Tag: মাধ্যম বাংলা

  • PM Modi: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর প্রথমবার বিদেশ সফরে মোদি, যাবেন কানাডা সমেত ৩ দেশ

    PM Modi: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর প্রথমবার বিদেশ সফরে মোদি, যাবেন কানাডা সমেত ৩ দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর প্রথমবার বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। আগামী ১৫ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত তিনি সাইপ্রাস, কানাডা এবং ক্রোয়েশিয়া সফর করবেন। সফরের মূল উদ্দেশ্য—কানাডায় জি-৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং সাইপ্রাস ও ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা।

    প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সাইপ্রাস সফরে যাচ্ছেন

    বিদেশমন্ত্রকের প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, ১৫ জুন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) সাইপ্রাসের রাজধানী নিকোসিয়া পৌঁছাবেন। এই দেশের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডুলিডিসের আমন্ত্রণে এই প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সাইপ্রাস সফরে যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদি বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতেও যোগদান করবেন। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে (Operation Sindoor), ভারত-সাইপ্রাস সম্পর্কের উন্নয়ন ছাড়াও এই সফর ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের পারস্পরিক অংশীদারিত্ব জোরদার করার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।

    সাইপ্রাস সফরের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি পৌঁছাবেন কানাডা

    সাইপ্রাস সফরের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) পৌঁছাবেন কানাডা। ১৬ ও ১৭ জুন কানাডার কানানাস্কিস শহরে আয়োজিত জি-৭ সম্মেলনে তিনি অংশ নেবেন। খালিস্তান-সংক্রান্ত ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে এই সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির আমন্ত্রণেই তিনি সেদেশে যাচ্ছেন। দুই নেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই বৈঠক থেকেই ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি হতে পারে।

    প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্রোয়েশিয়া সফর করছেন

    ১৭ জুন কানাডা সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) রওনা হবেন ক্রোয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে। তিনিই হতে চলেছেন প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্রোয়েশিয়া সফর করছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচের আমন্ত্রণে এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সফরের সময় মোদি ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই আলোচনায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় সংক্রান্ত সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

  • Formal Job Market: মে মাসে ভারতে চাকরির বাজার বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৯ শতাংশ, বলছে রিপোর্ট

    Formal Job Market: মে মাসে ভারতে চাকরির বাজার বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৯ শতাংশ, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালে এ দেশে চাকরি (Formal Job Market) ৮.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ৮ মাসের চাকরির বাজারে যে মন্দা দেখা দিয়েছিল, সেদিক থেকে দেখতে গেলে মে মাসে এই বৃদ্ধি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। জানা গিয়েছে, করোনা অতিমারির আগের তুলনায় চাকরির যে বাজার ছিল, তার থেকেও আশি শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বর্তমান বাজার, যা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। এনিয়ে রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে একটি চাকরি সংক্রান্ত পোর্টাল ‘ইনডিড’।

    অন্যান্য দেশের থেকে এগিয়ে ভারত (Formal Job Market)

    জানা যাচ্ছে, বর্তমান সময়ে এদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগও বেড়েছে চাকরির ক্ষেত্রে এবং তা প্রতিবছর দ্বিগুণ হারে বাড়ছে (Formal Job Market)। এর সবচেয়ে বেশি ব্যবহার দেখা যাচ্ছে কর্নাটক এবং তেলঙ্গানায়। প্রাক-করোনা পর্বের তুলনায় চাকরির বাজার ৮০ শতাংশ এই বৃদ্ধি কেবল ভারতের ক্ষেত্রেই হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত অনেক এগিয়ে রয়েছে এক্ষেত্রে। ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড, সুইৎজারল্যান্ডের মতো বেশ কয়েকটি দেশে চাকরির বাজার বর্তমানে কমই দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ, করোনা অতিমারির আগে এই দেশগুলোতে যে চাকরির বাজার ছিল, বর্তমানে সেই তুলনায় কোনও বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু তুলনা করলে ভারতের চাকরির বাজার খুবই ভালো (India)।

    বিগত তিন মাসে যে সমস্ত ক্ষেত্রগুলিতে চাকরি বেড়েছে, সেগুলি হল-

    চাইল্ড কেয়ার সেক্টরে ২৭ শতাংশ,
    পার্সোনাল কেয়ার অ্যান্ড হোম হেলথ, এই সেক্টরে ২৫ শতাংশ
    এডুকেশন বা শিক্ষাক্ষেত্রে, ২৪ শতাংশ
    উৎপাদন ক্ষেত্রে ২২ শতাংশ

    অন্যদিকে সফটওয়্যারের ক্ষেত্রেও বেশ ভালোই চাকরির সুযোগ দেখা গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে প্রায় প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজন ভারতীয় (India) চাকরি করেন সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে।

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার (Formal Job Market)

    অন্যদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Formal Job Market) ব্যবহার চাকরি ক্ষেত্রে যে রাজ্যগুলিতে বেড়েছে, সেগুলি হল তেলঙ্গানা, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্র। তেলেঙ্গনায় ২.৩ শতাংশ চাকরির ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে ১ শতাংশ চাকরির ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উল্লেখ করা হয়েছে ও কর্নাটকে ২.৪% চাকরির ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উল্লেখ করা হচ্ছে।

  • Mango: ওজন বাড়িয়ে দেয় আম! আমের স্বাদ কি বিপদ বাড়াবে ডায়াবেটিস রোগীদের?

    Mango: ওজন বাড়িয়ে দেয় আম! আমের স্বাদ কি বিপদ বাড়াবে ডায়াবেটিস রোগীদের?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমের মরশুম! তীব্র গরম রাজ্য জুড়ে। তাপমাত্রার উর্ধ্বমুখী গ্রাফ অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যে বাঙালির রসনাতৃপ্তির উপকরণ রয়েছে! পাকা আমের (Mango) মিষ্টি সুবাসে মন ভালো হয় না, এমন বাঙালি প্রায় নেই। গরমকালের যাবতীয় কষ্ট অনেকটাই বাঙালি সহ্য করে নেন বছরের ‘সেরা’ ফলের স্বাদে! কিন্তু নিয়মিত পাকা আম খাওয়া কতখানি উপকারি? বিশেষত ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য কতটা বাড়তি বিপদ বাড়ায় আম (Mango Eating Risks)? আবার তরুণ প্রজন্মের একাংশ এখন স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। তাঁদের জন্য নিয়মিত পাকা আম খাওয়া কি বাড়তি বিপদ তৈরি করছে না, এমন অনেক প্রশ্নের জেরেই আম খাওয়া নিয়ে ভ্রু কুঁচকে যাচ্ছে! বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মরশুমের এই ফল নিয়মিত খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। স্বাদের পাশপাশি স্বাস্থ্যের খেয়াল না রাখলে বিপদ বাড়বে।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য আম কতখানি বিপদ বাড়াতে পারে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আমে প্রচুর পরিমাণে শর্করা এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য আম যথেষ্ট বিপজ্জনক হতে পারে (Mango Eating Risks)। কিন্তু কিছুটা সতর্কতা নিয়ে চললে, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের পাকা আমের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে হবে না। তাঁরা জানাচ্ছেন, পাকা আমে যে শর্করা থাকে, তা প্রক্রিয়াজাত নয়। অর্থাৎ, চিনি, কেক, ময়দা শরীরে যে ধরনের ক্ষতি করে, পাকা আম (Mango) তেমন ক্ষতিকারক নয়। তাই পরিমিত পরিমাণে পাকা আম খেলে অসুবিধা হবে না। তবে মনে রাখা জরুরি, পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে। একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত কখনই সপ্তাহে সাতদিন একটা করে পাকা আম খেতে পারেন না। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, সপ্তাহে তিন দিন এক-দু টুকরো পাকা আম খাওয়া যেতে পারে।

    পাকা আম (Mango) কি ওজন বাড়িয়ে দেয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পাক আমে কার্বোহাইড্রেট থাকে। তাই নিয়মিত অত্যন্ত বেশি পরিমাণে পাকা আম খেলে ওজন বেড়ে যায়। বিশেষত যারা নিয়মিত শারীরিক কসরত করেন না, দিনের দীর্ঘ সময় বসে থাকেন, তাঁরা প্রত্যেক দিন পাকা আম খেলে খুব তাড়াতাড়ি স্থূলতার সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আম খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে নজর দেওয়া উচিত। ডায়াবেটিস বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলেও, নিয়মিত একাধিক পাকা‌ আম খাওয়া উচিত নয়। এতে শরীরে ওজন বাড়ার পাশপাশি হজমের সমস্যাও হতে পারে।

    কীভাবে পাকা আম খেলে বিপদের ঝুঁকি কমবে?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পাকা আম খাওয়ার সময় কয়েকটি বিষয় নজরে রাখা জরুরি। তবেই ডায়াবেটিস আক্রান্ত কিংবা ওবেসিটি আক্রান্তের ঝুঁকিও তৈরি হবে না। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সকালে খুব হালকা খাবার খাওয়ার পরে কখনই পাকা আম খাওয়া উচিত নয় (Mango Eating Risks)। তাঁদের পরামর্শ, ভারি খাবার খাওয়ার পরে আম খেলে‌ বিপদের ঝুঁকি কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব অল্প পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট জাতীয় খাবার ব্যালেন্স করে খাওয়ার পরে এক থেকে দুই টুকরো পাকা আম খাওয়া যায়। এতে শরীরে বাড়তি বিপদ তৈরির ঝুঁকিও কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, আমে থাকে প্রাকৃতিক শর্করা। তাই খালি পেটে আম খেলে শরীরে দ্রুত শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কা থাকে। ব্যালেন্স ডায়েটের পরে আম খেলে, সেই ঝুঁকি কমে।

    ডায়াবেটিস কিংবা ওবেসিটির মতো সমস্যা থাকলে আম নিয়মিত খাওয়া উচিত নয় (Mango Eating Risks) বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, সপ্তাহে তিন দিনের বেশি আম খাওয়া উচিত নয়। আর আম খেলে ভাত ও রুটির পরিমাণের ক্ষেত্রে বাড়তি সজাগ থাকা দরকার। কারণ একসঙ্গে কার্বোহাইড্রেট কতখানি শরীরে পৌঁছচ্ছে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। গরমে অনেকেই শারীরিক কসরত নিয়মিত করেন না। স্থূলতার সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। তাই আমের স্বাদ পেতে চাইলে শারীরিক কসরত নিয়মিত করতে হবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ক্যালোরি বার্নের দিকে নজর রাখতে হবে। নিয়মিত হাঁটাচলা করা, শারীরিক কসরত করলে আম (Mango) খেলেও ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কিছুটা কম হবে। ডায়বেটিস ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Indian Railways: পরমাণু বিদ্যুতে গড়াবে ট্রেনের চাকা! রুশ সংস্থা তৈরি করবে পরমাণু চুল্লি, বড় উদ্যোগ রেলের

    Indian Railways: পরমাণু বিদ্যুতে গড়াবে ট্রেনের চাকা! রুশ সংস্থা তৈরি করবে পরমাণু চুল্লি, বড় উদ্যোগ রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অদূর ভবিষ্যতে পারমাণবিক বিদ্যুতে চলবে রেল!  রেল মন্ত্রকের (Indian Railways) অধীনস্থ সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল), বিশেষ কয়েকটি রেল প্রকল্পে এই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। এই উদ্দেশ্যে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনাও সেরে ফেলেছে আরভিএনএল। জানা যাচ্ছে, রেল প্রকল্পের জন্য রুশ পারমাণবিক শক্তি (Nuclear Reactor) সংস্থা ‘রসাটোম’-এর সঙ্গে কথাবার্তা চলছে ভারতীয় রেলের। এই রেল প্রকল্পগুলিতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রসাটোম সংস্থা ছোট পরমাণু চুল্লি বা স্মল মডিউলার রিঅ্যাকটর (SMR) নির্মাণ করবে। প্রাথমিকভাবে চারটি প্রকল্পের জন্য এই রিঅ্যাক্টর ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    এসএমআর (স্মল মডিউলার রিঅ্যাক্টর) নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা কেন?

    কিন্তু এই ধরনের এসএমআর (স্মল মডিউলার রিঅ্যাক্টর) নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা কেন? আসলে এসএমআর হল একটি উন্নত প্রযুক্তির পরমাণু চুল্লি, যা প্রতিটি ইউনিটে প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। এর অন্যতম বড় সুবিধা হল, এটি স্থাপন করতে তুলনামূলকভাবে অনেক কম জায়গার প্রয়োজন হয় এবং নিরাপত্তার দিক থেকেও এটি অনেক উন্নত। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে রেলের মতো বৃহৎ পরিবহণ ব্যবস্থাকে কার্বনমুক্ত করার পথে বড় পদক্ষেপ হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেলকে সম্পূর্ণভাবে কার্বন-মুক্ত করার লক্ষ্যে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে এসএমআর-এর ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে (Indian Railways)।

    রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের কর্মকর্তা কী বলছেন?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বড় বা মেগা প্রকল্পগুলিতে জ্বালানির যে বিপুল চাহিদা থাকে, তা পূরণ করতে স্বল্প জায়গার মধ্যে এসএমআর গড়ে তোলা হয়। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের (Indian Railways) মূল লক্ষ্য হল, জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে পরমাণু শক্তির মতো বিকল্প শক্তির উৎসকে কাজে লাগানো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই এসএমআর-এর মতো প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট অধিবেশনেও এই বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। বাজেটে ‘পারমাণবিক শক্তি মিশন’-এর কথা ঘোষণা করা হয়, যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পারমাণবিক শক্তির গবেষণা, উন্নয়ন ও ব্যবহার বাড়ানো।

    লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) কার্বনমুক্ত করা

    রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রসাটোমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাজেটে (Nuclear Reactor) পরমাণু শক্তির ব্যবহারের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেলকে কার্বনমুক্ত করা যায়। এসএমআর একটি অত্যাধুনিক পরমাণু রিঅ্যাকটর, যা প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম এবং এটি স্থাপন করতে তুলনামূলকভাবে কম জায়গার প্রয়োজন হয় বলে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন।

    পুরো পরিকল্পনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে

    যদিও পুরো পরিকল্পনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। রাশিয়ান দূতাবাসের শীর্ষ আধিকারিকরাও ইতিমধ্যে রেল মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ, ভানুপালি-বিলাসপুর, যবতমাল-নানদেদ এবং ইন্দোর-বুধনি, এই চারটি প্রকল্পের জন্য নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটর ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। রসাটোম সংস্থা মোট ৮টি রিঅ্যাকটর তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে।

    রেল বিকাশ নিগমের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাশিয়ার সংস্থা ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে, যা রেলওয়ে ট্রাকশনের জন্য ব্যবহৃত হবে। তিনি আরও বলেন, “যদি সবকিছু পরিকল্পনামতো এগোয়, তাহলে ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ, ভানুপালি-বিলাসপুর, যবতমাল-নানদেদ এবং ইন্দোর-বুধনি রেললাইনের জন্য এই প্রযুক্তি বাস্তবায়িত হবে।” তিনি এও জানান, ট্রেন পরিচালনার জন্য বহু সাবস্টেশন নির্মাণ করতে হবে এবং সেইসঙ্গে ট্রান্সমিশন লাইন বসানোর প্রয়োজন হবে। প্রতিটি প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য খরচ হবে বলেও জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।

    মোদি সরকারের লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে ১০০ গিগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন

    প্রসঙ্গত, এই চারটি প্রকল্পকে নতুন রেললাইন সম্প্রসারণ ও বৃহত্তর রেল প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেললাইন। উল্লেখ্য, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে ‘পারমাণবিক শক্তি মিশন’-এর কথা বলা হয়। এই মিশনের আওতায় ছোট মডিউলার রিঅ্যাক্টর (SMR) এবং গবেষণা ও উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই মিশনের জন্য ২০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে ৫টি এসএমআর নির্মাণ এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে ১০০ গিগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্য পূরণ হলে ভারত পারমাণবিক শক্তি মিশনে অনেকটাই এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Bangladesh: কবিগুরুর পৈতৃক বাড়িতে হামলা! কড়া প্রতিক্রিয়া দিল্লির, চাপে পড়ে তদন্ত শুরু বাংলাদেশের

    Bangladesh: কবিগুরুর পৈতৃক বাড়িতে হামলা! কড়া প্রতিক্রিয়া দিল্লির, চাপে পড়ে তদন্ত শুরু বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এপার বাংলাতেও ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শনিবারই এই ইস্যুতে রাস্তায় নামে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে (MEA) বলেন, ২০২৫ সালের ৮ জুন একদল দুষ্কৃতী গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। বাংলাদেশে কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত ভবনে এই হামলা আসলে চরমপন্থীদের দ্বারা সহনশীলতার প্রতীকগুলিকে মুছে ফেলার আরও একটি উদাহরণ। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ঢাকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের সরকার যেন এই হামলার সঙ্গে জড়িত দোষীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং এমন কঠোর পদক্ষেপ করে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের ঘটনা

    প্রসঙ্গত, ঘটনাটি ঘটে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে। এখানেই অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়ি। বর্তমানে এই বাড়ি জাদুঘর হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। গত রবিবার সেখানে মোটরসাইকেলের পার্কিং ফি নিয়ে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ও কিছু দর্শনার্থীর মধ্যে বচসা বাধে। পরে সেখান থেকেই মারপিট হয়। এরপর মঙ্গলবার স্থানীয় একদল লোক জড়ো হয় কবিগুরুর ওই বাড়ির সামনে। যারা সংখ্যায় ছিল ৫০-৬০ জন। এরপরেই বিক্ষোভের নামে জাদুঘরে হামলা চালানো হয়। জানালা-দরজা এবং আসবাবপত্রে ভাঙচুর করা হয় (MEA)।

    চাপে পড়ে পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি ইউনূস সরকারের

    অবশেষে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়ে ইউনূস সরকার। এই আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকেও বিবৃতি জারি করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ সরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভাষা ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গণ্য করে। দেশের মানুষ তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা জানায়। রবীন্দ্রনাথের পৈতৃক সম্পত্তিতে ঘটে যাওয়া এই অনভিপ্রেত ঘটনার পরই প্রশাসন তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ করেছে।”

    তিন সদস্যের কমিটি গড়েছে বাংলাদেশ সরকার

    প্রসঙ্গত, ঘটনার পরে বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে এবং এই কাজে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই পৈতৃক বাড়ি, যা বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়, সেটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনজন সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পরেই এই তিন সদস্যের কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দেবে।

    কী বলছেন কছারি বাড়ির কর্মী হাবিবুর রহমান?

    অন্যদিকে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই কাছারি বাড়ির দেখভাল করেন যিনি, সেই হাবিবুর রহমান এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনার পরে কাছারি বাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, ভারত সরকারের প্রবল চাপ এবং আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েই ইউনূস সরকার এমন পদক্ষেপ করতে বাধ্য হচ্ছে।

    তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ধামি

    অন্যদিকে, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই যে এই ঘটনার রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে, এমনটা নয়। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাসস্থানের উপর এই হামলাকে তিনি মর্মান্তিক এবং অনভিপ্রেত বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন যে, এই ঘটনায় ইউনূস সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতেই সংঘটিত হয়েছে। ভাঙচুরের থেকেও বড় কিছু হয়েছে এই ঘটনা, এমনই মত প্রকাশ করছেন তিনি এবং এই ঘটনা যে পূর্বপরিকল্পিত, তাও তিনি জানিয়েছেন নিজের বিবৃতিতে। ভারতের সভ্যতা, চেতনা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপর এই আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

    ১৮৪০ সালে এই বাড়ি কিনেছিলেন কবিগুরুর পিতামহ

    গবেষকরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই কাছারি বাড়ি, যা বর্তমানে রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর নামে পরিচিত, তা কিনেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদু প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। সেটি ছিল ১৮৪০ সাল—অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের আগেই কেনা হয়েছিল ওই বাড়ি। পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রায়শই ওই স্থানে যেতেন। এ বাড়ি নিয়ে তিনি একদা তাঁর নিজের ভাগ্নি ইন্দিরা দেবীকে একখানি চিঠি লেখেন। সেখানে কবিগুরু লিখেছিলেন, “আমি অন্য যে কোনও জায়গার চেয়ে এখানে বসে লিখতে অনেক বেশি প্রেরণা পাই।”

    ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত ওই বাড়িটি

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই কাছারি বাড়ি, যা বর্তমানে রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর নামে পরিচিত, তা ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত। এখানেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত পাণ্ডুলিপি, ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সমেত আরও অন্যান্য অনেক কিছু। বর্তমানে এটি একটি সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠেছে। আর এই উনিশ শতকের ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রের ওপরেই ইউনূস জমানার বাংলাদেশে (Bangladesh) মৌলবাদীরা হামলা চালাল।

  • Israel: ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রীর ফোন জয়শঙ্করকে, ইরানের সঙ্গেও কথা দিল্লির

    Israel: ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রীর ফোন জয়শঙ্করকে, ইরানের সঙ্গেও কথা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরান ও ইজরায়েলের (Israel) যুদ্ধের আবহে দুই দেশের প্রতিনিধির সঙ্গেই কথা বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শুক্রবারই তিনি দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে মধ্যরাতে সামাজিক মাধ্যমে দুটি পোস্ট করেন জয়শঙ্কর। নিজের পোস্টে তিনি জানান, ইজরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার তাঁকে ফোন করেন। পরে আরেকটি পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন যে, ইরানের বিদেশমন্ত্রী সৈয়াদ আব্বাস আরাগচির সঙ্গেও তাঁর ফোনে কথা হয়েছে।

    নয়া দিল্লি জানিয়েছে, গোটা ঘটনাপ্রবাহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে

    প্রসঙ্গত, ইজরায়েল (Israel) ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের সামরিক অভিযান চালায়। এর জেরে পশ্চিম এশিয়ায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ওই হামলায় ইরানের বহু সামরিক কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তারা গোটা ঘটনাপ্রবাহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। দিল্লি দুই দেশকেই যেকোনও রকম উত্তেজনামূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছে। শুক্রবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়।

    ইরানে (Iran) ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ

    অন্যদিকে, ইরান-ইজরায়েলের (Israel) এই উত্তেজনার আবহে ইরানে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে নয়াদিল্লি। তেহরানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেখানকার ভারতীয়দের যেন ভারতীয় দূতাবাসের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল ফলো করার অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে তারা প্রয়োজনীয় সব আপডেট পেতে পারেন। যাঁরা বর্তমানে ইরান সফরের পরিকল্পনা করছেন, তাঁদেরও সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। একইসঙ্গে, তেহরানে (Iran) অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য দুটি ফোন নম্বর ও একটি ইমেইল আইডিও দেওয়া হয়েছে।

    Phone: +98 9128109115 / +98 9128109109

    Email: consular@indianembassytehran.com

  • Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, ১৫ জুন থেকে শুরু হবে সুরক্ষা পরীক্ষা

    Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, ১৫ জুন থেকে শুরু হবে সুরক্ষা পরীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পরে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেল নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। এই প্রেক্ষাপটে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশ, এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বোয়িং ৭৮৭-৮ ও ৭৮৭-৯ সিরিজের সমস্ত বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। আগামী ১৫ জুন রবিবার থেকে এই পর্যালোচনা প্রক্রিয়া শুরু হবে। ডিজিসিএ জানিয়েছে, জ্বালানি ব্যবস্থা, ইঞ্জিন ও হাইড্রলিক সিস্টেম সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ পর্যবেক্ষণ (Boeing Dreamliners) করে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।

    ডিজিসিএ-র নির্দেশে কী কী বলা হল (Air India)?

    ফুয়েল প্যারামিটার মনিটরিং ও সংশ্লিষ্ট সিস্টেমগুলির কার্যকারিতা যাচাই

    কেবিন এয়ার কম্প্রেসার ও তার সহযোগী ব্যবস্থার পরিদর্শন

    ইলেকট্রনিক ইঞ্জিন কন্ট্রোল সিস্টেম পরীক্ষা

    ইঞ্জিনের ফুয়েল-চালিত অ্যাকচুয়েটরের কার্যকারিতা ও অয়েল সিস্টেমের পরীক্ষা

    হাইড্রলিক সিস্টেম ঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা যাচাই (Boeing Dreamliners)

    টেকঅফ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটার বিশ্লেষণ

    ১৪ দিনের মধ্যে পাওয়ার অ্যাসুরেন্স পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে এবং ‘ফ্লাইট কন্ট্রোল ইন্সপেকশন’ চালু করতে হবে

    ২০১১ সালে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার (Air India)

    ডিজিসিএ-র তরফে আরও জানানো হয়েছে, গত দুই সপ্তাহে বোয়িং ড্রিমলাইনারে যে ত্রুটিগুলি দেখা গিয়েছে, সেই সমস্ত ত্রুটিও দ্রুত পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার। এই মডেলের বিমানে এই প্রথম বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটল। যদিও ২০২৪ সালে বোয়িং সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ার এই মডেল নিয়ে প্রকাশ্যে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। বোয়িং সংস্থা জানিয়েছে, তারা এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং তদন্তে যেকোনওভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত (Air India)।প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি।

  • JoSAA 2025: দেশের সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি, আজ থেকে শুরু কাউন্সেলিং

    JoSAA 2025: দেশের সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি, আজ থেকে শুরু কাউন্সেলিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে আজ, শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে কাউন্সেলিং। প্রসঙ্গত, জয়েন্ট সিট অ্যালোকেশন অথরিটি (JoSAA 2025) তাদের রেজিস্ট্রেশন ও চয়েস ফিলিং উইন্ডো আগেই বন্ধ করে দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার, ১২ জুন বিকেল ৫টার মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। জানা গিয়েছে, JoSAA এবার অর্থাৎ ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে মোট ছয়টি রাউন্ডে কাউন্সেলিং পরিচালনা করবে। এর মধ্যে প্রথম রাউন্ডের ফল প্রকাশিত হবে শনিবার (১৪ জুন) সকাল ১০টায়। অন্যদিকে IIT-র ভর্তি প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত রাউন্ডের ফলাফল প্রকাশিত হবে ১৬ জুলাই এবং সম্পূর্ণ কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শেষ হবে ২২ জুলাই (JoSAA 2025)।

    ১২৭টি সেরা প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান পড়ুয়ারা

    JoSAA কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে দেশের মোট ১২৭টি সেরা প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান পড়ুয়ারা। এর মধ্যে রয়েছে ২৩টি IIT, IIEST শিবপুর, ২৬টি IIIT এবং ৪৬টি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট। যে সকল ছাত্রছাত্রী কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পছন্দ করে ভর্তি নিশ্চিত করবেন, তাঁরা পঞ্চম রাউন্ডের আগেই নিজেদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার সুযোগ পাবেন (JoSAA 2025)।

    লগ-ইন সংক্রান্ত তথ্য

    JEE Main 2025 পরীক্ষার্থীদের লগইন করার জন্য নিজেদের আবেদন নম্বর ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। বিদেশি নাগরিক এবং OCI/PIO প্রার্থীরা যাঁরা JEE Main পরীক্ষায় অংশ নেননি, তাঁদের JEE Advanced 2025-এর শংসাপত্র ব্যবহার করে লগইন করতে হবে (Top Engineering Colleges)।

    JoSAA 2025 কাউন্সেলিং-এর মূল তারিখসমূহ

    ১৪ জুন: প্রথম রাউন্ড আসন বরাদ্দ (সকাল ১০টা)

    ২১ জুন: দ্বিতীয় রাউন্ড ফলাফল (বিকাল ৫টা)

    ২৮ জুন: তৃতীয় রাউন্ড ফলাফল (বিকাল ৫টা)

    ৪ জুলাই: চতুর্থ রাউন্ড ফলাফল (বিকাল ৫টা)

    ১০ জুলাই: পঞ্চম রাউন্ড ফলাফল (বিকাল ৫টা)

    ১৬ জুলাই: IIT-এর চূড়ান্ত রাউন্ডের ফলাফল (বিকাল ৫টা)

  • Air India Crash: বোয়িং বিমান দুর্ঘটনা! বারবার সতর্ক করেছিলেন হুইসেল ব্লোয়ার জন বার্নেট, শোনা হয়নি তাঁর কথা

    Air India Crash: বোয়িং বিমান দুর্ঘটনা! বারবার সতর্ক করেছিলেন হুইসেল ব্লোয়ার জন বার্নেট, শোনা হয়নি তাঁর কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন দুর্ঘটনার শিকার হল এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI171? কারণ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য (Air India Crash)। জানা যাচ্ছে, বোয়িং সংস্থার প্রাক্তন কোয়ালিটি ম্যানেজার জন বার্নেট আগেই এই বিপদের আশঙ্কা করেছিলেন। তিনি ২০১০ সালে আমেরিকার সাউথ ক্যারোলিনার নর্থ চার্লসটনে অবস্থিত বোয়িং কারখানায় যোগ দেন, যেখানে ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানের উৎপাদন হত। এই মডেলই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

    বিস্ফোরক অভিযোগ (Air India Crash)

    ২০১৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে বার্নেট বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন। তাঁর দাবি ছিল, বোয়িং সংস্থা গুণমানের তোয়াক্কা না করে কর্মীদের নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করতে বাধ্য করত। হুইসেল ব্লোয়ারের মতো কাজ করেন বার্নেট। এরকম একাধিক বিষয় সামনে আনেন। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ৬২ বছর বয়সে বার্নেটের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, বিমানে ব্যবহৃত অক্সিজেন ব্যবস্থায় মারাত্মক ত্রুটি রয়েছে। তাঁর বক্তব্য ছিল, জরুরি অবস্থায় চারটি মাস্কের মধ্যে একটি কাজই করে না। অতিরিক্ত উচ্চতায় এমনটা হলে ২০ সেকেন্ড থেকে এক মিনিটের মধ্যে যাত্রীরা অজ্ঞান মৃত্যুমুখেও পড়তে পারেন (Air India Crash)।

    উপেক্ষিত নিরাপত্তা

    দক্ষিণ ক্যারোলিনায় কাজ শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই বার্নেট দেখেন, উৎপাদনের নির্ধারিত সময়সীমা পূরণ করতে গিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেই উপেক্ষা করা হচ্ছে। সেসময় তিনি (John Barnett) জানিয়েছিলেন, স্ক্র্যাপ বিন থেকে তুলে নেওয়া নিম্নমানের যন্ত্রাংশ পর্যন্ত বিমানে লাগানো হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তাঁর অভিযোগ ছিল।বার্নেট আরও দাবি করেন, বোয়িং ইঞ্জিনিয়ারদের অনেক সময় সমস্যা রিপোর্ট না করার জন্য চাপ দেওয়া হত, যাতে নির্ধারিত সময়ে বিমান হস্তান্তর সম্ভব হয়।

    বার্নেটের পরিবারের অভিযোগ (Air India Crash)

    এই অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বার্নেট অবসর নেন। এরপর তিনি বোয়িংয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, সংস্থার সঙ্গে বিরোধের জেরে তাঁকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে বারবার। এরফলে তাঁর পেশাগত জীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০২১ সালে তিনি বোয়িংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বার্নেটের মৃত্যু ঘটে ২০২৪ সালে। পরবর্তীতে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, বোয়িংয়ের মানসিক চাপ ও হেনস্থার ফলেই বার্নেটের মৃত্যু ঘটেছে। এ নিয়ে নতুন মামলাও দায়ের করা হয়।

  • Plane Crash: বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৭৮৮ সিরিজের সব বিমান গ্রাউন্ড করার পথে কেন্দ্র?

    Plane Crash: বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৭৮৮ সিরিজের সব বিমান গ্রাউন্ড করার পথে কেন্দ্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে বোয়িং ড্রিমলাইনার ঠিক কতটা নিরাপদ (Plane Crash)? আমেদাবাদে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার চার মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান, যা ছিল বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেল ছিল। এই ঘটনার পরই কেন্দ্রীয় সরকার ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৭৮৮ সিরিজের বিমানগুলিকে গ্রাউন্ড করার চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    তদন্ত হতে পারে এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধেও (Plane Crash)

    সূত্রের খবর, সেফটি রিভিউয়ের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এই ইস্যুতে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে আলোচনা চলছে। আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে এবং পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে রক্ষণাবেক্ষণে (Central Government) কোনও গাফিলতি থাকলে টাটা গোষ্ঠী পরিচালিত এই বিমান সংস্থার (Plane Crash) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

    বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার সাধারণত ৩০ বছর পর্যন্ত কার্যক্ষম থাকে

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার সাধারণত ৩০ বছর পর্যন্ত কার্যক্ষম থাকে এবং প্রায় ৪৪,০০০ বার ওড়ার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। দুর্ঘটনার ঠিক আগে ‘মেডে’ সংকেত পাঠান পাইলট, তবে তার আগে কোনও কার্যকর সহায়তা পৌঁছনোর আগেই বিমানটি ধ্বংস হয়। বিমানটির একটি ডানা বিজে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের উপর আছড়ে পড়ে (Central Government)। এই দুর্ঘটনার পর বোয়িং এক বিবৃতিতে জানায়, তারা ফ্লাইট ১৭১-এর বিষয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং তাদের সর্বতোভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত (Plane Crash)। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এর ফলে, অনেক জাক্তারি পড়ুয়াও নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share