Tag: মাধ্যম বাংলা

  • African Swine Fever: করোনা আবহে ভারতে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার হানা! কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    African Swine Fever: করোনা আবহে ভারতে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার হানা! কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফের ফিরছে আতঙ্ক! কয়েক বছর আগের স্মৃতি এখনো তাজা! আর তার মধ্যেই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ আবার বাড়ছে। তাই বাড়ছে আতঙ্ক! কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন শহরে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। আর তার মধ্যেই দেশে হানা দিয়েছে নতুন রোগ। আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) দেশে ছড়িয়েছে। আর তার জেরেই বাড়তি উদ্বেগ।

    আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার কী?

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (ASF Alert in India) একটি সংক্রামক রোগ। জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দির মতো সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বরের উপসর্গ এই রোগে প্রথমে জানান দেয়। কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন ফুসফুস, লিভার এবং হৃদপিণ্ড ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এর ফলে শরীরে একাধিক জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর আশঙ্কাও রয়েছে।

    ভারতের কোথায় এই সংক্রমণ হয়েছে?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের এক গ্রামে এই রোগের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। ওই গ্রামে মূলত পশু পালন করেই অধিকাংশ মানুষ জীবন নির্বাহ করেন। দিন কয়েক আগেই কয়েকজন এই আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) আক্রান্ত হয়েছেন। প্রশাসনের তরফে আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। গোটা গ্রামে ‘প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা’ জারি হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে গ্রামবাসীদের গ্রামের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কয়েক দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    কীভাবে এই রোগ ছড়ায়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) মূলত পশুবাহিত রোগ। অর্থাৎ, পশুর দেহেই এই রোগ ছড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, মূলত শুয়োরের দেহ থেকে এই রোগের ভাইরাস মানুষের দেহে পৌঁছয়। আর সেখান থেকেই সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অসমের যে গ্রামে এই রোগে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, সেখানেও শুয়োর থেকেই মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।

    কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) যথেষ্ট বিপজ্জনক। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়লে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে। তাই প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সংক্রমণ রুখতে সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিশেষ করে করোনা আবহে আরও বাড়তি সতর্কতা জরুরি (ASF Alert in India) বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে থেকে ফেরার পথে অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

    কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব?

    বিশেষত, যারা পশু পালনের কাজ করেন, এই পরিস্থিতিতে তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বারবার হাত পরিষ্কার রাখা এবং কাজের শেষে ঘরম জলে ভালোভাবে স্নান করা দরকার। যাতে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। ভিড় এলাকায় নাক ও মুখ ঢেকে রাখা জরুরি। কারণ নাক ও মুখের মাধ্যমেই সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। তাই করোনা হোক বা আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার, যেকোনও সংক্রামক রোগ রুখতে মাস্ক সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    খাবারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) পশুর শরীর থেকেই মানুষের শরীরে পৌঁছয়। তাই যেখানে-সেখানে মাংসের তৈরি পদ খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে পোর্কের পদ খাওয়ার ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন। যাতে স্বাস্থ্যের বাড়তি জটিলতা তৈরি না হয়, সেদিকে নজর রেখেই খাওয়া-দাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

  • Mid Day Meal: মিড ডে মিল খাচ্ছে না রাজ্যের ৫০ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া! জবাব তলব কেন্দ্রের, চুরির অভিযোগ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Mid Day Meal: মিড ডে মিল খাচ্ছে না রাজ্যের ৫০ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া! জবাব তলব কেন্দ্রের, চুরির অভিযোগ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) বাংলার পড়ুয়াদের সংখ্যা বিপুল হ্রাস পেয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রের এক রিপোর্টে এই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ৫০ শতাংশ পড়ুয়াই গত শিক্ষাবর্ষে মিড ডে মিল নেয়নি। কেন মিড ডে মিলে পড়ুয়ার সংখ্যা এত বিপুল হ্রাস পেল তা নিয়ে আগামী ৩০ জুনের মধ‍্যে রাজ‍্যের কাছ থেকে জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এই ইস্যুতে একযোগে মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী।

    মিড ডে মিল ইস্যুতে রাজ্যকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর (Mid Day Meal)

    কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “৫০ শতাংশ বাচ্চা মিড ডে মিল খাচ্ছে না। মিড ডে মিল প্রকল্পে কেন্দ্র যে টাকা দেয়, তার ৪ হাজার কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। রাজ্য খরচই করেনি। সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে, কী হচ্ছে, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।” অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দেগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকেও কাগজর কাটিং-সহ আমার বক্তব্য পাঠিয়েছি। তৃণমূলের লোকেরা মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) চাল চুরি করছে। ১০০ শতাংশ দেখিয়ে চাল নিচ্ছে। আর ৫০ শতাংশ চাল রান্না হচ্ছে।”

    ২০২৩-২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫-২০২৬ সালে ১০ লক্ষ কম পড়ুয়া মিড ডে মিলের সুবিধা নিয়েছে

    কেন্দ্রের ওই রিপোর্টে যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে তাতে করুণ চিত্র দেখা যাচ্ছে। ২০২৩-২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫-২০২৬ সালে ১০ লক্ষ কম পড়ুয়া মিড ডে মিলের সুবিধা নিয়েছে। তথ্য বলছে প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ যোজনার অন্তর্গত এই প্রোগ্রামে পশ্চিমবঙ্গের ১৫টি জেলায় ২০২৪-২৫ সালে নথিভুক্ত আছে এমন চল্লিশ শতাংশেরও বেশি পড়ুয়া মিড ডে মিলের সুবিধা গ্রহণ করেনি। যার মধ্যে কোচবিহার সবচেয়ে নিচে রয়েছে। যেখানে ৪৬ শতাংশ পড়ুয়া মিড ডে মিল (Mid Day Meal) গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ মিড ডে মিলের সুবিধা নেয়নি ৫৪ শতাংশ পড়ুয়া।

    গুরুতর উদ্বেগ হিসেবে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার

    এই প্রবণতাকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। এটিকে গুরুতর উদ্বেগ হিসেবেও তারা চিহ্নিত করেছে। ইতিমধ্যে ভারত সরকারের স্কুল এবং স্বাক্ষরতা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে এ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। প্রোগ্রাম অ্যাপ্রুভাল বোর্ড ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছে যে ২০২৩-২৪ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত রাজ্যের মিড ডে মিলের স্কুলগুলির ক্ষেত্রে ভর্তি সংখ্যা ৪.০১ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে।

    ২০২৫-২৬ সালের ভর্তির সংখ্যা আরও ৬ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে

    ২০২৫-২৬ সালের এই ভর্তির সংখ্যা আরও ৬ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে। যা যথেষ্ঠ উদ্বেগপূর্ণ। মিড ডে মিল (Mid Day Meal) প্রকল্পের আওতায় পড়ুয়াদের পুনরায় অন্তর্ভুক্ত প্রচেষ্টা করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক স্তরে পিএম পোষণের আওতায় যথাক্রমে ৭৮ শতাংশ এবং ৭৪ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী ছিল। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকে তা কমে ৫৮ শতাংশতে দাঁড়িয়েছে।

    সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কোন কোন জেলায় (West Bengal)

    কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ সালে পিএম পোষণ শক্তি যোজনায় নাম নথিভুক্ত করেছিল ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৪৬ জন পড়ুয়া। তবে এর মধ্যে মাত্র ৭৭ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৪৬ জন মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) সুবিধা গ্রহণ করেছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলাগুলিতে করুণ চিত্র সামনে এসেছে। এখানে অর্ধেকের চেয়েও কম নাম নথিভুক্তকারী ছাত্র-ছাত্রীরা মিড ডে মিলের সুবিধা গ্রহণ করেছে।

    তহবিল তছরুপের গুরুতর অভিযোগ, কেন কমছে পড়ুয়া?

    একই সঙ্গে এই প্রকল্পে প্রোগ্রাম অ্যাপ্রুভাল বোর্ড তহবিল তছরূপের অভিযোগও নিয়ে এসেছে। একাধিক অনিয়মের কথা উল্লেখ করেছে তারা। তাদের অভিযোগ, এই প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করে যে সংস্থাগুলি এবং পৌর কর্পোরেশন, একক নোডাল এজেন্সি অ্যাকাউন্টের বাইরে তহবিল জমা রাখছে। রাজ্যকে অবিলম্বে এই তহবিল স্থানান্তর করা নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভারত সরকারের নির্দেশিকা লঙ্ঘন এবং বিলম্বের জন্য যাঁরা দায়ী, সেই সমস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে পিএবি। নিজেদের কার্যবিবরণীতে তারা এটা উল্লেখ করেছে (West Bengal)। তবে মিড ডে মিলে এত বিপুল পরিমাণে ছাত্রছাত্রী সংখ্যার কমে যাওয়ার কারণ কী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের স্কুল শিক্ষা বিভাগের বিদ্যালয়গুলিতে ড্রপ আউটের হার ক্রমশই বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষত উচ্চ প্রাথমিক বিভাগে। মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) পড়ুয়া কমার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় কারণ হতে পারে।

  • India England Cricket: সরছে পটৌডীর নাম! সচিন-অ্যান্ডারসনের নামে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ

    India England Cricket: সরছে পটৌডীর নাম! সচিন-অ্যান্ডারসনের নামে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন ভারত ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ (India England Cricket) খেলতে গেলে সেই ট্রফি ছিল পটৌডীর নামে। প্রসঙ্গত, ভারতের দুই প্রাক্তন অধিনায়ক ইফতিখর আলি খান পটৌডী এবং মনসুর আলি খান পটৌডীর নামেই ছিল এই ট্রফির নাম। তবে এবারে তা বদলে যাচ্ছে। ট্রফির নাম হচ্ছে সচিন-অ্যান্ডারসন। চলতি মাসের ২০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ। সেই ট্রফির নাম হতে চলেছে জেমস অ্যান্ডারসন এবং সচিন তেন্ডুলকরের নামে। ইংল্যান্ডের এক সংবাদমাধ্যম এমনই দাবি করেছে।

    ২০০৭ সালে ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যে শুরু হয় পটৌডী ট্রফি (India England Cricket)

    প্রসঙ্গত, আজ থেকে ১৮ বছর আগে ২০০৭ সালে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের নাম হয়েছিল পটৌডী ট্রফি। ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টের সেটা ছিল ৭৫তম বছর। সেই উপলক্ষ্যেই পটৌডী পরিবারের দুই ক্রিকেটারকে সম্মান জানাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে খবর। এ বার তবে সেই নাম বদলে যাচ্ছে। কিছু দিন আগে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইকে (India England Cricket) এই বিষয়টি জানিয়ে দেয়। তখনই নতুন ট্রফি দু’দেশের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর এবং জেমস অ্যান্ডারসনের নামে করার প্রস্তাব দেয় ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড (India England Cricket Series)।

    দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন-অ্যান্ডারসন (India England Cricket Series)

    ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর। টেস্ট ক্রিকেটের (India England Cricket) ইতিহাসে তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। যাঁর রান ১৫,৯২১। ১৯৮৯ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেন সচিন তেন্ডুলকর। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি ২০০ টেস্ট খেলেছেন। অন্যদিকে অ্যান্ডারসন হলেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। যার মধ্যে ৭০৪ উইকেট রয়েছে। তথ্য বলছে, এই দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার ১৪টি টেস্ট ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছেন। দুই দেশের সেরা ক্রিকেটারকে সম্মান জানাতে এই ট্রফিটি তাঁদের উভয়ের নামেই নামকরণ করা হচ্ছে।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘যত নষ্টের গোড়া’’, কেষ্টর হুমকিকাণ্ড মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর, আসরে জাতীয় মহিলা কমিশনও

    Suvendu Adhikari: ‘‘যত নষ্টের গোড়া’’, কেষ্টর হুমকিকাণ্ড মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর, আসরে জাতীয় মহিলা কমিশনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশকে ফোনে হুমকিকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি, বোলপুরের আইসিকে ফোনে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এবার আসরে নামল কেন্দ্রও। জাতীয় মহিলা কমিশন চিঠি দিল রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমারকে। কমিশন জানতে চেয়েছে, এই ঘটনায় কেন আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি। এই মর্মে রাজ্য পুলিশকে ৭২-ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।

    মমতাকে তুলোধনা করলেন শভেন্দু

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তোপ দাগেন পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পুলিশের অতিসক্রিয়তা ও নিষ্ক্রিয়তা তুলে ধরে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘বাংলার পুলিশের যা হাল তা সকলেরই জানা। একজন আইনের ছাত্রীকে তুলে আনতে গুরগাঁও চলে যায় অথচ একজন আইসি, যিনি অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন, ফিটনেসে পাশ করে ডিউটি করছেন, তাঁর মা-বউকে হুমকি-গালিগালাজ করলে পুলিশমন্ত্রীর গায়ে লাগে না।’’

    যত নষ্টের গোড়া মমতা, বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একজন তৃণমূল নেতা মদ্যপ অবস্থায় ফোন করে পুলিশ অফিসারকে গালিগালাজ করছেন। হুমকি দিচ্ছেন। রাজীব কুমারকে বলছেন, এই ডিজি আইসিকে কখন সরাবে? সেই নেতাকে গ্রেফতার না করে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে প্রোটেকশন দিচ্ছেন, সেটা ভাবা যায় না।’’ এরপরেই শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়,‘‘অনুব্রত মণ্ডলরা কেউ নন, যত নষ্টের গোড়া মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁরই ছত্রছায়ায় নেতা-মন্ত্রীরা এই ধরনের আচরণ করার সাহস পান।’’

    আইসিকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে, দেখে নিন

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘এই ধরনের নেতারা সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অ্যাসেট। প্রকাশ্যে সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কেষ্টকে রাজ্যসভার টিকিট দিতে চেয়েছিলাম, নেয়নি। সেই অনুব্রত থানায় গেলে থোড়াই পুলিশ ফোন বাজেয়াপ্ত করবে? যা দোষ এখন আইসির।’’ বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, ‘‘আমি তো বলছি, আইসিকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে, দেখে নিন।’’

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চিঠি

    অন্যদিকে, জাতীয় মহিলা কমিশন রাজীব কুমারকে পাঠানো চিঠিতে জানতে চেয়েছে, একজন আইসিকে কুকথা বলেছেন অনুব্রত মণ্ডল। এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অতীতে অপরাধের রেকর্ডও রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও কোনও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি কেন? বৃহস্পতিবারই এই চিঠি দেয় কমিশন। নিজেদের চিঠিতে তারা এও জানতে চেয়েছে, যদি একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের পরিবারকে এমন হুমকির শিকার হতে হয়, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাটা কোথায়?

    কী লেখা হল চিঠিতে?

    বৃহস্পতিবার পাঠানো সেই চিঠিতে লেখা হয়, ‘‘একজন মহিলার বিরুদ্ধে ওই রকম হুমকি মন্তব্য শুধুই সামাজিক ও মূল্যবোধের অবক্ষয় নয়, বরং এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধও। যার ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যয় সংহিতায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা উল্লেখ রয়েছে। যাঁর অতীতে অপরাধের ছাপ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে এখনও কোনও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি কেন?’’ একইসঙ্গে বীরভূমের এই নেতার বিরুদ্ধে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টও চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এজন্য রাজ্য পুলিশকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে তারা। এরমধ্যে অনুব্রতর বিরুদ্ধে করা আইনি পদক্ষেপের রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে তারা।

    খোশমেজাজেই রয়েছেন কেষ্ট

    প্রসঙ্গত, হমকিকাণ্ডের পরেই পুলিশ নোটিশ দেয় অনুব্রতকে। দু’দিন হাজিরা তিনি এড়িয়ে যান। তিনি নাকি অসুস্থ, এমনটাই দাবি ছিল অনুব্রতর। এই কারণেই গত শনি ও রবিবার পুলিশের নোটিশ এড়িয়েছিলেন বীরভূমের কেষ্ট। সূত্রের খবর, টানা পাঁচদিন নাকি তাঁকে ‘বেড রেস্টে’র পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। বুধবার পর্যন্ত ছিল সেই বিশ্রামের সময়সীমা। বৃহস্পতিবার হাজিরা দিলেন কেষ্ট। ঘটনার সাত দিন পরে বৃহস্পতিবারই বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ শান্তিনিকেতন এসডিপিও অফিসে গিয়ে তাঁকে হাজিরা দিতে দেখা যায়। সূত্রের খবর, তাঁকে ঘণ্টা দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসার। তবে হাজিরা দেওয়ার পরে তাঁকে বেশ খোশ মেজাজেই বের হতে দেখা যায়। মুখে মুচকি হাসিও নজর এড়ায়নি কারও। কোমরের পিছনে দু’হাত জোড় করে হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে আসেন কেষ্ট।

    আইসির ফোনই বাজেয়াপ্ত

    অন্যদিকে, ভাইরাল অডিও কাণ্ডে বোলপুর থানার আইসি (Bolpur IC) আইসি লিটন হালদারের বিরুদ্ধেই আবার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশের যুক্তি, অনুমতি ছাড়া রেকর্ড বেআইনি। সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে আইসির মোবাইল ফোনটিও সিজ করেছে পুলিশ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কেষ্টর ফোন এখনও বাজেয়াপ্ত করেনি পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের নিচুতলারই একাংশের মধ্যে ক্ষোভও দেখা গিয়েছে।

  • Indian Railways: তৎকাল টিকিটের কালোবাজারি রুখতে আধার যাচাইকরণ! বড় পদক্ষেপের পথে রেল

    Indian Railways: তৎকাল টিকিটের কালোবাজারি রুখতে আধার যাচাইকরণ! বড় পদক্ষেপের পথে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিকিট জালিয়াতি রোধ করতে বড় পদক্ষেপ করছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। এবার থেকে সমস্ত তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের জন্য বাধ্যতামূলক করা হবে ই-আধার যাচাইকরণ। নয়া এই নিয়ম চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে ২০২৫ সালের জুনের শেষ দিকে চালু হতে পারে এই প্রক্রিয়া। শেষ মুহূর্তের ট্রেন টিকিট বুকিং প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনতেই (Tatkal Tickets) এমন উদ্যোগ রেল। বিগত ২৭ মে এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ভারতীয় রেল।

    সমাজমাধ্যমে পোস্ট রেলমন্ত্রীর (Indian Railways)

    ইতিমধ্যে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ঘোষণাও সামনে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের জন্য শীঘ্রই ই-আধার যাচাই ব্যবস্থা চালু করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় রেল শীঘ্রই তৎকাল টিকিট বুক করার জন্য ই-আধার ব্যবহার শুরু করবে। এটি প্রকৃত ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনের সময় নিশ্চিত টিকিট পেতে সহায়তা করবে।’’ রেলের তরফে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটে ১৩ কোটিরও বেশি সক্রিয় রেল গ্রাহক রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে মাত্র ১ কোটি ২০ লক্ষ আধার-যাচাইকৃত। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, টিকিট কাউন্টার থেকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে টিকিট কিনেছেন এমন যাত্রীরা আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট থেকে অথবা ১৩৯-এর মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট বাতিল করতে পারবেন। তবে টাকা রিফান্ডের জন্য তাঁদের রিজার্ভেশন সেন্টারেই যেতে হবে।

    তৎকাল টিকিটে দালালদের রমরমা

    প্রসঙ্গত, জরুরি ভিত্তিতে যাত্রীদের স্বল্প সময়ের নোটিশে টিকিট বুক করতে সাহায্য করতেই রয়েছে তৎকাল স্কিম। কিন্তু এখানে দালালদের রমরমা বাড়তেই থাকে বলে অভিযোগ। ব্যাপক বাড়তে থাকে এর অপব্যবহার। এই কারণে প্রায়শই সমালোচনার মুখে পড়েছে তৎকাল স্কিম (Tatkal Tickets)। যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তৎকালে টিকিটই মিলছে না। যখনই বুকিং করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন ওয়েবসাইটের সার্ভার ডাউন হয়ে যাচ্ছে। সার্ভার ঠিক হতেই এক নিমেষে সব টিকিট সোল্ড আউট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে এজেন্টরা ঠিক তৎকালের টিকিট জোগাড় করে ফেলছেন। এতেই জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এবার দালালদের তৎকাল টিকিট কালোবাজারির দুর্নীতি টেনে ধরা সহজ হবে মনে করা হচ্ছে। রেলের কর্মকর্তারা এনিয়ে জানিয়েছেন, দালালরা জাল পরিচয়পত্র এবং স্বয়ংক্রিয় বট ব্যবহার করে বুকিং প্রোটোকল এড়িয়ে সিস্টেমটিকে কাজে লাগায়। এর ফলে প্রকৃত ভ্রমণকারীদের তৎকাল টিকিট পেতে খুবই সমস্যা হয়।

    ৫ মাসে আড়াই কোটি ভুয়ো ইউজার আইডি ব্লক

    এর পাশাপাশি, টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা আনতে আরও পদক্ষেপ করেছে রেল। আগাম বুকিংয়ের ক্ষেত্রে যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে রেল।  দেখা যায় যে, একটি সাইবার প্রতারণা চক্র ভুয়ো আইডি এবং স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে সাধারণ বুকিং প্রোটোকলগুলিকে বাইপাস করছিল। এই চক্রটি ভুয়ো ইউজার আইডি এবং বটের মাধ্যমে দ্রুত টিকিট বুক করত, যা আসল যাত্রীদের বঞ্চিত করছিল। গত পাঁচ মাসে প্রায় ২০ লক্ষ অন্যান্য অ্যাকাউন্ট সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং আড়াই কোটি ভুয়ো ইউজার আইডি ব্লক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই জালিয়াতি রুখতে রেল কর্তৃপক্ষ এখন একটি “অ্যান্টি-বট” অ্যাপ্লিকেশন মোতায়েন করেছে। এই অ্যাপ্লিকেশনটি স্বয়ংক্রিয় টিকিট বুকিং শনাক্ত এবং ব্লক করতে সাহায্য করছে। এর ফলে সিস্টেমটি আসল ব্যবহারকারীদের জন্য ন্যায্য এবং সহজলভ্য থাকবে। রেল কর্তারা জানিয়েছেন, এই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    এমন পদক্ষেপ স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে (Indian Railways)

    রেলমন্ত্রী এনিয়ে আরও জানিয়েছেন, এমন পদক্ষেপ স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে। একইসঙ্গে জালিয়াতি কমাবে (Indian Railways)। প্রকৃত ভ্রমণকারীরা আরও সহজেই টিকিট পাবে। রেলকর্তাদের মতে, আধার যাচাইকরণ কেবল তৎকাল টিকিটের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, নিয়মিত বুকিংয়ে নয় ক্ষেত্রে যা নিয়ম আছে তাই থাকছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য টিকিট ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ করা এবং সামগ্রিক ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করা।

  • Mohan Bhagwat: ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে দ্বিজাতি তত্ত্বের বিপদ বোঝালেন আরএসএস প্রধান

    Mohan Bhagwat: ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে দ্বিজাতি তত্ত্বের বিপদ বোঝালেন আরএসএস প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ জুন বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) উপস্থিত ছিলেন নাগপুরে। সেখানে চলছে আরএসএস-এর কার্যকর্তা বিকাশ বর্গ। এখানেই নিজের বক্তব্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান বলেন, ‘‘যতক্ষণ না পর্যন্ত দ্বিজাতি তত্ত্বের চিন্তা ভাবনা আমাদের দেশ থেকে যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই দেশ অনেক হুমকির মুখে থাকবে।’’

    বলপূর্বক ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে সরব ভাগবত

    এদিনের বক্তব্যে তিনি আধুনিক যুদ্ধ পদ্ধতি, সন্ত্রাসবাদ থেকে শুরু করে দেশের নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে বলপূর্বক ধর্মান্তকরণের কথাও। বলপূর্বক ধর্মান্তকরণ নিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, “আমাদের প্রশ্ন—ধর্মান্তকরণ হচ্ছে কেন? যদি এর মধ্যে স্বার্থপরতা এবং লোভ না থাকে, তাহলে সবকিছুই একই পথে পরিচালিত হয়। যে কোনওভাবে উপাসনা করা বৈধ। কিন্তু কাউকে জোর করা এবং বলা যে তোমার পথ ভুল এবং ধর্মান্তরিত করা হিংস্রতা। অতএব, যারা লোভ করে ধর্ম পরিবর্তন করেছেন বা যাদের জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করানো হয়েছে এবং এখন ফিরে আসতে চান, তাদের গ্রহণ করা উচিত।

    আমরা কাউকে আমাদের শত্রু বলে মনে করি না

    নিজের বক্তব্যে আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘আদর্শগত বিভাজনের কারণেই ভারতের সামাজিক কাঠামো প্রতিমুহূর্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘যুদ্ধের পদ্ধতি পরিবর্তিত হয়েছে। প্রযুক্তি পরিবর্তিত হয়েছে। এর সঙ্গে সত্যও সামনে এসেছে দেশের পক্ষে কারা দাঁড়িয়েছে।’’ এদিন নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত সাইবার যুদ্ধ এবং প্রক্সি যুদ্ধেরও উল্লেখ করেন। নিজের ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘ভারতের এ নিয়ে নিজস্ব সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।’’ নিজের বক্তব্যে আরএসএস (RSS) প্রধান বলেন, ‘‘আমরা কাউকে আমাদের শত্রু বলে মনে করি না। কিন্তু আমাদের সর্বদাই প্রস্তুত থাকতে হবে। আত্মনির্ভরতাই তাই হল একমাত্র এগিয়ে যাওয়ার উপায়।’’ নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, ‘‘দেশের আসল শক্তি কেবলমাত্র সেনাবাহিনী বা প্রশাসনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। দেশের আসল শক্তি হল জনগণের মনোবল। এখানেই রয়েছে শক্তি।’’

    সারা ভারত ঐক্যবদ্ধ হয় পহেলগাঁওয়ের ঘটনায়

    পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক যে সন্ত্রাসী হামলা হয় এই হামলায় সারা দেশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়,শোকের পরিস্থিতি তৈরি হয় সেটাও তিনি উল্লেখ করেন নিজের বক্তব্যে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সারা ভারত ঐক্যবদ্ধ হয় পহেলগাঁওয়ের ঘটনায়।’’ যেভাবে পাল্টা প্রত্যাঘাত করা গিয়েছে পাকিস্তানকে, সেটারও উল্লেখ করেন তিনি। প্রশংসা করেন ভারত সরকারের। নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) জানিয়েছেন যে দেশের আভ্যন্তরীণ যে ইস্যুগুলি রয়েছে সেখানে যেন নাগরিকরা কখনও উস্কানি না দেন অথবা হিংসার শিকার না হন। নিজের বক্তব্য তিনি বলেন, ‘‘সহিংসতা কোনও পথ নয়, সমাজের কোনও অংশই কখনও অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে না।’’

  • Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে খতম মাওবাদী নেতা সুধাকর, মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা

    Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে খতম মাওবাদী নেতা সুধাকর, মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নকশাল দমনে ফের বড়সড় সাফল্য। বৃহস্পতিবারই নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় খতম হল মাওবাদী কমান্ডার তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুধাকর। জানা গিয়েছে এই নেতার মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা। বহুদিন ধরেই সুধাকরের খোঁজ চলছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার খতম করা গেল এই মাওবাদী নেতাকে। এর পাশাপাশি, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রসস্ত্র এবং বিস্ফোরক (Top Maoist Leader)।

    তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড় এবং মহারাষ্ট্রে সক্রিয় ছিলেন সুধাকর

    তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) এবং মহারাষ্ট্রে সক্রিয় ছিলেন সুধাকর। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালেই ছত্তিশগড়ের বিজাপুরের জঙ্গলে অভিযান শুরু করে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। সঙ্গে ছিল জঙ্গলযুদ্ধে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডোবাহিনী ‘কোবরা’। জঙ্গলে ওই অভিযানের সময়ই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় মাওবাদীদের।

    মে মাসে খতম হয় ২৯ মাওবাদী (Chhattisgarh)

    প্রসঙ্গত, গত মে মাসেই অপর এক শীর্ষ মাওবাদী নেতা তথা সিপিআই (মাওবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুকে খতম করে বাহিনী। তাঁর মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুরের অবুঝমাঢ়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন তিনি। ওই অভিযানে ব্যাপক সাফল্য পায় নিরাপত্তা বাহিনী। বাসবরাজের পাশাপাশি আরও ২৯ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল (Top Maoist Leader)।

    কেন তাৎপর্যপূর্ণ ছিল মে মাসের অভিযান (Chhattisgarh)

    মে মাসের ওই অভিযানটি নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কারণ, তিন দশকের লড়াইয়ে প্রথম কোনও অভিযানে সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদার মাওবাদী নেতাকে খতম করতে সমর্থ হয় নিরাপত্তা বাহিনী। এনিয়ে নিজেদের সমাজমাধ্যমের পাতায় নিরাপত্তাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত মাসে মাওবাদী দমন অভিযানে ওই সাফল্যের পর বৃহস্পতিবার আরও এক শীর্ষ মাওবাদী নেতাকে খতম করতে সমর্থ হল নিরাপত্তাবাহিনী।প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী নিশ্চিহ্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

  • Rafale Fuselages: দেশেই তৈরি হবে রাফাল যুদ্ধ বিমান! দাসোলের সঙ্গে বড় চুক্তি টাটার

    Rafale Fuselages: দেশেই তৈরি হবে রাফাল যুদ্ধ বিমান! দাসোলের সঙ্গে বড় চুক্তি টাটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাফাল যুদ্ধবিমান (Rafale Fuselages) তৈরি করে দাসোল অ্যাভিয়েশন (Dassault)। তারাই এবার ভারতের টাটা গ্রুপের সঙ্গে একটি বড় চুক্তি করল। এর মাধ্যমে এবার ওই কোম্পানি ভারতের হায়দরাবাদে রাফাল যুদ্ধবিমানের বডি তৈরি করবে। জানা গিয়েছে, দাসোল অ্যাভিয়েশন এবং টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেড ভারতে রাফাল যুদ্ধবিমানের ফিউসেলাজ (মূল মাঝের অংশ) তৈরির জন্য ৪টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের বিমান উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়বে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, প্রথমবারের মতো ফ্রান্সের বাইরে ফিউসেলাজ উৎপাদন করছে দাসোল অ্যাভিয়েশন। এই খাতে ভারতেও বিপুল বিনিয়োগ হবে। যার ফলে কর্মসংস্থান বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ২০২৮ সালের মধ্যেই রাফালের প্রথম ফিউজেলেজ উৎপাদিত হবে

    এই চুক্তি দেশের কৌশলগত এবং সামরিক বিমান তৈরির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে মনে করছেন অনেকে। ভারতেই এবার রাফাল যুদ্ধবিমানের (Rafale Fuselages) গুরুত্বপূর্ণ অংশ তৈরি করা হবে। বিমানের ফিউসেলাজ, পুরো পিছনের অংশ, সেন্ট্রাল ফিউসেলাজ এবং সামনের অংশ এবার সবই তৈরি হবে দেশে। সময় কতদিন লাগবে? মনে করা হচ্ছে যে ২০২৮ সালের মধ্যেই রাফালের প্রথম ফিউসেলাজ, এই উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসবে। কারখানাটি সম্পূর্ণরূপে নির্মিত হলে প্রতি মাসে ২টি ফিউসেলাজ তৈরি করা হবে।

    রাফাল জেটের ফিউসেলাজ কী?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাফালের ফিউসেলাজ (Rafale Fuselages) হল বিমানের প্রধান কাঠামো। এর মাধ্যমেই পাইলট ককপিট, ইঞ্জিন, ইলেকট্রনিক সিস্টেম এবং অস্ত্রের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হয়। এর পাশাপাশি বিমানের ডানা এবং লেজকে সাপোর্ট দেয় এই ফিউসেলাজ। দাসোল অ্যাভিয়েশন জানিয়েছে, রাফালের ফিউসেলাজ হালকা এবং শক্তিশালী যৌগিক পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়। এ বিষয়ে দাসোল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘প্রথমবার রাফালের ফিউসেলাজ ফ্রান্সের বাইরে তৈরি করা হবে। ভারতে আমাদের সরবরাহ শৃঙ্খলকে (Rafale Fuselages) শক্তিশালী করার দিকে এটি একটি নির্ধারক পদক্ষেপ। ভারতের বিমান শিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা TASL (Tata Advanced Systems limited)-কে ধন্যবাদ।’’

  • Ayodhya: রামলালার পরে রাজা রাম! যোগীর উপস্থিতিতে অযোধ্যায় ৮ মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা

    Ayodhya: রামলালার পরে রাজা রাম! যোগীর উপস্থিতিতে অযোধ্যায় ৮ মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন অর্থাৎ ৫ জুন অযোধ্যার রাম মন্দিরে ফের হল প্রাণ প্রতিষ্ঠা। গর্ভগৃহের পর এবার রাম দরবারে ৮টি মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল (Ayodhya)। এদিনের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    কোন কোন দেবতার মূর্তি বসল (Ayodhya)

    বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকেই অনুষ্ঠান শুরু হয় রাম মন্দিরে। তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, তিনদিন ধরে হয়েছে এই অনুষ্ঠান। এদিন তিথি মেনে সকাল ১১ টা ২৫ মিনিট থেকে শুরু হয় প্রাণ প্রতিষ্ঠা। চলে ১১ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। এরই মধ্যে রাম দরবারে আট দেব-দেবীর মূর্তির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। বৈদিক রীতি মেনে যজ্ঞ, পঞ্চ গব্য ও মন্ত্রোচারণের মাধ্যমে দেবতাদের অভিষেক করা হয়। ২০২৪ সালে গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রামলালা বালক রামের মূর্তি (Ayodhya)। এবার রাম দরবারে পূর্ণবয়স্ক রাজা রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হল। শ্রীরামের পাশাপাশি মা সীতা, সূর্য দেবতা, দেবী দুর্গা, হনুমানজী, সপ্ত ঋষি, অন্নপূর্ণা দেবী সহ একাধিক দেব-দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠাও করা হয় এদিন।

    কী বলছেন রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক?

    রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই এনিয়ে বলেন, “মন্দিরের ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে (Ayodhya)। কলসও বসানো হয়ে গিয়েছে। দেবতাদের মূর্তি স্থাপিত হয়েছে মন্দিরে। প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে যাবতীয় রীতি-নীতি ও আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। আজ প্রাণ প্রতিষ্ঠার শেষ দিন।” সংবাদমাধ্যমকে তিনি আরও জানিয়েছেন, মন্দিরে আগের মতোই দর্শন করতে পারবেন তীর্থযাত্রীরা। তবে মন্দিরের দ্বিতীয় তলের মন্দির অর্থাৎ রাম দরবারে দর্শন আপাতত বন্ধ থাকবে। প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ হাজার পুণ্যার্থী রাম মন্দিরে আসছেন বলে জানান চম্পত রাই।

    গঙ্গা দশেরা উপলক্ষে রাম জন্মভূমি প্রাঙ্গণে চলছিল উৎসব, এদিন সম্পন্ন হল

    রাম দরবারে রাজা রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠার এই উৎসবে গোটা অযোধ্যায় এক আলাদা পরিবেশ তৈরি হয়। প্রসঙ্গত, গঙ্গা দশেরা উপলক্ষে রাম জন্মভূমি প্রাঙ্গণ বিগত তিন দিন ধরেই চলছিল ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এদিন তা সমাপ্ত হয়। আর এই দিনে প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হল রাম দরবারের আটটি মূর্তির। বৈদিক মন্ত্র, শঙ্খধ্বনিতে মেতে ওঠে গোটা অযোধ্যা। ৫ জুন সকাল সাড়ে ছয়টা নাগাদ মূল পুজো শুরু হয় বৈদিক রীতি মেনে। সকালেই যজ্ঞ বেদীতে দেবতাদের উদ্দেশ্যে আহুতি প্রদান করা হয় (Ayodhya)। এরপরে সকাল ন’টা নাগাদ অনুষ্ঠিত হয় হোম। প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময়ে এক বিশেষ আরতিরও ব্যবস্থা করা হয় এদিন অযোধ্যায়। একেবারে শেষে প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। প্রসাদ গ্রহণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সাধু-সন্ত বৈদিক পণ্ডিত, রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। এছাড়াও দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত হাজির ছিলেন এদিন।

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান সাধু-সন্তরা

    উল্লেখযোগ্যভাবে এই দিনই হল আবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্মদিন (Yogi Adityanath)। সেই উপলক্ষে তিনি ভগবান রামের কাছে আশীর্বাদও চান। আবার এই দিনটি হল সরযূ নদীর ত্রয়োদশী জন্মোৎসব। অর্থাৎ এদিনের তিথির আধ্যাত্মিকতার তাৎপর্যকে অনেক বেশি। রাম দরবারে রাজা রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যে সমস্ত সাধুসন্তরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই অযোধ্যার প্রাচীন গৌরবকে পুনরুদ্ধারের জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করেন।

    অযোধ্যার উন্নয়ন যজ্ঞ

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) হন যোগী আদিত্যনাথ। বিগত আট বছর তিনি উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। অযোধ্যার উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছে তাঁর সরকার। অযোধ্যায় ৩২ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রকল্প বাস্তবায়িত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এর মধ্যে রয়েছে রাস্তাঘাট, রেলপথের উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর, সরযূ নদীর তীরের সৌন্দর্যায়ন এবং উন্নত পর্যটন ব্যবস্থা। প্রসঙ্গত, অযোধ্যা নগরীতে বর্তমানে রাম কথা পার্ক, সরযূ ঘাটের উন্নয়ন বেশ চোখে পড়ে। প্রতিদিন জাঁকজমকপূর্ণভাবে সরযূ মাতার আরতিতে অংশ নেন হাজার হাজার ভক্ত। সারা বিশ্বের হিন্দুদের কাছে আধ্যাত্মিকতার মানচিত্রে অযোধ্যা এক বিশেষ স্থান দখল করেছে।

    এদিন জোরদার ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    প্রসঙ্গত, এদিনের অনুষ্ঠানটিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য বেশ জোরদার করা হয়েছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অযোধ্যার রাম মন্দির এবং আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক নজরদারি চালানো হয়। সেখানে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সন্ত্রাস দমন শাখা, সিআরপিএফ, স্থানীয় পুলিশ মোতায়ন করা ছিল। পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, ব্যাপক নজরদারির মাধ্যমে অযোধ্যাকে এদিন দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত করা হয়েছিল।

  • Noor Khan Airbase: ভারতের হামলায় পর্যুদস্ত নূর খান বিমান ঘাঁটি এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে, পাক সেনার প্রবেশও নিষেধ!

    Noor Khan Airbase: ভারতের হামলায় পর্যুদস্ত নূর খান বিমান ঘাঁটি এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে, পাক সেনার প্রবেশও নিষেধ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানের (Pakistan) নূর খান বিমান ঘাঁটিতে ব্যাপক আক্রমণ চালায় ভারত। এর ফলে, পাকিস্তানের এই অন্যতম বিমান ঘাঁটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবার এক চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এসেছে। একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে পাকিস্তানের ওই বিমান ঘাঁটিটি আদতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইন্টারনেটে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ইমতিয়াজ গুল দাবি করছেন যে বিমান ঘাঁটিটি (Noor Khan Airbase) সম্পূর্ণ মার্কিন নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কোনও পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের ওই বিমান ঘাঁটিতে হস্তক্ষেপ করার অনুমতিও নেই।

    আমেরিকার বিমান ওঠানামা করছে সেখানে! (Noor Khan Airbase)

    ওই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ আরও দাবি করছেন, নূর খান বিমান ঘাঁটিতে প্রতিমুহূর্তেই আমেরিকার বিভিন্ন বিমান দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেই বিমানের মধ্যে কী রয়েছে তার সম্পর্কে কোনও স্পষ্টতা কিছু নেই। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন ওই নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। একটি ভিডিওয় ওই বিশেষজ্ঞ আরও দাবি করেন যে, একদিন যখন মালপত্র নামানো হচ্ছিল, পাক বায়ুসেনার এক শীর্ষ আধিকারিক, মার্কিন মেরিনকে প্রশ্ন করেন যে কার্গোর ভিতরে কী রয়েছে। মার্কিন নৌসেনা সাফ জানায়, তারা কিছু জানাতে পারবে না। জোরাজুরি করতেই, সঙ্গে সঙ্গে তার মাথায় পিস্তল তাক করে ওই মার্কিন সেনা।

    একথা বলার অপেক্ষা রাখে না, পাকিস্তানের (Pakistan) বিশেষজ্ঞের এমন দাবি লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেদেশে। প্রসঙ্গত পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডের চাকলালায় অবস্থিত হল এই নূর খান বিমান ঘাঁটি। এটি পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান বিমান ঘাঁটি।

    ভারতের কাছে মার খাওয়ার পরেও ফিল্ড মার্শাল মুনির

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের (Noor Khan Airbase) সেনাপ্রধান জেনারেল আসিফ মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়েছে। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে। ষাট বছর পরে একজন জেনারেলকে এই পদে উন্নীত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সামরিক দিক থেকে ভারতের কাছে প্রত্যাঘাত খাওয়ার পরে এমন এমন সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান। এক্ষেত্র উল্লেখ করা দরকার ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানে তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসক জেনারেল আয়ুব খান নিজেই নিজেকে ফিল্ড মার্শাল পদে নিযুক্ত করেছিলেন। এটি একটি পদ যা অসাধারণ নেতৃত্ব এবং যুদ্ধকালীন কৃতিত্বের জন্য দেওয়া হয়। কিন্তু ভারতের কাছে মার খাওয়ার পরে মুনির কী ধরনের কৃতিত্ব দেখালেন (Noor Khan Airbase)! সে প্রশ্ন উঠছে।

LinkedIn
Share