Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Aadhaar Card: আপনার আধার কার্ডটি জাল না আসল বুঝবেন কীভাবে?

    Aadhaar Card: আপনার আধার কার্ডটি জাল না আসল বুঝবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:ইউআইডিএআই অনুমোদিত আধার কার্ডের গুরুত্ব ও ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছে এ সংক্রান্ত জালিয়াতিও। তাই জাল আধার কার্ড (Aadhaar Card) ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে বড়সড় পদক্ষেপ করল মোদি সরকার (Modi Govt)। জেনে নিন কীভাবে চিনবেন জাল আধার কার্ড। এখন প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে কীভাবে জাল আধার কার্ড বানিয়ে উপভোক্তার নামে ব্যাংক থেকে ঋণ তুলে নেওয়া হচ্ছে। কিংবা অন্য কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপে আপনাকে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানে ইউআইডিএআই (UIDAI) আধারে উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে। এরই একটি হল আধার কার্ডে সুরক্ষিত কিউআর কোড।

    ইউআইডিএআইয়ের অফিসিয়াল কিউআর স্ক্যানার অ্যাপ ব্যবহার (Aadhaar Card)

    এখন থেকে ব্যবহারকারীরা ইউআইডিএআইয়ের অফিসিয়াল কিউআর স্ক্যানার অ্যাপ ব্যবহার করে এই কিউআর কোড স্ক্যান করতে পারেন এবং সঙ্গে সঙ্গই যাচাই করতে পারেন কার্ডধারীর নাম, জন্ম তারিখ এবং ছবি। যদি এই তথ্য মিলে না যায় বা কিউআর কোড না থাকে, তাহলে সেই আধার কার্ডটি জাল হওয়ার সম্ভাবনাই। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে আধার ডেটাবেসের যথার্থতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার লক্ষ্যে ইউআইডিএআই ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছ থেকে ১.৫৫ কোটি মৃত ব্যক্তির নথিপত্র সংগ্রহ করেছে (Aadhaar Card)। তাঁদের আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করতেই এটা করা হয়েছে।

    সরকারি বিবৃতিতে কী বলা হয়েছে

    এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যুর পর তাঁর আধার নম্বরের অননুমোদিত ব্যবহার রোধ করতে সংশ্লিষ্ট আধার নম্বরধারীকে মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মৃত্যু শংসাপত্র পাওয়ার পর মাই আধার পোর্টালে সেই মৃত্যুর তথ্য রিপোর্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কোনও আধার নম্বর কখনওই অন্য কোনও ব্যক্তিকে ফের দেওয়া হয় না। তাই (Modi Govt) কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর ক্ষেত্রে তাঁর আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করা অত্যন্ত জরুরি যাতে পরিচয় চুরি বা অননুমোদিত ব্যবহার প্রতিরোধ করা যায় (Aadhaar Card)।

  • Donald Trump: তাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধ বিরতি? বড় ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্পের

    Donald Trump: তাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধ বিরতি? বড় ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার (Thailand Cambodia War) মধ্যে সংঘাত শীঘ্রই শেষ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের পর এই সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়েছে। শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ঘোষণা করেন, তাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা তিনদিনের সংঘর্ষের পর নিজেদের মধ্যে যুদ্ধবিরোধী আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন। এই সংঘাতের ফলে উভয় দেশের মোট ৩১ জন নিহত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।

    দুই দেশের সঙ্গে কথা (Donald Trump)

    ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানান, সংঘাত বন্ধ করতে তিনি ইতিমধ্যে উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের সতর্ক করেছেন যে, যদি সংঘাত চলতে থাকে, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য চুক্তিতে প্রবেশ করবে না। সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্প লেখেন, উভয় পক্ষ—তাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া—যুদ্ধবিরোধী এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় (Thailand Cambodia War)।তিনি আরও জানান, উভয় দেশই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার এবং একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমঝোতার পথে এগিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে এবং শান্তি পুরোপুরিভাবে প্রতিষ্ঠিত হলে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে দুই দেশের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে উদ্যোগ নেবেন।

    ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

    তবে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। অন্যদিকে, তাইল্যান্ডের কার্যকরী প্রধানমন্ত্রী ফুমাথাম হোয়ে চায়া চাই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং বলেন, তাইল্যান্ডের নীতি হলো—‘তাইল্যান্ড শান্তি চায়, যুদ্ধ নয়’। তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, তিনি ট্রাম্পকে জানিয়েছেন যে তাইল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চায়, যার মাধ্যমে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত হয়। তবে তিনি এটাও বলেন যে, কম্বোডিয়ার (Thailand Cambodia War) দিক থেকেও এ বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা পাওয়া জরুরি।

  • Agra Conversion Gang: আগ্রা ধর্মান্তকরণ চক্রের সঙ্গে মিলল পাক যোগের প্রমাণ

    Agra Conversion Gang: আগ্রা ধর্মান্তকরণ চক্রের সঙ্গে মিলল পাক যোগের প্রমাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগ্রা ধর্মান্তকরণ চক্রের (Agra Conversion Gang) সঙ্গে এবার উঠে এল পাক যোগের প্রমাণ। আগ্রার পুলিশ কমিশনার জানান, এই চক্রটির সঙ্গে পাকিস্তানের (Pakistan) কয়েকজনের যোগাযোগ ছিল। এরাই তরুণ-তরুণীদের প্রভাবিত করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে উৎসাহিত করত। গত সপ্তাহেই এই চক্র ভেঙে দেওয়া হয়। ওই সপ্তাহে ছ’টি রাজ্য থেকে সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ১০জনকে। তদন্ত শুরু হয়েছিল আগ্রা থেকে নিখোঁজ হওয়া দুই বোনের সন্ধান করতে গিয়ে। এদেরই একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় একে-৪৭ রাইফেল হাতে নিজের ছবি পোস্ট করেছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে চারজনকে গ্রেফতার করে।

    পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য (Agra Conversion Gang)

    শনিবার আগ্রা পুলিশ কমিশনার দীপক কুমার জানান, কখনও কখনও অনলাইন গেমের মাধ্যমে ধর্মান্তরনের উদ্দেশ্যে নিশানা করা হত তরুণদের। পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হ্যান্ডলাররা এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করত। পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রটি পরিচালনা করছিল দিল্লির বাসিন্দা আবদুল রহমান। তার আদত নাম ছিল মহেন্দ্র পাল। পরে সে প্রথমে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে। তারও পরে দীক্ষিত হয় ইসলাম ধর্মে। এর পরেই সে কাজে লেগে যায় ধর্মান্তকরণ চক্রে। এই চক্রের টার্গেটে পড়া মেয়েদের উদ্ধার করা হয়েছে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন, উত্তরপ্রদেশের বেয়ারেলি, আলিগড় ও রায়বেরেলি এবং হরিয়ানার ঝাঝ্জর ও রোহতক-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে (Agra Conversion Gang)।

    হিন্দুধর্ম সম্পর্কে কানে ঢালা হত বিষ

    কমিশনার কুমার বলেন, “মেয়েদের ইসলামি বিশ্বাসসম্পন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলানো হত। হিন্দুধর্ম সম্পর্কে তাদের কানে ঢালা হত বিষ। পাকিস্তানে থাকা তানভির আহমেদ ও সাহিল আদিম নামের দুই হ্যান্ডলার এই কাজে তাদের সাহায্য করত। এরপর ওই মেয়েদেরকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করা হত। সেখানেও তাদের নিয়মিত মগজধোলাই করা হত। যদি মেয়েদের পরিবার এর প্রতিবাদ করত, তাহলে তাদের মনও পরিবারের বিরুদ্ধে বিষিয়ে তোলা হত।” তিনি বলেন, “এই চক্রের অন্তত তিনজন সদস্য ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে জানে এবং তারা সেখান থেকে যোগাযোগ করত। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির নজর এড়াতে সিগন্যাল অ্যাপও ব্যবহার করা হত।” জানা (Pakistan) গিয়েছে, ধর্মান্তরণকারীরা আরও একটি কৌশল ব্যবহার করত। অনলাইন গেম খেলার সময় তাদের সঙ্গে কথা বলত। কথোপকথন শুরু হওয়ার পর ধীরে ধীরে ইসলাম সম্পর্কে ইতিবাচক কথা বলে তাদের প্রভাবিত করা হত। পরে করা হত ধর্মান্তরিত (Agra Conversion Gang)।

  • RSS: মুসলমান ইমাম ও পণ্ডিত আয়োজিত সভায় হাজির আরএসএসের মোহন ভাগবত

    RSS: মুসলমান ইমাম ও পণ্ডিত আয়োজিত সভায় হাজির আরএসএসের মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাঁরা বলে বেড়ান আরএসএস (RSS) মুসলমান বিরোধী, তাঁদের মুখে ফের একবার ঝামা ঘষে দিলেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত। বৃহস্পতিবার তিনি সাক্ষাৎ করেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৫০ জনেরও বেশি বিশিষ্ট মুসলিম ধর্মীয় নেতা (Muslim Clerics) ও পণ্ডিতদের সঙ্গে। ২০২২ সালেই সংঘ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতা ও পণ্ডিতদের সঙ্গে আরএসএসের আলোচনা শুরু হয়েছিল। এদিনের সাক্ষাৎ তারই অংশ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। হিন্দু ও মুসলমানদের পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তাঁদের ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক হবে বলেও স্থির হয়েছে এদিনের বৈঠকে।

    কী বললেন ইলিয়াস (RSS)

    এই বৈঠকের আয়োজন করেছিল অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশন। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক হয় নয়াদিল্লির হরিয়ানা ভবনে। সভা কো-অর্ডিনেট করেন অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান ইমাম উমর আহমেদ ইলিয়াসি। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ইলিয়াসির আমন্ত্রণে ভাগবত নয়াদিল্লিতে অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশন পরিচালিত একটি মাদ্রাসা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেই শুরু দু’পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনার। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ইলিয়াস বলেন, “এই সভাটি এমন একটা সময়ে হয়েছে, যখন আরএসএস তাদের শতবর্ষ উদযাপন করছে এবং অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশন তাদের ৫০ বছর পূর্তি পালন করছে। উভয় পক্ষ থেকেই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরুর একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভাগবতের মাদ্রাসা সফর ছিল তার প্রথম ধাপ, আর আজকের এই বৈঠক ভবিষ্যতে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে।”

    পুরোহিতদের সঙ্গে ইমামদের যোগাযোগ

    তিনি বলেন, “আজকের (RSS) বৈঠকে দেওবন্দ ও বরেলি-সহ বিভিন্ন উলেমা ও মাদ্রাসার ইমাম এবং মুফতিরা অংশ নিয়েছিলেন। ভগবতজির সঙ্গে ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে জাতীয় গুরুত্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয় এবং কীভাবে তৃণমূল পর্যায়েও এই আলোচনা করতে উৎসাহিত করা যায়, সেই বিষয়েও মত বিনিময় হয়।” ইলিয়াসি বলেন, “আজকের বৈঠকে স্থির হয়েছে, এই প্রক্রিয়া (আলাপ-আলোচনা) স্থায়ীভাবে চলবে। মানুষ যেহেতু ধর্মীয় নেতাদের কথা শোনেন, তাই আমরা মন্দিরের পুরোহিতদের সঙ্গে মসজিদের ইমামদের (Muslim Clerics) এবং গুরুকুল ও মাদ্রাসার মধ্যে যোগাযোগ শুরু করব। এতে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব (RSS) পড়বে। এবং তা হবে দেশের স্বার্থে পন্থীই।”

  • PM Modi: ট্রাম্পকে অনেক পেছনে ফেলে গ্লোবাল লিডার তালিকার শীর্ষে ভারতের নরেন্দ্র মোদি, এবারও তিনিই ফার্স্ট

    PM Modi: ট্রাম্পকে অনেক পেছনে ফেলে গ্লোবাল লিডার তালিকার শীর্ষে ভারতের নরেন্দ্র মোদি, এবারও তিনিই ফার্স্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তিনি পেছনে ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। দৌড়ে তাঁকে ধরতে পারেননি অন্য কোনও বিশ্বনেতাও (Global List)। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আরও একবার তিনি দখল করলেন মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারের শীর্ষস্থান। ‘ফার্স্ট বয়’ নরেন্দ্র মোদি পেয়েছেন ৭৫ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বের সব চেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত নেতা। আগেও তিনিই হয়েছিলেন প্রথম। এবারও টলানো গেল না তাঁর আসন। এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয়বার জয়ী হওয়ার পরেও দেশ ও বিদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়েও অনেক বেশি পোক্ত হয়েছে।

    মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকার (PM Modi)

    মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকার বিশ্বের বিভিন্ন নেতাদের অনুমোদনের রেটিং ট্র্যাক করে। সেই নিরিখে দেখা গিয়েছে, প্রতিপক্ষদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ঢের পেছনে রয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর ঝুলিতে পড়েছে মাত্রই ৪৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। প্রসঙ্গত, এ বছরের গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল রেটিং করা হয়েছিল ৪ থেকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে। ২০টিরও বেশি দেশের নেতাদের মধ্যে থেকে মানুষ পছন্দ করে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদিকেই।

    সাত দিনের গড় অনুসারে তালিকা তৈরি

    যেসব রাষ্ট্রনেতাদের নির্বাচন করা হয়েছিল, তাঁদের প্রতি প্রাপ্তবয়স্কদের মতামতের সাত দিনের গড় অনুসারে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল (PM Modi)। মর্নিং কনসাল্ট একটি আমেরিকান সংস্থা। বিজনেস ইন্টেলিজেন্স এবং ডেটা অ্যানালিস্টের কাজ করে এরা। এই সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি চারজন মানুষের মধ্যে তিনজন গণতান্ত্রিক নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ এভাবে ভাবেননি। আর ৭ শতাংশ মানুষ নিশ্চিতভাবে কোনও মতামত প্রকাশ করেননি।

    মোদিই প্রথম

    মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারের তৈরি করা ওই তালিকায় নরেন্দ্র মোদির পরেই রয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লি-জে-মিয়ং। তিনি পেয়েছেন ৫৯ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। থার্ড হয়েছেন আর্জেন্টিনার জেভিয়ার মিলেই। তিনি পেয়েছেন ৫৭ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। ওই তালিকার চার নম্বরে রয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। তাঁর ঝুলিতে পড়েছে ৫৬ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল। ৫৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল পেয়ে ফিফথ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিস। তালিকায় এর পর রয়েছে মেক্সিকো। সে (PM Modi) দেশের নয়া প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম পেয়েছেন ৫৩ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। তাঁর পরে রয়েছেন সুইৎজারল্যান্ডের কারিন কেলার সাটার। তিনি পেয়েছেন ৪৮ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। তালিকার একেবারে শেষে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Global List)। তিনি পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। ৫০ শতাংশ মানুষ তাঁর বিরোধিতা করেছেন।

    কম জনপ্রিয় নেতার শিরোপা

    এদিকে, বিশ্বের সব চেয়ে কম জনপ্রিয় নেতার শিরোপা পেয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং চেক রিপাবলিকের প্রধানমন্ত্রী পেট্র ফিয়ালা। তাঁরা পেয়েছেন মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ৭৪ শতাংশ মানুষই তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি পেয়েছেন ৪০ শতাংশ মানুষের সমর্থন। জার্মানির ফ্রেডরিক মর্জ পেয়েছেন ৩৪ শতাংশ মানুষের সমর্থন। তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান পেয়েছেন ৩৩ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ব্রাজিলের লুলা দ্য সিলভা পেয়েছেন ৩২ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ব্রিটেনের কিয়ের স্টার্মার পেয়েছেন ২৬ শতাংশ মানুষের সমর্থন। আর ২০ শতাংশ মানুষের সমর্থন পেয়ে তালিকার একেবারে শেষে রয়েছেন জাপানের শিগেরু ইশিবা।

    অমিত মালব্যর ট্যুইট

    সমীক্ষার ফল প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “১০০ কোটিরও বেশি ভারতীয়ের প্রিয় এবং বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের সম্মানপ্রাপ্ত নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবারও মর্নিং কনসাল্ট সমীক্ষা অনুসারে বিশ্বনেতাদের তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন। মোদিজির নেতৃত্বে ভারত নিরাপদ।” ট্যুইট-বার্তায় কেন্দ্রীয় (PM Modi) মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও লেখেন, “বিশ্বমঞ্চে মোদিজির নেতৃত্ব ভারতকে গৌরবের আসনে বসিয়েছে। তাঁর দৃঢ়তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ভারতকে বিশ্ব রাজনীতিতে এক নয়া উচ্চতায় পৌঁছে দিচ্ছে (Global List)।”

    বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন, নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন এবং অভ্যন্তরীণ বিভাজনের আবহে মোদির এই আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা শুধু ভারতীয় রাজনীতির জন্য নয়, দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত পরিসরের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে যেখানে চিন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বৈরথ স্পষ্ট, সেখানে ভারতের সতর্ক ও ভারসাম্যপূর্ণ নেতৃত্বকে আশার আলো দেখছে অনেক দেশ (PM Modi)।

  • Chess World Cup Final 2025: দিব্যা বনাম হাম্পি! মেয়েদের দাবা বিশ্বকাপ ফাইনালে দুই ভারতীয় কন্যা

    Chess World Cup Final 2025: দিব্যা বনাম হাম্পি! মেয়েদের দাবা বিশ্বকাপ ফাইনালে দুই ভারতীয় কন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবারের জন্য মেয়েদের দাবা বিশ্বকাপ ফাইনালে (Chess World Cup Final 2025) দুই ভারতীয়। যার অর্থ, মেয়েদের প্রথম বিশ্বকাপ আসছে ভারতে। কয়েক বছর ধরেই ৬৪ খোপে রমরমা ভারতীয় দাবাড়ুদের। ভারতের এই নতুন প্রজন্মকে সমীহ করে চলেন বিশ্বের তাবড় গ্র্যান্ডমাস্টাররা। ছেলেরা ছাপ ফেলেছিলেন আগেই, এ বার মেয়েরাও দাপট দেখাচ্ছেন। তারই একটা নতুন অধ্যায় লেখা শুরু হবে শনিবার থেকে। জর্জিয়ার বাতুমিতে শুরু হচ্ছে মেয়েদের বিশ্বকাপের ফাইনাল। সেখানে মুখোমুখি কোনেরু হাম্পি ও দিব্যা দেশমুখ (Koneru Humpy vs Divya Deshmukh)।

    হাড্ডাহাড্ডি লড়াই-এর অপেক্ষা

    প্রায় তিন দশক ধরে তিনি উজ্জ্বল দাবার আকাশে। এবার ৩৮ বছরের হাম্পির সামনে কেরিয়ারের সেরা সুযোগ বিশ্বকাপ জেতার। বিজয়ওয়াড়ার হাম্পিকে বিশ্বকাপ ফাইনালে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন যিনি, তাঁর বয়স হাম্পির ঠিক অর্ধেক। নাগপুরের ১৯ বছরের দিব্যা দেশমুখ। এই বিশ্বকাপে দুই ভারতীয়ই বড় জয় পেয়েছেন চিনা গ্র্যান্ডমাস্টারদের বিরুদ্ধে। তবে দিব্যার প্রাপ্তি বেশি। ফাইনালে ওঠার সুবাদে এই ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার পেয়েছেন প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম। পেয়েছেন ক্যান্ডিডেটস দাবায় নামার সুযোগ। হাম্পিও পেয়েছেন ক্যান্ডিডেটসে খেলার টিকিট। তবে শনিবার বাতুমিতে এ সব কিছু নিশ্চয়ই মাথায় থাকবে না দু’জনের। শ্রেষ্ঠত্বের জন্য তাঁদের চোখ থাকবে ৬৪ খোপে। হাতে দুটো দিন। রবিবার দ্বিতীয় গেমে ফয়সালা না হলে সোমবার বরাদ্দ টাইব্রেকারের জন্য।

    চ্যাম্পিয়ন ভারত-ই

    মহিলাদের বিশ্বকাপ দাবার আগে দিব্যা দেশমুখের নাম খুব বেশি মানুষ জানতেন না। মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার এবং আন্তর্জাতিক মাস্টার দিব্যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আগেও সাফল্য পেয়েছেন। দাবা অলিম্পিয়াডে তিনটি সোনার পদক রয়েছে তাঁর। তবু নির্দিষ্ট গণ্ডির বাইরে তেমন পরিচিতি ছিল না এত দিন। বিশ্বকাপ দাবার সেমিফাইনালে জয় তাঁকে হঠাৎই তারকার মর্যাদা দিচ্ছে। দাবা বিশ্বাপ ফাইানলে যদিও ফেভারিট হিসেবেই নামবেন অভিজ্ঞ হাম্পি। তবে দিব্যা যে , শক্ত প্রতিপক্ষ তা জানেন কোনেরু হাম্পি। ভারতে মহিলা দাবার মুখ দীর্ঘ দিন ধরে হাম্পি। তিনিই দেশের এক নম্বর। ঘটনাচক্রে তাঁর বিরুদ্ধেই বিশ্বকাপ ফাইনাল দিব্যার। যিনি ফাইনাল জিতবেন তিনি পুরস্কার স্বরূপ পাবেন ৪৩ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে যিনি রানার্স হবেন তিনি পাবেন ৩০ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা। তবে ফলাফল যাই-হোক না কেন ৬৪ খোপের খেলায় ভারত পাবে প্রথম মহিলা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর ও যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিল ভারত

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর ও যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) এবং তৎপরবর্তী যুদ্ধবিরতি (India Pakistan Conflict) নিয়ে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিল নয়াদিল্লি। ভারত সরকারের তরফে এই প্রথমবার এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানানো হল।

    কীর্তি বর্ধন সিংয়ের বক্তব্য (Operation Sindoor)

    বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে বলেন, “অপারেশন সিঁদুর চালু করা হয়েছিল পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিদের একটি নৃশংস জঙ্গি হামলার প্রত্যুত্তরে।” তিনি জানান, ৭ মে চালু হওয়া এই অভিযানের অধীনে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানে থাকা ন’টি জঙ্গি ঘাঁটি সফলভাবে ধ্বংস করেছে। এর পর পাকিস্তান ভারতীয় সেনা চৌকি ও অসামরিক এলাকাগুলিকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলার চেষ্টা করে। যদিও ভারতীয় বাহিনী দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চরম ক্ষতি করে।” মন্ত্রী জানান, ১০ মে পাকিস্তানের মিলিটারি অপারেশনের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিএমও) ভারতের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং গোলাগুলি ও সামরিক অভিযান বন্ধ করার অনুরোধ জানান। ওই দিনই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হয়।

    মন্ত্রীর বক্তব্য

    প্রসঙ্গত, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামজি লাল সুমনের প্রশ্নের জবাবে এই উত্তর দেন তিনি। ভারত কি পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে একঘরে করার চেষ্টা করেছিল? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “ভারত নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সীমান্ত-পার সন্ত্রাসবাদ ইস্যুটি তুলে চলেছে। ভারতের এই চেষ্টার ফলে পাকিস্তান-ভিত্তিক একাধিক জঙ্গি ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটি কর্তৃক কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF) এর ধূসর তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

    নিরাপত্তা পরিষদের নিন্দে

    তিনি জানান, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ওই ঘটনাটিকে কঠোর (Operation Sindoor) ভাষায় নিন্দা করে। তারা দোষীদের জবাবদিহিও চায়। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF) (লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন)-কে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের তালিকাভুক্ত (India Pakistan Conflict) করেছে।পাকিস্তানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ভারত সমস্ত নিরাপত্তা-সংক্রান্ত পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করে চলেছে। এই বিষয়ে ওয়াশিংটন ও অন্যান্য বৈশ্বিক পার্টনারদের সঙ্গে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে।” এদিন সরকারের তরফে তিনি আরও একবার সাফ জানিয়ে দেন, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা ভারতের বৈদেশিক নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও।

    বর্বর আক্রমণের জবাবে অপারেশন সিঁদুর

    কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “পাকিস্তান-স্পনসরর্ড সন্ত্রাসবাদীদের একটি বর্বর আক্রমণের জবাবে অপারেশন সিঁদুর শুরু করা হয়েছিল। এই অভিযান সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করার দিকে নজর রেখেই করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “পাকিস্তান অসামরিক এলাকাগুলির পাশাপাশি সামরিক বেসগুলিকেও টার্গেট (Operation Sindoor) করার চেষ্টা করেছিল।” এদিকে, সোমবার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আলোচনা হতে চলেছে সংসদে। আগামী ২৮ ও ২৯ জুলাই এই আলোচনা হওয়ার কথা। সংসদের বাদল অধিবেশন চলছে। এই অধিবেশনের সময় বিশেষ আলোচনার জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভায় ১৬ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই আলোচনায় উপস্থিত থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে (India Pakistan Conflict)।

    বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত

    সূত্রের খবর, ২৮ জুলাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লোকসভায় অপারেশন সিঁদুরের ওপর আলোচনা শুরু করবেন। আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য অন্য মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর এবং নিশিকান্ত দুবেও এই আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন (Operation Sindoor)। রাজ্যসভায় অপারেশন সিঁদুরের ওপর আলোচনা হবে ২৯ জুলাই মঙ্গলবার। এতে অংশ নেবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং অন্য মন্ত্রীরা। রাজ্যসভায়ও এই বিষয়ে আলোচনা হবে ১৬ ঘণ্টা ধরে। জানা গিয়েছে, সংসদের উভয় কক্ষে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে।

    কী বলেন প্রধানমন্ত্রী তাকিয়ে বিশ্ব

    বিরোধীদের দাবি, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার সময় যেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু আদৌ প্রধানমন্ত্রী সেদিন সংসদে থাকবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত থাকারই কথা। বুধবার চার দিনের ব্রিটেন ও মলদ্বীপ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদেশ সফর সেরে তিনি যাতে আলোচনায় অংশ নিতে পারেন, তা মাথায় রেখেই (India Pakistan Conflict) তৈরি করা হয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভার সূচি (Operation Sindoor)। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও, ভাষণ দেবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সে ব্যাপারে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন এক বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “সংসদে পহেলগাঁওয়ের ঘটনা এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা হলে গোটা দেশের নজর থাকবে তার ওপর। আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন মহলও সেই আলোচনার (India Pakistan Conflict) ওপর নজর রাখবে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেন (Operation Sindoor) প্রধানমন্ত্রী।”

  • Vice President Election: উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু নির্বাচন কমিশনের, সংখ্যার খেলায় এগিয়ে এনডিএ

    Vice President Election: উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু নির্বাচন কমিশনের, সংখ্যার খেলায় এগিয়ে এনডিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনের কাজকর্ম শেষ করে রাতে হঠাৎ উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনখড়৷ স্বাস্থ্যের কারণে তাঁর এই ইস্তফা বলে জানান তিনি। এবার তাঁর উত্তরসূরি বাছাইয়ে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেলকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করল কমিশন। রাজ্যসভার অন্য দু’জন সচিবকে অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

    রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ নির্বাচন কমিশনের

    গত ২১ জুলাই ইস্তফা দেন ধনখড়। পরদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উপরাষ্ট্রপতি পদ শূন্য থাকার কথা জানায়। তারপরই উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন নিয়ে তৎপর হয় কমিশন। শুক্রবার, আইন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার পর রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের সম্মতিতে ১ জন রিটার্নিং অফিসার ও ২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়। রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেল বা মহাসচিব পিসি মোদিকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেছে কমিশন। পাশাপাশি, রাজ্যসভার যুগ্মসচিব গরিমা জৈন এবং রাজ্যসভা সচিবালয়ের অধিকর্তা বিজয় কুমারকে সহকারি রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কমিশন এখনও পর্যন্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি না করলেও, কমিশন জানিয়েছে, প্রস্তুতি সারা হয়ে গেলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হবে৷ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৮ অনুসারে, উপরাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হলে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি জারির ৩০ দিনের আশপাশে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা। ভারতের সংবিধানের ধারা ৬৬(১) অনুসারে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয় লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে। ভোট হয় একক স্থানান্তরযোগ্য ভোটপদ্ধতিতে, অর্থাৎ গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সাংসদদের পছন্দক্রম অনুযায়ী ভোটদান।

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন কারা?

    বর্তমানে লোকসভায় ৫৪৩টি আসনের মধ্যে একটি আসন (পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট) শূন্য। রাজ্যসভায় ২৪৫টি আসনের মধ্যে ৫টি শূন্য— এর মধ্যে ৪টি জম্মু-কাশ্মীর এবং ১টি পাঞ্জাবের। ফলে কার্যত ভোটদানে যোগ্য সাংসদ সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৭৮২। নির্বাচিত ও মনোনীত— উভয় কক্ষের সদস্যরাই ভোট দিতে পারেন। সংখ্যার নিরিখে জিততে প্রয়োজন কমপক্ষে ৩৯২টি ভোট।

    এনডিএ না ইন্ডি— কে এগিয়ে কে পিছিয়ে?

    লোকসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের সাংসদ সংখ্যা ২৯৩। রাজ্যসভায় এনডিএ-র সমর্থনে রয়েছেন ১২৯ জন সাংসদ। সব মিলিয়ে এনডিএ-র ঝুলিতে আছে ৪২২টি ভোট— যা প্রয়োজনীয় সংখ্যার চেয়ে অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে, কংগ্রেসের রয়েছে লোকসভায় ৯৯ এবং রাজ্যসভায় ২৭ জন সাংসদ। বিরোধী জোট ‘ইন্ডি’ ব্লকের সমর্থনে এই সংখ্যা ৩৫০-র বেশি হলেও, সম্প্রতি আম আদমি পার্টি সেই জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে বিরোধীরা। উপরন্তু, কয়েকজন সাংসদের দলত্যাগ বা অনুপস্থিতির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। যদিও শেষ মুহূর্তে কে ভোট দেন, কে দেন না, বা কারা পক্ষ বদলান — তার উপরই নির্ভর করছে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সাংসদদের ভোটদানের ক্ষেত্রে দল হুইপ জারি করতে পারে না। তবে, এনডিএ প্রার্থীর জয় কার্যত নিশ্চিত।

  • Online Arms Licences: ভূমিপুত্রদের নিরাপত্তার স্বার্থে অসমে অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেবে সরকার

    Online Arms Licences: ভূমিপুত্রদের নিরাপত্তার স্বার্থে অসমে অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেবে সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স (Online Arms Licences) প্রদান ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে অসম সরকার। অগাস্টের প্রথম সপ্তাহেই চালু হতে চলেছে এই অনলাইন পোর্টাল। এই পোর্টালের মাধ্যমে যারা নিজেদের সুরক্ষার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র প্রয়োজন মনে করছেন, তারা আর জেলা শাসকের (ডিসি) দফতরে না গিয়েই অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় যে ভূমিপুত্ররা থাকেন, তাঁদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ বলে খবর। অসমের যে সমস্ত প্রত্যন্ত এলাকায় বা উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় রাজ্যের বাসিন্দারা ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়ছেন, তাঁদের নিরাপত্তার জন্য ক্যাবিনেট এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    ডিব্রুগড়ের এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “আগামী দিনে অসমের পরিস্থিতি অত্যন্ত বিস্ফোরক হতে চলেছে। সেই সময় স্থানীয় মানুষ কীভাবে বাঁচবেন বা নিজেদের রক্ষা করবেন? একমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্রই তখন তাদের রক্ষা করবে।” বিরোধী কংগ্রেসের (Online Arms Licences) সমালোচনার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার বক্তব্য স্পষ্ট। ৪০,০০০ একরেরও বেশি জমি বাংলাদেশি মুসলিম দখলদারদের হাত থেকে পুনরুদ্ধার করার পর, অসমবাসী নির্ভয়ে বাঁচতে শিখেছে। ভবিষ্যতেও এই সাহস ধরে রাখতে হবে। শুধু আন্দোলন করেই অধিকার আদায় হয় না, বাস্তববাদী হতে হবে। অসমবাসীকে বাঁচতে হলে বাস্তববাদী হতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের সরকার অসমবাসীর নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য একাধিক বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ করেছে। ২০২৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আরও পদক্ষেপ করবে। আমাদের সামনে কিছু লক্ষ্য রয়েছে এবং আমরা তা সংবিধানের সীমার মধ্যে থেকে দ্রুত বাস্তবায়ন করব।”

    কীভাবে লাইসেন্স দেওয়া হবে

    বর্তমানে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের (Online Arms Licences) আবেদন করা গেলেও, ‘সেবা সেতু’ পোর্টালে এই পরিষেবা যুক্ত হওয়ায় আবেদন আরও সহজ হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আবেদন করার পর ডিসি যাচাই করবেন, আবেদনকারী লাইসেন্সের যোগ্য কি না, তারপরই লাইসেন্স প্রদান করা হবে। এর আগে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, ধুবড়ি, বরপেটা এবং হাইলাকান্দি জেলার মতো এলাকায়, যেখানে স্থানীয়রা সংখ্যালঘু, সেখানে তারা ভয় এবং হুমকির মধ্যে বাস করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর, বাংলাদেশি মুসলিমদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের হুমকি দেওয়ার একাধিক অভিযোগও উঠেছে। এমনকি এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, আগামী ২০ বছরের মধ্যে অসমবাসীর জমি ও সম্পত্তি দখল করার হুমকি দিচ্ছেন এক বাংলাদেশি।

  • EC: রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের, কী বলল ইসি?

    EC: রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের, কী বলল ইসি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধীর “আমরা তোমাদের জন্য আসছি” মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করল নির্বাচন কমিশন (EC)।  কর্ণাটকের একটি আসনে প্রতারণা সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য (Rahul Gandhi) করেছিলেন রাহুল। কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে জানিয়েছে কমিশন। কমিশন বলেছে, রাহুল গান্ধী একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলার পাশাপাশি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে হুমকিও দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে রাহুল বলেন, “গত বছরের লোকসভা নির্বাচনের সময় কর্ণাটকের একটি আসনে প্রতারণা হতে দিয়েছে কমিশন।”

    কী বলেছিলেন রাহুল (EC)

    কমিশনকে সতর্ক করে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “তোমরা এটা করে পার পেয়ে যাবে না। কারণ আমরা তোমাদের জন্য আসছি।” রাহুলের এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের এক মুখপাত্র প্রশ্ন তোলেন, “এই ধরনের ভিত্তিহীন ও হুমকিমূলক অভিযোগ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে কেন তোলা হচ্ছে, তাও আবার এখন?” তিনি বলেন, “এই মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। কারণ ১৯৫১ সালের গণপরিষদ আইনের ৮০ নম্বর ধারা অনুযায়ী তিনি যদি নির্বাচনের ফল নিয়ে অসন্তুষ্ট হন, তবে তাঁর উচিত ছিল নির্বাচনী আবেদন দায়ের করা অথবা যদি ইতিমধ্যেই দায়ের করে থাকেন, তবে হাইকোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করা। অথচ তিনি এর বদলে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন এবং একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে হুমকি দিয়েছেন।”

    ১০০ শতাংশ প্রমাণ

    রাহুল বলেন, “কংগ্রেসের কাছে কংক্রিট ১০০ শতাংশ প্রমাণ রয়েছে যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (EC) সময় দক্ষিণ ভারতের একটি আসনে নির্বাচন কমিশন জালিয়াতি করতে দিয়েছিল এবং তিনি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাটিকে সতর্ক করে বলেন যে, তারা এভাবে পার পাবে না। কারণ আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছি।” নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র বলেন, “কর্নাটকের নির্বাচনী তালিকা নিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একটি আপিলও কোনও জেলাশাসকের কাছে বা রাজ্যের প্রধান নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে দায়ের করা হয়নি। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী এটিই ছিল কংগ্রেসের কাছে একটি বৈধ আইনি পথ।” তিনি জানান, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের অভিযোগ প্রসঙ্গে ১০টি নির্বাচনী আবেদনপত্রের মধ্যে একটি আবেদনও পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থীদের পক্ষ থেকে করা হয়নি। অথচ (EC) জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮০ নম্বর ধারা অনুযায়ী এটিই ছিল কংগ্রেসের পক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সব চেয়ে বড় সুযোগ। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন ভারতের নির্বাচন কমিশনের মতো কাজ করছে না এবং তাদের দায়িত্ব পালন করছে না (Rahul Gandhi)।

    স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন

    বিহারে চলছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়া এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের মন্তব্য, “বছরের শেষ দিকে যে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হবে, তা বয়কট করার অপশন খোলা আছে”, সে প্রসঙ্গে রাহুল পার্লামেন্ট ভবন প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, “কংগ্রেসের কাছে ১০০ শতাংশ প্রমাণ আছে যে কর্নাটকের একটি আসনে নির্বাচন কমিশন জালিয়াতি করতে দিয়েছে।” রাহুল বলেন, “৯০ শতাংশ নয়, যখন আমরা এটি আপনাদের সামনে আনব তখন দেখবেন এটি ১০০ শতাংশ প্রমাণ।” লোকসভার বিরোধী দলনেতা এও বলেন, “আমরা কেবলমাত্র একটি আসন দেখেছি এবং তাতেই এটা পেয়েছি। আমি নিশ্চিত যে আসন থেকে আসনে এই ধরনের নাটকই চলছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে একটা বার্তা দিতে চাই। সেটা হল আপনারা যদি ভাবেন যে আপনারা এভাবে পার পেয়ে যাবেন, যদি আপনার অফিসাররা এমনটা ভাবেন, তবে আপনারা ভুল ভাবছেন। আপনারা পার পাবেন না, কারণ আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি (EC)।”

    বিহার বিধানসভার নির্বাচন

    চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে হতে পারে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন। তার আগেই সে রাজ্যে চলছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন। এ প্রসঙ্গে রাহুল নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। এই বলে সতর্কও করে দিয়েছিলেন যে বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনকে এটি থেকে পার পেতে দেবে না। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির দাবি, সংশোধনী প্রক্রিয়াটি নির্বাচনী কারচুপির একটি বৃহত্তর ধরণ।

    কমিশনের নয়া বিবৃতি জারি

    সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন এসআইআর প্রক্রিয়ার পক্ষে একটি নতুন বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, “স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতেই ভোটার তালিকা সংশোধন অপরিহার্য।” কমিশনের প্রশ্ন, “এই ধরণের বিষয়ের ভয়ে এবং এই ধরণের লোকদের দ্বারা (Rahul Gandhi) প্রভাবিত হয়ে কি তাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পরিত্যাগ করা উচিত?” বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নির্বাচন কমিশনের (EC) কি উচিত হবে সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রথমে বিহারে এবং পরে সারা দেশে মৃত ভোটার, স্থায়ীভাবে অভিবাসী ভোটার, দুটি জায়গায় নিবন্ধিত ভোটার, জাল ভোটার, এমনকি বিদেশি ভোটারদের নামে জালিয়াতি ভোটদানের পথ পরিষ্কার করা?” কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, “এটি হল সুষ্ঠু নির্বাচন এবং একটি শক্তিশালী গণতন্ত্রের ভিত্তি।”

LinkedIn
Share