Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • India’s Electronics: মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে সাফল্য! ভারতের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন খাতে গত এক দশকে ছয় গুণ বৃদ্ধি

    India’s Electronics: মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে সাফল্য! ভারতের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন খাতে গত এক দশকে ছয় গুণ বৃদ্ধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইলেকট্রনিক্স (India’s Electronics) উৎপাদন খাতে গত এক দশকে ছয় গুণ বৃদ্ধি ঘটেছে। এই বৃদ্ধিকে সামনে রেখে মোদি সরকার (Modi Govt Targets) ২০৩০–৩১ সালের মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের একটি পূর্ণাঙ্গ ইলেকট্রনিক্স ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। আইফোন, স্মার্ট টিভি, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ছাড়াও অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টও ভারতে তৈরির ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে। রোবোটিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, কফি মেশিন, বিল্ট-ইন-রেফ্রিজরেটর এবং এয়ার ফ্রায়ারের মতো পণ্য যেগুলি আগে পুরোপুরি ভাবে বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো, সেগুলি এ বার ভারতে তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

    উৎপাদন ও রফতানিতে রেকর্ড বৃদ্ধি

    সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪–১৫ সালে যেখানে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১.৯ লক্ষ কোটি টাকা, তা ২০২৪–২৫ সালে বেড়ে হয়েছে ১১.৩ লক্ষ কোটিতে। পাশাপাশি রফতানিতেও বিশাল বৃদ্ধি ঘটেছে— ৩৮,০০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে  ৩.২৭ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে, অর্থাৎ আট গুণেরও বেশি। এই খাতে প্রায় ২৫ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে, যা ভারতের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। সরকার বলছে, এই অভাবনীয় প্রবৃদ্ধির পিছনে রয়েছে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘আত্মনির্ভর ভারত’, এবং প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) স্কিম-এর মতো উদ্যোগ। এ ছাড়াও, দক্ষ জনশক্তি ও বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ভারতীয় ইলেকট্রনিক্স খাতে গতি এনেছে। ২০২০–২১ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত এই খাতে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (FDI) এসেছে।

    সরকারের কৌশলগত পদক্ষেপে গতি

    সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কৌশলগত নীতিগত সহায়তা দেশীয় উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে এবং বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে।” ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ভারতের ইলেকট্রনিক্স রফতানির শীর্ষ পাঁচটি গন্তব্য দেশ হলো— যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য এবং ইতালি। সরকারের লক্ষ্য, বর্তমান গতি বজায় রেখে ২০৩০–৩১ সালের মধ্যে ভারতের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন খাতকে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের একটি পূর্ণাঙ্গ ইকোসিস্টেমে রূপান্তরিত করা। এর মধ্যে থাকবে উপাদান (component), উৎপাদনের সম্প্রসারণ, বিশ্ববাজারে আরও সংহত হওয়া এবং ডিজাইন-কেন্দ্রিক উদ্ভাবনে জোর। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক বৈচিত্র্য এবং অভ্যন্তরীণ সংস্কারের কারণে ভারত পূর্ব এশীয় অর্থনীতিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম একটি বৈশ্বিক ইলেকট্রনিক্স প্রস্তুতকারক কেন্দ্রে পরিণত হতে চলেছে।

    বড় বড় কোম্পানি দেশেই পণ্য তৈরি করছে

    ভারতে ইলেকট্রনিক শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা জানাচ্ছেন, ভারতে তৈরি পণ্যের ক্ষেত্রে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্স (BIS)-এর কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার (QCO)-এর সার্টিফিকেশনের দরকার পড়ে। গত ৮-৯ মাসে সেই এই তালিকায় যোগ হয়েছে একাধিক ইলেট্রনিক্স প্রোডাক্ট। ইউরেকা ফোর্বসের রোবোটিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের বড় বাজার রয়েছে ভারতে। এই পণ্য তৈরির জন্য ডিক্সন টেকনোলজির সঙ্গে সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এই সংস্থা। ভারতে পণ্য তৈরির বিষয়ে ডিক্সন টেকনোলজিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অতুল লাল বলেছেন, ‘বিআইএস-এর নিয়ম অনেক ব্রান্ডের কাছেই এখন ট্রিগার হিসাবে কাজ করছে। যদিও কিছু পণ্যের বাজার সত্যিই খুবই ছোট। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই প্রবণতা ব্যবসার সুযোগ তৈরি করেছে।’ ইউরেকা ফোর্বসের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, ভারতে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের প্রায় ৭০০ কোটি টাকার বাজার রয়েছে। ডিক্সন টেকনোলজি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের অন্যতম বৃহৎ কন্ট্র্যাক্ট ম্যানুফ্যাকচারার।

    আমদানি সংক্রান্ত জটিলতাও কমেছে

    ডিক্সনের মতো একাধিক সংস্থার ইতিমধ্যেই ভারতে উৎপাদন কেন্দ্র খুলেছে। যার মধ্যে অন্যতম ইউরোপের সংস্থা লিবহের। সম্প্রতি অওরঙ্গাবাদে বিল্ট-ইন-রেফ্রিজরেটরের প্ল্যান্ট তৈরি করেছে এই সংস্থা। বছরে মাত্র ১৪ থেকে ১৫ হাজার ইউনিটের বিক্রি থাকলেও কারখানা তৈরি করেছে এই সংস্থা। ওই সংস্থার ভারতীয় শাখার ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সেলস) কপিল আগরওয়াল বলেছেন, ‘আগে আমরা জার্মানি থেকে আমদানি করতাম। ফ্যাক্টরি সার্টিফিকেশন খুবই বিরক্তিকর একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু প্ল্যান্ট তৈরি হওয়ায় আমদানি সংক্রান্ত জটিলতাও কমেছে। আমাদের বিশ্বাস এই পণ্যের বাজার আগামী দিনে অনেকটা বাড়বে।’ ক্রম্পটন গ্রিভেস, হ্যাভেলস ইন্ডিয়ার মতো একাধিক সংস্থা অ্যানুয়াল রিপোর্টে নিজেদের পণ্য স্থানীয় স্তরে তৈরির ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছে। গত এক বছরে এই সব সংস্থা আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে লোকালাইজ প্রোডাকশনও বাড়িয়েছে।

    মোবাইল উৎপাদনে ভারতের নজির

    ভারতের মোবাইল ফোন উৎপাদন শিল্প এই খাতে সবচেয়ে বড় সাফল্যের গল্প। গত এক দশকে এই খাত ২৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে— ২০১৪–১৫ সালে ১৮ হাজার কোটি টাকা থেকে ২০২৪–২৫ সালে তা পৌঁছেছে ৫.৪৫ লক্ষ কোটিতে। বর্তমানে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী দেশ। ২০১৪ সালে যেখানে মাত্র ২টি মোবাইল উৎপাদন ইউনিট ছিল, এখন সেই সংখ্যা ৩০০-রও বেশি। রফতানিতে এসেছে ১২৭ গুণ বৃদ্ধি— ২ লক্ষ কোটি টাকা, যার মধ্যে শুধুমাত্র অ্যাপল একাই ১.১ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ডিভাইস রফতানি করেছে ২০২৪ সালে। একটি বড় মাইলফলক হিসেবে, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারত চিনকে টপকে যুক্তরাষ্ট্রে স্মার্টফোন রফতানির দিক থেকে শীর্ষে পৌঁছেছে— যা বৈশ্বিক সাপ্লাই চেনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূরাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

  • India vs Australia:  চার ঘণ্টা দেরিতে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছল ভারতীয় দল, কোহলির পোস্ট ঘিরে অবসরের জল্পনা

    India vs Australia: চার ঘণ্টা দেরিতে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছল ভারতীয় দল, কোহলির পোস্ট ঘিরে অবসরের জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) কি এবার পুরোপুরি প্রাক্তন! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় আর কতদিন খেলবেন বিরাট ভাই, এখন সেই প্রশ্নই চলছে কোহলি অনুরাগীদের মনে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে অস্ট্রেলিয়ার (India vs Australia) পার্‌থে গিয়ে পৌঁছেছে ভারতীয় দল। সেই দলে রয়েছেন বিরাট কোহলিও। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে তিনি এমন একটি পোস্ট করেছেন, যা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, কোহলি হয়তো এক দিনের ক্রিকেট থেকেও অবসরের ইঙ্গিত দিয়ে ফেলেছেন। আবার অন্য অংশের ধারণা, কোহলি খেলা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কতটা দায়বদ্ধ সেটাই বোঝা গিয়েছে পোস্টে। বৃহস্পতিবার ঠিক সকাল ১০টায় ১৩ শব্দের একটি পোস্ট লিখেছেন কোহলি। বাংলায় তার অর্থ, “যখনই কেউ হাল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তখনই সে সত‍্যিকারের ব্যর্থ।”

    কোহলির পোস্ট ঘিরে জল্পনা

    কোহলির এই পোস্টের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনার মিল রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে কোহলি এবং রোহিত শর্মা ব্যর্থ হলে এটাই তাঁদের শেষ সিরিজ হতে চলেছে। ভবিষ্যতে হয়তো ভারতীয় দলে তাঁদের আর বিবেচনা করা হবে না। দুই তারকা ক্রিকেটারই এখন শুধু ৫০ ওভারের ক্রিকেটে খেলেন। তাই অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সাফল্য পাওয়া দু’জনের কাছেই জরুরি। ভাল খেলার ব্যাপারে তিনি কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, সেটাই কোহলির পোস্টে ধরা পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কোহলি হয়তো এখনই খেলা ছাড়ার কথা ভাবতে চান না। তাঁর স্বপ্ন ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলা। তাই জন্যই তিনি হাল না ছাড়ার বার্তা দিয়েছেন। কারণ অবসরের ভাবনা মাথায় আনলেই হয়ত তিনি ব্যর্থ হতে পারেন।

    পারথে পৌঁছল ভারতীয় দল

    অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ (India vs Australia) শুরুর আগেই সমস্যায় পড়েছে ভারতীয় দল। চার ঘণ্টা দেরিতে সে দেশে পৌঁছোছে ভারতীয় দলের একাংশ। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে প্রথম দল পৌঁছেছে পার্‌থে। হোটেলে গিয়ে সটান নিজেদের ঘরে চলে গিয়েছেন ক্রিকেটারেরা। সকলকেই ক্লান্ত এবং বিধ্বস্ত দেখিয়েছে। দিল্লি থেকে ১৫ অক্টোবর সকাল ৯টার বিমানে সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা ছিল ভারতীয় দলের। সেখান থেকে পার্‌থের বিমান ধরার কথা ছিল। সব ঠিকঠাক থাকলে বুধবার রাতের মধ্যেই পার্‌থে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল ভারতের। তা হয়নি। দিল্লি থেকে বিমানই ছেড়েছে প্রায় চার ঘণ্টা দেরিতে, দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ। স্বাভাবিক ভাবেই সিঙ্গাপুর থেকে নির্ধারিত বিমান ধরতে পারেনি ভারতীয় দল। সিঙ্গাপুর থেকে পরের বিমানে কোহলিরা পৌঁছোন পার্‌থে। হোটেলে ঢোকেন ভোর প্রায় ৪টে নাগাদ। টিম বাস থেকে প্রথমেই নেমে আসেন রোহিত (Rohit Sharma)। তার পর কোহলি, শ্রেয়স আয়ার, শুভমন গিল, কেএল রাহুল, যশস্বী জয়সওয়াল, অর্শদীপ সিং, হর্ষিত রানারা একে একে নেমে হোটেলে ঢুকে যান।

    রোহিত-কোহলিকে ঘিরে উন্মাদনা

    অস্ট্রেলিয়ায় মিচেল মার্শদের বিরুদ্ধে তিনটি ওয়ান ডে এবং পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারতীয় দল। ১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সিরিজ। শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় দলের জন্য বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। তার পরেও ভারতীয় দলের টিম হোটেলের বাইরে কিছু ভক্ত অপেক্ষা করছিলেন প্রিয় নায়কদের এক ঝলক দেখার আশায়। তবে ক্লান্ত ভারতীয় ক্রিকেটাররা ভক্তদের ছবি তোলা বা সই শিকারিদের খুব একটা সুযোগ না দিয়ে হোটেলে প্রবেশ করেন। রোহিত, কোহলিকে (Virat Kohli) নিয়েই উৎসাহ ছিল বেশি। এক সমর্থক হাজির হয়েছিলেন দু’জনের ছবি দিয়ে বাঁধানো একটি ফ্রেম নিয়ে। ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের আশা দুই মহাতারকা রোহিত ও বিরাট অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজে দারুণ খেলবেন। প্রথম বার ওয়ান ডে-তে নেতৃত্ব দিতে চলা শুভমন গিলও দুই মহারথীকে দলের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বলে বার্তা দিয়েছেন।

  • Amit Shah: মাওবাদী নেতাদের আত্মসমর্পণ “ঐতিহাসিক মাইলফলক”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: মাওবাদী নেতাদের আত্মসমর্পণ “ঐতিহাসিক মাইলফলক”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও-দমনের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তার পর থেকে জোরকদমে চলছে মাও-দমন (Maoist Leaders) অভিযান। কেন্দ্রীয় সরকারের রুদ্রমূর্তি দেখে এবং অন্নুনত এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাওয়ায় সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে থাকেন মাওবাদীদের শীর্ষ নেতৃত্ব। মাস কয়েক আগেই আত্মসমর্পণ করেছিলেন প্রয়াত মাওবাদী নেতা কিষেনজির স্ত্রী সুজাতা। দিন দুয়েক আগে ৬০ জন সহযোদ্ধা-সহ আত্মসমর্পণ করেছেন কিষেনজির ভাই বেণুগোপাল ওরফে সোনু ওরফে ভূপতি।

    ঐতিহাসিক মাইলফলক (Amit Shah)

    মাওবাদী নেতাদের এই আত্মসমর্পণের ঢেউয়ের প্রশংসা করেছেন শাহ। তিনি একে সরকারের মাওবাদ নির্মূলীকরণের চলমান প্রচেষ্টায় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক বলে অভিহিত করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সব চেয়ে বেশি প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ৬ থেকে কমে এখন তিনে নেমে এসেছে। আর মোট প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ১৮ থেকে কমে হয়েছে ১১।”  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সন্ত্রাসমুক্ত ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে সরকার যে দ্বিমুখী কৌশল নিয়েছে, একদিকে লাগাতার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং অন্যদিকে উন্নয়নমূলক নানা পদক্ষেপ, তা বামপন্থী চরমপন্থার প্রভাব ও বিস্তার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “মোদিজির সন্ত্রাসমুক্ত ভারতের স্বপ্নের অধীনে অবিরাম সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ও জনগণকেন্দ্রিক উন্নয়নের ফলে বামপন্থী উগ্রপন্থীদের কর্মক্ষেত্র ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। তাদের লুকিয়ে থাকার আর কোনও জায়গা থাকছে না। ২০২৬-এর ৩১ মার্চের মধ্যে ভারত মাওবাদের অভিশাপ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হবে।”

    এদিকে, নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে মাওবাদীদের ৫০ জন ক্যাডার, যার মধ্যে ৩৯ জন মহিলা, ছত্তিশগড়ের কাঁকের জেলার কোয়ালিবেদা এলাকায় বিএসএফের ৪০তম ব্যাটেলিয়নের কামতেরার ক্যাম্পে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। দক্ষিণ জোনাল কমিটির সদস্য ও প্রবীণ মাওবাদী নেতা রাজমান মাণ্ডাভি এবং রাজু সালামের নেতৃত্বে ঘটে এই আত্মসমর্পণের ঘটনা। আত্মসমর্পণকারী ক্যাডাররা (Maoist Leaders) মোট ৩৯টি অস্ত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ৭টি একে-৪৭ রাইফেল, ২টি এসএলআর, ৪টি ইনসাস রাইফেল, ১টি ইনসাস এলএমজি এবং ১টি স্টেইন গান (Amit Shah)।

  • MEA: ট্রাম্পের দাবির প্রেক্ষিতে রুশ তেল কেনা নিয়ে কী বলল ভারত?

    MEA: ট্রাম্পের দাবির প্রেক্ষিতে রুশ তেল কেনা নিয়ে কী বলল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত তেল ও গ্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমদানিকারী দেশ। অস্থির জ্বালানি পরিস্থিতিতে ভারতীয় উপভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা আমাদের অগ্রাধিকার। আমাদের আমদানি নীতিগুলি সম্পূর্ণভাবে এই লক্ষ্য সামনে রেখেই পরিচালিত হয়।” এক বিবৃতি জারি করে এ কথা সাফ জানিয়ে দিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক (MEA)। বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারত তেল কেনার (Russian Oil) বাজারকে আরও বিস্তৃত এবং বৈচিত্রময় করতে চায়। জ্বালানি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করতে আমেরিকার সঙ্গে আমাদের আলোচনাও চলছে।” যদিও সরাসরি ট্রাম্পের দাবি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ভারত।

    ট্রাম্পের দাবি (MEA)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক প্রশ্নের জবাবে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “তিনি (মোদি) আমার বন্ধু, আমাদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। রাশিয়া থেকে তেল কেনায় আমরা খুশি ছিলাম না। কারণ এর ফলে রাশিয়া এই হাস্যকর যুদ্ধ (ইউক্রেনের সঙ্গে) চালিয়ে যেতে পেরেছে,  যেখানে তারা পনেরো লাখ মানুষ হারিয়েছে।” তিনি এও বলেন, “আমি খুশি ছিলাম না যে ভারত তেল কিনছে (রাশিয়া থেকে)। আর (মোদি) আজ আমায় আশ্বস্ত করেছেন এই বলে যে তাঁরা রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবেন। এটি একটি বড় পদক্ষেপ। এখন আমাদের চিনকে দিয়েও একই কাজ করাতে হবে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারত হয়ত এখনই রাশিয়া থেকে তেল কেনা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবে না, তবে প্রক্রিয়াটি শুরু হয়ে গিয়েছে।” ট্রাম্পের এহেন বার্তার প্রেক্ষিতেই এদিন মুখ খুলল ভারতের বিদেশমন্ত্রক।

    সস্তায় অপরিশোধিত তেল

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মস্কো থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল কেনার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় ভারত। রাশিয়ার ওপর এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ (MEA)। যার ফলে দাম কমতে থাকে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের। প্রত্যাশিতভাবেই ০.২ শতাংশ থেকে ভারতে রুশ তেল আমদানির পরিমাণ বেড়ে হয় ৩৫ শতাংশ। মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনা চালিয়ে যেতে থাকে ভারত। যার জেরে ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেও দমানো (Russian Oil) যায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতকে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ভারতের আগের অবস্থানেও যে কোনও বদল হয়নি, এদিন বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতেই তা স্পষ্ট (MEA)।

  • Commonwealth Games 2030: শতবর্ষের কমনওয়েলথ গেমসের আসর ভারতেই! আগামী মাসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

    Commonwealth Games 2030: শতবর্ষের কমনওয়েলথ গেমসের আসর ভারতেই! আগামী মাসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শতবর্ষে কমনওয়েলথ গেমস-এর (Commonwealth Games 2030) প্রস্তুতি নিচ্ছে আমেদাবাদ। ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমসের জন্য সরকারিভাবে বিড জমা দিয়েছিল ভারত। বুধবার, কমনওয়েলথ গেমসের নির্বাহী বোর্ড ঐতিহ্যবাহী গেমের আয়োজক শহর হিসেবে আমেদাবাদকে সুপারিশ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা গিয়েছে, ২৬ নভেম্বর গ্লাসগোতে কমনওয়েলথ গেমসের সাধারণ অধিবেশনে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কমনওয়েলথ স্পোর্টস জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে হবে এই অধিবেশন।

    বিশ্বমানের ক্রীড়া পরিকাঠামো আমেদাবাদে

    কমনওয়েলথ গেমসের (Commonwealth Games 2030) শতবর্ষপূর্তি ২০৩০ সালে। এ বার ‘Centenary Games’ আয়োজনের জন্য ভারতের আমেদাবাদকে বেছে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কমনওয়েলথ স্পোর্টসের কার্যনির্বাহী বোর্ড। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ভারত কমনওয়েলথের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে, এক ঐতিহাসিক আয়োজনের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। বিশ্বমানের ক্রীড়া পরিকাঠামো আমেদাবাদ বহন করতে পারবে বলে আগেই ক্রীড়া মহলে শোনা গিয়েছিল। আমেদাবাদেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম (নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম)। এ বার ভারত ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমসের মতো মাল্টি স্পোর্টস ইভেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব পায় কি না, সেটাই দেখার। আপাতত কমনওয়েলথ স্পোর্ট ইভ্যালুয়েশন কমিটি (Commonwealth Sport Evaluation Committee) আমেদাবাদের প্রস্তাবটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখেছে। প্রযুক্তিগত অবস্থান, খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা, পরিকাঠামো, সুশাসন এবং কমনওয়েলথ স্পোর্টসের মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্য, এই সকল মাপকাঠিতে আমেদাবাদকে যোগ্য বলে মনে করা হয়েছে।

    লড়াইয়ে ভারত ও নাইজেরিয়া

    কমনওয়েলথ গেমস (Commonwealth Games 2030) অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া এবং গুজরাট সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী একটি প্রতিনিধি দল এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য সরকারিভাবে দরপত্র জমা দিয়েছিল আগেই। লন্ডনে কমনওয়েলথ স্পোর্টের কাছে তারা এই বিড করেছিল। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, কমনওয়েলথ গেমসের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমেদাবাদকে আয়োজক শহর হিসেবে স্থান দেওয়া হয়েছে। ২৭ অগাস্ট মেগা এই প্রতিযোগিতা বিড করার অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের জন্য বিড করে ভারত। একই সঙ্গে আফ্রিকায় কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের জন্য বিড করে নাইজেরিয়া। কমনওয়েলথ স্পোর্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডোনাল্ড রুকরে ভারত ও নাইজেরিয়া দুই দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দুই দেশের প্রস্তাব আকর্ষণীয় ছিল।

    ক্রীড়াক্ষেত্রে বিকশিত ভারতের পথে

    কমনওয়েলথ গেমস (Commonwealth Games 2030) অ্যাসোসিয়েশন ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট পিটি ঊষা বলেন, “আমেদাবাদে শতবর্ষের গেমস আয়োজন করা ভারতের কাছে দারুণ সম্মানের হবে। যা কেবল দেশের ক্রীড়া গুরুত্বকেই নয়, ২০৪৭ সালের বিকশিত ভারতের দিকেও নিয়ে যাবে। ভারতে এই গেমস আয়োজিত হলে যুবসমাজও অনুপ্রাণিত হবে।” এর আগে ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন করেছিল ভারত। ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমসে ৭২টি দেশ অংশ নিতে পারে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে বিরাট সংখ্যক অ্যাথলিট, কোচ, কর্মকর্তা, সমর্থক, মিডিয়া কর্মীরা ভারতে আসবেন। এতে দেশের পর্যটন, হসপিটালিটি, বাজার, পরিবহণ খাতে অর্থনৈতিক গতি বৃদ্ধি পাবে। কমনওয়েলথ গেমস কেবল ক্রীড়া উৎসবই নয়, এতে ক্রীড়া বিজ্ঞান, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট থেকে ব্রডকাস্টিং, আইটি এবং জনসংযোগ-সহ বহু খাতে কর্মসংস্থানের নতুন দরজা খুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

  • Prashant Kishore: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না পিকে! কী কারণে সরে দাঁড়ালেন ভোট কুশলী?

    Prashant Kishore: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না পিকে! কী কারণে সরে দাঁড়ালেন ভোট কুশলী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে (Bihar Poll Battle) প্রার্থী হচ্ছেন না ভোট কুশলী তথা রাজনীতিবিদ প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)। এই নির্বাচন হবে ৬ ও ১১ নভেম্বর, দু’দফায়। এই নির্বাচনেই প্রার্থী হচ্ছেন না প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিহারের বিভিন্ন আসনে লড়ছে পিকের নবগঠিত ‘জন সুরাজ পার্টি’। তবে এই দলের মাথা পিকেই লড়ছেন না।

    পিকের বক্তব্য (Prashant Kishore)

    তিনি জানান, দলের বৃহত্তর স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে তিনি নিজের নির্বাচনী লড়াইয়ের পরিবর্তে সাংগঠনিক কাজ ও অন্যান্য প্রার্থীর জন্য প্রচারে মনোযোগ দিতে পারেন। এর আগে পিকে যখন রাঘোপুরে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে ‘আমেঠির মতো’ পরাজয়ের হুমকি দিয়েছিলেন, তখন থেকেই জল্পনা তীব্র হয়েছিল যে এবার কোমর কষে লড়াইয়ের ময়দানে নামছেন পিকে স্বযং। সেই জল্পনায়ই জল ঢেলে দিলেন ভোটকুশলী। উল্লেখ্য, এই রাঘোপুর তেজস্বী যাদবের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই কেন্দ্রে পিকে এবার চঞ্চল সিংয়ের নাম ঘোষণা করেছেন।

    দু’টি তালিকা প্রকাশ

    জন সুরাজ পার্টি এখন পর্যন্ত দু’টি তালিকা প্রকাশ করেছে। মোট ১১৭ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এদের মধ্যে শিক্ষাবিদ, অবসরপ্রাপ্ত আমলা ও সমাজকর্মী-সহ নানা পেশার মানুষ রয়েছেন। পিকে ঘোষণা করেছেন (Prashant Kishore), বিহারের ২৪৩টি আসনের মধ্যে অন্তত ১৫০টিতে জয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়,  “এর কম হলে সেটি হবে ব্যক্তিগত পরাজয়।” পিকে বলেন, “জন সুরাজ পার্টি শুধুমাত্র নির্বাচনী সাফল্যের জন্য নয়, বরং স্বচ্ছ রাজনীতির একটি আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব করে।” বিহার ভোটের ফল নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেন তিনি। বলেন, “আসন বণ্টন নিয়ে বিবাদের কারণে বর্তমান এনডিএ সরকার নিশ্চিতভাবেই পতনের পথে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন না।”

    এনডিএর পরাজয়ের পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের পরিবারকে দুর্নীতির অভিযোগে তীব্র আক্রমণ শানান (Bihar Poll Battle)। পিকের অঙ্গীকার, “যদি জন সুরাজ পার্টি সরকার গঠন করে, তাহলে তারা রাজ্যের সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত ১০০ জন নেতা ও আধিকারিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে (Prashant Kishore)।”

     

  • Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি, ভবানীপুরেও হারাব, ভাইপোকে জেলে পাঠাব”, আগুনে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি, ভবানীপুরেও হারাব, ভাইপোকে জেলে পাঠাব”, আগুনে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। ভবানীপুরেও হারাব। প্রাক্তন করব। আপনার ভাইপোকে জেলে পাঠাব।” বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমনই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    নন্দীগ্রামে হার মমতার (Suvendu Adhikari)

    ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পদ্ম-প্রার্থী শুভেন্দু। ওই নির্বাচনে প্রায় দু’হাজার ভোটে তৃণমূল সুপ্রিমোকে ধরাশায়ী করেন শুভেন্দু। পরে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখেন মমতা। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে মমতা স্বয়ং হারলেও, তাঁর দল তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন তৃণমূলের সর্বময় কর্ত্রী। নিয়ম অনুযায়ী, মন্ত্রী পদে থাকতে গেলে ছ’মাসের মধ্যে কোনও কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে আসতে হয়। সেই মতো ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন করিয়ে তৃণমূল জিতিয়ে আনে মমতাকে। গদি টিকে যায় তৃণমূল নেত্রীর।

    ভবানীপুরেই প্রার্থী মমতা

    অতএব, সেই ‘নিরাপদ’ ভবানীপুরেই যে এবারও মমতা প্রার্থী হতে চলেছেন, তা বলাই বাহুল্য। শুভেন্দুর খাসতালুক হিসেবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরের কোনও বিধানসভা আসনে দাঁড়িয়ে মমতা যে আর মুখ পোড়াতে চান না, তা স্পষ্ট তাঁদের দলের নেতাদের কথায়ই। মঙ্গলবার বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল তৃণমূল। উত্তরবঙ্গ সফরে থাকায় এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি যে ভবানীপুর থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন, এদিনের অনুষ্ঠানে তা ঘোষণা করে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তৃণমূল নেত্রীর জয়ের মার্জিনও এদিনের (Suvendu Adhikari) অনুষ্ঠানে বেঁধে দেন তৃণমূলের আর এক নেতা তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র এবং মমতার সতীর্থ ফিরহাদ হাকিম। সুব্রত বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হতে চলেছেন। প্রচুর ভোটে তাঁকে জেতাতে হবে।” ফিরহাদ হাকিমও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১ লাখ ভোটে জয়ী করব (BJP)।”

    মমতার গলায় কি আতঙ্কের সুর!

    তৃণমূল নেতারা এমনতর ‘দিবাস্বপ্ন’ দেখলেও, রাজনৈতিক মহলের মতে, শুভেন্দু-হেতু এবার ভবানীপুরকেও আর তেমন ‘নিরাপদ’ বলে ভাবছেন না খোদ তৃণমূল নেত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে তাঁর অডিও বার্তা শোনানো হয়। সেটাই সকলকে শোনান ফিরহাদ। তাতে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “ভবানীপুরটা বাইরে থেকে লোক এনে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুরো পরিকল্পনা করে (Suvendu Adhikari)। আমি আউটসাইডার মানে যাঁরা বেঙ্গলে থাকেন, তাঁদের বলছি না। যাঁরা হঠাৎ করে বাইরে থেকে এসে, টাকা খরচ করে জায়গা কিনে, বাড়ি তৈরি করে, স্থানীয় কাউকে কিছু টাকা দিয়ে বেরিয়ে চলে যাচ্ছেন, তাঁদের কথা।” ভবানীপুর কেন্দ্রটি নিয়ে যে তৃণমূল সুপ্রিমো সিঁদুরে মেঘ দেখছেন, তা জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাও। তিনি বলেন, “ওরা (তৃণমূল) মমতার জয় নিয়ে সন্দিহান। তাই প্রথমেই ভবানীপুর নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।”

    কী বললেন শুভেন্দু

    এহেন প্রেক্ষিতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “হারাব, হারাব। ২০ হাজারে হারাব। ভবানীপুরে এসআইআর (SIR)-এর পরে হারাব ওঁকে। ৮টা ওয়ার্ডের ৫টায় বিজেপির লিড আছে। বিজেপিই হারাবে। যে দাঁড়াবে, সে-ই হারাবে। বিজেপি ওখানে ২০১৪ সালে ওদের হারিয়েছে। এসআইআর-এর পরে উনি হারবেন (BJP)।” এর পরেই তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “আপনাকে হটাবই। নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। ভবানীপুরে হারাব। প্রাক্তন করব। আপনার ভাইপোকে জেলে পাঠাব।” প্রসঙ্গত, এর আগে অন্য একটি সভায় শুভেন্দু বলেছিলেন, “নন্দীগ্রামে মমতাকে হারিয়েছি, ভবানীপুরেও হারাব।” তার পরেই রাজ্যজুড়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়, তাহলে কি এবারও ভাবানীপুরে মুখোমুখি হচ্ছেন যুযুধান দু’পক্ষের দুই দাপুটে নেতা মমতা-শুভেন্দু? সে ব্যাপারে অবশ্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিজে কিছুই বলেননি। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপিতে কে, কোন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তা ঠিক করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই ভবানীপুরে মমতা-শুভেন্দুর দ্বৈরথ হতে চলেছে কিনা, তা বলবে সময়। তবে ওই কেন্দ্রে যে এবারও ঘাসফুলের প্রার্থী হচ্ছেন মমতা, তা ঘোষণা করে দিয়েছেন সুব্রত।

    ভবানীপুর নিয়ে উদ্বেগ

    তবে ভবানীপুর কেন্দ্র নিয়ে যে খোদ তৃণমূল নেত্রীই উদ্বেগে (BJP) রয়েছেন, তা ধরা পড়েছে তাঁর গলায়। এদিন অডিও বার্তায় মমতাকেও বলতে শোনা যায়, “সেই জায়গাগুলো (ভবানীপুরের) আদৌ…যাঁরা ফ্ল্যাট কিনছেন, তাঁরা না পাচ্ছেন জল, না পাচ্ছেন ড্রেনেজ সিস্টেম…না পাচ্ছেন ঠিকমতো ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে আমরা কেন এটা বুঝব না…সব কিছু দেখে রাখতে হবে আমাদের। কারণ দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা সবই তো আমাদের। সেই জন্যই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে। সবাই ভালো থাকুন।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশের মতে, ভবানীপুরে মমতাকে হারাতে শুভেন্দু যেভাবে আগ্রাসী হয়ে উঠেছেন, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো স্বয়ং। তাই উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিতে চাইছেন ভবানীপুরে। যে উন্নয়নের জন্য হা-পিত্যেশ করে (BJP) বসে রয়েছেন ভবানীপুরের বাসিন্দারা (Suvendu Adhikari)!

  • Apple and Google in India: ট্রাম্পের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে ভারতে অ্যাপল ও গুগলের বিপুল বিনিয়োগ

    Apple and Google in India: ট্রাম্পের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে ভারতে অ্যাপল ও গুগলের বিপুল বিনিয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সতর্কবার্তাকে উপেক্ষা করে ভারতের প্রতি প্রবল আস্থা প্রকাশ করেছে বিশ্বের দুই টেক জায়ান্ট অ্যাপল ও গুগল। দুই সংস্থা মিলে প্রায় ₹১.৭৭ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ করছে ভারতে। ট্রাম্প সম্প্রতি অ্যাপলকে ভারতের পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায় বেশি মনোযোগ দিতে বলেন। তবে সেই নির্দেশকে পাত্তা না দিয়ে অ্যাপল গত ছয় মাসে ভারত থেকে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ₹৮৮,৭৩০ কোটি) মূল্যের আইফোন রফতানি করেছে। অন্যদিকে, গুগলও বিশাখাপত্তনমে ১০ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল ডেটা সেন্টার তৈরি করতে চলেছে।

    রফতানিতে রেকর্ড গড়ল অ্যাপল

    চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছয় মাসেই অ্যাপল ভারত থেকে ১০ বিলিয়ন ডলারের আইফোন রফতানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৫ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালে এই সময়ে রফতানি হয়েছিল ৫.৭১ বিলিয়ন ডলারের আইফোন। শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই অ্যাপল রফতানি করেছে ১.২৫ বিলিয়ন ডলারের আইফোন, যা গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১৫৫ শতাংশ বেশি। তখন রফতানি ছিল মাত্র ৪৯০ মিলিয়ন ডলার। এ বছর প্রথমবারের মতো অ্যাপলের সব মডেল—প্রো (Pro), প্রো ম্যাক্স (Pro Max) এবং এয়ার (Air)—ভারতে উৎপাদনের শুরু থেকেই রফতানি হচ্ছে। এর আগে প্রো মডেলগুলো রফতানির জন্য কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হতো। সরকারের পিএলআই (PLI) স্কিমের আওতায়, স্মার্টফোন সংস্থাগুলি নিয়মিতভাবে উৎপাদন ও রফতানি সংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যাপলের রফতানির এই উত্থানের পেছনে অন্যতম কারণ হলো এপ্রিল মাসে টাটা ইলেকট্রনিক্সের হোসুর প্ল্যান্ট ও ফক্সকনের বেঙ্গালুরু ইউনিট চালু হওয়া।

    গুগল আনছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ডেটা সেন্টার

    গুগল তাদের প্রথম বৃহৎ ডেটা সেন্টার তৈরি করতে চলেছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে। ১ গিগাওয়াট (GW) ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্রকল্পে গুগল বিনিয়োগ করছে প্রায় ₹৮৮,৭৩০ কোটি (১০ বিলিয়ন ডলার)। এই প্রকল্পে থাকবে তিনটি সাবমেরিন কেবল, একটি কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মেট্রো ফাইবার লাইন, যা ভারতে নতুন টেলিকম অবকাঠামো গড়ে তুলবে। প্রকল্পটির চূড়ান্ত চুক্তি ১৪ অক্টোবর দিল্লিতে হয়ে গিয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন গুগলের শীর্ষ কর্তারা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের আইটি ও ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রী নারা লোকেশ। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বে স্টেট ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ড অনুমোদন দিয়েছে বলে খবর।

    ভারতে গুগলের সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ

    এই প্রকল্প গুগলের পক্ষ থেকে ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতিতে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সরাসরি বিনিয়োগ হতে চলেছে। বর্তমানে গুগলের ১১টি দেশে ২৯টি ডেটা সেন্টার রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, জাপান, সিঙ্গাপুর, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, বেলজিয়াম এবং চিলি। বিশাখাপত্তনম ডেটা সেন্টার হতে চলেছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ডেটা সেন্টার ক্লাস্টার।

    টাটার নয়া উদ্যোগ

    আইফোন তৈরিতে এমনিই চিনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে আমাদের দেশ। তথ্য বলছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ৬ মাসে, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের আইফোন রফতানি করেছে ভারত। যা গত বছরের তুলনায় ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। আর এবার সেই বৃদ্ধিতে ইন্ধন যোগাতে একটি বিরাট পদক্ষেপ করেছে টাটা। জানা গিয়েছে, ভারতে তৈরি আইফোন রফতানি করে বেশ লাভবান হয়েছে অ্যাপেল। আর সেই জায়গা থেকেই তারা ভারতে উৎপাদন বাড়াতে চাইছে। আবার, ভারতে আইফোন তৈরি করে অর্থনৈতিক ভাবে উপকৃত হয়েছে টাটাও। সেই কারণেই তারা ভারতে তাদের উৎপাদন বাড়াতে চাইছে।

    টাটার পদক্ষেপে নানা ইঙ্গিত

    একটা সময় এমন ছিল যে আইফোন তৈরি হত চিনেই। তারপর বিভিন্ন কারণে চিনের উপর থেকে তাদের নির্ভরতা কমাতে চাইছে এই আমেরিকান টেক জায়ান্ট। এ ছাড়াও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও মার্কিন শুল্কের মতো একাধিক কারণে অ্যাপেল তাদের উৎপাদন ভারতে সরিয়ে নিয়ে আসতে আগ্রহী। আগামী বছরের মধ্যে আমেরিকায় বিক্রি হওয়া সমস্ত আইফোন যাতে ভারতের কারখানা থেকে তৈরি হয় সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছে অ্যাপেল। বর্তমানে ভারতে তৈরি আইফোনের তিন ভাগের মধ্যে দুই ভাগ আসে ফক্সকনের কারখানা থেকে। বাকি অংশ তৈরি করে টাটা। তবে, নয়া এই প্ল্যান্ট অধিগ্রহণের পর টাটার উৎপাদন ক্ষমতা যে অনেকটাই বাড়বে সেই কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিল শাহ বলছেন, চিনের মতো শক্তিশালী পরিকাঠামো গড়ে তোলা আসলে একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। তবে, টাটার এই পদক্ষেপ কিন্তু সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই বছর শেষ হওয়ার আগেই আইফোনের ২৬ শতাংশই রফতানি করবে ভারত। যা এই বছরের শুরুর দিকে ছিল ২০ শতাংশের কাছাকাছি। আর টাটার এই পদক্ষেপ যেন সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।

     

     

  • Hamas: ইজরায়েলের সহযোগী সন্দেহে গাজার ৮ বাসিন্দাকে গুলি করে হত্যা হামাসের

    Hamas: ইজরায়েলের সহযোগী সন্দেহে গাজার ৮ বাসিন্দাকে গুলি করে হত্যা হামাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামাস গোষ্ঠীকে নিরস্ত্র করার অঙ্গীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এহেন আবহে গাজার ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে হামাস (Hamas) প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে গাজারই ৮জনকে। চমকে ওঠার মতো সেই ঘটনার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। প্রসঙ্গত, মার্কিন মধ্যস্থতায় ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি হয়েছে হামাসের। এই সুযোগে প্যালেস্তাইনের দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে হামাস। এতদিন তারা দখল করে রেখেছিল গাজা। এবার তারা নিতে চলেছে পুরো প্যালেস্তাইনের রাশ। আর তা করতে গিয়েই ৮ গাজাবাসীকে হত্যা করেছে হামাস।

    হাড়হিম করা ছবি (Hamas)

    ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, প্রথমে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। পরে চোখ বেঁধে হাঁটু গেড়ে তাঁদের বসিয়ে দেওয়া হয় রাস্তায়। এরপর হামাসের হেডব্যান্ড পরা বন্দুকধারীরা একে একে গুলি করে হত্যা করে তাদের। সেই সময় উপস্থিত জনতা চিৎকার করতে থাকে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে। কোনও প্রমাণ না দিয়েই হামাসের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহতরা ছিল অপরাধী এবং ইজরায়েলের সহযোগী। জানা গিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হতেই ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে প্রত্যাহার করে তেল আভিভ (ইজরায়েলের রাজধানী)। এর পরেই দ্রুত গাজায় ফের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে কোমর বেঁধে নামে হামাস। তাদের টার্গেট, ক্ল্যান বা পারিবারিক ভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি। ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের সংঘর্ষ চলার সময় যথেষ্ট শক্তি অর্জন করেছিল এই ক্ল্যানগুলি।

    হামাস বিরোধী দল

    হামাস পরিচালিত পুলিশ বাহিনী ১৮ বছর আগে গাজায় ক্ষমতা দখলের পর থেকে জননিরাপত্তা বজায় রাখতে উচ্চমানের ভূমিকা রেখেছিল। যদিও তারা ভিন্নমত দমনে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। সম্প্রতি ইজরায়েলি বাহিনী গাজার বড় বড় এলাকা দখল করে এবং হামাসের নিরাপত্তা বাহিনীকে বিমান হামলায় টার্গেট করার পর এই বাহিনীর উপস্থিতি অনেকটাই বিলীন হয়ে গিয়েছে (Hamas)। স্থানীয় প্রভাবশালী পরিবার এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি, যাদের মধ্যে ইজরায়েল সমর্থিত কিছু হামাস বিরোধী দলও রয়েছে, সেই শূন্যস্থান পূরণে এগিয়ে আসে। তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, তারা মানবিক সাহায্য ছিনতাই করে মুনাফার জন্য বিক্রি করছে। যার জেরে গাজার তীব্র খাদ্যসংকট আরও বেড়েছে (Donald Trump)। গাজার বেসরকারি ট্রাক মালিক সমিতির প্রধান নাহেদ শেহাইবার বলেন, “হামাস ইজরায়েলি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মানুষের মধ্যে সন্ত্রাস ছড়ানো গ্যাংগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে (Hamas)।”

  • Maithili Thakur: দ্বিতীয় দফায় ১২ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি, প্রার্থী হচ্ছেন সঙ্গীত শিল্পী মৈথিলী ঠাকুর

    Maithili Thakur: দ্বিতীয় দফায় ১২ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি, প্রার্থী হচ্ছেন সঙ্গীত শিল্পী মৈথিলী ঠাকুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Polls) জন্য প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল বিজেপি (Maithili Thakur)। বুধবারও ফের তালিকা প্রকাশ করল পদ্ম শিবির। বিহার বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে এদিন ১২টি কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে গেরুয়া শিবির। এই তালিকায় নাম রয়েছে প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী মৈথিলী ঠাকুরেরও। মঙ্গলবার বিকেলেই পাটনায় রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে পদ্মশিবিরে যোগ দেন তিনি।

    প্রার্থী হচ্ছেন মৈথিলী (Maithili Thakur)

    বিহারের দ্বারভাঙা জেলার আলিনগর কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন মৈথিলী। এই আসনে যে তাঁকে প্রার্থী করা হতে পারে, তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল মঙ্গলবারই। এদিনের প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন বিকাশশীল ইনসান পার্টির নেতা মিস্রিলাল যাদব। পরে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে ২০২২ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। অবশ্য গত সপ্তাহেই পদ্ম-সঙ্গ ছাড়েন মিস্রিলাল। এ বার এই আসনেই পদ্ম চিহ্নে লড়ছেন মৈথিলী। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন মৈথিলী। উপস্থিত ছিলেন বিহারের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা বিনোদ তাওড়ে। মৈথিলীর সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তিনিই। মৈথিলী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রতি আমি অত্যন্ত মুগ্ধ। বিজেপিতে আমি এসেছি সমাজের সেবা করতে এবং বিহারের উন্নয়নে অবদান রাখতে।”

    প্রার্থী হচ্ছেন প্রাক্তন এক আইপিএস-ও

    চমক রয়েছে আরও (Maithili Thakur)। বক্সার বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রাক্তন আইপিএস আনন্দ মিশ্রকে। সম্প্রতি ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের নবগঠিত দল ‘জন সুরাজ পার্টি’ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। মুজফফরপুর কেন্দ্রে পদ্ম প্রার্থী হচ্ছেন রঞ্জন কুমার। এই কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায় সুরেশ শর্মার বদলে প্রার্থী হচ্ছেন রঞ্জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৮৩টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছিল ৭১টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম। এদিন প্রকাশ করা হল আরও ১২টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম। ২৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্র বিশিষ্ট বিহারে নির্বাচন হবে দু’দফায়। এর মধ্যে ১০১টি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বিজেপি (Bihar Polls)। বাকিগুলিতে লড়বে এনডিএর অন্য শরিক দলগুলি (Maithili Thakur)।

LinkedIn
Share