Tag: মাধ্যম বাংলা

  • PM Modi: অসাধারণ ব্যক্তিত্ব মোহন ভাগবত, সংঘ প্রধানের জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে প্রবন্ধ লিখলেন মোদি

    PM Modi: অসাধারণ ব্যক্তিত্ব মোহন ভাগবত, সংঘ প্রধানের জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে প্রবন্ধ লিখলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, ৭৫তম জন্মদিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), আরএসএসের সর সংঘচালককে নিয়ে একটি লেখা লেখেন। নিজের লেখায় প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন মোহন ভাগবতের জীবন ও ব্যক্তিত্বের নানা দিক।

    অসাধারণ ব্যক্তিত্ব মোহন ভাগবত, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবতের ৭৫তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেছেন— মোহন ভাগবত একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, যিনি ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ নীতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সারাজীবন সমাজ পরিবর্তন, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনা শক্তিশালী করার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

    জ্ঞানী ও পরিশ্রমী সরসংঘচালক বলে প্রশংসা

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) একটি প্রবন্ধে তাঁকে জ্ঞানী ও পরিশ্রমী সরসংঘচালক বলে প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন— “মোহনজি (Mohan Bhagwat) তাঁর কাজের ধারা ও মননে দুটি বিষয় সবসময় ধরে রেখেছেন— ধারাবাহিকতা ও অভিযোজনক্ষমতা। সংঘকে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তবুও কখনও মূল আদর্শে আপস করেননি। একইসঙ্গে সমাজের পরিবর্তিত চাহিদার প্রতিও সাড়া দিয়েছেন। যুবসমাজের সঙ্গে তাঁর সহজ যোগাযোগ আছে, তাই তিনি সবসময় বেশি সংখ্যক তরুণকে সংঘ পরিবারে যুক্ত করার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি নিয়মিত আলোচনা ও মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন, যা আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল যুগে খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে।”

    ভারতের এক অন্ধকার সময়ে সংঘকাজে যোগ দেন মোহন ভাগবত

    মোদির (PM Modi) বক্তব্যে উঠে এসেছে যে, মোহন ভাগবতের সংঘজীবনের শুরু হয়েছিল ভারতের এক অন্ধকার সময়ে—জরুরি অবস্থার সময়। মোদি লিখছেন, “তৎকালীন কংগ্রেস সরকার জরুরি অবস্থা চাপিয়ে দিয়েছিল দেশের উপর। যাঁরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করতেন, তাঁদের কাছে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনকে শক্তিশালী করার কাজ মোহনজি এবং অসংখ্য স্বয়ংসেবক করেছিলেন। মহারাষ্ট্রের গ্রামীণ ও অনুন্নত অঞ্চল, বিদর্ভে অনেক কাজ করেছেন তিনি। এতে তিনি গরিব ও পিছিয়ে পড়া মানুষের সমস্যাগুলো গভীরভাবে বুঝতে শিখেছিলেন।”

    মোহন ভাগবতের পরিবারের ঘনিষ্ঠ মোদি

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) তাঁর ও মোহন ভাগবতের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “আমি সৌভাগ্যবান যে মোহনজির বাবা, প্রয়াত মধুকররাও ভাগবতজির সঙ্গে থেকে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। দেশ গঠনের কাজে তিনি নিজের ছেলেকে নিবেদিত করেছিলেন। যেন এক পরশপাথর আরেকটি পরশপাথর গড়ে তুলেছিলেন।”

    সরসংঘচালকের সংক্ষিপ্ত জীবনী

    প্রসঙ্গত, মোহন ভাগবত (PM Modi) গত ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে সংঘের দিশারি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তিনি ১৯৫০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। আরএসএস-এর ইতিহাসে তিনি তৃতীয় দীর্ঘতম সময়ের প্রধান। তাঁর আগে দীর্ঘদিন দায়িত্বে ছিলেন বালাসাহেব দেওরস ও এম এস গোলওয়ালকর। মোহন ভাগবতের বাবা মধুকর রাও ভাগবত ছিলেন একনিষ্ঠ স্বয়ংসেবক এবং আরএসএস-এর প্রচারক। মোহন ভাগবত তাঁদের জ্যেষ্ঠ সন্তান। তাঁর আরও দুই ভাই ও এক বোন আছে। প্রথমে তিনি ‘লোকমান্য তিলক বিদ্যালয়’-এ পড়াশোনা করেন। এরপর চন্দ্রপুরের জনতা কলেজে পড়েন। পরে আকোলার ‘পাঞ্জাবরাও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে পশুচিকিৎসা ও পশুপালনে স্নাতক ডিগ্রি নেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের শেষের দিকে তিনি পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে আরএসএস-এর প্রচারক হন। সেই সময় দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল।

    ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের কঠোর দমননীতির বিরুদ্ধে তিনি আত্মগোপনে থেকে কাজ করেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত মোহন ভাগবত ‘অখিল ভারতীয় শারীরিক প্রধান’ ছিলেন (আরএসএস-এর শারীরিক প্রশিক্ষণের জাতীয় দায়িত্বে)। পরে তিনি ‘অখিল ভারতীয় প্রচারক প্রধান’ হন, যেখানে পূর্ণকালীন কর্মীদের দায়িত্ব তাঁর হাতে ছিল। ২০০০ সালে তিনি আরএসএস-এর সরকার্যবাহ (সাধারণ সম্পাদক) নিযুক্ত হন। এরপর ২০০৯ সালের ২১ মার্চ মোহন ভাগবত আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ষষ্ঠ সরসংঘচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

    তিনি আরএসএস-এর ইতিহাসে অন্যতম কনিষ্ঠ প্রধান। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা, কার্যকর্তাদের প্রতি আন্তরিকতা এবং দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাঁকে আলাদা মর্যাদা এনে দেয়। লক্ষ লক্ষ স্বয়ংসেবক, অসংখ্য শাখা এবং নানা সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে একসঙ্গে চালানোই সরসংঘচালকের প্রধান দায়িত্ব। মোহন ভাগবত দক্ষতার সঙ্গে এই কাজ সামলাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে আরএসএস শুধু ঐতিহ্য ধরে রাখেনি, বরং সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন দিশাও খুঁজে পেয়েছে। তিনি যুবসমাজের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ স্থাপন করেছেন। আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে তরুণ প্রজন্মকে সংঘের কাজে যুক্ত করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে আরএসএস গ্রামীণ উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সম্প্রীতি, পরিবেশ সংরক্ষণ ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে কাজের বিস্তার ঘটিয়েছে। শুধু সংগঠন বিস্তার নয়, সমাজে সংঘের ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী করা এবং বৃহত্তর জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোও তাঁর অন্যতম কৃতিত্ব।

  • Swami Vivekananda: ‘‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অফ আমেরিকা…’’, ১৩২তম বর্ষপূর্তিতে ফিরে দেখা স্বামীজির শিকাগো ভাষণ

    Swami Vivekananda: ‘‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অফ আমেরিকা…’’, ১৩২তম বর্ষপূর্তিতে ফিরে দেখা স্বামীজির শিকাগো ভাষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১১ সেপ্টেম্বর, স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) শিকাগো ভাষণের ১৩২তম বর্ষপূর্তি। ১৮৯৩ সালের এই দিনেই বিশ্বধর্ম সম্মেলনে হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন শ্রী রামকৃষ্ণের শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর শিকাগো ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেছিলেন, ‘‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অফ আমেরিকা…’’ এখানেই প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে করতালি চলতে থাকে। কারণ প্রথমবারের জন্য বিশ্ববাসীকে কেউ ‘ভাই ও বোন’ বলে সম্বোধন করেন শিকাগো ধর্ম সম্মেলনে। তাঁর আগের বক্তারা প্রত্যকেই ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’ বলেই সম্বোধন করেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ সেখানে তুলে ধরেন ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর কথা (Vivekananda Chicago Speech)। ভারতের সীমাহীন সভ্যতার কথা। ভারতবর্ষের সনাতন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও পরম্পরার কথা। সেখানেই শোনান এদেশের ধর্মীয় সহিষ্ণুতার কথা। ভারতবর্ষ কোনও ধর্মের ওপর কখনও আঘাত হানেনি, সে কথাও সেখানে তুলে ধরেন স্বামীজি। বিশ্ব মঞ্চে স্বামীজির ভাষণ সেদিন আলোড়ন তৈরি করে। ভারতীয় সভ্যতার মর্যাদা ব্যাপকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন স্বামীজি তাঁর নিজের ভাষণের মধ্য দিয়ে। তাঁর সেদিনের ভাষণের নির্বাচিত কিছু অংশের বিশ্লেষণ নীচে করা হল।

    পৃথিবীর মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সন্ন্যাসী-সমাজের পক্ষ হইতে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জানাইতেছি

    ‘‘হে আমার আমেরিকাবাসী ভগিনী ও ভ্রাতৃবৃন্দ, আজ আপনারা আমাদিগকে যে আন্তরিক ও সাদর অভ্যর্থনা করিয়াছেন, তাহার উত্তর দিবার জন্য উঠিতে গিয়া আমার হৃদয় অনির্বচনীয় আনন্দে পরিপূর্ণ হইয়া গিয়াছে। পৃথিবীর মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সন্ন্যাসী-সমাজের পক্ষ হইতে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জানাইতেছি। সর্বধর্মের যিনি প্রসূতি-স্বরূপ, তাঁহার নামে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিতেছি। সকল জাতি ও সম্প্রদায়ের অন্তর্গত কোটি কোটি হিন্দু নরনারীর হইয়া আমি (Swami Vivekananda) আপনাদিগকে ধন্যবাদ দিতেছি।’’

    আমরা শুধু সকল ধর্মকেই সহ্য করিনা, সকল ধর্মকেই আমরা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করি

    ‘‘এই সভামঞ্চে সেই কয়েকজন বক্তাকেও আমি ধন্যবাদ জানাই, যাঁহারা প্রাচ্যদেশীয় প্রতিনিধিদের সম্বন্ধে এরূপ মন্তব্য প্রকাশ করিলেন যে, অতি দূরদেশবাসী জাতিসমূহের মধ্য হইতে যাঁহারা এখানে সমাগত হইয়াছেন, তাঁহারাও বিভিন্ন দেশে পরধর্মসহিষ্ণুতার ভাব প্রচারের গৌরব দাবি করিতে পারেন। যে ধর্ম জগৎকে চিরকাল পরমতসহিষ্ণুতা ও সর্বাধিক মত স্বীকার করার শিক্ষা দিয়া আসিতেছে, আমি সেই ধর্মভুক্ত বলিয়া নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি। আমরা শুধু সকল ধর্মকেই সহ্য করি না, সকল ধর্মকেই আমরা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করি। যে ধর্মের পবিত্র সংস্কৃত ভাষায় ইংরেজি ‘এক্সক্লুশন’ (ভবার্থঃ বহিষ্হকরণ, পরিবর্জন) শব্দটি অনুবাদ করা যায় না, আমি সেই ধর্মভুক্ত বলিয়া গর্ব অনুভব করি। যে জাতি পৃথিবীর সকল ধর্মের ও সকল জাতির নিপীড়িত ও আশ্রয়প্রার্থী জনগণকে চিরকাল আশ্রয় দিয়া আসিয়াছে, আমি (Swami Vivekananda) সেই জাতির অর্ন্তভুক্ত বলিয়া নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি।’’

    আমরাই ইহুদীদের খাঁটি বংশধরগণের অবশিষ্ট অংশকে সাদরে হৃদয়ে ধারণ করিয়া রাখিয়াছি

    ‘‘আমি আপনাদের এ কথা বলিতে গর্ব অনুভব করিতেছি যে, আমরাই ইহুদিদের খাঁটি বংশধরগণের অবশিষ্ট অংশকে সাদরে হৃদয়ে ধারণ করিয়া রাখিয়াছি; যে বৎসর রোমানদের ভয়ংঙ্কর উৎপীড়নে তাহদের পবিত্র মন্দির বিধ্বস্ত হয়, সেই বৎসরই তাহারা দক্ষিণভারতে আমাদের মধ্যে আশ্রয়লাভের জন্য আসিয়াছিলেন। জরাথুষ্ট্রের অনুগামী মহান পারসিক জাতির অবশিষ্টাংশকে যে ধর্মাবলম্বীগণ আশ্রয় দান করিয়াছিল এবং আজ পর্যন্ত যাহারা তাঁহাদিগকে প্রতিপালন করিতেছেন, আমি তাঁহাদেরই অন্তর্ভুক্ত।’’

    যত মত তত পথের কথা (Vivekananda Chicago Speech)

    ‘‘বিভিন্ন নদীর উৎস বিভিন্ন স্থানে, কিন্তু তাহারা সকলে যেমন এক সমুদ্রে তাহাদের জলরাশি ঢালিয়া মিলাইয়া দেয়, তেমনই হে ভগবান, নিজ নিজ রুচির বৈচিত্র্যবশতঃ সরল ও কুটিল নানা পথে যাহারা চলিয়াছে, তুমিই তাহাদের সকলের একমাত্র লক্ষ্য। পৃথিবীতে এযাবৎ অনুষ্ঠিত সম্মেলনগুলির মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাসম্মেলনে গীতা-প্রচারিত সেই অপূর্ব মতেরই সত্যতা প্রতিপন্ন করিতেছি, সেই বাণীই ঘোষণা করিতেছিঃ ‘যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম্। মম বর্ত্মানুবর্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সর্বশঃ।।’ (যে কোনও ব্যক্তি যে ভাব আশ্রয় করিয়া আসুক না কেন, আমি তাহাকে সেই ভাবেই অনুগ্রহ করিয়া থাকি। হে অর্জুন মনুষ্যগণ সর্বতোভাবে আমার পথেই চলিয়া থাকে)।’’

    সাম্পদায়িকতা, গোঁড়ামি ও এগুলির ভয়াবহ ফলস্বরূপ ধর্মোন্মত্ততা এই সুন্দর পৃথিবীকে বহুকাল অধিকার করিয়া রাখিয়াছে

    ‘‘সাম্পদায়িকতা, গোঁড়ামি ও এগুলির ভয়াবহ ফলস্বরূপ ধর্মোন্মত্ততা এই সুন্দর পৃথিবীকে বহুকাল অধিকার করিয়া রাখিয়াছে। ইহারা পৃথিবীকে হিংসায় পূর্ণ করিয়াছে, বরাবার ইহাকে নরশোণিতে সিক্ত করিয়াছে, সভ্যতা ধ্বংস করিয়াছে এবং সমগ্র জাতিকে হতাশায় মগ্ন করিয়াছে। এই-সকল ভীষণ পিশাচগুলি যদি না থাকিত, তাহা হইলে মানবসমাজ আজ পূর্বাপেক্ষা অনেক উন্নত হইত। তবে ইহাদের মৃত্যুকাল উপস্থিত; এবং আমি সর্বতোভাবে আশা করি, এই ধর্ম-মহাসমিতির সন্মানার্থ আজ যে ঘণ্টাধ্বনি নিনাদিত হইয়াছে, তাহাই সর্ববিধ ধর্মোন্মত্ততা, তরবারি অথবা লিখনীমুখে অনুষ্ঠিত সর্বপ্রকার নির্যাতন এবং একই লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর ব্যক্তিগণের মধ্যে সর্ববিধ অসদ্ভাবের সম্পূর্ণ অবসানের বার্তা ঘোষণা করুক।’’

    খেতড়ির রাজা অজিত সিংহের সাহায্যে স্বামীজি পৌঁছান আমেরিকা

    খুব সহজে অবশ্য স্বামীজির (Swami Vivekananda) আমেরিকা সফর সম্পন্ন হয়নি। উত্তর-পূর্ব রাজস্থানে খেতড়ির রাজা অজিত সিং স্বামী বিবেকানন্দকে শিকাগো যাওয়ার জন্য ‘ওরিয়েন্ট’ জাহাজে ফার্স্ট ক্লাসের টিকিট কিনে দেন বলে জানা যায়। কিন্তু সেখানে গিয়েও তাঁকে সহ্য করতে হয়েছিল দারুণ দুঃখ-কষ্ট। তিনি শিকার হন বর্ণ-বিদ্বেষের। কারণ তৎকালীন আমেরিকায় পাশ্চাত্যের লোকেদের কাছে এই ভারত ছিল অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া। শিকাগো পৌঁছে শেষ পর্যন্ত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন হেনরি রাইটের ব্যক্তিগত পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda) ওই সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন (Vivekananda Chicago Speech)।

  • ISIS Terrorists Arrested: দেশে আইএস-এর বড় চক্র ফাঁস, দিল্লি ও রাঁচি থেকে গ্রেফতার ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি

    ISIS Terrorists Arrested: দেশে আইএস-এর বড় চক্র ফাঁস, দিল্লি ও রাঁচি থেকে গ্রেফতার ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে নাশকতার জাল বিছাচ্ছে ইসলামিক স্টেট! ভারতে বসেই সন্ত্রাসের ছক কষছে ইসলামিক স্টেট! দিল্লি ও ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে দুই আইএস জঙ্গির গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

    বড় জঙ্গি-চক্র ফাঁস

    ভারতে বড়সড় নাশকতামূলক হামলা হওয়ার আগেই বড় জঙ্গি-চক্র ফাঁস করল দেশের গোয়েন্দাবাহিনী। খবরে প্রকাশে, বিশেষ সূত্রে গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে দেশের দুটি শহরের দুটি ডেরায় হানা দেয় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। একদিকে, ঝাড়খণ্ড সন্ত্রাসদমন স্কোয়াড (এটিএস) এবং রাঁচি পুলিশের যৌথ সহায়তায় রাঁচির ইসলামনগর এলাকা থেকে এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম আজহার দানিশ। আদতে সে বোকারো জেলার পেটওয়ারের বাসিন্দা। অন্যদিকে, রাজধানী অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয় আফতাব নামে আর এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। দুজনকে জেরা করা হচ্ছে। প্রাথমিক অনুমান, এই দুই যুবক জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া, দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে আরও ৬ জনকে।

    আইএস-এর এজেন্ট আজহার-আফতাব

    প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ধৃত আফতাব ও দানিশের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক বৈদ্যুতিন যন্ত্রের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে পুরনো এক মামলায় দীর্ঘদিন ধরে দানিশকে খুঁজছিল পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সন্দেহভাজন কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। সেই মতো, তদন্তে নামে পুলিশ। তাতেই আইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে স্পষ্ট যোগ পাওয়া যায় দানিশের। সঙ্গে আফতাবরও। দিল্লি পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ভারতে আইএসআইএস-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করত অভিযুক্তরা। ফলে, এই দুজনের গ্রেফতারি সন্ত্রাসদমন অভিযানে বড় সাফল্য। সন্দেহভাজন দুই জঙ্গিকে জেরা করে ভারতে আইসিস নেটওয়ার্কের খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    মাথাচাড়া দিচ্ছে আইএস

    ইরাক ও সিরিয়া থেকে কার্যত মুছে যাওয়ার পর ইসলামিক স্টেট মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এশিয়ার নানা প্রান্তে। তবে হারলেও এখনও যথেষ্ট শক্তি ধরে সংগঠনটি। সংগঠনটির লক্ষ্য ছিল বিশ্বজুড়ে ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠা। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় গোপনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। নেপাল, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানের বহু সন্ত্রাসী ভারতে প্রবেশ করছে। পূর্বে ভারতের কেরল-সহ আরও একাধিক রাজ্যে এই সংগঠনের তৎপরতা নজরে এসেছে।
    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • SIR: রাজ্যে এসআইআর-এর আগে মার্চ থেকে অগাস্ট পর্যন্ত ৫ লাখেরও বেশি আবেদন বাতিল করল কমিশন

    SIR: রাজ্যে এসআইআর-এর আগে মার্চ থেকে অগাস্ট পর্যন্ত ৫ লাখেরও বেশি আবেদন বাতিল করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার আগে বেশ সতর্ক নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ১ মার্চ থেকে ৩১ মে-এর মধ্যে কমিশনের কাছে নতুন ভোটারের বিপুলসংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। এসআইআর-এর (SIR) খবর আসতেই অনেকেই ফর্ম ৬ ও ফর্ম ৮-এর মাধ্যমে আবেদন করছিলেন। ফর্ম ৬ হল নতুন ভোটারের আবেদন, আর ফর্ম ৮ হলো ঠিকানা বা তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন। এর মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি আবেদন বাতিল করেছে কমিশন। অন্যদিকে, কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ জুন থেকে ৭ অগাস্টের মধ্যে ১০ লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৪ শতাংশ আবেদনপত্রে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। বাকি বাতিল হয়েছে।

    মার্চ থেকে মে পর্যন্ত নতুন ভোটারের ৫০ শতাংশের বেশি আবেদন বাতিল করেছে কমিশন

    জানা গিয়েছে, মার্চ থেকে মে পর্যন্ত নতুন ভোটারের ৫০ শতাংশের বেশি আবেদন বাতিল করেছে কমিশন (SIR)। এই তিন মাসে মোট ২ লক্ষ ৩৩ হাজার আবেদন এসেছে, যার মধ্যে ১ লক্ষ ১৬ হাজার আবেদন বাতিল হয়েছে। আবেদন বেশিরভাগ এসেছে বাংলার সীমান্তবর্তী জেলা—মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং দুই ২৪ পরগনা থেকে। বিশেষত মুর্শিদাবাদ থেকে ৩০ হাজার, দুই ২৪ পরগনা থেকে যথাক্রমে ২০ ও ২৫ হাজার আবেদন বাতিল হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফর্ম পূরণের সময় কয়েকটি কলাম এবং নির্দিষ্ট নথি পূরণ করা বাধ্যতামূলক। যদি কোথাও খামতি থাকে বা কোনও কলাম ফাঁকা থাকে, তবে আবেদন বাতিল করা হচ্ছে।

    ১ জুন থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত ১০.০৪ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে

    রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় (SIR) ১ জুন থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত ১০.০৪ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে, যার মধ্যে মাত্র ৬.০৫ লক্ষ আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়েছে। বাকি ৪০.২৩ শতাংশ আবেদন বাতিল করা হয়েছে কারণ সেগুলিতে ভুয়ো নথি ছিল। বিভিন্ন জেলায় বাতিলের হারও অনেকটাই বেড়েছে। মুর্শিদাবাদে বাতিলের হার ৫৬.৪৪ শতাংশ, কোচবিহার ৪৪.৮৩ শতাংশ, উত্তর দিনাজপুর ৪৪.৮১ শতাংশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৪৪.৬৮ শতাংশ, মালদা ৪১.২৫ শতাংশ এবং নদিয়ায় ৪২.১১ শতাংশ।

    এসআইআর-এর আগে তালিকায় নাম তুলতে হিড়িক

    নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সূত্রে জানা গিয়েছে, এসআইআর-এর (SIR) ভয়ে অনেকেই হঠাৎ করেই ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছেন। প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করতে না পারায় আবেদনের একটি বড় অংশ বাতিল হয়েছে। বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার আগে অনেকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে অনলাইনে ভোটার কার্ডের আবেদন করলে তা সরাসরি বাড়িতে পৌঁছাত। কিন্তু বর্তমানে প্রতিটি আবেদন শুনানি-এর মাধ্যমে যাচাই করা হচ্ছে।

  • iPhone 17: নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ বাজারে আনল অ্যাপল, কত টাকা থেকে শুরু দাম?

    iPhone 17: নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ বাজারে আনল অ্যাপল, কত টাকা থেকে শুরু দাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ লঞ্চ করল অ্যাপল (iPhone 17)। এ বছর মোট চারটি মডেল নিয়ে হাজির হয়েছে এই সংস্থা। সবচেয়ে বড় কথা হল, দীর্ঘদিনের প্লাস মডেলকে বাদ দিয়ে আনা হয়েছে একেবারে নতুন আইফোন এয়ার (iPhone)। ফলে এ বছরের লাইনআপে রয়েছে আইফোন ১৭, আইফোন ১৭ প্রো, আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স এবং নতুন আইফোন এয়ার।

    আইফোন ১৭ এর দাম শুরু হয়েছে ৮২ হাজার ৯০০ টাকা থেকে

    নতুন সিরিজের (iPhone 17) দামও এবার বেশ চোখে পড়ার মতো। আইফোন ১৭ এর দাম শুরু হয়েছে ৮২ হাজার ৯০০ টাকা থেকে। তবে এ বছর আর ১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্ট থাকছে না। সরাসরি ২৫৬ জিবি স্টোরেজ দিয়ে শুরু হচ্ছে মডেল। অন্যদিকে ৫১২ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম রাখা হয়েছে এক লাখ দুই হাজার ৯০০ টাকা (iPhone)।

    আইফোন ১৭ প্রো মডেলের দাম শুরু হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯০০ টাকা থেকে

    প্রো সিরিজের (iPhone 17) ক্ষেত্রেও দাম বেড়েছে। আইফোন ১৭ প্রো মডেলের দাম শুরু হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯০০ টাকা থেকে এবং এক টেরাবাইট ভ্যারিয়েন্টের দাম এক লাখ ৭৪ হাজার ৯০০ টাকা। আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্সের দাম শুরু হয়েছে এক লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ টাকা থেকে এবং সর্বোচ্চ ভ্যারিয়েন্টে পৌঁছেছে ২ টেরাবাইটে, যার দাম ধরা হয়েছে দুই লাখ ২৯ হাজার ৯০০ টাকা। এভাবে সংস্থার সবচেয়ে দামী আইফোন হয়ে উঠেছে এই নতুন প্রো ম্যাক্স।

    নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ ব্যবহারকারীদের আরও উন্নত অভিজ্ঞতা দেবে

    সবচেয়ে নজর কেড়েছে নতুন আইফোন এয়ার। এটি এসেছে প্রিমিয়াম নকশা এবং প্রো-মানের হার্ডওয়্যার নিয়ে। দাম শুরু হয়েছে এক লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা থেকে এবং সর্বাধিক এক টেরাবাইট ভ্যারিয়েন্টের দাম এক লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ টাকা। সংস্থার ধারণা, এয়ার মডেল প্লাসের বিকল্প হলেও তার মান অনেকটাই প্রো সিরিজের কাছাকাছি। ফলে দামও প্রো স্তরের কাছেই রাখা হয়েছে (iPhone 17)। অ্যাপলের দাবি, নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ ব্যবহারকারীদের আরও উন্নত অভিজ্ঞতা দেবে। বিশেষ করে নতুন এয়ার মডেল এ বছরের লাইনআপে বড় সংযোজন হিসেবে বাজারে নজর কাড়তে প্রস্তুত।

  • Asia Cup 2025: দুবাইয়ে এশিয়া কাপে আজ ভারতের প্রথম ম্যাচ, প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরশাহি

    Asia Cup 2025: দুবাইয়ে এশিয়া কাপে আজ ভারতের প্রথম ম্যাচ, প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরশাহি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) যাত্রা শুরু করছে ভারত। আজ বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের মাঠে টিম ইন্ডিয়া মুখোমুখি হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে। এশিয়া কাপে অন্যতম ফেভারিট হল টিম ইন্ডিয়া (India) এবং দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সূর্যকুমার যাদব। ভারতীয় সময় রাত ৮টা থেকে এই ম্যাচ দেখা যাবে।

    এশিয়া কাপেই মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত, এই এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) ভারত এবং পাকিস্তান মুখোমুখি খেলবে। হাই-ভোল্টেজ ওই ম্যাচের আগে আজকের ম্যাচকে বড় প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে ভারত। ২০২৪ সালে, ঠিক এক বছর আগে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত (India)। তারপর থেকে তারা ২৪টি ম্যাচ জিতেছে এবং মাত্র তিনটিতে হেরেছে। ইতিমধ্যে আটবার এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত—যা একটি বড় রেকর্ড। যদি ২০২৫ সালের এশিয়া কাপও জিততে পারে, তবে এটি হবে ভারতের নবম শিরোপা।

    কী বললেন ক্যাপ্টেন?

    অন্যদিকে, আরব আমিরশাহিকে হালকাভাবে নেওয়া ঠিক হবে না বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কারণ, সেখানকার পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে ওই খেলোয়াড়রা খুবই পরিচিত। ম্যাচের আগেই ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলেন— “ইউএই দুর্দান্ত খেলছে। সাম্প্রতিক একটি টুর্নামেন্টে তারা জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েছিল, যদিও শেষ পর্যন্ত পারেনি। আমি আশা করি এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) তারা আরও ভালো করবে। আমরা তাদের বিপক্ষে খেলতে পেরে রোমাঞ্চিত।” এই টুর্নামেন্টে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, নেপাল এবং হংকং-সহ আটটি দল রয়েছে।গৌতম গম্ভীর ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে—অলরাউন্ডারদের তিনি বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এর ফলেই ভারতের ব্যাটিং গভীরতা প্রায় ৮ নম্বর পর্যন্ত বিস্তৃত হচ্ছে, যা টি-২০ ফরম্যাটে অত্যন্ত জরুরি।সূর্যকুমার যাদব আরও বলেন, “ক্রিকেটে আগ্রাসন অপরিহার্য এবং আগ্রাসন ছাড়া এই খেলায় জয়লাভ করা কঠিন। “আগ্রাসন সবসময় মাঠে থাকবে, আগ্রাসন ছাড়া, এই খেলা খেলা সম্ভব নয় বলেই আমি মনে করি। আর মাঠে নামার জন্য খুবই আগ্রহী।”

  • GST Reform: জিএসটি সংস্কারের সুফল তুলে ধরতে আগামী সপ্তাহে বঙ্গ সফরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা

    GST Reform: জিএসটি সংস্কারের সুফল তুলে ধরতে আগামী সপ্তাহে বঙ্গ সফরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। জানা গিয়েছে, তিনি ১৮ সেপ্টেম্বর কলকাতায় পৌঁছবেন। তাঁর সফরের মূল উদ্দেশ্য হবে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত এবং তার সুফল (GST Reform) সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা।

    মোদির নির্দেশ

    সম্প্রতি এনডিএ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছেন, কর সংস্কার (GST Reform) নিয়ে ইতিবাচক বার্তা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। বিশেষত, নতুন জিএসটি হার কীভাবে সাধারণ মানুষের আর্থিক চাপ কমিয়েছে তা জনগণকে জানাতে হবে। এই নির্দেশ অনুযায়ীই অর্থমন্ত্রী প্রতিটি রাজ্যে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের বার্তা পৌঁছে দেবেন। পশ্চিমবঙ্গ তাঁর সফরের সূচিতে প্রথম দিকেই রয়েছে।

    ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করহার কার্যকর হতে চলেছে

    গত ৪ সেপ্টেম্বর জিএসটি (GST Reform) পরিষদের বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করহার কার্যকর হতে চলেছে। এবার থেকে ১২ শতাংশ ও ২৮ শতাংশ করহার বাতিল করা হচ্ছে। পরিবর্তে তিনটি স্তর রাখা হচ্ছে— ৫ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং ৪০ শতাংশ (সিন ট্যাক্স)। একে বলা হচ্ছে ‘নতুন প্রজন্মের কর সংস্কার’। এই ব্যবস্থায় স্বাস্থ্যবিমা ও জীবনবিমার উপর থেকে পুরোপুরি কর তুলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব জিনিসে আগে ৫ শতাংশ কর ছিল, তার মধ্যে বহু জিনিসে আর কর দিতে হবে না। এর মধ্যে রয়েছে ৩৩টি জীবনরক্ষাকারী ওষুধ এবং পাউরুটি। রুটি, পরোটা ও পনিরের উপর থেকেও কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।

    কংগ্রেসকে কটাক্ষ

    কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) বলেন—“যারা একসময় এই কর ব্যবস্থাকে বিদ্রূপ করে ‘গব্বর সিং কর’ বলেছিল, আজ তারাই আবার সংস্কারের (GST Reform) কৃতিত্ব দাবি করছে।” তাঁর মতে, কর ব্যবস্থার প্রথম ধাপ ছিল ‘ঐক্যের জন্য’, দ্বিতীয় ধাপ ছিল ‘সরলতার জন্য’, আর এখন মূল লক্ষ্য হচ্ছে এটি আরও সহজবোধ্য করা।

    পাখির চোখ পশ্চিমবঙ্গ

    বিজেপি নেতৃত্বের দৃষ্টি এখন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের দিকে। দুর্গাপুজো ও কালীপুজো মিটে গেলে বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। এই আবহে অর্থমন্ত্রীর সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এখানেই শেষ নয়। জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই বাংলায় আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি কলকাতা ও আশপাশের অন্তত দুটি দুর্গাপূজার উদ্বোধনে যোগ দিতে পারেন। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডারও পশ্চিমবঙ্গ সফরের পরিকল্পনা রয়েছে।

  • PM Modi: অশান্ত নেপাল, শান্তির বার্তা মোদির, হিংসার আগুনে মৃত্যু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর, রাস্তার দখল নিল সেনা

    PM Modi: অশান্ত নেপাল, শান্তির বার্তা মোদির, হিংসার আগুনে মৃত্যু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর, রাস্তার দখল নিল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালের (Nepal Violence) অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে ভারত। প্রতিবেশী দেশে সরকারের বিরুদ্ধে ‘জেন জি’ প্রজন্মের বিক্ষোভ ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। সর্বত্র চলছে ধ্বংসলীলা। চাপে পড়ে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেছেন। তাঁর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার জল্পনাও জোরালো। রাষ্ট্রপতির ইস্তফার বর্তমানে শাসনভার গিয়েছে সেনার হাতে। এই প্রেক্ষাপটে বন্যাকবলিত রাজ্যগুলির পরিদর্শন শেষে নয়াদিল্লি ফিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) মন্ত্রিসভায় একটি উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠক করেন। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি জানান, নেপালের পরিস্থিতির ওপর ভারত নিবিড় নজর রাখছে।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী?

    নিজের পোস্টে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লেখেন, ‘‘নেপালে ঘটে যাওয়া সহিংসতা হৃদয়বিদারক। অনেক তরুণ প্রাণ হারিয়েছে, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। নেপালের স্থিতিশীলতা, শান্তি ও সমৃদ্ধি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও উল্লেখ করেন (PM Modi), ‘‘আমি নেপালের সমস্ত ভাই ও বোনদের প্রতি বিনীতভাবে আহ্বান জানাই, শান্তি বজায় রাখুন এবং একসঙ্গে দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়তা করুন।’’

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন, প্রাণ হারালেন তাঁর স্ত্রী

    সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ক্ষোভে জ্বলছে নেপাল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছাত্র-যুবদের রোষ আছড়ে পড়ছে। আক্রান্ত হচ্ছেন মন্ত্রীরা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনে। বিদ্রোহীদের হামলা থেকে রেহাই পাননি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালও। কাঠমান্ডুর ডাল্লুতে তাঁর বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হলে প্রাণ হারান তাঁর স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকর। পরিবারের অভিযোগ, আগুন লাগানোর আগে বিদ্রোহীরা তাঁকে জোর করে বাড়ির ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয়। প্রধানমন্ত্রী ওলি, প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পোড়েলের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ললিতপুর জেলার খুমালতারে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ‘প্রচণ্ড’-র বাসভবনে চড়াও হয় বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর করা হয় তাঁর বাড়ি। দেশের যোগাযোগমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুংয়ের সুনাকোঠী বাড়িও ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়ে। ওলি মন্ত্রিসভার সদস্যরাও বিক্ষোভের আঘাতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। একাধিক মন্ত্রীর বাড়ি এবং ওলির ব্যক্তিগত বাসভবনেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পৌডেলকে রাস্তায় তাড়া করে পেটায় সেদেশের বিক্ষুব্ধ জনতা। তাঁর বাড়িও আক্রান্ত। মঙ্গলবার দুপুরে সেই ঘটনার অসংখ্য ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে।

    রাস্তার দখল নিল সেনা

    অশান্ত পরিস্থিতি সামলাতে সেনার দখলে গিয়েছে গোটা দেশ। সোমবার রাতে নেপাল (Nepal Violence) সেনার পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, রাত ১০টা থেকে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী রাস্তায় নামবে। সেনার বক্তব্য, অরাজকতার সুযোগ নিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করছে, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালাচ্ছে। এসব বন্ধ না হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে সেনা। প্রধানমন্ত্রী ওলির ইস্তফার পর আন্দোলনকারীদের উল্লাস দেখা গিয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তই যে এই আন্দোলনের প্রধান কারণ, তা স্পষ্ট। তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠরোধ করতে চেয়েছিল সরকার—এমন অভিযোগও উঠেছে ওলি সরকারের বিরুদ্ধে।

    বিমানবন্দরের দখল নিল সেনা

    বিক্ষোভকারীরা ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশের চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী দ্রুত সেখানে নিয়ন্ত্রণ নেয়। বর্তমানে বিমান পরিষেবা আংশিকভাবে স্থগিত রয়েছে। ইন্ডিগো ও নেপাল এয়ারলাইন্স ইতিমধ্যেই দিল্লি-কাঠমাণ্ডু রুটে বিমান চলাচল বন্ধ রেখেছে। প্রতিদিন এয়ার ইন্ডিয়ার ছয়টি ফ্লাইট এই পথে চলাচল করে, তবে মঙ্গলবার সংস্থাটি চারটি ফ্লাইট বাতিল করেছে। শুধু বিমানবন্দর নয়, নেপাল সরকারের প্রধান সচিবালয় ভবনও এখন সেনার নিয়ন্ত্রণে।

    নিজেদের বিবৃতিতে কী জানাল সেনা?

    মঙ্গলবার সেনার তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে তারা গভীরভাবে মর্মাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সেনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে—দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায় তারা সংবিধান অনুযায়ী অটল। তরুণ প্রজন্মকে সেনার আহ্বান, এই সংকটকালে শান্তি, সামাজিক সম্প্রীতি ও জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে এগিয়ে আসতে হবে।

    বিদ্রোহের সূত্রপাত

    এই সংকটের সূত্রপাত হয় নেপাল সরকারের সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে। বহুদিনের জমে থাকা অসন্তোষে ঘৃতাহুতি দেয় সেই পদক্ষেপ। প্রতিবাদে রাস্তায় নামে ছাত্র-যুব সমাজ। সোমবারই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাজধানী কাঠমান্ডু। পুলিশ গুলি চালালে প্রাণ হারান অন্তত ১৯ জন বিক্ষোভকারী। এর পর আন্দোলন আরও তীব্র হয়। চাপে পড়ে রাতেই সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ওলির পদত্যাগের দাবিতে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা ক্রমে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

  • Suicide Prevention: ‘আত্মহত্যা’ সবচেয়ে বড় ‘মহামারি’! কীভাবে রুখবেন প্রবণতা?

    Suicide Prevention: ‘আত্মহত্যা’ সবচেয়ে বড় ‘মহামারি’! কীভাবে রুখবেন প্রবণতা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আত্মহত্যা (Suicide) নিয়ে কটাক্ষ নয়। বরং আত্মহত্যা সম্পর্কে সতর্কতা জরুরি। প্রতিবছর ১০ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড সুইসাইড প্রিভেনশন ডে (World Suicide Prevention Day) পালিত হয়। এছাড়া, ভারতে ৭ থেকে ১৩ তারিখ ন্যাশনাল সুইসাইড প্রিভেনশন উইক (National Suicide Prevention Week) পালিত হচ্ছে। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশ জুড়ে আত্মহত্যা সম্পর্কে সতর্কতা ও সচেতনতা জরুরি (Prevent Suicide)। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আত্মহত্যা ‘মহামারি’-র আকার ধারণ করবে। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই ভয়ঙ্কর প্রবণতা মারাত্মক ভাবে‌ বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) তথ্য অনুযায়ী, ভারতে গত তিন বছরে প্রায় ২৭ শতাংশ আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারেন, সেই লক্ষণ সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরি। আর এই মহামারি রুখতে সবচেয়ে জরুরি মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) সম্পর্কে সচেতন হওয়া। তাই দেশ জুড়ে চলছে আত্মহত্যা সম্পর্কে সচেতনতা (Suicide Awareness) কর্মসূচি।

    কাদের জন্য উদ্বেগ বাড়ছে? কর্মশালার লক্ষ্য কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা বেশি দেখা যাচ্ছে। মানসিক অবসাদ (Mental Depression), হতাশা বাড়ছে।‌ তার থেকেই আত্মহত্যার চেষ্টা বাড়ছে। গত কয়েক বছরে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। বিশেষত ছেলেদের মধ্যে এই ঘটনা আরও বেশি। চলতি বছরে ন্যাশনাল সুইসাইড প্রিভেনশন উইক উপলক্ষে দেশ জুড়ে সচেতনতা কর্মসূচি (Prevent Suicide) পালন চলছে। মূল লক্ষ্য আত্মহত্যা নিয়ে কটাক্ষ বন্ধ করা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে এ দেশে সচেতনতার হার এখনও অনেক কম। তাই কেউ আত্মহত্যা করবেন, জানালে অনেকেই এ নিয়ে কটাক্ষ করেন।

    এমন কথা অনেক সময়েই বলা হয়, যাতে সেই ব্যক্তির আত্মহত্যা করার ঝোঁক আরও বেড়ে যায়‌। আবার পরিবারের কেউ আত্মহত্যা করলে বাকিদের অনেক সময়েই নানান সামাজিক কটাক্ষের শিকার হতে হয়। যার ফলে তাদের মধ্যেও হতাশা তৈরি হয়। আত্মহত্যার ঝুঁকিও বাড়ে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আত্মহত্যা নিয়ে কটাক্ষ নয়। বরং আত্মহত্যার লক্ষণ সম্পর্কে সতর্কতা জরুরি। এই লক্ষ নিয়েই মূলত দেশ জুড়ে একাধিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। মূলত স্কুলগুলোতে নাটক, নাচ, গানের মাধ্যমে এই বিষয়ে কর্মশালা চলছে।‌ যাতে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি হয়। অবসাদ কিংবা হতাশার মতো সমস্যা হলে কীভাবে‌ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া যায় এবং আবার স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায় সে সম্পর্কেও জানানো হচ্ছে।

    কীভাবে আত্মহত্যার প্রবণতা (Suicidal Tendencies) রুখবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আত্মহত্যার ঘটনা কমানোর জন্য এই সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হঠাৎ কেউ অতিরিক্ত চুপচাপ হয়ে গেলে পরিবারের অন্য সদস্যদের সতর্ক‌ (Prevent Suicide) থাকা প্রয়োজন। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েরা যদি দিনের অতিরিক্ত সময় ঘর বন্ধ করে একলা থাকে, তাহলে বাড়তি নজরদারি জরুরি। একাকিত্ব আত্মহত্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। পরিবারের কেউ কোনও ঘটনায় মারাত্মক আবেগপ্রবণ হয়ে উঠলেও বাকিদের সতর্কতা জরুরি। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে, অনেক সময় আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটে।

    বন্ধু কিংবা পরিবারের কোনও সদস্য মানসিক অবসাদে ভুগছেন কিনা সে সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরি। আত্মহত্যার অন্যতম কারণ মানসিক অবসাদ। অনেক সময়েই অবসাদের মতো জটিল রোগকে নিছক মন খারাপের তকমা দেওয়া হয়। এর ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটে। তাই এই সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরি।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, আত্মহত্যা রুখতে শুধুই কথা বলা নয়। প্রয়োজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং চিকিৎসা। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ রাখতে‌ যেমন রোগীকে, তাঁর পরিবারের যত্নের পাশাপাশি চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধের প্রয়োজন হয় (Prevent Suicide)। ঠিক তেমনি আত্মহত্যার প্রবণতার মতো জটিল মানসিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন থেরাপি। তাই পরিবার ও বন্ধুদের পাশে থাকার পাশপাশি মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও থেরাপিও জরুরি। তাই কাছের মানুষের মধ্যে এই ধরনের প্রবণতা তৈরি হলে দেরি করা উচিত নয়। বরং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তবেই‌ বড় বিপদ আটকানো সম্ভব হবে। আত্মহত্যাকে মহামারির আকার দেওয়া যাবে না।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Nepal: বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার পর নেপাল! গণবিক্ষোভে পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী ওলির, ছাড়ছেন দেশ? জল্পনা

    Nepal: বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার পর নেপাল! গণবিক্ষোভে পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী ওলির, ছাড়ছেন দেশ? জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার পর নেপাল। প্রবল গণবিক্ষোভের জেরে পদত্যাগ করলেন নেপালের (Nepal) প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। মঙ্গলবারই তিনি ইস্তফা দেন। সূত্রের খবর, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল মঙ্গলবার ওলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পদত্যাগের অনুরোধ জানান। এর পর সেনাবাহিনীর কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চান তিনি। শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ওলি (KP Sharma Oli)। সেখানে তিনি লিখেছেন, “সমস্যার সহজ ও রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার স্বার্থে আমি পদত্যাগ করছি।”

    মনে করাল বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার গণ-অভ্যুত্থান

    অনেকটা বাংলাদেশ বা তার আগে শ্রীলঙ্কা মডেলেই নেপালে ওলি সরকারের পতন হল। দুর্নীতি, বেকারত্ব নিয়ে, সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুনটা ধিকিধিকি জ্বলছিলই। কর্মহীনতার অন্ধকার গ্রাস করছিল দেশটাকে, সেই সঙ্গে ক্রমাগত নিম্নগামী হচ্ছিল সাধারণ মানুষের অবস্থা। তার মধ্যেই, সোশাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তই ঘি ঢালে। তারপরই এই গণবিদ্রোহ বড় আকার ধারণ করে। সম্প্রতি নেপালের শেষ রাজা জ্ঞানেন্দ্র বিক্রম দেশে ফেরার পর থেকে তাঁকে ঘিরে উৎসাহ তৈরি হয়। ফের একবার নেপালে রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবি উঠতে শুরু করে। ফের নেপালকে হিনদু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন গড় উঠতে শুরু করে। কয়েক মাস আগেই রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল কাঠমান্ডুতে। পরিস্থিতি সামলাতে নামাতে হয়েছিল সেনা। সেই বিক্ষোভের আগুনই জ্বলছিল ধিকিধিকি করে, যা ফের জ্বলে উঠল।

    ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকেই পালাতে পারেন ওলি

    এদিকে, সূত্রের দাবি, দেশ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনাও করছেন ওলি। তাঁর সম্ভাব্য গন্তব্য হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাই, যদিও তা এখনও নিশ্চিত নয়।দেশ ছাড়তে ওলি ত্রিভুবন বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারেন বলে খবর। ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সব উড়ান বাতিল হয়েছে। ওলি ও অন্যান্য মন্ত্রীদের সরিয়ে নিতে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৩০০-র বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বিমানবন্দরে (Nepal)।

    মন্ত্রীদের বাড়িতে হামলা, রাস্তায় তাড়া করে পেটানো হল উপপ্রধানমন্ত্রীকে

    প্রধানমন্ত্রী ওলি, প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পোড়েলের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ললিতপুর জেলার খুমালতারে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ‘প্রচণ্ড’-র বাসভবনে চড়াও হয় বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর করা হয় তাঁর বাড়ি। দেশের যোগাযোগমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুংয়ের সুনাকোঠী বাড়িও ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়ে। ওলি মন্ত্রিসভার সদস্যরাও বিক্ষোভের আঘাতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। একাধিক মন্ত্রীর বাড়ি এবং ওলির ব্যক্তিগত বাসভবনেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পৌডেলকে রাস্তায় তাড়া করে পেটালেন সেদেশের বিক্ষুব্ধ জনতা। তাঁর বাড়িও আক্রান্ত। মঙ্গলবার দুপুরে সেই ঘটনার অসংখ্য ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির দফতরেও চলে হামলা। ললিতপুরে যোগাযোগমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুংয়ের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তিনিই সমাজমাধ্যম নিষিদ্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সোমবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগের পর মঙ্গলবার সকালে তাঁর বাড়িতেও আগুন ধরায় বিক্ষোভকারীরা।

    নেপালের সংসদ ভবনে আগুন, হামলা কমিউনিস্ট পার্টির অফিসে

    বিক্ষোভকারীদের (Nepal) লাগানো আগুনে জ্বলে ওঠে নেপালের সংসদ। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ঘন কালো ধোঁয়া। মঙ্গলবার সকাল থেকেই পরিস্থিতি ক্রমে আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামলাতে ওলি প্রথমে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন (KP Sharma Oli)। মঙ্গলবার সকালে তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে সন্ধ্যায় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধানের পথ খুঁজবেন। কিন্তু তীব্র বিক্ষোভের চাপে বৈঠক হওয়ার আগেই তাঁকে ইস্তফা দিতে হল। বিক্ষুব্ধ জনতা নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় দফতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালিয়েছে। ভবন থেকে নামিয়ে ফেলা হয়েছে দলের পতাকাও।

    নেপালের (Nepal) সুপ্রিম কোর্টে হামলা! কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

    কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পরও শান্ত হয়নি পরিস্থিতি। খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুরে উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা নেপালের সংসদে আগুন ধরিয়ে দেয়। সুপ্রিম কোর্টে ভাঙচুর চালায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ও। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নেপালের ত্রিভূবন বিমানবন্দর বন্ধ করে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। মন্ত্রীদের নিরাপদে সরাতে বাসভবনে হেলিকপ্টার পাঠানো হচ্ছে বলে খবর (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত)। কাঠমান্ডুতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফের ছড়ায় অস্থিরতা। উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা একের পর এক নেতা-মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরানোর পাশাপাশি সনেপায় অবস্থিত নেপালি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও অগ্নিসংযোগ ঘটায়।

    ভারত-নেপাল সীমান্তে কড়া নজরদারি, বিবৃতি দিল দিল্লি

    নেপালের অশান্ত পরিস্থিতির কারণে ভারতের পাঁচ সীমান্তবর্তী রাজ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিহারের সাতটি জেলা—পশ্চিম ও পূর্ব চম্পারণ, সীতামারি, মধুবনী, আরারিয়া, সুপৌল ও কিষাণগঞ্জে এসএসবি ও পুলিশ টহল বাড়িয়েছে। সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই তল্লাশি চলছে। সীমান্তে যাতে অশান্তির প্রভাব না পড়ে, সে জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলিয়ে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। নেপালের পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে ভারত। দিল্লির বিদেশ মন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, নেপালে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের সাবধান থাকতে হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে চলতে হবে।

    বিদ্রোহের সূত্রপাত

    এই সংকটের সূত্রপাত হয় নেপাল সরকারের সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে। বহুদিনের জমে থাকা অসন্তোষে ঘৃতাহুতি দেয় সেই পদক্ষেপ। প্রতিবাদে রাস্তায় নামে ছাত্র-যুব সমাজ। সোমবারই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাজধানী কাঠমান্ডু। পুলিশ গুলি চালালে প্রাণ হারান অন্তত ১৯ জন বিক্ষোভকারী। এর পর আন্দোলন আরও তীব্র হয়। চাপে পড়ে রাতেই সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ওলির পদত্যাগের দাবিতে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা ক্রমে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

LinkedIn
Share