Tag: মাধ্যম বাংলা

  • UPI: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার বিরাট সাফল্য! ভিসাকে ছাপিয়ে দৈনিক লেনদেনে বিশ্বের শীর্ষে ভারতের ইউপিআই

    UPI: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার বিরাট সাফল্য! ভিসাকে ছাপিয়ে দৈনিক লেনদেনে বিশ্বের শীর্ষে ভারতের ইউপিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস বা ইউপিআই ব্যবস্থা (UPI) উল্লেখযোগ্য মাইলফলকে পৌঁছেছে। প্রসঙ্গত, নয় বছর আগেই শুরু হয় এই ডিজিটাল পেমেন্ট প্লাটফর্ম। নগদহীন ইউপিআই প্লাটফর্ম বর্তমানে লেনদেনের পরিমাণের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম এবং বড় ডিজিটাল পেমেন্ট নেটওয়ার্ক ভিসাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। ইউপিআইয়ের (UPI) সাফল্য ভারতের বাইরেও ব্যাপকভাবে নজরে পড়ছে। বিশ্বব্যাপী অনেক দেশেই এই প্ল্যাটফর্ম বর্তমানে কাজ চালাচ্ছে। মোদি সরকারের আমলে তৈরি ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচির অন্যতম অংশ ছিল এই ইউপিআই ব্যবস্থা। আজ তা সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছল।

    ইউপিআই ছাপিয়ে গিয়েছে ভিসাকেও

    ইতিমধ্যে যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, ২০২৫ সালের ১ জুন ইউপিআই-এর (UPI) মাধ্যমে ৬৪.৪ কোটি লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ২ জুন ইউপিআই লেনদেনের সংখ্যা পার করে ৬৫ কোটির গণ্ডী, যা ছাপিয়ে গেছে গিয়েছে ভিসার লেনদেনকে। ২০২৪ সালের আর্থিক বছরে ভিসার গড় দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬৩.৯ কোটি। অর্থাৎ যে পরিসংখ্যার সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, বিশ্বের জনপ্রিয়তম ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা ভিসাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারতের ইউপিআই। ভারতের ইউপিআইয়ের (UPI) দৈনিক লেনদেন বর্তমানে ভিসার চেয়ে অনেকটাই বেশি।

    ভিসার (Visa) পরেই রয়েছে মাস্টারকার্ড

    ভিসার পরে স্থান রয়েছে মাস্টার কার্ডের। প্রতিদিন প্রায় ৪৫ কোটি লেনদেন হয় এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। ইতিমধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যে সর্বশেষ তথ্য সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে ডিজিটাল পেমেন্টে ভারতের অংশ ৪৮.৫ শতাংশে পৌঁছেছে। যা মূলত ইউপিআই-এর (UPI) মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে।

    ডিজিটাল পেমেন্টের ৮৫ শতাংশই ইউপিআইয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে

    যে তথ্য সামনে এসেছে সেখানে আরও দেখা যাচ্ছে, টাকার অঙ্কে ভিসা (Visa) এবং মাস্টারকার্ড- এই দুটোকেই ছাপিয়ে গিয়েছে ইউপিআই। ২০২৫ সালের মে মাসে ইউপিআই-এর লেনদেনের মূল্য অন্যান্য সমস্ত কার্ড লেনদেনের থেকে ১২ গুণ বেশি ছিল। পরিসংখ্যান বলছে এই সময়কালে ২৫ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন ইউপিআই-এর মাধ্যমে করা হয়েছিল। ভারতের সমস্ত ডিজিটাল লেনদেনের ৮৫ শতাংশ বর্তমানে ইউপিআইয়ের মাধ্যমেই পরিচালিত হয় বলে জানা গিয়েছে।

  • Amarnath Yatra: আশঙ্কা জঙ্গি হামলার, অমরনাথ পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় এবার ‘অপারেশন শিব’

    Amarnath Yatra: আশঙ্কা জঙ্গি হামলার, অমরনাথ পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় এবার ‘অপারেশন শিব’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরে চলতি বছরের অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দিয়েছে মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, এনিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি নিরাপত্তা বৈঠকও করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের অমরনাথ যাত্রায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কারণে জম্মু-কাশ্মীরে ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের অমরনাথ যাত্রা শুরু হচ্ছে ৩ জুলাই থেকে। এই যাত্রা চলবে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত। সূত্রের খবর, ৩ জুলাই পুণ্যার্থীদের প্রথম বাসটি ছাড়া হবে শ্রীনগর থেকে (Terror Threat)। একারণেই তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না সরকার। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন শিব’।

    সর্বক্ষণের নজরদারি (Amarnath Yatra)

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, দিনকয়েক আগেই (Amarnath Yatra) গত ২৯ মে জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংহের সঙ্গে বৈঠক সম্পন্ন হয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অমরনাথের যাত্রাপথের থ্রিডি ম্যাপিং তৈরি করে ফেলেছে নিরাপত্তাবাহিনী। জানা যাচ্ছে, যাত্রাপথ, বেসক্যাম্প সহ সব ক’টি স্পর্শকাতর এলাকাতেই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সেনা মোতায়েন থাকবে পুণ্যার্থীদের আবাসস্থলগুলিতেও। নজরদারির জন্য সর্বক্ষণ ড্রোন এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে (Terror Threat) বলে জানিয়েছে সেনা। এ ছাড়াও ব্যবহার করা হবে বডি স্ক্যানার এবং সিসিটিভি ক্যামেরা।

    পহেলগাঁওয়ের পরে অপারেশন সিঁদুর

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হয়। হিন্দু পর্যটকদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনার পর ভারত পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ভারত। ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারত। তার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আবহও তৈরি হয়। পাকিস্তানের একাধিক সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। পরে দুই দেশের সংঘর্ষবিরতি হয়।

  • Immunity Power: করোনার চোখরাঙানি বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি?

    Immunity Power: করোনার চোখরাঙানি বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    করোনা প্রকোপ বাড়ছে।‌ দেশ জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কয়েক বছর আগের করোনা অতিমারির স্মৃতি এখনও তাজা। এই রোগের জেরে গত কয়েক বছরে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আক্রান্তের অনেকেই ভয়ঙ্কর ভাবে ভুগেছেন। তাই করোনার দাপট বাড়লেই বাড়তি সতর্কতা তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে সবরকমের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা জরুরি। তবেই করোনার মতো রোগ সহজেই মোকাবিলা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনা রুখতে নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বেড়ে তোলা জরুরি। তাই সেদিকে নজর জরুরি। আর রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়তে ঘরোয়া উপাদানেই (Coronavirus Home Remedies) ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কোন কোন ঘরোয়া উপাদানে ভরসা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণ ঘরোয়া উপাদান অর্থাৎ, ভারতীয় একাধিক মশলা, সব্জি এবং নানান গাছের অংশে ঔষধি উপকার অতুলনীয়। বহু যুগ ধরেই আমাদের আশপাশের একাধিক জিনিসের মধ্যে স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারি উপাদান রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে এবং করোনার মতো জটিল ও কঠিন রোগকে প্রতিরোধ (Immunity Power) করতেও সেগুলো সাহায্য করে। করোনা রুখতে এবং নিজের শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সেই উপাদানের ভরসা করছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, তাঁরা জানাচ্ছেন, দুর্বল শরীরে সংক্রামক রোগ বেশি দ্রুত বাসা বাঁধে। তাই নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি ঠিকমতো থাকলে, আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে।

    চায়ের মতোই রোজ থাকুক ত্রিফলা!

    আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ত্রিফলা খুবই উপকারি। একাধিক রোগের মোকাবিলায় ত্রিফলা সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে করোনা‌ মোকাবিলাতেও (Coronavirus Home Remedies) ত্রিফলা সাহায্য করবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, হরতকি, আমলকি এবং বয়েরা এই তিন ফলকে একসঙ্গে ত্রিফলা বলা হয়। নিয়মিত এই তিন ফল একসঙ্গে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সারা রাত এই তিন ফল ভিজিয়ে রেখে, এর জল সকালে খালি পেটে গেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। আবার এই তিন ফল চায়ের মতোই গরম জলে ফুটিয়ে খেলেও রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই এই তিন ফলের উপকার অনেক। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর পাশপাশি এই তিন ফলে অন্ত্র ঠিক রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।

    হলুদ বাড়তি উপকার দেবে!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হলুদ শরীরের জন্য খুবই উপকারি। বিশেষত রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে হলুদ বাড়তি সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হলুদের মধ্যে কারকিউমিন উপাদান থাকে। এই উপাদানের জেরে শরীরে ইনফ্লেমেশনের প্রবণতা কমে। যেকোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুধে হলুদ মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়া কিংবা রান্নায় নিয়মিত হলুদের ব্যবহার জরুরি। যাতে শরীরে পর্যাপ্ত হলুদ পৌঁছয়। তাহলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়বে।

    সকালে উঠেই প্রথমে কয়েকটি তুলসী পাতা খাওয়া!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তুলসীর গুণ অপরিসীম। নিয়মিত কয়েকটি তুলসী পাতা খেলে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতেও তুলসী খুবই সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতাতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। এর ফলে যেকোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখ রুখতে তুলসী পাতা খুবই উপকারি। করোনার মতো জটিল অসুখের পাশপাশি সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বরের ভোগান্তিও সহজেই কমাতে পারে তুলসী পাতা। তাছাড়া, তুলসী পাতা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভরপুর। তাই নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, সকালে মধুর সঙ্গে তুলসী পাতা মিশিয়ে খেলে সহজেই উপকার পাওয়া যায়। আবার খাওয়ার জলে তুলসী পাতা ফেলে রাখারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত তুলসী পাতা ভেজানো জল খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।

    আদাতে কাবু হবে একাধিক ভাইরাস!

    ভারতীয়দের রান্নাঘরে অত্যন্ত পরিচিত রান্নার উপকরণ হলো আদা। একাধিক রান্নার স্বাদ বাড়াতে প্রায় সব বাড়িতেই আদা ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রান্নার এই উপকরণ স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুব উপকারি। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান। এই দুই উপাদান শরীরে যেকোনও ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই আদা নিয়মিত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। আবার করোনার মতো সংক্রামক রোগের (Coronavirus Home Remedies) ঝুঁকিও কমাবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Tobacco Health Risks: তামাক বাড়াচ্ছে বিপদ! কতখানি প্রাণঘাতী হতে পারে এই অভ্যাস?

    Tobacco Health Risks: তামাক বাড়াচ্ছে বিপদ! কতখানি প্রাণঘাতী হতে পারে এই অভ্যাস?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ‘স্মার্ট’ দেখানোর কৌশল কিংবা আর পাঁচ জনের সামনে ‘আধুনিক’ হিসাবে নিজেকে তুলে ধরার জন্য অনেকেই প্রথম সুখটান দেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নিছক আনন্দ, অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। আর তার জেরেই বাড়ে বিপদ। ধূমপান বা গুটখার মতো তামাকজাত পণ্য সেবনের জেরে একাধিক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে (Tobacco Health Risks)। অনেকক্ষেত্রে তা প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে‌ বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কিন্তু তারপরেও ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তামাক সেবনের প্রবণতা বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে একাধিক সমীক্ষার রিপোর্ট। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী বলছে সাম্প্রতিক তথ্য?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে তামাক সেবনের প্রবণতা বাড়ছে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বয়স ১৪ বছরের চৌকাঠ পেরোলেই অধিকাংশ ভারতীয় ছেলেমেয়েরা ধূমপান করছে। ছেলের পাশপাশি মেয়েদের মধ্যেও ধূমপানের অভ্যাস থাকছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই ছেলেমেয়েরা নিয়মিত ধূমপান করছে। দীর্ঘকাল এই অভ্যাস থাকছে। যার ফলে নানান রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিচ্ছে (Tobacco Health Risks)। ধূমপানের পাশপাশি গুটখা, পানমশলার মতো তামাকজাত পণ্যেও তরুণ প্রজন্মের একাংশ অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। ওই সমীক্ষায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে। তাই প্রশাসনের সর্বস্তরে এবং স্কুলেও এই নিয়ে বাড়তি কর্মশালা জরুরি। ১ জুন ওয়ার্ল্ড নো টোবাকো ডে (World No Tobacco Day)! জুন মাস জুড়ে তাই বিভিন্ন স্তরে চিকিৎসক সংগঠনগুলো তামাক নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি চালানোর পরিকল্পনা করেছে। স্কুলগুলোতে ও নানান কর্মশালা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

    কেন তামাক বিপদ বাড়াচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তামাক সেবনের জেরে দেহের একাধিক রোগের ঝুঁকি বেড়ে চলেছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। হার্ট অ্যাটাকের ঘটনাও গত এক দশকে উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে। দেখা গিয়েছে, ধূমপান করলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ তামাক সেবন। ভারতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে (Tobacco Health Risks)। তামাক সেবন তার অন্যতম কারণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগের সমস্যা বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের তামাক সেবনের অভ্যাস, তার জন্য দায়ী বলেও মনে করছেন একাংশের চিকিৎসক।

    ফুসফুসের সমস্যা এবং সংক্রমণের অন্যতম কারণ তামাক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত এক দশকে ভারতে উল্লেখযোগ্য ভাবে ফুসফুসের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের একাংশ ফুসফুসের লাগাতার সংক্রমণে ভুগছে। নিউমোনিয়ার মতো‌ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। নিউমোনিয়ার জেরে মৃত্যুর সংখ্যাও যথেষ্ট বেড়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ধূমপান ফুসফুসের সংক্রমণের অন্যতম কারণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ধূমপান করলে ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে যায়। ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায় (Tobacco Health Risks)। কম বয়স থেকেই ধুমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে ফুসফুসে জটিল রোগ সহজেই বাসা বাঁধে। এমনকি ফুসফুসের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    তামাক ডেকে আনে বন্ধ্যাত্ব থেকে হরমোনের সমস্যা

    নিয়মিত তামাক সেবন করলে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন। তামাক সেবন তার অন্যতম কারণ বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। তামাক শরীরের নানান হরমোনের নিঃসরণের উপরে সরাসরি প্রভাব ফেলে। এর ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই তামাক সেবন করলে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তামাক মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তামাক সেবন করলে মস্তিষ্কে অসাড়তা তৈরি হয়। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। স্মৃতিশক্তির উপরেও প্রভাব পড়ে। তাই তামাক সেবন শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকারক (Tobacco Health Risks)।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্কুল স্তর থেকে তামাক নিয়ে লাগাতার কর্মসূচি প্রয়োজন। তামাক সেবন থেকে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তামাক সেবন হার্ট অ্যাটাক, কিডনির রোগ এবং নানান সংক্রামক রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। এই সম্পর্কে সর্বস্তরে বারবার জানানো দরকার। স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি হলে তবেই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস কমবে। এর পাশপাশি প্রয়োজন কাউন্সেলিং। স্কুলে স্কুলে বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের বোঝানো‌ দরকার। তাঁদের পরামর্শ, প্রয়োজনে কাউন্সেলিং করা দরকার। বন্ধু মহলে স্মার্ট দেখানো বা নিজেকে আধুনিক প্রমাণের হাতিয়ার অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। বরং ধূমপান একেবারেই একটি খারাপ অভ্যাস। এর সঙ্গে আধুনিকতার কোনো মেলবন্ধন হয় না। এটা বোঝানো এবং প্রচার জরুরি। তামাকের ক্ষতিকারক দিকগুলোর (Tobacco Health Risks) পাশপাশি এই দিক থেকেও বিষয়টি বারবার কম বয়সিদের সামনে তুলে ধরতে হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবেই তামাক সেবন নিয়ে সচেতনতা (Tobacco awareness) গড়ে উঠবে। এর পাশপাশি তামাকজাত পণ্যও যেন স্কুল পড়ুয়াদের কাছে সহজে না পৌঁছয় সে সম্পর্কে প্রশাসনকে সতর্ক হতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • IRCTC: টিকিটের সঙ্গেই বুক করা যাবে ই-প্যান্ট্রির খাবার, পৌঁছে যাবে যাত্রীর সিটে, বড় উদ্যোগ আইআরসিটিসি-র

    IRCTC: টিকিটের সঙ্গেই বুক করা যাবে ই-প্যান্ট্রির খাবার, পৌঁছে যাবে যাত্রীর সিটে, বড় উদ্যোগ আইআরসিটিসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরপাল্লার ট্রেনে সফর অনেকেই করেন। এই সময়ে চিন্তা থাকে খাবার নিয়ে। সমস্ত ভ্রমণকারীর পক্ষে সম্ভব হয়না বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসার। এক্ষেত্রে যাত্রীদের ভরসা করতে হয় ট্রেনের খাবার বিক্রেতাদের ওপরেই। এতদিন পর্যন্ত প্রিমিয়াম ট্রেনে অনলাইনেই খাবার বুক করার সুবিধা পাওয়া যেত। এবার থেকে যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বড় উদ্যোগ নিল আইআরসিটিসি (IRCTC)। জানা যাচ্ছে, এক্সপ্রেস ও মেল ট্রেনের যাত্রীরাও এবার থেকে টিকিট কাটার সময়ই নিজের পছন্দসই খাবার বুক করে নিতে পারবেন। আপাতত বিবেক এক্সপ্রেস ট্রেনে এই পরিষেবা চালু রয়েছে। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে আরও ২৫টি ট্রেনে এই পরিষেবা চালু হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় রেল।

    আরএসি যাত্রীরাও এই পরিষেবার সুবিধা পাবেন (IRCTC)

    দূরপাল্লার ট্রেনে সফর করার সময় অনেকেই খাবারের অতিরিক্ত দাম, নিম্নমান নিয়ে অভিযোগ করে থাকেন। এরপর তাঁদের আর এই অভিযোগ করতে হবে না। যাত্রীদের জন্য দুর্দান্ত ও সুবিধাজনক পরিষেবা দিচ্ছে আইআরসিটিসি (IRCTC)। এক্সপ্রেস ও মেল ট্রেনেও মিলবে ই-প্যান্ট্রির সুবিধা। ডিজিটাল ভাবে আপনি খাবার বুকিং করলে, তা একেবারে পৌঁছে যাবে আপনার সিটে। সবচেয়ে বড় কথা, আরএসি যাত্রীরাও এই পরিষেবার সুবিধা পাবেন। যে সমস্ত ট্রেনে প্যান্ট্রি কারের (E-Pantry) সুবিধা রয়েছে, সেখানেই মিলবে এই পরিষেবা।

    কীভাবে বুক করবেন ই-প্যান্ট্রির খাবার (E-Pantry)?

    টিকিট বুক করার সময় অথবা পরে হিস্ট্রি খুলে সেখানে গিয়ে প্রথমে ই-প্যান্ট্রি অপশনে ক্লি করতে হবে। এরপর আপনি নিজের পছন্দ মতো ডিশ বুক করতে পারবেন।

    বুকিং সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এসএমএস বা ইমেলের মাধ্যমে বুকিংয়ের ভেরিফিকেশন কোড আসবে আপনার ফোন নম্বরে।

    আপনার ভ্রমণের দিন এই কোড দেখানো মাত্র আপনি সিটে বসে অর্ডার করা খাবার পেয়ে যাবেন।

    পেমেন্ট আপনাকে ডিজিটাল মাধ্য়মেই করতে হবে। আইআরসিটিসি-র লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিক্রেতারাই খাবার আপনার সিটে পৌঁছে দিয়ে যাবে। এর জন্য লাগবে না অতিরিক্ত কোনও ফি বা চার্জ (IRCTC)।

  • 2017 OF 201: খোঁজ মিলল সৌর জগতের নয়া সদস্যের! সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ২৫ হাজার বছর

    2017 OF 201: খোঁজ মিলল সৌর জগতের নয়া সদস্যের! সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ২৫ হাজার বছর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌর জগতের (Solar System) নেপচুনের কক্ষপথের ঠিক বাইরে প্ল্যানেট নাইনের অস্তিত্ব সম্পর্কে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন। এই প্ল্যানেট নাইনের পিছনে ছুটতে গিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা এবার একটি নয়া বামন গ্রহ আবিষ্কার করে ফেলেছেন। গ্রহের নাম দেওয়া হয়েছে ‘২০১৭ ওএফ২০১’। নতুন বামন গ্রহ (2017 OF 201) আবিষ্কারের খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ‘নিউ ইয়র্ক টাইম্‌স’-এর একটি প্রতিবেদনে। জানা যাচ্ছে, এই আবিষ্কারের নেপথ্যে রয়েছেন প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিহাও চেং ও তাঁর দুই ছাত্র। যদিও তিন জনের গবেষণার এই এখনও কোথাও প্রকাশিত হয়নি।

    সূর্যকে পরিক্রমা করতে সময় লাগে ২৫ হাজার বছর (2017 OF 201)

    বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ‘২০১৭ ওএফ২০১’ আকারে-আয়তনেও খুব বেশি বড়সড় নয়। এর ব্যাস মাত্র ৪০৩ মাইল (প্রায় ৬৯২ কিলোমিটার)। গবেষকরা বলছেন, অত্যন্ত উপবৃত্তাকার কক্ষপথ ধরে সূর্যের চারপাশে এক বার পরিক্রমা করতে এই বামন গ্রহের সময় লেগে যায় ২৫,০০০ বছর! প্রসঙ্গত, সৌরজগতের শেষ গ্রহ নেপচুন রয়েছে সূর্য থেকে প্রায় ৪৪৭ কোটি কিলোমিটার দূরে রয়েছে (Solar System)। সূর্য থেকে এই বামন গ্রহের দূরত্ব ৬৭৬ কোটি কিলোমিটারেরও বেশি (2017 OF 201)।

    কী বলছেন আবিষ্কারক?

    নয়া বামন গ্রহের আবিষ্কারক (2017 OF 201) তথা প্রিন্সটনের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডির গবেষক চেং বলেন, ‘‘সূর্যের একেবারে শেষ দিকের কক্ষপথে একটি বেশ বড়সড় ট্রান্স-নেপচুনিয়ান বস্তু আবিষ্কার করেছি আমরা।’’ আবিষ্কারে চেংয়েরই সঙ্গে রয়েছেন তাঁর দুই গবেষক ছাত্র জিয়াক্সুয়ান লি এবং এরিটাস ইয়াং-ও। দীর্ঘ সাত বছর ধরে (Solar System) তাঁরা গবেষণা করছেন এনিয়ে। তবে গবেষণার ফলাফল এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি।

    বামন গ্রহ

    সৌরজগতে জ্যোতির্বিজ্ঞান ইউনিয়নের স্বীকৃতি দিয়েছে পাঁচটি বামন গ্রহকে। এগুলি হল- প্লুটো, এরিস, সেরেস, হুমিয়া এবং মেকমেক। এদের মধ্যে ক্ষুদ্রতম সেরেস। আর সবচেয়ে বড়টির নাম প্লুটো। এবার এই বামন গ্রহের পরিবারে যোগ দিল ‘২০১৭ ওএফ২০১’। গবেষকরা জানাচ্ছেন, বামন গ্রহ হলেও ‘২০১৭ ওএফ২০১’-এর মাধ্যাকর্ষণ খুবই বেশি।

  • Heavy Rains: ভারী বৃষ্টিতে ভয়ঙ্কর বন্যা উত্তর-পূর্ব ভারতে, মৃত ৩২, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা অমিত শাহের

    Heavy Rains: ভারী বৃষ্টিতে ভয়ঙ্কর বন্যা উত্তর-পূর্ব ভারতে, মৃত ৩২, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর বাংলাদেশ এবং মেঘালয়ে এক গভীর নিম্নচাপ দেখা দিয়েছে। যার ফলে ভারী বৃষ্টিপাত (Heavy Rains) শুরু হয়েছে। এই ভারী বৃষ্টির ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের পাঁচ রাজ্য অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম এবং অরুণাচল প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত ২৪ ঘণ্টায় এই ভয়ঙ্কর বন্যাতে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অসমে ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে বন্যার কারণে। যার মধ্যে ৫ জন মারা গিয়েছেন গুয়াহাটিতে। অন্যদিকে অরুণাচল প্রদেশের দুটি পৃথক ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এখানে ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যা কবলিত (Devastating Floods) রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের কথা বলেছেন অমিত শাহ।

    ভয়ঙ্কর বন্যা (Heavy Rains)

    অন্যদিকে অরুণাচল প্রদেশেও বন্যার কারণে ভূমিধসে নয় জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আবার উত্তরপূর্ব ভারতের অপর রাজ্য মেঘালয় ভূমি ধস, বজ্রপাত এবং বন্যার জলে ডুবে সাত জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মিজোরাময় একটি হোটেল ধসে পড়ে। এই ঘটনায় মোট ছয় জন মারা গিয়েছেন। যাঁদের মধ্যে তিনজন মায়ানমারের নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। নাগাল্যান্ডে জাতীয় সড়কে ভূমিধস ঘটেছে এবং সেখানে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুয়াহাটি এবং তেজপুরে বিগত মে মাসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে স্কুল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। মণিপুরের প্রতিটি নদী বিপদ সীমার (Devastating Floods) উপরে বইছে বলে জানিয়েছে সরকার।

    সমাজমাধ্যমে পোস্ট অমিত শাহের

    জানা গিয়েছে, সিকিমের একটি সেনা ঘাঁটিতেও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে এবং তিন জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে (Heavy Rains) । ৬ জন সেনা সদস্য এখনও নিখোঁজ। উত্তর পূর্ব ভারত জুড়ে বৃষ্টিপাতের ফলে এই ভয়ঙ্কর বন্যার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনা, অসম রাইফেলস ও  মণিপুর ফায়ার সার্ভিস বন্যা অধ্যুষিত জেলাগুলিতে অভিযান শুরু করেছে। বিগত তিন দিনে এখনও পর্যন্ত দেড় হাজার জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে, এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নিজের সমাজ মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লিখেছেন যে নরেন্দ্র মোদি সরকার উত্তর-পূর্ব ভারতের জনগণের সঙ্গে পাথরের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে ২ হাজারেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশিকে

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে ২ হাজারেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৭ মে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর থেকে ২০০০-এরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশিকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই খবর প্রকাশিত হয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, একই সময়ে যারা অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করতে চেয়েছিল, তারাও ফিরে গিয়েছে বাংলাদেশে। অর্থাৎ বাংলাদেশি তাড়াও অভিযান অনুপ্রবেশের চেষ্টাকেও বড়সড় ধাক্কা দিতে পেরেছে। ওই সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং অসম-এই রাজ্যগুলি লাগোয়া যে বাংলাদেশে সীমান্ত রয়েছে, সেখানে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে (Bangladeshi Illegal Immigrant)।

    পহেলগাঁও হামলার পরেই শুরু হয় ব্যাপক অভিযান (Operation Sindoor)

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পরেই অভিযানে নামে গুজরাট পুলিশ। পহেলগাঁও হামলার দিন কয়েক পরেই গুজরাট থেকে ৫৫০ জনের বেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করে পুলিশ। ভারতে থাকার কোনও বৈধ নথি না দেখাতে পারার কারণে তাদেরকে আহমেদাবাদ এবং সুরাট থেকে আটক করে গুজরাট পুলিশ। একইসঙ্গে দিল্লি এবং হরিয়ানাতেও বিপুলসংখ্যক অবৈধ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে খবর। দুদিন আগেই রাজধানী দিল্লিতে আরও ৩৮ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা হয়েছে। দিল্লিতে বসতি স্থাপনের আগে এই বাংলাদেশিরা হরিয়ানার নুহ এবং বিহারে থাকত বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, রাজস্থান থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের আটক করার খবরও সামনে এসেছে। প্রসঙ্গত এ নিয়ে এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক বলেন, ‘‘এই অবৈধ বাংলাদেশি চিহ্নিত করে পুনরায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছেই। সাধারণভাবে যে সমস্ত রাজ্যে অর্থনৈতিকভাবে কর্মকাণ্ড বেশ ভালো (Bangladeshi Illegal Immigrant)। সেখানেই নথিপত্র যাচাইয়ের পর এই ধরনের অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরা হচ্ছে। গত এপ্রিল মাসে পহেলগাঁও হামলার পরেই এই প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে শুরু করা হয়।

    বায়ুসেনার বিমানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিএসএফ ক্যাম্পে

    অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পরে তা আরও গতি পেয়েছে অপারেশন সিঁদুরের পরে অভিযান প্রথম চালানো হয় গুজরাটে। বাকি আরও অন্যান্য রাজ্যগুলিতে খুব শীঘ্রই শুরু হবে অভিযান।’’ জানা যাচ্ছে, এই সমস্ত অবৈধ বাংলাদেশিদের বিভিন্ন স্থান থেকে তুলে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সীমান্তে বিএসএফের অস্থায়ী ক্যাম্পে তাদেরকে রাখা হচ্ছে। পরে তাদেরকে হস্তান্তর করা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুসারে, তাদেরকে খাবার এবং কিছু বাংলাদেশি (Bangladeshi Illegal Immigrant) মুদ্রাও সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে।

    আটক হওয়ার ভয়ে অনেকে আবার স্বেচ্ছায় ভারত ছাড়ছে

    ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং অসমের সীমান্তে সংঘটিত- এই অভিযান নিয়ে সরকারি একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘‘বেশ কিছু ধারণা রয়েছে যে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে অবৈধ বাংলাদেশিদের চিহ্ণিত ও বিতাড়িত করতে। কিন্তু তা একেবারেই সত্য নয়। মেঘালয়ে বিজেপি সে অর্থে একটি ছোট শক্তি। এই রাজ্যকেও বেছে নেওয়া হয়েছে।’’ আরও একজন সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো অভিযানের খবর সামনে এসেছে। এর ফলে ভারতের অন্যান্য রাজ্যে (Operation Sindoor) যে সমস্ত অবৈধ বাংলাদেশি রয়েছে, তারা আটক হওয়ার ভয়ে স্বেচ্ছাতেই দেশ ছেড়ে যাচ্ছে।

    আটক হওয়ার পরে বাংলাদেশিদের সীমান্ত থেকে ফেরত নিচ্ছে তাদের আত্মীয়রা

    এক সরকারি আধিকারিক এ নিয়ে বলেন, ‘‘যে সমস্ত অবৈধ বাংলাদেশিদের আটক করা হচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই বিরোধিতা করছে না। তারা নিজেদের দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক। আটক হওয়ার পরে তাদেরকে সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই তারা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদেরকে ফোন করছে। তাদের আত্মীয়-স্বজনরা তাদেরকে সেখানে নিতে আসছে। অবৈধ বাংলাদেশিরা জানে, এভাবে যদি তারা না যায় তাহলে সেক্ষেত্রে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হবে। বেশির ভাগই দরিদ্র শ্রমিক রয়েছে। যাদের আইনি লড়াই করার কোনও উপায় নেই। তাই তারা নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পছন্দ করছে।

    ফের ফেরত আসতে পারে এই অবৈধ বাংলাদেশিরা (Bangladeshi Illegal Immigrant)

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমনিতেই রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে ফের একবার অস্থিরতা শুরু হয়ে যেতে পারে যদি এই বিপুল সংখ্যক অবৈধ নাগরিক প্রতি সপ্তাহেই সে দেশে ফিরে যায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অবৈধ বাংলাদেশিদের এভাবে ফেরত পাঠানোটা হচ্ছে অস্থায়ী সমাধান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, পরবর্তীকালে এই অনুপ্রবেশকারীদের ফের ভারতে ফিরে আসার সম্ভাবনাও থেকে যাচ্ছে। সে কারণেই এই অবৈধ বাংলাদেশিদের বায়োমেট্রিক ছাপ নেওয়ার দিকেই সরকার নজর দিয়েছে। যাতে এদের প্রকৃত তথ্য সরকারের কাছে থাকে।

  • Red Road: ব্যবহৃত হবে সামরিক প্রয়োজনে, এবছর রেড রোডে ইদের নামাজ নয়, জানিয়ে দিল সেনা

    Red Road: ব্যবহৃত হবে সামরিক প্রয়োজনে, এবছর রেড রোডে ইদের নামাজ নয়, জানিয়ে দিল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর ইদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার রেড রোডে (Red Road)। এবার সেই জমায়েত ঘিরেই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। চলতি বছরে রেড রোডে ইদ-উজ-জোহা (৭-৮ জুন) জমায়েত আয়োজনের অনুমতি দিল না সেনাবাহিনী। ফোর্ট উইলিয়ামের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি)-র তরফে এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, ওই সময়ে রেড রোড ও সংলগ্ন অঞ্চল সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহৃত হবে। এর ফলে, ইদের (Red Road) জমায়েতের অনুমতির আবেদন নাকচ করা হয়েছে।

    কী বললেন কলকাতা খিলাফত কমিটির সভাপতি?

    এনিয়ে কলকাতা খিলাফত কমিটির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খানের বিবৃতি সামনে এসেছে। রবিবার তিনি বলেন, ‘‘আমরা চিঠি পেয়েছি। বৈঠক ডাকা হয়েছে। এরপর কমিটির সদস্যরাই সিদ্ধান্ত নেবেন কী পদক্ষেপ করা হবে।’’ প্রসঙ্গত, মহম্মদ আলি, মৌলানা শওকত আলি ও মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে যে খিলাফত-আন্দোলন গড়ে উঠেছিল সেই স্মৃতিতেই চলে খিলাফত কমিটি। এই কমিটির কমিটির তরফেই বড় দুই ইদের নমাজের আয়োজন করা হয় রেড রোডে। তবে এবার সেনাবাহিনীর (Indian Army) এই সিদ্ধান্তের ফলে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এখন দেখার সেনার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খিলাফত কমিটি আদালতের দ্বারস্থ হয় কিনা।

    ১০ মে আবেদন করে কমিটি, সেনার জবাব আসে ৩১ মে

    রেড রোডের (Red Road) দীর্ঘ রাস্তায় প্রতি বছর রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে লক্ষাধিক মানুষ একসঙ্গে ইদের নামাজের জন্য জড়ো হন। প্রোটোকল অনুযায়ী, কলকাতা খিলাফত কমিটি ১০ মে ইদের নামাজের জন্য অনুমতি চায়। এরপরে সেনাবাহিনী (Indian Army) তরফ থেকে জবাব আসে ৩১ মে এবং সেখানেই তাদের এই আবেদনকে নাকচ করা হয়। রেড রোডে বহু বছর ধরেই ইদের নামাজ চলে এবং বিরাট সংখ্যায় জমায়েতে হাজির থাকতে দেখা যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নেত্রীদেরও।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইদের নামাজের ওই জমায়েতে হাজির থাকেন।

  • Mujibur Rahman: মুজিব-বিরোধিতায় মরিয়া ইউনূস, এবার বাংলাদেশের নোট থেকে সরল বঙ্গবন্ধুর ছবি

    Mujibur Rahman: মুজিব-বিরোধিতায় মরিয়া ইউনূস, এবার বাংলাদেশের নোট থেকে সরল বঙ্গবন্ধুর ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুছে ফেলার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে ইউনূস সরকার। হাসিনা সরকারে পতনের পর থেকেই বঙ্গবন্ধু (Mujibur Rahman) বিরোধী একাধিক অবস্থান সামনে এসেছে ইউনূস জমানায়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর পৈত্রিক ভিটেমাটি। বঙ্গবন্ধুকে পাঠ্যক্রম থেকে মুছে ফেলাও হয়েছে। এবার বাংলাদেশের মুদ্রা থেকেও তাঁকে সরিয়ে ফেলল ইউনূস সরকার।

    উঠছে প্রশ্ন (Mujibur Rahman)

    রবিবার ১ জুন বাংলাদেশে (Bangladesh) নতুন ব্যাঙ্ক নোট প্রকাশিত করে ইউনূস সরকার। টাকা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (Mujibur Rahman) ছবি একেবারেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বদলে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান, বিভিন্ন ল্যান্ডমার্ক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি। বাংলাদেশের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক এই নতুন নোট প্রকাশের পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দেশের মুদ্রায় বদল আনার মতো বড় পদক্ষেপ করার ক্ষমতা একমাত্র নির্বাচিত সরকারের আছে। সেই স্থানে রয়েছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার। তারা কীভাবে মুদ্রার ছবি বদলে ফেলতে পারে?

    কী বলছেন ব্যাঙ্ক কর্তা?

    প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সমস্ত মুদ্রায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছিল। ১৯৭১-র মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর (Mujibur Rahman) আত্মত্যাগকে স্মরণে রাখতেই এমনটা করা হয়েছিল। তবে বাংলাদেশে এখন নতুন শাসন ব্যবস্থা। এতেই এল নতুন নিয়ম। এনিয়ে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “নতুন সিরিজ ও ডিজাইনের অধীনে এবার থেকে আর কোনও ব্যক্তির ছবি থাকবে না, বরং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও ঐতিহ্যবাহী স্থানের ছবি থাকবে।” বাংলাদেশের নতুন ধর্মীয় স্থানের পাশাপাশি প্রয়াত চিত্রশিল্পী জাইনুল আবেদিনের আঁকা ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলার ছবিও তুলে ধরা হয়েছে।

    খালেদা জিয়ার জমানাতেও বদলেছিল ছবি

    বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত বঙ্গবন্ধুর (Mujibur Rahman) ছবি থাকা নোটগুলি বাতিল করা হচ্ছে না। তা কার্যকর থাকবে। তবে ব্যাঙ্ক আর নতুন করে বঙ্গবন্ধুর ছবি সহ নোট ছাপাবে না। প্রসঙ্গত, এটাই নতুন বা প্রথম নয়, এর আগে খালেদা জিয়ার দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি বা বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তখনও বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো হয়েছিল ব্যাঙ্ক নোটে।

LinkedIn
Share