Tag: বাংলা খবর

  • ISRO: লাদাখেই তৈরি হল মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ, ইসরোর অভিনব মিশন নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল

    ISRO: লাদাখেই তৈরি হল মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ, ইসরোর অভিনব মিশন নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো, লাদাখে শুরু করল এক অন্য ধরনের মিশন, যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে হোপ – হিমালয়ান আউটপোস্ট ফর প্ল্যানেটারি এক্সপ্লোরেশন। গত ১ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই মিশন, চলবে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগামী দিনে ভারতের চন্দ্র অভিযান এবং মঙ্গল অভিযানের প্রস্তুতির দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো ইসরোর (ISRO) এই মিশন। এর জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীরা বেছে নিয়েছেন এমন একটি অঞ্চলকে, যে অঞ্চলের সঙ্গে অনেক দিক থেকেই মিল রয়েছে মঙ্গল গ্রহের। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৫৩০ মিটার উপরে অবস্থিত, এখানে বায়ুর চাপ অত্যন্ত কম রয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে প্রবল ঠান্ডা, আবার অতি বেগুনি রশ্মির তীব্রতাও রয়েছে।

    রাখা হয়েছে দুটি যুক্ত মডিউল বিশিষ্ট আবাসন ব্যবস্থা (ISRO)

    গবেষকরা বলছেন, এই ধরনের পরিস্থিতি হল পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ কিংবা মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে পরিবেশের একদমই সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা চন্দ্র বা মঙ্গল অভিযানে (Mars Mission) গেলে, তার আগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একদম আদর্শ পরিবেশ। ইসরোর এই মিশনের অনেক রকমের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এখানে রাখা হয়েছে দুটি যুক্ত মডিউল বিশিষ্ট আবাসন ব্যবস্থা, যার একটি ৮ মিটার প্রশস্ত এবং এটি ক্রুদের জন্য, অপরটি পাঁচ মিটার ইউটিলিটি ইউনিট (ISRO)। এই আবাসনে মিলছে প্রায় সমস্ত রকমেরই ব্যবস্থা। এখানে রয়েছে রান্নাঘর। ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা যখন যাবেন, তখন চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহে রান্না করে খেতে হবে বৈকি। রয়েছে স্যানিটারি সুবিধাও। মানবজীবনের অত্যাবশ্যক প্রয়োজনীয়তাগুলোর ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এই পরীক্ষামূলক আবহে। রয়েছে হাইড্রোপনিক ফার্মিংয়ের মতো আধুনিক কৃষিপদ্ধতি, যা জলবিহীন ও মাটিবিহীন কৃষিকে সম্ভব করে তোলে, তা-ও এখানে বাস্তবায়িত হয়েছে। এইভাবে ভবিষ্যতের অভিযানে খাদ্য সরবরাহের সম্ভাব্য বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা চলছে।

    ইসরোর সঙ্গে যোগ দিয়েছে অন্যান্য সংস্থাও

    ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দশ দিনের যে প্রস্তুতিপর্ব চলছে বা মিশন, সেখানে দুজন ক্রু সদস্য আবাসনের ভিতরে থাকবেন। ওই আবাসনের ভিতরে থাকার সময়, তাঁদের শারীরিক, মানসিক এবং বৌদ্ধিক পর্যায়ের কোন কোন প্রতিক্রিয়া উঠে আসছে, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং বিশ্লেষণ করা হবে। লাদাখের ওই অঞ্চলে (ISRO) গবেষণা চালাচ্ছে ইসরো। তবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার সঙ্গে জুড়েছে দেশের অন্যান্য সেরা প্রতিষ্ঠানগুলি। কোন কোন প্রতিষ্ঠানগুলি ইসরোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই প্রকল্পে কাজ করছে, তা একবার জেনে নিই। রয়েছে আইআইটি বোম্বে, আইআইটি হায়দরাবাদ, আইআইএসটি তিরুবনন্তপুরম, আরজিসিবি তিরুবনন্তপুরম এবং ইনস্টিটিউট অব স্পেস মেডিসিন।

    কী কী নিয়ে চলছে গবেষণা (ISRO)

    ইসরো সূত্রে জানানো হয়েছে যে, উপরে উল্লেখ করা এই সংস্থাগুলির গবেষকরা নানাভাবে গবেষণা চালাচ্ছেন, যেমন: ক্রুদের হেলথ মনিটরিং, গ্রহপৃষ্ঠ অপারেশন, জীবাণু সংগ্রহ, উন্নত চিকিৎসা ও প্রযুক্তির নানা বিষয়। এই হোক মিশনে যারা যাবেন, তখন তাদের যে ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে, তারই একটা মহড়া এবং সেই লক্ষ্যে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এইরকম উদ্যোগ ভারতের মহাকাশ গবেষণাকে শুধু আরও আত্মনির্ভরই করবে না, বরং আন্তর্জাতিক মহাকাশ মিশনের প্রতিযোগিতায় ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী ও মর্যাদাপূর্ণ করে তুলবে বলেই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য

    এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসরোর হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট সেন্টার। জানা যাচ্ছে, ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানব পাঠানো এবং ভবিষ্যতের মঙ্গল অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে ইসরো। এবং মহাকাশের পরিবেশের অনুকরণে গড়ে তোলা হয়েছে মিশন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইসরোর এই মিশনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তৈরি করা হচ্ছে এমন এক পরিবেশ, যা ভবিষ্যতের চাঁদ বা মঙ্গল অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহাকাশচারীদের জন্য প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিবেশে টিকে থাকার জন্য যে ধরণের জীবনধারা, শারীরিক সক্ষমতা, মানসিক দৃঢ়তা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রয়োজন, তা এখানে বাস্তব পরিস্থিতির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

    কী বলছেন ইসরোর চেয়ারম্যান

    এ নিয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ ভি নারায়ণ বলছেন, যে হোক শুধুমাত্র আমাদের জন্য কেবল একটি ধৈর্যের পরীক্ষা নয় — এটি ভারতের ভবিষ্যতে মানব মহাকাশ অভিযানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশন। এখানে সরাসরি মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ এবং মিশনের ডিজাইন, তার ব্যবস্থা, প্রযুক্তি ব্যবস্থা — এই সমস্ত কিছুই খুঁটিনাটিতে পরীক্ষা করা হবে। ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ আরও বলছেন যে, ভবিষ্যতের জন্য আমাদের এই মহড়া চলছে। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আগে এধরনের মিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • Kartavya Bhavan: অত্যাধুনিক সুবিধা ও সজ্জায় সজ্জিত ‘কর্তব্য ভবন ৩’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    Kartavya Bhavan: অত্যাধুনিক সুবিধা ও সজ্জায় সজ্জিত ‘কর্তব্য ভবন ৩’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক ও দফতরগুলিকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসার কথা মাথায় রেখেই অভিন্ন কেন্দ্রীয় সচিবালয় গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার। তারই অঙ্গ হিসেবে বুধবার কমন সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েটের প্রথম বিল্ডিংয়ের উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন, ‘কর্তব্য ভবন ৩’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই নতুন ভবনটিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতর সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের কার্যালয় থাকবে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে নর্থ ব্লক থেকে পরিচালিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই ভবনে স্থানান্তরিত হবে।

    সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পেপ অংশ

    ভারতের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পকে। এই মহাপরিকল্পনার অধীনে ইতিমধ্যে নতুন সংসদ ভবন চালু হয়েছে, যা দেশের আইন প্রণয়নের কেন্দ্র। এছাড়াও, রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত বিস্তৃত তিন কিলোমিটার দীর্ঘ রাজপথের (বর্তমানে ‘কর্তব্য পথ’) সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এবার ১০টি কর্তব্য ভবন গড়ে তোলা হচ্ছে। লক্ষ্য, ভারতের প্রশাসনিক পরিকাঠামোকে আরও আধুনিক ও সুসংহত করা। এরই প্রথম ভবনের উদ্বোধন হল বুধবার। গোটা পরিকল্পনা ও রূপায়ণের দায়িত্বে কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক।

    উঠে আসছে আরও ৯ কর্তব্য ভবন

    জানা গিয়েছে, ‘কর্তব্য ভবন ৩’ প্রায় দেড় লক্ষ বর্গমিটার আয়তনের একটি আধুনিক অফিস কমপ্লেক্স, যার দুটি বেসমেন্ট এবং সাত তলা জুড়ে বিস্তৃত। এতে স্বরাষ্ট্র, বিদেশ, গ্রামীণ উন্নয়ন, এমএসএমই, ডিওপিটি, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক থাকবে। ‘কর্তব্য ভবন ১’ ও ‘কর্তব্য ভবন ২’-এর কাজ আগামী মাসে সম্পন্ন হওয়ার কথা। ‘কর্তব্য ভবন ১০’ -এর নির্মাণ কাজ আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে। ভবন ৬ এবং ৭-এর প্রকল্পটি ২০২৬ সালের অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

    অত্যাধুনিক সুবিধা

    কর্তব্য ভবনটি একেবারে আধুনিক সজ্জা ও সুবিধায় সজ্জিত। নতুন ভবনটি আধুনিক প্রশাসনিক অবকাঠামোর একটি উদাহরণ। এর মধ্যে রয়েছে— আইটি-প্রস্তুত এবং সুরক্ষিত কর্মক্ষেত্র, আইডি কার্ড-ভিত্তিক অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ, সমন্বিত ইলেকট্রনিক নজরদারি এবং একটি কেন্দ্রীয় কমান্ড সিস্টেম। ছাদে সৌর প্যানেল যা বছরে পাঁচ লক্ষ ইউনিটেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে, ৩০ শতাংশ শক্তি সাশ্রয় হবে বলে আশা। এতে থাকছে ডাবল-গ্লেজড কাচের জানলা, সোলার ওয়াটার হিটার, উন্নত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, বায়ুচলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং বৃষ্টির জল সংগ্রহের সুবিধা। এই নতুন ভবনে থাকছে ৩২৪টি পার্কিং স্লট, ১২০টি বৈদ্যুতিক যানবাহন চার্জিং পয়েন্ট, প্রতিদিন ৬৫০টি যানবাহনকে পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা।

  • Ministry of Defence: দেশের প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করতে ৬৭০০০ কোটি টাকার অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনছে ভারত

    Ministry of Defence: দেশের প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করতে ৬৭০০০ কোটি টাকার অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হতে চলেছে ভারতের অস্ত্রভান্ডার। শতাধিক ব্রহ্মস ও উন্নত ড্রোন কিনতে চলেছে ভারতীয় ফৌজ। ইতিমধ্যে অস্ত্র কেনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৬৭ হাজার কোটি টাকার চুক্তিতে প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)।

    সামরিক বাহিনীর (Indian Armed Forces) আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়েছিল আগেই। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে তাতে আরও গতি এসেছে। মঙ্গলবারই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিল প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কমিটি (ডিফেন্স অ্যাকিউজিশন কাউন্সিল বা ডিএসি)। সেখানেই অস্ত্র কেনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    ৮৭টি ম্যাল সশস্ত্র ড্রোন

    জানা যাচ্ছে, তিন-বাহিনীর জন্য মাঝারি-উচ্চতায় দীর্ঘক্ষণ আকাশে উড়তে সক্ষম (ম্যাল) সম্পন্ন ৮৭টি সশস্ত্র ড্রোন কেনা হবে। সেই ড্রোনগুলি তৈরি হবে ৬০ শতাংশ দেশীয় উপকরণ দিয়ে। এর জন্য বিদেশি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করবে একটি ভারতীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি। কিনতে খরচ হবে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এই সব ড্রোন কেনার পর ১০ বছর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আরও ১১ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।

    ১১০টি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র

    এর পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমতিতে নতুন ১১০টি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কেনারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুনিয়ার দ্রুততম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে অন্যতম হল ব্রহ্মস। রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে ভারত। জল, স্থল, আকাশ ও জলের নীচ— এই চার জায়গা থেকেই ছোড়া যায় ব্রহ্মস। এর প্রতিটির জন্য পৃথক সংস্করণের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে সামরিক বাহিনী। ব্রহ্মসের গতি শব্দের চেয়ে তিনগুণ। দেশের প্রতিরক্ষাকে মাথায় রেখে এই ব্রহ্মসকে আরও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে ৫ দফা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে ব্রহ্মসের পাল্লা ও গতি দুটোই বাড়ানো হচ্ছে।

    সাঁজোয়ার জন্য থার্মাল ইমেজার

    নৌবাহিনীর জন্য কমপ্যাক্ট অটোনমাস সারফেস ক্রাফ্ট কেনার অনুমোদন দিয়েছে ডিফেন্স অ্যাকিউজিশন কাউন্সিল। এই স্বয়ংক্রিয় নৌযান সাবমেরিন শনাক্ত করতে পারে। একইসঙ্গে বারাক-১ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে আরও উন্নত করা হবে। স্থলসেনার ব্যবহৃত সাঁজোয়া সামরিক যানগুলির আধুনিকীকরণের অঙ্গ হিসেবে তার জন্য থার্মাল ইমেজার সহ উন্নতমানের ড্রাইভার নাইট সাইট কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে কম আলোয় বা রাতে চালকের দেখতে কোনও অসুবিধা হবে না।

    পাহাড়ি সীমান্তে মাউন্টেন রেডার

    এছাড়া, বায়ুসেনার সি-১৭ ও সি-১৩০জে বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিটি, যাতে যুদ্ধের সময়ে পরিবহণ এবং উদ্ধারকাজে দেরি না হয়। একই সঙ্গে এস-৪০০ লং রেঞ্জ মিসাইল সিস্টেম-এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বার্ষিক চুক্তির অনুমোদনও মিলেছে। আকাশপথে শত্রুর গতিবিধির উপরে নজর রাখতে পাহাড়ি সীমান্তে বসানো হবে মাউন্টেন রেডার। পাশাপাশি সক্ষম/স্পাইডার মিসাইল সিস্টেমকে আপগ্রেড করে ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কনট্রোল সিস্টেম (IACCS)-এর সঙ্গে যুক্ত করার কাজও চলবে জোরকদমে।

  • Stop Eating Rice: রোগা হওয়ার জন্য ভাত খাওয়া বন্ধ করেছেন! আজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

    Stop Eating Rice: রোগা হওয়ার জন্য ভাত খাওয়া বন্ধ করেছেন! আজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীরের ওজন নিয়ে এখন সতর্কতা বাড়ছে। স্থূলতার সমস্যা কমাতে অনেকেই চটজলদি পথে হাঁটতে চাইছেন। আর তাই কাটছাঁট হচ্ছে খাবারে। তাড়াতাড়ি শরীরের ওজন ঝরাতে অনেকেই মেনু থেকে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনভিজ্ঞ ভাবে ডায়েট তৈরি সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই দ্রুত ওজন কমানোর জন্য ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দেন। কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই অনেকেই এই ধরনের ডায়েট তৈরি করেন। আর এর ফল হয় মারাত্মক। শরীরের লাভের তুলনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষতির পাল্লাই এখন বেশি ভারি থাকে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    মেনু থেকে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে কী উপকার হবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দ্রুত ওজন কমানোর জন্য অনেকেই মেনু থেকে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দেয়। কয়েক সপ্তাহ টানা ভাত না খেলে শরীরের ওজন দ্রুত কমে যায়। ভাতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ যথেষ্ট থাকে। তাই নিয়মিত ভাত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এর ফলে নিয়মিত খাবারের তালিকা থেকে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে দ্রুত ওজন কমবে।

    কেন ভাত বাদ দিলে ক্ষতির পাল্লা ভারি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেনুতে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে ওজন কমবে। কিন্তু এর প্রভাব খুবই খারাপ। শরীরে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। ভাত বাদ পড়লে ক্ষতির পাল্লা ভারি হবে‌। দীর্ঘদিন ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে শরীরে একাধিক পুষ্টির অভাব দেখা দেবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাতে শুধুই কার্বোহাইড্রেট থাকে না। তার সঙ্গে থাকে একাধিক ভিটামিন। যেমন, ভিটামিন বি১ (থায়ামিন), বি৩ (নিয়াসিন), আয়রনের মতো একাধিক উপাদান থাকে। এই উপাদানগুলো শরীরে পুষ্টির জোগানে খুবই প্রয়োজনীয়। তাই ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে পুষ্টিও অসম্পূর্ণ থাকে।

    বাঙালির আরেক পরিচয় ভাতে-মাছে বাঙালি! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধুই পছন্দের জন্য নয়। পরিবেশগত কারণেও ভাত বাঙালির প্রয়োজন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারত গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। এই আবহাওয়ায় সব্জি, প্রাণীজ প্রোটিনের সঙ্গে ভাত খেলে হজমের সুবিধা হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভাত থেকে শরীর পর্যাপ্ত ফাইবার পায়। তাই ভাত খেলে হজম ভালো হয়। আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রতিদিনের খাবারের তালিকা থেকে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় এনার্জির ঘাটতি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন। কার্বোহাইড্রেট থেকেই শরীর এনার্জি পায়। নিয়মিত বিভিন্ন কাজের শক্তি জোগান হয়। তাই ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে এই এনার্জির ঘাটতি হবে। শরীর ক্লান্তি অনুভব করবে‌। প্রতিদিনের স্বাভাবিক সাধারণ কাজ করার ইচ্ছে নষ্ট হবে।

    শরীরের পাশপাশি মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ভাত না খেলে শরীরের পাশপাশি মনের উপরেও চাপ পড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি হলে মানসিক চাপ তৈরি হয়। মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়। তাই মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। তাই খাবারের তালিকা থেকে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিল মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতি হয়।

    ভাত খাওয়া নিয়ে কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থূলতার সমস্যা কমানোর পাশাপাশি ডায়াবেটিসের মতো একাধিক রোগের প্রকোপ রুখতেও, অনেকেই ভাত না খাওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ভাত না খেলে শরীরে ক্ষতি হয়। আবার বেশি খেলেও নানান রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে ভাত খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ডায়বেটিসের প্রকোপ ও আটকানো যাবে। আবার ভাত না খাওয়ার ক্ষতিও এড়ানো যাবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ওজন কমাতে হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো, পরিমিত পরিমাণে ভাত খাওয়ার পাশপাশি বিকল্প দানাশস্য জাতীয় খাবার সম্পর্কেও সচেতন হতে হবে। অর্থাৎ শরীরে এনার্জির জোগান বজায় রাখতে রুটি খাওয়া যাবে কিনা, সব্জি, প্রাণীজ প্রোটিন, দুগ্ধজাত খাবার কী খাওয়া যাবে, সে সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগা হওয়ার অর্থ শারীরিক ও মানসিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়া নয়।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Calcutta University: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসেই পরীক্ষা, সিদ্ধান্তে অনড় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

    Calcutta University: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসেই পরীক্ষা, সিদ্ধান্তে অনড় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস (Trinoomul Chhatra Parishad)। শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা নেহাত কম নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একাধিক অভিযোগ রয়েছে — শিক্ষক নিগ্রহ থেকে শুরু করে তোলাবাজি। টাকা নিয়ে ছাত্র ভর্তি। হাল আমলে কসবা কাণ্ডেও নাম জড়িয়েছে তৃণমূলেরই ছাত্র নেতার। ওই দিনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) পরীক্ষা নেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। তারপরে শুরু হয় এই সিদ্ধান্তের কারণে উপাচার্যকে বেলাগাম আক্রমণ। উপাচার্য ২৮ অগাস্ট তাদের সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসে পরীক্ষা ঘোষণা করেছেন বলে এটাকে গভীর ষড়যন্ত্র বলে ব্যাখ্যা করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য় সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে যারা অনুপ্রাণিত এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যারা বিশ্বাসী, তাদেরকে আটকে দেওয়ার জন্য নাকি এক গভীর ষড়যন্ত্র করছেন উপাচার্য। কী আশ্চর্য যুক্তি। মমতার আদর্শে অনুপ্রাণিত বলে পরীক্ষার দিন বদল করতে হবে! এসবের পরেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন উপাচার্য। উচ্চ শিক্ষা দফতরের দিন বদলের আবেদনও ফেরালেন।

    উপাচার্যের সাহসী পদক্ষেপ

    এনিয়ে শান্তা দত্ত দে বলছেন, ‘‘শাসক দলের তরফ থেকে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা একেবারেই মিথ্যা, কারণ বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University) সরকারি ছুটির দিনে তো পরীক্ষা রাখেনি। শান্তা দত্ত দে বলেন, যদি রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠা দিবস দেখতে হয়, তাহলে সব রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য হবে, এবং সেই বিচার করেই আমাকে পরীক্ষার দিনক্ষণ ফেলতে হবে।’’ ভয় না পেয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য রাজ্য জুড়ে যে থ্রেট কালচার চালাচ্ছে শাসক দল, তার মাঝেও ব্যতিক্রমীভাবে দাঁড়িয়ে থেকেছেন তিনি। এজন্য অনেকেই তাঁকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, পরীক্ষার দিন পিছনোতে সরকারের নাক গলানো নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি মন্তব্য করেন, “সরকারের এমন চিঠি বেনজির। শিব ঠাকুরের আপন দেশে, নিয়ম-কানুন সর্বনেশে।” এ কথাও বলেন শান্তা দত্ত দে। তিনি জানিয়েছেন যে, বিরোধীরা যখন ধর্মঘট ডাকে, তখন তো সরকার বলে সব ঠিক আছে, পরীক্ষা, পরীক্ষার মতোই হবে। হঠাৎ তৃণমূলের সংগঠনের অনুষ্ঠানে (Trinoomul Chhatra Parishad) পরীক্ষা কেন আপত্তি সরকারের, এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। ২৮ অগাস্ট এইভাবেই পরীক্ষার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে থাকল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। যা সাম্প্রতিক কালে একটি সাহসী এবং অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ।

    উপাচার্যের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট

    ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে যে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা আগেই জানিয়েছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Calcutta University)। অন্তর্বর্তী উপাচার্যের সেই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। ওইদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন হবে মেয়ো রোডে এবং উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শীর্ষ নেতৃত্ব। আর ওই দিনই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বিএ., বিএসসি., বিকম., বিএ এল.এল.বি.-র চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষার দিনক্ষণ রয়েছে।

    উপাচার্যকে বেলাগাম আক্রমণ (Calcutta University)

    এরপরেই ওই পরীক্ষা পিছোনোর দাবিতে লাগাতার আক্রমণ শুরু করে শাসক দলের নেতা-নেত্রীরা। ছাত্র সংগঠনের তরফে উপাচার্যকেই বেলাগাম আক্রমণ করা হয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তী তো আবার উপাচার্যের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেন। শুধু তাই নয়, বেলাগাম আক্রমণ করে শান্তা দত্তকে বড় “অনুপ্রবেশকারী” আখ্যা দেন তৃণমূল ছাত্র নেতা। বলা হয়, ২৮ অগাস্ট দিনটাকেই নাকি টার্গেট করেছেন উপাচার্য, তাঁকে বিরোধীদের দালাল বলেও আক্রমণ করা হয়। এরপরেই অত্যন্ত নজিরবিহীনভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পরীক্ষার দিন বদলের আর্জি জানাতে দেখা যায় উচ্চশিক্ষা দফতরকে। অর্থাৎ রাজ্য সরকার সরকারি চিঠি দিচ্ছে দিন বদলের আর্জি নিয়ে। সরকার এবং দল যে এক হয়ে গিয়েছে এতে কোনও সন্দেহ নেই। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেও উপাচার্য যেভাবে অনড় থাকলেন, তাতে তাঁকে রীতিমতো কুর্নিশ জানাচ্ছেন রাজ্যের এক বড় অংশের মানুষ।

    রাজধর্ম পালনের কথা জানালেন উপাচার্য

    আবার এও তথ্য সামনে এসেছে যে সিন্ডিকেটের বৈঠকে উচ্চশিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির ছিলেন ওম প্রকাশ মিশ্র। তিনিও নাকি উপাচার্যকে তীব্র আক্রমণ করেছেন — অন্তত সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে। তার পরেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন উপাচার্য। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে কোনও ভাবেই বদলাবে না নির্ঘণ্ট, ২৮ অগাস্টেই পরীক্ষায় বসতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। ৩০ হাজার পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষা দেবেন। নিজের বিবৃতিতে শান্তা দত্ত জানিয়েছেন যে, ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসের জন্য সরকারি চিঠি বেনজির, আমাদের পরীক্ষা ২৮ তারিখেই হবে। একই সঙ্গে সরকারের কাছে তিনি অনুরোধও জানিয়েছেন, যাতে রাস্তাঘাট স্বাভাবিক থাকে, বাস ঠিকমতো চলে। উপাচার্য মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে সুস্থভাবে পরীক্ষার আয়োজন যাতে তারা করতে পারেন — এই কাজে যদি সরকার সহায়তা করে, সেটাই হবে প্রকৃত রাজধর্ম পালন।

    ২০১১ সালের ছায়া দেখা যাচ্ছে

    এ নিয়ে আবার মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও। ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী এমনিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তক্ষেপ করেন না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কথা শোনা উচিত ছিল উপাচার্যের। কোন কথা শুনতে হবে? শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস রয়েছে, তাই ওই দিন এক কথায় “অঘোষিত ছুটি” করে দিতে হবে! ২০১১ সালে ক্ষমতা থেকে চলে যায় সিপিএম। সিপিএম চলে যাওয়ার আগেও দেখা যেত, সরকারি আধিকারিকরা সিপিএম সরকারের কথা শুনতেন না। এক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। সেই একই রকমের ছায়া দেখা যাচ্ছে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে। কেউ কেউ বলছেন — শাসক দলের পক্ষে এটা বড় অশনিসংকেত, যেখানে সরকারি কর্তাব্যক্তি এবং আমলারা আর আগের মতো কথা শুনছেন না।

  • Weather Update: ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে, দুর্যোগ চলবে উত্তরেও

    Weather Update: ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে, দুর্যোগ চলবে উত্তরেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। একইসঙ্গে বইতে পারে ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়া (Weather Update)। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারও উপকূলের দুই জেলা সহ দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এই গোটা সপ্তাহ ধরেই রাজ্য জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সতর্কতা রয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গের পূর্বাভাস (Weather Update)

    মঙ্গলবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায়। এর পাশাপাশি এদিন বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে, বুধবার দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া এবং মুর্শিদাবাদে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতায় আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই (Weather Update)। তবে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে শহরে। প্রসঙ্গত, ভারী বৃষ্টির ফলে রাজ্যের নিচু এলাকাগুলিতে জল জমার সম্ভাবনাও রয়েছে। একই সঙ্গে শহরের এলাকাতে যান চলাচলেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    উত্তরবঙ্গের পূর্বাভাস (West Bengal)

    অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে জানানো হয়েছে যে এই সপ্তাহজুড়ে অতিভারী বৃষ্টি হবে। বেশি বৃষ্টি হওয়ার জেলাগুলি হল দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার। মঙ্গলবার থেকে এই জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণ নামবে। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলাতে আগামী সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

    মৌসুমী অক্ষরেখা (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখা এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের উপরে অবস্থান করছে। মৌসুমী অক্ষরেখা অমৃতসর, দেরাদুন, শাহজাহানপুর, বাল্মিকীনগর, ছাপরা হয়ে কোচবিহার এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির উপর দিয়ে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। একইসঙ্গে পশ্চিমী ঝঞ্জা রয়েছে হিমাচল প্রদেশ ও সংলগ্ন জম্মু-কাশ্মীর এলাকায়। এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

  • Russian Oil: ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক’! ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির তীব্র প্রতিক্রিয়া ভারতের, বার্তা পাল্টা পদক্ষেপের

    Russian Oil: ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক’! ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির তীব্র প্রতিক্রিয়া ভারতের, বার্তা পাল্টা পদক্ষেপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া থেকে তেল কেনা (Russian Oil) নিয়ে সোমবার রাতে ভারতকে ফের একবার হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের বিবৃতিতে ট্রাম্প (Donald Trump) জানান, ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ থেকে তেল কিনে তা খোলা বাজারে বিক্রি করছে ভারত, যা একটি ‘অপরাধ’। এই কারণে ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হবে বলেও তিনি সতর্ক করেন। আমেরিকার এই হুঁশিয়ারির জবাবে এবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জাতীয় স্বার্থ রক্ষার্থে ভারত প্রয়োজনে সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আমেরিকার এমন বিবৃতিকে ভারত ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক’ বলেও অভিহিত করেছে।

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতি (Russian Oil)

    সোমবার রাতে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে সাফ জানানো হয়েছে, রাশিয়ার থেকে তেল (Russian Oil) কেনা নিয়ে নয়াদিল্লিকে বার বার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নিশানা করছে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য ভারতকে নিশানা করা হচ্ছে। আদতে সংঘাত শুরুর পর সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী ইউরোপে চলে যাচ্ছিল বলেই ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি শুরু করে। সে সময় বিশ্বের জ্বালানির বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিতে উৎসাহও দিয়েছিল আমেরিকা।’’

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি হল-

    একই সঙ্গে, বিদেশ মন্ত্রক আরও জানিয়েছে—যারা ভারতের সমালোচনা করছে, তারাই আবার রাশিয়ার (Russian Oil) সঙ্গে বাণিজ্যে লিপ্ত। এই বিষয়ে তারা পরিসংখ্যানও সামনে এনেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও রাশিয়ার মধ্যে ৬৭,৫০০ কোটি ইউরো মূল্যের বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে। পাশাপাশি, ২০২৩ সালে এই বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৭,২০০ কোটি ইউরো। এই পরিসংখ্যান ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার মোট বাণিজ্যের তুলনায় অনেক বেশি।

    বিদেশ মন্ত্রক যে বিবৃতি প্রকাশ করেছে, তাতে বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে যে, ইউক্রেন সংঘাতের ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে ভারত রাশিয়া থেকে ছাড়ে তেল কিনতে শুরু করে, যাতে দেশের জ্বালানি চাহিদা নিশ্চিত করা যায়। ভারতের এই সিদ্ধান্ত ছিল কেবলমাত্র জাতীয় স্বার্থে নেওয়া একটি বাস্তবমুখী পদক্ষেপ।

    বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, যখন ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি শুরু করেছিল, সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এই উদ্যোগকে ‘উৎসাহিত’ করেছিল। এমনকি তারা বলেছিল, এতে বিশ্ব জ্বালানি বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি আমদানি ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত সাশ্রয়ী। বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতির কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যাতে দেশের সাধারণ মানুষ এবং অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

    এছাড়াও, মন্ত্রক জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে আমেরিকাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পণ্য আমদানি করে থাকে। বিশেষ করে, ওয়াশিংটন তাদের পারমাণবিক শিল্পের জন্য ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড, বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধাতু প্যালেডিয়াম, সেইসঙ্গে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য এবং সার রাশিয়া থেকেই আমদানি করে। এসব তথ্য বিদেশ মন্ত্রক তাদের বিবৃতিতে তুলে ধরেছে।

    বিবৃতির একেবারে শেষে, বিদেশ মন্ত্রক ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা এই ধরনের মন্তব্যকে “অযৌক্তিক এবং অন্যায্য” বলে আখ্যা দিয়েছে (Russian Oil)। সেই সঙ্গে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য প্রধান অর্থনীতির মতো ভারতও তার জাতীয় স্বার্থ এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষার্থে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখে।

    কী লিখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

    উল্লেখযোগ্যভাবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১ অগাস্ট ২০২৫ থেকে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শিল্প শুল্ক আরোপ করেছেন। এই শুল্ক বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনছে এবং ব্রিকস গোষ্ঠীতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। ট্রাম্পের দাবি, ভারতের এই সিদ্ধান্তগুলি ‘আমেরিকা-বিরোধী’ এবং এরই ‘শাস্তি’ হিসেবে এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে ভারতকে সরাসরি হুমকি দেন ট্রাম্প। সোমবার রাতে তিনি লেখেন, ‘‘ভারত যে শুধু রাশিয়ার থেকে বিপুল পরিমাণে তেল কিনছে, তা নয়। বরং মুনাফার জন্য তারা কেনা তেলের বেশির ভাগ অংশ খোলা বাজারে বিক্রিও করছে। এ দিকে রাশিয়ার যুদ্ধপ্রক্রিয়া ইউক্রেনের কত মানুষের প্রাণ কাড়ছে, তার পরোয়াও করছে না ভারত। এই কারণেই আমি ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক আরও বৃদ্ধি করব।’’

  • Supreme court: ভারতীয় ভূখণ্ড চিনের দখলে! বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত রাহুল গান্ধী

    Supreme court: ভারতীয় ভূখণ্ড চিনের দখলে! বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০০ কিলোমিটারেরও বেশি ভারতীয় ভূখণ্ড নাকি চিন দখল করে রেখেছে—এমন দাবি করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে ভর্ৎসিত হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শীর্ষ আদালত রাহুল গান্ধীকে তিরস্কার করে তাঁকে জানিয়েছে, প্রকৃত ভারতীয় হয়ে কখনও এই ধরনের মন্তব্য করবেন না। প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর এমন মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা রুজু করার দাবি জানানো হয়েছিল। তবে সে দাবি অবশ্য খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court)।

    ভারত জোড়ো যাত্রা করার সময় এমন মন্তব্য করেছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)

    ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হয় লোকসভা ভোট। ঠিক তার দু’বছর আগে—২০২২ সালে ভারত জোড়ো যাত্রার ডাক দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সেই সময় তিনি বিভিন্ন সভায় দাবি করেছিলেন, চিন ২০০০ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে এবং চিনা সৈন্যরা অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সৈন্যদের মারধর করছে। এ নিয়েই পরবর্তীকালে দায়ের হয় মামলা। এই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court) রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে জানতে চায়, “আপনি কীভাবে জানলেন যে ২০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা চিনা দখলে রয়েছে?” এর পরে শীর্ষ আদালত (Supreme court) রাহুল গান্ধীকে তিরস্কার করে বলে, “আপনি যদি একজন প্রকৃত ভারতীয় হতেন, তাহলে এমন কথা বলতেন না।”

    মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহ-র বেঞ্চে

    প্রসঙ্গত, এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহ-র বেঞ্চে। সেখানেই লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে তীব্র ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত আরও বলে, “আপনি বিরোধী দলের নেতা হয়ে কেন এই ধরনের কথাগুলো বলবেন?” প্রসঙ্গত, এ-সংক্রান্ত মামলাটি প্রথম উঠে এলাহাবাদ হাই কোর্টে। সেখানে রাহুল গান্ধীর আবেদন খারিজ হয়। এরপরেই রাহুল গান্ধী সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) দ্বারস্থ হন এবং তিনি জানান যে, তাঁর বিরুদ্ধে এমন মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।

    রাহুলের দাবি মিথ্যা গল্প, বললেন কিরেন রিজিজু

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) রাহুল গান্ধী সম্পর্কে এমন মন্তব্যের পরেই অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট শেয়ার করেন এবং সেখানেই বিজেপি নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে “মিথ্যা গল্প” বলে অভিহিত করেন এবং তিনি দাবি করেন, চিন অরুণাচল প্রদেশের এক ইঞ্চি জমিও দখল করেনি।প্রসঙ্গত, রাহুলের এই মন্তব্যের পরেই সেসময় তাঁর নিন্দা করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। বিদেশমন্ত্রী রাহুলের বিরুদ্ধে ‘ভুল তথ্য’ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি সেসময় জানান, ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের সময় ভারত চিনের কাছে যে জায়গা খুইয়েছিল, তাকে সাম্প্রতিক ক্ষয়ক্ষতি হিসাবে দেখাতে চাইছেন রাহুল।

    রাজস্থানে এমন দাবি করেছিলেন রাহুল

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় রাহুল গান্ধী রাজস্থানে এমন মন্তব্য করেন। রাজস্থানের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন যে, ২০০০ বর্গ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে চিন এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চিনের আগ্রাসনের পরেও কেন নীরব রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার—এ নিয়ে বিজেপির সমালোচনা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেদিন তিনি আরও বলেছিলেন, “আমাদেরকে প্রশ্ন করা হয় ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে—এখানে, সেখানে, সর্বত্র অশোক গেহলট, শচীন পাইলট ইত্যাদি বিষয়ে আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়। কিন্তু তারা কখনও চিন নিয়ে প্রশ্ন করে না। কেন ২০০০ বর্গ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করল চিন—এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় না। ২০ জন ভারতীয় সৈন্যকে হত্যা করল চিন—এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় না। অরুণাচল প্রদেশে আমাদের সৈন্যদের পিটিয়ে হত্যা করল কেন চিন—এই নিয়েও প্রশ্ন করা হয় না। আবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও এ নিয়ে কোনও কিছু উত্থাপন করে না। তবে এগুলো কি সত্য নয়? দেশ সবটাই দেখছে। কোনও কিছু ভান করে কিছু হবে না। মানুষ সবটাই জানে।”

    জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েও একই দাবি করেন রাহুল

    শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে জম্মু-কাশ্মীরে একই দাবি করতে দেখা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেশের একমাত্র ব্যক্তি, যিনি মনে করেন যে, চিনারা ভারতের কাছ থেকে কোনও জমি দখল করেনি। “আমি সম্প্রতি কিছু প্রাক্তন সেনার সঙ্গে দেখা করেছি এবং লাদাখের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও দেখা করেছি। তাঁরা আমাকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন যে, আমাদের ভারতীয় ভূখণ্ডের ২০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা চিন দখল করে রেখেছে।” রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে জম্মু-কাশ্মীরে এমন দাবি করতে শোনা যায় সে সময় রাহুল গান্ধীকে।

    অনেক টহল পয়েন্টও বর্তমানে পুরোপুরি চিনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এমনই দাবি রাহুলের

    প্রসঙ্গত, ওই আবহে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আরও দাবি করেছিলেন যে, প্রাক্তন সেনা কর্মীরা তাঁকে বলেছেন—ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে থাকা অনেক টহল পয়েন্টও বর্তমানে পুরোপুরি চিনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাহুল গান্ধীর এই সমস্ত বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য উত্তরপ্রদেশে একটি মানহানির মামলা দায়ের করা হয় এবং সেখানেই তাঁকে সমন জারি করা হয়েছিল। এর পরে তিনি এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন এবং স্বপক্ষে মামলাটি বাতিল করার আবেদন জানান।

  • PCOD: ভারতে প্রকোপ বাড়ছে পিসিওডি-র, মোকাবিলায় কোন খাবারে বাড়তি জোর চিকিৎসক মহলের?

    PCOD: ভারতে প্রকোপ বাড়ছে পিসিওডি-র, মোকাবিলায় কোন খাবারে বাড়তি জোর চিকিৎসক মহলের?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    জলখাবারেই রয়েছে ‘দাওয়াই’! দেশ জুড়ে বাড়ছে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ বা পিসিওডি (PCOD)! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এটা একধরনের ‘লাইফস্টাইল’ ডিজিজ (Lifestyle Dieases)। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে, কিংবা রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে মহিলাদের জরায়ুতে একাধিক সিস্ট তৈরি হয়। এই সমস্যাকেই পিসিওডি বলা হয়। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা মেয়েদের এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। অনেক সময়েই এই সমস্যা আজীবন থাকে। এই সমস্যা আরও জটিল রোগ তৈরি করে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। প্রতি দশ জন মহিলার মধ্যে একজন পিসিওডি সমস্যায় ভুগছেন। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, প্রথম থেকেই জীবন যাপনের ধরন এবং খাদ্যাভাস ঠিকমতো রাখলেই এই রোগের প্রকোপ আটকানো সহজ‌ হবে।

    কেন পিসিওডি বাড়তি দুশ্চিন্তা তৈরি করছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিসিওডি একটি জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ। ঠিকমতো পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এই রোগ মোকাবিলা করতে পারবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিসিওডি-তে আক্রান্ত হলে ওভারিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। এর ফলে, স্বাভাবিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে না। নিয়মিত ঋতুস্রাব হয় না। এর জেরে শারীরিক বিকাশেও সমস্যা হতে পারে। বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা‌ও দেখা দিতে পারে। পিসিওডি-র মতো সমস্যায় স্বাভাবিক জীবন যাপনে নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সমস্যা বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে।

    কীভাবে জলখাবারে রয়েছে পিসিওডি (PCOD) মোকাবিলার চাবিকাঠি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকার চাবিকাঠি রয়েছে জলখাবারের মধ্যে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালের খাবার শরীরে বাড়তি পুষ্টি জোগায়। দিনের প্রথম খাবার, তাই শরীরে তার প্রভাব ও বাড়তি পড়ে। তাই জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ রুখতে সকালের জলখাবার খুবই জরুরি। কারণ এই খাবারেই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে বাড়তি সাহায্য করে‌। ফলে, পিসিওডি-র মতো রোগ মোকাবিলাও সহজ হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবারে পরিমিত প্রোটিন এবং নূন্যতম কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলে পিসিওডি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত জলখাবারে এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে, যাতে শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কার্বোহাইড্রেট বাড়তি না পৌঁছয়। তবেই পিসিওডি-র মতো রোগের প্রকোপ কমবে।

    কাঠবাদাম এবং ওটস

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সকালে কাঠবাদাম এবং ওটসের মতো‌ খাবার পিসিওডি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঠবাদামে রয়েছে প্রোটিন। তবে শুধু প্রোটিন নয়। বরং, তার পাশপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়ামের মতো নানান খনিজ পদার্থ। এর ফলে শরীরে বাড়তি এনার্জির জোগান হয়। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ, ওটস এবং কাঠবাদামে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ পর্যাপ্ত থাকলেও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুব কম থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

    দানাশস্যের তৈরি রুটি

    এছাড়াও বাজরা, জোয়ার, মিলেট, রাগি জাতীয় দানাশস্যের তৈরি রুটির সঙ্গে সবুজ সব্জি খেলে পিসিওডি (PCOD) রুখতে সাহায্য হয়। কারণ, সবুজ সব্জিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ। আর দানাশস্যে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। এই খনিজ পদার্থ, ভিটামিন ও ফাইবার সকালে শরীরে পৌঁছলে একদিকে শরীরে এনার্জির জোগান‌ বজায় থাকবে। হজম ঠিকমতো হবে। আবার স্থূলতার সমস্যা ও সহজেই আটকানো সম্ভব। তাই দানাশস্যে তৈরি রুটি এবং রঙিন সব্জি অর্থাৎ, গাজর, পালং শাক, রাঙা আলু, বিনসের মতো নানান রঙের মতো সব্জি দিয়ে তৈরি তরকারি খেলে পিসিওডি-র মতো রোগ নিয়ন্ত্রণ সহজ।

    ডালের চিল্লা

    যে কোনও ডালের চিল্লা বানিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মুগ কিংবা মুসুর ডালে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং প্রোটিন। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। তাই সকালের জলখাবারের মেনুতে কড়াইয়ে সামান্য পরিমাণ বাটার দিয়ে তাতে মুগ কিংবা মুসুর ডালের পেস্ট ছড়িয়ে দিতে হবে। তার উপরে সামান্য পনির কুচি, পিঁয়াজ কিংবা শশা কুচি মিশিয়ে তৈরি করলেই অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার তৈরি হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অত্যন্ত কম। আবার পর্যাপ্ত ভিটামিন, প্রোটিন শরীর সহজেই পাবে। তাই এই ধরনের খাবার সহজেই শরীরকে পুষ্টি দেয়।

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিসিওডি-র‌ মতো রোগ প্রতিরোধ করতে শরীরের ওজন নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ওজন নিয়ন্ত্রণে করতে পারলে এই রোগ (PCOD) মোকাবিলা সহজ হবে। তাই খাওয়ার সময় প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ খাবার পর্যাপ্ত খাওয়া জরুরি। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। কারণ ওজন বাড়লেই এই ধরনের রোগ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বাড়বে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Bihar: জেলার মোট ভোটারের ১১ শতাংশ নামই বাদ গেল মুসলিম অধ্যুষিত কিষাণগঞ্জে, সংখ্যায় ১ লাখ ৪৫ হাজার

    Bihar: জেলার মোট ভোটারের ১১ শতাংশ নামই বাদ গেল মুসলিম অধ্যুষিত কিষাণগঞ্জে, সংখ্যায় ১ লাখ ৪৫ হাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের (Bihar) নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নিবিড় সমীক্ষায় বাদ পড়েছে ৬৫ লাখ অবৈধ নাম। বিহারের কিষাণগঞ্জ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাম বাদ পড়েছে। কিষাণগঞ্জ সম্পূর্ণভাবেই মুসলিম অধ্যুষিত একটি জেলা এবং এখান থেকেই বিপুল পরিমাণে নাম বাদ গেছে। কিষাণগঞ্জ জেলার (Kishanganj) মোট ভোটারের ১১.৮% নাম বাদ পড়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই ১১.৮% ভোটারকে কিষাণগঞ্জে খুঁজে পাওয়া যায় না, অথচ তাদের নাম ছিল ভোটার তালিকায়।

    বাদ পড়েছে ১,৪৫,৬৬৮টি নাম (Bihar)

    কিষাণগঞ্জ এমন একটি জেলা, যা পশ্চিমবঙ্গের সীমানা সংলগ্ন এবং প্রায় সম্পূর্ণটাই মুসলিম অধ্যুষিত। জনবিন্যাসের ভারসাম্যহীনতা ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কিষাণগঞ্জ দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে। প্রসঙ্গত, বিহারে SIR (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২৪ জুন। তখন এই জেলায় মোট ভোটার ছিলেন ১২,৩১,৯১০ জন। সংশোধনের পর এখান থেকেই বাদ পড়েছে ১,৪৫,৬৬৮টি নাম, যা মোট ভোটারের (Bihar) ১১%–এরও বেশি। SIR প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই কিষাণগঞ্জ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ‘স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট’-এর আবেদন জমা পড়তে থাকে। এই হঠাৎ আবেদনের কারণে সন্দেহ জাগে প্রশাসনের (Kishanganj)। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী সম্প্রতি কিষাণগঞ্জের এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ‘স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট’-এর আবেদন গড়ে প্রতিমাসে ২৬ হাজার থেকে ২৮ হাজার জমা পড়েছে। আবার জুলাই মাসের প্রথম ছয় দিনের মধ্যেই এই সার্টিফিকেটের জন্য ১.২৮ লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

    স্বাধীনতার সময় কিষাণগঞ্জ ছিল হিন্দু অধ্যুষিত

    বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, প্যান কার্ড, আধার কার্ড এবং পাসপোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এখন ব্যাপকভাবে যাচাই করা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, স্বাধীনতার সময় কিষাণগঞ্জ একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা ছিল। কিন্তু পরবর্তী দশকগুলিতে এর জনবিন্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকে দায়ী করছেন। সম্প্রতি কিষাণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় চারজন বাংলাদেশিকে ধরা হয়েছে, যারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের আশায় এখানে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে (Bihar)।

LinkedIn
Share