Tag: bangla news

bangla news

  • Ramakrishna 348: “শ্রীকৃষ্ণে সকল মেয়েরই মন উঠিতে পারে; কেন না, তাঁর রূপ অনন্ত, যৌবন অনন্ত, ঐশ্বর্য অনন্ত”

    দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও ‘দেবী চৌধুরাণী’ পাঠ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৭শে ডিসেম্বর
    মাস্টার, প্রসন্ন, কেদার, রাম, নিত্যগোপাল, তারক, সুরেশ প্রভৃতি

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ও তো রাজার কর্তব্য।

    মাস্টার—আর-এক জায়গায় ভক্তির কথা আছে। ভবানী ঠাকুর প্রফুল্লর কাছে থাকবার জন্য একটি মেয়েকে পাঠিয়ে দিছলেন। তার নাম নিশি। সে মেয়েটি বড় ভক্তিমতী। সে বলত, শ্রীকৃষ্ণ (Ramakrishna) আমার স্বামী। প্রফুল্লর বিয়ে হয়েছিল। প্রফুল্লর বাপ ছিল না, মা ছিল। মিছে একটা বদনাম তুলে পাড়ার লোকে ওদের একঘরে করে দিছল। তাই শ্বশুর প্রফুল্লকে বাড়িতে নিয়ে যায় নাই। ছেলের আরও দুটি বিয়ে দিছল। প্রফুল্লর কিন্তু স্বামীর উপর বড় ভালবাসা ছিল। এইখানটা শুনলে বেশ বুঝতে পারা যাবে—

    “নিশি—আমি তাঁহার (ভবানী ঠাকুরের) কন্যা, তিনি আমার পিতা। তিনিও আমাকে একপ্রকার সম্প্রদান করিয়াছেন।

    প্রফুল্ল—একপ্রকার কি?

    নিশি—সর্বস্ব শ্রীকৃষ্ণে।

    প্রফুল্ল—সে কিরকম?

    নিশি—রূপ, যৌবণ, প্রাণ।

    প্রফুল্ল—তিনিই তোমার স্বামী?

    নিশি—হাঁ—কেননা, যিনি সম্পূর্ণরূপে আমাতে অধিকারী, তিনিই আমার স্বামী।

    প্রফুল্ল দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিল, ‘বলিতে পারি না। কখনও স্বামী দেখ নাই, তাই বলিতেছ—স্বামী দেখিলে কখনও শ্রীকৃষ্ণে মন উঠিত না।’

    মূর্খ ব্রজেশ্বর (প্রফুল্লের স্বামী) এত জানিত (Kathamrita) না!

    বয়স্যা বলিল, ‘শ্রীকৃষ্ণে সকল মেয়েরই মন উঠিতে পারে; কেন না, তাঁর রূপ অনন্ত, যৌবন অনন্ত, ঐশ্বর্য অনন্ত।’

    এ-যুবতী ভবানী ঠাকুরের (Ramakrishna) চেলা, কিন্তু প্রফুল্ল নিরক্ষর—এ-কথার উত্তর দিতে পারিল না। হিন্দুধর্ম প্রণেতারা উত্তর জানিতেন। ঈশ্বর অনন্ত জানি। কিন্তু অনন্তকে ক্ষুদ্র হৃদয় পিঞ্জরে পুরিতে পারি না, কিন্তু সান্তকে পারি। তাই অনন্ত জগদীশ্বর হিন্দুর হৃৎপিঞ্জরে সান্ত শ্রীকৃষ্ণ। স্বামী আরও পরিষ্কার রূপে সান্ত। এইজন্য প্রেম পবিত্র হইলে স্বামী ঈশ্বরে আরোহণের প্রথম সোপান। তাই হিন্দু-মেয়ের পতিই দেবতা। অন্য সব সমাজ, হিন্দু সমাজের কাছে এ-অংশে নিকৃষ্ট (Kathamrita)।

    প্রফুল্ল মূর্খ মেয়ে, কিছু বুঝিতে পারিল না। বলিল, ‘আমি অত কথা ভাই বুঝিতে পারি না। তোমার নামটি কি, এখনও তো বলিলে না?’

    বয়স্যা বলিল, ভবানী ঠাকুর নাম রাখিয়াছিলেন নিশি। আমি দিবার বহিন নিশি। দিবাকে একদিন আলাপ করিতে লইয়া আসিব। কিন্তু যা বলিতেছিলাম শোন। ঈশ্বরই পরম স্বামী। স্ত্রীলোকের পতিই দেবতা। শ্রীকৃষ্ণ সকলের দেবতা। দুটো দেবতা কেন ভাই? দুই ঈশ্বর? এ ক্ষুদ্র প্রাণের ক্ষুদ্র ভক্তিটুকুকে দুই ভাগ করিলে কতটুকু থাকে?

    প্রফুল্ল—দূর! মেয়েমানুষের ভক্তির (Ramakrishna) কি শেষ আছে?

    নিশি—মেয়েমানুষের ভালবাসার শেষ নাই। ভক্তি এক, ভালবাসা আর।”

  • Yogi Adityanath: ‘‘পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে অপারেশন সিঁদুর’’, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: ‘‘পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে অপারেশন সিঁদুর’’, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে, সময় এসে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের একসঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার।’’ রবিবার উত্তরপ্রদেশের লখনউয়েও ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির নতুন কারখানার উদ্বোধন হয়। সেখানে এসেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

    কী বললেন যোগী আদিত্যনাথ?

    যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘যতক্ষণ আমরা সন্ত্রাসবাদকে দমন না করতে পারব, ততক্ষণ সমস্যার সমাধান হবে না। সময় এসে গিয়েছে। আমাদের একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃ্ত্বে জোট হতে হবে। সন্ত্রাসবাদীদের ভাষায় তাদের জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হতে হবে। অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে।’’ একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে কুকুরের লেজের সঙ্গে তুলনা করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর দাবি, এই লেজ কখনওই সোজা হয় না। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর (Yogi Adityanath) কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন যে ভবিষ্যতে যে কোনও জঙ্গি কার্যকলাপকে যুদ্ধ হিসাবে বিবেচনা করা হবে। সন্ত্রাসবাদকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা না গেলে কখনওই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’’

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মুর পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে জঙ্গিরা। তার পর থেকেই অ্যাকশন মোডে নামে মোদি সরকার। প্রত্যাঘাত হিসাবে গত ৭ মে রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারত। এই আবহে রবিবার সকালেই অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে বলে জানিয়ে দেয় বায়ুসেনা। তারা জানিয়েছে, জাতীয় উদ্দেশ্যপূরণে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে গোপনীয়তার সঙ্গে অপারেশন চলছে। বেছে বেছে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে বায়ুসেনা।প্রসঙ্গত, শনিবার সংঘর্ষবিরতি সমঝোতার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সীমান্তে লাগাতার হামলা চালায় পাক-বাহিনী। এর পরেই ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দেয় ভারত। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানায়, যে কোনও পরিস্থিতিতে জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি আছে সেনা।

  • Operation Sindoor: পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের যোগ্য জবাব দেবে ভারত, বৈঠকে কড়া বার্তা মোদির

    Operation Sindoor: পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের যোগ্য জবাব দেবে ভারত, বৈঠকে কড়া বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার বিকাল ৫টায় ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করা হয়। তবে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) যে থামেনি রবিবারই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সূত্রের খবর, তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, সীমান্তে পাকিস্তানের যে কোনওরকম গোলাবর্ষণের যোগ্য জবাব দেবে ভারত।

    রবিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

    রবিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, বায়ুসেনা প্রধান এ পি সিং, নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার ত্রিপাঠী এবং সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। প্রসঙ্গত, গত ৭ মে পাকিস্তান অধীকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে নয় জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। সেই হামলার পরে ভারতের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। পাকিস্তান গুলি চালালে (Operation Sindoor) ভারত পাল্টা আরও জোরালো হামলা চালাবে।

    অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) এখনও শেষ হয়নি

    সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) এখনও শেষ হয়নি। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে লেখা হয়েছে, “অপারেশন সিঁদুরে নিজের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। দেশের স্বার্থে নিখুঁতভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেই কাজ করেছে তারা। সতর্কতা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে সেই অভিযান করা হয়েছে।” ওই পোস্টেই বায়ুসেনা জানিয়েছে, ‘‘এই অভিযান চলছে। সময়মতো সেই বিষয়ে তথ্য দেওয়া হবে। জল্পনা এবং ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করছে আইএএফ।’’

    সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাস ছড়ালে তার খেসারত অবশ্যই দিতে হবে পাকিস্তানকে

    এছাড়াও, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে ভারত জানিয়েছে, সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাস ছড়ালে তার খেসারত অবশ্যই দিতে হবে পাকিস্তানকে। পাকিস্তান একদিকে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাবে, আর অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে জলবণ্টন বা বাণিজ্যে সহযোগিতা পাবে, এই দুটো একসঙ্গে চলবে না। অর্থাৎ এটা একদম স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারত জিরো টলারেন্স নীতি মেনেই চলছে। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) শুধু প্রতিরক্ষা নয়, কূটনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকেও পাকিস্তানকে একাধিক বার্তা দিচ্ছে।

  • Operation Sindoor: ‘‘যারা সিঁদুর মুছেছিল, ভারত তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে’’, বললেন রাজনাথ সিং

    Operation Sindoor: ‘‘যারা সিঁদুর মুছেছিল, ভারত তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে’’, বললেন রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রবিবারই তিনি লখনউতে ব্রহ্মস মিসাইলের নতুন একটি ইউনিটের উদ্বোধন করেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। সেখানেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে দেশবাসীর উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘‘সিঁদুর শুধু একটি সামরিক অপারেশন ছিল না, এটি একটি সংকল্প। যারা সিঁদুর মুছেছিল, অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে ভারত তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে।’’

    দেশ শক্তিশালী না হলে বিশ্বে কেউ সম্মান করে না

    এদিন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) আরও বলেন, ‘‘ভারত নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছে। দেশ শক্তিশালী না হলে বিশ্বে কেউ সম্মান করে না।’’ রাজনাথ সিংয়ের আরও সংযোজন, ‘‘ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল কেবলমাত্র একটি হাতিয়ার নয়, এটি বিশ্বকে দেওয়া ভারতের একটি বার্তা। ভারতের পরাক্রমের বার্তা বহন করছে এই মিসাইল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষমতার পরিচয় এই ব্রহ্মস মিসাইল। শত্রুর নিধনে ভারত কী ভূমিকা পালন করতে পারে, সেটিরও পরিচয় বহন করে এই মিসাইল।’’

    সীমান্তের ওপারেও জঙ্গিরা নিরাপদ ভাবে থাকতে পারবে না

    পাশাপাশি, রাজনাথের (Rajnath Singh) আরও বক্তব্য ‘‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) বুঝিয়েছে, সীমান্তের ওপারেও জঙ্গিরা নিরাপদ ভাবে থাকতে পারবে না।’’ অপারেশন সিঁদুরের ব্যাখ্যা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘অপারেশন সিঁদুর কেবলমাত্র একটি সামরিক পদক্ষেপ নয়। এটা ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং কূটনৈতিক শক্তির প্রদর্শন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতির পরিচয় দিয়েছে এই অপারেশন। ভারত দেখিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যখন আমরা কোনও অ্যাকশন নিই তখন সীমান্ত পারেও জঙ্গি এবং তাদের মদতদাতারা রেহাই পাবে না।’’

    ভারতীয় সেনার গর্জন রাওয়ালপিন্ডি পর্যন্ত শোনা গিয়েছে

    পাশাপাশি তিনি জানান, ভারত কোনও সাধারণ পাক নাগরিককে আক্রমণ করেনি। ভারতের লড়াই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে রাজনাথ বলেন, ‘‘ভারতীয় সেনার গর্জন রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনার সদর দফতর পর্যন্ত শোনা গিয়েছে। কিন্তু আমরা পাকিস্তানের কোনও নাগরিককে আক্রমণ করিনি।’’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান নিরীহ ভারতীয় নাগরিকদের আক্রমণের পাশাপাশি বহু মন্দির, গুরুদ্বার এবং গির্জাগুলিতে হামলা চালিয়েছে।’

  • SIA: পহেলগাঁওকাণ্ডে ষড়যন্ত্রীদের খোঁজে কাশ্মীরের ২০ জায়গায় তল্লাশি এসআইএ-র

    SIA: পহেলগাঁওকাণ্ডে ষড়যন্ত্রীদের খোঁজে কাশ্মীরের ২০ জায়গায় তল্লাশি এসআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার বিকেলে শুরু হয়েছে ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতি। যদিও শনি-রাতে জম্মু ও কাশ্মীরে (Kashmir) গোলাগুলি বর্ষণ করেছে পাকিস্তান। এই আবহে রবিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের ২০টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাল কাশ্মীরের স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এসআইএ (SIA)। এই দক্ষিণ কাশ্মীরেরই পহেলগাঁওয়ে গত ২২ এপ্রিল বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। ওই হামলায় নাম জড়ায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের। তাদের সঙ্গে যে স্থানীয়দের একাংশের যোগ রয়েছে, সে বিষয়ে মোটামুটি নিশ্চিত তদন্তকারীরা।

    ষড়যন্ত্রীদের খোঁজে হামলা (SIA)

    এদিন সেই ষড়যন্ত্রীদেরই ধরতে চালানো হয় অভিযান। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানভিত্তিক হ্যান্ডলারদের হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ ওঠা জঙ্গি সহযোগী ও ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কারদের ওপর নজরদারি বাড়ার মধ্যেই এই অভিযান চালানো হল।” কাশ্মীরের পুলিশ কর্তাদের মতে, নজরদারি চালিয়ে দেখা গিয়েছে, ওই অঞ্চলের একাধিক স্লিপার সেল সীমান্তের ওপারে থাকা জঙ্গি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছিল। এই সেলগুলো হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং সিগন্যালের মতো এনক্রিপ্টেড মেসিজিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোসমূহ সম্পর্কিত সংবেদনশীল ও কৌশলগত তথ্য আদান-প্রদান করছিল।

    অভিযুক্তরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের উগ্র মতাদর্শ প্রচারে যুক্ত

    সূত্রের খবর, অভিযুক্তরা নিষিদ্ধ লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারদের নির্দেশে অনলাইনে উগ্র মতাদর্শ প্রচারে যুক্ত ছিল। প্রশাসনের মতে, তাদের এসব কাজ ভারতের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় অখণ্ডতার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করছে এবং এর উদ্দেশ্য জনসাধারণের মধ্যে বিশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ উসকে দেওয়া। এদিনের তল্লাশি অভিযানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে (SIA)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বেশ কিছু সন্দেহভাজনকে। এক পদস্থ কর্তা জানান, প্রাথমিক তদন্তে এটা স্পষ্ট যে, এটি (পহেলগাঁওকাণ্ড) একটি সংগঠিত প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে সন্ত্রাসমূলক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন এবং অনলাইন ও অফলাইনে ভারতবিরোধী প্রচার চালানো হচ্ছিল।

    এসআইএ-র তরফে জানানো হয়েছে, “যে বা যারা যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডে (Kashmir) যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত থাকবে (SIA)।”

  • Jammu: ‘রোগ স্টেটে’র রোগ সারল না, শনি-রাতেও ভূস্বর্গে ছোড়া হল গুলি-গোলা

    Jammu: ‘রোগ স্টেটে’র রোগ সারল না, শনি-রাতেও ভূস্বর্গে ছোড়া হল গুলি-গোলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতির পরে সবে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল জম্মু-কাশ্মীর (Jammu)। তবে ‘রোগ স্টেটে’র রোগ কী আর সহজে সারে? সারে না। পাকিস্তানও রয়েছে পাকিস্তানেই (Terrorist)। শনিবার ভূস্বর্গে সন্ধে নামতেই গোলা-বারুদের শব্দে ফের ছত্রখান রাতের নিস্তব্ধতা। যার জেরে রাতেই এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা লেখেন, “এ তো সংঘর্ষ বিরতি নয়। শ্রীনগরের আকাশ-হামলা প্রতিরোধ ব্যবস্থা এই মাত্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে।”

    রাত নামতেই চলল গোলাগুলি (Jammu)

    এদিন রাত সওয়া ৮টা নাগাদ জম্মু সীমান্তে ফের গুলি চালাতে শুরু করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। আরএস পুরায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বিএসএফের সাব ইনস্পেক্টর মহম্মদ ইমতিয়াজ। বিএসএফ জানিয়েছে, একটি বর্ডার আউটপোস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমতিয়াজ সামনে থেকে বাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। রাত ৯টা নাগাদ শ্রীনগরের লালচকের পাশাপাশি বাদামিবাগের সেনা ক্যান্টনমেন্ট, সাফাপোরার মতো এলাকায় শোনা গিয়েছে কান ফাটানো বিস্ফোরণের শব্দ। এদিন বিকেলে সংঘর্ষ বিরতির খবর শোনার পর ঝপাঝপ খুলতে শুরু করেছিল দোকানদানি। আলোয় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল ডাল লেকের হাউসবোটগুলি। পাকিস্তানের দিক থেকে গোলাগুলির ছুটে আসতেই ঝাঁপ পড়ে যায় দোকানে, হাউসবোটে। অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা জম্মু-কাশ্মীর।

    পাকিস্তান রয়েছে পাকিস্তানেই!

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, শ্রীনগর-সহ উপত্যকার নানা এলাকায় ফের দেখা গিয়েছে ড্রোনের আনাগোনা। শ্রীনগরের বাটওয়ারায় ও অনন্তনাগে সেনার পরিকাঠামোকে নিশানা করতে আসা দুটি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে সেনার তরফে। গত রাতেও শ্রীনগর বিমানবন্দরে হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল পাকিস্তান (Jammu)। এদিন ভোরে পাক সেনার গোলা সটান উড়ে এসে পড়ে রাজৌরির অতিরিক্ত জেলা উন্নয়ন কমিশনার রাজকুমার থাপার বাড়িতে। গোলার ঘায়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তিনি একজন চিকিৎসকও ছিলেন। জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, “গতকালই উনি উপমুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। আমার ডাকা একটি বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন। আর আজ পাকিস্তানি গোলাবর্ষণে ওঁকে আমরা হারালাম।” ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতিকে স্বাগত জানিয়ে ওমর বলেছিলেন, “আলোচনার পথ আগে খুললে অনেকগুলো প্রাণ বেঁচে যেত।” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির প্রতিক্রিয়া, “অবশেষে একটু নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারবে মানুষগুলো।”

    সেই নিশ্চিন্তির ঘুম আর হল কই! যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেই পাকিস্তান চালাল গোলাগুলি (Terrorist)। যার ভয়ে দিনভর সিঁটিয়ে কাটালেন উপত্যকাবাসী (Jammu)।

    পাকিস্তান যে আসলে রোগ স্টেট (Rogue State)!

  • Operation Sindoor: জারি রয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’, সাফ জানাল ভারতীয় সেনা

    Operation Sindoor: জারি রয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’, সাফ জানাল ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির সঙ্গে যে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) কোনও সম্পর্ক নেই, বায়ুসেনার একটি পোস্টেই স্পষ্ট হয়ে গেল তা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ এখনও চলছে। শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ভারত ও পাকিস্তান। রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে বায়ুসেনা (IAF) জানিয়ে দিল, “অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে।” তবে এনিয়ে দেশবাসীকে কোনও রকম জল্পনা বা ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছে তারা।

    পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা (Operation Sindoor)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। যুদ্ধ বিরতি চললেও, সেই অভিযান যে জারি রয়েছে, এদিন তা জানিয়ে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলার পরে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দেয়, ওই অভিযান শুধুই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিদের আস্তানা লক্ষ্য করেই চালানো হয়েছিল। তাতে বেশ কিছু জঙ্গি নিহত হয়। সেই জঙ্গিদের শেষকৃত্যে পাক সেনার উপস্থিতির ছবিও তামাম বিশ্বের কাছে তুলে ধরে ভারত।

    অপারেশন সিঁদুর

    এদিন এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে লেখা হয়েছে, “অপারেশন সিঁদুরে নিজের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। দেশের স্বার্থে নিখুঁতভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেই কাজ করেছে তারা। সতর্কতা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে সেই অভিযান করা হয়েছে।” ওই পোস্টেই বায়ুসেনা জানিয়েছে, “এই অভিযান চলছে। সময়মতো সেই বিষয়ে তথ্য দেওয়া হবে। জল্পনা এবং ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করছে আইএএফ।”

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের (Operation Sindoor) পরে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও এখনও ওই হামলায় জড়িত জঙ্গিদের হদিশ পায়নি ভারত। এই আবহেই শনিবার ঘোষণা হয় যুদ্ধবিরতি। তার জেরে দেশবাসীর একাংশের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি পহেলগাঁওকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে ভারত যে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল, তার কী হবে? ভারতীয় বায়ুসেনার পোস্টে এর উত্তর পেয়ে গেলেন প্রশ্নকর্তারা। সেনা সাফ জানিয়ে (IAF) দিয়েছে, জঙ্গি দমনের জন্য তাদের ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলছে।

  • India Pakistan War: যুদ্ধ ভয়ানক তীব্র হয়ে ওঠার ইঙ্গিত পেয়েই মোদিকে ফোন করেন ভ্যান্স

    India Pakistan War: যুদ্ধ ভয়ানক তীব্র হয়ে ওঠার ইঙ্গিত পেয়েই মোদিকে ফোন করেন ভ্যান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান (India Pakistan War) যুদ্ধ বিরতি ইস্যুতে সামনে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন-র এক প্রতিবেদন। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র থেকে এক ‘উদ্বেগজনক ও গোপন তথ্য’ পায়। এর ভিত্তিতেই মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা শুক্রবারই আলোচনায় বসেন। তার ঠিক একদিন পরেই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স শুক্রবার দুপুরে সরাসরি ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)।

    সিএনএনের প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে

    সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘শুক্রবার সকালে ভারত-পাক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, বিদেশ সচিব ও অস্থায়ী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও এবং হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ সুজি ওয়াইলস। সেখানেই গুরুতর গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনা করে আমেরিকা। সেই গোয়েন্দা তথ্য মোতাবেক, ভারত ও পাকিস্তানের (India Pakistan War) মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভয়ানক তীব্র হয়ে ওঠার ইঙ্গিত ছিল।’’ সিএনএনের বক্তব্য অনুযায়ী সেই তথ্যের প্রকৃতি এখনও পর্যন্ত কেমন ছিল তারা তা জানতে পারেনি তারা। কারণ মার্কিন প্রশাসন গোপনীয়তার স্বার্থে তা জানায়নি। তবে মার্কিন প্রশাসনিক কর্তারা সিএনএন-কে জানিয়েছে, এই গোপন তথ্যই ছিল হস্তক্ষেপের একেবারে ‘টার্নিং পয়েন্ট’।

    কয়েকদিনেই ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারত যুদ্ধ পরিস্থিতি

    প্রসঙ্গত, মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি ভ্যান্স ফোনালাপে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিগ্রহ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে এবং কয়েকদিনেই ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। এরপরেই অবিলম্বে পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। মোদির সঙ্গে এই কথোপকথনের পরে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে রাতভর (India Pakistan War) কথা বলেন। রুবিও ফোন করেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে। তবে মার্কিন প্রশাসন সিএনএন-কে জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির চুক্তির খসড়া প্রস্তুত করেনি, শুধু আলোচনা শুরু করিয়ে দেওয়াটাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, মোদি-ভ্যান্স ফোনালাপই ছিল পরিস্থিতি বদলের প্রধান মুহূর্ত।

  • Donald Trump: ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তকে ফের একবার স্বাগত জানালেন ট্রাম্প

    Donald Trump: ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তকে ফের একবার স্বাগত জানালেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তকে ফের একবার স্বাগত জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সিদ্ধান্তের জন্য তিনি গর্বিত বলে জানিয়েছেন। সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘এখনই যে আগ্রাসন থামানো উচিত, দুই শক্তিধর দেশ ভারত এবং পাকিস্তান (India Pakistan War) তা যে বুঝতে পেরেছে, তার জন্য আমি গর্বিত। এই সংঘর্ষে অনেক নিরীহ মানুষের মৃত্যু হতে পারত। কিন্তু যে ভাবে দুই দেশ এগিয়ে এসে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য।’’

    ভারত এবং পাকিস্তান যে ভাবে সংঘর্ষবিরতিতে উদ্যোগী হয়েছে, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য

    এদিন কাশ্মীর ইস্যু নিয়েও লিখেছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। তিনি লেখেন, ‘‘দু’দেশের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমিত করার জন্য আমেরিকা যে ভূমিকা নিয়েছে, তার জন্যও আমি গর্বিত।’’ এর পরই তিনি, কাশ্মীর প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই সমস্যার সমাধানের যাতে একটি রাস্তা বেরিয়ে আসে তার জন্য ভারত-পাক দু‌’দেশের সঙ্গেই কাজ করতে আগ্রহী তিনি। শেষে তিনি (Donald Trump) আবারও বলেন, ‘‘ভারত এবং পাকিস্তান যে ভাবে সংঘর্ষবিরতিতে উদ্যোগী হয়েছে, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।’’

    ভারত ধারাবাহিক ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে , শনিবারই জানিয়েছিলেন জয়শঙ্কর

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, শনিবার বিকেলে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরই ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর সমাজমাধ্যমে লেখেন, “আজ ভারত এবং পাকিস্তান সামরিক অভিযান এবং গোলাগুলি বন্ধ করার বিষয়ে একটি বোঝাপড়ায় এসেছে।” একই সঙ্গে তিনি লেখেন, “ভারত ধারাবাহিক ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় এবং আপসহীন অবস্থান নিয়ে এসেছে। এটি বজায় থাকবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার বিকেল ৫টা ৪২ নাগাদ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘গোটা রাত দীর্ঘ আলোচনার পর দুই দেশই এই মুহূর্ত থেকে সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। সঠিক সময়ে বাস্তবজ্ঞান কাজে লাগানোয় দুপক্ষকে শুভেচ্ছা।’’  এরপর ফের রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিবৃতি সামনে এল।

  • Balochistan Conflict: স্বাধীনতা চায় বালুচিস্তান, দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে নাড়ির যোগ বালোচদের!

    Balochistan Conflict: স্বাধীনতা চায় বালুচিস্তান, দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে নাড়ির যোগ বালোচদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘাত ও সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই ইসালামাবাদ আরও একটি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। সেটি হল বালুচিস্তান সঙ্কট (Balochistan Conflict)। বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তানের একটি বড় মাথাব্যথার কারণ। এই বালুচিস্তানের সঙ্গেই দক্ষিণ ভারতের সংযোগ রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। পাকিস্তান, ইরান এবং আফগানিস্তানজুড়ে এই অঞ্চলটির সীমানা। এটি পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশগুলির একটি হওয়া সত্ত্বেও, তুলনামূলকভাবে অনুন্নত এবং জনবসতিহীন (South Indian Links)। ‘ব্রাহুই’ একটি দ্রাবিড় ভাষা, যা পার্সো আরবি লিপিতে লেখা হয় বলে ধারণা করা হয়। পাকিস্তানের প্রায় ২০ লাখ মানুষ এই ভাষা ব্যবহার করেন। এর সিংহভাগই থাকেন বালুচিস্তানে। যেহেতু ব্রাহুই ভাষার মধ্যে দ্রাবিড় ভাষাগুলির সাসৃশ্য রয়েছে, সেহেতু এটি দুই অঞ্চলের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।

    দ্রাবিড় ভাষাবিদের বক্তব্য (Balochistan Conflict)

    দ্রাবিড় ভাষাবিদ রবিশঙ্কর এস নাইয়ার জানান, এই বিষয়ে দুটি তত্ত্ব নিয়মিত আলোচনায় উঠে আসে। তিনি বলেন, “প্রথম তত্ত্ব অনুযায়ী দক্ষিণ ভারতীয়রা এই অঞ্চল (বালুচিস্তান) থেকে অভিবাসিত হয়েছে, আর একটি তত্ত্ব বলছে বালুচ জনগণ দক্ষিণ ভারত থেকে অভিবাসিত হয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী প্রথম তত্ত্বটি বেশি বিশ্বাসযোগ্য।” তিনি জানান, এই অভিবাসনের সময় হতে পারে ২০০০ বছর আগে। নাইয়ার বলেন, “যদিও আমরা ব্রাহুই ভাষাটিকে দ্রাবিড় ভাষা বলে থাকি, এখন এর মধ্যে দ্রাবিড় উপাদান খুব কমই আছে। কিছু শব্দের প্রতিফলনের ক্ষেত্রে — যেমন মালয়ালম ভাষায় ‘কানুকা’ — এর সঙ্গে সংযোগ দেখা যায়। বাকি অংশে পশতু ও বালোচি ভাষার প্রবল প্রভাব পড়েছে। ফলে শব্দভাণ্ডার ও ব্যাকরণ কাঠামোয় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।” তিনি বলেন, “যেসব মৌলিক শব্দ দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর মধ্যে কিছু মিল আছে, যদিও তা এখন অনেক কম (South Indian Links)।”

    স্বাধীনতার দাবি

    প্রসঙ্গত, বালোচ (Balochistan Conflict) অঞ্চলটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার বহু আগেই একটি বিচ্ছিন্ন সমাজব্যবস্থার জন্য পরিচিত ছিল। অষ্টাদশ শতকে এই অঞ্চলের গোত্রগুলো একজোট হয়ে একটি নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠন করে। ১৮৮৪ সালে বালুচিস্তান ব্রিটিশ ভারতের অংশ হয়ে গেলেও, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মেটেনি। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় অনেক বালুচ নেতা অঞ্চলটিকে স্বাধীন রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব থাকায় এই প্রদেশটি পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায়। তার পর থেকেই জোরালো হয়েছে স্বাধীন বালুচিস্তানের (Balochistan Conflict)।

LinkedIn
Share