Tag: বাংলা খবর

  • Stroke Victim: স্ট্রোকে আক্রান্তের নিরিখে দেশের শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ! কাদের ঝুঁকি বেশি?

    Stroke Victim: স্ট্রোকে আক্রান্তের নিরিখে দেশের শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ! কাদের ঝুঁকি বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রোগ আর বয়সের বেড়াজাল মানছে না। কম বয়সিদের মধ্যে এমন নানান রোগের দাপট বাড়ছে, যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি ভোগান্তি বাড়ছে‌। বাড়ছে মৃত্যু হার। সেই রোগের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে স্ট্রোক। ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। আর আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। দেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় কলকাতায় স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সাম্প্রতিক রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে চিকিৎসক মহলের দাবি, তরুণ বঙ্গবাসীর জীবন যাপনের অভ্যাস স্ট্রোকের বিপদ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

    কী বলছে তথ্য?

    ইন্ডিয়ান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন-র সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় কলকাতায় ৪০ শতাংশ বেশি স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। আর অধিকাংশ রোগীর বয়স ৪০ বছরের কম। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ স্ট্রোক আক্রান্তের চিকিৎসা গড়ে প্রায় ৯-১০ ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়। আর এই তথ্য সবচেয়ে উদ্বেগজনক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ট্রোকে আক্রান্তের চিকিৎসা দেরিতে শুরু হওয়ার জেরেই মৃত্যুর হার বাড়ছে। কলকাতার পাশপাশি গোটা রাজ্যের পরিস্থিতিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর কারণের মধ্যে ৬২ শতাংশ স্ট্রোকে মারা যান। পশ্চিমবঙ্গে শহরের তুলনায় গ্রামে স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা বেশি। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে শহুরে এলাকায় প্রতি ১ লাখে ২৫০ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। কিন্তু গ্রামের পরিস্থিতি আরও খারাপ। প্রতি ১ লাগে ৩৬৯ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।

    কেন পশ্চিমবঙ্গে স্ট্রোকের দাপট বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধরনের জন্য কম বয়সিদের জন্য স্ট্রোকের দাপট বাড়ছে। একাধিক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ধূমপান এবং মদ্যপানে আসক্তের তালিকাতেও পশ্চিমবঙ্গে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। আর সেই প্রবণতাই জানান দেয়, কেন রাজ্যে স্ট্রোকের প্রকোপ বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস। এ রাজ্যের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই দুই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস বাড়ছে। তার জেরে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বাড়ছে। অনিয়ন্ত্রিত ভাবে রক্তচাপ ওঠানামা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। পাশাপাশি এ রাজ্যে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যাও উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে। রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ছে। খাদ্যাভাস স্ট্রোকের অন্যতম কারণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের বঙ্গবাসীর একাংশ একেবারেই ব্যালেন্স ডায়েট মেনে চলছেন না। অধিকাংশ সময়েই তাঁরা প্রাণীজ প্রোটিন খাচ্ছেন। কিন্তু তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার শরীরে যায় না। যে ধরনের প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া হচ্ছে, তাতে থাকছে অতিরিক্ত তেল ও মশলা। এর ফলে ওবেসিটির সমস্যা বাড়ছে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

    কীভাবে এই বিপদ কমানো সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্ট্রোক সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। ইন্ডিয়ান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন-র তরফে জানানো‌ হয়েছে, স্ট্রোকের লক্ষণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। হাত-পা অসাড় হয়ে যাওয়া, হঠাৎ করেই জ্ঞান হারানো, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া কিংবা স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো নানান উপসর্গ স্ট্রোকের জানান দেয়। এই ধরনের সমস্যা হলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। এর পাশপাশি সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, তরুণ স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের আরও বেশি কর্মশালা জরুরি। যাতে তাঁরাও স্ট্রোকে আক্রান্তের চিকিৎসায় আরও প্রশিক্ষিত হতে পারেন। নিপুণ হতে পারেন। স্ট্রোকে মৃত্যু হার কমানোর একমাত্র উপায় দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা। পশ্চিমবঙ্গে দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় চিকিৎসা শুরু দেরিতে হয়। তাই মৃত্যু হার ও বেশি। এর পাশাপাশি, স্ট্রোকের দাপট কমাতে কম বয়সিদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর জীবন‌যাপনের অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ। নিয়মিত শারীরিক কসরত করার অভ্যাস তৈরি করা এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস আয়ত্ত করতে পারলেই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে।

  • Winter Vegetables: ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রুখতে শীতের সব্জিতেই ভরসা চিকিৎসকদের, কোন পদে বাড়তি উপকার?

    Winter Vegetables: ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রুখতে শীতের সব্জিতেই ভরসা চিকিৎসকদের, কোন পদে বাড়তি উপকার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    শীত প্রায় দরজায় হাজির! বাজারে দেদার সব্জি! কিন্তু ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কি সব খাওয়া যায়? শীতের সব্জিতেও (Winter Vegetables) কি রাশ টানতে হবে? খাবার নিয়ে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মনে চলে নানান সংশয়।

    শীতের সব্জি ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য উপকারি

    দেশজুড়ে বাড়ছে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতি বছর ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে। এমনকি স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও টাইপ-টু ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। দীর্ঘমেয়াদি এই লাইফস্টাইল ডিজিজ বিপদ বাড়াচ্ছে। একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি করছে। হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা থেকে স্ট্রোক এমনকি নানান সংক্রামক রোগের দাপট ও বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে (Control Diabetes) রাখা সবচেয়ে জরুরি। আর ডায়াবেটিসের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার খাদ্যাভ্যাস। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। কারণ অস্বাস্থ্যকর খাবার রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু শীতের এমন নানান সব্জি (Winter Vegetables) রয়েছে, যা ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বাড়তি উপকারি!

    কোন সব্জিতে ভরসা রাখছেন পুষ্টিবিদেরা?

    শিম…

    বাঙালির রান্নাঘরে অতি পরিচিত সব্জি হলো শিম! শিম পোস্ত হোক কিংবা মাছের ঝোলে শিম! শীতের এই সব্জি নানান পদে হাজির থাকে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও এই সব্জি নানান রান্নায় দেওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিমে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্কের মতো নানান খনিজ সম্পদ। পাশপাশি এই সব্জি ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ।‌ যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। তাই মাছের ঝোল কিংবা নিরামিষ তরকারিতে শিমের মতো সব্জি থাকলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার নানান খনিজ সম্পদে ভরপুর শিম হৃদরোগ রুখতেও‌ বিশেষ সাহায্য করে।

    পালং শাক…

    শীতের সব্জির (Winter Vegetables) তালিকায় বাঙালির পরিচিত শাক হলো পালং শাক। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, সি এবং কে থাকে। পালং শাকে ক্যালোরি কম থাকে। তাই এই শাক ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো।

    মটরশুঁটি…

    বাঙালির নানান রকমের রান্নায় মটরশুঁটি শীতের তরকারির জানান দেয়। মটরশুঁটি খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশপাশি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মটরশুঁটির কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে (Control Diabetes) সাহায্য করে। তাই ডায়বেটিস রোগীদের জন্য মটরশুঁটি বিশেষ উপকারি। তাঁদের পরামর্শ, যেকোনও তরকারিতে মটরশুঁটি দেওয়া যায়। এতে পুষ্টিগুণ বাড়ে। আবার স্বাদও ভালো লাগে। তাছাড়া ভাতের সঙ্গেও মটরশুঁটি মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। যাতে কার্বোহাইড্রেটের পাশপাশি ফাইবার শরীরে পৌঁছয়।

    ফুলকপি ও বাঁধাকপি…

    শীতের শুরুর জানান দেয় বাজারে দেদার থাকা ফুলকপি ও বাঁধাকপি। এই দুই সব্জি (Winter Vegetables) দিয়েই বাঙালি হরেক রকমের আমিষ ও নিরামিষ পদ তৈরি করে। ভাত ও রুটি, সবকিছুর সঙ্গেই মানানসই এই দুই সব্জি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফুলকপি ও বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ফাইবার প্রয়োজন। কার্বোহাইড্রেট কম এবং ফাইবার বেশি থাকলে রক্তে শর্করার পরিমাণ সহজে নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই এই দুই সব্জিই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছের ঝোলে আলুর পরিবর্তে ফুলকপি দিয়ে রান্না করার যেতে পারে। আবার রুটির সঙ্গে বাঁধাকপির তরকারি খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি পৌঁছবে না। তবে শরীর প্রয়োজনীয় এনার্জি সহজেই পাবে।

    ব্রোকলি…

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে (Winter Vegetables) সহজেই বাজারে ব্রোকলি পাওয়া যায়। ব্রোকলি খুবই উপকারি। এতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো নানান রকমের খনিজ পদার্থ থাকে। আবার একাধিক ভিটামিন সমৃদ্ধ এই সব্জি। তাই ডায়াবেটিস (Control Diabetes) আক্রান্তদের জন্য এই সব্জি খুব স্বাস্থ্যকর।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • India Israel Defence Deal: ১ লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকা! ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের সঙ্গে বিরাট প্রতিরক্ষা চুক্তি ভারতের

    India Israel Defence Deal: ১ লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকা! ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের সঙ্গে বিরাট প্রতিরক্ষা চুক্তি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান-সৌদির মধ্যে সামরিক সমঝোতার মাস খানেকের মধ্যেই ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের (India Israel Friendship) সঙ্গে বিশাল বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি সেরে ফেলল ভারত (India Israel Defence Deal)। মঙ্গলবার তেল আভিভে অনুষ্ঠিত ১৭তম জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। তাতে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি, যৌথ গবেষণা, সাইবার সুরক্ষা এবং সামরিক উৎপাদনের ক্ষেত্রকে আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করা হয়েছে। চুক্তির মূল্য প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি)। ভারত ইতিমধ্যেই ইসরায়েলের কাছ থেকে উন্নত নজরদারি ব্যবস্থা, ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এবং ড্রোন সংক্রান্ত সহায়তা পেয়েছে। এবার সেই সহযোগিতা আরও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেল।

    ৫ হাজার কোটি টাকার ‘র‍্যাম্পেজ’ চুক্তি!

    নতুন চুক্তির আওতায়, ভারত ইজরায়েল থেকে উন্নত অস্ত্র ব্যবস্থা আমদানি করার পাশাপাশি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের আওতায় এর প্রায় ৭০ শতাংশ যৌথভাবে তৈরি করবে। এই চুক্তিতে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, দূরপাল্লার রকেট, ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ব্যবস্থা এবং উন্নত ট্যাঙ্ক সুরক্ষা প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই চুক্তির একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হল ৫ হাজার কোটি টাকার ‘র‍্যাম্পেজ’ ক্ষেপণাস্ত্রের (Rampage Missile) চুক্তি, যা অপারেশন সিঁদুর-এর (Operation Sindoor) সময় পাকিস্তানের সুক্কুর বিমানঘাঁটি এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জইশ-ই-মহম্মদের সন্ত্রাসী শিবির ধ্বংস করার সময় নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করেছিল। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি (India Israel Defence Deal) ভারত-ইজরায়েল প্রতিরক্ষা সহযোগিতার একটি নতুন পর্যায় চিহ্নিত করল, যা সরাসরি ভারতের আক্রমণ এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

    ভারত-ইজরায়েল কৌশলগত বোঝাপড়া

    তেল আভিভের বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের যৌথ সচিব (প্রতিরক্ষা উৎপাদন), আর ইজরায়েলের তরফে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের প্রধান। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই নতুন চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ প্রতিরক্ষা শিল্পে যৌথ উদ্যোগ, প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং প্রশিক্ষণ বিনিময়ের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছে (India Israel Defence Deal)। এতে বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে গবেষণা ও উন্নয়ন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, আধুনিক অস্ত্র প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে বিদ্যমান অংশীদারিত্ব ইতিমধ্যেই “গভীর বিশ্বাস ও কৌশলগত বোঝাপড়া”-র ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। উভয় দেশ সন্ত্রাসবাদ, সীমান্ত সুরক্ষা ও তথ্য নিরাপত্তার মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, ফলে এই সহযোগিতা দুই দেশের প্রতিরক্ষা নীতিকে আরও দৃঢ় করবে।

    কী বললেন ভারতের সেনাপ্রধান?

    ইজরায়েলের সঙ্গে এই চুক্তির প্রেক্ষিতে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী জোর দিয়ে বলেছেন যে, বিশ্বব্যাপী ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতা দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে বলে একই মনোভাবসম্পন্ন দেশগুলির মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর মতে, যে কোনও জাতি বিচ্ছিন্নভাবে নিরাপত্তা বজায় রাখতে পারে না, বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক বিপদের মুখে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ থেকে কার্গিল যুদ্ধ পর্যন্ত, ইজরায়েল ঐতিহাসিকভাবে কঠিন সময়ে ভারতকে সমর্থন করেছে (India Israel Friendship), পারস্পরিক বিশ্বাস এবং নিরাপত্তা উদ্বেগের উপর ভিত্তি করে সম্পর্ককে দৃঢ় করেছে।

    পাক-সৌদি বনাম ভারত-ইজরায়েল

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ইজরায়েলের প্রযুক্তিগত সুবিধা ভারতকে সত্যিকারের কৌশলগত সুবিধা প্রদান করতে সক্ষম হবে (India Israel Defence Deal)। অন্যদিকে, যেখানে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের চুক্তিটি মূলত আর্থিক-সহায়তা কেন্দ্রিক। ইজরায়েল বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ভরকেন্দ্র। সেখানে সৌদি আরব নিজে তার বেশিরভাগ অস্ত্র আমদানি করে থাকে। ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-ইজরায়েলের এই সম্পর্ক ‘‘কৌশলগত নোঙ্গর’’, যা কঠিন সময়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রদান করেছে। তাঁরা জানান, এই চুক্তি শুধু প্রতিরক্ষা ক্রয় বা বিক্রির সীমায় সীমাবদ্ধ নয় — বরং এটি ভবিষ্যতের প্রযুক্তি ও স্বনির্ভর সামরিক উৎপাদনের পথ খুলে দেবে।

  • Rash Purnima 2025: আজ কার্তিক পূর্ণিমা, দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রাস উৎসব ও দেব দীপাবলি

    Rash Purnima 2025: আজ কার্তিক পূর্ণিমা, দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রাস উৎসব ও দেব দীপাবলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাসযাত্রা (Rash Purnima 2025) মূলত বৈষ্ণবদের উৎসব। জয়দেবের ‘গীতগবিন্দম্‌, চণ্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’, মালাধর বসুর ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ কাব্যে রাসের কথা বলা হয়েছে। বৃন্দাবন রাস, বসন্ত রাস খুব উল্লেখযোগ্য। এই বৈষ্ণব ভাবনায় শ্রীকৃষ্ণপ্রেম এবং প্রকৃতিস্বরূপ রাধা (Radha-Krishna) সাধনাই হল রাস। এই উৎসবের কথা বিভিন্ন পুরাণেও রয়েছে। শারদ রাস এবং বসন্ত রাস-দুটিই বৈষ্ণবদের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

    আজ, বুধবার, বাংলা তথা দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রাসযাত্রা। একইসঙ্গে, এ বছর রাস পূর্ণিমা বা কার্তিক পূর্ণিমার সঙ্গে একইদিনে পড়ছে গুরু নানকের জন্মতিথির (Guru Nanak Birthday) দিন। রাস পূর্ণিমা বাংলার আপামার বাঙালির কাছে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাংলায় শ্রীচৈতন্যদেবের রাস উৎসব পালনের কথা জানা যায়। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সময়ের পরবর্তী সময়ে রাস পূর্ণিমা আরও জাঁকজমক ভাবে পালন করা হয়। কার্তিক পূর্ণিমার তিথিতে অন্যদিকে দেশজুড়ে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে দেব দীপাবলি (Dev Deepavali)। দেবতাদের দীপাবলি উৎসবে সেজে উঠেছে বারাণসী (Varanasi)। সন্ধ্য়ায় কাশীর অর্ধচন্দ্রাকৃতি গঙ্গারঘাটগুলিকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করতে ৫ নভেম্বর ১০ লক্ষের বেশি প্রদীপ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে। কাশীধাম জুড়ে রাতভর পালিত হবে দেব দীপাবলি।

    পঞ্জিকা মতে রাস পূর্ণিমার তিথি কখন?

    বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুসারে, পূর্ণিমা লেগেছে ৪ নভেম্বর, মঙ্গলবার রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে, বাংলা ১৮ কার্তিক এবং পূর্ণিমা তিথি শেষ হচ্ছে ৫ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে। আবার গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে, পূর্ণিমা শুরু হয়েছে ৪ নভেম্বর, মঙ্গলবার রাত রাত ৯টা ২২ মিনিটে। তিথি শেষ হচ্ছে বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে। উভয় পঞ্জিকা অনুযায়ী, উদয়া তিথি ধরে আজ, বুধবার, ৫ নভেম্বর, বাংলায় ১৮ কার্তিক শ্রীরাধা-শ্রীকৃষ্ণের প্রেম উৎসব রাসযাত্রা (Rash Purnima 2025) পালিত হবে।

    রাসের তাৎপর্য কী (Rash Purnima 2025)?

    প্রেমভাব বৈষ্ণব ভাবনার একটি প্রধান ভাব। রাস শব্দ এসেছে রস থেকে। রসের বিরাট ব্যাপ্তি। আনন্দ আস্বাদনই মূল কথা রাসের। বৈষ্ণব রসশাস্ত্রে পঞ্চম রস, শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য মধুর রস সম্পর্কে বিস্তৃত ভাবে বলা হয়েছে। বৃন্দাবনদাসের ‘শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত’ এবং কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত’-কাব্যে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে রস বা লীলা সম্পর্কে। রাস মানেই মিলন (Rash Purnima 2025)। কৃষ্ণ প্রেমের ক্ষুদ্র আত্মা পরমাত্মায় মিলনের বাসনাই রাসের মূল ভরকেন্দ্র। পূর্ণ অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মহাভাবের একমাত্র অধিকারিণী শ্রীরাধারানি। কৃষ্ণ হলেন জগতের আসল পুরুষ, বাকি মানবসামজ প্রকৃতিতুল্য। তাই সকল গোপিনী এবং নরনারী রাধাভাব বা মঞ্জরী ভাবনায় ভাবিত হন। এই পরম জ্ঞানের কথা জানানোর জন্যই কৃষ্ণের বৃহৎ লীলা বা রাসের প্রকাশ।

    মুক্তির পথ দেখান কৃষ্ণস্বরূপ জ্ঞান

    কৃষ্ণপ্রেমে মুগ্ধ হয়ে গোপিনীরা সংসার ত্যাগ করে বৃন্দাবনে চলে যান। সেখানে গিয়ে সকলে কৃষ্ণপ্রেমে সমবেত হন। শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের সংসারে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। কিন্তু গোপিনীরা মানতে অস্বীকার করেন। শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের এই ভাবনায় মনে অহংকার ভাব এলে রাধাকে নিয়ে চলে যান। পরে গোপিনীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। অহংকার ভুলে গিয়ে কৃষ্ণপ্রেমে স্তব পাঠ শুরু করেন। এদিকে তাঁদের স্তবে কৃষ্ণ সন্তুষ্ট হলে কৃষ্ণ ফিরে আসেন। এরপর গোপিনীদের জীবন সম্পর্কে গভীর তত্ত্বকথার উপদেশ দেন। প্রত্যক গোপিনীর মনোবাঞ্ছা পূরণ করে জাগতিক দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তির পথ দর্শান। এই কৃষ্ণ (Rash Purnima 2025) হলেন প্রকৃত জ্ঞানের আধার। আর জগতস্বরূপ জ্ঞান হলেন স্বয়ং রাধা। সকল গোপিনীরা হলেন রাধা শক্তির প্রকাশ মাত্র।

    বাংলাজুড়ে রাস-উৎসব

    ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাস (Rash Purnima 2025) বাংলা, মথুরা, বৃন্দাবন, ওড়িশা, অসম, মণিপুর, পূর্ববঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় ব্যাপক ভাবে দেখা যায়। তবে মূল আরাধ্য রাধাকৃষ্ণ হলেও অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন দেবদেবীর পুজো করতে দেখা যায়। যেমন-কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে রাস হয় এবং এক মাস মেলা বসে এখানে। এই মেলা বিরাট বিখ্যাত। এখানে রাসে দুর্গাপুজো, কালীপুজোও করতে দেখা যায়। আবার নবদ্বীপ, শান্তিপুর, ফুলিয়া, বর্ধমানের বেশ কিছু বৈষ্ণবপাট বাড়ি, সমাজবাড়ি এবং আখড়ায় মাটির মূর্তিতে রাধাকৃষ্ণের পুজো হয়। গৌর-নিতাই, পঞ্চতত্ত্বের নামে চলে নাম-সংকীর্তন এবং নগর পরিক্রমা। শ্রীচৈতন্যের স্মৃতি বিজড়িত জায়াগায় পালন হয় বিশেষ পুজো। কীর্তন, পদাবলী, পালাগান এবং রাসের সখীদের অষ্টকলা প্রদর্শন মূল আকর্ষণ থাকে। পিছিয়ে নেই পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া। পুরুলিয়ার রাসমেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব এবং এটি রাস পূর্ণিমার পাঁচ দিন পর থেকে শুরু হয়।

    কার্তিক পূর্ণিমা, দেব দীপাবলি ও ত্রিপুরী পূর্ণিমা

    রাস পূর্ণিমাকে (Rash Purnima 2025) অনেকে কার্তিক পূর্ণিমা বলে থাকেন। কার্তিক পুজো ঘিরে কাটোয়া ও তার সংলগ্ন নানান এলাকা খ্যাত। কাটোয়া এবং হুগলি জেলার চুঁচুড়া-বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে কার্তিক পুজো খুব বিখ্যাত। এই পুজো ঘিরে বহু মানুষের ভিড় হয় এলাকায়। কার্তিক পুজো পালিত হয় কার্তিক পূর্ণিমায়। এই সময়ে সূর্য ওঠার আগে স্নান করলে শুভকর্ম ফল হয়। অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান পুণ্যলাভ হয়। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে দেবলোকে দীপাবলি (Dev Deepavali) পালন করা হয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস। দেবতাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে মর্ত্যেও এ দিন প্রদীপ জ্বালানোর প্রথা রয়েছে। বিশেষ করে এ দিন বেনারস ও হরিদ্বারের গঙ্গার ঘাট আলোর মালায় সাজিয়ে তোলা হয়। হাজার হাজার মানুষ গঙ্গার ঘাটের শোভা দেখতে বেনারস ও হরিদ্বারে ভিড় করেন। অন্য পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, এই রাস পূর্ণিমায় ভগবান শিব ত্রিপুরাসুর নামে এক রাক্ষসকে বধ করেছিলেন। তাই এই পূর্ণিমা ত্রিপুরী বা ত্রিপুরারি পূর্ণিমা নামেও অনেক জায়গায় পরিচিত। ভগবান শ্রীবিষ্ণু (Radha-Krishna) এই দিনে মৎস্য অবতার ধারণ করেছিলেন।

  • Dengue Malaria: হেমন্তের আমেজ থাকলেও ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ায় নাজেহাল বঙ্গবাসী! কেন বাড়ছে ভোগান্তি?

    Dengue Malaria: হেমন্তের আমেজ থাকলেও ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ায় নাজেহাল বঙ্গবাসী! কেন বাড়ছে ভোগান্তি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষা বিদায় নিয়েছে। হেমন্তের আমেজ এখন বাতাসে ভরপুর। কিন্তু এখনো মশার দাপট কমেনি। মশাবাহিত রোগের জেরে বিপদে পড়ছেন বঙ্গবাসী! ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার দাপটে নাজেহাল। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নভেম্বরে এই ধরনের রোগের দাপট কমে। কিন্তু চলতি বছরে ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না। বরং উৎসবের মরশুমের শেষেও শিশু থেকে বয়স্ক, সকলেই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের দাপটে কাবু।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য?

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু অক্টোবর মাসে কলকাতায় ৩৫০ জনের বেশি নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। যা ২০২৪ সালের তুলনায় বেশি। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের হিসাব অনুযায়ী, কলকাতায় ৮৫ জন নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। আবার ডেঙ্গির পাশপাশি কলকাতার একাধিক এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষত শোভাবাজার, গিরিশ পার্ক, যাদবপুর, টালিগঞ্জের মতো একাধিক এলাকায় কয়েকশো মানুষ ম্যালেরিয়ার আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার জোড়া আক্রমণে জর্জরিত কলকাতাবাসী।

    কলকাতা পুরসভার পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে উত্তরের তুলনায় কলকাতার দক্ষিণে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেশি। বালিগঞ্জ পার্ক রোড, পাম অ্যাভিনিউ, পণ্ডিতিয়া রোড সহ দক্ষিণ কলকাতার একাধিক এলাকায় হাই এলার্ট‌ জারি করা হয়েছে। মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ রুখতে বিশেষ সতর্কতা ও পদক্ষেপ জরুরি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কলকাতার পাশপাশি অক্টোবর মাসে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হুগলি ও হাওড়া জেলায় উল্লেখযোগ্য ভাবে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অক্টোবর শেষে রাজ্যে নতুন করে প্রায় দেড় হাজার মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন‌। যা বিগত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। জেলাগুলোতেও ডেঙ্গির পাশপাশি ম্যালেরিয়ার দাপট বাড়ছে। বিশেষত হাওড়া এবং হুগলি এই দুই জেলায় গত মাসে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন মশাবাহিত রোগের দাপট অব্যাহত?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষার শেষে মশাবাহিত রোগের দাপট কমে। বিশেষত নভেম্বর মাসে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। তাপমাত্রার রকমফেরে মশাবাহিত রোগের দাপট কমে। কিন্তু চলতি বছরে পরিস্থিতি অন্যরকম। তার মূল কারণ আবহাওয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি বছরে বৃষ্টি অনেক বেশি হয়েছে। বর্ষার উপস্থিতিও ছিল দীর্ঘমেয়াদি। তাই জল জমার সমস্যাও বেশি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মশার বংশবিস্তার সহজ হয়। তাই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার দাপট ও বাড়ছে।

    আবহাওয়ার পাশপাশি জনসচেতনতার অভাব এবং প্রশাসনের সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি কিংবা ম‌্যালেরিয়ার মতন মশাবাহিত সংক্রামক রোগ রুখতে সচেতনতা জরুরি। নিজের বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় যাতে জল না জমে সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। বাগান কিংবা ছাদে যাতে জল না জমে সেটা নজরদারি প্রয়োজন। চৌবাচ্চায় যাতে সাত দিনের বেশি এক জল না থাকে সেটাও নজর দিতে হবে।

    জনসাধারণের সচেতনতার পাশপাশি প্রশাসনের সক্রিয়তা জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক এলাকায় কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টির পরেই জল জমে থাকে। জমা জলে একাধিক রোগের দাপট বাড়ে। জল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনের আরও বেশি পরিকল্পনা জরুরি। তাছাড়া ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার দাপট গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যে চলছে। মানুষের ভোগান্তি কমাতে প্রশাসনের আরও বেশি নজরদারি প্রয়োজন।‌

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • India-W World Cup Champion: ‘একটা ঐতিহাসিক মাইলফলক’, বললেন শচিন, ‘গোটা দেশকে গর্বিত করেছ’, লিখলেন কোহলি

    India-W World Cup Champion: ‘একটা ঐতিহাসিক মাইলফলক’, বললেন শচিন, ‘গোটা দেশকে গর্বিত করেছ’, লিখলেন কোহলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মত মহিলা বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস রচনা করেছে ভারতের মেয়েরা। মুম্বইতে ফাইনালে ব্যাটে-বলে দুরন্ত পারফর্ম করে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। এই ঐতিহাসিক জয় ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে উৎসবের আমেজ। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে “উইমেন ইন ব্লু”-দের উদ্দেশে অভিনন্দন বার্তা আসছে। বিরাট কোহলি, সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, যুবরাজ সিং স বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রিকেটাররা সকলেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতীয় মহিলা দলকে।

    একটা ঐতিহাসিক মাইলফলক: শচিন

    এক্স হ্যান্ডেলে শচিন লিখলেন, ‘১৯৮৩ সালের ঐতিহাসিক জয় যেমন বড় স্বপ্ন দেখতে এবং সেই স্বপ্ন পূরণের পিছনে দৌড়াতে একটা গোটা প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছিল, আজ আমাদের মহিলা ক্রিকেট দল সত্যিকারের সেই ইতিহাস করল। তারা সারা দেশের অসংখ্য তরুণীকে ব্যাট-বল হাতে তুলে মাঠে নামতে এবং বিশ্বাস করতে অনুপ্রাণিত করেছে যে তারাও একদিন এই ট্রফি তুলতে পারবে। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের জার্নিতে এটা একটা ঐতিহাসিক মাইলফলক। সাবাস, টিম ইন্ডিয়া। তোমরা গোটা দেশকে গর্বিত করেছ।’

    ভীষণ গর্বিত… বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন: সৌরভ

    ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও মহিলা দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ও তাদের জন্য গর্বিত বলে জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘‘মেয়েদের অসাধারণ সাফল্য! গত ৬ বছরে তারা অনেক দূর এগিয়েছে। তাদের নিয়ে ভীষণ গর্বিত… বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।”

    তোমরা গোটা দেশকে গর্বিত করেছ: কোহলি

    অভিনন্দন জানালেন বিরাট কোহলিও। এক্সে পোস্ট করে তিনি লিখলেন, ‘ভারতের মেয়েরা ইতিহাস গড়লেন! তাঁদের এই ঐতিহাসিক সাফল্যে গর্বে ভরে উঠেছে গোটা দেশ। বহু বছরের পরিশ্রম ও অধ্যবসায় আজ বাস্তবের রূপ নিয়েছে। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এবং গোটা দলকে আন্তরিক অভিনন্দন। শুধু খেলোয়াড়রা নয়, দলের সঙ্গে যুক্ত সমগ্র সাপোর্ট স্টাফ ও ম্যানেজমেন্টকেও ধন্যবাদ জানানো উচিত, যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল এই জয়। দারুণ খেলেছ টিম ইন্ডিয়া। এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত উপভোগ করো হৃদয়ভরে। দেশের অসংখ্য কন্যা এই জয় দেখে অনুপ্রাণিত হবে ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলাধুলায় নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে।’ ট্রফি হাতে ভারতীয় দলের ছবি দিয়ে লেখেন, “তোমরা পরের প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে তোমরা গোটা দেশকে গর্বিত করেছ। তোমাদের এই শুভেচ্ছা প্রাপ্য। এই মুহূর্তটা তোমাদের। উপভোগ করো। হরমন ও তার দল দুর্দান্ত খেলেছো। জয় হিন্দ।”

    আবেগপ্রবণ রোহিতের চোখে জল

    এদিকে, টিম ইন্ডিয়াকে সাপোর্ট করার জন্য ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। টিম ইন্ডিয়ার জয় তিনিও উদযাপন করেন এবং যথেষ্ট আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। হরমনপ্রীতের ক্যাচে ভারত ম্যাচ জেতার পর ক্যামেরা ধরে রোহিতকে। দেখা যায়, আকাশের দিকে তাকিয়ে হাততালি দিচ্ছেন তিনি। বোঝা যাচ্ছিল, রোহিতের চোখে জল। কোনও রকমে আবেগ সামলানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। ২ বছর আগে এমনই এক নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের পুরুষ দল বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরেছিল। স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল দেড় কোটি ভারতবাসীর। সেদিন কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন রোহিত। তবে সেই কান্না লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। আর গতকাল রাতে চোখের সামনে হরমনপ্রীতদের বিশ্বকাপ জয় দেখে চোখ ছলছল হয়ে গিয়েছিল রোহিত শর্মার। যেন, তিনি যে না করতে পারেননি, তা হরমনরা করতে পারায় বুকের ওপর থেকে কিছুটা হলেও বোঝা কমল। বা হয়ত, সেই ২০২৩ সালের নভেম্বরের রাতের কথাটাই তাঁর মনে পড়ছিল।

    ভারতীয় ক্রিকেটে এক নতুন যুগের সূচনা: যুবরাজ

    আর এক বিশ্বকাপজয়ী যুবরাজ সিং গোটা দল তো বটেই, বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দীপ্তি শর্মা, শেফালি ভার্মা, রিচা ঘোষকে। তিনি লেখেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে এক নতুন যুগের সূচনা হল। ইতিহাসের পিছনে রয়েছে আমাদের উইমেন ইন ব্লু–র অদম্য মনোবল, দৃঢ়তা এবং অতুলনীয় দক্ষতা। অদম্য জেদে গড়া এই দল একসঙ্গে মিলিত হয়ে এমন এক মুহূর্ত সৃষ্টি করেছে, যা গোটা বিশ্ব কখনও ভুলবে না। স্বপ্ন পূরণের জন্য তাঁরা নিজেদের সমস্তটুকু উজাড় করে দিয়েছেন, শরীর-মন এক করে খেলেছেন শেষ বল পর্যন্ত। ব্যাট হাতে দুরন্ত শুরু করে ও বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন শেফালি ভার্মা। অসাধারণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল দীপ্তি শর্মা ব্যাটে-বলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ধারাবাহিকতা, সৌন্দর্য ও দৃঢ়তায় ভারতের ব্যাটিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা। রিচা ঘোষের আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ইনিংস ভারতকে রানের গতি বাড়াতে সাহায্য করেছে। বিশেষ অভিনন্দন হরমনপ্রীত কৌর এবং কোচ অমল মজুমদারকে। ভারত এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন!’

  • Good Sleep: ঘুমের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি! স্ট্রোক রুখতে ঘুম কেন জরুরি?

    Good Sleep: ঘুমের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি! স্ট্রোক রুখতে ঘুম কেন জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    প্রত্যেক মিনিট জরুরি। দিনের প্রতিটি মিনিট কীভাবে কাটানো হচ্ছে, সেই অভ্যাসের মধ্যে লুকিয়ে থাকে, আমরা সুস্থ থাকব কিনা! প্রতিদিন ঘুমের জন্য কতখানি সময় বরাদ্দ হয়, সেই হিসাব অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করে স্ট্রোকের ঝুঁকি! সম্প্রতি ছিল ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক ডে। আর সেই উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতা কর্মসূচি পালন হয়। আর সেখানেই উঠে আসে মূলত দুই দাওয়াই। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই দুই পরামর্শ মেনে চললেই স্ট্রোকের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

    স্ট্রোকের বিপদ এড়াতে কোন দুই দিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    চাই পর্যাপ্ত ঘুম

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্ট্রোকের ঘটনা বাড়ছে। পঞ্চাশের পরে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দেখা দিত। কিন্তু গত কয়েক বছরে পরিস্থিতি অন্যরকম। দেখা যাচ্ছে, তিরিশের চৌকাঠ পেরনোর পরেই স্ট্রোকের ঘটনা ঘটছে। এর ফলে পরবর্তী জীবনে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। আর কম বয়সিদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ার অন্যতম কারণ অপর্যাপ্ত ঘুম। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ অনিয়মিত ঘুমের অভ্যাস। অনেকেই গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। ভোরে ঘুমোতে যান। বেলায় ঘুম থেকে ওঠেন। অনেকেই গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকার কারণে নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুমোনোর সময় পান না। এর ফল হয় মারাত্মক। দীর্ঘদিন অপর্যাপ্ত ও অনিয়মিত ঘুম মস্তিষ্কের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে, মস্তিষ্কের পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। নিয়মিত পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেলে মস্তিষ্কের স্নায়ু সুস্থ থাকে। তাছাড়া পর্যাপ্ত ঘুম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। তাই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসরণের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যা শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি করে।

    উপসর্গের উপরে বাড়তি নজর

    স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যেমন পর্যাপ্ত ঘুমের উপরে নজর দিচ্ছে তেমনি স্ট্রোকের বড় জটিলতা এড়াতে উপসর্গের উপরে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও এ বছরে স্ট্রোক সচেতনতার মূল বার্তা, প্রত্যেক মিনিট জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্ট্রোকের উপসর্গ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা প্রয়োজন। শরীরে অন্য কোনও জটিলতা রয়েছে কিনা, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে, সে সম্পর্কেও সতর্ক থাকা জরুরি। তবেই বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে। স্ট্রোকে আক্রান্ত হলেই দ্রুত চিকিৎসা শুরু প্রয়োজন। তবেই বড় স্বাস্থ্য সঙ্কট এড়ানো সম্ভব। কিন্তু অনেক সময়েই চিকিৎসা দেরিতে শুরু হয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রত্যেক মিনিট গুরুত্বপূর্ণ!

    ভারতে স্ট্রোকের দাপট কতখানি?

    কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে স্ট্রোকের প্রকোপ বাড়ছে। প্রতি বছর ১৮ লক্ষ ভারতীয় স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বেশি। ২০১৯ সাল থেকে দেখা যাচ্ছে, মহিলারা তুলনামূলকভাবে‌ বেশি‌ স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্ট্রোকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ তালিকার প্রথমেই রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্ট্রোকের ঘটনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হওয়ায় জেরেই এ রাজ্যে স্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। তাছাড়া তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও জীবন যাপন স্ট্রোকের অন্যতম কারণ। এ রাজ্যে গত কয়েক বছরে ধূমপান ও মদ্যপানে আসক্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। তাই স্ট্রোক নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বাড়তি সচেতনতা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কোন উপসর্গ স্ট্রোকের জানান দেয়?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তচাপ নিয়ে সচেতনতা জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। নিয়মিত রক্তচাপ ওঠা নামা করলে কিংবা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে স্বাস্থ্যকর খাবারে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।‌ কারণ উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া হঠাৎ করেই মাথা ঘোরা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া, মস্তিষ্ক ঠিক মতো কাজ করতে না পারার মতো উপসর্গ দেখা দিলে সচেতন থাকা জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার, কারণ এগুলো স্ট্রোকের লক্ষণ। হাত-পায়ের পেশি ঠিকমতো কাজ না করা, স্নায়ুর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়া স্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তীব্র মাথার যন্ত্রণা স্ট্রোকের উপসর্গ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Winter Cold Cough: হেমন্তের আবহাওয়ায় বাড়ছে কাশির দাপট! কাদের জন্য বিপদ বাড়াচ্ছে খামখেয়ালী আবহাওয়া?

    Winter Cold Cough: হেমন্তের আবহাওয়ায় বাড়ছে কাশির দাপট! কাদের জন্য বিপদ বাড়াচ্ছে খামখেয়ালী আবহাওয়া?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা! দেবী-আরাধনার উৎসবের বিদায়ের ঘণ্টা বাজতে চললো। বঙ্গবাসী মেতে উঠেছে জগদ্ধাত্রী পুজোর উৎসবে। তবে উৎসবের শেষ বেলায় ভোগান্তি বাড়াচ্ছে হেমন্তের হাওয়া! বিদায় নিয়েছে বর্ষা। কিন্তু বৃষ্টির উপস্থিতি মাঝেমধ্যেই জানান দিচ্ছে। তার মাঝেই হাজির হয়েছে হেমন্ত। রাতের দিকে বাইরে গেলেই হালকা ঠান্ডা আমেজ। কিন্তু দুপুরে রোদের দাপট বাড়ছে। ফলে অনেক ঘরেই এখনো এসি চলছে। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার জেরে বাড়ছে শারীরিক সমস্যা। চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই সময়ে শরীরের বাড়তি যত্ন জরুরি। না হলেই ভোগান্তি বাড়বে।

    জ্বর-সর্দির পাশপাশি ভোগাচ্ছে কাশি

    কী সমস্যা দেখা দিচ্ছে? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় শিশু থেকে প্রবীণ, বিভিন্ন বয়সীদের মধ্যেই নানান সংক্রামক রোগের দাপট দেখা দিচ্ছে। জ্বর-সর্দির পাশপাশি সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে কাশি। অধিকাংশ রোগী কাশির জেরে নাজেহাল। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। এছাড়াও শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি জাতীয় সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।

    বাড়ে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার দাপট

    বিশেষজ্ঞদের মতে, আবহাওয়ায় রকমফেরের জেরেই এই ধরনের ভোগান্তি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ষা বিদায় নিয়েছে। আর মাত্র কিছু দিন পরেই শীত শুরু হবে। এই হেমন্তের আবহাওয়ায় বাতাসে তাপমাত্রার পরিবর্তন হয়। তাই প্রত্যেক বছরেই এই সময়ে বাতাসে নানান ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার দাপট বাড়ে। কিন্তু চলতি বছরে পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। এই বছরে দেখা যাচ্ছে দিন ও রাতে আবহাওয়ার পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য ভাবে হচ্ছে। বিশেষত তাপমাত্রার পরিবর্তন মারাত্মক। দিনে রোদের প্রকোপ থাকছে। বেলা বাড়লে ঘাম হচ্ছে। অস্বস্তিকর আবহাওয়া দেখা দিচ্ছে। আবার রাত বাড়লে বিশেষত ভোরের দিকে ঠান্ডার আমেজ স্পষ্ট। তাপমাত্রার এতখানি ঘনঘন পরিবর্তন ক্ষতিকারক ভাইরাসের সক্রিয়তাও বাড়িয়ে দেয়। তাই নানান সংক্রামক রোগের দাপট বাড়ে‌। তাছাড়া, এই সময়ে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই হাঁপানি, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও বাড়তে থাকে।

    কোন ঘরোয়া উপদানে ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    আরাম পেতে আদা

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাঙালির রান্নাঘরের পরিচিত একাধিক উপাদান এই আবহাওয়ায় শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতিতে শ্বাসনালী এবং ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে এবং কাশি হলে, আরাম পেতে নিয়মিত রান্নায় আদা ব্যবহার করা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। যার ফলে নানান সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তাই বিভিন্ন রান্নায় নিয়মিত আদা খেলে সংক্রামক রোগের দাপট কমে।

    মধু এবং তুলসী পাতা

    শিশুদের নিয়মিত সকালে এক চামচ মধু এবং কয়েকটি তুলসীপাতা চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মধু এবং তুলসী পাতা সর্দি-কাশি মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। এই দুই ঘরোয়া উপাদানে সংক্রামক রোগ নিরাময়ের শক্তি রয়েছে। এই সময়ে অধিকাংশ শিশু ভাইরাস ঘটিত অসুখের জেরেই সর্দি-কাশি এবং জ্বরে ভুগছে। তাই নিয়মিত মধু ও তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করবে।

    দারুচিনি দেওয়া চা

    প্রবীণদের চা খাওয়ার সময় দারুচিনি দেওয়া চা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দারুচিনি সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষত ফুসফুসের সংক্রমণ ঠেকাতে দারুচিনি বিশেষ উপকারি। তাই গরম চা খাওয়ার সময় তাতে এক টুকরো দারুচিনি ফেলে ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    রান্নায় এলাচ

    রান্নায় এলাচ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিরামিষ তরকারি, পায়েস হোক কিংবা মাংস কষা, যেকোনও রান্নায় সুগন্ধ বাড়াতে বাঙালি এলাচের ব্যবহার করে। রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশপাশি শ্বাসনালী সুস্থ রাখতেও এলাচ বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় কাশির দাপটে অনেকেই নাজেহাল। শ্বাসনালীর সংক্রামণের জেরেই কাশির ভোগান্তি বাড়ে। তাই নিয়মিত এলাচ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাচ শ্বাসনালীর সংক্রামণের ঝুঁকি কমায়।

    তিন থেকে চার লিটার জল

    শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়লে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমানো‌ যায়। তাই নিয়মিত তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল থাকলে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমানো‌ যায়। তাছাড়া তাঁরা সবুজ সব্জি ও ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ এগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Jagaddhatri Puja 2025: কীভাবে শুরু হয়েছিল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো? জানুন সেই অজানা ইতিহাস

    Jagaddhatri Puja 2025: কীভাবে শুরু হয়েছিল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো? জানুন সেই অজানা ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগৎকে ধারণ করেন মা দেবী শক্তি, তাই তাঁর নাম দেবী জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2025)। তাঁর বিশাল রূপ, টানা চোখ, অপরূপ সুন্দর ত্রিনয়ন, চার হাতে শোভা পাচ্ছে অসুর সংহারের জন্য অস্ত্র। দেবী দুর্গার আরেক রূপ মা জগদ্ধাত্রী। তিনিও সিংহবাহিনী। এই রূপেই পূজিত হন দেবী জগদ্ধাত্রী। সারা বাংলা জুড়েই বিশাল বিশাল মাতৃ মূর্তি নির্মাণ করে আরাধনা করা হয়। কৃষ্ণনগরেই জন্ম জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagaddhatri Puja 2025)। তবুও চন্দননগরের পুজোই বিখ্যাত হয়েছে। এর পিছনে রয়েছে এক অজানা ইতিহাস। উল্লেখ্য চন্দননগরের পুজোর আলোকসজ্জা, সুবিশাল প্রতিমা দর্শনার্থীদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। আশেপাশের জেলা, রাজ্য এমনকী বিদেশ থেকেও দর্শনার্থীরা পুজো দেখতে আসেন। অথচ এই পুজো শুরুর পিছনে রয়েছে কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বিশেষ প্রভাব এবং অবদান। কীভাবে প্রচলিত হল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja Chandannagar)? আসুন জেনে নিই এই অজানা কাহিনি।

    দেবী রাজাকে স্বপ্নাদেশ দেন

    সময়টা তখন ব্রিটিশ শাসনের অধীন। ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকে দমন করতে ব্রিটিশদের সহযোগী হয়ে বাংলার রাজাদের বন্দি করেন মির কাশিম। এই বন্দিদের তালিকায় ছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এবং তাঁর ছেলে। কিন্তু যখন রাজা বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান সেই সময় দেখেন দুর্গাপুজো শেষ হয়ে গিয়েছে। পুজোর আনন্দ থেকে রাজা বঞ্চিত হন এবং এরপর মনমরা হয়ে পড়েন। কথিত আছে রাজা এরপরেই দেবীর কাছে স্বপ্নাদেশ পান। কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে মায়ের চতুর্ভূজা রূপের আরাধনা করার আদেশ পান রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। দেবী রাজাকে স্বপ্নাদেশ দিয়ে বলেন, “জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja 2025) করতে হবে। জনসেবা এবং বিশ্বকে সব রকম অশুভ শক্তি থেকে মুক্ত করতে দেবী পুজো আবশ্যক।” সেই থেকে শুরু হয় কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। পরবর্তীতে রাজবাড়ির রাজপ্রাসাদের গণ্ডি টপকে ছড়িয়ে পড়ে নগরের অলিগলিতে। এরপর থেকেই এই পুজো ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে গোটা কৃষ্ণনগরে। মোটামুটি জানা গিয়েছে, ১৭৬৩-৬৪ সালে হৈমন্তিকার আরাধনা শুরু হয় জলঙ্গি নদীর পাড়ে। তবে, সঠিক সময় নিয়ে মতভেদ রয়েছে।

    কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের নবমী পুজো

    তবে বাংলার জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja 2025) নিয়ে পৌরাণিক মত খুব একটা স্পষ্ট করে পাওয়া যায় না। একটি মতে বলা হয়, ত্রেতা যুগের শুরুতে করীন্দ্রাসুর নামে এক হস্তীরূপী অসুরকে বধ করার জন্য দুর্গার মতো ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের শক্তি থেকে সিংহবাহিনী, চতুর্ভুজা এই দেবীর জন্ম হয়। জগদ্ধাত্রী দেবী চার হাতে থাকে চক্র, শঙ্খ, ধনুক এবং পঞ্চবান। আবার অপর আরেক মতে, কোনও অসুর বধ নয়, মহিষাসুরের বধের পর অগ্নি, পবন, বরুণ এবং চন্দ্র দেবতা আত্ম অহংকারে ভুগতে শুরু করেন।দেবতাদের দর্পচূর্ণ করতে দেবী জগদ্ধাত্রীর আর্বিভাব। সেখানে হস্তীকে অহংকারের স্বরূপ ধরা হয়। তাঁকেই বধ করেন দেবী। শাস্ত্রমতে কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja Chandannagar)।

    সুবিশাল মণ্ডপ, প্রতিমা ভক্তদের আকর্ষণ করে চন্দননগর

    কৃষ্ণনগরের পাশাপাশি চন্দননগরেও পুজো শুরু হয়েছিল। জলঙ্গির পাড় থেকে গঙ্গার পাড়ে কীভাবে পৌঁছাল পুজো? জানা যায়, জমিদার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন ফরাসিদের দেওয়ান জনৈক ইন্দ্রনারায়ণ রায়। তিনি নিজের বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja 2025) শুরু করেছিলেন। ইন্দ্রনারায়ণ ছিলেন চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জের চাউলপট্টির বাসিন্দা। সেখানেই চাউলপট্টির নিচুপাটিতে ইন্দ্রনারায়ণ প্রথম শুরু করেন জগদ্ধাত্রী পুজো। আবার আরেকটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণচন্দ্রের দেওয়ান দাতারামের বিধবা কন্যা থাকতেন ভদ্রেশ্বরের তেঁতুলতলায়। সেখানে রাজার অনুমতি নিয়ে পুজো শুরু হয়েছিল। এই পুজোর অনুদান দিতেন স্বয়ং রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। ক্রমে ক্রমে এই পারিবারিক পুজো এবং সর্বজনীন পুজোতে পরিণত হয়েছে। তবে সময়ের ব্যবধানে জাঁকজমক, আলোর খেলায় চন্দননগরের (Jagaddhatri Puja Chandannagar) জনপ্রিয়তা অনেক বড় জায়গা করে নিয়েছে। এখানকার সুবিশাল মণ্ডপ, প্রতিমা ভক্ত, দর্শকদের ব্যাপক ভাবে আকর্ষণ করে। দেশ-বিদেশেও বাঙালির বড় পুজোর মধ্যে এই জগদ্ধাত্রী পুজো বড় জায়গা করে নিয়েছে।

  • USS Nimitz: ৩০ মিনিটের তফাতে দক্ষিণ চিন সাগরে ভেঙে পড়ল মার্কিন যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার! দুর্ঘটনা নাকি চক্রান্ত?

    USS Nimitz: ৩০ মিনিটের তফাতে দক্ষিণ চিন সাগরে ভেঙে পড়ল মার্কিন যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার! দুর্ঘটনা নাকি চক্রান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভেঙে পড়ল মার্কিন যুদ্ধবিমান। এবার সঙ্গে দোসর সামরিক কপ্টার। আধ-ঘণ্টার ব্যবধানে দক্ষিণ চিন সাগরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এই দুই সামরিক যান। এই জোড়া দুর্ঘটনাকে ঘিরে উঠেছে তীব্র আলোড়ন। এটা কি নিছক দুর্ঘটনা নাকি রয়েছে কোনও চক্রান্ত? খোঁজ করছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।

    আধ-ঘণ্টায় জোড়া দুর্ঘটনা!

    মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের (বর্তমানে যুদ্ধ দফতর) তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগরে নিয়মিত রুটিন অপারেশন চালাচ্ছিল মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিত্জ (USS Nimitz)। বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমানটি রণতরী থেকে রুটিন অপারেশন চালাচ্ছিল। শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর পৌনে তিনটার দিকে খবর আসে, রণতরী থেকে সমুদ্রে ছিটকে পড়েছে একটি ‘এমএইচ-৬০আর সি হক’ (MH-60R Sea Hawk) হেলিকপ্টার। এরপর মাত্র আধ ঘণ্টা পর, সোয়া তিনটে নাগাদ একই রণতরীতে মোতায়েন থাকা একটি ‘এফ/এ–১৮এফ সুপার হর্নেট’ (F/A-18F Super Hornet) যুদ্ধবিমান সমুদ্রে পড়ে যায়। যুদ্ধবিমানে ছিলেন ২ পাইলট। অন্যদিকে, হেলিকপ্টারে ছিলেন পাইলট সহ মার্কিন নৌবাহিনীর ৩ সদস্য। দুটি ঘটনাতেই অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যান পাঁচ ক্রু সদস্য। বিধ্বস্ত সি হক হেলিকপ্টারের তিন আরোহীকে উদ্ধার করা হয় উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার পাঠিয়ে। অপরদিকে, হর্নেটের দুই পাইলট ইজেকশন সিট ব্যবহার করে সমুদ্রে নেমে প্রাণে বাঁচেন। মার্কিন নৌবাহিনীর বিবৃতিতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও, দুর্ঘটনায় কবলিত দুটি যুদ্ধযান এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

    আমেরিকাকে চিনের চিমটি…

    দক্ষিণ চিন সাগরের অবস্থান কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিনসহ দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ এ সাগরের জলসীমার কিছু অংশের মালিকানার দাবিদার। যদিও আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ জলপথের প্রায় পুরোটার মালিকানা দাবি করে বেজিং। দুর্ঘটনার বিষয়টিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে চিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “যদি যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানায়, তাহলে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত। তবে দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমানের ঘন ঘন উপস্থিতি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।”

    ‘খুবই অস্বাভাবিক’, বললেন ট্রাম্প

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘটনাটিকে ‘খুবই অস্বাভাবিক’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং জ্বালানির ত্রুটির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। সোমবার মালয়েশিয়া থেকে জাপানগামী এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, জ্বালানিতে সমস্যা থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আমরা কারণ খুঁজে বের করব। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর হিসেব অনুযায়ী, এই বছর এটি চতুর্থ এফ/এ-১৮ জেট দুর্ঘটনা। প্রতিটির মূল্য প্রায় ৬ কোটি ডলার। মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে, ঘটনাগুলো কাকতালীয় হলেও এর পেছনে প্রযুক্তিগত ত্রুটি, মানবিক ভুল নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দক্ষিণ চিন সাগরে এই দুটি দুর্ঘটনা নিছক প্রযুক্তিগত ত্রুটি, নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনও গভীর চক্রান্ত— তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তের ফলাফলেই মিলবে এর উত্তর।

LinkedIn
Share