Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Bangladesh: ইতালি সফর সেরে বাংলাদেশে ফিরলেন ইউনূস, ঘরে-বাইরে সমালোচনার ঝড়

    Bangladesh: ইতালি সফর সেরে বাংলাদেশে ফিরলেন ইউনূস, ঘরে-বাইরে সমালোচনার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের ইতালি সফর সেরে বুধবার সকালে বাংলাদেশে (Bangladesh) ফিরলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Md Yunus)। ‘ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামে’র একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তিনি গিয়েছিলেন ইতালির রাজধানী রোমে। ইউনূসের প্রেস উইং জানিয়েছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা। উল্লেখ্য, এবার ১০ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠানটি হচ্ছে রোমে, রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদর দফতরে। সেপ্টেম্বরেই রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়ে দেশে ফেরেন ইউনূস। ফের একবার বিদেশ সফরে গেলেন অক্টোবরে।

    ১৪ মাসের রাজত্বকালে ১৪ বার (Bangladesh)

    মাত্র ১৪ মাসের রাজত্বকালে ইউনূস সদলে বিদেশ সফর করেছেন অন্তত ১৪ বার। প্রধান উপদেষ্টার ঘন ঘন এই বিদেশ সফরে প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশে। তাঁর এই সফর কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান, ইতালি ও বাংলাদেশ – এই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক কোনও সফর নয় এটি। ইতালির সরকারের প্রধান বা রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গেও বাংলাদেশ সরকারের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের কোনও তথ্যই নেই। তাই সরকারি অর্থ ব্যয় করে এই ধরনের একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সরকার প্রধানের যোগ দেওয়া নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

    ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সাল থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চলেছে ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম। এর আগের চারটি অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে, এই ইভেন্টের বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন কয়েকটি দেশের কৃষিমন্ত্রী বা কৃষি সংক্রান্ত দফতরের আধিকারিকরা। গত বছর হাতে গোণা কয়েকটি দেশের সর্বোচ্চ নেতা অবশ্য অংশ নিয়েছিলেন। এহেন একটি অনুষ্ঠানে সরকারি অর্থ ব্যয়ে ইউনূস কেন সদলে রোমে গেলেন, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

    টিআইবির বক্তব্য

    সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়ে ইউনূস দেশে ফেরার পরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বিদেশ সফরে এত বড় প্রতিনিধি দল পাঠানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। টিআইবির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইফতেথারুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “ওঁরা (ইউনূস ও তাঁর দলবল) রাষ্ট্রীয় স্বার্থকে বিবেচনায় নিয়ে পুরো রাষ্ট্রের স্বার্থ প্রোমোট করার জন্য যাচ্ছেন। তাঁদের কার কী ভূমিকা, কীভাবে (Md Yunus) ভূমিকা পালন করছেন, তা সুনির্দিষ্ট করে জানাতে হবে (Bangladesh)।” তিনি বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিনিধি দলের সদস্য সংখ্যা আরও কমবে। কিন্তু সেটা আরও বেড়েছে।”

    কী বললেন প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত

    প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদের প্রশ্ন, “একটি দেশের শীর্ষ নেতার ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়াটা কি খুব জরুরি?” তিনি বলেন, “উনি একটা মাল্টালেটারাল অনুষ্ঠানে গিয়েছেন। এটা ইতালি ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কোনও সফর নয়।” তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অনুষ্ঠান সত্যিকার অর্থেই খুব কম হচ্ছে।” তাঁর প্রশ্ন, “তাই এগুলিতে যোগ দেওয়া কি ওঁর কাছে খুবই জরুরি বলে মনে হল? প্রধান উপদেষ্টার তো এর চেয়েও ঢের বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে!” প্রাক্তন এই কূটনীতিক বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি প্রধান উপদেষ্টা এখন জাতীয় নেতা। বক্তৃতা দেওয়ার চেয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়াটা ওঁর জন্য বেশি জরুরি। তাঁর সেই কাজটায় বারংবার (Bangladesh) ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।” তিনি বলেন, “ওঁর সিরিয়াসনেসের অভাবটার একটা নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়ছে, ওঁর নিজের ওপরেও আর সরকারের সক্ষমতার ওপরেও।”

    প্রবাসী বাংলাদেশিদের চিঠি

    এদিকে, প্রবাসী বাংলাদেশিরা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং উপপ্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও তায়ানিকে চিঠি দিয়ে ইউনূস সরকারের দ্বারা বাংলাদেশের স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর পরিচালিত হামলার নিন্দা করেছেন। দু’টি আলাদা চিঠিতে ইতালিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা ইউনূস প্রশাসনকে অনির্বাচিত এবং দেশ শাসনের জন্য কোনও গণতান্ত্রিক জনসমর্থনহীন বলে বর্ণনা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, অন্তর্বর্তী সরকার বারবার নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে। ওই সরকার (Md Yunus) আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।

    চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “ইউনূসের শাসনকালে রাজনৈতিক নিপীড়ন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। আওয়ামি লিগের নির্দোষ নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা শিকার হচ্ছেন বৈষম্য, হিংসাত্মক হামলা এবং ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলার। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে শয়ে শয়ে আওয়ামি লিগ কর্মীকে নির্বিচারে গ্রেফতার করা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে ২০০-রও বেশি সমর্থককে।” অন্যদিকে, ইউনূস ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে বৈঠক করবেন, এমন কথা তিনি কোথাও বলেননি বলে দাবি করেছেন ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম (Bangladesh)।

  • Pakistan Afghanistan Clashes: আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষ, হত ১২, জখম অন্তত ১০০

    Pakistan Afghanistan Clashes: আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষ, হত ১২, জখম অন্তত ১০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আফগান-পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষ (Pakistan Afghanistan Clashes) শুরু সীমান্তে। বুধবার সকাল পর্যন্ত ওই সংঘর্ষ চলে বলে খবর। সংঘর্ষে প্রায় ১২ জন নিহত হয়েছে, জখমও হয়েছে অনেকে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এটি দুই দেশের মধ্যে সব চেয়ে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ।

    সীমান্ত চৌকি ধ্বংস (Pakistan Afghanistan Clashes)

    জানা গিয়েছে, তালিবান বাহিনী একটি (Drone Footage) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সীমান্ত চৌকি ধ্বংস করে এবং আফগান অবস্থান লক্ষ্য করে আক্রমণে ব্যবহৃত একটি পাকিস্তানি সামরিক ট্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়। মৃতদের মধ্যে চারজন পাকিস্তানি নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন। জখমও হয়েছেন চারজন। তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদের দাবি, পাকিস্তানের হামলায় ১২ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন, জখম হয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি। ড্রোন ফুটেজে দেখা গিয়েছে, আফগান তালিবান যোদ্ধারা পাকিস্তানের সীমান্ত পোস্টগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। দুই ইসলামিক দেশই মঙ্গলবার রাতে শুরু হওয়া প্রাণঘাতী হিংসার দায় চাপিয়েছে একে অন্যের ঘাড়ে। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছিল আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের স্পিন বোলদাক জেলা এবং পাকিস্তানের চামান জেলাজুড়ে।

    পাকিস্তানি পোস্টে গুলি

    পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আফগান বাহিনী ও পাকিস্তানি তালিবান যৌথভাবে (Pakistan Afghanistan Clashes) কোনও উসকানি ছাড়াই একটি পাকিস্তানি পোস্টে গুলি চালায়। প্রত্যুত্তরে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুর্রাম জেলায় অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনারা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। গত সপ্তাহ থেকে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। তালিবান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাবুল এবং আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের একটি বাজারে বিমান হামলা চালানোর অভিযোগ তোলে। এর আগেও পাকিস্তান আফগান ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছিল। তারা দাবি করেছিল, তাদের টার্গেট ছিল সশস্ত্র জঙ্গিদের ডেরা। তালিবান কর্তাদের মতে, আফগান ও পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ স্থানীয় সময় ভোর ৪টা নাগাদ শুরু হয়, চলে সকাল ৮টা পর্যন্ত।

    সোশ্যাল মিডিয়ায়ও বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানি সেনাদের তালিবান যোদ্ধারা আটক করেছে। একটি ভিডিওতে (Drone Footage) আবার দু’জনকে কাঁদতে এবং হাত জোড় করে প্রাণভিক্ষা করতে দেখা যায়। দাবি, তারা সাম্প্রতিক সংঘর্ষে আটক হওয়া পাক সেনাবাহিনীর সদস্য (Pakistan Afghanistan Clashes)।

  • Operation Sindoor:’৮৮ ঘণ্টায় পাকিস্তানের অস্ত্রবিরতির আবেদন’, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বহু অজানা তথ্য প্রকাশ্যে

    Operation Sindoor:’৮৮ ঘণ্টায় পাকিস্তানের অস্ত্রবিরতির আবেদন’, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বহু অজানা তথ্য প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পরবর্তী সংঘর্ষে ১০০-এর বেশি পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। সম্প্রতি এমনই অভিমত প্রকাশ করলেন ভারতের ডেপুটি চিফ অব আর্মি স্টাফ (স্ট্র্যাটেজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই। তিনি মঙ্গলবার জানিয়েছেন, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ পোস্টহিউমাস পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, তা নির্দেশ করে যে তাদের সেনা বাহিনীর প্রাণহানি লাইন অব কন্ট্রোলে (LoC) ১০০-এর বেশি ছিল। লেফটেন্যান্ট জেনারেল ঘাই দাবি করেন, পাকিস্তান নিজেরাই তাদের ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেছে ১৪ আগস্টের ‘পোস্টহিউমাস অ্যাওয়ার্ড’ তালিকার মাধ্যমে। তিনি বলেন, “পাকিস্তান নিহত সেনাদের সংখ্যা শতাধিক ছিল, যা তারা প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি, কিন্তু পুরস্কারের মাধ্যমে ফাঁস হয়ে গিয়েছে।”

    প্রতিক্রিয়া অবশ্যম্ভাবী ছিল

    জেনারেল ঘাই বলেন, “এপ্রিল ২২-এ জম্মু কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হওয়ার পর পাল্টা একটি প্রতিক্রিয়া অবশ্যম্ভাবী ছিল। এপ্রিল ২২ থেকে মে ৬-৭-এর রাত পর্যন্ত আমাদের অভিযান ক্রমশ এগোচ্ছিল। আমরা আমাদের লক্ষ্যগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম। শত্রুকে বিরত রাখার জন্য সীমান্তে কিছু সতর্কমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। সেনা, অন্যান্য সরকারী সংস্থা ও বিভাগের মধ্যে সমন্বয় ছিল।” তিনি আরও বলেন, “চূড়ান্ত লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য আমরা বহু সম্ভাব্য লক্ষ্য যাচাই করেছি। এ সময়ই তথ্যযুদ্ধেও আমরা সক্রিয় ছিলাম। পাকিস্তানি ড্রোনগুলো বারবার ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় ভারতীয় বিমানবাহিনী (IAF) ব্যবস্থা নেয়।” মে ৯-১০ তারিখের রাতের রণকৌশল সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা তাদের ১১টি বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করেছি। আটটি ঘাঁটি, তিনটি হ্যাংগার এবং চারটি রাডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তানের বিমান সম্পদ ধ্বংস হয়েছে।”

    ভারতীয় নৌবাহিনীও তখন সম্পূর্ণ সক্রিয়

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (DGMO) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই মঙ্গলবার এক বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশ করে জানান, গত মে মাসে চার দিনের সামরিক সংঘর্ষের সময় পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়ার আগে ভারতীয় নৌবাহিনী আরব সাগরে প্রবেশ করে সম্পূর্ণ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। লেফটেন্যান্ট জেনারেল ঘাই রাষ্ট্রসঙ্ঘের ট্রুপ কনট্রিবিউটিং কান্ট্রিজ (UNTCC)-এর চিফস’ কনক্লেভে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “ভারতীয় নৌবাহিনীও তখন সম্পূর্ণ সক্রিয় ছিল—এটি হয়তো অনেকের জানা নেই। নৌবাহিনী আরব সাগরে প্রবেশ করেছিল এবং সেই মুহূর্তে আমাদের অবস্থান ছিল কৌশলগতভাবে অনুকূল। ডিজিএমও কথা বলার আগেই আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “যদি পাকিস্তান তখন পিছু না হটত, তাহলে ফলাফল তাদের জন্য ভয়াবহ হতে পারত—শুধু সমুদ্রপথেই নয়, অন্য দিক থেকেও।”

    ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে

    লেফটেন্যান্ট জেনারেল ঘাই আরও উল্লেখ করেন, ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী কৌশলে এখন এক “নীতিগত পরিবর্তন” এসেছে। তাঁর কথায়, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেই এবিষয়ে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন। তিনটি মূলনীতি তিনি তুলে ধরেছেন—প্রথমত, সন্ত্রাসী হামলাকে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে গণ্য করা হবে এবং এর কঠোর জবাব দেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত, আমরা কখনও পারমাণবিক হুমকিতে মাথা নত করব না। তৃতীয়ত, সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে কোনও পার্থক্য করা হবে না।” এর আগে, জুলাই মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে জানান যে, পহেলগাঁওতে নাগরিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন সন্ত্রাসীকে নিরাপত্তা বাহিনী ‘অপারেশন মহাদেব’-এর সময় হত্যা করেছে। ঘাই বলেন, “যে দোষীরা পাহালগাঁও হামলায় জড়িত ছিল, তাদের ভারতীয় সেনা নরকের গভীরতায় গিয়ে হলেও খুঁজে বের করবে—আমরা সেটাই করেছি। আমাদের ৯৬ দিন লেগেছিল, কিন্তু আমরা তাদের বিশ্রাম নিতে দিইনি। শেষ পর্যন্ত যখন তাদের খুঁজে বের করে নির্মূল করা হয়, তখন দেখা যায় তারা পলায়ন ও অনাহারে ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও সংসদে এটি উল্লেখ করেছেন—তাদের মৃত্যুর মধ্য দিয়েই ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

    রক্তপাতের উৎস গোপন নয়

    লেফটেন্যান্ট জেনারেল ঘাইয়ের বক্তব্যে স্পষ্ট হয় যে, ভারত এখন সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সম্পূর্ণ নতুন রণনীতি গ্রহণ করেছে—যেখানে আক্রমণের জবাব কেবল সীমান্তে নয়, তথ্যযুদ্ধ ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও সমানভাবে দেওয়া হচ্ছে।ভারতের পক্ষ থেকে তিনি বিশ্ববাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন, “১৯৮০-এর দশক থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে ২৮,০০০-এর বেশি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। ৬০ হাজারেরও বেশি সংখ্যালঘু পরিবার — প্রায় ১ লক্ষ মানুষ — ঘরছাড়া হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ হাজার নিরীহ নাগরিক ও ৩ হাজার নিরাপত্তারক্ষী। এই রক্তপাতের উৎস গোপন নয়।”

  • Md Yunus: ‘হিন্দু’ শব্দের ওপর কি তবে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছেন ইউনূস?

    Md Yunus: ‘হিন্দু’ শব্দের ওপর কি তবে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছেন ইউনূস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘হিন্দু’ (Hindu) শব্দের ওপর কি তবে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Md Yunus)? এই জল্পনাই ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। তার কারণ হল, ইউনূসের করা একটি মন্তব্য। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে পরামর্শ দিয়েছেন, তাঁরা যেন নিজেদের হিন্দু হিসেবে পরিচয়  না দেন। তাঁরা যেন প্রথমে নিজেদের নাগরিক হিসেবে দেখেন।

    হিন্দু বলবেন না! (Md Yunus)

    কিছু দিন আগে সাংবাদিক মেহেদি হাসানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস জানান, এই দৃষ্টিভঙ্গি সামাজিক ঐক্যকে আরও দৃঢ় করবে এবং সবার জন্য সমান সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। ইউনূসের ভাষায়, “আমার বার্তা হল, যখন আমি সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে দেখা করি, আমি বলি, ফিরে গিয়ে তারা যেন না বলে, আমি হিন্দু, তাই আমায় রক্ষা করুন। বরং বলুন, আমি এই দেশের নাগরিক। আমাকে যে সুরক্ষা দেওয়ার কথা রাষ্ট্রের, আমি তার সম্পূর্ণ অধিকারী। তাহলে আপনাদের সুরক্ষার পরিধি আরও বিস্তৃত হবে।”

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচার অতিরঞ্জিত!

    বাংলাদেশে যে হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার চালানো হচ্ছে, ওই সাক্ষাৎকারে তা-ও ফুৎকারে উড়িয়ে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। ঘটনাকে লঘু করতে গিয়ে তিনি বলেন, “অধিকাংশ ঘটনাই জমি নিয়ে স্থানীয় বিবাদ বা প্রতিবেশীদের মধ্যে সমস্যা। একেই সাম্প্রদায়িক হিসেবে তুলে ধরা হয়।” ওই সাক্ষাৎকারে ইউনূসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাহলে কি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের কোনও ঘটনাই ঘটেনি বা বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে? উত্তরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বলেন, “অনেক সময় পারিবারিক ঝামেলা, জমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়েও সংঘাত দেখা যায়।” বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “ধরুন আপনি আমার প্রতিবেশী। আপনি হিন্দু প্রতিবেশী, আমি মুসলমান প্রতিবেশী। হয়তো অন্য প্রতিবেশীদের মতোই আমাদের বিবাদ রয়েছে জমির সীমানা নিয়ে। তাহলে কী আপনি বলবেন, এটা হিন্দু-মুসলিম সমস্যা?”

    ভুয়ো খবর ছড়ানোর দায়

    শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর হিন্দুদের ওপর (Md Yunus) এবং মন্দিরে হামলার যে একাধিক আন্তর্জাতিক রিপোর্ট রয়েছে, তাও খারিজ করে (Hindu) দেন ইউনূস। তিনি বলেন, “আমি বলব সরকার অত্যন্ত সতর্ক। কারণ ভারত এই বিষয়টি নিয়ে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে চলেছে।” এর পরেই ভারতের ঘাড়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর দায় চাপিয়ে দেন ইউনূস। তিনি বলেন, “ভুয়ো খবরই এখন ভারতের বিশেষত্ব।” ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বর্তমানে ভারতের একটি বিশেষত্ব হল, ভুয়ো খবর ছড়ানো – ভুয়ো খবরের বন্যা।” হাসান যখন দলিল-দস্তাবেজে থাকা গণহিংসার ঘটনা এবং ধর্মীয় পতাকা তোলার জন্য এক হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতারের প্রসঙ্গের উল্লেখ করেন, তখন ইউনূস ফের বলেন, “এগুলি ভ্রান্ত তথ্য প্রচারের অংশ।” হাসান ইউনূসের আমলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। বলেন, “গত নভেম্বরে প্রায় ৩০ হাজার হিন্দু আপনার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সমবেত হয়েছিলেন (Md Yunus) এবং তাঁরা দাবি করেছিলেন, তাঁদের সম্প্রদায়ের বহু মানুষ আক্রান্ত।” এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরেও প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই সব কিছুই ভুয়ো খবর। আপনি ভুয়ো খবরের দ্বারা পরিচালিত হতে পারেন না।”

    কাঠগড়ায় ভারত

    তার পরেই তিনি জানান, ভারতের অন্যতম বিশেষত্ব হল (Hindu) ভুয়ো খবর ছড়ানো। ইউনূস অস্বীকার করলেও, গত বছরের নভেম্বর মাসে ৩০ হাজার হিন্দু নিরাপত্তা ও বিচারের দাবিতে নামেন ঢাকার রাজপথে। সেই সময় গ্রেফতার হওয়া হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তিও দাবি করা হয়েছিল। হাসিনা সরকারের পতনের পর যে বাংলাদেশে ব্যাপক হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল, তার প্রমাণ মেলে সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা মন্তব্যেই। তিনি বলেছিলেন, “ইউনূস সরকারের অধীনে হিন্দুদের প্রতি আচরণ নৃশংস।” ট্রাম্পের এহেন মন্তব্য নিয়েও ওই সাক্ষাৎকারে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইউনূস। তিনি জানান, ট্রাম্প আদৌ এমন কিছু বলেছেন কিনা, বা বাংলাদেশে কী ঘটছে সে বিষয়ে তাঁর আদৌ কোনও ধারণা আছে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন (Md Yunus)।

    আরও একবার ‘হেডলাইন’ হলেন ইউনূস

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। পরে বাংলাদেশের ক্ষমতার রাশ তুলে দেওয়া হয় অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। এই সরকারের প্রধান করা হয় ইউনূসকে। তার পর থেকে একের পর এক ‘বিতর্কিত’ কাজ করে চলেছেন ইউনূস। কখনও আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করে (Hindu), কখনও আবার হিন্দু সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলে জেলে পুরে কখনও বা অপরাধীদের জেল থেকে ছেড়ে দিয়ে বারবার দেশের পাশাপাশি বিদেশের সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামেও এসেছেন ইউনূস। এবার তিনি আরও একবার ‘হেডলাইন’ হলেন। এবং সেটা হলেন, হিন্দুদের হিন্দু পরিচয় না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে (Md Yunus)।

  • Pankaj Dheer: প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা পঙ্কজ ধীর, শোকের ছায়া বিনোদন দুনিয়ায়

    Pankaj Dheer: প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা পঙ্কজ ধীর, শোকের ছায়া বিনোদন দুনিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা পঙ্কজ ধীর (Pankaj Dheer)। বিনোদন দুনিয়ায় শোকের ছায়া। ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর পুরনো বন্ধু ও সহকর্মী অমিত বহেল এই খবর জানিয়েছেন। বয়স হয়েছিল ৬৮। বি আর চোপড়ার ‘মহাভারত’-এর কর্ণ চরিত্রে তাঁর অভিনয় এখনও দর্শকমনে গেঁথে রয়েছে। সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন পঙ্কজ।

    কর্ণ চরিত্র আজও দর্শকের মনে

    ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মহাভারত’ ধারাবাহিকে পঙ্কজ ধীরের (Pankaj Dheer) কর্ণ চরিত্র আজও দর্শকের মনে অমর। তাঁর অভিনয়ে একদিকে ছিল বীরত্ব, অন্যদিকে করুণ মানবিক বোধ যা তাঁকে আলাদা মাত্রা এনে দেয়। দর্শকেরা তখন থেকেই তাঁকে চেনেন ‘কর্ণ’ নামে। তাঁর সংলাপ, দৃঢ় কণ্ঠস্বর ও চোখের অভিব্যক্তি আজও ভারতীয় টেলিভিশনের ইতিহাসে ক্লাসিক হিসেবে গণ্য হয়। পঙ্কজ ধীর শুধু টেলিভিশন নয়, বলিউডেরও পরিচিত মুখ ছিলেন। তিনি অভিনয় করেছেন বহু জনপ্রিয় ছবিতে। বর্ষীয়ান অভিনেতার ঝুলিতে রয়েছে ‘সৌগন্ধ’, ‘সনম বেওফা’, ‘বিজয়পথ’, ‘তীর্যা’, ‘সদাক ২’ সহ আরও অনেক হিট ছবি। ‘সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্টস্‌ অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফেও শোকপ্রকাশ করে জানানো হয়েছে তাঁর মৃত্যুর কথা।

    সমাজমাধ্যমে শোকবার্তা

    বি আর চোপড়ার ‘মহাভারত’ তাঁকে বিশেষ খ্যাতি এনে দিলেও অজস্র হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন পঙ্কজ। কাজ করেছেন হিন্দি ধারাবাহিক ও ওয়েব সিরিজেও। ‘সোলজার’, ‘জমিন’, ‘আন্দাজ’, ‘টারজান: দ্য ওয়ান্ডার কার’-এর মতো বহু ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনি দুটো ছবি পরিচালনাও করেছিলেন। প্রায় ৫৫ বছরের অভিনয়জীবন তাঁর। ২০২৪ সালেও ‘ধ্রুব তারা’ নামে এক ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন তিনি। পঙ্কজ ধীরের ছেলে নিকিতিন ধীরও বলিউডের পরিচিত মুখ। যিনি ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’, ‘শের শাহ’ সহ বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন। একইসঙ্গে নিকিতিনের স্ত্রী অভিনেত্রী ক্রাতিক সেঙ্গরও জনপ্রিয় টেলিভিশন তারকা। প্রিয়জনের এমন মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন পরিবার ও সহকর্মীরা। অভিনেতার মৃত্যুতে পুরো ইন্ডাস্ট্রিতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ‘মহাভারত’-এর যুধিষ্ঠির তথা গজেন্দ্র চৌহান, দুর্যোধন অর্থাৎ পুনিত ইসা সমাজমাধ্যমে শোকবার্তা জানিয়েছেন। তাঁদের কথায়, “পঙ্কজ ধীর শুধু একজন অসাধারণ অভিনেতা নন, ছিলেন এক মহৎ মানুষও।”

  • India-Mongolia Relation: “আত্মিক ও আধ্যাত্মিক বন্ধন”, ভারত-মঙ্গোলিয়া দীর্ঘ সম্পর্ক নিয়ে বললেন মোদি

    India-Mongolia Relation: “আত্মিক ও আধ্যাত্মিক বন্ধন”, ভারত-মঙ্গোলিয়া দীর্ঘ সম্পর্ক নিয়ে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সফরে এসেছেন মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট খুরেলসুক উখনা। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রপতি খুরেলসুখ উখনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। এই বৈঠকে ভারত ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যে ইউরেনিয়াম সরবরাহ, ১.৭ বিলিয়ন ডলারের মেগা অয়েল রিফাইনারি এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ছয় বছর পর এই প্রথমবার ভারত সফরে এসেছেন মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রপতি। দুই নেতার মধ্যে বৈঠকে ডিজিটাল সমাধান, খনিজ অনুসন্ধান, ও দ্রুত প্রভাব ফেলতে সক্ষম প্রকল্প সহ ১০টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    ভারত-মঙ্গোলিয়া চুক্তি

    মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “মঙ্গোলিয়া আমাদের নিকট প্রতিবেশী, যদিও দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সীমান্ত নেই। ভারতের পক্ষ থেকে মঙ্গোলিয়ার উন্নয়নে সবসময়ই দৃঢ় ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হয়ে থাকব।” তিনি আরও জানান, দুই দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বিগত দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ভারতের তরফে মঙ্গোলিয়া থেকে ইউরেনিয়াম, কপার, সোনা ও দস্তা আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মঙ্গোলিয়ার ইউরেনিয়াম মজুত ৯০,০০০ টনের মতো, এবং দেশটি ইতিমধ্যে ফ্রান্সের সঙ্গে বছরে ২,৫০০ টন ইউরেনিয়াম উত্তোলনের চুক্তি করেছে।

    বৃহত্তম বৈদেশিক উন্নয়ন প্রকল্প

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সচিব (পূর্ব) পি কুমারন জানান, “আমরা মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে ইউরেনিয়াম নিয়ে অংশীদারিত্বে আগ্রহী। আগামী মাসগুলিতে আলোচনা এগোবে।” দুই নেতাই মঙ্গোল রিফাইনারি প্রকল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। ভারতের ১.৭ বিলিয়ন ডলারের লাইন অব ক্রেডিটে তৈরি এই রিফাইনারি ২০২৮ সালে চালু হবে এবং বছরে ১৫ লক্ষ টন বা দিনে ৩০,০০০ ব্যারেল তেল পরিশোধন করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “এটি ভারতের বৃহত্তম বৈদেশিক উন্নয়ন প্রকল্প, যেখানে ২,৫০০-রও বেশি ভারতীয় বিশেষজ্ঞ মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে কাজ করছেন।”

    প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে জোর

    প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করতে ভারতের পক্ষ থেকে উলানবাটারে একজন প্রতিরক্ষা অধিকর্তা নিযুক্ত করা হবে। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়া, সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর প্রশিক্ষণ, এবং সাইবার সুরক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন সহ নানা উদ্যোগ ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, দুই দেশ নোমাডিক এলিফ্যান্ট (Nomadic Elephant) ও খান কোয়েস্ট (Khaan Quest) নামক যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করে থাকে। ড্রোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণেও আগ্রহ দেখিয়েছে মঙ্গোলিয়া। এই সফরে আরও ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে—অভিবাসন, ডিজিটাল প্রযুক্তি, মানবিক সহায়তা, খনিজ সম্পদ, সংস্কৃতি, দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন।

    ভারত-মঙ্গোলিয়া পর্যটনে জোর

    ভারতের লাদাখ অঞ্চল এবং মঙ্গোলিয়ার আরখানগাই প্রদেশের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করতে ভারত ২০২৬ সালে গৌতম বুদ্ধের দুই শিষ্যের পবিত্র অবশিষ্টাংশ মঙ্গোলিয়ায় পাঠাবে এবং মঙ্গোলিয়ান নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে ই-ভিসা সুবিধা চালু করবে। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতি খুরেলসুখ ঘোষণা করেছেন, একটি মঙ্গোলিয়ান বিমান সংস্থা শিগগিরই দিল্লি ও অমৃতসরে চার্টার্ড ফ্লাইট চালু করবে, যাতে পর্যটন বৃদ্ধি পায়। এদিন রাজধানী দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট খুরেলসুখ উখনা-র মধ্যে প্রতিনিধি স্তরের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সমঝোতা স্মারক আদান-প্রদান হয়। যে ক্ষেত্রগুলিতে সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে— মানবিক সহায়তা, মঙ্গোলিয়ার ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য পুনরুদ্ধার, অভিবাসন, ভূতত্ত্ব ও খনিজ সম্পদ, সমবায় খাতের উন্নয়ন এবং ডিজিটাল সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এদিন দুই নেতা ভারত-মঙ্গোলিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিটও প্রকাশ করেন। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, প্রতিবছর মঙ্গোলিয়ার তরুণ সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদের ভারত সফরের ব্যয়ভার ভারত সরকার বহন করবে।

    আত্মিক ও আধ্যাত্মিক বন্ধন

    মোদি বলেন, “ভারত ও মঙ্গোলিয়ার সম্পর্ক কেবল কূটনৈতিক নয়, এটি আত্মিক ও আধ্যাত্মিক বন্ধন।” তিনি উল্লেখ করেন, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় মঙ্গোলিয়ায় বৌদ্ধ ধর্মের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সেই সূত্র ধরে নালন্দা ও গন্দান মঠ-কে সংযুক্ত করে এই ঐতিহাসিক সম্পর্ককে নতুন শক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মঙ্গোলিয়ার উন্নয়নে ভারত সবসময় বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার ছিল। ভারতের ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণসীমায় নির্মীয়মাণ তেল শোধনাগার প্রকল্প মঙ্গোলিয়ার জ্বালানি নিরাপত্তায় নতুন গতি আনবে বলেও জানান তিনি। এর আগে সকালে, মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রপতি রাজঘাটে গিয়ে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানান। সন্ধ্যায় তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁর সম্মানে একটি রাষ্ট্রীয় ভোজর আয়োজন করা হয়। প্রেসিডেন্ট খুরেলসুখ উখনার সঙ্গে রয়েছেন উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল, যার মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রীসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, শীর্ষ সরকারি আধিকারিক, ব্যবসায়িক প্রতিনিধি এবং সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিরা।

  • Malaria in Kolkata: সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হাজারের বেশি! কলকাতা পুর-এলাকায় অব্যাহত ম্যালেরিয়ার দাপট

    Malaria in Kolkata: সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হাজারের বেশি! কলকাতা পুর-এলাকায় অব্যাহত ম্যালেরিয়ার দাপট

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের মরশুমে ফের বিপদ বাড়ছে। আগাম সতর্কতা জারির পরেও পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সচেতন না হলে অবস্থা আরও জটিল হতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। দুর্গাপুজো শেষ! কিন্তু আর মাত্র কয়েক দিন পরেই দীপাবলির উৎসবে মেতে উঠবেন বঙ্গবাসী। কিন্তু তার মধ্যেই ম্যালেরিয়ার দাপট নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য প্রশাসন। স্বাস্থ্য ভবনের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত দেড় মাসে মারাত্মক হারে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। উৎসবের আমেজের তাল কাটতে পারে মশাবাহিত এই রোগ। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে তথ্য?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে শুধুমাত্র কলকাতা কর্পোরেশন এলাকাতেই নতুন ভাবে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত কলকাতায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৫৬ জন। কিন্তু অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৮০ জন। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসে মারাত্মক হারে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, বিগত বছরে কেন্দ্রের তরফে কলকাতার ৬৯টি ওয়ার্ডকে ম্যালেরিয়া প্রবণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেই সমস্ত এলাকায় বাড়তি নজরদারির পরামর্শ ও দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরে কলকাতার ১১টি ওয়ার্ডকে বিশেষ স্পর্শকাতর এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তরে শোভাবাজার, গিরিশ পার্ক থেকে দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর, টালিগঞ্জের বিস্তৃর্ণ এলাকায় বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। তবে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার পাশপাশি হুগলি, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাতেও গত এক মাসে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। তাই ম্যালেরিয়ার দাপট নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।

    উৎসবের মরশুমে কেন ম্যালেরিয়ার দাপট বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের দাপ‌ট বৃদ্ধির পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো আবহাওয়া। তাঁরা জানাচ্ছেন, অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বর এই দুই মাসে রাজ্যে প্রবল বৃষ্টি হয়। রাজ্যের অধিকাংশ জায়গা থাকে জলমগ্ন। আর এই আর্দ্র আবহাওয়া এবং জলমগ্ন পরিবেশ মশার বংশবিস্তারের আদর্শ। তাই বছরের এই সময়ে মশাবাহিত রোগের দাপট বাড়ে। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মশাবাহিত রোগ এই রাজ্যে নতুন স্বাস্থ্য সঙ্কট নয়। তাই বছরের এই সময়ে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার দাপট রুখতে আগাম পরিকল্পনা জরুরি। স্বাস্থ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সাল থেকেই কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, আগামী কয়েক বছরে দেশজুড়ে ম্যালেরিয়ার দাপট বাড়তে পারে। ট্রপিক্যাল আবহাওয়ার পরিবর্তনের জেরেই এই সমস্যা হবে। তাই আগাম নানান পরিকল্পনা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো বিভিন্ন স্তরে একাধিক বৈঠক হয়। কিন্তু বাস্তবিক পরিস্থিতি আশানুরূপ হয়নি এমনটাই মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ।

    পুজো কমিটি ও প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাব এবং সর্বপরি সচেতনতার অভাবকেই ম্যালেরিয়ার দাপট বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, একাধিক জায়গায় দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল তৈরির জন্য জমা জল‌ পরিষ্কার হয়নি। এমনকি আশপাশের আবর্জনা ও সময় মতো পরিষ্কার করা হয়নি। পাশপাশি দুর্গাপুজোর উৎসব শেষের পরেও কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় বর্জ্য পদার্থ পড়ে রয়েছে। এর ফলে মশার দাপট বাড়ছে। তাই ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। যদিও কলকাতার অধিকাংশ পুজো কমিটি এবং পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, শহর পরিষ্কারের কাজ তৎপরতার সঙ্গে হয়েছে। ম্যালেরিয়া রুখতে সাধারণ মানুষকেও সতর্ক হতে হবে। তাই ওয়ার্ড ভিত্তিক সচেতনতা কর্মসূচি চলছে।

    সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    ম্যালেরিয়ার বিপদ এড়াতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মশা কামড়ানোর ঝুঁকি কমাতে মশারি টাঙানোর রেওয়াজ ফিরিয়ে আনা জরুরি। এছাড়া আশপাশের এলাকা পরিষ্কার দিকে নজরদারি প্রয়োজন। জমা জল মশার বংশবিস্তারে সাহায্য করে। তাই বাড়িতে কিংবা আশপাশের এলাকায় জমা জল যাতে না থাকে, সে ব্যাপারে প্রশাসনের পাশপাশি সাধারণ মানুষকেও সতর্ক হতে হবে। জ্বরে তিন দিনের বেশি সময় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্তপরীক্ষা জরুরি। তাতে রোগ সহজে ধরা পড়বে। সময় মতো‌ ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদ এড়ানো সহজ হবে।

  • Malloujula Venugopal Rao: এবার আত্মসমর্পণ করলেন নিহত মাওবাদী নেতা কিষেনজির ভাই বেণুগোপালও

    Malloujula Venugopal Rao: এবার আত্মসমর্পণ করলেন নিহত মাওবাদী নেতা কিষেনজির ভাই বেণুগোপালও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আত্মসমর্পণ করলেন নিহত মাওবাদী নেতা (Maoist Leader) কিষেনজির ভাই মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে সোনু (Malloujula Venugopal Rao)। তিনি একা নন, এদিন তাঁর সঙ্গে আত্মসমর্পণ করেছেন আরও ৬০ মাওবাদী। বেণুগোপাল আত্মসমর্পণ করায় মাওবাদীরা হারাল দলের পলিটব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে।

    আত্মসমর্পণ করলেন বেণুগোপালও (Malloujula Venugopal Rao)

    বেণুগোপাল ওরফে সোনু পরিচিত ছিলেন ভূপতি ওরফে রাজন ওরফে বিবেক ওরফে অভয় নামেও। দলের আদর্শিক প্রধান হওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ সংক্রান্ত বিষয়গুলিও দেখতেন বছর সত্তরের এই মাওবাদী নেতা। আটের দশকে তিনি যোগ দেন পিপলস ওয়ার গ্রুপে। ২০১০ সালে নিযুক্ত হন সিপিআই (মাওবাদী)-র মুখপাত্র। পশ্চিমবঙ্গের লালগড় অভিযান চলাকালীন কিষেনজির মৃত্যুর পর অভিযানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনিই। মাস কয়েক আগে আত্মসমর্পণ করেছিলেন বেণুগোপালের স্ত্রী বিমলা চন্দ সিদাম ওরফে তারাক্কা। তিনি ছিলেন পিএলজিএর কমান্ডার এবং দণ্ডকারণ্য জোনাল কমিটির নেত্রী। তাঁর আত্মসমর্পণের ১০ মাসের মধ্যেই সমাজের মূলধারায় ফিরতে চেয়ে আত্মসমর্পণ করলেন বেণুগোপালও।

    আত্মসমর্পণ করলেন আরও ৬০

    সোমবার গভীর রাতে গড়ছিরৌলিতে ৬০ জন মাওবাদী সদস্যকে নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন বেণুগোপাল। গত সেপ্টেম্বরেই অস্ত্র সমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর তরফে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বেণুগোপাল লিখেছিলেন, দল বাঁচাতে সশস্ত্র সংগ্রাম বন্ধ করার সময় এসেছে। গত এপ্রিল মাসেও তাঁর নাম করে একটি শান্তিবার্তা এসেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। তাতে বলা হয়েছিল, হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত মাওবাদী পলিটব্যুরো বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রকে শান্তি আলোচনা ও সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। সেই থেকেই বিভিন্ন মহলে জল্পনা চলছিল, শীঘ্রই আত্মসমর্পণ করতে পারেন তিনি। শেষমেশ তা-ই হল (Malloujula Venugopal Rao)।

    প্রসঙ্গত, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে দেশকে মাওবাদী মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই লক্ষ্য পূরণে কোমর কষে মাঠে নামে ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গনার সরকার। এই তিন রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় মাওবাদীদের নির্মূল করতে চালানো হয় একের পর এক অভিযান। যৌথ বাহিনীর লাগাতার অভিযানে খতম হন মাওবাদীদের একাধিক শীর্ষ নেতা। তার পর থেকেই আত্মসমর্পণ করতে থাকেন একের পর (Maoist Leader) এক নেতা। সেই তালিকায় জুড়ে গেল বেণুগোপাল ও তাঁর ৬০ সহযোদ্ধার নাম (Malloujula Venugopal Rao)।

  • Bihar Assembly Elections: বিহারে প্রথম দফায় ৭১ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি

    Bihar Assembly Elections: বিহারে প্রথম দফায় ৭১ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Elections) প্রথম দফায় ৭১ জন প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার এক সরকারি বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে পদ্মশিবির। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩টি। নির্বাচন হবে দু’দফায় – ৬ নভেম্বর ও ১১ নভেম্বর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক ১২ অক্টোবর জেপি নাড্ডার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

    কে কোন আসনে লড়ছেন (Bihar Assembly Elections)

    কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আরও বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। জানা গিয়েছে, সিওয়ান থেকে মঙ্গল পাণ্ডে, কাটিহার থেকে তারকিশোর প্রসাদ, দানাপুর থেকে রামকৃপাল যাদব, বানকিপুর থেকে নীতিন নবীন, বেতিয়া থেকে রেণু দেবী, গয়া টাউন থেকে প্রেম কুমার, জামুই থেকে শ্রেয়সী সিংহ, লখিসরাই থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা এবং তারাপুর থেকে আর এক উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী লড়াই করবেন। এই তারাপুর সম্রাটের পারিবারিক ঘাঁটি। এই কেন্দ্রের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন সম্রাটের বাবা শকুনি চৌধুরী এবং মা পার্বতী দেবী। সম্রাট অবশ্য বিধায়ক নন, তিনি বিহার বিধান পরিষদের সদস্য। যে কেন্দ্রে এবার তিনি প্রার্থী হয়েছেন, গত পনের বছরেরও বেশি সময় ধরে সেটি রয়েছে নীতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের হাতে। এই তারাপুরেই ২০২১ সালের উপনির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন জেডিইউ প্রার্থী। এবার জোটসঙ্গী বিজেপিকে ওই আসনটি ছেড়ে দিয়েছে নীতীশের দল।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির বক্তব্য

    বিহারের আর (BJP) এক উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয়কুমার এবারও লড়ছেন তাঁর ঘাঁটি লখিসরাই থেকে। ২০১০ সাল থেকে পর পর তিনবার এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছেন তিনি (Bihar Assembly Elections)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ জয়সওয়াল বলেন, “অনেকেই আশা করেননি যে প্রার্থীদের তালিকা এত দ্রুত প্রকাশিত হবে। প্রথমেই এনডিএ জোট আসন বণ্টনের কাজ সম্পন্ন করে। মহাগটবন্ধন এখনও আলোচনা চালাচ্ছে। অথচ এনডিএ জোট আসন বিলি চূড়ান্ত করে ফেলল। আজ ভোরেই তারা জনসমর্থন জোগাড় করার পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। যেমনটা আমি আগেই বলেছিলাম, এনডিএ হল পঞ্চ পাণ্ডবের মতো একটি শক্তিশালী জোট। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুত।”

    তাওড়ের পোস্ট

    এর আগে ১২ অক্টোবর আসন্ন বিহার নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন এনডিএ তাদের আসন বিলির কথা ঘোষণা করে। জোটের তরফে জানানো হয়, বিজেপি  এবং জেডিইউ প্রত্যেকে লড়বে ১০১টি করে আসনে, এলজেপি (রামবিলাস) লড়বে ২৯টি আসনে, রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ৬টি আসনে এবং হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা-ও (এইচএএম) ৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে (Bihar Assembly Elections)। প্রসঙ্গত, এডিএর সদস্য দলগুলি হল বিজেপি, জনতা দল (ইউনাইটেড), লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (সেক্যুলার) এবং রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা। আসন রফা চূড়ান্ত হওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির বিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বিনোদ তাওড়ে লিখেছিলেন, “সংগঠিত ও নিবেদিতপ্রাণ এনডিএ। আসন্ন বিহার (BJP) বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এনডিএ পরিবারের সব সদস্য বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে আসন বণ্টন সম্পন্ন করেছে, যা নিম্নরূপ —

    • বিজেপি – ১০১টি আসন
    • জেডিইউ – ১০১টি আসন
    • এলজেপি (রাম বিলাস) – ২৯টি আসন
    • আরএলএম – ৬টি আসন
    • এইচএএম – ৬টি আসন

    সব এনডিএ দলের নেতা ও কর্মীরা আনন্দের সঙ্গে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। সবাই আবারও বিহারে এনডিএ সরকার গঠনের লক্ষ্যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

    ভোট কূশলী প্রাশান্ত কিশোরের দল

    বিহারের আসন্ন নির্বাচনে এনডিএর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডি (RJD), কংগ্রেস, দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন সিপিআই (এমএল), সিপিআই, সিপিএম এবং মুকেশ সহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)-র নেতৃত্বাধীন আইএনডিআই (INDI) জোট। লড়াইয়ের ময়দানে থাকছে ভোট কূশলী প্রাশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজও। তাঁর দল লড়ছে এবারই প্রথম (Bihar Assembly Elections)।

    উল্লেখ্য যে, বিহার বিধানসভা নির্বাচনের গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ১০ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। যাচাইয়ের জন্য সময় মিলবে ১৮ তারিখ পর্যন্ত। প্রার্থীরা নাম প্রত্যাহার করতে (BJP) পারবেন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে ১১ নভেম্বর। প্রথম দফায় নির্বাচন হবে ১২১টি আসনে, দ্বিতীয় দফায় ১২২টিতে। দ্বিতীয় দফার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে ১৩ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর (Bihar Assembly Elections)।

  • Google in India: আমেরিকার পর ভারতে সর্ববৃহৎ এআই হাব! এক লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ গুগলের

    Google in India: আমেরিকার পর ভারতে সর্ববৃহৎ এআই হাব! এক লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ গুগলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার বাইরে বৃহত্তম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) হাব খুলতে চলেছে গুগল। ভারতের প্রথম এআই হাব তৈরি হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে। গুগলের (Google in India) সিইও সুন্দর পিচাই মঙ্গলবার জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন। এনিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। সেই অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে ভারতের বাজারে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ এক লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকা।

    ভারতে গুগলের সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ

    ভারতে এই হাব তৈরির পরিকল্পনাকে ‘একটি যুগান্তকারী উন্নয়ন’ বলে অভিহিত করেছেন পিচাই। গুগলের (Google in India) ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও জানিয়েছেন যে, এই হাবটি গিগাওয়াট-স্কেল কম্পিউট ক্ষমতা, একটি নতুন আন্তর্জাতিক সাব-সি গেটওয়ে এবং বৃহৎ আকারের শক্তি পরিকাঠামোর সমন্বয় হিসেবে গড় উঠবে। গুগল এবং অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই পিচাই এক্স-এ পোস্ট করে লিখেছেন, “এর মাধ্যমে আমরা ভারতের বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যবহারকারীদের কাছে আমাদের সেরা প্রযুক্তি পৌঁছে দেব, দেশজুড়ে এআই উদ্ভাবন এবং বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করব।” গুগল আদানি গ্রুপের সঙ্গে অংশীদারিত্বে এআই ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাসটি তৈরি করবে। এটি ভারতে গুগলের সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ।

    ভারতে এক যুগান্তকারী উন্নয়ন

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে গুগল এআই হাব চালু হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন। বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স-এ শেয়ার করা একটি পোস্টে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাণবন্ত শহর বিশাখাপত্তনমে গুগল এআই হাব চালু হওয়ায় আমি আনন্দিত। এই বহুমুখী বিনিয়োগ, যার মধ্যে গিগাওয়াট-স্কেল ডেটা সেন্টার পরিকাঠামো অন্তর্ভুক্ত, আমাদের বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।” প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন যে নতুন এআই হাব প্রযুক্তিকে গণতান্ত্রিক করতে এবং সরকারের ‘সবার জন্য এআই’ লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। “এটি প্রযুক্তিকে গণতান্ত্রিক করার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী শক্তি হবে। এটি ‘সবার জন্য এআই’ নিশ্চিত করবে, আমাদের নাগরিকদের কাছে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম পৌঁছে দেবে, আমাদের ডিজিটাল অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে এবং বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি নেতা হিসেবে ভারতের স্থান সুরক্ষিত করবে।”

    আদানিকনেক্সের সঙ্গেই চুক্তি গুগলের

    আদানি এন্টারপ্রাইস-এর অধীনে থাকা আদানিকনেক্সের সঙ্গেই চুক্তি হয়েছে গুগলের (Google in India)। আগামী পাঁচ বছরে দুই সংস্থার উদ্যোগে এআই ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাস ও নতুন সবুজ শক্তি পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী চুক্তি। তেমনই বলছে আদানিদের সংস্থা। আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি বলেন, “এই ঐতিহাসিক প্রকল্পে গুগলের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আদানি গ্রুপ গর্বিত যা ভারতের ডিজিটাল ভূদৃশ্যের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে।”

    বিকশিত ভারত ২০৪৭-এর লক্ষ্যে পদক্ষেপ

    গুগলের (Google in India) তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “এটি ভারত সরকারের ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ ভিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যাতে এআই-চালিত পরিষেবার সম্প্রসারণ ত্বরান্বিত করা যায়। এই উদ্যোগ ভারত এবং আমেরিকা উভয়ের জন্যই যথেষ্ট অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুযোগ তৈরি করবে- একই সঙ্গে এআই সক্ষমতার ক্ষেত্রে প্রজন্মগত পরিবর্তনের পথিকৃৎ হয়ে উঠবে।” গুগলের এই হাব ভারতে ডিজিটাল যুগের যাত্রার একটি নতুন অধ্যায় বলে বর্ণনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, “এই ডিজিটাল পরিকাঠামো ভারতের এআই ভিশনের লক্ষ্য পূরণে আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “ভারতে ডিজিটাল অর্থনীতিতে এআই পরিষেবা একটি নতুন দিক হিসেবে সামনে উঠে এসেছে। আমরা আমাদের যুব সমাজের বিকাশে এই নতুন পরিষেবা ব্যবহার করতে মুখিয়ে আছি।”

    ভারতের প্রথম গিগাওয়াট-স্কেল ডেটা সেন্টার

    দিল্লিতে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গুগল (Google in India) ক্লাউডের সিইও থমাস কুরিয়ান বলেন, বিশাখাপত্তনমে এআই হাব ‘ভারতের ডিজিটাল ভবিষ্যতে একটি যুগান্তকারী বিনিয়োগ’। তিনি বলেন, “শিল্পে শীর্ষস্থানীয় এআই পরিকাঠামো সরবরাহ করে, আমরা ব্যবসাগুলিকে দ্রুত উদ্ভাবন করতে সক্ষম করছি এবং বৃদ্ধির জন্য সুযোগ তৈরি করছি। এই অংশীদারিত্ব ভারত ও মার্কিন সরকারের প্রতি আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে যে এআইকে দায়িত্বশীলভাবে কাজে লাগানো এবং সমাজের কল্যাণে একে কাজে লাগানো।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং অশ্বিনী বৈষ্ণব, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী নারা লোকেশ। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডু বলেন, “আমরা ভারতের প্রথম সত্যিকারের গিগাওয়াট-স্কেল ডেটা সেন্টার এবং ভারতে গুগলের প্রথম এআই হাবের আয়োজন করতে পেরে গর্বিত, যা রাজ্যের ব্যবসা এবং স্টার্টআপগুলির জন্য উদ্ভাবন, এআই গ্রহণ এবং দীর্ঘমেয়াদী সহায়তার প্রতি আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।”

     

     

     

LinkedIn
Share