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে প্রায় ৪৫ জন শিশুকে পড়াচ্ছেন তিনি। না, কোনও বেতন নেই। নেই সরকারি সার্টিফিকেট। নেই মিড-ডে মিলের সাহায্য। আছে জনজাতি মায়ের এক অদম্য এক ইচ্ছাশক্তি। আছে ভালোবাসা। রয়েছে সংকল্প। সমাজকে বদলাতে হবে। সকাল হলেই মালতী দিদিমণির স্কুল শুরু হয়। একটা নামমাত্র ঘর রয়েছে। আছে কিছু খাতা-কলম, আর অনেকগুলো খুদে মুখ। যাদের চোখে রয়েছে স্বপ্ন। আর দিদিমণির কাছে শেখার আগ্রহ।

    করোনার ঢেউয়ে থেমে গিয়েছিল পৃথিবী, তখনই শুরু হয়েছিল মালতীদেবীর পথচলা

    ২০২০ সালে করোনার প্রথম ঢেউয়ে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা পৃথিবী। লকডাউনের সময় বন্ধ ছিল স্কুল। অনলাইনে পড়াশোনা শুরু হয়, কিন্তু সেই সময় গ্রামের অধিকাংশ ছেলেমেয়ের কাছেই স্মার্টফোন ছিল না। তখনই মালতি মুর্মু (Malati Murmu) নিজে একটি স্কুল গড়ার কথা ভাবেন। তিন-চারজন শিশুকে নিয়ে শুরু পথচলা। এই গ্রামে মোট পরিবার রয়েছে ৯৫টি। তবে অধিকাংশ লোকজনই জানেনা পড়াশোনা। শিক্ষার আলো হাতে মালতীদেবীর এগিয়ে চলা মুছে দিচ্ছে গ্রামের অশিক্ষার আলো।

    দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন মালতীদেবী

    জানা যায়, মালতি মুর্মুর (Malati Murmu) বিয়ে হয় ২০১৯ সালে। তারপর তিনি জিলিং সেরেং গ্রামের এক বাড়িতে আসেন। তখন তাঁর কোনও পরিকল্পনাই ছিল না শিক্ষক হওয়ার। অন্যান্য মহিলাদের মতো তিনিও বাড়ির কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। এরপর তিনি লক্ষ্য করেন যে, গ্রামে একটি স্কুল আছে বটে, তবে শুধুমাত্র তার পরিকাঠামোই আছে—সেখানে কেউ পড়াতে আসেন না। এরপরেই তিনি নিজের একটি ঘরে স্কুল শুরু করেন। জানা যায়, তিনি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।

    কোন কোন বিষয় পড়ানো হয়?

    বর্তমানে ৪৫ জন পড়ুয়া প্রতিদিন মাটিতে বসে মালতি মুর্মুর কাছে ক্লাস নেন। তারা পড়েন ও লেখেন সাঁওতালি ভাষায় এবং অলচিকি অক্ষরে। এর পাশাপাশি সেখানে বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক ও বিজ্ঞানও পড়ানো হয়। জানা যাচ্ছে, মালতি মুর্মু (Malati Murmu) নিজেই বলেন, শিক্ষা শুধুমাত্র পরীক্ষা পাশ করার জন্য নয়—শিক্ষা কুসংস্কার দূর করে, শ্রদ্ধাবোধ আনে এবং সমাজে সমতা গড়ে তোলে। প্রথমে যখন মালতি এই স্কুল খুলেছিলেন, তখন অনেকেই এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু এখন প্রত্যেকেই তাঁকে বিশ্বাস করেন এবং নিজেদের সন্তানদের তাঁর কাছে পড়তে পাঠান ভবিষ্যৎ নির্মাণের আশায়।

    নিজের সংকল্পে অটুট ছিলেন মালতী, শিক্ষিত করতেই হবে শিশুদের

    এমন উদ্যোগের কথা মালতীদেবী প্রথম তাঁর স্বামীকে জানান। পেশায় কৃষিজীবী স্বামী প্রথমে সায় দেননি (Ayodhya Hills)। সংসার, সন্তান, খেতের কাজ সব সামলে আবার পড়ানো! কীভাবে সম্ভব! কিন্তু মালতী মুর্মুর অদম্য মনোবলের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি কোনও কিছুই। অবশেষে স্বামীও বুঝলেন। পাশে দাঁড়ালেন স্ত্রীর। একজন গৃহবধূ, একজন মা, নিজে হাতে গড়ছেন ভারতের ভবিষ্যৎ। মালতী মুর্মু যেন এক জীবন্ত প্রতিমা। যিনি আমাদের শেখাচ্ছেন, সমাজ বদলাতে লাগে মনের ইচ্ছা আর সংকল্প। এর সামনে টিকতে পারেনা কোনও বাধা।

  • Daily Horoscope 20 July 2025: খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 20 July 2025: খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) মা-বাবার সঙ্গে জরুরি আলোচনা।

    ২) দুপুরের পরে কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে ক্ষতি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মিথুন

    ১) মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) সাবধান থাকুন।

    কর্কট

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ২) দাম্পত্য জীবনে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    সিংহ

    ১) খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কন্যা

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    তুলা

    ১) মনে দুর্বুদ্ধির উদয় হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক-বিতর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সতর্ক থাকুন।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের যোগ।

    ২) আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভাল সময়।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মকর

    ১) বিষয়সম্পত্তি কেনাবেচা নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য পরিবারে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কুম্ভ

    ১) সকালের দিকে পেটব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কিছু কেনার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) ভ্রমণে যাওয়ার আলোচনা এখন বন্ধ রাখাই ভালো।

    ২) সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩)  ধৈর্য্য ধরতে হবে আরও বেশি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 415: একজন অফিসওয়ালার বাড়িতে এরা সব যায়, সেখানে তারা ব্রাহ্মসমাজ করে

    Ramakrishna 415: একজন অফিসওয়ালার বাড়িতে এরা সব যায়, সেখানে তারা ব্রাহ্মসমাজ করে

    অর্থাৎ বাইরে থেকে পবিত্রতা দেখালেও ভেতরে যদি কিছু না থাকে, তাহলে শুধু ভণ্ডামি।

    চুনিলাল — এঁর (মাস্টার) ছোট নরেন, বাবুরাম, ও পরে নারায়ণ, পল্টু, তেজো, চন্দ্র — এরা সব ওঁর কাছে পড়তে আসে। কথা উঠেছে যে উনি (চুনিলাল) তাদের এখানে এনেছেন, আর তাদের পড়াশোনা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মাস্টারের নামে দোষ দিচ্ছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ — তাদের কথা কে বিশ্বাস করবে?

    এই সকল কথাবার্তা হচ্ছিল, এমন সময় নারায়ণ এসে ঠাকুরকে প্রণাম করল। নারায়ণ গৌরবর্ণ, বয়স ১৭-১৮ বছর, স্কুলে পড়ে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাকে খুব ভালোবাসেন — তাকে দেখার জন্য, তাকে খাওয়ানোর জন্য ব্যাকুল থাকেন। তার জন্য দক্ষিণেশ্বরে বসে বসে কাঁদেন। নারায়ণকে তিনি সাক্ষাৎ নারায়ণ (ভগবান) বলে মনে করেন।

    গিরিশ (নারায়ণ দৃষ্টে-) কে খবর দিলে? মাস্টারি দেখছি সব ছাড়লে, সকলের হাস্য।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)- রোসো, চুপচাপ করে থাকো, এর নামে একে বদনাম উঠছে।

    অন্য চিন্তা চমৎকার—ব্রাহ্মণের প্রতিগ্রহ করার ফল।

    আবার নরেন্দ্রর কথা পরিল।

    একজন ভক্ত- এখন তত আছেন না কেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ- অন্য চিন্তা চমৎকার! কালিদাস হয় বুদ্ধিহীনা।

    বলরাম- শিব গুহর বাড়ির ছেলে অন্নদা গুহর কাছে খুব আনাগোনা আছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- হ্যাঁ, একজন অফিসওয়ালার বাড়িতে এরা সব যায়। সেখানে তারা ব্রাহ্মসমাজ করে।

    একজন ভক্ত: তার নাম তারাপদ।

    বলরাম (হাসিতে): ব্রাহ্মণরা বলে অন্নদা গুহ লোকটার বড় অহংকার।

    শ্রীরামকৃষ্ণ: ব্রাহ্মণদের ওসব কথা শুনো না। তাদের তো জানো—না দিলেই খারাপ লোক, দিলেই ভালো। সকলের হাস্য! অন্নদাকে আমি জানি, ভালো লোক।

  • Neha: অনুপ্রবেশ ও পরিচয় জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস, নেহা আসলে বাংলাদেশি আবদুল!

    Neha: অনুপ্রবেশ ও পরিচয় জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস, নেহা আসলে বাংলাদেশি আবদুল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পরিচয় জালিয়াতির সংগঠিত চক্রের পর্দা ফাঁস করল মধ্যপ্রদেশের ভোপাল পুলিশ। তারা গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিক আবদুল কালামকে। গত আট বছর ধরে সে নেহা (Neha) নামে রূপান্তরকামী নারী সেজে ভোপাল শহরে বসবাস করছিল। বছর দশেক বয়সে ভারতে অনুপ্রবেশ করে কালাম। দু’দশক মুম্বইয়ে কাটানোর পর চলে আসে ভোপালের বুধওয়ারা এলাকায়। অভিযোগ, সেখানে রূপান্তরকারী পরিচয় নিয়ে স্থানীয় রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠে সে। দালাদদের ধরে জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে আধার কার্ড, রেশন কার্ড মায় পাসপোর্ট পর্যন্ত জোগাড় করে ফেলেছিল সে।

    আবদুলই নেহা (Neha)

    তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, আবদুল কেবল ভুয়ো পরিচয়পত্রই ব্যবহার করেনি, জাল পাসপোর্ট বানিয়ে সে বিদেশও ঘুরে এসেছে। বুধওয়ারা এলাকায় সে একাধিকবার বাসা বদল করেছে। স্থানীয়রা তাকে নেহা নামেই চেনেন। সে রূপান্তরকামী কিনা, তা জানতে চলছে শারীরিক পরীক্ষা। পুলিশ এও জেনেছে, আবদুল মহারাষ্ট্রেও রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এ থেকে স্পষ্ট, তার এই ছদ্মবেশ বড় কোনও চক্রের অংশ হতে পারে। রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের আর কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা অথবা সব জেনেও কেউ তাকে সাহায্য করেছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

    জাল পরিচয়পত্র

    জানা গিয়েছে, আবদুলকে (Neha) ভুয়ো পরিচয়পত্র জোগাড় করতে সাহায্য করেছে স্থানীয় দুই যুবক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের অনুমান, এ পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র, এর নেপথ্যে রয়েছে অনুপ্রবেশ ও জাল নথিপত্র তৈরির বিস্তৃত চক্র। আবদুলের মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া কল রেকর্ড এবং চ্যাটগুলিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার শালিনী দীক্ষিত বলেন, “সে গত ৮-১০ বছর ধরে ভোপালে বসবাস করছে। তার আগে সে ছিল মহারাষ্ট্রে। আমরা একটি সূত্র থেকে তথ্য পেয়ে তার পরিচয় যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করি। এই সময়ের মধ্যে সে বাংলাদেশেও গিয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি।”

    জানা গিয়েছে, প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে তার আগে এই পুরো (Bangladeshi) চক্রের বিস্তার এবং আবদুলের পুরানো কার্যকলাপ, বাংলাদেশে যাতায়াত এবং যোগাযোগ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে (Neha)।

  • Pilbara Region: পিলবারা অঞ্চলে খোঁজ মিলল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লোহা আকরিকের ভাণ্ডার, পাল্টে দেবে বিশ্বের অর্থনীতি

    Pilbara Region: পিলবারা অঞ্চলে খোঁজ মিলল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লোহা আকরিকের ভাণ্ডার, পাল্টে দেবে বিশ্বের অর্থনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পিলবারা অঞ্চলে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার বিশ্ব লোহা আকরিক বাজারে বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছে। কার্টিন ইউনিভার্সিটির একদল ভূবিজ্ঞানী সম্প্রতি জানিয়েছেন, তাঁরা বিশ্বের বৃহত্তম লোহা আকরিকের ভাণ্ডার আবিষ্কার করেছেন। এই খনিজ সম্পদের মূল্য ধরা হচ্ছে প্রায় ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। পিলবারা অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরেই লৌহ আকরিক উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এই সাম্প্রতিক আবিষ্কার রীতিমতো চমকে দিয়েছে খনিজ বিশেষজ্ঞদের। নতুনভাবে খুঁজে পাওয়া ভাণ্ডারে প্রায় ৫৫ বিলিয়ন মেট্রিক টন আকরিক রয়েছে, যার লোহার ঘনত্ব ৬০ শতাংশেরও বেশি।

    প্রত্যাশার চেয়েও বড় আবিষ্কার

    প্রধান গবেষক, ড. লিয়াম কোর্টনি-ডেভিস বলেন,”এই আকরিকের পরিমাণ ও মান এতটাই বিস্ময়কর যে এটি বিশ্বে লোহা উৎপাদন ও বাণিজ্যের মানচিত্রই পাল্টে দিতে পারে।” এটি শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস সম্পর্কেও নতুন প্রশ্ন তুলছে। আগে বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, পিলবারার লোহা আকরিক গঠন হয়েছিল প্রায় ২.২ বিলিয়ন বছর আগে। কিন্তু নতুন আইসোটোপিক বিশ্লেষণ বলছে, এই আকরিকের বয়স মাত্র ১.৪ বিলিয়ন বছর। অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর মার্টিন ডানিসিক বলেন, “এই আবিষ্কার দেখাচ্ছে, সুপারকন্টিনেন্টের গতিবিধি কীভাবে খনিজ গঠনে প্রভাব ফেলে।” নতুন আইসোটোপ ডেটিং ও রাসায়নিক বিশ্লেষণ পৃথিবীর গভীরে লুকিয়ে থাকা আকরিকের পরিমাণ ও মান তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে, বলে দাবি গবেষকদের।

    অর্থনীতিতে বড় প্রভাব

    এই আবিষ্কার আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতেও বড়সড় প্রভাব ফেলবে। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যেই বিশ্বের অন্যতম প্রধান লোহা আকরিক রফতানিকারক দেশ। এই নতুন ভাণ্ডার তাদের অবস্থান আরও শক্ত করবে। চিনসহ যেসব দেশ অস্ট্রেলিয়ার আকরিকের ওপর নির্ভরশীল, তাদের কৌশলে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ভাণ্ডার কয়েক দশক নয়, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে লোহা উৎপাদনের জোগান দিতে পারবে। ফলে লোহা আকরিকের দাম, সরবরাহ, এবং ভূরাজনৈতিক কৌশলেও বিরাট পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পিলবারায় পাওয়া এই বিশাল লোহা আকরিক ভাণ্ডার শুধু একটি খনিজ আবিষ্কার নয়—এটি একটি বৈপ্লবিক ঘটনা, যা পৃথিবীর ভূতত্ত্ব, অর্থনীতি ও বাণিজ্যকে একযোগে বদলে দিতে চলেছে।

  • Balasore suicide horror: অভিযুক্ত অধ্যাপকের পক্ষে চিঠিতে স্বাক্ষর ৭১ জনের, বালাসোরে বিএড ছাত্রীর আত্মহত্যায় ভয়ঙ্কর তথ্য

    Balasore suicide horror: অভিযুক্ত অধ্যাপকের পক্ষে চিঠিতে স্বাক্ষর ৭১ জনের, বালাসোরে বিএড ছাত্রীর আত্মহত্যায় ভয়ঙ্কর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালাসোর থেকে উঠে এল গা শিউরে ওঠা ঘটনা। কলেজের মধ্যেই অধ্যাপকের লাগাতার যৌন হেনস্থায় মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ুয়া আত্মহত্যা করল কলেজ চত্বরে। অভিযুক্ত অধ্যাপক বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে, কলেজের প্রিন্সিপালকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বালাসোর জেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিএড কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন ওই তরুণী। দিনের পর দিন তাঁকে কুরুচিকর মন্তব্য, অশ্লীল ইঙ্গিত ও শারীরিক সম্পর্কের কুপ্রস্তাব দিয়ে মানসিক নির্যাতন চালাতেন তাঁরই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সমীর কুমার সাহু।

    মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ছাত্রী

    অভিযোগ, অধ্যাপকের হেনস্থা সহ্য না করতে পেরে কলেজের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির (Internal Complaint Committee) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও বাধ সেধেছিল অভিযুক্ত অধ্যাপকের ক্ষমতা। ওই ছাত্রীর ১০০ জন সহপাঠীর মধ্যে ৭১ জন, যার মধ্যে ৪১ জন মহিলাও রয়েছেন, তার চরিত্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে এবং সেই অধ্যাপকের পক্ষে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন যার বিরুদ্ধে তিনি যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন। ওড়িয়া ভাষায় লেখা এই চিঠিটি ১ জুলাই তারিখের। যেখানে বলা হয়, ভুক্তভোগী তার উপর হওয়া হয়রানির “ভিডিও প্রমাণ” না দিলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। চিঠিতে ভুক্তভোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার এবং কম উপস্থিতির কারণে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধা দেওয়ার পর অধ্যাপককে লক্ষ্য করে আক্রমণ করার অভিযোগও করা হয়েছে। এরপরই পুরোপুরি ভেঙে পড়েন ওই ছাত্রী।

    বিজেডি ও কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের কুমিরের কান্না

    জানা গিয়েছে, এখন যাঁরা ওই ছাত্রীর হয়ে বিচার চাইছেন একদিন তাঁরাই ওই ছাত্রীর চরিত্রকে কালিমালিপ্ত করেছিল। ওই ছাত্রীর রুমমেট প্রকাশ জানান যে আত্মহত্যা করার আগের রাতে, নির্যাতিতা ঘুম থেকে উঠেছিলেন, বিচলিত হয়েছিলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত অপবাদে গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছিলেন। যার বেশিরভাগই বিজু জনতা দল (বিজেডি) এবং কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-এর সাথে যুক্ত ছাত্র নেতাদের দ্বারা ছড়িয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং কলেজের প্রিন্সিপাল দিলীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি।

  • IIT Roorkee: মোদি লিপিকে দেবনাগরী লিপিতে রূপান্তর করতে পারে আইআইটি রুরকির এআই!

    IIT Roorkee: মোদি লিপিকে দেবনাগরী লিপিতে রূপান্তর করতে পারে আইআইটি রুরকির এআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআইটি রুরকি (IIT Roorkee) বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) মডেল তৈরি করেছে, যা ঐতিহাসিক মোদি লিপিকে দেবনাগরী লিপিতে রূপান্তর করতে পারে। এই প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক স্পর্শ মিত্তল। এটি কেবল প্রযুক্তিগত কৃতিত্ব নয়, এটি এক সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ, ভারতের বিস্মৃত ভাষাতাত্ত্বিক (Devanagari) ঐতিহ্যের এক ডিজিটাল পুনর্জন্ম, এবং ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’, ‘ভাষিণী’, ‘ভারত জিপিটি’, ও ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর মতো জাতীয় উদ্যোগে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

    দুটি শক্তিশালী উপকরণ (IIT Roorkee)

    এই উদ্যোগের মূল দুটি শক্তিশালী উপকরণ হল ১) মোদি স্ক্রিপ্ট কনভার্সান নেটওয়ার্ক (এমওএসসি)। এটি একটি একটি উন্নত ভিশন-ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ভিত্তিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল, যা প্রচলিত অপটিকাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন (ওসিআর) টুলগুলোর চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। এবং ২) মোদি দেবনাগরী ট্রান্সলিটারেটেড ডেটাসেট। এটি হল মোদি লিপিতে হাতে লেখা পাণ্ডুলিপির প্রথম এবং একমাত্র ব্যাপক ডেটাসেট, যেখানে প্রামাণ্য দেবনাগরী প্রতিলিপি যুক্ত রয়েছে। প্রসঙ্গত, এই দুটি টুলই হাগিং ফেস প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে বিশ্বব্যাপী গবেষক, ডেভেলপার ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলি এই উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে আরও গবেষণা ও উন্নয়ন চালাতে পারে। এটি প্রাচীন ভাষা বিষয়ক এআইয়ের ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব পদক্ষেপ।

    মোদি লিপি

    মোদি লিপি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পদবির সঙ্গে বিভ্রান্ত হবার মতো নয়। এটি একটি আধা-সাঁড়াশি ধরণের লিপি যা ঐতিহাসিকভাবে মহারাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্য ও পশ্চিম অংশে ব্যবহৃত হত। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের শাসন কালে জারি করা রাজকীয় ফরমান, পেশওয়াদের আমলের প্রশাসনিক নথিপত্র, এবং ব্রিটিশ শাসনের সময় ভূমি ও আইনি রেকর্ড – সব কিছুর জন্য শতাব্দীর পর শতাব্দী এই মোদি লিপিই ছিল সরকারিভাবে স্বীকৃত ভাষা (IIT Roorkee)। তবে এত সমৃদ্ধ ব্যবহার থাকা সত্ত্বেও ঔপনিবেশিক শাসকরা দেবনাগরী (Devanagari) ও ইংরেজি চাপিয়ে দেওয়ায় মোদি লিপির ব্যবহার কমে যায়। ধীরে ধীরে এই লিপির চর্চাও প্রায় বিলুপ্তির পথে চলে যায়। বর্তমানে প্রায় ৪ কোটি মোদি লিপিতে লেখা নথি দেশে বিভিন্ন আর্কাইভ, মন্দির, ব্যক্তিগত সংগ্রহ এবং সরকারি দফতরে পড়ে রয়েছে। এর অধিকাংশই অপঠিত, কারণ দক্ষ পাঠকের অভাব রয়েছে।

    কী বললেন প্রধান গবেষক?

    এই প্রেক্ষাপটেই এসেছে মোদিএসসিনেট। সর্বাধুনিক ভিশন-ল্যাঙ্গুয়েজ এআই ব্যবহার করে নির্মিত এই মডেলটি হাতে লেখা মোদি অক্ষরকে চিনতে পারে এবং প্রাসঙ্গিকভাবে তা বুঝে যথাযথভাবে দেবনাগরীতে রূপান্তর করতে পারে। সাধারণ ওসিআর সিস্টেম যেখানে হাতে লেখা, অলঙ্করণযুক্ত বা পুরোনো ক্ষয়প্রাপ্ত লেখার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়, সেখানে মোদি লিপির গতি, শৈল্পিক বৈচিত্র্য এবং সাঁড়াশি প্রকৃতিকে চমৎকার নিখুঁতভাবে সামলাতে পারে। আইআইটি রূরকির প্রধাণ গবেষক তথা প্রকল্পের প্রধান অধ্যাপক স্পর্শ মিত্তল বলেন, “এটি শুধুমাত্র একটি ট্রান্সলিটারেশন সরঞ্জাম নয়। এটি একটি যন্ত্র, যা কালি ও কালের মাঝে চাপা পড়া সভ্যতার জ্ঞানকে উন্মোচন করতে সক্ষম, আর্কাইভে সংরক্ষিত, হারিয়ে যাওয়া উপভাষায় লুকিয়ে থাকা ঐতিহ্যকে জাগিয়ে তুলতে পারে।” তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি এআই তৈরি করছি, যা ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, উত্তরাধিকারকে (Devanagari) বিশ্লেষণ করতে সক্ষম এবং ভারতীয় ইতিহাসের নতুন অধ্যায় উন্মোচনের পথ খুলে দেয় (IIT Roorkee)।”

    প্রযুক্তির ভিত্তি

    গবেষকরা শুধু একটি মডেল তৈরি করেই থেমে থাকেননি, তাঁরা এই প্রযুক্তির ভিত্তি স্থাপন করেছেন মোদিট্রান্স নামের একটি বিশেষভাবে সংগৃহীত, উচ্চমানের ডেটাসেটের মাধ্যমে, যা প্রামাণিক মোদী লিপিতে লেখা ২০০০-রও বেশি স্ক্যান করা পাণ্ডুলিপির ছবি নিয়ে গঠিত। এই পাণ্ডুলিপিগুলি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। এগুলি হল, শিবকালীন (১৭শ শতাব্দী) – ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের সময়কাল, পেশওয়াকালীন (১৮শ শতাব্দী)- পেশওয়া প্রশাসনের অধীনে এবং আঙ্গলকালীন (১৯শ শতাব্দী) – ব্রিটিশ শাসনের সময়। প্রতিটি পাণ্ডুলিপির সঙ্গে অভিজ্ঞ ভাষাবিদদের দ্বারা যাচাই করা দেবনাগরী লিপ্যন্তর যুক্ত রয়েছে, যা এটিকে শুধুই একটি প্রযুক্তিগত উপাদান নয় বরং বিপুল মূল্যমানের একটি ভাষাগত ঐতিহ্য-ভান্ডারে পরিণত করেছে। গবেষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে এমন একটি টুল, যা একদিকে অ্যাকাডেমিক কড়াকড়ি বজায় রাখে, অন্যদিকে ব্যবহারিক প্রয়োগে উপযোগী, ঐতিহ্য সংরক্ষণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে এক বিরল কৃতিত্ব (IIT Roorkee)।

    একাধিক প্রধান মিশনের সঙ্গে যুক্ত

    এই এআই মডেলটি ভারতের একাধিক প্রধান মিশনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এগুলি হল, ডিজিটাল ইন্ডিয়া – লক্ষ (Devanagari) লক্ষ প্রাচীন পান্ডুলিপিকে যন্ত্র-পঠনযোগ্য রূপে রূপান্তর করে ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে। ভাষিণী – বহু-ভাষিক ভাষা প্রবেশগম্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমর্থন জোগাচ্ছে। ভারতজিপিটি– ভারতীয় প্রসঙ্গকে ভিত্তি করে বৃহৎ ভাষা মডেল গঠনের ভিত্তি তৈরি করছে। এবং ন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেশন মিশন– আঞ্চলিক ভাষার সংরক্ষণ এবং লিপ্যন্তরের মাধ্যমে ভাষাগত বৈচিত্র্য রক্ষায় সহায়ক। বৈশ্বিক পর্যায়ে এই উদ্যোগটি রাষ্ট্রসংঘের মজবুত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১১.৪-কে সরাসরি সমর্থন করে- বিশ্বের সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও রক্ষার প্রচেষ্টা জোরদার করা (IIT Roorkee)।

    যখন জলবায়ু পরিবর্তন, সময় এবং অবহেলা প্রাচীন নথিগুলোর অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে, তখন এই ধরনের এআই ভিত্তিক কাঠামো বিশ্বব্যাপী প্রয়োগযোগ্য হতে পারে। এই টুলের মাধ্যমে তামিলনাড়ুর সংস্কৃত (Devanagari) গ্রন্থ লিপি হোক বা লাদাখের তিব্বতি পান্ডুলিপি, কিংবা খেমার, পালি ও থাই ভাষার শিলালিপি – সব ক্ষেত্রেই এআই সাহায্য করতে পারে (IIT Roorkee)।

  • Arshad Nadeem: প্রতিশ্রুতি দিয়েও জমি দেয়নি পাক সরকার, ক্ষোভ প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনা জয়ী আরশাদ নাদিমের

    Arshad Nadeem: প্রতিশ্রুতি দিয়েও জমি দেয়নি পাক সরকার, ক্ষোভ প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনা জয়ী আরশাদ নাদিমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিক্সে ইতিহাস গড়েও জমি পাননি পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম (Arshad Nadeem)। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক্সে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করে দেশের জন্য সোনার পদক জেতেন পাকিস্তানের জ্যাভেলিন তারকা আরশাদ নাদিম। এই জয় ছিল ঐতিহাসিক—কারণ, অলিম্পিক্স ইতিহাসে সেই প্রথম কোনও পাকিস্তানি অ্যাথলিট ব্যক্তিগত বিভাগে সোনার পদক জিতেছিলেন। দেশে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সরকার এবং একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আরশাদকে নানা পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয় (Pakistan)। কারও পক্ষ থেকে আর্থিক পুরস্কার, তো কারও পক্ষ থেকে জমির আশ্বাস—ঘোষণার বন্যা বইতে থাকে। তবে আশ্চর্যের বিষয়, আজও সেই প্রতিশ্রুত জমির একটি টুকরোও হাতে পাননি তিনি।

    প্রতিশ্রুতি এখনও বাস্তব হয়নি, ক্ষোভের কথা জানালেন আরশাদ

    ‘জিও টিভি’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরশাদ নাদিম নিজেই জানিয়েছেন, “পাকিস্তান সরকার (Arshad Nadeem) আমাকে জমি দেওয়ার কথা বলেছিল, কিন্তু বাস্তবে কিছুই পাইনি। এটা ছিল একেবারেই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। তবে অন্যান্য নগদ পুরস্কার আমি পেয়ে গিয়েছি।” সরকারের পক্ষ থেকে জমির প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলেও, আরশাদ জানিয়েছেন যে তিনি এখন পুরোপুরি নিজের অ্যাথলেটিক্স কেরিয়ারে মনোযোগ দিচ্ছেন। লক্ষ্য একটাই—নিজেকে আরও উন্নত করা।

    অলিম্পিক্সে আরশাদের বিস্ময়কর পারফরম্যান্স (Arshad Nadeem)

    ২৮ বছর বয়সি আরশাদ নাদিম (Arshad Nadeem) প্যারিস অলিম্পিক্সে ৯২.৯৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভেলিন ছুড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকেন এবং স্বর্ণপদক জেতেন। ঠিক তাঁর পরেই দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ভারতের জ্যাভেলিন সেনসেশন নীরজ চোপড়া, যিনি রুপোর পদক ঘরে তোলেন। বর্তমানে এই দুই তারকার মধ্যে দ্বৈরথ দেখতে মুখিয়ে ক্রীড়াপ্রেমী বিশ্ব। ১৬ অগাস্ট, পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে সিলেসিয়া ডায়মন্ড লিগ। সেখানে আবার মুখোমুখি হবেন এই দুই শীর্ষ প্রতিযোগী। ১৯৯৭ সালে পাকিস্তানের (Pakistan) পাঞ্জাব প্রদেশে জন্ম নেন আরশাদ। ছোটবেলায় খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ থেকেই ধীরে ধীরে তিনি পা রাখেন জ্যাভেলিনে। এই খেলা তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। অলিম্পিক্স ছাড়াও কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতে নিজের কেরিয়ারে নতুন উচ্চতা ছুঁয়েছেন তিনি।

  • Hindu Temple: ভারত-চিনের সম্পর্ক বহু পুরানো, সাক্ষী কোয়ানঝু শহরের হিন্দু মন্দির

    Hindu Temple: ভারত-চিনের সম্পর্ক বহু পুরানো, সাক্ষী কোয়ানঝু শহরের হিন্দু মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) ফুজিয়ান প্রদেশের কোয়ানঝু শহর। এই শহরেই রয়েছে একটি বৌদ্ধ গুম্ফা। এর ভিত্তি ও স্তম্ভে হিন্দু (Hindu Temple) চিত্রকলা খোদাই করা আছে। এ থেকে প্রমাণ হয় ভারত ও চিনের মধ্যে দীর্ঘকাল সমুদ্রপথে ব্যবসা-বাণিজ্য হত। পণ্যবাহী জাহাজ ভারতের পশ্চিম উপকূল থেকে মালাক্কা প্রণালী (সিঙ্গাপুর) হয়ে ভিড়ত চিনের বন্দরে।গুম্ফায় খোদাই করা ছবিতে রয়েছে সিংহ, যা দক্ষিণ ভারত বা চিনের কোনওটি থেকেই উৎপত্তি হয়নি। তবুও সিংহ ভারত ও চিনে রাজসিকতার প্রতীক হয়ে উঠেছিল। শ্রীলঙ্কার (সিংহল অর্থাৎ সিংহ জাতি) ও সিঙ্গাপুরের (সিংহপুরা অর্থাৎ সিংহদের শহর) নামেও তা প্রতিফলিত হয়েছে। এটি প্রমাণ করে কীভাবে পণ্যের পাশাপাশি কনসেপ্টগুলিও এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় গিয়েছিল।

    ভগবান বুদ্ধের মন্দির নির্মাণ (Hindu Temple)

    জনশ্রুতি অনুযায়ী, এক বণিক জমির মালিককে অনুরোধ করেছিলেন যাতে তিনি ভগবান বুদ্ধের মন্দির নির্মাণের জন্য জমি দেন। মালিক জমি দিতে অনিচ্ছুক ছিলেন। তিনি শর্ত দিয়েছিলেন, যদি তাঁর তুঁত গাছে সাদা পদ্মফুল ফোটে, তবেই তিনি জমি দেবেন। এই অলৌকিক ঘটনাটি ঘটার পরেই মালিক জমি দেন। সেখানেই প্রতিষ্ঠিত হয় বৌদ্ধ মন্দির, যা গুম্ফা নামে পরিচিত। এই জায়গাটি পরে বিভিন্ন বৌদ্ধ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী ও বণিকদের দ্বারা নানা ধরণের মন্দির নির্মাণের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। সেই কারণেই আজও দেখা যায়, সেখানে রয়েছে একটি শিবলিঙ্গ, যাঁকে পুজো করছে একটি হাতি। আর একটি চিত্রে শিবকে দেখা যায় জটাজুটধারী হিসেবে।

    ভগবান নৃসিংহের ছবি

    ভগবান নৃসিংহের একটি ছবিও রয়েছে। এটি দক্ষিণ ভারতের একটি বিরল রূপ। এঁকে ব্যাঘ্রপাদ বলা হয়, যিনি শিবের এক বাঘ-পদধারী ভক্ত। আর একটি ছবিতে দেখা যায় মা পার্বতীর পায়ের কাছে একটি অসুর বসে রয়েছে। এঁকে স্থানীয় বাসিন্দারা চিনা ঐতিহ্যের করুণাময় নারী বোধিসত্ত্ব গুয়ান ইনের এক রূপ বলে পুজো করেন। এখানে একটি স্তম্ভও রয়েছে, যা দেখতে শিবলিঙ্গের মতো। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এটি একটি পাথরের বাঁশের কুঁড়ি। কিন্তু সম্ভবত এটি একটি শিবলিঙ্গ। জানা গিয়েছে, প্রথমে ভারত-চিনের (China) মধ্যে বাণিজ্য হত স্থলপথে, মধ্য এশিয়ার মাধ্যমে। পরে মৌসুমি বায়ুর সুবিধা কাজে লাগাতে চালু হয় সমুদ্রপথ (Hindu Temple)।

    মহাভারতে চিনের উল্লেখ

    সবচেয়ে প্রাচীন রামায়ণের পাণ্ডুলিপিতে চিনের কোনও উল্লেখ নেই। তবে সবচেয়ে পুরনো মহাভারতের পাণ্ডুলিপিতে চিনের উল্লেখ রয়েছে। চিন প্রথমে ভারতের সঙ্গে পরিচিত হয় উপজাতিগুলির মাধ্যমে, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২০০ সালের দিকে। পরে খ্রিস্টীয় ২০০ সালের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপিত হয় এই দুই প্রতিবেশী দেশের। এই সময়টি ছিল হান সাম্রাজ্যের যখন চিন এক হয়েছিল। ভারতকে তারা ডাকত  শেন্দু (সিন্ধু থেকে উদ্ভূত) এবং থিয়েনচু (স্বর্গীয় বাঁশবন — বৌদ্ধ শব্দ ‘বেনু- বন’ থেকে উদ্ভূত) নামে। বৌদ্ধধর্মকে চিনে স্বাগত জানানো হয়েছিল এমন একটি কঠিন সময়ে যখন সে দেশে গৃহযুদ্ধ চলছিল। বৌদ্ধধর্মা সেই সময় চিনাদের মানসিক শান্তি এনে দিয়েছিল।

    বৌদ্ধ নিদর্শন আমদানিতে উৎসাহ

    তাং যুগে চিন ভারত থেকে বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ এবং বৌদ্ধ নিদর্শন আমদানিতে উৎসাহিত করে। এই সময়ই সংস্কৃত ভাষায় রচিত বৌদ্ধ আদর্শগুলি চিনা লিপিতে অনুবাদ করা শুরু হয়। এই সময়ের শেষের দিকে চিনের কনফিউশীয় পণ্ডিতরা বৌদ্ধধর্ম ও লিঙ্গ পুজোর মতো প্র্যাকটিশের বিরুদ্ধে মনোভাব পোষণ করতে শুরু করেন। সোং যুগে চিনকে বৌদ্ধ ধর্মের কেন্দ্র হিসেবে দেখা হত। এই সময়ে ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের পতন ঘটে। সেই সময় বহু মানুষ চিনে ভ্রমণ করতে থাকেন। তাঁরা একে মৈত্রেয় বুদ্ধ, মঞ্জুশ্রী এবং অমিতাভ বুদ্ধের দেশ হিসেবে বিবেচনা করতেন (Hindu Temple)।

    মৌসুমী বায়ুর ব্যবহার

    তবে এই সময় চিনে যাওয়ার স্থলপথগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে মোঙ্গল সেনার উত্থানের কারণে। তাই সমুদ্রপথই চিনে যাওয়ার প্রধান পথ হয়ে ওঠে (China)। এই সময়ই দক্ষিণ ভারতের চোল রাজারা ইন্দোনেশিয়ার মাধ্যমে চিনের রাজদরবারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। মৌসুমী বায়ু ব্যবহার করে প্রায় ৩০ দিনে জাহাজগুলি আরব থেকে ভারতের পশ্চিম উপকূলে পৌঁছত। এরপর ভারতের পূর্ব উপকূল থেকে আরও ৩০ দিনে যেত মালাক্কা প্রণালী পর্যন্ত। তারপর আরও ৩০ দিনে পৌঁছত চিনে। এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথ, যেখানে আরব থেকে ঘোড়া সমুদ্রপথে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চিনে নিয়ে যাওয়া হত, বিশেষত যখন স্থলপথ অবরুদ্ধ থাকত (Hindu Temple)।

    হিন্দু মন্দির

    এর বদলে চিন থেকে রেশম, রূপা, চা এবং চিনামাটি রফতানি হত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে সোনা, ভারতীয় সূতিবস্ত্রের বিনিময়ে লেনদেন হত। মশলা ও সুগন্ধি উদ্ভিদও এই বাণিজ্যের অংশ ছিল। এটি ছিল এক বিস্তৃত বাণিজ্য নেটওয়ার্ক (China)। ভারতের একটি শক্তিশালী বণিক সংঘ এই বাণিজ্যের বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করত। এই বাণিজ্যের ফলে রাষ্টকূট রাজবংশ, যারা খ্রিস্টীয় ৮০০ সালের দিকে কর্নাটকের অনেক অংশ নিয়ন্ত্রণ করত প্রচুর সমৃদ্ধ হয়। এই সম্পদ ভারতের প্রাচীনতম কিছু মন্দির নির্মাণে এবং দক্ষিণ-পূর্ব চিনের কিছু মন্দির প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেছিল (Hindu Temple)।

LinkedIn
Share