Tag: bangla news

bangla news

  • Hafiz Saeed: বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারতে হামলার ছক হাফিজের! কী বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

    Hafiz Saeed: বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারতে হামলার ছক হাফিজের! কী বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে ভারতের উপর জঙ্গি হামলার ছক কষছেন হাফিজ সইদ (Hafiz Saeed)। ভারতবাসীকে ফের একবার বিপদে ফলতে তৎপর ২৬/১১-র মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড। এবার নাকি নতুন করে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন এই কুখ্যাত জঙ্গি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এর জন্য বাংলাদেশে নতুন নতুন ঘাঁটি তৈরির কাজ চালাচ্ছেন হাফিজ সইদ। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে ক্রমেই বাড়ছে ভারত বিদ্বেষ। বাড়ছে ইসলামিক উগ্রবাদীদের দাপট। এই আবহে হাফিজ সইদের মতো জঙ্গিরা ভারতে হামলার ছক করছে বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করে।

    বাংলাদেশের দিক দিয়ে ভারতে হামলার প্রস্তুতি

    গত ৩০ অক্টোবর পাকিস্তানের খইরপুর তামেওয়ালিতে এক বিশাল জনসভার ভিডিও রেকর্ডিং গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে। যাতে দেখা গিয়েছে, লস্করের শীর্ষ এক কমান্ডার সইফুল্লা সইফ বিরাট বিপজ্জনক তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন। সইফুল্লা উসকানি দেওয়ার সুরে বলেন, হাফিজ সইদ (Hafiz Saeed) হাত গুটিয়ে বসে নেই। বাংলাদেশের দিক দিয়ে ভারতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। তাঁর আর দাবি, লস্কর-ই-তৈবার চর ইতিমধ্যেই পূর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশের অতীত নাম) সক্রিয় হয়ে রয়েছে। তারা ভারতকে অপারেশন সিঁদুরের জবাব দিতে তৈরি বলে দাবি করেন শীর্ষ লস্কর কমান্ডার।

    ভারতবিরোধী কাজে বাংলাদেশের যুবকরা

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হাফিজ ‘জিহাদের’ পরিকল্পনা করছে। ভারতবিরোধী কাজে সে তাতাচ্ছে বাংলাদেশের স্থানীয় যুবকদের। তাদের মনে মৌলবাদী ভাবনা ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আরও একটি তথ্যে জানা গিয়েছে, সইদ তাঁর এক অতি ঘনিষ্ঠকে সম্প্রতি বাংলাদেশে পাঠিয়েছিলেন। যিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় মসজিদ-মোক্তবে গিয়ে স্থানীয় যুবকদের কট্টরপন্থী আদর্শ জেহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। আর এসবই ভারতের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন একটি ভিডিও মারফৎ। সেখানে সইফকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার জন্য প্রকাশ্যে মানুষকে উস্কে দিতে দেখা যাচ্ছে।ভিডিওতে এই অনুষ্ঠানে শিশুদেরও দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ তাদের টার্গেট শৈশব থেকেই তাদের ভারবিরোধী করে তোলা। ভারতের বিরুদ্ধে ‘জিহাদের’জন্য মন তৈরি করে দেওয়া।

    পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশংসা

    সাইফুল্লাহর বক্তৃতায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশংসা শোনা গিয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ৯-১০ মে রাতের পর পাকিস্তান জবাব দিয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশও পাকিস্তানের কাছাকাছি চলে আসার দাবি করেছে সাইফুল্লাহ। সাইফুল্লাহর দাবি এখন, আমেরিকা তাদের সঙ্গে আছে। বাংলাদেশও আবার পাকিস্তানের কাছাকাছি আসছে। এই ভাবে জোটবদ্ধ হয়ে ভারতে পর্যুদস্ত করার হুঙ্কার ছাড়ে সে। তখনই সাইফুল্লাহ দাবি করে, ভারতের পূর্ব সীমান্তে একটি নতুন অপারেশন থিয়েটার তৈরি হয়েছে। সেটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে লস্কর-ই-তৈবা। আরও একটি তথ্যে জানা গিয়েছে, সইদ তাঁর এক অতি ঘনিষ্ঠকে সম্প্রতি বাংলাদেশে পাঠিয়েছিলেন। যিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় মসজিদ-মোক্তবে গিয়ে স্থানীয় যুবকদের কট্টরপন্থী আদর্শ জেহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।

    ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ডাক

    শুধু ভারত নয়, আমেরিকা সহ একাধিক দেশের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় হাফিজ সইদের নাম রয়েছে। হাফিজ সইদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ে একাধিকবার পাকিস্তানের হাতে তথ্যপ্রমাণও তুলে দিয়েছে ভারত। কিন্তু, এব্যাপারে পাকিস্তানের তরফে কোনও পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। তাই আজও নিশ্চিন্তে পাকিস্তানে বসেই ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছে হাফিজ সইদ। ভিডিওতে সাফ স্পষ্ট হয়েছে যে, সইফ খোলাখুলি ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ডাক দেন। এই কাজে পাকিস্তানি জঙ্গিরা যে কিশোর-নাবালকদের তালিম দিচ্ছে তাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কারণ ওই জনসভায় প্রচুর সংখ্যায় অপরিণত বালক ও কিশোর উপস্থিত ছিল।

    বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার হাফিজের

    এখন প্রশ্ন হল, ঠিক কীভাবে বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করে ভারতে আক্রমণের ছক করছে হাফিজ সইদ? গতবছর শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন হয়। গদিচ্যুত হন তিনি। সেনার নির্দেশে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসেন। তারপর থেকেই বাংলাদেশে শুরু হয়ে যায় অরাজকতা। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নেন মহম্মদ ইউনূস। এরপর থেকে সেই দেশে জামাতের মতো কট্টরপন্থী দলের প্রভাব বাড়তে থাকে। শুরু হয় জিহাদি শিক্ষা। আর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশে এই অভ্যুত্থানের পিছনে পাকিস্তানের বিরাট হাত ছিল। এমনকী আমেরিকাও হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে সাহায্য করেছে। আর এমন অভিযোগ হাসিনা নিজেও করেছেন। মাথায় রাখতে হবে, সরকার বদলের পর থেকেই বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠনগুলি মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। সেখানে জিহাদের শিক্ষাই প্রধান হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এটাই ছিল পাক সরকার সহ হাফিজ সইদের প্রথম প্ল্যান। আর সেই কাজে তারা আপাতত সাফল্য পেয়েছে। পাক সেনায় হাফিজ সইদের বিরাট কদর। আর সেই জায়গাটাকে ব্যবহার করেই বাংলাদেশে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে এই জঙ্গি নেতা। সেই কারণে পাক আর্মির আধিকারিকরা মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশে আসছে। তারা ভারতের বিপক্ষে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

     

     

     

     

     

     

  • Mohan Bhagwat: ‘ভারত মাতার সন্তান’-রাই সংঘে আসতে পারবেন, বার্তা ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: ‘ভারত মাতার সন্তান’-রাই সংঘে আসতে পারবেন, বার্তা ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) রবিবার বেঙ্গালুরুতে সংঘশতবর্ষ আয়োজিত একটি বক্তৃতামালায় ভাষণ দেওয়ার সময় বলেছেন, “ধর্মীয় পরিচয় বাদ রেখে নিজেদের ‘ভারত মাতার সন্তান’ বলে পরিচয় দিতে পারলেই সংঘ শাখায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।” নতুন দিগন্ত বক্তৃতা সিজিরের এই মন্তব্য দেশজুড়ে তীব্র আলোড়ন ফেলেছে। সংঘ কাজে কেবলমাত্র ভারতীয়রাই যুক্ত হতে পারবেন এটাও স্পষ্ট করেন ভাগবত।

    সংঘে কোনও মুসলমান প্রবেশ করতে পারবেন না (Mohan Bhagwat)

    ১০০ বছর পূর্ণ করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (RSS)। ১৯২৫ সালের বিজয় দশমীর দিনে নাগপুরে ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার ভারতীয় সমাজ তথা হিন্দু সমাজকে এক করতে এই আরএসএস-এর প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতা উত্তর ভারতকে পুনঃজাগ্রত করাই এই সংগঠনের একমাত্র লক্ষ্য। এদিন আলোচনায় সরসংঘ চালক মোহন ভাগবতকে (Mohan Bhagwat) একজন প্রশ্ন করেন যে সংঘে কি মুসলিমরা আসতে পারেন? উত্তরে তিনি বলেন, “সংঘে কোনও ব্রাহ্মণ প্রবেশ করতে পারেন না। সংঘে কোনও মুসলমান প্রবেশ করতে পারবেন না। সংঘে কোনও খ্রিস্টান প্রবেশ করতে পারবেন না। কোন শৈব প্রবেশ করতে পারবেন না, কোনও শাক্ত প্রবেশ করতে পারবেন না। কেবলমাত্র হিন্দুরাই প্রবেশ করতে পারবেন। তাই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষদের নিজ নিজ মুসলমান, খ্রিষ্টান পরিচয়কে দূরে রেখে আসলেই ভালো।”

    মুসলমান এবং খ্রিষ্টানরা একই পূর্বপুরুষের বংশধর

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) সঙ্গে যুক্ত হতে গেলে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) যে সহজ কথাটি অত্যন্ত সহজ সরল ভাবে বলেছেন তা হল- “আপনাদের সংঘে অবশ্যই স্বাগত, যখন কেউ সংঘে আসেন তখন তিনি ভারত মাতার সন্তান হিসেবেই আসেন। ভারত মাতার সন্তানরা সকলেই হিন্দু সমাজের অন্তর্গত। একই ভাবে যখন কোন মুসলমান, খ্রিষ্টানরা আমাদের শাখায় আসেন তখন তাকে আমরা জিজ্ঞাসা করি না আপনারা কারা। আমরা তাঁদের অন্য কোন সম্প্রদায় হিসবে গণনা করি না। সকলেই ভারত মাতার সন্তান এই ভাবনাতেই সংঘ চলে। সংঘ কখনই রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য কাজ করে না। সব সময় দেশ-সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্যই কাজ করে। ভারতের কেউ হিন্দু সামজের বাইরে নয়। সকল মুসলমান এবং খ্রিষ্টানরা একই পূর্বপুরুষের বংশধর। আমাদের ঐতিহ্যকে উপেক্ষা করে বৈচিত্র্য করতে পারিনা। বৈচিত্র্য হল আমাদের অলঙ্কার।”

  • Gujarat: রাসায়নিক ‘রাইসিন’ বিষ বানানোর চেষ্টা করছিল গুজরাটে গ্রেফতার চিকিৎসক-জঙ্গি! নেপথ্যে বড়সড় ষড়যন্ত্র?

    Gujarat: রাসায়নিক ‘রাইসিন’ বিষ বানানোর চেষ্টা করছিল গুজরাটে গ্রেফতার চিকিৎসক-জঙ্গি! নেপথ্যে বড়সড় ষড়যন্ত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাসায়নিক দ্রব্য তৈরি করে প্রাণঘাতী হামলার বড়সড় ছক করছিল গুজরাটের (Gujarat) আমেদাবাদ থেকে ধৃত তিন আইসিস জঙ্গি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা এমনটাই জানতে পেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ধৃত তিন জঙ্গির মধ্যে একজন চিকিৎসক। রাইসিন সাধারণত, ক্যাস্টর বা রেড়ির বীজে থাকে। তাদের কাছে উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চিনের মেডিক্যাল সামগ্রী। গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, ওই চিকিৎসক বিষাক্ত রাসায়নিক ‘রাইসিন’ প্রস্তুতের কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এই রাইসিন (Ricin Poison) জৈব এবং রাসায়নিক কাজে ব্যবহার করা হয়।

    একাধিক শহরে জাল বিস্তার (Gujarat)?

    নাশকতামূলক কাজের ষড়যন্ত্রে এলাকা বাছাই করতে ভারতের একাধিক শহরে ঘোরাফেরা করেছে জঙ্গিরা। ফলে নাশকতার জাল একাধিক শহরে বিস্তারের জোর সম্ভাবনা রয়েছে। আমেদাবাদ ছাড়াও দিল্লি এবং লখনউয়ের বেশ কিছু জায়গা পরিদর্শন করেন। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই আইএস-জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয় সামনে আসে। তবে বিশেষ করে দিল্লির আজাদপুর মান্ডি, আমেদাবাদের নারোদায় ফলের বাজার ঘুরে দেখেছিলেন। খাদ্য সামগ্রীতে এই রাসায়নিক প্রয়োগের বিষয়কে ইঙ্গিত করা হয়েছে। ধৃতদের পরিচয় ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন হায়দরাবাদের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সি চিকিৎসক আহমেদ মহিউদ্দিন সৈয়দ। উত্তরপ্রদেশের শামিল বাসিন্দা ২০ বছর বয়সি আজাদ সুলেমান শেখ এবং লখিমপুরখেরির বাসিন্দা ২৩ বয়সি পড়ুয়া মহম্মদ সুহেল। ধৃতদের কাছ থেকে ৩০টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

    আইসিসের আঞ্চলিক শাখার সঙ্গে যুক্ত

    গুজরাট (Gujarat) এটিএস এক সরকারি বিবৃতিতে জানিয়েছে, “একটি বড় সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য, আহমেদ মহিউদ্দিন সৈয়দ ‘রাইজিন’ বা রাইসিন (Ricin Poison) নামে একটি অত্যন্ত মারাত্মক বিষ প্রস্তুত করছিল। চিনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এমবিবিএস ডাক্তার সৈয়দ ক্যাস্টর (রেড়ি) বীজ থেকে প্রাপ্ত প্রাণঘাতী প্রোটিন রাইসিন তৈরি করছিল। উদ্দেশ্য বড় ধরনের হত্যালীলা। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় গবেষণা শুরু করে ছিল জঙ্গিরা। সরঞ্জাম, কাঁচামাল সংগ্রহ করে সবরকম প্রস্তুতির জন্য রাসায়নিক প্রক্রিয়াকরণের কাজ শুরু করেছে জঙ্গিরা। তবে সৈয়দ নামক জঙ্গি এই কাজে বিশেষভাবে পারদর্শী। এই জঙ্গি চিন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে, আইসিসের আঞ্চলিক শাখার ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশের সদস্য আবু খাদিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগও রয়েছে।”

  • White Collar Terror: ‘হোয়াইট কলার টেরর’-এর মুখ চিকিৎসকরা! ৪ গ্রেফতারি তুলে দিল বড় প্রশ্ন

    White Collar Terror: ‘হোয়াইট কলার টেরর’-এর মুখ চিকিৎসকরা! ৪ গ্রেফতারি তুলে দিল বড় প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত চার দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেফতার চার চিকিৎসক। না, কোনও চিকিৎসা-সংক্রান্ত গাফিলতি বা দুর্নীতি নয়, একেবারে সরাসরি জঙ্গি-যোগের অভিযোগে! সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে বিপুল বিস্ফোরক, ডেটোনেটর সহ বোমা বানানোর যাবতীয় উপকরণ এবং এক-৪৭ সহ একাধিক অ্যাসল্ট রাইফেল। এই গ্রেফতারির ঘটনাপ্রবাহ দেশের চিকিৎসক মহলে তো বটেই, নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক স্তরেও উদ্বেগ ছড়িয়ে দিয়েছে। এতদিন ভারতে নাশকতা কার্যকলাপের বিস্তারে সাধারণ নাগরিকদের ‘স্লিপার সেল’ ও ‘ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার’ হিসেবে নিয়োগ করত পাকিস্তানের জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলি। কিন্তু, এখন একবারে সাদা কোট পরা ও গলায় স্টেথো ঝোলানো চিকিৎসকদের এই কাজে নিয়োগ শুরু করেছে তারা। অর্থাৎ, পদস্থ পেশাদারদের ব্রেনওয়াশ করে তাঁদের ব্যবহার করা হচ্ছে এদেশে নাশতকামূলক কার্যকলাপ ছড়িয়ে দিতে। এরই পোশাকী নাম ‘হোয়াইট কলার টেরর’।

    হোয়াইট কালার টেরর-এর মুখ!

    সীমান্তপারের জঙ্গি নেতা ও ভারত-বিরোধী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট ডিপ-স্টেট নেটওয়ার্কের নেওয়া এই পন্থা এদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, এই ৪ চিকিৎসক পাকিস্তান ও বিদেশি রাষ্ট্রের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। এমনকি, জৈশ-ই-মহম্মদ, আইসিস ও আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের মতো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সংস্পর্শে এসেছিল এই চিকিৎসকরা। আর শুধু কি এই চারজনই? নাকি আরও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে? এখনও যারা গ্রেফতার হয়নি! যারা এখনও দেশের কোথাও না কোথাও মিশে গিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছে! এই চিন্তা দুঁদে গোয়েন্দাদেরও এখন একটা বড় প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে করিয়ে দিয়েছে। সেটা হল— ‘হোয়াইট কলার টেরর’-এর মুখ কি এখন চিকিৎসকরা?

    গ্রেফতার হয়েছে যারা…

    উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আদিল রাথের

    চিকিৎসক-জঙ্গি যোগ তদন্তের প্রথম গ্রেফতার হওয়া ডাক্তারের নাম আদিল আহমেদ রাথের। জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের (জিএমসি) প্রাক্তন সিনিয়র আবাসিক ডাক্তার আদিলের ব্যক্তিগত লকার থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। অনন্তনাগের কাজিগুন্ডের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সি আদিল আহমেদ রাথের গত বছরের ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত জিএমসি অনন্তনাগে কর্মরত ছিল।

    পুলিশ জানিয়েছে যে, রাথেরের সঙ্গে জৈশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের যোগসূত্র ছিল। ২৭ অক্টোবর শ্রীনগরে জৈশ-সমর্থন পোস্টার দেখা যাওয়ার পর এই আবিষ্কার হয়। সিসিটিভি ফুটেজে রাথেরের কার্যকলাপ ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তাকে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে ট্র্যাক করা হয় এবং ৬ নভেম্বর তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। অস্ত্র আইন এবং বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ) এর অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

    গুজরাট থেকে গ্রেফতার আহমেদ সৈয়দ

    হায়দরাবাদের ৩৫ বছর বয়সি চিকিৎসক আহমেদ মহিউদ্দিন সৈয়দকে ৭ নভেম্বর গুজরাট এটিএস গ্রেফতার করে। চিনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এমবিবিএস ডাক্তার সৈয়দ ক্যাস্টর (রেড়ি) বীজ থেকে প্রাপ্ত প্রাণঘাতী প্রোটিন রাইসিন তৈরি করছিল এবং দিল্লির আজাদপুর মান্ডি, আহমেদাবাদের নারোদা ফলের বাজার এবং লখনউতে আরএসএস অফিস সহ জনাকীর্ণ জনসমাগমস্থলে কয়েক মাস ধরে নজরদারি চালিয়েছিল। দুটি গ্লক পিস্তল, একটি বেরেটা, ৩০টি তাজা কার্তুজ এবং চার লিটার ক্যাস্টর অয়েল সহ আমেদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সৈয়দকে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, সৈয়দ আইসিস-খোরাসান প্রদেশের আবু খাদিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ, অস্ত্র আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

    হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার মুজমিল শাকিল

    তৃতীয় চিকিৎসক যাকে গ্রেফতার করা হয়, সে হল মুজামিল শাকিল। আদিলের মতো মুজমিলও কাশ্মীরি চিকিৎসক। আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ডাঃ মুজামিল শাকিলকে ৯ নভেম্বর দিল্লির কাছে ফরিদাবাদ থেকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানা পুলিশের একটি যৌথ দল গ্রেফতার করে। মুজমিলের বাড়িতে হানা দিয়ে সেখান থেকে ১২টি স্যুটকেসে মজুদ করা ৩৬০ কিলোগ্রাম সন্দেহভাজন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করেছে, যা প্রায়শই ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ফরিদাবাদ পুলিশ কমিশনার সতেন্দ্র কুমার গুপ্তা বলেন, শাকিলের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসূত্র ছিল এবং সেও আগে শ্রীনগরে জেএম-সমর্থক পোস্টার পোস্ট করেছিল। রাথারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    হরিয়ানা থেকে এক মহিলা চিকিৎসক গ্রেফতার

    মুজমিলের পাশাপাশি, ওই অভিযানে পুলিশ এক মহিলা চিকিৎসককেও গ্রেফতার করে। তার গাড়ির ডিকি থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলা চিকিৎসকের সুইফ্ট গাড়ি থেকে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল এবং অন্যান্য অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে যা মহিলা ডাক্তারের সঙ্গে যুক্ত। গাড়ি থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে ছিল একটি একে-৪৭ তিনটি ম্যাগাজিন সহ, একটি পিস্তল লাইভ রাউন্ড সহ, দুটি খালি কার্তুজ এবং দুটি অতিরিক্ত ম্যাগাজিন।

  • Indian Army: চিন-বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে ঠেকাতে ‘চিকেন্স নেক’-এর কাছে ভারতীয় সেনার তিনটি নয়া ঘাঁটি

    Indian Army: চিন-বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে ঠেকাতে ‘চিকেন্স নেক’-এর কাছে ভারতীয় সেনার তিনটি নয়া ঘাঁটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ, পাকিস্তান এমনকী চিনকেও মোক্ষম জবাব দিল ভারত (Indian Army)। সীমান্তে নীরবে শক্তি প্রদর্শন করল দিল্লি। যে ‘চিকেন্স নেক’ (Chicken’s Neck)-র দিকে অনেকদিন ধরে কুনজর, সেই অঞ্চলেই ভারতের তিনটি নতুন সামরিক ঘাঁটি তৈরি হয়ে গেল। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, অসমের ধুবড়ি এবং বিহারের কিষানগঞ্জ- এই তিনটি জায়গায় নতুন ব্যাটেলিয়ান অফিস বা সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা হল। সেনার ভাষায় এই ঘাঁটি গুলিকে বলা হয়, “গ্যারিসন” (Garrison)। এক একটি ঘাঁটিতে ৮০০ থেকে ৯০০ জন জওয়ান থাকবেন। এগুলি ইনফেন্ট্রি ব্যাটালিয়ন হিসেবে কাজ করবে।

    চিকেন্স নেক করিডর থেকে ঘাঁটিগুলির দূরত্ব

    সাম্প্রতিককালে বহু ইউটিউবার দাবি করেছেন, বাংলাদেশের ৬০ কিমি এলাকা নাকি ভারত দখল করেছে। যে রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে এই দাবি করা হচ্ছে, সেটি প্রকাশিত হয় গ্লোবাল গভারনেন্স নামক একটি ওয়েবসাইটে। সেখানে বলা হয়, চিকেন্স নেক অঞ্চলে ভারতীয় সেনা নিজেদের নিয়ন্ত্রণের পরিসর বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু, বাস্তবে চিকেন্স নেক (Chicken’s Neck) বা শিলিগুড়ি করিডর ভারতের অংশ। সেখানে সেনা কোনও এলাকা দখল করেনি। বাংলাদেশের কোনও এলাকাও দখল করেনি সেনা। এই আবহে চিকেন্স নেক অঞ্চলে নতুন তিনটি সেনা ঘাঁটি গড়ল ভারত। উল্লেখ্য, চিকেন্স নেক করিডর থেকে ধুবড়ির দূরত্ব ২২২–২৪০ কিলোমিটার, চোপড়ার দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার, কিষাণগঞ্জের দূরত্ব ১৫২-১৮০ কিলোমিটার। আবার বাংলাদেশ সীমান্ত থেকেও এই ঘাঁটি গুলির গড় দূরত্ব খুব একটা বেশ নয়। ফোর্ট উইলিয়াম সূত্রের খবর, ভারী যুদ্ধাস্ত্র সহ ব্যাটালিয়নকে বাংলাদেশ সীমান্তের ধারে কাছে রাখতেই এই গ্যারিসন তৈরি করা হয়েছে।

    কেন এই সিদ্ধান্ত ভারতের

    একদিকে চিনের কৌশলী সামরিক বিস্তার, অন্যদিকে বাংলাদেশের ভিতরে আইএসআই-এর কার্যকলাপ বৃদ্ধি- দুই বিষয়ই সবথেকে বেশি ভাবাচ্ছে সামরিক গোয়েন্দাদের। অনুপ্রবেশের পাশাপাশি অন্য বিপদের শঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। আর সেখানেই “চিকেন্স নেক করিডর” (Chicken’s Neck) অংশটি যে ভারত বিরোধী বা শত্রু শক্তিগুলির অন্যতম পাখির চোখ, তা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে সামরিক বিশারদদের কাছে। সামরিক গোয়েন্দাদের কাছেও শিলিগুড়ির ঠিক ওপারে থাকা অর্থাৎ বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে থাকা মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলির শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে একাধিক তথ্য আসছে। সেই কারণে অত্যন্ত নীরবে এবং দৃঢ়ভাবে সীমান্তে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করছে ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সেখানে থাকা ভারতীয় সেনার কাছে অস্ত্র, সাঁজোয়া গাড়ি পৌঁছেছে। পৌঁছে গিয়েছে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে শুরু করে অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র। এছাড়াও অত্যাধুনিক মোবাইল জ্যামিং সিস্টেমও মোতায়েন করা হচ্ছে এই ঘাঁটিগুলিতে।

    ভারতের সামরিক কৌশল

    আগামী কয়েক মাসে ভারতের (Indian Army) সামরিক অনুশীলন চলার কথা উত্তরপূর্ব জুড়ে। ইতিমধ্যেই, উত্তরপূর্ব ভারত জুড়ে নোটাম জারি করা হল বায়ুসেনা অনুশীলনের জন্য। নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে ৬টি বিভিন্ন তারিখের জন্য। ভারতীয় সেনার এই ‘অতি সক্রিয়তা’ নিয়ে পদ্মপারেও শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। সেখানে ইতিমধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে ভারতীয় সেনা যে কোনও মূহূর্তে সীমান্ত টপকে সে দেশে ঢুকে পড়তে পারে। চোপড়া থেকে শিলিগুড়ি করিডরের (Siliguri Corridor) দূরত্ব মাত্র ৫২ কিলোমিটার। আবার বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে এর দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। এখানে রয়েছে ভারতীয় বাহিনীর ব্রহ্মাস্ত্র কোর। ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চল কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি সম্প্রতি অসমের ধুবড়ি এবং উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া সেনাঘাঁটি পরিদর্শন করেন।

    ভারতে ভীত বাংলাদেশ

    ভারতীয় সেনার (Indian Army) এই তৎপরতায় কিছুটা হলেও ভীত বাংলাদেশ। তারা এখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরিত্যক্ত বিমান ঘাঁটি লালমনিরহাট সংস্কারে হাত দিয়েছে। এই কাজে তাদের সাহায্য করছে চিন। সূত্রে খবর, লালমনিরহাটে তৈরি হবে হ্যাঙার। থাকবে যুদ্ধবিমান। চিনের থেকে বাংলাদেশ কিনেছে ১০টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সিজে-১০। লালমনিরহাটের ছাউনিতে ওই বিমানগুলিকে রাখা হবে। ভারতীয় সেনার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছে, এই তিন সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সেনার আচমকা তৎপরতা বৃদ্ধির কারণ চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের মাখামাখি। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বদলে যাওয়া পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রেখেছে। বিশেষ করে পাকিস্তান সেনার উচ্চপর্যায়ের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতীয় সেনা আর চুপচাপ হাত গুটিয়ে বসে থাকতে রাজি হয়নি। ভারতীয় সেনা গোয়েন্দারা খবর পেয়েছেন তদারকি সরকার প্রধান ইউনূসের টার্গেট এখন এই শিলিগুড়ি করিডর (Siliguri Corridor)। তার একার পক্ষে এই এলাকা দখল করা সম্ভব হবে না অনুমান করে তিনি চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। তবে সেনাকর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ ভুল করেও যদি চিন আর পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চিকেন্স নেক (Chicken’s Neck) কব্জা করার চেষ্টা করে, তাহলে ভারতীয় সেনা (Indian Army) পাল্টা জবাব দেবে। যমুনা ভবনের বাসিন্দা এবং উত্তরপাড়ার যাবতীয় ছক ভেস্তে দেওয়ার মতো রসদ সীমান্তে মজুত করা আছে।

  • Suvendu Adhikari: “সবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেননি”, নন্দীগ্রামের ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’-এর বর্ষপূর্তিতে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেননি”, নন্দীগ্রামের ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’-এর বর্ষপূর্তিতে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ নভেম্বর ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’-এর ১৮তম বর্ষপূর্তিতে নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি ও শহিদ স্মরণ কর্মসূচিতে যোগদান করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ১৮ বছর আগে এদিন ঘটেছিল ‘অপারেশন সূর্যোদয়’। নন্দীগ্রাম (Nandigram), শুধুমাত্র একটি জায়গার নাম নয়, নন্দীগ্রাম হল ইতিহাস, যা কোনও সময়েই বাংলার মানুষের মন থেকে ভুলিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের মাটি আন্দোলনের মাটি, জমি রক্ষা, মাটি রক্ষা এবং এক আশ্রয়ের মাটি। মানুষের বিশ্বাসের মাটিকে কেড়ে নিতে পারেনি তৎকালীন বাম শাসনও। সিপিএমের অশুভ শক্তি জোর করে জমি দখল করতে চাওয়ার আগ্রাসী মনোভাবকে বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল সাধারণ মানুষ। এদিন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী।

    লালকৃষ্ণ-রাজনাথ-সুষমা স্বরাজ এসেছিলেন (Suvendu Adhikari)

    ১৮ বছর আগেকার অত্যাচারের কথা মনে করিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের ১৮তম বর্ষ। আমরা আন্দোলনের সঙ্গে প্রথম থেকে যুক্ত ছিলাম, ৪২ টা মামলা খেয়েছি। আমরা এইদিন এইভাবেই উদযাপন করি। এখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষের শান্তিপূর্ণ নিরস্ত্র মিছিলে চপ্পল পরে কালো পোশাক পরা গড়বেতা কেশপুর থেকে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী আনা হয়েছিল। হামলা করেছিল সাধারণ জনতার উপর। মোট ১১ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। এই জন্য আত্মবলিদান যারা দিয়েছেন সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তবে শাসন ক্ষমতা এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা ভেবে এখানেই তৃণমূলের লোকজনও আসে। কিন্তু একক ভাবে শুধু তৃণমূল ছিল না, নন্দীগ্রামের (Nandigram) আন্দোলনে লালকৃষ্ণ আডবাণীর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। খেজুরির দিকে সমস্ত অবরোধকে তিনিই তুলেছিলেন। গণহত্যার একদিন পর লালকৃষ্ণ আডবাণী, রাজনাথ সিং, সুষমা স্বরাজ সকলে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় লোকসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। টানা ৬২ দিন সংসদ বন্ধ ছিল। তাই নন্দীগ্রামের উপর নেমে আসা তৎকালীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সকলেই আসতে পারেন।”

    কালো পতাকায় বিক্ষোভ

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক হিসেবে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন সকাল ৮টা থেকে ১০ টার মধ্যে নিজের কর্মসূচি পালন করেন। অপর দিকে শুভেন্দুর কর্মকাণ্ডের পর তৃণমূলের কর্মসূচি পালন করে। শুভেন্দু নিজের নির্ধারিত সময়েই শহিদ বেদিতে পৌঁছে যান। কালো পতাকা হাতে পদযাত্রা করে বেদিতে মাল্যদান করেন। তিনি মনে করেন কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকায় নয়, বাম শাসনের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে যে কোনও মানুষ প্রতিবাদ জানাতে পারেন। তবে তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামের (Nandigram) আন্দোলনে বিজেপি ছিল। লালকৃষ্ণ আডবাণীর অবদান ভোলার মতো নয়। তিনি অবরোধ তুলে ধরেছিলেন।”

    চারপাঁচটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেননি

    তৃণমূল যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল পরবর্তী সময়ে সেই কথা পালন করেনি। আর তাই নন্দীগ্রামে এই শহিদ দিবসের দিনেই মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) । তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রেসিডেন্সিয়াল স্কুল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু আজও পর্যন্ত দিয়ে উঠতে পারেননি। আপনাকে শহিদ মিনার সভার উদ্বোধনে ডাকেনি বলে রাগ করেছেন। আপনাকে কেন ডেকে উদ্বোধন করতে হবে? আমি ফিরোজা বিবি এবং রাধারানী আড়িকে দিয়ে উদ্বোধন করিয়েছি। আমি আপনি তো ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছি। উনারা কিছুই পাননি। একজন নিজের সন্তানকে হারিয়েছিলেন অপর জন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।” শুধু এখানেই শুভেন্দু থেমে থাকেননি, শুভেন্দু আরও বলেন, “নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত ব্যক্তিদের ডেথ সার্টিফিকেট পর্যন্ত দেয়নি। আপনি সবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেননি। চারপাঁচটি পরিবার এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। ওদের দোষ ছিল কারণ বিজেপিতে যোগদান করেছিল। আমি নিজে ওদের টাকা দিয়েছি। এই ঘটনার কথা আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না। আসল পরিবর্তন ২০১১ সালে হয়নি। আমরা ভুল করেছি। এইবার জনগণকে নিয়ে আসল পরিবর্তন আনবো।”

  • Bihar Polls: মঙ্গলবার বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ, ৭২ ঘণ্টা বন্ধ ভারত-নেপাল সীমান্ত

    Bihar Polls: মঙ্গলবার বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ, ৭২ ঘণ্টা বন্ধ ভারত-নেপাল সীমান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Polls) দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত দফার প্রচার অভিযান শেষ হয়েছে রবিবার। দ্বিতীয় দফায় আগামী ১১ নভেম্বর, মঙ্গলবার ২০টি জেলার ১২২টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ফলাফল ঘোষণা করা হবে ১৪ নভেম্বর। তার আগে শাসক ও বিরোধী জোটের নির্বাচনী প্রচারে জমজমাট মগধভূম। এই পর্বে যে যে এলাকায় ভোট হতে চলেছে সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সীমাঞ্চল।

    কোথায় কতজন ভোটার

    এসআইআর-এর পর এই প্রথম ভোট হচ্ছে বিহারে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, মোট ১,৩০২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। যার মধ্যে ১,১৬৫ জন পুরুষ, ১৩৬ জন মহিলা এবং ১ জন তৃতীয় লিঙ্গ প্রার্থী আছেন। মোট ভোটার ৩.৭০ কোটি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১.৯৫ কোটি। মহিলা ভোটার ১.৭৪ কোটি। নির্বাচন কমিশন দাবি করেছে, দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হবে। বলে রাখা ভালো, ২০২০ সালে এই ১২২ আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ৪২ আসনে। অন্যদিকে, লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি পেয়েছিল মোট ৩৩টি আসন। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জয় পেয়েছিল ২০ আসনে। আর কংগ্রেস দখল করে ১১টি আসন। বামেদের দখলে যায় ৫ আসন।

    কোথায় কার শক্তি বেশি

    দ্বিতীয় ধাপে বিহারের যে ১২২ টি আসনে ভোট হচ্ছে, এরমধ্যে বেশ কিছু জেলা মহাজোটের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত। মগধ অঞ্চলে মহাগঠবন্ধনের বিশেষ প্রভাব রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে গয়া, ঔরঙ্গাবাদ, নওয়াদা, জেহানাবাদে এবং আরওয়াল জেলা। তবে এই অঞ্চলে কংগ্রেসের তেমন প্রভাব নেই এবং তাদের মূলত মিত্রদের উপর নির্ভর করতে হয়। অন্যদিকে, তিরহুত, সরণ এবং এবং মিথিলাঞ্চলের একটা অংশে শক্তিশালী বিজেপি। এরমধ্যে রয়েছে পূর্ব চম্পারণ, পশ্চিম চম্পারণ, শেওহর, সীতামারহি এবং সরণ জেলা। এদিকে, জেডিইউ ভাগলপুর এলাকায় ক্রমশ তাদের শক্তি হারাচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় সবচেয়ে বেশি প্রার্থী দিয়েছে আরজেডি। লালু প্রসাদ যাদবের দল লড়বে ৭০ আসনে। অন্যদিকে, কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ৩৭ জন। ভিআইপি ১০ আসনে। এনডিএর সবচেয়ে বেশি প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির ৫৩ আসনে লড়ছে এই পর্বে। ৪৪ আসনে লড়ছে নীতীশের দল। চিরাগ পাসওয়ানের দল লড়ছে ১৫ আসনে। হাম প্রার্থী দিয়েছে ৬ আসনে। এছাড়া প্রায় সব আসনে প্রার্থী রয়েছে জন সুরাজ পার্টি।

    প্রতিরক্ষা করিডর গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি

    প্রচারের শেষ দিনে এনডিএ ও মহাগঠবন্ধন উভয় শিবিরের তরফেও প্রচার ছিল তুঙ্গে। এনডিএ-র পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজনাথ সিং এবং শিবরাজ সিং চৌহান একাধিক জনসভা করেন। জনতা দল (ইউ) সভাপতি ও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রচার চালান। অন্যদিকে, মহাগঠবন্ধনের হয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও আরজেডি নেতা তেজস্বী প্রসাদ যাদব একাধিক জনসভা করেন এবং ভোটারদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। প্রচারের পুরো সময়জুড়ে এনডিএ জোট বিরোধীদের আক্রমণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পূর্ববর্তী আরজেডি-কংগ্রেস সরকারের কর্মদক্ষতা নিয়ে। সাসারামে এক বিশাল সমাবেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জোরালো জাতীয়তাবাদী সুরে বক্তৃতা দেন। তিনি বলেন, “এই শক্তিপীঠের পবিত্র ভূমি থেকে বলছি, যদি সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়, আমরা গোলা-বারুদে জবাব দেব।” তিনি আরও ঘোষণা করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিহারে একটি প্রতিরক্ষা শিল্প করিডর এবং অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি স্থাপন করবেন। পাটনায় উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী জানান, এনডিএ একতাবদ্ধ রয়েছে এবং ক্ষমতায় ফিরলে নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। এনডিএ শিবির থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং গয়া ও কৈমুরে একাধিক সভায় বলেন, “আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, উন্নত বিহার গড়বেন নাকি ‘জঙ্গলরাজ’-এ ফিরবেন। ভারত তখনই এগোবে যখন বিহার এগোবে।” তিনি প্রতিরক্ষা করিডর গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন, যা স্থানীয় শিল্প ও কর্মসংস্থানে গতি আনবে।

    নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্ত পারাপার বন্ধ

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের আগে নিরাপত্তার কারণে ভারত-নেপাল সীমান্তের একাধিক প্রবেশপথ অস্থায়ীভাবে ৭২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মহোত্তরী জেলার সহকারী প্রধান জেলা কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার পোখরেল জানান, “বিহারে ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্ত পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে মহোত্তরী জেলার সব সীমান্ত পয়েন্ট সিল করে দেওয়া হয়েছে।” বিহারে চূড়ান্ত পর্বে যে এলাকাগুলিতে ভোট হচ্ছে সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল হল সীমাঞ্চল। বিহারের সংখ্যালঘুদের একটা বড় অংশ এই এলাকার বাসিন্দা। পূর্ণিয়া, আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ এবং কাটিহার-এই চারটি জেলার ২৪টি আসনে বড় লড়াইয়ের সম্মুখীন হবে শাসকদল এবং বিরোধী শিবির। বিহারের ১৭ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যার বড় অংশ এই এলাকায় বসবাস করেন। এই সীমাঞ্চলে এবার কেমন ভোট হয় নজর থাকবে সব দলের।

  • RDX AK-47 Recovered: কাশ্মীরি চিকিৎসকের লকারে উদ্ধার একে-৪৭, জেরা করে মিলল ৩৫০ কেজি বিস্ফোরকের খোঁজ!

    RDX AK-47 Recovered: কাশ্মীরি চিকিৎসকের লকারে উদ্ধার একে-৪৭, জেরা করে মিলল ৩৫০ কেজি বিস্ফোরকের খোঁজ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে তিন আইএস জঙ্গি গ্রেফতারের পর এবার দেশের বড়সড় জঙ্গি হামলার ছক ফাঁস করল সুরক্ষা বাহিনী। দেশের রাজধানী দিল্লির কাছে ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের একটি দল হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ৩০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, একটি অ্যাসল্ট রাইফেল-সহ প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। এর আগে অনন্তনাগের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের আদিল আহমেদ রাদার নামে এক প্রাক্তন চিকিৎসকের লকার থেকে একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার করেছিল পুলিশ৷ অভিযুক্ত ওই চিকিৎসককে জেরা করে আরও এক সন্দেহভাজন চিকিৎসকের সন্ধান মেলে৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকেও আটক করা হয়৷

    চিকিৎসকের লকারে একে-৪৭!

    পর্দাফাঁস তদন্তের শুরুটা হয়েছিল শ্রীনগরে জইশ-ই-মহম্মদের পোস্টার লাগানোর তদন্তকে ঘিরে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একজন ওই পোস্টার লাগাচ্ছেন। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তিনি আদিল আহমেদ রাথের। পেশায় চিকিৎসক। জানা যায়, তিনি অনন্তনাগ মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন রেসিডেন্ট চিকিৎসক। শুক্রবার আদিলের ব্যক্তিগত লকার থেকে একটি এক-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। স্টেথোস্কোপ, রোগীদের প্রেসক্রিপশনের সঙ্গে রাখা ছিল ওই একে-৪৭ রাইফেলটি। অনন্তনাগের কাজিগুন্ডের বাসিন্দা ওই যুবক ২০২৪ সালের ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ওই হাসপাতালে সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। অনন্তনাগের জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টার (জেআইসি) ও শ্রীনগর পুলিশের যৌথ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাইফেলটি বাজেয়াপ্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হয় আদিলকে।

    কেঁচো খুঁড়তে বেরল কেউটে!

    কিন্তু, চক্রান্ত ফাঁসের এটা ছিল প্রথম ধাপ। গোয়েন্দারা তখনও জানতে পারেননি, পরে কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে পড়বে আস্ত কেউটে! আদিলকে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে অনন্তনাগের জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টারে নিয়ে গিয়ে জেরা করে তাঁর থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিরাট বড় নাশকতার ছক বানচাল করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। আদিলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মুজাহিল শাকিল নামে অনন্তনাগের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের আরেক ডাক্তারের খোঁজ মেলে। সেই চিকিৎসককে জেরা করতেই উঠে আসে ফরিদাবাদ সংযোগ। তদন্তে প্রকাশ, এই দুই চিকিৎসকের সঙ্গে আরও একজন চিকিৎসকের যোগাযোগ ছিল, যাদের নেটওয়ার্ক দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে হরিয়ানা পর্যন্ত বিস্তৃত।

    চলছে “মাস্টারমাইন্ড”-এর খোঁজ

    এই সূত্র ধরেই রাজধানী দিল্লির কাছে ফরিদাবাদে মুজাহিলের বাড়ি ও হাসপাতালে হানা দেয় ছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ও হরিয়ানা পুলিশের পুলিশের বিশাল যৌথ বাহিনী। কিন্তু, সেখানে পৌঁছে গোয়েন্দাদের চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় একটি অ্যাসল্ট রাইফেল এবং প্রায় ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক। উদ্ধার হয় ৮৩টি কার্তুজ সহ তিনটি ম্যাগাজিন, আটটি কার্তুজ সহ একটি পিস্তল, আটটি বড় স্যুটকেস ৪ট ছোট স্যুটকেস, ব্যাটারি সমেত ২০টি টাইমার, ২৪টি রিমোট কন্ট্রোল, ৫ কেজি ভারী ধাতু, ওয়াকি-টকি, বৈদ্যুতিন তার। এই বিপুল অস্ত্র এবং বিস্ফোরক কোথা থেকে পাঠানো হচ্ছে, তার উৎসের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ৷ উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও বিস্ফোরক ফরেনসিক টিমের হাতে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে এবং খুব শিগগিরই এই চক্রের “মাস্টারমাইন্ড”-এর পরিচয় প্রকাশ করা হবে। তদন্তকারীদের মতে, এই নেটওয়ার্ক শুধুমাত্র কাশ্মীর নয়, বরং দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে।

    তদন্তে এনআইএ, আইবি

    জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। এনআইএ এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোসহ একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে। পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে পরিচালিত ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার্স (ওজিডব্লিউ) এবং সন্ত্রাসবাদী দলের কমান্ডারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। গত তিন দিন ধরে প্রায় ৫০০টি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে এবং ৩০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘এই অভিযানের মূল লক্ষ্য সন্ত্রাসবাদীদের সহায়তা করে এমন পরিকাঠামো নষ্ট করা। এর মধ্যে রয়েছে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদীদের এবং তাদের আন্তঃসীমান্ত হ্যান্ডলারদের লজিস্টিক, আর্থিক এবং আদর্শগত সহায়তা প্রদান করে এমন নেটওয়ার্কগুলি ধ্বংস করা।’

  • Tata in West Bengal: জিতলে টাটা-কে বাংলায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর

    Tata in West Bengal: জিতলে টাটা-কে বাংলায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে টাটা গোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনবেন, কথা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার বর্ধমান (Bardhhaman) থেকে তৃণমূলকে (TMC) আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) একাধিক বড় ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এলে টাটা গোষ্ঠীকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি তিনি রতন টাটার উল্লেখ করা “গুড এম, ব্যাড এম” মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনাও করেন।

    গুড-এম, ব্যাড-এম মন্তব্য

    এসআইআর নিয়ে মিথ্য়াচারের অভিযোগ তুলে বর্ধমানের বড়নীলপুর মোড় থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আর সেখানেই টাটাকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তৃণমূলকে হারাতে মানুষকে একজোট হতে আহ্বান জানান তিনি। রবিবার বর্ধমানে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “রতন টাটা বলে গিয়েছিলেন, মাথায় ট্রিগার লাগিয়ে বাংলা ছাড়তে বাধ্য করল। আমি খারাপ এম-কে ছাড়লাম, ভাল এম-এর কাছে যাচ্ছি। খারাপ এম-এর নাম আমরা বলিনি, রতন টাটা বলেছেন। খারাপ এম-এর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর ভাল এম-এর নাম রতন টাটা বলে গিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি।” হুগলির সিঙ্গুর থেকে ন্যানোর কারখানা গুজরাতের সানন্দে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এই কথা বলতে শোনা গিয়েছিল প্রয়াত শিল্পপতিকে।

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, বিজেপি সরকার আসলে টাটাকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি উন্নয়ন, শিল্প ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দেন। তৃণমূলকে ‘চোর, দুর্নীতিগ্রস্ত’ আখ্যা দেন। তিনি সংখ্যা-ভিত্তিক সমস্যার কথাও তুলেছেন—“২ কোটি ১৫ লক্ষ বেকার, ৬০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক, ৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ” এগুলির জন্য তিনি তৃণমূলকেই দায়ী করেন এবং পরিবর্তনের আহ্বান জানান। গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড ঢেলে দেওয়ার কাজই নির্বাচন কমিশন করেছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। এসআইআর নিয়ে শুভেন্দু তৃণমূলকে অভিযুক্ত করেন, বাংলার পরিচয় ও ভোটার-তালিকা নিয়ে অভিযোগ তোলেন, এবং বলেন যে অনুপ্রবেশ বা অবৈধ এন্ট্রির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • Breast Cancer: প্রতি আট মিনিটে একজনের মৃত্যু! বাড়তি ওজন আর অনিয়মিত জীবনযাপনে বাড়ছে স্তন ক্যান্সারের বিপদ?

    Breast Cancer: প্রতি আট মিনিটে একজনের মৃত্যু! বাড়তি ওজন আর অনিয়মিত জীবনযাপনে বাড়ছে স্তন ক্যান্সারের বিপদ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    ভারতীয় মহিলাদের ক‌্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে, তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে স্তন ক্যান্সার (Breast Cancer)। এক দশক আগেও চল্লিশ পেরিয়ে বহু মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হতেন। দেরিতে চিকিৎসা শুরু করার জেরে বিপদ‌ বাড়ত। কিন্তু গত এক দশকে বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। তাই উদ্বেগ আরও বাড়ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্তন ক্যান্সার নিয়ে আরও সচেতনতা এবং সতর্কতা না বাড়লে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

    কী বলছে নতুন তথ্য?

    কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীয় ক্যান্সার (Breast Cancer) আক্রান্ত মহিলাদের ২৯ শতাংশ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। প্রতি চার মিনিটে ভারতে একজন মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতি আট মিনিটে একজন স্তন ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলা মারা যান। প্রতি বছর ৯০ হাজার মানুষ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।এই তথ্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এ দেশে স্তন ক্যান্সারের সুচিকিৎসা রয়েছে। কিন্তু তারপরেও প্রতি বছর এই মৃত্যু হার জানান দিচ্ছে এই রোগ নিয়ে সচেতনা তলানিতে। তাই রোগ নির্ণয়ে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। ফলে চিকিৎসা দেরিতে শুরু হয়। তার জেরেই পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বয়স ২৫ কিংবা ৩০ হলেও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। গত তিন-চার বছরে তিরিশের চৌকাঠ পেরনোর আগেই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কেন বাড়ছে এই‌ রোগের দাপট?

    ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের (Breast Cancer) দাপট বাড়ার অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর জীবন‌ যাপন। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্থুলতা অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের বাড়তি ওজন নানান রোগের ঝুঁকি তৈরি করে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমিয়ে দেয়। অতিরিক্ত ওজনের জন্য হরমোনের ভারসাম্যের অভাব দেখা দেয়। আর এই কারণেই ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত খাবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পিৎজা, বার্গার কিংবা প্যাকেটজাত ন্যুডলসের মতো খাবারে নানান রাসায়নিক থাকে। সেগুলো খাবারে স্বাদ ধরে রাখে। কিন্তু তার জেরে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা যায়। তাছাড়া ওই রাসায়নিক শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। এর ফলে শরীরের বাড়তি ওজন হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওই সমস্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। প্রয়োজনীয় ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজ পদার্থ থাকে না। ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বেড়ে ওঠে না। তাই শরীর দূর্বল হয়ে যায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওজন ও খাবারের পরিমাণ, এই দুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই স্তন ক্যান্সারের (Breast Cancer) ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

    বড় বিপদ এড়ানোর কী কৌশল জানাচ্ছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞেরা?

    ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সচেতনতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই এই রোগ সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরি। নিয়মিত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রয়োজন।‌ যাতে কোনো সমস্যা হলেই প্রথম পর্বেই তার চিকিৎসা শুরু হতে পারে। তাছাড়া, এই রোগ এড়াতে স্বাস্থ্যকর জীবন‌যাপন প্রয়োজন। ওজন নিয়ে সচেতনতা প্রয়োজন। যাতে অতিরিক্ত ওজন না হয়, তার জন্য খাবারে নজরদারির পাশপাশি নিয়মিত শারীরিক কসরত করা জরুরি। তাতে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এতে শরীর সুস্থ থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার ক‌্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তাই নিয়মিত ডাল, ছোলা, আপেল, লেবু জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পরিবারের কেউ ক্যান্সার আক্রান্ত হলে, অন্যান্য সদস্যদের এই রোগ সম্পর্কে বাড়তি সচেতনতা জরুরি। তাহলে বড় সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়।

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, স্তন ক্যান্সার (Breast Cancer) জয় করে আবার স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব। কিন্তু এ দেশে অসচেতনতার জেরে এই রোগে মৃত্যু হার উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। প্রথম পর্বে রোগ নির্ণয় হলে এবং সম্পূর্ণ চিকিৎসা করলে আবার স্বাভাবিক জীবন‌ যাপন করা যায়। তাই অযথা আতঙ্ক নয়। বরং সচেতনতাকে হাতিয়ার করলেই এ দেশে স্তন ক্যান্সারের ছবি বদলে যাওয়া যাবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share