Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • SIR Form Fill Up: অনলাইনে ঘরে বসেই পূরণ করুন এসআইআর ফর্ম! জেনে নিন স্টেপ বাই স্টেপ গাইড

    SIR Form Fill Up: অনলাইনে ঘরে বসেই পূরণ করুন এসআইআর ফর্ম! জেনে নিন স্টেপ বাই স্টেপ গাইড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইনে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) আবেদন নেওয়া শুরু করল নির্বাচন কমিশন। কোনও ভোটার বাড়ির বাইরে থাকলে অনলাইনে এনুমারেশন ফর্ম ফিল আপ করতে পারেন। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের ওয়েবসাইটে (https://ceowestbengal.wb.gov.in/) অনলাইন এনুমারেশন ফর্ম মিলছে। কমিশনের অ্যাপ ইসিআইনেট-এ গিয়েও কেউ চাইলে ওই ফর্ম পূরণ করতে পারেন।

    কী ভাবে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করবেন?

    প্রথমে ফর্মটি ডাউনলোড করতে হবে। এর পর অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে এপিক নম্বরের সঙ্গে মোবাইল নম্বর অথবা ইমেল আইডি লিঙ্ক থাকতে হবে। এপিক কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক না-থাকলে অনলাইনে এসআইআরের ফর্ম পূরণ করা যাবে না। রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে ওটিপি আসবে। সেটি বসিয়ে কমিশনের সাইটে লগইন করতে হবে। এর পরে প্রথমে রাজ্য বেছে নিতে হবে। তার পরে এপিক কার্ড নম্বর বসাতে হবে। এপিক বসানোর পরে তালিকার সঙ্গে নাম না মিললে, বিএলও-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। নাম না-মিললে আবার মোবাইল নম্বর বসাতে হবে। পুনরায় সেই নম্বরে ওটিপি আসবে। তা বসিয়ে অনলাইনে জমা করতে হবে। এর পরে তিনটি অপশন আসবে। প্রথম, নিজের নাম (শেষ এসএইআরের তালিকায় যেটি রয়েছে সেটি দিতে হবে। দ্বিতীয়, বাবা অথবা মায়ের নাম (শেষ এসএইআরের তালিকায় যেটি রয়েছে সেটি দিতে হবে। তৃতীয় অপশনে থাকবে শেষ এসএইআরের তালিকায় বাবা অথবা মায়ের নাম নেই। এর পর, সেখান থেকে উপযুক্ত অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। তার পর ২০০২ সালের বিধানসভা কেন্দ্র, পার্ট নম্বর এবং সিরিয়াল নম্বর বসাতে হবে। বিএলওদের সামনে বসে অফলাইন মাধ্যমে যে ভাবে ফর্ম পূরণ করতে হত, সে ভাবেই অনলাইনে করতে হবে। সেখানে একটি ছবি লাগবে। ফর্ম জমা দেওয়ার পরে করার আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বরে ওটিপি আসবে। সেটি বসানোর পরেই এনুমারেশন ফর্ম জমা করা যাবে।

    স্টেপ বাই স্টেপ গাইড

    স্টেপ ১: নির্বাচন কমিশনের নয়া ওয়েবসাইট https://ceowestbengal.wb.gov.in-এ যান।
    স্টেপ ২: সাইন আপ করতে পারেন অথবা ফোন নম্বর কিংবা এপিক নম্বর দিয়ে লগ ইন করতে পারেন।
    স্টেপ ৩: ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে এসআইআর এনুমারেশন অনলাইন ফর্ম।
    স্টেপ ৪: ফর্ম ফিল আপ করার আগে নিজের পাসপোর্ট সাইজের ছবির স্ক্যানড কপি হাতের কাছে রাখুন। পরের স্টেপে সেই ছবির স্ক্যান্ড কপি আপলোড করতে হবে।
    স্টেপ ৫: যে কলামগুলি ফিল আপ করতে হবে সেগুলি হল, জন্মের তারিখ, আধার নম্বর (ঐচ্ছিক), মোবাইল নম্বর, পিতার নাম, পিতার এপিক নম্বর (যদি থাকে),মায়ের নাম, মায়ের এপিক নম্বর (যদি থাকে), বিবাহিত হলে স্বামী বা স্ত্রীর নাম, স্বামী বা স্ত্রীর এপিক নম্বর (যদি থাকে)।
    স্টেপ ৬: সবশেষে সাদা পাতায় সই করে স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
    স্টেপ ৭: এরপর ক্লিক করুন সাবমিটে।
    স্টেপ ৮: ডিক্লেরেশন পেজে একাধিক অপশন রয়েছে। সিলেক্ট করতে হবে যথাযথ অপশন।
    স্টেপ ৯: ২০০২ এর ভোটার তালিকায় নাম থাকলে বা বাবা-মায়ের নাম থাকলে তাঁদের সেই কপি স্ক্রিনশট আপলোড করতে হবে।
    স্টেপ ১০: ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় কারও নামই না থাকলে কমিশনের নির্দেশ করে দেওয়া ১১টির নথির যে কোনও একটি ডকুমেন্টে টিক দিতে হবে।
    স্টেপ ১১: সবশেষে সাবমিট বটনে ক্লিক করুন।

    অযথা আতঙ্কিত হবেন না

    ভোটার তালিকায় (Voter List) কোনও যোগ্য নাগরিক যেন বাদ না যান, আবার অযোগ্য কেউ যাতে ঢুকে না পড়েন— এই লক্ষ্যেই দেশের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ (Special Intensive Revision বা SIR)। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বক্তব্য শুনে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। জেলায় জেলায় এসআইআর ঘোষণার পর আত্মহত্যার অভিযোগও সামনে আসছে। কিন্তু, অযথা আতঙ্কিত না হয়ে কমিশন যে এনুমারেশন ফর্মের ব্যবস্থা করেছে, সেটি ধাপে ধাপে কীভাবে ফিলআপ বা পূরণ করবেন, জেনে নিন। নির্বাচন কমিশন বারবার আশ্বস্ত করলেও এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে ঘুম উড়েছে অনেকেরই। বাড়িতে না থাকলে কীভাবে ফর্ম পূরণ করবেন, তা ভেবেই চিন্তায় ছিলেন অনেকে। অবশেষে প্রযুক্তিগত ত্রুটি সারিয়ে ওয়েবসাইটও খুলে দিয়েছে কমিশন। শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে সেই ওয়েবসাইট। এসআইআর নিয়ে ভোটারদের মধ্যে হাজার প্রশ্ন। ২০০২ সালের এসআইআর তালিকায় নাম না-থাকলে কী হবে? সেই চিন্তায়ও ভুগছেন অনেকে। যদিও কমিশন জানিয়েছে, চিন্তার কারণ নেই। ২০০২ সালের এসআইআর তালিকায় নিজের নাম বা বাবা-মায়ের নাম থাকলে কোনও নথি দিতে হবে না। তা ছাড়াও ১১টি নথি ব্যতীত নাগরিকত্ব প্রমাণ করার যে কোনও নথি দিলেই তা গ্রাহ্য হবে।

  • Bitter Gourd: হৃদরোগ থেকে ডায়াবেটিস, একাধিক রোগ রুখবে করলা!

    Bitter Gourd: হৃদরোগ থেকে ডায়াবেটিস, একাধিক রোগ রুখবে করলা!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্বাদ তেতো হলেও শরীরের জন্য খুবই উপকারি। তাই দুপুরের খাবারের শুরু হোক করলা (Bitter Gourd) দিয়েই। এমনটাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তরুণ প্রজন্মের একাংশ, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা কিংবা ডায়াবেটিসের মতো নানান জটিল রোগে (Lifestyle Diseases) ভুগছেন। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, একাধিক জটিল রোগের ঝুঁকি কমাবে এই সব্জি! নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে করলা খেলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়।

    কোন কোন রোগ করলা মোকাবিলা করতে পারে?

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়সিদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার খাওয়ার জেরে এই ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। করলা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত করলা (Bitter Gourd) খেলে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে!

    দেশ জুড়ে বাড়ছে ডায়াবেটিস। স্কুল পড়ুয়া থেকে প্রৌঢ়, সব বয়সীদের মধ্যেই ডায়াবেটিসের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। ডায়াবেটিস শরীরে একাধিক রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, দীর্ঘ সুস্থ জীবন যাপনের জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকা জরুরি। আর এই কাজে সাহায্য করে করলার মতো সব্জি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত করলা খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, করলা (Korola Karela) ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারি। আবার যারা প্রি-ডায়াবেটিক, অর্থাৎ, যাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার বাড়তি ঝুঁকি রয়েছে, তাঁদের নিয়মিত করলা খেলে বিপদ কমবে।

    লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে!

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়লায় থাকে ডিটক্সিফাইং উপাদান। এই জেরে নিয়মিত করলা (Bitter Gourd) খেলে লিভারের নানান অসুখের ঝুঁকি কমে। লিভার সুস্থ থাকে। হজম শক্তিও বাড়ে। এর পাশপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমে।

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়!

    কয়লায় ভিটামিন সি থাকে। তাই পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত করলা খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। যেকোনও সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমে। আবার সর্দি-কাশির ভোগান্তিও কমবে।

    কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকিও কমায়!

    কিডনিতে পাথর জমার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অসময়ে খাওয়ার অভ্যাস, ঠিকমতো বিশ্রাম না নেওয়া, পর্যাপ্ত জল না খাওয়া, বারবার হজমের সমস্যা ও নানান অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের (Lifestyle Diseases) অভ্যাসের জেরেই কিডনিতে পাথর জমার মতো রোগ দেখা দিচ্ছে। আর কিডনিতে একবার পাথর জমলে, বারবার পাথর তৈরির ঝুঁকিও থাকে। নিয়মিত করলা খেলে এই ঝুঁকি কমে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়লায় থাকা নানান উপাদান কিডনিতে বারবার পাথর তৈরি হতে বাধা দেয়। কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত ভাতের আগে করলা (Bitter Gourd) খাওয়া যায়। করলার তরকারি বা অন্য পদ তৈরি করে নিয়মিত খেলে শরীরের উপকার হয়। করলা সব বয়সের মানুষের জন্য সমান উপকারি।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • PM Modi In Bhutan: আগামী সপ্তাহেই ভুটান যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী! রেল সংযোগ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে বিশদ ভাবনা

    PM Modi In Bhutan: আগামী সপ্তাহেই ভুটান যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী! রেল সংযোগ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে বিশদ ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দিনের সরকারি সফরে ভুটান যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi In Bhutan)। আগামী সপ্তাহে ভুটানের বর্তমান রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের পিতা প্রাক্তন রাজা জিগমে সিংয়ে ওয়াংচুকের ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষে ভুটানে যাওয়ার কথা রয়েছে মোদির। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সফরসূচি ঘোষণা করা হয়নি, তবু সূত্রমতে, এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হবে জ্বালানি সহযোগিতা ও আঞ্চলিক সংযোগ আরও দৃঢ় করা। আগামী ১১ ও ১২ নভেম্বর ভুটান সফরে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। ২০১৪ সালের পর এটি হবে তাঁর চতুর্থ ভুটান সফর।

    জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন

    সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদি ভুটান (Bharat-Bhutan Relation) সফরের সময় সেখানকার পরিকাঠামো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন এবং সেখানকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন। ভুটানের সংবাদ মাধ্যম কুয়েনসেলের তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রাক্তন রাজার ৭০তম জন্মদিন উদযাপনের সময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি সেখানে পুনাতসাংছু-দ্বিতীয় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন বলেও জানা গিয়েছে। ২০২৫ সালের শুরু থেকে চালু হওয়া এই প্রকল্প ভুটানের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ করবে এবং ভারতের কাছে বিদ্যুৎ রফতানিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

    ভারত–ভুটান রেল সংযোগ প্রকল্পের অগ্রগতি

    প্রধানমন্ত্রী মোদি সফরের সময় ভারত–ভুটান রেল সংযোগ প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন। ভারত-ভুটান দুটি রেলপথের মধ্যে রয়েছে— আসামের কোকরাঝাড় থেকে দক্ষিণ ভুটানের গ্যালেফু পর্যন্ত ৬৯ কিমি লাইন এবং পশ্চিমবঙ্গের বানারহাট থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম ভুটানের সামতসে পর্যন্ত ২০ কিমি লাইন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ঘোষিত এই দুই প্রকল্প সীমান্তপারের যোগাযোগ ও বাণিজ্য বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কোকরাঝাড়–গ্যালেফু প্রকল্প, যার ব্যয় প্রায় ₹৩,৪৫৬ কোটি, এতে থাকবে ৬টি স্টেশন, ২টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু, ২৯টি বড় ও ৬৫টি ছোট সেতু, ২টি পণ্যবাহী টার্মিনাল, ১টি উড়ালপুল এবং ৩৯টি আন্ডারপাস। নির্মাণের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে চার বছর। অন্যদিকে বানারহাট–সামতসে প্রকল্পের ব্যয় ₹৫৭৭ কোটি, যেখানে থাকবে ২টি স্টেশন, ১টি বড় সেতু, ২৪টি ছোট সেতু, ১টি ওভারপাস এবং ৩৭টি আন্ডারপাস। এটি তিন বছরের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা।

    পারস্পরিক সংযোগকে আরও গভীর করবে

    বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, এই প্রকল্পগুলো ভারত ও ভুটানের পারস্পরিক সংযোগকে আরও গভীর করবে। তিনি বলেন, “গ্যালেফু হলো ‘গ্যালেফু মাইন্ডফুলনেস সিটি’ প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দু, যা ভুটানের রাজা স্বপ্নদর্শীভাবে পরিকল্পনা করেছেন। ভারত এই প্রকল্পে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। আসামের সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত খুলবে।” সামতসে রেল প্রকল্প সম্পর্কে মিশ্রি আরও জানান, এই শহরটি শিল্পকেন্দ্র হিসেবে বিকশিত হচ্ছে এবং এখান থেকে ডোলোমাইট, ফেরো-সিলিকন, কোয়ার্টজাইট ও পাথরচিপস ভারতের বাজারে রফতানি করা হতে পারে।

    ভারত-ভুটান সম্পর্কের বিকাশের উপর গুরুত্ব

    সোমবার ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে ভারত-ভুটান সম্পর্কের বিকাশের উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘ভারত-ভুটানের সহযোগিতার ভিত্তি গড়ে উঠেছে হাজার বছর আগে, যা এখনও আমরা উপভোগ করছি। কারণ ভারতের অনেক আধ্যাত্মিক গুরু ভুটানে বা কখনও কখনও হিমালয়ের অন্যান্য অংশে ভ্রমণ করেছেন। অনেকে ভুটানে বাড়িও বানিয়েছেন।’ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে আরও বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সহযোগিতায়, ভুটানের গেলেফু মাইন্ডফুলনেস সিটিকে বজ্রযান অনুশীলনের কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরিত করা হতে পারে। আগামী দিনে মোদির সহযোগিতায় গেলেফু মাইন্ডফুলনেস সিটিকে একটি বজ্রযান কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে যথেষ্ট সদিচ্ছা রয়েছে এবং এই অংশগ্রহণ থেকে উপকৃত হয়েছে ভুটান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী থেকে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আমাদের রাজাদের এবং বর্তমান রাজার সম্পর্কও অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ।’

     

     

     

     

     

     

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়! সব আইনে গ্রেফতারের কারণ লিখিত আকারে জানানো বাধ্যতামূলক

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়! সব আইনে গ্রেফতারের কারণ লিখিত আকারে জানানো বাধ্যতামূলক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও আইনের অধীনে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে তার গ্রেফতারের কারণ লিখিত আকারে অবশ্যই জানাতে হবে। শুধু তাই নয় সেই কারণটি এমন ভাষায় জানাতে হবে যা অভিযুক্ত ব্যক্তি বুঝতে পারেন। ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সাংবিধানিক নিশ্চয়তা আরও দৃঢ় করে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত বৃহস্পতিবার এমনই এক ঐতিহাসিক রায়ে ঘোষণা করেছে। মুম্বইয়ের একটি ‘হিট অ্যান্ড রান’ মামলার জেরে বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি এজি মাসিহের বেঞ্চ এই রায় দেয়।

    কেন এই রায়

    কোনও মামলায় কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হলেও বহু ক্ষেত্রে পুলিশ গ্রেফতারির কারণ জানায় না ধৃতকে— এমন অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে বহু মামলা হয়েছে বিভিন্ন আদালতে। এবার তেমনই একটি মামলায় পুলিশকে কঠোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহ–র বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, এখন থেকে গ্রেফতারির দু’ঘণ্টার মধ্যে ধৃতকে তিনি যে ভাষা বুঝতে পারেন, সেই ভাষায় লিখিত ভাবে গ্রেফতারির কারণ জানাতে হবে। একইসঙ্গে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পরে আদালতের কাছে হাজির করার কমপক্ষে দু’ঘণ্টা আগে কারণ জানাতে হবে। না হলে সেই গ্রেফতারি বেআইনি বলে চিহ্নিত হবে।

    কী বলল শীর্ষ আদালত

    শুধু পিএমএলএ বা ইউএপিএ ধারায় নয়, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (পূর্বতন ভারতীয় দণ্ডবিধি) যে কোনও ধারায় গ্রেফতারির ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ প্রযোজ্য। কেন এই নির্দেশ সেই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের ব্যাখ্যা, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলে তার কারণ যদি ধৃতকে না–জানানো হয়, তা হলে তা তাঁর মৌলিক অধিকার হরণের সামিল। এই নির্দেশ দিতে গিয়ে আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, গ্রেফতারির কারণ ধৃতের ভাষায় জানানো বাধ্যতামূলক। যদি কোনও ক্ষেত্রে গ্রেফতারকারী অফিসার গ্রেফতারির মুহূর্তে লিখিত কারণ জানানোর অবস্থায় না–থাকেন, তা হলে ধৃতকে ওই সময়েই মৌখিক ভাবে কারণ জানাতে হবে। তারপরে যত দ্রুত সম্ভব, তাঁকে আদালতে পেশ করার অন্তত দু’ঘণ্টা আগে লিখিত ভাবে সেই তথ্য জানাতেই হবে পুলিশকে। আর যদি আদালতে পেশের অন্তত দু’ঘণ্টা আগে লিখিত ভাবে কারণ না–জানানো হয়, তা হলে সেই গ্রেফতারি বেআইনি এবং তাঁকে মুক্তি দিতে হবে।

    সবাইকে মানতে হবে এই রায়

    মামলাটি শুরু হয় মিহির রাজেশ শাহের পক্ষ থেকে, যিনি অভিযোগ করেন যে তাকে গ্রেফতারের সময় লিখিতভাবে কারণ জানানো হয়নি। বোম্বে হাইকোর্ট বিষয়টি স্বীকার করলেও অপরাধের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে গ্রেফতারকে বৈধ ঘোষণা করে। তবে সুপ্রিম কোর্ট একে বৃহত্তর সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে স্পষ্ট জানায় যে, অপরাধের গুরুত্ব কখনও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকারের ক্ষতি করতে পারে না। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তার রায়ের কপি সব হাইকোর্টে রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে এবং সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিবদের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে, যাতে সারা দেশে অভিন্নভাবে এই রায় কার্যকর করা হয়। বিচারপতিরা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন—কোনও তদন্ত সংস্থা, যেমন পুলিশ, ইডি, সিবিআই বা অন্য কোনও সংস্থা, এই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্ত নয়।

  • Online Betting Scam: বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারি! ধাওয়ান-রায়নার বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Online Betting Scam: বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারি! ধাওয়ান-রায়নার বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইন বেটিং অ্যাপের (Online Betting Scam) মাধ্যমে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সুরেশ রায়না ও শিখর ধাওয়ানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল ইডি। ভারতের এই দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারের মোট ১১.১৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হল। অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা এবং আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। যে ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক সেলেব্রিটি তথা প্রাক্তন ক্রিকেটারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।

    কত টাকা বাজেয়াপ্ত করা হল

    অভিযোগ, দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার সব কিছু জেনেশুনেই ‘ওয়ানএক্স বেট’ নামক ওই অনলাইন বেটিং (Online Betting Scam) অ্যাপের প্রচারে অংশ নিয়েছেন। আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের আওতায় ধাওয়ানের সাড়ে চার কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি এবং রায়নার ৬.৬৪ কোটি টাকার মিউচুয়াল ফান্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘ওয়ানএক্স বেট’ অ্যাপটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। ওই অ্যাপের প্রচারমূলক কাজে যুক্ত ছিলেন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রথম সারির তারকারা। ওয়ানএক্স বেটের সঙ্গে তাঁদের কী চুক্তি হয়েছিল, কত টাকা নিয়েছেন তাঁরা, তা নিয়ে ইডি জবাব তলব করেছে ২০১১ সালে বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য যুবরাজ সিংকে। সেই তালিকায় রয়েছেন রবিন উথাপ্পাও।

    অভিযুক্ত একাধিক সেলেব

    কেন্দ্র অনলাইন গেমিং অ্যাপ (Online Betting Scam) নিষিদ্ধ করার আগে থেকেই বেশ কয়েকটি বেটিং অ্যাপের কার্যকলাপে নজর ছিল ইডির। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ওয়ানএক্স বেট’ নামের বেআইনি বেটিং অ্যাপটি। সব মিলিয়ে ওই অ্যাপটির মাধ্যমে ১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। বলিউডের ঊর্বশী রৌতেলা আবার ওই ওয়ানএক্স বেট অ্যাপের ভারতীয় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন। গত অগস্টে এক বার হাজিরাও দিয়েছেন তিনি। এই মামলায় ইডি ডেকেছে অভিনেতা সোনু সুদ-কেও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, জনসাধারণকে প্রলোভন দেখিয়ে বছরের পর বছর এই সমস্ত বেআইনি বেটিং অ্যাপগুলি বিভিন্ন নামে নিজেদের ব্যবসা বিস্তার করে চলেছে। সেই সঙ্গে মানুষের বিশ্বাস জিততে প্রচারে ব্যবহার করছে সেলেবদের মুখ।

     

     

     

  • 150 Years of Vande Mataram: ‘বন্দে মাতরম শব্দ হাজার অনুভূতি দ্বারা আবৃত, খুব সহজে মাতৃভূমির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে এই মন্ত্র’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    150 Years of Vande Mataram: ‘বন্দে মাতরম শব্দ হাজার অনুভূতি দ্বারা আবৃত, খুব সহজে মাতৃভূমির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে এই মন্ত্র’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাল ১৮৭৬। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সংস্কৃত ও বাংলার মিশ্রণে লিখলেন ‘বন্দে মাতরম’। জাতীয়তাবোধে কেঁপে উঠল বাঙালি। উদ্বেলিত হল আসমুদ্র হিমাচল। ১৮৮২ সালে গানটি প্রকাশিত হল আনন্দমঠ উপন্যাসে। আগামী বছর সেই ‘বন্দে মাতরম’ স্তোত্রের দেড়শো বছর পূর্ণ হতে চলেছে। তাই সেই বিশেষ সময়কে আরও বিশেষ করে তুলতে উদ্যোগী হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নয়া দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম্‌’ – এর সার্ধশতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে বর্ষব্যাপী উদযাপনের সূচনা করলেন মোদি। ৭ নভেম্বর, ২০২৫ থেকে শুরু হয়ে এই উদযাপন চলবে ৭ নভেম্বর, ২০২৬ পর্যন্ত।

    বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা

    ভারতের জাতীয় স্তোত্র-এর দেড়শো বছর উপলক্ষে এদিন বিশেষ উদযাপনের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জনসাধারণের কাছেও আর্জি রাখলেন, ‘বন্দেমাতরম’-এর দেড়শো বছরকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য। এদিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষ্যে একটি স্মারক ডাকটিকিট ও স্মারক মুদ্রার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন। যে কালজয়ী রচনা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রেরণা যুগিয়েছিল এবং এখনও জাতীয় গর্ব ও ঐক্যবোধ’কে জাগিয়ে তোলে, তার সার্ধশতবর্ষ পূর্তি উদযাপনের সূচনা হল এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, সকাল ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ‘বন্দে মাতরম্‌’ – এর পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ সমবেতভাবে গাওয়া হয়। সমাজের সর্বস্তরের নাগরিকরা এতে অংশগ্রহণ করেন।

    ভারতের ঐক্য ও আত্মসম্মানবোধের জাগ্রত চেতনা

    ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর অক্ষয় নবমীর পুণ্যতিথিতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই গান লিখেছিলেন বলে মনে করা হয়। তাঁর আনন্দমঠ উপন্যাস যখন বঙ্গদর্শন পত্রিকায় পর্বে পর্বে প্রকাশিত হচ্ছিল, তখন তাতে এই গানটি প্রথম দেখা যায়। পরবর্তীকালে ১৮৮২ সালে আনন্দমঠ উপন্যাসটি বই হিসেবে প্রকাশিত হয়। সেই সময়ে ভারত সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে চলছিল এবং জাতীয় পরিচয় ও ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের চেতনা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছিল। মাতৃভূমিকে শক্তি, সমৃদ্ধি ও দেবত্বের মূর্ত প্রতীক হিসেবে অভিবাদন জানিয়ে এই গানটি ভারতের ঐক্য ও আত্মসম্মানবোধের জাগ্রত চেতনাকে কাব্যিক রূপ দেয়। অচিরেই এটি স্বদেশপ্রেমের মূর্ত প্রতীক হয়ে ওঠে।

    বন্দেমাতরম সভ্যতার ভিত্তি

    অনুষ্ঠান থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের জাতীয় স্তোত্র বন্দেমাতরম সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করে। এই গানের প্রথম লাইনটাই প্রতিটি ভারতীর মনে অনুভূতির জোয়ার তৈরি করতে সক্ষম। কারণ, বন্দেমাতরম এই একটা শব্দই হাজার অনুভূতি দ্বারা আবৃত। যা খুব সহজ ভাবে মাতৃভূমির সঙ্গে আকর্ষণ তৈরি করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ১৪০ কোটি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষমতা রয়েছে বন্দেমাতরমের মধ্যে। যদি কোনও বিপদ আসে, তখন বন্দেমাতরম স্তুতি করুন। এটাই আমাদের দেশাত্মবোধকে জাগিয়ে রাখতে সক্ষম হবে।’

    কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়,  বেদ ভারতীয় সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করার সময় এই অনুভূতি জাগিয়ে তুলেছিল যে, পৃথিবী মাতা এবং আমি তার সন্তান। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘বন্দেমাতরম’ লিখে মাতৃভূমি এবং তার সন্তানদের মধ্যে সম্পর্ককে একই ভাবে আবেগের জগতের এক মন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সেই সঙ্গে কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বলেন, ‘‘ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতে দেশের সুরক্ষার সঙ্গে আপস করা হয়েছে। কংগ্রেস ব্রিটিশের দাস ছিল। ওরা বন্দেমাতরমের একটি অংশ বাদ দিয়ে দিয়েছিল। এর মধ্যেই নিহিত ছিল দেশভাগের বীজ।

    বন্দে মাতরম্-এর মূল অনুভূতি হলো ভারত, মা ভারতী

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে দেশের ঐক্য, আত্মবিশ্বাস ও অবিচল দেশপ্রেমের বার্তা প্রতিধ্বনিত হয়। তাঁর মতে, বন্দে মাতরম্ কেবল একটি গান নয়, বরং এটি ভারতের আত্মা ও মাতৃভূমির প্রতি অসীম শ্রদ্ধা ও গৌরবের প্রতীক, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ভারতবাসীকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। তিনি আরও বলেন, “বন্দে মাতরম্-এর মূল অনুভূতি হলো ভারত, মা ভারতী। ভারত এক এমন জাতি, যে অতীতের প্রতিটি আঘাত সহ্য করেও আরও উজ্জ্বল রূপে উঠে এসেছে, এবং ঐক্য ও সহযোগিতার মাধ্যমে অমরত্ব অর্জন করেছে।” আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “আমাদের এমন একটি জাতি গড়ে তুলতে হবে, যা জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষে থাকবে।”  তিনি আরও বলেন, “যখন শত্রু আমাদের নিরাপত্তা ও সম্মানে সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে আঘাত করার সাহস দেখিয়েছিল, তখন বিশ্ব দেখেছে — ভারত কীভাবে দুর্গার রূপ ধারণ করে নিজের সম্মান রক্ষা করতে জানে।” প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, “‘বন্দে মাতরম্‌’ ছিল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কণ্ঠস্বর, এটি প্রতিটি ভারতবাসীর অনুভূতিকে প্রকাশ করেছিল। এই শব্দবন্ধ আজও আমাদের বর্তমানকে আত্মবিশ্বাসে ভরিয়ে তোলে এবং এমন সাহস দেয় যে কোনও লক্ষ্যই আমাদের নাগালের বাইরে নয়।”

  • India: ‘পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত’, দাবি রুশ রাষ্ট্রদূতের

    India: ‘পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত’, দাবি রুশ রাষ্ট্রদূতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর হয়েছে পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা। তা সত্ত্বেও ভারত (India) এখনও রাশিয়া (Russian Oil Imports) থেকে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে বলে জানিয়েছেন ভারতের রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “২০২৫ সালের অক্টোবর মাসের হিসেবে ভারত প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ১৭ লাখ ব্যারেল রুশ তেল কিনছে। এ মাসেও গড়ে এই পরিমাণ তেল কেনা চলছে।”

    রাশিয়ান ফিডস্টক (India)

    আলিপভ বলেন, “অক্টোবরের পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যায়, ভারত এখনও বিপুল পরিমাণ রাশিয়ান ফিডস্টক কিনছে। সাম্প্রতিক সময়ের মতোই প্রায় প্রতিদিন ১৭.৫ লাখ ব্যারেল।” তিনি বলেন, “এই সংখ্যাটি আগেও ওঠানামা করেছে, এখনও করছে। কখনও কিছু মাসে বেশি, কখনও কম। তবে গড় প্রায় একই রয়েছে।” ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা কঠোর করার পর পরই এমন মন্তব্য করেন আলিপভ (India)।

    নতুন করে নিষেধাজ্ঞা

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রসনেফত এবং লুকোইলের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। এরাই একসঙ্গে রাশিয়ার মোট অপরিশোধিত তেলের প্রায় ৫৭ শতাংশ উৎপাদন করে। নয়া নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে আগামী ২১ নভেম্বর থেকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও রাশিয়ান ক্রুড এবং পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর তাদের নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে। ভারতের অবস্থান নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে ভারতের বিদেশমন্ত্রক ফের একবার জানিয়ে দিয়েছে যে, দেশের জ্বালানি নীতি জাতীয় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ফের বলেন, “ভারতের তেল ক্রয়–নীতি বৈশ্বিক বাজারের পরিস্থিতি এবং দামের ওঠানামার ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়। দেশের ১৪০ কোটি নাগরিকের জন্য স্থিতিশীল ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই শক্তি–সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলি জাতীয় দায়বদ্ধতা এবং অর্থনৈতিক প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই নেওয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই দিব্যি রাশিয়া (Russian Oil Imports) থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত। তার জেরে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে ভারতকে। তা সত্ত্বেও দেশবাসীর স্বার্থে রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে নয়াদিল্লি (India)।

  • 150 Years of Vande Mataram: ‘‘এই শব্দ ভারতীয়দের মধ্যে অনুরণন তৈরি করে’’ বন্দে মাতরম-এর ১৫০ বছর উদযাপনে নানা কর্মসূচি রাজ্য বিজেপির

    150 Years of Vande Mataram: ‘‘এই শব্দ ভারতীয়দের মধ্যে অনুরণন তৈরি করে’’ বন্দে মাতরম-এর ১৫০ বছর উদযাপনে নানা কর্মসূচি রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্তি (150 Years of Vande Mataram) উদযাপনে বছরভর নানা কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শুধু ব্রিটিশ ভারতেই নয়, বর্তমান যুগে দাঁড়িয়েও স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে সীমান্তে সেনা বাহিনী, রাজনৈতিক দল বন্দে মাতরমের কথা উল্লেখ করে। এই শব্দ ভারতীয়দের মধ্যে এক অনুরণন তৈরি করে।’’ শমীকের কথায়, ‘‘যে বন্দে মাতরম ধ্বনি নিয়ে বহু বিপ্লবী ফাঁসির দড়ি নিজের গলায় তুলে নিয়েছিলেন, যে বন্দে মাতরম ধ্বনির জন্য মাতঙ্গিনী হাজরারা নিজের বুকে গুলি টেনে নিয়েছিলেন সেই বন্দে মাতরমের বিরুদ্ধে কংগ্রেস পথে নেমেছিল দিল্লিতে। তারা বলেছিল এই গান মুসলিমদের পক্ষে গাওয়া সম্ভব নয়। যখন কংগ্রেস দিল্লির রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিল নামালো তখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা ছিল, তিনি প্রতিবাদ করতে পারতেন কিন্তু তা তিনি করেননি।’’

    বন্দে মাতরমকে খন্ডিত করে কংগ্রেস

    শমীক বলেন, ‘‘১৯৩৭ সালে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির একটি সভা হয়। তারা সেদিন বন্দে মাতরমকে খন্ডিত করে দিয়েছিলেন। আমরা চাই এই প্রজন্ম সংক্ষিপ্ত বন্দে মাতরম নয়, পূর্ণাঙ্গ বন্দে মাতরম এর রূপ জানুক। আমাদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সর্বভারতীয় নেতারা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।’’ শমীক জানান, ৬১ জায়গায় অখণ্ড বন্দে মাতরম গাওয়া হবে। আগামী এক মাস ব্যাপী এই কর্মসূচি চলবে। এই কর্মসূচিতে হুগলিতে যে বন্দে মাতরম ভবন আছে সেখানে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশল উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার কাঁঠালপাড়ায় যেখানে বঙ্কিমচন্দ্রের পৈতৃক বাসভবন রয়েছে সেখানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার উপস্থিত থাকবেন, মুর্শিদাবাদের লালগোলায় উপস্থিত থাকবেন রাহুল সিনহা, কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে উপস্থিত থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, উত্তর ২৪ পরগনায় উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব।

    ভারত-আত্মার প্রতীক বন্দে মাতরম

    শমীকের কথায়, ‘‘আমরা গর্বিত যে বন্দে মাতরম আমাদের বাংলার মাটিতে লেখা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীকালে বন্দে মাতরম নিয়ে বিতর্কে অংশগ্রহণ করে সৌগত রায় বলেছিলেন বন্দে মাতরম এর মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা আছে। তৎকালীন বাম জামানার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন তাঁর ভাবলে আশ্চর্য লাগে কীভাবে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মত একজন প্রতিভাবান ঔপন্যাসিক আনন্দমঠের মতো উপন্যাস লিখেছিলেন। বন্দে মাতরম ভারতবর্ষের সমস্ত প্রান্তের, সমস্ত ভাষার ব্যবধানকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। আজ সেই বন্দে মাতরামের বিরুদ্ধে যখন রাজনৈতিক দলগুলি প্রতিবাদ জানায় তখন তা অত্যন্ত লজ্জার। তিনি বলেন, ‘‘আনন্দমঠের ইতিহাস এই প্রজন্মের জানা দরকার এবং সেই সঙ্গে বন্দে মাতরমের মধ্যে দিয়ে ভারত-আত্মা, ভারতীয় সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের যে প্রতিধ্বনি হয়েছে তার সৃষ্টিকাল, যাত্রা সম্পর্কে জানা দরকার। তাই সারা বছর ব্যাপী আমরা নানাবিধ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে সেটিকে উদযাপন করব।’’

  • Stroke Victim: স্ট্রোকে আক্রান্তের নিরিখে দেশের শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ! কাদের ঝুঁকি বেশি?

    Stroke Victim: স্ট্রোকে আক্রান্তের নিরিখে দেশের শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ! কাদের ঝুঁকি বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রোগ আর বয়সের বেড়াজাল মানছে না। কম বয়সিদের মধ্যে এমন নানান রোগের দাপট বাড়ছে, যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি ভোগান্তি বাড়ছে‌। বাড়ছে মৃত্যু হার। সেই রোগের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে স্ট্রোক। ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। আর আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। দেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় কলকাতায় স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সাম্প্রতিক রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে চিকিৎসক মহলের দাবি, তরুণ বঙ্গবাসীর জীবন যাপনের অভ্যাস স্ট্রোকের বিপদ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

    কী বলছে তথ্য?

    ইন্ডিয়ান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন-র সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় কলকাতায় ৪০ শতাংশ বেশি স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। আর অধিকাংশ রোগীর বয়স ৪০ বছরের কম। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ স্ট্রোক আক্রান্তের চিকিৎসা গড়ে প্রায় ৯-১০ ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়। আর এই তথ্য সবচেয়ে উদ্বেগজনক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ট্রোকে আক্রান্তের চিকিৎসা দেরিতে শুরু হওয়ার জেরেই মৃত্যুর হার বাড়ছে। কলকাতার পাশপাশি গোটা রাজ্যের পরিস্থিতিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর কারণের মধ্যে ৬২ শতাংশ স্ট্রোকে মারা যান। পশ্চিমবঙ্গে শহরের তুলনায় গ্রামে স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা বেশি। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে শহুরে এলাকায় প্রতি ১ লাখে ২৫০ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। কিন্তু গ্রামের পরিস্থিতি আরও খারাপ। প্রতি ১ লাগে ৩৬৯ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।

    কেন পশ্চিমবঙ্গে স্ট্রোকের দাপট বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধরনের জন্য কম বয়সিদের জন্য স্ট্রোকের দাপট বাড়ছে। একাধিক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ধূমপান এবং মদ্যপানে আসক্তের তালিকাতেও পশ্চিমবঙ্গে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। আর সেই প্রবণতাই জানান দেয়, কেন রাজ্যে স্ট্রোকের প্রকোপ বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস। এ রাজ্যের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই দুই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস বাড়ছে। তার জেরে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বাড়ছে। অনিয়ন্ত্রিত ভাবে রক্তচাপ ওঠানামা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। পাশাপাশি এ রাজ্যে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যাও উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে। রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ছে। খাদ্যাভাস স্ট্রোকের অন্যতম কারণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের বঙ্গবাসীর একাংশ একেবারেই ব্যালেন্স ডায়েট মেনে চলছেন না। অধিকাংশ সময়েই তাঁরা প্রাণীজ প্রোটিন খাচ্ছেন। কিন্তু তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার শরীরে যায় না। যে ধরনের প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া হচ্ছে, তাতে থাকছে অতিরিক্ত তেল ও মশলা। এর ফলে ওবেসিটির সমস্যা বাড়ছে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

    কীভাবে এই বিপদ কমানো সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্ট্রোক সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। ইন্ডিয়ান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন-র তরফে জানানো‌ হয়েছে, স্ট্রোকের লক্ষণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। হাত-পা অসাড় হয়ে যাওয়া, হঠাৎ করেই জ্ঞান হারানো, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া কিংবা স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো নানান উপসর্গ স্ট্রোকের জানান দেয়। এই ধরনের সমস্যা হলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। এর পাশপাশি সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, তরুণ স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের আরও বেশি কর্মশালা জরুরি। যাতে তাঁরাও স্ট্রোকে আক্রান্তের চিকিৎসায় আরও প্রশিক্ষিত হতে পারেন। নিপুণ হতে পারেন। স্ট্রোকে মৃত্যু হার কমানোর একমাত্র উপায় দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা। পশ্চিমবঙ্গে দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় চিকিৎসা শুরু দেরিতে হয়। তাই মৃত্যু হার ও বেশি। এর পাশাপাশি, স্ট্রোকের দাপট কমাতে কম বয়সিদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর জীবন‌যাপনের অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ। নিয়মিত শারীরিক কসরত করার অভ্যাস তৈরি করা এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস আয়ত্ত করতে পারলেই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে।

  • Winter Vegetables: ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রুখতে শীতের সব্জিতেই ভরসা চিকিৎসকদের, কোন পদে বাড়তি উপকার?

    Winter Vegetables: ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রুখতে শীতের সব্জিতেই ভরসা চিকিৎসকদের, কোন পদে বাড়তি উপকার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    শীত প্রায় দরজায় হাজির! বাজারে দেদার সব্জি! কিন্তু ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কি সব খাওয়া যায়? শীতের সব্জিতেও (Winter Vegetables) কি রাশ টানতে হবে? খাবার নিয়ে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মনে চলে নানান সংশয়।

    শীতের সব্জি ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য উপকারি

    দেশজুড়ে বাড়ছে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতি বছর ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে। এমনকি স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও টাইপ-টু ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। দীর্ঘমেয়াদি এই লাইফস্টাইল ডিজিজ বিপদ বাড়াচ্ছে। একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি করছে। হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা থেকে স্ট্রোক এমনকি নানান সংক্রামক রোগের দাপট ও বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে (Control Diabetes) রাখা সবচেয়ে জরুরি। আর ডায়াবেটিসের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার খাদ্যাভ্যাস। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। কারণ অস্বাস্থ্যকর খাবার রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু শীতের এমন নানান সব্জি (Winter Vegetables) রয়েছে, যা ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বাড়তি উপকারি!

    কোন সব্জিতে ভরসা রাখছেন পুষ্টিবিদেরা?

    শিম…

    বাঙালির রান্নাঘরে অতি পরিচিত সব্জি হলো শিম! শিম পোস্ত হোক কিংবা মাছের ঝোলে শিম! শীতের এই সব্জি নানান পদে হাজির থাকে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও এই সব্জি নানান রান্নায় দেওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিমে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্কের মতো নানান খনিজ সম্পদ। পাশপাশি এই সব্জি ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ।‌ যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। তাই মাছের ঝোল কিংবা নিরামিষ তরকারিতে শিমের মতো সব্জি থাকলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার নানান খনিজ সম্পদে ভরপুর শিম হৃদরোগ রুখতেও‌ বিশেষ সাহায্য করে।

    পালং শাক…

    শীতের সব্জির (Winter Vegetables) তালিকায় বাঙালির পরিচিত শাক হলো পালং শাক। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, সি এবং কে থাকে। পালং শাকে ক্যালোরি কম থাকে। তাই এই শাক ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো।

    মটরশুঁটি…

    বাঙালির নানান রকমের রান্নায় মটরশুঁটি শীতের তরকারির জানান দেয়। মটরশুঁটি খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশপাশি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মটরশুঁটির কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে (Control Diabetes) সাহায্য করে। তাই ডায়বেটিস রোগীদের জন্য মটরশুঁটি বিশেষ উপকারি। তাঁদের পরামর্শ, যেকোনও তরকারিতে মটরশুঁটি দেওয়া যায়। এতে পুষ্টিগুণ বাড়ে। আবার স্বাদও ভালো লাগে। তাছাড়া ভাতের সঙ্গেও মটরশুঁটি মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। যাতে কার্বোহাইড্রেটের পাশপাশি ফাইবার শরীরে পৌঁছয়।

    ফুলকপি ও বাঁধাকপি…

    শীতের শুরুর জানান দেয় বাজারে দেদার থাকা ফুলকপি ও বাঁধাকপি। এই দুই সব্জি (Winter Vegetables) দিয়েই বাঙালি হরেক রকমের আমিষ ও নিরামিষ পদ তৈরি করে। ভাত ও রুটি, সবকিছুর সঙ্গেই মানানসই এই দুই সব্জি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফুলকপি ও বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ফাইবার প্রয়োজন। কার্বোহাইড্রেট কম এবং ফাইবার বেশি থাকলে রক্তে শর্করার পরিমাণ সহজে নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই এই দুই সব্জিই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছের ঝোলে আলুর পরিবর্তে ফুলকপি দিয়ে রান্না করার যেতে পারে। আবার রুটির সঙ্গে বাঁধাকপির তরকারি খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি পৌঁছবে না। তবে শরীর প্রয়োজনীয় এনার্জি সহজেই পাবে।

    ব্রোকলি…

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে (Winter Vegetables) সহজেই বাজারে ব্রোকলি পাওয়া যায়। ব্রোকলি খুবই উপকারি। এতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো নানান রকমের খনিজ পদার্থ থাকে। আবার একাধিক ভিটামিন সমৃদ্ধ এই সব্জি। তাই ডায়াবেটিস (Control Diabetes) আক্রান্তদের জন্য এই সব্জি খুব স্বাস্থ্যকর।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share