Tag: বাংলা খবর

  • Donald Trump: ভারত বিরোধী ট্রাম্প! মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুশপুতুল নিয়ে বিক্ষোভ নাগপুরের মারবাট উৎসবে

    Donald Trump: ভারত বিরোধী ট্রাম্প! মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুশপুতুল নিয়ে বিক্ষোভ নাগপুরের মারবাট উৎসবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে নাগপুরে (Nagpur) চলছে মারবাট উৎসব। শনিবার এই উৎসবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) একটি বিরাট কুশপুত্তলিকা নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয় এবং সেখানে অনেক সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তারা বলতে থাকে যে ভারতীয় পণ্যের উপর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যেভাবে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে যেভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন, তারই প্রতিবাদ হিসেবে তারা এই প্রদর্শনী করছেন।

    কী কী লেখা ছিল কুশপুতুলে?

    বিশাল কুশপুত্তলিকার সঙ্গে অনেক প্ল্যাকার্ড দেখা যায় (Donald Trump)। ওই প্ল্যাকার্ডগুলিতে লেখা ছিল— “আমাদের ভয় দেখানোর জন্য শুল্ক আরোপ করেছে তারা, কিন্তু তারা অচিরেই বুঝবে ভারতের শক্তি।” একইসঙ্গে আরও লেখা ছিল। “আমাদের পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ যারা করবে, তাদের নিজেদেরই ব্যবসা ধ্বংস হবে।”

    ট্রাম্পকে চাচা বলে সম্বোধন

    ট্রাম্পকে (Donald Trump) উদ্দেশ্য করে কিছু কিছু আন্দোলনকারী হাতে প্ল্যাকার্ড এনেছিলেন, যেখানে লেখা ছিল— “ট্রাম্প, আপনি ভারতকে বলেছিলেন ‘তুমি আমার বন্ধু’, কিন্তু আপনি পর্দার আড়ালে পাকিস্তানকেই ভালোবাসেন।” কেউ কেউ আবার ট্রাম্পকে চাচা বলে সম্বোধন করে লিখে রাখেন— “আমেরিকান চাচা ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন, তবু রাশিয়ার পণ্য নিজেই গ্রহণ করেন।”

    রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে শুল্ক যুদ্ধ (Donald Trump)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাশিয়া থেকে তেল কেনার ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং এই নিয়ে ভারত সরকার ও বিদেশ মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট যা বলছেন তা অনর্থক এবং অযৌক্তিক, এবং ভারত কোথায় ব্যবসা করবে, তা এই দেশ নিজেই ঠিক করবে। রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতীয় চুলচে পণ্যের উপর আমেরিকাতে শুল্কের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ৫০ শতাংশ। নতুন যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তা ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। প্রসঙ্গত, নাগপুরের মারবাট উৎসব হলো এক ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। এই উৎসবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা নিয়ে প্রদর্শন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলেই মনে করছেন অনেকে।

  • Guru Granth Sahib: বিশ্ববাসীকে শেখায় মানবতার পাঠ, ২৪ অগাস্ট ‘গুরু গ্রন্থ সাহিব’ প্রকাশ উৎসব

    Guru Granth Sahib: বিশ্ববাসীকে শেখায় মানবতার পাঠ, ২৪ অগাস্ট ‘গুরু গ্রন্থ সাহিব’ প্রকাশ উৎসব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের দেশ ভারত হল মুনি-ঋষিদের ভূমি। এই ভারতেই রচিত হয়েছে অনেক ধর্মশাস্ত্র, যেগুলি সারা পৃথিবীর মানুষকে পথ দেখিয়েছে এবং নৈতিক জীবন গড়ে তোলার উপদেশ দিয়েছে। এই ধর্মশাস্ত্রগুলির মধ্যে অজস্র গ্রন্থ রয়েছে—বেদ, গীতা, রামচরিতমানস প্রভৃতি (Guru Granth Sahib)। এরই মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় গ্রন্থ হল গুরুগ্রন্থ সাহিব, যা ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে এক অনন্য স্থান অধিকার করে আছে। সারা পৃথিবীজুড়ে কোটি কোটি মানুষ এই গুরুগ্রন্থ সাহিব-কে অনুসরণ করেন। এটি শুধু শিখ সমাজের ধর্মীয় গ্রন্থ নয়—এখানে আলোচিত হয়েছে মানবতার কথা, নৈতিকতার কথা এবং একটি সৎ, শুদ্ধ জীবনযাপনের পথ।

    স্থাপন করা হয় ১৬০৪ খ্রিস্টাব্দে (Guru Granth Sahib)

    গুরুগ্রন্থ সাহিব (Guru Granth Sahib) প্রথমবার রচনা করা হয় এবং তা হরিমন্দির সাহিব-এ (যাকে আমরা স্বর্ণমন্দির, অমৃতসরে বলি) স্থাপন করা হয় ১৬০৪ খ্রিস্টাব্দে। গুরুগ্রন্থ সাহিব রচনা করেন গুরু অর্জন দেব। একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রন্থের প্রতিষ্ঠা হয়, যেখানে বাবা বুদ্ধজি গ্রন্থটিকে তাঁর মাথার উপর ধারণ করে স্বর্ণমন্দিরের পবিত্র গর্ভগৃহে স্থাপন করেন। এরপর থেকে একে ঘিরে শুরু হয় নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। গুরুগ্রন্থ সাহিবের প্রথম গ্রন্থি হিসেবে নিযুক্ত হন বাবা বুদ্ধজি, যিনি এই গ্রন্থের দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করেন কেয়ারটেকার হিসেবে (Guru Granth Sahib Prakash Utsav)।

    শিখ ধর্মে গুরুগ্রন্থ সাহিব একটি মহান পবিত্র ধর্মগ্রন্থ

    শিখ ধর্মে গুরুগ্রন্থ সাহিব (Guru Granth Sahib Prakash Utsav) একটি মহান পবিত্র ধর্মগ্রন্থ, যেখানে আলোচিত হয়েছে ভ্রাতৃত্ববোধ, আধ্যাত্মিকতা, এবং এক ঈশ্বর বিশ্বাসের কথা। এতে বহু শিখ গুরুর রচিত শ্লোক স্থান পেয়েছে, যেমন—নামদেব থেকে রামানন্দ—প্রত্যেকেই এতে অন্তর্ভুক্ত। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের জয়দেব, গুজরাটের ত্রিলোচন, রাজস্থানের ধন্না, সিন্ধ প্রদেশের সাধন—এই সব মহাপুরুষদের রচনাও গুরুগ্রন্থ সাহিবে স্থান পেয়েছে। পরবর্তীকালে ভারতের বাইরে থেকে আগত আক্রমণকারীরা—বাবর থেকে শুরু করে ইব্রাহিম লোদী পর্যন্ত—এদেশে এসে হিংসার পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং বহুক্ষেত্রে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ ঘটায়। এই প্রসঙ্গেই শিখদের প্রথম গুরু গুরু নানক, তাঁর শ্লোকগুলিতে সেইসব শাসকদের নৃশংসতা ও ধর্মদ্রোহী কার্যকলাপের তীব্র সমালোচনা করেন—যারা ধর্মে আঘাত করত এবং সাধারণ মানুষকে নিপীড়ন করত।

  • PM Modi: বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা সারাতে পারে ভারতই, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা সারাতে পারে ভারতই, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইটি ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। ২২ অগাস্ট তাঁর বক্তব্যে উঠে এল ভারতের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তির কথা এবং তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এই দেশ শুধুমাত্র পৃথিবীর দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির (Indian Economy) দিকে এগিয়ে চলেছে তা নয়, একই সঙ্গে সারা বিশ্বজুড়ে যেভাবে অর্থনীতির মন্দা দেখা দিয়েছে, সেখান থেকেও সেই পরিস্থিতিকে টেনে তুলে আনতে পারে ভারতের অর্থনীতি।

    নতুনভাবে লেখা হয়েছে ট্যাক্স আইন (PM Modi)

    তিনি তাঁর বক্তব্যে আরও জানান যে, তাঁর সরকার ভারতের ইনকাম ট্যাক্স আইনকে নতুনভাবে লিখেছে এবং বিগত ৬০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার হয়েছে। এই ইনকাম ট্যাক্স আইনকে (PM Modi) দেশের জনগণের জন্য অতি সরল করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে এই আইন বুঝতে আর কারও অসুবিধা হচ্ছে না।
    তিনি আরও বলেন যে, যেভাবে সংস্কার চলছে তা আগামী দিনেও চলতে থাকবে। সম্প্রতি তিনি বড় ঘোষণা করেছেন জিএসটি সংস্কারের কথা এবং তা দীপাবলিতেই নয়া উপহার হিসেবে দেশবাসীকে (Indian Economy) দেবেন বলে জানিয়েছেন।

    জিসটি নিয়ে কী বললেন?

    তিনি বলেন যে, নতুন জিএসটিতে অনেক জটিল বিষয় সরল করা হয়েছে। এই নতুন জিএসটির ফলে অনেক জিনিসের দাম কমবে। এর ফলে উৎপাদন শিল্প আরও বাড়বে এবং জনগণের মধ্যে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে। তাঁরা অনেক ভালোভাবেই ব্যবসা করতে পারবেন। নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, ২০১৭-র পর থেকে মুদ্রাস্ফীতি এখন সবচেয়ে কম চলছে এবং ইন্টারেস্ট রেটও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইপিএফও রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ২৪ লাখ নয়া ফর্মাল চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করা গিয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

    প্রত্যেক মাসে বিনিয়োগকারীরা এসআইপির মাধ্যমে বিনিয়োগ করছেন

    তিনি বলেন যে, প্রত্যেক মাসে বিনিয়োগকারীরা এসআইপির মাধ্যমে বিনিয়োগ করছেন। প্রথমত স্বাধীনতা দিবসে তিনি যে কথা বলেছিলেন, নয়া দিল্লিতে ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামেও তিনি একই কথা বলেন এবং জানান যে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ খুবই জনপ্রিয় হচ্ছে এবং ভারতেই তৈরি হচ্ছে সেমিকন্ডাক্টর চিপ। একইসঙ্গে ৬জি প্রযুক্তির অগ্রগতির নিয়েও তিনি বলেন। নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের কথা বলেন এবং এর ভিত্তি হবে ‘আত্মনির্ভর ভারত’—তাও তিনি জানান।

    ভারতের ‘স্পোর্টস ইকোনমি’ আরও বাড়ছে

    ভারতের ‘স্পোর্টস ইকোনমি’ আরও বাড়ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ওই মঞ্চ থেকে তিনি প্রাইভেট কোম্পানিগুলিকে আহ্বান জানান কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, বায়োটেকনোলজি, ক্লিন এনার্জি, ব্যাটারি স্টোরেজ—এই সমস্ত বিষয়গুলিতে এগিয়ে আসার জন্য। বক্তব্যের একেবারে শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান যে, ভারত সম্পূর্ণ প্রস্তুত বিশ্বের উন্নয়নের সামনের সারিতে থাকার জন্য।

  • RSS: শতবর্ষে আরএসএস, বিজয়াদশমীতে নাগপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির থাকবেন রামনাথ কোবিন্দ

    RSS: শতবর্ষে আরএসএস, বিজয়াদশমীতে নাগপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির থাকবেন রামনাথ কোবিন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)। এই সংগঠন চলতি বছরের বিজয়া দশমীর দিনে ১০০ বছরে পা দিচ্ছে। এই দিনটি পড়েছে ২ অক্টোবর ২০২৫। ১০০ বছর উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে আরএসএস। জানা যাচ্ছে, অক্টোবরের ২ তারিখে বিজয়া দশমী উৎসব সংঘটিত হবে ঠিক সকাল সাতটা চল্লিশ মিনিটে, নাগপুরের (Nagpur) রেশিমবাগ মাঠে। এখানেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯২৫ সালে এবং তা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ডঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার(RSS)।

    হাজির থাকবেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ রামনাথ কোবিন্দ

    এই উপলক্ষে সেখানে হাজির থাকবেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ রামনাথ কোবিন্দ এবং তিনি এই বিজয়া দশমীর সম্মেলনের প্রধান অতিথি হবেন। অন্যদিকে, শততম বর্ষে স্বয়ংসেবকদের (RSS) উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন মোহন ভাগবতজি এবং তিনি ব্যাখ্যা করবেন আগামী শতকে সংঘের কাজ। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কাছে বিজয়া দশমী সর্বদাই একটি আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে। এটাই সেই দিন যেদিন ডঃ কেশব বালিরাম হেডগেওয়ার এই সংগঠনের স্থাপন করেছিলেন (Nagpur)। তিনি চেয়েছিলেন একটি শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ এবং সাংস্কৃতিক ভারত নির্মাণ করতে।

    জাগরণের বার্তা পৌঁছায় সংঘ

    ১০০ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) সমাজের প্রত্যেকটি স্তরে কাজ করে চলেছে—তা সে শিক্ষা হোক, স্বাস্থ্য হোক, গ্রামীণ উন্নয়ন হোক, দুর্যোগ মোকাবিলা হোক কিংবা সমাজ সংস্কার হোক। প্রতিবছর আরএসএস-এর বিজয়া দশমী কেবলমাত্র একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান হিসেবে পালন করা হয় না বরং এই দিনের মাধ্যমে সারা দেশজুড়ে একটি গভীর ও শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়। এই বার্তা শুধুমাত্র একটি উৎসবের আবহ নয়—এটি এক জাতীয় চেতনার আহ্বান। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় জাতীয় জাগরণের গুরুত্ব, নিজেদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা, সাংগঠনিক শক্তির মাধ্যমে সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার তাগিদ এবং মাতৃভূমির প্রতি আত্মনিবেদনের মহান আদর্শ।

  • Gujarat: গাজা হিংসার নামে মসজিদ থেকে অর্থসংগ্রহ! গুজরাট পুলিশের জালে সিরিয়ার ব্যক্তি

    Gujarat: গাজা হিংসার নামে মসজিদ থেকে অর্থসংগ্রহ! গুজরাট পুলিশের জালে সিরিয়ার ব্যক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় ইজরায়েলের আগ্রাসনের নামে গুজরাটের (Gujarat) বিভিন্ন মসজিদ থেকে চলছিল ধারাবাহিক অর্থসংগ্রহ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এই অর্থ তোলা হচ্ছিল একটি সিরিয়ার একটি গ্যাংয়ের মাধ্যমে, যারা ওই অর্থ গাজার (Gaza) জন্য নয়, নিজেদের লাভের উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তির নাম আলি মেগাত আল-আজহার, যিনি সিরিয়ার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে বসবাস করছিলেন বলে জানা গেছে।

    নিজেদের স্বার্থেই ব্যবহার করা হত অর্থ (Gujarat)

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজহার ও তাঁর আরও তিন সহযোগী গত কয়েক মাস ধরে গুজরাটের (Gujarat) বিভিন্ন মসজিদ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছিলেন। তাঁরা দাবি করতেন, এই অর্থ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার সহায়তার জন্য তৈরি একটি তহবিলে প্রদান করা হবে। তবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ জানতে পারে, এই অর্থ গাজার উদ্দেশ্যে পাঠানো হচ্ছিল না বরং চক্রটি তা আত্মসাৎ করছিল। এরপরই অভিযান চালিয়ে আজহারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরার মুখে তিনি স্বীকার করেন যে, সংগৃহীত অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া হত। তবে এখনও পর্যন্ত তার তিন সহযোগীর কোনো হদিস মেলেনি। পুলিশ তাদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক

    পুলিশের এক আধিকারিক (Gujarat) বলেন, “আজহার-সহ চার যুবকই টুরিস্ট ভিসায় ভারতে এসেছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গাজা হিংসার নামে মসজিদগুলি থেকে অর্থসংগ্রহ করে তাঁরা নিজেরা আত্মসাৎ করতেন। তবে এর নেপথ্যে আরও কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে।” গুজরাট ক্রাইম ব্রাঞ্চের জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ শরৎ সিংহল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার কাছ থেকে ৩,৬০০ মার্কিন ডলার এবং নগদ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এরা সকলেই সিরিয়ার নাগরিক এবং ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে আসে। ২২ জুলাই তারা কলকাতায় অবতরণ করে এবং এরপর ২ অগাস্ট আমেদাবাদে পৌঁছায়।

  • TikTok: খুলছে টিকটক, ছড়াল গুজব! তোলা হয়নি নিষেধাজ্ঞা, সাফ জানাল কেন্দ্র

    TikTok: খুলছে টিকটক, ছড়াল গুজব! তোলা হয়নি নিষেধাজ্ঞা, সাফ জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিকটক (TikTok) কি আবার চালু হয়েছে ভারতে? এই নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে সমাজ মাধ্যমে এবং এ নিয়েই চাঞ্চল্য ছড়ায় নেট নাগরিকদের মধ্যে। কেউ কেউ আবার লিখছেন যে ওয়েবসাইট খুলছে, কেউবা জানান ভিডিও দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু সাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে। শেষমেশ ভারত সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয় যে এ দেশে টিকটক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এই ধরনের খবর সম্পূর্ণ ভ্রান্ত এবং বিভ্রান্তিকর। যেভাবে হঠাৎ টিকটক-এর ওয়েবসাইট প্রবেশযোগ্য হয়ে উঠেছিল, তা আসলে কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই বলে মনে করছেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা (Central Government)। কারণ, গুগল প্লে স্টোর কিংবা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর — কোথাও দেখা যাচ্ছে না টিকটক অ্যাপ (TikTok)।

    ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার

    এরই মধ্যে কিছু ব্যবহারকারী দাবি করতে থাকেন যে চিনের অনলাইন কেনাকাটার প্ল্যাটফর্ম আলি এক্সপ্রেস নাকি ব্যবহার করা যাচ্ছিল। তবে এই আলি এক্সপ্রেসকেও নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন,পাঁচ বছর আগে — ২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ান সংঘর্ষে কুড়ি জন ভারতীয় সেনা শহীদ হন। তার পরে ভারতের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অ্যাপগুলির (TikTok) বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা ব্যবহারকারীদের (TikTok) ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে এবং তা গুপ্তচরবৃত্তির কাজে ব্যবহার করে।

    ৩১ অগাস্ট চিন সফরে মোদি

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত হতে চলা সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এই শীর্ষ সম্মেলনে তিনি বহু দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন বলেও মনে করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে চিনের তৈরি টিকটক এবং আলি এক্সপ্রেস সংক্রান্ত নতুন করে জল্পনা ফের একবার কৌতূহল বাড়িয়ে দিল। তবে সরকারের (Central Government) পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা এখনই তুলে নেওয়া হচ্ছে না।

  • Indian Railways: বিমানের মতো মালপত্রের ওজন ও মাপ নিয়ে এবার কড়া নিয়ম আনছে ভারতীয় রেল

    Indian Railways: বিমানের মতো মালপত্রের ওজন ও মাপ নিয়ে এবার কড়া নিয়ম আনছে ভারতীয় রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন পর্যন্ত ব্যাগের নির্দিষ্ট ওজন এবং সেই ব্যাগের মাপ নিয়ে বিমানবন্দরের ক্ষেত্রেই কড়াকড়ি দেখা যেত। এবার ওই একই নিয়ম চালু হতে চলেছে ট্রেন যাত্রীদের (Indian Railways) জন্য। এই নিয়ম কার্যকর করতে চলেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তারা বিবৃতিও দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, উত্ত-মধ্য রেলের দুটি স্টেশন — উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ এবং প্রয়াগরাজ চেওকি স্টেশনে — এই নিয়ম ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হতে চলেছে।

    কোন শ্রেণির কামরার জন্য কত ওজন নির্দিষ্ট (Indian Railways)

    নিয়ম অনুযায়ী, এসি ফার্স্ট ক্লাসের ট্রেন যাত্রীরা ৭০ কেজি, এসি টু টায়ারের যাত্রীরা ৫০ কেজি, এসি থ্রি টায়ার এবং স্লিপার ক্লাসের যাত্রীরা ৪০ কেজি পর্যন্ত মালপত্র সঙ্গে নিয়ে ট্রেনে উঠতে পারেন। এবং এসি ও স্লিপার ক্লাসকে বাদ দিলে, যে সাধারণ কামরাগুলি রয়েছে, সেখানকার যাত্রীদের ক্ষেত্রে এই মালপত্রের ওজনদায় ৩৫ কেজি — এমনটাই ছিল নিয়ম। তবে তা খাতায়-কলমে ছিল, সেভাবে কার্যকর হত না। এবার এই নিয়ম বাস্তবে প্রয়োগ করতে চাইছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    ভারতীয় রেল অবশ্য জানাচ্ছে যে, এমন নিয়ম আগেও কার্যকর ছিল

    রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই দুই স্টেশনে (উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ এবং প্রয়াগরাজ ছেওকি স্টেশন) ট্রেন যাত্রীদের মালপত্র স্ক্যান করে দেখা হবে। এবং ওই মালপত্রে ওজন যদি নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে বেশি হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে জরিমানা দিতে হবে যাত্রীদের। ভারতীয় রেল অবশ্য জানাচ্ছে যে, এমন নিয়ম আগেও কার্যকর ছিল। কিন্তু তা খাতায়-কলমে থাকলেও, সেভাবে কার্যকর করা হয়নি। এবার উত্তরপ্রদেশেরই এই দুটি স্টেশনে ব্যাগ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর ফল যদি ইতিবাচক হয়, তাহলে ধাপে ধাপে ভারতের সব স্টেশনে এই নিয়ম চালু করা হবে বলে জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

    কী বলছেন রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক?

    এই বিষয়টি কার্যকর করতে নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর-মধ্য রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার (ডিসিএম) হিমাংশু শুক্ল। তিনি বলেন, “অনেকেই নির্দিষ্ট ওজনের বেশি মালপত্র নিয়ে ট্রেনে যাতায়াত করেন। এমনকি ব্যাগে কী আছে, তাতে কোনও বেআইনি জিনিসপত্র আছে কি না, বা সেই সমস্ত জিনিস নিয়ে ট্রেনে (Train Passengers) যাতাযাত করা যায় কি না, তার নিয়মিত কোনও পরীক্ষা হয় না। কিন্তু আপনি বিমানবন্দরে গেলে জিনিসপত্রের পরিমাণ তো বটেই, ব্যাগে কী আছে, তা কঠোর ভাবে স্ক্যানারের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়। আমরা তাই একটা পাইলট প্রজেক্ট নিয়েছি। আপাতত প্রয়াগরাজ এবং প্রয়াগরাজ চেওকি স্টেশনে এই কাজ হবে।”

    কীভাবে হবে মালপত্র পরীক্ষা?

    কী ভাবে এই পরীক্ষা হবে তা ব্যাখ্যা করে হিমাংশু বলেন, “স্টেশনে আরপিএফ মালপত্র স্ক্যান করবে (Train Passengers) এবং রেলের (Indian Railways) বাণিজ্য বিভাগ (কমার্শিয়াল ডিপার্টমেন্ট)-এর কর্মীরা সেই ব্যাগের মাপ ও ওজন পরীক্ষা করবেন। যদি ব্যাগে বেআইনি কিছু থাকে, তবে তা আরপিএফ ধরবে। আর ব্যাগের ওজন যদি নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি হয়, তবে বাণিজ্য বিভাগের কর্মীরা ধরবেন। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে জরিমানা করা হবে। এর ফলে রেলের সুরক্ষা যেমন বাড়বে, রাজস্বও বাড়বে।” তিনি আরও বলেন, “স্টেশনের যে সমস্ত জায়গা খোলা রয়েছে, অর্থাৎ যে কেউ ঢুকে পড়তে পারেন, এমন অংশ আমরা ঘিরে দেব। আমাদের আশা, আগামী দু’-তিন মাসের এই কাজ আমরা শুরু করতে পারব।”

    ফুটওয়েতে মালপত্র রাখলেও হবে জরিমানা

    একই সঙ্গে ভারতীয় রেল (Indian Railways) জানিয়েছে, ট্রেনের ভিতরে ফুটওয়েতে চলাফেরার জায়গায় যদি কেউ মালপত্র রাখে, তাহলেও জরিমানা করা হবে। এই প্রসঙ্গে উত্তর-মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শশীকান্ত ত্রিপাঠী বলেন, “ট্রেনে যেমন টিকিট কেটে ওঠাটা নিয়মের মধ্যে পড়ে, তেমনই একটি নির্দিষ্ট ওজনের মালপত্র নিয়ে ওঠা যায়। সেই ওজনের বেশি হলে মালপত্রের জন্য বেশি ভাড়া দিতে হয়। এটাই নিয়ম। সেই নিয়মের কথাই এক বার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

  • AMCA Jet Engines: ফরাসি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি, ভারতেই তৈরি হবে অ্যামকার জেট ইঞ্জিন, ঘোষণা রাজনাথের

    AMCA Jet Engines: ফরাসি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি, ভারতেই তৈরি হবে অ্যামকার জেট ইঞ্জিন, ঘোষণা রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান ‘অ্যামকা’-র অত্যাধুনিক ইঞ্জিন নিয়ে বিরাট খবর দিলেন রাজনাথ সিং। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা, উচ্চ-ক্ষমতার ইঞ্জিন তৈরি করতে ফ্রান্সের সংস্থা সাফরান-এর সঙ্গে শীঘ্র চুক্তি হতে চলেছে। সবচেয়ে বড় কথা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মনির্ভর ভারত’ ও ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতিকে মাথায় রেখে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতেই তৈরি হবে এই ইঞ্জিন।

    সাফরান-ডিআরডিও গাঁটছড়া

    অনেক দিন ধরে দেশের মাটিতেই যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি। বহু টালবাহানার পর অবশেষে অ্যামকার জন্য শক্তিশালী ইঞ্জিন বাছাই করে ফেলল ভারত। শুধু তাই নয়, দেশেই সেই ইঞ্জিন বানানোর পথও প্রশস্ত করল ভারত। ফ্রান্সের সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে যৌথভাবে এদেশেই ওই ইঞ্জিন তৈরি করবে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও। জেট ইঞ্জিন তৈরির ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেতের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কাছে শীঘ্রই আবেদন জানাবে ডিআরডিও। দুই দেশের মধ্যে সরকারি স্তরেই এই ডিল হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

    ভারতেই হবে অ্যামকা, ভারতেই হবে ইঞ্জিন

    শুক্রবার নয়াদিল্লিতে ‘ইকোনমিক টাইমস ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরাম’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন রাজনাথ সিং। সেখানেই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির ক্ষেত্রে এগোচ্ছে। রাজনাথ সিং ওই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘আজ, আমরা পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির দিকেও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা ভারতেই বিমানের ইঞ্জিন তৈরির দিকেও এগিয়েছি। ফরাসি সংস্থা সাফরানের সঙ্গে যৌথ ভাবে ভারতে ইঞ্জিন তৈরি করা হবে।’’ একইসঙ্গে, নিজের এক্স হ্যান্ডলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লেখেন, ‘‘সাফরানের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে ডিআরডিও। ওই সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে আমরা হেলিকপ্টারের ইঞ্জিন তৈরি করেছি। দেশের মাটিতে অ্যামকার ইঞ্জিন বানানোর ব্যাপারেও ওই সংস্থার সঙ্গে কাজ করব।’’

    ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তর

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে রাজনাথ সিং ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের অ্যামকার প্রথম প্রোটোটাইপকে অনুমোদন দেন। তিনি একে ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার পথে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করেন। আর দুমাস পরই অ্যামকার জন্য শক্তিশালী ইঞ্জিন বাছাই ও ভারতেই তার উৎপাদন নিশ্চিত করলেন তিনি। সূত্রের খবর, ১২০ কিলো-নিউটনের এই ইঞ্জিন তৈরির প্রযুক্তির ১০০ শতাংশ হস্তান্তর ভারতকে করবে ওই ফরাসি সংস্থা। এই চুক্তির আওতায় প্রায় ২৫০টি ইঞ্জিন তৈরি হবে, যার আনুমানিক খরচ ৬১ হাজার কোটি টাকা। এতে ভারতীয় প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হবে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও আধুনিকতা, যা দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পে এক নতুন মাত্রা আনবে।

    রাফাল-ইঞ্জিনের নির্মাতাও সাফরান

    এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, রাফাল যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিনও তৈরি করে ফরাসি সংস্থা সাফরান। ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশনের থেকে বায়ুসেনার জন্য ৩৬টি রাফাল ফাইটার জেট কিনেছে ভারত। সম্প্রতি কয়েক হাজার কোটি টাকার চুক্তিতে নৌসেনার জন্য ২৬টি নতুন রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করেছে ভারত। পাশাপাশি, সাফরানের সঙ্গে যৌথভাবে অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার তৈরি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল। এ রকম ৪০০টি হেলিকল্টার সেনার বিভিন্ন বিভাগে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া, ১৩ টনের ভারী হেলিকপ্টারের জন্য শক্তিশালী ইঞ্জিন যৌথভাবে তৈরি করছে এই দুই সংস্থা। এর জন্য ‘সাফহ্যাল’ নামে নতুন একটি সংস্থা তৈরি করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ভবিষ্যতে সেগুলি রুশ মি-১৭ হেলিকপ্টারের জায়গা নেবে। ২০২৭ সাল থেকে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে শুরু করবে ওই সমস্ত হেলিকপ্টার।

    রাজনাথের গলায় ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করে রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘আমাদের মেক ইন ইন্ডিয়া কেবল ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। যখন আপনি মেক ইন ইন্ডিয়া করবেন, তখন আপনি বিশ্বের জন্য তৈরি হবেন। ভারতের চিন্তাভাবনা উন্নয়ন এবং শান্তির দিকে পরিচালিত হয়। আমাদের জন্য, বিচ্ছিন্নভাবে উন্নয়ন যথেষ্ট নয়, বরং, সম্মিলিত উন্নয়ন আরও গুরুত্বপূর্ণ।’’ রাজনাথ সিং আরও বলেন, ‘‘আমি সমস্ত বিদেশি কোম্পানি এবং বিনিয়োগকারীদের কাছে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা উৎপাদনের খাতে বিনিয়োগ করার জন্য আবেদন জানাতে চাই। আমরা আপনাদের সমস্ত প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র প্রদান করব এবং হ্যান্ডহোল্ডিং সহায়তা প্রদান করব।’’

  • Bangladesh: মেঘনা থেকে উদ্ধার বাংলাদেশের জনপ্রিয় হিন্দু সাংবাদিক বিভূরঞ্জন সরকারের মৃতদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

    Bangladesh: মেঘনা থেকে উদ্ধার বাংলাদেশের জনপ্রিয় হিন্দু সাংবাদিক বিভূরঞ্জন সরকারের মৃতদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্ষীয়ান সাংবাদিক বিভূরঞ্জন সরকারের মৃতদেহ মেঘনা নদী (Meghna River) থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুন্সিগঞ্জ জেলার কলাগাছিয়ার কাছে মেঘনা নদীতে তার মৃতদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বিভূরঞ্জন সরকার ‘আজকের পত্রিকা’ নামক একটি সংবাদমাধ্যমে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি, তিনি অন্যান্য সংবাদমাধ্যমেও নিয়মিত কলাম লিখতেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে তিনি একটি প্রতিবেদন bdnews24.com-এ পাঠান। ওই লেখার শেষে তিনি উল্লেখ করেন, “এটা আমার শেষ লেখা হিসেবে প্রকাশিত হতে পারে।”

    ‘শেষ প্রতিবেদন’ ও নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা (Bangladesh)

    বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় বিভূরঞ্জন সরকার নিজের মোবাইল ফোন রেখে যান এবং পরিবারকে জানান (Bangladesh), তিনি পত্রিকার অফিসে যাচ্ছেন। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত ফিরে না আসায়, তাঁর পরিবার সংবাদমাধ্যমের অফিসে ফোন করে। সেখান থেকে জানানো হয়, তিনি অফিসে যাননি। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে না পাওয়ায় তার ছেলে ঋত সরকার রমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। বিভূরঞ্জন সরকারের শেষ লেখা “খোলা চিঠি” শিরোনামে bdnews24.com-এ প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি লেখেন, শেখ হাসিনা সরকারের কাছ থেকে তিনি কোনও রকম সুবিধা পাননি, অথচ তাঁকে আওয়ামী লিগপন্থী বলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি তার দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের আর্থিক অনিশ্চয়তা, নিজের এবং সন্তানের অসুস্থতার কথা লেখেন। তিনি লেখেন, “আমার জীবনে কোনও সাফল্যের গল্প নেই। এমনকি একজন সাংবাদিক হিসেবেও আমি চেষ্টা করেও কোনও শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলতে পারিনি।”

    পরিবারের দাবি হত্যা করা হয়েছে

    শুক্রবার বিকালে মেঘনা নদী (Meghna River) থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও, বিভূরঞ্জন সরকারের পরিবার দাবি করেছে—এটি আত্মহত্যা নয়, বরং তাঁকে হত্যা করা হয়েছে (Bangladesh)। রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার মাসুদ আলম জানান, “বিভূরঞ্জন সরকারের মৃতদেহ মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি কীভাবে সেখানে গেলেন, তা জানার জন্য তদন্ত চলছে।” বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের অনেকেই মনে করেন, বিভূরঞ্জন সরকার আওয়ামি লিগের সমর্থক ছিলেন। যদিও তিনি নিজে কখনও সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলীয় পদে যুক্ত ছিলেন না, তাঁর লেখালিখিতে প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে সর্বদা। এই প্রেক্ষাপটে বর্তমানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যেভাবে নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে সেক্ষেত্রে বিভূরঞ্জন সরকারের মৃত্যুকে নিছক আত্মহত্যা বলে মনে করা কঠিন হয়ে পড়ে। আজকের বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতি সহিংসতা, মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি, জমি দখল, ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক প্রচারে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তাতে এই প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক যে—এই সাংবাদিকের মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাও হতে পারে।

  • Hinduism: “হিন্দু ধর্ম থেকে আলাদা নয় হিন্দুত্ব”, যুগান্তকারী রায় ব্রিটেনের হাইকোর্টের

    Hinduism: “হিন্দু ধর্ম থেকে আলাদা নয় হিন্দুত্ব”, যুগান্তকারী রায় ব্রিটেনের হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী রায় দিল ব্রিটেনের হাইকোর্ট অফ জাস্টিস। এই মামলায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে ব্রিটেনের আদালত বলল যে হিন্দু ধর্ম (Hinduism) এবং হিন্দুত্ব হল অভিন্ন—এই দুটোকে কখনো আলাদা করা যায় না। একইসঙ্গে এক ইসলামিক কর্মী মহম্মদ হিজাবের করা মানহানির মামলাও খারিজ করল ব্রিটেনের উচ্চ আদালত। প্রসঙ্গত, মহম্মদ হিজাব মামলা করেছিল স্পেক্টেটর নামে একটি পত্রিকা এবং তার লেখক ডগলাস মুরির বিরুদ্ধে।

    হিন্দু-বিরোধীদের কাছে বড় আঘাত হানল এই রায়

    স্বাভাবিকভাবে সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা হিন্দুদের (Hinduism) এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের এই রায় মর্যাদা আনল এবং তার সঙ্গে সঙ্গে হিন্দু-বিরোধীদের কাছে বড় আঘাত হানল। কারণ, হিন্দু ধর্মের সমালোচকরা—প্রায় এদের মধ্যে অনেকে ভারতীয়—দাবি করেন যে হিন্দুত্ব নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে, হিন্দুত্বের জিকির তোলা হচ্ছে, ইত্যাদি। হিন্দুত্বকে দেখানো হয় একটা আলাদা ধরনের রাজনৈতিক ও মৌলবাদী মতাদর্শ হিসাবে, এবং হিন্দু-বিরোধীরা এই নেগেটিভ দিকটা তুলে ধরে বলতে চায় যে সনাতন ধর্ম বা হিন্দু ধর্ম থেকে হিন্দুত্ব পৃথক। কিন্তু এই রায় স্পষ্ট করল যে হিন্দুত্ব হল সনাতন ধর্মেরই অংশ। তাই স্বাভাবিকভাবে এই রায়ের প্রতিধ্বনি পৌঁছে গেছে ব্রিটেনের বাইরেও—এমনকি আমেরিকাতেও। সেখানে খুব স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন বিতর্ক ছড়ানো হয়েছে যেখানে বলা হয়, হিন্দু ধর্ম সত্যিই একটা গ্রহণযোগ্য ধর্ম এবং তার যে আধ্যাত্মিক অংশ রয়েছে, সেটাই। অন্যদিকে হিন্দুত্বকে দেখানো হয় একটা মৌলবাদী মতাদর্শ (Hinduism) হিসেবে। কিন্তু সেই সমস্ত কিছুকে নস্যাৎ করল ব্রিটেনের কোর্টের এই রায়।

    জোরালো হল পৃথিবী জুড়ে হিন্দু সংগঠনগুলির আওয়াজ

    এর সঙ্গে সঙ্গে জোরালো হল পৃথিবী জুড়ে হিন্দু সংগঠনগুলির আওয়াজ, যারা জনমানুষে হিন্দুদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরে জানাচ্ছেন—হিন্দুত্ব এবং হিন্দু ধর্ম কখনো আলাদা নয় এবং একে অপরের থেকে পৃথক করা যায় না। এর সঙ্গেই যেভাবে সারা পৃথিবী জুড়ে বুদ্ধিজীবীরা এই দুটোকে আলাদা করতে চান, তাদের মুখের উপর জবাব পড়ল। উত্তর আমেরিকায় থাকা হিন্দু সংগঠনগুলি এবং হিন্দু কর্মীদের মধ্যে প্রবল আত্মবিশ্বাসও সঞ্চার করল এই রায়—এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

    আইনি স্বীকৃতিও পেল হিন্দুত্ব (Hindutva)

    এর সঙ্গে সঙ্গে এক আইনি স্বীকৃতিও পেল হিন্দুত্ব, যেটাকে কিনা বিভিন্ন সময়ে অবমাননা করেছে—বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমের এক শ্রেণির একাংশ। শুধুমাত্র তাই নয়, বিভিন্ন বামপন্থী স্কলাররাও এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবে অনেকেই মনে করছেন, যেভাবে হিন্দুত্বকে (Hindutva) আইনত স্বীকৃতি দেওয়া হল, এর ফলে আগামী দিনে হিন্দু সংগঠনগুলি হিন্দুত্বের দাবিতে যে লড়াই লড়বে, তা অনেক সহজ হয়ে গেল। এবং সেক্ষেত্রে ব্রিটেনের এই কোর্টের রায়কে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা যাবে।

    মামলার খুঁটিনাটি

    এবার আসা যাক এই মামলাটি সম্পর্কে—যে মামলায় এই ঐতিহাসিক রায় দিল ব্রিটেনের আদালত। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্পেক্টেটর পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যার শিরোনাম ছিল Leicester and the Downside of Diversity. এই প্রতিবেদনটি লেখেন ডগলাস মুরি। এই প্রতিবেদনেই উল্লেখ করা হয় যে, লেস্টারের দাঙ্গায় মহম্মদ হিজাব জড়িত ছিল এবং বলা হয়, সে সময় সে লেস্টারে ভ্রমণ করেছিল, এবং অত্যন্ত উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখেছিল। তার নিজের বক্তব্যে হিন্দুদেরকে উপহাস করেছিল মহম্মদ হিজাব। শুধু তাই নয়, সে বলেছিল—হিন্দুরা দুর্বল, কাপুরুষ এবং তারা পুনর্জন্মে বিশ্বাস করে। তার বিরুদ্ধে এই লেখা সামনে আসতেই মহম্মদ হিজাব একটি মামলা করে, যেখানে সে দাবি করে, এক্ষেত্রে ইসলামের অবমাননা করা হয়েছে। এরপরেই, যখন ওই মামলার শুনানি শুরু হয়, তখনই আদালত মহম্মদ হিজাবকে উদ্দেশ্য করে বলে যে, সে পরিকল্পনামাফিক হিন্দুদেরকে টার্গেট করেছে, তাঁদের উপহাস করেছে এবং হিন্দুদের বিশ্বাস ও ধর্মে (Hinduism) আঘাত দিয়েছে। তখন মহম্মদ হিজাব পাল্টা যুক্তি দেয় যে সে হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে এই মন্তব্য করেছে, হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু তার এই কথা একেবারেই গ্রহণ করেনি ব্রিটেনের আদালত। এরপরেই আদালত ঐতিহাসিক রায় দেয় এবং বলে যে হিন্দুত্ব এবং হিন্দু ধর্ম কখনও পৃথক নয়। দুটোই সমান—একটিকে অপরটি থেকে কোনওভাবেই আলাদা করা যায় না।

LinkedIn
Share