Tag: মাধ্যম

  • Mother of Satan TATP: বিস্ফোরণ ঘটাতে ‘শয়তানের মা’ টিএটিপি ব্যবহার উমরদের! কতটা শক্তিশালী এই বিস্ফোরক?

    Mother of Satan TATP: বিস্ফোরণ ঘটাতে ‘শয়তানের মা’ টিএটিপি ব্যবহার উমরদের! কতটা শক্তিশালী এই বিস্ফোরক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১০ নভেম্বর লালকেল্লার সামনে গাড়িতে বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। ২০ জনের বেশি জখম হন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে উঠেছিল ওই এলাকা। ঘটনার এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। এখনও জোরকদমে এগোচ্ছে তদন্ত৷ আটক করা হচ্ছে ফরিদাবাদ ‘ডক্টর্স মডিউল’-এর (Doctors Module) সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিদের৷ এবার দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত বিস্ফোরক নিয়ে সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য৷ লালকেল্লায় বিস্ফোরণ (Delhi Red Fort Blast) ঘটাতে ‘শয়তানের মা’-কে (Mother of Satan TATP) ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা! এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল তদন্তে। এখনও গোটা বিষয়টি ফরেন্সিক পরীক্ষার আওতায় রয়েছে তবে, তদন্তকারীদের অনুমান, বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যবহৃত হয়েছিল অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বিস্ফোরক ট্রাইঅ্যাসিটোন ট্রাইপারঅক্সাইড বা টিএটিপি (TATP), যা ‘মাদার অফ স্যাটান’ নামেও কুখ্যাত।

    কী এই ‘মাদার অফ স্যাটান’ টিএটিপি?

    ট্রাইঅ্যাসিটোন ট্রাইপারঅক্সাইড (Triacetone Triperoxide) বা টিএটিপি আদতে এটি একটি ভয়ঙ্কর রকমের স্পর্শকাতর রাসায়নিক, যা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সঙ্গে বিক্রিয়ায় প্রবল বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে৷ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় এখন জঙ্গিরা বোমা তৈরিতে এই বিস্ফোরক ব্যবহার করে। ট্রাইঅ্যাসিটোন ট্রাইপারঅক্সাইড (Mother of Satan TATP) কেবল তাপের কারণে ফেটে যেতে পারে। এর জন্য কোনও ডেটোনেটর প্রয়োজন পড়ে না। শুধুমাত্র ঝাঁকুনি কিংবা সূর্যের উত্তাপেই ঘটতে পারে বিস্ফোরণ। টিএটিপি দিয়ে শক্তিশালী আইইডি বানানো যেতে পারে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এখন এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। চলছে নানা ফরেন্সিক পরীক্ষা।

    জইশের পছন্দের বিস্ফোরক টিএটিপি?

    বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, টিএটিপি-র (TATP) সামান্য ঘর্ষণ, চাপ, তাপমাত্রার বদল, যে কোনও কিছুতেই ট্রাইমার অস্থিতিশীল হয়ে মারাত্মক বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। যে কারণে, উচ্চক্ষমতাশীল এই বিস্ফোরক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের বিশেষ পছন্দের। ২০১৫ সালে প্যারিস, ২০১৬ সালে বার্সেলোনা ও ব্রাসেলস, এবং ২০১৭ সালে ম্যাঞ্চেস্টার বিস্ফোরণে টিএটিপি (Mother of Satan TATP) ব্যবহৃত হয়েছিল। তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, উমর সম্ভবত এই টিএটিপি-র বিষয়ে জানতেন না। গাড়িতে টিএটিপি ঠাসা অবস্থায় তাঁকে লালকেল্লার কাছে পৌঁছতে বলে মডিউলের মাথারা। অস্থির প্রকৃতির বিস্ফোরক হওয়ায় সামান্য ঝাঁকুনিতেই বিস্ফোরণ ঘটে। আবার আরও একটি তত্ত্বের মতে, উমর আগে থেকেই জানত এই রাসায়নিক কতটা অস্থির। তা সত্ত্বেও সে ওই গাড়ি নিয়ে ঢুকেছিল চাঁদনি চকের পাশের সেই জনবহুল এলাকায়।

    উমরের হাতে টিএটিপি এল কী করে?

    অত্যন্ত জটিল এই বিস্ফোরক (Mother of Satan TATP) কোথা থেকে হাতে পেলেন উমর, তা ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টিএটিপি তৈরি করতে লাগে একাধিক উপাদান। সেগুলো উমর কোথা থেকে সংগ্রহ করল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাহলে কি বড় কোনও মডিউল তাকে সাহায্য করছিল? রাসায়নিক মেশানোর কাজে আরও কেউ কি যুক্ত ছিল (Delhi Red Fort Blast)? উমরের ডিজিটাল ট্রেইল, ফোন রেকর্ড, চলাচলের নথি সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • Winter Season: শীতে আরাম পেতে ঘন ঘন কফি খাচ্ছেন? বাড়াতে পারে বিপদ, দাবি পুষ্টিবিদদের

    Winter Season: শীতে আরাম পেতে ঘন ঘন কফি খাচ্ছেন? বাড়াতে পারে বিপদ, দাবি পুষ্টিবিদদের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দরজায় কড়া নাড়ছে শীত! ভোরে কমছে তাপমাত্রার পারদ। আর এই আবহাওয়ায় অনেকেই বাড়তি আরাম পেতে সকাল-সন্ধ্যে ঘনঘন কফিতে চুমুক দিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এতেই বাড়তে পারে বিপদ। তাঁদের পরামর্শ, ঘন ঘন কফি শরীরে একাধিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। বরং কফিতে বদলে চুমুক দেওয়া হোক বিকল্প ঘরোয়া পানীয়তে। বিশেষত ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগের সমস্যা থাকলে কফি বাড়তি বিপদ তৈরি করতে পারে।

    কেন ঘনঘন কফি বাড়তি বিপদ তৈরি করতে পারে?

    হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে উঠতে পারে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে সাময়িক আরামের জন্য দিনে চার-পাঁচ বার কফি খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কফিতে থাকা ক্যাফিন হৃদস্পন্দন অনিয়মিত করতে পারে। তাই যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাদের বিপদ আরও বাড়ে। তাই বারবার কফি হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে উঠতে পারে।

    হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে!

    খালি পেটে কফি খাওয়ার অভ্যাস খুব বিপজ্জনক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খালি পেটে কফি খেলে পেট ও বুক জ্বালা করতে পারে। শরীরে ক্ষতিকারক অ্যাসিড তৈরি করে। এর ফলে অন্ত্র, পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    অনিদ্রা একাধিক সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বারবার কফি খেলে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিতে পারে। কফিতে থাকা ক্যাফেইন স্নায়ুকে উত্তেজিত করে রাখে। তাই কফি খেলে ঘুম পায় না।‌ এতে অনিদ্রার ঝুঁকি তৈরি হয়। যার জেরে মানসিক চাপ বাড়ে। শরীর বেশি ক্লান্ত বোধ করে।

    কফির বিকল্প কোন পানীয়তে ভরসা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কফির বিকল্প কিছু ঘরোয়া পানীয় শীতের আবহাওয়ায় আরামদায়ক। আবার তাতে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব কম হয়। তাঁদের পরামর্শ বারবার কফির পরিবর্তে খাওয়া যেতে পারে তুলসী ও পুদিনার সরবৎ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গরম জলে সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে তুলসী পাতা এবং পুদিনা মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। পানীয় হিসাবে এটা স্বাস্থ্যকর। আবার পুদিনা সুন্দর গন্ধ দেওয়ার পাশপাশি হজম শক্তি বাড়ায়। শীতে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের জন্য পুদিনা খুব উপকারি। তাছাড়া সর্দি-কাশি মোকাবিলায় তুলসী পাতার বিশেষ গুণ রয়েছে। তাই তুলসী পাতা নিয়মিত খেলে শীতের অন্যান্য ভোগান্তিও কমবে।

    টমেটোর স্যুপ শীতে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন সমৃদ্ধ টমেটো‌ শরীরের জন্য বিশেষ উপকারি। তাই টমেটো স্যুপ খেলে শরীর ভালো থাকবে। আবার গরম স্যুপ শরীরে আরাম দেবে। পাশপাশি গরম জলে আদা, দারচিনি আর এলাচ ফুটিয়ে তারপরে লেবু মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদা, দারচিনি এবং এলাচ শরীরে নানান ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের ঝুঁকি কমায়। আবার লেবুতে থাকে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম। যা শরীরের জন্য বিশেষ উপকারি। তাই এই মিশ্রণ খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Kartik Puja 2025: রবিবার দেব সেনাপতির পুজো! কেন নবদম্পতির বাড়িতে কার্তিক ঠাকুর ফেলা হয় জানেন?

    Kartik Puja 2025: রবিবার দেব সেনাপতির পুজো! কেন নবদম্পতির বাড়িতে কার্তিক ঠাকুর ফেলা হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো মেটার পর এবার বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণের পরবর্তী উৎসব হল কার্তিক পুজো। ১৬ নভেম্বর শনিবার পালিত হতে চলেছে কার্তিক পুজো (Kartik Puja 2025)। প্রতি বছর কার্তিক সংক্রান্তি, অর্থাৎ কার্তিক মাসের শেষ দিনে পালিত হয় কার্তিক পুজো। আমাদের রাজ্যে হেমন্তকালের দেখা মেলে অত্যন্ত স্বল্প সময়ের জন্য। এই হেমন্তকালে যে কয়েকটি উৎসব হয়, তার মধ্যে অন্যতম কার্তিক পুজো।

    কেন বাড়িতে কার্তিক ফেলা হয়?

    নবদম্পতির বাড়ির সামনে কার্তিক (Kartik Puja 2025) রেখে এসেছে, এমন বন্ধু আমাদের পরিচিত মহলে নিশ্চয়ই রয়েছে। স্বয়ং মহাদেব-পুত্র তাঁদের বাড়িতে এসেছেন বলে কথা! গৃহকর্তা বা কর্ত্রীকে তাই প্রচলিত নিয়ম মেনে পরপর চার বছর এই পুজো করতে হয়। কিন্তু বাড়ির সামনে কার্তিক ঠাকুর কেন রাখা হয়? নিছক মজার উদ্দেশ্যেই নবদম্পতির বাড়ির সামনে কার্তিক ঠাকুর রাখা হয় না। এর মধ্যে লোকাচার রয়েছে। কী সেই লোকাচার? তা হল, নবদম্পতির কোলে যেন কার্তিকের মতো পুত্র আসে। কিন্তু হঠাৎ কার্তিকের মতো পুত্রের আকাঙ্খাই কেন? পৌরাণিক মতে, মা দুর্গা এবং মহাদেবের পুত্র হলেন দেব সেনাপতি কার্তিক। এই পৌরাণিক দেবতা অত্যন্ত বীর ও সাহসী। তিনি সুদর্শন ও বলিষ্ঠ চেহারার অধিকারী।

    সাহসী, সুদর্শন পুত্রসন্তান লাভের আশা

    প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, দেব সেনাপতি কার্তিকের পুজো (Kartik Puja 2025) করলে পুত্রসন্তান লাভ হয়। তাঁর মতো সাহসী ও সুদর্শন সন্তান লাভ করতেই অনেক নববিবাহিত দম্পতি কার্তিক পুজো করে থাকেন। এই কারণে আমাদের রাজ্যে নববিবাহিত দম্পতির ঘরে লুকিয়ে লুকিয়ে কার্তিক ফেলে আসার প্রথা রয়েছে। পাড়ার বন্ধুবান্ধবরাই সাধারণত এই কাজ করে থাকেন। সেই কার্তিক তুলে এনে বাড়িতে পুজো করার রীতি রয়েছে। কার্তিকের আরাধনা করলে সাংসারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া যায় এবং আয় বৃদ্ধি হয়। কার্তিকের সঙ্গে বীরত্বের সম্পর্ক থাকার কারণে দেব সেনাপতির আরাধনায় যশ ও বল লাভ হয় বলে মনে করা হয়। দেব সেনাপতি কার্তিকের উপাসনা করলে মঙ্গল গ্রহের অশুভ প্রভাব কেটে যায় বলেও অনেকে মনে করেন। পশ্চিমবঙ্গে কার্তিক ঠাকুর চিরকুমার। দক্ষিণ ভারতে মুরুগান নামে কার্তিকের যে রূপের উপাসনা করা হয়, সেখানে তাঁর দুই স্ত্রী।

    বাংলায় কার্তিক পুজো বেশ জনপ্রিয়

    বাংলায় কার্তিক পুজো (Kartik Puja 2025) প্রায় সর্বত্রই হয়। এর মধ্যে হুগলির বাঁশবেড়িয়া এবং পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার কার্তিক পুজো ব্যাপক জনপ্রিয়। এই দুই জায়গায় কার্তিক পুজোকে কেন্দ্র করে উৎসবে মাতেন লাখ লাখ মানুষ। সুসজ্জিত আলোর মালা, মণ্ডপসজ্জার কারুকার্য, বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবীদের বিশালাকার প্রতিমার সঙ্গে থাকে নানা রকমের বাজনা।

    ১৭৫০ নাগাদ ধুমধাম করে কাটোয়াতে কার্তিক পুজো শুরু

    চলতি বছরে কাটোয়ার একাধিক পুজোমণ্ডপে আগের দিন থেকেই প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নিউ আপনজন, জনকল্যাণের মতো ক্লাবগুলিতে এবারও থিমের পুজো লক্ষ্য করা যাবে। কাটোয়ার কার্তিক পুজো রাজ্যজুড়ে জনপ্রিয় কার্তিক লড়াই নামে। ১৭৫০ নাগাদ ধুমধাম করে কাটোয়াতে কার্তিক পুজোর (Kartik Puja 2025) সূত্রপাত হয় বলে জানা যায়। অন্যদিকে বাঁশবেড়িয়াতেও কার্তিক পুজোর বেশ ধুমধাম চোখে পড়ছে। যেমন, চলতি বছরে ৪৮ বর্ষে পদার্পণ করছে বাঁশবেড়িয়ায় অনির্বাণের জামাই কার্তিক পুজো। বিগত বছরগুলিতে একের পর এক দারুণ থিম নিয়ে এসেছে এই অনির্বাণ। আর এবার তাদের থিম নয়া সংসদ ভবন।

  • Janjatiya Gaurav Divas: আজ জনজাতি গৌরব দিবস, ফিরে দেখা বিরসা মুন্ডার ব্রিটিশ-বিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাস

    Janjatiya Gaurav Divas: আজ জনজাতি গৌরব দিবস, ফিরে দেখা বিরসা মুন্ডার ব্রিটিশ-বিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ড রাজ্যের খুন্তি জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম উলিহাতু। মেরেকটে আড়াইশো পরিবারের বাস গ্রামে। মোট জনসংখ্যা ১,১২৬। এমন গ্রামের সংখ্যা ভারতে নেহাত কম নয়। গুনতে গেলে কয়েক লাখে থামতে হবে। তবে হঠাৎ উলিহাতু নিয়ে আলোচনা কেন? কী এমন বিশেষত্ব রয়েছে এই গ্রামে? উত্তর হল, ছোট্ট প্রত্যন্ত এই গ্রাম এক দেশ বিখ্যাত যোদ্ধার জন্মভূমি। যাঁকে তার অনুগামীরা ‘ধরতি আবা’ বলতেন। অর্থাৎ কিনা স্বয়ং ভগবান (Janjatiya Gaurav Divas)। যাঁকে দমানোর জন্য ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত মাঠে নামতে হয়েছিল। তিনি মুন্ডা বিদ্রোহের অবিসংবাদী নেতা ভগবান বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda Birth Anniversary)। মুন্ডা শব্দটি সংস্কৃত থেকে উৎপত্তি হয়েছে যার প্রকৃত অর্থ ‘গ্রাম প্রধান’।

    ১৮৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন বিরসা, মুখস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত

    ১৮৭৫ সালের ১৫ নভেম্বর এক গরীব পরিবারে জন্ম হয় বিরসা মুন্ডার। পার্থিব জীবন মাত্র ২৫ বছরের ছিল কিন্তু তিনি আজও বেঁচে রয়েছেন শোষণ, বঞ্চনা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে। জীবিত অবস্থাতেই তিনি ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’ নামে খ্যাতি লাভ করেন। কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসনে তিনি আসীন। ভারতের জনজাতি এলাকাগুলিতে খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণ ব্রিটিশ আমল থেকেই চালু রয়েছে। ছোট্ট প্রত্যন্ত গ্রামে বিরসা মুন্ডাকে খ্রিস্টান ধর্মের উপাসনা করার জন্য জোর করা হলে, তিনি গ্রামের খ্রিস্টান স্কুল ত্যাগ করেন। বিরসা মুন্ডা হিন্দুধর্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন বলে জানা যায়। নিজগৃহের বিভিন্ন দেবতার প্রতি তাঁর পরম ভক্তি ছিল (Janjatiya Gaurav Divas)। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বৈষ্ণব ধর্মগুরু আনন্দ পাঁড়ের কাছে দীক্ষা নেন। খাদ্যাভাসে ছিলেন নিরামিষাশী। কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত।

    অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সেনাবাহিনী গঠন

    ১৮৯৪ সালে ভয়াবহ খরা দেখা দিল। নির্দয় ব্রিটিশ সরকার তবুও কর সংগ্রহ করছিল সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে। ওই বছরেই ব্রিটিশ সরকার অরণ্য আইন বলবৎ করে (Janjatiya Gaurav Divas)। অরণ্যের উপর জনজাতিদের অধিকার খর্ব হয়। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সংকল্পবদ্ধ হন তরুণ বিরসা মুন্ডা। স্থানীয় মানুষজনকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সেনাবাহিনী তৈরির কাজ শুরু করেন। ১৮৯৫ সালেই ‘কর মুক্ত’ আন্দোলন করার অপরাধে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। দুই বছর জেলে থাকার পরে ১৮৯৭ সালে তিনি মুক্তি পান। পুনরায় শুরু হয় বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক আন্দোলন। ছোটনাগপুরে শুরু হয় তীর ধনুক নিয়ে আন্দোলন।

    ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ

    ১৮৯৮ সালে টাঙ্গা নদীর তীরে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিরসা মুন্ডার যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে ব্রিটিশদের পরাজিত করতে সমর্থ হন তিনি। যুদ্ধজয়ের পর তিনি বলেন, ‘‘প্রথমবার আমরা জয়লাভ করেছি (Janjatiya Gaurav Divas)। কিন্তু এর বিরূপ প্রভাব শত শত মানুষ ভোগ করেছে। শত শত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতন করা হয়েছে। এত নির্যাতনের পরেও থামেনি মানুষের সংগ্রাম।’’ ১৯০০ সালে ডোবাড়ি পাহাড়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সংঘর্ষে অনেক নারী ও শিশু নিহত হন। বিরসা মুন্ডাকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে ব্রিটিশ সরকার। নিরস্ত্র বিরসাকে জঙ্গলের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে ব্রিটিশ সরকার। কথিত আছে, কারাগারে থাকাকালীন খাবারে বিষ মিশিয়ে বিরসা মুন্ডাকে (Birsa Munda Birth Anniversary) হত্যা করা হয়‌। ১৯০০ সালের ৯ জুন স্বর্গযাত্রা করেন ভগবান বিরসা মুন্ডা।

    বিরসার জন্মদিন ‘জনজাতি গৌরব দিবস’

    ঝাড়খণ্ড, বিহার, ছত্তিসগড়, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশাতে আজও পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ বিরসা মুন্ডাকে ‘ভগবান বিরসা মান্দা’ হিসাবে পুজো করে থাকেন। এমন একজন ঐশ্বরিক ব্যক্তিত্ব যিনি তরুণ প্রজন্মের প্রেরণার কেন্দ্র ,- যিনি ভারতের সম্পদ, তিনি ব্রাত্য থেকেছে বরাবর। তাঁর প্রাপ্য সম্মান পাননি। স্বাধীনতার পর থেকেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কয়েক বছর আগে ‘মন কি বাতে’, ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’র দুঃসাহসিক গল্প স্মরণ করেন এবং ঘোষণা করেন, তাঁর জন্ম-জয়ন্তী (Birsa Munda Birth Anniversary), প্রতি বছর ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ (Janjatiya Gaurav Divas) হিসাবে উদযাপন করা হবে।

  • Diabetes: বয়ঃসন্ধিকালে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের তালিকায় প্রথম সারিতে ভারত! বলছে আইসিএমআর রিপোর্ট

    Diabetes: বয়ঃসন্ধিকালে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের তালিকায় প্রথম সারিতে ভারত! বলছে আইসিএমআর রিপোর্ট

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    প্রৌঢ়দের মধ্যে রোগের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু গত তিন বছরে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। বয়সের বেড়াজাল পেরিয়ে ডায়াবেটিস এখন বয়ঃসন্ধিকালের সমস্যা হয়ে উঠছে। যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই প্রথম থেকেই রোগ নিয়ন্ত্রণে সতর্কতা জরুরি। না হলে সুস্থ জীবন যাপন কঠিন হয়ে উঠবে।

    কোন পরিসংখ্যান উদ্বেগ বাড়াচ্ছে?

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-র তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বয়ঃসন্ধিকালে থাকা প্রায় ৯৬ হাজার ছেলেমেয়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ভারতে টাইপ-টু ডায়াবেটিসের দাপটও বাড়ছে। মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবন‌ যাপনের জেরেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে‌। ওই পরিসংখ্যান জানান দিচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের ডায়াবেটিস আক্রান্তের নিরিখে ভারত প্রথম সারিতেই রয়েছে। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বিপুল ভাবে বেড়ে যাওয়া যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসক মহল।

    কেন স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে ডায়াবেটিসের দাপট বাড়ছে?

    ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে মূলত দুই ধরনের ডায়াবেটিসের দাপট দেখা যায়। টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিস। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি ব্যবস্থার জেরেই এই সমস্যা হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অগ্নাশয়ে ইনসুলিন হরমোন তৈরির ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়। তার জেরেই টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের সমস্যা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, বংশানুক্রমিক ডায়াবেটিস আক্রান্তের সমস্যা থাকলে, পরিবারের শিশুরা এই রোগের শিকার হয়।

    তবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে টাইপ-টু ডায়াবেটিস। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত পাঁচ বছরে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে টাইট-টু ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাদ্যাভাস ও অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের মধ্যে ব্যাপক হারে ওবেসিটি দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা টাইপ-টু ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়াচ্ছে।

    বয়ঃসন্ধিকালে ডায়াবেটিসের প্রকোপ কেন বাড়তি উদ্বেগজনক?

    ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস নানান রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই এই রোগ দীর্ঘ সুস্থ জীবন যাপনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই এই রোগের প্রকোপ থাকলে পরবর্তী সময়ে নানান শারীরিক জটিলতা বাড়তে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস হৃদরোগ, কিডনির সমস্যার পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়ার সমস্যাও তৈরি করে। শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। বন্ধ্যাত্বের সমস্যা তৈরি করতে পারে। আবার ডায়াবেটিস শরীরকে বাড়তি ক্লান্ত করে দেয়। তাই পড়াশোনা এবং খেলার ক্ষেত্রেও শিশুর স্বাভাবিক ছন্দপতন হতে পারে। তাই কম বয়সে ডায়াবেটিসের প্রকোপ উদ্বেগজনক। শিশুকাল থেকে ডায়াবেটিসের প্রকোপ দেখা দিলে তরুণ বয়সে কর্মক্ষমতা বাধার মুখে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তিরিশ পেরনোর আগেই উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের সমস্যার মতো জটিল স্বাস্থ্য সঙ্কট তৈরি হতে পারে।

    সন্তানের সুস্থ থাকার চাবিকাঠি কী?

    দেশজুড়ে কৈশোর কালের উপরে ডায়াবেটিসের প্রকোপ রুখতে পারে সচেতনতা। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কলকাতার ফর্টিস হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের চিকিৎসক রচনা মজুমদার জানান, কৈশোর কালে ডায়াবেটিস মোকাবিলার মূল অস্ত্র খাদ্যাভাস।‌ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাবে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলেও রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে। কলকাতার আরেক এন্ডোক্রিনোলজিস্ট সুজয় ঘোষ জানান, কৈশোরে পা দেওয়ার আগেই বহু ছেলেমেয়ে প্রক্রিয়াজাত খাবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। যার ফলে শরীরে নানান হরমোনঘটিত ভারসাম্যের অভাব দেখা দিচ্ছে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ছে। বাড়ির তৈরি ঘরোয়া ফ্রেশ খাবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠলেই এই রোগের প্রকোপ মোকাবিলা সহজ হয়। ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন-র তরফেও জানানো‌ হচ্ছে, সুস্থ জীবন যাপনের জন্য প্রথম থেকেই কোন পদক্ষেপ নিতে হবে, সে নিয়ে সচেতনতা জরুরি। আধুনিক ব্যস্ত জীবনে এই সচেতনতার অভাব রয়েছে। শিশুরা যার ফল‌ ভোগ করছে।

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত ফল ও সব্জি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা প্রয়োজন। শিশুদের সকালের জলখাবার কিংবা সন্ধ্যার খাবার মানেই প্যাকেটজাত চটজলদি খাবার নয়। বরং বাড়িতে তৈরি রুটি, সব্জি, ডাল নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন। অধিকাংশ শিশু প্রয়োজনীয় সব্জি, ফল খায় না। তার পরিবর্তে প্যাকেটজাত এমন কিছু খাবার খায়, যার কোনো পুষ্টিগুণ নেই। তাতে নানান রাসায়নিক দেওয়া থাকে। ফলে শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার পায় না। এর ফলে শরীরে একাধিক রোগের প্রকোপ বাড়ে। ওজন বাড়ে। যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘরোয়া খাবার খাওয়ার পাশপাশি শারীরিক কসরত জরুরি। ছোটো থেকেই যোগাভ্যাস কিংবা অন্যান্য শারীরিক কসরতে অভ্যস্থ হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাহলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Delhi Red Fort Blast: জইশের টেলিগ্রাম চ্যানেলে কথা, তুরস্কে হামলার ছক তৈরি উমরদের! দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Delhi Red Fort Blast: জইশের টেলিগ্রাম চ্যানেলে কথা, তুরস্কে হামলার ছক তৈরি উমরদের! দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি লালকেল্লা বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়া যত এগোচ্ছে, ততই নিত্যনতুন ও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে বিস্ফোরণে আত্মঘাতী হামলাকারী হিসেবে সন্দেহভাজন ডাক্তার উমর মহম্মদ কট্টরপন্থী ডাক্তারদের এক গোপন নেটওয়ার্কের অংশ ছিল। সে তার কার্যকলাপ জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের মাধ্যমে চালাত। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, জইশ পরিচালিত দু’টি এনক্রিপটেড টেলিগ্রাম গ্রুপের মাধ্যমেই মগজধোলাই শুরু হয়েছিল এই চিকিৎসকদের গ্রুপের৷

    এক জোড়া টেলিগ্রাম গ্রুপ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ‘ফারজানাদন-ই-দারুল উলুম’ নামক একটি টেলিগ্রাম গ্রুপ ব্যবহার করা হত মগজধোলাইয়ের জন্য। উমর বিন খাতাব নামক এক ব্যক্তি এই টেলিগ্রাম গ্রুপ চালাত। উমর পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের এই চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। অন্যদিকে, টেলিগ্রামে ‘র‍্যাডিক্যাল ডক্টর্স গ্রুপ’ নামে একটি চ্যানেল তৈরি করা হয়েছিল। এতে গ্রেফতার হওয়া ডাক্তার আদিল রাথের, মুজাম্মিল শাকিল এবং সন্দেহভাজন হামলাকারী উমর মহম্মদও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরা সকলেই জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য।

    পাকিস্তান থেকে অপারেট হত

    পাকিস্তান থেকে জইশের অপারেটিভ হিসাবে কাজ করত এই চ্যানেলগুলি। এই টেলিগ্রাম সেন্টারগুলিই প্রকৃতপক্ষে ‘ডক্টর্স মডিউল’-এর নার্ভ সেন্টার ছিল৷ তদন্তে উঠে এসেছে, ভারতে নাশকতা ছড়িয়ে দেওয়ার এই কাজ শুরু হয়েছিল মূলত দু’জনের হাত ধরে৷ একজন দিল্লি বিস্ফোরণ মামলার মূল অভিযুক্ত উমর এবং অন্যজন কাশ্মীরের এক ধর্মগুরু মৌলবি ইরফান আহমেদ ওয়াঘা৷ জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা উমরের সঙ্গে সোপিয়ানের বাসিন্দা ইরফান আহমেদের কথা শুরু হয়েছিল টেলিগ্রামের মাধ্যমে।

    আজাদ কাশ্মীর থেকে গ্লোবাল জিহাদ

    সূত্র অনুযায়ী, প্রথমে কাশ্মীরের ‘আজাদি’, কাশ্মীরিদের উপরে দমনের মতো কথা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল কথোপকথন৷ ক্রমে তা বৃহত্তর ক্ষেত্রে ছড়িয়ে যায়৷ গ্লোবাল জিহাদ-এ পরিণত হয় আলোচনা। সেখানে মহজধোলাই পর্ব থেকে হাতেনাতে কাজে লেগে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া শুরু হতে থাকে৷ গ্রুপের সদস্যদের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়, কাজে লাগানো হয়৷ সারা ভারতে ছড়িয়ে ‘প্রফেশনাল কাজের’ আড়ালে স্লিপার সেল তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়৷

    এনক্রিপ্টেড চ্যানেলে কথোপকথন

    বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ডাক্তাররা টেলিগ্রাম চ্যানেলে একে অপরের সঙ্গে কথা বলত। টেলিগ্রাম চ্যানেলের কথোপকথন এনক্রিপ্টেড হওয়ার কারণেই সম্ভবত এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি যে এই টেলিগ্রাম চ্যানেলে কতজন যুক্ত ছিল এবং তাদের মধ্যে কী কী আলোচনা চলছিল। যদি সদস্য সংখ্যা এবং কথোপকথন ডিকোড করা সম্ভব হয়, তাহলে অনেক বড় এবং চমকপ্রদ তথ্য সামনে আসতে পারে।

    তুরস্ক ট্রিপেই সন্ত্রাসী মডিউল তৈরি

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই গ্রুপের হ্যান্ডলাররা সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছিল তুরস্কে। মুজাম্মিল ও উমরকে ডেকে পাঠানো হয় সেখানে। মনে করা হচ্ছে, মনে করা হচ্ছে, জইশ-এর সঙ্গে যুক্ত কোনও হ্যান্ডলারের মধ্যস্থতাতেই তাঁদের তুরস্ক সফর নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছিল৷ গোয়েন্দাদের অনুমান, তুরস্ক ট্রিপেই গোটা সন্ত্রাসবাদী মডিউল তৈরি ও হামলার ছক কষা হয়েছিল। তুরস্ক থেকে ফেরার পরই এরা ভারতে নিজেদের গতিবিধি বাড়ায়। ডাঃ মুজাম্মিল ফরিদাবাদের আল ফালাহ্ মেডিক্যাল কলেজে যোগ দেন। ডাঃ আদিলের পোস্টিং সাহারানপুরে হয়।

  • Military Grade Explosives: দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ২ ধরনের ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক! অনুমান তদন্তকারীদের, এগুলি কতটা বিপজ্জনক?

    Military Grade Explosives: দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ২ ধরনের ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক! অনুমান তদন্তকারীদের, এগুলি কতটা বিপজ্জনক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লা এলাকায় গাড়ি-বিস্ফোরণে (Delhi Red Fort Blast) কী ধরনের রাসয়নিক বা বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। ফরেনসিক রিপোর্ট না আসায় সঠিকভাবে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ‘মিলিটারি-গ্রেড’ (Military Grade Explosives) বা সামরিক মানের শক্তিশালী বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। যে বিস্ফোরক সেনা জওয়ানদের ব্যবহারের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি হয়, তাই দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ২ ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার?

    একইসঙ্গে তদন্তকারীরা এও জানাচ্ছেন, সম্ভবত ২ ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়েছে বিস্ফোরণে (Delhi Red Fort Blast)। তদন্তকারীদের সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে নুমনা পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে একটি অ্যামেনিয়াম নাইট্রেটের মতো কোনও রায়াসনিক হতে পারে। তবে দ্বিতীয় বিস্ফোরকের (Military Grade Explosives) প্রকৃতি সম্পর্কে কোনও সুস্পষ্ট তথ্য মেলেনি। ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে সুস্পষ্ট হবে।

    এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, ঘটনাস্থল থেকে ৪২টি নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে রয়েছে আই-২০ গাড়ির টায়ার, চেসিস, সিজিসি সিলিন্ডার, বনেটের অংশ এবং বিভিন্ন অবশেষ। ল্যাবরেটরিতে এই নমুনাগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সম্ভবত পেন্টেরিথ্রিটল টেট্রানাইট্রেট বা সংক্ষেপে পিইটিএন (PETN), সেমটেক্স (SEMTEX) বা আরডিএক্স (RDX)-এর মতো শক্তিশালী বিস্ফোরক ছিল ওই গাড়িতে।

    পিইটিএন, সেমটেক্স, আরডিএক্স

    পিইটিএন অত্যন্ত শক্তিশালী রাসায়নিক (Military Grade Explosives)। অল্প পরিমাণের সাহায্যেই বড় বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা, এর বর্ণহীন স্ফটিক আকৃতির জন্য একে সনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন। পিইটিএন শক বা তাপের অধীনে বিস্ফোরণ ঘটায়। ফলে, অতিরিক্ত ধাতব টুকরোর প্রয়োজন হয় না। বিস্ফোরক থেকে প্রাপ্ত বিস্ফোরণ শক্তি একটি যানবাহন ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। এর উচ্চ ক্ষমতা এবং কম সনাক্তযোগ্য বৈশিষ্ট্যের কারণে, সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রে এটি বহুল ব্যবহৃত।

    সেমটেক্স ও আরডিএক্স-ও সামরিক মানের শক্তিশালী বিস্ফোরক (Military Grade Explosives), যা সন্ত্রাসী হামলায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত। এগুলির কোনও ক্ষেত্রেই বিস্ফোরণে পেলেট কিংবা শার্পনেল প্রয়োজন হয় না। তদন্তে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং ডিটোনেটরের সম্ভাব্য ব্যবহারেরও ইঙ্গিত মিলেছে। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মিশ্রিত জ্বালানি (ANFO) তেল এবং ডিটোনেটর ব্যবহারের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। এটি আইইডি তৈরিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়।

    ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক ঠিক কী?

    কী এই ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক (Military Grade Explosives), যা সেনা ব্যবহার করে থাকে? কতটা শক্তিশালী? ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক সাধারণত, সেনাবাহিনীর কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়। সেনার মানদণ্ড ও প্রয়োজন অনুযায়ী উৎপাদন হয়। জওয়ানরা তা যুদ্ধ বা প্রতিরক্ষা মিশনে ব্যবহার করেন। এই ধরনের বিস্ফোরক পদার্থের শক্তি অনেক বেশি। কার্যকারিতা রীতিমতো ভয়াবহ। নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার উদ্দেশেই ‘সামরিক মানের’ বিস্ফোরক প্রস্তুত করা হয়। সাধারণত সেনাবাহিনী এবং নির্দিষ্ট কিছু সরকারি সংস্থাই এগুলো ব্যবহার করতে পারে।

    এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে এই রাসায়নিক এল জঙ্গিদের হাতে? এটাই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।

  • Heart Disease: শীতের শুরুতেই বাড়ছে হৃদরোগের প্রকোপ! কাদের ঝুঁকি বেশি?

    Heart Disease: শীতের শুরুতেই বাড়ছে হৃদরোগের প্রকোপ! কাদের ঝুঁকি বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দরজায় কড়া নাড়ছে শীত (Winter Season)! ভোরের ঠান্ডা হাওয়া জানান দিচ্ছে আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া। দুপুরে রোদের তীব্রতায় ঠান্ডার আমেজ আর থাকছে না। তাই বাড়ছে অস্বস্তিও। এমন পরিস্থিতিতে বিপদ বাড়ছে। হৃদরোগের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। প্রৌঢ়দের পাশাপাশি কম বয়সিদের মধ্যেও হৃদরোগের (Heart Disease) প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। বিশেষত শীতের আগে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। তাই যথেষ্ট উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, আগাম সতর্কতা না নিলে বড় বিপদ এড়ানো যাবে না।

    কেন শীতের (Winter Season) শুরুতে হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের শুরুতে হৃদরোগের (Heart Disease) প্রকোপ বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতে হৃদরোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও এই রোগের দাপট বাড়ছে। তাই বছরভর সাবধানতা জরুরি। তবে শীতের সময়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বছরের এই সময়ে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। বিশেষত তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য বদল ঘটে। তাপমাত্রা বারবার ওঠানামার জেরে রক্তচাপের উপরেও প্রভাব পড়ে। দিনের একটা সময়ে হঠাৎ গরম, আবার কিছুটা সময়ে বেশ ঠান্ডা, এমন তাপমাত্রার বদলের জেরে রক্তচাপ হঠাৎ করেই ওঠানামা করে, এর জন্য হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে।

    কাদের বিপদ বেশি?

    হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে হৃদরোগের (Heart Disease) ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই শীতের (Winter Season) শুরুতে তাঁদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্যও বাড়তি ঝুঁকি তৈরি হয়। কারণ, এই সমস্যা থাকলে অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হয়। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।

    কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ রাখতে এই আবহাওয়ায় বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। বিশেষত হৃদরোগের (Heart Disease) ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। সহজপাচ্য খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার। কম তেল মশলা দিয়ে নিয়মিত সবুজ সব্জি, মাছ, মাংস কিংবা ডিম খাওয়া প্রয়োজন। যাতে শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং প্রোটিন পায়। আবার যাতে কোলেস্টেরলের মাত্রা না বাড়ে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না। যাতে শরীরে অতিরিক্ত ওজন না বাড়ে। তাতে কোলেস্টেরলের মাত্রাও‌ বাড়ে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। প্রাণীজ প্রোটিনের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে সবুজ সব্জি, ফাইবার সমৃদ্ধ ফল খেতে হবে। শরীরে প্রোটিনের পাশপাশি ভিটমিন, খনিজ পদার্থের জোগান হলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। শরীর সুস্থ থাকবে।

    খাবারের পাশপাশি নিয়মিত শারীরিক কসরত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত আধ ঘণ্টা হাঁটা জরুরি।‌ তাতে শরীরে ক্যালোরি ক্ষয় হয়। নিয়মিত আধ ঘণ্টা হাঁটলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। আবার প্রত্যেক দিন সকালে যোগাভ্যাস করলে স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শরীরের অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। শীতে ঘাম কম হয়। তাই অনেক সময়েই ক্যালোরি ক্ষয় কম হয়। তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে‌। এই সময়ে নিয়মিত ব্যায়াম করলে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমবে। হৃদরোগের আশঙ্কাও কমবে।

    হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্তদের নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা দরকার। যাতে তাদের রক্তচাপ অনিয়মিত হচ্ছে কিনা, সেটা নজরে রাখা যায়। তাছাড়া, ডায়াবেটিস কিংবা কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে হাতে-পায়ের পেশিতে খিঁচুনি, মাথার পিছনে যন্ত্রণা কিংবা বুকে চিনচিনে ব্যথা, বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। প্রথমেই চিকিৎসা শুরু হলে হৃদরোগের (Heart Disease) বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Modi Rajnath on Delhi Blast: ‘‘ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না’’ দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে হুঁশিয়ারি মোদি-রাজনাথের, প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় পাকিস্তানে জারি হাই-অ্যালার্ট

    Modi Rajnath on Delhi Blast: ‘‘ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না’’ দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে হুঁশিয়ারি মোদি-রাজনাথের, প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় পাকিস্তানে জারি হাই-অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না। দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে।’’ দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ড নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের আশ্বাস, ‘‘জড়িত দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’’

    ‘‘ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না’’: প্রধানমন্ত্রী

    দিল্লি বিস্ফোরণের আবহে বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে ভুটানে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে দিল্লি বিস্ফেরণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কড়া ভাষায় বলেন, ‘‘ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না।’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ আমি খুব ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এখানে এসেছি। গতকাল সন্ধ্যায় দিল্লিতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনাটি সকলকে শোকাহত করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কষ্ট আমি বুঝতে পারি। আজ পুরো দেশ তাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। গত রাতভর আমি এই ঘটনার তদন্তকারী সকল সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলাম। আমাদের তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই ষড়যন্ত্রের গভীরে পৌঁছাবে। এর পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না। এই ঘটনায় দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে।’’ পাশাপাশি, নিহতদের পরিজনদের প্রতি আরও একবার সমবেদনা জানিয়েছেন মোদি। বলেন, এই দুঃসময়ে গোটা দেশ তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। একইসঙ্গে এও জানান, নিরাপত্তা ও আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা নিরপেক্ষ তদন্ত করে। দ্রুত তদন্তের নিষ্পত্তি করে।

    ‘‘দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে’’: রাজনাথ

    ষড়যন্ত্রকারীদের কড়া হুঁশিয়ারি দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও। তিনিও জানিয়ে দেন, গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত দোষীদের কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। কোনও অবস্থাতেই তাদের রেহাই দেওয়া হবে না।’’ একইসঙ্গে ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক’ উল্লেখ করে বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান রাজনাথ। “গতকাল দিল্লিতে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, আমি তাদের সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। এই গভীর শোকের মুহূর্তে আমি প্রার্থনা করি ঈশ্বর যেন শোকাহত পরিবারগুলিকে শক্তি ও সান্ত্বনা দেন।”

    সিঁদুর আতঙ্কে নোটাম জারি পাকিস্তানের

    এদিকে, লালকেল্লা বিস্ফোরণের পরেই সিঁদুর আতঙ্কে নোটাম জারি করে দিয়েছে পাকিস্তান। গত এপ্রিল মাসে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি শিবির। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে যায় পাকিস্তানের অন্তত ১১টি একধিক বায়ু সেনাঘাঁটি।ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয় ১০০ জনের বেশি জঙ্গি ও ৩৫-৪০ জন পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদের আর্জিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি। তবে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের উদ্দেশে জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে ভারতের মাটিতে কোনও রকম জঙ্গি হামলা হলে, তা ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে, এবার দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের পর ফের সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে পাকিস্তান। পাক আকাশ সীমায় হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ইসলামাবাদ! সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের স্থল, বায়ু এবং নৌসেনাকেও বিশেষ সতর্ক থাকতে বলেছে সেদেশের সরকার।

    পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপাল সীমান্তে জারি উচ্চ সতর্কতা

    সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ৬টা ৫৫ মিনিট নাগাদ গাড়ি-বোমা বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু ঘটেছে। জখম হন আরও অনেকে। দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ তো বটেই, পাশাপাশি একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্ত করছে। ঘটনার পর পরই লালকেল্লার সামনে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) দল। এ ছাড়াও, এনএসজি এবং ফরেন্সিক দলও জড়িত এই ঘটনার তদন্তে। এই বিস্ফোরণ যে নাশকতার জেরেই ঘটেছে, তা স্পষ্ট হয়ে যায় তদন্ত এগোতেই। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপাল সীমান্তে জারি হয় উচ্চ সতর্কতা। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিএসএফ ইতিমধ্যেই পঞ্জাবে জোরদার টহলদারি শুরু করেছে সীমান্তে। রাজস্থান সীমান্তেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন আউটপোস্টে। নেপাল সীমান্ত দিয়ে যাতায়াতকারী প্রত্যেককে খুটিয়ে খুটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

  • Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণের আত্মঘাতী জঙ্গি কাশ্মীরি চিকিৎসক উমর, যুক্ত ছিল ফরিদাবাদ মডিউলের সঙ্গে!

    Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণের আত্মঘাতী জঙ্গি কাশ্মীরি চিকিৎসক উমর, যুক্ত ছিল ফরিদাবাদ মডিউলের সঙ্গে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমাবার সন্ধ্যায় লাল কেল্লার কাছে ঘটে যায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। শক্তিশালী গাড়ি বিস্ফোরণে ঝরে গিয়েছে অন্তত ১১টি প্রাণ। আহত বহু। এই ঘটনার পরই, দ্রুত তদন্তে নামে একাধিক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এজেন্সি। এরই মধ্যে হামলার আগের মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা থেকে বিরাট সূত্র পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, সাদা রঙের ওই ‘হুন্ডাই আই২০’ গাড়িটি দুপুর ৩টে ১৯ মিনিটে লালকেল্লার অদূরে সুনহেরি মসজিদ কাছে একটি পার্কিংয়ে প্রবেশ করেছিল। সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত গাড়িটি সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিল। তার পরে ওই পার্কিং থেকে বেরোয় গাড়িটি। পার্কিং থেকে বার হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে লালকেল্লার কাছে গাড়িটিতে বিস্ফোরণ হয়।

    সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে

    এর কিছুক্ষণ আগে তোলা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ভিড়ের মধ্যে দিয়ে একটি আই-২০ গাড়ি যাচ্ছে। কালো মাস্ক পরা ব্যক্তি, যাকে গাড়ির ভেতরে চালকের আসনে বসে থাকতে দেখা গেছে, তাকে জঙ্গি মহম্মদ উমর বলে মনে করা হচ্ছে। সন্দেহজনক গাড়ির এই ফুটেজটি বিস্ফোরণের তদন্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে রাস্তাটি যখন খুব ব্যস্ত ছিল, তখন একটি সাদা আই-২০ গাড়ি ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। গাড়িটি যানজটের মধ্য দিয়ে চলতে থাকে। ফুটেজ অনুসারে, গাড়িটি যে চালাচ্ছিল তার মুখ কালো মাস্ক দিয়ে ঢাকা ছিল।

    ‘হোয়াইট কলার টেরর’

    সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানে কয়েকদিন আগেই প্রথম জম্মু-কাশ্মীরের এক ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর তদন্ত যত এগিয়েছে তত উঠে এসেছে একের পর এক ডাক্তার যোগ। বিস্ফোরণের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই এই লালকেল্লা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে বাজেয়াপ্ত হয় প্রায় ৩ হাজার কেজি বিস্ফোরক! প্রথমে মুজাম্মিল শাকিল নামে এক চিকিৎসকের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে সাড়ে তিনশো কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। এরপর ওই চিকিৎসকের আর একটি ভাড়া বাড়ি থেকে আড়াই হাজার কেজির বেশি বিস্ফোরক উদ্ধার করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বলে জানা যায়। গোয়েন্দাদের তখনই সন্দেহ ছিল, দেশের বিরাট এলাকা জুড়ে ‘হোয়াইট কলার’ সন্ত্রাসবাদের বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করে ফেলেছে জঙ্গি মডিউলগুলি, যাদের অংশ এই ডাক্তাররা।

    ফরিদাবাদ জঙ্গি মডিউল

    এই ঘটনায় গোয়েন্দারা গ্রেফতার করে তিন চিকিৎসককে। গত কয়েকদিনে তদন্তকারীরা ফরিদাবাদ জঙ্গি মডিউলের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, দুই কাশ্মীরি চিকিৎসক ডাঃ মুজাম্মিল শাকিল এবং ডাঃ আদিল রাথেরকে গ্রেফতার করে, সেই সঙ্গে মোট ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করে। মুজাম্মিলের সহযোগী ফরিদাবাদ নিবাসী শাহীন শাহিদ নামে এক কাশ্মীরি মহিলা চিকিৎসককের হদিশ মেলে। তাঁর গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় একে-৪৭ রাইফেল। পরে লখনউ থেকে ওই মহিলা চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই চক্রের তদন্তে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে কাশ্মীর পুলিশ। ধৃতেরা হল আরিফ নিসর দার, ইয়াসির-উল-আসরফ, মকসুদ আহমেদ দার, ইরফান আহমেদ, জামির আহমেদ।

    আত্মঘাতী চালকের পরিচয়

    কিন্তু, পলাতক ছিল আরও এক কাশ্মীরি চিকিৎসক। সে-ই হল এই আত্মঘাতী জঙ্গি মহম্মদ উমর। তদন্তকারীদের অনুমান, সঙ্গীরা গ্রেফতার হতেই ডাঃ উমর মহম্মদ আতঙ্কিত হয়ে লাল কেল্লার কাছে বিস্ফোরণ ঘটায়। পেশায় চিকিৎসক উমরই গাড়িটি চালিয়ে নিয়ে যান এবং দুই সহযোগীর সঙ্গে মিলে তিনিই হামলার পরিকল্পনা করেন বলে সূত্রের খবর। কিন্তু, সোমবার ফরিদাবাদ থেকে দু’জন গ্রেফতার হওয়ার পর, ভয়ে তড়িঘড়ি বিস্ফোরণ ঘটানো হয় লালকেল্লার কাছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সহযোগীদের সঙ্গে মিলে গাড়িতে ডিটোনেটর রাখেন উমরই। বিস্ফোরণ ঘটাতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। ভেবেচিন্তেই ভিড় জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছিল বলেও মনে করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share