Tag: মাধ্যম

  • Jammu Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে তীব্র গতিতে চলছে জঙ্গি নিকেশ অভিযান

    Jammu Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে তীব্র গতিতে চলছে জঙ্গি নিকেশ অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি নিকেশ করতে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmi) একেবারে তেড়েফুঁড়ে নেমেছে মোদি সরকার। পহেলগাঁও হামলার পরবর্তীকালে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের খতম করতে বদ্ধপরিকর দিল্লি। এই কারণে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান (Jammu Kashmi) পরিচালনা করা হচ্ছে তীব্র গতিতে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অভিযান জোরকদমে তীব্র গতিতে চলছে। তবে এনিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি সামনে আনছে না প্রশাসন। কারণ এতটাই গোপন রাখা হয়েছে সেই অভিযান।

    কল্পনার থেকেও বেশি শাস্তির কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদি

    পহেলগাঁওতে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা (Counter Terror Operations) ঘটে যেখানে ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত হন ২৬ জন মানুষ। সারাদেশের নাগরিকদের মধ্যে এনিয়ে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। আমেরিকা, ব্রিটেন সমেত অনেক দেশ এই ঘটনার নিন্দা জানায়। হামলার কয়েকদিন পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিহারের মধুবনিতে একটি জনসভা করেন। নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে এই হামলার সঙ্গে যুক্ত এবং হামলার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের কল্পনার থেকেও বেশি শাস্তি হবে। পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত এদেরকে তাড়া করা হবে বলেও জানান মোদি।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাই বাস্তবায়িত হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরে

    প্রসঙ্গত জম্মু-কাশ্মীরে বিভিন্ন জেলায় তীব্রগতিতে (Counter Terror Operations) নিরাপত্তা বাহিনীর এই অভিযান বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে অনেকেই মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যা বলেছিলেন সেটাই বাস্তবায়িত (Jammu Kashmi) হচ্ছে। গত ২৮ এপ্রিল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন যে, ভারত সামরিক হামলার (Jammu Kashmi) প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই আবহে মঙ্গলবারই সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, এনএসএ, সিডিএস এবং ৩ বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ওই জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং, অজিত দোভাল এবং অনিল চৌহান। কাশ্মীরে কাপুরুষোচিত হামলার পর কীভাবে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়া যায়, সেই গুরুত্বপূর্ণ রোডম্যাপই তৈরি করা হয় এই বৈঠকে।

  • NCERT: এনসিইআরটি-র সপ্তম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে বাদ মুঘল এবং সুলতানি শাসন, স্থান পেল ভারতীয় সাম্রাজ্যের কথা

    NCERT: এনসিইআরটি-র সপ্তম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে বাদ মুঘল এবং সুলতানি শাসন, স্থান পেল ভারতীয় সাম্রাজ্যের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনসিইআরটি (ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং)-র পাঠ্যবইয়ে (NCERT) সপ্তম শ্রেণির নতুন সমাজবিজ্ঞান বইয়ে বাদ পড়ল দিল্লির মুঘল এবং সুলতানি সাম্রাজ্যের অধ্যায়। তার পরিবর্তে নতুন সংযোজন করা হয়েছে প্রাচীন ভারতীয় সাম্রাজ্যের কথা। রাখা হয়েছে মগধ, মৌর্য, শুঙ্গ এবং সাতবাহন সাম্রাজ্যকে। একইসঙ্গে ২০২৫ সালে প্রয়াগরাজে হওয়া মহাকুম্ভও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নতুন পাঠ্যবইয়ে।

    জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী পরিবর্তন

    এই পরিবর্তনগুলি জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) ২০২০ এবং স্কুল শিক্ষার জন্য জাতীয় পাঠ্যক্রম কাঠামো (এনসিএফএসই) ২০২৩ অনুযায়ী করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই দুই নীতিই স্কুল শিক্ষায় ভারতীয় ঐতিহ্য, দর্শন, সভ্যতাকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছে। এনসিইআরটির এমন সিদ্ধান্তে তারই প্রতিফলন দেখা গেল (Indian Heritage)। প্রসঙ্গত, এর আগে তুঘলক, খিলজি, লোধি প্রভৃতি শাসন ব্যবস্থা বাদ দেওয়া হয়েছিল। তবে এই প্রথম মুঘল এবং দিল্লির সুলতান সম্পর্কিত অধ্যায়গুলি বাদ পড়ল।

    তীর্থভূমি ভারত নিয়ে আলাদা অধ্যায় (NCERT)

    সমাজ বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক (NCERT) ‘এক্সপ্লোরিং সোসাইটি: ইন্ডিয়া অ্যান্ড বিয়ন্ড’ এই বইয়ে ভারতীয় সাম্রাজ্যগুলির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মগধ, মৌর্য, শুঙ্গ এবং সাতবাহনের মতো প্রাচীন ভারতীয় রাজবংশগুলির শাসন। এই অধ্যায়েই দেশের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ, চারধাম যাত্রা এবং নদীসঙ্গম, পর্বত ও জঙ্গল সহ শক্তিপীঠের স্থানগুলিকে ‘ধর্মীয় ভূগোল’ (Sacred geography) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি আসলে ধর্মীয় বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের প্রেক্ষাপট সম্বলিত স্থানগুলির অধ্যয়ন। এর মাধ্যমে স্থানগুলির প্রতীকী ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য বোঝাতে চাওয়া হয়েছে। এটি এমন স্থানগুলিকে চিহ্নিত করে যা ধর্মীয় বিশ্বাস ও প্রথার সঙ্গে সম্পর্কিত। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করা হয়েছে এই অধ্যায়ে, যেখানে ভারতবর্ষকে তীর্থভূমি হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্যদিকে ইসলাম, খ্রিস্টান, ইহুদি এবং হিন্দু, বৌদ্ধ এবং শিখ- এই ধর্মগুলি নিয়ে একটি নয়া অধ্যায় রাখা হয়েছে।

    স্থান পেয়েছে মহাকুম্ভ

    নতুন সংশোধিত পাঠ্যপুস্তকে (NCERT) দাবি করা হয়েছে, ‘বর্ণ-জাতি ব্যবস্থা’ প্রাচীন ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা প্রদান করলেও, পরে তা বৈষম্যের আকার নেয়। বিশেষত ব্রিটিশ শাসনের অধীনে কঠোর হয়ে ওঠে। ২০২৫ সালে উত্তরপ্রদেশে অনুষ্ঠিত হওয়া মহাকুম্ভ সম্পর্কেও উল্লেখ রয়েছে বইতে। এখানেই বলা হয়েছে ৬৬ কোটি মানুষ এই বিরাট ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন।

    নাগরিকদের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনও স্থান পেয়েছে (Indian Heritage)

    ভারতের সংবিধান সম্পর্কিত একটি অধ্যায় স্থান পেয়েছে বইটিতে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘একটা সময় ছিল যখন সাধারণ নাগরিকদের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অনুমতি ছিল না। কিন্তু পরে ২০০৪ সালে এই নিয়মের পরিবর্তন করা হয়। নাগরিকদের নিজেদের দেশের প্রতি গর্ব প্রকাশ করতে বাড়িতে জাতীয় পতাকা তোলার আর্জি জানান। সুপ্রিম কোর্টও এবিষয়ে সম্মতি জানিয়ে বলেছিল যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করাও মৌলিক অধিকারের অঙ্গ। বর্তমানে আমরা গর্বের সঙ্গে নিজেদের বাড়িতে তেরঙ্গা উড়াতে পারি, এটা মাথায় রেখেই যে জাতীয় পতাকার যাতে কোনও অসম্মান না হয়।’’ এনসিইআরটি কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে আরও জানিয়েছেন, এই সংশোধনী কেবল বইয়ের প্রথম অংশের জন্য করা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশের সংশোধনী আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছে এনসিআরটি।

    ভারতের উন্নয়নের একাধিক প্রকল্প স্থান পেয়েছে

    একই সঙ্গে নয়া পাঠ্যপুস্তকে একটি অধ্যায় (NCERT) আনা হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতবর্ষের ঐতিহাসিক এবং সামাজিক পরিবর্তনগুলিকে। এই বইতে স্থান পেয়েছে মোদি সরকারের উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বগুলিও। যথা মেক-ইন-ইন্ডিয়া, বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও, একই সঙ্গে অটল টানেলের মতো ভারতবর্ষের বড় পরিকাঠামোগত সাফল্যগুলিও এই বইতে স্থান পেয়েছে। এনসিআরটি-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই অধ্যায়গুলির সংযোজনের আসল লক্ষ্য হল- ছাত্র-ছাত্রীদের অবগত করানো দেশের উন্নয়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং মাইলস্টোনগুলিকে।

    ভারতীয় লেখকদের লেখা প্রাধান্য পেয়েছে

    প্রসঙ্গত, সমাজবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু ইংলিশ কারিকুলাম বিষয়টিও সংশোধন করা হয়েছে। আগের পাঠ্যপুস্তকের নাম ছিল Honeycomb. বর্তমানে তা বদলে করা হয়েছে Poorvi. আগের Honeycomb-এ ১৭টি অংশ ছিল সাহিত্যের। যার মধ্যে মাত্র চারটি ছিল ভারতীয় লেখকদের অধ্যায়। নতুন Poorvi-তে পনেরোটি বিভিন্ন গল্প ও কবিতা রয়েছে। যেগুলির মধ্যে ৯টি লেখা রয়েছে ভারতীয় লেখকদের। এখানেই স্থান পেয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং এপিজে আবদুল কালামের লেখা। বিদেশীদের মধ্যে স্থান পেয়েছে রাসকিন বন্ডের লেখা।

  • PM Modi: প্রত্যাঘাত স্রেফ সময়ের অপেক্ষা! সেনাকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি

    PM Modi: প্রত্যাঘাত স্রেফ সময়ের অপেক্ষা! সেনাকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মিশনের জন্য একেবারে প্রস্তুত সেনাবাহিনী। কীভাবে হবে প্রত্যাঘাত তা নিয়েই এদিন জরুরি বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, এনএসএ, সিডিএস এবং ৩ বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ওই জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং, অজিত দোভাল এবং অনিল চৌহান। কাশ্মীরে কাপুরুষোচিত হামলার পর কীভাবে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়া যায়, সেই গুরুত্বপূর্ণ রোডম্যাপই তৈরি করা হয় এই বৈঠকে। এবার প্রত্যাঘাত স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।বৈঠকশেষে প্রধানমন্ত্রী মোদির বাসভবনে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে সেনার উপরে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেছেন।

    ভারত একাধিক পদক্ষেপ আগেই করেছে (PM Modi)

    দেশজুড়ে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা ও ক্ষোভের আবহে আগেই পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করেছে কেন্দ্র। একইসঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত, এবং আটারি সীমান্ত বন্ধের মতো নানা পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানি বিমান সংস্থাগুলির জন্য ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ করার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। শুধু যে আকাশসীমা তাই নয়, সরকারি আধিকারিকদের সূত্র বলছে, ভারতীয় বন্দরগুলিতেও পাকিস্তানি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।

    মঙ্গলবারই ৭ দিন পূর্ণ হল পহেলগাঁও হামলার (PM Modi)

    মঙ্গলবারই পহেলগাঁও হামলার এক সপ্তাহ পূরণ হয়েছে। ধর্ম বেছে ২৬ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে জঙ্গিরা। এর পরেই কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় চালায় সেনা। ধূলিস্যাৎ করে দেওয়া হয় জঙ্গিদের বাড়ি। এদিকে এই হামলার পরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেন মোদি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারের জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সোমবারও এই একই ধরনের বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে।

  • Pakistani: কলকাতায় গ্রেফতার পাকিস্তানি আজাদ, বানিয়ে দিত বাংলাদেশিদের জাল পাসপোর্ট

    Pakistani: কলকাতায় গ্রেফতার পাকিস্তানি আজাদ, বানিয়ে দিত বাংলাদেশিদের জাল পাসপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রে এবার পাকিস্তান (Pakistani) যোগ সামনে এল। খাস কলকাতায় বসেই জাল পাসপোর্ট চক্র চালাচ্ছিল আজাদ মল্লিক নামের ওই যুবক। বিরাটি থেকে ১৪ দিন আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল আজাদ মল্লিককে। বাংলাদেশি (Bangladeshis) সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় আজাদকে। পরে জানা যায় সে আসলে আদতে পাক-নাগরিক। ২০১৯ সালেই বাংলাদেশি পাসপোর্টের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করেছিল আজাদ। এরপরেই বাংলায় ঢুকে জোড়া ভোটার কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও পেয়ে যায় সে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, পাক নাগরিক হয়ে কীভাবে বাংলায় ঢুকে এত সরকারি পরিচয়পত্র আজাদ? জানা গিয়েছে, নিজের পাকিস্তানি পরিচয় লুকোতেই এই আজাদই বাংলাদেশি পরিচয় দিয়েছিল তদন্তকারীদের কাছে। পাসপোর্ট মামলায় আদালতে এদিন এমনই বিস্ফোরক দাবি করল ইডি।

    ১২-১৩ বছর পাকিস্তান (Pakistani) থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢোকে আজাদ

    পাকিস্তানের (Pakistani) নাগরিক কলকাতায় বসে জাল পাসপোর্ট তৈরি করছে, এমন তথ্য সামনে আসার পরেই ব্যাপক উদ্বিগ্ন প্রশাসনিক কর্তারা। একজন পাকিস্তানি কলকাতার বুকে বসে বাংলাদেশিদের জাল পাসপোর্ট বানিয়ে দিচ্ছিলেন এতদিন! এতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। জানা যাচ্ছে এদেশে আজাদের নাম ছিল আজাদ মল্লিক। প্রায় ১২-১৩ বছর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢোকে আজাদ। নিজের জালিয়াতি কাজ চালাতে একাধিক ডেরা বদল করে থাকছিল সে।

    সন্দেহ এড়াতে বাংলা ভাষাও রপ্ত করেছিল আজাদ

    সন্দেহ এড়াতে বাংলা ভাষাও রপ্ত করেছিল আজাদ। বাংলাদেশ থেকে যারা বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ করত, তাদের জাল নথি দিয়ে পাসপোর্ট বানিয়ে দিত আজাদ। ১৪ দিন আগেই আজাদকে বিরাটির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবারই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। এজলাসে বিচারকের সামনে আজাদ পাকিস্তানি (Pakistani) এমন বিস্ফোরক দাবি করেন ইডির আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ধৃত আজাদের কাছে ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে

    একইসঙ্গে আজাদের সঙ্গে এক মহিলার সঙ্গীর তথ্যও এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। তবে পাসপোর্ট মামলায় আজাদ গ্রেফতার হওয়ার পরেই ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায় আজাদের (Pakistani)। ওই মহিলাকে খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে আজাদ ইতিমধ্যে ভিসা ও ভারতীয় ড্রাইভিং লাইসেন্সেরও আবেদন করেছিলেন। একইসঙ্গে কীভাবে ধৃত আজাদের কাছে ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা পাওয়া গেল? কী উদ্দেশ্যেই বা ভারতে ঢুকেছিল পাক নাগরিক আজাদ মল্লিক? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি।

  • Supreme Court: শরিয়ত এবং কাজি আদালতের নেই কোনও আইনি ক্ষমতা, গুরুত্বপূর্ণ রায় সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: শরিয়ত এবং কাজি আদালতের নেই কোনও আইনি ক্ষমতা, গুরুত্বপূর্ণ রায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনত বৈধ নয় ইসলামি আদালতের রায়। শরিয়ত এবং কাজি আদালতেরও নেই কোনও আইনি ক্ষমতা। এক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়ে একথা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, শরিয়ত আদালত (Sharia Court) এবং কাজি আদালত আইনতভাবে স্বীকৃত নয়। তাই তাদের দেওয়া সিদ্ধান্ত কোনওভাবেই আইন দ্বারা প্রয়োগ করা যাবে না। ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে চলা বিতর্কের মাঝে সুপ্রিম কোর্টের এমন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)?

    সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছে, কাজির আদালত, কাজিয়তের আদালত (দারুল কাজা) বা শরিয়ত আদালতের মতো ইসলামি আদালতগুলির কোনও আইনগত স্বীকৃতি নেই। অর্থাৎ ইসলামি আদালতের রায় এ দেশে কোনও সরকারি ক্ষমতা রাখে না।প্রসঙ্গত, এক মহিলার খোরপোষ নিয়ে দায়ের করার মামলার শুনানিতে এমন মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি আহসানাউদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ এমন মন্তব্য করে। এমন পর্যবেক্ষণের সময় শীর্ষ আদালত ২০১৪ সালের একটি রায়ের উদ্ধৃতি দেয় এবং জানায়, শরিয়ত আদালত এবং ফতোয়ার আইনি স্বীকৃতি নেই।

    ভরণপোষণের জন্য প্রতিমাসে ৪ হাজার টাকা করে দিতে নির্দেশ

    উল্লেখ্য, একটি ইসলামিক পারিবারিক আদালত ওই মহিলাকে ভরণপোষণ বা খোরপোষ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীকালে এলাহাবাদ হাইকোর্টও এই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যান ওই মহিলা। শুনানিতে পারিবারিক আদালতের পদ্ধতির সমালোচনা করেন বিচারপতি আমানউল্লাহ। তিনি জানান, কাজি আদালত, দারুল কাজা বা কাজিয়ত আদালত, শরিয়ত আদালতগুলির আইনগত কোনও স্বীকৃতিই নেই। তাদের সিদ্ধান্ত বাধ্যতামূলক নয়। এই সঙ্গেই ওই মহিলাকে ভরণপোষণের জন্য প্রতিমাসে ৪ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য আদালত তাঁর প্রাক্তন স্বামীকে নির্দেশ দিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০০২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ইসলামিক নিয়ম মেনে ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরবর্তীকালে ২০০৫ সালে মহিলার স্বামী ভোপালের একটি ‘কাজি আদালতে’ বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা শুরু করেন।

  • Pahalgam Attack: ‘আল্লাহু আকবর’ বলছে জিপলাইন অপারেটর, তারপরেই শুরু গুলি, ভাইরাল পর্যটকের ভিডিও

    Pahalgam Attack: ‘আল্লাহু আকবর’ বলছে জিপলাইন অপারেটর, তারপরেই শুরু গুলি, ভাইরাল পর্যটকের ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও (Pahalgam Attack) জঙ্গি হামলার ঘটনায় ফের সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে জিপ লাইন অপারেটর যুবক, জিপলাইন শুরু হওয়ার আগে আচমকা বলে উঠছে ‘আল্লাহু আকবর’। পরপর তিনবার। এর পরেই জিপলাইনে থাকা পর্যটককে দড়িতে তুলে দেয় সে। ঋষি ভাট নামের পর্যটকের সেলফি ক্যামেরায় ধরা পড়ে একের পর এক হত্যালীলা। পর্যটক প্রথমে শব্দ শুনলেও, বিষয়টা অতটা বুঝতে পারেননি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পিছনে গুলি লেগে পড়ে যাচ্ছেন এক পর্যটক। সবাই চিৎকার করছেন। প্রায় ১৫ ফুট উঁচুতে দড়িতে ঝুলছিলেন ওই পর্যটক। প্রথমটায় তিনি কিছুই বুঝে কী উঠতে পারেননি। এই ভিডিও সামনে আসতেই ওই জিপ লাইন অপারেটরকে ডেকে পাঠিয়েছে এনআইএ।

    কী বলছেন ঋষি ভাট?

    ঋষি ভাট তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে যান পহেলগাঁওয়ে। একাধিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঋষি ভাট বলেন, “আমরা যখন জিপ লাইনে পৌঁছই, তখন কয়েকটা ছবি তুলি (Pahalgam Attack)। এরপর, আমরা জিপ লাইনের টিকিট কেটে জিপ লাইন শুরু করি। আমার স্ত্রী, পুত্র ও আরও চারজন জিপ লাইনে পার হয় প্রথমে। তারপর আমার জিপ লাইনে যাওয়ার পালা।” আচমকা অপারেটর তিনবার বলে ওঠে ‘আল্লাহু আকবর’। ওই অপারেটরকে সন্দেহের তালিকায় রাখছেন ঋষি। রাতে যখন তিনি তাঁর নিজের ক্যামেরায় তোলা ভিডিও দেখেন, তখনই বুঝতে পারেন, তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে ওই অপারেটর কী বলেছিলেন। এরপরেই ঠিক গোলাগুলি শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঋষি।

    ৬-৭ ফুট দূরত্বেই কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধ হতে দেখেন ঋষি

    হত্যালীলা শুরু হতেই (Pahalgam Attack) ওই পর্যটকের স্ত্রী যখন নীচ থেকে চিৎকার করেন, তখনই ঋষি বুঝতে পারেন তিনি বুঝতে পারেন কিছু একটা হচ্ছে। এরপরেই জিপ লাইনের দড়ি খুলে ১৫ ফুট উপর থেকে মাটিতে ঝাঁপ দিয়ে পড়েন তিনি। এরপর নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। ঋষি ভাট আরও জানিয়েছেন, ৬-৭ ফুট দূরত্বেই কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধ (Pahalgam Attack Video) হতে দেখেছেন তিনি নিজে। এরপরেই কোনওক্রমে দৌড়ে জঙ্গলে লুকিয়ে পড়েন তিনি।

    জিপলাইনে অন্যান্য পর্যটকরা সওয়ার হলে ‘আল্লাহু আকবর’ বলেনি ওই অপারেটর

    আরও চাঞ্চল্যকর দাবি করে ঋষি ভাট জানিয়েছেন যে তাঁর আগে যে সমস্ত পর্যটকরা (Pahalgam Attack) জিপলাইনে সওয়ার হয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ‘আল্লাহু আকবর’ বলেনি ওই অপারেটর। আবার যখনই পর্যটকের স্ত্রী এবং সন্তানরা পার হয় তখনও তাকে ‘আল্লাহু আকবর’ বলতে শোনা যায়নি। ওই পর্যটক বলেন, যখন আমি জিপলাইনে সওয়ার হলাম তখনই ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দেয় ওই অপারেটর। এর পরেই গুলি চালানো শুরু হয়।

    আমার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে আমি দৌড়াতে শুরু করি

    এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,‘‘আপনারা ভিডিওতে (Pahalgam Attack Video) দেখতে পাচ্ছেন একজন লোক পড়ে যাচ্ছে। সেই মুহূর্তেই আমি বুঝতে পারলাম যে কিছু একটা সমস্যা এখানে হয়েছে। এরপরে আমি জিপলাইনে দড়িটিকে খুলে দিই। আর প্রায় ১৫ ফুট উঁচু থেকে লাফ দিয়ে পড়লাম। তখন আমার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে আমি দৌড়াতে শুরু করি। আমার মাথায় তখন অন্য কিছু আসেনি। শুধু আমার নিজের জীবন এবং আমার পরিবারের জীবন বাঁচানোর কথা ভাবছিলাম।’’ ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানিয়েছেন জঙ্গলের দিকে প্রথমে তিনি যান, তারপর পার্কিং এরিয়ার দিকে দৌড়াতে থাকেন। এরপর তিনি শ্রীনগরে চলে যান।

    তাঁর স্ত্রীর পাশে থাকা দুই দম্পতিকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা

    ঋষি ভট্ট নিজের কথা যেমন বলেছেন ওই সাক্ষাৎকারে, তেমনই তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঠিক কী হয়েছে মাঠে সেটাও তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীর পাশে আরও দুইজন দম্পতি ছিলেন। সন্ত্রাসবাদীরা এসে তাঁদের নাম এবং ধর্ম জিজ্ঞেস করে। তারপরেই তাঁদের উপরে গুলি চালায়। ঋষির মতে, ‘‘আমি রোপওয়েতে ছিলাম বলে আমার জীবন রক্ষা পেল। যদি আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে থাকতাম। তাহলে জানিনা আমার কী হত।’’

    ১৮ মিনিটের মধ্যেই আসে সেনাবাহিনী

    প্রত্যেকটি পর্যটক যে দাবি করেছেন সেই একই দাবি উঠে এসেছে ঋষি ভাটের কথাতেও। অর্থাৎ জঙ্গিরা বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করেছে। তাঁদের ধর্ম জিজ্ঞেস করেছে এবং তাঁরা কলেমা পড়তে পারে নাকি সে কথাও জেনেছে। তারপরেই হত্যা করা হয় হিন্দুদের। ঋষির আরও দাবি, যখন গুলি বর্ষণ শুরু হয়, তখন ঘটনাস্থলে কোনও স্থানীয় লোককে তিনি দেখতে পাননি। স্থানীয়রা প্রথমেই পালিয়ে যায়। তাই পর্যটকদের সাহায্য করার জন্য কেউ ছিল না। কিন্তু তাঁরা যখন জঙ্গলে পৌঁছান তার ১৮ মিনিটের মধ্যেই সেনাবাহিনী এসেছিল বলে জানিয়েছেন ঋষি।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘জেহাদি আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দিরগুলির সংস্কার শুরু অক্ষয় তৃতীয়ায়, ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘জেহাদি আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দিরগুলির সংস্কার শুরু অক্ষয় তৃতীয়ায়, ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়া। ওই দিনই দিঘাতে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই দিনই মুর্শিদাবাদ হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলিকে সংস্কার করার কথা ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মুর্শিদাবাদ জেলার জেহাদিদের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দিরগুলির পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করব।’’ এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিন্দু বিরোধী হিসেবে তোপ দেগে শুভেন্দু আরও জানিয়েছেন, এই সরকারের কাছ থেকে কোনও সাহায্য নেওয়া হবে না মন্দির সংস্কার করতে।

    মন্দিরগুলি জেহাদিদের ঘৃণ্য, নিন্দনীয় এবং বর্বরোচিত আক্রমণের চিহ্ন বহন করছে

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মুর্শিদাবাদ জেলার জেহাদিদের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দিরগুলির পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করব। বর্তমানে এই মন্দিরগুলি জেহাদিদের ঘৃণ্য, নিন্দনীয় এবং বর্বরোচিত আক্রমণের চিহ্ন বহন করছে। সমস্ত সনাতনী ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান যথাযথভাবে পালন করে শুদ্ধিকরণ এবং সংস্কার প্রক্রিয়া করা হবে। হিন্দু-বিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছ থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য গ্রহণ করা হবে না। আমি পুনরায় বলছি, সমস্ত খরচ হিন্দুরা নিজেরাই বহন করবে। মুর্শিদাবাদের হিন্দুদের তাঁদের গ্রামের ও পাড়ার মন্দিরে পুজো অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এই মন্দিরগুলি আমাদের তীর্থস্থানের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।’’

    আক্রান্ত হিন্দুদের জন্য প্রার্থনার আবেদন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    নিজের এক ভিডিও বার্তায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্য লগ্নে আপনাদের সনাতনী অভিনন্দন। আপনারা জানেন গত ১১ ও ১২ এপ্রিল মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জ ও ধুলিয়ান এলাকায় বিস্তীর্ন এলাকাজুড়ে হিন্দুদের সংখ্যা শূন্য করার জন্য জেহাদি, সন্ত্রাসী ও শাসকদল তৃণমূলের মদতপুষ্ঠ রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি হিন্দু গ্রামগুলিতে হামলা হয়েছিল। মন্দির কমিটিগুলির (Hindu Temple) হাতে প্রাথমিকভাবে পুনর্নির্মাণের জন্য অর্থ তুলে দেওয়া হয়েছে। ৩০ তারিখ সকাল ১০টার সময় পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণের সঙ্গে সনাতনী প্রথা অনুসারে শুদ্ধিকরণের মাধ্যমে পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হবে। বিশ্বের যে যেখানে হিন্দুরা আছেন, বাংলা ভাষা বুঝতে পারেন তাদের কাছে একটাই আবেদন এই ৯টি মন্দির শুদ্ধিকরণের ক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদ সহ কাশ্মীর সহ জঙ্গিদের হাতে, পাকিস্তান প্রেমীদের হাতে আক্রান্ত হিন্দুদের জন্য প্রার্থনা করুন।’’

  • Pakistan: পেটে নেই খাবার, মুখে যুদ্ধের জিগির! পাকিস্তানে মুরগির মাংস ৮০০ টাকা, চালের দর ৩৪০ টাকা কেজি

    Pakistan: পেটে নেই খাবার, মুখে যুদ্ধের জিগির! পাকিস্তানে মুরগির মাংস ৮০০ টাকা, চালের দর ৩৪০ টাকা কেজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা পাক নেতারা হুমকি দিচ্ছেন ভারতের ওপর পরমাণু হামলা চালানোর। কিন্তু নিজের দেশের অন্দরের অবস্থা ভাঁড়ে মা ভবানী! খাবার সংস্থান করাই পাকিস্তানের (Pakistan) কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। সেদেশে খাদ্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। চাল, আটা, সবজি, ফল ও মাংসের দাম অনেক বেশি (Pakistan Faces Food)। অবস্থা এতটাই খারাপ জায়গায় পৌঁছেছে যে মুরগির মাংসের দাম পাকিস্তানি মুদ্রায় ছুঁয়েছে প্রায় ৮০০ টাকা। অন্যদিকে, চালের দাম ছুঁয়েছে ৩৪০ পাকিস্তানি মুদ্রা। এই আবহে অনেকেই কটাক্ষ করে বলছেন, আগে পাকিস্তান নিজেদের খাদ্যের সংস্থান করুক, তারপর না হয় ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের কথা ভাববে।

    নিজের পায়েই কুড়ুল মেরেছে পাকিস্তান (Pakistan)

    ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করতেই পাকিস্তানজুড়ে খাদ্য সংকট আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত অর্থবর্ষেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ৩৮৩৮.৫৩ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছিল। এবার নতুন অর্থবর্ষ শুরু হতেই পাকিস্তানের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত। অমৃতসরের এই সীমান্ত দিয়েই মূলত আমদানি রফতানি হয় পাকিস্তান, আফগানিস্তানে। কিন্তু পাকিস্তান আগ বাড়িয়ে বাণিজ্য স্থগিত করে নিজের পায়েই কুড়ুল মেরেছে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    এক কেজি মুরগির মাংসের দাম ৭৯৮ পাকিস্তানি মুদ্রা, চালের দাম ৩৪০ পাকিস্তানি মুদ্রা

    ভারত থেকেই পাকিস্তান (Pakistan) এতদিন অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ, বিভিন্ন কেমিক্যাল, খাদ্যপণ্য, মাছ-মাংস, ফল, সবজি, জিপসাম ও লবণ আমদানি করত। বর্তমানে যদি পাকিস্তানের বাজারের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের বাজারে এক কেজি মুরগির মাংসের দাম ৭৯৮ পাকিস্তানি মুদ্রা। অন্যদিকে, চালের দাম ছুঁয়েছে প্রতি কেজি ৩৩৯ পাকিস্তানি মুদ্রা! জানা যাচ্ছে, এক ডজন মুরগির ডিমের দাম পাকিস্তানে ৩৩২ পাকিস্তানি মুদ্রা, এক লিটার দুধের দাম সেখানে ২২৪ পাকিস্তানি মুদ্রা।

    আলুর দাম প্রতি কেজি ছুঁয়েছে ১০৫ পাকিস্তানি মুদ্রা

    অন্যদিকে, ৫০০ গ্রাম পাউরুটির দামই রয়েছে ১৬১ পাকিস্তানি মুদ্রা, আলুর দাম প্রতি কেজি ছুঁয়েছে ১০৫ পাকিস্তানি মুদ্রা। আপেলের দাম সেখানে কেজি প্রতি ২৮৮ টাকা, কলার দাম ছুঁয়েছে ১৭৬ পাকিস্তানি মুদ্রা। এই আবহে পাকিস্তানে ইতিমধ্যেই ওষুধ সঙ্কটের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারত থেকেই ৩০-৪০ শতাংশ ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানি করে পাকিস্তান। বাণিজ্য বন্ধ হতেই বাজারে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বিরাট সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    মূল্যবৃদ্ধি আরও বাড়বে পাকিস্তানে

    প্রসঙ্গত, ভারতবর্ষের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পাকিস্তানের বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তৃতীয় দেশের মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ব্যবসা চলতে থাকে। ভারতের বেশিরভাগ জিনিসই পাকিস্তান আমদানি করতে থাকে আফগানিস্তান এবং অন্যান্য দেশ থেকে। সম্প্রতি, তৃতীয় দেশের মাধ্যমেও বাণিজ্য বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধের ফলে পাকিস্তানের অর্থনীতি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এর ফলে ওষুধ সহ খাদ্য সামগ্রীর জিনিসপত্রে ঘাটতি তৈরি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যার ফলে যে মূল্যবৃদ্ধি পাকিস্তানে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে তা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানে ভারত জিপসাম এবং লবণ ছাড়াও বিপুল পরিমাণে ওষুধ রাসায়নিক, সবজি, হাঁস মুরগির খাবার এবং শুকনো ফল রফতানি করত এতদিন।

    এক কোটিরও বেশি পাকিস্তানিকে অনাহারে ভুগতে হবে, রিপোর্ট বিশ্ব ব্যাঙ্কের

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের অবস্থা যে খুবই খারাপ হতে চলেছে আগামী দিনে, তার ভয়াবহ ভবিষ্যদ্বাণী শোনা গিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের একটি রিপোর্টেও। সেখানে বলা হচ্ছে যে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে চলেছে পাকিস্তান। চলতি আর্থিক বছরে তাদের দারিদ্রতার মাত্রা আরও ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয়, এক কোটিরও বেশি পাকিস্তানিকে অনাহারে ভুগতে হবে বলে নিজেদের রিপোর্টে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।

    ২০২৫ সালেই চরমভাবে অনাহার দেখা দেবে পাকিস্তানে

    ওই রিপোর্ট অনুসারে, পাকিস্তানের (Pakistan) বর্তমান পরিস্থিতিতে ধান এবং ভুট্টা উৎপাদনের ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এই কারণে এক কোটিরও বেশি পাকিস্তানি তীব্র খাদ্য নিরাপত্তার সম্মুখীন হবেন। ২০২৫ সালেই চরমভাবে অনাহার দেখা দেবে পাকিস্তানে। বিশ্বব্যাঙ্কের ওই রিপোর্টে পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক নীতি এবং ঋণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে সতর্ক করা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে যে সরকার চলছে তা বাজেট ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংঙ্কের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রতিবছর ২ শতাংশ হারে যদি বাড়তেই থাকে, তাহলে আগামী দিনে অর্থনৈতিক অবস্থা দেশটির আরও খারাপ হবে।

  • NIA: হামলায় পাকিস্তান যোগ স্পষ্ট, পহেলগাঁওয়ের তদন্তভার নিল এনআই, ২০ এপ্রিলের আগে রেইকি করে জঙ্গিরা

    NIA: হামলায় পাকিস্তান যোগ স্পষ্ট, পহেলগাঁওয়ের তদন্তভার নিল এনআই, ২০ এপ্রিলের আগে রেইকি করে জঙ্গিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Aerror Attack) ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করা হয়। পাকিস্তানের মদতে সংঘটিত হওয়া এই হত্যাকাণ্ডে লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফ এই হত্যা লীলা চালিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এবার পেহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্তভার নিল এনআইএ (NIA)। রবিবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। নিজেদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্র উন্মোচনের জন্য পুরো এলাকা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তাঁরা। অন্যদিকে, এই ঘটনায় পাকিস্তান যোগের প্রমাণও মিলেছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। ২০ এপ্রিলের আগেই জঙ্গিরা হামলার স্থান রেকি করে যায়।

    জঙ্গিদের প্রবেশ ও প্রস্থান পথকে পর্যবেক্ষণ করছে এনআইএ (NIA)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কাছ থেকে এই মামলার যাবতীয় দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে এনআইএ। এনআইএ-র (NIA) ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় সাখারের নেতৃত্বে একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং একজন পুলিশ সুপারিটেনডেন্টের সমন্বয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এরপরেই এনআইয়ের দল পেহেলগাঁওয়ে অবস্থিত বৈসরনে যেখানে হামলা চালানো হয় সেখানে তদন্তে নামে। এনআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। যাঁরা নিজেদের চোখের সামনে এই হত্যালীলা সংঘটিত হতে দেখেছিলেন। সন্ত্রাসবাদীদের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার জন্য তদন্তকারী দলগুলি বৈসারনে জঙ্গিদের প্রবেশ ও প্রস্থান পথকেও পর্যবেক্ষণ করছে। একইসঙ্গে ফরেনসিক এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞ দল সেখানে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করছে, যাতে সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রকে উন্মোচন করা যায়।

    ২০ এপ্রিলের আগেই পহেলগাঁওয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে জঙ্গিরা

    এনআইএ-র (NIA) তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য রাজ্যে যে সমস্ত পর্যটক পহেলগাঁও হামলার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বর্তমানে জেলে থাকা লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদ এবং অন্যান্য মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। আতস কাচের তলায় রয়েছে অসংখ্য সহযোগী, তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলায় জড়িতদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। এই কাজে একসঙ্গে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এনআইএ-র তরফ থেকে তদন্তে উঠে এসেছে যে ২০ এপ্রিলের আগেই পেহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Aerror Attack) বৈসরনে এবং আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপরে নজরদারি চালিয়েছিল ওই জঙ্গিরা।

    পাকিস্তান যোগের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে

    ইতিমধ্যে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মুজাফফরবাদ এবং করাচির কিছু জায়গায় যোগ রয়েছে এই সন্ত্রাসী হামলায়। তাই স্বাভাবিকভাবে এখানে পাকিস্তানের হাত স্পষ্টভাবেই রয়েছে। ঠিক যেমনটা ২৬/১১ তে মুম্বাই হামলার সময় পাকিস্তান করেছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে যে তথ্য অনুযায়ী, চার থেকে পাঁচ জন সন্ত্রাসবাদি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। তাদের কাছে অত্যাধুনিক মাধ্যমের যোগাযোগ যন্ত্র ছিল। এদের মধ্যে কেউ কেউ সামরিক পোশাকও পরেছিল এবং হাতে ছিল একে-৪৭। গোয়েন্দাদের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেখানে জানতে পারা যাচ্ছে পাকিস্থানে বসে থাকা এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ডদের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র ছিল হামলাকারী সন্ত্রাসবাদীদের। মুজাফফরবাদ এবং করাচিতে বেশ কিছু জায়গায় এমনই ডিজিটাল প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

    স্থানীয় মাঠকর্মীরাই ওই সন্ত্রাসবাদীদের খাদ্য আশ্রয় এবং অন্যান্য ব্যবস্থা করে

    শুধু তাই নয় গোয়েন্দাদের আরও দাবি, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং আইএসআই এই বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ভারতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশের জন্য সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এবং মার্চ মাসে এনআইএ জম্মু-কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি স্থানে ব্যাপক তল্লাশি চালায় তখনই উঠে আসে এমন তথ্য।
    এনআইএ-র সন্দেহ ভারতে প্রবেশের পরে স্থানীয় মাঠকর্মীরাই ওই সন্ত্রাসবাদীদের খাদ্য আশ্রয় এবং অন্যান্য ব্যবস্থা করে। জানা গিয়েছে, এনআইয়ে নিজেই মার্চ মাসে একটি বিবৃতি জারি করেছিল। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসীরা কাঠুয়া, উধমপুর, ডোডা, কিস্তোয়ার এবং পুঞ্চে উপত্যকায় প্রবেশ করেছে।

    চিহ্নিত আরও ১৪ সন্ত্রাসবাদী

    ইতিমধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ গত শুক্রবারই তিনজন সন্ত্রাসীর স্কেচ প্রকাশ করেছে। যাদের মধ্যে দুজনকে পাকিস্তানি বলে জানা গিয়েছে। এরা হল আলি ভাই এবং হাসিম মুসা। স্থানীয় জঙ্গি আদিলের নাম রয়েছে। এদের প্রত্যেকের মাথার দাম কুড়ি লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে মুসা জম্মু কাশ্মীরের আগে তিনটি সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ২০২৪ সালের মে মাসে পুঞ্চে ভারতীয় বিমানবাহিনীর কনভয়ের ওপর অতর্কিত হামলাতেও সে জড়িত ছিল। এর পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আরও ১৪ জন সন্ত্রাসবাদীকে চিহ্নিত করেছে। এদের মধ্যে ৮ জন লস্কর-ই-তৈবার তিনজন জৈশ-ই-মহম্মদের এবং ৩ জন হিজবুল মুজাহিদিনের।

  • JNUSU Elections: জেএনইউতে ইতিহাস গড়ল এবিভিপি, ছাত্র সংসদের ৪২টির মধ্যে ২৪ আসনে এল জয়

    JNUSU Elections: জেএনইউতে ইতিহাস গড়ল এবিভিপি, ছাত্র সংসদের ৪২টির মধ্যে ২৪ আসনে এল জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ইতিহাস তৈরি করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (JNUSU Elections)। ছাত্র সংসদের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৪টিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি। প্রসঙ্গত, ৪২ জন ছাত্র-ছাত্রী প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ১৬টি স্কুল এবং অন্যান্য কেন্দ্র থেকে। এর পাশাপাশি সেন্ট্রাল প্যানেলে সহ-সম্পাদক পদে জয় ছিনিয়ে এনেছেন এবিভিপি প্রার্থী বৈভব মিনা। এবিভিপি-র এই বিপুল জয়ে আর কখনও এটা বলা যাবে না যে জেএনইউ লাল দুর্গ। এবিভিপির (ABVP) এই বিপুল উত্থানে একেবারেই লাল দুর্গ ভেঙে পড়ল এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। অনেকেই বলছেন, এটি একটি মাইলফলকও বটে, বিশেষত ছাত্র আন্দোলনের ক্ষেত্রে। এই বিপুল জয়ে পড়ুয়ারা জাতীয়তাবাদী মতাদর্শকেই গ্রহণ করল বলে জানাচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সেন্ট্রাল প্যানেলের একটিমাত্র সহ-সম্পাদক পদে জয় এলেও বাকি সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদেও এবিভিপি জোর টক্কর দিয়েছে। শেষ রাউন্ড পর্যন্ত ঘাড়ের উপরে নিঃশ্বাস ফেলেছে বামপন্থী ছাত্র জোটের উপরে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, সমস্ত বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের মধ্যে লড়াই করে এবিভিপির বিরুদ্ধে। এর সত্ত্বেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এবিভিপি লড়াই দিয়ে যায়।

    রাজস্থানের বাসিন্দা  এবিভিপির বৈভব মিনা জিতলেন সহ-সম্পাদক পদে

    সেন্ট্রাল প্যানেলে সহ-সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন এবিভিপির বৈভব মিনা। জানা যাচ্ছে,  তিনি আদতে রাজস্থানের বাসিন্দা। সে রাজ্যের কারাওলি থেকে তিনি পড়তে আসেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। বৈভব মিনা একজন তফশিলি জাতির ছাত্র। রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক হন। জয়পুরে পড়াশোনা শেষ করে পরবর্তীকালে হিন্দি সাহিত্যে তিনি স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি নেন বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্তমানে তিনি হিন্দি সাহিত্যের ওপরে গবেষণা করছেন, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজে। একইসঙ্গে তিনি সম্পূর্ণ করেছেন তাঁর দুবছরের এনএসএস প্রোগ্রামও। বর্তমানে তিনি জেএনইউ-র জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNUSU Elections) কাবেরি হস্টেলের সভাপতি রয়েছেন।

    এক নজরে আমরা দেখে নেব, এবিভিপি (ABVP) কোথা থেকে কত আসন জিতল

    স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে রয়েছে পাঁচটি আসন। এর মধ্যে এবিভিপি জয় পেয়েছে দুটি আসনে।

    স্কুল অফ সোশ্যাল সায়েন্সে রয়েছে পাঁচটি আসন। এর মধ্যে এবিভিপি জয় পেয়েছে দুটি আসনে।

    স্কুল অফ বায়োটেকনোলজিতে রয়েছে দুটি আসন। এখানে এবিভিপি জয় পেয়েছে একটি আসনে।

    স্পেশাল সেন্টার ফর মলিকুলার মেডিসিন এখানে রয়েছে একটি আসন, এবিভিপি জয় পেয়েছে ওই আসনে।

    স্কুল অফ কম্পিউটেশনাল এবং ইন্টিগ্রেটিভ সায়েন্স, এখানে দুটি আসনের মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    স্কুল অফ কম্পিউটার অ্যান্ড সিস্টেম সায়েন্স, এখানে রয়েছে তিনটি আসন যার মধ্যে এবিভিপি জয় পেয়েছে দুটি আসনে।

    স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, এখানে চারটি আসনের মধ্যে চারটিতেই এবিভিপি জয় পেয়েছে।

    স্পেশাল সেন্টার ফর ন্যানো সায়েন্স, এখানে রয়েছে একটি আসন এবিভিপি একটিতেই জয় পেয়েছে।

    স্কুল অফ সংস্কৃত অ্যান্ড ইন্ডিক্ট স্টাডিজ, এখানে রয়েছে তিনটি আসন, তিনটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    অ্যামালগামেটেড সেন্টারে দুটি আসনের মধ্যে দুটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    স্কুল অফ এনভারমেন্টাল সায়েন্সে দুটি আসনের মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    অটল বিহারী বাজপেয়ি স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিয়েন্সিপ, এখানে একটি আসনের মধ্যে একটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    স্কুল অফ ফিজিক্যাল সায়েন্সে তিনটি আসনের মধ্যে দুটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    সার্টিফিকেট প্রফেসিয়েন্সির একটি আসনের মধ্যে একটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    প্রসঙ্গত, জেএনইউ-র সোশ্যাল সায়েন্সকে মনে করা হত যে বামেদের শক্ত ঘাঁটি। কিন্তু ২৫ বছর পরে এবিভিপি এই জায়গা থেকে দুটি আসন দখল করতে সমর্থ হয়েছে।

    কী বলছেন এবিভিপি নেতৃত্ব (ABVP)

    এ নিয়ে এবিভিপির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNUSU Elections) শাখার সভাপতি রাজেশেখরকান্ত দুবে বলেন, ‘‘আমাদের এই জয় শুধুমাত্র এটা প্রমাণ করে না যে আমরা কতটা সক্রিয় ছাত্র আন্দোলনে, এর পাশাপাশি এটাও প্রমাণ করে বিদ্যার্থী পরিষদের ওপর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ঠিক কতটা বিশ্বাস এবং ভরসা রয়েছে।’’ এবিভিপি তরফ থেকে নবনির্বাচিত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সম্পাদক বৈভব মিনা বলেন, ‘‘আমি এটিকে আমার ব্যক্তিগত জয় হিসেবে দেখছি না। এটা হচ্ছে জাতীয়তাবাদী ভাবাদর্শের জয়।’’

LinkedIn
Share