Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • ISRO: লাদাখেই তৈরি হল মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ, ইসরোর অভিনব মিশন নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল

    ISRO: লাদাখেই তৈরি হল মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ, ইসরোর অভিনব মিশন নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো, লাদাখে শুরু করল এক অন্য ধরনের মিশন, যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে হোপ – হিমালয়ান আউটপোস্ট ফর প্ল্যানেটারি এক্সপ্লোরেশন। গত ১ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই মিশন, চলবে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগামী দিনে ভারতের চন্দ্র অভিযান এবং মঙ্গল অভিযানের প্রস্তুতির দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো ইসরোর (ISRO) এই মিশন। এর জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীরা বেছে নিয়েছেন এমন একটি অঞ্চলকে, যে অঞ্চলের সঙ্গে অনেক দিক থেকেই মিল রয়েছে মঙ্গল গ্রহের। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৫৩০ মিটার উপরে অবস্থিত, এখানে বায়ুর চাপ অত্যন্ত কম রয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে প্রবল ঠান্ডা, আবার অতি বেগুনি রশ্মির তীব্রতাও রয়েছে।

    রাখা হয়েছে দুটি যুক্ত মডিউল বিশিষ্ট আবাসন ব্যবস্থা (ISRO)

    গবেষকরা বলছেন, এই ধরনের পরিস্থিতি হল পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ কিংবা মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে পরিবেশের একদমই সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা চন্দ্র বা মঙ্গল অভিযানে (Mars Mission) গেলে, তার আগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একদম আদর্শ পরিবেশ। ইসরোর এই মিশনের অনেক রকমের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এখানে রাখা হয়েছে দুটি যুক্ত মডিউল বিশিষ্ট আবাসন ব্যবস্থা, যার একটি ৮ মিটার প্রশস্ত এবং এটি ক্রুদের জন্য, অপরটি পাঁচ মিটার ইউটিলিটি ইউনিট (ISRO)। এই আবাসনে মিলছে প্রায় সমস্ত রকমেরই ব্যবস্থা। এখানে রয়েছে রান্নাঘর। ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা যখন যাবেন, তখন চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহে রান্না করে খেতে হবে বৈকি। রয়েছে স্যানিটারি সুবিধাও। মানবজীবনের অত্যাবশ্যক প্রয়োজনীয়তাগুলোর ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এই পরীক্ষামূলক আবহে। রয়েছে হাইড্রোপনিক ফার্মিংয়ের মতো আধুনিক কৃষিপদ্ধতি, যা জলবিহীন ও মাটিবিহীন কৃষিকে সম্ভব করে তোলে, তা-ও এখানে বাস্তবায়িত হয়েছে। এইভাবে ভবিষ্যতের অভিযানে খাদ্য সরবরাহের সম্ভাব্য বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা চলছে।

    ইসরোর সঙ্গে যোগ দিয়েছে অন্যান্য সংস্থাও

    ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দশ দিনের যে প্রস্তুতিপর্ব চলছে বা মিশন, সেখানে দুজন ক্রু সদস্য আবাসনের ভিতরে থাকবেন। ওই আবাসনের ভিতরে থাকার সময়, তাঁদের শারীরিক, মানসিক এবং বৌদ্ধিক পর্যায়ের কোন কোন প্রতিক্রিয়া উঠে আসছে, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং বিশ্লেষণ করা হবে। লাদাখের ওই অঞ্চলে (ISRO) গবেষণা চালাচ্ছে ইসরো। তবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার সঙ্গে জুড়েছে দেশের অন্যান্য সেরা প্রতিষ্ঠানগুলি। কোন কোন প্রতিষ্ঠানগুলি ইসরোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই প্রকল্পে কাজ করছে, তা একবার জেনে নিই। রয়েছে আইআইটি বোম্বে, আইআইটি হায়দরাবাদ, আইআইএসটি তিরুবনন্তপুরম, আরজিসিবি তিরুবনন্তপুরম এবং ইনস্টিটিউট অব স্পেস মেডিসিন।

    কী কী নিয়ে চলছে গবেষণা (ISRO)

    ইসরো সূত্রে জানানো হয়েছে যে, উপরে উল্লেখ করা এই সংস্থাগুলির গবেষকরা নানাভাবে গবেষণা চালাচ্ছেন, যেমন: ক্রুদের হেলথ মনিটরিং, গ্রহপৃষ্ঠ অপারেশন, জীবাণু সংগ্রহ, উন্নত চিকিৎসা ও প্রযুক্তির নানা বিষয়। এই হোক মিশনে যারা যাবেন, তখন তাদের যে ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে, তারই একটা মহড়া এবং সেই লক্ষ্যে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এইরকম উদ্যোগ ভারতের মহাকাশ গবেষণাকে শুধু আরও আত্মনির্ভরই করবে না, বরং আন্তর্জাতিক মহাকাশ মিশনের প্রতিযোগিতায় ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী ও মর্যাদাপূর্ণ করে তুলবে বলেই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য

    এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসরোর হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট সেন্টার। জানা যাচ্ছে, ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানব পাঠানো এবং ভবিষ্যতের মঙ্গল অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে ইসরো। এবং মহাকাশের পরিবেশের অনুকরণে গড়ে তোলা হয়েছে মিশন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইসরোর এই মিশনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তৈরি করা হচ্ছে এমন এক পরিবেশ, যা ভবিষ্যতের চাঁদ বা মঙ্গল অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহাকাশচারীদের জন্য প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিবেশে টিকে থাকার জন্য যে ধরণের জীবনধারা, শারীরিক সক্ষমতা, মানসিক দৃঢ়তা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রয়োজন, তা এখানে বাস্তব পরিস্থিতির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

    কী বলছেন ইসরোর চেয়ারম্যান

    এ নিয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ ভি নারায়ণ বলছেন, যে হোক শুধুমাত্র আমাদের জন্য কেবল একটি ধৈর্যের পরীক্ষা নয় — এটি ভারতের ভবিষ্যতে মানব মহাকাশ অভিযানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশন। এখানে সরাসরি মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ এবং মিশনের ডিজাইন, তার ব্যবস্থা, প্রযুক্তি ব্যবস্থা — এই সমস্ত কিছুই খুঁটিনাটিতে পরীক্ষা করা হবে। ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ আরও বলছেন যে, ভবিষ্যতের জন্য আমাদের এই মহড়া চলছে। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আগে এধরনের মিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • PM Modi: ট্রাম্পের শুল্ক-যুদ্ধে বদলাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ, ঘনিষ্ঠ হচ্ছে চিন ও ভারত!

    PM Modi: ট্রাম্পের শুল্ক-যুদ্ধে বদলাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ, ঘনিষ্ঠ হচ্ছে চিন ও ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ! অন্তত এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে এক দফা ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ান তেল কেনার জন্যই এই পরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হয়। ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া গিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তিনি ফিরে এলেই, চলতি মাসের মাঝামাঝি মস্কো সফরে যাবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এরই মধ্যে, ফের ভারতীয় পণ্যের ওপর (SCO Summit) আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বুধবার ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের এই কড়া শুল্ক-পদক্ষেপের আবহে চলতি মাসেই চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে অংশ নিতেই চিন যাত্রা করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকায় প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর এটাই হতে চলেছে তাঁর প্রথম চিন সফর।

    এসসিও সম্মেলন (PM Modi)

    তিয়ানজিনের উত্তরের বন্দর শহরে আগামী ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে এসসিও সম্মেলন। সেই কারণেই চিন সফরে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর চিন সফরটি এমন একটা সময়ে হতে যাচ্ছে যখন ভারত একদিকে যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত কঠোর নতুন বাণিজ্য শুল্কের প্রভাবের মোকাবিলা করছে, তেমনি অন্যদিকে রাশিয়া থেকে তেলের আমদানির কারণে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের মুখোমুখিও হয়েছে। এসসিও সম্মেলনে মোদির উপস্থিতিকে অনেকেই ভারতের কৌশলগত অবস্থান পুনর্বিবেচনার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন, বিশেষ করে যখন পশ্চিমী বিশ্বের সঙ্গে উত্তেজনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বেজিংয়ের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

    চিন সফরে মোদি

    ২০১৯ সালে শেষবারের মতো চিন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর লাদাখের গালওয়ানে ভারত ও চিন সংঘর্ষের পর থেকে দু’দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে। অবশ্য গত বছরে রাশিয়ার কাজানে আন্তর্জাতিক জোট ব্রিকসের পার্শ্ববৈঠকে সাক্ষাৎ করেন মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তারপর থেকে ফের স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ভারত-চিনের সম্পর্ক (SCO Summit)।

    ট্রাম্পের শুল্ক-হুমকি

    সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক-হুমকির জেরে কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে পড়শি এই দুই (PM Modi) দেশ। বেজিংও আপ্রাণ চেষ্টা করছে নয়াদিল্লির সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও নিবিড় করতে। ভারত ও চিনের শক্তির কথা বলতে গিয়ে তারা ব্যবহার করছে যথাক্রমে ‘হাতি’ ও ‘ড্রাগনে’র উপমা। চিনের সাফ কথা, ‘ড্রাগন ও হাতির মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ড্রাগন আর হাতিকে একসঙ্গে নাচিয়ে দিতে হবে। একে অপরের বিরুদ্ধে কথা না বলে পরস্পরকে সাহায্য করতে হবে। তাতেই লাভ হবে দুই দেশের। যদি এশিয়ার বৃহত্তম দুই অর্থনীতি একজোট হয়, তবে তা লাভজনক হবে সমগ্র বিশ্বের পক্ষেই।’ এহেন আবহে মোদির চিন সফরের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে তামাম বিশ্ব।

    চিন ঘুরে এসেছেন রাজনাথ-জয়শঙ্কর

    মোদির চিন সফরের আগে এসসিওর প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের আলাদা সম্মেলন হয়ে গিয়েছে। প্রথমে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং পরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উভয়েই সেই উপলক্ষে চিন সফরে গিয়েছিলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের নাম না (SCO Summit) নিয়েই তাকে আক্রমণ করেন রাজনাথ। সাফ জানিয়ে দেন (PM Modi), সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত কোনও দু’মুখো আচরণ বরদাস্ত করবে না। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ মুহম্মদ। তাঁর সামনেই ভারতের এই অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এবার চিনে হবে এসসিওর শীর্ষ সম্মেলন। সেই সম্মলেন উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানরা। থাকার কথা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফেরও। তাই শরিফের উপস্থিতিতে ভারত কী বলে, তা শুনতেও মুখিয়ে রয়েছেন বিশ্ববাসী।

    চিনের বিবৃতি

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। সেই সময় পাকিস্তানের দিকে যারা ঝুঁকেছিল, তাদের মধ্যে ছিল চিনও। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে চিনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আজ ভোরে ভারত যে সেনা অভিযান চালিয়েছে, তা দুঃখজনক (PM Modi)। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। ভারত ও পাকিস্তান চিরকাল পরস্পরের প্রতিবেশী হিসেবেই বিরাজ করবে। তারাও চিনের প্রতিবেশী। চিন সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরোধী। দুপক্ষের কাছেই আবেদন, বৃহত্তর স্বার্থে, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সংযত থাকুন। এমন কিছু করবেন না, যাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে (SCO Summit)।’

    পরে অবশ্য আর একটি বিবৃতিতে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “চিন সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের কঠোর বিরোধিতা করে এবং ২২ এপ্রিল সংঘটিত জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে। চিন আঞ্চলিক দেশগুলিকে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা জোরদার করার এবং যৌথভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার আহ্বান জানায় (PM Modi)।”

  • US Tariff on India: ‘‘অন্যায্য, অন্যায় ও অযৌক্তিক’’! আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    US Tariff on India: ‘‘অন্যায্য, অন্যায় ও অযৌক্তিক’’! আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার কাছে তেল কেনা বন্ধ না করায় ভারতের পণ্যে আমেরিকার বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক (US Tariff on India) আরোপের সিদ্ধান্তের নিন্দা করল বিদেশ মন্ত্রক। বুধবারই ভারতের উপর শুল্কের পরিমাণ দ্বিগুণ করে দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ। আমেরিকার এই পদক্ষেপ ‘অন্যায্য, অন্যায় ও অযৌক্তিক’ বলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। পাশাপাশি স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করবে ভারত।’

    কেন এই পদক্ষেপ

    মঙ্গলবারই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, আমেরিকা ভারতের উপর ‘খুব উল্লেখযোগ্যভাবে’ শুল্ক (US Tariff on India) বৃদ্ধি করতে চলেছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারত বাণিজ্য অব্যাহত রাখায় এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে আমেরিকা। সেইমতোই রাশিয়ার কাছে তেল কেনা বন্ধ না করায় ভারতের উপর অতিরিক্ত আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। এই মর্মে এক্সকিউটিভ অর্ডারে তিনি সইও করে দিয়েছেন। এরই পাল্টা হিসেবে কড়া বিবৃতি জারি করল ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বিবৃতিটি সমাজমাধ্যমেও পোস্ট করেছেন।

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিকে নিশানা করেছে আমেরিকা। আমরা এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছি। আমাদের আমদানি বাজারের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। অন্য অনেক দেশ জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করতে একই পদক্ষেপ করছে। তা সত্ত্বেও বাড়তি শুল্ক আরোপের জন্য আমেরিকা বেছে নিচ্ছে ভারতকে, যা দুর্ভাগ্যজনক। এই পদক্ষেপ অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অন্যায়। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করতে ভারত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।’’

    কবে থেকে কার্যকর অতিরিক্ত শুল্ক

    ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক (US Tariff on India) নিয়ে মোট ন’দফা নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। বলা হয়েছে, রুশ সরকারের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ এবং পরোভাবে তেল কিনে চলেছে ভারত সরকার। এর ফলে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক চাপবে। এই নির্দেশিকার ২১ দিনের মাথায়, মধ্যরাত ১২টা বেজে ১ মিনিট থেকে নয়া হারে শুল্ক কার্যকর হবে আমেরিকার বাজারে এসে পৌঁছনো, গুদাম থেকে বের করা ভারতীয় পণ্যের উপর। ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, ভারতের উপর ইতিমধ্যে যে শুল্ক, কর, ফি, আরোপ করা হয়েছে, তার উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, আরও যেমন যেমন তথ্য হাতে পাবেন তিনি, এই নির্দেশিকায় তেমন তেমন রদবদলও ঘটাতে পারেন। আগেই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল ভারতীয় পণ্যে। তা ৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। বুধবারের বাড়তি ২৫ শতাংশের ফলে আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে ভারতকে আমেরিকায় রফতানি করতে হলে ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। এই ঘোষণার পর আমেরিকার আরোপিত সর্বোচ্চ শুল্কের তালিকায় চলে এল ভারতের নাম। এ ছাড়া, ব্রাজিলের পণ্যের উপরেও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

    জাতীয় স্বার্থ দেখেই কাজ করবে দিল্লি

    ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল। এখনও পূর্ব ইউরোপে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিবাদে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি বিশ্ব তাদের উপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে রুশ বাণিজ্য যে কারণে বড়সড় ধাক্কা খায়। সেই সময়ে রাশিয়া সস্তায় খনিজ তেল বিক্রি শুরু করে। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল সেই সময়। ভারত সারা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ। এই মুহূর্তে ভারত যে তেল আমদানি করে তার ৩৫ শতাংশই রাশিয়া থেকে। আমেরিকার লাগাতার হুমকির মুখেও এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধের কথা বলেনি নয়াদিল্লি। আগেই এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছিল। বলা হয়েছিল, জাতীয় স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক বাজারদরের কথা মাথায় রেখে ভারত তার বাণিজ্যনীতি নির্ধারণ করে থাকে। অর্থাৎ, বাজারে কে কত দাম নিচ্ছে, সেই বিষয়টিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। রাশিয়া সস্তায় তেল বিক্রি করে বলেই ভারত তা কিনে থাকে। ভারত বারবার বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে তার বাণিজ্য, বিশেষ করে জ্বালানি আমদানি, আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এবং কোনও একক দেশের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। কিন্তু আমেরিকার বক্তব্য, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনার ফলে সেই টাকা ইউক্রেনে যুদ্ধ চালাতে কাজে লাগাচ্ছে মস্কো। যুদ্ধে অর্থসাহায্য হচ্ছে ভারতের দেওয়া টাকায়। এই প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও নীতির ফলে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে টানাপড়েনের সৃষ্টি করল বলেই, অনুমান আন্তর্জাতিক মহলের।

  • India Philippines Relation: ৯ টি চুক্তি স্বাক্ষরিত, ফিলিপিন্সের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে বিশেষ বার্তা মোদির

    India Philippines Relation: ৯ টি চুক্তি স্বাক্ষরিত, ফিলিপিন্সের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে বিশেষ বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন শুল্ক নীতি নিয়ে ট্রাম্পের হুমকির মাঝেই এবার ফিলিপিন্সের (India Philippines Relation) সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সদ্য ভারতে সফরে এসেছেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। আর তাঁর এই ভারত সফরের সময়ই ভারত-ফিলিপিন্স কৌশলী অংশিদারিত্বের সমঝোতা হয়। এছাড়াও ভারতীয় পর্যটকদের ভিসা ছাড়াই সেদেশে প্রবেশের বিষয়ে ফিলিপিন্স ছাড়পত্র দিয়েছে। পাশাপাশি ভারতও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দিল্লি-ম্যানিলা আরও বেশি সরাসরি বিমান চলাচল হবে।

    দুই দেশের মধ্যে কোন কোন চুক্তি

    সোমবার, চারদিনের ভারত সফরে এসেছেন ফিলিপিন্সের (India Philippines Relation) প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটি তাঁর প্রথম ভারত সফর। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘ভারত এবং ফিলিপিন্স ইচ্ছানুযায়ী বন্ধু এবং ভাগ্যানুযায়ী অংশীদার। ভারত মহাসাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত, আমরা ভাগ করে নেওয়া মূল্যবোধের দ্বারা ঐক্যবদ্ধ। আমাদের বন্ধুত্ব কেবল অতীতের বন্ধুত্ব নয়, এটি ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি। ‘ভারত এবং ফিলিপিন্স কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর উদযাপন করছে এবং এই উপলক্ষে দুই রাষ্ট্রনেতা একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করেছেন। দুই দেশের মধ্যে ৯ টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ফিলিপিন্স ভারত থেকে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন যে, আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এটি আরও বাড়ানোর জন্য, ভারত-আসিয়ান ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’র পর্যালোচনা শীঘ্রই সম্পন্ন হবে। এর সাথে সাথে, একটি দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির দিকেও কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে আমাদের কোম্পানিগুলি ফিলিপাইনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করছে, যার মধ্যে তথ্য ও ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, অটোমোবাইল, পরিকাঠামো, খনিজ পদার্থ রয়েছে।

    অ্যাক্ট ইস্ট নীতিতে ফিলিপিন্স গুরুত্বপূর্ণ 

    প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন স্পষ্ট করে দেন, ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতিতে ফিলিপিন্স (India Philippines Relation) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, এবং ভারতের ‘মহাসাগর’ নীতিরও সহযোগী। মোদি স্পষ্ট জানান,’আমরা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি এবং নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে নৌ-চলাচলের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি।’উল্লেখ্য, রবিবার থেকে ‘বিতর্কিত’ দক্ষিণ চিন সাগরে ভারত এবং ফিলিপিন্সের নৌবাহিনী যৌথ যুদ্ধমহড়া শুরু করেছে। দক্ষিণ চিন সাগর অঞ্চলে বেজিংকে চাপে রাখার জন্য আমেরিকা গত বছর ‘স্কোয়াড’ নামে যে চতুর্দেশীয় সামরিক জোট গড়েছ, অস্ট্রেলিয়া, জাপানের পাশাপাশি ফিলিপিন্স তার অন্যতম সদস্য। এই আবহে নয়াদিল্লি-ম্যানিলার এই সামরিক সমঝোতা চিনকে চাপে ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

  • RBI: বিশ্ব অর্থনীতিতে আমেরিকার চেয়ে বেশি অবদান রাখছে ভারত, দাবি আরবিআই গভর্নরের

    RBI: বিশ্ব অর্থনীতিতে আমেরিকার চেয়ে বেশি অবদান রাখছে ভারত, দাবি আরবিআই গভর্নরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় অর্থনীতি খুব ভালোভাবে চলছে। বিশ্ব প্রবৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি অবদান রাখছে ভারত। এমন মন্তব্য করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর (RBI) সঞ্জয় মালহোত্রা। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের অর্থনীতিকে (Indian Economy) “মৃত” বলে মন্তব্য করার পর এই প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। বুধবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার আর্থিক নীতি কমিটির (MPC) বৈঠক হয়। সেখানেই রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা। ফলে রেপো রেট ৫.৫ শতাংশই থাকছে।

    ভারতীয় অর্থনীতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল

    আরবিআই (RBI) সদর দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সঞ্জয় বলেন, “চলতি অর্থবছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে আইএমএফ ২০২৫ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ বলে অনুমান করছে। আমরা প্রায় ১৮ শতাংশ অবদান রাখছি, যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি — তাদের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ বা তারও কম।” তিনি বলেন, “আমরা খুব ভালো করছি এবং ভবিষ্যতেও উন্নতির পথে এগিয়ে যাবো।” তাঁর মতে, ভারতীয় অর্থনীতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল। তিনি বলেন, “ভারতীয় অর্থনীতিতে মার্কিন শুল্কের বড় কোনও প্রভাব পড়বে বলে আমাদের মনে হয় না।”

    পাশে রয়েছে ভারত সরকার

    ভারত-মার্কিন বানিজ্য নীতি নিয়ে আলোচনার সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের সমালোচনা করে বলেছিলেন, “আমি পরোয়া করি না ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করে। ওরা একসাথে নিজেদের মৃত অর্থনীতি নিয়ে এগিয়ে যাক।” ভারতের (Indian Economy) রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনা চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত নিয়েই ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই ধরনে মন্তব্য শুধুমাত্র ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে উত্তেজনার দিকে ঠেলে দিতে পারে না, বরং ভারতের ওপর ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট শুল্ক বা রাশিয়ান তেল আমদানির কারণে সম্ভাব্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কাও তৈরি করেছে। আরবিআই-এর ডেপুটি গভর্নর পুনম গুপ্ত বলেন, “এই ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোর প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের মুদ্রাস্ফীতির ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।” এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে ভারত যদি রাশিয়ান তেল আমদানি বন্ধও করে দেয়, তাহলেও দেশীয় মুদ্রাস্ফীতির ওপর তার কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানান আরবিআই গভর্নর। তিনি বলেন, “চলতি অর্থবছরে যদি তেলের দাম বেড়ে যায়, তাহলে সরকার প্রয়োজনে শুল্ক কমাতে পারে যাতে সাধারণ মানুষের ওপর এর প্রভাব না পড়ে।”

  • Kartavya Bhavan: অত্যাধুনিক সুবিধা ও সজ্জায় সজ্জিত ‘কর্তব্য ভবন ৩’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    Kartavya Bhavan: অত্যাধুনিক সুবিধা ও সজ্জায় সজ্জিত ‘কর্তব্য ভবন ৩’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক ও দফতরগুলিকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসার কথা মাথায় রেখেই অভিন্ন কেন্দ্রীয় সচিবালয় গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার। তারই অঙ্গ হিসেবে বুধবার কমন সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েটের প্রথম বিল্ডিংয়ের উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন, ‘কর্তব্য ভবন ৩’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই নতুন ভবনটিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতর সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের কার্যালয় থাকবে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে নর্থ ব্লক থেকে পরিচালিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই ভবনে স্থানান্তরিত হবে।

    সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পেপ অংশ

    ভারতের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পকে। এই মহাপরিকল্পনার অধীনে ইতিমধ্যে নতুন সংসদ ভবন চালু হয়েছে, যা দেশের আইন প্রণয়নের কেন্দ্র। এছাড়াও, রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত বিস্তৃত তিন কিলোমিটার দীর্ঘ রাজপথের (বর্তমানে ‘কর্তব্য পথ’) সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এবার ১০টি কর্তব্য ভবন গড়ে তোলা হচ্ছে। লক্ষ্য, ভারতের প্রশাসনিক পরিকাঠামোকে আরও আধুনিক ও সুসংহত করা। এরই প্রথম ভবনের উদ্বোধন হল বুধবার। গোটা পরিকল্পনা ও রূপায়ণের দায়িত্বে কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক।

    উঠে আসছে আরও ৯ কর্তব্য ভবন

    জানা গিয়েছে, ‘কর্তব্য ভবন ৩’ প্রায় দেড় লক্ষ বর্গমিটার আয়তনের একটি আধুনিক অফিস কমপ্লেক্স, যার দুটি বেসমেন্ট এবং সাত তলা জুড়ে বিস্তৃত। এতে স্বরাষ্ট্র, বিদেশ, গ্রামীণ উন্নয়ন, এমএসএমই, ডিওপিটি, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক থাকবে। ‘কর্তব্য ভবন ১’ ও ‘কর্তব্য ভবন ২’-এর কাজ আগামী মাসে সম্পন্ন হওয়ার কথা। ‘কর্তব্য ভবন ১০’ -এর নির্মাণ কাজ আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে। ভবন ৬ এবং ৭-এর প্রকল্পটি ২০২৬ সালের অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

    অত্যাধুনিক সুবিধা

    কর্তব্য ভবনটি একেবারে আধুনিক সজ্জা ও সুবিধায় সজ্জিত। নতুন ভবনটি আধুনিক প্রশাসনিক অবকাঠামোর একটি উদাহরণ। এর মধ্যে রয়েছে— আইটি-প্রস্তুত এবং সুরক্ষিত কর্মক্ষেত্র, আইডি কার্ড-ভিত্তিক অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ, সমন্বিত ইলেকট্রনিক নজরদারি এবং একটি কেন্দ্রীয় কমান্ড সিস্টেম। ছাদে সৌর প্যানেল যা বছরে পাঁচ লক্ষ ইউনিটেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে, ৩০ শতাংশ শক্তি সাশ্রয় হবে বলে আশা। এতে থাকছে ডাবল-গ্লেজড কাচের জানলা, সোলার ওয়াটার হিটার, উন্নত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, বায়ুচলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং বৃষ্টির জল সংগ্রহের সুবিধা। এই নতুন ভবনে থাকছে ৩২৪টি পার্কিং স্লট, ১২০টি বৈদ্যুতিক যানবাহন চার্জিং পয়েন্ট, প্রতিদিন ৬৫০টি যানবাহনকে পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা।

  • World War 3: পুতিন-ট্রাম্পের অস্ত্র মোতায়েনের জেরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ, দুয়ারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

    World War 3: পুতিন-ট্রাম্পের অস্ত্র মোতায়েনের জেরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ, দুয়ারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার উপকূলের কাছে পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার পরেই পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। জানা গিয়েছে, রাশিয়া ইউরোপের কাছাকাছি (World War 3) চারটি পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে। দুই উন্নত দেশের এই অস্ত্রের ঝনঝনানিতে বিশ্বের ঈশান কোণে ঘনাচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মেঘ। এই বিমানগুলি অতীতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে। পশ্চিমি মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে এগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা রয়েছে।

    কৌশলগত বোমারু বিমানগুলির অবস্থান বদল (World War 3)

    ট্রাম্পের এই নির্দেশের আগে রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দিমিত্রি মেদভেদেভ একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। এর পরপরই রাশিয়া দ্রুত তাদের কৌশলগত বোমারু বিমানগুলির অবস্থান বদলে ফেলে। ট্রাম্প সম্প্রতি বলেন, “মার্কিন সাবমেরিনগুলি এখন সেখানেই রয়েছে, যেখানে থাকা দরকার।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি মস্কোর প্রতি একটি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি। উল্লেখ্য, রুশ বোমারু বিমানগুলি আর্কটিক অঞ্চলের মুরমানস্ক এলাকার ওলেনিয়া এয়ারবেসে মোতায়েন করা হয়েছিল। ১ জুন ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ার পর এবার সেগুলিকে ফের সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কিছু বিমান সারাতভ অঞ্চল থেকেও সরানো হয়েছে। কারণ রাশিয়ান সামরিক ভবনে ইউক্রেনীয় হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই ব্যবস্থা।

    রাশিয়ার পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনীর অংশ

    এই বোমারু বিমানগুলি রাশিয়ার পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনীর অংশ। তবে ইউক্রেনে বোমাবর্ষণ মিশনেও ব্যবহার করা হয়েছে এগুলি (World War 3)।এদিকে, ইউক্রেন একটি বড় সামরিক সাফল্যের দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে, তারা একটি রুশ জেট ফাইটার গুলি করে নামিয়েছে এবং রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়ায় চালানো এক হামলায় চারটি সামরিক বিমানের ক্ষতি করেছে। এই হামলাটি ঘটেছে মাত্র এক দিন আগেই।

    প্রসঙ্গত, মেদভেদেভ, যিনি বর্তমানে রাশিয়ান ফেডারেশনের নিরাপত্তা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এর আগে ট্রাম্পকে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সতর্ক করেছিলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছিলেন, “রাশিয়া ইজরায়েল বা ইরান নয়, এবং সতর্ক করেন যে ট্রাম্পের প্রতিটি হুমকি বিশ্বকে একটি (Putin) পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে আরও কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে।” এই সতর্কতার কিছুক্ষণ পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। যা উত্তেজনার পারদ আরও চড়িয়ে দিয়েছে (World War 3)।

  • Ministry of Defence: দেশের প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করতে ৬৭০০০ কোটি টাকার অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনছে ভারত

    Ministry of Defence: দেশের প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করতে ৬৭০০০ কোটি টাকার অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হতে চলেছে ভারতের অস্ত্রভান্ডার। শতাধিক ব্রহ্মস ও উন্নত ড্রোন কিনতে চলেছে ভারতীয় ফৌজ। ইতিমধ্যে অস্ত্র কেনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৬৭ হাজার কোটি টাকার চুক্তিতে প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)।

    সামরিক বাহিনীর (Indian Armed Forces) আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়েছিল আগেই। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে তাতে আরও গতি এসেছে। মঙ্গলবারই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিল প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কমিটি (ডিফেন্স অ্যাকিউজিশন কাউন্সিল বা ডিএসি)। সেখানেই অস্ত্র কেনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    ৮৭টি ম্যাল সশস্ত্র ড্রোন

    জানা যাচ্ছে, তিন-বাহিনীর জন্য মাঝারি-উচ্চতায় দীর্ঘক্ষণ আকাশে উড়তে সক্ষম (ম্যাল) সম্পন্ন ৮৭টি সশস্ত্র ড্রোন কেনা হবে। সেই ড্রোনগুলি তৈরি হবে ৬০ শতাংশ দেশীয় উপকরণ দিয়ে। এর জন্য বিদেশি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করবে একটি ভারতীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি। কিনতে খরচ হবে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এই সব ড্রোন কেনার পর ১০ বছর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আরও ১১ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।

    ১১০টি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র

    এর পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমতিতে নতুন ১১০টি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কেনারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুনিয়ার দ্রুততম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে অন্যতম হল ব্রহ্মস। রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে ভারত। জল, স্থল, আকাশ ও জলের নীচ— এই চার জায়গা থেকেই ছোড়া যায় ব্রহ্মস। এর প্রতিটির জন্য পৃথক সংস্করণের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে সামরিক বাহিনী। ব্রহ্মসের গতি শব্দের চেয়ে তিনগুণ। দেশের প্রতিরক্ষাকে মাথায় রেখে এই ব্রহ্মসকে আরও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে ৫ দফা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে ব্রহ্মসের পাল্লা ও গতি দুটোই বাড়ানো হচ্ছে।

    সাঁজোয়ার জন্য থার্মাল ইমেজার

    নৌবাহিনীর জন্য কমপ্যাক্ট অটোনমাস সারফেস ক্রাফ্ট কেনার অনুমোদন দিয়েছে ডিফেন্স অ্যাকিউজিশন কাউন্সিল। এই স্বয়ংক্রিয় নৌযান সাবমেরিন শনাক্ত করতে পারে। একইসঙ্গে বারাক-১ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে আরও উন্নত করা হবে। স্থলসেনার ব্যবহৃত সাঁজোয়া সামরিক যানগুলির আধুনিকীকরণের অঙ্গ হিসেবে তার জন্য থার্মাল ইমেজার সহ উন্নতমানের ড্রাইভার নাইট সাইট কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে কম আলোয় বা রাতে চালকের দেখতে কোনও অসুবিধা হবে না।

    পাহাড়ি সীমান্তে মাউন্টেন রেডার

    এছাড়া, বায়ুসেনার সি-১৭ ও সি-১৩০জে বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিটি, যাতে যুদ্ধের সময়ে পরিবহণ এবং উদ্ধারকাজে দেরি না হয়। একই সঙ্গে এস-৪০০ লং রেঞ্জ মিসাইল সিস্টেম-এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বার্ষিক চুক্তির অনুমোদনও মিলেছে। আকাশপথে শত্রুর গতিবিধির উপরে নজর রাখতে পাহাড়ি সীমান্তে বসানো হবে মাউন্টেন রেডার। পাশাপাশি সক্ষম/স্পাইডার মিসাইল সিস্টেমকে আপগ্রেড করে ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কনট্রোল সিস্টেম (IACCS)-এর সঙ্গে যুক্ত করার কাজও চলবে জোরকদমে।

  • Ajit Doval: রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই মস্কোয় ডোভাল

    Ajit Doval: রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই মস্কোয় ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জ্বালানি কেনা নিয়ে ভারতকে ফের একবার শুল্কবৃদ্ধির হুঁশিয়ারি (Tariff Threat) দিয়েছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের ওপর আরও শুল্ক বৃদ্ধি করা হবে।” এর আগে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। পরে তিনি যে শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তার পরিমাণ কত, তা বলেননি। ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারির পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ায় পৌঁছে গেলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। তবে ঠিক কী কারণে তিনি তড়িঘড়ি করে মস্কোয় গেলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

    রাশিয়ায় পৌঁছে গেলেন ডোভাল (Ajit Doval)

    মঙ্গলবার সকালেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। আর এদিনই রাতে রাশিয়ায় পৌঁছে গেলেন ডোভাল। সূত্রের খবর, রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যেই রাশিয়া গিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। চলতি সফরে ডোভাল রুদ্ধদ্বার বৈঠক করবেন রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কর্তাদের সঙ্গে। বৈঠকে আলোচনা হতে পারে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, সন্ত্রাসবাদ দমনের মতো বিষয়েও। এ মাসেরই শেষের দিকে রাশিয়ায় যাওয়ার কথা রয়েছে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরও। সংবাদ সংস্থা ‘তাস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জয়শঙ্করের এই রাশিয়া সফর পূর্বনির্ধারিত সূচির অংশ। ফোকাস থাকবে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনাও আলোচনার বিষয় হবে। এর পাশাপাশি রাশিয়া থেকে ভারতের জন্য তেল সরবরাহের মতো জরুরি বিষয়গুলিও আলোচনায় আসবে।”

    ট্রাম্পের অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের অভিযোগ, ভারত মস্কো থেকে জ্বালানি কিনে আদতে সাহায্য করছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে। তাই ভারতের উচিত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা বন্ধ করা। তা না হলে ভারতীয় পণ্যের ওপর ফের একপ্রস্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। ভারতকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি ট্রাম্প রাশিয়াকে ইউক্রনে যুদ্ধে দ্রুত বিরতি ঘোষণা করতে বলেছেন। তিনি বলেন, “রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করে, তাহলে আমেরিকা কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।” এহেন উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশেই ডোভালের মস্কো যাত্রা।

    ভারতের প্রত্যুত্তর

    রাশিয়া (Ajit Doval) থেকে তেল কেনায় ট্রাম্পের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারত আমেরিকাকে পাল্টা জানিয়ে দিয়েছে, আমেরিকা নিজেই রাশিয়ার সঙ্গে প্রচুর ব্যবসা করছে (Tariff Threat)। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে কোনও প্রধান অর্থনীতির মতো, ভারতও তার জাতীয় স্বার্থ এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা নেবে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২২ সালে যখন রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল, তখন আমেরিকাই চেয়েছিল যে ভারত সস্তায় রাশিয়ান তেল কিনুক, যাতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম স্থিতিশীল থাকে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাশিয়া ও ইউরোপের বাণিজ্য তালিকায় শুধু তেল বা গ্যাস নয়, সার, খনিজ, রাসায়নিক, লৌহ-ইস্পাত-সহ আরও বহু পণ্য আমদানি করে। এই তালিকায় শুধু ইউরোপ কেন, খোদ আমেরিকাও বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করে। তারা নিজেদের পারমাণবিক কার্যকলাপের জন্য রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড কেনে। বৈদ্যুতিন গাড়ি শিল্পের জন্য আমদানি করে প্যালাডিয়াম, সার ও রাসায়নিক।

    জ্বালানি আমদানি নিয়ে বড় চুক্তি!

    সূত্রের খবর, ডোভালের (Ajit Doval) চলতি সফরে রাশিয়ার সঙ্গে অপরিশোধিত জ্বালানি আমদানি নিয়ে বড় চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে রাশিয়া ভারতকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে আরও বেশি পরিমাণে ছাড় দিতে পারে। ভারতের ওপর শুল্ক ঘোষণার পর রাশিয়া ট্রাম্পকে বিশ্বে কোণঠাসা করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। রাশিয়ার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও দেশের হস্তক্ষেপে দুর্বল হবে না ভারত-রুশ সম্পর্ক। এহেন পরিস্থিতিতে ডোভালের রাশিয়া সফরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে তামাম বিশ্ব।

    ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জেরেই সমস্যা

    এর একটা অন্যতম বড় কারণ হল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাম্প্রতিক একটি মন্তব্য। তিনি বলেছিলেন, “বাণিজ্যের জন্য ভারত ভালো অংশীদার নয়। তারা আমাদের সঙ্গে যথেষ্ট বাণিজ্য করে। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে বাণিজ্য করি না। তাই ভারতের ওপর আমরা ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলাম। কিন্তু আগামী (মঙ্গলবার বলেছিলেন) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা বৃদ্ধি করা হবে। কারণ, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনছে এবং তারা ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করছে।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন প্রতিক্রিয়ায় ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে (Tariff Threat), ভারতকে (Ajit Doval) নীতি ধর্ম শেখাতে আসা আমেরিকা নিজেই বিপুল পণ্য আমদানি করে রাশিয়া থেকে।

  • Canada: কার্নি জমানায় কানাডাভূমে আস্ত দূতাবাস খুলে ফেলল খালিস্তানপন্থীরা!

    Canada: কার্নি জমানায় কানাডাভূমে আস্ত দূতাবাস খুলে ফেলল খালিস্তানপন্থীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলেছে জমানা। বদলায়নি কানাডা (Canada)। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর শাসনে সে দেশে বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল খালিস্তানপন্থীদের (Khalistan Board)। ট্রুডোর পরে কাডানার কুর্সিতে বসেছেন মার্ক কার্নি। তার পরেও একটুও বদলায়নি কানাডায় খালিস্তানপন্থীদের হম্বিতম্বির ছবিটা।

    রিপাবলিক অফ খালিস্তান’ (Canada)

    ফেরা যাক খবরে। এবার কানাডার সারে শহরে ‘শিখস ফর জাস্টিস’(SFJ) নামক খালিস্তানপন্থী সংগঠন এবং গুরু নানক শিখ গুরুদ্বারের সহযোগিতায় স্থাপন করা হয়েছে ‘খালিস্তানের দূতাবাস’। এজন্য ‘রিপাবলিক অফ খালিস্তান’ লেখা একটি সাইনবোর্ড-সহ এই তথাকথিত দূতাবাসটি গুরুদ্বার চত্বরে একটি ভবনের ভিতরে খোলা হয়েছে। এই ভবনটি আবার ব্যবহৃত হয় কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের স্থানীয়রা জানান, যে ভবনে দূতাবাসটি স্থাপন করা হয়েছে, সেটি ব্রিটিশ কলাম্বিয়া সরকারের অর্থে নির্মিত। তাঁরা এও বলেন, সম্প্রতি ব্রিটিশ কলাম্বিয়া সরকার ওই ভবনে লিফট বসানোর জন্য ১,৫০,০০০ মার্কিন ডলার দিয়েছে।

    কী বলেছিল কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা

    চলতি বছরের জুন মাসে কানাডার শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (CSIS) প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে যে খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা এখনও কানাডার মাটি ব্যবহার করছে তাদের প্রচার, অর্থ সংগ্রহ এবং হিংসার পরিকল্পনা করার ঘাঁটি হিসেবে, যার প্রধান টার্গেট ভারত। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ, “খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা এখনও কানাডাকে একটি ঘাঁটি হিসেবেই ব্যবহার করছে—প্রচার, অর্থ সংগ্রহ এবং মূলত ভারতে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালানোর জন্য।” সংবাদ মাধ্যমের এই প্রতিবেদনের আগেই (Khalistan Board) কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস তাদের সর্বশেষ বাৎসরিক প্রতিবেদনের একটি অংশে বলেছিল, কানাডার অভ্যন্তরে বিদেশি হস্তক্ষেপ এবং চরমপন্থী কার্যকলাপ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষত ভারতের সঙ্গে তাদের সংবেদনশীল কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে (Canada)।

    খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীদের কার্যকলাপে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই ভারত কানাডার মাটি থেকে পরিচালিত খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীদের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। আটের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে কানাডায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংস চরমপন্থার হুমকি মূলত প্রকাশ পেয়েছে কানাডাভিত্তিক খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীদের মাধ্যমে। এরাই ভারতের পাঞ্জাবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ‘খালিস্তান’ গঠনের লক্ষ্যে সহিংস পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল। ইন্ধন জোগাচ্ছিল ওই আন্দোলনে। পাঞ্জাবের শিখ তরুণদের মগজধোলাইও করা হচ্ছিল। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংস চরমপন্থা এমন একটি মতবাদ, যা নয়া রাজনৈতিক ব্যবস্থা বা বিদ্যমান ব্যবস্থার মধ্যে নতুন কাঠামো বা নিয়ম কায়েমের জন্য হিংসায় উৎসাহ দেয়। এই মতবাদে বিশ্বাসীরা বিশ্বজুড়ে হামলার পরিকল্পনা করে। জোগাড় করে অর্থ। কাজ করে নয়া রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে (Canada)।

    ট্রুডোর আমল বনাম কার্নির জমানা

    ট্রুডোর আমলে মাথাচাড়া দিলেও, কানাডার কার্নি সরকারের আমলেই ‘দূতাবাস’ খুলে বসেছে খালিস্তানপন্থীরা। নাম দেওয়া হয়েছে ‘রিপাবলিক অফ খালিস্তান’। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন গোয়েন্দা স্থংস্থা এই দূতাবাসের ওপর কড়া নজর রাখছে। কারণ এটি যারা খুলেছে, তারা ভারতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন শিখস ফর জাস্টিসের সদস্য। এই প্রতীকী ‘দূতাবাস’ আবার হরদীপ সিং নিজ্জরকে প্রকাশ্যে সমর্থন করছে। কিছুদিন আগেই শিখ গণভোট আয়োজনের কথা জানিয়েছিল শিখস ফর জাস্টিস। তার আগেই কানাডাভূমে তৈরি হয়ে গেল আস্ত একটা ‘দূতাবাস’ (Khalistan Board), এবং তাও আবার কোনও অজ গাঁয়ে নয়, কানাডা প্রশাসনের নাকের ডগায়। খালিস্তানপন্থীদের এহেন কার্যকলাপের ওপর কড়া নজর রাখছে স্থানীয় ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি।

    ভারতবিরোধী কাজকর্ম খালিস্তানপন্থীদের

    কার্নির আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ট্রুডো। তাঁর জমানায় খালিস্তানপন্থীরা সে দেশে ব্যাপকভাবে ভারতবিরোধী কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে ছিল বিতর্কিত কুচকাওয়াজ, হিন্দুদের মন্দিরে তাণ্ডব চালানো, মন্দিরের গায়ে ভারত এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর বিভিন্ন স্লোগানও লেখা হচ্ছিল। করা হয়েছিল ভারতীয় জাতীয় পতাকার অবমাননাও। আর কার্নি জমানায় খুলে ফেলা হল আস্ত একটা ‘দূতাবাস’। প্রকাশ্যে আসা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, খালিস্তানপন্থীরা গুরুদ্বারে ঢোকার ঠিক পাশেই টাঙিয়েছে ‘রিপাবলিক অফ খালিস্তান’ লেখা বোর্ড (Canada)।

    ২০২৩ সালের ১৮ জুন ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের এই সারে শহরেই (Khalistan Board) খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে খুন করে অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীরা। বছর পঁয়তাল্লিশের নিজ্জর কানাডায় শিখস ফর জাস্টিসের প্রধান ছিলেন। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। সংসদে দাঁড়িয়ে ওই ঘটনায় ভারতকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন ট্রুডো স্বয়ং। অভিযোগ অস্বীকার করেছিল নয়াদিল্লি। এদিকে, ২০২৪ সালের মে মাসে কানাডা পুলিশ নিজ্জর খুন এবং তাকে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার করে তিন ভারতীয়কে। সেই মামলার শুনানি এখনও চলছে কানাডার আদালতে। এই আবহেই তৈরি হয়ে গেল ‘দূতাবাস’ (Canada)।

LinkedIn
Share