Tag: বাংলা খবর

  • Swiss National Bank: গত এক দশকে সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ কমেছে ১৮ শতাংশ

    Swiss National Bank: গত এক দশকে সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ কমেছে ১৮ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত এক দশকে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকে (Swiss National Bank) ভারতীয় গ্রাহকদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকে ভারতীয়দের আমানতের পরিমাণ ছিল ৪২৫ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪৬ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।

    করোনার সময় বেড়ে গিয়েছিল আমানতের পরিমাণ (Swiss National Bank)

    ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে তথ্য সামনে এনেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, করোনাকালীন সময়ে ভারতীয় গ্রাহকদের আমানতের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। সেই সময় তা পৌঁছে যায় সর্বোচ্চ ৬০২ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। তবে মহামারির পর থেকেই আমানতের পরিমাণ ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে শুরু করে। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (Swiss National Bank) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতীয়দের আমানতের পরিমাণ ছিল ৩০৯ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, যা ২০২৪ সালে ৩৭ মিলিয়ন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৬ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। যদিও ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালে সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে বিগত ১০ বছরে টাকা জমানোর প্রবণতা নিম্নমুখী বলেই পরিসংখ্যান জানাচ্ছে।

    অন্যান্য দেশের নাগরিকদের আমানতও হ্রাস পেয়েছে বিগত এক দশকে

    তবে শুধু ভারত নয়, সুইস ব্যাংকের (Swiss National Bank) তথ্য অনুযায়ী, অন্যান্য বেশ কয়েকটি প্রধান অর্থনৈতিক দেশের নাগরিকদের মধ্যেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাঁরা আগের চেয়ে অনেক কম টাকা জমা রাখছেন সুইস ব্যাংকে (Swiss National Bank Deposits)। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ২০১৫ সালে ব্রিটেনের নাগরিকদের আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৪ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, যা ২০২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। একসময় চিনা আমানতের পরিমাণ ছিল ৫.০১ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৩ বিলিয়নে। একইসঙ্গে দেখা যাচ্ছে, ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যেও সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখার প্রবণতা কমেছে। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের আমানতের পরিমাণ ছিল ৯৪৭ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, যা ২০২৪ সালে কমে হয়েছে মাত্র ২৪১ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ—অর্থাৎ প্রায় ৭৫ শতাংশ হ্রাস। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা দেখা গেছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, যা ২০২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১২.৬ মিলিয়নে। প্রায় ৭৩ শতাংশ হ্রাস। সৌদি আরবের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। ১০ বছর আগে সৌদি নাগরিকদের আমানতের পরিমাণ ছিল ৮.৩ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, যা ২০২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৮ বিলিয়নে।

  • Rath Yatra: মালদায় ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো রথের মেলার অনুমতি দিল না মমতা-পুলিশ

    Rath Yatra: মালদায় ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো রথের মেলার অনুমতি দিল না মমতা-পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো রথের মেলার অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠল মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, মালদার কালিয়াচকের জালালপুরে মন মহাপ্রভু মন্দির সংলগ্ন এলাকায় প্রতিবছর আয়োজিত হয় এই ঐতিহ্যবাহী রথের মেলা (Rath Yatra)। চলতি বছর মেলার উদ্যোক্তাদের কালিয়াচক থানা থেকে জানানো হয়েছে, মেলা করা যাবে না। রথের মেলা বন্ধ হতেই মমতা সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই বলছেন, মমতা জমানায় কেন বারবার কোপের মুখে পড়তে হচ্ছে হিন্দু উৎসবকে? এর কারণ কি তোষামোদের রাজনীতি? মুসলিম-তোষণ, মুসলিমদের কোনও পরবে কোনও বাধা নেই। হিন্দুদের উৎসব হলেই আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হওয়ার আশঙ্কা কেন থাকে প্রশাসনের?

    প্রশাসনের সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ উদ্যোক্তারা (Malda News)

    এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন উদ্যোক্তারা। সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁরা দাবি করেছেন, আইন-শৃঙ্খলার অজুহাতে মেলার অনুমতি দিচ্ছে না প্রশাসন। তবে এখানেই থেমে থাকবেন না বলেও জানান তাঁরা। উদ্যোক্তারা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। স্থানীয় গবেষকদের মতে, কালিয়াচকের জালালপুরে মন মহাপ্রভু মন্দিরের এই রথের মেলা চলতি বছরে ৬২৯ বছরে পা দিতে চলেছে। প্রতি বছর রথ যাত্রার (Rath Yatra) দিন থেকেই শুরু হয় এই মেলা। রথের দড়িতে টান পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জমে ওঠে মেলা। সেই সময় দোকানপাট, মিষ্টির দোকান, নাগরদোলা সহ নানা কিছুর সমাহারে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

    পুলিশের যুক্তি

    তবে এবারই প্রথম, যখন এই মেলার অনুমতি দিল না পুলিশ (Malda News)। উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁরা পুলিশের কাছে লিখিতভাবে অনুমতির জন্য আবেদন করেন। পুলিশ রথযাত্রার (Rath Yatra) অনুমতি দিলেও মেলার অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রথের মেলাকে ঘিরে অসামাজিক কার্যকলাপ হতে পারে। এমনকি, অতীতে মেলাকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনাও ঘটেছে বলে দাবি তাদের। তাই আইন-শৃঙ্খলার কারণ দেখিয়েই মেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

    অযৌক্তিক কথা বলছে পুলিশ! দাবি উদ্যোক্তাদের

    এই অবস্থানে ক্ষুব্ধ উদ্যোক্তারা। তাঁদের অভিযোগ, কয়েক শতাব্দী পুরনো ঐতিহ্যবাহী মেলার (Rath Yatra) বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, তাঁরা আরও বলেন, পুলিশের কাজ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা—সেই কাজে ব্যর্থ হলে মেলাকে দায়ী করা যায় না। তাঁদের প্রশ্ন, হাসপাতালেও তো প্রতারণা হয়, তবে কি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হবে? উদ্যোক্তারা আরও জানান, এই মেলা শুধুই ধর্মীয় উৎসব নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্থানীয় অর্থনীতি। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বহু মানুষ মেলায় অংশগ্রহণ করেন। এলাকার বহু মানুষের জীবিকা এই মেলার উপর নির্ভরশীল। তাই মেলার অনুমতি আদায়ে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

    ঐতিহ্যবাহী রথের মেলা

    প্রসঙ্গত, কালিয়াচকের এই রথযাত্রা (Rath Yatra) ও মেলা অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীন। গবেষকদের দাবি, বেণীমাধবের পঞ্জিকাতেও এই রথযাত্রার উল্লেখ রয়েছে। স্থানীয়ভাবে এটি ‘জালালপুর রথযাত্রা’ নামেই পরিচিত। শুধু মালদা নয়, প্রতিবছর আশপাশের জেলা থেকেও বহু মানুষ এই রথ ও মেলা উপলক্ষে এখানে ভিড় জমান। মেলাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবের জন্য নিজস্ব জমিও রয়েছে এবং তা দেবোত্তর সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত। তবু এবছর সেই মেলার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

    রথযাত্রা উৎসব কমিটির সম্পাদক কী বলছেন?

    রথযাত্রা উৎসব কমিটির সম্পাদক গৌতম মণ্ডল জানান, প্রতি বছর ৯ দিন ধরে রথযাত্রা উৎসব পালিত হয় এবং এতে বিপুল জনসমাগম হয়। তবে এবারে পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁর। তাই বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এখনও পর্যন্ত অনুমতি মেলেনি। গৌতম মণ্ডলের আশঙ্কা, যদি উৎসব বন্ধ হয়ে যায়, তবে দেবোত্তর জমি দখল করে সেখানে জমি মাফিয়ারা প্লট তৈরি করে বিক্রি করতে পারে।

    কী বলছে বিজেপি?

    উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি পুলিশ অনুমতি না দেয়, তাহলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন এবং প্রয়োজনে আন্দোলনেও নামবেন। পুলিশের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে গেরুয়া শিবির। মালদা দক্ষিণ বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ শাসকদলের তাঁবেদারি করছে। তাঁর দাবি, দেবোত্তর জমির উপর এই রথযাত্রা উৎসব হয়, তা দখল করতে জমি মাফিয়াদের সাহায্য করছে পুলিশ।

  • DGCA: কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ! কেন্দ্রের নির্দেশে তিন শীর্ষকর্তাকে সরাল এয়ার ইন্ডিয়া

    DGCA: কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ! কেন্দ্রের নির্দেশে তিন শীর্ষকর্তাকে সরাল এয়ার ইন্ডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের নির্দেশে সংস্থার তিন শীর্ষকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরাল এয়ার ইন্ডিয়া। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, অর্থাৎ ডিজিসিএ (DGCA)-র নির্দেশে এই পদক্ষেপ করল টাটার মালিকানাধীন বিমান সংস্থা। প্রসঙ্গত, এই তিন আধিকারিক এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমান কর্মীদের বিভিন্ন সূচি নির্ধারণের (Roster Management) দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিগত কয়েকদিন ধরেই তাঁরা কর্তব্যে গাফিলতি করেছেন। ডিজিসিএ-র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই তিন শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে কাজের নিয়ম না মানার অভিযোগ রয়েছে। তারা বারবার একই ভুল করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    কর্তব্যে গাফিলতি

    কোনও কোনও কর্মীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বাধ্যতামূলক লাইসেন্স ছাড়াই তাঁদের বিমানে ডিউটি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, কিছু কর্মীকে টানা ডিউটি করানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় বিশ্রামের সুযোগও দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই ডিজিসিএ তিনজন দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ আধিকারিককে চিহ্নিত করে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে (DGCA)।

    তিন শীর্ষ আধিকারিকের পরিচয় (DGCA)

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিজিসিএ যে তিনজন শীর্ষকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়েছে, তাঁরা হলেন, এয়ার ইন্ডিয়ার ডিভিশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট চুরা সিং, ডিরেক্টর অফ অপারেশনস (ক্রু সিডিউলিং) পিঙ্কি মিত্তল এবং ক্রু সিডিউলিং-এর চিফ ম্যানেজার পায়েল অরোরা। আগেই ডিজিসিএ-র (DGCA) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ‘‘এয়ার ইন্ডিয়া স্বেচ্ছায় জানিয়েছে, বিমানকর্মীদের সূচি নির্ধারণ, নিয়মানুবর্তিতা এবং অভ্যন্তরীণ জবাবদিহিতে গাফিলতি হয়েছে। এই গাফিলতির সঙ্গে যে আধিকারিকরা সরাসরি যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হয়নি, এটা উদ্বেগের।’’

    অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ (DGCA)

    কর্তৃপক্ষের নির্দেশ, খুব শীঘ্রই তাঁদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করতে হবে এবং ১০ দিনের মধ্যে সেই তদন্তের রিপোর্ট ডিজিসিএ-কে জমা দিতে হবে। প্রসঙ্গত, অল্প কিছু দিন আগে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় পড়ে, যাতে ২৭১ জনের মৃত্যু হয়। রানওয়ে ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি একটি ভবনে ধাক্কা খায়। এই ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং বেশ কিছু উড়ান বাতিল করা হয়। এবার ওই সংস্থার তিন শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে ডিজিসিএ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘উদ্বেগজনক আইনশৃঙ্খলা, মোতায়েন করুন আধাসেনা’’, শাহকে সুকান্তর চিঠি

    Sukanta Majumdar: ‘‘উদ্বেগজনক আইনশৃঙ্খলা, মোতায়েন করুন আধাসেনা’’, শাহকে সুকান্তর চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পশ্চিমবঙ্গে যে সমস্ত স্পর্শকাতর অঞ্চল রয়েছে, সেগুলিতে আধাসেনা মোতায়েনের আর্জি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বজবজে সুকান্ত মজুমদারের দিকে জুতো ছোড়া হয়। এরপর শুক্রবার কলকাতায় পুলিশ প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন হতে হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি‌কে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সুকান্ত মজুমদার এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

    কী লেখা হল চিঠিতে?

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ডায়মন্ডহারবারে তাঁর (Sukanta Majumdar) সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা এবং শুক্রবার কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন সহ অন্যান্য কর্মসূচির সময় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তিনি চিঠিতে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশের শীর্ষকর্তারা তাঁদের কর্তব্যে গাফিলতি করছেন। শুক্রবার নেতাজি ভবনের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে অন্যায়ভাবে আটকানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পরবর্তীকালে, চিকিৎসক রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাওয়ার পথেও তাঁকে বেআইনিভাবে আটকানো হয় এবং পরে গ্রেফতার করা হয় সেটিও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, চিঠির একেবারে শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। এর পাশাপাশি, জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধাসেনা মোতায়েনের কথা বলেছেন তিনি।

    জেলা প্রশাসন কর্তব্যে গাফিলতি করছে, অভিযোগ সুকান্তের

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, জেলা প্রশাসন কর্তব্যে গাফিলতি করছে এবং নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়াও, যে সমস্ত আধিকারিক কর্তব্যে গাফিলতি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, চিকিৎসক রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) হেফাজতে নেওয়ার পরে লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি‌কে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরেই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন ও মমতা সরকারকে তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    তোপ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    লালবাজার থেকে ছাড় পেয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আমাদের যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। গণতন্ত্র আরও একবার ভূলুণ্ঠিত হল রাস্তায়।’’ তিনি বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিবেশী চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করিয়েছেন। যে ব্যক্তি তাঁর নিজের প্রতিবেশি হতে পারে না, সে কি জনগণের হতে পারে? আমি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে এই প্রশ্নটা করতে চাই, একজন সাংসদ যিনি তাঁর প্রতিবেশীর খবর রাখেন না, প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করান। পুলিশ এখনও পর্যন্ত জানাননি আমাকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে? এরপরই কটাক্ষ করে বলেন, পিসির আঁচলের তলায় থেকে হাডুডু খেলতে বলুন। সকাল বেলায় জিমে গিয়ে ব্যায়াম করতে বলুন এবং সাপ্লিমেন্ট খেতে বলুন ওই দিয়ে ওনার চলবে।’’

    পুলিশকে তুলোধনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    পুলিশের ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘একজন চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য যেভাবে আমাকে এবং ওই চিকিৎসককে পুলিশ টেনে হিঁচড়ে গাড়ি তুলে থানায় নিয়ে গেল, গ্রেফতার করল তা তো হিটলারের শাসনকেও হার মানাবে। এর বিরুদ্ধে আমি আদালতে যাব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও (Amit Shah) চিঠি করব। স্পিকারকে চিঠি লিখব প্রিভিলেজ মোশন আনার জন্য।’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে তিনি পুলিশকে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল, তা সত্ত্বেও খোদ পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হল।’’

    প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন মমতা, অভিযোগ চিকিৎসক রজতশুভ্রের

    প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, সেই চিকিৎসক রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অক্সফোর্ড সফরে কেলগ কলেজের অনুষ্ঠানে আরজি করের ঘটনায় প্রতিবাদ জানান। বিজেপির দাবি, তারপর থেকেই তাঁকে নজরে রাখছে রাজ্য প্রশাসন। নানাভাবে হেনস্থার চেষ্টাও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলাম উনি উত্তর দিতে পারেননি। তাই এখানে আসতেই পুলিশ জোর করে থানায় তুলে নিয়ে গেল। এটা প্রতিহিংসা।’’

    আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি চিকিৎসকের

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার সুকান্ত মজুমদার চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশ জানায়, তিনি বাড়িতে নেই। তবে চিকিৎসক জানান, তিনি সুকান্তের অপেক্ষাতেই ছিলেন। এতে শুরু হয় উত্তেজনা। পুলিশ মিথ্যে বলেছে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। এরপর রজতশুভ্র নিজে বাইরে এসে সুকান্তের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর দু’জনে একটু এগোতেই ভবানীপুর থানার পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। পরিস্থিতি জটিল হতেই দু’জনকেই প্রথমে আটক, পরে গ্রেফতার করা হয়। ক্ষুব্ধ চিকিৎসক এও বলেন, ‘‘আমার দাদু কানাইলাল চট্টোপাধ্যায় স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। উনি ফাঁসিকে ভয় পাননি। সেই রক্ত আমার শরীরেও বইছে। পুলিশ এভাবে ভয় দেখিয়ে থামাতে পারবে না। আমি এতজন ব্রিটিশ নাগরিক। আমার সঙ্গে পুলিশ যেটা করল, তা আইন বিরুদ্ধ কাজ। আদালতে ওদের জবাবদিহি করতে হবে।’’

  • RSS: যোগাভ্যাসকে আরএসএস-এর শাখায় আবশ্যক করেন সংঘ প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার

    RSS: যোগাভ্যাসকে আরএসএস-এর শাখায় আবশ্যক করেন সংঘ প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৫ সালে। প্রতিষ্ঠা করেন ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার। ভারতীয় যুবকদের সংগটিত করতে, তাঁদের মধ্যে দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের আদর্শের বীজ রোপণ করতে তিনি এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এর পাশাপাশি দেশের যুবকদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ জীবন যাপনের ক্ষেত্রে তার সঙ্গেই যুক্ত করা হয় যোগাভ্যাসকে, যাতে যুবকদের আধ্যাত্মিক এবং মানসিক উন্নতি হয়। তাই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শাখাতে সূর্য নমস্কার, প্রণায়াম, ধ্যান এবং আরও বিভিন্ন যোগাসন করানো হতে থাকে তখন থেকেই।

    যোগাভ্যাসের কথা বলতেন আরএসএস-এর দ্বিতীয় সরসংঘচালক

    যোগাভ্যাসের (Yoga) মাধ্যমে স্বয়ংসেবকদের মধ্যে গড়ে উঠতে থাকে, আত্মনিয়ন্ত্রণ, সমাজসেবা, সম্প্রীতি এবং আধ্যাত্মিকতা প্রভৃতি গুণ। জানা যায়, ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার নিয়মিতভাবে যোগাভ্যাস করতেন এবং তিনি শাখা পদ্ধতিতেও (RSS) যোগাভ্যাসকে রেখেছিলেন। পরবর্তীকালে গুরু গোলওয়ালকর, যিনি সংঘের দ্বিতীয় সরসংঘচালক, তিনিও যোগাভ্যাসকে আরএসএস-এর অংশ হিসেবেই রেখে দেন। গুরুজি গোলওয়ালকর বলতেন, যদি জনগণ যোগাসন করে, তাহলে তাদের স্বাস্থ্য যেমন রক্ষা হয়, সেরকমই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। জনস্বাস্থ্য এই যোগাভ্যাসের মাধ্যমে উন্নত হবে এবং তাদের রোগ নিরাময়ে ওষুধ কেনার খরচও কমবে। সমস্ত দিক থেকেই তারা লাভবান হবে।

    যোগ হল বিশ্বমঞ্চে ভারতের উপহার, প্রস্তাব পাশ হয় আরএসএস-এর প্রতিনিধি সভায়

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) মনে করে যে, যোগ শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির উন্নতির জন্য কোনও অভ্যাস বা অনুশীলন নয়, এটি হচ্ছে সামাজিক উন্নতির জন্যই প্রয়োজন। যোগের মাধ্যমে দেশ গঠিত হবে। দেখা যায়, আরএসএস-এর বেশিরভাগ প্রশিক্ষণ বর্গে যোগাসন এবং ধ্যানকে বর্তমানে রাখা হয়। যোগ-এর মাধ্যমে স্বয়ংসেবকরা শৃঙ্খলা, উৎসাহ, শারীরিক সুস্থতা পান, যা তাঁদের সমাজের কাজ করতে আরও উৎসাহিত করে। বর্তমানে যোগাভ্যাস আবশ্যিক করা হয়েছে আরএসএস-এর যে কোনও প্রশিক্ষণ শিবিরে। যে কোনও শাখাতেও যোগাভ্যাস চলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তুলে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরেছেন যোগ-এর গুরুত্ব (Yoga)। ২০১৫ সালে আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভাতে প্রস্তাব পাস করা হয় যে যোগ হল বিশ্বমঞ্চে ভারতের উপহার।

    ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা রাষ্ট্রসংঘের

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের ৬৯তম সাধারণ সভায় ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়, যা ছিল প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য গর্বের মুহূর্ত, কারণ যোগাভ্যাস ভারত থেকে উদ্ভূত। ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় এই প্রস্তাবটি রাখেন। নেপালসহ ১৭৫টি রাষ্ট্র এই প্রস্তাবকে সমর্থন করে। পরবর্তীকালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় প্রস্তাবটি গৃহীত হয় ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর।

    সংস্কৃতিভেদে বিশ্বজুড়ে চলছে যোগ-এর অনুশীলন

    সারা বিশ্বজুড়ে অজস্র মানুষ বর্তমানে নানারকম সমস্যায় ভুগছেন, শারীরিক সমস্যা, মানসিক সমস্যা। যোগ হল একমাত্র উপায় বা পদ্ধতি যার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলির নিরাময় সম্ভব এবং তা প্রাকৃতিক উপায়ে সম্ভব। তাই বিশ্বব্যাপী এই যোগাভ্যাসের জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। মানুষ যোগকে গ্রহণ করেছেন তাঁদের সুস্থ থাকার জন্য, মানসিক ও শারীরিক উন্নতির জন্য। যোগ তাই আজ নির্দিষ্ট কোনও গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ নেই। পৃথিবীর যে কোনও সাধারণ মানুষ থেকে বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা প্রত্যেকেই আজ যোগাভ্যাস করেন। এর মধ্যে আছেন বড় বড় শিল্পপতি থেকে কূটনীতিকরাও।

    যোগ শব্দের উৎপত্তি কীভাবে, ব্যাখ্যা করেছে আরএসএস

    ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভাতে (RSS) যোগের উপর যে প্রস্তাবনা হয়, সেখানে স্পষ্টভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ব্যাখ্যা করে যে যোগের মূলগত উৎস এসেছে ‘যুজ’ (Yug) থেকে, যার অর্থ সংযুক্তিকরণ। যোগাসন শুধুমাত্র একটি শারীরিক অনুশীলন নয়। মহর্ষি পতঞ্জলির মতে, এটি হল একটি পবিত্র জীবনযাপনের অনুশীলন, যা মানুষের শরীর, মন, বুদ্ধি এবং আত্মাকে একত্রিত করে। বিভিন্ন হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে, যোগাভ্যাসের নানা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে বলা হয়েছে—যোগব্যায়াম অশান্ত মনকে শান্ত করে। যোগ শব্দের অর্থ হলো মনের প্রশান্তি। এই ব্যাখ্যার ফলে এই দর্শনকে অনুসরণ করে নিজেদের জীবনে যোগাভ্যাসকে নিয়মিতভাবে অনুশীলন করে আজ ব্যক্তিজীবন সুন্দর ও শান্তিময় হয়ে উঠেছে।

    ভারতীয় সাধু-সন্ত, যোগ গুরু এবং যোগ প্রশিক্ষকদের ধন্যবাদ জানিয়েছে আরএসএস

    আরএসএস বিভিন্ন সময়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে ভারতীয় সাধু-সন্ত, যোগ গুরু এবং যোগ প্রশিক্ষকদের, যাঁরা বিশ্বমঞ্চে যোগাভ্যাসকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। একইসঙ্গে আরএসএস ধন্যবাদ জানিয়েছে ভারতীয় কূটনীতিকদের, যাঁরা রাষ্ট্রসংঘসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনে অবদান রেখেছেন। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রতিটি রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে, তারা যেন যোগকে শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং গবেষণার কাজেও অন্তর্ভুক্ত করে, যাতে সমাজের প্রতিটি স্তরে যোগাভ্যাসের প্রসার ঘটানো যায়।

  • International Yoga Day 2025: প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন মোদি, আজ সারা বিশ্বে পালিত আন্তর্জাতিক যোগ দিবস

    International Yoga Day 2025: প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন মোদি, আজ সারা বিশ্বে পালিত আন্তর্জাতিক যোগ দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার ২১ জুন, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day 2025)। এই বছর বিশ্ব তার ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন করতে চলেছে। মানুষের মধ্যে যোগব্যায়ামের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ২১ জুন সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়। যোগ দিবসের দিনে বিভিন্ন স্থানে যোগ শিবিরের আয়োজন করা হয় যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এই দিনে যোগব্যায়ামের অংশ হতে পারে।

    যোগ বা যোগাভ্যাস কী?

    আগে জেনে নেওয়া যাক যোগ বা যোগাভ্যাস কী? যোগ হল একই সঙ্গে শরীর, মন এবং আধ্যাত্মিকতার যোগ। প্রাচীন ভারতে জন্ম যোগার। সংস্কৃতে ‘যোগা’ (International Day of Yoga) শব্দের অর্থ যোগ করা, একীভূত করা। দেহের সঙ্গে চৈতন্যকে একীভূত করাই হল যোগ। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৬৯তম অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে যোগের উপকারিতা সম্পর্কে বলেছিলেন মোদি। সেদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “যোগ হল আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যের এক অমূল্য ধারা। যোগ শরীর এবং মনের ঐক্য সাধন করে। চিন্তার সঙ্গে ঐক্য গড়ে তোলে কাজের। শরীর এবং মন ভাল রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হল যোগ। এটা কেবল শরীর চর্চা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। যোগ একটা পথ, যে পথ নিজের সঙ্গে একাত্মবোধ গড়ে তোলে, ঐক্যবোধ গড়ে তোলে বিশ্ব এবং প্রকৃতির সঙ্গেও।”

    ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ ও মোদির ভূমিকা

    তার পরেই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘকে অনুরোধ করেন ২১ জুন দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ (International Yoga Day 2025) হিসেবে ঘোষণা করার। ২১ জুন দিনটিকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জানান, এদিন উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন, রাত ছোট। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সেই অনুরোধে সাড়া দেয় রাষ্ট্রসংঘ। তার পরের বছর থেকে ২১ জুন দিনটি পালিত হয়ে আসছে ‘ইন্টারন্যাশনাল যোগা ডে’ হিসেবে। নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে যে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনও ভাল থাকে, তামাম বিশ্বকে সেই বার্তা দিতেই আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় রাষ্ট্রসংঘ। যোগ দিবস পালন সংক্রান্ত খসড়ায় স্বাক্ষর করেন বিশ্বের ১৭৭টি দেশের প্রতিনিধিরা।

    নিয়মিত যোগাভ্যাসের গুরুত্বকে স্বীকৃতি ‘হু’-র

    দেশে প্রথমবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day 2025) পালনের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রের আয়ূষ মন্ত্রক। সেবার অংশ নিয়েছিলেন ৩৫ হাজার ৯৮৫ জন। এঁদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৮৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিও। দিল্লির রাজপথের ওই অনুষ্ঠানে ৩৫ মিনিটে তাঁরা ২১টি আসন করেছিলেন। এটাই ছিল বিশ্বের সব চেয়ে বড় যোগাভ্যাসের ক্লাস। নিয়মিত যোগাভ্যাসের গুরুত্ব (Yoga Benefits) স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তারাও সদস্য দেশগুলিকে অনুরোধ করেছে যোগ সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন করতে। কারণ নিয়মিত যোগাভ্যাসের ফলে দূরে রাখা যায় ক্যান্সার, ডায়াবেটিস মায় হার্টের রোগকেও।

    “এক পৃথিবীর জন্য যোগ, এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ”

    এই বছর প্রধানমন্ত্রী মোদি যোগ দিবসের (International Day of Yoga) থিম নির্ধারণ করেছেন— “এক পৃথিবীর জন্য যোগ, এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ।” ঘটনাচক্রে সম্প্রতি মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্ণ হয়েছে। তাই এবার দুইয়ের সম্মিলিত প্রচারে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। শহর থেকে গ্রাম, প্রান্তিক অঞ্চল থেকে শুরু করে আদিবাসী এলাকা, দেশের প্রতিটি কোণে যাতে যোগ দিবসের বার্তা পৌঁছে দিতে সব মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন মোদি। ছুটির দিনেও সরকারি কর্মচারীদের সিংহভাগকে কী করে যোগ অনুষ্ঠানে শামিল করানো যায়, তা নিয়ে আয়ূষ এবং তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক যৌথভাবে ঘনঘন বৈঠকে বসছে। বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে ৪০০ কর্মীকে এ ব্যাপারে কাজে লাগানো হচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, কীভাবে যোগ দিবসের ছবি, ভিডিও প্রচার করা যায়। আয়ূষ মন্ত্রকের সচিব রাজেশ কোটেচা, যুগ্মসচিব মোনালিসা দাস, তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের যুগ্মসচিব সি সেন্থিল রাজন এব্যাপারে সরকারি কর্মীদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগী হয়েছেন। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ১ লক্ষেরও বেশি স্থানে সাধারণ যোগ প্রোটোকল (CYP) অনুযায়ী একযোগে গণ যোগব্যায়ামের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে যোগ সঙ্গমে, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭:৪৫ পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে আয়োজন করা জাতীয় অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন (International Yoga Day 2025)।

  • Regular Yoga Practice: হার্ট অ্যাটাক থেকে ডিপ্রেশন, একাধিক রোগের ‘দাওয়াই’ লুকিয়ে যোগাভ্যাসে!

    Regular Yoga Practice: হার্ট অ্যাটাক থেকে ডিপ্রেশন, একাধিক রোগের ‘দাওয়াই’ লুকিয়ে যোগাভ্যাসে!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স তিরিশ ছোঁয়ার আগেই শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি মানসিক অবসাদের মতো নানান জটিল সমস্যা বাড়ছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিশেষত এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবন যাপনে ব্যস্ততা বেশি। ‘ফাস্ট লাইফস্টাইল’ শরীরের উপরে বাড়তি চাপ তৈরি করছে। মানসিক চাপ ও দেখা দিচ্ছে। তার উপরে অধিকাংশের অনিয়মিত এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বাড়তি বিপদ তৈরি করছে। কিন্তু এই সমস্যার সমাধানের পথ রয়েছে যোগাভ্যাসে (Yoga)। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের (International Yoga Day 2025) আগে চিকিৎসকদের একাধিক কর্মশালায় উঠে এল এমনিই সমাধান। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাধিক শারীরিক সমস্যা জীবন যাপন ধরণ সংক্রান্ত। তাই যোগাভ্যাস সেই সমস্যা মোকাবিলার সবচেয়ে সক্রিয় ‘দাওয়াই’ হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) একাধিক বিপদ রুখে দিতে পারে।

    কোন কোন বিপদ রুখতে কার্যকরী যোগাভ্যাস, দেখে নেওয়া যাক—

    স্থূলতা কমাতে সাহায্য করবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতের তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হলো অতিরিক্ত ওজন। স্থুলতার জেরে এক দিকে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে, আরেকদিকে হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্ব, হাড়ের ক্ষয় রোগের মতো একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই স্থুলতা যথেষ্ট বিপজ্জনক। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে যোগাভ্যাস। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) করলে দেহের অতিরিক্ত ক্যালোরি ক্ষয় করা সহজ হয়। দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরে যায়। তাই সহজেই স্থুলতা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শেষ দুই দশকে ভারতীয়দের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হার্ট অ্যাটাক। ভারতীয়দের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বাড়ছে। বিশেষত কম বয়সি পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ভাবেই বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস এই ঝুঁকি কমাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। দেহের রক্তচাপ ও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে। বাড়তি চাপ তৈরি করে না। তাই হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদ রুখতে যোগাভ্যাসে ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কিডনির সুস্থ রাখতে ভরসা থাকুক যোগাভ্যাসে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রৌঢ় বয়সে কিডনির রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। কম বয়স থেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার জেরেই কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে এই বিপদ কমানো যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। এতে শরীরের সমস্ত পেশির কার্যকারিতা বজায় থাকে। এর প্রভাব কিডনিতেও পড়ে। কিডনির কার্যকারিতাও স্বাভাবিক রাখে।

    মানসিক চাপ ও অবসাদ কমাতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজরদারি জরুরি। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য শরীরের মতোই মনের সুস্থ থাকাও জরুরি। কিন্তু বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই বহু ছেলেমেয়ে মানসিক চাপ ও অবসাদের শিকার হচ্ছে। পরবর্তী জীবনে তার গভীর প্রভাব পড়ছে‌। শারীরিক একাধিক সমস্যার কারণ মানসিক চাপ এবং অবসাদ। তাই এ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ ও স্বাভাবিক ভাবে হয়। এর ফলে মানসিক চাপ ও কমে। অবসাদের মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

    উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাবে!

    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই প্রথম থেকেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তাঁদের পরামর্শ নিয়মিত যোগাভ্যাস এই কাজে সাহায্য করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার ঝুঁকিও কমে।

    কেন যোগাভ্যাস সুস্থ থাকার চাবিকাঠি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে শারীরিক কসরতের সুযোগ কমছে। অনেকেই দিনের অধিকাংশ সময় চেয়ারে বসে থাকেন। কিংবা এমন কোনও কাজ করেন, যেখানে ছোটাছুটির বিশেষ সুযোগ থাকে না। অনেক সময়েই নানান কারণে ঘুমের সময় কমে। এগুলো শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যোগাভ্যাস শরীরের সমস্ত পেশি এবং স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে। নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) করলে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। পেশি, স্নায়ু সক্রিয় থাকলে শরীরের সমস্ত অঙ্গে কার্যক্ষমতা বাড়ে। ফলে, রোগ মোকাবিলা সহজ। পাশপাশি যোগাভ্যাস হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত মেডিটেশন করলে মানসিক অস্থিরতা কমে। ফলে নানান মানসিক জটিলতা কমার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই আধুনিক জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ মোকাবিলায় যোগাভ্যাসেই ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Iran: দিল্লির জন্য ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত তেহরানের! ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে ইরান খুলে দিল আকাশ সীমা

    Iran: দিল্লির জন্য ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত তেহরানের! ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে ইরান খুলে দিল আকাশ সীমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। ইজরায়েল ও ইরানের (Iran) মধ্যে চলমান সংঘর্ষে দুই দেশেই একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে। এমন যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে ইরান তার আকাশসীমা আংশিকভাবে বন্ধ করে দেয়। এই পরিস্থিতিতে ইরানে আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে এক ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইরান ও ভারত সরকার। ‘অপারেশন সিন্ধু’র মাধ্যমে এক হাজার ভারতীয় নাগরিককে (Indian Students) ইরান থেকে দেশে ফেরত আনা হচ্ছে।

    মার্ সাহা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ চ্যাটার্ড ফ্লাইট চালু করা হয়েছে

    জানা যাচ্ছে, ইরানের (Iran) আকাশসীমা এখনও সীমিতভাবে বন্ধ থাকলেও ভারতীয় নাগরিকদের সুবিধার্থে ইরানের মার্ সাহা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ চ্যাটার্ড ফ্লাইট চালু করা হয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে উড়িয়ে আনার জন্য। এই বিশেষ ফ্লাইটগুলোর প্রথমটি আজ রাতেই দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে জানা গেছে। ইরানের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, এই ফ্লাইটগুলো কেবলমাত্র ভারতীয়দের জন্য নির্ধারিত এবং যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

    আগেই দেশে ফিরেছেন ১১০ জন পড়ুয়া (Iran)

    এর আগে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভয়ঙ্করভাবে উত্তপ্ত উত্তর ইরান থেকে ১১০ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে (Indian Students) সফলভাবে সরিয়ে আনা হয়েছিল। তবে সে সময় ইরানের কোনও বিমানবন্দর ব্যবহার না করে তাদের প্রথমে আর্মেনিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়, তারপর সেখান থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। উভয় দেশের ভারতীয় দূতাবাস এই অভিযানে সমন্বয় রাখে নিজেদের মধ্যে। এবার ইরানের অভ্যন্তর থেকেই সরাসরি বিশেষ বিমানে করে ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, যা একটি বড় সাফল্য বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।

    ইজরায়েল থেকেও শুরু হয়েছে উদ্ধার অভিযান

    শুধু ইরান (Iran) নয়, ইজরায়েলেও চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সেখানে থাকা ভারতীয়দেরও ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার। তেল আভিভে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাস কাছাকাছি সীমান্ত অঞ্চলগুলির মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে আনছে বলে খবর।

  • Digha Jagannath Temple: সুতিতে মুসলিম মালিকাধীন দোকানে তৈরি হবে জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ! তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    Digha Jagannath Temple: সুতিতে মুসলিম মালিকাধীন দোকানে তৈরি হবে জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ! তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম মালিকাধীন দোকানগুলি থেকে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ তৈরি করছে বলে অভিযোগ (Digha Jagannath Temple)। এ নিয়ে সামনে এসেছে রাজ্য সরকারের একটি নির্দেশিকা, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে মমতা সরকার রেশন ডিলারদেরকে এই নির্দেশ দিচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি ১ নম্বর ব্লকের একটি লিস্ট সামনে এসেছে, যেখানে চারটি দোকানদারকে গজা এবং প্যারা তৈরি করতে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভগবান জগন্নাথের চিরাচরিত প্রসাদ হল এই গজা এবং প্যারা। এই চারটি দোকানের মধ্যে তিনজনের মালিক মুসলমান। এভাবেই মমতা সরকারের এই সিদ্ধান্তে সরব হয়েছে অনেক মহল। অনেকেই সমালোচনার সুরে বলছেন—সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ধরা পড়ছে সংখ্যালঘু তোষণ এবং সরকার এই সংখ্যালঘু তোষণটাও করছে হিন্দুদের বিশ্বাসে আঘাত দিয়ে।

    কী বললেন অমিত মালব্য (Digha Jagannath Temple)?

    ভারতীয় জনতা পার্টির আইটিসেলের প্রধান অমিত মালব্য এ নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) মাধ্যমে। সেখানে অমিত মালব্য লিখছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু ভাবাবেগকে আঘাত দিয়ে মিষ্টির দোকান এবং রেশন ডিলারদেরকে গজা ও প্যারা প্রসাদ আকারে প্রস্তুত করে বিতরণ করতে বলছেন যাদের বেশিরভাগই মুসলিম সম্প্রদায়ের। এভাবেই তোষণের রাজনীতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন বলে অভিযোগ আনেন অমিত মালব্য। তিনি পুরীর জগন্নাথ ধামের সঙ্গে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের তুলনাও টানেন। বিজেপি নেতা বলেন, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অ-হিন্দুদের প্রবেশ নিষেধ, যা একটি পুরনো প্রথা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে সেই প্রথা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এখানে হিন্দু প্রথা মানা হচ্ছে না, হিন্দু রীতি মানা হচ্ছে না (Digha Jagannath Temple)। সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের শুধুমাত্র ধর্মনিরপেক্ষতার কারণে পর্দার আড়ালে রাখা হচ্ছে।

    কী বলছেন শুভেন্দু অধিকারী?

    অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনা আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু তোষণ। বিরোধী দলনেতা বলেন, প্রথমত বেআইনিভাবে ওবিসি তালিকা তৈরি করে মুসলিম ভোট নিজের দিকে আনতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর দেখা যাচ্ছে, হিন্দুদের পবিত্র রীতিতে আঘাত হানছেন তিনি। এটা কোনও বৈচিত্র্য নয় এটা হচ্ছে হিন্দুদের বিশ্বাসে আঘাত। শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে স্থানীয় হিন্দু দোকানদার আছেন যাঁরা চিরাচরিতভাবে মন্দিরের প্রসাদ তৈরি করেন, তাঁদের বাদ দিয়ে মুসলিমদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিজের ইমেজ তৈরির চেষ্টা করছেন মমতা। এটা হচ্ছে তোষণের দ্বিতীয় পর্যায়, যেখানে শতাব্দী প্রাচীন হিন্দু রীতিকে (Digha Jagannath Temple) ভেঙেছেন তিনি শুধুমাত্র ভোটের জন্য।

    প্রসাদ তৈরি হয় শ্রদ্ধা ও ভক্তির মাধ্যমে

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে মুর্শিদাবাদ থেকে দীঘা পর্যন্ত হিন্দু ধর্মের নেতারা এবং ভক্তরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীঘার এক স্থানীয় পণ্ডিত বলেন, এটা শুধুমাত্র খাদ্যের বিষয় নয়। নৈবেদ্য, যা ভগবানের উদ্দেশ্যে অর্পণ করা হয়, তা শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে তৈরি করা হয়। যাঁরা এটি তৈরি করেন ভক্তির সঙ্গে করেন। প্রসাদ একটি আধ্যাত্মিক বিষয়। কিন্তু যাঁরা তৈরি করছেন, তাঁরা যদি পবিত্র রীতিতে বিশ্বাস না রাখেন, তাহলে সেই প্রসাদের পবিত্রতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে (Digha Jagannath Temple)।

    কী বলছেন ভক্তরা (Digha Jagannath Temple)

    এই অঞ্চলের ভক্তরা মনে করছেন এইভাবেই পবিত্র ধর্মীয় রীতিনীতি এবং ধর্ম পালনকে রাজনৈতিক প্রভাবে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলার রানি নগরের একজন স্থানীয় বাসিন্দা এই ঘটনায় অবাক হয়ে বলেন, যেখানে একটি মন্দির তৈরি হচ্ছে বৈষ্ণব প্রথা মেনে, সেখানকার প্রসাদ কিভাবে এভাবে তৈরি হতে পারে?
    আরেকজন বলেন, হিন্দুরা কি কোনও মসজিদের রীতিনীতি ঠিক করে? তাহলে কেন হিন্দুদের প্রসাদে সরকার হস্তক্ষেপ করছে এবং তার বাণিজ্যিকীকরণ করছে এভাবে? বিজেপি এই ঘটনার প্রতিবাদে মমতা সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে। গেরুয়া শিবিরের তরফে বলা হয়েছে— দুর্গা মূর্তি বিসর্জন বাধা পায় পশ্চিমবঙ্গে, রামনবমী শোভাযাত্রায় হামলা চালানো হয় অথচ ইফতার করা হয় সরকারি সহযোগিতায়, মাদ্রাসাগুলিকে ফান্ডিং করা হয়।

    গত এপ্রিলেই উদ্বোধন করেন মমতা

    জানা যাচ্ছে, শুধুমাত্র ২০২৪ সালেই পশ্চিমবঙ্গে ৩০টি এমন ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে হিন্দু ধর্মের শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়নি, রুট বদল করা হয়েছে, অথবা তা করতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায়। অন্যদিকে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এমন কিছু ঘটেনি, বরং তারা রাজ্য সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসেই দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেই সময় জগন্নাথ মন্দিরকে (Jagannath Temple) একটি ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলেন। কিন্তু বর্তমানে সেই কেন্দ্রকেই ঘিরে দেখা যাচ্ছে সংখ্যালঘুতোষণের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

  • Mega Data Breach: বিশ্বের ইতিহাসে বড় তথ্য চুরির ঘটনা! সাইবার জগতে ফাঁস ১৬০০ কোটি লগ-ইন তথ্য

    Mega Data Breach: বিশ্বের ইতিহাসে বড় তথ্য চুরির ঘটনা! সাইবার জগতে ফাঁস ১৬০০ কোটি লগ-ইন তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে সাইবার জগতে তীব্র চাঞ্চল্য। সামনে এল ইতিহাসের বড় তথ্য চুরির ঘটনা (Mega Data Breach)। সাইবার বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন যে, ১৬ বিলিয়ন (১৬০০ কোটি) লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড ফাঁস হয়েছে ডার্ক ওয়েবে। ফাঁস হওয়া এই বিপুল পরিমাণ তথ্যের মধ্যে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম প্রযুক্তি সংস্থা গুলোর অ্যাক্সেস ক্রেডেনশিয়াল, যার প্রভাব পড়তে পারে কোটি কোটি ব্যবহারকারীর ওপর।

    কী বলছে ফোর্বস পত্রিকা (Mega Data Breach)

    ফোর্বসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই তথ্যে অ্যাপল, গুগল, ফেসবুক, গিটহাব, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি পরিষেবার লগইন ও পাসওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গবেষকরা সতর্ক করছেন, এই ঘটনার ফলে সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবায় অবাধ প্রবেশাধিকার পেয়ে যেতে পারে।

    ১৮৪ মিলিয়ন রেকর্ডসহ অরক্ষিত ডেটাবেস (Mega Data Breach)

    একটি অসুরক্ষিত ওয়েব সার্ভারে পাওয়া গিয়েছে ১৮৪ মিলিয়ন রেকর্ডের এক রহস্যময় ডেটাবেস। বিশ্লেষকদের মতে, এটি কেবল হিমশৈলের চূড়ামাত্র। গবেষকরা এখনও পর্যন্ত ৩০টি পৃথক ডেটাসেট চিহ্নিত করতে পেরেছেন, যেগুলোর প্রতিটিতে ৩.৫ বিলিয়নেরও বেশি রেকর্ড রয়েছে। এসব ডেটায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সামাজিক মাধ্যম, ভিপিএন, কর্পোরেট ও ডেভেলপার প্ল্যাটফর্মের অ্যাক্সেস তথ্য।

    শুধু তথ্য ফাঁস নয়, সাইবার অপরাধের ব্লুপ্রিন্ট

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কেবল একটি ‘ডেটা ব্রিচ’ (Mega Data Breach) নয় বরং একটি ব্যাপক এক্সপ্লয়টেশনের নীল নকশা। পূর্ববর্তী ফাঁস হওয়া তথ্য নয়, বরং এটি একেবারে নতুন ও ব্যবহারযোগ্য তথ্য। যা ইতিমধ্যেই সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে শুরু করেছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই তথ্য ব্যবহার করে চালানো হতে পারে অ্যাকাউন্ট হাইজ্যাক এবং ব্যবসায়িক ইমেল কম্প্রোমাইজ। এই প্রসঙ্গে কিপার সিকিউরিটির সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড্যারেন গুসিওন জানিয়েছেন, এই ডেটা বহু অনলাইন পরিষেবার মূল অ্যাক্সেস তথ্য ধারণ করে, যার ফলে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব অনস্বীকার্য।

    পাসওয়ার্ড বদলে ফেলতে বলছে গুগল (Google)

    গুগল (Google) এই ধরনের তথ্য ফাঁসের ঘটনার কারণেই ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড এবং টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের মত পুরনো সাইন-ইন পদ্ধতি থেকে সরে আসতে বলছে। এর পরিবর্তে জিমেইল অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা আপগ্রেড করার পরামর্শ দিচ্ছে গুগল। ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টের ওপর আরও ভালো নিয়ন্ত্রণের জন্য গুগল তাদের অ্যাকাউন্টগুলিকে পাসকি এবং সোশ্যাল সাইন-ইনে আপগ্রেড করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে। গুগলের (Google) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমন সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত যা ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুরক্ষিত করে এবং জালিয়াতির হাত থেকে রক্ষা করে।

LinkedIn
Share