Tag: মাধ্যম

  • Rajnath Warns Pakistan: ‘‘ইতিহাস ও ভূগোল দুই-ই বদলে দেবে ভারত’’, স্যর ক্রিক নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের

    Rajnath Warns Pakistan: ‘‘ইতিহাস ও ভূগোল দুই-ই বদলে দেবে ভারত’’, স্যর ক্রিক নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার স্যর ক্রিক (Sir Creek) নিয়ে পাকিস্তানকে সরাসরি কড়া হুঁশিয়ারি (Rajnath Warns Pakistan) দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বললেন, ‘স্যর ক্রিক এলাকায় পাকিস্তানের যে কোনও আগ্রাসনের যোগ্য দেওয়া হবে যা ইতিহাস এবং ভূগোল দুটোই বদলে দিতে পারে ভারত।’

    কী বললেন রাজনাথ?

    বৃহস্পতিবার দশেরার দিনে গুজরাটের ভুজ সীমান্ত ঘাঁটিতে সেনাদের সঙ্গে অস্ত্রপুজো করে তিনি বলেন, “ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বিএসএফ যৌথভাবে এবং সজাগভাবে ভারতের সীমান্ত রক্ষা করছে। যদি পাকিস্তান স্যর ক্রিক (Sir Creek) এলাকায় আগ্রাসন দেখানোর চেষ্টা করে বা কোনও প্রকার দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা করে, তবে এমন জবাব দেওয়া হবে যা ইতিহাস ও ভূগোল দুই-ই বদলে দেবে ভারত।’’ এই প্রসঙ্গে তিনি ইসলামাবাদকে স্মরণ (Rajnath Warns Pakistan) করিয়ে বলেন, ‘‘১৯৬৫ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনী লাহোরে পৌঁছনোর ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিল। ২০২৫ সালে এসে পাকিস্তানের মনে রাখা উচিত যে করাচি যাওয়ার একটি পথ এই প্রণালীর মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।’’ রাজনাথ স্পষ্ট করে দেন, লেহ হোক বা স্যর ক্রিক— ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তি ভাঙার চেষ্টা করা হলে, ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পুরোপুরি অক্ষম করে দেবে।

    কী এই স্যর ক্রিক?

    স্যর ক্রিক (Sir Creek) হল গুজরাটের কচ্ছের রণ এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রায় ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি প্রণালী। সিন্ধু নদের ব-দ্বীপে তৈরি হয়েছে এই খাঁড়ি। দুই দেশের মধ্যে সমুদ্র সীমান্ত হিসেবে এই এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই স্যর ক্রিককে ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ। ১৯৯৯ সালে স্যর ক্রিক এলাকাতেই অনুপ্রবেশকারী পাক নজরদার বিমানকে ধ্বংস করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই ঘটনায় ১৬ জন পাক সেনা নিহত হয়েছিলেন।

    স্যর ক্রিক অঞ্চলে নির্মাণ পাক সেনার

    সম্প্রতি স্যর ক্রিক (Sir Creek) অঞ্চলে পাকিস্তানি সেনার বেশ কিছু নির্মাণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। স্যর ক্রিক সংলগ্ন এলাকায় পাকিস্তানি সেনা বেশ কিছু সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। যে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখছে ভারতীয় সেনা। যা নিয়ে শুরু বিতর্ক। এই অঞ্চলে নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফের বিশেষ বাহিনী ‘ক্রিক ক্রোকোডাইল’। রাজনাথ বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরেও, স্যর ক্রিক এলাকায় সীমান্ত নিয়ে বিরোধ চলছে। ভারত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছে, কিন্তু পাকিস্তানের উদ্দেশ্যের মধ্যে ত্রুটি রয়েছে (Rajnath Warns Pakistan)। ওদের অভিপ্রায় স্পষ্ট নয়। সম্প্রতি পাকিস্তান সেনাবাহিনী স্যর ক্রিক সংলগ্ন এলাকায় যেভাবে সামরিক পরিকাঠামো সম্প্রসারণ করেছে, তাতে তাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে।’’

  • Putin Supports PM Modi: ‘‘অপমান মেনে নেবে না ভারত’’, মার্কিন শুল্ক-যুদ্ধে ‘বন্ধু’ মোদিকে সমর্থন পুতিনের

    Putin Supports PM Modi: ‘‘অপমান মেনে নেবে না ভারত’’, মার্কিন শুল্ক-যুদ্ধে ‘বন্ধু’ মোদিকে সমর্থন পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ান তেল কেনায় ভারতের ওপর মার্কিন চাপের বিরুদ্ধে (Russia Attacks US Tariff) সরব হলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর স্পষ্ট কথা, নয়াদিল্লি কখনওই এই ধরণের চাপের কাছে মাথা নত করবে না (Putin Supports PM Modi) এবং নিজেকে কারও সামনে অপমানিত হতে দেবে না।

    ‘‘অপমান মেনে নেবে না ভারত’’

    রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ভারতের উপর চাপ বাড়াচ্ছে আমেরিকা। একই সঙ্গে চাপ বাড়ছে চিনের উপরেও। সেই সময়েই এই ইস্যুতে আমেরিকাকে নিশানা করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার, কৃষ্ণ সাগরের রিসোর্ট শহর সোচিতে ভালদাই ডিসকাশন গ্রুপে বক্তব্য রাখছিলেন পুতিন। আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন ভারত-সহ ১৪০টি দেশের নিরাপত্তা এবং ভূরাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সেখানেই পুতিন বলেন, ‘‘ভারতের মতো একটি দেশ কারও সামনে কখনই অপমান মেনে নেবে না। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিনি। মোদি আমার বন্ধু। আমি জানি, তিনি কখনও দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেবেন না। তিনি নিজেও এ ধরনের কোনও পদক্ষেপ করবেন না।’’ পুতিনের মতে, যদি ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ করে, তবে দেশের ক্ষতি হবে আনুমানিক ৯ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার। তাঁর কথায়, “ভারতের মানুষ খুব মনোযোগ দিয়ে দেখবেন তাঁদের নেতারা কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, আর তাঁরা কখনও অপমান সহ্য করবেন না।”

    মস্কো এবং নয়াদিল্লির মধ্যে ‘‘বিশেষ’’ সম্পর্ক

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেছেন। তাঁকে ‘‘ভারসাম্যপূর্ণ এবং জ্ঞানী নেতা’’ হিসাবে অভিহিত করেছেন। পুতিন জোর দিয়ে দাবি করেছেন, মস্কো এবং নয়াদিল্লির মধ্যে ‘‘বিশেষ’’ সম্পর্ক রয়েছে। বন্ধু মোদির পাশে থাকার অঙ্গীকার আলাদা করে করেন পুতিন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, মার্কিন শুল্কের জন্য ভারতের যা ক্ষতি হবে, তা বাণিজ্য দিয়ে পুষিয়ে দেবে রাশিয়া। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকার শুল্কের কারণে ভারতের যা ক্ষতি হচ্ছে, তা আমাদের খনিজ তেল আমদানির মাধ্যমে পুষিয়ে যাবে। পাশাপাশি, ভারত থেকে আরও কৃষিজাত পণ্য কেনা যেতে পারে। ওষধি পণ্যের জন্যেও আমাদের দিক থেকে কিছু পদক্ষেপ করা হতে পারে, যাতে বাণিজ্যের ভারসাম্য বজায় থাকে।’’

    ট্রাম্পকে তুলোধনা পুতিনের

    দ্বিচারিতা নিয়ে ট্রাম্পকে তুলোধনা করেন পুতিন। তিনি মনে করিয়ে দেন, রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি বাণিজ্য কমাতে ভারতকে বাধ্য করা “অর্থনৈতিকভাবে অর্থহীন” এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমেরিকারই অর্থনীতি। রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করা হলে বিশ্ব অর্থনীতি গভীর সংকটে পড়বে এবং অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলারের উপরে পৌঁছাবে। ইউক্রেনের সঙ্গে ইউরেনিয়াম কেনা নিয়ে চুক্তি করেছে আমেরিকা। এই নিয়েও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন পুতিন। তাঁর দাবি, ওয়াশিংটন নিজেই রাশিয়ার কাছ থেকে ভালো মানেই ইউরেনিয়াম কিনছে। আর তারাই আবার অন্য দেশকে রাশিয়ার জ্বালানি কিনতে বাধা দিচ্ছে।

  • Durga Puja 2025: দশমীর দিন সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন হিন্দু বধূরা, কবে শুরু হয়েছিল এই রীতি?

    Durga Puja 2025: দশমীর দিন সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন হিন্দু বধূরা, কবে শুরু হয়েছিল এই রীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বছর অপেক্ষার পর মহালয়া শুরু হলেই চারদিকে পুজো পুজো (Durga Puja 2025) গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আনন্দে মেতে ওঠে মন। আর দশমী আসা মানেই মন বিষাদে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। দশমী মানেই বিজয়া। এবার মাকে বিদায় দেওয়ার পালা। সিঁদুরে রাঙা মায়ের মুখখানি যে বড়ই প্রিয় আম বাঙালির। মিষ্টিমুখ করিয়ে ঘরের মেয়ে উমাকে এবার কৈলাসে পাঠানোর শুরু হয় তোড়জোড়। আর এই সূত্র ধরেই সিঁদুর খেলায় (Sindoor Khela) মেতে ওঠেন বাড়ির বধূরা। বিজয়া দশমীর একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল সিঁদুর খেলা। হিন্দু বিবাহ রীতিতে সিঁদুরদান একট লৌকিক আচার। স্বামীর মঙ্গল কামনায় সিঁদূর পরেন বিবাহিত মহিলারা। দুর্গা বিবাহিত হওয়ায় তাঁকে সিঁদুর লাগিয়ে, মিষ্টি মুখ করিয়ে বিদায় জানানো হয়।

    সিঁদুর খেলার প্রচলন কবে? (Durga Puja 2025)

    সিঁদুর খেলার (Sindoor Khela) প্রচলন ঠিক কবে থেকে, তার সঠিক কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। ইতিহাসবিদ ও শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতদের কেউ কেউ বলেন, দুশো বছর আগে সিঁদুর খেলার প্রচলন হয়েছিল। তখন বর্ধিষ্ণু জমিদার পরিবারগুলিতে দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জনের আগে বাড়ির মহিলারা একে অপরকে সিঁদুরে রাঙিয়ে স্বামী ও পরিবার পরিজনদের মঙ্গল কামনা করতেন। আবার অন্য একটি মত অনুযায়ী, সিঁদুর খেলার ঐতিহ্য চারশো বছরের পুরনো। অন্য কোনও কারণ নয়, শুধুমাত্র খেলার ছলেই এই প্রথার চল হয়। মায়ের বিসর্জনের দিন সকলের মনই ভারাক্রান্ত থাকে। তাই ওইদিন একটু আনন্দ-উল্লাসের জন্যই সিঁদুর (Durga Puja 2025) খেলার প্রবর্তন হয়। সেই ঐতিহ্যই সমান ভাবে চলছে আজও।

    পুরাণ মতে সিঁদুর খেলা

    পুরাণ মতে, ৯ দিন ৯ রাত্রি মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ হয় দশভূজা দুর্গার। দশমীর দিনে মহিষাসুর বধ করেন দুর্গা। অধর্মের ওপর ধর্ম ও অসত্যের ওপর সত্যের জয়ের দিন এটি। সেই জয়কে চিহ্নিত করতেই দশমীর আগে বিজয়া শব্দটি ব্যবহৃত হয়। দশমীর দিনে এই জয়লাভ বলে দিনটিকে বিজয়া দশমী বলা হয়। পুরাণ মতে সিঁদুর ব্রহ্মের প্রতীক। বিবাহিত রমণীরা সেই ব্রহ্মস্বরূপ সিঁদুর সিঁথিতে ধারণ করে থাকেন স্বামী ও পরিবারের মঙ্গলকামনায়। শ্রীমদ্ভগবত অনুসারে, গোপিনীরা কাত্যায়নী ব্রত পালন করতেন। যমুনা নদীর তীরে মাতার মাটির মূর্তি স্থাপন করে, ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে এই ব্রত পালিত হত। এরপর গোপীনিরা নাকি সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতেন। একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে তাঁরা আসলে শ্রীকৃষ্ণের মঙ্গল কামনা করতেন বলেই কথিত রয়েছে।

    সিঁদুর খেলায় (Sindoor Khela) মেতে ওঠেন সকলে

    বারোয়ারি মণ্ডপ (Durga Puja 2025) হোক অথবা বাড়ির পুজো, শাড়ি পরে মাতৃ জাতিকে সিঁদুর খেলতে দেখা যায়। শুধুমাত্র বিবাহিত বা প্রচলিত ভাষায় সধবা মহিলারা নন, এখন অবিবাহিত মহিলারা, প্রচলিত ভাষায় যাদের কুমারী মেয়ে বলা হয়, তাঁদেরকেও দেখা যায় সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতে। কথিত আছে যে এই সিঁদুর লাগালে বিবাহিতরা সৌভাগ্যবতী হওয়ার বর পান। বাঙালি মহিলাদের মধ্যে সিঁদুর খেলার সাথে ধুনুচি নাচও দেখা যায়। মনে করা হয় মা দুর্গা ধুনুচি নাচে খুশি হন। প্রাচীনকালে লাল সিঁদুরকে ভারতীয় নারীরা বেছে নিয়েছিলেন তাঁদের অন্যতম প্রসাধনী হিসেবে। গালে সিঁদুর মেখে, হাতে প্রসাদের রেকাবি নিয়ে সেলফি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করাটাও এখন রীতি হয়ে গিয়েছে। পুজো মানে তো প্রেমের মরসুম। মণ্ডপের পুষ্পাঞ্জলিতে শাড়ি-পাঞ্জাবিতে প্রেমিক-প্রেমিকাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ে। দশমীর দিন তাই প্রেমিকের হাতে সিঁদুরের ছোঁয়া (Sindoor Khela) না পেলে প্রেমটাও ঠিক জমে না।

  • Weather Report: ধেয়ে আসছে অতি গভীর নিম্নচাপ, অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে

    Weather Report: ধেয়ে আসছে অতি গভীর নিম্নচাপ, অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীতেই দুর্যোগের মেঘ কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে। দুর্গাপুজোর শেষ দিকে যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, আগেই তা জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তা সত্য প্রমাণিত করে যার জেরে বুধবার, নবমীর রাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছিল, দশমীর দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেই মতো বৃহস্পতিবার কলকাতায় জারি করা হল কমলা সতর্কতা।

    নিম্নচাপের অবস্থান…

    পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপটি ছিল, তা ইতিমধ্যেই উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়েছে এবং আরও শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আপাতত গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছে পশ্চিম-মধ্য এবং সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দশমীর বিকেলে-সন্ধ্যায় আরও শক্তিশালী হয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। একাদশীর সকালে অতি গভীর নিম্নচাপ রূপেই এই সিস্টেম ওড়িশার গোপালপুর এবং পারাদ্বীপের মধ্যে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। যে কারণে ৪ দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে।

    অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    নিম্নচাপের জেরে বুধবার রাত থেকেই বৃষ্টিতে হয়েছে কলকাতা সহ সংলগ্ন অঞ্চলে। জলমগ্ন হয়ে পড়ে একাধিক এলাকা। নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার) হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কমলা সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে কলকাতা ও হাওড়ায়। এ ছাড়া, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, নদিয়াতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। চলবে রবিবার পর্যন্ত।

    বৃষ্টির দোসর দমকা হাওয়া…

    বৃষ্টির পাশাপাশি, আলিপুর সতর্কতা জারি করেছে হাওয়ার দাপট নিয়েও। পূর্বাভাস, এই নিম্নচাপ ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। অতি বৃষ্টির সঙ্গে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর উপকূল জেলাতে। দক্ষিণবঙ্গের উপকূল সংলগ্ন জেলা গুলিতেও ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সমুদ্রে ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। সে কারণেই শুক্রবার পর্যন্ত বাংলা ও ওড়িশার মৎস্যজীবীদের জন্য নিষেধাজ্ঞা। বাংলা ওড়িশার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    ভাসবে উত্তরও…!

    দক্ষিণের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা উত্তরবঙ্গেও। আবহাওয়া দফতর বলছে দ্বাদশী থেকে ত্রয়োদশীতে বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গ-সিকিমে। প্রবল বৃষ্টিতে বিপাকে পড়তে পারেন উত্তরের পর্যটকরা। দশমীতে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা থাকছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে মালদা ও দুই দিনাজপুরে। বৃষ্টির সঙ্গে দ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাসও বইতে পারে।

  • DA Hike: দশেরা-দীপাবলির উপহার মোদির! ডিএ বাড়ল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের, রাজ্যের সঙ্গে ফারাক বেড়ে ৪০ শতাংশ

    DA Hike: দশেরা-দীপাবলির উপহার মোদির! ডিএ বাড়ল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের, রাজ্যের সঙ্গে ফারাক বেড়ে ৪০ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরসুমে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের (Central Govt Employees) জন্য সুখবর৷ ৩ শতাংশ ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধিতে (DA Hike) ছাড়পত্র দিল মোদি মন্ত্রিসভা (Modi Cabinet)৷ বুধবার এই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব৷ পাশাপাশি ৩ শতাংশ ডিয়ারনেস রিলিফ বা মহার্ঘ ত্রাণ বৃদ্ধির কথাও ঘোষণা করেছেন মন্ত্রী৷ সবমিলিয়ে চলতি বছরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের ভাতা (DA Hike) ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেল৷

    নবমীতেই দশেরা-দীপাবলির উপহার

    চলতি বছরের শুরুতেই দুই শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির (DA Hike) সিদ্ধান্ত নেয় মোদি সরকার (Modi Cabinet)। গত মার্চ মাস থেকে নতুন হারে ডিএ কার্যকর হয়। তার পরে আবার ডিএ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। চলতি বছরের জুলাই থেকে সরকারি কর্মচারীদের ওই হারে ডিএ দেওয়া হবে। ফলে, অক্টোবরের বেতনের সঙ্গে, জুলাই, অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বরের বকেয়াও দীপাবলির ঠিক আগে পেয়ে যাবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, দেশের ১.২ কোটি সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীরা সুবিধা পাবেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা (Central Govt Employees) তাঁদের মূল বেতনের ৫৫ শতাংশ হারে ডিএ পান। এ বার তা বেড়ে ৫৮ শতাংশে দাঁড়াল।

    আগামী জানুয়ারি থেকে নতুন বেতন কমিশন!

    এই বর্ধিত ভাতা সপ্তম বেতন কমিশনের আওতাধীন সব কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা পাবেন। চলতি বছরের শুরুতেই অষ্টম বেতন কমিশনের ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। তবে তা এখনও কার্যকর হয়নি। ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে সপ্তম বেতন কমিশনের মেয়াদ। অর্থাৎ, এটাই সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় শেষ বার ডিএ বৃদ্ধি (DA Hike) করল কেন্দ্র। এতে লেভেল ১ কর্মচারীদের জন্য ন্যূনতম মূল বেতন ৫১,৪৮০ টাকায় সংশোধিত হতে পারে। সেখানে ন্যূনতম পেনশন প্রায় ২০,৫০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২৫,৭৪০ টাকা হতে পারে।

    রাজ্যের সঙ্গে ফারাক আরও বাড়ল

    সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়, পেনশনভোগীরা যে ভাতা পান, তাকে মহার্ঘ ত্রাণ বলা হয়৷ দু’টি ভাতাই বছরে দু’বার জানুয়ারি এবং জুলাই মাসে সংশোধিত হয়৷ এদিকে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের হারে ডিএ দেওয়ার দাবিতে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে৷ গত ৮ সেপ্টেম্বর বিচারপতি সঞ্জয় কারল ও বিচারপতি পিকে মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে৷ এদিন মহার্ঘ ভাতা আরও তিন শতাংশ বৃদ্ধির ফলে রাজ্যের সঙ্গে ফারাক আরও বেড়ে ৪০ শতাংশ হল৷

  • Dusshera 2025: দেবী দুর্গার অকাল বোধন করে দশানন রাবণবধ রামের, জানুন দশেরার মাহাত্ম্য

    Dusshera 2025: দেবী দুর্গার অকাল বোধন করে দশানন রাবণবধ রামের, জানুন দশেরার মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীতে (Vijaya Dashami) বাংলার ঘরের মেয়ে উমা বাপের বাড়ি থেকে স্বামীগৃহে রওনা দেন। মন যখন আমাদের ভারাক্রান্ত হয়, ঠিক তখনই দেশের অন্যান্য প্রান্তে ধুমধাম করে পালিত হয় দশেরা উৎসব (Dusshera)। দশটি মাথার বড় প্রতীকী অসুরকে অগ্নি-সংযোগের দ্বারা জ্বালানোর নামই দশেরা। পোশাকি একটা নাম অবশ্য রয়েছে, রামলীলা। দিল্লির রামলীলা ময়দান তো আমাদের অতি পরিচিত। দেশের প্রধানমন্ত্রীকেও রামলীলা ময়দানে দশেরা উৎসব পালন করতে দেখা যায়। তিনিই তির নিক্ষেপ করে দশমাথার প্রতীকী অসুরকে অগ্নিসংযোগ দ্বারা দহন করেন। দশমাথার অসুর বললে নিশ্চিতভাবে আমাদের আর বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, সেটি দশানন রাবণ। রাবণকে বধ করতেই আশ্বিন মাসে মা দুর্গার অকাল বোধন (Akal Bodhan) করেছিলেন রামচন্দ্র। বিল্ববৃক্ষ তলায় মা দুর্গার পুজো করেছিলেন, তারপরেই রাবণবধ (Lord Ram Kills Ravana) করেছিলেন দশমী তিথিতে। অন্য একটি বিশ্বাস মতে, ন’দিন ন’রাত্রি ব্যাপী যুদ্ধের পর মহিষাসুরকে দশমী তিথিতে বধ করেন দেবী দুর্গা (Durga Puja 2025)। মহিষাসুর এবং রাবণ-দুই অসুর-ই অত্যাচার, অধর্ম, পাপ, অশুভ শক্তির প্রতীক। দশমী তিথি তাই পবিত্র-পুণ্য এক তিথি, যেদিন আসুরিক শক্তির বিনাশ হয়েছিল। অশুভ শক্তি পরাস্ত হয়েছিল শুভ শক্তির কাছে। দেবতারা সেদিন পুষ্পবৃষ্টি করেছিলেন মহিষাসুর বধের জন্য দেবী দুর্গার ওপর এবং রাবণ বধের জন্য ভগবান রামচন্দ্রের ওপর।

    অজ্ঞাতবাস থেকে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ পাণ্ডবদের

    অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী, দশেরার সঙ্গে পাণ্ডবরাও সম্পর্কিত। দশেরার (Dusshera) দিন দেশের নানা প্রান্তে অস্ত্রপূজন দেখতে পাই আমরা। দশমী তিথির এই অস্ত্রপূজন পাণ্ডবদের সঙ্গেই সম্পর্কিত বলে অনেকে মনে করেন। পৌরাণিক আখ্যানটি জেনে নেওয়া যাক। পাশা খেলায় পরাজিত হয়ে পাণ্ডবরা ১২ বছর বনবাস ও এক বছরের অজ্ঞাতবাসে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। বনবাসের পর অজ্ঞাতবাস শুরু করার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে তাঁরা বিরাট রাজ্যে প্রবেশ করার আগে একটি শমীবৃক্ষের কোটরে তাঁদের সঙ্গে থাকা সমস্ত অস্ত্র লুকিয়ে রেখে যান। আবার ঠিক এক বছর পরে এই বিজয়া দশমীর দিনটিতে ওই কোটর থেকে অস্ত্র বের করে নিজেদের আসল পরিচয় দিয়েছিলেন তাঁরা। তাই তার পর থেকে দেশের সমস্ত প্রান্তে দশমীর দিনটিতে অস্ত্রের পুজো প্রচলিত আছে। এদিন অনেক জায়গায় পরস্পরকে শমীবৃক্ষের পাতা দিয়ে দুষ্টের উপর বিজয়ের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার চলও রয়েছে।

    অযোধ্যায় ধনবৃষ্টি কুবেরের

    আবার অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী, রামের জন্মের বহু আগে থেকেই নাকি রঘুবংশে পালিত হয় দশেরা (Dusshera)। রামের পূর্বপুরুষ রাজা রঘুর আমলের একটি ঘটনা এক্ষেত্রে প্রচলিত রয়েছে। রঘুর রাজ্যে ছিলেন দেবদত্ত নামে এক ঋষি, যাঁর পুত্র কৌৎস শিক্ষালাভে গিয়েছিলেন ঋষি বরতনুর কাছে। শিক্ষা শেষে ১৪টি বিষয়ে সুশিক্ষিত কৌৎস যখন গুরুকে জিজ্ঞেস করেন, গুরুদক্ষিণা হিসেবে কী চান তিনি, বরতনু তখন উত্তর দেন, তাঁর কিছুই চাই না, ছাত্রের সুশিক্ষাই তাঁর কাছে গুরুদক্ষিণার সমান! কিন্তু কৌৎস গুরুদক্ষিণা না দিয়ে যাবেন না। বাধ্য হয়ে একটি অসম্ভব ইচ্ছে প্রকাশ করেন বরতনু। তিনি বলেন, ১৪টি বিষয়ে শিক্ষার দক্ষিণা হিসেবে তিনি ১৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা চান। গুরুর ইচ্ছে পূর্ণ করতে কৌৎস যান অযোধ্যার রাজা রঘুর কাছে। কিন্তু সেদিনই ব্রাহ্মণদের দানে সব সোনা দিয়ে দেওয়ার কারণে রঘু কৌৎসর কাছে তিন দিন সময় চান। কৌৎস সেই কথা শুনে বিদায় নেওয়ার পর রঘু চলে যান দেবরাজ ইন্দ্রের কাছে। ইন্দ্র সব শুনে ডেকে পাঠান ধনের দেবতা কুবেরকে। ইন্দ্রের কথামতো কুবের অযোধ্যা রাজ্যে সেদিন ধনবৃষ্টি শুরু করেন। শোনু এবং আপতি গাছের পাতাগুলি থেকে ঝরতে থাকে সোনার মোহর! সেই মোহর একত্রিত করে কৌৎসকে দেন রাজা রঘু। ছাত্রের কাছ থেকে শুধু ১৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা চেয়েছিলেন বরতনু, বাকিটা তিনি ফিরিয়ে দেন কৌৎসকে। কৌৎস তা আবার ফিরিয়ে দেন রঘুকে। দানবীর রঘু তা বিলিয়ে দেন তাঁর প্রজাদের মধ্যে। সেই দিনটি ছিল বিজয়া দশমীর (Vijaya Dashami) দিন। অর্থাৎ দেবী মাহাত্ম্য, রামায়ণ, মহাভারত সহ সমস্ত পৌরাণিক আখ্যানে পাওয়া যায় দশেরার (Dusshera) মাহাত্ম্য, বাংলায় দশমীর মাহাত্ম্য।

  • Durga Puja 2025: দুর্গাপুজো শেষে উমার ঘরে ফেরার পালা! জেনে নিন বিজয়া দশমী তিথির মাহাত্ম্য

    Durga Puja 2025: দুর্গাপুজো শেষে উমার ঘরে ফেরার পালা! জেনে নিন বিজয়া দশমী তিথির মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয়া দশমী (Vijaya Dashami)। দশমী মানেই দুর্গাপুজোর শেষ। বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, রাত পর্যন্ত মণ্ডপের চেয়ারে বসে আড্ডা, অষ্টমীর সন্ধিক্ষণের উপবাস, মণ্ডপে-মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন, নবমীর পুষ্পাঞ্জলি-সব কিছুতে ইতি টানে দশমী তিথি‌। অপেক্ষা আসছে বছরের। বেশিরভাগ দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) শেষ হয় দশমীতেই। এই দিনেই মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকে, যেমন বিজয়া দশমী বৃহস্পতিবারে হলে সাধারণত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় না। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে পিতৃগৃহ মানে সোজা কথায় বাপের বাড়ি ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে পাড়ি দেন দেবী উমা। সেই কারণেই এই তিথিকে বিজয়া দশমী (Durga Puja 2025) বলা হয়। মা উমা সকলকে কাঁদিয়ে নিজের চার সন্তানকে সঙ্গে করে কৈলাসে ফিরে যান।

    দশমী প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের একটি কাহিনি

    দশমী প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের একটি কাহিনি উল্লেখযোগ্য। রানি রাসমণির জামাতা মথুরবাবু এক সময় আবেগপ্রবণ হয়ে দশমীর দিনেও মা দুর্গাকে (Durga Puja 2025) বিসর্জন দেবেন না বলে জেদ ধরে বসেন। তখন রামকৃষ্ণদেব তাঁকে বোঝান, বিজয়ার অর্থ দেবী মা ও সন্তানের বিচ্ছেদ নয়। তিনি আরও বলেন, মা কখনও তার সন্তানের থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেন না। এতদিন মা দালানে বসে পুজো নিয়েছেন, এরপর মা মনের মন্দিরে বসে পুজো নেবেন। এরপরেই মথুর শান্ত হন এবং বিসর্জন দেওয়া হয় মা দুর্গার প্রতিমা।

    মহিষাসুর বধ, দেবকূল মাতে উৎসবে (Bijoya Dashmi)

    দশমী (Durga Puja 2025) ঘিরে একটি পৌরাণিক কাহিনিও রয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী, মা দুর্গা ন’দিন ন’রাত্রি ব্যাপী প্রবল যুদ্ধ করেন মহিষাসুরের বিরুদ্ধে। অবশেষে দশমী তিথিতে মায়ের হাতে বধ হয় রম্ভাপুত্র মহিষাসুর। মহিষাসুরমর্দিনী হয়ে ওঠেন মা দুর্গা। ঋষি কাত্যায়নের আশ্রমে এই মহিষাসুর বধের জন্যই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের তেজ থেকে সৃষ্ট হয়েছিল এক নারী মূর্তি। মহিষাসুরের ওপর ব্রহ্মার বরদান ছিল যে কোন পুরুষ তাকে বধ করতে পারবে না। এই কাহিনি আমরা সকলেই শুনেছি। সমস্ত আসুরিক শক্তির ওপর বিজয় প্রাপ্তি হয়েছিল অত্যাচারী মহিষাসুর বধের মধ্যে দিয়ে। সমস্ত দেবতাকূল বিজয় উৎসবে মেতেছিল। তাই এই একে বিজয়া দশমী বলা হয়।

    অন্য একটি পৌরাণিক কাহিনি (Vijaya Dashami)

    অন্য একটি কাহিনি অনুযায়ী, দেবী দুর্গার দক্ষকন্যা সতী হয়ে জন্মগ্রহণ এবং স্বামী-নিন্দা সইতে না পেরে মৃত্যুবরণ। ৫১টি অংশে সতীর মৃতদেহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার পর শিব যখন তাণ্ডব থামালেন, তখন বিষ্ণু তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন দক্ষরাজকে ক্ষমা করে দিতে। শিব সেই অনুরোধ ফেলতে পারেননি। উপরন্তু সন্তানহারা বাবার দুঃখ ঘোচানোর জন্য শিব বলেন, এর পরের জন্মে সতী জন্ম নেবেন হিমালয়রাজ হিমাবতকন্যা পার্বতী রূপে। তখন প্রতি বছর বিজয়া দশমীর (Durga Puja 2025) দিন পার্বতী আসবেন দক্ষপুরীতে। সতীর বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি দিনের জন্য দেখা করতে! তাই এই দিনটি পার্বতীর ঘরে ফেরার দিনও বটে বলে পৌরাণিক মত রয়েছে‌। এই তিথিতেই রাক্ষসরাজ রাবণের উপর ভগবান রামচন্দ্র বিজয়প্রাপ্ত করেছিলেন বলে মনে করা হয়। তাই এটা বিজয়া দশমী। এদিন ছোটরা বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে, মিষ্টি মুখ করানো হয় মা উমার। মহিলাদের মধ্যে সিঁদুর খেলার রীতি (Vijaya Dashami) দেখা যায়।

  • Durga Puja 2025: “যেও না নবমী নিশি…”, মহানবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কোথাও হয় শত্রু বলিও!

    Durga Puja 2025: “যেও না নবমী নিশি…”, মহানবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কোথাও হয় শত্রু বলিও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহানবমীর (Maha Navami) সন্ধ্যা মানেই মন খারাপের দিন। না-চাইতেও চলেই আসে নবমী নিশি! আর রাত পোহালেই বেজে উঠবে মায়ের বিদায়ের বিষাদ-সুর। আবার সেই বছরভর অপেক্ষার পালা। কারণ এর পরেই মা দুর্গা ফিরে যাবেন কৈলাসে। তাই তো সেই কবেই কবি বলেছিলেন, যেও না নবমী নিশি…। তবে প্রকৃতির নিয়ম মেনেই আসে নবমী তিথি। মহাপুজোর মহানবমী। দিনটির গুরুত্ব কম নয়। নবমীতে হয় দক্ষিণান্ত। দেবীকে (Durga Puja 2025) দিতে হয় কৈলাসে ফেরার পাথেয়।

    মহানবমীতে মহাপুজো সমাপনের দিন

    অষ্টমীতে যেহেতু অসুর, সিংহ, বিভিন্ন দেবদেবীর বাহন এবং অস্ত্রশস্ত্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়, সেহেতু নবমীর (Maha Navami) দিন তাঁদের প্রত্যেকের পুজো করতে হয়। এদিনই যেহেতু মহাপুজো সমাপনের দিন, সেহেতু এই দিনেই সম্পন্ন করতে হয় হোম। শাস্ত্র মতে, হোমের আগুন হল দেবদেবীর জিহ্বা স্বরূপ। তাই হোমাগ্নি প্রজ্জ্বলিত করে দিতে হয় আহুতি। এই আহুতি দেওয়া হয় প্রতিটি দেবদেবীর বীজমন্ত্র সহযোগে। যেহেতু দুর্গাই প্রধান দেবী, তাই এদিন তাঁর উদ্দেশে দিতে হয় একশো আটটি বেলপাতার আহুতি। বাকি দেবদেবীদের (Durga Puja 2025) উদ্দেশে ৮টি করে বেলপাতা। যজ্ঞ শেষে দেওয়া হয় পূর্ণাহুতি। এতে দেওয়া হয় একটি গোটা নারকেল, সোনার টুকরো এবং ফুলের মালা। যেসব পরিবারে সপ্তমীতে হোম শুরু হয়, তাঁরা হোমাগ্নি জ্বালিয়ে রাখেন নবমী পর্যন্ত। এই নবমীতে তাঁরাও দেন পূর্ণাহুতি।

    নবমীতে আরও একটি প্রথা শত্রু বলি

    নবমীতে (Maha Navami) আরও একটি প্রথা পালিত হয় কোনও কোনও পরিবারে। সেটি হল শত্রু বলি। মানকচুর পাতায় চালের পিটুলি দিয়ে তৈরি করা হয় শত্রু। তার গায়ে মাখানো হয় রক্তচন্দন। পরে হাঁড়িকাঠে নিয়ে গিয়ে বলি করা হয় ওই কৃত্রিম শত্রু। অনেক পরিবারে আবার সন্দেশের শত্রু বানিয়ে বলি দেওয়া হয়। যাঁদের পরিবারে পশু বলি দেওয়ার চল রয়েছে, তাঁরা বলি দেন এদিন। অনেক পরিবারে আবার শত্রু নয়, কেবল কুমড়ো, আখ, কলা বলি দেওয়া হয়। নবমীতে দক্ষিণান্ত হয়ে গেলেই পুজো শেষ বলা যায়। কারণ দশমীতে দেবীর (Durga Puja 2025) পুজো হয় নমো নমো করে। তাই সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর আগে মহা শব্দটি যোগ করা হলেও, দশমীতে তা হয় না।

  • PM Modi: ‘ঐতিহ্যের পুনরুত্থান’, আরএসএসের শতবর্ষে বিশেষ স্মারক মুদ্রা-ডাকটিকিট প্রকাশ মোদির

    PM Modi: ‘ঐতিহ্যের পুনরুত্থান’, আরএসএসের শতবর্ষে বিশেষ স্মারক মুদ্রা-ডাকটিকিট প্রকাশ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ অক্টোবর, বিজয়া দশমীর দিন শতবর্ষ উদযাপন করতে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়মসেবক সংঘ। এই উপলক্ষে বুধবার দিল্লিতে সংঘের বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরএসএস-এর জাতি গঠনে অবদানের স্মরণে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট ও স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশে ভাষণ দেন।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আরএসএসের গৌরবময় ১০০ বছরের যাত্রা ত্যাগ, নিঃস্বার্থ সেবা, জাতি গঠন এবং শৃঙ্খলার এক অসাধারণ উদাহরণ। ১০০ বছর আগে দশেরার দিন আরএসএস প্রতিষ্ঠা কেবল একটি কাকতালীয় ঘটনা ছিল না। এটি ছিল হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা ঐতিহ্যের পুনরুত্থান। আমাদের ‘স্বয়ংসেবকদের’ প্রজন্ম সংঘের শতবর্ষ পূর্তির সাক্ষী হতে পেরে সৌভাগ্যবান।’’ মোদি আরও বলেন, ‘‘আরএসএস সমাজের বিভিন্ন স্তরে কাজ করে, কিন্তু তাদের মধ্যে কখনও দ্বন্দ্ব থাকে না কারণ তারা জাতি-প্রথমে নীতিতে কাজ করে। আরএসএস ‘এক ভারত, মহান ভারত’-এ বিশ্বাস করে, তবুও স্বাধীনতার পর থেকে জাতীয় মূলধারায় তাদের যোগদান রোধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল।’’

    স্মারক মুদ্রা-ডাকটিকিট প্রকাশ…

    এদিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ ১০০ টাকার স্মারক মুদ্রা ও স্মারক ডাকটিকিটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ১০০ টাকার মুদ্রার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘মুদ্রার একদিকে জাতীয় প্রতীক রয়েছে, অন্যদিকে ভারত মাতাকে ‘বরদ মুদ্রা’ ভঙ্গিতে সিংহের উপর বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে, যেখানে স্বয়ংসেবকরা তাঁর সামনে উৎসর্গের সাথে মাথা নত করছেন।’’ মোদি উল্লেখ করেন যে, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এটিই প্রথমবারের মতো ভারতীয় মুদ্রায় ভারত মাতার ছবি প্রদর্শিত হয়েছে। একইসঙ্গে, তিনি ১৯৬৩ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে আরএসএস স্বয়ংসেবকদের ঐতিহাসিক অংশগ্রহণকে স্মরণ করে এই অনুষ্ঠানের সময় চালু করা বিশেষ ডাকটিকিট-এর গুরুত্বের উপরও জোর দেন। বলেন, ‘‘এই ডাকটিকিটটিতে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের একটি চিত্র রয়েছে।’’

    এর আগে রবিবার, ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) এক ‘অভূতপূর্ব এবং অনুপ্রেরণামূলক’ যাত্রার প্রশংসা করেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘এই বিজয়া দশমী আরও একটি কারণে খুব বিশেষ। এই দিনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এই এক শতাব্দীর যাত্রা যেমন আশ্চর্যজনক, তেমনই অভূতপূর্ব এবং অনুপ্রেরণামূলক।’’

    দেশ গঠনে আরএসএসের ভূমিকা

    ডঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার ১৯২৫ সালে বিজয়া দশমীর দিনে নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আরএসএসের লক্ষ্য, নাগরিকদের মধ্যে সাংস্কৃতিক সচেতনতা, শৃঙ্খলা, সেবার মানসিকতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ গড়ে তোলা। দেশপ্রেম ও জাতীয় চরিত্র গঠনের মাধ্যমে ভারতের সার্বিক উন্নয়নই এ সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য। এই অনুষ্ঠান থেকে গোটা দেশে ঐক্য, দেশপ্রেম ও সেবার বার্তা আরও সুদৃঢ়ভাবে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

    গত ১০০ বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক কল্যাণ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা প্রদানের মতো ক্ষেত্রে আরএসএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বন্যা, ভূমিকম্প কিংবা ঘূর্ণিঝড়ের সময় সংঘের স্বয়ংসেবকরা সক্রিয়ভাবে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে অংশ নেন। তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো যুবক, নারী ও কৃষকদের ক্ষমতায়ন, সমাজের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে শক্তিশালী করতে কাজ করে চলেছে।

    বিদেশি শাসনের বিরুদ্ধে গনআন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আরএসএস-এর উদ্ভব হয়েছিল। ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে সামনে রেখে সংগঠনটি জাতীয় চেতনাকে দৃঢ় করেছে। শতবর্ষ উদযাপন কেবল সংগঠনের ঐতিহাসিক সাফল্যের স্মারক নয়, বরং ভারতের সাংস্কৃতিক যাত্রা ও জাতীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রেও তা এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে।

  • India Bhutan Rail Link: শীঘ্রই ট্রেনে চেপে যাওয়া যাবে ভুটান! জোড়া রেল প্রকল্পের ঘোষণা ভারতের

    India Bhutan Rail Link: শীঘ্রই ট্রেনে চেপে যাওয়া যাবে ভুটান! জোড়া রেল প্রকল্পের ঘোষণা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ট্রেনেই যাওয়া যাবে ভুটানে (India Bhutan Rail Link)। শীঘ্রই রেলপথে জুড়তে চলেছে দুই দেশ। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে (India Bhutan Relations) নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে একসঙ্গে এক জোড়া নতুন রেল প্রকল্পের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে একটি রেল প্রকল্প রয়েছে বাংলায়। ভুটান যাত্রা সহজ করতে সোমবার দুটি রেল প্রকল্পের ঘোষণা করেন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। তিনি জানান, ভারত এবং ভুটানের মধ্যে মোট ৮৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। একটি রেলপথ যাবে পশ্চিমবঙ্গের বানারহাট থেকে ভুটানের সামৎসে পর্যন্ত। অন্যটি হবে অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফুর পর্যন্ত।

    মোদির সফরে পাকা কথা…

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছর ভুটান সফরে গিয়ে এই রেল প্রকল্পের (India Bhutan Rail Link) চুক্তিতে সাক্ষর করেছিলেন। ভারত সফরে এসে সোমবার এই চুক্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সিলমোহর দিলেন ভুটানের বিদেশসচিব। এদিন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, ‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভুটানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠবে। ভারত ও ভুটান দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিক অংশীদার। ভারত হল ভুটানের সবথেকে বড় বাণিজ্য সঙ্গী। ভুটানের যাবতীয় আমদানি-রফতানি ভারত হয়ে হয়। ফলে ভুটানের আর্থিক উন্নতিতে এই রেলপথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এই ৮৯ কিলোমিটার ভুটানকে ভারতের ১,৫০,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করবে।”

    রেলমন্ত্রক যা বলল

    রেলমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত দুটি রেল প্রকল্পের (India Bhutan Rail Link) জন্য খরচ পড়বে আনুমানিক ৪০৩৩ কোটি টাকা। বাংলা ও ভুটানের এই রেলপথ নির্মাণের কাজ আগামী ৩ বছরের সম্পন্ন হয়ে যাবে। বানারহাট থেকে সামৎসে পর্যন্ত রেলপথে থাকবে দু’টি স্টেশন। একটি বড় ও ২৪টি ছোট উড়ালপুল, ৩৭টি ভূগর্ভপথ। অন্যদিকে অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফুর-এর মধ্যে ৬টি স্টেশন থাকবে। এই পথে দুটি উচ্চ সেতু, ২৯টি বড়, ৬৫টি ছোট সেতু এবং একটি উড়ালপুল থাকছে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ৪ বছর।

    বিদেশমন্ত্রক যা জানাল

    বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘দুই দেশের সরকার এই সীমান্তপার প্রকল্পের জন্য সায় দিয়েছে। এটাই ভুটানের সঙ্গে প্রথম রেল যোগযোগ প্রকল্প (India Bhutan Relations)। এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে একটি মউ স্বাক্ষর করা হয়েছে।’’ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রেললাইনের ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সুবিধা হবে। ভুটানের পণ্য খুব সহজেই পৌঁছে যাবে ভারতে। সেখান থেকে ছড়িয়ে যেতে পারবে সারা বিশ্বে (India Bhutan Rail Link)। যার ফলে সেই দেশের আর্থিক বৃদ্ধি হবে। শুধু তাই নয়, ভারতও আরও সহজে নিজেদের পণ্য পাঠিয়ে দিতে পারবে ভুটানে। এতে ভারতেরও কিছুটা লাভ রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এর মাধ্যমে পর্যটকরাও খুব সহজে ভুটান যেতে পারবেন। তাদের আর বিমানের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তাতেও ভুটানের ভালো পর্যটনেরও সুবিধা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

LinkedIn
Share