Tag: bangla news

bangla news

  • Suvendu Adhiakri: “অমলেন্দুর মুখের ভাষাই প্রমাণ করে হিন্দুদের কি চোখে দেখেন মমতা!” তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhiakri: “অমলেন্দুর মুখের ভাষাই প্রমাণ করে হিন্দুদের কি চোখে দেখেন মমতা!” তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের নামটাই যথেষ্ট! কারণ কালীপুজোয় কাকদ্বীপে যারা কালীমায়ের মূর্তি ভেঙেছে তাদের গ্রেফতার না করে মাথা ভাঙা মূর্তিটিকেই প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এদিকে শনিবার জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভাসানের দিন আগত ভক্তদের কৃষ্ণনগর (Krishnagar) কোতোয়ালি থানার আইসিকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা গেল। আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস আগত ভক্ত ও দর্শনার্থীদের হুমকি দিয়ে বলেন, “মাটিতে ফেলে কেলাবো, দেখে নেব এক একটাকে।” এটাই কি পুলিশের আসল চরিত্র? পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhiakri) ও সুকান্ত মজুমদার।লাখ লাখ মানুষের জনসমাগম (Suvendu Adhiakri)

    শনিবার কৃষ্ণনগরের (Krishnagar) ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন চলছিল। একাধিক ক্লাব ও বারোয়ারীর ঠাকুর রাজবাড়ি থেকে কদমতলা গঙ্গারঘাটে নিয়ে গিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন চলছিল। ঠাকুরের ভাসানকে ঘিরে রাজপথে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছিল। জেলা এবং আশপাশের জেলা থেকে প্রচুর ভক্ত, দর্শনার্থী এবং পর্যটকরা এসেছিলেন। কিন্তু এদিন এই প্রতিমা ভাসানোকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সমস্ত হিন্দু দর্শনার্থী এবং ভক্তদের উদ্দেশ্যে আচমকা লাঠিচার্জ করতে শুরু করে নদিয়া পুলিশ। এই সময়ই কোতোয়ালি থানার আইসিকে গালিগালাজ করতে শোনা যায়, হুমকিও দেন। ব্যাপক মারধরও করা হয়। পরে শুরু হয়ে যায় নির্বিচারে লাঠিচার্জ। পুলিশে লাঠির ঘায়ে গুরুতর জখম হন বেশ কিছু মহিলা এবং তরুণী।

    অসহযোগী পুলিশ!

    এই অভব্য এবং অসৌজন্যমূলক আচরণকে ঘিরে মমতা সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সুকান্ত মজুমাদার। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “কৃষ্ণনগরের (Krishnagar) ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজোয় নবমীর রাত থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখ লাখ ভক্তের সমাগম হয়েছে। উৎসব মুখর হিন্দু জনতাকে পুজোর আনন্দ দিতে সবরকম পরিস্থিতিতে পুলিশের সহযোগী মনোভাবের পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু পুলিশ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে মানুষের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেছে।”

    হিন্দুদের কি চোখে দেখে মমতা?

    মমতার পুলিশ প্রশাসনকে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhiakri)। তিনি বলেন, “কৃষ্ণনগরে (Krishnagar) জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের মূহুর্তে হিন্দুদের ওপর অন্যায় নির্যাতন চালানোর সময় কোতোয়ালি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসের মুখের ভাষা থেকেই বোঝা যায় যে হিন্দুদের কি চোখে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ প্রশাসন! কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে বিসর্জনের জন্যে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নাগরিক সুরক্ষার আশ্বাস দিলেও পুলিশ ব্যর্থ। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে জনগণকে লাঠি পেটা করেছে মমতার পুলিশ। অমরনাথ কে এবং অমলেন্দু বিশ্বাস দু’জনেরই অদক্ষতা প্রমাণিত ও এদের রেকর্ড হল প্রাতিষ্ঠানিক তোলাবাজি। জনগণের স্বার্থের চেয়ে নিজদের স্বার্থ তাঁদের কাছে অনেক বেশি অগ্রাধিকার পায়। এই ভাষায় মানুষকে অপমান করার অধিকার এঁদের কে দিয়েছে?

  • RSF: সুদানে চলছে নির্মম গণহত্যা, পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর, বলছে রাষ্ট্রসংঘ

    RSF: সুদানে চলছে নির্মম গণহত্যা, পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর, বলছে রাষ্ট্রসংঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুদানে (Sudan) অ-মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর গণহত্যার ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। আরএসএফ (RSF) পরিচালিত এই নির্মম গণহত্যায় নারী ও শিশু-সহ হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু। সম্প্রতি আরএসএফ বিদ্রোহীরা এল শাফির শহর দখল করার পর এই নৃশংসতা শুরু হয়। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ও তাদের বিরোধী হিসেবে বিবেচিত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘের মতে, পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। কারণ অনলাইনে প্রচারিত ভয়ঙ্কর ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে আরএসএফ সদস্যরা মাটিতে শুয়ে থাকা মানুষদের গুলি করে হত্যা করছে। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মাত্র দু’দিনের এই হিংসায় প্রায় ২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

    ক্ষমতার দ্বন্দ্ব (RSF)

    সুদানের জনসংখ্যার বেশিরভাগই সুদানি আরব বংশোদ্ভূত। তবে তারা যাদের টার্গেট করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন খ্রিষ্টান ও স্থানীয় অ-আরব উপজাতির সদস্যরা। এই অশান্তির মূল কারণ হল সুদানের সামরিক বাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে দীর্ঘদিনের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, যা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। ২০১৯ সালে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক ওমর আল-বশিরকে উৎখাতের পর, সুদানি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফ কমান্ডার জেনারেল মহম্মদ হামদান দাগালোর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। তাঁদের এই দ্বন্দ্বের জেরেই বর্তমানে দেশটি দীর্ণ গৃহযুদ্ধে (RSF)।

    নিহতের খতিয়ান

    সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে নিরাপত্তার খোঁজে অন্যত্র পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE), লিবিয়া ও চাদ-সহ কিছু ইসলামিক দেশ আরএসএফকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে। এদিকে, সুদানের সরকারি সেনাবাহিনী সমর্থন পাচ্ছে মিশর, তুরস্ক ও ইরানের। এগুলিও মুসলিম-প্রধান দেশ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সুদানে যে অভিযান চলছে, তা আফ্রিকা মহাদেশজুড়ে ইসলামায়নের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। আরএসএফ সম্প্রতি (Sudan) দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি এল ফাশের শহরের দখল নেয়। তার জেরে সাধারণ মানুষের ওপর হিংসার ঘটনা আরও বেড়ে গিয়েছে। সৌদি ম্যাটারনিটি হাসপাতালে ঢুকে প্রায় ৪৬০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর ঠিক আগের দিনই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির হাতে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, গত রবিবার ছিল এক মাসের মধ্যে এই হাসপাতালে চতুর্থ হামলা। সর্বশেষ হামলায় এক নার্স নিহত হন, জখম হয়েছেন তিনজন চিকিৎসাকর্মীও। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালের মেঝেজুড়ে রাশি রাশি লাশ পড়ে রয়েছে। চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ভেঙে-চুরে যাওয়া চিকিৎসা সরঞ্জাম (RSF)। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারী মর্টার হামলায় অস্ত্রোপচার চলাকালীন সার্জেনরা পর্যন্ত অস্ত্রোপচার কক্ষ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, অপারেশন চলাকালীন একটি বিস্ফোরণে রোগীর দেহে গুরুতর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। বোমাবর্ষণ শুরু হতেই হাসপাতালজুড়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনটির অভিযোগ, আরএসএফ ছ’জন স্বাস্থ্যকর্মী, যার মধ্যে চারজন চিকিৎসকও রয়েছেন, তাঁদের অপহরণ করেছে। মুক্তিপণ বাবদ দাবি করা হয়েছে (Sudan) ১,৫০,০০০ মার্কিন ডলার।

    জাতিগতভাবে লক্ষ্য করে হামলা

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে শুরু হওয়া সংঘাতের পর থেকে আরএসএফ এবং তাদের মিত্র মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে বারবার জাতিগতভাবে লক্ষ্য করে হামলার অভিযোগ উঠেছে, বিশেষত অ–আরব সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। এল ফাশের এখন পুরোপুরি আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে থাকায় ২,৫০,০০০ এর বেশি মানুষ, যাঁদের অনেকেই সংখ্যালঘু উপজাতির সদস্য, শহরের ভেতর আটকে পড়ে গিয়েছেন। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঘটনাস্থলের খবর যাতে বাইরে পৌঁছতে না পারে এবং জরুরি সাহায্য বাধাপ্রাপ্ত হয়, তাই এই পথ অবলম্বন করেছে আরএসএফ (RSF)।

    বর্তমানে দারফুর ও কর্ডোফান অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশই আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সুদানি সশস্ত্র বাহিনী দেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চল, রাজধানী খার্তুম-সহ দেশের একটা অংশ তাদের দখলে রেখেছে। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সামরিক (Sudan) বাহিনীর সংঘর্ষ চলতে থাকায় সাধারণ মানুষের হতাহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সীমিত হয়ে পড়ছে মানবিক সাহায্যের পথ (RSF)।

  • UK Incedent: ইংল্যান্ডের কেমব্রিজশায়ারে ট্রেনে এলোপাথাড়ি ছুরির আঘাতে জখম ১০, গ্রেফতার ২

    UK Incedent: ইংল্যান্ডের কেমব্রিজশায়ারে ট্রেনে এলোপাথাড়ি ছুরির আঘাতে জখম ১০, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংল্যান্ডে কেমব্রিজশায়ারের একটি ট্রেনে ভয়াবহ ছুরির হামলায় দশজন জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ন’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রবিবার, ২ নভেম্বর ডনকাস্টার থেকে লন্ডন কিংস ক্রসগামী (UK Incedent) একটি যাত্রিবাহী ট্রেনে এই হিংসাত্মক ঘটনাটি ঘটেছে। আচমকা ছুরির (Knife Attack) হামলার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ভয় এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    গ্রেফতার-২ (UK Incedent)!

    স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, হান্টিংডনে ছুরিকাঘাতের (Knife Attack) ঘটনা কোনও কট্টরপন্থী সংগঠনের তরফে এলাকায় ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করতে করা হয়েছে। তবে কোন সংগঠন করেছে তা এখনও জানা যায়নি। কেমব্রিজশায়ারের পুলিশ জানিয়েছে, হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে ইতিমধ্যেই গ্রফতারও করা হয়েছে। ঘটনাটি যে বড়সড় আক্রমণের ঘটনা তা আঁচ করেই একাধিক পুলিশ অফিসার এবং আপৎকালীন বাহিনীকে নিয়ে হান্টিংডন স্টেশনে পৌঁছে যান। উল্লেখ্য, এই খানেই ট্রেনটি (UK Incedent) থেমে গিয়েছিল। সন্ত্রাস দমনকারী একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তা ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নেমে পড়েছেন। যদিও হামলার পিছনে ঠিক কী উদ্দেশ্য ছিল, তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তির পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। যাঁরা জখম হয়েছেন তাঁদেরও এখনও শনাক্ত করা হয়নি।

    উদ্বেগজনক অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী

    ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, হান্টিংডনের কাছে একটি ট্রেনে এলোপাথাড়ি ছুরি (UK Incedent) চালানো হয়। এরপর উত্তেজিত জনতা একপ্রকার সংকেত দিয়ে ঘটনার কথা পুলিশ এবং জরুরি পরিষেবাগুলিকে জঙ্গি হামলা সম্পর্কে জানায়। অপর দিকে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টার্মার এই ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। জরুরি পরিষেবাগুলিকে দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। সকলকে পুলিশের পরামর্শ মেনে চলার কথা বলব।”

    ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ক্রমবর্ধমান ছুরির হামলার ঘটনা সত্যিই উদ্বেগের। ওই দেশের সরকারি তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০১১ সাল থেকে ছুরি-সম্পর্কিত অপরাধ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। গত একবছরে, ছুরি নিয়ে হামলার বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ৬০ হাজার ছুরি (Knife Attack) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশ কিছু অপরাধী আত্মসমর্পণও করেছে।

  • Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এই সপ্তাহের ছবি

    Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এই সপ্তাহের ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে অব্যাহত হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack)। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, গত ২৫ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে দেশ-বিদেশে।

    পশ্চিমবঙ্গের ছবি (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার উত্তর চন্দ্রনগর গ্রামে স্থানীয় কালী মন্দিরে হামলার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মূর্তির মাথা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি স্থানীয় বাসিন্দাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে। এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী নারায়ণ হালদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।   দক্ষিণ ২৪ পরগনারই মল্লিকপুর গ্রামের বটতলা এলাকায় একাধিক জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয় এক কারিগরের স্টুডিওয় জগদ্ধাত্রী মূর্তি ভাঙা হয়। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা মূর্তিগুলির মাথা ভেঙে নিয়ে যায়।

    সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা

    পুনের কন্ধওয়ার মহালক্ষ্মী জুয়েলার্সে গয়নার ওয়ারেন্টি সংক্রান্ত বিবাদ গড়ায় হাতাহাতিতে। ঘটনায় ছড়ায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাও। ক্রেতা পারভেজ নবী শেখের দাবি, ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের মধ্যেই তাঁর কানের দুল ভেঙে গিয়েছে। তাই তার বদলে তিনি অন্য একটি দুল চান। দোকানের মালিক জানান, দুলটি ব্যবহার করা হয়েছিল, তাই পরিবর্তন সম্ভব নয়। এরপরেই দু’পক্ষে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। বিজনেস ভিসার অপব্যবহার, ধর্মীয় প্রচারমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ভারতের মধ্যে ফান্ডরেইজিং নেটওয়ার্ক পরিচালনার অভিযোগে নাইজেরিয়ান নেতৃত্বাধীন ‘ক্রাইস্ট এমব্যাসি’র বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে এলআরপিএফ (Hindus Under Attack)। আইনি অধিকার সুরক্ষা ফোরামের এই অভিযোগপত্রে বিদেশি নাগরিক ও তাদের সংগঠনের কার্যকলাপ নিয়ে অবিলম্বে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

    ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা

    সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকদের একটি দল (Roundup Week), যার মধ্যে দুই মহিলাও ছিলেন, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। তারা অর্থ ও বাসস্থানের লোভ দেখিয়ে হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশ ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন অ্যাক্টের ধারা ৩ ও ৫, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১১৫ (২ ) এবং এসসি / এসটি অ্যাক্টের ধারা ৩(১)(সি) অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর দেবারা বেসনহাল্লির ঐতিহাসিক ভেঙ্কটেশ্বরস্বামী মন্দিরে ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। অভিযোগ, বাংলাদেশি বলে পরিচিত কবীর নামে এক ইসলামপন্থী যুবক জুতো পরা অবস্থায়ই জোর করে গর্ভগৃহে ঢুকে পড়ে এবং চপ্পল ব্যবহার করে দেবতার মূর্তি অপবিত্র করে।  টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের স্কুল অফ সোশ্যাল জাস্টিসের অধ্যাপক ব্রিনেল ডি’সুজার ধর্মভিত্তিক কর্মশালা ও রাজনৈতিক সক্রিয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগ, তিনি সরকারি ফান্ড ব্যবহার করে ‘শুধু ক্যাথলিকদের জন্য’ ওয়ার্কশপ পরিচালনা করছেন।

    নজরে বাংলাদেশ

    এদিকে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অবিরাম আক্রমণ চলছে। লক্ষ্য হল, দেশটি থেকে ধর্মীয় এই সংখ্যালঘুদের ধীরে ধীরে নির্মূল করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আবুল বরকতের এক গবেষণা অনুযায়ী, পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নির্যাতনের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আর কোনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না। মন্দির ভাঙচুর, জমি দখল, মিথ্যা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে নারী ও কন্যাশিশুর ধর্ষণ বা জোরপূর্বক ধর্মান্তর, ঘৃণাবাচক (Roundup Week) বক্তব্য – এসবই হিন্দুদের আতঙ্কিত ও দেশছাড়া করার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাজশাহির গোদাগাড়ি উপজেলার বাবুদয়িং গ্রামে এক মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে, যেখানে আদালতের নির্দেশে আদিবাসী সম্প্রদায়ের পাঁচটি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। দুই দশকেরও বেশি সময় আগে নির্মিত তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তার জেরে রাতারাতি বহু পুরুষ, নারী ও শিশুকে গৃহহীন অবস্থায় রাস্তায় দাঁড়াতে হয়েছে (Hindus Under Attack)।

    ‘বিদেশি দানব’!

    এদিকে, প্রকাশ্য হিন্দুফোবিয়ার এক ঘটনায়, মুখোশধারী কিছু ব্যক্তি ভগবান বিষ্ণু ও গণেশের ছবি কেটে দেওয়া বা ক্রস চিহ্ন দেওয়া ব্যানার প্রদর্শন করে তাঁদের ‘বিদেশি দানব’ বলে অপমান করেছে। ওই মুখোশধারীরা যে ব্যানার দেখিয়েছিল (Roundup Week) তাতে লেখা ছিল, ডোন্ট ইন্ডিয়া মাই টেক্সাস, ডিপোর্ট এইচ-১বি স্ক্যামার্স, রিজেক্ট ফরেন ডেমনস এবং জেসাস ক্রাইস্ট ইজ মাই লর্ড (Hindus Under Attack)।

  • Madras High Court: সরকারি জমিতে হিন্দু অনুষ্ঠানে বাধা ডিএমকে সরকারের, হাইকোর্টের গুঁতোয় অনুমতি

    Madras High Court: সরকারি জমিতে হিন্দু অনুষ্ঠানে বাধা ডিএমকে সরকারের, হাইকোর্টের গুঁতোয় অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সরকারি জমির অবাধ ব্যবহার সম্পর্কে মাদ্রাজ হাইকোর্ট সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। তামিলনাড়ুর ডিন্ডিগুল জেলার একটি পাবলিক মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য একটি হিন্দু সংগঠনকে (Hindu Community) অনুমতি দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্টের (Madras High Court) মাদুরাই বেঞ্চ। গত এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে খ্রিস্টান ইস্টার উদযাপনের জন্য এই স্থানটি একচেটিয়াভাবে সংরক্ষিত ছিল। মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি বলেছেন, দেশের সংবিধান ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ বলে সকল ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারকে নিশ্চয়তা দেয়। আর তাই হিন্দু সংগঠনের পক্ষে রায় দেয় কোর্ট।

    অন্যায্য আচরণে হাইকোর্টের দ্বারস্থ (Madras High Court)

    আদালত (Madras High Court) ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে, এই অধিকার রক্ষা করা স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের কর্তব্য। তারা কেবল সম্ভাব্য আইনশৃঙ্খলা সমস্যার কথা উল্লেখ করে কোনও অনুষ্ঠানকে নিষিদ্ধ করতে পারে না। পরিবর্তে, পুলিশকে অবশ্যই একজন ব্যক্তির অধিকারের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং উদ্ভূত যে কোনও সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। কালীয়াম্মন মন্দিরের কাছে একটি উন্মুক্ত জন সাধারণনের ময়দানে অন্নধনম অনুষ্ঠান (Hindu Community) করতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। মাঠ ব্যবহারের অনুমতি তো দেওয়াই হয়নি, উল্টে তাঁকে পাবলিক রাস্তার পাশে একটি জায়গায় অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে তাঁর প্রতি অন্যায্য আচরণ মনে করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত পুলিশকে জিজ্ঞাসা করে কেন অনুরোধটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে? পুলিশের উত্তর, এটি আইনশৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি করবে বলে আশঙ্কা তাদের।

    জমির মালিকানা সরকারের

    মামলা চলাকালীন জানা গিয়েছে ১০০ বছর আগে ময়দানের একপাশে একটি মঞ্চ করা হয়। আর এই মঞ্চ কেবলমাত্র ইস্টারের উৎসবের সময়ে খ্রিষ্টানরাই ব্যবহার করতে পারত। তবে ২০১৭ সালে শান্তি কমিটির পক্ষ থেকে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গত ১০০ বছর ধরে যারা অনুষ্ঠান করে আসছে কেবলমাত্র তারাই পারবে এই অনুষ্ঠান করতে। তবে মামলায় উঠে আসে জমির মালিকানার অধিকার রয়েছে রাজ্য সরকারের হাতে। তাই বিচারপতি জিআর স্বামীনাথন বলেন, সরকারি জমিতে সমাজের সকল শ্রেণীর জন্য ধর্মনিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে দেওয়া উচিত।

    আদালত গ্রামের জনসংখ্যার দিকেও নজর দিয়েছে। যেখানে প্রায় ২,৫০০ খ্রিস্টান পরিবার এবং ৪০০ হিন্দু পরিবার রয়েছে। মনে হচ্ছে পুলিশ কেবল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিরোধিতাকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হিসাবে উল্লেখ করেছে। বিচারপতি (Madras High Court) স্বামীনাথন তাই প্রশাসনের এই ভাবনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক পরিস্থিতি বলে অভিহিত করেছেন। প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অন্যান্য ধর্মের লোকদের (Hindu Community) অংশগ্রহণ থাকা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

  • Odisha: ওড়িশায় রাজ্যের প্রথম কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Odisha: ওড়িশায় রাজ্যের প্রথম কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নত ইলেকট্রনিক্স ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের একটি কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পথে পদক্ষেপ করল ওড়িশা (Odisha)। ১ নভেম্বর ভুবনেশ্বরের জাতনি এলাকার ইনফো ভ্যালিতে স্থাপন করা হয়েছে রাজ্যের প্রথম কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের (CM Majhi) ভিত্তিপ্রস্তর। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি এবং ওড়িশার তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মুকেশ মাহলিং।

    কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৫ হাজার (Odisha)

    কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে সিকসেম (SiCSem) প্রাইভেট লিমিটেড। এটি হবে ওড়িশার শিল্প ও প্রযুক্তি খাতের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। ২ হাজার ৬৭ কোটি টাকার বিনিয়োগে গড়ে ওঠা এই প্রকল্পটিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৫ হাজার জনের। এটি রাজ্যের হাই-টেক ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

    অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি প্রকল্পটিকে ওড়িশার জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আজ আমাদের রাজ্যের জন্য এক গৌরবময় দিন। আমরা উন্নত ইলেকট্রনিক্স ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের একটি প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠার দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলাম। ইনফো ভ্যালিতে সিকসেম প্রাইভেট লিমিটেডের কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর ফেসিলিটির ভূমিপুজো আমাদের আত্মনির্ভর ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। এটি ওড়িশার এগিয়ে চলার নীতি, বিশ্বমানের পরিকাঠামো এবং দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভাবন পরিবেশের পরিচায়ক (Odisha)।” তিনি বলেন, “সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটটি ওড়িশার সেই বৃহত্তর কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার লক্ষ্য হল ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত শিল্প, যেমন, ইলেকট্রনিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং উদীয়মান প্রযুক্তির বিকাশ।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উদ্ভাবন-চালিত শিল্পকে উৎসাহিত করে এবং উচ্চ-প্রযুক্তি খাতের জন্য শক্তিশালী নীতি দিয়ে সাহায্য করে ওড়িশাকে ভারতের অন্যতম বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত

    তিনি বলেন, “এই প্রকল্পটি ওড়িশার জন্য একটি বড় পাওয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত আর প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে কোনও দেশের থেকে পিছিয়ে নেই। প্রগতিশীল নীতি, আধুনিক পরিকাঠামো এবং দক্ষতাভিত্তিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা একটি শক্তিশালী, আত্মনির্ভরশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলছি।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভারত সরকারের অবিচল সমর্থন এবং আমাদের শিল্প অংশীদারদের সহযোগিতায়, ওডিশা ভারতের পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নগাঁথায় অবদান রাখতে থাকবে — উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান এবং সমৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে একটি ‘সমৃদ্ধ ওডিশা’ এবং ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্যে (CM Majhi)।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ডাবল-ইঞ্জিন সরকার রেল, সড়ক, ইলেকট্রনিক্স, টেলিকম এবং সেমিকন্ডাক্টর-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওড়িশায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। আইআইটি ভুবনেশ্বরে একটি অত্যাধুনিক সেমিকন্ডাক্টর গবেষণাগারও স্থাপন করা হবে।”

    প্রসঙ্গত, ভারত সেমিকন্ডাক্টর মিশনের (ISM) অনুমোদনে নির্মাণাধীন যৌগিক সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন সুবিধাটি বছরে ৬০ হাজার ওয়েফার উৎপাদন সক্ষমতা এবং ৯৬ মিলিয়ন ইউনিট প্যাকেজিং ক্ষমতা নিয়ে গড়ে উঠবে। এই ইউনিটে বৈদ্যুতিক যানবাহন, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রেলওয়ে এবং পুনর্নবীকরণ শক্তি প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত জরুরি উপাদানগুলি তৈরি করা হবে (Odisha)।

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারত সেমিকন্ডাক্টর উপাদানের জন্য ব্যাপকভাবে নির্ভর করে চিন, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মতো দেশের ওপর। ভুবনেশ্বরে এই প্রকল্পটি গড়ে উঠলে একদিকে যেমন কমবে আমদানিনির্ভরতা, বাড়বে দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতা, তেমনি মেক ইন ইন্ডিয়া ও ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশনের অধীনে ভারতের সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন ইকোসিস্টেম আরও শক্তিশালী (CM Majhi) হবে বলেই আশা বিশেষজ্ঞদের। কর্তৃপক্ষের মতে, প্রকল্পটি শুধু ওড়িশার প্রযুক্তিগত সক্ষমতাই বাড়াবে না, বরং ভারতকে বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এটি দেশের আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধি এবং মজবুত শিল্পোন্নয়নেও সহায়তা করবে।

  • RSS: “সংঘের কাজই দেশের কাজ”, বললেন আরএসএসের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে

    RSS: “সংঘের কাজই দেশের কাজ”, বললেন আরএসএসের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সঙ্ঘের (RSS) শতবর্ষে সংস্কারধনী জবলপুরে এই সভা আয়োজনের মাধ্যমে এই শহরের নাম স্থায়ীভাবে সংঘের লিখিত ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে রইল।” শনিবার আরএসএসের অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল বৈঠকের শেষ দিনে কথাগুলি বললেন সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। কাচনার শহরে আয়োজিত ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সরকার্যবাহ। তখনই সঙ্ঘের সভা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেন তিনি। তুলে ধরেন বিজয়াদশমীর দিন সারা দেশে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির বিবরণও (Swayamsevaks)।

    আরএসএসের বিজয়া দশমী (RSS)

    বিজয়া দশমী উপলক্ষে নাগপুর-সহ সারা দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় বলে জানান হোসাবলে। এদিন গ্রামীণ ভারতের ৫৯ হাজার ৩৪৩টি মণ্ডলের মধ্যে ৩৭ হাজার ২৫০টিতে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পার্শ্ববর্তী মণ্ডলের স্বয়ংসেবকদের অংশগ্রহণ-সহ মোট ৫০ হাজার ৯৬ মণ্ডল এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়। শহারাঞ্চলের ৪৪ হাজার ৬৮৬টি বস্তির মধ্যে ৪০ হাজার ২২০টিতে কর্মসূচি পালিত হয়। এছাড়াও, ৬ হাজার ৭০০টি স্বতন্ত্র বিজয়াদশমী কর্মসূচি আয়োজিত হয়। সব মিলিয়ে সারা দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট ৬২ হাজার ৫৫৫টি বিজয়াদশমীর অনুষ্ঠান। এই কর্মসূচিগুলিতে ৩২ লাখ ৪৫ হাজার ১৪১ জন স্বয়ংসেবক ইউনিফর্ম পরে উপস্থিত ছিলেন। ২৫ হাজার জায়গায় পথসঞ্চালন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইউনিফর্ম পরে অংশ নেন ২৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ জন স্বয়ংসেবক। তিনি জানান, এই কর্মসূচিগুলি প্রমাণ করে যে, ভারতের কোনও অঞ্চলই সংঘের কার্যক্রমের বাইরে নেই। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ থেকে লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড পর্যন্ত সঙ্ঘের নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে।

    “সংঘের কাজই দেশের কাজ”

    হোসাবলে জানান, গত বছরের (Swayamsevaks) অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত শেষ বৈঠকের পর থেকে সংঘ ১০ হাজার নতুন জায়গায় কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে ৫৫ হাজার ৫২টি জায়গায় প্রতিদিন ৮৭ হাজার ৩৯৮টি শাখা পরিচালিত হচ্ছে। ৩২ হাজার ৩৬২টি সাপ্তাহিক মিলনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে মোট কর্মসূচি-কেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ৪১৪টি। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে নিবিড় চেষ্টার ফলে সংঘের কার্যক্রম আদিবাসী অঞ্চল-সহ শ্রমিক, কৃষক, ছাত্রছাত্রী, উদ্যোক্তা এবং বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণির মধ্যেও বিস্তৃত হয়েছে। তিনি জানান, এদিনের বৈঠকে সংঘের শতবর্ষ উপলক্ষে আসন্ন কর্মসূচির বিষয়েও আলোচনা হয়। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে। সরকার্যবাহ বলেন, “সংঘের (RSS) কাজই দেশের কাজ।”

    হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন

    তিনি জানান, আগামী মাসগুলিতে বস্তি ও মণ্ডল পর্যায়ে হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। এই সম্মেলনগুলির মাধ্যমে পঞ্চ পরিবর্তনের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে তৃণমূলস্তর পর্যন্ত, যাতে এই নীতিগুলি সমাজের আচরণ এবং দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠে। প্রায় ৪৫ হাজার গ্রামীণ এবং ৩৫ হাজার শহুরে এলাকায় হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন হবে বলে আশা সংঘের। এছাড়াও ব্লক এবং শহরেও সামাজিক সদ্ভাব বৈঠক এবং জেলা সদরগুলিতে প্রবুদ্ধ নাগরিক গোষ্ঠী আলোচনা  অনুষ্ঠিত হবে। এই সব কর্মসূচির মূল লক্ষ্যই হল আরও বেশি মানুষের সঙ্গে জাতীয় সেবার যোগসূত্র তৈরি করা (Swayamsevaks)। হোসাবলে বলেন, “সকলের শাখায় যোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে প্রত্যেকেরই উচিত নিজের কর্মক্ষেত্রে সমাজের ঐক্য, সম্প্রীতি এবং জাতীয় উন্নতির জন্য কাজ করা।” তিনি জানান, শতবর্ষের কর্মসূচির উদ্দেশ্য সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি নয়, বরং সমাজের অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগ্রত করা। সচেতনতা, ঐক্য এবং জাতীয় নিবেদনের প্রেরণা জাগিয়ে তোলা।

    গুরু তেগ বাহাদুরের শাহাদতের ৩৫০তম বর্ষ

    ২৪ নভেম্বর ছিল নবম শিখ গুরু গুরু তেগ বাহাদুরের শাহাদতের ৩৫০তম বর্ষ। বৈঠকে ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজের ঐক্য রক্ষার জন্য তিনি যে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তা নিয়েও আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, দেশব্যাপী সংঘের কর্মীরা তাঁর স্মৃতিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। সংঘের বক্তব্য, “গুরু তেগ বাহাদুরের জীবন সকলের জন্য প্রেরণা। ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর অটল অবস্থান আজকের যুবসম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন।” এ বছর বিরসা মুন্ডার সার্ধ শতবার্ষিকীও। বিরসা কেবল একজন সম্মানিত জনজাতি নেতাই ছিলেন না, যিনি শুধু ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, তিনি ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছিলেন এবং আদিবাসী সমাজের উন্নয়নে কাজ করেছেন। এদিনের বৈঠকে তাঁকেও স্মরণ করা হয় শ্রদ্ধার সঙ্গে। তাঁর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদায় যাতে উদযাপন করা হয়, তার ডাকও দিয়েছে সংঘ। সংঘ তাঁকে প্রাতঃ স্মরণীয় ব্যক্তিত্বদের  মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে (RSS)।

    ‘বন্দে মাতরম’ রচনার দেড়শো বছর

    এবছর ‘বন্দে মাতরম’ রচনারও দেড়শো বছর। ১৯৭৫ সালে শতবর্ষ উপলক্ষে দেশজুড়ে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু জরুরি অবস্থার কারণে সেই উদ্যোগ ভেস্তে যায় (Swayamsevaks)। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় “বন্দে মাতরম” ছিল উদ্দীপনা, সাহস ও আত্মমর্যাদার গান।সরকার্যবাহ বলেন, “বর্তমান প্রজন্মকে এর অনুপ্রেরণামূলক ইতিহাস জানতে হবে। বন্দে মাতরম শুধু একটি গান নয়, এটি ভারতের আত্মার মন্ত্র। এতে ভারতের পরিচয় ও সাংস্কৃতিক চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে।” তিনি জানান, ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়ে মাওবাদীরা অস্ত্র ছেড়ে ফিরছে সমাজের মূলস্রোতে। মণিপুর প্রসঙ্গে হোসাবলে বলেন,  “সেখানে শীঘ্রই ভালো সময় আসবে।”

    তিনি যুবসমাজে বাড়তে থাকা মাদকাসক্তির সমস্যা নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই প্রবণতা রুখতে সরকারকে সমাজ, ধর্মীয় সংগঠন, সমাজকর্মী এবং বিভিন্ন কমিউনিটি সংগঠনকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কুটুম্ব প্রবোধন এই উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে (RSS)।

  • 150 Years Arya Samaj: আর্য সামাজের সার্ধশতবর্ষ স্মারক মুদ্রায় গায়ত্রীমন্ত্রকে লিপিবদ্ধ করল মোদি সরকার

    150 Years Arya Samaj: আর্য সামাজের সার্ধশতবর্ষ স্মারক মুদ্রায় গায়ত্রীমন্ত্রকে লিপিবদ্ধ করল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের শতবর্ষ উদযাপন পর্বে ১০০ টাকার একটি স্মারক মুদ্রার প্রকাশ করেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার উনিশ শতকের সমাজ সংস্কারক সংগঠন আর্য সমাজের (150 Years Arya Samaj) ১৫০ বছর অর্থাৎ সার্ধশতবর্ষের পূর্তিকে মাথায় রেখে ১৫০ টাকার স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করেছে মোদি সরকার। আর্য সমাজের বিশেষ প্রতীক হল জ্ঞান, আলো এবং সত্যের চিন্তা। এই ভাবনাকেই মাথায় রেখে ১৫০ টাকার মুদ্রায় দেবনাগরী লিপিতে খোদাই করে পবিত্র গায়েত্রীমন্ত্রকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

    বর্ণ বৈষম্য ও অস্পৃশ্যতার বিরোধী আর্য সমাজ (150 Years Arya Samaj)

    ব্রিটিশ ভারতের ১৮৭৫ সালে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী আর্য সমাজকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মানুষকে আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক জাগরণের জন্য পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় কাজ করেছে আর্য সমাজ। ‘বিশ্বকে মহৎ করুণ’-এই নীতিবাক্য নিয়ে শিক্ষা, নারীর সম্মান, ক্ষমতায়ন, বৈদিক মূল্যবোধের বার্তাকে সকল জনসমাজের মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে। তবে গায়েত্রীমন্ত্রের গভীর আধ্যাত্মিক শিকড় এবং সংস্কার মূলক ভবানার কথাকেই বেশি বেশি করে প্রচার করত এই সংগঠন। তাঁদের আরেকটি বড় কাজ ছিল সামাজিক বর্ণ বৈষম্য, অস্পৃশ্যতা, জাতিগত বৈষম্য সহ একাধিক সামাজিক কুপ্রথাগুলি থেকে মানুষকে বাঁচানো। হিন্দু সমাজের মধ্যে সংস্করণ আনাই ছিল আসল উদ্দেশ্য।

    উনিশশতকে পুনঃজাগরণের বিরাট ভূমিকা

    নতুন স্মারক মুদ্রাটি ১৫০ টাকার। এটি নিকেল এবং রূপার সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি। স্থায়িত্ব এবং মূল্যের বিচারে এই মুদ্রার গুরুত্ব অপরিসীম এবং আর্য সমাজের প্রতীক। এই মুদ্রায় গাঁথা গায়েত্রী মন্ত্র (Gayatri Mantra) স্বয়ং ঈশ্বর জ্ঞানের প্রতীক। এই মুদ্রা স্বামী দয়ানন্দের (150 Years Arya Samaj) দৃষ্টিভঙ্গিকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরে। এই প্রতীকী মুদ্রার মাধ্যমে মোদি সরকার ভারতের আধ্যাত্মিক এবং মানসিক সংযোগকে আরও শক্তিশালী করতে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে। দেশপ্রেম, প্রজ্ঞা, জ্ঞান প্রদীপের প্রকাশ দিয়ে হিন্দু সমাজের জাগরণের বিরাট কাজ করেছেন স্বামী দয়ানন্দ। একদিকে খ্রিষ্টান মিশনারি এবং অপর দিকে কট্টর ইসলাম দুইয়ের মধ্যে হিন্দু সামজকে সংহত করার কাজ করেছে আর্য সমাজ। ভারতীয়ত্ববোধ, ভারতীয় ইতিহাস, মূল্যবোধ, ধর্মচিন্তা, দর্শন, সাহিত্যকে উনিশশতকে পুনঃজাগরণের বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। পরাধীন ভারতে ভারতীয়দের মধ্যে ভারতীয়ত্ববোধের জাগরণ ঘটিয়েছে আর্য সমাজ। ভারত কীভাবে শতশত বর্ষ ধরে নিজের জ্ঞানের আলোকে ছড়িয়ে দিয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আর্য সমাজ। এই সামাজিক সংগঠনের গুরুত্ব অপরিসীম।

  • Dev Deepavali: বারাণসীতে দেব দীপাবলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লেজার শো আয়োজন যোগীর

    Dev Deepavali: বারাণসীতে দেব দীপাবলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লেজার শো আয়োজন যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী রাসপূর্ণিমায় দেব দীপাবলি (Dev Deepavali) উদযাপনে বারাণসীর রাজঘাটে বিরাট প্রস্তুতির আয়োজন করেছে যোগী সরকার। কাশীধাম (Varanasi) জুড়ে রাতভর পালিত হবে দেব দীপাবলি। দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্তরা এই আলোর উৎসব উদযাপন দেখে ভিড় করবেন। কাশীর গঙ্গাবক্ষের ঘাটগুলিকে প্রদীপ জ্বালিয়ে পালিত হয় দেব দীপাবলি। এই বছর লেজার শো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনের বিশেষ আয়োজন করেছে যোগী সরকার। ইতিমধ্যে এখন থেকেই ভক্তদের সমাগম হতে শুরু করেছে তীর্থধাম শিবনগরী।

    রাজঘাটে একটি সাংস্কৃতিক কার্যক্রম হবে (Dev Deepavali)

    দেব দীপাবালি (Dev Deepavali) উপলক্ষে এই ভব্য আয়োজনকে সামনে রেখে বারাণসীর বিভাগ কমিশনার এস রাজলিঙ্গম বলেন, “মানুষ এই উৎসবের জন্য অধীর আগ্রহী হয়ে রয়েছেন। এই বছর গঙ্গার ঘাটে ঘাটে দেব দীপাবলির আয়োজন করা হবে। গতবারের মতো এই বারেও লেজার শো-এর আয়োজন করা হবে। রাজঘাটে একটি সাংস্কৃতিক কার্যক্রম হবে। অনেক শিল্পীরা থাকবেন। সকলের সহযোগিতা এবং উদ্যোগ দেব দীপাবলির অনুষ্ঠানকে বাস্তবায়ন করবে।”

    ১ নভেম্বর থেকে শুরু অনুষ্ঠান চলবে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর ৫ নভেম্বর পালিত হবে দেব দীপাবলির আসল উৎসব। কাশী (Varanasi) এখন দেবদীপাবলির জন্য সম্পূর্ণভাবে সেজে উঠেছে। রাজঘাটে ইতিমধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশের বড় বড় শিল্পীরা যোগদান করেছেন। প্রতিদিনের পরিবেশনায় উপস্থিত শিল্পীদের মধ্যে থাকবেন পণ্ডিত মাতা প্রসাদ, পণ্ডিত রবিশঙ্কর মিশ্র, দিবাকর কাশ্যপ, পণ্ডিত সন্তোষ নাহার, পদ্মশ্রী গীতা চন্দন, বিদুষী কবিতা দ্বিবেদী, পদ্মশ্রী মালিনী অবস্থি, রাহুল রহংসী, রাহুল রাজকন্যা।

    ১০ লক্ষের বেশি প্রদীপ দিয়ে সাজানো হবে

    কাশীর অর্ধচন্দ্রাকৃতি গঙ্গারঘাটগুলিকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করতে ৫ নভেম্বর ১০ লক্ষের বেশি প্রদীপ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে। তবে সরকারি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সমস্ত প্রদীপ গোবর থেকে তৈরি করা হয়েছে। সমস্ত প্রদীপ পরিবেশ বান্ধব, ঐতিহ্যবাহী এবং গুণমান সম্পন্ন। পরিবেশের সঙ্গে সবরকম ভারসাম্য বজায় রেখে এই প্রদীপ নির্মাণ করা হয়েছে। যে কোনও উৎসব পার্বন যাতে পরিবেশ বান্ধব হয় সেই দিকে বিচার করেই এই ভাবনাকে বাস্তবায়ন করেছে যোগী সরকার। তবে ১ নভেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত গঙ্গা মহোৎসব (Varanasi) পালন করা হবে। এরপর ৫ নভেম্বর পূর্ণিমায় পালিত হবে দেব দীপাবলি (Dev Deepavali)। বাংলায় অবশ্য এই সময় রাস পূর্ণিমা বা রাস মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। শান্তিপুর, নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর এবং কোচবিহারের রাস জগৎ বিখ্যাত।

  • Daily Horoscope 02 November 2025: কর্মক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 02 November 2025: কর্মক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) পরিবারের বন্ধু ও সদস্যদের সঙ্গে পার্টি করতে পারেন।

    ২) প্রেম জীবনে সঙ্গীর সঙ্গে রোম্যান্টিক ডিনারে যেতে পারেন।

    ৩) আর্থিক পরিস্থিতির কারণে চিন্তিত থাকবেন।

    বৃষ

    ১) কোনও কাজ করতে নিজের শক্তি ব্যবহার করতে পারেন, তা না-হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    ২) রেগে গিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সমস্যার মুখোমুখি হবেন।

    ৩) চাকরিতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে এবার স্বস্তি পাবেন।

    মিথুন

    ১) আজকের দিনটি অবসাদপূর্ণ থাকবে।

    ২) সন্তানের কেরিয়ারের কারণে চিন্তিত থাকবেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    কর্কট

    ১) শারীরিক সমস্যা থাকলে তাতে উন্নতি হবে।

    ২) আর্থিক পরিস্থিতির কারণে চিন্তিত থাকবেন।

    ৩) বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায়ীদের জন্য আজকের দিনটি ভালো।

    ২) কাজের কারণে দৌড়ঝাপ করতে হবে।

    ৩) তখনই ভালো অর্থ উপার্জনে সফল হবেন।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হতে পারেন।

    ২) সব পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকুন।

    ৩) নিজের কাজের চেয়ে বেশি অন্যের কাজে মনোনিবেশ করবেন, যার ফলে সমস্যায় পড়তে পারেন।

    তুলা

    ১) পারিবারিক জীবনে সঙ্গীর সঙ্গে একা কিছু সময় কাটাবেন, তাঁর চিন্তাভাবনা বুঝবেন।

    ২) সাবধানে গাড়ি চালান, তা না-হলে দুর্ঘটনা সম্ভব।

    ৩) বাবার স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন থাকতে হবে, শারীরিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) আজ কোনও নতুন কাজ শুরু করতে পারেন।

    ২) অংশীদারীর কাজ করবেন না।

    ৩) জীবনসঙ্গীর পরামর্শের দ্বারা লাভ হবে।

    ধনু

    ১) জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন।

    ২) জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সমস্ত বিবাদের সমাধান হবে।

    ৩) কোনও পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, যার জন্য বহুদিন ধরে অপেক্ষা করে রয়েছেন।

    মকর

    ১) কর্মক্ষেত্রে ভালো কিছু করার জন্য কেউ আপনাকে উৎসাহিত করতে পারে।

    ২) ছোটখাটো বিষয়ের কারণে অবসাদগ্রস্ত থাকবেন।

    ৩) আপনার কোনও ভুল পরিবারের সদস্যদের সামনে আসতে পারে।

    কুম্ভ

    ১)  সহকর্মীরা কাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, এর ফলে চিন্তিত হবেন।

    ২) পরিবারে নতুন অতিথি আগমনের সুসংবাদ পেতে পারেন।

    ৩) ভাই-বোনের মধ্যে বিবাদ সমাপ্ত হবে।

    মীন

    ১) সরকারি চাকরিজীবীরা লাভান্বিত হবেন।

    ২) ভালো কাজে নিজের শক্তি ব্যবহার করুন।

    ৩) এদিক-ওদিক বসে সময় নষ্ট করবেন না।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

LinkedIn
Share