Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Starlink: সেট-আপ করতে ৩৩ হাজার টাকা, মাসিক রিচার্জ ৩ হাজার! খরচ বনাম সুবিধের পাল্লায় ঝুলছে স্টারলিঙ্কের সাফল্য

    Starlink: সেট-আপ করতে ৩৩ হাজার টাকা, মাসিক রিচার্জ ৩ হাজার! খরচ বনাম সুবিধের পাল্লায় ঝুলছে স্টারলিঙ্কের সাফল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহেই ভারত সরকারের থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ইলন মাস্কের ইন্টারনেট পরিষেবা সংস্থা স্টারলিঙ্ক। গত ৬ জুন টেলিকম মন্ত্রকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স পেয়েছে স্টারলিঙ্ক। এর ফলে ভারতে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে পারবে সংস্থাটি। এর পর থেকেই স্টারলিঙ্কের পরিষেবা পেতে কত খরচ হতে পারে, সেই নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছিল। অবশেষে, সোমবার, প্রকাশ্যে এল সেই অঙ্ক।

    সেট-আপ করলেই প্রথম মাস ফ্রি!

    সংবাদসংস্থা এএনআই-র একটি প্রতিবেদন তরফে জানা গিয়েছে, ভারতে প্রতি বাড়িতে স্টারলিঙ্কের বিশেষ যন্ত্র বসাতে খরচ পড়বে ৩৩ হাজার টাকা। আর মাসে মাসে এই পরিষেবা পাওয়ার জন্য দিতে হবে ৩ হাজার টাকা। তবে, গ্রাহকদের আকর্ষিত করতে বিশেষ অফার নিয়ে এসেছে সংস্থাটি। জানা গিয়েছে, প্রথম মাসের সাবস্ক্রিপশন মকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইলনের সংস্থা। অর্থাৎ, সেটআপ করার জন্য ৩৩ হাজার টাকা দিলেই প্রথম এক মাস নিখরচায় ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে পারেন গ্রাহক। দ্বিতীয় মাস থেকে মাসিক ৩ হাজার টাকা করে দিতে হবে।

    খরচ বনাম সুবিধে!

    বর্তমান পরিষেবা পেতে একজন ব্যবহারকারীকে যত খরচ করতে হয়, স্টারলিঙ্কে সেই পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এত টাকা দিয়ে ইন্টারনেট বসানো অনেকের কাছে বাস্তবসম্মত নাও হতে পারে। ফলে, স্টারলিঙ্ক কতটা সাফল্য পাবে তা সময়ই বলবে। তবে, স্টারলিঙ্ক আশাবাদী। সংস্থার দাবি, যেহেতু তাদের পরিষেবা সরাসরি উপগ্রহ-মারফৎ হবে, তাই ইন্টারনেটের স্পিড (যা গ্রাহককূল মূল বিচার করে থাকে) অন্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি হবে। উপরন্তু, একবারে প্রত্যন্ত জায়গাতেও এই পরিষেবা অনায়াসেই মিলবে। ফলে, আখেরে লাভবান হবেন ব্যবহারকারীরাই। এক নজরে দেখে নেওয় যাক, স্টারলিঙ্ক কী এবং তা কীভাবে কাজ করে।

    স্টারলিঙ্ক কী?

    স্টারলিঙ্ক প্রচলিত ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী ব্যবস্থা নয়। এটি হল সরাসরি স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ-ভিত্তিক ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। অনেকটা ডিটিএইচ (ডায়রেক্ট-টু-হোম) পরিষেবার মতো। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে উপগ্রহের (Satellite) মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়। সাধারণত এটি সেই সমস্ত এলাকায় ব্যবহৃত হয়, যেখানে মোবাইল টাওয়ার বা ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পৌঁছায় না— যেমন প্রত্যন্ত গ্রাম, পাহাড়ি অঞ্চল, দ্বীপ বা সাগরপারের অঞ্চল।

    কীভাবে কাজ করবে স্টারলিঙ্ক?

    এই পরিষেবায় একটি স্যাটেলাইট ডিশ এবং একটি মোডেম বা রাউটার ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারকারী কোনও অনুরোধ পাঠালে (যেমন— একটি ওয়েবসাইট খোলা), সেই অনুরোধ প্রথমে স্যাটেলাইট ডিশ থেকে উপগ্রহে যায়। উপগ্রহ সেটি গ্রাউন্ড স্টেশনে (NOC) পাঠায়, যেখানে থেকে তথ্য প্রক্রিয়া করে আবার সিগন্যালের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ডিভাইসে পাঠিয়ে দেয়। স্টারলঙ্ক ব্যবস্থায় একজন উপভোক্তা ৫০ থেকে ২৫০ এমবিপিএস পর্যন্ত উচ্চ-গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাবেন।

    স্টারলিঙ্কের কেন্দ্রে উপগ্রহ-পুঞ্জ

    স্টারলিঙ্ক ব্যবস্থায় পৃথিবীর লো-আর্থ অরবিটে (ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০০ থেকে ২০০০ কিলোমিটার উচ্চতায়) প্রদক্ষিণকারী ছোট উপগ্রহের একটি সমষ্টি থেকে সরাসরি ইন্টারনেট বিম করে ফাইবার অপটিক্স এবং সেলুলার টাওয়ারের সীমারেখাকে অতিক্রম করতে পারবে। এই স্যাটেলাইটগুলি ব্যবহারকারীর বাড়িতে বা অফিসে স্থাপিত একটি কমপ্যাক্ট ডিশ অ্যান্টেনার সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, যা পরে রাউটারের বা মোডেমের মাধ্যমে ইন্টারনেট রিলে করে। বর্তমানে, ৬ হাজারেরও বেশি উপগ্রহ ইতিমধ্যেই কক্ষপথে রয়েছে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে নেটওয়ার্ক ৪২ হাজার উপগ্রহপুঞ্জ তৈরি করা হবে। এই সম্প্রসারণের জন্য একটি রোডম্যাপও রয়েছে বলে সংস্থা জানিয়েছে।

    ভারতে কেন গুরুত্বপূর্ণ স্যাটেলাইট-ইন্টারনেট?

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বহু গ্রামীণ বা দুর্গম অঞ্চলে এখনও ইন্টারনেট পৌঁছায়নি। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেই সমস্ত জায়গায় দ্রুত ও স্থায়ী ইন্টারনেট ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। বিশেষত স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা কৃষি সংক্রান্ত উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। স্টারলিঙ্ক মূলত ভারতের এমন সব এলাকায় পরিষেবা দিতে চায়, যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ফাইবার অপটিক কভারেজ নেই বা খুবই দুর্বল। তবে, খরচের বিষয়টাই যা বাধা হতে পারে। কারণ, ভারত যে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা মোবাইল ডেটা ব্যবহারের দেশ, তা কারও অজানা নয়। ফলে, স্টারলিঙ্ক নিলে সেই খরচ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। যদিও, স্টারলিঙ্কের ভরসা হতে পারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্রুতগতি ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবার সুবিধা।

    কবে থেকে চালু হবে পরিষেবা?

    লাইসেন্স হাতে পেলেও স্টারলিঙ্কের পথ এখনও পুরোপুরি মসৃণ নয়। ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি (TRAI) এখনও স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম বরাদ্দ সংক্রান্ত সুপারিশের অনুমোদন পায়নি। এটি অনুমোদিত হলেই পূর্ণমাত্রায় পরিষেবা চালু করতে পারবে স্টারলিঙ্ক। ফলে, পরিষেবা চালু হতে হতে আরও এক বছর লাগতে পারে। ইতিমধ্যে, এশিয়ার একাধিক দেশে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে স্টারলিঙ্ক পরিষেবা—জাপান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, ভুটান ও বাংলাদেশ। সেখানে মাসিক খরচ ২,৬০০ টাকা থেকে ৬,০০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

    স্টারলিঙ্কের প্রতিযোগী কারা?

    এই ময়দানে স্টারলিঙ্কের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হল রিলায়েন্স জিও স্যাটেলাইট এবং ভারতী এয়ারটেল-এর ওয়ানওয়েব। মাস্কের সংস্থার সঙ্গে এই দুই সংস্থাকেও স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। তবে, এই তিন সংস্থা নিজেদের পরিষেবা শুরু করলেও, একে অপরের সহায়ক হিসেবেও কাজ করবে। এর জন্য গতমাসে ভারতের টেলিকম অপারেটর সংস্থা রিলায়েন্স জিও এবং ভারতী এয়ারটেলের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে স্টারলিঙ্ক। ভারতে এই দুই সংস্থার ইতিমধ্যেই বিপুল বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। ভারতের বেশিরভাগ জায়গাতেই এই সংস্থাগুলির নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই দুই সংস্থার অনলাইন ও অফলাইন স্টোরের মাধ্যমে এবার থেকে স্টারলিঙ্ক ইকুইপমেন্ট বিক্রি করতে পারবে। উল্টোদিকে, এয়ারটেল পরিকল্পনা করছে যাতে তাদের নেটওয়ার্কের মধ্যেই স্টারলিঙ্ক ইন্ট্রিগ্রেট করা যায়। রিলায়েন্স জিও সংস্থা তার ব্রডব্যান্ড সিস্টেমে এই স্টারলিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

    স্যাটেলাইট-ইন্টারনেটের দুর্বলতা

    খরচ ছাড়াও স্টারলিঙ্কের মতো স্যাটেলাইট-ইন্টারনেটের বেশ কিছু দুর্বলতাও রয়েছে। প্রথমত, গ্রাহক সংখ্যা বেশি হলে, তা পরোক্ষভাবে ইন্টারনেট স্পিডকে প্রভাবিত করতে পারে। ফলত, গতি কমে যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, যোগাযোগ যেহেতু সরাসরি স্যাটেলাইট নির্ভর, তাই পরিষ্কার আকাশ হওয়া বাধ্যতামূলক। এদেশে, প্রায়ই ঝড়-জল-বৃষ্টি-মেঘ থাকে। তেমন হলে, স্যাটেলাইটের সঙ্গে ডিশের যোগাযোগে বিঘ্ন হতে পারে। ঠিক যেমনটা হয় ডিটিএইচ-এর ক্ষেত্রে। তৃতীয়ত, ডিশ চৌম্বকীয় হওয়ায়, বজ্রপাতের সময় সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যক।

  • Health Problems: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় হানা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ, সুস্থ থাকতে কী কী করণীয়?

    Health Problems: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় হানা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ, সুস্থ থাকতে কী কী করণীয়?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। আবহ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক দিন অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হলেও, তাপমাত্রা কমছে না। বরং আগামী কয়েকদিনে অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়ার এই রকমফেরে বাড়ছে নানান শারীরিক সমস্যা (Health Problems)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কখনও বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা সামান্য কমছে, আবার কখনও তীব্র অস্বস্তিকর গরমে ঘামে শরীর ভিজে যাচ্ছে। আর এর ফলেই শ্বাসনালীর সংক্রমণ, গলা ব্যথা, কাশি, সর্দির মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তার পাশপাশি অনেকেই হজমের সমস্যাতেও ভুগছেন‌। তাই বাড়তি সতর্কতা না নিলে ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বাতাসে সুপার-অ্যাক্টিভ ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কখনও গরম, আবার কখনও তাপমাত্রার পারদ পতনে বাতাসে নানান ভাইরাস সক্রিয় হচ্ছে। যার ফলে ভাইরাস ঘটিত অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে (Health Problems)। গরমে ঘাম হওয়ার জেরে আবার সাময়িক স্বস্তি পেতে অনেকটা সময় একটানা এসি ঘরে থাকার জেরে ব্যাক্টেরিয়া এবং ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আবহাওয়ার দ্রুত রকমফেরে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি বাড়ে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এর পাশপাশি এই পরিবেশে হজমের সমস্যাও বাড়ছে। অনেকেই পেটের অসুখ, বমির মতো সমস্যায় ভুগছেন।‌ বিশেষত শিশুদের সমস্যা বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা?

    আবহাওয়ার এই অস্বস্তিকর অবস্থায় সুস্থ থাকতে (Experts Health Tips) ঘরোয়া উপাদানেই ভরসা রাখছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খাওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুরা প্রাপ্ত বয়স্কদের থেকে বেশি দৌড়াদৌড়ি করে। ঘাম ও হয়। তাই তাদের শরীরে বাড়তি জল প্রয়োজন। তাই সেই চাহিদা পূরণ হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখা জরুরি। নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খেলে হজমের সমস্যা (Health Problems) কমবে। পেটের অসুখের ঝুঁকিও কমবে। গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার জেরে যে এনার্জির ঘাটতি হয়, সেটাও সহজে পূরণ করবে জল। ছোটোদের পাশাপাশি বড়দের জন্যও একই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, জল পর্যাপ্ত খাওয়ার দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।

    অতিরিক্ত তেল-মশলা জাতীয় খাবার বর্জন

    পাশপাশি কম তেল মশলা যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার হজম করা কঠিন। বিশেষত চর্বি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিন এবং অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার হজম করা কঠিন। ফলে এই আবহাওয়ায় নানান শারীরিক সমস্যা (Health Problems) দেখা দিতে পারে। সহজ পাচ্য খাবার নিয়মিত খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। খাবারের সম্পূর্ণ পুষ্টি পাওয়া যাবে। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই তাঁদের পরামর্শ (Experts Health Tips), নিয়মিত ডাল, সব্জি এবং পরিমিত পরিমাণে মাছ, ডিম জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। প্রয়োজনীয় এনার্জি শরীর সহজেই পাবে।

    সব সমস্যার সমাধানে জল ও ফল

    তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় নিয়মিত ফল খাওয়া দরকার। সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমাতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো দরকার (Health Problems)। তাই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, যেমন বিভিন্ন ধরনের লেবু, কিউই,‌ অ্যাপ্রিকট, বেরি জাতীয় ফল নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এতে শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ে।

    হজমের গোলমাল এড়াতে এবং পেটের সমস্যা কমাতে নিয়মিত মেথি ভেজানো জল এবং ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ (Experts Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুয়েই থাকে পর্যাপ্ত খনিজ। যা হজম শক্তি বাড়ায়। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই গরমে নিয়মিত এই দুইটি শরবত খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • I-STAR Spy Planes: ১০ হাজার কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ৩টি ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমান, কী বিশেষত্ব?

    I-STAR Spy Planes: ১০ হাজার কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ৩টি ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমান, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলমান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আবহেই ভারতীয় বায়ুসেনাকে (Indian Air Force) আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হল মোদি সরকার। সেই মর্মে মার্কিন রেথিয়ন ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমানের (I-STAR Spy Planes) ধাঁচে বায়ুসেনার জন্য তিনটি অত্যাধুনিক গোয়েন্দা বিমান কেনার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব বিবেচনা করতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    এলিট গ্রুপে প্রবেশ করবে ভারত

    জানা যাচ্ছে, এই বিমানগুলি এলে আকাশ থেকে ভূমির নির্ভুল, পরিষ্কার ছবি হাতে চলে আসবে বায়ুসেনার। সেই চিত্র ব্যবহার করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রেডার স্টেশন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও কমান্ড পোস্টের মত শত্রুর গুরুত্বপূর্ণ সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে আরও নিখুঁত ভাবে টার্গেট করে হামলা চালাতে পারবে ভারত। সূত্রের খবর, বর্তমানে এই প্রস্তাব প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চ-পর্যায়ের কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। মন্ত্রিসভার সবুজ সঙ্কেত মিললেই এই বিমান (I-STAR Spy Planes) কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। একবার তা হয়ে গেলেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইজরায়েলের মতো হাতে গোনা কয়েকটি দেশের এলিট তালিকায় স্থান করে নেবে ভারত। যা খবর, চলতি মাসের শেষের দিকে এর অনুমোদন মিলতে পারে।

    ডিআরডিও-র তৈরি প্রযুক্তি আই-স্টার

    আই-স্টার (I-STAR Spy Planes) শব্দগুচ্ছের পুরো অর্থ হল— ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেল্যান্স, টার্গেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড রিকনেস্যান্স। তবে ভারত যে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চলেছে তার একটা বড় অংশ দেশীয়। এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-র অধিনস্থ সেন্টার ফর এয়ারবোর্ন সিস্টেম (ক্যাবস্)। এই প্রযুক্তি মোতায়েন করা হতে পারে বিদেশি বোম্বার্ডিয়ার বা বোয়িং বিমানে। যে কারণে, একাধিক বিদেশি বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক স্তরের আলোচনা এগিয়ে রাখা হচ্ছে। এমনকি, ইতিমধ্যে বিদেশি নির্মাতাদের কাছ থেকে উন্মুক্ত দরপত্রও ডাকা হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, এই বিশেষ গুপ্তচর বিমানের (I-STAR Spy Planes) মাধ্যমে শত্রুর সামরিক বিষয়ে নজরদারি চালিয়ে গোয়েন্দা তথ্য, থেকে শুরু করে লক্ষ্য অর্জন এবং রেকি করতে পারবে ভারত। এক কথায়, এই বিমানগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) নজরদারি ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। এগুলো এয়ার-টু-গ্রাউন্ড ইন্টেলিজেন্স সরবরাহ করবে। এর ফলে শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আক্রমণ করা সম্ভব হবে।

    দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোর আধুনিকীকরণ

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, আই-স্টার সিস্টেমে (I-STAR Spy Planes) এমন সক্ষমতা থাকবে যা দিন-রাত উভয় সময়েই এবং দুর্গম ভূখণ্ডেও শত্রুদের অবস্থান নির্ভুলভাবে শনাক্ত, খুঁজে বের করতে ও ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে। এই বিমানগুলি অধিক উচ্চতা এবং নিরাপদ দূরত্ব থেকেও কাজ করতে পারবে। যার ফলে শত্রু দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ না করেই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। একবার চালু হলে, এই বিমানগুলি যুদ্ধক্ষেত্রের একটি গতিশীল এবং রিয়েল-টাইম চিত্র সরবরাহ করবে। যা সামরিক কমান্ডারদের (Indian Air Force) দ্রুত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। এটি দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোকে আধুনিকীকরণ করবে এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় ভারতকে আরও প্রস্তুত করে তুলবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। শীঘ্রই এক বিশেষ প্রতিরক্ষা সক্ষমতার অধিকারী (I-STAR Spy Planes) হতে চলেছে ভারত, অন্তত তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Vat Purnima Vrat 2025: আজ বট পূর্ণিমা, স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় বিবাহিতারা করেন এই ব্রতপালন

    Vat Purnima Vrat 2025: আজ বট পূর্ণিমা, স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় বিবাহিতারা করেন এই ব্রতপালন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে বটবৃক্ষের (Banyan Tree) অপার মহিমা বলা হয়েছে। এই গাছ ত্রিমূর্তি, বাকলের মধ্যে বিষ্ণু, মূলে ব্রহ্মা এবং শাখায় শিবের প্রতীক। এই গাছটি দীর্ঘকাল নবায়নযোগ্য থাকে, তাই একে ‘অক্ষয়বত’ও বলা হয়। সৌভাগ্যবতীর বর পাওয়ার পাশাপাশি এই বটগাছটি স্বাস্থ্যের জন্যও পুজো করা হয়।

    বট পূর্ণিমা ব্রত ২০২৫ (Vat Purnima Vrat 2025) তিথি ও পুজোর সময়

    আজ, মঙ্গলবার ১০ জুন, জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হবে বট পূর্ণিমা ব্রত। এদিন পূর্ণিমা (Vat Purnima) তিথি সকাল ১১ টা ৩৫ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং ১১ জুন (বুধবার) দুপুর ১টা ১৩ মিনিটে শেষ হবে। ১০ জুন উপবাস পালন করা হবে এবং ১১ জুন স্নান এবং দান করা হবে। উপবাসের দিনে পুজোর শুভ সময়: বট পুজো মুহূর্ত: সকাল ৮টা ৫২ মিনিট থেকে দুপুর ২টো ০৫ মিনিট পর্যন্ত। স্নান ও দানের সময়: ভোর ৪টে ০২ মিনিট থেকে ৪টে ৪২ মিনিট পর্যন্ত। চন্দ্রোদয়: সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটে।

    বট পূর্ণিমা ব্রতর (Vat Purnima Vrat 2025) তাৎপর্য

    এই উৎসবটি বিশেষ করে উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, গোয়া এবং গুজরাটে ভক্তির সঙ্গে পালিত হয়। এই দিনে বিবাহিত মহিলারা ষোলটি সাজের পর বটবৃক্ষের পুজো করেন। হিন্দু মতে, স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় ও পরিবারের সুস্বাস্থ্যের জন্য বিবাহিত মহিলারা বট পূর্ণিমা ব্রত (Vat Purnima Vrat) পালন করে থাকেন। হিন্দু শাস্ত্র মতে বহু ব্রত পালেনর উল্লেখ রয়েছে, তার মধ্যে এই ব্রত অন্যতম। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমায় এই ব্রত (Vat Purnima Vrat 2025) পালন করা হয়। সূর্যোদয় থেকে চন্দ্রোদয় পর্যন্ত উপবাস রাখার নিয়ম রয়েছে এবং পূর্ণিমা তিথিতেই চাঁদের পুজো করা হয়। যে মহিলা ৭ বার বটবৃক্ষ প্রদক্ষিণ করে মৌলি বাঁধেন, তিনি ৭ জন্মের পবিত্র বৈবাহিক বন্ধনের আশীর্বাদপ্রাপ্ত হন। এই দিনে বিবাহিত মহিলাদের শৃঙ্গারের জিনিসপত্র দান করলেও পুণ্য ফল লাভ হয়।

    বট পূর্ণিমা ব্রতর (Vat Purnima Vrat 2025) পৌরাণিক আখ্যান

    হিন্দু পুরাণ যেমন ভবিষ্যপুরাণ, স্কন্দপুরাণ এবং মহাভারতে বট পূর্ণিমার (Vat Purnima) মাহাত্ম্যের কথা উল্লেখ রয়েছে। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, নরকের অধিপতি যম যখন সাবিত্রীর স্বামী সত্যবানকে নিতে এসেছিলেন, সেই সময় স্বামীর জীবন ফিরিয়ে দিতে যমকে কাতর অনুরোধ করেছিলেন সাবিত্রী। কিন্তু অপারগ যম সাবিত্রীর অনুরোধে সাড়া দিয়ে বলেছিলেন, কঠিন ব্রত ও উপবাসের মধ্যে দিয়ে স্বামীর প্রতি নিষ্ঠা পরিবেশন করলে তিনি সত্যবানের জীবন ফিরিয়ে দেবেন। সাবিত্রীর ভক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে সত্যবানকে সঙ্গে না নিয়ে ফিরে যান মৃত্যুর দেবতা যম। এই দিন, মহিলারা বটবৃক্ষ গাছকে (Banyan Tree) উপাসনা করেন। তার কারণ হিন্দু মতে, বটবৃক্ষ আদতে ত্রিমূর্তি-ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশের প্রতীক। তাই সারাদিন উপবাস রেখে বটবৃক্ষকে পুজো করে স্বামীর জীবনরক্ষার জন্য ব্রত পালন করে থাকেন মহিলারা।

    বট পূর্ণিমা ব্রত (Vat Purnima Vrat 2025) পুজো বিধি

    – সূর্যোদয়ের আগে মহিলারা জলের মধ্যে তিল ও আমলা দিয়ে স্নান সেরে নতুন পোশাক, চুরি, টিপ, সিঁদুর পরেন।

    – এইদিন মহিলারা উপবাস রাখেন। খাবার হিসেবে ফলের শিকড়, সবজির মূল খেয়ে থাকেন।

    – বট পূর্ণিমার (Vat Purnima) দিন বটগাছকে দেবতা হিসেবে পুজো করা হয়। তবে বট গাছ না পাওয়া যায়, তাহলে বিকল্প হিসেবে বটগাছের একটি ডালকেও পুজো করা হয়ে থাকে। যদি তাও না পাওয়া যায় তাহলে একটি কাঠের প্রতিকৃতিতে হলুদ ও চন্দন দিয়ে সাজিয়ে পুজো করার নিয়ম রয়েছে।

    -পুজোর সময় জল, ফুল, চাল, ছোলা বীজ, সুতো এবং বাড়িতে তৈরি বিশেষ খাবার বটগাছের তলায় রেখে দেবতাদের অর্পণ করা হয়।

    – মহিলারা এদিন বটগাছে চারপাশে ৭ বার হলুদ ও লাল সুতো দিয়ে জড়িয়ে পরিক্রমা করেন।

    – বট পূর্ণিমার (Vat Purnima Vrat 2025) দিন সাবিত্রী সত্যবানের ব্রতকথা পাঠ করেন বিবাহিত মহিলারা।

    – এই দিন স্বামীর মঙ্গল কামনায় কিছু খাবার, টাকা-পয়সা, বস্ত্র দুঃস্থদের দান করা হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে সর্বদা বিশেষজ্ঞের মতামত নিন এবং সেই পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ৩

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ৩

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    পর্ব-৩

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে বার বার সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) কট্টরপন্থী মৌলবাদীরা প্রতিদিন হিন্দুদের মারছে, ঘর পোড়াচ্ছে, মন্দির ভাঙছে। সমগ্র বাংলাদেশের হাজার হাজার সংখ্য়ালঘুদের নামে মিথ্য়া ও হয়রানিমূলক মামলা প্রদান করা হয়েছে। শতাধিকের ওপর ঘরবাড়ি লুঠপাট করা হয়েছে। বেছে বেছে হামলা হচ্ছে হিন্দুদের ঘরবাড়িতে। তছনচ করে দেওয়া হচ্ছে মন্দির। গত মে মাসেও সেই ধারা অব্যহত।

    জমি দখল ও হিন্দুদের উপর আক্রমণ

    গত ১৬ মে বাংলাদেশের (Bangladeshi Hindus) জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম কুমিল্লার খবরে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পশ্চিম আশ্বথলা গ্রামে নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি হিন্দু পরিবারের চা দোকান ও পৈতৃক জমি দখলের চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, নজরুল ও তার স্ত্রী রাজিয়া আখতার ওই পরিবারের জমি দখলের জন্য হুমকি দেয়। বাধা দিলে মহিলাদের উপর আক্রমণ করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    ধর্মীয় অবমাননা ও গ্রেফতার

    গত ১৭ মে মৌলবী বাজারের বাসিন্দা বিকাশ ধর দীপ্ত নামে ২৩ বছর বয়সি এক যুবকের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ফেসবুকে ইসলাম সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকেরগঞ্জ, বরিশালের বাসিন্দা সৌরভ দত্ত নামে ২৪ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ ওঠে। যদিও ওই যুবকের দাবি, তাঁর নাম ব্যবহার করে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। ওই দিনই ফিরোজপুরে কৌশিক সাহা নামে ১৭ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    মন্দিরে আক্রমণ ও ক্ষতি

    প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১৭ মে মুন্সিগঞ্জে শ্রী শ্রী মা কালী দুর্গা মন্দিরের জানালার পর্দা পুড়িয়ে দেয় একদল অজ্ঞাত পরিচয়ে দুষ্কৃতী। দানবাক্সে থাকা ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ টাকা চুরি করা হয়। পুলিশ এই ঘটনার  তদন্ত শুরু করছে। খুলনায় প্রাক্তন মহিলা কাউন্সিলর কবিতা রানি দাসের বাড়িতে গত ১৭ মে ৩০০-৪০০ জনের একটি দল হামলা চালায়। পরিবারের লোকেদের মারধর করা হয়। বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়। তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন। ডেইলি অবজারভারে প্রকাশিত খবরে, জানা যায়, বিরামপুরে ১৮ মে মোস্তফিজুর রহমান নামে এক স্থানীয় নেতা একটি হিন্দু পরিবারের বাড়ির প্রধান গেটের সামনে দেওয়াল নির্মাণ করে তাদের বাইরে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেন। পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে ওই জমির মালিকানা দাবি করে আসছে। পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করলেও কার্যকর পদক্ষেপ করেনি। সোনার দেশের খবর অনুযায়ী, নাটোরে ১৮ মে কাপুরিয়াপাড়ি এলাকায় শতবর্ষী শিব মন্দিরে হামলা চালানো হয়। ওই মন্দিরের পুরোহিত পরিবারের বাসভবনও দখলের চেষ্টা করা হয়। সেনাবাহিনী দ্রুত হস্তক্ষেপ করে মন্দির ও পরিবারের সম্পত্তি রক্ষা করে।

    অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ঘটনা

    ফরিদগঞ্জের চাঁদপুর গত ১৮ মে শ্রী গুরু জুয়েলার্সের মালিক বিশ্বজিৎ দাসের দোকানে চুরি হয়। চোরেরা সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। সোনা ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে যায়। পুলিশ দোষীদের খুঁজছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ মে বাওম সম্প্রদায়ের সদস্য লাল ত্লেং কিম বাওমের মৃত্যুর প্রতিবাদে ছাত্ররা বিক্ষোভ করেন। তারা বাওম সম্প্রদায়ের নারী ও শিশুদের মুক্তি ও বিচারের দাবি জানান। বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) প্রতিদিন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর এরকম আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলেও, বাস্তবে তার প্রয়োগ হচ্ছে না। হবিগঞ্জে ২১ মে বুল্লা ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামে রাধা গোবিন্দ মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা করা হয়। স্থানীয়রা এই চেষ্টা রুখে দেয়। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। পুলিশ তদন্ত করছে। ২১ মে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জে ইজি ফ্যাশনের তিন মালিক হিন্দু পরিবারের জমি জোরপূর্বক দখল করে তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করেছেন। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।

     

    (চলবে)

  • Birsa Munda Death Anniversary: আজ ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’র ১২৫তম তিরোধান দিবস, দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে পুণ্যতিথি

    Birsa Munda Death Anniversary: আজ ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’র ১২৫তম তিরোধান দিবস, দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে পুণ্যতিথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ৯ জুন বিরসা মুন্ডার তিরোধান দিবস (Birsa Munda Death Anniversary)। প্রতিবছর এই দিনটিকে বিরসা মুন্ডা পুণ্যতিথি (Birsa Munda Punyatithi 2025) হিসেবে উদযাপন করা হয় দেশে। ভারতের অন্যতম শ্রদ্ধেয় আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সমাজ সংস্কারক ছিলেন বিরসা মুন্ডা। তিনি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার, সংস্কৃতি এবং ভূমি রক্ষায়, বিশেষ করে বর্তমান ঝাড়খণ্ডে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

    ১৮৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন বিরসা, মুখস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত

    ১৮৭৫ সালের ১৫ নভেম্বর এক গরীব পরিবারে জন্ম হয় বিরসা মুন্ডার। পার্থিব জীবন মাত্র ২৫ বছরের ছিল (Birsa Munda Death Anniversary)। কিন্তু তিনি আজও বেঁচে রয়েছেন শোষণ, বঞ্চনা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে। জীবিত অবস্থাতেই তিনি ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’ নামে খ্যাতি লাভ করেন। কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসনে তিনি আসীন। ভারতের জনজাতি এলাকাগুলিতে খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণ ব্রিটিশ আমল থেকেই চালু রয়েছে। ছোট্ট প্রত্যন্ত গ্রামে বিরসা মুন্ডাকে খ্রিস্টান ধর্মের উপাসনা করার জন্য জোর করা হলে, তিনি গ্রামের খ্রিস্টান স্কুল ত্যাগ করেন। বিরসা মুন্ডা হিন্দুধর্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন বলে জানা যায়। নিজগৃহের বিভিন্ন দেবতার প্রতি তাঁর পরম ভক্তি ছিল। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বৈষ্ণব ধর্মগুরু আনন্দ পাঁড়ের কাছে দীক্ষা নেন। খাদ্যাভাসে ছিলেন নিরামিষাশী। কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত।

    অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সেনাবাহিনী গঠন

    ১৮৯৪ সালে ভয়াবহ খরা দেখা দিল। নির্দয় ব্রিটিশ সরকার তবুও কর সংগ্রহ করছিল সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে। ওই বছরেই ব্রিটিশ সরকার অরণ্য আইন বলবৎ করে। অরণ্যের উপর জনজাতিদের অধিকার খর্ব হয়। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সংকল্পবদ্ধ হন তরুণ বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda Death Anniversary)। স্থানীয় মানুষজনকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সেনাবাহিনী তৈরির কাজ শুরু করেন। ১৮৯৫ সালেই ‘কর মুক্ত’ আন্দোলন করার অপরাধে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। দুই বছর জেলে থাকার পরে ১৮৯৭ সালে তিনি মুক্তি পান। পুনরায় শুরু হয় বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক আন্দোলন। ছোটনাগপুরে শুরু হয় তীর ধনুক নিয়ে আন্দোলন।

    ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ

    ১৮৯৮ সালে টাঙ্গা নদীর তীরে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিরসা মুন্ডার যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে ব্রিটিশদের পরাজিত করতে সমর্থ হন তিনি। যুদ্ধজয়ের পর তিনি বলেন, ‘‘প্রথমবার আমরা জয়লাভ করেছি। কিন্তু এর বিরূপ প্রভাব শত শত মানুষ ভোগ করেছে। শত শত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতন করা হয়েছে। এত নির্যাতনের পরেও থামেনি মানুষের সংগ্রাম।’’ ১৯০০ সালে ডোবাড়ি পাহাড়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সংঘর্ষে অনেক নারী ও শিশু নিহত হন (Birsa Munda Punyatithi 2025)। বিরসা মুন্ডাকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে ব্রিটিশ সরকার। নিরস্ত্র বিরসাকে জঙ্গলের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে ব্রিটিশ সরকার। কথিত আছে, কারাগারে থাকাকালীন খাবারে বিষ মিশিয়ে বিরসা মুন্ডাকে হত্যা করা হয়‌। ১৯০০ সালের ৯ জুন স্বর্গযাত্রা করেন ভগবান বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda Death Anniversary)।

  • Children Foods: দুধ থেকে সন্ধ্যার খাবার, সব শিশু খাদ্যেই মিষ্টির পরিমাণ বেশি! কতটা ক্ষতিকারক?

    Children Foods: দুধ থেকে সন্ধ্যার খাবার, সব শিশু খাদ্যেই মিষ্টির পরিমাণ বেশি! কতটা ক্ষতিকারক?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের দুধের গ্লাস কিংবা সন্ধ্যার জলখাবারের পদ, বাড়ির একরত্তির জন্য তৈরি করা, যেকোনও খাবারেই মিষ্টির পরিমাণ যথেষ্ট বেশি থাকে (Children Foods)। যা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলেই জানাচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় শিশুরা ছোটো থেকেই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে শর্করা (High Sugar Content) জাতীয় খাবার গ্রহণ করে। এর ফলে পরবর্তী কালে তাদের নানান রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    কী বলছে সমীক্ষার তথ্য?

    সম্প্রতি, এক আর্ন্তজাতিক সংস্থার সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতীয় শিশুরা নিয়মিত প্রয়োজনের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি শর্করা জাতীয় উপাদান গ্রহণ করে। অধিকাংশ শিশু খাদ্যে (Children Foods) প্রয়োজনের অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় উপাদান থাকছে। যার শরীরে গভীর প্রভাব পড়ছে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় শিশুদের স্থুলতা এবং ডায়বেটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ার জেরেই এই ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার কেন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়সি ভারতীয়দের মধ্যে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়বেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ছে (Children Health Risks)। স্কুল স্তর পেরনোর আগেই শিশুরা ডায়বেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। এর ফলে শিশুদের স্বাভাবিক জীবন‌ যাপন‌ এবং পড়াশোনা ব্যহত হচ্ছে। ছোটো থেকে ডায়বেটিস আক্রান্ত হলে, দীর্ঘকাল রোগের প্রকোপ শরীরে আরও গভীর ভাবে পড়ছে। কিডনি এবং স্নায়ুর জটিল সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই শিশুদের ডায়বেটিস বাড়তি উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের আশঙ্কা, অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবারের (Children Foods) জেরেই আরো বেশি এই ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

    স্থূলতা ভারতীয় শিশুদের অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা বলে জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সমীক্ষা।‌ স্কুল স্তর থেকেই অধিকাংশ ভারতীয় শিশু অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভোগে। দেহে অতিরিক্ত মেদের জেরে শিশুদের স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হয়। এমনকি বয়ঃসন্ধিকালে নানান হরমোন ঘটিত সমস্যাও দেখা দিতে থাকে। অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার (High Sugar Content) খাওয়ার জেরেই স্থুলতার সমস্যা বাড়ছে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। শিশুর শরীরের বিকাশের জন্য শর্করার পাশপাশি কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের সমান প্রয়োজন (Children Foods)। বিশেষত শিশুদের শরীরের বাড়তির এনার্জির জোগান দিতে এবং হাড়, পেশি মজবুত করতে প্রোটিন, ভিটামিনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সবরকম উপাদানের জোগান ঠিকমতো না হলেই সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর খাবারে বাড়তি চিনির ব্যবহার একেবারেই চলবে না।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের মিষ্টি কিংবা চকলেট জাতীয় খাবার প্রায় খাওয়া হয়। তাই নিয়মিত খাবারে বাড়তি মিষ্টি দেওয়া উচিত নয় (Children Foods)। প্রথম থেকেই দুধ বা অন্য যেকোনও খাবারে বাড়তি মিষ্টি দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা উচিত নয়। প্যাকেটজাত হেলথ ড্রিঙ্কস কিংবা খাবারের পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি খিচুড়ি, ডাল, সব্জি জাতীয় খাবার নিয়মিত মেনুতে রাখার চেষ্টা করা উচিত। তাতে শরীরে ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন সরাবরাহ ঠিকমতো হয়। আবার বাড়তি শর্করা যাওয়ার ঝুঁকিও কমে। চিনি খাওয়ার অভ্যাস (High Sugar Content) বর্জন করতে পারলে শিশুর একাধিক রোগের ঝুঁকি (Children Health Risks) সহজেই কমানো‌ যাবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    তবে মিষ্টি, কেক, পেস্ট্রি জাতীয় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও রাশ টানা জরুরি। নিয়মিত চকলেট, আইসক্রিম, লাড্ডু কিংবা কেক জাতীয় খাবার যাতে শিশু না খায়, সেদিকে নজরদারি জরুরি (Children Foods)। কারণ এই ধরনের খাবারে পুষ্টিগুণ বিশেষ নেই। বরং এগুলো শরীরে বাড়তি ওজন তৈরি করে। যা পরবর্তীতে নানান রোগের কারণ হয়ে ওঠে। এমনটাই জানাচ্ছেন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিল সিট

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিল সিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জাফরাবাদে ওয়াকফ অশান্তির জেরে খুন হন হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাস। এই খুনের ঘটনায় শুক্রবার জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার ৫৬ দিন পরে জমা পড়া এই চার্জশিটে মোট ১৩ জনের নাম রয়েছে।

    ধৃতদের জেরা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে উঠে এসেছে (Jafrabad Double Murder) অভিযুক্তরা কীভাবে খুনের ঘটনা ঘটিয়েছিল, কোথায় এবং কতদিন ধরে তারা আত্মগোপন করেছিল। এসব কিছু তথ্যই বিস্তারিতভাবে চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে। ধৃতদের জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে, বলেও জানিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মামলার দ্রুত শুনানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ১২ এপ্রিল খুন হন হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস (Jafrabad Double Murder)

    প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে তাণ্ডব চালায় মৌলবাদীরা। উত্তাল হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জাফরাবাদ। সেই অশান্তির মধ্যেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে।তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ইদের সময়ে ওড়িশায় কর্মরত বেশ কয়েকজন বিড়ি শ্রমিক গ্রামে ফিরেছিল। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের হিংসায় তারাও জড়িয়ে পড়ে। এরপরে ছুটি শেষে ওড়িশায় ফিরে গেলেও তদন্তকারীদের হাত থেকে ছাড় পায়নি তারা। ওড়িশা থেকেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়

    ঘটনার পরেই রাজ্য সরকার একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসটিএফ) গঠন করে। খুনে অভিযুক্তরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পালিয়ে গা ঢাকা দেয়। এরপর মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের (Murshidabad) বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার মূল চক্রী জিয়াউল শেখকে ধরা হয় উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকা থেকে। তার দুই ছেলেকে গ্রেফতার করা হয় ওড়িশা থেকে (Jafrabad Double Murder)।

  • Mineral Diplomacy: কমবে চিনের দাপট! খনিজ কূটনীতিতে মধ্য এশিয়ার ৫ দেশের সঙ্গে চুক্তি ভারতের

    Mineral Diplomacy: কমবে চিনের দাপট! খনিজ কূটনীতিতে মধ্য এশিয়ার ৫ দেশের সঙ্গে চুক্তি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে চলছে চতুর্থ ইন্ডিয়া-সেন্ট্রাল এশিয়া ডায়লগ (Mineral Diplomacy)। এখানেই খনিজ কূটনীতিতে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—একটি কৌশলগত চুক্তিতে এবার থেকে পাঁচটি মধ্য এশীয় দেশ কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান এবং ভারত একসঙ্গে খনিজ উত্তোলনের কাজ করবে।

    এবার কমবে চিনের দাপট

    প্রসঙ্গত, এই অঞ্চলের বেশিরভাগ খনিজ-সমৃদ্ধ এলাকায় (Mineral Diplomacy) এতদিন চিনের দাপট ছিল। ভারতের এই কূটনৈতিক পদক্ষেপে এবার চিনের একাধিপত্য কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এই খনিজসমূহ পৃথিবীর অন্যতম বিরল খনিজের মধ্যে পড়ে। এগুলির উত্তোলন থেকে শুরু করে শোধন পর্যন্ত— সবকিছুই এতদিন নিয়ন্ত্রণ করত চিন (Central Asia)। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে পৃথিবীর ছয়টি বিরল খনিজের উপর নিজেদের প্রভাব আরও জোরদার করার কথা ঘোষণা করে চীন, যার মধ্যে ছিল চুম্বকও।

    সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়(Mineral Diplomacy)

    সম্প্রতি খনিজ উত্তোলন নিয়ে নয়াদিল্লিতে একটি উচ্চপর্যায়ের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের খনিজ মন্ত্রক এই সেমিনারের আয়োজন করে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি. কিষণ রেড্ডি এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন। এই অনুষ্ঠানে ২০০-র বেশি স্টেকহোল্ডার অংশ নেয়, যাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাও ছিল। উল্লেখযোগ্য যে, এই জটিল খনিজগুলো (Central Asia) শুধুমাত্র কোনও বস্তুর উৎস নয় বরং এগুলি ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির অন্যতম মূল উপাদান।

    ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে

    ভারতের বিভিন্ন সংস্থা এই খনিজ (Mineral Diplomacy) ব্যবহার করবে বিদ্যুৎ, সৌরশক্তি, সেমিকন্ডাক্টর, এরোস্পেস ইত্যাদি ক্ষেত্রে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর ফলে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ভারত আরও শক্তিশালী হবে। প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়া-সেন্ট্রাল এশিয়া ডায়লগে সমস্ত দেশের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিরাই জোর দিয়েছেন ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর। পাশাপাশি, ভারতের সঙ্গে এই দেশগুলির ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার বিস্তার, ব্যাংকিং সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ব্যবসা ও পর্যটনের প্রসার নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

  • Congo: আফ্রিকার কঙ্গোতে ইসলামিক মৌলবাদীদের টার্গেট খ্রিস্টানরা, ফেব্রুয়ারিতে গণহত্যায় নিহত ৭০

    Congo: আফ্রিকার কঙ্গোতে ইসলামিক মৌলবাদীদের টার্গেট খ্রিস্টানরা, ফেব্রুয়ারিতে গণহত্যায় নিহত ৭০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি, আফ্রিকা মহাদেশের কঙ্গোতে (Congo) এক নির্মম গণহত্যায় অন্তত ৭০ জন খ্রিস্টান নিহত হন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায় এক ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠন। নৃশংস বর্বর এই হত্যাকাণ্ডে নিন্দা জানায় বিশ্বের সব মহলই। নিহতদের মধ্যে মহিলা, শিশু এবং বয়স্করাও ছিলেন। তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে এনে শরীর থেকে মাথা আলাদা করা হয়।

    মাইবা গ্রামে চালানো হয় এই ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড (Congo)

    এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে মাইবা নামক একটি গ্রামে, যা কঙ্গোর উত্তর কিভু প্রদেশে অবস্থিত। নিহতদের প্রত্যেকের হাত পিছনে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন পরে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই গণহত্যার দায় স্বীকার করে উগান্ডার ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন Allied Democratic Forces (ADF)। পুরো অঞ্চলে এই হামলা এক ভয়াবহ আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে, বিশেষত খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে (Africa)।

    অর্থডক্স পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির রিপোর্ট কী বলছে?

    অর্থডক্স পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যাঁদের হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের আগে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং পরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই সংগঠনটি খ্রিস্টানদের অধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এটিকে মানবাধিকারের ওপর গুরুতর আক্রমণ বলে আখ্যা দিয়েছে।

    ২০২৩ সালের একশোর ওপর হত্যা করে এই জঙ্গি সংগঠন

    উল্লেখ্য, এর আগেও ADF বহু হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। শুধুমাত্র ২০২৩ সালেই এই সংগঠনের বিরুদ্ধে একশোরও বেশি হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তারা একের পর এক গ্রামে হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে অপহরণ করছে এবং চার্চসহ ধর্মীয় স্থানে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফ্রিকা মহাদেশে খ্রীস্টানদের জীবন-জীবিকার সংশের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসলামিক জঙ্গিরা (Congo)।এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে ক্যাথলিক চার্চ এবং এই ঘটনাকে তারা নৃশংস গণহত্যা বলে আখ্যা দিয়েছে।

LinkedIn
Share