Tag: বাংলা খবর

  • e-Passports: দেশজুড়ে জাল চক্র মোকাবিলা করতে এবার এল চিপ সম্বলিত ই-পাসপোর্ট, কী কী সুবিধা থাকছে?

    e-Passports: দেশজুড়ে জাল চক্র মোকাবিলা করতে এবার এল চিপ সম্বলিত ই-পাসপোর্ট, কী কী সুবিধা থাকছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ভ্রমণ হবে আরও সহজ। এবার দেশে কাগজের পাসপোর্টের বদলে এল নয়া ই-পাসপোর্ট। জানা যাচ্ছে, এই পাসপোর্টে লাগানো (e-Passports) থাকবে চিপ। ই-পাসপোর্ট ইস্যু করার পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে জাল পাসপোর্টের প্রচলন কমানো। পাসপোর্টের সঙ্গে কারসাজি, জালিয়াতি এবং জাল পাসপোর্ট তৈরির মতো অপরাধমূলক কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভারত সরকার ই-পাসপোর্ট পরিষেবা (e-Passports) চালু করে প্রযুক্তির এক নয়া যুগের সূচনা করেছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁদের ইতিমধ্যেই পাসপোর্ট রয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে নতুন ই-পাসপোর্ট নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এই পাসপোর্ট যতদিন বৈধ থাকবে ততদিন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এটি ব্যবহার করতে পারবেন। পুনর্নবীকরণের সময় এলে তখন একটি ই-পাসপোর্ট পাওয়া যাবে।

    ই-পাসপোর্ট আসলে কী

    ই-পাসপোর্ট দেখতে হচ্ছে একেবারে সাধারণ পাসপোর্টের মতোই। তবে এই ধরনের পাসপোর্টে একটি বিশেষ ধরনের মাইক্রোচিপ লাগানো থাকছে। এই চিপে থাকবে ব্যক্তিগত তথ্যের পাশাপাশি ছবি, আঙুলের ছাপ ইত্যাদি। অন্যান্য বায়োমেট্রিক বিবরণও এই চিপে সংরক্ষিত থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এইভাবেই এই তথ্যগুলি নিরাপদে এনক্রিপ্ট করা হয়েছে চিপে। অনুমোদিত স্ক্যানিং ছাড়া এই তথ্য কেউ কখনও অ্যাক্সেসও করতে পারবে না। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল এই পরিষবা চালু করা হয় পাসপোর্ট সেবা প্রকল্পের আওতায়। পাসপোর্ট পরিষেবায় প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণেই ওই পাইলট প্রকল্প চালু করে মোদি সরকার।

    কোথায় শুরু হয়েছে এই ই-পাসপোর্ট পরিষেবা

    জানা গিয়েছে, বর্তমানে ভারতের বেশ কিছু নির্বাচিত শহরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এই ই-পাসপোর্ট পরিষেবা। ১২টি শহরের পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হচ্ছে। এগুলি হল- নাগপুর, ভুবনেশ্বর, জম্মু, গোয়া, শিমলা, রায়পুর, অমৃতসর, জয়পুর, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, সুরাট এবং রাঁচি। সরকার শীঘ্রই আরও বেশ কয়েকটি স্থানে এই পরিষেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, বিদেশ মন্ত্রক ২০২৫ সালের মাঝামাঝি নাগাদ এটি সারা দেশে বাস্তুবায়নের পরিকল্পনা করেছে যাতে প্রতিটি নাগরিক এর সুবিধে পেতে পারে। জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুতে, চলতি বছরের ৩ মার্চ চেন্নাই আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট পরিষেবা শুরু হয়েছে। ২২ মার্চ পর্যন্ত, ওই রাজ্যে ২০,৭২৯টি ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে বলে খবর।

    ই-পাসপোর্টের কী কী সুবিধে

    জালিয়াতি রোধ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পাসপোর্টে থাকা চিপটি জাল করা বা নষ্ট করা একেবারেই অসম্ভব। জানা যাচ্ছে, পাসপোর্টের কভারে একটি ছোট ইলেকট্রনিক চিপ এবং অ্যান্টেনা এমবেড করা থাকে। এই চিপে ব্যক্তিগত তথ্য ও বায়োমেট্রিক বিবরণ নিরাপদে সংরক্ষিত থাকে। এরফলে এই ব্যবস্থা পাসপোর্ট সম্পর্কিত জালিয়াতি রোধ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    দ্রুত ইমিগ্রেশন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যখন কোনও ব্যক্তি ইমিগ্রেশনের মধ্য দিয়ে যায়, তখন এই চিপটি সঙ্গে সঙ্গে তথ্য দিয়ে দেবে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা আধিকারিককে। এরফলে এতে যাচাইকরণের সময়ও কমে যাবে।

    তথ্য সুরক্ষিত থাকবে  বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পাবলিক কী ইনফ্রাস্ট্রাকচার নামক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই চিপের (e-Passports) মধ্যে ব্যক্তিগত তথ্যকে সুরক্ষিত রাখা হয়। এর ফলে যে কোনও অজানা ব্যক্তি কোনওভাবেই ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাক করতে পারবে না।

    সহজে শনাক্তকরণ ই-পাসপোর্টের সামনের কভারের নিচে (Passports) একটি ছোট সোনালী রঙের প্রতীক থাকে, যা এটিকে সাধারণ পাসপোর্ট থেকে আলাদা করে।

    আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ এই পাসপোর্টগুলি আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন দ্বারা নির্ধারিত মান অনুসরণ করে তৈরি, তাই বিশ্বব্যাপী এর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

    ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন কীভাবে করবেন

    সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ই-পাসপোর্টের (e-Passports) জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া আগের মতোই রয়েছে।

    প্রথমেই এজন্য আপনাকে যেতে হবে www.passportindia.gov.in ওয়েবসাইটে। আর এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

    রেজিস্টার্ড আইডি থেকে লগ ইন করার পরে Fresh কিংবা Reissue বিকল্প বেছে নিতে হবে।

    এরপরের ধাপ হল প্রয়োজনীয় তথ্য বসিয়ে ফি জমা করা।

    এরপর নিকটবর্তী পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে। এরপর ওই পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে আসল নথিগুলি নিয়ে যেতে হবে যাচাইকরণের জন্য।

    সবশেষে আপনার ই-পাসপোর্ট পৌঁছে যাবে বাড়ির ঠিকানায়

  • Indus Waters Treaty: সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের পর চন্দ্রভাগার খাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ভারতের, আরও চাপ বাড়বে পাকিস্তানের

    Indus Waters Treaty: সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের পর চন্দ্রভাগার খাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ভারতের, আরও চাপ বাড়বে পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রভাগা নদীর ওপর খাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আরও বেশি জল ঢুকবে ভারতে। সিন্ধু চুক্তি (Indus Waters Treaty) অনুযায়ী, সিন্ধু নদের এই উপনদীর জল পাকিস্তানই ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে সিন্ধু চুক্তি স্থগিত। এই আবহে চন্দ্রভাগার খাল সম্প্রসারণের কথা ভাবা হয়েছে বলে জানিয়েছে নয়া দিল্লি। জানা যাচ্ছে, চন্দ্রভাগার ওপর এই খালটির নাম ‘রণবীর’। সেটাই সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছে নয়াদিল্লি।

    বাড়বে জল বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা (Indus Waters Treaty)

    ভারত সরকারে এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, চন্দ্রভাগা নদীর জল ভারত খুব একটা ব্যবহার করতে পারে না। সামান্য জলই পাওয়া যায়, এটি সেচের কাজেই লাগে। সিন্ধু চুক্তি স্থগিত (Indus Waters Treaty) হওয়ার পর নদীর জল আরও বেশি করে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছে ভারত। মনে করা হচ্ছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই জল ব্যবহার করা গেলে, এদেশে বিদ্যুতের চাহিদাও মিটবে। জানা যাচ্ছে, এভাবেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা আরও ৩০০০ মেগাওয়াট বৃদ্ধি করার কথা ভাবছে নয়াদিল্লি।

    রণবীর খালের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ১২০ কিলোমিটার করা হবে

    ইতিমধ্যে সমীক্ষার (Indus Waters Treaty) পরিকল্পনাও করা হয়ে গিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমাদের অন্যতম প্রধান পরিকল্পনা হল, চন্দ্রভাগার উপর রণবীর খালের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ১২০ কিলোমিটার করা। তবে এ সব কাজ তো সময়সাপেক্ষ। আমরা সকলকে বলেছি, যত দ্রুত সম্ভব প্রক্রিয়া শুরু করতে।’’ খাল সম্প্রসারণের পাশাপাশি কাঠুয়া, রবি, পরাগওয়ালের মতো খালগুলিতে পলি সরানোর কাজও শুরু হয়েছে। এতে নদীগুলির জলধারণের ক্ষমতা বাড়বে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলা হয়। এই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। সন্ত্রাসে পাকিস্তানের যোগ উঠে আসে। তখনই স্থগিত করা হয় সিন্ধুচুক্তি। প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে।

  • Operation Sindoor: সন্ত্রাসীদের সমর্থনে ব্যাটিং পাক-অভিনেতাদের! বলিউডের তিন খান কেন নেই সেনার পাশে?

    Operation Sindoor: সন্ত্রাসীদের সমর্থনে ব্যাটিং পাক-অভিনেতাদের! বলিউডের তিন খান কেন নেই সেনার পাশে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৫ জন হিন্দু পর্যটককে বেছে বেছে খুন করা হয়। হত্যা করার আগে তাঁদের নাম জিজ্ঞাসা করা হয়। ধর্ম নিশ্চিত করা হয়। নিম্নাঙ্গের পোশাক পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছিল ধর্ম নিশ্চিত করতে। নৃশংসভাবে এই হত্যালীলা চালানোর পরেও হামলা নিয়ে টুঁ শব্দটি করেননি (Operation Sindoor) বলিউডের তিন খান। তিন খানের কাছ থেকে কোনও রকমের প্রতিবাদ না আসায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে। হিন্দু পুরুষদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল পহেলগাঁওয়ে, তারপরে গর্জে উঠেছিল গোটা দেশ। সারা দেশ সহানুভূতি জানিয়েছিল। সমবেদনা জানিয়েছিল। সেই ভুক্তভোগী পরিবারগুলিকে কোনওরকমের সমবেদনা জানায়নি কিন্তু তবু এত কিছুর মাঝেও আশ্চর্যজনকভাবে চুপ থেকেছে বলিউডে (Bollywood) তিন খান। অতীতের যে কোন ইস্যুতে যাঁরা আওয়াজ তুলেছেন। গলা ফাটিয়েছেন, তাঁদের এই নীরবতাতে অনেক প্রশ্নই সামনে আসছে।

    ১৯৪৮ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে অর্থ সংগ্রহ করে পাকিস্তান

    তবে ১৯৪৮ সালে যখন ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বাঁধে, তখন রাজ কাপুর, আইএস জোহর, গীতা বালি, নার্গিস, কামিনী কৌশলের মতো অনেক বড় অভিনেতারা ভারতকে শক্তিশালী করার জন্য তারা অর্থ সংগ্রহ নেমেছিলেন। ১৯৬২ ও ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের কিশোর কুমার, সুনীল দত্ত, নার্গিস, লতা মঙ্গেশকর, ওয়াহিদা রেহমান এনারাও (Bollywood) ভারতের সৈন্যদলের মনোবল বাড়িয়ে ছিলেন এবং তাঁরা সেই সময় অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন সেনার জন্য।

    ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও অর্থ সংগ্রহ করে বলিউড

    একই চিত্র সামনে এসেছিল ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও। এই সময়ে কিশোর কুমার, শাম্মি কাপুর, লতা মঙ্গেশকর, ওয়াহিদা রহমান, কল্যাণজি-আনন্দজি, নার্গিসের মতো অভিনেতারা বাংলাদেশের জন্য ত্রাণ কমিটি গঠন করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে বলিউডের তারকাদের (Operation Sindoor) মধ্যে এতটাই ক্ষোভ ছিল যে নানা পাটেকার সৈন্যদের সমর্থন করতে সরাসরি গিয়েছিলেন সেখানে।

    ২০২৫ সালে নিশ্চুপ থেকেছে বলিউড

    এবার আমরা যদি ২০২৫ সালের দিকে তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। আহত হন আরও অনেকেই। এমন সময় ভারতবর্ষের (Operation Sindoor) বলিউডের অভিনেতারা এনিয়ে কোনও বাক্য ব্যয় করেন নি। তাঁরা নিজেদের কাজেই মনোনিবেশ করেছেন। এরাই সেই বলিউড অভিনেতা, যাঁরা ২০১৮ সালে কাঠুয়া মামলায় গলায় প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে ছবি তুলেছিলেন কিন্তু চুপ রয়েছেন পহেলগাঁওকাণ্ডে। বলিউড অভিনেতারা দেশের জন্য দুটি লাইন লিখতে পারেননি।

    পাকিস্তানের অভিনেতারা দেশের পাশেই

    অন্যদিকে পাকিস্তানের নামী অভিনেতারা, তাঁদের দেশের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন। এঁদের মধ্যে অনেক অভিনেতা আবার ভারতে কাজও করেছেন। যেমন ‘সনম তেরি কসম’- এই ছবির মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়েছিলেন যাঁরা সেই ফাওয়াদ খান, হানিয়া আমির, মাহিরা খানরা ভারতকে কাপুরুষ বলেও তোপ দেগেছেন। সবথেকে আশ্চর্যজনক কথা হল, পাকিস্তানি এই অভিনেতাদের ভারতেও প্রচুর ভক্ত রয়েছেন। তার চেয়েও আশ্চর্যজনক কথা হল, বলিউডের অভিনেতারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি।

    ছবির প্রচারে জন্য ভারতের প্রশংসা করছে আমির খানের টিম!

    একইভাবে আমির খানও দীর্ঘদিন চুপ করে ছিলেন। কিন্তু তাঁর নতুন ছবি আসছে ‘সিতারে জামিন পর’। এই আবহে দিন কয়েক আগে তাঁর টিম ভারতের প্রশংসা করতে শুরু করে। একই পথে হেঁটেছেন তুষার কাপুরও। নিজের সিনেমার প্রচারের জন্য সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় তাঁকে তুরস্কের বয়কট সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তবে তা তিনি এড়িয়ে যান। তবে শুধু এটুকু বলেন যে ভারতের সঙ্গে তিনি আছেন।

    যুদ্ধ বিরতি নিয়ে পোস্ট, নেটিজেনদের ক্ষোভের মুখে পড়েন সলমন

    অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা হতেই বলিউড অভিনেতা সলমন খান অভিনন্দন জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন। এনিয়ে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এরপরই তিনি টুইট ডিলিটও করেন। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে মুখে কোনও কথা না বললেও যুদ্ধ বিরতিতে সরব হন সলমন। এক্স হ্যান্ডেলে সলমন খান লেখেন, ‘‘সংঘর্ষবিরতির জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।’’ এরপরই এক্স ব্যবহারকারীদের একাংশ অভিনেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের দাবি, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অভিনেতা। এখন সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে হঠাৎ কেন প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন? ‘‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে একটাও টুইট নেই কেন?’’, ‘‘আপনি অপারেশন সিঁদুর নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটাও কথা বলেননি!’’, এমন অনেক মন্তব্য আসতে থাকে তাঁর পোস্টের কমেন্ট বক্সে।

  • Operation Sindoor: মোদির নেতৃত্বে এককাট্টা দেশ, বিদেশে পাক-সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সরব হবেন সব দলের সাংসদরা

    Operation Sindoor: মোদির নেতৃত্বে এককাট্টা দেশ, বিদেশে পাক-সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সরব হবেন সব দলের সাংসদরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের মদত দেয় পাকিস্তান (Pakistan), এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে এবিষয়ে জোরদার প্রচার চালাবে নয়াদিল্লি। দেশের সব রাজনৈতিক দলের সাংসদদের নিয়ে কেন্দ্র তৈরি করেছে বিশেষ দল। জানা গিয়েছে, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এনিয়ে বিরোধী সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সূত্রের খবর, যোগাযোগ করা হয়েছে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর এবং সলমান খুরশিদ, এনসিপি (এসপি) এর সুপ্রিয়া সুলে, টিএমসির সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, এআইএমআইএম-এর আসাদুদ্দিন ওয়েইসি, ডিএমকে-র কানিমোঢ়ি এবং বিজেপির বিজে পান্ডার সঙ্গে। বিদেশের বিভিন্ন সরকারের কাছে গিয়ে তাঁরা পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলা, তার পরে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) সমতে সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং ভারতের অবস্থান তুলে ধরবে ওই বিশেষ দল।

    ২২ মে-এর পর শুরু হবে এই বিদেশ সফর

    সূত্রের খবর, ২২ মে-এর পর শুরু হবে এই বিদেশ সফর (Operation Sindoor)। এই সফরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে। বিভিন্ন দলের সাংসদদের কাছে ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি প্রতিনিধি দলে ৫ থেকে ৬ জন করে সাংসদ থাকবেন। তাঁরা আমেরিকা, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সহ নানা দেশে সফর করবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে এনডিএ সাংসদরাই থাকবেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরই সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্রীয় সরকার

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরই সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যে কোনও পদক্ষেপে কেন্দ্রের পাশে থাকার কথা জানিয়ে দেন বিরোধী সাংসদরা। এরপরেই শুরু করা হয় অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। পরে ১০ মে সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা করে ভারত-পাকিস্তান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেই পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দেওয়া হয়। বাতিল করে দেওয়া হয় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসাও।

  • Balochistan: স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল বালোচিস্তান, ফের প্রচারের আলোয় হিংলাজ মাতার মন্দির

    Balochistan: স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল বালোচিস্তান, ফের প্রচারের আলোয় হিংলাজ মাতার মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল হয়েছে পাকিস্তানের বালোচিস্তান (Balochistan)। এই আবহে ফের একবার প্রচারের আলোয় উঠে এসেছে হিংলাজ মাতার মন্দির এবং কাটাস রাজ মন্দির। বালোচিস্তানের বিদ্রোহীরা তাঁদের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে একপ্রকার পাকিস্তানের সেনা ও সরকারকে কোণঠাসা করে ফেলেছেন। পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন বালোচিস্তানের হাজার হাজার মানুষ। বালোচিস্তানের এই দুই প্রাচীন মন্দিরের সঙ্গেই ভারতের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক এক পুরনো সম্পর্ক রয়েছে।

    বালোচিস্তানের লাসবেলা জেলায় অবস্থিত হল হিংলাজ মাতার মন্দির

    পাকিস্তানের বালোচিস্তানের (Balochistan) লাসবেলা জেলায় অবস্থিত হল হিংলাজ মাতার মন্দির। এই মন্দির হিন্দুদের একান্ন শক্তি পীঠের অন্যতম বলে মানা হয়। হিংলাজ মাতার মন্দির হিংলাজ শক্তিপীঠ নামে পরিচিত। হিন্দু ধর্ম অনুসারে বালোচিস্তানের এই শক্তি পীঠেই মাতা সতীর মস্তক পড়েছিল। এমনটাই ভক্তদের বিশ্বাস। হিঙ্গল নদীর তীরে অবস্থিত এই মন্দির হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান। এই মন্দির সিন্ধি এবং বালোচিস্তানে বসবাসরত হিন্দু সমাজের কাছে অত্যন্ত ভক্তির জায়গা। শুধু তাই নয়, বালোচিস্তানে (Balochistan) বসবাসরত মুসলমানদের একাংশের কাছেও হিংলাজ মাতার মন্দির নানি পীর বলে পরিচিত।

    পাঞ্জাব প্রদেশের চকোয়ালে অবস্থিত হল কাটাস রাজ শিব মন্দির

    একইভাবে পাকিস্তানের (Pakistan) পাঞ্জাব প্রদেশের চকোয়ালে অবস্থিত হল কাটাস রাজ শিব মন্দির। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান বলে পরিচিত এই মন্দির ফের একবার প্রচারের আলো উঠে এসেছে। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মন্দির ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। এখানেই সতীদাহের সময় ভগবান শিবের অশ্রু পড়েছিল। এই স্থানে রয়েছে একটি পবিত্র জলাশয়। শুধু তাই নয়, কাটাস রাজ শিব মন্দিরের অন্য গুরুত্বও রয়েছে বলে জানাচ্ছেন ঐতিহাসিকরা। প্রাচীন ভারতবর্ষে এই মন্দিরই হিন্দু ধর্মের শিক্ষা এবং দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল বিশ্বাস করা হয়। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, পাণ্ডবরা তাঁদের অজ্ঞাতবাসের সময় এখানে এসেছিলেন। শুধু তাই নয়, আদি গুরু শংকরাচার্য এই মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। কাটাস রাজ শিব মন্দিরের গঠনে হিন্দু এবং বৌদ্ধ রীতির মিশ্রণ দেখা যায়। পাকিস্তানে হিন্দুদের (Balochistan) জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হিসেবে আজও রয়ে গিয়েছে। যদিও দেশভাগের পরবর্তীকালে এই মন্দিরে পুজো না করতে দেওয়ার অনেক অভিযোগ সামনে এসেছে।

  • Balochistan: বালোচিস্তানে গণবিদ্রোহ! ভারতকে রক্তাক্ত করার নীতিই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছে পাকিস্তানে

    Balochistan: বালোচিস্তানে গণবিদ্রোহ! ভারতকে রক্তাক্ত করার নীতিই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছে পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের পাপের ফল ভোগ করছে পাকিস্তান (Pakistan)! বিগত কয়েক দশক ধরেই পাকিস্তানের একটাই নীতি, সেটা হল ভারতকে আঘাত করা এবং রক্তাক্ত করা। পাকিস্তান এই নীতিকে বাস্তবায়িত করতে সন্ত্রাসকে তোষণ করছে। জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে। সে দেশে প্রকাশ্যেই সদর দফতর খুলে বসে আছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। তাও সেনাবাহিনীর নাকের ডগায়। বিগত কয়েক দশক ধরেই এই জঙ্গিদের ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়া যুদ্ধ চালাচ্ছে পাকিস্তান। ভারতের দুই সীমান্তবর্তী রাজ্য জম্মু-কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবে ধর্মীয় তথা রাজনৈতিক অস্থিরতাকে উস্কানি দেওয়ার লক্ষ্যে এই কাজ করে আসছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তান যখন ভারতে আঘাত হানার চেষ্টা চালাচ্ছে, তখন তারা কখনও ফিরে দেখেনি তাদের নিজের বাড়ির উঠোনেই বিচ্ছিন্নতাবাদের আগুন জ্বলে উঠছে। আয়তনের দিক থেকে পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ হল বালোচিস্তান। এই প্রদেশের গণবিদ্রোহে বর্তমানে পাকিস্তানের সেনা ও সরকার একেবারে বিপর্যস্ত। সে দেশের সরকারের কাছে এখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বালোচিস্তানের গণবিদ্রোহ (Balochistan)।

    ১৯৪৮ সালে জোর করে বালোচিস্তান (Balochistan) দখল করে পাকিস্তান

    ১৯৪৮ সালের বালোচিস্তান পাকিস্তানের অংশ হয়ে ওঠে। একপ্রকার জোর করে বালোচিস্তানকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সে সময়ে বালোচিস্তান প্রদেশের বেশ কিছু প্রভাবশালী উপজাতি নেতা ছিলেন, যাঁরা তাদের এই প্রদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে চেয়েছিলেন। তবে, তাঁদের সেই চাওয়া এবং দাবিকে কোনও মূল্যই দেয়নি পাকিস্তানের (Pakistan) তৎকালীন রাজনৈতিক নেতারা। এক প্রকার জোর করে বালোচিস্তানের ওপরে নিজেদের কর্তৃত্ব চাপায় পাকিস্তান সরকার। বালোচিস্তান (Balochistan) যেন প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ এক ভূমি। কী নেই এখানে! গ্যাস, কয়লা, তামা, সোনা সমস্ত কিছুই। প্রদেশের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, পাকিস্তান কখনও এই প্রদেশকে তার প্রাপ্যটুকু দেয়নি। তার মূল্য দেয়নি। দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চনা করা হয়েছে প্রদেশের মানুষদের সঙ্গে। তাঁরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পিছিয়ে গিয়েছে বালোচিস্তান। কোনও উন্নয়ন পৌঁছায়নি প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ এই প্রদেশে।

    পাকিস্তানি সেনার করুণ অবস্থা সামনে এসেছে গণবিদ্রোহে (Balochistan)

    খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধশালী এই অঞ্চলের জনগণের ক্ষোভ তাই পুঞ্জীভূত হতে থাকে। পাকিস্তান সম্পদ সমৃদ্ধ বালোচিস্তানকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনা করায় সেখানকার মানুষজন হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বাধ্য হয়। তাঁরা বলতে থাকেন, ইসলামাবাদ বিগত কয়েক দশক ধরে যে গৃহীত নীতি অনুসরণ করে চলেছে তা বালোচিস্তানের বিরুদ্ধে গিয়েছে। তার বিরুদ্ধেই তারা এই অস্ত্র হাতে নিয়েছে। ভারতকে রক্তাক্ত করতে গিয়ে পাকিস্তান এখন নিজের দেশেই পিছু হঠছে। বালোচ বিদ্রোহীদের হাতে পাকিস্তানের সেনাকেও যেন অসহায় লাগছে। পাকিস্তানি সেনার কনভয়গুলিতে লাগাতার আক্রমণ, বোমা হামলা, পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা, অতর্কিত হামলা- এই সমস্ত কিছুতেই অসহায় হতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানকে। কড়া হাতে বিদ্রোহ দমন করতে চেয়েছে ইসলামাবাদ। তবে উলটে বালোচ বিদ্রোহীরা যেন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি, বালোচিস্তানের প্রায় ৫১ জায়গায় পাক সেনার উপরে ৭১টি হামলা চালিয়েছে তারা। বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির সঙ্গে রয়েছে গোটা প্রদেশের জনসমর্থন। অনেক চেষ্টা করেও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বিদ্রোহীদের।

    ২০০০ সাল থেকে বালোচ বিদ্রোহীরা সেনা ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে থাকে

    দীর্ঘদিন ধরে লাগাতার বালোচিস্তানের মানুষদের প্রতি পাকিস্তান সরকারের এমন বঞ্চনা, বিদ্রোহে পরিণত হয় ২০০০ সালে। ওই বছরেই বালোচিস্তানের বিদ্রোহীরা তাদের নিকটবর্তী স্থানগুলির সেনাঘাঁটিগুলিতে হামলা চালায়। এরপর ২০০৬ সালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বালোচিস্তান উপজাতি গোষ্ঠীর নবাব আকবর বুগদিকে হত্যা করে। এতেই বিদ্রোহের আগুন জ্বলতে শুরু করে। বিদ্রোহ দমনের নামে তারপর থেকেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী শয়ে শয়ে যোদ্ধাকে হত্যা করতে থাকে। তাঁদেরকে নির্যাতন করতে থাকে। বিদ্রোহীদের অপহরণ করতে থাকে পাকিস্তানি সেনা। সেনাবাহিনীর এমন কর্মকাণ্ডে বালোচিস্তান মানুষদের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। ২০২৫ সালে যা ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে বালোচিস্তান।

    প্রতীকী স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন বালোচ নেতারা, সমাজমাধ্যমে ভাইরাল জাতীয় পতাকা

    পাকিস্তান সরকারের এমন সন্ত্রাসের অভিযোগে বালোচিস্তান নেতারা বিগত কয়েক দশক ধরেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথাটি উল্লেখ করে আসছেন। তাঁরা বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চের দৃষ্টিও আকর্ষণ করছেন। পাকিস্তান থেকে ইতিমধ্যে স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করেছেন তাঁরা। সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের প্রস্তাবিত জাতীয় পতাকা। এর পাশাপাশি স্বাধীন বালোচিস্তান রাষ্ট্রের মানচিত্রও দেখা গিয়েছে। বালোচিস্তান প্রজাতন্ত্র নামে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি। এ নিয়ে বালোচিস্তানের অন্যতম নেতা তথা লেখক মীর ইয়ার বালুচ বলেন, ‘‘পাকিস্তান অধিকৃত বালোচিস্তানের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। বালোচিস্তান (Balochistan) পাকিস্তানের অংশ নয়।’’ নিজের সমাজ মাধ্যমের পোস্টে মীর ইয়ার বালুচ রাষ্ট্রসংঘের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বালোচিস্তানকে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার জন্য। ১৯৪৮ সালের পাকিস্তান জোর করে বালোচিস্তান দখল করার পর থেকেই এই সমস্যা চলছে বলেও জানিয়েছেন মীর ইয়ার বালুচ। তাঁর মতে, ‘‘এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ, বিশেষ করে গ্যাস-খনিজ এই সমস্ত কিছুই ইসলামাবাদ লুট করছে। বালোচিস্তানের স্থানীয় জনগণকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ওই কারণে পাকিস্তানের সবচেয়ে দরিদ্র প্রদেশ হিসেবেই রয়ে গিয়েছে বালোচিস্তান।’’ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বালোচিস্তানের পতাকা ও মানচিত্র হাতে সাধারণ মানুষের ছবিও পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে মীর ইয়ার বালুচকে।

    বালোচিস্তানের জনগণ চালাচ্ছে একটি Government in Exile! সরকারের মহিলা প্রধানমন্ত্রী নাইলা কাদরি

    সাবেক বালোচিস্তানের একটা বড় অংশ যেমন পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত, আরও দুটি অংশ ঢুকে আছে, আফগানিস্তান ও ইরানের মধ্যে! তবে এখন পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশের নাম বালোচিস্তান, পাকিস্তানের মোট আয়তনের ৪৩ শতাংশ। এক লাখ একত্রিশ হাজার ৫৪৫ বর্গ মাইল! ঐতিহাসিকদের মতে, ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট থেকে ১৯৪৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বালোচিস্তানের পার্লামেন্ট পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিরোধিতা করে! কিন্তু ১৯৪৮ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বালোচিস্তান জবরদখল করে! তবে অনেক বছর ধরেই বালোচিস্তানের জনগণ চালাচ্ছে একটি Government in Exile! সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী একজন মহিলা! তাঁর নাম নাইলা কাদরি! যাঁকে ইতিমধ্যেই বিতারিত করা হয়েছে দেশ থেকে! এই বালোচ নেত্রী পাকিস্তানের অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির জন্য জাতিসংঘ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমর্থনও চেয়েছেন। পেশায় অধ্যাপিকা নইলা কাদরি বিশ্বাস করেন, একমাত্র সনাতনী ভারতের সঙ্গে পুরান সাংস্কৃতিক যোগাযোগ আছে বালোচবাসীর! বালোচবাসীর মধ্যে হিন্দু আছেন শিখ আছেন মুসলিম আছেন, সকলে বালোচ পরিচয়ে আছেন! ধর্মের পরিচয়ে নেই! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বালোচিস্তান, যা একসময় একটি স্বাধীন দেশ ছিল, তা এখন পাকিস্তানের অবৈধ দখলে রয়েছে!

  • Supreme Court: সুপ্রিম নির্দেশে চাপে মমতা সরকার, চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারি কর্মীদের দিতে হবে ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ

    Supreme Court: সুপ্রিম নির্দেশে চাপে মমতা সরকার, চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারি কর্মীদের দিতে হবে ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে ব্যাপক চাপে মমতা সরকার। দীর্ঘদিন ধরেই বকেয়া ডিএ-র আবেদন জানিয়ে আন্দোলন করছেন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) সরকারি কর্মীরা। ডিএ মামলায় শুক্রবার শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বলে, অন্তত ৫০ শতাংশ বকেয়া ডিএ দিয়ে দিতে হবে রাজ্যকে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘‘এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। আমি কিছু প্রতিশ্রুতি দিতে পারছি না আমার কর্মীদের। এত টাকা দিলে আমরা চালাতেই পারব না।’’ এরপরেই সুপ্রিম কোর্ট জানায়, অন্তত ২৫ শতাংশ ডিএ দিতেই হবে। একইসঙ্গে চার সপ্তাহের মধ্যে এই টাকা মেটানোর নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন অগাস্ট মাসে ধার্য করা হয়েছে।

    কী বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)

    বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে ছিল এদিনের ডিএ মামলার শুনানি। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতিরা এদিন বলেন, ‘‘আমরা সব রায় দেখেছি। হাইকোর্টের দু’জন বিচারপতি টাকা দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। এটা সত্যি, যে এটা কোনও অধিকার নয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে টাকা দেব না। অন্তত ২৫ শতাংশ দিন।’’ প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর রাজ্যের ডিএ মামলা প্রথম বারের জন্য সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। এরপর ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বরের পর থেকে বার বার এই সংক্রান্ত শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। মোট ১৮ বার শুনানি পিছিয়ে যায়। অবশেষে শুক্রবার মামলাটি ওঠে শীর্ষ আদালতে।

    সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়েছিল রাজ্য, রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত (Supreme Court)

    জানা গিয়েছে, ডিএ মামলায় আগামী সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়েছিল রাজ্য সরকার (West Bengal)। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই সময় দিতে কোনওভাবেই রাজি হয়নি। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ওই টাকা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৫৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পান, রাজ্য সরকারি কর্মীরা পান ১৮ শতাংশ ডিএ। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের কর্মীদের তফাৎ ৩৭ শতাংশ।

    শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দু অধিকারী

    শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এই নির্দেশ পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি বিশাল জয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ডিএ কারও অধিকার নয়। সুপ্রিম নির্দেশে সিলমোহর পড়ল যে, ডিএ কর্মচারীদের অধিকার। আশা করব, সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘ দিন বঞ্চিত রাখার নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে তিনি পদত্যাগ করবেন।’’ ডিএ আন্দোলনের অন্যতম মুখ ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘‘৫০ শতাংশ দিতে বলা হয়েছিল রাজ্যকে। কিন্তু রাজ্য তাতে রাজি হয়নি। অথচ এর থেকে অনেক বেশি খরচ করা হয় রাজ্যের অন্যান্য প্রকল্পে।’’ তবে এই নির্দেশকে আন্দোলনের নৈতিক জয় বলে মনে করছেন ভাস্কর ঘোষ।

  • BrahMos Missiles: ড্রাগনকে শুঁড়ে জড়াচ্ছে হাতি! চিনকে বাগে আনতে চাই ব্রহ্মোস, আওয়াজ উঠছে দক্ষিণ চিন সাগরে

    BrahMos Missiles: ড্রাগনকে শুঁড়ে জড়াচ্ছে হাতি! চিনকে বাগে আনতে চাই ব্রহ্মোস, আওয়াজ উঠছে দক্ষিণ চিন সাগরে

    সুশান্ত দাস

     

    গত এপ্রিল মাসে, ভারতে তৈরি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missiles) ভর্তি দ্বিতীয় বিমানটি ফিলিপিন্সে অবতরণ করে। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারত প্রত্যাঘাত করতে পারে এমন আশঙ্কা করে চিন যখন পাকিস্তানে অস্ত্র সরবরাহ করছিল, ঠিক সেই সময়ই ফিলিপিন্সে ব্রহ্মোস নিয়ে পৌঁছয় ভারতের বিমানটি। ভারতের থেকে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র কেনার চুক্তি করেছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার (South-East Asia) এই দ্বীপপুঞ্জ-রাষ্ট্রটি। এর মধ্যে গত বছর এপ্রিল মাসে ব্রহ্মোসের প্রথম ব্যাচ সরবরাহ করা হয়েছিল। এবার পাঠানো হল দ্বিতীয় ব্যাচ।

    পথ দেখাল ফিলিপিন্স

    ভারতের থেকে ফিলিপিন্সের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missiles) কেনার সিদ্ধান্ত নিছক কোনও ছোটখাটো বিষয় নয়। এর প্রধান দুটি ইতিবাচক দিক রয়েছে, অবশ্যই ভারতের দিক দিয়ে। এক, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকারের নীতি অনুসারে দেশীয় অস্ত্র রফতানি করা হল। দুই, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (South-East Asia) চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ফলে তৈরি হওয়া বিপদের ওপর রাশ টানার একটা গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত পন্থা হাতে পেল ভারত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ফিলিপিন্স ভারতের থেকে ব্রহ্মোস কেনার সাহস দেখিয়েছে। বাকিরা হয়ত মনে মনে চাইলেও, প্রকাশ্যে বলতে ভয় পাচ্ছিল। কারণ, গোটা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ভারত বাদে চিনকে চোখরাঙানি দেওয়া দূর, চিনের চোখে চোখ রেখে কথা বলার ঔদ্ধত্য কিছুদিন আগে পর্যন্ত কেউ দেখানোর সাহস পেত বলে মনে হয় না। সেক্ষেত্রে ফিলিপিন্স ভারতের থেকে ব্রহ্মোস (BrahMos Missiles) কিনে সেই ভীতি অতিক্রম করে। তারা পথ দেখিয়েছে। বাকিরা সেই সাহস পেল সদ্যসমাপ্ত ভারত-পাক সংঘাতের পর।

    চিনের মায়াজাল ছিন্নভিন্ন

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। এই একটা নাম পাকিস্তানের হাল এমন বেহাল করে ছেড়েছে, যে তার আওয়াজ ইসলামাবাদ থেকে ছাড়িয়ে শোনা যাচ্ছে বেজিংয়েও। ভারতীয় সেনার এই সামরিক অভিযানে শুধু পাকিস্তান বেআব্রু হয়েছে, তাই নয়। বিশ্বের দরবারে ধসে গিয়েছে চিনা অস্ত্রের গরিমাও। এতদিন চিন তাদের অস্ত্রসম্ভারের বিপণন করে বিশ্বের কাছে যে মায়াজাল বুনেছিল, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missiles) ও ড্রোনের হামলা কার্যত তাকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। চিন এতদিন নিজের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সকলকে (বিশেষ করে দক্ষিণ চিন সাগর ও লাগোয়া অঞ্চলে অবস্থিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াভুক্ত রাষ্ট্রগুলি) ভীতি প্রদর্শন করে দমিয়ে রাখত। কিন্তু, পাকিস্তানে চিনা এয়ার-ডিফেন্স থেকে শুরু করে চিনা যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে, তাতে সকলের সংবিৎ ফিরেছে। চিনা বস্তু নিয়ে ভারতে প্রবলভাবে জনপ্রিয় একটা শব্দবন্ধ রয়েছে— ‘চাইনিজ প্রোডাক্ট’। এক এক করে এই দেশগুলিও তা উপলব্ধি করছে।

    ভারতীয় অস্ত্রের বৈপ্লবিক উত্থান

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর বদলে যায় গোটা প্রেক্ষাপট। একদিকে যেমন চিনা অস্ত্রের মুখোশ খুলে যায়। অন্যদিকে, বিশ্বের দরবারে ভারতীয় অস্ত্রের বৈপ্লবিক উত্থান। তারা একটা বিষয় সকলে বুঝে গিয়েছে। চিনকে বাগে আনতে হলে, চিনা প্রভাব খাটো করতে হলে, ভারতের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-কে (BrahMos Missiles) ঘরে তুলতেই হবে। তাই কালবিলম্ব না করে, ফিলিপিন্সের মতো ভারতের দুয়ারে লাইন দিতে শুরু করে দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার (South-East Asia) একের পর এক দেশ। কে নেই! তালিকায় রয়েছে— ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর। সকলেই ব্রহ্মোস কেনার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। হয়ত আগামীদিনে এই অঞ্চলের আরও দেশ ভারতের শরণাপন্ন হবে। ভারতের থেকে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missiles) কিনতে চাইবে। ফলে যেটা শুরু হয়েছিল ফিলিপিন্স দিয়ে, এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা অঞ্চলে।

    চিনা অত্যাচারের শিকার

    এই দেশগুলির মধ্যে একটা বিষয় কমন বা অভিন্ন। তা হল, এরা সকলেই দক্ষিণ চিন সাগর এলাকায় চিনের নীপিড়ন-অত্যাচারের শিকার। চিনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, দমন করার নীতি, শোষণের স্বভাব, জবরদখলের ইতিহাস— এরা সকলেই তার সঙ্গে পরিচিত। সামরিক শক্তি দেখিয়ে চিন সাগর অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে গা-জোয়ারি করে আসছে চিন। ফলে বাধ্য হয়ে মুখ বন্ধ করে, মাথা নিচু করে থাকতে হতো সকলকে। তারা সকলেই চিনের ওপর বীতশ্রদ্ধ। কিন্তু, ভারতের হাতে পাকিস্তানের পরাজয় চিনকে মাটিতে আছড়ে ফেলেছে।

    ভারতের তুরুপের তাস

    ভারতও চিনের এই নীতির সঙ্গে ভালোভাবেই অবগত। চিন এতদিন এইভাবেই ভারতকে চারদিক দিয়ে ঘেরার চেষ্টা চালিয়েছে। চিনের এই কৌশলের নাম ‘স্ট্রিং অফ পার্লস’ বা মুক্তোমালা। এখন চিনকে মোক্ষম সবক শেখাতে চাইছে ভারত। তাই, চিনা দমনের শিকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি হতে পারে ভারতের তুরুপের তাস। আর প্রধান হাতিয়ার ব্রহ্মোস (BrahMos Missiles)। তবে অস্ত্র নিক্ষেপ নয়, অস্ত্র বেচে এই কাজ হাসিল করতে উদ্যোগী ভারত। বেজিংকে শিক্ষা দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (South-East Asia) ভারসাম্য আনার চেষ্টায় নয়াদিল্লি। ধীরে ধীরে নিঃশব্দে ‘ড্রাগন’কে (চিনের প্রতীক) তার শুঁড়ে পেঁচিয়ে নিতে শুরু করেছে ‘হাতি’ (ভারতের প্রতীক)।

  • Operation Sindoor: সফল অপারেশন সিঁদুর! প্রতিরক্ষা খাতে ৫০ হাজার কোটি বরাদ্দ বাড়াচ্ছে মোদি সরকার

    Operation Sindoor: সফল অপারেশন সিঁদুর! প্রতিরক্ষা খাতে ৫০ হাজার কোটি বরাদ্দ বাড়াচ্ছে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) সাফল্যে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ আরও ৫০ হাজার কোটি বাড়তে চলেছে। এমনটাই জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে। পাক আক্রমণ প্রতিহত করতে এস-৪০০ সহ অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের ভূমিকাও (Indian Defence Budget) দেখেছে সারা বিশ্ব। ভারতের একাধিক শহরকে পাকিস্তানের সেনা টার্গেট করলেও এদেশের দুর্ভেদ্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে তাদের আক্রমণ। এই আবহে ভারতীয় সেনাকে আরও শক্তিশালী করতে চায় মোদি সরকার। সেই লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা খাতে বাড়তি ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    সেনার আধুনিকীকরণ, গবেষণা এবং আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কেনার কাজে ব্যবহার হবে বরাদ্দ

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভায় এসংক্রান্ত প্রস্তাব পাশ হয়েছে। সংসদের আসন্ন অধিবেশনে এটা নিয়ে বিল আনা হবে (Indian Defence Budget)। জানা যাচ্ছে, প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ অতিরিক্ত ৫০ হাজার কোটি টাকা সেনার আধুনিকীকরণ (Operation Sindoor), গবেষণা এবং আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কেনার কাজে ব্যবহার করা হবে।

    চলতি বছরেই প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো হয়েছিল ৯.২ শতাংশ

    চলতি বছরেই প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো হয়েছিল ৯.২ শতাংশ। ২০২৪ সালে প্রতিরক্ষা বাজেটে মোদি সরকার বরাদ্দ করেছিল ৬ লক্ষ ২২ হাজার কোটি। ২০২৫ সালে তা বাড়িয়ে ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অর্থ মূল বাজেটের ১৩ শতাংশ বলে জানা যাচ্ছে। এবার সেটা আরও বাড়তে চলেছে খবর। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতিরক্ষা খাতে (Operation Sindoor) বাড়তি নজর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪-১৫ সালে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল ২.২৯ লক্ষ কোটি টাকা। বর্তমান বরাদ্দ তার প্রায় তিনগুণ।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পরেই অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতের সেনাবাহিনী। খতম হয় শতাধিক জঙ্গি। এরপরে সন্ত্রাসের বুকে আঘাত হানতেই সক্রিয় হয় জঙ্গিদের মদতদাতা পাকিস্তান। পালটা হামলা চালানোর চেষ্টা হয় ভারতের উপর। কিন্তু ভারতের উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই হামলা রুখে দেয়। অন্যদিকে, ভারতের পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের বায়ুসেনা ঘাঁটি-সহ অন্তত ১১টি সেনাঘাঁটি ধ্বংস হয়।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর! নতুন উচ্চতায় রাফালের শেয়ার, ধস চিনা যুদ্ধবিমানের স্টকে

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর! নতুন উচ্চতায় রাফালের শেয়ার, ধস চিনা যুদ্ধবিমানের স্টকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানকে (Operation Sindoor) দুরমুশ করতেই বড় ধস নামল চিনা জে-১০ যুদ্ধবিমানের স্টকে। অন্যদিকে বাড়ল রাফালের (Rafale) শেয়ার দর। অনেকেই মনে করছেন, এতেই পরিষ্কার হল ভারতের অপারেশন সিঁদুর ঠিক কতটা সফল! অন্যদিকে, ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থারও ব্যর্থতাও সামনে আনল। অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে গিয়ে রাফালের ভয়ঙ্কর আঘাত যেমন আলোচনায় উঠে এসেছে। একইভাবে চর্চায় রয়েছে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স। ভারতের দূর্ভেদ্য বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের আকাশই ধ্বংস করে দেয় চিনের তৈরি যুদ্ধ সরঞ্জাম। এই আবহে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ভারত পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতেই চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থা অ্যাভিক চেংডু এয়ারক্রাফ্ট কোম্পানির স্টকে ১২ শতাংশ পতন দেখা গেল। একইসঙ্গে লক্ষ্মীলাভ হল রাফালের।

    মোদির ভাষণের পরেই চিনা সংস্থার শেয়ারের দাম দ্রুত গতিতে নেমেছে

    ভারতের বিরুদ্ধে এই কোম্পানির জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছিল পাকিস্তান। এবার এতেই দেখা গিয়েছে বড় ধস। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনা সংস্থার শেয়ার আরও নীচে নামতে পারে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতার (Operation Sindoor) পরই এই শেয়ারের দাম দ্রুত গতিতে নেমেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। ভারত যে যুদ্ধ জিতেছে তা এবার প্রতিফলিত হল শেয়ার বাজারের দরেও। সামনে এল চিনা যুদ্ধ সরঞ্জামের বেআব্রু অবস্থা।

    রাফালের লক্ষ্মীলাভ (Operation Sindoor)

    প্রসঙ্গত, রাফাল যুদ্ধবিমান হল বিশ্বের প্রথমসারির ফাইটার জেটগুলির মধ্যে অন্যতম। ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশন এই যুদ্ধবিমান তৈরি করে। অপারেশন সিঁদুরে এই যুদ্ধবিমানই (Operation Sindoor) ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা। পাক-ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে ঢুকতে আঘাত হানে এই যুদ্ধ বিমান। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিখুঁত আক্রমণ করে। তার পর থেকেই রাফালের অসামান্য দক্ষতা নিয়ে আলোচনা চলছে আন্তর্জাতিক মহলে। এই পরিস্থিতিতেই দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ার দর লাফিয়ে বাড়ছে। তা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারত ও পাকিস্তানের সংঘর্ষে আদতে লক্ষ্মীলাভ হলো এই ফরাসি সংস্থার (Rafale)। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বুধবারই ফ্রান্সের শেয়ার বাজার খোলার পর প্যারিস স্টক এক্সচেঞ্জে দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ার দর প্রায় দেড় শতাংশ বেড়ে হয় ৩০৪.৪০ ইউরো। তবে শুধুমাত্র শুধু স্টকের দামই নয়, দাসো অ্যাভিয়েশনের ফিনান্সিয়াল রিপোর্টও এই সংস্থার শ্রীবৃদ্ধিকেই দেখাচ্ছে।

    ভারতের প্রতিরক্ষা খাতের শেয়ারে দাম বেড়েছে হু হু করে, চিনে পতন

    চলতি সপ্তাহে চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির শেয়ারের দামের ব্যাপক পতন হয়েছে যেখানে ভারতীয় প্রতিরক্ষা খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে হু হু করে। দেখা যাচ্ছে, সোমবার প্রতি শেয়ারের ৯৫.৮৬ ইউয়ানের থেকে অ্যাভিক চেংডু এয়ারক্রাফ্টের শেয়ারের দাম ১১.৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে। বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছে, চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থার শেয়ারের দাম ৮৫.২০ ইউয়ানে লেনদেন হচ্ছে। টানা তিন দিনে ১১.৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে চেংডু এয়ারক্রাফ্টের শেয়ারের দাম ।

    পাকিস্তানকে কোন কোন অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিল চিন

    এর আগে, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের সময় ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবেই চিনা মিসাইলকে ধ্বংস করে দেয়। চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের একাধিক ছবি সাংবাদিক সম্মেলন করে দেখায় ভারতীয় সেনা। এরপর থেকেই ঝুঝো হংডা ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন লিমিটেডের শেয়ারের দাম তীব্রভাবে কমতে দেখা যায়। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী নিশ্চিত করে, চিন পাকিস্তানকে যে মিসাইল সরবরাহ করেছিল, তার নাম পিএল-১৫। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতের বহু-স্তরযুক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করতে ব্যর্থ হয়েছে। অকেজো হয়ে গিয়েছে এই মিসাইল।

    সহজেই অকেজো হয়ে যায় চিনা ক্ষেপণাস্ত্র

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পরেই ৯ ও ১০ মে রাতে পাকিস্তান ভারতীয় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি ও সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে একাধিক বিমান হামলা চালানোর চেষ্টা করে। যার মধ্যে ছিল চিনা পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র এবং তুরস্কের তৈরি বাইকার ইহা কামিকাজে ড্রোন সহ উন্নত অস্ত্রশস্ত্র। তবে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবে সমস্ত হুমকি প্রতিহত করে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের জেএফ-১৭ ও জে-১০ যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত পিএল-১৫ হল একটি বিয়ন্ড-ভিজ্যুয়াল-রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। এটি খুব সহজেই নিষ্ক্রিয় করে দেয় দেশীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই আবহে চিনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির বাস্তব কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার এই কারণেই চিনা কোম্পানির স্টকের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমতে দেখা গেল।

LinkedIn
Share